এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রেসিজম - পূর্বে ও পশ্চিমে : ২

    Somnath
    অন্যান্য | ০৬ মার্চ ২০০৬ | ৭৮০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 202.144.91.204 | ০৬ মার্চ ২০০৬ ০১:০০498138
  • এরপর আগুন, চাকা, চাষবাষ, প্রযুক্তির আমদানি। আধুনিক হায়রার্কির চেনা রূপ দেখতে পাচ্ছি। সর্বাধিক আলোচিত বর্ণাশ্রম। চারধরনের পেশার লোক চার পংক্তিতে। এর মধ্যে রাজা আর বামুনেরা সেরা। কেন? কারণ এরা skilled labour। এরা কিছু জানে যা জানবার জন্য কিছু শেখার দরকার হয়। শূদ্ররা unskilled labour। কাজেই জ্ঞান, তথ্য এবং বিশেষ কোনো ক্ষমতা হায়রার্কি তৈরি করছে। বর্ণাশ্রম বাওয়াল শুরু করল যখন এই হায়রার্কিটাকে জন্ম বা বংশভিত্তিক করে দেওয়া হল। যখন বলা হল, শূদ্রের ঘরে জন্মালে তোমার বিদ্যাশিক্ষার অধিকার নেই। অর্থাৎ social mobility-র ধারণাটাকে প্রথমে খুন করা হল। কিন্তু এই ব্যাপারটা সম্ভব হয়েছিল কারণ উৎপাদন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে social mobilty বা immobility কোনো হেরফের ঘটাল না। কিছু লোকজনের skill তৈরি হল কি হল না, তার জন্য উৎপাদন ক্ষমতার হেরফের হয় নি। কৃষিভিত্তিক সভ্যতা, পুঁজির ধারণা গড়ে ওঠে নি, স্থির অনুপাতের উৎপাদন। এর পরে আমরা দেখব, আস্তে আস্তে social mobility-র ব্যাপারটা কল্কে পাবে কারণ উৎপাদন প্রযুক্তিটাও পালটাবে। কিন্তু তাও হায়রার্কিবিহীন প্রযুক্তি কখনই তৈরি হবে না।
  • b | 86.135.68.90 | ০৬ মার্চ ২০০৬ ০২:০০498175
  • কুমোর পাড়া তো নয় ই। হক কথা।

    তবে ইন্দো, দু তিন দফার পুরো আলোচনা টা পড়লে মাঝে মাঝে দেখবি , সাদা আর বাদামী পুতুলের ছাড়া বাকি রা 'design spec' এর কারণে সুবিধে করতে পারবেন না এই বিচিত্র ধারণা কে এই ২০০৬ এও refute করার জন্য সামান্য হলেও অনেক লোককে শব্দ খরচ করতে হচ্ছে সেটা বেশ খানিকটা আশ্চর্য্য। আমার বিংশ শতকীয় ঠুলি বা অন্ধ নুব্জ বৃষের ন্যায় রক্ত বর্ণ স্মৃতি ও এর জন্যে দায়ী হতেই পারে।

    যে রিসার্চ বা ভাবধারা প্রমাণ করে খেলা ধুলো , শরীর চর্চা ছাড়া অন্য 'intellectual pursit' এ হয়তো কালো দের এগোনো সম্ভব নয়, কারন genetic বা brain এর অসমঙ্কÄ, তাকে নিয়ে, বিনয় না করেই বলতে হচ্ছে আলোচনা ই প্রায় বাতুলতা!

    ব্যক্তি র মধ্যে পার্থক্য বা জন গোষ্ঠির মধ্যেকার বিচিত্র বৈশিষ্ট বর্তমান, অতএব, চামড়ার কারণে অনাচার, ঘৃনা, করুণার দয়া র হীনতার বিরুদ্ধে সংগঠিত হবার জন্য শ্রম , সাম্যের প্রতীক বৃথা এই নন্দনতঙ্কÄ টি বোধগম্য হয় নি এখোনো আমার।

    বিলেতে বসা, উচ্চবর্ণ বদ্যির পো , বামুনের মেয়েকে বিয়ে করে জাতে উঠেছি, এখেনে আসার আগে পর্যন্ত race কথাটি শুধু আমার জীবনে কেবলি ধ্বনি সমষ্টি ছিল, এ অনধিকার চর্চায় ঈষেন মামুর দেওয়া অসম্পাদিত স্বাধীনতা সঙ্কেÄও চুপ করে থাকাই উচিত।

    আর একটি কথাও বলবো না, এই বিষয়ে। পমিশ।
  • dd | 202.122.18.241 | ০৬ মার্চ ২০০৬ ০৩:০০498176
  • ছি ছি । একি কথা !!!
    আমি চিরকল জেনে এসেছি মেনে এসেছি বামুনেরা বদ্দি সন্তানকে বে করে জাতে ওঠে।
  • t | 131.95.121.251 | ০৬ মার্চ ২০০৬ ০৪:০০498177
  • বলো কি বি? এ যে প্রতিলোম!!! শীর্ষেন্দু শুনলে যে অজ্ঞান হয়ে যাবেন!
    যাকগে।
    হাজার হাজার বছর ধরে আফ্রিকা পিছিয়ে আছে (ইজিপ্ট বাদে,সেটাও নাকি পুরোপুরি বিশুদ্ধ আফ্রিকা নয়,খানিকটে ইউরোপ),এই কথাটা একটি ঠান্ডামাথা জটিল চক্রান্ত।
    অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বিজ্ঞানে কালোমানুষদের কϾট্রবিউশনকে চেপে দেয়া হয়েছে।
    শুধু ইজিপ্ট নয়,কেনিয়া নুবিয়া তাঞ্জানিয়া এইসব জায়গায় অনেকরকম ব্যাপার ছিলো,প্রচলিত ইতিহসএ কতটা পাই তার?
    বাইবেলে একটিমাত্র জায়গায় কুইন অব শেবার কথা আছে, ইথিওপিয়ার সেই জ্ঞানী রানীর নামটুকু পর্যন্ত অস্বীকার করেছে শ্বেতাঙ্গ সভ্যতা।নেহাৎ চেপে দিতে পারেনি বলে সলোমনের সঙ্গে দেখা করার কথাটা উল্লেখ করেছে।
    বর্তমান যুগেও কৃষ্ণাঙ্গদের বৈযানিক অবদান চাদর চাপা দিয়ে চেপে দেয়া হয়েছে। কজন জানি জর্জ কার্ভারের নাম? অথচ একটি ভয়াবহ কৃষিবিপর্যয় রুখে দেবার কৃতিত্ব প্রায় একা তার নিজের।
    আরেকজন, যিনি রক্তের জলীয় অংশ প্লাজমা সংরক্ষনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আবিষ্কার করেন,লক্ষ লক্ষ সৈন্যের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয় মহাযুদ্ধে,সেই লোক গাড়ী দুর্ঘটনায় মরেন,তখন তাকে রক্ত দেয়া হয় নি।
    তাই জিনেই এরা ইনফেরিয়র,এই কথাটা অনেকটা হিটালারের "আরে ওরা তো সাব হিউম্যান,ওদের জন্য ফাইনাল সলুশন লাগাও।"এর মতই শোনায় অনেকটা।
    যাকগে,আসি।

  • dd | 202.122.18.241 | ০৬ মার্চ ২০০৬ ০৫:০০498178
  • এই তো T - গোড়ায় গলদ। একটা পুরো মহাদেশকে বিচার করতে বাইবেলের একজন আর বত্তমানকালের একজনের কথা স্মরন করতে হয় ? ইতিহাস রচনায় প্রেজুডিস আছে ও থাকবে। কিন্তু সেটাকে বিশ্ব ব্যাপী ষড়যন্ত্র ভাবছো কেনো ? কার ফয়দা তাতে ? তুমি টুক করে guns,germs and steel পড়ে ফ্যালো তো। Jared Diamondএর । তোমার খুব ভাল্লাগবে। আমি জানি।
    আমি আবার লিখি আমার বক্তব্য - খেলাধুলায় উঁচু নীচু মানি। সবাই। কিন্তু বুদ্ধিতে (খুব ,খুব গোদা ডেফিনিশনে - বুদ্ধি কথাটা use করলাম)উঁচু নীচু মানতে বড় দ্বিধা । স্কুলে, কলেজে, চাকরীতে সব খানেই র‌্যানকিং মানি (জানো না, আমি কেলাস থিরিতে ফিফ্‌থ হয়েচিলাম)। তখন আমি সিক্সথের থেকে অনেক ভালো ছিলাম। ফোর্থের থেকে যৎ সামান্যি খারাপ। সেটা মানবো না কেনো ?
  • t | 131.95.121.251 | ০৬ মার্চ ২০০৬ ০৬:০০498179
  • আসলে এটা মানতে গেলে খুব মুশকিল।মানে কিনা খেলাধুলা তো প্রত্যেক বছরই হবে,তাই বারে বারে লোকে অংশগ্রহনের সুযোগ পাবে। কিন্তু বুদ্ধিতে একটা রেসকে সুপিরিয়র বলে দিলে অন্যেরা কার্যত ক্রীতদাস হয়ে গেলো,মানে সুপিরিয়রের সেবা ছাড়া এদের আর কিছু করার রইলো না।
    বুদ্ধির কেরিয়ারটা তো খেলার কেরিয়ারের থেকে বহুৎ বেশী জটিল আর চান্স ও খুব কম।মানে খেলায় যেমন বারে বারে একজন চেষ্টা করে করে যেতে পারে, এক বছর না হলে পরের অলিম্পিকে চেষ্টা করতে পারে,কিন্তু গবেষণা তো সেরকম জিনিস নয়,তাৎক্ষণিক প্রতিযোগিতা নয়,অনেক দীর্ঘমেয়াদী আর বহু রকম বেরকম টাকাপয়সা সোর্স পরিচিতি আরো হাজার হ্যাপা ভেদ করার ব্যাপার। তাই সেখানে আটকে দেয়া হয়তো খেলায় আটকে দেয়ার চেয়ে অন্যরকম।

  • t | 131.95.121.251 | ০৬ মার্চ ২০০৬ ০৭:০০498180
  • আর খেলাধূলা অনেকটাই পড়ে বিনোদনের মধ্যে,সিনেমা,কবিতা গল্পের মতন।
    কিন্তু অংক,ডাক্তারি,শিবিল ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রোগ্রামিং, ট্রান্স মিটার বানানো--ইত্যাদি ইত্যাদি জিনিসগুলো কিনা জরুরী দরকারের,তাই সেখানে ক্ষমতার খেলাটাও অনেকতাই অন্যরকম হতে বাধ্য।

  • dd | 202.122.18.241 | ০৬ মার্চ ২০০৬ ০৮:০০498181
  • তো ? প্রতি বছর খেলা হয়। কিন্তু এতো বড়ো দেশ থেকেও আমরা ফুটবল (ও প্রায় সব খেলায়) অতি হীন। আমাদের থেকে ভালো ক্যামেরুন ও বার্মা। ইরান ও ব্রুনেই। সেটা মানতে তো কোনো বিশ্বব্যাপী ষড়যন্ত্র ,আর্থ সামাজিক বৈষম্য , মহাজাগতিক ইসে - কিছুরই দোহাই দিতে হয় না। আমরা জানি আমর খারাপ - ব্যাস।
    আবার ফুটবলে খারাপ হলেও আই টি তে দারুন, ডাগদারীতে ফাটাহাটি, ব্যবসায়ে চমৎকার - এটানিয়ে কোনো তক্কো হয় ? কোদালকে কোদাল বলতে এতো কষ্ট ক্যানো ?
  • Somnath | 61.246.16.228 | ০৬ মার্চ ২০০৬ ০৯:০০498183
  • যাই বলো এই তক্কোটা হেব্বি জমেছে।
  • Somnath | 210.212.137.6 | ০৬ মার্চ ২০০৬ ০৯:২৭498090
  • এবার এখানে হোক। দীর্ঘতম তক্কাতক্কি গুরুর ইতিহাসে।

    আমার কথা হল, আগে ঠিকঠাক ডিফাইন করা হোক, রেসিজম কারে কয়। তাপ্পর আমিও গপ্পো করব তাজমহল দেখতে গিয়ে গাঁট সিকিউরিটি গুনো আমায় বাংলাদেশী ঠাউরে সিকি হেনস্থা কি হেনস্থা!!

    সবার গপ্পো গুচ্ছো শেষে থাকবে পথ নির্দেশ, বেশ ব্রেন স্ট্রমিং এর মতো, কিভাবে এই ব্যপারটা ওভারকাম করা যায়। কি বলো?
  • Arijit | 128.240.229.67 | ০৬ মার্চ ২০০৬ ১৫:৩৫498116
  • একটা ভেন ডায়াগ্রাম আঁকো - একটা বড় গোল্লা - সেটা হল discrimination - এর মধ্যে ছোট ছোট গোল্লা - economic discrimination, racism, sexual discrimination - ইত্যাদি। ছোট গোল্লাগুলো কি ইনটারসেক্ট করে? নাকি সবকটা disjoint?
  • r | 202.144.91.204 | ০৬ মার্চ ২০০৬ ১৬:১৮498127
  • হায়রার্কি নিয়ে দুই পয়সা:

    প্রাগৈতিহাসিক যুগে দেখি। মানুষ যখন শিকার করে খায়। গোষ্ঠীবদ্ধভাবে ঘোরে। তখনও গোষ্ঠীর একজন নেতা আছেন। যিনি প্রবল বলশালী, মহামহিম শিকারী। অথবার নেত্রী। কারণ জন্মদানের মতো অসীম রহস্য কেবল নারীরই করায়ত্ত। হায়রার্কির শুরু। কিন্তু তখনও বর্ণ-জাতি-জাত-ধর্ম গোছের জন্মভিত্তিক হায়রার্কির শুরু হয় নি। তখন নিয়ম অনেক সহজ- ছেলে-মেয়ে বা বলশালী-বলহীন।

    (ক্রমশ:)
  • drighangchoo | 129.46.240.42 | ০৭ মার্চ ২০০৬ ০৬:০১498149
  • আনস্কিল্ড লেবার যে কেন স্কিল্ড লেবারের চেয়ে কম সম্মান (হিউম্যান রাইট্‌স অর্থে) পাবেন সেটা আমার মাথায় ঢোকে না। কেন কম মাইনে পাবেন সেটা যদি বা অর্থনীতি লাগিয়ে কিছুটা বুঝি। কেন এখনো কিছু যায়গায় বামুনেরা শূদ্রের হাত থেকে জল খান না, সেটা কি স্রেফ উৎপাদন প্রযুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে? দক্ষ শ্রম, অদক্ষ শ্রম তো পৃথিবীর সবখানেই ছিল। কেন তবে বর্ণাশ্রমের ব্যাপারটা আমরা শুধু হিন্দুদের মধ্যে পাই? আমার তো মনে হয় না এই হাইরার্কি বংশানুক্রমিক করাটা কোনো ইকনমিক ইনেভিটেবিলিটি।
  • drighaangchoo | 129.46.240.42 | ০৭ মার্চ ২০০৬ ০৬:৪৪498160
  • মানে বলতে চাইছি যে যদিও যে সময় বর্ণাশ্রমের আইনগুলো চালু হয়েছিলো সে সময়ের ইতিহাস সম্মন্ধে আমার স্বচ্ছ ধারনা নেই, আমার বিশ্বাস ঐ সময় শূদ্ররা যথেষ্ট মিটিং, মিছিল, ধর্না, স্ট্রাইক, প্রোটেস্ট করলে ব্যাপারটা অন্য রকম হতে পারত।
  • drighangchoo | 129.46.240.42 | ০৭ মার্চ ২০০৬ ০৭:২৫498171
  • প্রযুক্তি বদলাবে, ক্ষমতার হাইরার্কি ও থেকে যাবে হয়তো। তার মধ্যে থেকেও সোসাল জাস্টিসের দিকে এগোনো সম্ভব। অনেক, অনেককে যদি এ ব্যাপারগুলো নিয়ে সেনসিটাইজ করানো যায়। এছাড়া নতুন উৎপাদন প্রযুক্তি যে নতুন অর্থনৈতিক পথের সৃস্টি করে সেটাকেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই যেমন এখন আমেরিকায় কর্মক্ষেত্রে হ্যারাস করা মানা। অন্তত খাতায় কলমে। নারী পুরুষ, বামুন কায়েত, বস সাবর্ডিনেট নির্বিশেষে। কারণ এতে কোম্পানীর সুবিধে।
  • r | 202.144.91.204 | ০৭ মার্চ ২০০৬ ১২:০৭498182
  • লেখাটা তো ক্রমশ:। প্রশ্নগুলো ভ্যালিড। এই নিয়েই পরের পর্ব। :-)
  • Babaji | 213.173.163.2 | ০৭ মার্চ ২০০৬ ১৭:০৮498193
  • রেসিজমের প্রকৃতি, উৎস, বিভিন্নতা এসব নিয়ে তো আলোচনা চলছে, উপভোগও করছি আলোচনা (রেসিজম নয়), কিন্তু যারা রেসিজিমের শিকার তারা কি প্রতিবাদ করেছে কোনোভাবে, রেসিজিম আক্রান্ত ভাটুরেরা কেউ? সেটা জানতে ইচ্ছে করছে। রেসিজিম যদি অন্যাই হয়, তবে অন্যাই যে করে আর অন্যাই যে সহে দুজনেরি কিছু চাপ আর কিছু ব্যাথা থাকার কথা। সে নিয়ে দুপয়সা হোক। হবে?
  • vikram | 134.226.1.194 | ০৭ মার্চ ২০০৬ ১৭:৫৫498091
  • প্রতিবাদ বলতে কি বোঝানো হচ্ছে?

    যাও হোক, দু পয়সা দিলাম।

    ১) ডিম ছুঁড়ে পালানোর ক্ষেত্রে কিছুই করা যায়নি।
    ২) স্পেনে পুলিশ হ্যারস করেছিলো আলিকান্তের কাছে মুর্থিয়া বলে এক জায়গায়। সেখানে অমি জিগেশ করি যে আমাকে হ্যারাস করাএ কারন দেখাতে হবে। তখন আমার কাছে স্টুডেন্ট কার্ড চাওয়ায় আমি দিতে অস্বীকার করি। পুলিশে আপত্তিজনক প্রশ্ন করলে আমি এটা আপনাদের এক্তিয়ারে নেই এবং আমি আর প্রশ্নের উত্তর দেবো না বলে চুপ করে যায়। এইটুকুর বাইরে কিছু করিনি।
    ৩) উপরিউক্ত ক্ষেত্রে এবং একবার ব্রিটিশ এমব্যাসির দারোয়ানের খারাপ ব্যবহারের সূত্রে ই মেল মারফত আমাদের ভারতীয় এমব্যসীতে রিপোর্ট করছি। সেই ই মেল বাউন্স হয়ে ফেরত এসেছে কারন অফিসিয়াল সেই ই মেল একজিস্ট করে না।

    নেক্‌স্‌ট প্লিজ।

    দু পয়সা করে একেকবারে।

    বিক্রম

  • drighangchoo | 129.46.240.42 | ০৮ মার্চ ২০০৬ ০১:৫০498102
  • আচ্ছা বেশ। এবার বাবাজি-বাবুর কথামতো কিছু ডেটায় আসা যাক।

    ১) কলকাতায় আমেরিকান এমব্যাসিতে দারোয়ানের দুর্ব্যবহার। গেছি ভিসার কাগজপত্র নিয়ে, বলে খাম নিয়ে এসো। অনেক ঘুরে খাম কিনে এনে দেখি দারোয়ান বদলে গ্যাছে। সে বলে খাম আমরা জমা নিতে পারবো না। খামে আনথ্রাক্স থাকতে পারে। আমি বললাম চেক করে নিন। সে বলে খাম নিয়ে এক পা ও ঢুকবেন না। তারপর ঝগড়াঝাঁটি। তবে কোনো ফরমাল কমপ্লেন করিনি।

    ২) আমেরিকার মধ্যে প্লেনে যাতায়াতের সময় একাধিকবার খারাপ অভিজ্ঞতা। কম্পিউটার নাকি আমাকেই র‌্যানডমলি সিলেক্ট করেছে তল্লাশির জন্য। তারপর পকেট থেকে সব বার করে জুতো খুলে হেনস্থা। একগাদা প্রশ্ন। পাশ দিয়ে সাদারা হুড়মুড় করে চলে যাচ্ছে। তাদেরকে 'হ্যাভ আ নাইস ডে'। কথায় বিরক্তি প্রকাশ করেছি। কিন্তু প্রতিবাদ নয়।

    ৩) ডাক্তারখানায় গিয়ে নানান অভিজ্ঞতা। বসিয়ে রেখেছে, আর ডাকেই না। সাদারা সব পরে এসে ঢুকে যাচ্ছে। একবার খুব চেঁচামেচি করেছিলাম। লাভ কিছু হয় নি। মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলাম টীকা দিতে। টীকা দিয়েছিল একজন trainee। খুব চেঁচিয়েছিল বেচারী। পাশের কামরায় একটা সাদা বাচ্চার টীকা দিচ্ছিল একই সাথে। তাকে যে দিচ্ছিল সে অনেক অভিজ্ঞ। সে চ্যাঁচালো ও অনেক কম। সেবারে আমরা কিছু বলিনি। পরের বার বলেছিলাম ঐ trainee কে দিয়ে টীকা নিতে রাজি নই।

    ৪) কোম্পানীতে discrimination অনেক সাট্‌ল। এরা চেষ্টা করে ভারতীয়দের decision making process এর বাইরে রাখতে। খুব ওভার্ট ভাবে নয়, কায়দা করে। আমারি এক সাদা কলীগকে জিগ্গেস করলো, তুমি কি কাজটা করতে চাও। আমাকে জিগ্গেস করলো না, সোজা চাপিয়ে দিলো। এইরকম আর কি। আমার বউ পি এইচ ডি তে আছে। কয়েকমাস খারাপ যাচ্ছে, ল্যাবে কারো রেজাল্ট ভালো আসছে না। গাইড এসে আমার বউকে খুব ধমক দিয়ে গ্যালো একদিন। অন্যদের কিচ্ছু বললো না। এগুলোর প্রতিবাদ আমরা করিনি।
  • Babaji | 213.173.163.2 | ০৮ মার্চ ২০০৬ ১২:৪৪498108
  • বিদেশে:
    আমার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার হয়েছে। রাস্তাঘাটে বদ ব্যবহার করলে বাপ মা তুলে উল্টো খিস্তি করেছি। বাপের নাম হিটলারও বানিয়ে দিয়েছি ওদের কারো কারো। যতক্ষণ না গায়ে হাত দিচ্ছি ওরা ফর্ম্যালি আমার এগেনে্‌স্‌ট কিচ্ছু করতে পারবে না। অতএব পেটভরে লাগাও খিস্তি।
    Workplace এ তো ডিস্ক্রিমিনেশনের অন্ত নেই। কেউ বদ ব্যবহার করলেই তাকে উল্টে খিস্তি। ভয় টয় পেলে চলে না। চাকরী হরবার ভয় থাকলেই ওরা সেটাকে ওদের নিজেদের ঢালের মতো ব্যবহার করবে।
    দেশে:
    দেশের মানসিকতা অন্যরকম। ছোটোবেলায় বুড়ো বুড়ো লোকেদের মুখে হিটলারের প্রশংসা শুনেছি। অমন পার্সোনালিটি নাকি ছিলো না আর। আমাদের দেশে নাকি আরো কিছুদিন ব্রিটিশ থেকে গেলে পারত। আমাদের নাকি দরকার এমন এক রুলারের যে চাবুক হাতে সবাইকে শাসন করবে। মা কালী নিজের কানে শোনা। এখন ভাবি চাবুক খেয়ে খেয়ে ঐ লোকগুলো লাগামের বাইরে বেরোতে ভয় পেয়েছিলো। সদাদের প্রভু বলে তখনো মানত। আমরাও মানি। সাদা চামড়ার সায়েব দেখলে দেশের মাটিতে গদগদ হয় পড়ি। পড়ি না?
  • DD | 61.17.49.231 | ০৮ মার্চ ২০০৬ ১৩:০৬498109
  • মা দুগ্গা ফর্সা আর অসুরটা মিশ কালো। সবাই জানে। গঁআ বাংলায় কথা আছে কালো বাউন আর ধলা শুদ্দুর- খুব উল্টোপাল্টা ঘটনা বোঝাতে।
    বস,দ্যবতা এরা সবাই ফর্সা। তাই সাহেবের চামড়া দেখে আমাদের দগদগ ভাবে একটা আর্কেটাইপ মনোবৃত্তি। কি করবো ?
  • Babaji | 213.173.163.2 | ০৮ মার্চ ২০০৬ ২১:০৬498110
  • DD,
    এভাবে চোখ বন্ধ করে ভরসা করে করেই আমরা রেসিজিমে মদত দিয়েছি তাই নয় কি?
    আরেকটা ঘটনা আজকাল ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা দ্রুত উত্তরণের ফলে এবং ঠেষে আউটসোর্সিং হওয়ায় য়ুরোপের ধলা আদমিদের রেসিজম রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে। এখন আর কালো সাদা নয়। এখন চিনা আর ভারতীয় দেখলেই এরা ক্ষেপে ওঠে।
    আচ্ছা সত্যিই কি সাদা ভালো আর কালো খারাপ? কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কি সত্যিই আছে? কোনো রিসার্চ হয়েছে এনিয়ে? কেউ জানে?
  • vikram | 134.226.1.194 | ০৮ মার্চ ২০০৬ ২১:৩৩498111
  • রিসার্চ আছে কিনা জানি না। কিন্তু ইন্টারন্যাশেনাল লেবার কমিশান এর ২০০৩ এর একটা অসাধারন রিপোর্ট আছে। তাতে সায়েন্স এর মধ্যে কিভাবে রেসিজম হয়েছে সেটা ২০০৩ অবধি লেখা আছে। চার্লস ডারউইন ও আছেন কিন্তু।

    বিক্রম
  • dd | 220.226.30.228 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ০৮:১৭498113
  • আই কিউএর উপর বই লিখে বিখ্যাত সেই আইসেন্‌ক (না কি আইসনেক) আমেরিকান সত্তরের দশকে আমেরিকান সাদা ও কালো (একই স্কুল ও আর্থ সামাজিক পরিবার) ছাতে্‌র্‌দর মধ্যে সমীক্ষা করে বলেছিলেন কালোরা জেনেটিকালি ইনফেরিওর। বোকা। ন্যাচারালি খুব তক্ক হয়েছিলো।
    ভদ্রলোক কিন্তু রেসিস্ট ছিলেন না। ওটা তার সমীক্ষার ফলাফল।
  • Babaji | 213.173.163.2 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৪:৪৫498114
  • কিছুসংখ্যক ছাত্রের মধ্যে সমীক্ষা করে ঐ ভদ্রলোক কীকরে এই সিদ্ধান্তে এলেন সেটা ভালো প্রশ্ন। মানুষমাত্রেই বিভিন্ন। বোকা মানুষ ইনফিরিওর কি? আর যদি বোকা হয় ইনফিরিওর হয় তবেই তাকে আলাদা করে দেয়া যায় কি? অনেক নমস্য গুণীজনেই সারভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্ট, বুদ্ধিমানের জয়, শুধু সেরারাই বাঁচার অধিকার রাখে, এইসব বলে গেছেন। সুরাসুরের এই সারভাইভাল লড়ায়ে অসুরবধ পুরোপুরি সমাধা হয়ে গেলে তখনতো সুরেদের মধ্যেও কেবেশি সুর আর কে বেসুর তাই নিয়ে তৈরী হবে, নয় কি? যে বোকা যে দুর্বল যে কালো তাকে হরদম খুঁচিয়ে যাবার বৈজ্ঞানিক নামই কি সারভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্ট?
  • Babaji | 213.173.163.2 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৫:০৩498115
  • আর বোকা মানেই বা কি? যে আই কিউ টেস্টে কম নম্বর পেয়েছে? যে অঙ্কে কাঁচা? যে ইনজিনিয়ারিং এ ভর্তি হতে পারে নি? নাকি যার ধূর্তামি কম? যে গুছিয়ে চুরি করতে পারে না ধরা পড়ে যায়?
  • vikram | 147.210.156.39 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৫:২৪498117
  • এভাবে হয়তো দেখলে হবে না। বাবাজীর দাবি মানছি, কিন্তু যে ভদ্রলোকের সমীক্ষার কথা বলা হচ্ছে সে কি করেছিলো তাই কথা বললে ভালো হয়। তাহলে তার কোথায় ভুল হয়েছিলো কিভাবে ভুল হয়েছিলো জানা জাবে। তা না হলে কিন্তু আমরা এমন একটা টেস্ট নিয়ে কথা বলছি যা নিয়ে আমাদের ই ধারনা নাই।
    সমীক্ষার ডিটেল কি আছে কারো কাছে?

    বিক্রম

  • Arijit | 128.240.229.66 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৫:২৯498118
  • একটা ফুট কাটি? IQ পরীক্ষাগুলো কতটা বৈজ্ঞানিক? এই নিয়ে কিন্তু পোচুর তক্কো আছে।
  • vikram | 147.210.156.39 | ০৯ মার্চ ২০০৬ ১৫:৩৬498119
  • তক্কো নেই। যেটা আছে সেটা হলো বেশিরভাগ সমীক্ষাই অবৈজ্ঞানিকভাবে করা হয়। আর আমরা যেহেতু খালি বড়ো বড়ো অক্ষরে শেষ পর্যন্ত এই পাইলাম বলে জানতে পারি কোনটা কিভাবে কি হয়েছে কিছু জানা যায় না। গন্ডগোলটা পদ্ধতিতে নয়। গন্ডগোলটা মানুষের মধ্যে যার ঐ যেকোনো সমীক্ষাকে ঘেঁটে দেয়, অনেক সময়েই তার মধ্যে ফাইননসিয়াল বা অন্য উদ্দেশ্যমূলক ব্যাপার থাকে।

    বিক্রম
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন