এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মুকুটমণিপুর এবং

    I
    অন্যান্য | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ | ২৯৭৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 14.96.2.178 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:০৫466445
  • বলেছিলাম কি, আসবার সময় বাঁকুড়া স্টেশনে একটি ঘন্টা নষ্ট করে ফেরার রিজার্ভেশন করিয়েছিলাম ! কপাল এমন, যেমনি লাইনে দাঁড়িয়েছি, অমনি টিফিনের গং পড়ে গেলো। তখন ঐ পনেরো মিনিটকেই মনে হচ্ছিল অনন্ত। দাঁড়িয়ে আছি তো আছিই-কেউ একজন গিয়ে পাখাটাকে চালিয়ে দিয়ে এল, কেউ কাউন্টারের মেঝে হ্যান্ডেল-ওলা ন্যাতা দিয়ে মুছছে, কে হাত-পা নেড়ে বক্কা করে পাখা বন্ধ করে দিয়ে এল-সব কেমন যেন সুররিয়েল সিনেমা। দূরে দুপুর রোদে হতাশের মত আমার পথের সাথীজন পা এলিয়ে বসে আছে-কেউ গাড়ির গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে-বাচ্চাদুটো ছুটে বেড়াচ্ছে; আর নিজেকে অপরাধী লাগছে এত দেরী করিয়ে দেবার জন্য। আসলে আগের দিন দুপুর অবধি জানা ছিল না, শেষ অবধি সত্যি যাওয়া হবে কিনা--টুংকাইয়ের যা পেটের অবস্থা ! তাই আর অ্যাডভান্স ফেরার টিকিট কাটা হয়ে ওঠেনি।

    যাহোক, পৌছে কিন্তু মন ভরে গেল। এই এতক্ষণের ক্লান্তি, আগের রাতের ঘুমহীনতা, পেট ভরা খিদে-এসব কিছু মুছে দিল সোনাঝুরি। কংসাবতী ব্যারেজের মেশিন ঘর না কি কে জানে -তার পাশের ব্রীজের ওপর দিয়ে গাড়ি যখন ঢুকল---নীচে পাথুরে রিভারবেডে টুকরো জল ইতিউতি, তখনি ইশারা পাওয়া যাচ্ছিল। তারপর দু-রাস্তার মোড়ে গাড়ি বাঁক নিল বাঁয়ে, যেখানে বড় করে লেখা "সোনাঝুরি প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র', আর অমনি শুরু হয়ে গেল সোনাঝুরির জঙ্গল। এই গাছ, আগে তেমন প্রিয় ছিল না, এবারের শান্তিনিকেতনে গিয়ে সে আমার মন কেড়ে নিয়েছে। হ্যাঁ, বলা ভাল, ডানদিকের রাস্তাই চলে গেছে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম আর্থ ড্যাম আর তাকে ঘিরে থাকে অকূল জলরাশির দিকে, যেখানে সম্ভবত মিলিত হয়েছে কংসাবতী ও কুমারী-দুই নদীকন্যকাদ্বয়; সম্ভবত:, কেননা সে ব্যাপারটি আমরা এক্সপ্লোর করবার কোনো সুযোগ পাই নি---কেন, সে কথায় পরে আসছি।
  • I | 14.96.2.178 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:২৪466446
  • আমাদের থাকার জায়গা প: বঙ্গ সরকারের বনদপ্তরের গেস্ট হাউজ, যার নাম ঐ আগেই বললাম-সোনাঝুরি প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র। একটি টিলার মাথায় অনেকখানি এলাকা জুড়ে সোনাঝুরির বন, আর তার মাঝখানে ছড়ানো-ছিটোনো কটেজগুলি, কী মিষ্টি সব নাম তাদের-অর্জুন, পলাশ, শতমূল, অনন্তমূল, শাল, পিয়াল। এক কটেজ থেকে আরেক কটেজের দূরত্ব বেশ খানিকটা , ধাপে ধাপে উঠে গেছে সব। এখানে ওখানে সযত্নরক্ষিত ঘাসজমি, ফুলের বাগান, পার্ক । আমরা ছিলাম অর্জুনে, দেবযানীরা পলাশে, অথচ দেবযানীর শ্বশুরমশায় শতমূলে, -অনেকটা দূর, যদিও বুকিং হয়েছিল একইসঙ্গে। আমরাই বরং পরে বুক করেছি; সঙ্গীতাকে অফার দেওয়া হয়েছিল শাল-পিয়াল নেওয়ার জন্য, সঙ্গীতা নেয় নি শুধু দেবযানীদের পাশে থাকবে বলে, বাচ্চাদের জন্য; পরে একটুখানি হাত কামড়েছি-আমি একা অবশ্য- শাল-পিয়ালের অদ্ভুত ভালো লোকেশন, চোখ মেললেই দূরে কংসাবতীর বিশাল জলরাশি,রাতে বাঁধের ওপরে আলো জ্বলা জড়োয়ার নেকলেশ। যেন হোটেলের সি-ফেসিং রুম। সঙ্গীতা অবশ্য আনরিপেন্ট্যান্ট-বলল : বাবা, কে থাকবে, দিনের মধ্যে চব্বিশ বার খুশীদিদি'র ঘরে চলো বলে অস্থির করে মারবে-রাবাংলা মনে নেই? আর আমি এই খাড়াই বেয়ে বারবার ওঠানামা করে মরি আর কী !

    কথাটা অবশ্য সত্যি। বড্ড খাড়া; ঘুম পেয়ে গেছিল বলে টুংকাই ডাইনিং রুমে পর্যন্ত যেতে চাইল না, এদিকে সেখানে আবার রুম সার্ভিস নেই। কোলে নিয়ে ডাইনিং রুমে উঠতে আমার জিভ বেরিয়ে গেছিল।
  • I | 14.96.2.178 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৪০466447
  • খেতে দিল তো ডালের জল আর আলুপোস্তর ঝোল-তাইতেই আত্মারাম একেবারে তর্‌র। পোস্ত মেরে দিয়ে আশায় আশায় আছি, এবার বুঝি তরকারি আসছে--ও মা, বলে কী-এই তো তরকারি, এই একরকমই হয়, দাঁড়ান বেগুনী আছে। বেগুনী আসতে আসতে ভাত শেষ, সে ভাতের পরিমাণ কী, আমা হেন অতিভোজীও তায় ফ্যাক করে হেসে ফেলবে। একটা বড়সড় জেদী কাঠপিঁপড়েও যদি মনস্থ করে আর ছিঁটেফোঁটা প্রতিভা পায়, তাহলেই সে হেলায় ফাল দিয়ে ডিঙিয়ে যাবে, এমনই সে পর্বতপ্রমাণ অন্নরাশি। এই একমুঠি ভাত; চাইলে অবিশ্যি আরো দেয়, মিথ্যে বলবো কেন ! এমনকি শেষপাতে ড্যাশ অফ চাটনিও দিয়েছিল;স্বাদ শুধাইয়া লজ্জা দিবেন না।

    যাহোক, প্রাণ শান্ত হওয়া নিয়ে কথা। খেয়েদেয়ে একগাল ভাজা মৌড়ি মুখে নিয়ে চিবোচ্ছি ( তা'বলে কিছু অবশ্য অমনি মৌড়িটৌড়ি ছিল না, ও হল গে কথার কথা) আর খুবসে রোমালে হাত মুচ্ছি, অরুন এসে ন্যাড়া-র মত হাসিহাসি মুখ করে বলল-পশ্‌শু-তশ্‌শু বাঁকুড়া বন্ধ। মাওবাদীরা ডেকেছে।
  • I | 14.96.2.178 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:০০466448
  • বাঁকড়ো যে খুব তেমন ভূমিকম্পপ্রবণ জেলা, সেকথা জানা ছিল না। উপস্থিত পায়ের তলায় টিলা কেঁপে উঠল, পাশের রেলিং ধরে সামাল দিলাম। কাল যাবো বিষ্ণুপুর, পরশু বাড়ি ফেরার টিকিট-এই তো সদ্য কাটলাম এক ঘন্টা মেহন্নত করে। পরশু না , তার পরের দিনও না। অর্থাৎ আটচল্লিশ ঘন্টা দেরী হয়ে যাবে বাড়ি ফিরতে।
    মানসাঙ্ক কষি-দু'দিন দেরী মানে কতগুলো পূর্বনির্ধারিত কাজে গ্যাটিস দিতে হবে। ক'টা চেম্বার বন্ধ করা, ইকো'র জন্য সাবস্টিটিউটের বন্দোবস্ত, কুণালকে এই তো কত বলেক'য়ে দুটো দিনের জন্য রাজী করিয়েছি, আর কি প্রক্সি দেবে? কতজনাকে ফোন করতে হবে, আবার সামনের মাসে বেড়াতে যাবো, কোন মুখে ছোট উইকএন্ড ট্যুরকে টেনে লম্বা করবো ! সঙ্গীতা ম্যানেজ করে নিতে পারবে মনে হয়, টুংকাইয়ের অবশ্য পরীক্ষা নেই, ক্রীসমাস পার্টি মিস করবে, যাহোক কী আর করা। কিন্তু থাকতে কি দেবে? এখানে তো কলকাতা থেকে অর্ডার আসে, তবে বুকিং হয়, বিকেন্দ্রীকরণ বলে বস্তু নেই; তাছাড়া ঘর খালি থাকলে তবে তো দেবে ! কথা ঠিক যে বন্ধ থাকলে তারাও আসতে পারবে না, কিন্তু ধরুন---হীরক রাজার দেশের গুপীর মত বেয়াড়া মন বলে-কিন্তু ধরেন, যদি কিসু হয়? যদি চইল্যে আসে? আর ও হো, ভুলেই তো গেছি, এত টাকাও তো নিয়ে আসি নি ছাই, এরা তো কার্ড নেয় না; এটিএম? হাসালেন, মহায়! শুনছেন, ওষুধের দোকান অব্দি চোখে পড়ে নি ! অ্যায়, ওষুধের কথায় মনে পড়ল, টুংকাই যদি আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে? আর দুদিন বন্ধের পরে যদি এদের মন না ভরে, যদি ধরেন বলেই বসে, না হে স্যাঙাৎ, ঠিক জমল না, শীতও পড়েছে জব্বর,লাগাও আরো তিনদিন!
  • Nina | 64.56.33.254 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:৩৮466449
  • ঠিক হ্যায় হ্যাটাই সই ডাগদার--লিখে যাও, আমার ভাললাগা তো আর কমবে না :-((
  • I | 14.96.2.178 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:৪৮466450
  • অতএব মাস্টারকে ধরি। হ্যাঁ হে মাস্টার, বন্ধ কেমন হবে বুঝছো? ফিরতে লাইরব্য ? মাস্টারের ডার্ক কমপ্লেক্সন, মুখে বসন্তের দাগ, চোখ দেখে মন পড়া যায় না: মিহি করে বললেও মাস্টার রগুড়ে নয় মোটেই। সই করিয়ে নিয়ে খাতা ও আপিসঘর বন্ধ করেছিল, সেই সঙ্গে মুখও। অনেক কেঁদে কঁকিয়ে মাস্টারের মনের অতল থেকে যা উদ্ধার করা গেল--অষ্টচল্লিশ ঘন্টা বন্ধ আহ্বান করা হইয়াছে ইহা জনশ্রুতি, যদিচ ইহার সপক্ষে কোনো প্রস্তরীভূত প্রমাণ নাই; না থাকুক, এইরূপ রটনার মধ্যে তিলমাত্র সত্যতা থাকিলেও এতদ্দেশীয় জনজীবন (যাহা অবশিষ্ট রহিয়াছে) পূর্ণরূপে স্তব্ধ ও বিকলাঙ্গ হইয়া পরিবেক। ভিনদেশী কলিকাতাস্থ দিকুজন বাঁকুড়া রেল ইস্টিশনে কোনোপ্রকারে পহুঁছিতে পারিলে গৃহাভিমুখে রওয়ানা হইতে পারিবেক, রেল ঈদৃশ বন্ধের হস্তসীমা বহির্ভুত। বাঁকুড়া ইস্টিশন গমন পঙ্গু লঙ্ঘয়তে গিরিম্‌ ন্যায় দু:সাধ্য কর্ম বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছে, কেননা বন্‌ধযুগে লোক্যাল মোটরযান ও বাসাদি বাহন একশত শতাংশ ন যযৌ-তাহাতে সন্দেহ করে কেবল মূর্খ পক্ষবান পিপীলিকা। তবে আশার একবিন্দু আলোকরেখা এইরূপ যে, যদি কোনো অলৌকিক প্রকারে প্রত্যুষ চার ঘটিকার পুর্বে দিকুদিগ খাতড়া টাউনের অন্ত:সীমায় প্রবিষ্ট হয়, তবে যানবাহন মিলিলেও মিলিতে পারে।
  • I | 14.96.2.178 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:৫১466451
  • আরে, কেউ কখনো শুনেছে, মুকুটমণিপুরের রাস্তায় পাটনা পড়ে? সে অন্য লাইন একেবারে। ভূগোলের কথাও ত ভাবতে হবে একবার , নাকি? সে তো আর বানের জলে ভেসে আসে নি !
  • Nina | 64.56.33.254 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:৫৯466452
  • আরে কবির কল্পনায় গরু গাছে ওঠে কি ওঠেনা--নিজেই বল্লে তো পাটনার কতা মনে পড়ে গেল তার বেলা? এইজন্যি কুমু তোমায় একটাও পাটিসাপ্টা দেয় নাই---আগ কর ক্যান, ডাগদার--নেক নেক--জম্মস্থানের নামে প্রাণটা ব্যাকুল হয়ে পড়ে কি করি বল--তোমার হাতে তাকে দেখতে বড় প্রাণ চাইছে ---
  • hu | 12.34.246.72 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০২:২৯466453
  • ব্যাপক ব্যাপক ব্যাপ্পক লেখা!!!
  • I | 14.96.2.178 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০২:৩৪466455
  • থাকার ব্যবস্থা? হ্যাঁ, সে ত একটা করতেই হবে, এতগুলো লোককে আর বের করে দেওয়া যায় না ! তবে কিনা কলকাতা অফিসে ফোন করতে হবে ( সে বড় কঠিন কাজ), তারা না বললে আবার---- আর যদি কোনোক্রমে কারো বুকিং থেকে থাকে ( আছে কিনা সেটা জানা খুব দু:সাধ্য), আর তারা যদি এসে যায়----সে হয়েছিল একবার, খুব ক্যাঁচাল-----

    লোকগুলি যেন কেমনধারা ! আমার থেকেও ই®¾ট্রাভার্ট;কিম্বা কানে কম শোনে; কিম্বা কম বোঝে; কিম্বা ঘেন্না করে; নতুবা সরকারী চাকুরে। জল চাইলে দেয় না, ভাত পাঁচবার চাইলে তবে দেয়, সন্ধ্যেয় টিভি ঠিক করে দিতে বলায় তো এলই না। অবিশ্যি টাকায় কোনো ঘেন্না নেই, যাওয়ার দিন খুব আগ্রহ করে টিপস নিয়েছিল।
    তো এদের কাছ থেকে সাহায্য কদ্দুর কি পেয়ে উঠবো বুঝে ওঠা গেল না। মাঝখান থেকে মেজাজ বিগড়ে গেল,ঘুম পেয়ে গেল, দুপুরে সেই যে বোটবিহার করবার কথা ছিল সে আর হল না। রেগেমেগে ঘুমোতে চলে গেলাম। পথের দেবতা মুচকাইয়া হাসিলেন, ও মনে মনে বলিলেন-তিষ্ঠ বৎস, সবে তো কলির সন্ধ্যা !

    কটেজগুলো বাইরে থেকে দেখতে খাসা, ভেতরেও বেশ জায়গাওলা, হাত-পা ছড়ানো। একটা বেডরুম, সামনে একটা ড্রয়িংরুম মত, বাথরুমের সঙ্গে আবার চেঞ্জরুম দিয়েছে, বিলাসিতার হদ্দ। কিন্তু জানলাগুলি টেনে আটকানো, প্রতিটি জানালায় মসকুইটো নেট লাগানো, ঘরের মধ্যেও মশা ঘুরঘুর করছে । দরজা কাঁচা কাঠের, একটা -দুটো দরজায় ছিটকিনি লাগে না। সেই কোন আদ্যিকালে জানলা তৈরীর সময় কেউ হয়তো জানলা খুলেছিল, তারপর থেকে ঘরগুলি অসূর্যম্পশ্যা, কেননা সে রামও নেই আর আমরাও ও রসে বঞ্ছিত গোবিন্দদাস। ফলে বড্ড ড্যাম্প। মডলিনও বলতে পারো।

    কিন্তু এ আর কি মডলিন মামা, আসলি খেল তো শুরু হবে এখন ! খেয়ে উঠেই টুংকাইয়ের প্রভুত পেট ব্যথা , না কি অন্য কোনো কষ্ট --কিছু বলেও না, খালি ঘ্যান ঘ্যান করে কাঁদে, আর বলে-বাঁচাও মুঝে, আমি কি মরে যাবো না কি ! অনেকক্ষণ কেঁদেকেঁদে সে ঘুমোলো, আমাদেরও চোখ জুড়িয়ে এল।

    কতক্ষণ কেটেছে জানিনা, একটা প্রবল কনকনে ঠান্ডা আমার ভিতর থেকে কাঁপিয়ে দিল। আপনারা সকলেই অ্যাদ্দিনে কাগজপত্তর পড়ে জেনে গেছেন যে বাঁকুড়া-পুরুলিয়ায় প্রবল শৈত্যপ্রবাহ চলছে, গত চোদ্দো-পনেরো বছরে শীতলতম; কিন্তু তার উৎপত্তি কবে থেকে, পণ্ডিতেরা সে সম্বন্ধে কিচ্ছু জানেন না। আমার কাছে শুনুন। সেইদিন, সেই মূহূর্তে , গত শনিবার আঠারোই ডিসেম্বর ২০১০ সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচ ঘটিকায় আমার মনের কোণে পুঞ্জীভূত বেদনা-অসহায়তা-ক্রোধ-ক্ষোভ-মিলনবিরহসংরাগের যে প্রবল ঋণাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়, তারই অমোঘ আকর্ষণে মধ্যভারতের কশ্চিৎকান্তাবিরহগুরুণা উজ্জয়িনী-শিপ্রার শীতলতা বাধাবন্ধহীন ছুটে আসে ও কংসাবতী জলাধারের বুকের ওপরে উভয়ে মিলিত হয়ে যে সুফীনৃত্যপ্রতিম শৈত্যঘুর্ণের সৃষ্টি করে, পন্ডিতেরা ভবিষ্যতে তারই নাম দেবেন "দ্য গ্রেট বাংকুরা কোল্ডওয়েভ' ও গালে হাত দিয়ে তার উৎপত্তি নিয়ে টন টন পাতা অর্থাৎ কিনা মাইল মাইল অমূল্য বনাঞ্চল নষ্ট করবেন।
  • hu | 12.34.246.72 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০২:৪৮466456
  • বেঁচে থাকো ডাকতারদাদা!
  • Nina | 64.56.33.254 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০৩:১৪466457
  • ক্ষি ক্ষান্ড! তাপ্পর?
  • Samik | 155.136.80.174 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:১৫466458
  • অসম্ভব সুইট হচ্ছে লেখাটা। কত ... কতকাল পরে যে গুরুর পাতায় এমন একটা লেখা পড়ছি, মনে পড়ে না। চালিয়ে যাও ডাক্তার।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:১১466459
  • কে লেখে মাইরী !!
  • Diptayan | 115.113.42.194 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৩৯466460
  • ইন্দোদা,

    ছুরি / কাঁচি ফেলে দাও বস্‌ - আর অল্টারনেট উইকেন্ড বেড়াতে যাও। সবাই স্পনসর করব। শর্ত এই যে, মাঝের সপ্তাহ টাতে একটা করে মাস্টারপিস নামাতে হবে।
  • Shibanshu | 59.93.94.82 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:১৮466461
  • ডাক্তারের ব্যাড লাক নিতান্ত খারাপ। এতো দুর্বিপাক হওয়ার কথা ছিলোনা।
  • Arpan | 122.252.231.10 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:১০466463
  • আহা! কী লিকছে! মনপ্রাণ তর হয়ে গেল বট্যে।
  • I | 14.96.112.53 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৫৪466464
  • ঠান্ডার চোটে উঠে পড়লাম। কম্বলের মায়া ছেড়ে গায়ে সোয়েটার, জ্যাকেট চাপালাম। ছেলে তখনো ঘুমোচ্ছে এবং সঙ্গীতা ৮৭ ঘুম ১৩ জাগরণ। ঘুমোক। ঘুম মানে স্বাস্থ্যের লক্ষণ, নিশ্চয়ই ছেলেটার শরীর তেমন খারাপ লাগছে না আর, ঘুম ভেঙে উঠে নিশ্চয়ই অন্য আর পাঁচটা দিনের মত খেলাধূলো শুরু করবে আবার, মাঝের পেট ব্যথার কথা মনেই থাকবে না। তাছাড়া কিছু একটা উপায় বেরোবে ঠিকই, একান্ত কিছু না হলে কাল বিষ্ণুপুর থেকে যাবো, পরশু সকালে বিষ্ণুপুর থেকে বাড়ি; কিম্বা কালও ফিরে যেতে পারি। আরে, বনধের মধ্যে যারা পড়ে তারা সবাই কি মরে যায় নাকি? মনে রাখবেন, তখন বিকেল, সন্ধ্যেও বলতে পারেন, সাড়ে পাঁচটা বাজে, এবং এই সময়েই ডিপ্রেসড লোকদের মুড ভালো হতে শুরু করে, জেগে উঠতে থাকে অনশনলাঞ্ছিত সর্বহারা, কোই হ্যায় ! - বলে হাঁক পাড়ে এবং নিজস্ব স্টেনলেশ স্টীলের বাটিতে মন ভালো হওয়ার নিজস্ব আচারের তেল মেখে মুড়ি খায় তারা, সাথে গরমাগরম আসাম টী।

    অতএব আমি বেরিয়ে পড়ি, হাওয়াই চটি পরেই বেরিয়ে পড়ি, হাতে টর্চ পর্যন্ত নিই না। সবে সাড়ে পাঁচটা বাজে, কিন্তু বাইরে ঘুরঘুট্টি অন্ধকার, শুনশান আশপাশ, চিরসেক্লুডেড অরণ্য চারিধারে। অনেক দূর থেকে ভেসে আসে দূরপাল্লার বাসের হর্ণ; বৌ-কথা -কও পাখীর ডাক, অথবা তেমনি শুনতে কোনো জোরদার ভেঁপুর আওয়াজ-কেননা অন্ধকারের এই প্রহরে পাখী ডাকবে এ নিতান্ত অবিশ্বাস্য ঠেকে আমার। যদিও পূর্ণিমা কাছেই, তবু দূর চাঁদের আলো সোনাঝুরি জঙ্গলের জড়াজড়ি ঝুপসি অন্ধকারে ঠোক্কর খেয়ে ফিরে যায়। বাতাসে ফ্রেশ একটা গন্ধ, জঙ্গলের গন্ধ হতে পারে, বিশুদ্ধ অক্সিজেনের এমন গন্ধ হতে পারে-আমি বুঝতে পারি না।
    নীচের দিকে নামি, ইচ্ছে মেন রাস্তায় গিয়ে ওঠা; কতটা দূর ঠিক জানি না। নীচে নামতে কোনো কষ্টই নেই, দিব্যি গড়গড়িয়ে নেমে যাওয়া যায়। কিন্তু পথ ফুরোচ্ছে না , পায়ের নীচে বাঁধানো রাস্তা আর এসে পৌঁছচ্ছে না। এখন সব শব্দ থেমে গেছে। আর দূরে যাওয়া কি উচিৎ, এই অন্ধকারে। এই সময়ে কিছু শব্দ শোনা যায়, আলো চোখে পড়ে-সি আর পি এফ নয়তো, কিম্বা ঐ যারা, রাত্তিরবেলা যাদের নাম নিতে নেই! যারাই হোক, হাতে বন্দুক থাকলে কী আর তফাৎ, কে যেন বলে গেছে-বন্দুক যেমনই হোক, মানুষ মারতে পারলেই হোলো--- আমি চটপট লজের দিকে হাঁটি।
  • I | 14.96.112.53 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৩০466466
  • একটা টর্চ অন্তত: নেওয়া উচিৎ ছিল, মন বলে। ওরে, একটাই জীবন রে, মধ্যবিত্ত জীবন,গুল্লি লাগিলে আর ফিরিবে না, মন বলে। লোকে বলবে মড়া, মন সেসবও জানে,এত্ত পাকা। চুপ করে থাকি আর হনহনিয়ে হাঁটি। গায়ে শীতকাঁটা দেয়, অন্ধকারকাঁটা দেয়। হাওয়া বয় শনশন, তারারা কাঁপে কিনা দেখতে পাই না।
    কিন্তু দু:খের শেষে সুখ আসে, অন্ধকারের শেষে লজের আলো--যাক, এবারের মত আত্মারাম রক্ষে পেলেন! কেমন একটা মিনি অ্যাডভেঞ্চার হল বল দিকি,কেমনি গা ছমছমে ভাব; টর্চ ছাড়া ক্ষেতিডা কী হল তোর , শুনি ! আমি মনকে কষে দু-কথা শুনিয়ে দিই।
    আর হাজার লোকের বাহবা শুনলে যেমন বার খেয়ে ভীতুও খন্তাকোদাল হাতে বাগ মারতে বেরোয়, আমারো সেই দশা হয়। আমি যে কত বড় বীর ,মনকে পুরোপুরি না দেখানো অবধি শান্তি পাই না। এবার তাই প্রোজেক্ট হিলটপ। পাহাড়বাস্টার্ডকে নক অফ করে (যেন এভারেস্ট অভিযানে স্যর হিলারী) তারপরে ঘরে ফেরা।
    ওয়ে টু হিলটপ, ছোট বোর্ডে লেখা আছে। তার তিরচিহ্ন ধরে হাঁচড়েপাঁচড়ে উঠে যাই, শেষটুকু অন্তত:। এখানে এসে পাথরে -মোরামে বাঁধানো রাস্তা ফুরিয়েছে, কিছুটা আমাকে পাথুরে মাটি -ঝোপঝাড় ডিঙিয়ে উঠতে হয়। আর চোখ তুলতেই বিস্ময় লাগে--দূরে কংসাবতী বাঁধের বাঁকা রাস্তা ইংরেজী "এস' অক্ষরের মত অন্ধকারে মিলিয়ে গেছে, তার সর্পিল ভঙ্গিমার আভাস পাওয়া যাচ্ছে শুধু দুধারের জ্বলে ওঠা আলোকমালায়, বাতিস্তম্ভের আলো তারা, অপূর্ব সে আলো(দ্বিতীয় ছবি পশ্য)। সামনে -পেছনে -ঈশানে-নৈঋতে আর কোত্থাও কিচ্ছু নেই , কেবল কাজলকালো অন্ধকার। আর সেই আলোর সাপ ও দূরের ম্লান চাঁদ,পূর্ণিমাকাঙ্খী,কেননা অভিমানী। মানুষী আলো তাকে লজ্জা দেয়। হাওয়া বয় শনশন, তারারা কাঁপে।

    সবে একটা পাথরের ওপর ক্যামেরাটা ফিট করে স্লো শাটারে বসিয়েছি ( আমার ট্রাইপড নেই), এমনি সময় সেই নামানুষী স্পেল ভেঙে দিয়ে মোবাইল বেজে ওঠে। সঙ্গীতা বলে-শুনছো, ঘরের টিভিটা কাজ করছে না, একটু রিসেপশনে বলে এসো তো---ছেলে কার্টুন দেখবে বলে বায়না ধরেছে। ঘরের ফোনটাও ডেড।

    রিসেপশনও ডেড-আমি বলি। বহুকাল আগে মৃত। কাঠমড়া। রাইগর মর্টিস।
  • hu | 12.34.246.72 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৩৪466467
  • মানুষে এমন লেখা লিখতে পারে! কিছুতেই না।
  • Nina | 68.84.239.41 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৪৫466468
  • আসার কথ নয় আজ এপাড়ায়, তবু এই টানেই এসেছিলাম----আসা সার্থক হল! ভষাহারা মুগ্‌ধতা রেখে গেলাম!
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৫৬466469
  • আবছায়া চেনা, এই গত মে মাসে আমো গেছলুম ঐ পথে, হাঁপিয়ে চড়েছিলাম সোনাঝুরির টিলা-কটেজ পর্যন্ত (সেখেনে থাকিনি অবশ্য, ছিলুম পিয়ারলেসের বাড়িতে, ড্যামের ধারে)। ডাক্তারের মুকুতামণির মালা ছুঁয়ে নতুন করে ফিরে গেলুম সে জায়গায়।

    পরের কিস্তি?
  • Samik | 155.136.80.174 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১০ ০৮:৫৫466470
  • সসঙ্কোচে জানাই আজ, একবার মুগ্‌ধ হতে চাই ...
  • Nina | 68.84.239.41 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:১৮466471
  • :)
  • kumudini | 59.178.149.169 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:৫৩466472
  • অসাধারণ,অপূর্ব,অনির্বচনীয়,বড়াইবাবু।

    দেশ ইত্যাদির অখদ্যে লেখাগুলো পড়ে পড়ে কেমন ঝিমিয়ে পড়েছিলাম,আপনাদের লেখাগুলো পড়ে প্রাণটা বাঁচল।

    তবে,আমি কিন্তু আপনার টই লোপাট করি নাই।
  • Samik | 155.136.80.174 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১০ ১৫:৩০466473
  • অপ্রসঙ্গত, দীর্ঘ কত বছরের জানি না, অভ্যেস ত্যাগ করেছি গত অক্টোবর থেকে।

    আর দেশ নিইও না, পড়িও না।
  • raatri | 59.93.218.68 | ২৪ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:০৮466474
  • ট্রেনের সেই ভদ্রলোকের দুটো প্রশ্ন এই মুহুর্তে মনে পড়ছে,লিখে দিই?-Among your father and mother,who loves u very much? আর Do u fond of music? এর পরে খুশীর মুখটা না দেখলে অবশ্য মজাটা পুরো পাওয়া যাবে না।
  • santanu | 82.112.6.2 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:৫২466475
  • ভেসে থাক, please
  • Bratin | 117.194.99.218 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:১৮466477
  • ইন্দো দা, খুব উপভোগ করছি তোমার লেখা। লাস্ট জুনে অফিস থেকে আমরা ও গিয়েছিলাম জনা তিরিশ। আমার স্ত্রী অবশ্য ছিল সঙ্গে। দারুন জায়গা। সুন্দর বেলাভূমি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন