এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মহাভারতের কথা অমৃত সমান। কুলদা রা

    Kulada Roy
    অন্যান্য | ২১ জুলাই ২০১১ | ৫৮৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • amit | 128.103.93.206 | ২৩ জুলাই ২০১১ ০১:৪৯483988
  • কৃষ্ণের মারা যাওয়া সম্পর্কে কোন ফাণ্ডা? সেই যে কোন ব্যাধ পায়ে তীর মারল (না জেনে) আর মারা গেল, মুখগহ্বর দিয়ে এই বিশাল সাপ বেরিয়ে কোথায় জানি চলে গেল ইত্যাদি!
  • kallol | 115.184.70.230 | ২৩ জুলাই ২০১১ ১১:৪৬483989
  • কৃষ্ণ গাছের ডালে বসেছিলেন, মতান্তরে ঝোপের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এক ব্যাধ তার চরণকমলকে পাখী না কি ভেবে শলা খাইয়ে দেয়। তো ব্যাস। কেষ্টোবাবুর চোখে তুলসী।
    সমুদ্রের পাড়ে বসেছিলেন বলরাম। ওর মুখদিয়ে সহস্র ফনাধারী এক মহা সর্প বের হয়ে সমুদ্রে নেমে যায়। তো, বলাদাও ফুস।
  • kallol | 115.184.70.230 | ২৩ জুলাই ২০১১ ১১:৪৭483990
  • সিকিটা যাতা। দ্রৌপদীর আবার ভাসুর-দেওর কি??? সে তো পুরো বর্বর।
  • dukhe | 117.194.226.31 | ২৩ জুলাই ২০১১ ১৪:৫০483991
  • ঘনাদার মতে জয়দ্রথ মারা গেসল সূর্যগ্রহণের দিন ।
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ২৩ জুলাই ২০১১ ১৯:৪৬483992
  • এই সাপগুলো কি?
  • kallol | 115.241.55.187 | ২৩ জুলাই ২০১১ ১৯:৫৯483993
  • হেইডা আমিউ জানি না।
  • aka | 24.42.203.194 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২০:০২483994
  • ১। এই সাপ হল বাসুকি।

    ২। সূর্য্যগ্রহণের কথা ব্যসদেব কোন এক সময়ে ভীষ্মকে বলেছিলেন। বলেছিলেন এমন গ্রহণ আগে কখনো হয় নি, অশনি সঙ্কেত। কোথায় কবে একথা জিগ্যেস করে লাভ নেই। আমার কাছে কোনই রেফারেন্স নেই। তবে যদ্দুর মনে পড়ছে এই গ্রহণের রেফারেন্স আছে। ভীষ্ম যেদিন ইচ্ছামৃত্যু বরণ করলেন সেদিনও সূর্য্য ঢেকে গিয়েছিল। ব্যাসদেব মনে হয় এই গ্রহণের কথাই ভীষ্মকে বলেছিলেন, কিন্তু তাহলে জয়দ্রথর ব্যপারটা কি? এই অল্প কদিনের মধ্যে দুইবার সূর্য্যগ্রহণ তো সম্ভব নয়।

    এসব ডিডিদা জানেন।
  • aka | 24.42.203.194 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২০:০৬483995
  • বলরাম মনে হয় অনন্ত নাগ ছিল, রামায়ণে লক্ষণ ছিল অনন্তনাগ।

    (দুর ভুলে ভুলে যাচ্ছি)।
  • amit | 128.103.93.206 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২০:৫০483996
  • কল্লোলদা, তাহলে কৃষ্ণের কেসটা কি অ্যাকিলিস হিল টাইপ এর ব্যাপার? অতকিছু ঝড় ঝাপটা সামলে শেষমেশ ব্যাধের তীরে মারা গেল।

    সাপ ব্যাপারটা বোধহয় ঐ অনন্ত শক্তি (কুণ্ডলিনী শক্তি?) বা আত্মা জাতীয় ব্যাপার স্যাপার হতে পারে। জানি না, তবে রূপক অর্থেই মনে হয়।
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২১:২৪483998
  • বলরামতো সব সময় তুরীয় অবস্থায় থাকতেন। বাসকী বা অনন্ত নাগদের তাহলে মদ্যপান ছাড়া চলে না। এই কারণেই কি ভদ্রলোক ভূমিকম্প ঘটাতে পারতেন? আবার সর্পকে তো দেখছি পরীক্ষিতের কাছে। ঠুক করে কামগ দিচ্ছে। মহাভারতের আদি অন্তে এত সর্পময়? এই সর্প কি হাওয়া বিবির কাছে গিয়েছিল? হাওয়া হাওয়া ওরে হাওয়া। সর্প হইল খল। উহাকে বিশ্বাস করিও না। তাহলে বলরামকে অবিশ্বাস না করা যায় কি ভাবে?
  • siki | 122.162.75.8 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২১:২৯483999
  • হ্যাঁ, অনন্তনাগ। সহস্রফণাধারী সাদা রঙের সাপ। বলরামের প্রাণস্বরূপ সেই সাপ তার মুখ থেকে বেরিয়ে পাতালের দিকে চলে যায়।

    কৃষ্ণের কেসও ঐ রকম ছিল। যদুবংশ যখন ধ্বংস হল, কৃষ্ণ গোষ্ঠীযুদ্ধ থামাবার ব্যর্থ চেষ্টা করে ক্লান্ত হয়ে বসেছিলেন। তখন ঐ ব্যাধের তীর এটসেট্রা ঘটনা ঘটে। কৃষ্ণ আগে থেকেই সমস্ত জানতেন, যে যদুবংশ ধ্বংস হবে, সেই রকমই অভিশাপ ছিল আগে থেকে, এবং সেই ধ্বংসের মধ্য দিয়ে দ্বাপর যুগ শেষ হবে, কলিযুগের সূচনা হবে। কৃষ্ণ ছিলেন দ্বাপর যুগের অবতার, অতএব দ্বাপর যুগ শেষ হতেই তাঁর অবতার হয়ে থাকার প্রয়োজন ফুরলো। জরা নামক সেই ব্যাধ ছিল নিমিত্তস্বরূপ, তার বাণ পায়ের বুড়ো আঙুলে লাগার পরে তিনি সেটাকেই মৃত্যুবাণ হিসেবে স্বীকার করে মর্ত্য ছেড়ে চলে যান। মৃত্যুর আগে ব্যাধকে তিনি ক্ষমা করে গেছিলেন। ব্যাধ এসে দেখতে পেয়েছিল সে কৃষ্ণের পায়ে বাণ মেরেছিল।

    সম্ভবত ধনুষ্টঙ্কারে মারা যান কৃষ্ণ।
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২১:৩২484001
  • ধৃতরাষ্টাদির মৃত্যু তাহলে সুইসাইড কেস। কিন্তু বিদুরের কি হয়েছিল? উনি কি ল্যাংটা পাগল হয়ে মারা গিয়েছিলেন?
  • siki | 122.162.75.8 | ২৩ জুলাই ২০১১ ২১:৩২484000
  • বাসুকি ছিলেন নাগরাজ। প্রচণ্ড দুর্যোগের রাতে যখন বসুদেব ডালা মাথায় করে সদ্যোজাত কৃষ্ণকে ছেড়ে আসতে যাচ্ছেন নন্দের বাড়ির দাওয়ায়, তখন বাসুকি তাঁর ফণা মেলে ধরে ছাতার কাজ করেছিলেন। যমুনা শান্ত হয়ে গেছিল তাঁর ফনার নিচে।
  • aka | 24.42.203.194 | ২৪ জুলাই ২০১১ ০২:১২484002
  • বাংলার একশ বছর আগের ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন সেটিও সর্পময়, আমার দাদু, ঠাকুমার গল্প টল্পও সর্পময়। আসলে সাপ খুবই বেশি ছিল। পরীক্ষিতের সর্পময় ইতিহাস সেরকম। কিন্তু এই লক্ষণ বা বলরামের কেসটা একটু অন্যরকম। এ হচ্ছে সেই সাপ যিনি বিষ্ণুকে ধারণ করেন, এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই কিন্তু চিন্তা ভাবনা নিয়ে আছে। বলরাম এবং লক্ষণ দুজনেই অত্যন্ত বদরাগী বা অল্প প্ররোচনাতেই ফোঁস করে উঠত কিন্তু বুদ্ধিশুদ্ধি খুব বেশি নাই।
  • Mmu | 79.86.171.220 | ২৪ জুলাই ২০১১ ০২:৫৬484003
  • প্রশ্ন----

    ধৃতরাষ্ট্রর ছেলে মেয়ে ১০০+১ ( ভাগ্যিস তখন ফ্যামিলি প্ল্যানিঙ্গ ছিল না )
    ১- সবার নাম
    ২- বয়স
    ৩-যুদ্বের সময় তাদের কার কত বয়স ছিল
    (মানে প্রথম জনের সাথে শেষ জনের বয়সের ফারাক কত ছিল )
    ৪- সবাই কি একই সাথে পান্ডবদের বিরুদ্ব্যে লড়াই করেছিল ।

  • siki | 122.162.75.8 | ২৪ জুলাই ২০১১ ১০:০১484004
  • নবনীতা দেবসেন (তিনিই তো?) কথিত দ্রৌপদীর বয়েসের ফর্মূলাটা কাজে লাগালে সমস্ত কৌরবদের বয়েস বেরিয়ে যাবে, খুব ইজি।
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ২৪ জুলাই ২০১১ ১০:৩৭484005
  • ফর্মুলাটা বলেন। আমরা যারা দেবসেন পড়িনি--তাদের একটু জানার সুযোগ করে দেন।
  • siki | 122.162.75.8 | ২৪ জুলাই ২০১১ ১৪:০৬484006
  • পুরনো টই "গল্পগাছা' থেকে ...

    পৌরানিক চরিত্রের বয়েস নিয়ে তারাপদ রায়ের একটা অসাধারণ গল্প আছে। গল্পটা ঠিক তারাপদ রায়ের নয়, তারাপদ রায়ের দিদিমার। কে যেন তারাপদ রায়ের দিদিমাকে জিগেস করেছিল দ্রৌপদীর বয়েস কত ছিল। ওনার জবাবটা শুনুন, 'দ্রৌপদীর বয়েস একেক সময়ে একেক রকম ছিল। যখন খুব ছোট ছিল তখন তিন-চার। তারপরে একটু বয়েস বাড়ল যখন তখন হল দশ-বারো। তারপর স্বয়ংবর, বিয়ে-টিয়ে হয়ে পূর্ণ যুবতী - মানে কুড়ি-বাইশ। তারপরে যুদ্ধ হল, সংসার হল। তারপরে তো স্বর্গযাত্রা - তখন বয়েস খুব বেড়ে গেছিল।'
  • Mmu | 79.86.171.220 | ২৪ জুলাই ২০১১ ১৫:২৪484007
  • যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে আবার সংসার, তারপরে আবার স্বর্গযাত্রা ? কি কপাল ঐ ভরা যৌবনেই স্বর্গযাত্রা।
  • Mmu | 79.86.171.220 | ২৪ জুলাই ২০১১ ১৫:২৭484009
  • ও, sorry, বয়স বাড়ার পরে স্বর্গ যাত্রা, তাহলে ঠিক আছে। মোটামুটি যৌবনকালটা এখানেই কাটিয়েছে।:))
  • Mmu | 79.86.171.220 | ২৪ জুলাই ২০১১ ১৫:৩২484010
  • চাঁদে জমি কেনা যাচ্ছিল। এখনতো মঙ্গলেও কেনা যাচ্ছে, তবে চাদের থেকে একটু বেশি দাম। তা হবেইতো বেলপাহাড়ীর জমির যা দাম তার থেকে সিঙ্গুরেরটা একটু বেশি তো হবেই। :-)))
  • Kulada Roy | 74.72.54.134 | ২৪ জুলাই ২০১১ ১৭:৩২484011
  • দ্রৌপদীর জন্মের ঘটনাটার আদত ঘটনা কি? উনি যে যজ্ঞের আগুন থেকে বের হলেন, জন্মমাত্রই ম্যাচিউরড---এই কি বঙ্গজ ব্যাখা আছে? আরেকটা বিষয় কুরুপাণ্ডবের যুদ্ধে কি কোনো নারী বাহিনী বা নারী যোদ্ধা বা নারী সেনাপতি ছিলেন না? নাকি এরা সবাই নাতি খাতি বলে গেল শুতি পারলাম না অবস্থায় ছিল? শুধু দেখতে পাচ্ছি যুদ্ধের পরে ময়দানে নারীগণ এসে তাঁদের স্বামীদের ডেডবডি খুঁজে বেড়াচ্ছে। হাহাকার করছে। চিত্রাঙ্গদা উলুপী--এরা কি শুধু ঘটোৎকচদের জন্ম দেওয়ার জন্যই কুংফু কেরাতে শিখেছিল?
  • nk | 151.141.84.194 | ২৫ জুলাই ২০১১ ০১:৪৩484012
  • উলুপী-অর্জুনের ছেলে ইরাবান আর চিত্রাঙ্গদা-অর্জুনের ছেলে বভ্রুবাহন। ঘটোৎকচ হলেন হিড়িম্বা ও ভীমের পুত্র।
    মূল মহাভারতে নারী যোদ্ধার কোনো উল্লেখ পাই নি।(সেরকম খুঁটিয়ে দেখারো অবশ্য সাধ্য ও সুযোগ ছিলো না)।

    আর এক্টা কথা, চিত্রাঙ্গদা উলুপী হিড়িম্বা এনারা মূল জনগোষ্ঠীর(মানে মহাভারতে যাদের মূল জনগোষ্ঠী বলা হচ্ছে, সেটা যাদের গল্প সেই জনগোষ্ঠী) বাইরের মনে হয়, এনারা প্রত্যেকে নিজের নিজের সন্তান নিজেরা মানুষ করেছেন অর্জুন ভীম এনারা ডোনর-টাইপ বাবা।
  • saikat | 202.54.74.119 | ২৫ জুলাই ২০১১ ১২:২০484013
  • দ্রৌপদীর জন্ম নিয়ে কুলদা বাবুর প্রশ্ন সংক্রান্ত -

    দ্রুপদ রাজার সাথে দ্রোণের সম্পর্কটা ভাল ছিল না। দ্রোণ সাহায্য চাইতে গেলে দ্রুপদ ওনাকে অপমান করে, পরবর্তীতে দ্রোন কুরু-পান্ডব রাজপুত্রদের দিয়ে দ্রুপদকে পরাস্ত করেন। ফলে দ্রুপদ সুযোগ খুঁজছিলেন, দ্রোণকে পালটা দেওয়ার জন্য। সেই উদ্দেশ্যে দ্রুপদ যান দুই ঋষি, যাজ ও উপযাজ/উপযাজক-এর কাছে পুত্রলাভের যজ্ঞর জন্য। যজ্ঞ থেকে প্রথমে বেরোন ধৃষ্টদ্যুম্ন এবং তার পরে দ্রৌপদী। দ্রৌপদীর উত্থানের পরে আকাশবাণী হয় যে এই নারীর জন্য পৃথিবী ক্ষত্রিয়শূন্য হবে এবং কৌরব বংশ ধ্বংস হবে। এর পরে দ্রুপদের স্ত্রী কাতর অনুরোধ করেন যে ধৃষ্টদ্যুম্ন এবং দ্রৌপদী যেন তাকে মা বলে ডাকেন।

    ব্যাপরটা এরকম ঘটে থাকতে পারে আদতে ধৃষ্টদ্যুম্ন এবং দ্রৌপদী দুজনেই যাজ/উপযাজের বংশের পুত্র-কন্যা এবং কোন কারণে তারা দ্রুপদের কাছে বড় হতে থাকে। সেই জন্যই দ্রুপদের স্ত্রীর অনুরোধ? সেই জন্যই দ্রৌপদী জন্ম থেকেই পূর্ণ যুবতী?

    মহাভারত তো ইতিহাস এবং ইতিহাস লেখা হয় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে। আর অলৌকিকতার ব্যাপারগুলো মহাভারতে আনা হয় চরিত্রের অতি-ক্ষমতা দেখানোর জন্য।

    সে ক্ষেত্রে এরকম হয়ে থাকতে পারে যে দ্রৌপদীকে নিয়ে ঘটনাগুলো ঘটে যাওয়ার পরে যখন "ইতিহাস" লেখা হতে থাকে তখন প্রয়োজন হয় দ্রৌপদীর ওপর অলৌকিক শক্তি আরোপের। সেই জায়গা থেকেই পূর্ণ যুবতী হিসেবে যজ্ঞবেদী থেকে দ্রৌপদীর উত্থান।

    (ভাববেন না, এগুলো "আমার" মত। কালকেই নৃসিংহ বাবু "রোববার" পত্রিকায় দ্রৌপদীর জন্ম নিয়ে এই কথাগুলো লিখেছেন। এবং কুলদাবাবু কালকেই প্রশ্নটা করায়, কমন পড়ে গেছে। ফলে টুকে দিলাম।)
  • dd | 124.247.203.12 | ২৫ জুলাই ২০১১ ১২:৫৬484014
  • কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ সম্পুর্ন নারী বিবর্জিত।
    বাবা মারা যাওয়ার পর সত্যভামা "একাকী" রথ চালিয়ে মথুরা থেকে বারবাণত শহরে যান,কৃষ্ণ সেখানে গেছিলেন জতুগৃহের সরেজমিনে তদন্ত করতে।

    তো,সত্যভামার একাকী রথ চালনাটি একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনাই ছিলো।

    ঋগবেদে একটি পাসিং রেফারেন্স আছে এক অশ্বারোহী যোধৃ রাণীর (নাম মনে নেই)। ব্যাস।

    কুসুম্বি বাবু ক্যানো যে প্রাক কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সমাজকে মাতৃতান্ত্রিক বলেছিলেন কে জানে?
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৫ জুলাই ২০১১ ১৩:০৯484015
  • কোশাম্বী, তা বলেন নি। উনি যেটা বলেছেন, মহাভারতের সময় পিতৃতন্ত্র সদ্য সেট ইন করেছে। তখনো ব্যাপারটা ট্রানজিশন পিরিয়ডের মতো (যার প্রমাণ হিসাবে কনট্র্যাক্ট ম্যারেজের রেফারেন্স দিচ্ছেন। সেটা শান্তনু থেকে অর্জুন, বেশ অনেকটা সময়)। সেখানে তখনো মাতৃতন্ত্রের দর্শণের প্রতি সহানুভুতিশীল গোষ্ঠী ছিলো। তাদের গোষ্ঠীতে নারীর একটা তুলনামূলক সম্মানজনক জায়গা ছিলো।
    নারী যোদ্ধা বলতে মনে পড়লো। চিত্রাঙ্গদা নাকি পুরুষ বেশে অর্জুনের সাথে যুদ্ধ করেছিলো। নাকি, ওটা দাড়িদাদুর সংযোজন।
  • dd | 123.242.248.130 | ২৫ জুলাই ২০১১ ১৪:৪৯484016
  • সুকুমারী ভশচাজ অন্য কথা কন। তো পন্ডিতেরা ভিন্নমত হতেই পারেন। বৈদিক যুগে নারীর স্থান নামের প্রবন্ধটিতে দেখিয়েছেন তখন নারী কিরকম পণ্য ছিলো,ভোগসামগ্রী ছিলো। একটি দুটি গার্গী দিয়ে সেটাকে চেপে রাখা যায় না। আমার ও সেরকম ভাবতেই ভালো লাগে, পুরা ভারত,মেইনলি নারী অবমাননাকর সমাজ ছিলো। চিরকালের পিতৃতান্ত্রিক সমাজ।

    আর এখানেই লিখি। সোম্বারের বুলবুলভাজা টইতে শুদ্ধসঙ্কÄ ঠিক কি লিখলেন বুঝলাম না, পরিষ্কার হোলো না। আপনি কি কইলেন পান্ডবেরা সবাই কালো ছিলো? এই রকম কিছু বল্লেন ?

    গায়ের রং, প্রচন্ড ইম্পরট্যান্ট ব্যাপার। সেটা ছাড়া রূপ বর্ননাই হতো না। অর্জুন ছাড়া প্রত্যেকেই ফর্সা ছিলেন,কোনো ই সন্দেহ নেই(এখন রেফারেন্স দিতে পারবো না), এক্সেপটিং অর্জুন।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৫ জুলাই ২০১১ ১৪:৫৬484017
  • সে একন ভশচাজ্জো আর কুশামীতে বুঝুক।
  • dd | 124.247.203.12 | ২৫ জুলাই ২০১১ ১৬:০৫484018
  • @ ম্মু, কয়েকটার উত্তর।
    ধৃতরাষ্ট্রের ১০০+১+১ ছেলে মে'।

    গান্ধারীর একশো ছেলে আর এক মেয়ে। কন্যা দু:শলা বে' করলেন জয়দ্রথকে। দু:শলা বেসিক্যালি ইগনোরড ক্যারাকটার।

    আর এক দাসী গর্ভে জন্মায় যুযুৎসু। উনি যুদ্ধের শুরুতেই পান্ডব পক্ষে যোগ দেন ও বেঁচে বর্ত্তে থাকেন।

    একশো ছেলে তো ঘৃত কলস থেকে জন্ম নেয়, তো একটু আগে পরেই জন্মেছে হয়তো। সবাই একসাথেই লড়াই করতো। তবু একশো ভায়ের মধ্যে বিকর্ণ ছিলেন ধার্মিক। উনি দ্রৌপদীর লাঞ্ছনার প্রতিবাদ করেছিলেন।
    ভীন,১৪তম দিনে তাকে মেরে খুব বিলাপ করেছিলেন।

    আরেক গান্ধারী সন্তান, নাম শ্রতর্ব্বা, লাস্ট দিনের যুদ্ধে একটি অনারেবল মেনশন পেয়েছিলেন। তিনি ভীমকে যথেষ্ট বেগ দিয়েছিলেন। বাকীরা যাস্ট ক্যানন ফডার ছিলেন।
  • dd | 124.247.203.12 | ২৫ জুলাই ২০১১ ১৬:৩৯484020
  • গায়ের রং লিখে মনে পরলো, বছর পঁচিশ ত্রিশেক আগে একটি স্ট্যাম্প বেড়িয়েছিলো অর্জুনের লক্ষ্যভেদ। একটি পুরানো কাংগড়া পেইন্টিং। তাতে ঠিক ঠাক কালো রঙের অর্জুনকে দেখালে খুব চেঁচামিচি হয়, "আরে এ তো কৃষ্ণের ছবি"। পরে আবার বোঝাতে হয় মুলে অর্জুন কালো ই ছিলেন।

    দেখুন তো, এই লিংটা খুলতে পারেন কি না।
    । দেখবেন ফর্সা কর্ণের মুখোমুখী অর্জুন আর কৃষ্ণ। দু জনেই কালো।

    আর পুরানো রাজপুত পটে সব পৌরাণিক বীরেদের ই গোঁপ দাড়ি ছিলো। সিরিয়াল দেখা চোখে সেটা অদ্ভুত লাগে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন