এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ছোটদের জন্য কবিতা...

    nandini
    অন্যান্য | ১২ জুলাই ২০১১ | ২৩২০৩ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 113.240.193.227 | ১৮ মে ২০১৭ ১৯:৪৫477423
  • গাঁয়ের মাটিতে জন্ম আমার
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    গাঁয়ের মাটিতে জন্ম আমার,
    গাঁয়ের লোক সবাই আপনার,

    জন্মভূমি মাটি মা যে আমার।
    এই মাতৃভূমি যে মা সবাকার।

    আঁকা বাঁকা সরু গলির পথে,
    চলে আনাগোনা ভোর হতে।

    সকাল হলে লাল সূর্য ওঠে,
    ফুলের বাগিচায় ফুল ফোটে।

    গাঁয়ের মাটিতে সোনা ফলে,
    রাজহাঁস ভাসে দিঘির জলে।

    তাল, খেজুর ও সুপারি গাছ,
    দিঘিতে জেলেরা ধরে মাছ।

    গ্রাম সীমানায় পথের বাঁকে,
    শালিক উড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে।

    পথের দু-ধারে সবুজ গাছে,
    দোয়েল ফিঙেরা বসে নাচে।

    নৌকা বাঁধা অজয়নদীর চরে,
    ধবল বলাকা বসে মাছ ধরে।

    লালশাড়ি পরা ঘোমটা দিয়ে,
    গাঁয়ের বধূরা যায় জল নিয়ে।

    পড়ে আসে বেলা সূর্য ডোবে,
    নদীর পাড় লাল রঙে শোভে।

    নির্জন ঘাটে গহন রাত্রি নামে,
    ঘুমায় মানুষ সব আমার গ্রামে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 113.240.193.227 | ১৮ মে ২০১৭ ১৯:৪৮477424
  • শান্তাবুড়ি ও মিনিবেড়াল
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    গাঁয়ের মাঝখানে শান্তাবুড়ি খুলেছে চপের দোকান,
    ধারে কিছু যাবে না তো কেনা দিতে হবে নগদদাম।
    শান্তাবুড়ির দোকানে পাবে ছোলার ঘুগনি আর মুড়ি,
    চা, পান ও তেলে ভাজার সাথে পাবে খাস্তা কচুরি।

    আপন বলে কেউ নাই তার আছে শুধু একটি বেড়াল,
    দোকানের পাশে ঘোরাঘুরি করে খেলে সকালবিকাল।
    দুপুর বেলায় শান্তাবুড়ি রোজ যখন ভাত খেতে বসে,
    বেড়ালটি তখন দৌড়ে এসে, বসে তারই কাছ ঘেঁষে।

    বেচাকেনা সেরে সন্ধ্যাবেলায় প্রদীপখানি জ্বেলে,
    করতাল বাজিয়ে শান্তাবুড়ি জয় রাধে রাধে বলে।
    তুলসীতলায় বসে যখন শান্তাবুড়ি রাধানাম স্মরে,
    মিনি বেড়াল তখন এসে বসে থাকে চুপটি করে।

    রাতের আকাশে তারা ওঠে চাঁদের আলোক ঝরে,
    সকালে উঠিয়া শান্তাবুড়ি জপে হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 113.240.193.227 | ১৮ মে ২০১৭ ১৯:৪৯477425
  • শীতল তরুর ছায়ায়
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    শীতল তরুর ছায়ায় ঘেরা ছোট আমাদের গ্রাম,
    গাঁয়ের পথে পান্থশালায় পথিকেরা লয় বিশ্রাম।
    আঁকা বাঁকা পথ চলেছে গাঁয়ের চারপাশ দিয়ে,
    ফেরিওয়ালা হাঁক দিয়ে যায় নাথায় ফেরি নিয়ে।

    গাঁয়ের প্রান্তে সবুজ মাঠে গরু ছাগল বেড়ায় চরে,
    দিঘির জলে জাল ফেলে জেলেরা রুই মাছ ধরে।
    পাড়ার ছেলে সাঁতার কাটে দিঘির শীতল জলে,
    কলসী কাঁখে গাঁয়ের বধূরা দ্রুত-পদে ঘরে চলে।

    উঠোনে বসে মাটির হাঁড়িতে কিষাণবধূ ভাত রাঁধে,
    ছোট শিশুটি আঁখি মোছে শুধু, বসে উচ্চররে কাঁদে।
    কুয়ো-তলায় ময়না চড়ুই দুজনেই মনের কথা কয়,
    গোয়ালঘরে বলদ দুটোকে শক্তদড়ি দিয়ে বাঁধা হয়।

    সাঁঝের বেলায় আঁধার নামে কিষানের মাটির ঘরে,
    রাতের বেলা চাঁদের আলোকে জোছনা পড়ে ঝরে।
  • - | 147.59.156.28 | ১৯ মে ২০১৭ ১২:৫৮477426
  • 'জল - অঞ্জলি'
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২০ মে ২০১৭ ০৫:৩২477427
  • শক্ত দড়ি দিয়ে বাঁধবেন না। ওদের লাগে না বুঝি? দড়ির উপরে সিল্কের ঢাকনা পরিয়ে তারপরে বাঁধতে পারেন।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.242.67.155 | ২০ মে ২০১৭ ১৭:৩৩477428
  • আমাদের গাঁয়ের পাশে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    আমাদের এ গাঁয়ের পাশে
    ছোট এক নদী বয়,
    জ্যৈষ্ঠ মাসে অজয় নদে
    এক হাঁটু জল হয়।

    আমাদের গাঁয়ে সারি সারি
    ছোট ছোট মাটির ঘর,
    এই গাঁয়ে সতত সুখ-শান্তি
    বিরাজ করে নিরন্তর।

    আমাদের গাঁয়ে মাঝখানে
    জল ভরা ছোট দিঘি,
    প্রভাতে রবির কিরণে তার
    জল করে ঝিকিমিকি।

    আমাদের গাঁয়ে রাঙা পথের
    দুধারেতে সবুজ গাছ,
    তরুর শাখায় পাখিরা গাহে
    শালিকেরা করে নাচ।

    গাঁয়ের বধূ জল নিয়ে যায়
    মাটির কলসি কাঁখে,
    সারি সারি বক উড়ে চলে
    অজয় নদীর বাঁকে।

    আমাদের গাঁয়ে আঁধার নামে
    জোনাকিরা জ্বলে পথে,
    চাঁদের আলো ছড়ায় কিরণ
    রাতের আকাশ হতে।
  • pi | 57.29.133.247 | ২০ মে ২০১৭ ২২:০৩477429
  • কেউ পিতলের কলসী নেন না ?
  • PinguMama | 52.109.131.211 | ২১ মে ২০১৭ ১৮:৪১477430
  • ছোট ছোট বাচ্চারা

    ছোট ছোট বাচ্চারা
    একদিন বড় হবে
    তারপর আবার তাদের
    ছোট ছোট বাচ্চা হবে।

    সেই ছোট ছোট বাচ্চারা
    খেলবে পুতুল নিয়ে
    তারপর একদিন তাদের
    হয়ে যাবে বিয়ে।

    বিয়ে হয়ে গেলেই সবার
    ছোট ছোট বাচ্চা হয়
    কাল ছিলো ঘর খালি
    আজ উঠোনভর্তি বিষ্ময়।

    উঠোনভর্তি বাচ্চাদের
    ঝোটন ভর্তি বিয়ে
    ঠাকুমা দিদিমা পিসতুতো কাকিমা
    কুকার মাথায় দিয়ে।

    এইভাবে জগত ভরে ওঠে
    রঙ্গীন ছোট ছোট বাচ্চায়
    পুতুলরা থাকে জুতোর বাক্সে
    তাদের বয়েস বাড়ে না হায় ।
  • Somnath Roy | ২৩ মে ২০১৭ ১৮:০১477431
  • মেয়ের জন্যে কয়েকটা বানিয়েছিলাম, সেগুলোর কিছু দিইঃ

    (১)
    হুড়মুড়িয়ে জোর কদমে যাচ্ছে ঘেঁটু যুদ্ধুতে
    যাবার আগে টুক্‌ করে সে বাথরুমে যায় মুখ-ধুতে
    সাজছে ঘেঁটু রণপা পরে, লাল মোজা আর নীল জুতো
    যুদ্ধে ঘেঁটু অস্ত্র নিল লাটাই চাটাই ঢিল সুতো
    বিভিন্ন দেশ জয় করে সে ফিরছে ঘরে- জল ফোটা
    কাল সকালে কাগজ দিলে পড়বে সবাই গল্পটা।

    (২)
    ঘেঁটু রানির এক ঘোড়া
    চড়ছে ছাদে দাখ তোরা
    ঘেঁটু রানির এক জিনি
    আমরা কি তার ব্যাগ চিনি?
    ব্যাগের ভেতর টিঙটিঙে
    ছোট্ট দুটো শিং কিনে
    আনল জিনি ওর ঠেকে
    পড়বে ঘোড়া চড়বে কে?
    চড়বে ঘেঁটু শিং-ঘোড়া
    দেখবে তাকে সিংহরা।

    (৩)
    পুপুসোনা সোনা পুপু পুপুসোনা কই?
    পুপু গ্যাছে মাছ ধরতে সঙ্গে নিয়ে মই
    আম পাড়তে গিয়ে পুপু গাছে ফেলে ছিপ
    পুপু সাজে পুপুর গালে রঙিন রঙিন টিপ
    চাঁদ দেখতে গেল পুপু গগলস চোখে দিয়ে
    পুপুর ঘরে বকলস বেঁধে ঘোরে সবুজ টিয়ে
    বকলস বেঁধে ঘরে টিয়ে, খাঁচায় থাকে ঘৌ
    জার্মানিতে যাবে পুপু শিখতে ঝুমুর ছৌ।
  • pi | 57.29.128.130 | ২৪ মে ২০১৭ ১০:০৭477433
  • ভারি সুন্দর লাগল ঘেঁটুরানীর কবিতা।

    গগলস পরে চাঁদ দেখতে যাওয়া পুপুর ছড়াটা আরো।
  • aranya | 172.118.16.5 | ২৫ মে ২০১৭ ০২:৩২477434
  • খুবই সুন্দর, সোমনাথের ছড়াগুলো।
    'বিভিন্ন দেশ জয় করে' -এর বদলে 'নানান দেশ জয় করে' বা 'অনেক দেশ জয় করে' লিখলে ছন্দের দিক থেকে আরেকটু ভাল হবে, মনে হয়
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 113.240.193.181 | ২৭ মে ২০১৭ ১৭:২৯477435
  • গাঁয়ের মাঝে পথের ধারে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    গাঁয়ের মাঝে পথের ধারে
    বক বসেছে পুকুর পাড়ে।
    পদ্ম দিঘির শীতল জলে,
    ফোটে কমল সকাল হলে।

    সবুজ গাছে পাখির গান,
    শুনে জুড়ায় আমার প্রাণ।
    আমেরশাখে কোকিল ডাকে,
    শালিক ওড়ে পথের বাঁকে।

    পদ্ম দিঘির শীতল জলে
    গাঁয়ের যত পাড়ার ছেলে
    সাবান মাখে স্নানের ঘাটে
    সবাই মিলে সাঁতার কাটে।

    জ্বলন্ত সূর্য মাথার উপর,
    দুপুর বেলা রৌদ্র প্রখর।
    গামছা কাঁধে আদুল গায়ে,
    বসে পথিক গাছের ছায়ে।

    দূর পাহাড়ে বনের ধারে,
    মহুলের গাছ সারে সারে।
    বনের টিয়া বেড়ায় উড়ে,
    মাদল বাজে বাঁশির সুরে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 113.240.193.181 | ২৭ মে ২০১৭ ১৭:২৯477436
  • ঝড় উঠেছে নদীর কূলে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    ঝড় উঠেছে নদীর কূলে
    নাইকো কূলে কেউ,
    ফুঁসিছে নদী প্রবল বেগে
    উপছে পড়িছে ঢেউ।

    কালো মেঘে ঐ আঁধার নামে
    যায় না কিছুই দেখা,
    গরজিছে মেঘ, কাঁপিছে ভূধর
    কূলে বসে আছি একা।

    কালো মেঘে ঘনায়ে আঁধার
    উঠিল দুরন্ত ঝড়।
    নদী তটের বিশাল বটের
    ডাল ভাঙে মড়মড়।

    অশনি-ভরা বিজুলির আভা
    ঝলসি উঠিছে মেঘে,
    গাঁয়ের পথে গরু-বাছুর সব
    ছুটিছে প্রবল বেগে।

    ছিঁড়েছে পাল, ভেঙেছে হাল
    মাঝি করে হায় হায়,
    আমি শুধু একা বসে থাকি
    অজয় নদীর কিনারায়।

    বৃষ্টি ঝরিছে অঝোর ধারায়
    পথে জমে কত জল,
    গগনে-গগনে কালিমাখা মেঘ
    গরজিছে অবিরল।

    আকাশ পারে ঈশান কোণে
    ঘুচে যায় কালো মেঘ,
    বৃষ্টিসিক্ত এই ধরণীর পরে
    থেমে যায় ঝড়ের বেগ।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 113.240.236.34 | ৩০ মে ২০১৭ ১৬:৩৯477437
  • পূবের আকাশ রঙিন হয়
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    পূবের আকাশ রঙিন হয় প্রভাত হলে পরে,
    সোনার রবি ছড়ায় কিরণ অজয় নদীর চরে।
    অজয় নদীর সরু বালি জলের মাঝখানে চর,
    তারই পরে বক বসে শোভা অতি মনোহর।

    নদী ঘাটে যাত্রী সকলে আসে রোজ দলেদলে,
    গাঁয়েরমাঝি যাত্রীদের নিয়ে নৌকা বেয়ে চলে।
    কলসী কাঁখে গাঁয়ের বধূরা আসে জল নিতে,
    জল নিয়ে ঘরে ফিরে যায় রাঙা মাটির পথে।

    সকালে বিকালে পার হয় ঘাটে কত লোকজন
    সাঁঝেরবেলা আসে না কেহ নদীঘাট হয় নির্জন।
    ক্লান্তপাখিরা ফিরে আসে নীড়ে করে কোলাহল,
    অজয় নদী বয়ে চলে শুধু আপন বেগে কলকল।

    নীল আকাশে তারারা ফোটে চাঁদের আলো ঝরে,
    নিঝুম রাত্রি ঘুমায় একাকী অজয় নদীর বালুচরে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 113.240.236.34 | ৩০ মে ২০১৭ ১৬:৪০477438
  • কবিতীর্থ চরুলিয়া
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    কবিতীর্থ চরুলিয়ায় আজ শুরু কবিমেলা,
    নজরুলগীতি কবিতাপাঠ হয় সন্ধ্যাবেলা।
    অজয়নদীর তীরে কবির গ্রামটি চরুলিয়া,
    যেথা ভাসে বাঁশির মধুর সুর রাখালিয়া।

    ওপারে বড়কোলাঘাট এপারে কবির গ্রাম,
    মাঝখানে অজয় নদী বয়ে চলে অবিরাম।
    কবিতীর্থ চুরুলিয়া বিদ্রোহী-কবির জন্মস্থান,
    প্রিয়কবি লিখেছেন কত কবিতা আর গান।

    কবির নামে কবির গ্রামে মেলা আজ শুরু,
    কবি হলেন কাব্য জগতে কাব্য কল্পতরু।
    কবি নিজে গাইলেন শিকল ভাঙার গান,
    দিকে দিকে শুরু হলো স্বাধীনতা সংগ্রাম।

    কবিতীর্থ চুরুলিয়া কবি নজরুলের জন্মস্থান,
    নজরুল-মেলায় সবাকারে তাই করি আহ্বান।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 113.240.236.34 | ৩০ মে ২০১৭ ১৬:৪১477439
  • বিদ্রোহী-কবি কাজী নজরুল
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    বর্ধমানের চুরুলিয়া গ্রামে কবির জন্মস্থান,
    বাল্যকালে দুখুমিঞা ছিল কবির ডাকনাম।
    ছোট থেকেই দুখু মিঞার দুঃখ ছিল মনে,
    পড়া ছেড়ে নাম লেখাল বাঙালী পল্টনে।

    দেশের কাজে দেশের সেবায় নিয়োজিত প্রাণ,
    চাকরি ছেড়ে লিখল কবি শেকল ভাঙার গান।
    বিদ্রোহীকবি নামে আখ্যা দিল দেশের জনগণ,
    ব্রিটিশ মুক্ত করতে দেশ করলো মাতৃ-মুক্তিপন।

    চুরুলিয়া গ্রাম ছেড়ে কবি হলো মানুষ ঢাকার,
    জাতীয় কবি আখ্যা দিল বাংলাদেশ সরকার।
    ভারতভূমিতে জন্মে কবি মরলো বাংলাদেশে,
    চিরবিদায় নিল কবি সব মানুষেরে ভালবেসে।

    গাঁয়ের ছেলে বিদ্রোহী-কবি কাজী নজরুল ইসলাম,
    ১১৫তম জন্মবর্ষে আমরা কবিরে জানাই প্রণাম।
  • সিকি | 158.168.96.23 | ০১ জুন ২০১৭ ১৬:৩০477440
  • তুললাম।
  • Rabaahuta | 233.186.204.140 | ০১ জুন ২০১৭ ১৬:৩৬477441
  • শান্তাবুড়ি ও মিনিবেড়াল কিন্তু বেশ লাগলো আমার। মানে, গল্পটা, ছবিগুলো। আবার পিসনী মনে পড়লো।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.242.87.159 | ০৫ জুন ২০১৭ ১৭:৩৪477442
  • শেষের দিনের কবিতা
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    যাবে একদিন শ্মশান ঘাটে
    হবে তোমার জীবন-অবসান,
    চিতার আগুনে পুড়ে যাবে
    তোমার যত মান অভিমান।

    ভবের হাটে এসে তুমি মন
    সব কিছু করলে বেচাকেনা,
    বাড়িগাড়ি, টাকা-পয়সা সব
    কোন কিছু সঙ্গে যাবে না।

    নাম ভজ নাম জপ ওরে মন
    সুধা মাখা নাম জপ অবিরাম,
    অন্তিমকালে মরণের পরেতে
    ঠাঁই পাবে তুমি শ্রী বৈকুণ্ঠধাম।

    দু-দিনের তরে এসে দুনিয়ায়,
    দুঃখের আগুনে পুড়ে হয় ছাই,
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী তাই লিখে যায়,
    শেষের দিনের এই কবিতায়।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.242.87.159 | ০৫ জুন ২০১৭ ১৭:৩৬477444
  • সূর্য ডোবে পাহাড় ঘেঁষে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    সূর্য ডোবে পাহাড় ঘেঁষে
    সারা দিনের শেষে,
    আকাশ ঘিরে তারার মেলা
    চাঁদ উঠেছে হেসে।

    নদীর চরে জোছনা ঝরে
    নির্জন নদীর ঘাট,
    কুলু কুলু রবে বহিছে নদী
    বসেছে চাঁদের হাট।

    চাঁদের আলো পড়ে ঝরে
    অজয় নদীর চরে,
    চাঁদের আলো খেলা করে
    গাঁয়ের মাটির ঘরে।

    ফুটফুটে জোছনা হাসিছে
    সারা ভুবন জুড়ে,
    গাছের ডালে সবুজ পাতায়
    অজয় নদীর কূলে।

    রজনী শেষে নিশি প্রভাতে
    জোছনা হারিয়ে যায়,
    সোনার বরণ অরুণ রবি ঐ
    সোনার কিরণ ছড়ায়।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.242.87.159 | ০৫ জুন ২০১৭ ১৭:৩৬477445
  • সূর্য ডোবে পাহাড় ঘেঁষে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    সূর্য ডোবে পাহাড় ঘেঁষে
    সারা দিনের শেষে,
    আকাশ ঘিরে তারার মেলা
    চাঁদ উঠেছে হেসে।

    নদীর চরে জোছনা ঝরে
    নির্জন নদীর ঘাট,
    কুলু কুলু রবে বহিছে নদী
    বসেছে চাঁদের হাট।

    চাঁদের আলো পড়ে ঝরে
    অজয় নদীর চরে,
    চাঁদের আলো খেলা করে
    গাঁয়ের মাটির ঘরে।

    ফুটফুটে জোছনা হাসিছে
    সারা ভুবন জুড়ে,
    গাছের ডালে সবুজ পাতায়
    অজয় নদীর কূলে।

    রজনী শেষে নিশি প্রভাতে
    জোছনা হারিয়ে যায়,
    সোনার বরণ অরুণ রবি ঐ
    সোনার কিরণ ছড়ায়।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.129.236.154 | ১৪ জুন ২০১৭ ১৮:৩২477446
  • কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারীর তিনটি কবিতা

    ১।অজয় নদী বয়ে চলে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    অজয় নদী বয়ে চলে আমার গাঁয়ের পাশে,
    প্রভাতবেলায় পূব গগনে অরুণ রবি হাসে।
    নদীর ঘাটে যাত্রীরা এলে গাঁয়ের মাঝিভাই,
    গান গেয়ে মাঝি বৈঠা হাতে নৌকা চালায়।

    নদীর চরে খেলা করে বন শালিকের ঝাঁক,
    দূর আকাশে ভেসে আসে শঙ্খচিলের ডাক।
    নদীরঘাটে পাড়ার ছেলে আসে গামছা পরে,
    তেল মেখে চান করে তারা ফিরে যায় ঘরে।

    বেলা পড়ে আসে নদীর ঘাটে সূর্য অস্ত যায়,
    সাঁঝের আঁধার আসে নেমে নদীর কিনারায়।
    জোনাকিরা জ্বলে গাছে নদীর ঘাটের কাছে,
    নির্জন নদীর ঘাটে দেখি নৌকা বাঁধা আছে।

    দূরে নদীর ঘাটে ঘাটে চাঁদের আলোক ঝরে,
    জোছনারাতে জোনাকিরা কাঁদে অজয়ের চরে।

    ২।গাঁয়ের মাঝে গোয়ালা পুকুর
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    গাঁয়ের মাঝে গোয়ালা পুকুর কালো তার জল,
    হাঁসগুলো রোজ সাঁতার কাটে পুকুরে অবিরল।
    প্রভাতবেলা জেলেরা এসে প্রতিদিন ধরে মাছ,
    পুকুরের পাড়ে সারি সারি তাল খেজুরের গাছ।

    গাঁয়ের বধূ ঘাটে বসে বাসন মাজে বালি দিয়ে,
    কলসিতে করে জল ভরে ঘরে যায় জল নিয়ে।
    ধোপারা রোজ কাপড় কাচে গোয়ালা পুকুরঘাটে,
    পাড়ার ছেলেরা গামছা পরে জলে সাঁতার কাটে।

    গাঁয়ের মাঝে গোয়ালা পুকুর বিকাল বেলা হলে,
    পড়ন্ত রোদ পড়ে এসে গোয়ালা পুকুরের জলে।
    পুকুর পাড়ে বসে হাঁসগুলো পাখা দুটি ঝাপটায়,
    দিনের শেষে পশ্চিমপানে অরুণ সূর্য অস্ত যায়।

    পুকুর ঘাটে আঁধার নামে বাজে সানাইয়ের সুর,
    নি্র্জন রাতে ঘুমায় একা গাঁয়ের গোয়ালা পুকুর।

    ৩।নিধি-রাম বাঁশুরে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    আমাদের গাঁয়ে আছে এক নিধি-রাম বাঁশুরে,
    বাঁশের বাঁশরী বাজায় নিত্য মধুর মিঠে সুরে।
    চারিদিকে নামডাক, ভারি সুন্দর বাজায় বাঁশি,
    যাত্রারদলে বাজিয়ে বাঁশি টাকা পায় সে বেশি।

    সেদিন যখন নাটশালাতে হচ্ছিল পালা কীর্তন,
    খোল করতাল বাজায় সবাই আনন্দেতে মগন।
    এমন সময় বাঁশি হাতে এল সেথা নিধি-রাম,
    বাঁশির সুরে ভুবন কাঁপে চলিছে কীর্তন-গান।

    ধন্যি ধন্যি করে সবে বাঁশির সুরে পাগল মন,
    মনের সুখে নিধি বাজায় বাঁশি করিয়া যতন।
    খোল করতালি শব্দে যখন কান ঝালাপালা,
    মধুর সুরে বাঁশি বাজে চিত্তে জাগায় দোলা।

    মন মাতানো বাঁশির সুরে পরাণ পাগল করে,
    ছন্দে ও গানে বাঁশির তানে চিত্ত ওঠে ভরে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 113.240.195.96 | ১০ জুলাই ২০১৭ ১৯:১৪477447
  • বেড়ার ধারে শ্যাওড়া গাছে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    বেড়ার ধারে শ্যাওড়া গাছে
    শালিক পাখির বাসা,
    গাঁয়ের মাঠে লাঙল চালায়
    আমার গাঁয়ের চাষা।

    দিঘির জলে শালুক ফোটে
    রাজহাঁস জলে ভাসে,
    পানকৌড়ি ডুব দিতে রোজ
    নয়ন-দিঘিতে আসে।

    নয়ন দিঘির শীতল জলে
    ছেলেরা সাঁতার কাটে,
    ঘোমটা মাথায় গাঁয়ের বধু
    জল নিতে আসে ঘাটে।

    গাঁয়ের মাঝে ময়রা ভোলা
    সাজায় দোকান তার,
    সারাদিন বানায় রসগোল্লা,
    পানতোয়া, দানাদার।

    বেচাকেনা সেরে সাঁঝবেলায়
    সে দোকান বন্ধ করে,
    একতারার সুর বেজে ওঠে
    গাঁয়ের আটচালা ঘরে।

    রাতের আকাশে চাঁদ ওঠে
    তারার মালা ফোটে,
    শেয়ালের হাঁক শোনা যায়
    কাঁকনতলার মাঠে।

    অজয় নদী আপন বেগেতে
    বয়ে চলে দিনরাত,
    রাত কাটে ভোর হয়ে শেষে
    আসে নতুন প্রভাত।
  • সিকি | 158.168.96.23 | ১১ জুলাই ২০১৭ ০৯:০৫477448
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারীই কি তিনি? তিনিই কি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী?

    ছড়াগুলোর স্ট্রাকচারে অদ্ভূত সাদৃশ্য!
  • B | 69.92.144.49 | ১১ জুলাই ২০১৭ ১১:২৭477449
  • কি অলুক্ষুণে কতা বাবা।
    ওরে, এরোম কতা মুখে আনলে যে 'তিনি' পাপ দেবেন।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.242.67.146 | ১১ জুলাই ২০১৭ ১৬:২৩477450
  • আমবাগানের উপর দিয়ে
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    আমবাগানের উপর দিয়ে
    অরুণ সূর্য হাসে ঐ,
    ভোরের হাওয়ায় বনে বনে
    ফলের গন্ধ ভাসে ঐ।

    ফুলের বনে ফুল ফুটেছে
    প্রভাত পাখি গায়,
    দুটি কাকে কা কা ডাকে
    বাড়ির বারান্দায়।

    ময়না চড়ুই বেড়ায় উড়ে
    বাড়ির আঙিনাতে,
    রাখাল গরুপাল নিয়ে যায়
    বাঁশের বাঁশি হাতে।

    বেড়ার ধারে আমগাছটায়
    ধরেছে কত আম,
    খেজুরগাছে ধরেছে খেজুর
    জামগাছেতে জাম।

    নয়ন দিঘির শীতল জলে
    ফোটে সোনার কমল,
    মাঠে মাঠে লাঙল চালায়
    গাঁয়ের কিষাণ দল।

    অজয় নদীর ঘাটের কাছে
    গাছের শীতল ছায়ায়,
    গাঁয়ের বাউল মধুর সুরে
    একতারাটি বাজায়।

    মহুল বনে মহুল তলায়
    বাঁশের বাঁশি বাজে,
    বনের ধারে সারে সারে
    সাঁওতালিরা নাচে।

    দিনের শেষে বেলা ডোবে
    সূর্য অস্তাচলে যায়,
    লুকায় তপন বনের ধারে
    আঁধার নামে গাঁয়।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 113.240.195.195 | ২১ জুলাই ২০১৭ ১২:১৮477451
  • গাঁয়ের মাঝখানে আটচালা
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    গাঁয়ের মাঝখানে আটচালা,
    সেথা বসে রোজ পাঠশালা।
    গুরু-মশাই বসেন চেয়ারে,
    ছাত্রেরা বসে তাঁর চারিধারে।

    পথের ধারে চায়ের দোকান,
    বেঞ্চি পাতা থাকে দু-চারখান।
    সবাই থাকে বসে সারে সারে,
    চা খায় সকলে মাটির ভাঁড়ে।

    এ মাটিতে ফলে সবুজ সোনা,
    ধানের মরাই যায় না গোনা।
    চাষীরা সবাই মাঠে করে চাষ,
    সুখেই থাকে ওরা বারোমাস।

    গাঁয়ের কুমোর কলসি গড়ে,
    থাকে সবে ওরা মাটির ঘরে।
    গাঁয়ের কামার কামারশালায়,
    সারাটা দিন হাতুড়ি চালায়।

    গাঁয়ের তাঁতি বোনে ধূতিশাড়ি,
    গাড়োয়ান চালায় গোরুর গাড়ি।
    গাঁয়ের জেলে রোজ ধরে মাছ,
    গাঁয়ে আছে তাল সুপারি গাছ।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 113.240.195.195 | ২১ জুলাই ২০১৭ ১২:১৯477452
  • গাঁয়ে আছে ছোটদিঘি
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    গাঁয়ে আছে ছোটদিঘি কালো তার জল,
    গাছে গাছে পাখি সব করে কোলাহল।
    পাড়েতে আমের গাছে কোকিলের গান,
    টিয়া এসে শিস দেয় মেতে ওঠে প্রাণ।

    দিঘিঘাটে জল নিতে বধূ সব আসে,
    দুই ধারে ধানখেত রাঙা পথ পাশে।
    রাঙাপথে লালধূলো গোরুগাড়ি চলে,
    শালিকের ঝাঁক এসে উড়ে দলেদলে।

    দিঘি জল সোনা রোদে করে চক চক,
    পাড়ে বসে মাছ খায় সাদা এক বক।
    বেলা পড়ে আসে যেই শানবাঁধা ঘাটে,
    পড়ন্ত বিকেলে রোজ সূর্য বসে পাটে।

    সাঁঝের আঁধার নামে পদ্ম দিঘি ঘাটে,
    চাঁদ উঠে তারা ফুটে নিশি রাত কাটে।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.242.60.141 | ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ১৭:২৪477453
  • হেমন্তের কালমেঘ
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    হেমন্তের কালমেঘ ছেয়েছে আকাশ,
    অবিরত জল ঝরে বহিছে বাতাস।
    সকাল বেলার পাখি গাহিল না গান,
    নীড়ে ভিজে পাখি সব বন্ধ কলতান।

    নদীমাঝে জলোচ্ছাস ডাকে ঘন মেঘ,
    জল ঝরে বেড়ে যায় বাতাসের বেগ।
    অজয়ের খেয়াঘাটে ঘাটে নাহি মাঝি,
    প্রবল বর্ষণ দিনে বন্ধ খেয়া আজি।

    অবিরাম জল ঝরে, নামিল বাদল।
    দাওয়ায় আছে বসে কিষাণ সকল,
    পথেঘাটে বহে জল, কেহ কোথা নাই,
    জল জমে ধানখেতে কি হবে উপায়?

    সারা দিন জল ঝরে নাহিক বিরাম,
    দারুণ বাদল দিনে কেঁদে ওঠে গ্রাম।
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | 160.242.60.141 | ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ১৭:২৫477455
  • সবুজ গাছের ছায়ায় ঘেরা
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    সবুজ গাছের ছায়ায় ঘেরা
    ছোট এক মাটির ঘরে,
    পাঁচিল ঘেরা উঠোনে তার
    ছোট শিশু খেলা করে।

    উঠোনের কাছে ডালিমের গাছে
    ধরেছে ডালিমে রং,
    ঘর হতে শুনি ইস্টিশনের ঘণ্টা
    বেজে ওঠে ঢং ঢং।

    গলিপথ দিয়ে বাঁকাপথ গিয়ে
    মিশেছে দিঘির ঘাটে,
    পাড়ে তালগাছ শানবাঁধা ঘাট
    ছেলেরা সাঁতার কাটে।

    গাঁয়ের বধূরা সকালে বিকালে
    জল নিয়ে ঘরে যায়,
    একতারা হাতে গাঁয়ের বাউল
    মিঠে সুরে গান গায়।

    অজয়ের ঘাটে পড়ে আসে বেলা
    সূর্য যায় অস্তাচলে,
    নির্জন গাঁয়ে আঁধার নামে
    পাখিদের কোলাহলে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন