এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ছোটদের জন্য কবিতা...

    nandini
    অন্যান্য | ১২ জুলাই ২০১১ | ২৩২০৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • byaang | 122.167.79.206 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২৩:৩৭477390
  • প্রীতমবাবু, সুনির্মল বসুর আরো কবিতা আপনার সংগ্রহে থাকলে এখানে একটু তুলে দেবেন প্লিজ? অপেক্ষায় থাকলাম।
  • kumu | 122.176.2.249 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২৩:৪১477391
  • বরণডালায় সুনির্মল বসুর অসাধারণ লেখা ছিল,অনেক।
    বুদ্ধদেব গুহ তবে প্রীতম বসুর মামা/কাকা?
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.129.181.217 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৭:১৫477392
  • কবিতা লিখে পাঠালাম প্রকাশিত হলে জানাবেন।
    কবিতা টি ছোটদের বিশেষ উপযোগ হবে বলে আমার ধারণা।

    গাঁয়ের পথে পুকুর পাড়ে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    গাঁয়ের পথে পুকুর পাড়ে
    শালিক পাখিরা ওড়ে,
    কুকুরগুলো ঝগড়া করে
    গ্রাম সড়কের মোড়ে।

    গাঁয়ের পথে পুকুর পাড়ে
    হাঁসেরা থাকে বসে,
    কালো ষাঁড়টা মাটির ওপর
    শিংগুলোকে ঘষে।

    গাঁয়ের পথে পুকুর পাড়ে
    সারি সারি তাল গাছ,
    পুকুরেতে জলের মাঝে
    লাফায় কাতলা মাছ।

    গাঁয়ের পথে পুকুর পাড়ে
    বাবলা কাঁটার বন,
    পুকুর পাড়ে কাপড় কাচে
    গাঁয়ের ধোপাগণ।

    কলসী কাঁখে নাইতে আসে
    গাঁয়ের যত মেয়ে,
    পানকৌড়িরা এসে ডুব দেয়
    আমি দেখি চেয়ে।

    পাড়ার ছেলে পুকুর ঘাটে
    তেল মেখে চান করে,
    গামছা বেয়ে কেউবা জলে
    ছোট ছোট মাছ ধরে।

    সাঁঝের বেলা আঁধার নামে
    গাঁয়ের পথে পুকুর পাড়ে,
    জোনাকিরা জ্বালায় আলো
    পুকুর পাড়ে গাছের আড়ে।
  • pingumama | 52.109.202.55 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৯:০৫477393
  • মাঝরাত্তির চালচিত্তির
    ভুলু মিত্তির হেন্টে যায়
    মা ঘুমুলো , বাড়ি জুড়োলো
    বোন্ধুরা সব নেটে আয়।

    ঘড়ি টিকটিক , আলো টুপটাপ
    লাল বদলিয়ে যায় সবুজে
    মান ভাঙ্গাবৈ আজ টিকলুর
    ব্যটা রাগ কোরে আছে না বুঝে !

    মাঝরাত্তির , ঘড়ি টিকটিক
    ঘরময় ওড়ে স্মাইলি
    বাকি পোর্শোন , পিডিপি স্যারের !
    সেটা এই এতোখোনে বোল্লি ?

    আলো টুপটাপ হাওআ ঝিলঝিল
    ঘুমে দুচোখ জুড়িএ আসছে
    নীল জামা গায় রাত পাহারায়
    ভুলু মিত্তির কাশছে।
  • rabaahuta | 60.180.243.60 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৩১477394
  • 'গাঁয়ের পথে পুকুর পাড়ে' কবিতার পঞ্চম স্তবকে নাইতে আসা মেয়েদের বদলে কেবলই ডুবন্ত পানকৌড়ির দিকে তাকিয়ে থেকে কবি যে গভীর ও সংযত রুচিশীলতার পরিচয় দিয়েছেন আমি তাকে সাধুবাদ জানাই।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.129.238.95 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৫:০৭477395
  • নাইতে আসা মেয়েদের দিকে
    না চেয়ে পানকৌড়ি জলে ডুব দেয়।
    সেটা দেখা বড় পূণ্যের।
    আর বারে বারে পূণ্য অর্জনের তরে
    পানকৌড়ি ডুব দেয় একবার নয় বহুবার।
    বারে বারে ডূবন্ত পানকৌড়ির দিকে চেয়ে চেয়ে
    কবির দৃষ্টিভ্রম হয়তো হতে পারে সন্দেহ নাই।
    তবুও মন্তব্যকারীকে সাধুবাদ জানাই।
    প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইলো।
    ধন্যবাদান্তে-
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.129.238.95 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৫:০৮477396
  • আমার গাঁয়ে বটের শাখে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    আমার গাঁয়ে বটের শাখে, শালিক পাখির বাসা,
    আমার গাঁয়ে মাঠে মাঠে চাষ করে গাঁয়ের চাষা।
    আমার গাঁয়ে বেড়ার ধারে গরু বাছুর, মোষ চরে,
    আমার গাঁয়ে দিঘির জলে রাজহাঁসরা খেলা করে।

    আমার গাঁয়ের দূর সীমানায় বিশাল গাছের সারি,
    আমার গাঁয়ে রাঙা পথে চলে রোজ গরুর গাড়ি।
    আমার গাঁয়ের দক্ষিণ দিকে বাবলা কাঁটার বন।
    সবুজ গাছে পাখিরা ডাকে ভরে ওঠে মোর মন।

    আমার গাঁয়ে পথের বাঁকে, বাজায় বাঁশি রাখাল
    আমার গাঁয়ে ডাঙায় চরে গাই আর গরুর পাল।
    আমার গাঁয়ে রোজ সকালে প্রতিদিন সূর্যি ওঠে,
    আমার গাঁয়ে পদ্ম দিঘিতে সোনার কমল ফোটে।

    আমার গাঁয়ে নদীরঘাটে গাঁয়ের মাঝি খেয়া বায়,
    আমার গাঁয়ে সূর্যি ডোবে, অজয় নদীর কিনারায়।
  • Pi | 57.29.135.112 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৬:০১477397
  • রোজ সকালে প্রতিদিন সূর্য ওঠে ? ভাবাই যায়না।
  • সিকি | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৬:৩৯477398
  • ভাণ্ডারীর ভাণ্ডার কিন্তু অফুরন্ত :)
  • cm | 116.208.183.243 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৮:৪১477400
  • লক্ষ্মণবাবুর পদ্য খুব ভালো হচ্ছে। এর চেয়ে ভালো পদ্য একজনকেই লিখতে দেখি। একদম ছবির মত পদ্য। আপনি কি ছবিও আঁকেন?
  • | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১০:১৭477401
  • হা হা হা হা :-))
  • সুকুমার রায় | 128.102.169.50 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:৫১477402
  • সিনিয়র রায়্কে সকলে ভুলে গেলেন?
  • সুকুমার রায় | 128.102.169.50 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১১:৫২477403
  • রায় কে
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.129.181.5 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৫:০৫477404
  • গাঁয়ের মাটিতে আছে ভালবাসা
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    এ গাঁয়ের মাটিতে আছে ভালবাসা
    আছে যে মাটি মায়ের স্নেহের টান।
    গাঁয়ের রাঙা পথে একতারা হাতে
    হরিদাস বাউল গাহে বাউলের গান।

    এই গাঁয়ের মাটিতে আছে ভালবাসা
    মোদের চিত্তে জাগায় নব নব আশা,
    এই মাটির বুকে রোজ লাঙল চালায়
    সোনার ফসল ফলায় এ গাঁয়ের চাষা।

    সবুজের সমারোহ দেখি এই মাটিতে
    গাঁয়ের দিঘিতে ফোটে সোনার কমল,
    রোজ প্রভাত হলে সবুজ গাছে গাছে
    অবিরত করে কলতান বিহগের দল।

    এ গাঁয়ে রোজ সকাল হলে সূর্য ওঠে
    দিবসের অবসানে সে যে মুখ লুকায়,
    সাঁঝের আকাশে চাঁদ ও তারারা হাসে
    সারাগাঁয়ে বেজে ওঠে সাঁঝের সানাই।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 113.240.193.229 | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৭:৪৯477405
  • ছোটদের ছড়া (কবিতা)
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
    আমড়াগাছে আমড়া ধরে
    আম গাছে ধরে আম,
    কাঁঠালগাছে ধরে কাঁঠাল,
    জাম গাছে ধরে জাম।

    চাঁপাগাছে চাঁপাফুল ফোটে
    বকুলগাছে ফোটে বকুল,
    ফুলের বনে প্রভাতে ফোটে
    কত হরেক রকমের ফুল।

    বাবলা গাছে ফিঙে নাচে,
    কোকিল ডাকে আমের গাছে,
    সারি সারি বক উড়ে যায়
    অজয় নদীর ঘাটের কাছে।

    রাঙা মাটির পথের বাঁকে
    গরু বাছুর দাঁড়িয়ে থাকে,
    গাঁয়ের বধূ নাইতে আসে
    মাটির কলসী লয়ে কাঁখে।

    মাঠের শেষে দিগন্তে ঐ
    সূর্য লুকায় পাহাড় ঘেঁষে,
    পাখিরা সব বাসায় ফেরে
    ক্লান্ত হয়ে দিনের শেষে।

    নীল আকাশে তারা ফোটে
    নদীর জলে জোছনা ঝরে,
    চাঁদের আলোক ঝরে পড়ে
    আমার মাটির কুটির ঘরে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.129.181.137 | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ১৮:৪০477406
  • কাঁকন তলার মাঠ
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
    আমার গাঁয়ে
    পথের বাঁয়ে
    কাঁকন তলার মাঠ,

    গ্রাম সীমানায়
    ঐ দেখা যায়
    তাল পুকুরের ঘাট।

    গাঁয়ের চাষী
    প্রভাতে আসি
    মাঠে লাঙল চালায়,

    রোজ সকালে
    গাছের ডালে
    পাখিরা গান গায়।

    মাঠের আলে
    রাখাল ছেলে
    বাজায় বসে বাঁশি,

    মা আমার
    মাটি আমার
    আমি গাঁকে ভালবাসি।

    ঐ যে দূরে
    পানাপুকুরে
    পানকৌড়িরা আসে,

    নীল আকাশে
    শঙ্খচিল ভাসে,
    লাফায় ফড়িং ঘাসে।

    পুকুরঘাটে
    সাঁতার কাটে
    পাড়ার ছেলের দল,

    সবুজ ডাঙায়
    চরে বেড়ায়
    গরু বাছুর ছাগল।

    বিকাল হলে
    সূর্য পড়ে ঢলে
    সোনালী রোদ ঝরে,

    বেলা ডুবে যায়
    তপন লুকায়
    অজয় নদীর চরে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.129.181.137 | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ১৮:৪১477407
  • আমার গাঁয়ে পথের বাঁকে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    প্রভাত হলেই সূর্য ওঠে,
    কুসুম কাননে কলি ফোটে,
    পাখিরা গায় তরুর শাখে,
    আমার গাঁয়ে পথের বাঁকে।

    আমার গাঁয়ের পথের বাঁকে,
    গরু-বাছুর দাঁড়িয়ে থাকে,
    ভোলা মালি ফুলের বাগানে
    মাটি কোপাই আপন মনে।

    গাঁয়ের ইস্কুলে ছাত্র সব
    পাঠ পড়ে করে কলরব।
    বেলা চারটে বাজে যখন,
    ছুটির ঘন্টা পড়ে তখন।

    নদীর কাছে বটের গাছে,
    পুরানো শিব মন্দির আছে।
    নদীজলে মাঝি বৈঠা বায়,
    তরণী নিয়ে ওপারে যায়।

    বেলা পড়ে যায় সন্ধ্যা আসে,
    তারারা জ্বলে নীল আকাশে।
    আঁধার নামে মাটির ঘরে,
    জোনাকি জ্বলে গাছের পরে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.129.181.137 | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ১৮:৪৩477408
  • নৌকা বাঁধা ঘাটের কাছে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
    নৌকা বাঁধা ঘাটের কাছে,
    পাখিরা গায় গাছে গাছে।
    গ্রামসীমানায় পথের বাঁকে,
    ফিঙে নাচে তরুর শাখে।

    বক বসেছে নদীর কূলে
    দুধার ভরা কাশের ফুলে।
    নদীর কাছে শ্মশান ঘাট,
    পথের দুধারে সবুজ মাঠ।

    গাঁয়ের ডাঙায় গরু চরে,
    সরাণে লাল ধূলো ওড়ে।
    তাল খেজুর গাছের সারি,
    তারই ছায়ায় মাটির বাড়ি।

    অজয় নদীর ঘাটের কাছে,
    পুরানো শিব মন্দির আছে।
    গাঁয়ের বধূরা কলসী কাঁখে,
    ঘাটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকে।

    গাঁয়ের ছেলেরা গামছা পরে,
    নদীর জলে নেমে চান করে।
    বেলা পড়ে আসে সন্ধ্যা হয়,
    অজয় নদীর ঘাট নির্জন হয়।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.129.181.137 | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ১৮:৪৩477409
  • গাছের ছায়ায় মাটির ঘর
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    গাছের ছায়ায় মাটির ঘর,
    গাঁয়ের মানুষ নয়কো পর।
    সবাই আমার আপন জন,
    গাঁয়ের পথে বাঁশের বন।

    গ্রাম ছাড়িয়ে নদীর ঘাট,
    দুই পারেতে সবুজ মাঠ।
    মাঠের আলে ফিঙে নাচে,
    ময়না নাচে ছাতিম গাছে।

    এই গাঁ আমার জন্মভূমি,
    দিঘির পাশেই জলা জমি।
    দিঘির পাড়ে তালের গাছ
    গাঁয়ের জেলেরা ধরে মাছ।

    শান বাঁধানো দিঘির ঘাটে,
    ছেলেরা সব সাঁতার কাটে।
    তাল দিঘিতে কালো জল,
    জলে ফোটে লাল কমল।

    ফুল ফুটেছে বনে বনে
    ধায় অলি মধু আহরণে।
    গাঁয়ের চাষী করে চাষ,
    সুখে থাকে বারো মাস।

    গাঁয়ের মাটি স্বর্গ আমার,
    সবুজ গাছ পথের দুধার।
    গাছে গাছে গাহে পাখি,
    কান পেতে শুনতে থাকি।

    এ গাঁয়ের মাটি পূণ্যভূমি,
    এই গাঁ আমার জন্মভূমি।
    মাটিতে ফলে সোনার ধান,
    ভরে ওঠে মোদের প্রাণ।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.242.72.7 | ১৭ এপ্রিল ২০১৭ ১৪:০৭477411
  • এলো নতুন বছর
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    এলো নতুন বছর আর নতুন দিন,
    সকলে প্রীতি আর শুভেচ্ছা নিন।
    নববর্ষে আসুক যত নব নব আশা,
    সবাকারে জানাই প্রীতি, ভালবাসা।

    এলো নতুন বছর ও নতুন সকাল,
    একটা বছর পরে আসে নতুন সাল।
    পাখি সব গাহে সবুজ তরুর শাখে,
    আমের গাছে গাছে কোকিল ডাকে।

    নতুন বছর নিয়ে আসে নতুন আশা,
    হৃদয়ে পুলক জাগে বাঁধে প্রীতির বাসা।
    নববর্ষ করে দিকে দিকে নব আহ্বান,
    উল্লাসিত আজি হেরি সবাকার প্রাণ।

    নববর্ষের শুভেচ্ছা সবে করিও গ্রহণ,
    কবিতায় লিখে কবি ভাণ্ডারী লক্ষ্মণ।
  • সিকি | ১৭ এপ্রিল ২০১৭ ১৬:৪৮477412
  • আপনি একদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেনই, এ আমি বলে রাখলাম।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.242.65.227 | ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ২০:৩২477413
  • গাঁয়ের মাটিতে জন্ম আমার
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    গাঁয়ের মাটিতে জন্ম আমার আমি গাঁকে ভালবাসি,
    সবুজতরুর শীতল ছায়ায় রাখাল বাজায় বসে বাঁশি।
    প্রভাত কালে তরুর শাখে শুনি প্রভাত পাখির গান,
    আম-কাঁঠালের বনে বনে শুনি কোকিলের কুহুতান।

    হেথা আঙিনায় বসে চা-মুড়ি খায় ছোট এক ছেলে,
    সুদূর আকাশে ধবল বলাকা উড়ে দুটি পাখা মেলে।
    পায়রার ঝাঁক উড়ে এসে বসে রান্নার ঘরের চালে,
    হনুমান এসে ল্যাজটি দুলায় বসে বট গাছের ডালে।

    পথের দুধারে কলমীর বনে পচা জলের গন্ধ ভাসে,
    গোরু মোষের গা ধোয়াতে সবে কাদাডোবায় আসে।
    ক্লান্তপথিক গামছা কাঁধে একা রাঙামটির পথে চলে,
    পাড়ার ছেলে সাঁতার কাটে সোনাদিঘির ঘোলা জলে।

    বেলা ডুবে যায় সন্ধ্যা আসে দূরে সাঁঝেরসানাই বাজে,
    গাঁয়ের মাটি স্বর্গ যে আমার এই বিপুলা বসুন্ধরা মাঝে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.242.65.227 | ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ২০:৩৩477414
  • জন্মিলে মরিতে হবে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    মানব দেহ পচা দেহ মাটিতে মিশে যায়,
    শ্মশানের জ্বলন্ত চিতায় পুড়ে হয় ছাই।
    প্রাণহীন মানব দেহে পড়ে থাকে কায়া,
    পৃথিবী হতে যায় চলে ছেড়ে সকল মায়া।

    শ্মশানের চিতা সবার শেষ বেলার শয়ন,
    সবাই কেড়ে নেবে তোমার অঙ্গের বসন।
    সোনার দেহ কালি হবে, পুড়ে হবে ছাই,
    ভাসে সবাই চোখের জলে করে হায় হায়।

    টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ি রইবে সবই পড়ে,
    নিয়ে যাবে শ্মশানঘাটে বাঁশেরদোলা পরে।
    শ্মশানে হবে ফুলশয্যা বাঁধবে সুখের ঘর,
    অন্তিমকালে সবাই সেদিন হয়ে যাবে পর।

    ভাগ্যের খাতায় লেখা আছে অবশ্যই মরণ,
    জন্মিলে মরিতে হবে একদা জানে সর্বজন।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.242.65.227 | ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ২০:৩৫477415
  • স্মৃতির বালুচরে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    স্মৃতির বালুচরে ফোটে বেদনার ফুল,
    ঝরে গেছে সব আজি আশার মুকুল।
    নয়নের জলে হেথায় নামিল বাদল,
    নিশ্বাসে ঝড় বহে আজি ঝঞ্ঝা প্রবল।

    জীবননদীর তটে আসে কুলভাঙা ঢেউ,
    নয়নে জল ঝরে আঁখিজলে ভাসে কেউ।
    পতিহারা সতী কাঁদে নিজপুত্র বিয়োগে,
    কেহ কাঁদে ক্ষুধায়, কেহবা ভোগে রোগে।

    গোলাপ ঝরে যায়, দেয় আন্তরিক প্রীতি,
    মানুষ মরণের পরেও রেখে যায় স্মৃতি।
    জীবনের এ ধ্রুব সত্য জন্মিলে মরিতে হয়।
    জন্মিলে মরিতে হবে তবে কেন মৃত্যুভয় ?

    এজীবন নিশার স্বপন মনে রেখো সর্বজন,
    কবিতায় লিখে যায় কবি ভাণ্ডারী লক্ষ্মণ।
  • সিকি | ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ২০:৩৯477416
  • এই রে! আবার?
  • cm | 127.247.98.53 | ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ২১:১০477417
  • বড় ভাল হচ্ছে। নিয়ম করে লিখবেন।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.129.183.208 | ২৯ এপ্রিল ২০১৭ ১৬:২১477418
  • এ গাঁয়ের পাশে অজয় নদী
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    এ গাঁয়ের পাশে অজয় নদী অবিরাম বয়ে চলে,
    বৈশাখ মাসে পার হয় গাড়ি একহাঁটু নদীজলে।
    গ্রামসীমানায় ফকির ডাঙায় গোরু ও বাছুর চরে,
    গাঁয়ের মানুষ থাকে সবাই, এ গাঁয়ে মাটির ঘরে।

    নয়নদিঘির শীতল জলে পানকৌড়িরা দেয় ডুব,
    স্নানের ঘাটে পাড়ার ছেলেরা কাটে সাঁতার খুব।
    গাঁয়ের বধূরা কলসী কাঁখে জল নিয়ে যায় ঘরে,
    দিঘির পাড়ে ধবল বলাকা বসে ছোট মাছ ধরে।

    দিনের শেষে বেলা পড়ে আসে সূর্য ডুবে যায়,
    নির্জনগাঁয়ে আঁধার নামে পাখিরা ফেরে বাসায়।
    মন্দিরে বাজে পূজোর ঘন্টা সাঁঝের সানাই বাজে,
    ফুটে ওঠে সহস্র তারকা নীল আকাশের মাঝে।

    চাঁদ তারা হাসে আকাশে জেগে রয় সারা রাত,
    রাত কেটে যায় ভোর হয়ে আসে নতুন প্রভাত।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.129.183.208 | ২৯ এপ্রিল ২০১৭ ১৬:২২477419
  • বৈশাখের কড়া রোদে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    বৈশাখের কড়া রোদে জল নেই পুকুরে,
    খালি গায়ে লোকজন চলে ভর দুপুরে।
    আকাশের মাঝখানে লালসূর্যটা জ্বলছে,
    বাতাসের কানে বুঝি কিছু কথা বলছে।

    দুপুরের কড়া রোদে, নাই কেহ আঙিনায়,
    একতারা হাতে নিয়ে বেনু দাস গান গায়।
    লাঠি হাতে চলে পথে অন্ধ হরি-হর দাস,
    কুকুরেরা ছুটে আসে কাছে এলেই সর্বনাশ।

    দুপরের কড়া রোদে কাদা জলে ধরে মাছ
    ধবল বলাকা এক দুধারে আছে তালগাছ।
    গাঁয়েরবধু জল নিয়ে স্নান করে আসে ঘরে,
    ঘটি হাতে শিশু এক আসে তার হাত ধরে।

    বৈশাখের কড়া রোদে প্রাণ করে আনচান,
    পথে ঘাটে বের হলে কচিডাব কিনে খান।
  • বিভাষ কর্মকার | 18.37.230.191 | ১৮ মে ২০১৭ ১১:৪৭477422
  • অনেক সুন্দর লাগে তাই বার বার পড়ি,,,,,
  • বিভাষ কর্মকার | 18.37.230.191 | ১৮ মে ২০১৭ ১১:৪৭477420
  • অনেক সুন্দর লাগে তাই বার বার পড়ি,,,,,
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন