এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • এলোমেলো ভাবনাগুলো

    nyara
    গান | ০৪ নভেম্বর ২০১০ | ৩৭৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Shibanshu | 59.93.70.199 | ০৮ নভেম্বর ২০১০ ১৬:৩৫458424
  • দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকের সমবেত গানগুলির মধ্যে স্ট্যাকেটোর দেশি প্রয়োগ অনেক পাওয়া যায়, যেমন 'আজি এসেছি' বা 'ধাও ধাও সমরক্ষেত্রে' ইত্যাদি। কিন্তু একক গীতগুলি মূলত হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় নিয়মেই তৈরি হয়েছে।

    রবীন্দ্রনাথের গানে মীড়ের প্রয়োগ চিরকালই বেশ বিতর্কিত বিষয়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি রবীন্দ্রসংগীতে মীড়ের প্রয়োগ শিল্পীর ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন হিসেবেই অধিকতর সুলভ, স্বরলিপির শাসন সেখানে অনেক সময়ই অপ্রাসঙ্গিক। এই নিয়ে এখানে আলোচনাও হয়েছে দেখলুম। কনক দাস বা রাজেশ্বরী দত্ত ( এঁদের গান আমি সম্প্রতি বহুক্ষণ ধরে শুনছি), মীড়ের ব্যবহার একেবারেই ভিন্ন, কিন্তু 'রবীন্দ্রসংগীত' হয়ে উঠতে সফল হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রবীন্দ্রসংগীত গায়নের নিজস্ব ব্যাকরণও সৃষ্টি করছে।

    গত তিরিশ চল্লিশ বছরে এ বিষয়ে দিনু ঠাকুরের সরাসরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনও শিল্পীর মন্তব্য শুনিনি। বস্তুত পঞ্চাশের দশক থেকেই রবীন্দ্রসংগীতের গায়নশৈলী দুটি ভার্টিকাল, শৈলজা ও শান্তিদেবে বিভক্ত। যেহেতু শিল্পী হিসেবে এই দুই ভগীরথের ব্যক্তিত্বের মধ্যে প্রভূত পার্থক্য আছে, তাঁদের শিক্ষণশৈলীও ভিন্ন। রবীন্দ্রসংগীতে মীড়ের ব্যবহার তার মধ্যে একটি উল্লেখ্য বিষয়। শৈলজারঞ্জনের মন্ত্রশিষ্য সুবিনয় রায় ও, ধরা যাক, অশোকতরু বন্দোপাধ্যায় ( তাঁরও কিন্তু শৈলজারঞ্জনের কাছে দীর্ঘ তালিম ছিলো), যেভাবে মীড়ের ব্যবহার করেন তা তো সম্পূর্ণ দুই মেরুর নিদর্শন। আমার নিতান্ত বাল্যকালে এই দুই শিল্পী জামশেদপুরে আসতেন শিক্ষক হিসেবে। এক কোনায় বসে শুনেছি তখন, কিন্তু কিছু বুঝিনি। তবে মায়ের কাছে পরবর্তীকালে এ বিষয়ে কিছু জেনেছিলাম। আমার মায়ের গায়নশৈলী ছিলো একেবারে কনক দাসের ঘরানার। তাই জ্ঞান হওয়ার থেকে শুদ্ধ গায়নশৈলী হিসেবে সেটাকেই জানতুম। কৈশোরে ডেঁপোর মতো সাগর সেনকে প্রশ্ন করেছিলুম ( যদিও তখন তাঁর গান আমার ভালো লাগতো) গানে তাঁর মীড়ের প্রয়োগ ট্রেমেলোধর্মী কেন হয়। তিনি বিরক্ত না হয়ে উল্টো প্রশ্ন করেছিলেন, কেন শুনতে কি ভালো লাগেনা?

    অনেক পরে সাম্প্রতিককালে শ্রদ্ধেয় সুভাষ চৌধুরির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে দেখলুম তিনি যত্রতত্র মীড়ের ব্যবহার নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং অবিলম্বে এবিষয়ে সচেতন প্রয়াসের পক্ষপাতী। যখন প্রশ্ন উঠলো স্বরলিপিতে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশ আছে, তখন তিনি এই সত্যটি স্বীকার করেও নিজস্ব অভিজ্ঞতার সূত্রে প্রয়োগের ক্ষেত্রে সন্দিহান মনে হলো।

    সত্যজিৎ নমস্য প্রতিভা, কিন্তু রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ে তাঁর মতামত ( বিশেষত এক্ষণ পত্রিকার জন্য নেওয়া সুভাষ চৌধুরির সঙ্গে সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে) সতত প্রশ্নের ঊর্দ্ধে থাকবে, তা নাও হতে পারে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের রবীন্দ্রসংগীত প্রসঙ্গে বলেছিলেন সেটা ঠিক 'হচ্ছেনা', অথচ কিশোরকুমারের রবীন্দ্রসংগীত ও গায়নশৈলীকে শিরোধার্য করেছেন , যিনি রবীন্দ্রসংগীতে কুন্দন লাল সায়গলের ঘরানাদার, যা প্রকৃত প্রস্তাবে পঙ্কজ মল্লিক ও পরবর্তী কালে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়েরই ঘরানা। তানকারির প্রসঙ্গে মনে হয়না রবীন্দ্রনাথ তাঁর ব্যক্তিগত তানকারির 'দুর্বলতা'র জন্য গানে তা পরিহার করেছেন। কারণ রবীন্দ্রসংগীত চিরকালই আগে কবিতা, পরে গান। নিধুবাবুর থেকে রবীন্দ্রনাথ এভাবেই আলাদা।

    থামা যাক।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৮ নভেম্বর ২০১০ ১৬:৩৭458425
  • এই ক্যাসেটটা "পাথরে পাথরে নাচে আগুন" পরে সিডি হয়ে বেরিয়েছে, ইউডি থেকে। এই মাত্র জানলাম।

  • Samik | 122.162.75.184 | ০৮ নভেম্বর ২০১০ ২০:১৩458426
  • নজরুলের অন্তরন্যাশনাল সংগীত ( জাগো অনশন বন্দী ওঠো রে যত) গানের সুরটা কার দেওয়া? মানে যে গানটা আমরা ক্যালকাটা ইউথ কয়্যারের ক্যাসেটে শুনি, সেই সুরটা কার দেওয়া? ওটাও কি টু সাম এক্সটেন্ট স্ট্যাকেটো নয়?
  • ranjan roy | 122.168.200.127 | ০৮ নভেম্বর ২০১০ ২২:২৩458427
  • শমীক, আমি যতদূর জানি এই গানটি নজরুলের ""গণবাণী'' বা "" লাঙল'' পত্রিকা য় লেখার দিনগুলিতে সৌমেন্দ্রনাথঠাকুর এর উদ্যোগে
    রাশিয়া থেকে শুধু টেকস্ট কোলকাতায়
    পৌঁচেছিল। ফ্রি ট্রানস্লেশন ও সুর দুটৈ নজরুলের।
  • nyara | 122.167.249.219 | ০৮ নভেম্বর ২০১০ ২৩:১২458428
  • সুভাষ চৌধুরী রবীন্দ্রসঙ্গীত বিষয়ে সত্যজিতের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন 'আজকাল' পত্রিকার জন্যে। সাক্ষাৎকারটি ছিল ষাটের দশকে এক্ষণ পত্রিকায় সত্যজিতের 'রবীন্দ্রসঙ্গীতে ভাববার কথা' নামের প্রবন্ধের ফলো আপ। শুধু সত্যজিৎ কেন, কারুর মতামতই প্রশ্নের ঊর্ধে নয়। তবে সত্যজিতের ঐ প্রবন্ধে অনেক মৌলিক ভাববার কথা আছে। মনে রাখতে হবে, এর ঠিক আগেই সত্যজিৎ 'রবীন্দ্রনাথ' ও 'চারুলতা' বানানোর জন্যে রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে অনেক পড়াশুনো ও ভাবনাচিন্তা করেছিলেন। সেখানে লিখেছেন -

    "... তাঁর গলায় 'কাজ' খুব বেশি ছিল না। অন্তত, যে কাজে খেয়ালের তান হয়, তা তো নয়ই। রবীন্দ্রনাথের চরিত্রের একটা বিশেষত্ব বেশ লক্ষ করা যায় যে, তাঁর সহজাত ক্ষমতার বাইরে কোন কিছু শিখে আয়ত্ত করায় তাঁর চিরকালই একটা আপত্তি ছিল। তাঁর শিক্ষায়তনের বিরুদ্ধে আপত্তিটা অ্যাকাডেমিক সব-কিছুর বিরুদ্ধেই প্রযোজ্য ছিল। "

    "...
    তান জিনিসটা তিনি বাদ দিয়েছিলেন, তার একটা কারণ বোধহয় এই যে সেটা তাঁর আয়ত্ত ছিল না।"

    সত্যজিৎ পরে লিখছেন -

    "... কথা যাতে স্পষ্ট হয় তার জন্য রবীন্দ্রনাথ তাঁর গান থেকে তান তুলে দিলেন।"

    *********

    সুরের প্রয়োগে দুটো জিনিস খুবই ব্যক্তি নির্ভর - মীড় আর স্পর্শস্বরের প্রয়োগ। স্বরলিপিতে অনেক জায়গায় আছে, বটে কিন্তু স্বরলিপি তো বেদ নয়। একই গানের বিভিন্ন স্বরলিপি পাওয়া যায়। তাছাড়া এগুলো গুরুমুখী বিদ্যা। স্বরলিপি ধরে সব পাওয়া যায় না। সুচিত্রা মিত্র একবার আমাদের বলেছিলেন যে গান তুলতে গেলে স্বরলিপির সঙ্গে সঙ্গে পুরোন শিল্পিদের গাওয়া গান শুনতে হবে। স্পর্শস্বরের প্রয়োগই গাইয়েতে গাইয়েতে তফাত করে দেয়।

    *********

    দ্বিজেন্দ্রলালের নাটকের গানগুলোয়, বিশেষত: যেগুলো বীররসের গান তার গায়নে দার্ঢ্য আনতে খাড়াস্বরের প্রয়োগ আছে, খুব ঠিক কথা। আর তাতে এক ধরণের স্ট্যাকাটো ভাব আনে, সেও ঠিক। কিন্তু স্ট্যাকাটোতে যে নোটের পরেই একটা rest নোট দিয়ে স্বরগুলোকে ছাড়াছাড়া করে দেওয়া হয়, তেমনটা দ্বিজেন্দ্রলালের গানে পাই না।
  • Shibanshu | 117.195.135.205 | ০৮ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৪১458429
  • ন্যাড়ার সঙ্গে একমত। সত্যজিতের রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ে কিছু মৌলিক পর্যবেক্ষণ ছিলো। সেগুলি নি:সন্দেহে মূল্যবান।
    সেই অর্থে মূল স্ট্যাকেটোর প্রয়োগ বাংলা মেলোডি প্রধান গানে হুবহু করার প্রচেষ্টা বোধ হয় খুব সাফল্য পায়না। তাই প্রায় সব প্রধান কম্পোজাররাই নিজের ধরনে কিছু ব্যাসকম করেন, আমি সেটাকেই দেশি স্ট্যাকেটো বলেছি।
  • Shibanshu | 59.93.79.173 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১২:২৭458430
  • সম্পূর্ণ অন্য ধরনের গান নিয়ে কিছু।

    দুচার দিন আগে কলকাতা থেকে 'ক্যাকটাস' নামের একটি 'বাংলা ব্যান্ড' এখানে 'গান' শুনিয়ে গেলো। এঁদের পরিবেশনা ইতোপূর্বে রেকর্ডে শুনেছি, মুখোমুখি এই প্রথম। গৌরচন্দ্রিকা হিসেবে যা জানানো হলো তাতে জানলাম এঁরা আঠেরো বছর ধরে অনুষ্ঠান করছেন, চোদ্দোটি মার্কিন শহরে 'গান' শুনিয়েছেন ( সিদ্ধির শেষ কথা), বাংলা ভাষায় রক গানের অন্যতম পথিকৃৎ, 'সিনিয়র' শ্রোতারা এঁদের 'গান' নিয়ে সন্দিহান কিন্তু 'ইয়ং ক্রাউড' সঙ্গে আছেন।

    কোন জেনরের রক এনাদের মূলস্রোত তা নিয়ে কিছু বললেন না। ধরে নেওয়া যায় সব ধরনের রকই এঁরা করে থাকেন। যিনি মূল গায়েন, সেই নাতি দীর্ঘ মানুষটি দাবি করছিলেন যে তাঁরা কলকাতার মানুষ ও বাঙালি সংস্কৃতির মূলস্রোতের অঙ্গ। কিন্তু যে ভাষায় কথা বলছিলেন তার বড়ো জোর দশ ভাগ বাংলা শব্দ এবং তাও উচ্চারিত হচ্ছিলো কষ্টকৃত প্রচেষ্টায়, যা আমাদের মতো প্রায় শত বর্ষের প্রবাসীরাও প্রকাশ্যে বলতে লজ্জা পাবে। এহ বাহ্য।

    তাঁদের 'গানে'ও বাংলা শব্দের পরিবেশন একই রকম দুর্বোধ্য। অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শুনেও একটা গোটা গানে একটি দুটি বাংলা শব্দ ছাড়া কিছু ধরতে পারিনি। ওনাদের যন্ত্রসমাহার নিখুঁত ছিলো। দুটি বিজলি গিটার, তাতে একটি লীড, একটি সিন্থেসাইজার, একজন রিদমে ও দুজন ভয়েসে। তাঁদের দৈহিক ভাষা সাইকাডেলিক বা পাংক রকের কাছাকাছি, অর্থাৎ মাদক প্রভাবী ভেক বেশ যত্নসহকারে অনুকরণ করেছেন। অসচেতন শ্রোতাদের রক দর্শন বোঝালেন অনুপম যুক্তিতে। সেটাও একটু বলি, মূল গায়েন 'গান' গাইতে গাইতে বারম্বার পা তুলে দিচ্ছিলেন সামনের ফিড ব্যাক স্পিকারটির উপর। কিছুক্ষণ এমন চলার পর একজন শব্দকুশলী অনুরোধ জানালেন স্পিকারটিতে ওভাবে পদাঘাত যেন না করা হয়। কারন তাঁদের কাছে ঐ যন্ত্রগুলি জীবিকার্জনের উপায় এবং তাঁরা এগুলিকে বিশ্বকর্মার আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য করেন। মূল গায়েন তখন বীর দর্পে বললেন, যদি তাঁকে বলা হতো স্পিকারের উপর জুতো দিয়ে আঘাত করলে সেটি খারাপ হয়ে যাবে, তবে তিনি ভেবে দেখতেন, কিন্তু যেহেতু ঐ বস্তুগুলিকে বিশ্বকর্মার আশীর্বাদ বলা হচ্ছে সেহেতু তিনি পদাঘাত করবেনই। এটাই রক দর্শনের মূল কথা। তিনি আবার স্পিকারটিকে তাঁর সাদা রঙের জুতোবদ্ধ পদরেণু দিয়ে অভিষিক্ত করতে লাগলেন। তেলুগু শব্দকুশলীটি ভাঙাচোরা বাংলায় এতো দুরূহ দর্শন বুঝতে পারলেন না, অসহায়ভাবে দেখতে লাগলেন তাঁর আর্জিটির কপালে পদাঘাতই জুটলো।
    এখানের সাধারণ মানুষ সরল এবং তাঁরা বাঙালিদের শ্রদ্ধা করেন।

    যাকগে গানের কথায় আসি। ব্যক্তিগতভাবে আমি গত তিরিশ পয়ঁত্রিশ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের ইংরিজি রক গান শুনে আসছি। যৎসামান্য হলেও কিছু ধারণা আছে আর সঙ্গে একজন সঙ্গীতবোদ্ধা বন্ধু ছিলেন যিনি সত্তর-আশির দশকে দীর্ঘকাল মার্কিন দেশে ছিলেন গবেষণাকাজের সূত্রে। বহু স্মরণীয় রকগুরুদের গান মুখোমুখি শুনেছেন। দুজনে বিশেষ নিষ্ঠাসহকারে চেষ্টা করেও ঐ সব 'গানে'র অন্দরমহলে পৌঁছোতে পারলাম না। হয়তো আমরা 'সিনিয়র' শ্রোতা এবং ঐ সঙ্গীতের রস গ্রহণে অক্ষম। তবে আঠেরো বছর আগে যেসব 'ইয়ং ক্রাউড' তাঁদের ফ্যান ছিলেন, তাঁরাও বোধহয় এতোদিনে অক্ষম 'সিনিয়র' শ্রোতা হয়ে গেছেন। ঘন্টা খানেক শোনার পর মাথাটা যখন ঝিমঝিম করছিলো তখন স্ত্রী বললেন, যথেষ্ট হয়েছে, যাওয়া যাক। স্ত্রীর সঙ্গে এভাবে একমত বহুকাল হইনি। গাড়িতে চড়ে ফেরার সময় অনেকক্ষণ ধরে পূর্বা দামের গান শুনে মাটিতে নেমে আসতে পারলাম।

    এটা স্বীকার করি যে আমরা অক্ষম শ্রোতা এবং এই 'জনপ্রিয়' 'বাংলা' ব্যান্ডটির প্রতিষ্ঠা রয়েছে। প্রশ্ন একটাই এই 'গান'গুলির বাংলাত্ব কোনখানে ? যদি ইংরিজিতেই গাওয়া হতো তবে কি বাংলা গান একটু গরিব হয়ে যেতো ? না গোটাটাই বিশ্বব্যপী বৃহত্তর 'রক' বাণিজ্যের গরিব দেশি আত্মীয়দের ইতিকথা?
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১২:৫৩458431
  • আমরা যখন অন্য রকম বাংলা গান নিয়ে ইতিউতি উঁকিঝুঁকি মারছি। মহীনের ঘোড়ারা যখন কলকাতা দূরদর্শণ, সেনজেভিয়ার্স ও জ্যাজ ফেস্টে আসছেন, তখনও কেউ কেউ - আহা বাংলায় রক কেন হয় না, বলে হাহুতাশ করতেন, ও অভাবে মহীন ইত্যাদি শুনতেন।
    আমরা চাঁদ-ফুল-লতা-পাতা-আমি-তুমি মার্কা লিরিক থেকে বের হতে চাইছিলাম। বের হতে চাইছিলাম, ধুতি/পাজামা-পাঞ্জবী-হারমোনিয়া-তবলা-শতরঞ্চি-মাচা মার্কা পরিবেশন থেকেও। তাই গিটার, তাই জিনস, তাই বিটলস-ডিলান-বেলাফন্টে-লেনন-জোন বায়েজ-পিট সিগার........., তাই দল বেঁধে বা একা রাস্তায়-মাঠে-ঘাটে গান। কিন্তু রক হতে হবে এমন কোন মাথার দিব্যি ছিলো না। বরং কোথাও বাউল-ভাটিয়ালী-চটকা-ঝুমুরের সাথে মেলানো যায় কি না তার একটা চেষ্টাও ছিলো।
    ক্রমে ক্রমে মহীন, নাগরিক ও নগর ফিলোমেল অস্তাচলে। আমরা নানান নিন্দে-মন্দ-পিঠ চাপড়ানি নিয়ে টিঁকে আছি বইমেলা চত্বরে। তখন ইতিউতি শুনছি এদের কথা - ক্যাকটাস, ফসিলস, আরও দুএকটি ও চন্দ্রবিন্দু। তবে চন্দ্রবিন্দু এদের চাইতে একদমই আলাদা।
    আমরা সরে আসতে চেয়েছিলাম মূল ধারা থেকে। মূলধারা হতে চাই নি।
    তবে, আমরা কি চেয়েছিলাম, কি চাই নি, সে সবের সত্যিই কি কোন মূল্য আছে।
    কেন এসব লিখলাম? কষ্ট হয়। তাই।
  • Shibanshu | 59.93.79.173 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১৩:০১458432
  • কল্লোল যে নামগুলি লিখেছেন সেগুলি তো বোধের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। সেই নামগুলি বা সেই সব অভিজ্ঞতার উত্তরসূরি হিসেবে এই সব নকল নাটকের বাজার হাঁকানো চিৎকার আর বরদাস্ত হয়না। সত্যিকথা বলতে কি গত তিনদিন শুধু ঐ নামগুলির যেসব রেকর্ড নিজস্ব সংগ্রহে রয়েছে, তাই শুনছি। আত্মবিশ্বাসে বেশ সংকট দেখা দিয়েছিলো, সেটা দূর হয়েছে আপাতত।
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১৭:৩৯458434
  • ক্যাকটাসের মোটামুটি শোনার উপযুক্ত গান এমনিতেই খুব কম, যাতে অহেতুক চেঁচামিচি বাদ দিয়েই কিছু মেলোডি অবশিষ্ট থাকে। ওরা কোনো শো তে গেলেও ঐ কটা গানই গেয়ে থাকে, 'ভালো থেকো', 'হলুদ পাখি', 'বড় অবুঝ এ মন' ইত্যাদি, কারণ ওরা নিজেরাও বোঝে শ্রোতার কাছে এই গানগুলো ছাড়া ওদের গ্রহণযোগ্যতা বিশেষ নেই। সে তুলনায় চন্দ্রবিন্দুর গানের লিরিকস বেশ বুদ্ধিদীপ্ত এবং একটা নতুনত্বে ভরপুর। বাংলা শব্দচয়নও বেশ আকর্ষক। সর্বোপরি গানগুলোর মধ্যে একটা 'মজা' আছে। যে কারণেই অনিন্দ্য এবং চন্দ্রিল ব্যান্ডের বাইরেও শুধু গীতিকার হিসেবে অনায়াসেই প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। অন্যদিকে ভূমির গান লোকসঙ্গীতের পরীক্ষানিরীক্ষায় উঙ্কÄল এবং গবেষণার স্বাক্ষর রাখে। যার ফলে চন্দ্রবিন্দু এবং ভূমির জনপ্রিয়তা অন্য ব্যান্ডগুলোর তুলনায় কিছুটা হলেও বেশী।
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১৭:৫৩458435
  • কার্তুজের সাথে একমত। চন্দ্রবিন্দুর গানে অন্য একটা মজা আছে। চ্যাংড়ামোটা যে একটা ফর্ম হতে পারে তা গানে চন্দ্রবিন্দু আর লেখায় গুরুচন্ডা৯ দেখিয়ে দিয়েছে।
    ভূমি নিয়ে আমার অন্য মত আছে।
    ওদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে আমি খুব নিশ্চিত নই।
    একটা উদাহরণ দেই। "চল মিনি অসম যাবো" গানটা ওরা যেভাবে গায়, তাতে বেশ দুহাত তুলে নাচা যায়, নাচেও লোকে।
    অথচ গানটা খুবই দু:খের কথা বলে। গানটা খুব রেয়ার ধরনের ফোক, সাঁওতালী আর বিহুর ফিউশন। ফোকে এটা হয় না। অসমে কুলী হিসাবে আসা সাঁওতালদের গানে এটা হয়ে গেছে।
    যে গানটায় মানুষ তাদের কষ্টের কথা বলেছে, সে গান শুনে যদি মানুষ নাচে - তো তাকে কি বলবো - পরীক্ষা?? নাহ, পারলাম না।
  • Samik | 122.162.75.128 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১৭:৫৮458436
  • আমরা যখন ইয়ং জেনারেশন ছিলাম, তখন কলেজের ফেস্টে ক্যাকটাসকে নিয়ে আসা হয়েছিল। ক্যাকটাস প্রভূত পরিমাণে পচা ডিম এবং পচা টমেটো খেয়েছিল। তারপরেও বলেছিল, "আমাদের এইসব খাওয়া ওভ্যেস আছে' বলে আবার গান চালিয়ে গেছিল।

    সে ক্ষী gun!!

    রঞ্জনদা,

    ধীরেন (দে কি?) -এর গলায় এই অন্তরন্যাশনাল সঙ্গীত শুনেছিলাম, যেটা নজরুলের দেওয়া আদি সুর, সেটা বেশ সুরেলা সুর ছিল, মানে ঐ কুচকাওয়াজ টাইপের সুরে ছিল না, যেটা ক্যা-ই-কয়্যারে শোনা যায়। সুতরাং ক্যা-ই-ক-এর গানের সুরটা অবশ্যই নজরুলের নয়।
  • nyara | 203.83.248.37 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১৮:০৯458437
  • আমি ছেলেবেলায় 'জাগো জাগো অনশন-বন্দী' বলে যেটা শুনতাম সেটা মূল ইন্টারন্যাশনালের সুর -


  • nyara | 203.83.248.37 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১৮:১০458438
  • এটার লয়টা বেশি চেনা -


  • Arijit | 61.95.144.122 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১৮:১৭458439
  • ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যার "জাগো জাগো সর্বহারা' ভার্সনটা গায় কি? শুনিনি। ওরা ওই "জাগো অনশনবন্দী ওঠো হে যত জগতের ভাগ্যহত' গায়। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গাওয়া "জাগো জাগো সর্বহারা'-র সাথে অল্প ডিফারেন্স আছে।

    সে ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যার বহু গানকে অল্পস্বল্প বদলে নিয়েছে। কখনো মন্দ লাগে না, কখনো বেশ বাজে লাগে।
  • Manish | 59.90.135.107 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ১৯:৫৩458440
  • আমি kallol এর সাথে একমত। ভুমির গান অতি অখাদ্য।বিশেষ করে সির্দ্ধাত্ব যখন গায়। ও উচ্চারন করে লাউয়ের হাগা খাইলাম ডহাগা খাইলাম। এটাকে experiment বলতে একটু ব্যাথা আছে। তাছারা রাঙা মাটির লেখক/সুরকার পরিচিতিতে ওদের albumএ লেখা আছে প্রচলিত সুর।
  • Kartuj | 59.93.219.216 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ২০:৫২458441
  • ক্যাকটাস যে কতটা খারাপ গায় সেটা ওরা বোধায় নিজেরাই বোঝে না, বা বুঝলেও স্রেফ গা জোয়ারিতে পাব্লিকের অপছন্দটা নেগলেক্ট করাকেই হয়ত ওরা রক বলে জানে।

    ভূমির সিদ্ধার্থ কে? সুরজিৎ, সৌমিত্র এরাই তো লিড গায়ক। হ্যাঁ ঐ 'চল মিনি অসম যাব'-র ব্যাপারে অবশ্য আমি একমত কল্লোলদার সাথে। তবে বেশ কিছু গান শুনতে বড় ভালো লাগে, 'শীতল মাসে চখার দেশে', 'কান্দে শুধু মন কেন কান্দে রে', 'লাল পাহাড়ীর দেশে যা' ইত্যাদি। দারুণ মজা লাগে শুনতে 'মধুর মধুর চাউনি রে তোর/কইন্যা আমার হৃৎপিন্ড তিড়িং বিড়িং করে রে'। ;-)

    আর ইয়ে, শমীক কি ধীরেন বসুর কথা বলছ?
  • stoic | 160.103.2.224 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ২১:১৯458442
  • আমি ছোটবেলায় 'ইন্টারন্যাশনাল' এর আরো দ্রুত লয়ে গাওয়া একটা ভার্শন শুনেছিলাম। 'ভেদি অনশন মৃত্যু তুষার তুফান, প্রতি নগর হতে গ্রামাঞ্চল/ কমরেড লেনিনের আহ্বান, চলো মুক্তিসেনাদল।' এইরকম একটা কিছু। সেটা তো ক্যালকাটা কয়্যার বলেই জানতাম।
    অবিশ্যি ভুল হলে পারে। বহুদিন আগে শোনা।
  • bb | 117.195.173.168 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ২২:২৫458443
  • গতকাল আমাদের এখানে ক্যাকটাসের gun শুনলাম। আমি রক বুঝিনা, তাই ভালো লাগেনি। আর অত্যন্ত খারাপ লেগেছে ক্যাকটাসের মূলগায়ক সিদ্ধার্থের কথাবার্তা। আমরা আমেরিকার ১৪টি শহরে গান করে এসেছি ইত্যাদি। আবার যখন বয়স্ক লোকেরা তাদের গানের প্রতি অতিরিক্ত উচ্ছাস প্রকাশ করেন নি, তাদের জন্য 'পুরান সেই দিনের কথা' গাইতে গাইতে তাদের প্রতি জিজ্ঞাসা এই গানটাও আপনার কেন গাইছেন না, গাইবেন না বলেই?
    বিভিন্ন লোকের পচ্ছন্দ আলাদা হতেই পারে এবং তাকে মর্যাদাই দেওয়া উচিত। এই provocation দৃষ্টিকটু লেগেছে।
  • ranjan roy | 122.168.160.43 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ২২:৪৪458445
  • স্টোয়িক,
    না, না, ওটা ইন্টারন্যাশনাল নয়। ওটা হল ""at the call of Comrade Lenin, there arose the partizan'' এর বাংলা।
    এটি ১৯৭০ এ লেনিন শতবার্ষিকীতে এটি
    কোলকাতায় গাওয়া হয়তো শুরু হল, কারণ তার আগে কখনও শুনিনি।
    এটি ১৯১৯ এ White Guard ( দেনিকিন,
    কোলচাক ও উদেনিচ) দের নতুন লাল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার সময় তৈরি।
    এর সবটা গাওয়া হয় না।
    " নিক্ষিপ্ত হল শ্বেত শত্রু জাহান্নমে, দস্যু হল
    বিলীন; প্রশান্ত সাগরতীরে শ্রমিক পতাকা
    উড্ডীণ''।
    কারণ আন্তন বেক ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে
    দাঁড়িয়ে এই অব্দি গেয়ে মারা গেছিল।
    এই ঐতিহাসিক চরিত্রটিকে উৎপল দত্ত বেশ বিশ্বস্ততার সঙ্গে চিত্রিত করিয়েছিলেন "' লেনিনের ডাক'' নাটকে।

    আর ইন্টারন্যাশনাল বোধহয়
    পারি কমিউনের সময় পেতি বলে একজন
    মজদুরের রচনা। কল্লোল ভাল বলতে পারবেন।
  • ranjan roy | 122.168.160.43 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ২২:৪৮458446
  • শমীক কি নজরুলগীতির বেশ ভাল গায়ক প্রয়াত ধীরেন্দ্র চন্দ্র মিত্রের কথা বলছ--
    ( নীলাম্বরি শাড়ি পরি, আর শাওন আসিল ফিরে?)"
  • nyara | 203.83.248.37 | ০৯ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৩৮458447
  • 'কলাবতী' রাগটাকে আমাদের পশ্চিমী-কেতার সুরকারদের এত পছন্দ কেন? সলিল চৌধুরী যদিও বলেছিলেন, উনি কোন একটা রাগ মনে রেখে ও তার ওপর ভিত্তি করে গান বাঁধতে পছন্দ করেন না। খুব সম্ভবত: রাগের চলনের প্রেডিক্টিবিলিটির কারণে। তা সঙ্কেÄও নেই নেই করে সলিলবাবুর কলাবতীতে গানের সংখ্যা কম নয়। ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যর 'ঝনন ঝনন বাজে' থেকে শুরু। যদিও, অন্তরাতে গানের চলন বদলে যায়, কলাবতীতে আর থাকে না। তারপরে শ্যামল মিত্র-সবিতা চৌধুরীর 'ডেকো না মোরে, ডেকো না গো আর'। মিশ্র কলাবতীতে অসামান্য কম্পোজিশন "নি সা গা মা পা নি সা রে গা / গা গা রে পাখি গা'।

    আরেক মস্তান সুরকার রাহুল দেব বর্মন নিজে গাইলেন, "বল কি আছে গো তোমারই আঁখিতে'। "চকিত চাহনি যেন দেখেও না দেখায়' অংশে কলাবতীর চলন বেরিয়ে পড়ে।

    ঠিক যে চলন আছে সুমন চট্টোপাধ্যায়ের 'আমাদের জন্যে' গানে পাই "সা গা পা ধা নি পা ধা নি / সা নি ধা নি ধা পা গা সা গা পা ধা নি' অংশে টুক করে কলাবতী লাগানোয়।

    বহুদিন আগে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান শুনেছিলাম, "বড় দেরীতে তুমি বুঝলে, কেউ নিজেকে ছাড়া ভাবে না"। বোধহয় মান্না দে-র সুর। গানটা অন্তত তিরিশ বছর শুনিনি। সুর যেটুকু মনে আছে, মনে হয় কলাবতী।

    কলাবতী হিন্দুস্তানী সঙ্গীতে মেজর রাগ নয়। বাংলা আধুনিক গানের ময়দানে তালে এরকম জেঁকে বসলে কেন?
  • kallol | 220.226.209.2 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১০:৩১458448
  • রঞ্জন একদম ঠিক।
    লা ইন্টারন্যাশনেল - এভাবেই গানটাকে উল্লেখিত হতে শুনেছি উৎপল দত্তের মুখে। পারি কমিউনের সময় ইউজিন পোতিয়ের লেখা ও সম্ভবত: সুরও।
    নজরুল এর একটা বাংলা অনুবাদ করেন, যেটা ঐ মূল সুরে ঠিকঠক গাওয়া যায় না, স্ক্যানিংএ অসুবিধা হয়। তবে নজরুলের অনুবাদটা মূল লিরিকের বেশী কাছাকাছি
    পরে সম্ভবত: আইপিটিএর কেউ (কে আমি জানি না) গানটা মূল সুরে গাওয়ার মত করে অনুবাদ করেন বাংলায়।

  • Arijit | 61.95.144.122 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১০:৩৩458449
  • "জাগো জাগো সর্বহারা' আর "জাগো অনশনবন্দী ওঠো হে যত, জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্যহত' - এই দুটোর মধ্যে কোনটে কার অনুবাদ?
  • kallol | 220.226.209.2 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১০:৪৬458450
  • জাগো জাগো জাগো সর্বহারা - আইপিটিএ
    জাগো আনশন বন্দী - নজরুল
  • kallol | 220.226.209.2 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১০:৪৬458451
  • * অনশন
  • Shibanshu | 59.93.91.249 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১১:৫০458452
  • কলাবতীর সুরে একটা ফ্রেশ অনুষঙ্গ আছে। যেহেতু এটা অতি গীত/ বাদিত রাগ নয়, তাই সুরটার মধ্যে এক ধরনের 'ছেলেখেলা' খুঁজে পাই, বৃষ্টি শেষের হাওয়ার মতো। পন্ডিত শিব কুমারের সন্তুরে একটা দারুন পিস আছে এই ধরনের সেন্টিমেন্ট দেওয়া। হয়তো সেই জন্যই বাংলা কম্পোজিশনেও মাঝে মাঝে এই রাগটির উপর কাজ হয়।

    নয়তো ভৈরবি, দরবারি, পিলু, বেহাগ, মালকোশ, ললিত, তোড়ি, পুরিয়া, দেশ, কাফি, আসাবরি, য়মন কল্যান, এমনি সব রাগের উপর তৈরি কম্পোজিশনই সর্বাধিক। গৌড় মল্‌হার, হংসধ্বনি, ছায়ানট, শিবরঞ্জনিও আসে তার পর।
  • pi | 72.83.80.136 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১১:৫৩458453
  • পাশ্চাত্য ধ্রুপদী সঙ্গীতে মীড়ের ব্যবহার কীরকম ? শিল্পীর স্বাধীনতা থাকে ?
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১২:০৫458454
  • আমি যদ্দুর দেখেছি ইনস্ট্রুমেন্টালে শিল্পীর হাতে কিছুই নেই। পুরোটাই কম্পোজারের হাতে। গানের ব্যাপারে জানি না।
  • pi | 72.83.80.136 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১২:১৩458456
  • একটা বুনো গেস মারছি। মরাঠী সঙ্গীতে তো কলাবতীর বহুল প্রচলন। সলিল চৌধুরী মরাঠী সিনেমায় বেশ কিছু কাজ করেছেন, হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের সাথেও একসাথে অনেক কাজকর্ম করেছেন। কলাবতী অ্যাফিনিটি সেখান থেকে নয় তো ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন