এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • বই খুঁজে পাওয়ার গপ্প

    bappa
    বইপত্তর | ১১ জানুয়ারি ২০০৬ | ৩৫০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bappa | 194.202.143.5 | ১২ জানুয়ারি ২০০৬ ২২:৫৫451070
  • damn good. তাহলে আর কি।

    গ্রাফিক নভেল এর অপেক্ষায় রইলাম।

    অধীষা,

    এই লেখক বা metafiction সম্পর্কে একটা বড়মত লেখা লেখার অনুরোধ কর্ছি।
  • kali | 160.36.205.189 | ১২ জানুয়ারি ২০০৬ ২৩:৪৪451071
  • আহা বললাম যে সব কাঁচা হাতে আঁকা ছবি।তাই দিয়ে আবার গ্রাফিক্স নভেল হয় নাকি? তাছাড়া হয়তো বইটা কমিক্স হয়ে কিশোর ভারতীতে বেরিয়েছে।

    তবে সোমনাথ যদি নতুন করে আঁকে তো আমি পড়ার জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করবো।
  • adheesha | 193.61.255.85 | ১৩ জানুয়ারি ২০০৬ ০২:৪২451072
  • বাপ্পাদা

    তোমার অনুরোধ রাখবো অবশ্যই। একটু সময় দাও। এ'কদিন একদম সময় নেই। ইউ কে মজলিশের কথা লেখারই সময় পেলাম না!
  • indrani | 202.128.112.254 | ১৩ জানুয়ারি ২০০৬ ০৪:৪১451073
  • আমার নিজের বই খুঁজে পাওয়ার কোনো গল্প নেই, অন্তত: এই মুহূর্তে লেখার মতো; কোনোদিন স্বপ্নের মধ্যে মনে পড়তে পারে....
    তবে বই খোঁজা নিয়ে , অনেকদিন আগে পড়া একটা গল্প আবছা আবছা মনে পড়ছে।কার লেখা মনে পড়ছে না-আমি নিশ্চিত-দময়ন্তী বলতে পারবেন।
    লেখক ছোটোবেলায় মামারবাড়ী বেড়াতে গিয়ে বা স্কুলের কোনো বন্ধুর থেকে একটি বই পড়তে পান-আফ্রিকায় রোমহর্ষক অ্যাডভেঞ্চারের গল্প, বইটি কোনো কারনে শেষ করতে পারেন না লেখক-ফেরত দিয়ে দিতে হয়-তারপর প্রায় সমস্ত জীবন ঐ বইটি খুঁজে চলেছেন, মেলেনি-প্রৌঢ়বেলায় হঠাৎ হাতে এসে পড়ল সেই বই। সব কাজ ফেলে শেষ করলেন বইটি-এত খারাপ লাগল পড়তে যে বলার নয়... এই বইএর জন্য না কি এত খোঁজাখুঁজি!
    ছোটোবেলা আর বুড়োবেলার ভালো লাগার এত তফাৎ হতে পারে লেখক ভাবতেও পারেন নি।
  • tareq | 211.28.40.185 | ১৩ জানুয়ারি ২০০৬ ০৬:৪৫451074
  • এরকম একটা গল্প আমিও পড়েছিলাম। মনে হচ্ছে বনফুল-এর লেখা, অবশ্য নিশ্চিত নই। গল্পের নাম ছিল- পাঠকের মৃত্যু।
    চলন্ত ট্রেনে রুদ্ধশ্বাসে পড়তে থাকা বইটা গন্তব্য চলে আসায় ফেরত দিয়ে দিতে হয়। অনেক পরে সেই একই বই খুঁজে পেয়ে পড়ে আর লেখক নিজেই বিশ্বাস করেন নি এটা সেই বই।
  • S | 59.92.129.155 | ১৩ জানুয়ারি ২০০৬ ০৮:৫৩451075
  • এই এই এই গল্পটা আমিও পড়েছি - আবছা মনে আছে - ছোটো গল্প - কার লেখা কিছুতেই মনে পড়ছে না! কেন জানি খালি মনে হচ্ছে নারান গাঙ্গুলি!
  • Samit | 59.92.129.155 | ১৩ জানুয়ারি ২০০৬ ০৯:০৩451076
  • গ্রাফিক নভেলের কথায় মনে পড়লো - কেউ সারনাথ ব্যানার্জীর "Corridor" পড়েছো থুড়ি দেখেছো? বেশ কাঁচা কাজ তবে মিডিয়া কিন্তু পাখিপেঙ্গুইনের মতো উছলকুদ করছে। অর্থাৎ গ্রাফিক নভেলের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত - নামিয়ে ফেলতে পারলেই hot cake বা গরম রসগোল্লা । :)
  • Arijit | 128.240.229.3 | ১৩ জানুয়ারি ২০০৬ ১৭:১৯451077
  • নারাণ গাঙ্গুলীরটা অন্যরকম - ছোটবেলায় অনেক কসরত করে যোগাড় করতে চাওয়া একতা বই বড় হয়ে হঠাৎ দোকানে খুঁজে পান লেখক - কিন্তু পড়েন না, যদি ভালো না লাগে?
  • Diptayan | 62.189.154.1 | ১৩ জানুয়ারি ২০০৬ ১৮:৩৪451078
  • দারুণ গপ্পো ছিল,'সেই বইটা'।
  • b | 222.101.24.101 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৬ ০১:২১451080
  • যে বইটার কথা বাপ্পা(লণ্ডন)এর হাত ধরে অনেকবার আলোচনায় আসছে, সেই "দুরন্ত ঈগল" কিশোর ভারতীতে ধারাবাহিকভাবে বেরোয় উনিশশো বাহাত্তর তিয়াত্তর সালের সময় দীর্ঘদিন ধরে।

    তখন কিশোর ভারতী সত্যিই আলোড়ন তুলেছিল কিশোরদের জন্য মাসিক পত্রিকাদের মধ্যে। সন্দেশ টিমটিম করছে সুভাষ মুখোপাধ্যায় সম্পাদনার দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর, শিশুসাথী নেইই প্রায়। মধুসূদন মজুমদারের শুকতারা তখনকার সামাজিক পরিবর্তনের ধারার বিপরীতে চলতে থাকা মাসিক, যার আকর্ষণ বলতে বাঁটুল দি গ্রেট আর হাঁদা ভোঁদা, আর একটা বস্তু তাতে ভালো ছিলো যেটা সুধীন্দ্রনাথ রাহার অনুবাদে অপ্রচলিত বিদেশী গল্পগুলো।

    কিশোর ভারতীতে অনবদ্য কয়েকটি বিভাগ ছিলো, তার মধ্যে একটি "ইতিহাসের দিনলিপি", সেটাও সম্ভবত: তৎকালীন সম্পাদক দীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখতেন, ঠিক জানি না, মহাকাল রায় ছদ্মনামে যার মধ্যে সত্তর একাত্তরের তাৎপর্য্যপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ আর কিছুটা বিশ্লেষনও বহুদিন ধরে বেরোয়।

    দুরন্ত ঈগল দীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখতেন দীননাথ কাশ্যপ ছদ্মনাম দিয়ে। গ্রাহকদের চিঠিপত্র বিভাগে মধ্যে কারুর প্রশ্ন ছিলো, কেন সম্পাদক কিছু লেখেন না, তাতে উনি উত্তর দিয়েছিলেন, "লেখেন তবে তোমরা Zlন্‌তি পারো না।" পরে বই হিসেবে বার হবার সময় উনি নিজের নামই দিয়েছেন, কেন জানি না।

    বইটা প্রতি বছর বইমেলাতেই পত্রভারতী/কিশোর ভারতীর স্টলে পাওয়া যায়। হলুদ বাঁধানো মলাটে, কালো আর লাল রঙে নায়ক জুরার দুরন্ত ছবি। ওটা কি ময়ুখ চৌধুরীর আঁকা, মনে নেই।

    বই মেলাতে যাঁরা যেতে পারবেন না, তাঁরা ও বই, সুর্য সেন স্ট্রীট দিয়ে পূবের দিকে হাঁটলে কলেজ স্কোয়্যার পেরিয়ে গিয়ে প্রথম বাঁ দিকের গলি(কলেজ স্কোয়্যারের গায়ে লাগা প্যারামাউণ্টের রাস্তা নয়) বিদ্যোদয় লাইব্রেরীর আপিসে সারা বছরই পাবেন। ওর ঠিকানা, ৮/৩, চিন্তামনি দাস লেন।

    আমার সবচেয়ে দু:খজনক হারানো বোধহয় একাত্তর বাহাত্তর তিয়াত্তর আর চুয়াত্তর এই চার বছরের সমস্ত কিশোর ভারতী বাঁধানো অবস্থাতে "হারিয়ে যাওয়া"(?)। ওরকম দু:খ এইচ জি ওয়েল্‌সের আইল্যাণ্ড অব ডক্টর মোরো হারানোতেও হয় নি। পরে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের পটলডাঙা পার্কের পিছনের বাড়িতে গিয়েও সেই সময়ের বইগুলো আর পাওয়া যায় নি।

    হ্যাঁ, ওঁদের বাড়িতেও "দুরন্ত ঈগল" পাওয়া যাবে। এ তথ্য আমি অবশ্য তখন গ্রাহক ছিলাম বলেই দিতে পারলাম।

    আরেকটা ব্যাপারও খোঁজ করতে পারেন। কিশোর ভারতীতে ওটা ছবিতে গল্প হিসেবে বেরিয়েছে কিনা। সম্ভবত: বেরিয়েছে, তবে অনেক পরে।
  • b | 222.101.24.101 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৬ ০১:২৩451081
  • ভ্রম সংশোধন
    -----------------
    আমার ঠিকানায় দেশের নাম দক্ষিণ কোরিয়া হবে।
  • Paramita | 64.105.168.210 | ২৭ মে ২০০৬ ১২:৩০451082
  • কিছুদিন আগে আমাদের পাড়ায় লালনের গানের একটা অনুষ্ঠান হয়ে গেল, তাতে এই গানটা শুনলাম,

    বেঁধেছে এমন ঘর
    শূন্যের ওপর
    পোঁছতা করে
    ধন্য ধন্য বলি তারে

    (P.S. পোঁছতা মানে একজ্যাক্টলি কি?)

    আমার ধারণা, এই গানটা গুগল বা ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিনকে নিয়ে লেখা। বলছি, তার কারণ শূন্যের ওপর বাঁধা ঘরে আমার পেনসিল মিল গয়া।

    মলি ছিল ঐ মেয়েটার নাম। বছর বছর পরীক্ষা ফেল করতো। পাড়ার অভিভাবক সমিতি ওর সম্বন্ধে খুব সতর্ক ছিলেন, মেশামেশি বারণ ছিল ওর সঙ্গে। মলি এসে একদিন আমায় বললো, আমায় একটা গল্পের বই ধার দে, পড়বো।

    গল্পের বই? মলি? জীবনে দেখিনি ওকে কোন বই পড়তে। সকাল বেলা উঠে পাড়ার কারো কাছ থেকে চেয়েচিন্তে একটা সাইকেল জোগাড় করে ঘুরে বেড়ায়। ওর মা নেই, বাবা বিয়ে করেছে আবার (সৎমা নিতান্ত নিরীহ, পরের পক্ষের দুটিকে সামলাতে পারেনা, জাঁহাবাজ মলি সৎমাকে ট্যাঁকে পুরে রাখে)।

    আমি আমতা আমতা করে হিংসুটে হয়ে বললাম, মা তো এখন বাড়ি নেই, আলমারিতে তালা দেওয়া। বিকেলে আসিস, দেবো। জানি ও বিকেলে কখনো আসবে না, মা ইশকুলের দিদিমণি, মার সামনে কক্ষনো না। মলি বললো, কেন ঐ ঐ বইটা, টা কি পড়ছিস, ওটাই দেনা। আমি তখন লিলিপুট দৈত্য পড়ছিলাম, অসম্ভব, বাজপাখী এক্ষুণি ছোঁ মেরে গালিভারকে তুলে নিয়ে গেছে, এই অবস্থায় আমার মলির সঙ্গে কথা বলতেও ইচ্ছে করছে না। মলিকে ভাগাবার চেষ্টা করতে ও খুব কাকুতিমিনতি করতে লাগলো, দে না, তোর অনেক গল্পের বই, আমি পড়ে ঠিক ফেরত দিয়ে যাবো, দে প্লীজ দে।

    তাড়াতাড়ি ঝামেলা মেটানোর জন্যই হোক বা ঐ কাতরোক্তিতে দু:খবশতই হোক, আমি ঘরে গিয়ে বিছানার ওপর জে বইটা পড়ে থাকতে দেখলাম, সেটা তুলে ওকে দিয়ে দিলাম। বইটা ছিল, পেনসিল ও সর্বকর্মার অ্যাডভেন্‌চার। এ বই সবার ছোটবেলায় একটা করে ছিল। দুদিন আগে শেষ করেছি। সর্বকর্মা দারুণ এঞ্জিনীয়ার আর তৈরী করেচে পেনসিলকে। পেনসিল যা আঁকে তাই সত্যি হয়ে যায়। সে প্রথম শব্দ শিখছে আর ঝাঁ করে এঁকে দিচ্ছে গাড়ি, একটা দারুণ বাড়ি, এমনকি একটা ছোট্ট খোকা। সব খাতার পাতা থেকে সত্যি হয়ে বেরিয়ে পড়ে বাইরে। দেখা গেল, গাড়ির চাকাটা ঐজ্জা হয়ে গেছে। চাকা? চাকা কি বস্তু? ঐ যে বালিশের মতো ফুলো ফুলো জিনিসটা। দুটো পিংক বালিশ গাড়ির চাকা হরে বেরিয়ে আসে।

    মলিকে ঐ বইটাই দিলাম। মোটা বই আর রাশিয়ান নাম দেখলে ও ঠিক তাড়াতাড়ি ফেরত দিয়ে যাবে।

    পরদিন পাড়ার গেজেট মোংকু এসে দুপুরে জিগেস করে, দিদিমণি বাড়িতে? নেই জেনে পাঁচিল টপকে বাড়ির ভেতরে ঢোকে। ফিসফিস করে জিগেস করে আমায়, জানিস মলি কি করেছে? স্পোর্টসের মাঠে বান্টুদার সংগে বান্টুদাতে পাড়ার লোক যা মেরেছে না।

    এর পরে পরেই ও পাড়ার পাট উঠে গেল। মা ছোটমাসিকে বললো শুনলাম, অনেকদিন ধরে ভাবছি বাড়ি বদলাবো। পাড়ার ছেলেমেয়েগুলো কেউ একবারে পাশ করে না। সারাদিন খালি অমিতাবচ্চন আর জীতেন্দ্র নিয়ে ঝগড়া। বখাটে ছেলেরা সিটি মারে হারমোয়াম বাজিয়ে গলা সাধতে বসলেই।

    আমি ভয়ে মাকে আর বই দেওয়ার কথা বলতে পারিনি। কদিন বাদে আমরা ঐ পাড়া ছেড়ে চলে গেলাম, আমায় কলকাতায় "ভালো ইশকুল"-এ ভর্তি করে দেওয়া হলো। আমি মামার বাড়িতে থেকে পড়াশুনো করবো আর ঠিক
    তারপরই সাপের পাঁচ পা দেখবো। নতুন ইশকুলে তিতি ঠিক দুমাসের মাথায় আমায় বেস্ট ফ্রেন্ড বলে একটা গ্রিটিং কার্ড দিলো আর প্রথম জন্মদিনে "ফেরা"। তারপর আমরা বড়োদের বই পড়তে লাগলাম। আমাদের সংস্কৃতিবান ইশকুলে গুলমোহর নামে একটা দাঁতকিড়িমিড়ি ইংরেজী পাঠবই ছিল, সেটাও
    একদিন পড়ে্‌ত শিখে গেলাম। সোভিয়েট দেশের শেয়াল, দুই ইয়ার, রামধনু আর জয়া-শুরা আবছা হতে থাকলো।

    গরমের ছুটিতে বাড়ি গিয়ে পেনসিল ও সর্বকর্মার কথা মনে পড়লো। মগজে তখনো পরিষ্কার সব জ্বলজ্বল করছে। পড়তে ইচ্ছে করলো না। আর তাছাড়া তিতিকে কথা দেওয়া আছে একদিন অন্তর একদিন চিঠি দেবো। তিতি জানালো সায়কের জন্মদিনে গিয়েছিল - তারপর চন্দ্রজিৎ আর মধুরের কথা আধপাতা জুড়ে। সেসবে বুঁদ হয়ে রইলাম - সর্বকর্মার কথা মনে পড়লো না।

    কলেজ পেরিয়ে চাকরিজীবন, সঁসার হইহই করে শুরু হয়ে গেল, সর্বকর্মা আর কোথাও এলো না। আসার কথাও নয়। নীল মলাট শুধু আসতো মাঝে মাঝে একহনে সেখানে। একদিন বন্ধুবর চিরন্তন এলো আড্ডা মারতে। ওকি করে যেন জানা গেল চিরন্তনও সর্বকর্মা-স্ট্রাক। হ্যাঁ রে, আছে তোর কাছে?
    একটু দেখতাম কেমন হয়েছে? বয়স হলে ডোটেজ আসে, তাই বৃত্ত সম্পূর্ণ করে আবার হাসিখুশীতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা। ঠিক আছে, দেশে গেলে এনে দেবো, পুরুলিয়ার বাড়িতে আছে কোথাও এখনো।

    মনে করে এনে দেয়ও আমাকে। আমি এক নি:শ্বাসে শেষ করি। দুদিন পর পাঁচ বছরের রিয়ানা পিসির কাছে দুপুর কাটাতে আসে। ঘুমিয়ে পড়ার আগে ওর কানে চুপি চুপি পেনসিলের মন্ত্রগুপ্তি দিই। তিনদিন বাদে ওর মা ফোন করে বলে, কি গল্প পড়ে শুনিয়েছো ওকে, খালি পিংক বালিশের কথা বলছে। শুনে নিশ্চিন্ত হই, কোথাও কোন জেনারেশন গ্যাপ নেই। এদিকে চিরন্তনের দেশে ফেরার সময় হয়ে আসে। বার্নার্ড শর নীতি মেনে আমি বইটা নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করিনা। কিন্তু যেহেতু চিরন্তনের ছোটবেলাতেও পেনসিল আঁচড় কেটেছিল, তাই যাবার আগে সে ঠিক মনে করে বইটা চেয়ে নিয়ে যায়।

    আরো কয়েক বছর। একদিন আপিশে রিলিজোত্তর অলস দুপুরে বসে বসে ইন্টারনেট ঘাঁটছি। আর্টেম এলো, এই বাইশ বছরের নীলাভ চোখের তরুণটি অত্যন্ত বুদ্ধিমান, কম্পানিতে দু বছরে এমন সাড়া জাগিয়েছে যে রাশিয়ার শেকড় উপড়ে কর্পোরেটের খাপলা তাকে মার্কিন দেশে এনে ফেলেছে। ওর সংগে কাফেটেরিয়ায় যাই। আর্টেম তার ভাঙা ভাঙা ইংরেজীতে জনায়, উইকেণ্ডে সময় কাটানোর জন্য সে এক পুরোনো রাশিয়ান বই-এর দোকান খুঁজে বের করেছে। বিদ্যুচ্চমকের মতো সর্বকর্মার কথা মনে পড়ে গেল। বাকি বিকেলটা কাজে মন বসলো না, ঐ শূন্যের ওপর পোঁছতা করে বাঁধা ঘরে মালপত্র হাঁটকাতে লাগলাম। "Russian Children's Literature" "adventures of pencil" কিছুতেই কিছু লাগে না। শেষে এক খনি আবিষ্কার করলাম যেখানে ইঁরেজী অনুবাদ জড়ো করা আছে গুচ্ছা। পেয়ে গেলাম রামধনু ফুলকে।

    কিন্তু না, সর্বকর্মা সেখানেও নেই। তখন অই সাইট ওনারের গেস্ট বুকে কপাল ঠুকে একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম আর তারপর কেল্লা ফতে! লেখক : Yuriy Druzhkov বই : The adventures of Pencil and SamodelkinSamodelkin মানে Do-it-yourself chap। পুরোন অনলাইন যে দোকানে বইটা পাওয়া যাচ্ছে, আমার কাজের যায়গা থেকে তা মাত্র পনেরো মিনিট দুরে।

    ফোন লাগিয়ে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে কিনে ফেললাম। শক্ত বাঁধাই, একটুও টসকায় নি, ভদ্রলোক আশ্বস্ত করলেন। বিকেলে ফেরার পথে তুলে নিলেই হবে।

    যা ভেবেছেন তাই। যতো বেলা গড়াতে লাগলো বুকের ভেতরটা দার্শনিক হয়ে উঠতে লাগলো। খোঁজা শেষ হয়ে মঞ্জিলে পৌঁছলে আনন্দ ও অবসাদ। পাঁচটা নাগাদ মন ঠিক করে ফেললাম, মলিকে যে বইটা দিয়েছিলাম, যার প্রথম পাতায় "পারমিতা" বাংলা, হিন্দী ও ইংরেজী অক্ষরে লেখা ছিল, সেটাই চাই, নচেৎ নয়। অ্যামাজনের উল্লিখিত দোকানদার দুপুরে অত্যুৎসাহী কাস্টমারের জন্য অপেক্ষা করে ছিলেন কিনা জানি না।

    তাই খোঁজ এখনো চালিয়ে যাচ্ছি। ভালো লাগে, বলুন, এতো খুঁজতে একটা বই?

  • Tina | 152.163.100.204 | ২৭ মে ২০০৬ ২০:০২451083
  • ইউনিভার্সিটী তে মাসে একদিন কোনো একটা শনিবার করে "book sale" বসতো। লাইব্রেরী র সামনে বসতো এটা। লাইব্রেরী র অনেক বই বিক্রী করতো, কখনো সখনো স্থানীয় কিছু লোকজন ও আসতেন তাদের সংগ্রহ বিক্রী করতে। এইরকম একটা খুব মেঘলা শনিবার এ লাইব্রেরী থেকে বাইরে বেরিয়ে মনে হলো হাতে কিছু সময় আছে, কি বই বিক্রী হচ্ছে ঘেঁটে দেখা যাক। চোখে পড়লো একজন খুব বয়স্ক ভদ্রমহিলা তার অল্প কিছু বই নিয়ে বসে আছেন। ভিড় নেই দেখে ঐদিকেই এগিয়ে গেলাম। হঠাৎ দেখি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জীবনস্মৃতির অনুবাদ তার ই করা "My Reminiscences", ধুসর সবুজ মলাট এ বাঁধাই করা Macmillan company র প্রকাশনা। হাতে নিয়ে দেখি প্রথম সংস্করণ, ১৯১৬ সালের। বই এর দশা ভালো ই, পাতাগুলো অল্প হলুদ হতে শুরু করেছে, সেই পুরোনো বই এর একটা গন্ধ বইটার সর্বাঙ্গে জড়ানো। দাম 10 cents। বলা বাহুল্য লোভী মনটা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কিনে ফেলেছিলাম।
    খুব কৌতুহলী হয়ে মহিলা কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম Where did you get this book?
    - I was cleaning our attic and there in a trunk I got it.

    তার পূর্বপুরুষদের মধ্যে কে কিনেছিলো এই বই? কে পড়েছিলো? কেমন লেগেছিলো তার এই লেখা? এত সব প্রশ্নের উত্তর ভাবতে ভাবতে চলে এসেছিলাম। বই টা এখোনো আছে আমার সাথে, মাঝে মধ্যেই পাতা ওল্টাই তার।

  • a_x | 70.39.101.94 | ২৮ মে ২০০৬ ০২:৩৯451084
  • William Hinton' এর The Great Reversal: The Privatization of China, 1978-1989 - লেখকের নিজের সই করা দেখেই ঝট্‌পট কিনে ফেলা - আমাজনের জঙ্গলে সই না করা - ৩:০০ ডলার, সই করা ৩:৫০ ডলার - একেই কি বলে মার্কেট ভ্যালু? :)
  • Paramita | 64.105.168.210 | ২৮ মে ২০০৬ ০৪:০২451085
  • জীবনস্মৃতির লেখক-কৃত অনুবাদের প্রথম সংস্করণ - টিনা আপনার সম্পদ পড়শীর ঈর্ষা!

    কলেজে নীল রঙের হলের পাঠ্যবই ছিল 8086 অ্যাসেমব্লি। খুব কাজের ছিল কিন্তু কলেজ থেকে বেরিয়ে দেখলাম বইটা হারিয়ে গেছে। বহুদিন পরে ক্লাসমেট কৌশিক ধারেকাছে সেটল করলো আর তার বাক্স প্যাঁটরা খোলার সময় ওর নীল বইটা দেখে আবার পুরোনো দু:খ উথলে উঠলো। কৌশিককে বললাম, জানিস আমার কপিটা হারিয়ে গেছে। কৌশিক বললো, এটা নিয়ে নে না, আমার আর কি কাজে লাগবে। সে ঠিক আছে বলে আমি হাতে নিয়ে বইটা খুলে দেখি আমার নাম লেখা।

    একদম সত্যি ঘটনা। সে বইও আছে, সে কৌশিকও আছে। ঘাপটি মেরে যদি পড়িস এই লেখা কৌশিক, তবে এবার বইটা ফেরত দিয়ে যাস বাপ।
  • Tina | 152.163.100.204 | ২৮ মে ২০০৬ ১৬:৫৭451086
  • অধীশা র লেখা য় "If on a winter's night, traveler" এর গল্প পড়ে অনেকদিন আগে পড়া এই বইটা মনে পড়ে গেলো। সম্পুর্ণ আলাদা স্টাইলের গোটা দশেক প্লট ছিলো এই একটি বই এর মধ্যেই। একটা লাইন খুব মনে আছে "What makes lovemaking and reading resemble each other most is that within both of them times and spaces open, different from measurable time and space"

    Italo Calvino র লেখা আর একটি বই হোলো "Difficult loves", একগুচ্ছ ছোটোগল্প - বিষয় ভালোবাসা যার রুপ, রং বদলে যায় এক গল্প থেকে অন্য গল্পে।
  • Tina | 152.163.100.204 | ২৮ মে ২০০৬ ১৭:১২451087
  • পারমিতা,
    আপনার সাথে সাথে আমি ও চাইছি যে কৌশিক আপনার বইটা ফেরৎ দিয়ে যাক। কৌশিক কে চিনলে অবশ্যই বলতাম এই টই টা পড়তে :-)
  • b | 81.153.114.175 | ২৮ মে ২০০৬ ২২:২৫451088
  • পোঁছতা মানে কি 'গোবর দিয়ে নিকোনো' হতে পারে। আমাদের ওদিকে একজন জশোরে র বাউল এসে আখড়া তে ছিল। সে ঘর বানানো নিয়ে বলত 'পোঁছতার জন্য কি আর ঘর আটকায় রে ক্ষ্যাপা? ঘরে ক্ষেপী লাগে!' ইত্যাদি।
  • I | 59.93.245.204 | ১৫ নভেম্বর ২০০৮ ২২:৩২451089
  • এই টইটাকে ঠেলে তুললাম।
    একটা মাঝারি রকম ভালো বই পড়লাম। ভূমেন্দ্র গুহ'র "সঞ্জয় ভট্টাচার্য ও জীবনানন্দ'।
    আজ থেকে dusklands শুরু করব।

    ভালো কথা, পামিতাদির ২৭শে মে, ২০০৬-এর পোস্টটা জাস্ট অনবদ্য। অনেকদিন বাদে ফিরে পড়তে দারুন লাগলো।
    ২০০৬? দু বছর পেরিয়ে গেল !!

    ইন্দ্রাণীদি কতকাল আসে না। আর বইয়ের রিভিউ লেখে না ! কলিও আসেনা। অমিত আসেনা। তারেক আসে না।
  • sayan | 24.0.145.33 | ১৬ নভেম্বর ২০০৮ ০১:২৮451091
  • পোঁছতা মানে ঘর মোছার ন্যাতা।
  • Somnath | 117.194.194.17 | ২৫ এপ্রিল ২০০৯ ২১:২৮451092
  • ইন্দ্রজাল কমিকস। বাংলা।

    অনেক খুঁজেছিলাম। কালীঘাট ট্রাম ডিপোর উল্টো ফুটের বইয়ের দোকানগুলো। একজন বলেছি এনে দেবে। ৫ টাআ করে পড়বে। মোবাইল নাম্বার দিয়ে এসেছিলাম। ওরা আর কোনো খবর দেয় নি।

    কলেজ স্ট্রীটে মোহিনীমোহলের কোনাকুনি উল্টোদিকে জেরক্স দোকানের পাশের গলিটার ভিতরে একজন বলেছিল মাঝে মাঝে খোঁজ নিতে, এনে দেবে। ৭ টাকা করে পড়বে।

    আজ বারাসাত স্টেশনের আগে একটা পুরোনো বই বিক্রির দোকানে পেয়ে গেলাম ৮০ টা কিনলাম ৪ টাকা করে নিল এক একটা।

    আজ ই বইবাজারে, নন্দন চত্বরে, ক্যাম্প -এ দেখলাম রাখা আছে, প্রায় ৪০০-৪৫০ টা হবে। বহু পুরোনো গুলো ও। এমনকি তখন যেগুলোর দাম এক টাকা ছিলো, তেমন কপি ও ছিল। ১ টাকা থেকে বেড়ে বেড়ে ৩ টাকা পর্যন্ত হয়েছিল ওগুলোর দাম। পুরো রেয়ার কালেকশন। কিন্তু বলল ১০ টাকা করে নেবে। কিছুতেই কমালো না। বলল কেনেই নাকি ৭ টাকায়। কলেজ স্ট্রীটে ওরা ১৫-১৬ তে বিক্রি করে। পয়সা ছিল না, আর দশটাকা দিয়ে কিনবো কিনা স্থির করতে পারলাম না বলে আর কিনলাম না।

    সব ছিল - বেতাল, ম্যানড্রেক, বাহাদুর, ফ্ল্যাশ গর্ডন, রিপ কার্বি, কেরি ড্রেক ...... সব।

    স্ক্যান করার ব্যবস্থা করেআমার ৮০ টা আমি নেট এ তুলে দেবো। বাকি যার যা আছে শেয়ার করো।

    টাইমস অফ ইন্ডিয়া প্রকাশন ছিল। পুরো লিস্টটা কোথাও থেকে পাওয়া যাবে? টাইমস এ গুরুপাঠক কেউ নেই? ওদের কছে কোনো ভাবে পুরো সেটটা কোথাও নেই?
  • ranjan roy | 122.168.15.81 | ২৫ এপ্রিল ২০০৯ ২৩:৩৫451093
  • অরিজিৎ,
    ভয়নিচ্‌ এর ""গ্ল্যাড্‌ফ্লাই'' পড়া হয়ে গেছে নিশ্চয়ই।
    ( তোমার সন ২০০৬ এর পোস্টটা আজ পড়ে রোমাঞ্চিত।)
    তাহলে বলি---
    করচাগিন ছাড়াও আনাতোলি রীবাকভ( "" চিল্ড্রেন অফ দ্য আরবাত স্কোয়ার'' বলে বিখ্যাত বইটার লেখক) এর ১৯৬০ এর কিশোর উপন্যাস ""ছোরা''তে সেভেন ফর্মের ছাত্র মিশা বলছে এটা হল বইয়ের মত বই।
    কৌতূহল ছিল পড়ার।
    ১৯৭৫ এ ভিলাই শহরে দিল্লির পিপলস্‌ বুক হাউস এর বাৎসরিক বুক ফেয়ার এ হটাৎ চোখে পড়লো শিশিরে ভেজা ঘাসের ওপর এক কোণে ফেলেরাখা বাতিল ক'টি বই। কিছু পাতায় কালো কালো ছাপ।
    তুলে দেখি তার মধ্যে পাতলা বাঁধানো "'গ্ল্যাড্‌ ফ্লাই''। রাশিয়ানদের ইংরেজি শেখানোর জন্যে কোর্সের বই। পেছনে গ্লসারিতে বেশ কিছু ইংরিজি শব্দের রাশিয়ান প্রতিশব্দ দেয়া। ঝেড়েঝুড়ে নিয়ে গিয়ে বল্লুম -কত দেব? ওরা সংকোচ করে বল্লো-তিন টাকা।
    তার পর বইটা পড়ে পাগলা হয়ে গেলুম। রোমান্টিক স্টাইল। কিন্তু স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে নৈতিকতার সংঘাত। ধর্ম ও সেকুলার --দুটো পারস্পেকটিভেই। ইদানীং যেসব প্রশ্ন রঙ্গন তুলেছে-- ব্যক্তির নিজস্বধর্ম, যূথধর্ম ইত্যাদির সংঘাত।
    ছবির মত বুঝলাম-- ধর্মসংকটের সমস্যা ছাড়া কোন মহান উপন্যাস হতে পারে না।
    অনেককে বলে বলে পড়ালাম। তারপর আমার থেকে নিয়ে আমার বন্ধুর মামা নাকতলার নূপুর সেন ""শাণিত তরবারি'' নাম দিয়ে বাংলায় অনুবাদ করলেন আশির দশকে, এক কপি আমাকে প্রেজেন্ট করলেন। উৎসর্গ করেছেন অকালপ্রয়াত আমার ছোট ভাইকে। মূল বইটা নিজের কাছে রেখেছেন প্রমাণ হিসেবে। আমি মেনে নিয়েছি।
  • bitoshok | 75.72.245.81 | ২৬ এপ্রিল ২০০৯ ১১:৪৯451094
  • সোমনাথ, এই লিংকটা দেখুন। লিস্ট পাবেন, তবে ইংরেজিতে।
    http://indrajal-comics.blogspot.com/
  • d | 117.195.34.224 | ২৬ এপ্রিল ২০০৯ ১১:৫৭451095
  • রঞ্জনদা,

    আমি এই বইটা পড়তে চাই, যেভাবে পারেন ব্যবস্থা করুউউউউউউউউউউউউন
  • walker | 121.247.230.13 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ২০:৫০451097
  • nomoskar..amiekjonindrajalsongrahok..pathoktobotei..apnarachaileamarblogtadekhteparen- http://walkerindrajal.blogspot.com
    etekichubanglaindrajalpaben
    echadao..apanaradekhteparenhttp://jhargramdevil.blogspot.com
    oporeraesitetaiapanaraindrajalerlistpaben, banglai..tobeosampurno..
    dhoynobad
  • Blank | 59.93.254.224 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:২২451098
  • ধন্যবাদ ওয়াকার দা। ডায়না ম্যাডাম আছেন কেমন?
  • vikram | 78.16.252.48 | ২৯ নভেম্বর ২০০৯ ০৩:১২451099
  • ওয়াকার, আপনার অনেক ভালো হোক। এবারে বোধ হয় ভ্যাক করে কেঁদে দেবো!
  • aka | 24.42.203.194 | ২৯ নভেম্বর ২০০৯ ০৬:৪৩451100
  • ওয়াকারদা আপনাকে আশির্বাদ করলুম পরের জন্মে মানুষ হবেন। দাদা কি দিলো আটানা কিলো।
  • Bishorgo | 122.172.22.135 | ২৯ নভেম্বর ২০০৯ ১০:৩৪451102
  • ওয়াকারদাদা পায়ের চাট্টি ধুলো দিন। পিথিবিতে এখনও এত ভালো ভালো ঘটনা ঘটে!!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন