এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • এলোমেলো ভাবনাগুলো

    nyara
    গান | ০৪ নভেম্বর ২০১০ | ৩৭৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • nyara | 122.167.249.219 | ০৪ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৫২458400
  • গান নিয়ে একেবারে এলোমেলো ভাবনা । ইচ্ছে হলে তর্ক করুন বা তাচ্ছিল্যে চোখ সরিয়ে নিন ।
  • nyara | 122.167.249.219 | ০৪ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৫৩458411
  • রবীন্দ্রসঙ্গীতে ভাব, গায়কী, উচ্চারণ, রাবীন্দ্রিকতা ইত্যাদি নিয়ে যে পরিমাণ কূটকচালি চলে - তার একশো ভাগের একভাগও সুরের প্রয়োগ নিয়ে হয় বলে শুনিনা | মনে পড়ে শৈলজারঞ্জন মজুমদার নাকি কোন শিক্ষার্থীর গান শুনে বলেছিলেন, "অনুভবে একশয় একশ | সুরে শূণ্য |" অ্যানেকডোট, কিন্তু কিছু সত্যতা থাকতেও পারে | অন্তত: আমার বিশ্বাস
    করতে ভালো লাগে |

    সুরের তো নিশ্চয়ই ফিজিক্স আছে | আব্দুল করিম খাঁসাহেব সা লাগাচ্ছেন আর কিশোরকন্ঠী
    কুমার সা লাগাচ্ছেন - এই দুয়ের অভিজ্ঞতা তো এক নয় | রবীন্দ্রসঙ্গীতের ক্ষেত্রেও একই
    অভিজ্ঞতা হয় | কনক দাসের সুর লাগান আর হরিদাস পালের সুর লাগানর শ্রবণ-অভিজ্ঞতা এক হয় না | শুধু হরিদাস পালই নন, অনেক প্রতিষ্ঠিত ও জনাদরধন্য গাইয়ের ক্ষেত্রেও একই অভিজ্ঞতা কাজ করে |

    রবীন্দ্রসঙ্গীতে সুরের শিখর বলতে যাদের কথা মনে পড়ে, তাদের মধ্যে প্রথমেই আসবেন
    কনক দাস (পরে বিশ্বাস) | রবীন্দ্রনাথ যে বলেছিলেন ওনার গান 'দরদ দিয়ে, মীড় দিয়ে'
    গাইতে, তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ পাই কনক দাসের গানে | কনক দাসের "সকরুণ বেণু" শুনুন | রবীন্দ্রনাথের "মীড় দিয়ে" গানের অসামান্য ছবি শুনতে পাবেন | এর পরে দেবব্রত
    বিশ্বাসের "সকরুণ বেণু" শুনুন | এও এক অসামান্য গায়ন | কিন্তু দেবব্রতর গলায় মীড়
    সেরকম আসত না | তিনিও জানতেন | তাই তিনি প্রায় মীড়বর্জন করে এক অন্যরকম ছবি আঁকলেন | কনক দাসের "আমার দিন ফুরাল" শুনুন আর তারপর শুনুন সাগর সেনের "আমার দিন ফুরাল" | সাগর সেনের খাড়া সুর লাগানোর ধরণের জন্যে কনক দাসের গানে যে ইমোশনাল রিয়্যাকশন পাওয়া যায়, সাগর সেনে তা পাওয়া যায় না | এরকম উদাহরণ আরও দেওয়া যায় | কিন্তু সেটা উদ্দেশ্য নয় | আমি যেটা বলতে চাইছি সেটা হল সুর ও মীড়ের প্রয়োগে গানের ইমোশনাল আবেদন কীরকম বদলে যায় | হয়তো আমার খুবই ব্যক্তিগত অনুভূতি |

    রবীন্দ্রনাথের গলায় তান ভাল আসত না বলে সত্যজিত (বোধহয়) অনুমান করেছেন | তিনি যে নজর করেছিলেন টপ্পাঙ্গের গান ছাড়া, রবীন্দ্রনাথ গানে তান একেবারেই রাখেন নি |
    তাছাড়া তাঁর গানে কথার ওজন সুরের থেকে কোন অংশে কম নয় বলে, কথার স্পষ্ট ডিকশন রাখার জন্যে তান বাদ দিয়েছিলেন বলে মনে হয় | অথচ মালতী ঘোষালের গানে তানের কাজ দেখুন - প্রায় পাঞ্জাবি হরকতে তানকারী, সূক্‌ষ্‌ঞ অথচ স্পষ্ট কাজ | "হৃদয়বাসনা পূর্ণ হল" শুনলে কি "এ পরবাসে রবে কে" শুনলে মন সেরকম জাগে না | এও মনে রাখতে হবে এই গানগুলো রবীন্দ্রনাথের নিজের কম্পোজিশন নয় | প্রচলিত হিন্দি বন্দিশে কথা বসানো | বরং অন্য একটি কথা বসানো গান - "খেলার সাথী, বিদায় দ্বার খোলো" - হৃদয়কে অনেক গভীরভাবে স্পর্শ করে | তবে মূল যে গান "মহারাজা কেবরিয়া খোল" তো টপ্পা নয় | বাঙালির কাছে সত্যজিৎ তো প্রায় ভগবান, প্রশ্নের ঊর্ধে | তাও পরিচালক ও কম্পোজার সত্যজিৎকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে যে 'কাঞ্চনজঙ্ঘা' ছবিতে যে মানসিক অবস্থায় করুণা বন্দোপাধ্যায়ের চরিত্রটি "এ পরবাসে রবে কে" গাইছেন, সেখানে কি ওরকম তান দিয়ে, মুড়কি দিয়ে গান গাওয়া সম্ভব ? কোন মীড়-লাগানো গানই কি বেশি সুপ্রযুক্ত হত না ?
  • tatin | 70.177.55.6 | ০৪ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৫৯458422
  • মীড়, তান ও মুড়কি কাকে বলে একটু হাল্কা ক'রে জানিয়ে দেবেন?
  • pi | 137.187.177.188 | ০৫ নভেম্বর ২০১০ ০৮:৩৮458433
  • মীড়ের প্রয়োগে গানের আবেদন অন্য মাত্রা পায় তো বটেই। গানের ঐ ছুঁয়ে যাওয়া, মোচড় দেওয়া, নিঙড়ে নেওয়াত ব্যাপারটা তো মূলত মীড়ের ই ম্যাজিক। অন্তত আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি তাই।

    খালি রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়েই কথা বলতে হবে কি ? নৈলে আমর কাছে যিনি এই মীড়ের সবচে প্রিয় জাদুগর, তাঁর নাম নিতাম। রফি।
  • Abhyu | 97.81.67.225 | ০৫ নভেম্বর ২০১০ ০৮:৪৯458444
  • তাতিন, উত্তর দেওয়ার অধিকারী আমি ঠিক নই, তবু বলি, এগুলো তো ডেফিনিশেন দিয়ে বোঝানো যাবে না, গানের লিংক দিতে হবে। আশা করি অন্য কেউ লিঙ্ক দেবেন - এই মূহুর্তে আমি আপলোড করতে পারছি না। ন্যাড়াদা যে গানগুলো লিখেছেন সেগুলো পাশাপাশি শোনাতে পারতে ভালো হত।
  • Abhyu | 97.81.67.225 | ০৫ নভেম্বর ২০১০ ০৮:৫০458455
  • কথা হল, কোথায় মীড় দিতে হবে সে তো রবীন্দ্রনাথ স্বরলিপিতে স্পষ্ট করে লিখে গেছেন, তাই না?
  • pi | 137.187.177.188 | ০৫ নভেম্বর ২০১০ ০৯:০৪458466
  • হ্যা, এই প্রশ্নটাই ন্যাড়াদাকে করতে যাচ্ছিলাম। মীড় তো রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপিতেই দেওয়া থাকে। মীড় কীভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে, তার কথা বলছেন কি ?

  • pi | 137.187.177.188 | ০৫ নভেম্বর ২০১০ ০৯:০৯458477
  • তাতিন, শুধু বলে বোঝানো চাপের। তবে গোদা ভাবে বল্লে, একটা সুর থেকে অন্য সুরে যাওয়া, মাঝের অনেক সুরকেও ছুঁয়ে দিয়ে।
    এক লাফে একটার থেকে অন্যটায় চলে যাওয়া নয়।
  • ranjan roy | 122.168.17.175 | ০৫ নভেম্বর ২০১০ ১৪:১৮458487
  • তাতিন,
    অধিকারী আমিও নই। এগুলো বোঝানোর জন্যে অভ্যু যা বলেছে তার সঙ্গে একশ' ভাগ একমত। তবু কিছু না বল্লে আড্ডা জমে না তাই ফুট
    কাটছি।
    সাধারণভাবে বল্লে মীড় হল একটি স্বর থেকে অন্য একাধিক স্বরে আলাদা কাটা কাটা করে না লাগিয়ে গ্লাইড করে গড়িয়ে যাওয়া। স্বরলিপিতে ওটা
    বোঝাতে প্রথম স্বরের মাথার ওপর থেকে অন্তিম স্বর অব্দি একটা আর্ক টানা হয়।
    বিলায়েতখানী গায়কী অঙ্গের ঘরানায় দেখবেন সেতারে শিল্পী ডান হাতে একটি সিঙ্গল স্ট্রোক দিয়ে বাঁ হাতে তারটি একই ফ্রেটের ওপর টেনে ঘষে দিচ্ছেন। ফলে প্রায় পাঁচ থেকে ছটি নোট অব্দি স্বর গড়িয়ে যাচ্ছে। সরোদে এই সম্ভাবনা একটু কম। আবার হাওয়াইন গিটারে বাঁ
    হাতে ধরা স্টিল বার দিয়ে ঘষে একই কাজ করা হয়। স্প্যানিশে সম্ভব নয়, ওতে খাড়া খাড়া স্বর লাগে ঐ স্ট্যাকাটো আর কি।
    তান হচ্ছে গোদা বাংলায় বল্লে--বিভিন্ন স্বরগুলো পর পর খাড়া খাড়া ভাবে লাগানো। গমক তানে একই স্বরের ওপর দাঁড়িয়ে যে কম্পন সৃষ্টি করা হয়।
    ( এগুলো আমার কানে শুনে কথা বলে যা মনে হচ্ছে সাহস করে বলে ফেল্লাম। অনধিকার চর্চা। ভুলগুলো অধিকারীরা ধরিয়ে দিলে আলোচনা এগুবে, আনিও লাভবান হব।)
    উদাহরণ:
    ""হৃদয়বাসনা-আ-আ-আ, আজি মম পূর্ণ----------- হল''।
    বাসনার কাজটি তান, পূর্ণয় গড়িয়ে যাওয়াটা
    মীড়।
    " ও চাঁদ, চোখের জলে-এ-এর লাগলো জো-ও-ও-য়ার দুখের
    পারাবারে; ও-ও-ও চাঁদ!'
    এখানে ""জলের'' এ মীড়ের কাজ, "জোয়ার' এ গমক তান, আবার রিপিটে "ও'' তে তান, চাঁদ এ মীড়।

    চমৎকার উদাহরণ দিচ্ছি।
    ""না, বাঁচাবে আমায় যদি মারবে কেন তবে, কিসের তরে এই আয়োজন এমন কলরবে''?

    প্রথম "না-আ-আ'' তে প্রায় ধা থেকে সা অব্দি গড়িয়ে যাওয়া লম্বা মীড়। আবার ""মা-আ-আরবে কেন'' তে তান। অবি্‌শ্‌য় ছোট্ট তান।

    এই গানেরই সঞ্চারীতে "বক্ষ আমার এমন করে বিদীর্ন যে কর"'তে "বক্ষ'' উচ্চারণে ব-অ-অক্ষ তে লম্বা মীড়। আবার "অশ্রু যদি না-আ-আ বাহিরায়'' তে লম্বা "'না-আ-আ'' চমৎকার মীড় লেগে
    বক্ষ একেবারে মুচড়ে ধরে।
    পাকামি করলাম। অরূপ, শিবাংশু,ন্যাড়া,
    শমীক, পাই, কল্লোল ইত্যাদি জানকারেরা অর্বাচীন মন্তব্যে উত্তেজিত হয়ে আসরে
    নামবেন, এই আশায়।
  • Nina | 64.56.33.254 | ০৫ নভেম্বর ২০১০ ২০:২৪458401
  • খুব সুন্দর করে বোঝালেন, রঞ্জন-ভাউ:-)
  • Samik | 122.162.75.83 | ০৫ নভেম্বর ২০১০ ২০:৪৩458402
  • আমি গানের জগতে গোল্লা, আমায় জানকার বলে লজ্জা দেবেন না :)
  • tatin | 130.39.149.32 | ০৬ নভেম্বর ২০১০ ০০:০৬458403
  • থ্যাঙ্ক ইয়ু রঞ্জনদা, তবে বিশাল টাফ জিনিস মনে হলো
  • Baijayanta | 14.96.192.210 | ০৬ নভেম্বর ২০১০ ১০:৫১458404
  • "ও চাঁদ, চোখের জলের লাগল জোয়ার"- "জলের" বা "চাঁদ"- কোনোটাতেই মীড় লাগে না। "জলের"- "জ" ষড়জ এবং "লের" শুদ্ধ ঋষভ- স্বরের গড়িয়ে যাওয়া নেই। "চাঁদ"- শুদ্ধ ঋষভে দুই মাত্রা- এক স্বর থেকে অন্য স্বরে যাওয়ার দরকার নেই। এই গানে মীড় লাগে অন্তরাতে- "কোন অচেনার ধারে"- "কোন"- এখানে শুদ্ধ মধ্যম থেকে কোমল নিষাদে স্বর গড়িয়ে যায়। অথবা সঞ্চারীতে- "ঘাটের কিনারাতে"- "ঘাটের"- আবার গড়িয়ে যাওয়া পঞ্চম থেকে কোমল নিষাদে।

    তবে এ সবই স্বরলিপি মাফিক। "জলের" বা "চাঁদ" এই সব শব্দে যদিও স্বরলিপি মাফিকই গেয়েছেন নীলিমা সেন, কোনো মীড় ছাড়াই। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের এইধরনের গানের গায়ন অনেক ক্ষেত্রেই শ্রুতিনির্ভর ও শিক্ষণের ঐতিহ্যানুসারী। অতএব একই গানের 'এই পারে ওই পারে"- প্রথম "পারে"- "পা" কোমল নিষাদ (ষড়জের সামান্য ছোঁয়া নিয়ে) থেকে চার মাত্রা উজিয়ে "রে"তে শুদ্ধ ধৈবতে পৌঁছায়। কিন্তু এই যাত্রাপথের খুঁটিনাটি স্বরলিপিতে নেই। স্বরলিপি দেখলে মনে হয় ঐ চার মাত্রা কোমল নিষাদেই স্থিতি। মীড় না তান- কোনো সংকেত নেই। ঐতিহ্যানুসারে এখানে স্বরের আন্দোলন হয়, অর্থাৎ তান লাগান নীলিমারা, যা স্বরবিতানবহির্ভূত, একান্তই পরম্পরাগতভাবে প্রাপ্ত শিক্ষা।
  • Baijayanta | 14.96.192.210 | ০৬ নভেম্বর ২০১০ ১১:২৮458405
  • তাতিন, খুব একটা "টাফ" নয়।

    রেখচিত্রের নিরিখে দেখুন। ধরুন উল্লম্ব অক্ষে আপনি স্বরগুলো চিহ্নিত করলেন বিন্দু দিয়ে। আর আনুভূমিক অক্ষে সময়। হারমোনিয়ামের মত যন্ত্রে যখন আপনি দুটো স্বর বাজাবেন তখন প্রথমে একটি স্বরের জন্য একটি চাবি টিপলেন এবং দ্বিতীয় স্বরের জন্য আর একটি চাবি। প্রত্যেক স্বরকে যদি এক একটি ফ্রিকোয়েন্সির সাথে যুক্ত করে ভাবেন তাহলে হারমোনিয়ামে একটি স্বর থেকে আর একটি স্বরে যেতে মাঝের ফ্রিকোয়েন্সিগুলো আর ছোঁয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ রেখচিত্রে ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে দুটি বিন্দুর সমাহার- discrete variable

    এইবার এই দুটি বিন্দুকে যদি একটি continuous রেখা দিয়ে যোগ করেন তখন আপনি মীড়ের কথা বলছেন। অর্থাৎ t1 থেকে t2-তে যেতে মাঝের স্বরগুলোকেও ছুঁয়ে যাচ্ছেন। তারযন্ত্রে যেহেতু তারটি continuous অতএব তারের একটি স্থান থেকে আর একটি স্থানে পৌঁছতে আঙুল না তুলে, আঙুলটাকে তারের উপর একটানা ঘষে আপনি এক স্বর থেকে থেকে আর এক স্বরে পৌঁছতে পারেন, বা এক ফ্রিকোয়েন্সি থেকে আর এক ফ্রিকোয়েন্সিতে। যেহেতু আপনি আঙুল তার থেকে তুলছেন না, তারের প্রতিটি বিন্দুতে আঙুল ছোঁয়াচ্ছেন, অতএব দুটি ফ্রিকোয়েন্সির মধ্যের ফ্রিকোয়েন্সিগুলোকেও ছুঁয়ে যাচ্ছেন। এটাই মীড়ের মূল ধারণা।

    এই কারণেই বলা হয়, মীড়প্রধান রবীন্দ্রসঙ্গীতে হারমোনিয়ামের মত যন্ত্র ব্যবহার না করে তারযন্ত্রের ব্যবহার করতে। হারমোনিয়ামের discreteness মীড়ের মত স্বরের continuous movement-এর উপযুক্ত নয়।

  • tatin | 70.177.55.6 | ০৬ নভেম্বর ২০১০ ১৩:০২458406
  • বৈজয়ন্তবাবু,
    আমাদের কথা বলা বা আবৃত্তি বা গাওয়া তো কন্টিনিউয়াস প্রসেস মোস্টলি, তাহলে এক ফ্রিকোয়েন্সি থেকে অন্যটায় পৌঁছোনো কি মাঝখানের গুলোকে জাম্প করে সম্ভব? তাহলে মধ্যিখানে দম ছেড়ে/শ্বাস ফেলে আবার নতুন সুরে ঢুকতে হবে না?
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৬ নভেম্বর ২০১০ ১৩:২৯458407
  • বাহ, প্রোবৈচ এইতো প্রাঞ্জল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ইদানীং এত কম লেখেন যে ....
  • pi | 72.83.80.136 | ০৬ নভেম্বর ২০১০ ১৯:১৫458408
  • নোটেশন দেখে ওরকম মীড় আছে বা নেই বলা হলে এই আলোচনার তো শুরু থেকেই আর কোন অবকাশ থাকেনা। এখানে তো বোধহয় ন্যাড়াদা গায়কী অনুযায়ী মীড় দেওয়ার কথা বলতে চেয়েছেন

    চোখের জলের লাগলো জোয়ার এর স্বরলিপি টা দেখা যাক,
    (http://www.geetabitan.com/notation/notation_images/no_O_CHAND_CHOKHER_JOLER_LA.gi)

    'জলের ' এর 'লের' একটাই নোটে এ দাঁড়িয়ে, 'রে'। মীড়ের প্রশ্ন আসছেনা।

    কিন্তু এবার এই গানটা শোনা হোক,

    রঞ্জনদা যেমনটি বলেছেন, 'চোখের জলের ' লের অংশ তে মীড় আছে বৈকি।
    কারণ শিল্পী 'জলের' এর শেষ অংশতেই চলে গেছেন পরের নোটে, লাগলোর 'লা' এর কোমল নি তে, আর এটা গেছেন গড়িয়েই।

    পরেরবারের 'চাঁদ' বলতে কি রঞ্জনদা 'ও' থেকে 'চাঁদ' এ আসার অংশটা বোঝাচ্ছেন ? তাহলে, সেখানে হাল্কা মীড় দেবার সুযোগ আছে, এই গানেও শিল্পী দিয়েছেন। কিন্তু শুধু 'চাঁদ' এ তো নেই।

    এই স্বরলিপি টা লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, দুটি জায়গায় মীড়ের চিহ্ন দেওয়া আছে, 'কোন' আর 'ঘাটে' । যথাক্রমে মা আর পা থেকে কোমল নি তে মীড়। অথচ গানটিতে এমনি মীড়ের আরো অনেক সুযোগ আছে। দ্বিতীয় পংক্তির 'কানাকানি' র কানা থেকে কানি যাওয়াটা ই একটা ভালো উদাহরণ। এখানে মা থেকে সা যাওয়া হচ্ছে। নোটেশনে কোনো মীড়ের চিহ্ন নেই। অর্থাৎ, মা র পর সোজা সা তে নোট লাগানোর কথা। অথচ এখানে কিন্তু মীড় লাগানো ই যায়, এই জায়গাটাতে গানটির সুর কথা এমন ই যে, কাটা কাটা ভাবে না বলে একটু খেলিয়ে বলতেই ভালো লাগে। আর এই গানে শিল্পী সেই মীড়টা লাগিয়েওছেন। পা থেকে মা হয়ে সা চলে গেছেন, একদম গড়িয়ে, সব স্বর ছুঁয়ে। গানটা জুড়ে এরকম অনেক উদাহরণ পাওয়া যাবে।
  • Nina | 68.84.239.41 | ০৬ নভেম্বর ২০১০ ১৯:১৯458409
  • ইপিস্তো, আমার গান কই ?
  • pi | 72.83.80.136 | ০৬ নভেম্বর ২০১০ ১৯:২৪458410
  • হয় নাই :(
  • Nina | 68.84.239.41 | ০৬ নভেম্বর ২০১০ ১৯:৫১458412
  • :-( :-(


    আমার সাধ না মিটিলো
    আশা না পুরিলো
    ইপি আমারে কাঁদায় মা
  • ranjan roy | 122.168.28.169 | ০৬ নভেম্বর ২০১০ ২২:২২458413
  • বেসিক্যালি প্রো বৈ চ আর পাই দুজনেই ঠিক বলছেন। গাওয়ার ঝোঁকে ভাব বুঝে অনেক শিল্পী নোটেশনের বাইরে গলার কাজ করে থাকেন।
    আমার কানে লেগে আছে "" ও চাঁদ'' কমলা বসুর গাওয়া। একবার সুচিত্রা মিত্রকেও শুনেছি। এঁদের গানে বেশ কয়েক জায়গায় মীড় লেগেছিল।
    পাইয়ের মত আমারও মনে হচ্ছে ভালো উদাহরণ হল -- কানায় কানায় "কানাকানি''।
    আচ্ছা, সুচিত্রা মিত্রের গলায় " আঁধার রাতে একলা পাগল যায় কেঁদে'-- মীড়ের ছড়াছড়ি।
    আবার ""সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে''-- মীড় ও তান দুইই পোচ্চুর আছে।
    "আঁখি মেলে'' "লে' তে মীড় "তোমার'' এ তান । "প্রথম' এ লম্বা মীড় ইত্যাদি। তবে রবীন্দ্রসংগীত যে মীড় প্রধান এ নিয়ে বোধ হয় কোন দ্বিমত নেই।
  • Baijayanta | 14.96.91.107 | ০৬ নভেম্বর ২০১০ ২২:৩১458414
  • দমের প্রশ্নটা একটু অন্য প্রশ্ন। মীড়ের কাজ সাধারণত: এক দমেই করা হয়। কিন্তু আপনি যদি এক স্বর থেকে আর এক স্বরে পৌঁছতে যান মাঝখানের স্বর না ছুঁয়ে তাহলে আপনাকে দম ছাড়তে হবে না নিতে হবে তা নির্ভর করবে গানটার কথা ও সুরের চলনের উপর।

    খুব সহজ উদাহরণ নিন। কোনো শিক্ষার্থী একদমে সরগম করছে মানে সা রে গা মা পা ধা নি সা। সে কিন্তু এক নি:শ্বাসেই ধাপে ধাপে এক একটা স্বরে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে, মাঝখানের স্বরগুলোকে অগ্রাহ্য করে। অথবা রবীন্দ্রনাথেরই একটা সহজ গান নিন, যেখানে সুর না গড়িয়ে একটু খাড়াভাবে লাগে। ধরুন "পুরানো সেই দিনের কথা"। অনেকে গেয়ে থাকেন একটু ভেঙে "পুরানো সেই/ দিনের কথা", আবার কেউ কেউ "পুরানো সেই দিনের কথা"। কিন্তু যেভাবেই গাওয়া হোক, "দিনের কথা' কিন্তু একদমেই গাওয়া হয়। এখানে চারটে স্বর লাগছে একদম খাড়াভাবে- রে সা রে গা। অর্থাৎ একদমেই এক ফ্রিকোয়েন্সি থেকে আর এক ফ্রিকোয়েন্সিতে পৌঁছাচ্ছি। একটা কথা আছে যদিও- সা রে গা সবগুলো একে অন্যের গায়ে গায়ে লেগে থাকা স্বর। কিন্তু এই স্বরগুলোর মধ্যেও আরও ফ্রিকোয়েন্সি আছে, যেগুলোকে ভারতীয় সঙ্গীতে শ্রুতি এবং পাশ্চাত্য সঙ্গীতে মাইক্রোটোনের পরিমাপে বোঝানো হয়। সেগুলো আমরা এই গানে সাধারণত: অগ্রাহ্য করি।

    গানের থেকে যদি কথা বা আবৃত্তিতে আসেন তবে সোজাসুজি সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন। তবে রবীন্দ্রসঙ্গীতে একটু সুবিধে আছে। শৈলজারঞ্জন বলতেন রবীন্দ্রনাথের গানে সুরের চলন কথার চলনকে অনুসরণ করে। ধরুন "চোখের জলের লাগল জোয়ার" গানটা। যদি কবিতা হিসেবে পড়েন, পড়ার মধ্যের যতি হবে এইরকম অনেকটা, যেখানে / হল হ্রস্বযতি এবং // হল দীর্ঘযতি। "ও চাঁদ" কবিতার প্রথমে আসার কথা, কিন্তু গানের নিয়মে ধরা যাক পরেই পড়লাম।

    চোখের জলের/লাগল জোয়ার//দুখের পারাবারে/ও চাঁদ//

    এবার স্বরলিপি দেখুন। মাত্রাগুলো একই নিয়ম মেনে চলে, অর্থাৎ যতিগুলো বাচনে ও সঙ্গীতে মিলে যায়, শুধু শেষের "ও চাঁদ' ছাড়া। যদি গানটি তালে গাওয়া হয় তাহলে "ও চাঁদ' এবং পরের লাইনের "হল" মিলে আট মাত্রা এবং তারপরে যতি। কিন্তু যেহেতু এই গান সাধারণত: তালবিহীন ঢালা গান হিসেবে গাওয়া হয়, অতএব "ও চাঁদ' বলার পরে একটু বিরাম নিয়ে পরের লাইন শুরু হয়।
  • Samik | 122.162.75.25 | ০৭ নভেম্বর ২০১০ ১১:৪৩458415
  • কৃষ্ণকলি। সুচিত্রা মিত্র।

    তৃতীয় কি চতুর্থ স্তবক। "পূবে বাতাস এলো হঠাৎ ধেয়ে, ধানের ক্ষেতে খেলিয়ে গেল ঢেউ ...'

    এইখানটায় মীড়ের কাজ আছে, না?
  • ranjan roy | 122.168.25.200 | ০৭ নভেম্বর ২০১০ ১১:৪৪458416
  • মজা আ গয়া! যোগ্য ব্যক্তিরা সব এক এক করে আসরে নামছেন। যদিও পাই এবং প্রো বৈ চ অব্দি এসে আটকে আছে। কিন্তু আশা আছে ভাই ফোঁটা নিয়ে আরও দুজন ( একজন যিনি সুবিনয় রায়ের কাছে দীর্ঘদিন শাগির্দ ছিলেন, সম্ভবত: কেসি, পন্ডিত শ্যামল বসুর ভাই), তারপরে শিবাজীদা , কল্লোল এরাও
    মুখ খুলবেন। ন্যাড়া তো ধুয়ো ধরতে ধরতাই দিতে আছেনই।
  • ranjan roy | 122.168.12.1 | ০৭ নভেম্বর ২০১০ ১১:৫৫458417
  • ডি: আমার আগের পোস্টে"" কেসি'' র পরে ""দ্বিতীয়জন'' হবে।

    কিন্তু বাথরুমে মাথায় জল ঢালতেই আরো একটি গান মনে এল, যাতে লম্বা মীড় ও তান অত্যন্ত স্বাদু ঢংয়ে আছে।
    "" মেঘের পরে মেঘ করেছে''।
    করে-এ-এ-এছে-এ মীড়।আ-আ-আ-সে তান। বসিয়ে-য়ে-য়ে মীড়, একা-আ-আ-আ অসাধারণ মীড়। পা-আ-আ-সে। তান
    আবার কীর্তনে দেখি তানের হাহাকার।
    দর্দ-এ-দিল এর হাহাকার একটি গমক বা হলক তানে দারুণ ফুটে ওঠে। আবার অন্তর্লীন বিষাদের স্তব্ধতা বোধহয় মীড়ে।
    ম্যাঁয় কুছ জ্যাদা বহক গয়া ক্যা? কিন্তু ন্যড়াবাবু তো এই টইয়ের গৌরচন্দ্রিকাতেই সেই স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন।
  • ranjan roy | 122.168.12.1 | ০৭ নভেম্বর ২০১০ ১১:৫৮458418
  • বৈজয়ন্ত,
    কমলা বসু কিন্তু প্রথমে "ও চাঁদ' দিয়েই শুরু করলেন, সরলভাবে স্বরলিপি মেনে।
    পারাবারে তে শেষ করে আবার ছোট্টতান দিয়ে ফিরে এলেন-- ও-ও-ও চাঁদ!
  • nyara | 122.167.249.219 | ০৭ নভেম্বর ২০১০ ২২:৪০458419
  • মীড়ে একটা নোট থেকে অন্য নোটে যেতে মাঝের সব নোট ছোঁয় না। শুধু রাগের শ্রুতিগুলো লাগে বোধহয়। এই কারণে গীটারে স্লাইড করলে, সেটা মীড়ের মতন লাগে না।

    কাজেই মীড়ের প্রয়োগ গাইয়ে-টু-গাইয়ে ভ্যারি করবে। প্রথমত: তো চাইলেই তো সবাই সব নোট লাগাতেই পারবে না। দ্বিতীয়ত: ঠিক কী ভাবে মীড় যাবে সেটা, সচেতনভাবে না হলেও, ঠিক করতে হবে গাইয়েকেই। প্রথমটা তালিম, তৈয়ারী আর প্রয়োগক্ষমতার ব্যাপার। দ্বিতীয়টা এসথেটিক্সের। কাজেই মীড়প্রধান গান গাইতে গেলে ধ্রুপদী গানে ভাল তালিম থাকতে হবে, এবং, গানের সৌন্দর্যবোধ সম্বন্ধে উপলব্ধি থাকতে হবে। এ তো আর সবার হয় না।

    তানের ক্ষেত্রে প্রথমটা লাগলেও দ্বিতীয় - অর্থাৎ এসথেটিক্সের - ব্যাপারে গাইয়েদের ওপর অত চাহিদা নেই।
  • nyara | 122.167.249.219 | ০৭ নভেম্বর ২০১০ ২৩:০৮458420
  • বাংলা নাগরিক গান যেহেতু মূলত: আধা-ওস্তাদি গান
    থেকে প্রাথমিক রসদ জোগাড় করেছিল,
    বাংলা গানে স্ট্যাকেটো কম্পোজিশন খুব কম পাওয়া
    যায় | আজও | স্ট্যাকেটো গান বললে
    প্রথমেই মনে পড়ে রাহুল দেবের অসামান্য
    কম্পোজিশন "চোখে চোখে কথা বল", আর
    সঙ্গে বেহালায় স্ট্যাকেটো সঙ্গত |

    কিন্তু রবীন্দ্রনাথ - গানের বাজীকর লোকটার
    কোন স্ট্যাকেটো গান নেই? বা অন্য
    যুগান্তকারী লোকগুলো - দ্বিজেন্দ্রলাল, হিমাংশু
    দত্ত, সলিল চৌধুরী? রবীন্দ্রনাথের "মম চিত্তে নিতি নৃত্যে"
    কিম্বা 'প্রাণ চায় চক্ষু না চায়" গানে একটা স্ট্যাকাটো
    ব্যাপার আছে না? কিম্বা সলিল চৌধুরীর "ঢেউ উঠছে,
    কারা টুটছে"? সত্যজিতের "থেমে থাক,
    ও মন্ত্রীমশাই" গানও তো স্ট্যাকটো স্টাইলেই
    গাওয়া হয়েছে? কিন্তু আর?
  • ranjan roy | 122.168.204.44 | ০৮ নভেম্বর ২০১০ ০৩:০৫458421
  • ন্যাড়াবাবু,
    রবীন্দ্রনাথের প্রথম বয়সে লেখা গান গুলো? যেগুলোতে পাশ্চাত্ত্য সুরের প্রভাব বেশি সেই গুলো? অপেরাধর্মী নাটকের গান গুলো?
    পিয়ানোর সুরের গানগুলো?
    "প্রাণ চায়' ও তো গীতিনাট্যের গান, তায়
    পিয়ানোর সুরে।

    ধরুন,"" আজি এ বসন্তে, কত ফুল ফোটে, কত পাখি গায়''।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৮ নভেম্বর ২০১০ ১৬:১১458423
  • বাংলা গানে স্ট্যাকাটোর প্রয়োগ নিয়ে এতোসব গুরুজনেদের মধ্যে একজন অর্বাচীনের কথা বলতে পারি - অমিত রায়। পরিচয় বলতে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোট জামাই। ৭৭এ যে সব গানের দল গানটাকে গুরুত্ব দিয়ে গাইতো, তাদের মধ্যে একটা দল ""সমতান""এর প্রাণপুরুষ। যেখানে একসময় সুমন চট্টো হারমোনিকা বাজাতো।
    তা সে সব যাগ্গে। ৮০র মাঝামাঝি বীরেনদা প্রয়াত হবার পর বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্মরণ কমিটি থেকে বীরেনদার কবিতার গানের যে ক্যাসেট বের হয়, তাতে অমিতের সুর করা - ঘর ফুটপাথ / আহার বাতাস .... স্ট্যাকাটোর বেশ সুন্দর প্রয়োগ।
    এই গান গুলো আপলোড করা যায় কি না দেখি। ঐ ক্যাসেটটায় প্রতুলদা আর মৌসুমী ভৌমিকের প্রথম রেকর্ড করা গান ছিলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন