এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • π | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৫০491405
  • ডিসি, তা ঠিক। জেগে ঘুমালে তো তর্ক করা বৃথা।
     
    কিন্তু সমস্যা, অন্য অনেক লোকজনকে এঁ্রা ভুল তথ্য বা তার ভুল ইন্টারপ্রিটেশন দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন। দ্বিতীয় ওয়েভের আগে নিজেরা সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ভ্যাকসিন নেননি, অন্যদের নিতে দেন নি, তার ফল মৃত্যু অব্দি গড়িয়েছে, তারপরেও এসব চালিয়ে যাচ্ছেন।
     
    আমার জানতে ইচ্ছে করে, এই 'এক্সেস মর্টালিটি' না বোঝার সত্যিই কি নির্বোধ এঁরা,  নাকি সত্যিই এতটা ব্রেনওয়াশড যে বুঝতে চেষ্টাও করেন না!  
    যাহোক, ডট ডট ( নামে বা কোন পরিচিত নিকে লেখারও তো ধক নেই, আমি নিশ্চিত পরিচিত কোন 'প্রগতিশীল' লেখক, প্রকাশকই হবেন),  এটা লাইন বাই লাইন পড়ুন।  কোথাও বুঝতে না পারলে বলবেন। বা, কোন হাইস্কুলপড়ুয়াকে বুঝিয়ে দিতে বললেও হবে।
     
  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৫৪491404
  • এলেবেলে, আপনার কি রামমোহনের পরে বিবেকানন্দকে নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আছে? সেখানে কিন্তু গল্পটা অন্য রকম হবে। বিদ্যাসাগর বা রামমোহনের বই নিয়ে যতটা আলোচনা হচ্ছে বা হবে, তার কাছাকাছি যাওয়া দূরে থাক, রামকৃষ্ণ মিশনের হাত এড়িয়ে ঐ বই বাংলায় বার করাই মুশকিল হবে হয়ত। ইংরেজি বই হলে ততোটা সমস্যা হয়তো নেই।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:10fe:f20:d89:7bf4 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:১৭491403
  • তৃণমূল আসবার বহু আগে থেকে ঘুষ সিস্টেম। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে তো বটেই।
    সুনীলের "শেষ দেখা হয় নি" উপন্যাসেই এর উল্লেখ আছে।
    আমি তখন বিদেশে। শারদীয় দেশ পত্রিকায় সম্ভবত উপন্যাসটা বেরিয়েছিল বা দশ দিগন্ত নামক বইয়ে। পষ্ট মনে আছে।
    এর আগে প্রতিটি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলের কমিটি ইন্টারভিউ নিত শিক্ষকদের। শুধু তাদের রেজাল্ট ও যোগ্যতা নয়, সেই ইন্টারভিউয়ে যাচাই করে নিত শিক্ষকটির মধ্যে ভাল শিক্ষক হবার গুণ টুন আদৌ আছে কি নেই।
    ঘটনাচক্রে মেয়েদের ইস্কুলে অনেক শিক্ষিকাই থাকতেন অনূঢ়া বা বিধবা। তাঁদের ব্যবহার আচরণ আজকের শিক্ষিকাদের মত নয়।
  • syandi | 45.250.246.161 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:১২491402
  • bodhisattvagc dasgupta , আচ্ছা আশোকদাকে কি আপনাদের সময় থেকেই ইন্জিনিয়ার বলে আওয়াজ দেওয়া হত? আশোকদা একবার সাবসি ল্যাবে ঢুকে আমাদের উপরে খামোখা রেলা নিয়েছিলেন বলে কয়েকবার ওনার মোটরসাইকেলের হাওয়া খুলে দিয়েছিলাম :-)
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:10fe:f20:d89:7bf4 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:০৯491401
  • কারন একটা নয়। 
    বামফ্রন্ট ক্ষমতায় এসে সরকারি এবং অনুদানপ্রাপ্ত ইস্কুলগুলোর শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের বেতনের স্কেল তৈরি করল, শিক্ষা অবৈতনিক করল প্রথমে মাধ্যমিক, পরে উচ্চমাধ্যমিক অবধি। খুব ভাল কাজ।
    এর মধ্যেই ইংরিজি বাদ পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা থেকে।
    আমরা যারা শিক্ষিত বাপমায়ের সন্তান, আমাদের সমস্যা হলো না তেমন। বাড়িতে পড়া দেখিয়ে দেবার জন্য অভিভাবকরাই যথেষ্ট। কিন্তু যারা ফার্স্ট লার্নার? তারা ক্লাস ফাইভ থেকে এবিসিডি শিখে এই অসম প্রতিযোগিতায় পারবে? তাদের কথা ভাবা হয়েছিল? ভুললে চলবে না এটা ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ নয়। এদেশে লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা ইংরিজি, সমস্ত চাকরির ইন্টারভিউয়ে ইংরিজি প্রয়োজন।
    ফলে কিছুবছর পরে যে সব লার্নিং ইংলিশ পড়া ছাত্ররা পাশ করে বের হলো, তারা টের পেল চাকরির জগতে ইংরিজি না জানলে কত ধানে কত রাইস।
    তাই বাংলা মিডিয়ামের প্রতি অভিভাবকেরা তো ঝুঁকবেই। 
    এরপরে ঐ স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা পাশ করা নতুন শিক্ষকরা অধিকাংশই ঘরের কাছে চাকরি পেল না। গ্যাঁড়াকল করে এমন এমন দূরে পোস্টিং করা হতে লাগল যাতে ট্রান্সফারের জন্য ঘুষ সিস্টেম পাকাপোক্ত হয়।
    আগের যুগে শিক্ষকদের বেতন কম থাকলেও মাস্টারমশাইরা ইস্কুলে যেতেন হেঁটে, বাসে ট্রামে, রিকশায় চেপে। সংসার থেকে যোজন দূরে ইস্কুলে চাকরি নিতেন না কেও। বেতন কম হলেও টিউশন করতেন অনেকেই। পড়াতেন মন দিয়ে, নাম ডাকওয়ালা শিক্ষক ছিলেন অনেকেই। পার্টিফান্ডে ডোনেশন, ঘুষ দিয়ে ট্রান্সফার, লক্ষলক্ষটাকা দেনা করে চাকরি পাওয়া, এসব সিস্টেম তাঁরা জানতেন না, জানার দরকারও পড়ে নি। 
    ছাত্রদের স্নেহ করতেন, বকতেন পিটতেন ভালোবেসে পড়াতেন।
    হয়ত গরীব ছিলেন, অবসরের পর আরও গরীব।
    পাশ করা ছাত্ররা দেখা হলে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করত।
    এখন করে না।
    সিস্টেম বদলে গেছে। এখন মিডডে মিল আছে। আগে ইস্কুলের গরীব ছাত্রদের শিক্ষকরাই বিনামূল্যে বই দিতেন, টিচার্স স্যাম্পল কপি, আরও অনেক কিছুই করতেন।
  • syandi | 45.250.246.161 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:০৩491400
  • স্কুল সার্ভিস কমিশন শুরুর আগেও ঘুষ দিয়ে অনেকেই স্কুলে চাকরি পেত। এক্ষেত্রে ঘুষটা পেত ম্যানেজিং কমিটির লোকেরা। অনেকসময় চাকরিপ্রার্থী ঘুষ দিতে অপারগ হলে স্কুল সেক্রেটারির মেয়েকে বিয়ে করবে এই শর্তে চাকরি পেত। স্কুল সার্ভিস কমিশন শুরুর পরের কয়েক বছর ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়ার কথা সেরকম শোনা যায় নি। বোধ হয় কিছু ক্ষেত্রে রিক্রুটমেন্টে অনিয়ম হয়ে থাকলেও মোটের ওপর ফেয়ার সিলেকশন হত। তৃণমুল আসার পরে ব্যাপক হারে ঘুষের খেলা চালু হল। এখন তো আবার রিক্রুটমেন্ট বন্ধ।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:2427:8861:bfa3:fe1f | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:৪৮491399
  • কেন ? 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:10fe:f20:d89:7bf4 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:২৮491398
  • স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা সিস্টেমের আগে কিন্তু এরকম স্ট্যান্ডার্ড ছিল না মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার। কেন জানেন?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:10fe:f20:d89:7bf4 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:২৬491397
  • এই সিস্টেমটা বামফ্রন্টের আমলেই শুরু হয়েছিল এবং তৃণমূলের আমলে পরিপূর্ণ শিল্পের পর্যায়ে চলে গেছে।
    শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও এরকম সিস্টেম আছে, তবে সেখানে প্রায়োরিটি অন্যভাবে নির্ধারিত হয়।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:10fe:f20:d89:7bf4 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:২২491396
  • নাহ, আমার মনে হয় না অমন কোনও আঁতাত আছে বলে।
    অধিকাংশ বেসরকারি ইস্কুলে শিক্ষকদের চাকরি সরকারি ইস্কুলের শিক্ষকদের মতো পার্মানেন্ট নয়, যখন তখন চাকরি চলে যেতে পারে। মা‌ইনেও তুলনায় বেশ কম। তবু শিক্ষকরা সেখানে খেটেখুটে পড়াচ্ছেন।
    সরকারি ইস্কুলের চাকরির জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় পাশ করতে হয়, পার্টি ফান্ডে টাকা দিতে হয়, ভালো পোস্টিং এর জন্য দশ পনেরো কুড়ি লাখ অবধি ঘুষ। নতুন শিক্ষকদের প্রচুর ধারদেনা করে ফেলতে হয়। প্রথম কয়েক বছরের বেতন দেনা চোকাতেই চলে যায় বা ইন্সটলমেন্টে ঘুষ দিতে দিতে। বাড়িয়ে বলছি না। এই হচ্ছে অবস্থা। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:2427:8861:bfa3:fe1f | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:১২491395
  • আমার মনে হয় বেসরকারী স্কুল , হাসপাতাল ইঃ-র সাথে সরকারের একটা আঁতাত আছে, যাতে সরকারী প্রতিষ্ঠান গুলো ধ্বংস হয়, আর প্রাইভেট গুলোর শ্রী বৃদ্ধি হয় ।  যদিও কনস্পিরেসি থিয়োরীর মত লাগছে শুনতে 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:10fe:f20:d89:7bf4 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:০৪491394
  • সরকারি ইস্কুলগুলোর মান সত্যিই খুব খারাপ এখন। ইচ্ছে করে কি আর অভিভাবকেরা বাচ্চাদের প্রাইভেটে দিচ্ছেন? 
    আমাদের টাইমের সঙ্গে তুলনা করা বৃথা।
     
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:10fe:f20:d89:7bf4 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০২:০১491393
  • কেন এরকম কড়া নিয়ম থাকবে? গণতন্ত্রে তো এমন জোরাজুরি হতে পারে না।
  • &/ | 151.141.84.84 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০১:৪৭491392
  • সরকারী চাকরি করা প্রত্যেকটি লোক নিজের সন্তানদের সরকারী স্কুলে পাঠাতে বাধ্য থাকবে, নাহলে নিজে মাইনে পাবে না-এরকম কড়া নিয়ম থাকলে তখন দেখা যেত কী হয়।
  • &/ | 151.141.84.84 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০১:৪১491391
  • অরণ্যদা, মনে তো হয় না। জনগণও কি চায়? সরকার তো জনগণেরই।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:2427:8861:bfa3:fe1f | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০১:২৯491390
  • সরকারী স্কুল, সরকারী হাসপাতাল - এগুলো ভালভাবে চলুক, সেটা সরকার- ও চায় কি? মনে তো হয় না 
  • অর্জুন | 27.131.210.226 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০১:২৮491389
  • এবারে ওয়ার্ধায় সেবাগ্রামে নয়ীতালিম স্কুলে অলটারনেটিভ এডুকেশন বিষয়ে একটা ওয়ার্কশপে যোগ দিয়েছিলাম। সৌভাগ্যবশত দেড় বছর বন্ধ থাকার পরে নয়ী তালিম স্কুল খুলেছে। তাদের ক্লাস ও প্রশিক্ষণ কাছ থেকে দেখতে পেলাম। বেশ অন্যরকম অভিজ্ঞতা। 
     
    পরে সুযোগ হলে বলব। 
     
    মুম্বাই বেসড একটি এন জি ও লাদাখে বছরে ছ মাস কয়েকটি স্কুল চালায়। সে এক অভিনব ব্যবস্থা। তাদের ওখানে volunteer হওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছি। সেও পরে বলব। 
     
     
    অলটারনেটিভ এডুকেশন সিস্টেম গড়ে না উঠলে এ দেশে শিক্ষার কোন ভবিষ্যৎ নেই। 
     
     
          
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:10fe:f20:d89:7bf4 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০১:০৮491388
  •  
    বাংলা নাটক
  • এলেবেলে | 202.142.119.23 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০১:০৭491387
  • ওই ৮৯খানা স্কুলের সঙ্গে কোভিডের কোনও সম্পোক্কো নেই। কোভিড না হলেও আজ বা কাল ওগুলো উঠে যেতই। এতদিন কেন ওঠেনি, সেটাই বরং দেখা দরকার। একটা হাইস্কুলে ৪২ জন ছাত্র? ইয়ার্কি নাকি?
  • এলেবেলে | 202.142.119.23 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০১:০২491386
  • খবরের কাগজগুলোতে বড় বড় হেডিং-এ ছাপা হল- অবশেষে রাজ্যের স্কুলগুলো খুলছে! আরে বাবা কাদের জন্য খুলছে? শিক্ষকরা তো সেই লকডাউন পর্বেও মিড ডে মিল বিলি করেছেন পালা করে। এই যে মাধ্যমিক আর উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট প্প্রকাশিত হল, তার ডেটা কারা আপলোড করল? কারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মিদের বেতন করলেন? কারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মিদের পেনশনের কাগজ তৈরি করলেন। এই যে ভোটের আগে মাথাপিছু ৩-সাড়ে ৩ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে এবং তিনো নেতাদের পায়ে তৈলমর্দন করে পছন্দসই স্কুলে বদলি হলেন, তাঁদের যাবতীয় কাগজপত্তর কারা তৈরি করলেন? সাইকেল দেওয়া হল, ছেলেমেয়েদের গুচ্ছের অ্যাক্টিভিটি টাস্কের খাতা দেখা হল --- সেসব কারা করলেন। স্কুল স্যানিটাইজেশনের জন্য বরাদ্দ টাকায় প্রয়োজনীয় মেরামতির কাজ কাদের তদারকিতে হল? কিন্তু পাবলিক এসব 'খাবে' না। তাই মিথ্যাটাকেই রাতারাতি সত্যি করে দেওয়া হল। আর যেখানে নেটওয়ার্কের বাপ-মা নেই, কত জিবি ডেটা দৈনিক ভরতে হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা নেই - তারা অনলাইন ক্লাস নিয়ে ধেইনেত্য শুরু করলেন। এদিকে শিক্ষক ছাত্রদের দেখতে পায় না, কেবল মাঝেমাঝে তাদের বাঁশি শুনতে পায়! বলি, আমরা কি একবারের জন্যও বলেছিলাম যে বাপু মাধ্যমিক আর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাটাও নিজেদের স্কুলে নিতে পারব না, তার খাতা দেখতে পারব না?
     
    আসলে ইংরেজি মাধ্যম একটি চাহিদা-যোগানের খেলা। এই চাহিদা মিডিয়া তৈরি করে। অথচ কোত্থাও কোনও নির্ভরযোগ্য ডেটা নেই সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে ছেলেমেয়েরা ঠিক কী বাঙ্গিটা ফাটাচ্ছে। কিন্তু তারা উচ্চঘর। বাবুদের সরকারি স্কুলের প্রতি নাক সিঁটকানি না থাকলে চলেও না। কাজেই চুলোয় যাক বাংলা মাধ্যম অথচ আমার জেলাশহরের দু-দুটো ইংরেজি মাধ্যমের ৯০% ছেলেমেয়ে বাংলা মাধ্যমের শিক্ষকদের কাছে টিঊশন পড়ে। কারণ শিক্ষক হিসেবে সাধারণত তাঁরাই ওই স্কুলগুলোতে পড়ান যারা এতদিনেও একটা ঠিকঠাক স্থায়ী চাকরি জুটিয়ে উঠতে পারেননি। অথচ কী আঁশফাট! কী দাপট!
  • syandi | 45.250.246.161 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:৫৮491385
  • ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় ইংলিশ মিডিয়াম নিয়ে মধ্যবিত্তদের নির্লজ্জ আদেখলাপনা চোখে পড়েছে খুব ভালরকম। একটা বি বা সি গ্রেডের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে কি শিখল সেটা ব্য়াপার না এদের কাছে। বরং ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রডাক্ট - এই ট্যাগটার উপর অপার মোহ! এই ছেলেমেয়েরা আবার ভাল ইংরাজিটুকুও বলতে পারে না, একটা পিজিন ভাষায় কথা বলে এরা। 'পাস আউট', 'ড্য়ামারেজ' - এইসমস্ত ভুলভাল কথা অবলীলায় স্মার্টলি বাক্য়ের মধ্য়ে গুঁজে দেয় এরা।
     
    আমার মনে হয় সরকারী স্কুলের মায়ের ভোগে যাবার কারন দুটোই। ১) সরকারী ব্য়বস্থার উপরে জনগণের আস্থার অভাব যেটার অনেক ভ্যালিড কারণ আছে, ২) বাঙলা মিডিয়াম নিয়ে হীনমন্য়তা বা ইংরাজি মিডিয়াম নিয়ে অহেতুক আদেখলাপনা।
  • &/ | 151.141.84.84 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:৪৩491384
  • একদম তাই। একেবারেই তাই। "ফ্যালো কড়ি মাখো তেল, তুমি কি আমার পর?"-এই ফিলোসফি। এই যাঁরা আলোচনাগুলো করছেন পাব্লিক স্কুল নিয়ে, তাঁদের নিজেদের ছেলেপিলে ভাইপোভাগ্নী নাতিপুতি অন্য আত্মীয়স্বজনের সন্তান ইত্যাদিরা কেউই তো পাব্লিক স্কুলে যাবে না।
  • lcm | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:৩৯491383
  • ঠিক ইংলিশ মিডিয়াম ভার্সেস বাংলা মিডিয়াম - এটা আসল ব্যাপার নয়, ওটা একটা পার্ট, আসল ব্যাপার হল - প্রাইভেট ভার্সেস পাবলিক। মানুষ বিশ্বাস করে যে প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজ ছাড়া লেখাপড়া হয় না। পাবলিক স্কুলে কোনো পড়াশোনা হয় না। ফ্রি তে লেখাপড়া হয় না। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য - দুটোতেই তাই। এই বিশ্বাস একদম ভিত্তিহীন বা অমূলক নয়, এই ধারণা একদিনে তৈরি হয় নি। কিন্তু এটা একদম রুট লেভেলে।
  • রৌহিন | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:৩৬491382
  • শুধু মিড ডে মিলের জন্যও যদি কেউ স্কুলে আসে, সেটা তো ভালো ব্যাপার। কিন্তু তাই নিয়েও তো গুচ্ছ অভিযোগ শুনতে পাই। এখন নাকি আবার সপ্তাহে একদিন গোটা সপ্তাহের মিল দেওয়া হচ্ছে, পরিমাণে যথেষ্টই কম।
  • &/ | 151.141.84.84 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:১৯491381
  • শিক্ষিত মধ্যবিত্তশ্রেণী যেখানে নিজের সন্তানদের পাঠাবেন, সেই স্কুল-সিস্টেমই রমরম করবে। এটা বুঝেই প্রাইভেটওয়ালারা প্রাইভেট ই মি গুলো খুলেছেন। রে রে করে বিজনেস চলছে। উইন-উইন। ছাত্রদের থেকে বিরাট পরিমাণ টাকা নেওয়া আর শিক্ষক ও কর্মচারীদের তিনপয়সা ছুঁড়ে দেওয়া হয়। প্রফিটই প্রফিট। এই না হলে বিজনেস মডেল?
  • syandi | 45.250.246.161 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:০৯491380
  • বাচ্চাকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ানোটাই যদি মোক্ষ হয়, সেক্ষেত্র কিছু সরকারি স্কুলকে গভঃ ইংলিশ মিডিয়ামে পরিবর্তন করার চেষ্টা করতেও তো পারে। এটা অবশ্য রাতারাতি সম্ভব নয়। ভার্নাকুলার মিডিয়াম থেকে পড়ে আসা শিক্ষকদের কতজন আর ইংরাজিতে পড়াতে স্বচ্ছন্দ। তবে মিশনারি স্কুলগুলো ছাড়া একটা বিরাট অংশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বিরাট অংশ টিচার তো বাংলা মিডিয়াম থেকেই পড়াশোনা করেছে। 
  • π | ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৫৫491379
  • আগে থেকেই ছিল বলে জানি। আমার আত্মীয়মহলে শিক্ষক যাঁ্রা আছেন,  শুনেছি, দেখেছি- কোভিডের এক দু'বছর আগে থেকেই, আধাগ্রামের দিকে বাড়ি বাড়ি যেতে হচ্ছে, বুঝিয়েশুনিয়ে যাতে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠালেও। পাঠালেও অনেকে নাকি শুধু মিড ডে মেলটুকুনির সময়েই আসত। আবার অনেকের জন্য সেই ইন্সটিভের থেকেও বড় ড্রাইভিং ফোর্স ইংরিজি মিডিয়ম।  তখনি শুনেছিলাম, যথেষ্ট ছাত্রছাত্রী না এলে স্কুল উঠে যেতে পারে... 
    আমাদের স্কুলে খুব পড়ানো হত, গল্প বলা হত, সিস্টার নিবেদিতা সেসময় কেমন বাগবাজার অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি ঘুরে হাত জোড় করে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে বলতেন। 
    এরকম বাড়ি থেকে অবশেষে রাজি হয়ে পাঠানো  ছাত্রীদের পরের পরের পরের প্রজন্মের কেউ কেউ আমাদের সময়ে স্কুলে পড়তও, তাদের থেকেও শুনতাম।
     
    এই এখনকার শিক্ষকদের বাড়িবাড়ি ঘোরার স্কিম শুনেও আশাবাদী ছিলাম, হয়তো প্রচুর প্যাশন দিয়ে, খেটেখুটে এঁ্রা বাবা মাকে বোঝাতে পারবেন। 
    তা, সে নিহাতই দুরাশা ছিল, যা বুঝেছি।
    এই কোভিড লকডাউন পর্বে এসব স্কুলে যেভাবে যা পড়াশুনা হয়েছে তাতে যেটুকুও আসত, তাও গেছে গিয়া।
  • bodhisattvagc dasgupta | ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৩৮491378
  • হ্যাঁ অনেকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গে র শিক্ষার‌নানা ইন্ডিকেটর খারাপ দেখাচ্ছে আমি বলছি পোসট কোভিড  কেসের কথা , খোলার পরে দেড়মাসের ডেটার ভিত্তিতে স্কুল বন্ধ‌ করা  হল ? নাকি আগে থেকেই প্রচুর রেশনাল ছিল বন্ধ করার। নাকি গত দুই বৎসরে খারাপ হলো ডেটাটা?
  • π | ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৩৮491377
  • ড্রপাউটের বড় কারণ তো অভিভাবকেরা ইংরাজি মাধ্যমে পড়াতে চান আর সরকারি বাংলা মাধ্যমে ভাল করে পড়াশুনা করানো হয়না,  শিক্ষকেরা সেভাবে পড়ান টড়ান না, এগুলো।
     
    এই লকডাউনে প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষকেরা তো চাপ নিয়ে ( বা চাপ খেয়ে) যেমন তেমন করে হোক পড়িয়েছেন। গ্রামের দিকের সরকারি স্কুলগুলোর জন্য নেট কানেক্টিভিটির সমস্যা তো ছিল বটেই, কিন্তু সেসব প্রতিকূলতা অতিক্রম করার চেষ্টা, অন্য নানাবিধ নতুন ধরণের ভাবনাচিন্তার মাধ্যমে, ক'জন করেছেন?  অনেকেই করেননি জানি। কেউ কেউ করেছেন, এও জানি। বস্তুত সেজন্যই জেনেছি, করা যায়।
    হ্যাঁ,অবশ্যই এধরণের উদ্যোগ সরকারের তরফ থেকে নিয়ম করে আসা উচিত ছিল, কিন্তু আরো অনেক বেশি সংখ্যায় শিক্ষক, শিক্ষকতাকে মহান পেশা মনে করে না হোক, নেহাতই দায়িত্বকর্তব্যের তাড়নার আউট অব দ্য বাক্স ভেবে, আউট অব দ্য ওয়ে গিয়ে কিছু করলে হয়ত দুর্দশা কিছুটা কমত।
    বহু শিক্ষককেই বলতে শুনেছি, বা দেখেছি,  মাসের পর মাস সেরকম কোনই কাজ নেই। আর যাঁ্র
    কাজ করেছেন, ততোধিক চাপ নিয়ে করেছেন।
    এই কোভিড, লকডাউন পরিস্থিতিতে কিন্তু যেকোন পেশায় যাকেই কাজ করতে হয়েছে, অনেক চাপ নিয়েই করতে হয়েছে।  আর যাঁ্রা কাজ এড়াতে চেয়েছেন, বেশ কিছু পেশায় তা এড়ানোর বিস্তর সুযোগ পেয়েছেন আর তার সদ্ব্যবহার করেছেন।
  • syandi | 45.250.246.161 | ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ ২৩:৩৫491376
  • ভারত আবার জগতসভায়.....
     
    https://www.anandabazar.com/science/serious-allegation-of-data-manipulation-research-paper-authored-by-director-iiser-pune-retracted-by-leading-international-science-journal-dgtlx/cid/1316915                                                                                                                                                                                                                                                                                              https://www.cell.com/biophysj/comments/S0006-3495(16)30068-6#relatedArticles                                                                                                                                                                                                                                                                                 আই আই এস সি, এন সি বি এস, আইসার কোলকাতার পর এবার আইসার পুণের ডিরেক্টর স্বয়ং। সাথে আছেন এন সি বি এস এর একজন প্রফ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত