এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইস্কুলের সেইসব ফেলে আসা সোনালী দিন

    Riju
    অন্যান্য | ১৭ জানুয়ারি ২০০৬ | ৩৪২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Riju | 192.55.52.3 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৬ ০৬:৩৯450729
  • "ঘুম ঘুম ক্লাস রুম পাশে খোলা জানলা" -দূরে ঘুড়ি উড়ছে দেখা,লাস্ট বেঞ্চে বসে কাটাকুটি খেলা, স্যারের দিকে টিপ করে চক ছুঁড়ে মারা, পুজোর ছুটি দিন গোনা,পাশের ইস্কুলের প্রথম শাড়ী পরা শতরূপাকে দেখে ফিদা হয়ে অপটু হাতে কবিতা লেখা,ক্লাস কেটে নুন শো দেখা,ফুটবল মাঠে মারপিট - সে সব সোনালী দিন গুলো হারিয়ে গেছে।সত্যি ই কি হারিয়ে যায়?
  • indrani | 202.128.112.254 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৬ ০৯:২৭450740
  • 'যা হারিয়ে যায়'এর সাবসেট হয়ে গেল।
  • Samran | 61.2.3.142 | ১৮ জানুয়ারি ২০০৬ ১৭:৩৬450751
  • গ্রুপ তো আলাদা, সাবসেট কোথায় হল ?
  • b,uk | 194.202.143.5 | ১৮ জানুয়ারি ২০০৬ ১৮:৩২450762
  • অংকের ভাষায় কথা বললে খেলবো না।
  • samik | 221.134.225.183 | ১৮ জানুয়ারি ২০০৬ ২১:৪১450771
  • ক্যানে? ইস্কুলে কি অঙ্ক ছেলো নি?
  • samik | 221.134.225.183 | ১৮ জানুয়ারি ২০০৬ ২২:০০450772
  • টোটাল আটখানা বিদ্যায়তনে পড়েছি। তিনটে গার্লস স্কুল, তিনটে বয়েজ, আর দুটো কলেজ।

    একে একে শুরু করি?

    গপ্পের শুরু সেই বদ্ধোমানে। পাঁচ বছর বয়েস হতেই বাপ মা আমাকে অ্যাডমিশন টেস্টের জন্য চৌখস করে দিয়ে ছেড়ে দিল বর্ধমান বয়েজ স্কুলে, নাকি বর্ধমান জিলা স্কুল? এখনও মনে আছে, একটা বেশ লম্বা ঘর, সারি সারি কালো হয়ে যাওয়া বেঞ্চি ডেস্ক, আর অজস্র আমার বয়েসি কুচো বিভিন্ন ওয়েভলেংথে তারস্বরে, গুঙিয়ে গুঙিয়ে, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে যাচ্ছে, সদ্য তারা পিতৃ-মাতৃহারা হয়েছে, দিদিমণি সব বাবা-মায়েদের ঘরের বাইরে বের করে তাদের সামনে একটা লাইন টানা পাতা আর পেনসিল ধরিয়ে দিয়েছে।

    পরীক্ষা শুরু হল। কেজি ওয়ানের পরীক্ষা। টিয়াপাখির রং কী, এই রকম একটা প্রশ্ন ছিল, মনে আছে। চোখ বুলিয়ে যা বুঝলাম, সব প্রশ্নেরই উত্তর জানা।

    একটা কালো, দাঁত উঁচু দিদিমণি, ঘন সবুজ রঙের চাদর জড়িয়ে (তখন সেশন শুরু হত জানুয়ারিতে, শীতকালে) একএকজন ক্রন্দনরত বাচ্চার কাছে গিয়ে গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলছেন, লেখো সোনা, তোমার কটা চোখ, টিয়াপাখির রং কি, লেখো, ... এই সব।

    আমি কাঁদিও নি, অবাক হয়ে অতগুলো ছানাপোনাকে দেখছিলাম। ভাবলাম, ঐভাবে দিদিমণি এসে বললে তবেই বুঝি লেখা শুরু করতে হয়! অতএব, আমি নিশ্চিন্ত মনে পেনসিল চিবোতে লাগলাম।

    আমি কাঁদিনি বলেই দিদিমণি আমার দিকে তাকানও নি। ঘণ্টা পড়ার পাঁচ মিনিট আগে দিদিমণি হঠাৎ আমার কাছে এসে বলল, ও মা! তুমি তো কিছুই লেখো নি! বলে আমার সাদা খাতা আর কোশ্চেন পেপার নিয়ে নিল। আমি বাইরে চলে এলাম।

    আমার পারফরমেন্স দেখে বাবা আমাকে খুব আদর করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেল।

    তাপ্পরে আর ভুল হয় নি। ঝটপট পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হয়ে গেলাম বাণীপীঠ গার্ল্‌স স্কুলে, এক্কেরে কেজি টু তে। গাঁতানোর সেই শুরু।
  • tan | 131.95.120.97 | ২১ জানুয়ারি ২০০৬ ০৬:১৬450773
  • আলো-ছায়ার জাফরিকাটা একটা শীতের দুপুর।উত্তুরে হাওয়া এসে
    ঠান্ডা লাগাচ্ছে গায়ে,উঠোনে চিকরি চিকরি ছায়া পড়েছে
    আমকাঁঠালের গাছের পাতার,উঠোনের পুবের দিকে ছোট্টো
    তুলসীগাছের নীচেটা ভালো করে লেপা।সেখানে স্নান করে আসা এক
    বৃদ্ধা পূজা দিচ্ছেন,জল দিয়ে আর ফুল দিয়ে।কপালে মাটির তিলক।
    ঘরের দাওয়ার পাশে ইঁটে বাঁধানো ছোট্টো একটু
    জায়গা,সেখানে তুলিকে দাঁড় করিয়ে হুড়হুড় করে মাথায় জল ঢেলে স্নান
    করাচ্ছেন ওর মা। জলটা সকাল থেকে রোদ্দুরে রাখা ছিলো বলে
    বেশ ঈষদুষ্ণ।
    ব্যস এইটুকু ছবি এসেই হারিয়ে গেলো সুতোটা। তারপরে যে কি
    হলো,গা মুছিয়ে খাওয়াতে বসালেন নাকি তুলিকে ওর মা,দেখা গেলো না।
    হয়তো সেই বৃদ্ধা ঘরে এসে গৃহদেবতাকে ফুল জল ধূপ দীপ
    প্রসাদ দিয়ে পূজা শেষ করে তুলিকেও দিয়েছিলো একটা
    নকুলদানা।কিছুই দেখা গেলো না,শুধু ভাবনায় এলো।

    সুতোর প্রান্ত ধরে হাতড়াতে হাতড়াতে খানিকটা এগিয়ে আবার
    আলো।একটা সুন্দর গ্রীষ্মবিকেল। ছড়ানো সবুজ মাঠ।ছোটোরা
    খেলছে কানামাছি ভোঁ ভোঁ,যাকে পাবি তাকে ছো।

    পাড়াটা মস্ত মাঠের মধ্যে। এ ধারে ওধারে ছড়ানো ছোটো
    ছোটো গোটা কয় বাড়ীঘর,বাড়ীগুলো ঘিরে ছোটো ছোটো ফল
    সব্জির বাগান,তাকে ঘিরে সীমানাবেড়া।
    পথঘাটা কাঁচা,মাটির।অনেক পরে সেগুলোতে ইঁট ফেলা হয়।
    বাড়ী কম, মাঠই বেশী। আর অনেক খেজুর গাছ,দুখানা বটগাছ
    আর গোটা কয়েক পুকুর।
    এত কম সংখ্যক বাড়ী থাকার জন্য সবাই সবাইকে
    চেনে,যাতায়াতও আছে সবার সব বাড়ীতে। বাড়ীর বাগানে ফলমূল যাই
    হোক, পাড়ায় সবাই বিলোয়।একটা এক পরিবার-এক পরিবার ভাব।
    একদম স্বাভাবিকভাবে।গোটা পাড়াটাই ওপার থেকে দেশ হারিয়ে
    এপারে এসে মাথা গোঁজার একটুখানি জায়গা করে নেওয়া
    লোকজন।তাই আরকি সম্প্রীতিটা আন্তরিক।সকলে একই ব্যথার ব্যথী বলেই
    হয়তো।
    ছোটোদের খেলার জায়গা অঢেল।প্রচুর মাঠ,উত্তরে দক্ষিণে পুবে
    পশ্চিমে।এক এক বিকেলে এক এক মাঠে খেলা জমে।
    পুরো পাড়াটার পশ্চিম জুড়ে বিশাল ধানের ক্ষেত,আদিগন্ত
    ছড়ানো। শেষ বিকেলে দূরে পশ্চিমে মেঘগুলোকে রাঙা করে দিয়ে
    সূর্যটা টুপ করে দিকচক্রের নীল বৃক্ষরেখার নীচে ডুবে যায়।
    তুলি আর পুতুল তখন খেলা ছেড়ে চলে এসেছে ধানক্ষেতের
    ধারে।অস্তমান সূর্যের কোমলপ্রভ চেহারার দিকে চেয়ে পুতুল বলে,
    "চল্‌ তুলি,আমার দুজন ঐ সূর্যের মধ্যে যাই।"
    তুলি আৎঁকে উঠে বলে,"যা:,সূর্যের মধ্যে আবার যাওয়া যায়
    নাকি?"
    পুতুল বলে,"ঐ যে কারা যেন চাঁদে গেছে? তবে? চাঁদে যদি
    যাওয়া যায়,তাহলে সূর্যে কেন যাবে না?"
    তুলি বলে,"চাঁদ তো ঠান্ডা, পাথুরে। সূর্য যে আগুন!গেলে পুড়ে
    ছাই হয়ে যাবে না মানুষ?"
    পুতুল বলে,"আগুনে পোড়ে না এমন পোষাক যদি তৈরী করা
    যায়,সেগুলো পরে নিয়ে যাওয়া যাবে না?"
    তুলি যদিও তখনো সন্দিগ্‌ধ, তবু বলে, "তাহলে হয়তো যাওয়া
    যাবে।"
    পুতুল হাসে,কত রিলিভড যেন!বলে,"চল তাহলে আমরা যাই
    ওদিকে।"
    অমনি দুটি বালিকা ছোটো ছোটো পায়ে হাঁটতে থাকে শস্যরিক্ত
    ধানজমির আলের উপর দিয়ে ঐ পশ্চিমে রঙীন সূর্যাস্তের দিকে।
    সন্ধ্যার তরল অনধকার নেমে আসতে থাকে,ফিনফিনে কুয়াশার
    মতন।পুতুল বলে,"চল তুলি,এবারে আমরা ফিরি।"
    তুলি বলে,"চল।শাঁখ বাজছে,শুনতে পাচ্ছিস?"
    সত্যি তখন বাড়ীতে বাড়ীতে সন্ধের শাঁখ বাজানো শুরু হয়ে
    গেছে।
    ওরা ফিরতে থাকে,এসে পড়ে পাড়ার কাছে।তুলিদের বাড়ীটাই
    আগে পড়ে।
    পুতুল বলে,"তুলি,আমায় এগিয়ে দিবি না? "
    তুলি রাজী হয়,বেশ খানিকটা এগিয়ে পুতুলদের বাড়ীর
    কাছাকাছি হয়েছে কি হয়নি,পুতুল বলে,"চল তোকে ও আমি এগিয়ে দিই।"
    আবার দুজনে ফিরতে থাকে।

    মাঝামাঝি এসে দুজনের কি হাসি! পুতুল বলে,"এইভাবে তুই আমাকে
    আর আমি তোকে এগিয়ে দিতে দিতে রাত ঘনিয়ে আসবে।"
    মাঝখান থেকে বিদায় নিয়ে যে যার বাড়ী চলে যায়।
    ছবিসুতোও এইখানে এসে হারিয়ে যায়।

    আবার চলতে চলতে দেখা যায় আরেকটা বিকেল। কতদিন পরের? কে
    জানে!
    অদ্ভুৎ লালগোলাপী রঙ সে বিকেলের।সুরকি ফেলা রাস্তাটা
    অস্তসূর্যের আভায় রাঙা হয়ে আছে,সবুজ মাথেও চলকে পড়েছে
    রঙ,নানাবয়সী ছেলেরা ফুটবল খেলছে।তাদের গায়েও জড়িয়ে
    গেছে অদ্ভুৎ সেই বেলাশেষের আলো।
    সপ্তমী পুজোর সন্ধে,তাই সন্ধে হলে মনখারাপ নেই অন্যদিনের
    মতন,সেদিন যে সন্ধে থেকেই আসল আনন্দ শুরু।

    তুলি পুতুল অনভ্যস্ত শাড়ী সামলে সাবধানে হাঁটছে,বড়ো
    শখ করে আজ দুজনে পরেছে শাড়ী। সপ্তমীতে শাড়ী
    পরবে,এই ঠিক করে রেখেছিলো অনেকদিন।আরো প্ল্যান ছিলো। ছুটির
    দিন,সরাদিন তুলি ছিলো পুতুলদের বাড়ী,সারা দুপুর পূজাবার্ষিকী
    আনন্দমেলা পড়েছে দুজনে। সন্ধেবলা প্রচুর সেফটিপিন ক্লিপ
    ইত্যাদি দিয়ে দুখানা প্রমাণ সাইজের শাড়ী ছোটো ছোটো মেয়ে দুটিকে
    পরিয়েছেন পুতুলের মা।শখ মেটাতে কত কৌশল! এইবারে দুজনে
    যাচ্ছে পুজোর প্যান্ডেলে,মাত্র কাছের গুলোই দেখবে,তারপরে ফিরে
    আসবে।
  • i | 202.128.112.254 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০৫:২৭450774
  • যতদূরেই যাই

    সে বড় সহজ সময় ছিল না। বাতাসে বারুদের গন্ধ মেলায় নি তখনও। বাংলাদেশ সদ্যোজাত।
    বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ প্রস্তর-মস্তক হারাচ্ছেন ক্ষণে ক্ষণে, নতুন করে পাওয়ার জন্য নয়।
    আমাদের উত্তর শহরতলীতে শিশুরাও পরিচিত বোমা, পাইপগানের গঠনে; নিষিদ্ধ শব্দরাজিতে যুক্ত হচ্ছে লাশ,পার্টি, নকশাল এবং চারুবাবু।

    এমত সময়ে, লাল স্কার্ট, সাদা জামা, লাল রিবনে ভগ্নীদ্বয় শুরু করেছি স্কুলে যাওয়া। রিকশপথ জুড়ে দেখতে থাকি রেললাইনের পাশের বস্তি, বাংলাদেশী উদ্বাস্তু ভিখারিনী, যশোর রোডে বাসে থ্যাঁতলানো কুকুর,অজস্র দেওয়াল লিখন যা নিষিদ্ধধ্বনিমাধুর্যে আমাদের মুখস্ত; কুমোরপাড়ার খড়ের কাঠামো দেবদেবীদের অলৌকিকত্ব সম্বন্ধে আমাদের মোহমুক্ত করে।
    পাড়া ও পথের যাবতীয় কুশ্রীতা, যতেক অনলৌকিকত্ব আমাদের স্কুলের দেওয়ালে ধাক্কা খায়, প্রবেশের পথ পায় না। প্রাচীন স্কুলবাড়ী, সবুজ লোহার গেট, জামরুল গাছের তলায় ফোল্ডিং চেয়ারে সস্ত্রীক বাহাদুর দ্বাররক্ষী, প্রশস্ত পথে সবুজ স্কুল বাস দাঁড়িয়ে, কোলাপসিবল গেটের সামনে অজয়দা, জয়ন্তদা; মিস মামেন নির্দেশ দিচ্ছেন মালীকে, বাগান ভরে সুবৃহৎ ডালিয়া, গোলাপ।
    একটু সকাল সকাল পৌঁছলে দেখা যাবেই ভেজা চুল ছড়ানো সুলেখাদি, মাণিক্যদি, ঊষাদি, বীথিকাদি, পূরবীদি,হস্টেলের খাওয়ার ঘর থেকে ভেসে আসবে আলুসেদ্ধর ঘ্রাণ,'ফার্স্ট ট্রিপের' মেয়েরা এক্কা দোক্কা খেলবে অথবা বুড়ী বাসন্তী। কি এক অদ্ভূত তীক্ষ্ণ কন্ঠে তারা চেঁচায়-'রে ডি লো'। ফার্স্ট বেল পড়লেই সাদা জামা লাল স্কার্টরা সারিবদ্ধ, ডায়াসে মিস মামেন আর সব দিদিরা।
    অর্থ না বুঝে আমরা গাইছি 'শুভ কর্মপথে ধরো নির্ভয়গান' অথবা 'প্রতিদিন তব গাথা'-'চলো চলো যাত্রী, চলো দিনরাত্রি' লাইনটা অদ্ভূত ভালো লেগে যাচ্ছে; কখনও সারাদিন গুনগুন করছি, 'তুমি যদি থাকো মনে বিকচকমলাসনে'-নিষিদ্ধশব্দরাজিরা এই নতুন শব্দসমূহের কাছে ক্রমশ: হার মানছে, পিছু হটে যাচ্ছে।

    প্রেয়ার হল, প্রাইমারি সেকশন, ছোটো খেলার মাঠ, নমিতাদির ক্লাসের ভেতর দিয়ে অথবা বোর্ডিংএর মেয়েদের লকাররুম দিয়ে পৌঁছে যাওয়া সেকেন্ডারি সেকশন,বড় মাঠ, সাত কল, অন্যদিকে অডিটোরিয়াম, মজা পুকুর, চ্যাপেল আর নিষ্পত্র আমড়া গাছটি-এগারো বছরের জন্য আমাদের পৃথিবী।
    বাইরের দুনিয়ার প্রবেশ নিষেধ সেথায়।

    জরুরী অবস্থা জারী হচ্ছে, দেশ পত্রিকার কার্টুন পাতাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে বিক্রির ঠিক আগে, আমরা মগ্ন কিশলয়ে;উল্টোডাঙ্গার ভয়াবহ রেলদুর্ঘটনার যাবতীয় আতঙ্ক থেকে সযত্নে আমাদের আগলে রাখছেন থ্রী বি-তে অমিতাদি, পড়িয়ে চলেছেন 'ইতি তোমার হাত পা বাঁধা বাবা'; ভারতীয় রাজনীতিতে ওলোটপালোট ঘটে যাচ্ছে আর আমরা সমস্বরে বলে চলেছি 'আমি পর্বতগণের দিকে চক্ষু তুলিব, কোথা হইতে আমার সাহায্য আসিবে?'অসীম বিশ্বাসে সুর টেনে টেনে উচ্চারণ করছি,'সদাপ্রভু হইতে আমার সাহায্য আইসে, তিনি আকাশ ও পৃথিবীর নির্মাণকর্তা।'
    প্রেয়ার হলের দেয়ালে খ্রীষ্টের মাথায় কাঁটার মুকুট, তীব্র আর্তি আর বিষাদে আচ্ছন্ন মহামানবের মুখ, দিদার ক্যালেন্ডারের নিমাই-এর সঙ্গে এক হয়ে যায় ক্রমশ:। গাজা স্ট্রীপ আমাদের সুদূরতম কল্পনাতেও নেই। আমাদের দুনিয়া বলতে ক্রাইস্ট চার্চ শুধুই ক্রাইস্ট চার্চ।

    ঠিক একই ভাবে 'বিপিনবাবুর কারণ সুধা'র মতো হিট গান ক্রাইস্ট চার্চের পাঁচিলে ধাক্কা খেয়ে ফিরে যায়, 'আশা ছিল, ভালোবাসা ছিল' নিয়ে অনায়াস তাচ্ছিল্যের হাসি হাসতে পারি। সেই সময়, আমাদের ঘিরে থাকছেন হার্মোনিয়াম নিয়ে গানের দিদি যাঁকে আমরা ডাকতাম গার্গীদি-মৈত্রেয়ীদির মা। শতরঞ্চিতে বসে অবাক বিস্ময়ে শুনছি সহপাঠী সোহিনী পাল চৌধুরীকে-বাঁশির মতো অপার্থিব গলায় সে গাইছে 'তুমি গাও, তুমি গাও গো'।
    ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী গাইছে 'দীপ নিবে গেছে মম'-যে মুহূর্তে ও গাইছে 'রজনীগন্ধার গন্ধ ভরেছে মন্দিরে', বয়:সন্ধির দোরগোড়ায় দাঁড়ানো আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।
    কোথায় বিড্ডু? কোথায় নাজিয়া হাসান? তিরিশ নম্বর যশোর রোডে তাদের প্রবেশ নিষেধ।

    কলকাতা কাঁপিয়ে যাচ্ছে গালিলিয়ের জীবন, ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের কখনও 'শাহ-জাহান'-এ, কখনও 'তপতী'তে বিচরণ'। শিশির ভাদুড়ীর উচ্চারণভঙ্গিমায় হারিয়ে যাচ্ছেন শম্ভু মিত্র।
    সতীনাথ ভাদুড়ি আসবেন মাধ্যমিকের পরে, ক্রাইস্ট চার্চ ছেড়ে আসার পরবর্তী সময়ে; আমরা ডুবে আছি বিভূতিভূষণে-কুমকুমদি পাঠ্যসূচীর বাইরে বলছেন পুইঁমাচা থেকে-'দিদি বড়ো ভালবাসতো'... আমাদের চোখে জল আসছে; নিভাদি জিগ্যেস করছেন, 'রাজা পড়েছ?'
    আমরা মুখস্ত বলে যেতে পারি শেষের কবিতা; সুমনা , মুনমুন , মনীষা ব্যানার্জীর সঙ্গে নিয়মিত রবীন্দ্র কোটেশনের খেলা।মধ্যরাতে ফুটপাথ বদলে গেছে-খবর রাখি নি।

    পেলে এসেছেন কসমসের হয়ে; ইডেনে নতজানু টোনি গ্রেগ; আমরা আছি এক্কা দোক্কা, কবাডি আর ব্রতচারীতে, ক্বচিৎ টিফিনবেলায় দলবল জুটিয়ে সামান্য ফুটবল আর ক্রিকেট; বিয়র্ন বর্গ দুনিয়া কাঁপাচ্ছেন, মেয়েরা ফিসফিস করছি বাংলা কাগজে প্রকাশিত মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে।
    পরিত্যক্ত বাস্কেটবল কোর্ট, জালহীন গোল আংটা , মরচে ধরা।

    ক্লাইভ হাউস,যশোর রোড ফেলে রেখে এসেছি আজ অনেকবছর।
    ল্যান্ড মাইন,, বেসলান, মণিপুর, কৃষ্ণতেলে ভাসমান সাগরপাখী।
    জেনেছি, সাদা কালোর মাঝে ধূসর কিছুর অবস্থান।
    তবু কেন সন্তানকে শেখাতে চাই 'মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ'-নিভাদি যা মন্ত্রের মতো আউড়ে গেছেন আমাদের কাছে?
    কেনই বা মনে পড়ে সেই সোনালী চুলের তরুণ মহামানব? 'এলি এলি লামা শবক্তানি'-হে ঈশ্বর, এরা জানে না কি অপরাধ করেছে, তুমি এদের ক্ষমা করো।

    যতদূরেই যাই, এ হৃদয় বহন করে চলে ৩০ যশোর রোডের অলৌকিক এগারোটি বছর, স্কুলের লম্বা ছুটি শুরুর সকাল- প্রেয়ার হলে দিদিদের মঙ্গলস্তোত্রের অমোঘ পংক্তি -'যাবৎ সাক্ষাৎ না হয় পুনরায়, ঈশ্বর রক্ষা করুন তোমায়, তৃপ্ত রাখুন দৈনিক মান্নায়, ঈশ্বর থাকুন তোমারই সহায়'।

    অবিশ্বাসী হেঁটে চলে।
    অনি:শেষ পথ।
    "যাবৎ সাক্ষাৎ না হয় পুনরায়...'

  • Ru | 24.148.171.115 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০৯:১৮450775
  • i অসাধারন লাগল। খুব সুন্দর লেখা।
  • damayantee | 61.246.151.212 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০৯:৪৯450730
  • !!!!!!!!!!!!!!!!!!!
    তুই আজ আমার দিনটা সোনালী রোদ্দুরে মুড়ে দিলি রে।
  • r | 62.108.68.1 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৩:৩৬450731
  • আরও একটু দম্‌দম্‌ হোক....

    আরও একটু মল রোড, নেপালের রাজাদের বাড়ি, ক্লাইভ হাউসের ঢিপির একপাশে ভেঙে পড়া ফ্লাইং ট্রেনিং স্কুল, ওয়ান-সিটারের কঙ্কাল, পিছনে ছোটো শিবমন্দির আর খেলার মাঠ, নাগেরবাজার, ভারত সুইট্‌সে ভাজা গরম ঢাকাই পরোটার গন্ধ,গোরক্ষবাসী রোডে শিবরাত্রির ভিড়, আর এন গুহ রোডের বস্তি, কাজিপাড়া, নরসিং এভিনিউ, থার্টি বি, থ্রি সি বাই ওয়ান, যশোর রোডে গোলডাক্তারের ডিস্পেন্সারি, পয়লা বৈশাখ মতিঝিল কলেজের মাঠে ব্রতচারী রায়বেঁশে, মতিঝিলের মসৃণ রাস্তা আর বাগানঘেরা বাড়ি, দেবীনিবাসে বগলা মন্দির আর পাশে ছোট্টো নার্সারি স্কুল, তেলিপুকুর, ইস্টবেঙ্গলের বলাইদা, রতনলাল ব্রহ্মচারী, শৈলেন দাস গান শেখাচ্ছেন, পুবালী দেবনাথ শিখছেন, তরুণ সেনগুপ্ত মারা গেলে দম্‌দম্‌ বন্ধ, সুধীর ভট্টাচার্য জেলে গেলেন, এজমালি শ্যাওলাঘেরা উঠোনে কলকে ফুল ঝরছে, ৬০ রাষ্ট্রগুরু এভিনিউ....

    এই ছেলেটা ভেলভেলেটা, সেই মেয়েটা মাথায় কাঁটা, এই তো ছিলি, কোথায় গেলি, কোথায় গেলি....
  • vikram | 147.210.156.39 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৭:০২450732
  • জিও ইন্দো।

    বিক্রম
  • r | 62.108.68.1 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৭:১২450733
  • এই র‌্যা! ইন্দ্রাণী আর ইন্দ্রনীলে ভিকি গুলোচ্ছে! কি হবে গা বাছার আমার!
  • vikram | 147.210.156.39 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৮:২৮450734
  • তাই তো গুলিয়েছি।
    কিছু বুইতে পারছি না কেনো? হলো কি?

    বিক্রম
  • samik | 221.134.224.79 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২৩:৩৯450735
  • i,

    পড়তে পড়তে গায়ে কাঁটা দিল, চোখে জল এল, ভালোলাগায়। গলার কাছে কী যে একটা দলা পাকিয়ে উঠল, এই রকম, ঠিক এই রকম একটা ছোটবেলার স্বপ্ন দেখেছিলাম, আমি পাই নি, ...

    আমার মেয়েও পাবে না।

    টুপি খুললাম, মাথা নিচু করলাম।
  • kali | 160.36.207.98 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০১:৩৩450736
  • টিটি দিদি,

    অসহ্য ভালো !!!
  • Tirthankar | 130.207.94.244 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০৩:০৮450737
  • ইন্দ্রাণী, অনবদ্য - খুব লিখতে ইচ্ছে করছে, অনেককিছু ... সময়ের বড়ই অভাব।
  • Sayantan | 59.160.140.1 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৬:৪৮450738
  • ইন্দ্রাণীদি, তোমারে সেলাম, কোনওদিনও কি এভাবে ফিরে যাওয়া যাবে, পরে কোনওদিনও, অনেক দূরের পথের মোড়ে! অনেক কথা বাকি রইল, অনেক শব্দ পথ চেয়ে আছে, পরে কোনওদিন ...
  • Samik | 122.162.75.73 | ০২ জুলাই ২০১০ ০৯:৫০450739
  • খুব কম পোস্ট এই সুতোয়। আরো কিছু মণিমুক্তো পাওয়া যায়, এখানে?
  • Arya | 125.16.82.195 | ০২ জুলাই ২০১০ ১০:৩৩450741
  • একটা ধাধা দিলাম। কোলকাতার কাছাকাছি কোনো এক মফ:স্বলে , আমি class I - class XII অবধি যে school এ পড়েছি তার প্রতিষ্টা সাল 1846

    ক্লাইভের আমলের ceiling fan, কাঠের সিড়ি, কুড়ি ইনচি দেওয়াল, একতলার ছাদ দোতলা বাড়ির সমান উচু, school building এর থেকে খেলার মাঠটা বেশি বড়, এক্‌দম গঙ্গার ধারে(গঙ্গার পশ্চিম পাড়)।
  • Raj | 202.79.203.59 | ০২ জুলাই ২০১০ ১০:৩৬450743
  • এ আর এমনকি ধাঁধা ...

    উত্তরপাড়া গভ: হাইস্কুল
  • Samik | 122.162.75.73 | ০২ জুলাই ২০১০ ১০:৩৬450742
  • ১৮৪৬-এর স্কুলে ক্লাইভের আমলের সিলিং ফ্যান?

    নাহ্‌, ক্লু-লেস।
  • Arya | 125.16.82.195 | ০২ জুলাই ২০১০ ১০:৪২450744
  • রাজ,

    তুমিও কি ওখান্‌কার? হলে কোন Batch, একটু Details please
  • Raj | 202.79.203.59 | ০২ জুলাই ২০১০ ১০:৪৬450745
  • না: আমি ওখানকার নই :-( তবে উত্তরপাড়ায় বেশ কিছুদিন থেকেছি ।

    ওখানকার একজন প্রাক্তনী অবশ্য এখানেই আছেন ;-)

    এইটা আপনার জন্য ধাঁধা রইল

    বেলুড়ে থাকে .... নামটাও B দিয়ে
  • Samik | 122.162.75.73 | ০২ জুলাই ২০১০ ১০:৪৭450746
  • কিন্তু কেসটা কী হল? ১৮৪৬-এ ক্লাইভের আমলের পাখাসমেত স্কুল কেং কয়ে বানানো যায়?
  • Manish | 117.241.229.7 | ০২ জুলাই ২০১০ ১০:৫০450748
  • ধন্‌য়্‌বাদ
  • Manish | 117.241.229.7 | ০২ জুলাই ২০১০ ১০:৫০450747
  • ঢন্যবাদ Samik কে এই টইটা তুলে দেবার জন্য।কারন I এর লেখাটা মন ছুয়ে গেলো।
  • Manish | 117.241.229.7 | ০২ জুলাই ২০১০ ১০:৫১450749
  • কি হচ্ছে বাঁলা লেখা আসছে না।

    ধন্যবাদ
  • Manish | 117.241.229.7 | ০২ জুলাই ২০১০ ১০:৫২450750
  • *বাংলা
  • Arya | 125.16.82.195 | ০২ জুলাই ২০১০ ১০:৫৪450752
  • আরে shamik,sorry

    ওটা কথার কথা,যাই হোক, raj আবার একটা ধাধা দিয়েছে, চেষ্টা কোরে দেখি, কিন্তু বেশি চেষ্টা কোরবো না, আগেই বলে দিচ্ছি।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন