এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পশ্চিমবঙ্গে বং ছাত্র- রাজনীতি (২০ý

    Ghanada
    অন্যান্য | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ | ৭৬৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ghanada | 223.223.139.222 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ২২:৩২527271
  • "যাহা ছিলো নিয়ে গেল" দিদির ভাইয়েরা
    হ্যাঁ, এইবার দু-হাত তুলে নাচা ছাড়া আর কোনও উপায় বাকী রাখলেন না বং-রাজনীতির মহামান্য কুশীলবরা !

    পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হিসাবে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতিক নাচনকোঁদন দেখে দেখে অভ্যস্থ হয়ে গেছি আমরা । ৭০-এর দশকের উত্তাল ছাত্র-রাজনীতি এ রাজ্যের ভালো করেছে না খারাপ এই প্রসঙ্গ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু আশির দশক থেকে যে রাজনীতির বাষ্প বাংলার শিক্ষাজগতের আকাশ ছেয়ে রেখেছে সেটা যে ঢাকুরিয়া AMRI-র বদ্ধ ঘরে জমে যাওয়া কার্বন মনোক্সাইডের থেকে কিছুমাত্র কম বিষাক্ত নয়। সচেতনতার নামে শিক্ষার প্রতিটি অঙ্গন ভোটের নোংরা রাজনীতির আখড়া তৈরী করা হয়েছে ।

    আশি-বিরাশি সাল নাগাদ অবধি C.P. এবং S.F.I-য়ের মারামারি এবং পরের দিন ছাত্র-ধর্মঘট, এই ছিল দৈনন্দিন রোজনামচার নৈমিত্তিক উপাদান । তারপর তিরাশি-চুরাশি সালের পর থেকে হঠাৎ কি জানি কেন, সবাই খুব ভালো হয়ে-টয়ে গিয়ে S.F.I হয়ে গেল। দেয়ালে লেখা সত্তরের ভবহ দিনগুলির একতরফা প্রতিবেদনকে মুখস্থ করতে করতে আমরা নব্বইয়ের দশকে পা দিলাম ।

    অ্যাকাডেমিরা নাম পালটে আকাদেমি হয়ে গেল। আর একটি নতুন নাম জন্ম নিল...... অনিলায়তন । ভোট রাজনীতির জঘন্যতম ব্যবহারিক প্রয়োগ। শিক্ষার সমস্ত পরিকাঠামোগত স্তরে রাজনৈতিকভাবে সমমানসিকতার লোকেদের নিয়ে এসে এক কুৎসিত কর্মকান্ডের 'বাজারী' নাম। শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে ছাত্র-রাজনীতি সমেত পরিচালন কমিটির নামে জ্যাঠামশাইগিরি শুরু হল এই রাজ্যে। সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেন এই সর্বগ্রাসী অনিলায়নে।

    বিপণ্ন মানুষ 'পরিবর্তন চাইলেন... রাজনৈতিক মানসিকতার পরিবর্তন। রাজা পাল্টালো। রাণী এলেন। স্তব-স্তুতিতে ভরে উঠল রাজ্য। হাভার্ড থেকে সুগত বসুরা এলেন। লোকে ভাবলো যাক, তাহলে বোধহয়...

    কিন্তু না ! যা বাংলার রাজনৈতিক নেতাদের মানসিকতার একবিন্দু পরিবর্তনও এল না। ১৭ই ডিসেম্বর যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক তৃণমূল নেতা-কর্মীদের হাতে নিগৃহীত হলেন। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শিক্ষামন্ত্রীর ভাষণ শুনলাম সবাই। এক অতি সাধারণ মাপের কর্মীকে পুলিশ ধরল। দাশগুপ্ত মশাই কিন্তু সসম্মানে টিভিতে বাইট দিলেন। গতকাল ০৫/০১/২০১২ তারিখে রায়গঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষকে রীতিমতন মারধোর করা হল। দুই তৃণমূল নেতা-নেত্রীকে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেল সক্রিয়ভাবে এই মারধোরে অংশ নিচ্ছেন। আবার ব্রাত্য বসু বললেন,"যদি অধ্যক্ষ CPM সমর্থক হয়েও থাকেন, তবু আমি পুলিশকে বলেছি, যেন এই ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের ধরা হয়।"

    এখন দেখার, কী হয়, কতটুকু হয়...
    হ্যাঁ, তো যা বলছিলাম...

    সিপিএম খারাপ করেছে । ভনক ক্ষতি করেছে এই রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার । ...... মেনে নিলাম । কিন্তু দিদিমণি, অভয় দেন তো এবার আপনাকে দুটি প্রশ্ন শুধাই ।

    দেখুন দিদিমণি, ঘর, অফিস, পাড়া, সমাজ সব জায়গাতেই তো কাজ ভাগ করে করা হয়। এমনকি, মানে কী আশ্চর্য, কংগ্রেসও কাজ ভাগ করেই করে। তাতে সুবিধেও আছে, লাভও বেশী। এই গোটা পৃথিবীতে সম্ভবত একটিই স্থান যেখানে সমস্ত কাজ একা একজনেই করতে চান। মন রাখতে, মান রাখতে এবং হয়ত সংবিধান রাখতে গুটিকয় পদ অন্যদের জন্য রাখা আছে বটে, কিন্তু কোন এক অদৃশ্য সুতোর টানে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে, " অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশফেল প্রথা তুলে দেওয়া হল কেন?" তার উত্তরে তাকে বলতে হয়,"এটা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বলবেন"!!! কেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ?

    'পরিবর্তন' এসেছিল কেন জানেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ? কারণ টিভির সামনে বসে অশ্রাব্য খেউড় করতেন বিনয় কোঙ্গার, অনিল বসুরা । আজকের পার্থ চ্যাটার্জীকে দেখলে কিন্তু ঐ স্মৃতিটাই উস্কে উঠছে। আপনার অনুমতি ছাড়াই এসব ঘটছে বলে বিশ্বাস করতে বলেন ? মাপ করবেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, আপনার দলের পার্থ চ্যাটার্জী, অমিত মিত্রদের দেখলে বড় মায়া হয়। ত্‌ৎকালীন এক রসিকতায় শুনেছিলাম, জ্যোতিবাবু নাকি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মেরুদন্ড খুলে ইন্দিরা-ভবনে (এই রে, না না নজরুল ভবনে) রেখে দিয়েছিলেন । এখন ভয় হচ্ছে এ রাজ্যের বাকী মন্ত্রীদের মেরুদন্ড অন্য কেউ জমা রেখে দেন নি তো !! অবশ্য প্রাচীন ভারতের ট্‌র্‌যাডিশন অনুসারে মহিলারা যদি দলের একমাত্র পুরুষ মানুষের কাছে আত্মনিবেদন করেন, সে কথা আলাদা !!

    আমাদের মনে আছে, সিপিএম এ রাজ্যে 'বিপ্লব' এনেছিল। দুর্ভাগ্যজনিত কারণে শকুনির পাশা উল্টে যাওয়ায় পদবি-সমেত সেই বিপ্লব আর ভোটের বাক্সে বিপ্লব আনতে পারেন নি। তাও চেষ্টার তো একটা দাম আছে। তিনি পেয়েছিলেন। ঠিক যেমন ধরুন আপনার শুভা, নচি, অর্পিতারা। আমরা সাধারণ পাবলিক তো... দেখা ছাড়া আর কিছুই করার মুরোদ নেই আপনি জানেন। সিপিএমও জানত। তবু শালা পরিবর্তনটা যেন কিভাবে এসেই গেল... !!

    বিভিন্ন স্তরে, বিশেষত: শিক্ষাক্ষেত্রে যে অবস্থা তৈরী করছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী... বলতে বাধ্য হচ্ছি, সপ্তম বামফ্রন্টের আরব্ধ কাজ আপনিই শেষ করবেন বলে অনেকে মনে করছেন। এত প্রতিভা ছিল আপনার ভাইদের মধ্যে ? এত দ্রুত সিপিএমের যাবতীয় খারাপ গুণগুলির এই রকম চূড়ান্ত আত্তীকরণ আপনার অতি বড় সমর্থকও আশা করেছিলেন বলে মনে হয় না। আপনি জানতেন, না মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ? তাই কথায় কথায় ৩৪ বছরের সিপিএমের অপশাসনের দোহাই দেন !!

    বিনয় চৌধুরী বুঝেছিলেন, তার দল প্রোমোটারদের হাতের পুতুল হয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। সেদিন তার দল সে কথার গুরুত্ব দেয় নি। তার ফল ভুগতে হচ্ছে আজ। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী... আপনি কি জানেন, প্রোমোটার - তৃণমূল - সিপিএম এই তেমাথার খপ্পরে পরে কলকাতা, হাওড়া, ২৪ পরগণা, নদীয়া সমেত প্রায় গোটা বাংলায় অতি দ্রুত ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যান্ডগুলিতে ফ্ল্যাট বানিয়ে তোলা হচ্ছে। যেখানে যান, তৃণমূল বলবে এটা আগের সরকার করে গেছে, সিপিএম বলবে এই তো বর্তমান সরকারের রূপ আর প্রোমোটার অতি দ্রুত তার কাজ সারতে ব্যস্ত। পারস্পরিক দলগত বৈরীতা প্রোমোটারের ছায়ায় এসে কিন্তু অন্ধকারে লোপ পায়। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, না মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী? জানেন, না?

    আমরিতে আগুন গোটা ভারতবর্ষের কলংক। দোষীদের অবশ্যই সাজা দিতে চান, সন্দেহ নেই । তাহলে কোম্পানীর ম্যানেজিং ডাইরেক্টরকে একটি প্রশ্নও করা হল না কেন ? কেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালন ব্যবস্থার সরকারী অফিসারের প্রকৃত সাজা হল না? এর পর যদি কেউ বলেন যে স্বজনপোষণ ব্যাপারটা সিপিএমের থেকে আপনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন, খুব ভুল বলবেন কি ?
    মহাশ্বেতা দেবী যখন আপনার সরকার 'ফাসিস্ত' কি না শুধু এই প্রশ্ন তুলেছিলেন, তার ইতিহাসকে যাবতীয় তাচ্ছিল্য করে আপনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে "কথাটা আপনি ভালোভাবে নেন নি" এবং " ওনার বয়েসকে আপনি সম্মান করেন বলেই কিছু বললেন না"।

    মানে ঠারেঠোরে আপনি বুঝিয়ে দিলেন যে মহাশ্বেতা দেবীও আপনার সম্মানের যোগ্য নন। ঠিক যে রকম সিপিএম বলে এসেছে, প্রায় সেই ভাষার পুনরাবৃত্তি। অধ্যাপক সুনন্দ সান্যাল যখন আপনার মতের বিরোধিতা করেন, আপনি ক্ষুব্ধ হন। কবীর সুমনের কথা তো ছেড়েই দিলাম। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, মনে রাখবেন, উচ্ছিষ্টভোগীদের স্তাবকতা পেতে ক্ষমতাসীনদের অসুবিধা হয় না, কারণ ক্ষমতার অলকানন্দা জলে তারা নিজেদের ভাসিয়ে রাখতেই এসেছেন। কিন্তু, মেরুদন্ডযুক্ত মানুষ আপনার এই সব কাজের বিরুদ্ধে কথা বলবেনই। কবীর সুমনদের আটকাতে পারবেন না।

    প্রকৃত জননেতা বা নেত্রীর একটা বিরাট কাজ হল তার অনুগামীদের নিয়ন্ত্রিত ভাবে সঠিক পথে (অন্তত তারা যেটাকে সঠিক ভাবেন) চালিত করা। আপনি সেখানে এখনও পর্যন্ত মারাত্মকভাবে ব্যর্থ। রায়গঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষকে বেধড়ক পিটাই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি শ্রী তিলক চৌধুরী মশাই। তার সাথে আক্ষরিক অর্থেই হাত মিলিয়েছেন রায়গঞ্জ পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রী প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায়, শ্রী রতন মজুমদার এবং শ্রীমতী কেয়া চৌধুরী। বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে তাদের অকুস্থলে জঙ্গীপণার বেশ কিছু নিদর্শন রয়েছে। আপনি তো নিয়মিত "দলতন্ত্র নয়, গণতন্ত্র" জাতীয় কথাবার্তা বলেন, তাই এবার আমরা গণতন্ত্রের আধুনিক বঙ্গীয় সংস্করণের নমুনা দেখতে চাই আপনার থেকে।
    মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, আপনার সরকারের উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী গৌতম দেব (ভুল করবেন না সুধী পাঠক, ইনি নব্য) জানিয়েছেন, "(অধ্যক্ষ) দিলীপবাবু প্রথমে সিপিএম ও পরে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করে চলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সে জন্য তাঁদের দলের প্রতিবাদ-মিছিলে ছাত্র পরিষদের লোকজন ঢুকে দুর্নাম করার চেষ্টা করছে কিনা সেটাও তদন্ত করতে হবে।" সরকারী উন্নয়ন মন্ত্রীর কথা মেনে নিলে তিলক চৌধুরী, প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায়, রতন মজুমদার , কেয়া চৌধুরী, প্রিয়ব্রত দুবেরা এখন কোন দলের প্রতিনিধি তা নিয়ে ধন্ধে পড়ে যেতে হয়। অবশ্য এ আর নতুন কথা কি ? রাজনৈতিক ধাঁধাতেই তো আমরা, সাধারণ মানুষেরা অভ্যস্ত। ভালো করে কিছুই বুঝে উঠতে পারলাম না কোনদিন। শুধু এটুকু বুঝতে পারছি, "উন্নয়ন হচ্ছে"। আর কারুর হোক বা না হোক উন্নয়ন মন্ত্রীর তো হচ্ছেই।

    মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, সত্যিমিথ্যে জানি না, তবে শুনেছি যে গতকাল নাকি আপনার জন্মদিন ছিল। হয়ত সন্ধ্যেবেলা ছবি এঁকেছেন, কেক কেটেছেন পরিজনদের সাথে নিয়ে... । আপনার মুড খারাপ করব না।

    জন্মদিনের বিলম্বিত শুভেচ্ছায় আপনার ও আপনার দলের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করে আপাতত দু হাত তুলে নাচি বরং খানিকক্ষণ ।

    হ্যাপি বার্থ ডে...
    ( মূল লেখা- সোমেন রায়)
  • Ghanada | 223.223.139.222 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ২২:৩৮527344
  • রায়গঞ্জ কলেজে যখন রাজ্যের প্রধান শাসক দলের এই বর্বর তাণ্ডব চলছে ঠিক তখনই এই শহরেরই দেবীনগর এলাকার কৈলাশনগর রাধারানী বিদ্যাপীঠে হামলা চালিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত এবং ইংরাজীর শিক্ষক বিনয় পালকে বেধড়ক মার মারলো তৃণমূলেরই আরেক দল কর্মী। ঐ স্কুলের শিক্ষিকা রাখী বিশ্বাস, বেশ কয়েকজন শিক্ষাকর্মী এবং অভিভাবকদেরকেও নিগ্রহ এবং হেনস্তা করা হলো। এক্ষেত্রেও তৃণমূলের দাবি ছিলো, রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের তৈরি করা তালিকা মতৈ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি নিতে হবে। যারা এই স্কুলে হামলা চালায় তাদের মধ্যে বিকাশ মণ্ডল, যদু সরকার, অভিজিৎ সাহারা তৃণমূলের পরিচিত মুখ।

    রাজ্যে তৃণমূল জোটের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই স্বৈরাচারী ‘বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স’-সহ এই সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্ত শিক্ষাক্ষেত্রের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে যেমন ধ্বংসের কিনারায় ঠেলে দিচ্ছে, তেমনই একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে তৃণমূলের হামলা। গত ১৭ই ডিসেম্বর দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠে হামলা চালিয়ে বেপরোয়া ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক রাজেন্দ্রনাথ মণ্ডলকে মেরে গুরুতর জখম করেছিলো তৃণমূলেরই একদল কর্মী। সেই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত। এরপর ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের পাস করিয়ে দেওয়ার মতো নির্লজ্জ দাবিতেও রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলে হামলা চালায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। আর স্কুল কলেজে হামলা চালিয়ে অগণতান্ত্রিকভাবে স্কুল পরিচালন সমিতি, কলেজ ছাত্র সংসদ দখলের ঘটনা তো ‘পরিবর্তনের’ এই ন জমানায় রীতিমতো দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় শিক্ষার ন্যূনতম পরিবেশ বজায় না থাকায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুব্রত পাল ইতোমধ্যেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। শিক্ষাব্যবস্থায় রাজ্যের তৃণমূল জোট সরকারের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে পদত্যাগ করেছেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন্দদুলাল পারিয়াও। আর তৃণমূলের জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি তিলক চৌধুরী, তৃণমূল নেতা গোরা সরকার, তৃণমূলের দুই কাউন্সিলর রতন মজুমদার ও ভোলা মুখার্জির নেতৃত্বে এদিনের এই বর্বর হামলার পর ‘কলেজ চত্বরে নিরাপত্তার ন্যূনতম পরিবেশ নেই’ জানিয়ে রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে দিলীপ দে সরকারও ইস্তফা দিলেন।
    এবার যেটা ব্যাপার হলো! টিভিতে যাদের মুখ দেখে গ্রেপ্তার করা হলো, তারা হচ্ছে রায়গঞ্জ বাস স্টাণ্ডের কর্মী।
    ছাত্র কোনো ক্রমেই নয়।
    আর একটা ব্যাপার, টিভিতে- কেয়া চৌধুরী, তিলক চৌধুরী, খলিলুদ্দিন সরকার , প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায়ের মুখও দেখা গেছে।
    দিলীপ দে সরকার এদের বিরুদ্ধে এফ আই আরও করেছেন। ওদের কিন্তু গ্রেপ্তার করা হয় নি!
    মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পার্টির রং না দেখে গ্রেপ্তার করার নির্দ্দেশ দিয়েছেন বলে গতকালই বলেছিলেন।
    আজ পুরো ব্যাপারটাই হলো অন্যরকম।
    ব্রাত্য বসু তো থ্যাটার করেন! এখানেও কি সেই থ্যাটার থ্যাটার থ্যাটার থ্যাটার থ্যাটার থ্যাটার থ্যাটার????????

  • ranjan roy | 14.97.198.133 | ০৬ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:১৫527355
  • ঘনাদার বক্তব্যের সঙ্গে এই অধম হরিদাস পাল গলা মেলালাম।
  • T | 14.139.128.11 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ১১:০৩527366
  • ঘনাদাকে দুহাত তুলে 'ক'
  • ppn | 112.133.206.22 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ১১:১৬527377
  • হ্যাঁ, ঘনাদাকে ধন্যবাদ লেখাটা শেয়ার করার জন্য।
  • Ghanada | 223.223.133.121 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ১১:২১527388
  • আর একটি তথ্য...........06/01/2012 তে গঙ্গারামপুরের কোনো এক কলেজের অধ্যক্ষকে একটা ঘরে দরজায় বন্ধকরে টানা প্রায় ৪ ঘন্টা আটকে রাখে তৃণমূলের লুম্পেন বাহিনী..........মন্ত্রী,সেপাই,জগাই মাধাইরা কিছু বলবেনকি?নাকি এ বিষয়গুলৈ মানুষের জন্য উৎসর্গ করছেন তৃণমূল সুপ্রীমো....কারণ এই দলে তাঁকে না জানিয়েতো কিছুই করা হয় নেকো.............
  • kc | 178.61.96.29 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ১২:১১527399
  • পঞ্চায়েত যুব-ক্রীড়া-খেল উৎসবে, খোদ সল্টলেক স্টেডিয়ামে, মার্চপাস্টে শিশুদের ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবির কাটআউট। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছেন রাজ্যপাল এবং অন্য মন্ত্রীরা।

    হীরকের রানী ভগবান।
  • Ghanada | 223.223.133.121 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ১২:২২527410
  • কলেজের যে অধ্যক্ষকে সবার সামনে কলার ধরে হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে মারধর করা হলো সেই দিলীপ দে সরকারের প্রতি ন্যায়বিচার করার বদলে তাঁর ইস্তফাপত্র যাতে গ্রহণ করা হয় সেই উদ্যোগেরই অঙ্গ হিসেবে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্যকে নির্দ্দেশ দেওয়া হয়েছে।
    রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে কলঙ্কিত করার যে অপচেষ্টা বিগত ৩৪ বছরে বারবার হয়েছে, সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এই ‘পরিবর্তনের জমানায়’ শুরু হয়েছে।
    লোক দেখানো জন্য শুক্রবার ১৩জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাদের মধ্যে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের কেউই নেই। বরং উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তিলক চৌধুরীকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেফতার করল না পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়নি আর এক অভিযুক্ত, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা পর্যবেক্ষক প্রিয়ব্রত দুবেকেও। বরং দু’জনকে ‘আত্মসমর্পণের জন্য অনুরোধ’ করেছেন পুলিশ সুপার।
    এইরকম এক পরিস্থিতিতে রাজ্যের সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত দুই সদস্যের ডিভিসন বেঞ্চও এদিন রায়গঞ্জের কলেজ এবং বিদ্যালয়ে তৃণমূলের এই হামলার ঘটনা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শুধু উদ্বেগ প্রকাশের মধ্যে থেমে না থেকে এই দুই হামলাসহ উত্তর দিনাজপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব হামলা হয়েছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট রাজ্যের জোট সরকারের কাছে তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবারের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন তাপস ভঞ্জ নামে এক আইনজীবী রায়গঞ্জে হামলার ঘটনাগুলি নিয়ে হাইকোর্টের প্রাধান বিচারপতি জয়নারায়ণ প্যাটেল এবং বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীকে নিয়ে গঠিত ডিভিসন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ঐ ডিভিসন বেঞ্চ এদিন এই নির্দেশ জারি করে। উত্তর দিনাজপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হামলার সময় রাজ্য প্রশাসনের কী ভূমিকা ছিল তাও সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
  • Ghanada | 223.223.133.121 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ১৩:৩৪527421
  • নন্দীগ্রাম কাণ্ডের সময় প্রকাশ্যে ততকালীন সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এবার রায়গঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্কীর্ণ দলীয় রাজনীতির নিন্দায় সরব হলেন কবি শঙ্খ ঘোয।

    রায়গঞ্জ কলেজে উন্মত্ত তৃণমূল সমর্থকদের হাতে নিগৃহীত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকারের পাশে না দাঁড়িয়ে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবিলম্বে কলেজ চালু করার পাশাপাশি অধ্যক্ষের ইস্তফা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের `নাট্যকার` নেতার এ হেন তুঘলকি ফরমানের কড়া প্রতিক্রিয়া শোনা গিয়েছে শঙ্খ ঘোযের গলায়। তিনি বলেছেন, নিগৃহীত অধ্যক্ষের পদত্যাগ গ্রহণ করা হলে, তা হবে খুবই অসঙ্গত। অবশ্যই ইস্তফা গ্রহণ করা উচিত নয়। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা মানে গুণ্ডাবাহিনীর এই অনাচারকে প্রশ্রয় দেওয়া। শঙ্খ ঘোষের মতে, শিক্ষামন্ত্রীর উচিত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করার জন্য দিলীপ দে সরকারকে অনুরোধ করা।
    বস্তুত রায়গঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনার পর খোদ শিক্ষামন্ত্রী তাঁর পাশে না দাঁড়ানোয় বিস্মিত শিক্ষামহল। অধ্যক্ষ ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন বলেই যে ভাবে তাঁর ইস্তফা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন এই ঘটনার পর নিরাপত্তার ব্যাপারে অধ্যক্ষকে আশ্বস্ত না করে তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করার কথা বলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষা মহল। ঐ ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেনও।

    অন্য দিকে, নিজের কলেজেই উন্মত্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের হাতে নিগৃহীত হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো ব্যথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকার। তিনি বলছেন, দীর্ঘদিনের শিক্ষকতা জীবনে এমন ঘটনা কখনও দেখেননি। দিলীপবাবুর মতে, বৃহস্পতিবার যা ঘটেছে তাকে আর যাই হোক, রাজনীতি বলা চলে না। দিলীপবাবু জানিয়েছেন, এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। বুকে ব্যথা রয়েছে। চিকিত্‌সকরা তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণের ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন দিলীপ দে সরকার। দিলীপবাবু বলছেন, তিনি সরে যাওয়ার পর নতুন অধ্যক্ষের পরিচালনায় রায়গঞ্জ কলেজ আবার তার পুরোনো গৌরব ফিরে পাক, তিনি সেটাই চান।
    ঋণ:- ২৪ ঘন্টা চ্যানেল।

  • Ghanada | 223.223.133.121 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ১৩:৩৬527272
  • রায়গঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহের বিষয়কে 'একটি ছোট ঘটনা' হিসেবে চিহ্নিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর অভিযোগ তৃণমূলকে বিপাকে ফেলতে এক সঙ্গে কাজ করছে কংগ্রেস এবং সিপিএম।অমিডিয়ার বিরুদ্ধে টাকা খাওয়ারও অভিযোগ তুললেন তিনি
  • Ghanada | 223.223.133.121 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ১৩:৩৯527283
  • তিলক চৌধুরী। অধ্যক্ষ নিগ্রহ ঘটনার মূল অভিযুক্ত। তিলকবাবু উত্তর দিনাজপুর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম প্রথম সারির নেতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়েরও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। শুধু মুকুল বাবু কেন। মুখ্যমন্ত্রীরও ঘনিষ্ঠ তিলক বাবু। বিরোধী নেত্রী থাকার সময় এই জেলায় এসে বহুবার তিলকবাবুর বাড়িতেই থাকতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    প্রিয়ব্রত দুবে। তিলক চৌধুরীর ছায়াসঙ্গী। তৃণমূলের রাজ্যনেতারা জেলায় আসলে প্রিয়ব্রত বাবুর ওপরেই দেখভালের দায়িত্ব থাকত। সেই সুবাদে তৃণমূলের বহু প্রথম সারির নেতার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।

    প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায়। একসময় প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির অনুগামী এই নেতা বর্তমানে তৃণমূলের কাউন্সিলর। তিলক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ প্রিয়তোষ বাবু বহুবারই জড়িয়ে পড়েছেন নানা বিতর্ক ও কেলেঙ্কারিতে।

    খলিলুদ্দিন সরকার। জেলার তৃণমূলের যুব সভাপতি। রাজনীতিতে তিলক চৌধুরীর হাত ধরেই উত্থান। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ এই নেতা বহুবার বহু গণ্ডগোলে জড়িয়েছেন।

  • Ghanada | 223.223.133.121 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ১৩:৪১527294
  • রায়গঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনার দু'দিন পর আজ (০৭/১২/২০১২) আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন ঘটনার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত, তৃমমূল নেতা তিলক চৌধুরী। যদিও অধ্যক্ষ নিগ্রহ কাণ্ডের অন্য কুশীলব, জেলা স্তরের ৩ তৃণমূল নেতা রয়ে গেলেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
  • maximin | 59.93.212.170 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ১৫:৫৩527305
  • মন খারাপ হয়ে যায়।
  • Sibu | 108.23.41.126 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ১৭:৪৯527316
  • মমতা আবার লোকপাল বিলের বিরুদ্ধে খুবই সরব।

    তথাকথিত সুশীল আর মনবাধিকারীদের কাছে মমতাকে প্রোমোট করে জনগনকে বিভ্রান্ত করার জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করলে কেমন হয়?
  • Ghanada | 223.223.130.141 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ১৯:৩৪527327
  • কথায় আছে- স্বভাব যায় না মলে। আবার সেই অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনা! এবারে কাঠগড়ায় SFI
    আজ, ০৭/০১/২০১২ তে, নদীয়ার মাজদীয়ার সুরেন্দ্রনাথ লাহিড়ী কলেজের অধ্যক্ষকে মারল সেই কলেজের SFI সমর্থক ছাত্ররা। এরা আর রায়গঞ্জ কলেজের মত বহিরাগত নয়। মূলত ফেল করা ছাত্ররা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
    দুপুর দেড়টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে।
    একের পর এক এই ঘটনা ঘটে চলেছে।
    বাচ্চারা শিখবে কি?
    আসলে ছাত্র সংসদের নির্বাচন- ই প্রধান হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পঠন- পাঠন সব দূর অস্ত।
    জোরে বলি- ছি:!

  • kallol | 101.63.136.108 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২০:১৫527338
  • হ্যাঁ, আনন্দমার্গী আর মরিচঝাঁপি ফেরৎ লোকজনও ৭৭র নির্বাচনে বামেদের প্রোমোট করার জন্য ঐ একই তথাকথিত সুশীল ও মানবাধিকারওয়ালাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করার কথা বলেছিলো। এই বিভাস চক্র, শঙ্খ ঘোষ, শুভাপ্রসন্ন, নচিকেতা ইত্যাদিরাই, এই এপিডিআর এদেরই বিরুদ্ধে।
  • Sibu | 108.23.41.126 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২২:০৫527341
  • এক নিশ্বাসে শঙ্খ ঘোষ আর এপিডিআর! নির্লজ্জ সেলফ প্রোমোশন আর্কাকে বলে!

    ঘনাদা, মাজদিয়াতে প্রশাসন কি রোল নিল?'এই ছাত্রদের তো জেলে দেওয়া উচিত।
  • | 14.98.163.94 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২২:২৬527342
  • তবে এক নিশ্বাসে এপিডিআর আর শুভা- নচিকেতাটা একদম ঠিক

    খাপে খাপ / পঞ্চার বাপ
  • I | 14.96.142.68 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২২:৪৯527343
  • দিদিকে ভোটে জেতানোর জন্য জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করলে কেমন হয়? কিম্বা জনগণকে বদলে নিলেও চলে-ব্রেখট সায়েব যেমন বলেছিলেন।

    কে যেন সেদিন তুলনামূলক বিচারের কথা বলছিলেন না? এদিকে গোবরের এপিঠ-ওপিঠের মধ্যে আমি যে কোনো তপাৎই খুঁজে পাচ্ছি না ধর্মাবতার !
    জানোয়ারের হাতে লাল পতাকা কিম্বা তেরঙ্গা-এই তো তপাৎ !
  • aka | 75.76.118.96 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:০৬527345
  • আর ইউ শিওর গোবর? গোবর তো তাও পুজোয় লাগে। আরও অনেক চারপেয়ে আছে তো।
  • pi | 72.83.83.28 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:১১527346
  • গোবর থেকে জ্বালানী হয়। অনেক উপকারী। অন্য কিছু বলা হোক।
  • ridhhi | 108.218.136.234 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:১৮527348
  • এপি ডি আর ফেপিইয়ার জানি না শিবুবাবু, তবে একটা চামচিকে ও জানবে আপনার ১০:৪৯ এর পোস্ট কতখানি নির্লজ্জ !! এ তো হাইট হয়ে গেল। এখনো পরোক্ষভাবে জনগনকে "গা*" বলে যাচ্ছেন। নিজের দলের ভাল চান তো অন্তত এসব পোস্ট করা থেকে বিরত হয়ে দেখুন না।
  • siki | 122.177.189.106 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:১৮527347
  • ছাগল দিয়ে কি আর ধানচাষ হয়? :) যে কোনও চতুষ্পদ যে কোনও কাজ করতে পারে না।
  • siki | 122.177.189.106 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:১৯527349
  • বলতে গেছিলাম অগ্নীশ্বর খ্যাত ডায়ালগ: হিজড়ে দিয়ে কি প্রেম করা যায়? তারপরে ভাবলাম না:, ওটা পলিটিকালি আনকারেক্ট টইতে যাবার কথা। :-))
  • siki | 122.177.189.106 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:২০527350
  • ১০:৪৯-এ শিবুবাবু কোত্থেকে এলো?
  • siki | 122.177.189.106 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:২২527352
  • যদি আইবাবুকে বলা হয়ে থাকে তো একদম ঠিক, আই-বাবু, যদি নিজের দলের ভালো চান তো ... বুঝলেন কিনা? :-)))
  • pi | 72.83.83.28 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:২২527351
  • প্রতিদিনের খবরটার বক্তব্য কী ?

    http://sangbadpratidin.in/pratidin/westbengal.php

    অধ্যক্ষ সিপিএম সদস্য , তাই ছত্র পরিষদকে টিঁকিয়ে রাখতে 'সক্রিয়' ছিলেন ? :)
  • kallol | 115.241.57.171 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:২৭527353
  • বহুকাল এপিডিআর ছেড়ে দিয়েছি, প্রায় ১০ বছরের বেশী হয়ে গেলো :-))
    জরুরী অবস্থায় শঙ্খবাবুর বাররের প্রার্থনা অঘোষিত ব্যান হয়েছিলো, এপিডিআর ঘোষিত ভাবেই ব্যানড হয়েছিলো। সামান্য তথ্য আর কি।
  • ridhhi | 108.218.136.234 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:২৮527354
  • সরি বস, ৫:৪৯ মিন করেছি।
  • | 14.98.163.94 | ০৭ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:৪৩527356
  • কিন্তু মমতা দেবী রাজ্যে লোকায়ুক্ত ও লোকপাল নিয়োগের বিরুদ্ধে এত সরব কেন ? মন্ত্রী হাকিমের ঘর ৩২ লক্ষ টাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে তাহলে টাকার অভাবই বা কোথায় ? কে জানে

    সিএসটিসির কর্মীরা জুন থেকে পেনশন পান নি, সহায়ক মুল্য না পেয়ে এখনও অব্দি ১০ জন কৃষক এই মরশুমে আত্মহত্যা করেছেন, ধানের দাম না পেয়ে বর্ধমান প্র্রায় বিদর্ভ হয়ে উঠেছে

    তবুও এদের চাই , ছোটলোকগুলোর ৩৪ বছরে বড্ড বাড় বেড়েছিল !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন