এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আরেকটি বিশ্বমন্দার সামনে আমরা দা

    Biplab Pal
    অন্যান্য | ০৫ আগস্ট ২০১১ | ৬৩১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bb | 117.195.166.0 | ০৬ আগস্ট ২০১১ ১০:০৮482058
  • ন্যাড়াকে ক। আর্য ভারতে একশ্রেনীর লোক কিন্ত অন্তপ্রেনার হচ্ছেন আর তার সুফল আর কিছুদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে।
    আর দেশীয় বাজার নিজেই অনেক বড় কনজিউমার তাই অনেকটাই মন্দা নির্ভরতা কম।
    এই অনসাইট-অফসোরের বাইরে অনেক জগত আছে। শুক্রবার রাত হলেই যারা বড় বড় মলের সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে যান তারাই কি আর ভারতবর্ষের মুখ? আমাদের মত এই জনতা যারা আমেরিকা নির্ভর তাদের মুশকিল হতে পারে কিন্তু অন্যদের এত প্রবলেম নেই।
  • abastab | 61.95.189.252 | ০৬ আগস্ট ২০১১ ১০:৫০482059
  • খাঁটি কথা। **টার আবার বাটপাড়ের ভয়।
  • lcm | 69.236.187.211 | ০৬ আগস্ট ২০১১ ১১:৩৩482060
  • গ্লোব্যাল আইটি-তে ইন্ডিয়া এখন ডমিন্যান্ট ফ্যাক্টর, অ্যাডভান্টেজ ইন্ডিয়া। শুধু, বিজনেস অ্যাপ্লিকেশন কনসাল্টিংই নয়, টপ প্রোডাক্ট কোম্পানীও দেশের বাইরের আইটি রিসোর্স-এর কথা উঠলে প্রথমে ইন্ডিয়া-র কথাই ভাবছে। এই লিস্টে অ্যাকসেঞ্চার/ডেলয়েট থেকে ওর‌্যাক্‌ল/আইবিএম বা গুগল/ইয়াহু সকলেই আছে (ফেসবুক হায়দ্রাবাদে অফিস খুলেছে, টপ পজিশনে গুগল ইন্ডিয়া থেকে একজনকে তুলে এনেছে)। নন আইটি কোম্পানীও ইন্ডিয়ায় আইটি অপেরেশন খুলেছে। ব্যাংক অফ্‌ আমেরিকা-র ভারতে কটা ব্রাঞ্চ অফিস বা এটিএম আছে কে জানে, কিন্তু হায়দ্রাবাদে প্রায় হাজার তিনেক এমপ্লয়ি - সব আইটি।

    আমেরিকায় রিশেসন বাড়লে ইন্ডিয়ায় আউটসোর্স আরো বাড়বে। কস্ট অ্যাডভান্টেজ একটা ফ্যাক্টর। কিন্তু সেটা পুরো গপ্পো নয়।
    ইউএস-এ তে যে কোনো সফ্‌টওয়্যার টেকনিক্যাল পজিশনের (কনট্র্যাক্টর বা ফুলটাইম পেইড ইন ডলার) জন্য যত অ্যাপ্লিকেশন আসে তার ৮০-৯০% ভারতীয়, এখনও। আইটি ডেভলেপমেন্ট, কনসাল্টিং - ডোমেইনে ভারতীয়দের একচেটিয়া আধিপত্য। সুতরাং, এই ফিল্ডে ডলার খরচা করতে চাইলেও ভারতীয় প্রফেশনাল ছাড়া গতি নাই।

    সুতরাং, ইউএস-এ যদি ডাবল ডিপ রিসেশন আসে, তাতে ইন্ডিয়ার অ্যাডভান্টেজ কমছে না। আর, অন্য দেশ থেকে কম্পিটিশন? ইংরেজি জানা হাজার হাজার প্রযুক্তিবিদ - রাতারাতি তো তৈরী করা যাবে না।
  • bb | 117.195.162.211 | ০৬ আগস্ট ২০১১ ১৩:২৭482061
  • @LCM আমি সচেতন ভাবে আমার কোং এর জন্য অ-ভারতীয় খুঁজচি, কিন্ত ৫ টি লোক পেতে আমার ৮ মাস লেগেছে।
    ১) বেশী দক্ষ লোকেদের যা মাইনে চাই তা দিতে আমাদের কষ্ট হয়।
    ২) মাইনেতে মিললেও, মোবীলিটি কম
    ৩) তাও মিললে গ্লোবাল -ডেলিভারী মডেল এ সন্ধ্যার পর কলে আসতে অনীহা।
    ৪) প্রোজেক্ট থাকলে তার বাইরে কাজ করতে না চাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

    বাধ্য হয় কিছু ভারতীয়, তাইওয়ানের লোক, কানাডার লোক নিতে হয়েছে।
    অবশ্য বর্তমানে কিছু মানসিকতায় পরিবর্তন লক্ষ করছি, যা আশাব্যজ্ঞক,
  • ppn | 112.133.206.18 | ০৬ আগস্ট ২০১১ ১৫:১৯482062
  • বিবির অভিজ্ঞতা আমারো হয়েছে।
  • Biplab Pal | 69.250.67.136 | ০৬ আগস্ট ২০১১ ২০:২৪482063
  • @LCM
    এর সাথে একমত না। ভারতের আভ্যন্তরীণ বাজার এখনো ছোট। আমেরিকাই যদি না থাকে-আউটসোর্সিংটা হবে কিসের? সেটার জন্যেও ত আমেরিকান বাজারটা টিকে থাকা দরকার। ইউরোপের বাজার প্রায় বসে গেছে। আমেরিকান বাজার কিন্ত ওঠে নি।

    ক্রেতা আসলে তবেই দ্রব্যের প্রশ্ন।
  • lcm | 69.236.187.211 | ০৬ আগস্ট ২০১১ ২১:০৮482065
  • বিপ্লব,
    আরে না, একেবারে সেরকম কিছু হয় নি। কম্পুটার, অ্যাপ্লিকেশন সব শাট ডাউন - সেরকম কিছু না।

    ১০ বছর ধরে যে প্রায় ১০০০ বিলিয়ন ডলার স্পেন্ডিং কাট হবে, তার একটা অংশ মিলিটারি স্পেন্ডিং কাট, বলছে এর মধ্যে প্রায় ৩৫০ বিলিয়ন কাট হবে ওখান থেকে। এবার কিছু সার্ভিস কাট হবে, কিন্তু তার জন্য আইটি-তে তেমন ইম্‌প্যাক্ট --- বা এই সব কাট ছাঁট করতেও যে টুকু কম্পুর ব্যবহার লাগবে দেখবে সেটাও হয়ত ইন্ডিয়াতে পাঠিয়ে দেবে :-)

    ২০০১-এ ডাউনটার্ন, ২০০৮-এ ক্র্যাশ - সব সময়ই দেখা গেছে যে আইটি-তে স্পেন্ডিং কাট-এর একটা অপশন হিসেবে ইন্ডিয়াতে আউটসোর্সিং এর ব্যাপারটা কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড একেবারে লুফে নিয়েছে।

    আর এই এসএন্ডপি-র ডাউনগ্রেড তো এক্সপেক্টেড ছিল, কিছুদিন ধরেই ইউএস-এর ক্রেডিট রেটিং নিয়ে ঘ্যানোর ঘ্যানোর চলছিল। মুডি আর ফিচ্‌ - এই দুই এজেন্সি এখনও অবশ্য কিছু বলে নি।
  • lcm | 69.236.187.211 | ০৬ আগস্ট ২০১১ ২১:২৯482066
  • বিপ্লব,
    ".... আর আমেরিকাই যদি না থাকে, তাহলে আউটসোর্সিং...' - এত তাড়াতাড়ি আমেরিকাকে হাওয়া করিয়ে দিও না বাপু। একটু পাততাড়ি গোছানো সময় দিও :)

    বিবি,পিপিএন,
    যাক্‌ তোমরা তবু কাউকে পেয়েছিলে। কিছু কিছু কোর টেকনিক্যাল স্কিল সেটে ভারতীয় বা চাইনিজ ছাড়া রেজিউমে আসেই না।

  • nyara | 122.172.37.246 | ০৬ আগস্ট ২০১১ ২১:৩৭482068
  • বিবির ঐ ডোমেস্টিক মার্কেটে একমত হওয়া গেল না। ভারতের ডোমেস্টিক মার্কেট সেরক তৈরি হচ্ছে না, মানে যতটা হলে ভারতে আইটি সেক্টরকে সাস্টেন করা যায়। আমি জানিনা, ডোমেস্টিক মার্কেট দিয়ে ১০%-ও সাস্টেন করা যাবে কিনা।

    এলসিএম, তোমার সঙ্গে অধিকাংশতেই একমত। তবে ২০১১-তে ভারতের অবস্থা অনেক পাল্টেছে। প্রথমত: কস্ট অ্যাডভান্টেজ অনেক কমেছে। দু নম্বর আউটসোর্সিং ওবামার নির্বাচনে যে পরিমাণে ইলেকশন অ্যাজেন্ডা হয়েছিল, কোম্পানিরা দেঁড়েমুশে আউটসোর্স করার আগে ব্যাকল্যাশের কথা ভাববে।
  • aka | 24.42.203.194 | ০৬ আগস্ট ২০১১ ২২:০১482069
  • দিনের শেষে কস্ট কাটিং তাই লোকে ভারতে কাজ দেয়। নইলে ওবামা সরকার এইচ ওয়ান বি, আউটসোর্সিং ইত্যাদিতে জিনা হারাম করে দিয়েছে।

    এনিওয়ে তা কস্ট কাটাতে এখন অনসাইট-অফশোর মডেলের নতুন রূপ হল ক্লায়েনের ম্যাঞ্জার ডাইরেক্টলি অফশোরের সাথে কথা বলছে, রাতে কংকল করছে যাতে অনসাইট রাখতে না হয়। মানে ধরুন সাপোর্টের কাজ অফশোরে ম্যানেজ করছে ক্লায়েন নিজে।

    আচ্ছা প্রোডাক্ট কোম্পানিরা যে আম্রিগার বাইরে ডেভল্পমেন্ট সেণ্টার খুলছে তার কারণ কি? স্পেসিফিক স্কিল সেট ট্যাপ করা? নাকি শস্তায় স্কিল সেট ট্যাপ করা?
  • ppn | 112.133.206.18 | ০৬ আগস্ট ২০১১ ২২:১৮482070
  • দেখা যাক। ল্যাদোষদা কিন্টু ডেটা ঠিকই দিয়েছে। ২০০৮-০৯ সালে কিন্তু রিসেশনের পরে দেঁড়েমুশেই কাজ এসেছিল ইন্ডিয়াতে।

    এখনো যা চাহিদা তার তুলনায় স্কিলড এমপ্লয়ি খুবই কম।
  • lcm | 69.236.187.211 | ০৭ আগস্ট ২০১১ ০১:৫৬482072
  • ইউএস-এর আইটি কাজ ইন্ডিয়া-তে আসছে - এ ব্যাপারটা সঙ্গে রিসেশনের যোগাযোগ কম। অনেক ফ্যাক্টর, যেমন -

    - ইউএস-এর ইউনিভার্সিটি গুলোর কম্প সায়েন্স বা আইটি/সফ্‌টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোনো এমএস/মাস্টার্স ক্লাসে গিয়ে দেখো - ৫০ টা স্টুডেন্টের মধ্যে ৪০ জন ভারতীয়। শুধু কম্প সায়েন্স নয়, ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অন্য শাখাতেও ভারতীয় প্রাধান্য আছে। আন্ডার গ্র্যাডে এতটা না হলেও, এশিয়ান উপস্থিতি লক্ষ্যনীয় (কারণ, ভারতীয়দের পক্ষে বারো ক্লাসের পর ইউএস-এ এসে চার বছরের আন্ডাগ্র্যাড ডিগ্রী ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে ওঠে, তাও অনেকে আসে)। এই ফিল্ডে হায়ার এডুকেশনে ভারতীয়দের প্রাধান্য সন্দেহাতীত।

    - গত ১৫ বছরে কম্পুটার কম্যুনিকেশনে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে। আইটি ওয়ার্ক ফোর্সের জিওগ্র্যাফিক্যাল লোকেশন আর ম্যাটার করে না। একটি ল্যাপটপ আর নেট কানেকশন থাকলে, সাবার্বে ওয়ার্কিং-ফ্রম-হোম এর সাথে গোবি মরুভূমির তাবুর মধ্যে থেকে কাজ করবার মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। তার ওপর ভার্চুয়াল ডেস্কটপ, নেট মিটিং, ওয়েবএক্স ভিডিও কনফারেন্স -- ইত্যাদির ব্যবহারের ফলে ফিজিক্যাল প্রেসেন্স এখন গৌণ হয়ে আসছে।

    - প্রোডাক্ট কোম্পানীর একটা উদাহারণ দিই, পরিচিত একজনের কাছে শোনা। পৃথিবীর অন্যতম বৃহ্‌ৎ সফট্‌ওয়্যার কোম্পানী। তো, ২০০৬ নাগাদ তাদের একটি প্রোডাক্টের পারফর্ম্যান্স টিউনিং-এর জন্য একটি কোর ইঞ্জিনিয়ারিং টিম তৈরী হবে ঠিক হল। অলরেডি আছে টিম, এক্সপানশন হবে। যাই হোক, কুড়ি জন নেওয়া হবে এবং ঠিক হল যে কাজটা সিলিকন ভ্যালি-র একটি অফিসেই হবে। জব পোস্টিং-এর রেসপন্স এ দেখা গেল, ৭০ জনকে বাছাই করা হয়েছে প্রাথমিক ইন্টারভিউ-এর জন্য, এর মধ্যে ৫৮ জন ভারতীয়। সব দেখে শুনে ঐ ডিভিশনের টপ বস্‌ (ভিপি) ঠিক করলেন এই টিম টা তাহলে তাদের হায়দ্রাবাদে অফিসে করা হোক। ইউএস অফিসের সঙ্গে কোলাবোরেশনে কাজ চলবে।
    এখন তো ব্যাপারটা এরকম দাঁড়িয়েছে, যে কিছু স্টার্ট আপ কোম্পানীও, এখানে ৫ জন আর চেন্নই-তে ১০ জনের টিম নিয়ে প্রোডাক্ট তৈরী করছে, এখানে ডিজাইন, ডেভলপমেন্ট ওখানে। কখনও ডিজাইন-ও এখান-ওখান মিলিয়ে।
    আমার টিমের একজন ব্যাঙ্গালোর থেকে কাজ করে, পেইড ইন ইউএস ডলার (৮০/ঘন্টা), কিন্তু সপ্তাহে ১০-১৬ ঘন্টার বেশী কাজ তাকে দেওয়া যাবে না (বাজেট ঐ অবধি, আর পুরো ৪০ ঘন্টার কাজও নেই), কোনো সপ্তাহে আরো কম। এতে আমাদেরও সুবিধে হয়েছে, আর ওরও অসুবিধে হয় না।
  • Sibu | 174.145.199.52 | ০৭ আগস্ট ২০১১ ১৬:০৫482073
  • এই সুতো পড়তে পড়তে মনে হচ্ছে চীনে ভাষাটা এবারে শিখতেই হবে। আম্রিকায় মন্দা হলে ওরাই তো ভরসা।
  • lcm | 69.236.187.211 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ০২:৫৫482074
  • আবাপ তে একটা খবর পড় এমনে হল, ইউএস-এর ন্যাশনাল ডেট-এর বেশীর ভাগই ওন করে চায়না আর জাপান। তাই কি?

    কাদের কাছে এই ১৪ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ:


    ইউএস এর পাবলিক এবং ইন্সটিউশন - ৪২.২%
    ইউএস সোস্যাল সিকিওরিটি - ১৭.৯%
    ইউএস সিভিল সার্ভিস রিটায়ারমেন্ট - ৬ %
    ইউএস মিলিটারি রিটায়ারমেন্ট - ২.১ %
    চায়্‌না - ৭.৫ %
    জাপান - ৬.৪ %
    ইউকে - ৩.৪ %
    ব্রেজিল - ১.৩ %
    আদার ফরেন নেশন্‌স - ১১.৬%
    ওয়েল এক্সপোর্টার্স - ১.৬%
  • Biplab Pal | 69.250.67.136 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৬:৫৩482075
  • [] ন্যান্সি পোলুসি মাসি বলছেন ডিফেন্সে ৩৫০ বিলিয়ান কাট। সেটা ডিফেন্স সেক্রেটারী মানতে চাইছেন না

    [] কাটের প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বেই

    [] আমেরিকার ইঞ্জিনিয়ারিং সামর্থ্য দিনে দিনে কমছে। আমি আই টি বাদ দিলাম। সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের আগের যে ক্ষমতা ছিল আজ তা আর নেই। কারন ভি সি রা আজকাল আর ইঞ্জিনিয়ারং এ লটারী খেলছে না।

    [] ঐতিহাসিক ভাবে নতুন প্রযুক্তি বরাবর ধনতন্ত্র এবং বাজারকে বাঁচিয়েছে। এবার সেরকম কিছু নতুন দেখা যাচ্ছে না যা ডিসপ্লেসড স্কিল্ড ফোর্সকে কাজে লাগাতে পারবে।

    আই টি নিয়ে আশাবাদি নই। টিসিএস ইনফির অধিকাংশ কাজই মেইনটেনান্সের- যা বেঁচে আছে লেগাসি সিস্টেমের জন্যে। নতুন সিস্টেমে কোম্পানী গুলো মাইগ্রেট করলেই সেসব কাজের ৯০% হাওয়া হয়ে যায়। লেগাসি সিস্টেম সব তুলে দিলেই আই টির ৫০% জব বাজারে থাকবে না।
  • ppn | 216.52.215.232 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৭:৪৩482076
  • লেগাসি সিস্টেম তুলে দেওয়া অতই সোজা? ব্যাঙ্ক, ইন্স্যুরেন্স, এয়ারলাইন্স এসব লেগাসি সিস্টেম তুলে দেবার প্রোজেক্ট তো ইন্ডিয়াতেই আসবে। আমার রিটায়ারমেন্ট এজ অব্দি তালে আর চিন্তা নেই। :)
  • dukhe | 122.160.114.85 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৮:২৮482077
  • আর যদ্দিনে মাইগ্রেশন হবে, তদ্দিনে সেই 'নতুন' সিস্টেম লেগাসি হয়ে যাবে ! অতএব আবার -
  • bb | 117.195.161.111 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২১:৪০482079
  • উফ বিপ্লববাবু এক একটা ডেট এমন দিয়ে তার থেকে এমন এক সিদ্ধান্তে উপনীত হন না :)
    ১) একটি CIO এর ১০০ ডলারের মধ্যে ৬৪ ডলার যায় মেন্টেনেন্সে।
    ২) আজ যা মর্ডান , কাল তাই লিগাসি (আকা সত্য রায়)
    ৩) আজকাল বরং আমাদেরই অসুবিধা হয় মেনফ্রেম এর লোক জোগাড় করতে তবু তো তার কোন প্রতিদ্বন্দী দেখলাম না।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২১:৫৯482080
  • বিবি কি আমারে কিছু কইলেন বুইতে পারলাম না।
  • bb | 117.195.161.111 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২২:৪৩482081
  • এই আকা আপনি নন aka এর বাংলা রূপ। :)
  • SC | 128.237.235.169 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২২:৫৫482082
  • আই টি সম্বন্ধে কিছু জানিনা।
    কিন্তু টেক সেক্টরে ইনভেস্টমেন্টে অনীহাই আমেরিকাকে ডোবাবে মনে হচ্ছে।
    অটো ইন্ডাস্ট্রী তো প্রায় লাটে উঠেছে, সাথে সাথে রিসার্চ ফান্ডিংঅও কমানো হচ্ছে।
    ফলে বিভিন্ন ম্যানুফাকচারিং সেক্টরে কি হাল হবে বোঝাই যাচ্ছে।
    ফিনান্সের উপরে নির্ভর করে ইনোভেশনে নজর না দিলেও চলবে, এরকম একটা ধারণা
    ক্রমশ গেঁড়ে বসেছে আমেরিকাতে।
    সেটাই হয়ত শেষের শুরু।
  • Moloy | 207.45.43.68 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২৩:৩৭482083
  • আমার যদ্দুর ধারনা US এ অটো ইন্ডাস্ট্রী বেশ খানিকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে । GM , Ford , Crystler লাভের মুখ দেখছে আর বাজার এ কিছু ভাল গাড়ী ও আনছে। ম্যানেজমেন্ট re-structure , attitude change আর বেটার কস্ট ম্যানেজমেন্ট দিয়েই এসব সম্ভব হচ্ছে। Alan Mulally র ওপর বেশ কিছু ডকু আছে।
    এই বেটার কস্ট ম্যানেজমেন্ট টা সব যায়গাতেই হওয়া দরকার। সে finance sector হোক বা academics। তো এখন কোনটা কস্ট ম্যানেজমেন্ট আর কোনটা কস্ট কাটিং সে নিয়ে তর্ক চলতেই থাকবে। একেক সেক্টর এ Implementation rule একেক রকম । কিন্তু ground rule সেই এক । ফ্রী ডলার এর দিন শেষ । মানুফ্যক্‌চার এও তাই , ফিনান্স এও তাই , রিসার্চ এও তাই।
  • pinaki | 122.164.173.195 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২৩:৩৯482084
  • হয়তো জেনারালাইজ করা উচিৎ নয়। কিন্তু নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আম্রিকার অ্যাকাডেমিয়ায় মাঝারি মাপের ইউনিগুলো ক্রমশ: কোয়ালিটি রিসার্চ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ফান্ডিং আনার জন্য এত তীব্র প্রতিযোগিতা যে সেখানে যাদের শোম্যানশিপ বেশী তারা সেই দিয়ে আর কোয়ান্টিটি দিয়ে কোয়ালিটিওয়ালা লোকদের পিছনে ফেলে ফান্ডিং এজেন্সিগুলোকে টুপি পরিয়ে ফান্ড নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। অভাবে মানুষের যেমন স্বভাব নষ্ট হয় - অনেকটা সেরকম আর কি। নামকরা ইউনিগুলোর ভিতরের কথা জানি না। কিন্তু মাঝারি মাপের যেটুকু দেখেছি - সর্বত্র ট্রেন্ডটা একই বলে মনে হয়েছে। পেপার লেখার আর পাবলিশ করার চাপ এত বেশী - কাজটা করবে কখন? আমাদের ফিল্ডে চোখের সামনে দেখলাম - দুটো বাজ ওয়ার্ড বড় পানুরা মার্কেটে ছেড়ে দিল - একটা হল 'স্মার্ট গ্রিড' আর একটা হল 'সাইবার ফিজিকাল সিস্টেম'। অম্নি কম্পিউটার আর ইলেক্ট্রিকালের সবাই সেই নিয়ে পড়ল। দুবছরের মধ্যে এমন অবস্থা দাঁড়াল যে সবাই যদি নিজের নিজের কাজকে কোনো না কোনো ভাবে ঐ দুটো এরিয়ার সাথে রিলেট করে দেখাতে না পারে তাহলে কমিউনিটিতে মুখ দেখাতে পারবে না। ফান্ডিং তো দূরস্থান। আর এই ঘোলা জলে মাছ ধরতে আবির্ভাব হল কিছু ওপর চালাকের। যারা কোনো ফান্ডামেন্টাল কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা - কিন্তু প্রেজেন্টেশনে তুখোড়। দেখলাম বাজারে তারাই করে খাচ্ছে। আর তাদের চাপে যেসব লোক এককালে সেমিনাল কাজ করেছে তাদের্কেও নিজেদের ধরণ ধারন পাল্টে ঐ বাজ ওয়ার্ডের চোরাবালিতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে। আমি জানি না এটা অন্য ফিল্ডে কতটা সমভাবে প্রযোজ্য। কিন্তু একটা এরিয়ায় অন্তত: যা দেখেছি - তাতে এই ট্রেন্ড নিয়ে আম্রিকা টেকনোলজির বাজারে একাধিপত্য ধরে রাখতে পারবে কি না - সে ব্যাপারে আমি খুবই সন্দিহান। আর ইউরোপ নিয়েও যেটুকু ব্যক্তিগত ধারণা হল - সেটা হচ্ছে - এনারা ফান্ডামেন্টাল কাজে আগ্রহী, বাজ ওয়ার্ডের পিছনে ছোটার চেয়ে। কিন্তু চূড়ান্ত ল্যাদ এঁদের। SC র এব্যাপারে কি উপলব্ধি হল জানতে পারলে ভালো লাগত।
  • nyara | 203.83.248.37 | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২৩:৫৫482085
  • buzz word চিরকালই অ্যাকাডেমিক্সে ছিল। মধ্য নব্বই-তে আমাদের লাইনে সবাই নিজের রিসার্চ neural network-এ অ্যালাইন করতে চাইত।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৯ আগস্ট ২০১১ ০১:০৬482086
  • এটা সেদিন এনপিআরেও কইল। গোটা আমেরিকান অ্যাকাডেমিয়া নাকি রিসার্চ আর পেপার ফেটিশে ভুগছে, তাতে সবথেকে অসুবিধা হচ্ছে ছাত্রদের। টীচাররা মনে করে রিসার্চই তাদের একমাত্র কাজ ফলে ছাত্রদের কথা খুব একটা মাথায় রাখে না। ক্লাসে প্রিপায়ার্ড না হয়ে আসে, ছাত্তরদের সাথে বেশি সময় কাটায় না। ১৯৬০ সালের সাথে কম্পেয়ার করে দেখিয়েওছে যে এখন স্টুডেন্ট-টীচার ইন্টার‌্যাকশন কত কমে গেছে। একে হায়ার এডুকেশনের জন্য প্রচূর টাকা লাগে, অন্যদিকে কোয়ালিটি খারাপ হচ্ছে এইসব নিয়েই বক্তব্য রাখছিল। আমি খুবই কম দেখেছি কিন্তু একটু ভালো স্কুলে এখনও প্রচূর ভালো কাজকম্মো হচ্ছে।
  • pinaki | 122.164.173.195 | ০৯ আগস্ট ২০১১ ০১:২২482087
  • আমার ধারণা পড়ানোর কোয়ালিটি ঝপ করে পড়বে না। কারণ ফীডব্যাক সিস্টেমটা এখনো খুব স্ট্রং। কেউ বাজে পড়ালে তার ক্লাসে পরের বার লোক হবে না আর কোর্সটা উঠে যাবে। এরকম কেস আমার নিজের চোখে দেখা। কিছু লোক চিরকালই হাবিজাবি পাবলিশ করে চলে আর তাদের নামের পাশে ২০০ টা পেপার থাকে যার মধ্যে ১০ টাও ৫ বছর পরে কেউ পড়ে না - এরকম স্যাম্পল চিরকালই ছিল আছে, থাকবেও। আমি সেটা নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন নই। আমার যেটা অ্যালার্মিং লেগেছে সেটা হল এন এস এফ - ইত্যাদির মত জায়গা, এমনকি ইউ এস নেভি - এদেরকেও টুপি পরিয়ে জালি লোকরা মিলিয়ন ডলারের ফান্ডিং বাগিয়ে নিচ্ছে। এর মানে কি? আমার মনে হয়েছে সব জায়গাতেই কোয়ান্টিটি দিয়ে বিচার করার একটা প্রবণতা ঢুকে পড়ছে। যেটা খুব খারাপ একটা ইন্ডিকেশন।
  • pi | 72.83.100.43 | ০৯ আগস্ট ২০১১ ০১:২৬482088
  • পিনাকীদা, অনেকটাই একমত। আর তার সাথে আছে গ্রুপবাজি, লবিবাজি :)কমত।

    যাইহোক, আকাদা, সরকারি স্পেন্ডিং এর যেগুলো কাট হবে সেগুলো সব ফালতু খরচ বলছো, কিন্তু এর জন্য জব কাট তো হবেই। এই ধরো, আগে অনেক টেকনিক্যাল কাজকম্ম আউটসোর্স করা হত। মানে, সার্ভিস নেওয়া হত। ছোটোখাটো অনেক লোক্যাল কোম্পানীর থেকে। তাতে রিসার্চের কাজ তাড়াতাড়ি এগোত। এগুলো এখন বন্ধ হবে। ল্যাবে ল্যাবে সেরকমই নির্দেশ। বাজেট অনেক কমেছে। তো, এরকম সব কোম্পানী গুলো তো এবার লাটে উঠবে। ওগুলো দিয়ে কিছু কম লোকের অন্নসংস্থান হত না তো ।
  • lcm | 128.48.44.141 | ০৯ আগস্ট ২০১১ ০১:৩১482090
  • ডাও -৬০০
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন