এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • নতুন সরকারের শিক্ষা স্বাস্থ্য শিল্পনীতি ইত্যাদি - ৭

    aka
    নাটক | ২২ আগস্ট ২০১১ | ১৭০৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • maximin | 59.93.254.151 | ১১ নভেম্বর ২০১১ ১৬:৩১491852
  • পাই তুমি আমাকে এই লেখার রিভিউ লিখতে বলছ? আমি রাজি নই। ভেরি ভেরি সরি।
  • siki | 123.242.248.130 | ১১ নভেম্বর ২০১১ ১৬:৫৬491853
  • এই রে, না না আপনাকে রিভিউ লিখতে বলে নি। আপত্তি কিছু আছে কিনা, থাকলে কী নিয়ে সেটাই বলেছে। পাঁচ নম্বরের কোশ্নো। দু লাইনে দিলেও চলবে। না দিলেও চলে। :-)
  • dri | 117.194.227.143 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:২১491854
  • অনে-কদিন আগে, যখন এই টইয়ের নাম অন্য রকম ছিল, নতুন সরকারের কৃষিনীতির কথাও কিছুটা হচ্ছিল। মিড্‌ল ক্লাস যতই চাষীভাই চাষীভাই করুক, কৃষি নিয়ে শিল্প, শিক্ষা আর স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক কম মাথা ঘামায়। সে যাই হোক, তখন, কুলদাদা কৃষি নিয়ে কিছু লিখবেন বলেছিলেন। সেই কথা আজো শোনা হয়নি।
  • dri | 117.194.227.143 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫৫491855
  • * আর স্বাস্থ্যের চেয়ে
  • pi | 128.231.22.133 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ০৭:৩০491856
  • আম্রির ঘটনাটা নিয়ে এখানেই লিখি।

    কারণ, সরকারের ইমিডিয়েট কিছু স্টেপস না, এই বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের নীতি,দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা না থাকলে এমনি কাণ্ড আরো হবে।
  • pi | 128.231.22.133 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ০৭:৩১491857
  • কাগজে পড়লাম, লাইসেন্স কীকরে পেলো তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলাতে সূর্যকান্ত মিশ্র বলছেন, তদন্ত হবে কিন্তু এই মুহূর্তটা এইসব আলোচনার জন্য নয়। ঝগড়া ভুলে মমতা, বিমান হাতে হাত মিলিয়েছেন এই দৃশ্যকে কিছুই 'ম্লান' করতে পারে না. আবাপ লিখেছে, কোন দাবী, কোন অভিযোগই নয়।
    সরি।
    এই দৃশ্য দেখার পরেও আপ্লুত হতে পারছি না। এই দৃশ্য 'ম্লান' করে অভিযোগ আর দাবীই কেবল উঠে আসছে।

    আমাদের দু:খ হচ্ছে, খারাপ লাগছে, আমাদের মত করে। এক দুদিন বাদে তেমন করে থাকবে না। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যাদের গেলো, কাছের লোক, বা পিপির মত এই পরিচিত কেউ তাদের তো পার্মানেন্ট লস। যা সম্পূর্ণ অ্যাভয়েডেবল ছিল। এর জন্যও যদি রাগ না হয়,সিস্টেমকে দোষ না দি তো কীসের জন্য দেবো ? এরকম ঘটনার পরেও যদি বোধোদয় না হয়, খোলনলচে বদলানো না হয় তবে কবে হবে ?
    এই প্রাইভেট হাসপাতাল নামক টাকা বাগানোর যন্ত্রগুলোকে যে আরো আরো অনেক কড়া নজরদারির আওতায় আনা , এই ঢালাও প্রাইভেটাইজেশনের লাগামটা টানা , এরপরেও যদি এসবের জন্য চাপ দেওয়া না হয়, তো কবে হবে ?

    রোগীর চিকিৎসা নয়, কেবল মুনাফা লোটার জন্য ব্যবসা মাত্র, মুনাফা ধ্যান, মুনাফা জ্ঞান, মুনাফা চিন্তামণি, এই অ্যাটিচুড না থাকলে তো হাসপাতাল মর্মীদের মধ্যেও এই মনোভাব আসতো না ( আসতো না বলা ঠিক হবেনা, তবে এসবের জন্য আরো বেশি করে আসে মনে হয় ), হাসপাতালের দামি জিনিসপত্রের সুরক্ষার প্রয়োজনে বস্তির লোকজনকে ঢুকতে বাধা দেওয়াও হত না ( ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দের্শ ছাড়া কি আর নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিয়েছেন ? মনে তো হয় না ), বিল্ডিং তৈরির সময়েও এইসব ভায়োলেশন করা হতনা। মাথায় তো আছে কেবল, কী করলে টাকা কম খরচ হবে, মুনাফাটা বেশি হবে, তার জন্য সুদূর ভবিষ্যতের সুরক্ষা ফুরক্ষাকে গোলি মারতে হলে তাই মারো।
    এইসব অবস্থার জন্য কর্মীদের বেসিক শিক্ষা, নির্দেশাবলী দেওয়া থাকতো। হসপিটাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, ফায়ার সেফটি এগুলোর পিছনে প্রয়োজনীয় টাকা খরচ করা হয়নি, স্পষ্ট। হাসপাতালকে হোটেলের মত চকচকে করে 'সুপারস্পেশালিটি' লুকটা আনতে পারলেই তো ব্যবসার জন্য যথেষ্ট, ভিতরের এসবে খরচ না করে যতটা টাকা বাঁচানো যায়।
    ইক্যুপমেন্ট , রিসোর্সের অভাবও তো এক্ষেত্রে মূল না। যেগুলো আছে, সেগুলোকে সচল রাখার কোন দায়িত্ববোধ, উদ্যোগ নেই .. বেসিক সচেতনতাটাই নেই। কিন্তু সেটা নিজেদের মধ্যেই থাকবে , এমন আশা করাও ঠিক নয়। এই সচেতনতাটা তৈরি করতে হয়। সেটা তৈরির সিস্টেম টা ক'জায়গায় আছে সন্দেহ। এই নিয়ে ট্রেনিং, ফায়ার ড্রিল, অ্যালার্ম টেস্ট -- রেগুলার বেসিসে এগুলো করা তো এসবের জন্যই। সেসব ক জায়গায় হয় ?
    আর এগুলো আছে কিনা, হচ্ছে কিনা, সেটা মনিটরিং ?
    ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট শুধু না, ডিসাস্টার প্রিপেয়ারডনেস বলেও যে একটা ব্যাপার আছে, কনস্ট্যান্ট প্‌র্‌যাকটিস ও তার কনস্ট্যান্ট মনিটিরিং ছাড়া যেটা অর্থহীন, সেটা না হবার দায় হাসপাতালের সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরেরও। ভীষণভাবে। আরো বেশি করে।
    আগের এবং এখনকার, দুই সরকারেরই দায়।
    স্টিফেন কাণ্ডের পরেও দমকল বাহিনীর রিসোর্স নিয়ে যা পড়লাম, তার দায়ও সরকারকে নিতে হবে।
    দোষরোপ তো করবৈ।

    আগের সরকার তো ভালোমতন শুরু করেই গেছিলো, এই সরকারও শুনছি আরো গুচ্ছ গুচ্ছ এরকম প্রাইভেট হাসপাতালকে অনুমোদন দিতে চলেছে।

    এখন গ্রেপ্তার, তদন্ত, দোষীদের শাস্তো ঠিক আছে, কিন্তু তাতে সব দায় মেটে না। এগুলো বিচ্ছিন্নভাবে হয়ে কী হবে। একটা ঘটনা হলে কিছু হয়, বাস তারপর ধামাচাপা। যথাপূর্বং।

    কাগজপত্তরে চেঁচামেচিও হবে এই ক'দিন, তারপর কোন বিল্ডিং ফায়ার লাইসেন্স ছড়াই অনুমোদন পেয়ে যাচ্ছে, ভায়োলেশনের জন্য কার লাইসেন্স বাতিল হয়েও দিব্বি চলে যাচ্ছে, এসব খবর তো তখনই হবে যখন সেই ভায়োলেশনের জন্য পরবর্তী আবার কোন দুর্ঘটনা হবে।
  • MR | 70.122.242.230 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:৪৪491858
  • এই সরকারের দেখলাম সব সরকারি হাসপাতালে গিয়ে "বড়াই" দের উপর হম্বিতম্বি। আর চিরকাল যা হয়ে আসছে, টোডি, আগরওয়াল, আর গোয়েন্‌কাদের - "yes sir/জী স্যার/ হ্যাঁ স্যার"।
  • pi | 128.231.22.133 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:২৩491859
  • স্বাস্থ্যে পিপিপি মডেলে আরো অনেক হাসপাতাল আসতে চলেছে।
    এরকম ই সব 'জয়েন্ট' ভেঞ্চার চলতে থাকবে তো ? স্বাস্থ্যে প্রাইভেটাইজেশন যে কী করেছে, সেটা দেখার পরেও।

    How state watched its stake decline and lost the steering
    PRANESH SARKAR AND SAMBIT SAHA

    Calcutta, Dec. 9: The Bengal government effectively lost administrative control over AMRI Hospitals four years ago when the state’s stake in the joint-sector company plummeted to 1.9 per cent, government officials say.

    This, however, was merely the latest in a series of dilutions of the government’s stake, which was 26 per cent in 1998 but kept declining as the private promoters repeatedly pumped in more money while the state failed to do so.

    Although government representatives continued on the board of directors — and occupied the chairperson’s post — in keeping with the earlier arrangements, the state lost its control over the hospital, a senior health department official said.

    According to filings by the company, the Goenka and Agarwal families, which own the Emami group, have 66 per cent stake in AMRI Hospitals Ltd. The Todi family owns around 32 per cent while the Bengal government has 1.9 per cent.

    The company’s operating income was Rs 184.52 crore in 2009-10 and its profit was Rs 11.10 crore, according to the filing. Its income was Rs 149.79 crore and profit Rs 2.09 crore in 2008-9. This means that while the company’s revenue grew by 23 per cent in one year, its profit jumped more than fivefold.

    AMRI spent Rs 2.55 crore on building repairs in 2009-10 and Rs 1.23 crore on other repairs, the filings show.

    “The company is one of the most profitable medical ventures in the city,” said a senior official of another private hospital.

    Currently, AMRI was managing 1,000 beds across three hospitals: at Salt Lake, Dhakuria and Mukundapur. The company is setting up four new hospitals in Bengal with a combined capacity of 1,300 beds and is building three 300-bed hospitals outside the state: at Raipur, Patna and Ranchi.

    “The controversy may come in the way of these expansion plans. It seems the Mamata Banerjee government was closely following the group’s activities,” the health department official said.

    The state finance (internal audit) department recently conducted a special audit of the hospital and sent the report — of which The Telegraph has a copy — to the state health department.

    The report tracks the induction of private players into the venture and the subsequent dilution of the government’s stake over the years as the private partners expanded the health care business. The finance department has observed in the report that the (erstwhile Left Front) government “mysteriously” allowed itself to lose control over the company.

    “The entire scheme of things has frustrated the objective of the formation of the joint-sector company with a social cause,” the report says.

    According to the report, the Left government had signed an agreement with the then Advanced Medicare & Research Institute (AMRI) Limited on June 17, 1994. The state agreed to provide 27.55 cottahs of land along with a five-storey building with existing hospital facilities in Gariahat Road to the private players against a yearly lease of Rs 6.4 lakh.

    “It was also mentioned that 50 per cent of the board of directors will be nominated by the state government and the state would nominate one of its nominated directors as the chairman of the board,” the report says.

    It adds: “The paid-up capital of the company was Rs 3 crore, of which the state’s share was 26 per cent, 25 per cent to the private promoter and the balance 49 per cent was to be raised through public issue of shares.”

    But the balance — Rs 147 lakh — was not raised through a public issue, apparently because of the difficult market situation at the time. The private partners provided the money, raising their combined stake to 74 per cent.

    In 1996, Emami joined the venture, buying the stake of Swapan Sadhan (Tutu) Bose and pumping more money into the venture.

    “The paid-up capital was increased to Rs 5.3 crore from Rs 3 crore in 1996…. The state had leased out 2 bighas and 14 cottahs of land to the AMRI, which was located on 15 Panchanantala Road,” the report says.

    It adds that though the finance department initially objected to the fresh infusion of private capital, it later allowed the proposal on condition that the government’s share would not be diluted. In later years, though, this condition was not adhered to.

    “In 1998, the private promoter decided to increase the paid-up share capital of the joint-sector company from Rs 5.03 crore to Rs 8.53 crore to take up a new project on the leasehold land at 15 Panchanantala Road,” the report says.

    “As the entire amount was invested by the private promoter, the equity holding of the state government came down to 15.33 per cent from 26 per cent.”

    In 2006, AMRI proposed to increase the equity by Rs 10.32 crore when it bought Suraksha in Salt Lake and renamed it AMRI Salt Lake. The state did not contribute towards the purchase and its share dropped to 6.9 per cent.

    In December 2007, another heavy infusion of private capital brought the state’s share down to 1.9 per cent.

    State health secretary Sanjay Mitra said: “I don’t know whether it was 26 per cent or 16 per cent. Let me go through the papers first; only then can I comment on this.”

  • pinaki | 14.96.22.232 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:০০491860
  • স্বাস্থ্য থেকে মুনাফাকে আলাদা করা না গেলে কি এই ধরণের সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব? সেটা যদি ইমিডিয়েটলি নাও পারা যায়, সেক্ষেত্রে কড়া সরকারি মনিটরিং, রেগুলেশন আর ইন্টারভেনশন লাগবে।

    মিডিয়া এই বাজারে ইস্যুটাকে শুধু আমরির উপর ফোকাস করে, আর আমরির মালিকদের ইরেসপন্সিবিলিটিকে ইস্যু করে তাদের তেড়ে গাল দিয়ে পাব্লিক অ্যাঙ্গারটাকে ভেন্ট আউট করতে চাইবে। যার আড়ালে এই আসল প্রশ্নগুলো চাপা পড়ে যাবে। যেন টোডির ফাঁসি হলেই সমস্যা মিটে গেল। একটা ন্যূনতম দায়বদ্ধতাবিহীন মেডিক্যাল সিস্টেম, যা বহু বছর ধরে তৈরী হয়েছে, তার গোড়া ধরে নাড়া দেওয়া দরকার। সরকারি, বেসরকারি - সব ক্ষেত্রে।
  • pi | 72.83.83.28 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:২৩491862
  • হ্যাঁ।

  • PT | 203.110.246.230 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:১১491863
  • কিছুদিন আগের ঘটনা সবাই ভুলে গিয়েছে এরমধ্যেই। ভবানিপুরের বিসর্জনের শোভাযাত্রা আটকেছিল পুলিশ কেননা আধা-মাতাল জনতা কোন হাসপাতালের পাশে বাজি ফাটাচ্ছিল। তারপরে মুখ্যমন্ত্রী কাম স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাম দিদি এসে ভাইদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এইরকম সমাজসচেতন দেশে আমরির মত ঘটনা যে ঘুরে ফিরেই ঘটবে তাতে আর আশ্চর্য হওয়ার কি আছে? ভারতীয়রা বিড়ি বা সিগারেটের পশ্চাতদেশ কোথায় ছুঁড়ে ফ্যালে তা কি নিজেরা খেয়াল রাখে?
  • pi | 72.83.83.28 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৩৬491864
  • এই একটা অগ্নিকাণ্ড, ফায়ার এক্সিট বন্ধ থাকা(কর্মচারীরা কারখানায় তৈরি শার্ট চুরি করে নিয়ে যেতে পারে ভেবে !! )
    আর প্রায় সব কর্মচারীর মৃত্যু কর্মস্থলে ফায়ার সেফটি ব্যবস্থার বিশাল পরিবর্তন এনে দিয়েছিল।

    http://www.csun.edu/~ghy7463/mw2.html

    এরপর থেকেই খুব কড়া আইনকানুন বানানো হয়, রেগুলেশন শুরু হয়, নিয়মিত চেক আপ ইত্যাদি । occupational health hazard ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দেওয়া হতে থালে।
    তবে কিনা, ঘটনাটা ১০০ বছর আগেকার।
    আমরা আজো এর থেকে কোন শিক্ষা নিয়নি।

    এই জিনিসটা ঠিকঠাক করা হচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্য মনিটিরিং কিন্তু লাগেই। শুধু আগুন বলেই নয়, যে কোন ধরণের সেফটি। কারণ , এম্‌প্‌লয়ারদের কাছে ( বা এক্ষেত্রে যেমন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) এই সুরক্ষা ব্যবস্থাটা লিস্ট প্রায়োরিটি পায়। এটাকে তারা ফালতু খরচ ই মনে করে। সচেতনতার অভাব তো আছেই। ইচ্ছে করে আনসেফ বানিয়ে রাখতে চাইছে , তা নয়, কিন্তু ঐ, এই কেয়ারটুকু নেবার দরকার , সেটাই কাজ করেনা। লাভের জন্য খরচ কমাতে গেলে এদিকটাতেই কোপটা পড়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।
    এই বিভাগের সেক্রেটারি একটা ডকুমেন্টারি দেখিয়েছিলেন। বিভিন্ন কোম্পানীগুলো সুযোগ পেলেই কত জী ভায়োলেশন করে তার কিছু নম্না , আর সরকারের তরফ থেকে সারপ্রাইজ ভিসিট দিয়ে দিয়ে এগুলো কত কমানো হয়েছে।

    আমাদের সরকারের কবে এ সুমতি হবে ?
  • Ishan | 117.194.35.20 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৪৩491865
  • পিনাকি আর পাইকে ক।
  • PT | 203.110.246.230 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:১৫491866
  • শুধু সরকারকে গাল দিয়ে কি হবে? একজন ব্যক্তিমানুষ কি এই ব্যাপারে সতর্ক? নাকি নিজের নিকটজনের কিছু হলে তখনই শুধু আমরা চিৎকার করি?

    বছরকয়েক আগে শিশু সন্তান আর বৃদ্ধা মা সহ পুরুলিয়া এক্সপ্রেসে চড়ি সংরক্ষিত কামরাতে। চলন্ত গাড়িতে হঠাৎ খেয়াল হল যে চা ওয়ালার ছোট কেটলিতে চা আর কিছুতেই ফুরোচ্ছে না। এগিয়ে গিয়ে দেখি কামরার একদিকের দরজা বন্ধ করে তার সামনে স্টোভ জ্বেলে চা বসিয়েছে অতিচালাক চা ওয়ালা। তাকে ধমকে ধামকে নিজের বিপদ ডেকে আনলাম। দু একজন চুপ করে থাকা সহযাত্রী ছাড়া বাকি সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ল আমার ওপরে: ""আমাদের চা খাওয়া বন্ধ করার কোন অধিকার নেই আপনার ইত্যাদি।"" বেশ কয়েকজন যোগ করলেন যে ""কপালে"" পুড়ে মরা থাকলে কেউ আটকাতে পারবেনা ইত্যাদি। পরে লিখিতভাবে রেলেকে এই ঘটনার কথা জানাই -সে অন্য কথা।

    আমি আশ্চর্য হয়েছিলাম ঐ চলন্ত ট্রেনের সহযাত্রীদের অ্যাটিচুড দেখে। এদেশে আমরির মত ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক!!
  • PM | 86.98.43.63 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:৫৯491867
  • আমি কাল খবরটা জান্তাম-ই না। আজ সকালে দেখে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।

    সরকারী মোনিটরিং ছেরে-ই দিচ্ছি। বড়ো হাসপাতালগুলো সব-ই ISO-9000ISO-14000, OSHA-18000certified. এদের প্রত্যেক-এর। এগুলো প্রতিটাই সেলফ রেগুলেশানের জন্য। বছরে দুবার সেফটি/এনভারমেন্ট অডিট হবার কথা। মক ডিসসটার ড্রিল তিন মাস অন্তর হবার কথা। অডিট-এ fireexit, fireassemblypoint নিয়ে observation থাকার কথা। নাকি সেগুলো-ও পয়্‌সা দিয়ে পেতো।

    আমি যে traditionalindustry তে কেরিআর শুরু করেছিলাম (কোলকাতাতেই) সেখানে BVQi এর অডিটর সোজা worker দের কাছে গিয়ে আগুন লাগলে কি করবে জিগ্গেস করত। আমার মনে আছে ২০০০ অগ্নি নির্বাপাকের মধ্যে ৬ টা-তে refillingdateexpire করে গেছিল বলে আমাদের ISO14000/OSHA18000certification রিনিউ হতে দেরী হয়েছিল। আমাদের CEO -র কাছে corporate থেকে showcause চিঠি এসে গেছিল।

    এগুলো সব ১২-১৩ বছর আগেকার কথা, তাও traditionalindustry -তে। আজকের যুগে এই ঝাঁ চকচকে serviceindustry তে এর থেকে অনেক অনেক ভালো প্রসেস অনুসরন করার কথা।

    এতো প্রসেস মেনে চল্লেও ফাঁক থাকবেই। BP র মতো কোম্পানী-ও oildisaster বন্ধ করতে পারেনি। কিন্তু যে প্রাথমিক ভুলগুলো এখানে হয়েছে তার সবগুলই প্রসেস-এর ছাঁকনি তে আটকে যেতো। এতোগুলো প্রান বাঁচতো, এতোগুলো পরিবার বাঁচতো। মালিকদের-ও বহু পয়সা বাঁচতো

  • Bratin | 117.194.96.168 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:০৩491868
  • PT দা এই আমরী র টোডি দেখলাম আপনাদের প্রিয় জ্যোতি বাবু র খুব কাছের লোক। ডিটেলস আপনি নিশ্চয় ই জানেন তাই আর লিখলাম না। এ ব্যাপারে কিছু বলবেন? কোন লিঙ্ক? কারন আপনি প্রচুর এফোর্ট দিয়ে মমতার বিরুদ্ধে লিঙ্ক খুঁজে আনেন তো। তাই আর কি?
  • aka | 75.76.118.96 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:০৭491869
  • ব্রতীন, আগে এদের শাস্তি হোক তারপরে কথা বলো, নইলে কিন্তু বুমেরাং হবে। যেভাবে সরকারের অলিখিত পার্টি কাগজ প্রতিদিনে তোদীকে পাশের বাড়ির জেঠামশায় বানিয়েছে পড়লে বহুত রাগ হচ্ছে।
  • Bratin | 117.194.96.168 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:২৬491870
  • নিশ্চয় আকা। পার্টি নির্বিশেষে এদের সাজ হওয়া দরকার। পয়সা যেন এদের বাঁচাতে না পারে। আইনের উর্ধে কেউ নয় এই মেসেজ দেওয়া টা দরকার।

    আচ্ছা স্টিফেন কান্ডে শেষ অবধি কারোর সাজা হয়েছিল কি?
  • santanu | 92.99.202.29 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:১২491871
  • ব্রতীন যদি লাস্ট লাইনটার পর লিখত, 'সিরিয়াসলি জানতে চাইছি' - তাহলে খুব চেনা চেনা হতো ব্যাপারটা।

  • Bratin | 117.194.96.168 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:২৫491874
  • আমর মনে নেই বলেই জিগিয়েছি। 'সিরিয়াস লি ..' লেখার থাকলে লিখতাম। আমি যা বলি যথেষ্ট স্পষ্ট বলি বলেই অবিশ্বাস। কাজেই 'ইন বিটইন লাইনস' না পড়লেই ' ভাল হবে।
  • Bratin | 117.194.96.168 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:২৭491875
  • মাই ব্যাড। আগের 'অ' এসে 'বিশ্বাস' কে 'অবিশ্বাস' করে দিয়েছে।:-)
  • PT | 203.110.243.23 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:১১491876
  • Bratin: তুমি যে হাস্যকর আলোচনা এখানে শুরু করতে চাইছ, তোমার চেয়েও বেশী তৃণমূলী মদন মিত্তির TV-তে সেই লাইন চালু করে দিয়েছে। ঐ একই কথা: জ্যোতি বাবুর সঙ্গে আমরির মালিকদের ছবি দেখিয়ে সব ম্যানেজ করা হয়েছে ইত্যাদি। তাহলে তোমার এবং মদনের কথা থেকে একটা সিদ্ধান্তে আসা যায় যে টোডিরা যে হাসপাতালের মালিক নয় সেগুলিতে অগ্নিনির্বাহক যন্ত্র ইত্যাদি সব ঠিক ঠাক কাজ করে। অপেক্ষায় থাকলাম সে খবর শোনার জন্য।

    তবে ২৪ ঘন্টা দেখাল যে দিদির প্রিয় জল-শোভনের তত্বাবধানে সম্পুর্ণ বেআইনিভাবে টাউনহলে অনুমতি ছাড়াই গ্যাস সিলিন্ডার জ্বালিয়ে কোন প্রাইভেট ক্যাটারার ভিভিআইপিদের জন্য ভোজ রান্না করছে - এই ঘটনার পরেও। বড় বাজারের অগ্নিকান্ডের পরে সেই বাড়ি ভাঙ্গতে কারা বাধা দিয়েছিল মনে আছে তো তোমার?

    আসলে আমরা এমনই পোড়াকপাইল্যা জাতি যে আমাদের জীবনে সত্যিকারের ""পরিবর্তন"" দেখা হবে না।
  • ranjan roy | 14.97.100.197 | ১০ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:২৭491877
  • হামাম কে অন্দর হম সব নাঙ্গা হ্যাঁয়!
  • kd | 59.93.204.37 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৩:০৫491878
  • এই টোডিরা এখন থেকেই ভিভিআইপি ট্রিটমেন্ট পাচ্ছে। সাধারণত: দেখি গ্রেপ্তার করা লোকেদের হাতকড়া পরিয়ে পুলিশভ্যানে কোর্টে আনা হয়। এনারা এলেন আলাদা আলাদা গাড়িতে - প্রত্যেকের সঙ্গে একটি লোক পিঠে হাত দিয়ে (বা হাতধরাধরি করে) হেঁটে কোর্টে গেলো।
    বিচারের সময়েও এই লিনিয়েন্সি আশঙ্কা করা কি খুব অনুচিত?
  • pi | 72.83.83.28 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৬:০৪491879
  • নিরাপত্তারক্ষীদের এই বন সত্যি হলে আর তারপরেও শাস্তি না হলে ...

    http://banglabazar.co.in/node/2016
    ...

    শুক্রবার ঘটনাস্থলে এলাকার বাসিন্দা গনেশ হালদার, রাহুল পান্ডে বা পিন্টু বিশ্বাস যখন একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছিলেন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর। উত্তেজিত গলায় বলছিলেন, সিকিউরিটি আটকে দিয়েছিল, নইলে অন্তত আরও ২০ জনকে বাঁচানো যেত। তখনই এগিয়ে আসেন নিরাপত্তারক্ষীর পোশাক পড়া বেশ কয়েকজন। চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। জিজ্ঞেস করতেই বলে উঠলেন, সব ক্ষোভ আমাদের ওপর তো? আমরা কিন্তু কেউ পালাইনি। অন্তত ৩০-৩৫টা দেহ আমরা বের করেছি এলাকার লোকেদের সহযোগিতায়।

    কিছুক্ষণ থেমে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তারক্ষী জানালেন, পেটের জন্য চাকরি করি, এ চাকরিটা চলে গেলে সংসার চালানো দায় হয়ে উঠবে। তাই দমকলকে ডাকিনি। নিজেরা যতটা পেরেছি উদ্ধারের চেষ্টা করেছি।

    দমকলকে খবর দিলে চাকরি যাবে কেন? ঐ নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকেই জানা যায় সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য

    ঠিক দু মাস আগে গত অক্টোবরের ৯ তারিখ রাতেও আগুন লেগেছিল মূল হাসপাতালের উল্টোদিকে ঈমআরআই-এর ডায়াবেটিস সেন্টারে। সেদিন দেখতে পেয়েই তড়িঘড়ি দমকলকে খবর দিয়েছিলেন সেখানকার কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড হারাধন চক্রবর্তী। নিরাপত্তারক্ষীর তত্‌পরতা অবশ্য খুশি করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। কেন তাঁদের জিজ্ঞাসা না করে তড়িঘড়ি দমকলকে খবর দিয়ে হাসপাতালের সুনাম নষ্ট করা হল, তার জবাব চাওয়া হয় ঐ নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে।

    আগুন লাগার ঘটনায় দমকলকে খবর দেওয়ার অপরাধে সাসপেন্ড করা হয় ঐ নিরাপত্তারক্ষী হারাধন চক্রবর্তীকে। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া প্রশাসনে খবর দিলে চলে যাবে চাকরি।

    শুক্রবারও আগুন লাগার পর তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন রাত প্রহরীরা। সুনাম ধরে রাখতে দমকলে খবর দেওয়ার নির্দেশ দেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর তা-ই চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে নিজেদের উদ্যোগে কিছুই করেননি নিরাপত্তাকর্মীরা। মুখ বুজে শুধু সাধ্যমতো উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছেন।

    কিন্তু কেন এমন অনুশাসন? আগুন লাগলেই তো দমকলে খবর দেওয়া একটা সাধারণ জ্ঞানের মধ্যে পড়ে। তাহলে কী শুধুমাত্র সুনাম -এর জন্য এমন ব্যবস্থা নিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?

    বাস্তব কিন্তু বলছে অন্য কথা। ৮ মাস আগে ঈমআরআই-এর ফায়ার লাইসেন্স পুণর্নবীকরণ করা হয়। তখন বেসমেন্টে দাহ্য মজুত ছিল না বলেই দমকল সূত্রে খবর। পরবর্তীকালে পার্কিং এরিয়া হিসেবে অনুমোদিত বেআইনি নির্মানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় দমকল বিভাগ।

    বিল্ডিংয়ের বেসমেন্টের দুটো ভাগ। একটা ভাগে রয়েছে রেডিওথেরাপি বিভাগ। অন্য ভাগটি আগে ছিল কার পার্কিং এরিয়া। পরবর্তীকালে মেন্টেনেন্স, মেডিকেল রেকর্ড, চেঞ্জিং রুম, ইত্যদির কাজে। এমনকি গুদাম ঘর এবং ফ্রাঙ্করোস ফার্মেসি নামে একটি দোকানেরও স্টোর হিসেবে সেটাকেই ব্যবহার করা হত বলে জানান তাঁরা। তাঁদের আশঙ্কা, সম্ভবত সেখান থেকেই লেগেছে ঐ বিধ্বংসী আগুন। দমকলের পরিদর্শনের সময় বেসমেন্টে মেলে থিনার এবং গালার মতো অতিদাহ্য পদার্থ। এরপরই বেসমেন্ট সাফ করে ফেলার নির্দেশ দেয় দমকল।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও মাস দুয়েকের মধ্যে তা সরিয়ে ফেলবে বলে হলফনামা দিয়ে দমকলকে জানায়। যদিও বাস্তবে তা হয়নি। অগ্নিকাণ্ডের পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বেসমেন্ট সাফ করার জন্য আদৌ কোনও ব্যবস্থায় নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    এ ঘটনাকে আড়াল করতেই কী হাসপাতালের সুনামের নাম করে নিরাপত্তারক্ষীদের দমকলে খবর না দেওয়ার ফতোয়া জারি করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? ফতোয়া যাতে নিরাপত্তারক্ষীরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন তার জন্যই কী নিরাপত্তাকর্মী হারাধন চক্রবর্তীকে সাসপেন্ড করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ? আর বেসমেন্টের বেআইনি নির্মান বা বেআইনিভাবে মজুত অতিদাহ্য পদার্থ আড়াতে সচেষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কী এলাকার বাসিন্দাদের হাসপাতালে ঢুকতে না দিয়ে নিজেরাই নেভানোর চেষ্টা করেছেন এই বিধ্বংসী আগুন? এ প্রশ্নগুলি উঠতে শুরু করেছে। ...
  • Update | 75.76.118.96 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৫০491880
  • Name:BratinMail:Country:

    IPAddress:117.194.98.201Date:11Dec2011 -- 07:19AM

    PT দা একটা ভুল যেমন আরেক ট ভুল করে মান্যতা দিতে পারে না তেমন টা এ ক্ষেত্রে ও সত্যি।

    অন্য ডেটা টা হাতে নেই ( মানে অন্য জায়গাই অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র কাজ করে কিনা। )। যে ডেটা ট হতে আছে সেটা হল আমরীর মতো জায়গায় যেখানে চিকিৎসা করার ক্ষমতা কেবল মাত্র উচ্চবিত্ত দের আছে, সেখানে এই পরিসেবা ছিল না।
  • PT | 203.110.243.23 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৫১491881
  • Bratin:
    নিরাপত্তা, বিশেষত: আগুন সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো কেবলমাত্র কতকগুলো আইন-কানুনের সমাহার নয়। এটা একধরণের সংস্কৃতি যেটা প্রতিটি মানুষ প্রতিদিন ধর্মাচারণের মত পালন করবে। একজন মানুষ কালীপুজোতে সব নিয়ম ভেঙ্গে উদ্দাম বাজী ফাটাবে (চকলেট বোমায় আগুন ধরিয়ে ছুঁড়ে দেওয়ার পরে সেটা কোথায় ল্যান্ড করে-do I care?), হাসপাতালের পাশ দিয়ে গাড়ে চালানোর সময় তারস্বরে হর্ণ বাজাবে আর তার আত্মীয় আমরি (বা অন্য কোথাও) ভর্তি হলে আগুন নেভানোর যন্ত্রের কেন কাজ করে না বলে তক্ক করবে এটা অসম্ভব সামাজিক অবস্থান।

    আমি যেহেতু প্রচুর পরিমাণ দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে গত তিন দশক ধরে দেশে ও বিদেশে কাজ করেছি এই ব্যাপারে আমার প্রত্যক্ষ বেশ কিছু অভিজ্ঞতা আছে। সে ব্যাপারে সময় পেলে লিখব। তার আগে তুমি আমার 10 Dec 2011 -- 02:15 PM-পোস্টিংটা পড়লে বুঝতে পারবে আমি কি বলতে চাইছি।
  • PT | 203.110.243.23 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:৫২491882
  • **গাড়ি চালানোর
  • Salil | 203.147.88.10 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:২৫491883
  • আমরি-তে দাহ্য পদার্থ ছিল কি ছিল না, বিশেষ ক্ষেত্রে কি কি হয়েছিল, কে কে লাইসেন্স পেতে সাহায্য করেছিল, কেন প্রায় বিনে পয়সায় জমি পেয়েছিল বা পেয়ে থাকে টোডি গোয়েংকার দল, এই প্রশ্নগুলো সহজ এবং উত্তরও জানা। কিন্তু যে প্রশ্ন নিয়ে গভীর চর্চা হওয়া দরকার তা হল স্বাস্থ্যকে আমরা পণ্য হিসেবে দেখব (যেমন দেখছে PPP প্রবক্তারা) না কি প্রত্যেক নাগরিকের একটি অবশ্য প্রাপ্য অধিকার পরিষেবা হিসেবে দেখব। কীভাবে দেখব সেটা নির্ভর করবে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীর উপরে, সামাজিক রাজনৈতিক অবস্থানের উপরে। আরও নির্ভর করবে চোখ খুলে আছি না বুজে, তার উপরে। অথবা ক্ষমতাকেন্দ্র আমাকে কিছু দিচ্ছে কিনা তার উপরে।
    ন উদারনীতি কথাটা আমরা সবাই বলি, কিন্তু এবিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকলে পণ্য বনাম পরিষেবা ব্যপারটা বোঝা মুশকিল।
  • maximin | 59.93.198.168 | ১১ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:০৬491885
  • স্বাস্থ্য পণ্য নয়, পরিষেবা। এমন একটি পরিষেবা যেটা আমাদের মৌলিক অধিকার। কিছু রেকমেন্ডেশন।

    ১) যথেষ্ট সংখ্যক চিকীৎসাকেন্দ্র সরকারি উদ্যোগে চলবে।
    ২) ওষুধপত্র তৈরির জন্যে বেশ কয়েকটা সরকারি কোম্পানি বানানো হবে। কোম্পানিগুলি লসে রান করলে ব্যয়ভার বহন করবে সরকার।
    ৩) চিকীৎসা কেন্দ্রগুলিতে যত বেশি সম্ভব লোক নিয়োগ করতে হবে। সেইসব নিয়োজিত লোকেদের চাকরি সুরক্ষিত রাখতে হবে।
    ৪) চিকীৎসাকেন্দ্রগুলিতে ইনফ্রাস্ট্রাচারের উন্নতি করা হবে, নতুন নতুন যন্ত্রপাতি কেনা হবে।
    ৫) সরকারি ওষুধ কোম্পানিগুলি এই কেন্দ্রগুলিতে ওষুধপত্র পাঠাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন