এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মুকুটমণিপুর এবং

    I
    অন্যান্য | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ | ২৯৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kd | 59.93.193.15 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৩৭466478
  • আরিব্বাস: মুকুতমণিপুর কোন্নগরের কাছে? বেলাভূমি বলছে যে!
  • kumudini | 122.162.148.170 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১৬:৫৩466479
  • ভাব সম্প্রসারণ কর(২০০ শব্দের মধ্যে)
    "আমার স্ত্রী অবশ্য সঙ্গে ছিল"।
    নম্বর--২০
  • Bratin | 117.194.98.235 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১৭:৩৫466480
  • আরে, অনেকের ধারণা স্ত্রী সঙ্গে থাকলে তেমন enjoy করা যায় না। আর অফিসের সবার সাথে গেছি তাই স্ত্রী হয়তো নেই । সেই সব লোকেদের জন্যে এই লাইন টা। ক্ষমা প্রার্থনীয় :-))
  • kumudini | 122.162.148.170 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১৭:৩৯466481
  • নাম: ব্রতীন

    প্রাপ্ত নম্বর: ৪/২০
  • Bratin | 117.194.98.235 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১৭:৫১466482
  • ভারী কিপ্টে তুমি। আরেক টু নম্বর দিলে হত না :-))
  • Sibu | 70.7.26.82 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১৮:২২466483
  • আম্মো ভাব সম্প্রসারণ করব।

    আপিসের লোকেদের সাথে খুব ভাব ছিল। কেন না তাদের সাথে রোজই আড্ডা মারি। কিন্তু মুকুটমনিপুরের জলের গুনে সেই ভাব স্ত্রী পর্য্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছিল। বেড়ানোর ক'দিন একদম ঝগড়া হয় নি। এমনকি একজন ল্যাপিওয়ালা ভন্ড সন্ন্যাসীর সাথেও অনেক্ষণ গল্প করলাম। কাঠবিড়ালীদের সাথে অবিশ্যি সবসময়েই ভাব। কিন্তু সেটা কাবাবের গুনে।

    ইন্দো, সরি। তোমার সিরিয়াস আর চমৎকার লেখার মধ্যে ফক্কুড়ি করে গেলাম।
  • kumudini | 122.162.148.170 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১৮:২৪466484
  • বড়াই,আজ আবার পাটিসাপটা বানিয়েছি,আপনার জন্য রেখে গেলাম,কেননা ঐ অবিশ্বাস্য বর্ণনা---
  • I | 14.99.11.102 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৪১466485
  • রাতে কিন্তু ছেলে একদম ফিট। দেখে কে বলবে, এই কিছুক্ষণ আগেই গা মুচড়ে মুচড়ে অমনি ইনিয়েবিনিয়ে কেঁদেছে । খুশিদিদি'র সঙ্গে জোর একচোট আড্ডা হল, খুশিদিদি'র বাবা-মা'র সঙ্গে উজানদাদা'র বাবা-মায়ের আড্ডা হল, আবার সদলবলে একদফা বেড়াতে বেরোনো হল, এবার যদিও টর্চসহযোগে মেলোড্রামারহিত একটি নিরীহ ছাপোষা সান্ধ্যভ্রমণ। অবশ্য যদি না টর্চের অধিকার নিয়ে খুশিদিদি ও উজানদাদা'র কিঞ্চিৎ মনোমালিন্যকে মেলোড্রামার লিস্টির মধ্যে না ঢোকানো হয়।

    খেয়েদেয়ে শুতে গেলাম ছেঁড়া মশারি টাঙিয়ে; তখনো জানিনা কাল কী হবে, বেড়ানো একবেলা কি দেড়দিন এগিয়ে নেবো না দুদিন পিছিয়ে দেবো। গেস্ট হাউজের লোকেদের সঙ্গে যত কথা বলি, তত বিভ্রান্ত হই-কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারে না তো বটেই, উল্টে এক এক সময়ে এক এক রকম কথা বলে। আর আমার মনে হয়, যেন পান্ডববর্জিত এই জায়গা, অন্তত: সূর্য ডোবার পরে তো বটেই;গোটা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন। এখানে কি খবরের কাগজ আসে? টিভি চলে? রেডিও? এলাকাটি যেন মারক ভার্টাইগো রোগে টলছে; হাটের একটা লোক যদি মুখ ফুটে "বনধ'শব্দ উচ্চারণ করে বসে, মুহূর্তে সেটাই ইথারে ইথারে কান থেকে কানে নীরবতায় নীরবতায় বন-আগুনের মত ছড়িয়ে পরে। কেউ কিছু জানতে চায় না আর, যাচাই করে না, শোনে না, শুনতে চায়ও না অন্য কিছু। বসন্তের দাগ -লাগা মুখ, খয়েরের দাগ-লাগা ঠোঁট বলে -একটাও লোক্যাল গাড়ি চলবে না। বাসটাস ত চলবেই না। ভয়? না রিফ্লেক্স? ভয়জনিত রিফ্লেক্স ! ভয় কি এইথানের আদি দেবতা টাঁড়বাড়ো? ছিন্নমস্তক কবন্ধ?

    রাতে শুতে যাই গপ্পের বই পাশে নিয়ে। আর, এক লাইনও না পড়ে বালিশের পাশে বই রেখে ঘুমিয়ে পড়ি লাইট নিভিয়ে।
  • I | 14.99.11.102 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:১৫466486
  • পরদিন সকালে একটা প্ল্যান ছিল সূর্য ওঠার সাথে সাথে বেরোব ক্যামেরা কাঁধে ঝুলিয়ে। উঠেওছিলাম সাড়ে পাঁচটা নাগাদ, আলো ক্রমে আসিতেছে তখন। কিন্তু ঠান্ডার অ্যায়সা একখানা ঝাপ্পড় খেলাম যে পেটের কমলকুমার পেটেই থেকে গেল, নভোমন্ডলের মুকুতাফলের হিম কোনোক্রমে দাঁতে কামড়ে আবার কম্বলের তলায় আশ্রয়গ্রহণ। শেষমেষ ওঠা গেল সাতটা নাগাদ, দিব্যি আলো ফুটফুট করছে তখন, কিন্তু ঠান্ডার কামড় বেশ জোরালো তখনো। আশ্চর্য! সিমলা গেছি, শিলং গেছি, সিকিম, দার্জিলিং-সর্বত্রই তো ভোরে বেড়িয়েছি,এরকম তো হয় নি কখনো ! শেষে কাবু করল কিনা বাঁকড়োর শীতে! না:, কাল থেকে অ্যান্টিএজিং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট না খেলেই নয়।

    যাওয়া বলতে মেন রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকা। তখনো আমি জানিনা কংসাবতী জলাধার কোনদিকে; তবে ধরন দেখে অনুমান হচ্ছিল ডাইনে মোড়া রাস্তাই গেছে ব্যারেজের দিকে--দোকানপাট সব ঐদিকেই এবং তাদের পেছনটা ফাঁকা,কেমন একটা নদী নদী ভাব।
    কিন্তু আমার মন টেনেছে গতকাল আসার সময় বিরিজের (আহা, আমার বিরিজ শব্দটি বড় ভালো লাগে) নীচে পাথুরে রিভারবেড। ঐখানে কংসাবতী শুয়ে আছে। কিম্বা জানিনা সে ঐখানে শুয়ে আছে কিনা। কেননা বিস্তারহীন জল,জলহীন পাথর,উঁচু-নীচু হাঁ-করা পাথর,যেন নদীর বুক খুবলেছে কোন অবৈধ।

    হাঁটতে হাঁটতে দেখি গ্রামের চোখ, গ্রামের মুখ; বাসি মুখ জল খুঁজছে,চোখে রাতজাগা ছাপ; পায়ের দল হনহনিয়ে খুঁজছে সুলভ শৌচাগার। পিকনিক পার্টি। সারারাত জেগে বাসে করে এসেছে। এখন বেরিয়েছে দাঁতন করতে, মুখ ধুতে , পেট পরিষ্কার করতে। কেউ চুলা বানিয়ে আগুনের যোগাড়যন্তরে ব্যস্ত।

    বিরিজের ওপর এসে দাঁড়াই। ঐ নীচে পাথুরে রিভারবেডে কারা সব ঘুরে বেড়াচ্ছে, ছবিটবি তুলছে। নিশ্চয়ই কোনো একটা রাস্তা আছে তাহলে নীচে যাবার। খুঁজতে খুঁজতে পেয়েও যাই সে রাস্তা, নদীর বুকের মধ্যে নেমে গেছে সে বিপথ, খাড়া একদম। কোনোক্রমে নামি ; যদিও কাজটা বেশ খারাপ হয়েছিল সন্দেহ নেই, কেননা পায়ে তখনো হাওয়াই চটি, আর ওদিকে রাতের হিম পেয়ে স্লিপারি পাথর; একবার পড়লে আর দেখতে হত না।
  • I | 14.99.11.102 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:৩৮466488
  • মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে ইতি-উতি, গলায় মাফলার, কানে মাফলার, মুখে বিড়ি, মুখে আঞ্চলিক টান। বাচ্চা মেয়েকে পাথরে বসিয়ে ছবি তুলছে কেউ, কেউ অমুক প্লাস তমুক(নীচে লাভ সাইন)-এর মজা নিতে ব্যস্ত, কেউ বড়োসড়ো পাথর খুঁজছে মনোমত, কেননা " হেগে লিয়েই পালিয়ে আসবো'। এমন সময়ে হঠাৎই আমার চোখে পড়ে যায় একটি খড়ের কাঠামো, মুণ্ডহীন। কিছুটা বাঁকা, ঘাড় ঘোড়ানো যেন, হাত- পা মুচড়ে মুচড়ে ভাঙ্গা, হাতে-পায়ে সাদা কাপড় জড়ানো। বহুদিন আগে ভরা নদীতে ভাসতে ভাসতে সে এই পাথরে এসে ঠেকেছে; তারপর জল শুকিয়েছে, স্রোত কমেছে, সে এই পাথরের মায়ায় পাথরেই আটকে রয়েছে। গা থেকে মাটি ঝরে গেছে, মুকুট খসে গেছে ,রয়ে গেছে শুধু খড়ের কাঠামো, হাত-পায়ের সাদা কাপড়। বস্তুত: সে এক কবন্ধ, লিঙ্গচিহ্নহীন। ভীতিপ্রদ। করুণ। আমার দিকে তাকিয়ে সে তার কবন্ধহাসিকে যথাসম্ভব মলিন করে বলছে-ভরার সময় এল্যে না বাপ ! এখন শুধু পাথর।
    ভোরের আলো এসে পড়ছে ঐ মুকুটহীন মুকুটমণিপুর কবন্ধের মোচড়ানো খড়দেহে। তার চারিদিকে মহাপুরুষের উক্তি কোলাহল করে। নেচে বেড়ায় ফ্যা ফ্যা ট্যুরিস্ট। হেগো ট্যুরিস্ট। শহরের বাবু ট্যুরিস্ট। ড্যাঞ্চি ট্যুরিস্ট।
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১০ ১৮:৪৩466489
  • ডাক্তারের লেখা পড়লেই আমার মনের কলটা বেতালা হয়ে যায়। ম্যাপগুলো সব গুলিয়ে গিয়ে একাকার হয়ে যায়। মুকুটমণির বিরিজ, আসম-অরুণাচলের বর্ডারে সুবনশিরির ওপরের ঝিরঝিরে বৃষ্টিভেজা বিরিজ, বোলপুরের পথে ভেদেয় অজয় নদের ওপরের রোদঢালা বিরিজ আর চেরাপুঞ্জির পথে কুয়াশায় ঢাকা নাম-ভুলে যাওয়া বিরিজ -- সব একসঙ্গে ভিড় করে দৌড়ে এল মাথার ভেতরে।
  • Samik | 155.136.80.174 | ২৭ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:৪০466490
  • কখনো যাই নাই সেদিকে। আমার দৌড় বিষ্ণুপুর পর্যন্ত। তাও সে এত ছোটোবেলায় যাওয়া, বিশেষ মনে নেই। ...

    আবার কি যাওয়া হবে? ...
  • I | 14.96.130.10 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:৫৭466491
  • ঘড়িতে দেখি সওয়া আটটা। আমাদের গাড়ি আসবে ৯'টার সময়ে, এরই মধ্যে ফিরে তৈরী হওয়া , ইমপর্ট্যান্ট সব ডিসিশন নেওয়া-মুকুটমণিপুর ছেড়ে লক-স্টক-ব্যরেল বের হয়ে যাবো কিনা ঠিক করা। হনহনিয়ে হাঁটি। এরই মধ্যে দেখে নিতে ভুলি না খেজুরগাছের তলায় মস্ত বড় চৌকোমত ডেকচিতে খেজুর রস বসিয়ে জ্বাল দিচ্ছে কালোকোলো মানুষ। ধোঁয়া উঠছে খেজুর রস থেকে। মানুষজন খেজুরগুড়ের দরদাম করছে; আমার সময় নেই।

    গেস্ট হাউজে পৌঁছে দেখি আরেক কান্ড। সকালের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের লজপালকদের হারানো মনোবল ফিরে এসেছে; কী চেহারা সব স্যাঙাৎদের! সব হাঁইহুঁই করে এই উঁচুউঁচু লাফ মারছে। এক স্যাঙাৎ আবার সবচেয়ে সরেস (কাল এঁকে দেখিনি), বলছে-বনধ আবার কি? রোজ রোজ বনধ ডাকলেই হল? আপনাদের কিচ্ছু হবে না, এই আমি এক্ষুনি গাড়ির বন্দোবস্ত করে দিচ্ছি।
    হুট বলতেই সাগ্রিদগণ অমনি একে-ওকে-তাকে ফোন লাগাতে শুরু করল; আমরা তো থ !
    কি করি না করি ভাবতে ভাবতে দেখি ওপর থেকে আমাদের মাস্টর নামছে। অরুণ তো তাকে পাকড়াও করে অ্যাব্বড় কলকাত্তাই বোলচাল ঝাড়তে শুরু করেছে-ও মাস্টর, এরা ত বলছে কিচ্ছু হবে না; বলছে সকাল-বিকেল বনধ ডাকলেই হল?
    মাস্টর তেমনি নির্বিকার-বলেছে বুঝি ? তাইলে হবে না; বলেছে যখন , হবে না তাইলে।
    অরুণ-কিছু একটা ফাইন্যাল তো বলুন ! আমরা আপনার এখানে এসে উঠেছি, গেস্ট-ই ত আপনার, নাকি? আমরা কি জানি-বুঝি কিছু, এসব জায়গার? আপনি-ই তো গাইড করবেন আমাদের !

    কথার মারপ্যাঁচে মাস্টারকে কাবু করবে তেমন বাপের ব্যাটা সে নয় মোতেই। উদাস দৃষ্টিতে দূরে তাকিয়ে সে বলে-সে তো বটেই।
    আরো খানিকক্ষণ এইরকম বাঁজা কথাবার্তা চালিয়ে অরুণ শেষে একসময় হাল ছেড়ে দেয়।
  • I | 14.96.130.10 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:১১466492
  • নীচে রিসেপশন থেকে হাঁক আসে-এই যে, চলে আসুন কালকের গাড়ি যোগাড় হয়ে গেছে।
    গিয়ে দেখি মাফলার জড়ানো টাকমাথা এক ভদ্রলোক, মনে করুন নাম স্বপনবাবু। বললেন-হাঁ হাঁ, কোনো অসুবিধে লাই। লিয়ে যাবো বাঁকুড়া !
    আমি-আপনার নাম আর ফোন নম্বরটা দিন তাহলে!
    স্বপন-লিখুন , নাম স্বপন। ফোন নম্বর-----অ:, এই দ্যাখেন, মস্ত ভুল হয়ে গেছে। কিচ্ছু মনে থাকে না আজকাল।কাল আমার পশ্চিম মেদিনীপুর যাওয়া আছে। আপনাদের লিয়ে যাওয়া হবে না।
    আবার ফোন। একে-ওকে-তাকে। কেউ বলে সে বনধের খবর রাখে না। কালকে জেনে তবে বলবে। কেউ বলে-বনধের খবর জানা নাই, তবে বনধ থাকলে বেরোবে না। এদিকে ওস্তাদরাও টাকার গন্ধ পেয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে; যেকোনো উপায়ে গাড়ি একটা যোগাড় করে দেবেই তারা।

    কাঁহাতক আর দোটানার মধ্যে থাকা যায় ! মায়া না বাড়িয়ে শেষমেষ ঠিক করে ফেলি আজকেই বিষ্ণুপুর চলে যাবো ঘর ছেড়ে দিয়ে, সে বনধ থাকুক আর নাই থাকুক। কাল সকালের পুরুলিয়া এক্সপ্রেসে হাওড়া। হায়, আমার এত কষ্টে কাটা আরণ্যকের রিজার্ভেশন। হায়, একদিনের হোটেল ভাড়া! হায় মুকুটমণিপুর ! কংসাবতী জলাধার ! আমি তো তা-ও এক চক্কর মেরে এসেছি, সঙ্গীতা তো কাল দুপুরে এল, খেয়ে-দেয়ে ঘুম লাগাল, সকালে উঠেই টা টা।
  • I | 14.96.130.10 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:২৪466493
  • চললাম তবে বিষ্ণুপুর। যাওয়ার আগে শেষ বিদায়ের মত কংসাবতী ব্যারেজের শুরুর কাছে এসে দাঁড়ানো হল; তাও অরুণ বলেছিল বলে। মুহ্যমান আমাদের তো মনেও ছিল না।
    সে রাস্তায় একের পর এক দোকান। কাল দেখেছিলাম বন্ধ। আজ জেগে উঠেছে। সব দোকানেই সেই একই মাটির প্যাঁচা, ছোট ও বড় ঘোড়া, এবং আরো কত টেরাকোটা বস্তু। ব্যারেজের রাস্তায় এক জায়গায় গেট ফেলা। গাড়ি আর যাবে না। বেশ কিছু সাইকেল ভ্যান দাঁড়িয়ে আছে সেখানে। যাত্রীর আশায় চঞ্চল হয়ে ওঠে তারা। চলেন, চলেন , মোহনা কুড়ি টাকা।
    দূরে দেখি সুনীল কংসাবতীর বিস্তার। ঐখানে কোথাও কুমারী এসে মিলেছে কংসাবতীর সঙ্গে। নীচে ঢালু গড়িয়ে গেছে নদীর চর। তাতে পুতুল-সাইজের মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে, হাঁড়ি-কড়াই ধোয়া-পাখলা করছে। একটু পরেই উনুন ধরাবে। আমার অজয়ের কথা মনে পড়ে যায় শান্তিনিকেতন যাওয়ার পথে। কেঁদুলী-মেলার বর্ণনা চোখে ভাসে। না:, একবার আসতেই হবে জয়দেবে।
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৩২466494
  • জয় গুরু! তারপর?
  • I | 14.96.130.10 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৩৬466495
  • বিষ্ণুপুরের রাস্তা ভালো না। সরু, এবড়ো খেবড়ো, ঝাঁইঝম্প রাস্তা। কিছুদূর যেতেই টুংকাই আর খুশী কাত। ঘুমে। একটু বোরিং লাগে, পরম মমতায় মার্কেজের বইখানাতে হাত বোলাই। ব্যাটা আজ মোক্ষম বাঁচা বেঁচেছে। আরেকটু হলেই হারিয়ে যাচ্ছিল। শেষবেলায় বাধ্য মেষশিশু'র মত ভালোয় ভালোয় মালিকের কাছে ফিরেছে।

    ব্যাপারখানা এই : আমি তো রেডি হয়ে বেড়িয়েছি, বাঁধাছাঁদা কমপ্লিট করে। সঙ্গীতা বাথরুম থেকে বললো-এই যে, একবার চেক করে নাও , সব নেওয়া হল কিনা। আমিও সব কটা দেরাজ টেনে, সব টেবিলের ওপর, টেবিলের তলা হাতড়ে নিশ্চিন্ত হয়ে চাবি নিয়ে ( হুঁ, সঙ্গীতা বাথরুম থেকে বেরোনোর পরে) ওপরওলা'র কাছে জমা দিইছি। ওপরওলা এক ব্যাটা মাতব্বরকে ধরিয়ে দিয়েছে ঘর রিচেক করবার জন্য।
    গাড়ির গায়ে ঠেসান দিয়ে রোদ পোয়াচ্ছি আর কার জন্য যেন ওয়েট করছি, মাতব্বর দাঁত কেলিয়ে বেরিয়ে এসে বলল-এই বই দুটা ফেল্যে যাচ্ছেন। দেখি আমার সাধের মার্কেজ।

    সেই যে, আগের কিস্তিতে লিখেছিলাম, বই পাশে নিয়ে শুয়েছিলাম ? দ্যুৎ, আপনাদের কিস্যু মনে থাকে না !
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৪৫466496
  • এই জন্যেই বলে বই পাশে নিয়ে ঘুমোতে নেই
  • I | 14.96.130.10 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০১:০৭466497
  • গাড়ি চলে, চলে রে। খাতড়া শহর দেখি ভারি টাউন, বাজারের মধ্যে দিয়ে সরু রাস্তা, ভ্যান নাই,রিস্‌কা চলে । বাজারে টমেটো বিকোচ্ছে, মূলো-বাঁধাকপি-মাছ-মচ্ছি। স্টেট ব্যাংকের এটিএম। কোতোয়ালি। কৃষিদপ্তর। শহর ছাড়িয়ে একসময় রাস্তা গাঁ-গেরামে এসে পড়ে।

    দেখি, গাঁয়ের ডোবায় মেয়ে-মদ্দ চান করছে। মোষে জল খাচ্ছে। আবার সেই সৎসঙ্গী আছরম। মুরগী -ওড়ানো গাড়ি। পথের পাশে মাইলফলক : হাড়মাসড়া গ্রাম -তিন কিমি।
    আমার বেশ আহ্লাদ হয় হাড়মাসড়া শব্দখানি পেয়ে। বেশ একটা তান্ত্রিক ভাপ লাগে হৃদকমলে। যেন শ্মশানমশানের বাঁকুড়া, প্রোটো-অস্ট্রালয়েড প্রোটো-দ্রাবিড়িয় আদিজ-ভূমিজ বাঁকুড়া। শীর্ণা কংকালী দেবী। বর্গভীমা জাগে মনে- কেন জাগে কে জানে; দেখি ত নি, আর সে হল মেদিনীপুর। তবে কিনা জাগলে ঠেকায় কে?

    টিলার একধারে বর্গভীমার মন্দির।
    চারপাশে বৈদিক সংস্কৃতে কথা বলছে হাওয়া
    "দাও' "দাও'
    কিলবিল করে উঠছে হাজার নীল আঙুল------

    ----সেই প্রকৃত শাক্ত রাতে
    উলু আর জোকারে যখন দশ গাঁ অন্ধকার,
    রোগা হাবা খর্বুটে মানুষ
    টিলার একধারে বর্গভীমাকে পেয়ে
    চীৎকার করে উঠেছিল "দাও', "দাও'
    গুড় মহুয়ায় হলুদ তাদের চোখ
    দশ আঙুল দশটি ফুল,
    পঞ্চমুখী জবার বদলে
    তালুর রেকাবিতে সদ্যছেঁড়া ছটফটে কলজে,
    গলায় নশ্বরতার গান,
    তাদেরই বুকের রক্তে ডাঁটো মহাদেবী
    তখন কান ফিরিয়ে বসেছিলেন
    কারণ
    তাঁর চারপাশে শুধু অনর্গল
    বৈদিক সংস্কৃতে কথা বলছিল
    হাওয়া।
  • Shibanshu | 59.96.99.9 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:২৭466499
  • গদ্য পদ্য দুইয়েরই জবাব নেই।
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ ১৮:৫৯466500
  • আমি আগেই বলেচি, ডাগদার মানুষ নয়
  • I | 59.93.219.237 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:০৬466501
  • এহেহে, বড় ভুল হয়ে গেছে। পদ্য অমিতাভ দাশগুপ্তের।
  • dd | 124.247.203.12 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১০ ০৮:৪৮466502
  • অমিতাভো দাশগুপ্তো ও এক্কেবারে অমানুষ।
  • siki | 155.136.80.174 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:৫০466503
  • দাদা, আট্টু এগোবে না আজ? অনেকদিন ভুখা আছি ..
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৮:২৯466504
  • ঠিক ঠিক
  • paakhi | 72.94.182.10 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:২১466505
  • ডিটো
  • I | 14.99.9.122 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ০০:১৮466506
  • যানচিন্তা-স্থানচিন্তায় এতক্ষণ বিষ্ণুপুর ভুলে ছিলাম।এবার জেগে উঠে বললাম, হ্যাঁ গো ড্রাইভার সাহেব, বিষ্ণুপুরে আমরা কী কী দেখবো তবে? লিস্টি ধরে দাও দিকিন!
    ড্রাইভার একটি ছোকড়া মত মাটির ছেলে; কথা কয় না, তার আস্য-হাইস্য কিছু নাই। "সায়েব' উপাধিপ্রাপ্তিতেও তিলমাত্র বিচলিত না হয়ে সে বলল-সি ত জানি না !
    আমরা যাকে বলে পপার চ মমার চ। কিন্তু সেই যে শোঁপোকা অ্যালিসকে বলেছিল-তুমি লম্বায় কতখানি গা, মেয়ে? হাইট মেপ্যে দেখেসো? আর অ্যালিস কিনা বলেছিল-মহোদয়, আজ সকাল থেকে এতবার লম্বা আর বেঁটে হতে হয়েছে, যে এখন আর আমার নিজের হাইট কিস্যু মনে নেই। আর বাংলাভাষাতেও যে বলেছে, আমি কি ডরাই সখী বারিবিন্দুপাতে, সমুদ্দুরে শয়ান যার ইত্যাদি ! অতএব আমরাও মোটামুটি অবিচলিত থেকে জেরা চালিয়ে গেলাম, যাকে বলে ইন্টারোগেশন। জেরায় জেরায় বিদ্ধ করে কালো সায়েবের কাছ থেকে যা উদ্ধার করা গেল তা এইরূপ : সে বিষ্ণুপুর পৌঁছতে জানে, কিন্তু সেই মন্দিরনগরীর টেরাকোটাব্যুহ ভেদ করার শিক্ষা তার আয়ত্ত নয়; সে ইতিহাস তেমন পছন্দ করে না, ইস্কুলেও করত না। আর এত কম পহায় গাইড কাম ড্রাইভার এই রাঢ় মুল্লুকে পাওয়া যায় না, ই কি মগের মুল্লুক পেইচেন?
    না , মিথ্যে কইব কেন, এসব কথা সে মোট্টে বলে নি। মূলে সে কথাই বলে না। তবে বিষ্ণুপুর চেনে না , এটা সত্যি। চেনে না বলতে ঐ আর কি। রাস্তাটুকু চেনে। পৌঁছে দিতে পারবে। এবার, বাকিটা তোমরা চরে খাওগে।

  • I | 14.99.9.122 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ০০:৪৫466507
  • মনে পড়ে গেল মানালী ভ্রমণকথা। সবে ডাগদারীর প্রথম পাশ দিয়েছি তখন, তিন বন্ধু মিলে দিল্লী নগরী ছেড়ে বাসবিহারী হয়ে মানালি যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে যানবিভ্রাট,দিল্লী ছেড়ে কিছুদূর গিয়ে বাস দাঁড়িয়ে গেল। ঘন্টাখানেক বাদে জানা গেল সে বাস অনিরাময়যোগ্যভাবে জখম, আর একটা নতুন বাস না এলে কিছুতেই আর এক টায়ারও যাওয়া যাবে না। তখন মাঝরাত, শুনশান হাইওয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে আছি এতগুলো বুড়োধাড়ি-ল্যান্ডাবাচ্চা, ডাকাতে খায় কি শ্যালকুকুরে টেনে নিয়ে যায়;আস্তে আস্তে ভোরের আলো ফুটলে দেখতে পেলাম জায়গাটির নাম কুরুক্ষেত্তর। আজ্ঞে হ্যাঁ মশাই, এক বিন্দু মস্করা করছি না।
    সে রেসকিউবাস এল দুকুর তিনটের সময়। কিঞ্চিৎ বিলম্বিতগতি, গাড়ি পাহাড়ে উঠলে মাঝেমধ্যেই ড্রাইভার লোকজন পেলে কিসব যেন ডেকে শুধোয়। গতিক ভালো নয়; চেপে ধরে জানা গেল, ড্রাইভার এ লাইনে লতুন, জম্মে সে কখনও মানালী আসে নি। তার খোঁড়া খালাসী একবার এয়েছেন বটে, তবে সে হল গে বহুযুগের ওপারের কতা। ড্রাইভার কিন্তু দিব্য অবিচলিত, ভরসা দিয়ে বল্ল-হাঁ হাঁ, পঁহুচ যায়েঙ্গে, জরুর পঁহুচ যায়েঙ্গে। বলে কিনা পঙ্গু লঙ্ঘয়তে গিরিম ! আর এ তো লিটার‌্যালি পঙ্গু খালাসি কাম ন্যাভিগেটর।

    তাপ্পরে সেই ঘনতমসাবৃতাম্বরধরণীমাঝারে অবিচল হিমাচলের ঘন ঘন হেয়ারপিন নেগোশিয়েট করে কী করে মানালি পৌঁছেছিলাম সে আরেক গপ্প। মনে হয় ঐ ড্রাইভার সেই বৃদ্ধ শিখ ড্রাইভারের লাতি-প্রলাতি লাগেন,যিনি মুজতবা আলি সায়েবকে খাইবার পাস পাশ করিয়েছিলেন চোখে আলোকনিবার ফেট্টি বেঁধে।
  • I | 14.99.9.122 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ০১:৩৪466508
  • কিন্তু কথাটা তুলনামূলক ড্রাইভারতত্ব নিয়ে নয়, কথা হচ্ছে মনোবল নিয়ে। অতএব আমরা সাহস অবলম্বন করিলাম, নারীগণ কোমরে আঁচল ও পুংগণ চর্মজাত কোমরবন্ধ কষিয়া বিষ্ণুপুরের সামনা করিলাম।

    দেখিলাম, হর্ম্যরাজি। সুদৃশ্য, কুদৃশ্য; কিন্তু সকলি নবীন, সকলি অর্বাচীন। পথিমধ্যে ধূলিমলিন পথকুক্কুর,শৌখীন যুবা, সাইকেলগতি তরুণী; পথিপার্শ্বে মক্ষিকা-অধ্যুষিত মিষ্টান্নভান্ডার, পার্ক হোটেল, চৈনিক যুসবিপণী, এক্ষণে রুদ্ধ; বলিরেখাচিহ্নিত বৃদ্ধ, প্রাচীন, কিন্তু মল্লরাজগণের সমসাময়িক নহেন।

    মস্তকোপরি সাঁই সাঁই শব্দ শুনিয়া চমকিত হইলাম; দেখিলাম পরিযায়ী হংসের একটি দল উড্ডীয়মান, মনুষ্যের যৎপরোনাস্তি নিকটে আসিয়াও তাহারা বিন্দুমাত্র ভীত নহে। প্রশ্ন করিলাম, হে হংসদল ! কোথা হইতে আসিয়াছ, কোথায় যাইবে? আমার ঈদৃশ দার্শনিক প্রশ্নটিকে কলকাকলিতে নিমজ্জিত করিয়া তাহারা পথিমধ্যস্থ ধূলিমলিন কুক্কুরটিকে কলরব করিয়া জিজ্ঞাসা করিল -ছপ্পড়টা কার ? ছপ্পড়টা কার?

    কুত্তা সবিশেষ ক্রুদ্ধ ও সাতিশয় বিরক্ত হইয়া বলিল-ছপ্পড়! বলি , ছপ্পড়টা কোথায় দেখলে শুনি? দেখছো না রাসমঞ্চ, দলমাদল কামান, ছিন্নমস্তা মন্দির, জোড়বাংলো, পাথর দরওয়াজা, গুমঘর,শ্যামরাই মন্দির? শুনছো না লালবাঈ পান মুখে পুরে গুনগুন করে তান ধরেছেন, রাজা রঘুনাথ হুঁ হুঁ করে তাল দিচ্ছেন? বলি চোখে যাচ্ছে না, বীর হাম্বীর হেঁইও হো হেঁইও হো বলে গুণে গুণে হাজারটা ডনবৈঠক মারছেন? ডাকবো, মদনগোপালকে? কামানটে আকাশের দিকে ঘুরিয়ে গুড়ুম করে একখানা জব্বর তোপ দেগে দেবেখন, হয়ে যাবে কেল্লা ফতে , হ্যাঁ !

    হংসরাজি সমধিক উল্লসিত হইয়া উত্তর করিল- আরে মূর্খ, তোর রাজামশায়ের খবর কে জানতে চেয়েছে বল দিকিনি! আরে ঐ মন্দিরটন্দিরের আশপাশে এখানে-সেখানে যত্রতত্র হাজারটে বাড়িঘরদোর, হোটেল-বাজার, যেখেনে-সেখেনে বালুচরী-মাটির ঘোড়া-শাঁখের পুতুলের দোকান কে কল্লে শুনি! হ্যাঁ রে গাধা, কোথাও তো একরত্তি ফাঁক রাখিস নি, সর্বত্তর এইসব ঘুপচি ঘরগুমটি,তেলেভাজা-পানবিড়ির দোকান ফেঁদে-আর সিনেমার রদ্দি গান লাউডস্পিকারে বাজিয়ে কাল যাবে ভেবেছিস!
  • achintyarup | 59.93.254.9 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ০৪:০০466510
  • ফের! বিষ্ণুপুরে ফিরে গেলুম আবার।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন