এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রেসিজম - পূর্বে ও পশ্চিমে : ২

    Somnath
    অন্যান্য | ০৬ মার্চ ২০০৬ | ৭৮০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • atithi | 164.100.28.2 | ১০ মার্চ ২০০৬ ১৪:২১498153
  • এবার একটু দেশের দিকে ইরুন না, আমরা নিজেরা কতটা recist তাই নিয়ে দু পয়্‌সা হোক

    পান্‌জাবী দের পাইয়া বলি মারোয়াড়ী মাওড়া!!!
  • Babaji | 213.173.163.2 | ১০ মার্চ ২০০৬ ১৪:২৭498154
  • অসা দ্রিঘাংচু!
  • Babaji | 213.173.163.2 | ১০ মার্চ ২০০৬ ১৫:১১498155
  • শুধু পাইঞাদের বাঁধাকপি আর তামিলদের তেঁতুল বলা নয় বড়ছেলে ফস্‌সা আর মেজটার রং ময়লা বা DD উল্লিখিত ধলা শুদ্দুর কেল্টি বাউন এসব আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ভদ্দর্নোক আর ছোটোলোকের কনসেপ্টটাও রেসিস্ট। গায়ের রং যেমন একদিকে অন্যদিকে জাত্যাভিমান অস্পৃশ্যতা। শহরে হয়ত কম গ্রামে কিন্তু এখনো পুরোদমে চলছে। ওপর ওপর আমরা সবাই এসবের ঊর্ধে বলে প্রচার করি এমনকি জাত ধর্ম মানিও না কিন্তু নিজে বামুন হয়ে নিজের ছেলেকে বেজাতের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিতে ভেতর থেকে বাধে।তাও কায়েত বা বদ্যি অবধি নামা যায় কিন্তু নম:শুদ্র বা অন্য ধর্মের মেয়ে হলে? ছেলে পেরেম করলে তবু নয় গাঁইগুঁই করে মেনে নেবার কেস আছে, কিন্তু দেখেশুনে আগবাড়িয়ে এরম বিয়ে কি দিয়েছে কেউ? আমি নিজে হলে দিতে পারবো?
  • b | 194.202.143.5 | ১০ মার্চ ২০০৬ ১৫:৫৬498156
  • দ্রি জা বলেছেন কোনো ডিস্পুট নেই কারন সে গুলো রিসার্চের খবর।

    কিন্তু রেস ভিত্তি করে বা না করে ব্রেন মাপার রিসার্চ টা একটা রিসার্চ হল? বিশেষ করে যে রিসার্চ ব্যক্তি বা সমষ্টির intellectual সম্ভবনা কে সীমিত করতে পারে? আর রিসার্চ এর বিষয় নেই?

    পুষ্টির ইতিহাস, অশিক্ষার ইতিহাস, প্রজ্ঞা (wisdom) ও শিক্ষার (education) ও উৎকর্ষ (স্কিল্ল) এর ক্রমান্বয়ে বদলাতে থাকা সংজ্ঞা, তার সঙ্গে অর্থনীতি, রাজনীতি র ইতিহাসের সম্পর্ক, সংস্কৃতি র সম্পর্ক, প্রত্যেক টা সভ্যতার golden period এর গুল ও তার revival এর রাজ নৈতিক প্রয়োজনীয়তা হেই গুলান মাপে কে?

    এই empiricism এর সমস্যা শুধু race based/ orientalist anthropology, historiography নয়, এর মধ্যে natural phillosohpy র আঙ্গিনা থেকে উঠে আসা , creationism মার্কা উদ্ভাবনী তঙ্কÄ কে মোকাবিলা করার জন্য যে empiricism তৈরী হয়েছিল তাকে গুলিয়ে বোগাস করে দেওয়ার সমস্যা ও প্রচেষ্টা ও আছে।

    দু পয়সা কি কম পড়িয়াছে ;-)

    ঈশান মামুর open forum এর জয় হূক , কারণ অন্যত্র আমি এই সব বিষয়ে নাতি দীর্ঘ দিলে টমেটো ও কাঁচা ডিম ও কম পড়বে না!

    প্রশ্ন হল সাম্রাজ্যবাদ এর সঙ্গে, expansionism এর সঙ্গে racism, এর সম্পর্ক!

    লে আরো দুই পয়সা!
  • vikram | 134.226.1.194 | ১০ মার্চ ২০০৬ ১৬:১০498157
  • রিসার্চের বিষয় হলো কি না হলো সেটা রিসার্চ না করলে বলা যাবে না। আর যদি (যদি কিন্তু হ্যাঁ) সত্যি এরকম ভাগ থাকতো তাহলে তো সেটা দারুন ইন্টারেস্টিং রেজাল্ট। কারন তার ঠিক পরের ধাপ ই হোলো যে তাহলে জারা পিছিয়ে আছে তারা কেনো পিছিয়ে অছে? কোনো ভাবে কি তারা এগোতে পারে? পারলে কি করে পারে? এভাবেই তো এগোবে।
    আসলে সবই আমাদের হাতে।
    যেখানে সীমারেখা টানা হয় সেটা হলো শারীরিক ভাবে যদি তা মানুষের পক্ষে সরাসরি হানিকারক হয়।(মোস্টলি, আর পলিটিক্স পয়সা হ্যান ত্যান তো আছেই)

    বিক্রম
  • b | 194.202.143.5 | ১০ মার্চ ২০০৬ ১৬:১৬498158
  • আমার বক্তব্য ছিল, কিছু লোক পিছিয়ে আছে ধরে না নিলে এই রিসার্চ টা কেউ কর্বে না। সেই টাতে আপত্তি আছে।
  • vikram | 147.210.156.39 | ১০ মার্চ ২০০৬ ১৬:২০498159
  • কেনো? জ্যামিতিতে করো নি কিছু একটা ধরে নিয়ে যুক্তির মাধ্যমে ইমপসিবিলিটিতে উপনীত হয়ে বলেছো যে আচ্ছ, তাহলে আর 'স্বীকার' অংশটিতে ভুল আছে, যা ধরেছিলাম তা ঠিক না। মালটার একটা ল্যাটিন নাম আছে। বুড়ো লোকেরা খুব বলে, নিঘঘাত দীপ্তেনদা জানবে।

    বিক্রম
  • b | 194.202.143.5 | ১০ মার্চ ২০০৬ ১৬:৩৬498161
  • axiom / hypothesis ?

    proof by negation / Reductio ad absurdum ?

    যাক গে। এই বিষয়ে আর খরচ করার মত দু পয়সা নেই। anthropology তে এক কাকুর কাছে শুনেছিলাম একটি ধারা আছে জারা চাম্‌ড়ার রঙ অনুযায়ী মাপামাপি করে। তাই দু কথা কয়েছিলাম, তা সবাই ক্যালাচ্চে।
  • Babaji | 213.173.163.2 | ১০ মার্চ ২০০৬ ১৭:১০498162
  • মালটার নাম "রিডাক্‌শিও অ্যাড্‌অ্যাব্‌সার্ডম"
  • Ishan | 192.128.133.68 | ১১ মার্চ ২০০৬ ০০:০৫498163
  • ডেটা ইন্টারপ্রিটেশন নিয়ে দুলাইন লেখার লোভ সামলানো গেলনা। পলিটিক্সটা এখানে দুভাবে আসে:

    ১। স্যাম্পলিং। যেহেতু যাবতীয় ডেটা সংগ্রহ করা সম্ভব না, অতএব, স্যাম্পল নিতেই হবে। ফলে টোটাল রিয়েলিটির জায়গায় আপনাকে বেছে নিতে হবে তার একটা সাবসেট, যা কিনা "যথাযথ' ভাবে রিয়েলিটিকে রিপ্রেসেন্ট করে। ("যথাযথ' কথাটা এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ।) অর্থাৎ একটি জয়গায় ৫০০ লোককে আপনি ধরে ধরে জিজ্ঞাসা করতে যাবেননা, তার জায়গায় যথাযথ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জনা পঞ্চাশেক রিপ্রেসেন্টেটিভ বেছে নেবেবেন। এবার তাদের মতামত নিয়ে অ্যানালিসিস করে আপনি ঐ পাঁচশোজন সম্পর্কে "খোলা মনে' বিচার বিশ্লেষণ করবেন।

    এবার এখানে ক্যাচটা হল এই, যে, স্যাম্পলিং পদ্ধতিটি ই আপনার বিশ্লেষণকে আর "খোলা মনের বিচার' থাকতে দেবেনা। কিরকম? ধরুন সমীক্ষককে আপনি প্রশ্ন করলেন, জানলেন কিকরে এই পঞ্চাশ জনই ঐ পাঁচশো জনের যথার্থ প্রতিনিধি? তিনি উত্তরে হরেক রকম যুক্তি দিতে পারেন । যে, এই দেখ এদের আর্থ-সামাজিক ভিত্তি। এই পঞ্চাশ জনের অর্ধেক মেয়ে অর্ধেক ছেলে। ১৫ শতাংশ উচ্চবিত্ত, চল্লিশ মধ্যবিত্ত, আর বাকিটা নিম্নবিত্ত, ঠিক যেরকম বিন্যাস আছে ঐ পাঁচশো জনের মধ্যে... ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব না বলে অন্য কিছু ও বলতে পারেন, কিন্তু মোদ্দা কথা হল, যে উনি ঐ পাঁচশো জন সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে তবেই কাজে হাত দিয়েছেন।

    অতএব,লক্ষ্য করুন, "যথাযথ' স্যাম্পলিং এর ভিত্তি ই হল পূর্বলব্ধ জ্ঞান, ইংরিজিতে যাকে প্রিকনসিভড নোশন বলা হয়। এবার, যে খেলাটাই শুরু হয় প্রি কনসিভড একটা জায়গা থেকে, সেটা "খোলা মনের বিচার' হয় কিকরে?

    হয়না।

    ২। ভ্যারিয়েবল সিলেকশন: স্যাম্পলিং এ ভ্যারিবেঅল সিলেকশান আরেকটি গুপি জিনিস। এই থ্রেডেই যে উদাহরণটি আছে, সেটাই দেখা যাক। IQ টেস্ট। যে ভদ্রলোক ঐ সমীক্ষাখানা করেছিলেন, ধরা যাক, তাঁর সমীক্ষায় ভ্যারিয়েবল ছিল দুখানা। এক, জাতি পরিচয়। দুই, IQ পরীক্ষার ফল। এবার দুইটি মিলিয়ে একটা সিদ্ধান্ত। কিন্তু এই দুটো ভ্যারিয়েবল দিয়েই কি সব কিছু ব্‌য়্‌খ্‌য়া করে ফেলা যায়? যায়না। আমি তো সমীক্ষা না করেও বলতে পারি, আমাদের সিঙ্গুর গ্রামে দুলে-বাগদি পাড়ার ছেলেপুলে আর বামুন-কায়েতদের নিয়ে এরকম একটা সমীক্ষা করলে হান্ড্রেড পার্সেন্ট গ্যারান্টি, যে, দুলে রা অনেক কম নম্বার পাবে, কিন্তু তার মানে কি তাদের বুদ্ধি কম, এরকম একটা সিদ্ধান্তে আসা যাবে? যাবেনা, কারণ, একটু গভীর ভাবে ভাবলেই, এখানে শিক্ষা-দীক্ষার সুযোগ, বুদ্ধিচর্চার সুযোগ, আপব্রিংগিং, পরিবেশ, ইত্যাদি ইত্যাদি আরও অনেক ভ্যারিয়েবল এসে যাবে, যেগুলো ঐ সমীক্ষায় ধরা হয়নি। এবার ঐ ভ্যারিয়েবল গুলোকে সমীক্ষায় ঢোকাতে গেলে, একই ভাবে দেখা যাবে, যে ওরাও স্বাধীন চলরাশি নয়, সমীক্ষাকে "যথাযথ' করতে গেলে এরা প্রত্যেকেই সঙ্গে আরও অনেক ভ্যারিয়েবলকে টেনে আনবে। যেমন পরিবেশ সঙ্গে নিয়ে আসবে কালচারকে, কালচার নিয়ে আসবে অর্থনৈতিক/লিঙ্গ বৈষম্যকে ইত্যাদি ইত্যাদি।

    এইভাবে সবকটা ভ্যারিয়েবলকে নিয়ে সমীক্ষাকে "যথাযথ' বানাতে গেলে, ভ্যারিয়েবলের সংখ্যা অসীম হয়ে যাবে। এবং সমীক্ষাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।

    অতএব সব ভ্যারিয়েবল গুলোকে নেওয়া যাবেনা। কোথাও একটা লিমিট টানতে হবে। যেমন ঐ ভদ্রলোক হয়তো দুখানা ভ্যারিয়েবল নিয়েই সুখী ছিলেন, আমি IQ এর সঙ্গে নেব কত অবধি পড়েছে তার একটা সূচক। কোনো জব্বর নারীবাদী হয়তো নেবেন, ছেলে না মেয়ে তার একটা হিসেব, মার্কসিস্টরা অর্থনৈতিক সূচক আনবেন। যাই করা হোক না কেন, লিমিট যেখানে টানা হবে, সেই সীমারেখাটা মূলত: নৈতিক/রাজনৈতিক। রেসিস্ট পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে IQ ভ্যারিয়েবলটাই যথেষ্ট। মার্কসিস্ট জায়গা থেকে দেখলে তার সঙ্গে অর্থনৈতিক সূচক টাও ঢোকাতে হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি। সবকটাই নৈতিক/রাজনৈতিক।

    দু লাইনের বদলে অনেকটাই লিখে ফেললাম :-)।
  • dd | 202.122.18.241 | ১১ মার্চ ২০০৬ ০০:২১498164
  • কিন্তু জাতি/গোষ্ঠিগত কোনো জেনেটিক দোষ/গুন থাকে মানুষের, এটা মানেন? বৈশিষ্ট ?
    শুধু খেলাধুলা নিয়েই বলা যায় (খুব স্পর্শকাতর গুনাগুন এটা নয়)- ইথিওপিয়ানরা লম্বা দৌড়ে বিশেষ পারদর্শী, কালো মানুষেরা অ্যাথলেটিক্সে চ্যাম্পিয়ন, কোটী বাধা রেসিজমের ঘৃনা, কিছুই তাদের দাবিয়ে রাখতে পারে নি। কিন্তু একজনো বিশ্বমানের সাঁতারু কালো চামড়ার নয় ।
    এটাকে কাকতালীয় বলবেন ?
  • Ishan | 192.128.134.68 | ১১ মার্চ ২০০৬ ০০:৪৬498165
  • জাতিগত বৈশিষ্ট্য তো আছেই। আরো মোটা দাগেও আছে। যেমন আফ্রিকানরা কালো, ইউরোপিয়ানরা সাদা, বাঙালিরা পেটরোগা, চিনেরা চিঙ্কুকাটিং ইত্যাদি ইত্যাদি।

    একটু সূক্ষ্মভাবে দেখলে, আপনি যেগুলো বলেছেন সেগুলো আসে। ইথিওপিয়ানরা দূরপাল্লার দৌড়ে পারদর্শী, ভারতীয়রা ফুটবল খেলতে পারেনা ইত্যাদি।

    এর পরে এগুলো ও সমীক্ষার ফলাফল, যে, মেয়েরা অঙ্কে কাঁচা। সমীক্ষা করলে এটাও দেখা যাবে, যে ভারতের নিচু জাতের (কাস্টের) লোকজনের IQ কম।

    এগুলো খোলা চোখে স্পষ্টই যাওয়া যায়। কিন্তু আমার বক্তব্যটা হচ্ছে, এটুকু ই রিয়েলিটি র একমাত্র মুখ না। ভিন্নতর ইন্টারপ্রিটেশন থেকে অন্য সিদ্ধান্তেও পৌঁছনো সম্ভব। যেমন, কথার কথা বলছি, সিংহের হাত থেকে দৌড়ে পালাতে গিয়ে আফ্রিকানরা দৌড়বীর হয়েছে। বা পড়াশুনোর সুযোগ পায়না বলে নিচু জাতের লোকজন আই কিউ টেস্টে ভালো নম্বর পায়না। এগুলো ও চরম সত্য তা না। কিন্তু এরকম ইন্টারপ্রিটেশনও সম্ভব।

  • dd | 202.122.18.241 | ১১ মার্চ ২০০৬ ০১:১৬498166
  • সিংহের হাত থেকে পালাতে গিয়ে ইথিওপিয়ানেরা লম্বা দৌড় বাজ হলো ? ও ঈশেন, এমন ইন্টারপ্রিটেশন তো চলবে না। ইথিওপিয়ায় সিংহ কই? কিনিয়ায় কেনো হোলো না ? গুজরাতে ? না। এগুলো খুব তাৎক্ষনিক পলিটিকালি কারেক্ট উত্তর। কেনো কালো চামড়ায় দৌড়ায় ভালো কিন্তু সাঁতরায় না। সেটার উত্তর দ্যাও। ক্যানো অলিম্পিকে সাদা চামড়া জিমন্যাসটিকে ও সাঁতারে একচেটিয়া কিন্তু ট্র্যাক ইভেন্টে না। আমি শুধু,শুধু,শুধু, খেলার কথা বলছি।যাতে আলোচোনার ফোকাসটা থাকে। তুমিও খেলার মধ্যেই রাখো।
    মনে রেখো- দেশে এখন রাত একটা, আমার তৃতীয় পেগ, রাত এগারোটায় ব্যাঙ্গালোর ল্যান্ড করিচি, তাই খুব শানিত উত্তর দিও না। লাগবে।
  • Ishan | 192.128.134.68 | ১১ মার্চ ২০০৬ ০২:২০498167
  • দীপ্তেন্দা,

    এক কথায়, আমি জানিনা। আপাতত: নৃতাঙ্কিÄক বৈশিষ্ট্য এবং কেবলমাত্র নৃতাঙ্কিÄক বৈশিষ্ট্য ছাড়া আর কিছু মনেও হচ্ছেনা।

    কিন্তু একই সঙ্গে আমি এটাও বলছি, যে অন্যতর ইন্টারপ্রিটেশনও হতে পারে, তার জন্য সম্ভাবনার দরজাটা খুলে রাখা দরকার।

  • drighaangchoo | 66.81.120.111 | ১১ মার্চ ২০০৬ ১০:৪৭498168
  • দীপ্তেনবাবু, আমি ইথিওপিয়ানদের দৌড়ে কিন্তু জিনের গন্ধ পাচ্ছি। তবে এখনো ভিকট্রি ডিক্লেয়ার করার সময় আসেনি। আগে সেই জিনটা বার করা হোক, তারপর তার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভেরিফিকেশান হোক। তবে কনক্লুশান। শুধু কথায় তো থিওরি হয় না। তাও এই ক্ষেত্রে জেনেটিক ব্যাপারটা একটা গুড ইনিশিয়াল গেস। আমার অবশ্য একটা ছোট্ট ডাউট আছে। ধরে নিই ব্যাপারটা জেনেটিক। ইথিওপিয়ার জিনপুল কি এতই আইসোলেটেড যে কেনিয়া অব্দি পৌঁছয়নি? কেনিয়া তো পাশেই, মিশ্রণ কি হয়নি?

    এই থেকে আলোচনাটাকে টেনে নিয়ে যাবার ইচ্ছে ছিল IQ তে। কিন্তু কথা ছিল শুধু খেলার মধ্যে থাকব। তাই খেলা নিয়ে একটু অন্য ধরনের প্রশ্ন করি। অলিম্পিকে লম্বা দৌড়ে মোটে একটা দুটো সোনা আর সাঁতারে কেন কাঁড়িকাঁড়ি? কিসের ভিত্তিতে ঠিক হয় কোন ইভেন্ট কটা হবে?
  • ar | 151.203.9.201 | ১১ মার্চ ২০০৬ ১৩:১৯498169
  • সত্যি কথা বলতে গেলে ইথিওপিয়ানদের মতন কেনিয়ার লোকেরাও লম্বা দৌড়ে বেশ সফল। মনে হয়, কেনিয়ার লোকই ম্যারাথন বেশি জিতেছে। এটা জিনগত কিনা সেটা আলোচনার বিষয়,দীর্ঘমেয়াদী পরীক্ষানিরীক্ষার বিষয়, হতেও পারেও নাও হতে পারে। দেখা গেছে যে কেনিয়ার প্রতিযোগীরা প্রায় সকলেই মুলত হাই অলটিচিউইড থেকে আসেন। অর্থাৎ, চড়াই উৎড়াই এ চলাফেরা হল সকলের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ।ছোটবেলা থেকেই সবাই এটা করে থাকেন। সকলেই করে, করতেই হয়। এই প্রাকৃতিক পরিবেশ জিনের ওপর পাকাপাকি কোন ছাপ রেখেছে কিনা সেটা জানা নেই। আবার সমতলের ছেলেপুলেকে ছোটথেকেই ঐরকম চড়াই উৎড়াই করতে হলে, সেও ম্যারথন জিত্‌তে পারবে কিনা, তাও জানা নেই। দুটোর ক্ষেত্রেই উত্তর হল, হতেও পারে, নাও পারে। প্রশ্ন থেকেই যায়।

    কিন্তু ম্যারাথন এর জন্য অনুশীলনের এখন একটাই মন্ত্র, সবাই প্রায় সেই মতনই করে থাকেন বলে শুনেছি। সমতলে দূরপাল্লার দৌড়ে ভালো করতে গেলে পাহাড়ী, উঁচু নীচু জায়গায় ভালো করে অনুশীলন করতে হবে। এখানে boston আর New York ম্যারাথন খুব জনপ্রিয়। পৃথিবীর সেরা ম্যারাথনবাজরা অংশগ্রহন করে থাকেন। বেশ কয়েক বছর ধরে কেনিয়ার লোকেদের রমরমা। মাঝেমাঝে দুএকজন ইথিওপীয়ার বা কোরিয়ার লোকজন জেতেছেন। ছেলেদেরটায় শেষ সাদা লোক (boston) জিতেছিল ১৯৯০ সালে। তার সময় কিন্তু ২০০৫ এ বিজয়ীর সময় থেকে প্রায় তিন মিনিট কম ছিল। আবার মেয়েদেরটায় শেষ দুবার কেনিয়ার প্রতিযোগী জিতেছে বটে, কিন্তু তার আগে রাশিয়ান বা জার্মানীর মেয়েরাও ধরবহিক ভবে জিতেছে। NY তেও তাই। গত দু বছর ইউরোপ থেকে জিতেছিলো। তার আগে কিনিয়ার আবার তাও আগে ইউরোপ থেকে। কিন্তু একটা প্যাটার্ন পাচ্ছি; ইউরোপের ছেলেদের থেকে মেয়েদের এই সব ম্যারাথনে সাফল্যের হার বেশী। কিন্তু তার থেকে এই সিদ্ধন্তে আসা যায় না যে কেনিয়ার ছেলেরা মেয়েদের থেকে পাহাড়ের পথে বেশী ওপর নীচ করে থাকেন (!)

    সফলতার সথে নৃবিদ্যাকে কে মেলানোর প্রবনতা দীর্ঘদিনের। খেলার জগৎও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু সেখানে পরিবেশ তথা অর্থনীতির ব্যাপারটা প্রায়শ: বলা হয় না। সাঁতার বা জিমন্যাস্টিকসে মতন খেলাগুলোতে ভালো করার সাথে একটা টাকাপয়সার সম্পর্ক আছে বলে আমার ধারণা। এগুলো সেই সব জায়গাতে ভালো হবে যেখানে এইসবের ভালো ব্যবস্থা আছে। যে ইস্কুল ভালো, ইস্কুলের রেস্ত ভালো , তারাই ভালো সুবিধা দিতে পারে। বাংলা কথা হল, ভালো school district না হলে সেটা হওয়া সম্ভব নয়। school district ভালো তো জায়গা ভলো, জায়গা ভালো তো বাড়ির দামও ভালো। এটা গরীব লোকের পক্ষে সম্ভব নয়। মানে খ্‌চ্‌চা আছে।

    বাস্কেট্‌বলে খরচা কম। ফাঁকা জমি দেখে একটা নেট লাগিয়ে কোনমতে একটা বল জোগাড় করলেই হল। আজ থেকে যদি বছর দশেক আগে আমরা এই আলোচনাটা করতাম, তাহলে এটাও হয়ত বলতাম যে কালোরা আফ্রিকার গরম দেশের জিন নিয়ে জন্মেছে বলে তারা গ্রীষ্মকালের অলিম্পিকে বেশী ভালো করে, শীতকালের অলিম্পিকে ভালো করতে পারে না। কিন্তু পরপর দুবার শীতকালীন অলিম্পিকে Appolo Uno আর এইবার Shani Davis, দুজনের কেউই সাদা নন, কে দেখে সেটা আর বলা যচ্ছে না। এর আগের বার এক কালো মহিলাও জিতেছিলেন, তার নামটা এই মুহূর্তে আর মনে পড়ছে না। আরো বেশি করে সুযোগ দিলে আরো বহু কালোমানুষ সেখান থেকে আরো সোনা আনবে। আবার পঞ্চাশ ষাট বছর আগে হলে হয়ত বলতাম, কালোরা ওদের নিজেদের মধ্যে বস্‌বল খেলে বটে, কিন্তু সাদাদের মতন খেলতে পারে না। কিন্তু আজকের বেস্‌বলের দুনিয়ায় কালোদের বেশ রমরমা বাজার।

    আবার, বাস্কেটবলের মতন খেলায় কালোদের যে আধিপত্য দেখা যায়, সেটা কিন্তু বরাবর ছিলো না। বরং তিরিশ, চল্লিশ ব পঞ্চাশের দশকে এই খেলাতে সাদা ইহুদি ছেলেরা রাজ্‌ করত। কালো বেশী দেখা যেত না। সেখানেও জনগন একটা জিন-ছাপ লাগানোর চেষ্টা করেছিলো। বলেছিলো, যেহেতু ওরা ইহূদী, তাই ডেভিডের তারার ব্যাপারটা ওদের রক্তে। তারার কোনাকুনি ছকে ওরা খুব তাড়াতাড়ি আড়াআড়ি move করতে পারে বলেই ওরা এই খেলায় ভালো। ম্যাজিক জনসন এক জায়গায় খুব ভালো কথা বলে ছিলেন। ওনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, "এই যে আপনার এত ভালো বল ক®¾ট্রাল, এটা কি করে হল"। উত্তরে উনি একটু মুচকি হেসে বল্লেন যে, "আসলে কি জানেন, অমি তো সাদাদের সথে এক ইস্কুলে পড়তাম, আর এই খেলাটা ভালোবাসতাম। কিন্তু ঐ ছোঁড়াগুলো খেলার সময় আমাকে কিছুতেই বল দিত না। নিজেদের মধ্যেই পাস দেওয়া নেওয়া করত। তাই আমি ভেবে ঠিক কারলাম যে , এইভবে হবে না, আমাকেই স্কিল বাড়াতে হাবে। যাতে আমার কাছে একবার বল এলে আর কেউ কেড়ে না নিতে পারে"।

    কালোদের বুদ্ধি সাদাদের থেকে কম, এই প্রচার টা প্রায় গত আড়াইশো তিনশো বছর ধরে চলছে। জর্জ ওয়াশিংটন, টমাস জেফার্সন থেকে শুরু করে রুজভেল্ট অবধি সবাই মনে করতেন যে কালোরা হল "ইনি্‌ফরিয়র রেস"। এরা একসময় নির্মূল হয়ে যাবে। এদের সাথে সাদাদের মিশিয়ে দিলে সেটা মানবজাতির পক্ষে ক্ষতিকারক হবে। হিটলারও তাই ভাবতেন। খালি ১৯৩৬ এ বার্লিনে গিয়ে তকে চার্টি থাপ্পড় মেড়ে "জেস্‌স্‌সি" চারটে সোনা জিতে নেন এবং দেশে ফিরে এসে আবার সেই সময়কার একজন কালো মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে শুরু করেন। মানে সেই তাকে বাসে ট্রামে পেছনের দরজা দিয়ে উঠ্‌তে হত, আলাদা জায়গায় বসতে হত, সাদাদের থেকে দুরত্ব বজায় রেখে চলতে হত, এই আরকি। তাই মনে হয় জেসি জীবনীতে অভিমাণ করে লিখেছেন যে, "দেখে/শুনে গেলাম যে হিটলার এই হিটলার ঐ, সোনা জেতার পর আমাকে কেউ ওনার সাথে করমর্দন করার জন্য ডাকেনি। নিজের দেশে যখন ফিরলাম, সেখানেও আমার প্রেসিডেন্টও কিন্তু আমাকে ডাকেননি"।

    কালো মানুষের আইকিউ মাপার বৈজ্ঞানিক (বা অবৈজ্ঞানিক) চেষ্টাটা তুলনামূকভবে নতুন। মুখ্য উদ্দেশ্য কিন্তু কালোদের বুদ্ধি সাদাদের থেকে কম, এই ধারণাটার একটা হাতে গরম প্রমাণ জোগাড় করা। মানে আমি experiment করার আগেই মাথাতে উত্তর সাজিয়ে রেখেছি যে কালোদের বুদ্ধি কমই হবে। সেইটা মাথায় রেখেই আমাকে variable ঠিক করতে হবে। পরিবেশ বা অর্থনীতি; সেখানে সবই মায়া।

    এ নিয়ে পরে লিখব। কিন্তু এখনকার ডাটা দিয়ে জিনঘটিত কিছু নিশ্চিত করে বলা যাবে না। হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে।
  • dd | 202.122.18.241 | ১১ মার্চ ২০০৬ ১৫:১৩498170
  • ar
    দাঁড়ান। আগে আপনার লেখার প্রশংসা করি। যেমন ভাষা তেমনি যুক্তিজাল। সব থেকে বড় কথা কোথাও কোনো আবেগের টর্নাডো নেই। দারুন লাগলো।
    আপনার কিছু যুক্তি মানলাম। অনেক সমীকরন বদলে যাচ্ছে। দ্রুত। যেমন টেনিস যেমন গল্ফ। আজ কালোরা সেখানে চ্যাম্পিয়ন। কাল ছিলো না।

    শুধু খেলা নিয়েই বলি - কোনো গোষ্ঠির (ভাষা/জাতি/বর্ন)আধিপত্য বা উল্টোটা (কি বিচ্ছিরি ফুটবল খেলে ভারতীওরা)কি শুধুমাত্র আর্থ সামাজিক ফর্মুলা দিয়েই ব্যাখ্যা করা সম্ভব? আরেকটা ফ্যাকটর আছেই। সেটাকে জিন না বললে অন্য কি বলবেন ?
    মাসাইরা লম্বা আর পিগমীরা বেঁটে -এটা মানি। এটা নির্দোষ তথ্য। ও নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপ সারা দুনিয়ায় মাত্র ৫% কিন্তু উত্তর ইউরোপে ১৩% এটা মানতে দ্বিধা নেই।

    কিন্তু কোনো জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে পরা বলে চিহ্নিত করতে গেলে খুব মুশকিল। আগে প্রমান করতে হবে বক্তার রাজনৈতিক অবস্থান। ( যেমন ধরুন আজকের তক্কে আমি। বেশ বোঝা যাচ্ছে আমি সাদা আর কালোদের সমান সমান দেখছি না- গুটি গুটি ঐ ভয়ানক প্রতিক্রিয়াশীল সমাধানের দিকেই ঠেলে ঠুলে এগুচ্ছি)। শুধু আজকে নয় গত পাঁচ হাজার বছর ধরে আফ্রিকার ইতিহাস (ইজীপ্ট বাদে) পিছিয়ে পরার ইতিহাস। পিছিয়ে থাকার ইতিহাস। হান্টার গ্যাদারার থেকে কৃষিজিবী হতেও লাগলো (এখনো লাগছে) বহু বছর। এটা কি আমরা জানি না।

    আমি মনে করি সবাই সমান নই। একেবারেই নই। সব জনগোষ্ঠীর মধ্যেই আকৃতি ছাড়াও অন্য পার্থক্য রয়েছে। কোথাও ভালো, কোথাও খারাপ। ব্যাস।
  • indo | 59.94.2.249 | ১১ মার্চ ২০০৬ ২১:৪৫498172
  • এই নিয়ে আবার এত তক্কোর কি আছে? সবাই সমান তো নয়ই ! ই কি কুমোরপাড়া নাকি?
  • deepten | 202.122.18.241 | ১১ মার্চ ২০০৬ ২২:১৪498173
  • ইন্দোদা
    সেডাই তো কতা। ফুটবলে ক্যামেরুন আমার দেশের থেকে অনেক ভালো - এ নিয়ে তো কোনো তক্কো চলে না। কিন্তু কে জোর গলায় বলবে আমরা ক্যামেরুন থেকে এগিয়ে আছি সভ্যতায় আর বুদ্ধিমত্তায়।
    আফ্রিকা কেনো পিছিয়ে আছে ? তার উত্তর কি জেব্রায় নিহিত ?
  • t | 131.95.121.251 | ১১ মার্চ ২০০৬ ২২:২০498174
  • তাহলে শেষ অবধি কি দাঁড়ালো?
    আকৃতিতে প্রকৃতিতে স্বভাবচরিত্রে দেখতে শুনতে বুদ্ধিতে নির্বুদ্ধিতে সবাই আমরা আলাদা আলাদা?এমনকি একই রেসের দেশের কালচারের ধর্মের লোকেরাও কেউই একজন আরেকজনের মতন নয়?
    ঠেলায় পড়েই মানে কোনো কমন ইন্টারেস্ট থাকলে তবেই গাঁই গুই করে মনের ভাবটি লুকিয়ে রেখে কাজে নামি? মানে দায়ে পড়েই আরকি...
    তাইলে আর মোটেই তো এইসবের কোনো দরকার নেই!
    আর একটি কথা আছে। নানা জায়গাতে গুরুত্বপূর্ন আলোচনায় এখনো মহিলাদের ব্রাত্য করে রাখা হয়।তারা যদি কিছু জানেনও তাহলেও পুরুষরা তাদের বিশেষ পাত্তা দিতে চান না হার্ডকোর টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলোতে,যেখানে এখনো ৯০% পুরুষাধিপত্য।
    এমনকি ইন্টার্নেটের মতন মুখহীন নৈর্ব্যক্তিক জায়্‌গাতেও মাতাজীকে বাবাজী সেজে এসে আলোচনায় ঢুকতে হয়,নাহলে তার কথা গুলো গুরুত্ব পায় না।
    কথা হলো এইটা কি ধরনের রেসিজম? নাকি এইটাকে বলে মেজরিটিজ্‌ম?
  • dri | 66.81.123.156 | ১২ মার্চ ২০০৬ ০৬:১৭498184
  • :-)।

    ডিডি-বাবু তো কাল রাতে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন দেখি। আপনার তো চটপট হ্যাংওভার কাটে মশাই।

    কিছু কথা ছিল --

    লম্বা, বেঁটে, ও- ব্লাড গ্রুপ এগুলোর জিন নির্ধারিত হয়েছে সম্প্রতি। যদ্দিন হয়েছিল না, অন্য নির্দিষ্ট স্ট্যাটিস্টিকাল মেথড ছিল যা দিয়ে সন্দেহ করা হত beyond a reasonable doubt যে এগুলো জেনেটিক। offspring এর মধ্যে বৈশিষ্টগুলোর percentage কষে। এইসব প্রপার্টির প্রত্যেকটার জন্য একটা নির্দিষ্ট জিন আছে। একটা জাতির পিছিয়ে পড়ার জন্য কোনো জিন আছে এরকম কথা কোনো সিরিয়াস সাইন্টিস্টের মুখে শুনিনি। শুনেছি যাঁদের মুখে তাঁরা মূলত জেনেটিক রিসার্চের চিয়ারলীডার যাঁরা ভেবে সুখ পান যে তাঁরা ঐ কালোকুচ্ছিতদের মত এলেবেলে নন। (কথাটা হয়তো গোদা শোনালো, কিন্তু কোদালকে তো কোদাল বলা গেল)। আর ফুটবল ভালো খেলার জিন? আপনি হয়তো পায়ের কোনো মাংসপেশীর জিনের কথা বলছেন। জাপানীদের মাংসপেশী আর ভারতীয়দের থেকে কি এমন ভালো বলুন। আর ফুটবলে তো বাংলাদেশ ও ভারতকে হারায় বলে বলে। এবার কি বাংলাদেশীদের জিন তুলে কথা বলবেন? আমি যদি বলি একদিন ভারত ফুটবলে ওয়ার্ল্ড কাপে খেলবে, আপনারা হয়তো হাসবেন। কিন্তু তিরিশ বছর আগে ভারত ক্রিকেটে ও তো সব হারত। তখন এই আলোচনাটা হলে তো ক্রিকেটের জিনটাও খারাপ বেরোত। যেখানে সেখানে জিনের গোঁজামিলটা ঢুকিয়ে মানুষের স্বপ্নটাকে মেরে ফেলবেন না দয়া করে। আপনি ক্লাস থ্রীর রেজাল্ট বেরনোর পর যদি নিজেকে জেনেটিকালি ফিফ্‌থ ভাবতেন তাহলে কি আর ফোরে উঠে ফার্স্ট হতে পারতেন? বিশেষ করে যে সব ক্ষেত্রে জিনের প্রভাব প্রমানিত হয় নি। আর 'বুদ্ধি' ব্যাপারটা হিং টিং ছট। আগে সেটা ডিফাইন্ড হোক, তারপর কোন জিনে বুদ্ধি বাড়ায় দেখা যাবে। আর কোনো কথাই যদি না মানেন, মনে রাখবেন থ্রীতে আমি সেকেন্ড হয়েছিলাম, জেনেটিকালি আমি কিন্তু আপনার চেয়ে এগিয়ে। শত চেষ্টাতেও আপনি আমায় টপকাতে পারবেন না।

    ব-বাবুকে বলি, ব্যাট্‌লফিল্ড ছেড়ে পালানো কিন্তু নিয়মবিরুদ্ধ।
  • bozo | 67.10.87.43 | ১২ মার্চ ২০০৬ ০৭:০৮498185
  • ছোট্ট করে :
    খেলাধূলার জন্য জিনের চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ন হল বোন স্ট্রাকচার ও বোন ডেনসিটি। এখন এই দুটি adpatation and mutation এর দ্বারা কত টা প্রভাবিত সেটা evolution biologist রা বলবেন।
    তবে এটা নি:সন্দেহ প্রমানিত যে কালদের বোন ডেনসিটির জন্য ওরা স্প্রিন্টে সফল কিন্তু জলে নয়। তাই নেস্টি একমাত্র ব্যতিক্রম বাদে জলের জগতে থর্পদের রাজত্ব। তেমনি সেই বোন ডেনসিটির জন্য-ই সাদা সেই ভাবে Track and fields এ সফল নয়। (ব্যতিক্রম কিছু মেয়েদের ইভেন্ট)।
    এমন কি টেনিসেও bone structure and bone density এর রাজত্ব।
    তাই খেলায় জিনের বদলে হাড় নিয়ে আলোচনা চলা উচিত।

    আরেকদিন দুই পয়সা দেব NFL, NHL and NBA এর demographic division নিয়ে।
  • dd | 202.122.18.241 | ১২ মার্চ ২০০৬ ১৭:৪১498186
  • দৃ বাবু
    যদি আমরা এক কেলাসে পড়ি আর আপনি ক্রমাগত: সেকেন হন (পাঁচ, পাঁচশো বা পাঁচ হাজার বছর ধরে) আর আমি ফিফথ হই- তাইলে আপনি আমার চে পড়াশুনায় এগিয়ে।
    আবার লুডো খেলায় আমি ৯০% ক্ষেত্রে জিতি তো আপনি লুডোতে আমার থেকে নিকৃষ্ট (শেম শেম)।
    তালগাছ চরায় অমারা দুজনেই বারো সেকেন্ডে তিরিশ ফুট তালগাছে উঠি - তো আমরা সমান সমান।
    এটাকে জিন মানলে জিন ,অদৃষ্ট বল্লে তাই।

  • dri | 66.81.197.85 | ১২ মার্চ ২০০৬ ২১:২৮498187
  • লুডোতে আমি কাঁচা। তবে এখন ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করছি। (সাদা চামড়ার কোচ রেখেছি)। নেক্‌স্‌ট এক বছরে আপনার জেতার পার্সেন্টেজ ৯০ থেকে ৭০ এ নামিয়ে আনতে পারি। এই সম্ভাবনার কথা মানেন কি? নাকি আমার লুডোর জিনটাই পুওর? আমার দ্বারা হবে না? নাকি আমার অদৃষ্টে কি আছে জানেন?
  • Ishan | 24.166.170.155 | ১৩ মার্চ ২০০৬ ০২:৫৩498188
  • তক্কোটা কেমন যেন ঘেঁটে যাচ্ছে। তাই সাধ্যমতো আরও দু-চার আনা:

    গপ্পোটা হল, সংক্ষেপে, দুইটি মানুষ কদ্যপি সমান নয়। সমান হলে কুমোরপাড়া হয়ে যেত। দুইটি জনগোষ্ঠী ও একে অপরের সমান না। সাদারা সাদা, কালোরা দৌড়বীর এবং বাদামীরা তিলে খচ্চর। কোথা থেকে কিভাবে এমন হল, সেটা জানা নেই। হতে পারে জিন, হতে পারে হাড়ের গঠন, হতে পারে পরিবেশ-শিক্ষাদীক্ষার সুযোগ-বাঁচার পদ্ধতি, এমনকি হতে পারে বিধিলিপি। জিন না পরিবেশ, জন্মগত দক্ষতা না আপব্রিংগিং, এই নিয়ে তক্কো করার কোনো মানে নেই। মানে নেই, কারণ, পরিবেশ এবং জন্মগত দক্ষতা, এই দুটো কোনো আলাদা এনটিটি নয়, যাদের চিনের প্রাচীর দিয়ে আলাদা করা যেতে পারে। বরং উল্টোটাই সত্যি, যে এরা একে অপরকে এক অর্থে নির্ধারণ করে। যেমন, জলে নেমে সাঁতরাতে সাঁতরাতে তিমিদের এমন হাল হল, যে তিমির বাচ্চা এখন সাঁতারের জন্মগত দক্ষতা নিয়েই জন্মায়। আবার, মানুষ, স্রেফ মানুষ বলেই, সে পরিবেশের হাতে আত্মসমর্পন করেনা। জঙ্গলে ছেড়ে দিলেও তার জন্মগত দক্ষতা (দুখানা হাত এবং মস্তিষ্ক) দিয়ে সে পরিবেশকে পাল্টে ফেলবে নিজের মতো করে।

    অতএব, জন্মগত দক্ষতা না পরিবেশ, এ দুটোকে জল-অচল দুখানা ক্যাটিগরি বানিয়ে একটিকে অন্যের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেবার কোনো মানে নেই। সব কিছু মিলিয়ে মিশিয়ে কিছু একটা কারণে জাতিগোষ্ঠী গুলি আলাদা, আসুন, এইটুকু মেনে নিই।

    লক্ষ্য করুন, আমি যে শব্দটি ব্যবহার করলাম, তা হল "আলাদা"। ভালো, উন্নততর, শ্রেষ্ঠ এসব কিচ্ছু বলিনি। অর্থাৎ আমি হায়ারার্কিহীন একটি শ্রেণীবিভাগ করছি, যে, কালো হল কালো এবং সাদা হল সাদা, উঁচু-নিচু কিছু নেই এর মধ্যে। এবং এর মধ্যে কোনো রেসিজম নেই। রেসিজম তখন আস্‌সবে, যখন আমি এর মধ্যে সারপ্লাস মিনিং ইনজেক্ট করে একটি হায়ারার্কি তৈরি করব। অর্থাৎ "সাদা' মানে শুধু সাদা রং নয়, তা একটি উদ্বৃত্ত অর্থও বহন করবে, যে, সাদা শুধু সাদা নয়, উন্নততরও বটে। উল্টোপিঠে, কালো শুধু কালো নয়, নিকৃষ্ট। আশার আলোর রং হয়ে দাঁড়াবে সাদা, আর পিছিয়ে পড়ার বর্ণনায় আসবে অমানিশির তমিস্রা। ঘরে ঘরে রমনীরা ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি মেখে জাতে ওঠার স্বপ্ন দেখবে, কালো-বেঁটে ছেলেপুলে স্বপ্ন দেখবে ফরসা সেক্স সিম্বলকে ভোগ করার।

    গপ্পোটা এখানেই। রেসিজমও এখানেই। যা পার্থক্যের মধ্যে তৈরি করে হায়ারার্কি, তাই ই রেসিজম। আমাদের পাড়ার দুর্যোধন রুইদাস ভালো মাছ ধরতে পারে, আর আইনস্টাইন ভালো অঙ্ক করতে পারেন, এ হল সিম্পলি দক্ষতার পার্থক্য। কিন্তু দুর্যোধন রুইদাস, আর আইনস্টাইনের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ, সেই বিচার শুরু করলেই সেটা হায়ারার্কি। আমাদের পাড়ার যেকোনো লোক, এমনকি দুর্যোধনকেও জিজ্ঞাসা করুন, সে না আইনস্টাইন কে শ্রেষ্ঠ, সক্কলে সমস্বরে বলবে আইনস্টাইনই শ্রেষ্ঠ।

    আইনস্টাইন নামটা এখানে একটা কথার কথা। কিন্তু মোদ্দা ব্যাপারটা হল হায়ারার্কি। রেসিজম নিয়ে কথা বলতে গেলে, এই হায়ারার্কি কিভাবে নির্মিত হচ্ছে, সেটা দেখুন। ব্যস।

    আপাতত: এইটুকু। সাম্য এবং সমানাধিকার নিয়ে দু-পয়সা পরের কিস্তিতে।
  • Ishan | 24.166.170.155 | ১৩ মার্চ ২০০৬ ০৩:০৮498189
  • আগের পোস্টটা করেই একটি চমৎকার জিনিস নজরে পড়ে গেল। আমি লিখেছি দুর্যোধন রুইদাস ভালো মাছ ধরতে "পারে' আর আইনস্টাইন ভালো অঙ্ক করতে "পারেন'।

    একে কি বলব জানিনা, রেসিজম বললে রেসিজম, উচ্চবর্গীয়পনা বললে তাই, মোদ্দা কথা হায়ারার্কির একখান হাতে গরম উদাহরণ।
  • Babaji | 213.173.163.2 | ১৩ মার্চ ২০০৬ ১৩:০৬498190
  • ঐ হাই অল্টিচিউডের লোকেদের দম বেশী কারণ হাই অল্টিচিউডে থাকলে রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা বেড়ে যায়। সাদা কালো বেটে লম্বা সক্কলেরই। এতে জিন বা রেস বা বুদ্ধির কোনো ব্যাপার নেই।
  • Babaji | 213.173.163.2 | ১৩ মার্চ ২০০৬ ১৪:৩৭498191
  • ত,
    পাঁড়েজি শিবাজি নানাজি দাদাজি পেঁয়াজির কনফিউশানে যাচ্ছিনা তবে হার্ডকোর টেকনিকাল টপিকে পুরুষাধিপত্যেও রেসিজিমের বীজ নিহিত আছে কিনা , ঘটি বাঙাল সিলেট হুগলী ভেদাভেদ এগুওলোই বা কি? সেই নিয়েও কথা হোক।
    মেয়েরা কি সত্যি অঙ্কে কাঁচা?
  • vikram | 147.210.156.39 | ১৩ মার্চ ২০০৬ ১৮:৫৯498192
  • দেখা গেছে কালো আর সাদাদের লোহিত কনিকার চেহারাও আলাদা। সাদাদের ম্যালেরিয়া হবার চান্স বেশি কিন্তু অ্যানিমিয়া হবার চান্স কম।
    কালোদের অ্যানিমিয়া হবার চান্স বেশি কিন্তু ম্যালেরিয়া হবার চান্স কম।

    জেনেটিকালি পিছিয়ে থাকা লোকেরা সাদা কোচ (কথার কথা) রেখে এগিয়ে জচ্ছে এ নিয়ে একটা কথা। আগে কিন্তু এই ধরি খেলার ব্যাপারেই টেকনিক, নো হাউ, প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন দেশের ইন্টারএকশান অনেক কম ছিলো। এখন যতো ইন্টার একশান বেড়েছে, যত প্রযুক্তি ভালো হয়েছে, মানুষের জে্‌তা নলেজ ন্বেড়েছে মানুষ কিন্তু বুঝতে পারছে অনেক বেশি যে তার শারীরিক অবস্থাকে সে কিভাবে অনেক বেশি ইউটিলাইজ করতে পারবে। এইভাবে সে কিন্তু অনেকটা বেটার করেছে। নো হাউ টা খুব গুরুত্ব পূর্ন। দেখেন সব সব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড খালি ভাঙে। কোথায় গিয়ে স্যাচুরেট করে সেটাই দেখার। ওদিকে তো আমাদের গড় বয়েস বিভিন্ন দেশে গেলো পনচাশ বছরে বহুত চেনজ হয়েছে।

    মেয়েরা অংকে কাঁচা কিনা জানি না, তবে একথা সত্য যে আমাদের দেশে অনেক সময়েই মেয়েদের বিগ্গান পড়ানো বা ইনজিনিয়ারিং পড়ানোর ব্যাপারে পিছিয়ে রাখা হয়। আরেকটা অ্যাটিচুড হলো যে মেয়েটি সবসময়েই ছেলেটির থেকে একটু কম। যদিও তারা একই বিষয় নিয়ে আছে, এবং দুজনেরই কেরিয়ার সমান, হয়তো মেয়েটির কিছু ভালো। অনেক সময়েই এমন অবস্থা হয় যে দুজনের মধ্যে একজনকে কিছুদিন কাজের বাইরে থাকতে হবে। দুজনেই কর্মক্ষমতায় সমান হলে কটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে ছেলেটি বাড়িতে আছে এবং মেয়েটি স্যাক্রিফাইস করে মহান হয়নি?

    তবে হ্যাঁ মেয়েরা বহুত বিরক্ত করতে পারে। ক্যাঁ ক্যাঁ ক্যাঁ ক্যাঁ ক্যাঁ ক্যাঁ...

    বিক্রম
  • Babaji | 213.173.163.2 | ১৩ মার্চ ২০০৬ ২০:১৩498194
  • তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে এইরকম। ছেলে মেয়ে সাদা কালো জার্মান য়িহুদি হিন্দু মুসলমান বিজেপি নকশাল কমুনিস্ট ফ্যাসিস্ট আইনস্টাইন রুইদাস সাঁতারু দৌড়বাজ ফুটবল ক্রিকেট জিমন্যাস্ট তীরন্দাজ সবাই বিভিন্ন। কেউ ছোটো কেউ বড়ো নয়। সবার নিজের নিজের জায়গায় নিজের নিজের প্রতিভা। ছেলে ও মেয়ে একে অন্যের পরি পূরক, জার্মান য়িহুদির, শুদ্র বামুনের। তাহলে রেসিজিমের বীজ কে বুনছে? কেনই বা বুনছে? এর পেছনে পলিটিকাল মোটিভটা কী? দুনিয়ার গাদা বই লেখা হয়েছে এনিয়ে, প্রচুর গবেষণা হয়েছে কিছু একটা প্রমাণ করতে। আল্টিমেটলি কি মনে হয় না যে যার জোর বেশি সেই জিতেছে আর আর কম জোর তাকে অধম বলে চালিয়েছে। আজ দুনিয়াটা যদি কালোদের শাসনে থাকত ছেলে আর মেয়েদের অবস্থানটা যদি উল্টো হতো তাহলে কি সাদাদের ওপর অত্যাচার হতো না? সাদাদের খুলির মাপ রাতারাতি সাইজে ছোটো হয়ে যেতো কি? ছেলেরা হরদম ক্যাঁ ক্যাঁ ক্যাঁ ক্যাঁ করত অন্যদিকে রুইদাস অঙ্ক আর ভায়োলীন নিয়ে পড়ে থাকত। নেটিভ ভারতীয়রা য়ুরোপ জয় করে সাদাদের দিয়ে জুতো পালিশ করাতো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন