এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রেসিজম - পূর্বে ও পশ্চিমে : ২

    Somnath
    অন্যান্য | ০৬ মার্চ ২০০৬ | ৭৮০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • deepten | 61.17.48.60 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৬:০৭498120
  • অনেকদিন আগের কথা ডিটেইল্‌স মনে নেই। এ টুকু মনে আছে যে সমীক্ষার মেথডলি্‌জ নিয়ে কেউ খু আপত্তি করে নি। রেজাল্টটা তাই মোতামুটি অয়ক্সেপ্টেড ছিলো বিদ্বজনের কাছে।
    আর ঐটুকু সততা নাথকলে সারা দুনিয়া জুড়ে তক্কো হবেই বা কেনো ?
    রেজাল্টের ইন্টার্প্রেটেশন নিয়েই তক্কো ছিলো। আর অর্জিত যেমন কইলো, আই কিউ জিনিসটাই কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেটা নিয়েও অনেক হৈ হৈ হয়ছিলো। এখন বোধহয় আই কিউ as a measure of intelligence মোটামুটি স্বীকৃত। কে বলবে ?
  • Babaji | 213.173.163.2 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৬:২১498121
  • যদি ধরেও নিই একদল বুদ্ধিমান অন্যদল বোকা, একদল সাদা অন্যদল কালো তা হলেও কি রেসিজিম সাজে? ঠিক কোন পর্যায়ে অবজ্ঞা অত্যাচার অপমান করতে শুরু করলে তাকে রেসিজিম বলা যেতে পারে? ওরা নীচু আমরা উঁচু, হেন্স আমাদের রেসিজিম জাস্টিফায়েড? রেসিজিমের বিরুদ্ধে কীকী আইন আছে দেশে বিদেশে? আর আইনের ফাঁক?
  • Arijit | 128.240.229.66 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৬:৫৮498122
  • আইন থাকলেও প্রচুর ফাঁক আছে, প্রমাণ করা শক্ত। যেমন ধর, ব্রিটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি - চুড়ান্ত রেসিস্ট, সব্বাই জানে। ক'দিন আগে কোথায় একটা মিটিংয়ে ইসলামকে প্রচুর খিস্তি মেরেছিলো ওদের হাই প্রোফাইল নেতারা - তার ভিডিও ফুটেজও কোর্টে দেখানো হয়েছে, কিন্তু অর্ধেক চার্জে জুরি দোষী মনে করেনি, বাকি অর্ধেক চার্জ ড্রপ করে দিয়েছে। নতুন করে কেস হবে হয়তো। এর কারণ রিলিজিয়াস hatred নিয়ে কোন আইন নেই।

    আবু হামজা দোষী সাব্যস্ত হল কারণ তাকে টেররিজম অ্যাক্টে ধরা হল বলে - অস্ত্র পাওয়া গেছিলো নাকি, আর সে "ক্রিশ্চানিটি evil বলার সঙ্গে বলেছিলো "ওদের মারো" - এখানেই টেররিজম এসে গেলো।

    BNP নেতারা এখানেই পার পেয়ে গেল - কারণ এক টাইপের কথা বল্লেও, ওরা "মারবো ধরবো" বলেনি।
  • Babaji | 213.173.163.2 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৭:০৮498123
  • এক্কেবারে ঠিক। মারধোরের কথা যতক্ষণ না বলছে বা যতক্ষণ না কেলিয়ে দিচ্ছে সব ছুট। তাই এর প্রতিবাদও ঠিক একইভাবে করি। কোনো প্রুফ নেই যে ভায়োলেন্স হয়েছে। মাবোন এক করে দিলেও তার এগেন্সটে কোনো চার্জ নেই। এছাড়া যদি বাড়ীর দেয়ালে কালি লেপে রেসিজিমের কথা লিখে যায়, এগুলো নাকি কোর্টে প্রমাণ করা যায় না। পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয় চাকরী থেকে বসিয়ে দেয় কোনো কারণ ছাড়াই। এমনকি ভিডিও দিয়েও প্রুফ দিলে এরা মানবে না। সেটাই নাকি আইন। কিন্তু DNA প্রুফ মানে। অথচ পুলিশ DNA টেস্ট করতে চায় না রেসিজিমের কেসগুলোতে। অধিকাংশ পুলিশও রেসিস্ট সারা দুনিয়ায়। ঘটনা।
  • dd | 61.17.48.60 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৭:১৩498124
  • সমস্ত পুলিশ আর বেশ কিছু ঘোড়া হচ্ছে রেসিস্ট।
  • Babaji | 213.173.163.2 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৭:১৮498125
  • সোমনাথ, র, দ্রিঘাংচু, ব, তোমরা আট্টু বলো। ডেফিনিশান, হিস্টোরিক্যাল আসপেক্টস, বিবর্তন, গতি প্রকৃতি, গ্রাফিকাল ইন্টারপ্রিটেশান সঙ্গে দুয়েকটা কার্ভ,এক্‌জাম্পেল, প্রতিকারের উপায়, বিজ্ঞানের কোন কোন রুলকে ফলো করে, বেস্ট প্র্যাক্টিস এসব নিয়ে কেউ তো বলো।
  • vikram | 147.210.156.39 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৭:২৫498126
  • দীপ্তেনদার এই ইন্টারপ্রিটেশান কথাটা মোক্ষম। কারন অ্যাক্সেপ্টেবল ভাবে সমীক্ষা হলেও আমরা তাকে কিভাবে ব্যবহার করবো সেটা মানুষের ওপর নির্ভর করে এবং তা নিয়ে অনেক কিছু করা যায়।

    বাবাজীকে বলি রেসিজিম কখোনই সাজে না, এখানে যারা কথা বলছে অমি ধরে নিচ্ছি সবাই এইটার সাথে একমত। কিন্তু এইযে উঁচু নীচু বৈষম্য, এগুলোর থেকে কেউ কখোনৈ রেহাই পায় নি। সেভাবে ধরলে ইংরিজি ইস্কুলে অফেন বাংলা ইস্কুলকে ছোটো করে দেখা হয়। তাছাড়া বাংলা ইস্কুলে বস্তির ছেলেরা পড়ে। এগুলো, বা গ্রামের লোক মানে কাজের লোক গোছের ব্যাপার এ সব সেই ঘুরে ফিরে কাস্ট ইজম রেসিজম এইসবের মধ্যে ঢোকে। মোদ্দা কথা হলো বৈষম্য।

    ভেবে দেখাঅ যাক যে আমরা বৈষম্য জিনিসটা ইউজ করি কিনা। সবসময় কিন্তু যেকোনো লোক প্রতি পদেই এটার সাথে ওটার তুলনা বা কমপ্যারিজন করে চলেছে। হয়তো সে সচেষ্ট ব্যক্তিগতভাবে বা গোষ্ঠীগত ভাবে কাউকে আঘাত না করতে কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই সে একটা বৈষম্যের মধ্যে দিয়েই নিজের ডিসিশান খুঁজে বের করছে। তার মানে এই বৈষম্যের মধ্যে আমরা আমাদের মরাল বা এথিকাল ভ্যালুগুলো ঢুকিয়ে কতোগুলো সামাজিক নর্ম বানিয়েছি। এই লক্ষ্মনরেখার বাইরে পেরোলে তাকেই বলবো বৈষম্য, বাকি নয়। কিন্তু এই তফতও ব্যক্তিনির্ভর, প্রেত্যেকের এই রেখা আলাদা।তাহলে একে কিভাবে আইনের মধ্যে আনা যায়? আইন দাবি করে যে তারা বেশ কনজর্ভেটিভভাবে এসব রোখার জন্য রয়েছে এবং তাতে দেশের মেজরিটির আওয়াজ প্রকাশ পাচ্ছে। এটা খুব সাইনি্‌ট্‌ফক বা জুক্তিগ্রাহ্য হলো না কিন্তু এর থেকে অন্তত: কিছু পাওয়া যাচ্ছে। আগে তো বৈষম্যের বিরুদ্ধে এত আইন ছিলো না।
    এটা ভালো। আইনের ফাঁ টাই বেশি, কারন জনসাধারনের মধ্যে একটা জেনারেল রেসিজম থাকলে আইনের সাধ্য নেই কাউকে ধরে। কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে, প্‌ড়া যাক বাড়াবাড়ি হলে তবেই কখোনো কখোনো আইন কাজে আসতে পারে।

    আমার ধারনা, ভুল হতে পারি, আমি একটা গড়পড়তা বলার চেষ্টা করি, দেশে দেশে তফাত হতে পারে, যে কারুর গায়ে হাত না তোলা, কিছু বিশেষ শব্দের মাধ্যমে কাউকে রিলেট না করা, সরকারীভাবে কাগজে কলমে জাতিগত বিভেদ না রাখা পাবলিক প্লেসে ও চাকরিতে ও কোনো পাব্লিক ফেসিলিটির ব্যাপারে এগুলৈ এখন অবধি রয়েছে। কোথায় কতটা ইমি্‌প্‌লমেন্টেড হবে সেটা কিন্তু নির্ভর করবে সেই ক্ষেত্রে কোন ধরনের মানসিকতার মানুষজন আছে।

    অনেক দেশে যেমন গায়ে হাত না তোলা অবধি কিছুই করা যাবে না। আবার অয়ার্ল্যান্ডে দেখেছি গায়ে হাত না তুলেও তুমি ওর থেকে ভয় পাচ্ছ বলে তাকে তোমার থেকে দূরে রাখতে পারো, বাট সাফিসিয়েন্ট প্রমান চাই (ফাঁক)। আমি নিজে এই মর্মে ডাবলিনে এফ আই আর করাতে পেরেছি। কিন্তু এই আইনের ই মিসইউজ করে কিন্তু রেসিজম করানো যায়। আল্টিমেটলি সবটাই বোধ হয় একেকজন ইন্ডিভিজুয়ালের ওপর ডিপেন্ড করে।

    বাই দা ওয়ে, অন্তত: ডাবলিনে দেখেছি অ্যাভারেজ ভারতীয়রা কালো আফ্রিকানদের ভয়ানক হেট করে।

    বিক্রম
  • vikram | 147.210.156.39 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৭:২৯498128
  • কিন্তু আইন থাকলে আর হয়তো কে্‌স্‌খানো পরিস্থিতি অনুকূল হলে এক্টু চেনজ হয়।

    ডাবলিনে এক সময় ডাক্তারদের দেসি হলে পাস করতে কালঘাম ছুটে যেত। সবসময় তাদের ফেল করিয়ে দেওয়া হত। কিন্তু তাদের কোয়ালিটি খুব ভালো এবং কোনো কারনে এখন যেটা হয় যে চাকরির বা কিছুর ক্ষেত্রে আইরিশ যদি কুড়ি পায় আর দেসি ছেলে বাইশ পায় তাহলে দেসি মালকেই নেবে। কিন্তু সমান হলে নয়। আগে এই তফাতটা অনেক বেশি ছিলো।
    তার মানে এখন যেটা দাঁড়ালো যে সস্তায় কাজ করিয়ে মুনাফা তোলা। তবে এটার সাথে রেসিজম থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে, দুটৈ হয়।
    কিন্তু কনসাল্টেন্ট হবার বেলায় এখোনো রেসিজম খুব হাই।

    বিক্রম
  • Babaji | 213.173.163.2 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৭:৩০498129
  • ডিট্টো।
  • Arijit | 128.240.229.66 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৭:৩২498130
  • ঠিক।

    অ্যাভারেজ ভারতীয়রা শুধু ডাবলিনে নয়, মোটামুটি যত জায়গায় ঘুরেছি, সবখানেই দেখেছি - কালোদের অপছন্দ করে - অনেক নাম দেয় - কাল্লু, ঘনশ্যাম ইত্যাদি ইত্যাদি।

    "মিসিসিপি মশালা" দেখোনি?
  • Babaji | 213.173.163.2 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৭:৩৩498131
  • ভারতীয়রা আফ্রিকানদের "কাল্লু" বলে। এব। তখনই বলে যখন ভারতীয়দের দলটা বেশ বড়ো। একটা দুটো ছুটকো ছাটকা ভারতীয় থাকলে তখন ভারতীয় আর কালু ভাই ভাই।
  • Arijit | 128.240.229.66 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৭:৩৮498132
  • প্রথম যখন কলোরাডো গেলুম, ওখানে ক্লাস নিয়েছিলো - অভিজ্ঞ ভারতীয়রা - বলেছিলো "কাল্লু বলবে না, ওরা মানে জানে, ঘনশ্যাম বলবে"।

    বাজে ছাত্র - কোনটাই কাজে লাগেনি:-) খুব ভালো ক'জন দোস্ত পেয়েছিলুম, একসাথে বিড়ি খেতুম:-)
  • indrani | 202.128.112.252 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৭:৫৮498133
  • ১। ৯/১১-এর সময় ক্যালিফোর্নিয়া ছিলাম, ওদিকে সেই সময় হেট ক্রাইম পাই নি, হয়তো শিক্ষিত লোকজন সংখ্যায় বেশি ছিলেন বলে।
    আফগানিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হতেই সব গাড়ীতে আর বাড়ীতে ফ্ল্যাগ লাগিয়ে হা হা হাল্লা চলেছে যুদ্ধে ...
    কর্মস্থলে বস জিগাইলেন আমি হিন্দু না মুসলিম।
    পরে আর একদিন আমি মদ্যপান করি না শুনে বল্লেন তাইলে তুমি মুসলিম, উনি ভারত, বাংলাদেশে কোনো মুসলিমকে নাকি মদ্যপান করতে দেখেন নি, হিন্দুরা সবাই করে..
    আমি নিরুত্তর।
    একটা ইন্টারভিউতে আমাকে বলা হোলো ইন্ডিয়ার রান্না খুব ভালো, এছাড়া ইন্ডিয়া সম্বন্ধে তিনি কিছু জানেন না।
    ২। ক্যানাডায় অনেকেই আমার টিপ পরা বিষয়ে জানতে চাইত, দেশের অনেক কথাও-জানার খুব ইচ্ছে দেখেছি, কোনো খারাপ ব্যবহার পাই নি।
    পুরোনো বাসিন্দারা অবশ্য বলেছেন, ইমিগ্র্যান্টরা এখন এত আসে যে রেসিস্টরা ব্যাপারটা মেনে নিয়েছে মানে সহ্য হয়ে গ্যাছে আর কি...
    আগে পাকি পাকি বলে আওয়াজ দিতো।
    ৩। চিরকালই শুনে আসছি অস্ট্রেলিয়ানরা রেসিস্ট, সিডনি এয়ারপোর্টে নাকি যাচ্ছেতাই ব্যবহার করে।
    এখানে থাকার আগেও বার তিনেক এসেছি, কিন্তু অন্য দেশের এয়ারপোর্টের তুলনায় এখানকার এয়ারপোর্টের ব্যবহার আমার স্বর্গ মনে হয়েছে। খাবার দাবার, কাঠের জিনিস ইত্যাদি না আনলেই হোলো।
    কর্মস্থলে কিছু অনুভব করিনি এখনও।বরং অনেক সাদা চামড়াকে ইন্ডিয়া ভ্রমণ করে এসে উচ্চ প্রশংসা করতে শুনেছি।
    তবে রাস্তায় একদিন কি যেন কাজ হচ্ছিল,রোড সাইনটা খুব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল না-আমার কর্তা ভুল পথে যাচ্ছিলেন গাড়ী নিয়ে, আমরাও সঙ্গে।
    ওখানে যে সর্দার প্রকৃতির লোকটি তদারক করছিল, সে গালি দিলো, ইন্ডিআনরা রোড সাইন বোঝে না।
    আমরা গাড়ী থামিয়ে বোল্লাম , খুব খারাপ কথা বললে হে...
    সে চুপ করে গেল।
    এখানে মাঝে মাঝে লেবানিজদের সঙ্গে দাঙ্গা হয় সাদাদের-সেটা ঠিক রেসিজম কিনা জানি না-এক একটা অঞ্চলে তা সীমাবদ্ধ-সে সব অঞ্চলে কোনো শিক্ষিত লোক থাকে না, এমনিতেই দেদার মদ্যপান করে মারপিট চলে।
    তবে, শুনেছি, ব্রিসবেন, পার্থে ভালো রকম রেসিজম আছে। স্কুলের বাচ্চারা অনেকেই তার স্বীকার। আসলে বড়রা হয়ত ভদ্রতা করে চেপে থাকে মনোভাব, বাড়ীতে তা উগরে দেয়, বাচ্চাদেরও তেমন শেখায়, বাচ্চারা তো আর মনের ভাব লুকোয় না।
    সিডনিতে প্রচুর ইমিগ্র্যান্ট থাকায় টরন্টোর মতো এখানেও সাদারা অভ্যস্ত হয়ে গেছে হয়ত বা মনের ভাব লুকিয়ে চলে শিক্ষিতজন।
    কর্মক্ষেত্রে কোনো ডিসক্রিমিনেশন মনে হলে নালিশ করার সুব্যবস্থা আছে।তবে কেউ নালিশ করলে সুবিচার হয় কিনা জানা নাই।
  • indrani | 202.128.112.252 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৮:০০498134
  • স্বীকার না শিকার
  • Babaji | 213.173.163.2 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৮:০৭498135
  • শিক্ষিত : অশিক্ষিত রেশিওতে কি রেসিস্ট কম : বেশি? এদেশেতো শিক্ষিত (লেখাপড়া করা) লোকেদের মধ্যে অঢেল রেসিস্ট।
  • indrani | 202.128.112.252 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৮:১২498136
  • অই মনের ভাবডা লুকাইতে জানে-এইয়া আর কি-খুব শিওর নই আমি...
  • Arijit | 128.240.229.66 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৮:১৩498137
  • অশিক্ষিতদের মধ্যে কুসংস্কারজনিত কনসেপ্ট থাকতে পারে, তারা কি ঠাণ্ডা মাথায় রেসিস্ট হয়? রেসিজম মনে হয় ঠাণ্ডা মাথার ক্রাইম।
  • Somnath | 210.212.137.6 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৮:৩৮498139
  • রেসিস্ট - ১। যারা বড় হয়ে ওঠার পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে কাউকে, কারুদের ছোটো, হীন, ঘৃণ্য ইনফেরিওর ভাবতে শিখেছে। মনের মধ্যে বসে যাওয়া কনসেপ্ট। ছাড়াতে হলে প্রায় মগজধোলাই অবধি যেতে হবে। মানে হেব্বি কাউন্সেলিং। ২। যারা সচেতন ভাবে চেষ্টা করে কারুদের দাবিয়ে রাখতে, অন্যান্য সুযোগ সুবিধেতে ভাগ বসাতে না দেওয়ার জন্যে। গুছিয়ে লাথ মারতে হবে। স্রেফ সুবিধেবাদী।
    দু পয়সা হয়ে গেছে, এবার দুসপ্তাহ ছুটি। ;-)
  • ar | 151.203.13.92 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ২০:১৮498140
  • আরেকটা প্রিয় ডাক আছে, কালুয়া।

    ব্যাপারটা অনেকটা এই রকম--যদি ভারতীয়দের বলা হয় যে "আপনাকে তো একদম সাহেবদের/ইউরোপীয়দের মতন দেখতে'; সেটা প্রশংসা। কিন্তু যদি বলা হয় যে " আপনাকে অনেকটা নাইজীরিয়া বা কেনিয়ার লোকের মতন দেখতে', তাহলে সেটা অপমানসূচক উক্তি।

    বৈষম্যের মূল কথাটা হল ক্ষমতা, একদলের বেশী, একদলের কম, আর তাকে রক্ষা করার প্রতিষ্ঠানগত প্রচেষ্টা-- সেটা ধর্মীয়, সামজিক (ধর্ম এবং সমাজ) বা আইনী (রাষ্ট্রীয়), যা খুশী হতে পারে। যাদের ক্ষমতা অছে তারাই আইন বানান আর তাকে রক্ষা করার দায়ভার নিয়ে থাকেন।

    বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ঘৃণা করতে শেখানোটা একটা tool হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। মুশকিল হল, সেটা একবার মনের মধ্যে ঢুকে গেলে আর সহজে বের হতে চায় না। সেক্ষেত্রে আইন করেও মনের বিভেদ দূর করা যায় না।
  • vikram | 147.210.156.39 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ২০:২২498141
  • ভানু গোয়েন্দা জহর অ্যাসিট্যান্ট ছবির একটি ডায়ালগ:

    যখন মেয়েটি পালিয়ে সেই গাইয়ের বাড়ি আশ্রয় নেয় আর বলে যে এক ভয়ানক বর জুটেছিলো বলে বিয়ের ভয়ে পালিয়ে এসেছে।

    ছেলে: কেন কিরকম বর জুটেছিলো আপনার? আফ্রিকান না মঙ্গোলিয়ান?

    :-):-):-)

    তবে সিনেমাটা দেখার সময় হেবি হাসি পায়। কারন উত্তর আসে না বঙালী। ও বাঙালী, তা বাংআলী ছেলেরাই তো মেয়েদের মতো...

    বিক্রম

  • b | 194.202.143.5 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ২১:২৮498142
  • iq ব্যাপারটা বেশ ঢপ। আলোচনা অনেক এগিয়ে গেছে, তবু ভাবলাম এই টে এক্টু বলি ;-)
  • vikram | 147.210.156.39 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ২১:৪৬498143
  • স্টেটমেন্ট কোরো না খালি। কোথায় অসুবিধে কি ব্যাপার সেগুলো বলো।

    বিক্রম
  • b | 194.202.143.5 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ২২:২৭498144
  • বিলেতে/ইউরোপে আমি racist খিস্তি খাওয়ায় বিষেশ উৎকর্ষ লাভ করেছি! generalise করতে পারবো না তবে অভিজ্ঞতা গুলো এরকম।

    ১। চাকরির interview দিতেয় গিয়ে bus stand এ সাদা লোকের কাছে উদুম খিস্তি। dartford এ। south (england এর kent এ।)
    পরে জেনেছিলাম ওখানে সাংঘাতিক বেকারিঙ্কÄ আছে তাই নাকি লোকে বিদেশের লোকেরা চাকরি পেতে পারে সম্ভবনা দেখলেই রেগে যায়! কথাটা খানিকটা ভুল ভাল করণ south এ বেকারিঙ্কÄ প্রায় অনেক কম। manufacturing এর অবস্থা সারা দেশেই বাজে।
    প্রথম সাত দিনের মধ্যে তাই উলে্‌ত কেলাতে পারি নি, লোকটা রোগা হওয়া সত্তেও।

    ২। মাতাল আর অল্প বয়সি Teen দের কাছে খিস্তি, paki বন্দনা। অসংখ্য বার। মনে নেই পুরো। মুলত London এ।

    ৩। romeiraq যুদ্ধের সময়ে american এর কাছে জঘন্য খিস্তি। বৌ কে বেশি দিচ্ছিল। এটাকে উল্টে খিস্তি ও ধাক্কা দিয়ে বড় সুখ পেয়ে ছিলাম। আমাদের বাচিয়েছিলেন একজন মধ্য বয়সী ব্রিটিশ মহিলা। খুব কেঁদে ছিলেন আমাদের দু জন কে ধরে। আর বলেছিলেন please মনে কোরো না সব সাদা রা এরকম। এও বল্লেন পুলিশ নাকি সাহায্য নাও করতে পারে।

    ৪। চিনে মেয়েদের কাছে খিস্তি।

    ৫। আপিস এ এক australian প্রোজেক্ট ম্যানেজার এর হিন্দু রা কেন মৃত দের পোড়ায় ও বারানসী তে কত ভিখারী আর ঠগ আছে আর indian দের কত খার্প গন্ধ গায়ে তার গল্প শুনে ক্লান্তো হয়ে ঝাড় দিয়ে ছিলাম। তার পরে বস দের বলে তার চাকরি খাই। বড় আনন্দ পেয়েছিলাম।

    ৬। একটা ইংরেজ বাড়িয়ালা আর একটা পোর্তুগীজ প্রতিবেশি র দুর্ব্যবহার।

    ৭। শুনেছি, docu দেখেছি, সাধারণ ভাবেয় মুশ্লিম দের রাস্তায় ঘাটে, স্কুল কলেজে খুব খারপ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে জেতে হয়েছে। একি অভিজ্ঞতা ১৯২০স-৩০স-৪০স এর jew দের, ৫০-৬০স-৭০স-৮০স এর কালো দের, ৫০স-৬০স-৭০স-৮০স এর এবং এখন নতুন করে বাদামী দের, এখন কালো মুশ্লিম দের।

    ৮। উচ্চ শিক্ষিত ইউরোপিয়ান, বিলিতি সাহেব/মেম দের মধ্যে racism প্রচুর আছে। একটু press চোখ বুলো লেই চল্বে।

    লজ্জা পাওয়ার মত অভিজ্ঞতা
    -------------------------

    ১। ভারতীয় বাঙ্গালি হিন্দু উচ্চ শিক্ষিত , উচ্চবর্ণ professional দের আফ্রো-ক্যারিবিয়ান, মুশ্লিম, গরীব সাদা মানুষ দের জন্য তীব্র ঘৃণা।

    ২। পাকিস্তানি শিক্ষিত professional দের ঐ। ভারতিয় হিন্দু professional দের জন্য কম!

    ৩। কয়েকটি বাংলাদেশি teen ager এক্টি ভিখারী সাদা মহিলা কেয় ক্যলাছিল, আমি প্রতিবাদ করায় আমিয়ো খিস্তি খেলাম।

    ভালা লাগার মত অভিজ্ঞতা
    ----------------------

    ১। প্রিয় বন্ধু এক aussie এমনিতে ভুল ভাল। যেমন মনে করে চীনে আর ভিয়েতনামী রা হারামী আর ক্রিমিনাল।
    কিন্তু আমাকে রক্ষা করার জন্য এক ইংরেজ কে মারতে উদ্যত হয়েছিল। বিচিত্র মাল।

    ২। এক টি ব্রিটিশ মুসলিম ছেলে আমার সব চেয়ে প্রইয় বন্ধু ছিলা কাজের জায়গায়। সে আমায় বলেছিল তার ছোটোবেলার manchester এর বন্ধুরা তাকে ভালো বাসে না, যোগাযোগ রাখে না, আমি ই তার london এ একমাত্র বন্ধু। এক সিরিয়ান ছত্র ও তাই বলেছিল। শেষক্তো জন এর খুব কষ্ট হয়েছিল আমি ঈশ্বর বিশ্বস করি না বলে। বল্লো অন্তত হিন্দু ঈশ্বর দের বিশ্বস্‌স করা উচিত। তা না হলে আমার মাল খওয়া কমবে না। বড় চিন্তিত ছিল বেচারি।

    ৩। ক্যারিবিয়ান প্রতিবেশী র অভিন্ন হৃদয় বন্ধুঙ্কÄ , অল্বানিয়ান মুশ্লিম প্রতিবেশী দের সংগে।

    ৪। গ্রীক বামপন্থির সঙ্গে টার্কিশ দক্ষিন্‌পন্থির গলায় গলায় বন্ধুঙ্কÄ ও ঝগড়া।

    ৫। আপিসের হ্যান্ডু নাইজেরিয়ান ছেলেটি কে নিয়ে সাদা মেয়েদের date পাওয়ার প্রতিযোগীতা।

    ৬। এক ANCactivist সাদা মেয়ের এক্টি ঘরোয়া আড্ডায় বলা মান্ডেলা কে ছাড়ানোর আন্দোলোন এর অভিজ্ঞতা, cape town এ।

    ৭। এক মাল খোর ত্রিনিদাদ এর ভারতিয় র সংগে কালো ব্রাজিলিয়ান মেয়ের অসহ্য বাংলা সিনেমা মার্কা লাজুক লাজুক প্রেম। প্রেমের চোটে ও তার কান্নাকাটির চোটে হোস্টেল এর বাকি দের প্রাণ ওষ্ঠা গত!

    ৮। এক প্রাক্তন jew terrorist এর শান্তি আন্দোলন এর কর্মী হওয়া।

    ৯। এক RSS/VHP supporter এর ধীরে ধীরে মনসিকতা পরিবর্তন চোখের সামনে আমার ও একটি পাকিস্তানী প্রতিবেশী ছাত্রী র দেশে চলে জাওয়ার দিন অসহ্য কান্নাকাটি!

    অতএব পুরোনো স্টাইল এর মানবিকতা জিন্দাবাদ!

    আর কে কখন খি্‌সতি খাবে বিলেতে অন্তত তখন্‌কার nationalist political exigency র উপরে depend করে। আর acceptability র কোড একেক সময়ে একেক রকম।

    বাঙ্গালী উচ্চ বর্ণ অবিশ্যি constant মুশ্লিম বিদ্বেশী ও নিচু জাত বিদ্বেশী ও কাল মানুষ বিদ্বেশী। কমেও না মাঝে মাঝে, জাস্ট বাড়ে। অবিশ্যি আমি আর কটা লোককেই চিনি। generalise করা জায় না তাই রক্ষে। তবে uncontentested racist hegemoney জেটার কথা বিক্রম, বোজো, বাবাজি, অরিজিত প্রত্যেকেই বলেছেন ভয়ানক জিনিষ। তার প্রকরণ ও প্রকার কোনোটারি ই অভাব নেই।

    মামুর মায়া পতায় সব শোনা আর কিছুটা দেখা গল্প বলে সুখ পেলাম।
  • b | 194.202.143.5 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ২২:৩৭498145
  • অসংখ্য দু পয়্‌সা খরচ হয়ে গেল!
  • vikram | 147.210.156.39 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ২৩:৪৮498146
  • ভালো লিখেছে তাই না জনতা?

    বিক্রম
  • b | 194.202.143.5 | ১০ মার্চ ২০০৬ ০০:১৩498147
  • iq সম্পর্কে আপত্তি
    ---------------------

    ১। iq এর পরীক্ষা গুলো culture specificculture independent iq test তৈরী করার চেষ্টা কিছু অবশ্য হয়েছে। সে গুলো ও ঢপ।

    ২। IQ কম দের দৈনন্দিন material প্রয়োজনীয়তা কম কেন হবে?

    ৩। meritocracy পৃথিবীর সবচেয়ে accepteable discriminnation। এর সঙ্গে opportunityeconomic inequality র ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা কোনো হালায় বলে না। বিশেষ করে ক্যামেরোন এর বিপ্লবী tory party ;-)

    ৪। গরীব মানুষ এর কাজের আর শিক্ষার অধিকার স্বীকার না করার এই টে সবচেয়ে বড় ঢপ।

    -----

    ৫। আমি লেখা পড়ায় ছড়ু হয়েও বউ এর চেয়ে কম নম্বর পাবো কেন, চক্রান্ত চক্রান্ত ;-)
  • drighangchoo | 129.46.240.42 | ১০ মার্চ ২০০৬ ০৭:৪৮498148
  • ব-বাবুর পোস্টের পর আর কেউ বলতে পারবেন না যে এগ্‌জাম্পল কম পড়িয়াছে। তবু একটা ঘটনা মনে পড়ল, মনে হল বলি। এটা তুলনায় হয়তো ঢের বিনাইন, তবু --

    প্লেনে যাচ্ছি, একটা ল্যাপ already যাওয়া হয়ে গেছে, connecting flight ধরব। বোর্ডিং পাস জমা দিয়ে বউ ও আমি প্লেনে উঠতে যাচ্ছি একটা কেবিন ব্যাগ নিয়ে। হঠাৎ একজন আমাদের টেনে পাশে দাঁড় করালো। ব্যাগটা চেকইন করাতে হবে। কেন, আমরা তো এর আগের ফ্লাইটেই এটা নিয়ে উঠলাম। এটার সাইজ খুব বড়। অন্য দিন হলে আমি হয়তো দিয়েই দিতাম, কিন্তু সেদিন birth certificate আরো দরকারি কাগজ ছিল। আমি খচে গিয়ে বললাম, এইতো আমার চেয়ে বড় ব্যাগ নিয়েও লোকে ঢুকছে। তখন সে বললো, কিন্তু ব্যাগ খুব ভারী। বললাম কিন্তু আমরা দুজন আছি, আমাদের একটা ব্যাগ। বললো হবে না। আমি বললাম, আচ্ছা আমি ল্যাপটপটা বার করে নিচ্ছি, তাহলে দুজনের দুটো হল দুটো ই হাল্কা। পীস? এবারে ও আমায় যেতে দিতে বাধ্য হল, কারণ ওর আর কোনো এক্সকিউজ ছিল না। কিন্তু ওদের যেটুকু কাঠি দেওয়ার সেটা ওরা দিয়েই ছাড়ল। আমি চেয়েছিলাম মাংস। আমাকে সার্ভ করার ঠিক আগেই আশ্চর্যজনক ভাবে মাংস ফুরিয়ে গেল। তাই আমায় মাছ খেতে হবে। আমি যেন কিছু মনে না করি। এরোপ্লেনের খাবার -- কিবা মাছ কিবা মাংস। আমি আর কিছু বলি ও নি। কিন্তু বডি ল্যাঙ্গুএজ থেকে বুঝতে পারলাম যে আমাকে টাইট দেবার জন্যই এই ব্যবস্থা।

    মুস্কিল কি জানেন, এই ধরনের সূক্ষ discrimination এর বিরুদ্ধে voice raise করা খুব শক্ত।
  • drighangchoo | 129.46.240.42 | ১০ মার্চ ২০০৬ ০৯:২৩498150
  • IQ এর ব্যাপারে বিক্রমবাবু বার বার ইনসিস্ট করেছেন আসল ফ্যাক্টটা কি। আমি একমত। প্রথমে টেবিলে ডেটা রাখো, তারপর কতা। সমস্যা হল ঘরে শিশুপালন করে আর বাইরে কোডপেষন করে আর লাইব্রেরি গিয়ে ডেটা জোগাড় করার সময় হয়না। তাই স্মৃতি থেকে কিছু বলছি। সবটুকু accurate হবে না। এনথুবান কেউ যদি বই ঘেঁটে কারেক্ট করে দেন তো ভালো হয়।

    IQ এর আগের একটা interesting রিসার্চ এর কথা বলি। জর্জ মর্টন, নামটা হয়তো ভুল হল, যাইহোক, জনৈক আমেরিকান ভদ্রলোক ১৮৫০ সাল নাগাদ মড়ার খুলির volume মেপে বার করেন যে সাদাদের খুলির volume বেশি, এবং conclude করেন তাই তাদের বুদ্ধি বেশি। উনি মড়ার খুলি জমাতেন। ঐ সময় মিশরে নানারকম খোঁড়াখুঁড়ি চলছিল। তো ওখান থেকে অনেক খুলি ওঁর কালেকসানে ছিল। ওনার এই থিওরি খুব popular হয়েছিল। প্রচুর লোকজন বলেছিল এই তো কালোদের মাথার খুলি ছোটো, তাই ওদের কম বুদ্ধি, তাই ওরা ঐ মিশরীয় আমল থেকেই slave, এর বেশি ওদের খেমতা নেই। সেটা mid 1800pro-slavery জনতার অভাব ছিল না।
    যাইহোক, পরে কিছু ফাঁক বেরোয়। volume মাপার পদ্ধতি তে কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করে। সেই পদ্ধতি বদলানোর পর দেখা যায় তফাত অনেক কম। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল সব ডেটাই ওনার খুলির কালেকসানের ওপর করা। experiment অন্য সেটের ওপর করার মত অত বড় খুলির কালেকসান কারো ছিল না।

    IQ মাপার চেষ্টা বহুদিন থেকেই চলে আসছে। হান্স আইজেন্‌ক বলে এক জার্মান নাৎসীদের থেকে পালিয়ে ইংল্যান্ড গিয়ে IQ মাপার একটা পদ্ধতি বার করেন। সেটা controvertial হয় কারণ সেটা আমেরিকার কিছু স্কুলছাত্রের ওপর apply করে দেখা যায় যে IQ distribution এর mean valueasian দের সবচেয়ে বেশী, তারপর সাদা তারপর কালো। এটা রাফলি ১৯৭০। তারপর খুব হট্টগোল হয়। asian দের সবচেয়ে বেশি reading টা বলা হয় unreliable, কিন্তু সাদা কালো সেইটা খুব ফলাও করে বলা হয়।

    এই হল আমার জানা ডেটা। ডেটা ইন্টারপ্রিটেশানের পলিটিক্স নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এখন হবে না, পরে।
  • drighangchoo | 66.81.196.9 | ১০ মার্চ ২০০৬ ১৩:২৯498151
  • IQ এর একটা সমস্যা হল intelligence কি সেটার খুব রিগরাস ডেফিনিশান না থাকা স্বত্তেও সেটাকে মাপার চেষ্টা। ফলে যেটা হয় সেটা অনেকটা এরকম -- intelligence কি জানি না, IQ দিয়ে যেটা মাপা হল সেটাই intelligence। এই ব্যাবস্থায় অসুবিধা নেই, শুধু একটাই প্রশ্ন, IQ test দিয়ে মাপা intelligence যদি কারো থাকে বা না থাকে তাতে কি এল গেল। স্পেসিফিকালি আইজেন্‌ক IQ test সম্মন্ধে ধারণা নেই। তবে IQ test এর স্যাম্পল নিশ্চই আপনারা সব্বাই দেখেছেন। পাঁচ ছটা প্রায় এক রকম ছবির মধ্যে কোনটা একটু আলাদা। এই ধরনের। অনেক software company ফ্রেশার হায়ারিং এ ইনিসিয়াল স্ক্রিনিং এ এইধরনের কিছু টেস্ট নেয়। যেকোনো পরীক্ষাই কিছু একটা মাপার চেষ্টা করে। এই যেমন joint entrance পরীক্ষা মাপে আপনি কটা ফরমুলা গাঁতিয়েছেন, আপনার লেখার স্পীড কত ইত্যাদি। সেরকম IQ test ও মাপে pattern recognition capability, হয়তো কিছুটা mental alertness ইত্যাদি। অরিজিৎবাবুর ভাষায় বলতে গেলে, ব্রেনের সমস্ত ফাংশান যদি একটা বিরাট গোল্লা হয়, তবে IQ test মাপে একটা ছোট্ট গোল্লা। এই দুটোর কোনোটই যেমন কার মাথায় কত ছন্দ খেলা করে, কিংবা কে কত ভলোবাসতে পারে এগুলো মাপে না।

    life is bigger than the result of an IQ test। এইসব টেস্টের নেগেটিভ দিক হল এটা একটা পুরো রেসের মধ্যে অকারণ হীনমন্যতা ঢুকিয়ে দিতে পারে। একজন scientist এর কাছে intelligence এর একটা স্পেসিফিক মিনিং থাকতে পারে, কিন্তু একজন লেম্যান সেটা অন্যভাবে নেবে।
  • drighaanchoo | 66.81.196.9 | ১০ মার্চ ২০০৬ ১৩:৪৩498152
  • এইধরনের রিসার্চের মুস্কিল হল, যিনি বিজ্ঞানী তিনি হয়তো বলছেন তিনি intelligence বলতে ঠিক কি বুঝিয়েছেন, তাঁর আসেপাশের লোকেরা, মিডিয়া, কমেন্টেটর, এক্সপার্টরা তাঁর রিসার্চ কে হাইজ্যাক করে নিজেদের সুবিধেমত ইন্টারপ্রিটেশান দিয়ে যান।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন