এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • একটি রেলযাত্রার গল্প

    achintyarup ray
    অন্যান্য | ২৬ এপ্রিল ২০১১ | ৭৫৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • achintyarup | 59.93.245.15 | ২৬ এপ্রিল ২০১১ ০৫:২৩470249
  • গুলি চলতে শুরু করলেই দুটো হাত মাথার ওপর রেখে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়বি, কলকাতা থেকেই বলে দিয়েছিল বিশেষজ্ঞ বন্ধু। ওদিকে গৌহাটি আপিসে পৌঁছনোর পর সেখানাকার এক সহকর্মী বললেন, আমাদের তো একটা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট আছে, দেখো নিয়ে যাবে কিনা। কিন্তু সে বড্ড ভারি, জগঝম্প টাইপের। কি দরকার রে বাবা, তারপর গরমে ঘেমে নেয়ে একসা হব। আর জ্যাকেটে তো আর মাথা ঢাকবে না। তার চেয়ে টি-শার্টই ভালো। এইসব নির্ভীক বক্তব্য রেখে লামডিং-এর ট্রেনে যখন চেপে বসলাম প্রচণ্ড সাহসে তখন হাত-পা পেটের ভেতর সেঁধিয়ে যাচ্ছে। (লীলা মজুমদার তো বলেইছিলেন, ভয় না পেলে আবার সাহসী কিসের? তাহলে তো বলতে হবে টেবিল-চেয়ারেরও ভীষণ সাহস, ভূত দেখলেও মুচ্ছো যায় না।)

    সে যাগ্গে। কোন ট্রেনে করে লামডিং গিয়েছিলাম মনে পড়ছে না। তবে সে ট্রেন গিয়ে পৌঁছেছিল মাঝরাত্তিরে, সে কথা মনে আছে। মৌসুমী হাওয়া সবে গিয়ে ধাক্কা দিচ্ছে তখন উত্তরপুবের পাহাড়ে। বৃষ্টি নেই, কিন্তু আকাশ গোমড়া, তারা দেখা যায় না। মাঝে মাঝে বাতাস দিচ্ছে বটে, কিন্তু বাকি সময়টা বিদঘুটে গুমোট গরম।

    দাঁড়ালেই মশা কামড়ায়। ফাঁকা প্লাটফর্মে পায়চারি করি, স্টেশনের কল থেকে একটু জল খাই, সিগারেট ধরাই। একটু খিদে খিদেও পাচ্ছে, কিন্তু দোকান টোকান সব বন্ধ।

    মোবাইল ফোনে সিগন্যাল নেই। এদিকে একটা ফোন করার দরকার। এক জায়গায় দেখি অ্যারো দিয়ে লেখা আছে পিসিও। এগিয়ে গিয়ে দেখি ছোট্ট একটা খুপরি বুথ, সেটা তালাবন্ধ। ঠিক কি কাজে এসেছি সেটা বৌকে ছাড়া বাড়িতে কাউকে জানাইনি। ফলে ফোন না পেয়ে আর কেউ চিন্তা করবে না, কিন্তু তাঁকে তো একটা খবর দেওয়া প্রয়োজন। কিছু করার নাই। বড্ড মশা। জল খাই, সিগারেট ধরাই, পায়চারি করি।

    (কি কারণে কে জানে, সে রাত্তিরে সিগন্যাল ছিল না। মোবাইলের সিগন্যাল এসেছিল সকালবেলা। তারপর একের পর এক ফোন পেতে লাগলুম। বৌ বেচারি সারা রাত্তির ঘুমোয়নি, বারবার চেষ্টা করে কানেকশন না পেয়ে আমার অফিসের লোকেদের এবং তাদের বাড়ির লোকেদেরও ফোন করেছে। এবং সক্কাল সক্কাল সিগন্যাল আসতেই তারা সক্কলে আমাকে ফোন করতে শুরু করেছে। যা হোক, তাদের সকলকে পরিস্থিতি বুঝিয়ে শান্ত করা গেল।)
  • achintyarup | 59.93.245.15 | ২৬ এপ্রিল ২০১১ ০৫:৫২470260
  • আমার একটা খুব ভাল অভ্যাস আছে। কখনো কারও কাছ থেকে সাহায্য পেলে পরবর্তীকালে তার নামটা পর্যন্ত মনে রাখতে পারি না। এই যেমন এখন কিছুতেই মনে করতে পারছি না লামডিং স্টেশনের সেই টিকিটবাবুর নাম।

    মাঝরাত্তিরে খালি স্টেশনে ঘুরে বেড়াচ্ছি আর মশা মারছি। টিকিটঘরের পেছনে বসার জায়গাটায় টিউবলাইট জ্বলছে, পাখাও চলছে। কিন্তু সেখানে বসার উপায় নেই। সবগুলো বেঞ্চিই দখল হয়ে গেছে। বেশিরভাগই লম্বা হয়ে ঘুমোচ্ছে, নাক ডাকছে কেউ কেউ। কেউ কেউ বসে বসেই ঢুলছে। খুব ভোরে কোনো ট্রেন আছে বোধ হয়। অগত্যা প্ল্যাটফর্মেই পায়চারি করি। টিকিটবাবু রাতের ডিউটিতে ছিলেন। এরকম উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে অন্ধকারের ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন ব্যাপারটা কি বোঝার জন্যে। তাঁকে বলি হিল কুইন ট্রেন ধরব বলে এসেছি। হাফলং যাব। জিজ্ঞেস করেন বাড়ি কোথায়? কলকাতায়? আরে, আমিও তো কলকাতারই ছেলে। ভাল ফুটবল খেলতাম বলে রেলে চাকরি পেয়েছি। আর হিল কুইন ট্রেন তো সকাল সাড়ে দশটায়। ততক্ষণ প্ল্যাটফর্মেই পায়চারি করবেন নাকি? দাঁড়ান দেখি কি ব্যবস্থা করা যায়।

    ব্যবস্থা মন্দ হল না। যেখানে সারারাত মশার কামড় খেয়ে গরমের মধ্যে খালি স্টেশনে ঘোরাঘুরি করে কাটানোর কথা ছিল, সেখানে শেষ পর্যন্ত কপালে জুটে গেল দিব্বি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অ্যাটাচড বাথ-ওয়ালা ফার্স্টক্লাস বিশ্রাম কক্ষ। বিছানায় ধবধবে চাদর টানটান করে পাতা, বাথরুমে তোয়ালে, কল খুললে জল।

    ভাল করে চানটান করে ঘরের দুখানা পাখা চালিয়ে সবে শুতে যাব, অমনি দরজায় ঠকঠক আওয়াজ। কি আপদ। ঘুমোতে দেবে না নাকি। দরজা খুলতেই আবার টিকিটবাবু। বললেন, কিছু যদি মনে না করেন, কালকে হাফলং-এর ট্রেন ধরার আগে সকালে আমার কোয়ার্টারে দুটি অন্নগ্রহণ করে যাবেন। কিন্তু অত সকালে অন্নগ্রহণ কি করে করব? তাছাড়া আপনার তো নাইট ডিউটি, সকালে ঘুমোবেন না? একটু লাজুক হেসে বললেন এত দূরে থাকি তো, বছরে মাত্র একবার কলকাতা যাওয়া হয়। কলকাতার লোক দেখলে তাই... আসুন না, সঙ্কোচের কিছু নেই। আমার স্ত্রীও খুব খুশি হবে। অনুরোধ ফেরাতে পারি না আর।
  • Nina | 68.84.239.41 | ২৬ এপ্রিল ২০১১ ০৬:২৯470271
  • চিন্টুবাবু গল্প লিখছে দেখলেই আনন্দে আর ভয়ে বুক ধড়ফড় করে----ঠিক মোক্ষম জায়গায় এসে থেমে যাবে ---আর নট নড়ন নট চড়ন নটবরন :-((

  • snehanshu | 67.9.228.150 | ২৬ এপ্রিল ২০১১ ০৮:০৯470282
  • অচিন্ত্য, এক্টা poignant essay নামান দেখি।।। থাম্বেন না
  • lcm | 69.236.179.251 | ২৬ এপ্রিল ২০১১ ০৮:১৫470293
  • অচিন্ত্য মুচমুচে লেখে, আর প্রত্যেক এপিসোডে ঠিক জায়গায় বিরতি টানে। যাতে পরের টার জন্য.... :)
  • achintyarup | 121.241.214.38 | ২৬ এপ্রিল ২০১১ ১৭:৩১470304
  • এটা গল্প নয় কিন্তু, নিয্যস সত্যি ঘটনা। লেখা শেষ হৈলে ছবির লিং দেওয়া যাইবেক
  • Du | 216.110.92.7 | ২৭ এপ্রিল ২০১১ ০০:২৩470312
  • বরাক ভ্যালি একস্প্রেস? এই পাহাড় লাইন এক কখনো না ভোলার ছবি রেখে যায় মনে
  • Lama | 116.202.142.190 | ২৭ এপ্রিল ২০১১ ০৫:৩৭470313
  • ছোট ছোট স্টেশন- হাফলং, জাটিঙ্গা, বিহাড়া, হিলাড়া... আরো কি কি সব। কিছু দূর পর পর টানেল, পাহাড়-টিলা-গাছ। প্ল্যাটফর্ম ছেয়ে থাকে হলুদ রঙের অজানা ফুল।

    ছোট্ট স্টেশনের গা ঘেঁষে পায়ে চলা রাস্তা। টিলার ওপর গাছের তলায় কোন সাহেবের শিশুপুত্রের সমাধি। ট্রেন দেখে হাত নাড়া ছোট চোখ আদিবাসী শিশু।

    অনেকদিন হয়ে গেল।
  • Nina | 68.84.239.41 | ২৭ এপ্রিল ২০১১ ০৫:৪২470314
  • অনেকক্ষ্ণ আসতেই পারিনি, কিন্তু ঠিক জানি টেন সেই একই স্টেশনে থেমে থাকবে ----
  • achintyarup | 59.93.247.236 | ২৮ এপ্রিল ২০১১ ০৫:৩৫470250
  • ঘুম খুব গভীর হয় না। মাঝে মাঝেই ঝড়াড়ং ঝড়াড়ং করে এত মালগাড়ি কোথা থেকে কোথায় যায় বোঝা যায় না। আধো ঘুমে মনে পড়ে আজ রাতে আপিসের পার্টি ছিল -- তামাক কোম্পানির হোটেলে। নাচানাচির জন্য টানাটানির হাত থেকে বেঁচে গেছি। ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ ঠকাঠক করে আমাকে শুদ্ধই নাচতে আরম্ভ করে রেলের বিশ্রাম কক্ষের লোহার খাট। আধ মুহূর্ত সময় লাগে ব্যাপারটা বুঝতে, তারপরেই দৌড়ে গিয়ে দরজার ছিটকিনি খুলি, সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকি আবার যদি ভূকম্প শুরু হয় এখান থেকে প্ল্যাটফর্মে লাফ মারাটা সমীচিন হবে কি না। অপেক্ষা করি খানিক। ধরিত্রী শান্ত। আমার দুচোখে ঘুম। আগের দু রাত্তির বাসে কেটেছে। সুতরাং আবার বিছানায়।

    ভোর ভোর ঘুম ভেঙ্গে যায়। উঠে পড়ি। বিস্তর কাজ। বিভিন্ন লোকের সঙ্গে কথা বলতে হবে, ছান-টান করে নেমন্তন্ন রক্ষা করতে যেতে হবে, তারপর ট্রেনে চড়তে হবে।

    সকাল পৌনে নটার সময় টিকিটবাবু এসে দাঁড়িয়েছিলেন স্টেশনের বাইরে। মোটর সাইকেলের পেছনে চাপিয়ে নিয়ে গেলেন বাড়িতে। সারারাত ডিউটি করার পর বাজার করেছেন, ইলিশ মাছের ঝোল নিজে হাতে রেঁধেছেন (খুবই সুস্বাদু ছিল)। মুর্গীর ঝোলটা বৌদির রান্না। বৌদি বিরাটির মেয়ে। সপ্রতিভ, সুন্দরী। অনেক গল্প করলেন, পারিবারিক ছবির অ্যালবাম দেখালেন। ঘরভর্তি কাপ আর শিল্ড -- টিকিটদাদার খেলার পুরস্কার। মেয়ে ইস্কুলে চলে গেছে, তার সঙ্গে দেখা হল না।

    খুব বেশি সময় কাটাতে পারিনি দাদা-বৌদির বাড়িতে। অত চমৎকার রান্না কোনো রকমে নাকে মুখে গুঁজে বেরিয়ে পড়তে হল। বৌদি বললেন দুগ্গা দুগ্গা। বললেন গরমের ছুটিতেই ওঁরা সপরিবার কলকাতায় আসবেন, তখন নিশ্চয়ই দেখা হবে। (তারপর কত গরমের ছুটি পেরিয়ে গেল হায়, আমি তো দাদা-বৌদির নামই ভুলে মেরে দিয়েছি।)
  • achintyarup | 59.93.247.236 | ২৮ এপ্রিল ২০১১ ০৫:৫৮470251
  • বরাক ভ্যালি এক্সপ্রেস নয়, ট্রেনের নাম হিল কুইন। আমি যে সময়ে গিয়েছিলাম তখন লামডিং থেকে হাফলং পর্যন্ত চলত এই গাড়ি। তারও আগে নাকি বদরপুর পর্যন্তও যেত। এখন আর যায় না।
  • achintyarup | 59.94.2.186 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ০৫:১৮470252
  • লামডিং থেকে হাফলং ১০৩ কিলোমিটার। মাঝে পড়ে মাহুর, মাইবং, লাংটিং... Xylophone-এর শব্দের মত মিষ্টি নাম স্টেশনগুলোর। রেলরাস্তার দুধারে নীল পাহাড়, মাঝে মাঝে ঘন জঙ্গল। গাঢ় কাল বাদল মেঘ ঝুলে আছে আকাশের কোনা থেকে। মাঝে মাঝে ঝেঁপে বৃষ্টি নামছে। ভেজা গাছগাছালি থেকে তাজা বুনো গন্ধ উঠছে। যে দিকে তাকাই চোখ জুড়িয়ে যায়। একবারও মনে পড়ে না পাহাড়ের ওপর থেকে উড়ে আসা এ কে ৪৭-এর গুলির ধারাবর্ষণে কিমা হয়ে যেতে পারি যে কোনো সময়। জানালার বুলেটপ্রুফ কাচ সরিয়ে ভিজে বাতাস মুখে মাখি।
  • achintyarup | 59.94.2.186 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ০৫:১৮470253
  • লামডিং থেকে ট্রেন ছেড়েছিল সকাল দশটা পঞ্চান্ন মিনিটে। গার্ডের সবুজ নিশান দেখে দুহাত জড়ো করে কপালে ঠেকালেন লোকোপাইলট এ কে সিং। ঠোঁট নড়ল। বিড়বিড় করে কি ইষ্টমন্ত্র জপ করলেন কানে এল না। শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে যাওয়া ঠাণ্ডা ভয়ের স্রোত টের পেলাম মুহূর্তের জন্য।

    দেশের একমাত্র বুলেটপ্রুফ ইঞ্জিনওয়ালা প্যাসেঞ্জার ট্রেন এই হিল কুইন। লামডিং-হাফলং রুটের এই গাড়ির ওপর প্রায়ই গুলি চালায় জঙ্গি ডিমাসা গোষ্ঠী ব্ল্যাক উইডোর ছেলেরা। এই পথে ট্রেন চলতে দিতে চায় না তারা। বার বার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কিছু মানুষ, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক ট্রেন।

    রেল দপ্তরের থেকে অনুমতি নেওয়া ছিল সেই ট্রেনে হাফলং যাওয়ার। কিন্তু সেফটি কাউন্সিলর দিলীপ কুমার দাস খুবই কড়া স্বভাবের মানুষ। অনুমতিপত্র না দেখে কিছুতেই উঠতে দিতে চান না ইঞ্জিনে। দপ্তরের বড়কর্তাদের সঙ্গে যদিও আমার কথা হয়েছে টেলিফোনে, কিন্তু তার কোনো লিখিত প্রমাণ নেই সঙ্গে। অবশেষে অনেক কাকুতি মিনতির পর উঠতে পারলাম ইঞ্জিন-কামরায়। দাসবাবু, এবং সিং সাহেব ছাড়াও সেখানে রয়েছেন অ্যাসিস্ট্যাণ্ট লোকো পাইলট এইচ দেউড়ি।

    বুলেটপ্রুফ এঞ্জিনওয়ালা এই ট্রেনে দুখানা অনবোর্ড বাঙ্কারও রয়েছে। মোটা মোটা অভেদ্য জামা গায়ে আধাসেনার জওয়ানরা বাইরের দিকে রাইফেল তাক করে দাঁড়িয়ে আছেন সেখানে। ভারতের আর কোনোখানে এইরকম ট্রেন এখনো চালু হয়নি। এই রেলগাড়িতে চড়ার অদ্ভুত অভিজ্ঞতালাভের জন্য তাই আপিস থেকে ঠেলেঠুলে পাঠানো হয়েছে আমাকে।
  • M | 59.93.244.106 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ০৬:৪৯470254
  • আম্মো ঐ ট্রেনে চড়তে চাই,ঐ রাস্তাতেই............
  • aami sei dada | 96.33.89.68 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ০৮:১৮470255
  • এত যত্ন করে পয়সা খরচ করে খাওয়ানও বেকার গেলো । এই সব লোকজন কে কেন যে খাওয়ালাম । নাম টাও মনে রাখেনা ।
  • ami sei boudi | 14.96.85.126 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ১১:৫৫470256
  • অচিন্টি ঠাকুরপো, আর তো দেখা করলে না!
  • de | 59.163.30.4 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ১২:১৫470257
  • ইস! শুনেই কি রোমাঞ্চকর লাগছে! এই রেলগাড়িটাতে চড়েই গুরুর মহিলা ভাট হওয়া উচিত!

    খুব ভালো লাগছে পড়তে!
  • Bratin | 122.248.183.1 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ১২:৩০470258
  • বাহ চমৎকার। ও অচিন্ত্য দা। তারপরে??
  • M | 59.93.200.162 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ১২:৩৩470259
  • দে কে সাপোটিয়ে গেলুম।
  • kumudini | 122.162.247.67 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ১২:৩৯470261
  • দে কে পোবোল সাপোট।আমি আছি।দর্কার হলে চাগ্রী ছেড়ে দেব।
  • aami i sei ilish maachh | 124.247.203.12 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ১৩:০৫470262
  • আর আমি ই সেই ইলিশ মাছ।
    তখন তো কাঁটা কুটো বেছে হা হু করে খুব খেলেন। জানতেও চেয়েছেন আমার কথা ?

    সত্তি, জীবনটা ভাজা ভাজা হয়ে গেলো।

    কান্না পায়, ঝোলটা নুন কাটা হয়ে যাবে বলে চেপে থাকি।
  • Boudi | 14.96.85.126 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ১৩:১৪470263
  • হায়, কোথায় বিরাটি, কোথায়ই বা অচিন্টি !
    বলো না গো ঠাকুরপো, দেখা করলে না কেন? বৌ বারণ করেছে?
  • ami sei boudir bon | 122.162.247.67 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ১৩:১৮470264
  • অচিন্ত্য কি বিবাহিত ছিলে?
    তবে একবেলার জন্য ছিল সেই দখিন হাওয়া,গানে ভরা ভোরের আকাশ??
    কিন্তু হৃদয় এখনো কাঁদে,মাঝেমদ্যে।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ১৩:২৭470265
  • বেশী কাঁদলে ডাক্তার দেখান। হৃদয়ের।
  • Manish | 59.90.135.107 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ১৩:৩১470266
  • ট্রেনটা চলছে না কেনো?
  • ami sei dada | 96.33.89.68 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ১৮:২৩470267
  • আমরা সব এসে গেছি ,অচিন্টি ।।। সেই মাংসের ঝোল এর আত্মা এখোনো সংবাদ পায়নি ।।সেও চলে আসুক ।আমাদের প্রতি এই অবহেলা করা !! আর কোনদিন যদি খাইয়েছি । সব্বাইকে বলে দেব,এই অচিন্টিকে কোনদিন খাওয়াবেনা ।
  • achintyarup | 121.241.214.38 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ১৮:৪৮470268
  • ও দাদা, লামডিং থেকে দখিন ক্যারোলিনায় গেলেন কবে?
  • ami sei dada | 96.33.89.68 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ২২:৪২470269
  • এই তো ভায়া অচিন্টি এসে গেছে । কি করব বলো,মনে রাখলেনা আমাকে ,অত রাতে শোবার বেবস্থা করে দিলুম ,লানচে অত কিছু খাওয়ালুম ,তাপ্পরে প্রতিদানে এই পেলে,কে থাকবে ঐ লামডিং এ ,মশার কামড় খেয়ে । তাই চলে এলুম সাগর পেরিয়ে ঐ ঘটনার কিছুদিন পরেই । ভাই যখন মনে রাখেনা দাদাকে,থেকে কি হবে বলো ।
  • Nina | 12.149.39.84 | ২৯ এপ্রিল ২০১১ ২২:৫৩470270
  • :-))))))))))
  • achintyarup | 59.93.242.91 | ৩০ এপ্রিল ২০১১ ০৪:৫৭470272
  • উ:, লোকের অত্যাচারে শেষ পর্যন্ত পুরোনো নোটবই খুঁজে বের করতেই হল। ভদ্রলোকের নাম সৌমেন রায়। সিনিয়র টিকিট চেকার। সোনারপুরে বাড়ি। ১৯৮৮ সালে স্পোর্টস কোটায় চাকরি। কৃশানুর সঙ্গে খেলেছেন। টালিগঞ্জ অগ্রগামীতেও সই করেছিলেন। তারপর চাকরি পাওয়ার পর কলকাতা ছাড়তে হয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন