এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অ্যাডাম্‌স্‌ রোডের বাড়ি

    Achintyarup Ray
    অন্যান্য | ০৭ মার্চ ২০১২ | ৭৩৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 115.118.145.12 | ১০ মার্চ ২০১২ ০০:২৩536199
  • কুমু,
    মানে তিনটে ডাউন সিন্ড্রোমের কেস ( দুটো মেয়ে) খুব কাছ থেকে দেখেছি কি না! তাদের চোখ, ব্যবহারের ছক,মুখের পেশী সংকুচন ইত্যাদি।
    আর দিল্লির এন এস ডি রেপার্টরিতে ব্রেখটের মাদার কারেজের ভুমিকায় প্রয়াত মনোহর সিং এর অভিনয় মনে করুন। এন এস ডিতে মেয়ে কি কম পড়িয়াছিল?
  • achintyarup | 115.111.248.134 | ১০ মার্চ ২০১২ ০০:৪০536200
  • @b: ইনি সেই পরিমল ঘোষই বটেন। ফিরে এসে ফোনে যোগাযোগ করেছিলাম। এই লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর লিঙ্ক পাঠিয়েছিলাম। পড়ে বলেছিলেন কিছু তথ্যগত ভুল আছে। প্রথমত যিনি ওঁকে ৯ অ্যাডাম্‌স্‌ রোডে নিয়ে যান তিনি ওঁর গার্লফ্রেণ্ড ছিলেন না, দ্বিতীয়ত -- এতদিন পরে স্পষ্ট মনে পড়ছে না -- খুব সম্ভবত উনি সে সময় পিএচডি করতে কেম্ব্রিজে যান নি। আমারই মত চার্লস ওয়ালেস ইণ্ডিয়া ট্রাস্টের ফেলোশিপে গিয়েছিলেন। অরিজিনাল লেখাটাই এখানে হুবহু টুকে দিচ্ছি বলে ওই ভুলগুলোর কথা আলাদা করে লিখে দিলাম।

    ও নিনাদিদি, বলো কি গো? ইংরিজি কেন হবে? শীতে কাঁপতে কাঁপতে ঘরে ফিরে গরম সুপ আর আধ বোতলটাক ব্র্যাণ্ডির প্রভাবে একটানা লিখলুম তো নয় পাতা, বাংলাতেই। এইটে আসলে আমার বৌ-কে লেখা চিঠি। সেইটেই পরে প্রকাশ হয়ে গেল। এখন আবার পুন:প্রকাশ হচ্ছে। (প্রাইভেসি বলে আর জীবনে কিছু রইল না, হরি হে)
  • Nina | 12.149.39.84 | ১০ মার্চ ২০১২ ০০:৪৩536201
  • চিন্টুবাবু
    সেই ইনজিরি লেখাট কি ছিল --ভুলে যাচ্ছি শুধু মনে আছে খুব ভাল লেগেছিল--সেই তোমার বিলেতে থাকার সময়?

  • achintyarup | 115.111.248.134 | ১০ মার্চ ২০১২ ০০:৫৮536202
  • বিলেত থাকার সময় ইংরিজি লেখা? উঁহু। সে এক অর্ধসমাপ্ত গল্প ছিল বটে (আমার লেখা অন্যান্য সব গল্পের মত), কিন্তু সে গল্প তো কোথাও দিই নি
  • Nina | 12.149.39.84 | ১০ মার্চ ২০১২ ০১:০৯536203
  • একটা লিঙ্ক একবার দিয়েছিলে---কেউ একজন দিয়েছিল---ইন্দোডাগদার কি? মোটমাট পড়েছি--কোনো পেপারে বা কোথাও বেরিয়েছিল
  • achintyarup | 115.111.248.6 | ১০ মার্চ ২০১২ ০১:১১536204
  • সে আমার নয় তবে
  • Nina | 12.149.39.84 | ১০ মার্চ ২০১২ ০১:৩৫536205
  • চিন্টুবাবু
    তুমি কি কোনো কলেজের বা ওখানে কোনো লোক্যাল পেপারে কিছু কিখেছিলে--কিম্বা হয়ত ইন্ডিয়াতেই--কিন্তু ইংলিশে? আমার যে মনে হচ্ছে তোমারই লেখা :-(
    কোনো পেপারে & ইংলিশে ওদেশের কথা
  • deshi | 67.200.118.1 | ১০ মার্চ ২০১২ ০১:৩৯536206
  • কেবোল শেষ লাইনটা ইনি্‌জরি তে ছিল, সেইটেই হয়ত গুলিয়ে গেছে
  • achintyarup | 141.0.10.90 | ১০ মার্চ ২০১২ ০২:৩১536207
  • ঠিক। সেস কটা লাইন তো মে ভাষায়। আমি পয্যন্ত ভুলে গিছলাম। নীনাদিদির মত স্মরণশক্তিশালিনী গোয়েন্দাভাবপ্রবণ ব্যক্তি আর দুটি নেই
  • deshi | 67.200.118.1 | ১০ মার্চ ২০১২ ০২:৩৮536209
  • এক ছিলেন ডাক্তার পুরন্‌জয়, কিন্তু সে হচ্ছে অতীতের কথা।
  • achintyarup | 59.93.246.104 | ১০ মার্চ ২০১২ ০৩:০৫536210
  • দেকলে, আমার ফোং-এর কাণ্ডটা দেকলে? মেলেচ্ছ শব্দটা পয্যন্ত লিকতে দিলুনি গো। লিকতে গেলুম মেলেচ্ছ ভাষা, হয়ে গেল মে ভাষা।
  • achintyarup | 59.93.246.104 | ১০ মার্চ ২০১২ ০৩:১৮536211
  • এই যে, ওই ম্যাজিক বাড়ি সম্পর্কে ইংরিজিতে লিখেছেন দেখছি একজন। ইনি গিয়েছিলেন আমার প্রায় এক বছর পর। http://raindropsonkitten.blogsome.com/2006/09/12/adams-road/
  • achintyarup | 59.93.246.104 | ১০ মার্চ ২০১২ ০৩:৩৮536212
  • বলা হয় নি, সেই থুড়থুড়ে বুড়ি ফ্রান্সেস যখন ঘরে এসে ঢুকল, তখন রোরি সিগারেট পাকাচ্ছিল। আমি জিগ্যেস করলাম, এখানে সিগারেট খাওয়া যায়? ও বলল, কী খাওয়া যায় না? তুমি গাঁজা খেতে চাইলে তাও খেতে পার। ফ্রান্সেস ঘরে ঢুকেই রোরির কানটা ধরে প্রচণ্ড জোরে মুলে দিল। বলল, কবে এইগুলো খাওয়া বন্ধ করবে? বন্ধ করলেই দেখবে অনেক বেশি সুস্থ থাকবে। রোরি বলল, আমি তো সুস্থ। বলতে বলতেই একবার হাই তুলল। সঙ্গে সঙ্গে আবার প্রচণ্ড কানমলা। ফ্রান্সেস বলল, সুস্থ? এর নাম সুস্থ থাকা? বসে বসে হাই তুলছে, আবার বলে সুস্থ। (পরদিন সকালে ফ্রান্সেস আমাকে বলল, ও নিজে আগে প্রচণ্ড স্মোক করত। তারপর ওর যখন ষোল বছর বয়েস, তখন একবার শরীর খারাপ হল। ডাক্তারের কাছে গেল। ডাক্তার বলল, তুমি যদি এখনই স্মোকিং বন্ধ না কর, ইউ ওণ্ট সি ইয়োর নেক্সট ক্রিসমাস। ভীষণ ভয় পেয়ে বাড়ি ফিরেই সিগারেট, তামাক যা ছিল সব ফায়ারপ্লেসে ফেলে দিল। তারপর থেকে আর খায়নি। এখনও ওর অনেকদিন বাঁচার ইচ্ছে আছে।)

    তারপর সবাই খেয়ে উঠে আস্তে আস্তে চলে গেল। কেউ কেউ নিজের বাসনও মেজেছে। বসে রইলাম আমি, রোজমেরি, ক্যাথি, ভালদেক আর গোশো। ক্যাথি আর রোরি মিলে একটা তিরামিসু বানিয়েছে আগের দিন, ক্যাথি সেটা খেতে চায়। রোজমেরি আমাকে জিগ্যেস করল, খাবে? আমি রাজি হলাম। গোশোকে জিগ্যেস করল। ও মন ঠিক করতে পারছিল না। ক্যাথি তখন হাতজোড় করে ওকে বলল, প্লিজ, প্লিজ, আই উইল বি ভেরি হ্যাপি ইফ ইউ হ্যাভ ইট। ভালোই হয়েছিল খেতে।

    তারপর গোশো আমাকে জিগ্যেস করল আমি কি করি, কি করে করি ইত্যাদি। ইণ্ডিয়া সম্পর্কে নানা প্রশ্ন। আমিও পোল্যাণ্ডের কথা জিগ্যেস করলাম। আগে কেমন ছিল, এখন কেমন সে সব প্রশ্ন করলাম। ও বলল সোশ্যালিজম যখন ছিল তখন তো ও খুবই ছোট, কিছু বোঝার বয়েস হয়নি, তবে অনেক লোক বলে খাবার পাওয়া যেত না, সব খাবার রাশিয়ায় চলে যেত, রেশন কার্ড নিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হত এইসব। যদিও সেটা খুব কম দিনের জন্যই হয়েছিল, কিন্তু লোকে সেটাই মনে রেখেছে। রোজমেরি বলল, খাবার পাওয়া যেত না, এ কথা বোলো না, আমিও এক সময় পোল্যাণ্ডে ছিলাম; খাবার পাওয়া যেত ঠিকই, বাট দ্য ফুড ওয়জ বোরিং। কিন্তু সবাই যে খেতে পেত সে সময় সেটা ভুলে যেও না। জিগ্যেস করলাম, ওর বাবা-মা কী বলে। বলল, ওরা তো বলে আগেই ভালো ছিল। ওর কী করার ইচ্ছে জিগ্যেস করাতে বলল, এই কোর্সটা শেষ করে দেখবে চাকরি-বাকরি যদি কিছু পাওয়া যায়। বলল পড়ানোর ইচ্ছে। এখন নাকি সেইজন্য ভালদেককে ইংরিজি শেখাচ্ছে। এর মধ্যে রোজমেরি বলল, ভালদেক, আমার মনে হয় তুমি ইংরিজিটা গোশোর কাছে না শিখে যদি কোনো ইংরেজের কাছে শিখতে তা হলেই বোধ হয় ভালো হত।
  • achintyarup | 59.93.246.104 | ১০ মার্চ ২০১২ ০৩:৪২536213
  • টেস্ট
  • achintyarup | 59.93.246.104 | ১০ মার্চ ২০১২ ০৩:৫৬536214
  • গোশো আমাকে জিগ্যেস করল, তুমি ভগবানে বিশ্বাস কর? বললাম, না। ও বলল, আই বিলিভ ইন গড, বাট ডোণ্ট বিলিভ ইন চার্চ। রোজমেরি জিগ্যেস করল, কেন বিশ্বাস কর না চার্চে? বলল, ওরা ঠিক মত কাজ করে না মনে হয়। ভালদেক ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরিজিতে বলল, কিন্তু চার্চ ইজ হাউস অব গড। গোশো বলল, ছোটবেলায় ওর মা ওকে জোর করত চার্চে যাওয়ার জন্য, কিন্তু এখন আর করে না। বলে তোমার নিজের যা ইচ্ছে তাই কর। রোজমেরি বলল, ট্রাস্ট ইজ আ গিফ্‌ট। ইউ কেনোট আর্ন ইট। ইউ ক্যান লুজ ইট, বাট কেনোট অ্যাকোয়ার ইট। ইফ ইউ ডোণ্ট হ্যাভ ট্রাস্ট, দেয়ার'স নাথিং ইউ ক্যান ডু। বাট দেন ইউ ডোণ্ট ইভন ট্রাস্ট দ্যাট ইউ ইউল গো টু হেল। গোশো বলল, কিন্তু এরকমও দেখা গেছে যে লোকে ট্রাস্ট আর্ন করেছে। যারা বিশ্বাস করে তাদের সঙ্গে থাকতে থাকতে অবিশ্বাসীরাও ভগবানে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। তখন রোজমেরি বলল, একবার নাকি একটা এক্সপেরিমেণ্ট হয়েছিল, যেখানে ঘরের মধ্যে পাঁচজন লোককে রাখা হয়েছিল, আর একটা কাগজে পাঁচটা লাইন টেনে সেগুলোর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে সেই পাঁচজনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তাদের চারজনকে বলে রাখা হয়েছিল জেনেশুনে ভুল উত্তর দিতে। তারপর পঞ্চম লোকটাকে যখন জিগ্যেস করা হল, সে প্রথমে ঠিক উত্তর দিলেও, বাকি বাকি চারজন যখন জোর করে বলতে লাগল যে তাদের উত্তরই ঠিক, তখন শেষ পর্যন্ত সেও বলল যে সে ভুল বলেছিল। আমি প্রায় বলে ফেলতে যাচ্ছিলাম যে গোয়েব্‌ল্‌সের থিওরিও মোটামুটি এই একই রকম ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সামলে নিলাম।
  • achintyarup | 59.93.242.103 | ১১ মার্চ ২০১২ ০৩:০০536215
  • ইংল্যাণ্ড, পোল্যাণ্ড দুটো দেশই সামনা সামনি যুদ্ধ দেখেছে, ফল ভোগ করেছে, তাই যুদ্ধ সম্পর্কে ওদের একটা ভীতি ও নানা বক্তব্য আছে। এখনকার সাধারণ পোলিশরা বোঝা গেল রাশিয়ান এবং জার্মান দুই জাতকেই অপছন্দ করে। গোশো বলল, রাশিয়ানদের লোকে ঘেন্না করে, নিচু শ্রেণীর মানুষ মনে করে। আর জার্মানদের লোকে অপছন্দ করে, ভয় পায়, অ্যাগ্রেসর হিসেবে, কিন্তু নিচু জাত মনে করে না। রোজমেরি বলল, এ ব্যাপারে ইস্ট পোল্যাণ্ড এবং ওয়েস্ট পোল্যাণ্ড-এর দৃষ্টিভঙ্গীর তফাৎ আছে। গোশো বলল, তা থাকতে পারে। জিগ্যেস করলাম, পোল্যাণ্ডে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা কী রকম? ও বলল, প্রচুর। কোনো কাজই নেই। সেই জন্যেই ও ইংরিজিটা ভাল করে শিখছে, যাতে কাজ পাওয়া যায়। বললাম, আমি একটি পোলিশ মেয়েকে চিনি, ম্যাগডেলিনা (গোশো বলল খুব কমন নাম পোল্যাণ্ডে), সেও ইস্ট অ্যাংলিয়া ইউনিভার্সিটিতে ট্রান্সলেশান স্টাডিজ-এর কোর্স করছে এই একই কারণে।

    ভালদেকের সঙ্গে আমার যখন আলাপ হল, ও খুব খুশি হল আমার মুখে ওর নামের উচ্চারণ শুনে। বলল, এখানে কেউ ঠিক করে উচ্চারণ করতে পারে না, বলে ব্যাল। আমার নাম ভালদেক। জিগ্যেস করলাম, -দেক না -ডেক? সফ্‌ট্‌ দ না হার্ড ড? বলল দ।

    রোজমেরি ভালদেককে জিগ্যেস করল সারাদিনে কী কাজ করেছে ও। ভালদেক বলল, কিছু না, আজকে কোনো কাজ পায়নি। রোজমেরি বলল, আমার হয়ত সব সময় মনে থাকে না, কিন্তু তুমি মাঝে মধ্যেই এসে আমাকে জিগ্যেস করবে। টুকটাক কিছু না কিছু কাজ অনেক সময়েই থাকে। আমার একটা খাটের পায়া ভেঙ্গে গেছে, ওই ঘরে পড়ে আছে, সেটা কালকে এসে লাগিয়ে দিও তো। তা ছাড়া, ছদের একটা দিকে অনেকটা পাতাটাতা জমে গেছে , পরিষ্কার করতে হবে, সেটাও কোরো। সকালে চলে এস। ভালদেক বলল, কটায় আসব? আটটায়? রোজমেরি বলল ঠিক আছে।
  • achintyarup | 59.93.242.103 | ১১ মার্চ ২০১২ ০৩:০০536216
  • রোজমেরি আমাকে বলল, যেহেতু হিটিং কাজ করছে না, এবং বাড়িতে এই রান্নাঘরটাই একমাত্র গরম ঘর, তাই গোশো এখানেই ভালদেককে ইংরিজি পড়াবে। আর আমার যদি কখনো কিছু দরকার হয় এখানে এসে বললে ও রোজমেরিকে দোতলা থেকে ডেকে দেবে। আমাকে জিগ্যেস করল সকালে আমি কখন উঠি। বললাম, সকালে ওঠার অভ্যাস আমার নেই, আমি দুপুরে উঠি (বলল, ন্যাচারালি), কিন্তু কালকে আমি সকালে উঠতে চাই। জিগ্যেস করল, ডেকে দেওয়ার দরকার আছে কি? বললাম, ডাকলে ভাল হয়। বলল, ও ডেকে দেবে। আমি বললাম, তাহলে সাড়ে সাতটায় ডেকে দিতে। রোজমেরি জিগ্যেস করল, ডোণ্ট ইউ থিঙ্ক দ্যাট্‌স্‌ টু আর্লি? বললাম, ঠিক আছে তাহলে, আটটায় ডেকো। এর মধ্যে ডেভিড না রবিন না রোরি (কে মনে পড়ছে না) ঘরে এসেছিল, বলল, রোজমেরি যখনই শুতে যাক সাড়ে পাঁচটায় উঠে পড়ে। রোজমেরি বলল, না, শীতকালে সেটা পারি না। আমি বললাম, এখানে শীতকালে আমার একটাই সমস্যা, সাড়ে তিনটেয় সন্ধ্যে হয়ে যাওয়া। রোজমেরি আমার সঙ্গে একমত। বলল, একেবারে ঠিক। এই ছোটো দিনে খুব অসুবিধা হয়।

    [ রাত দশটায় আলো নিভিয়ে ঘুমোতে চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু ঘুম আসে নি। রোজমেরি বলেছিল, শীত যদি লাগে, ঘরের মধ্যেই দেখবে আরও কম্বল রাখা আছে, নিয়ে নিও। শীত লাগে নি। এমনিতেই বিছানায় একটা কম্বল আর একটা ডুভেট (লেপ জাতীয়, মনে হয় পালকের) ছিল। তাতেই যথেষ্ট আরামে ঘুমিয়েছি। শেষে খিদে পেয়ে গেল, ব্যাগে বিস্কিট রেখেছিলাম, বের করে কয়েকটা খেলাম। জল খেলাম। রান্নাঘরে গিয়ে দেখি পড়াশোনা শেষ, ভালদেক বাড়ি ফিরে গেছে, গোশোও চলে গেছে ঘরে। শেষ পর্যন্ত বোধ হয় দুটো নাগাদ ঘুমোলাম। ]
  • Debashis | 89.147.0.175 | ১১ মার্চ ২০১২ ১৫:৪৯536217
  • অসাধারণ বর্ণনা। এত intimate detail এ লেখা অনেকদিন পড়িনি। ভীষণই ভালো লাগছে।
  • achintyarup | 59.93.247.235 | ১২ মার্চ ২০১২ ০৩:৩০536218
  • সকাল বেলা সোয়া আটটায় দরজা ঠুকঠুক করে রোজমেরি ডেকে দিল। মুখটুখ ধুয়ে এসে দেখি রান্নাঘর খালি। জিগ্যেস করলাম, সবাই কি ব্রেকফাস্ট করে চলে গেছে? বলল, কেউ এখনো ওঠেই নি ঘুম থেকে। আমাকে জিগ্যেস করল, কী খাবে? বললাম, যা খুশি। বলল, পরিজ? অর ব্রেড? অর সিরিয়ালস? শেষেরটাই নিরাপদ মনে হল। শেষ পর্যন্ত দুধ আর কর্নফ্লেক্স নিলাম। আর কালো কফি। খেতে খেতে ফ্রান্সেস এসে গেল। ওর ছোটবেলার গল্প বলল। বলল, ছোটবেলা থেকেই কানে কম শোনে, তাই যুদ্ধের সময় ফ্রণ্টে যেতে পারেনি। ওর ইচ্ছে ছিল আর্মি বা এয়ার ফোর্সে যাবে, কিন্তু তা আর হল না। তাই ল্যাণ্ড আর্মিতে নাম লেখাল। যুদ্ধ শুরুর কয়েক মাস পরেই নাম লিখিয়েছিল। কিন্তু তারও কয়েক মাস পরে ডাক এল। তার আগে পর্যন্ত কম বয়সী ছেলেদের দিয়ে ওই সব কাজ করানো হচ্ছিল। বললাম, আমি তো নরউইচ থেকে আসছি, তুমি কি জানো যে যুদ্ধে নরউইচের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছিল? পুরো শহরটা প্রায় গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গিয়েছিল? ফ্রান্সেস বলল, না, সে জানি না। তবে লণ্ডনে অনেক বোমা পড়েছিল। সে সময়ে কিছুদিন লণ্ডনেও নাকি কাজ করেছিল ও।

    কথা বলতে বলতে রোরি এল। আমাকে দেখেই বলল, বোতলটা খোলা যাক। নিজের খাবার-দাবার নিল। পরিজ, অরেঞ্জ জুস। আমাকে জিগ্যেস করল, অরেঞ্জ জুস খাবে? প্রথমে বললাম, না। একটু পরে গল্প করতে করতে আবার খাওয়ার ইচ্ছে হল, তখন আরেকটা গ্লাস নিয়ে আবার খেলাম। রোরি বলল, ওর এক বন্ধু আছে, তার মা-বাবার বিয়ে হয়েছিল ইণ্ডিয়াতে। পুণে বলে একটা জায়গায়, রজনীশের আশ্রমে। বন্ধুর নাম সঙ্গম। তার মানে দুটো নদির মিলনের জায়গা। আমি ওকে বললাম, সঙ্গমের অন্য আরও একটা মানে আছে, সেটা শুনে খুব উত্তেজিত হয়ে উঠল ও। রোজমেরি যখন ঘরে এল, তখন ওকেও বলল, ডু ইউ নো, সঙ্গম মিন্‌স্‌ কপুলেশন? রোজমেরি বলল, দেন ইট্‌স্‌ দ্য এক্সাক্ট নেম ফর হিম।
  • achintyarup | 59.93.247.235 | ১২ মার্চ ২০১২ ০৩:৩৭536220
  • এর মধ্যে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ফ্রান্সেস চলে গেছে। আমিও বেরিয়ে যাব। রোজমেরি আমাকে ভিজিটার্স বুক দিল, আমার নাম-ঠিকানা লেখার জন্যে। তার আগে আমি আরও কয়েক লাইন লিখে দিলাম। সেটা পড়ে ওর চোখে প্রায় জল এসে গেল, বার বার বলল, সো কাইণ্ড অব ইউ, সো কাইণ্ড অব ইউ। তারপর জিগ্যেস করল, লাঞ্চ খাবে কি? আমি বললাম, সে তো ঠিক করিনি। যদি খাই, কতক্ষণ আগে জানাতে হবে? বলল, আধ ঘণ্টা খানেক আগে জানিও।

    সেই সময় আবার রোরি এল। আমি বললাম, আমি কয়েকটা ছবি তুলতে চাই। রোজমেরি বলল, নিশ্চিন্তে তোল। রোরি বলল, ও আজকে লাইব্রেরি যাবে না, কারণ গেলেই সেই মেয়েটার সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে, আর তা হলেই ওর সারাদিনের পড়াশোনা ডকে উঠে যাবে। বিড়বিড় করে কি একটা বলছে দেখে জিগ্যেস করলাম, তুমি কি ওই মেয়েটার নাম জপ করছ নাকি? বলল, আরে ধুর, জানলে তো জপ করব। বাট শি ইজ গরজাস। আই মাস্ট হ্যাভ হার। জিগ্যেস করল, লাঞ্চে আসছ নাকি? বললাম, আসব। রোজমেরি বলল, লাঞ্চ কিন্তু বিশেষ কিছু নেই, শুধু সুপ আর চিজ।
  • ranjan roy | 14.97.46.177 | ১২ মার্চ ২০১২ ১০:৫০536222
  • একি! একি! ফোটো তো লেখার শেষে দেয়ার কথা ছিল। তার মানে কি লেখা শেষ? তাহলে ভিজিটার্স বুকে লেখা সেই ইঞ্জিরি লাইনগুলো? সেগুলো কি নিজেই এডিট করা হল? চলবে না। চলবে না। সেই গুলো ও চাই।
  • achintyarup | 141.0.8.180 | ১২ মার্চ ২০১২ ১১:৪৯536223
  • না না, লেখা আরও খানিকটা আছে
  • S | 99.26.200.89 | ১২ মার্চ ২০১২ ১৮:৪৯536224
  • একটা চোটো কোস্নো ছিলো - এই ঘটনাটা কবেকার?
  • achintyarup | 115.111.248.6 | ১২ মার্চ ২০১২ ১৮:৫৯536225
  • ২০০৫
  • Nina | 12.149.39.84 | ১২ মার্চ ২০১২ ১৯:৫১536226
  • চিন্টুবাবুর "কহানী" জমে ক্ষীর !
  • achintyarup | 59.93.241.68 | ১৪ মার্চ ২০১২ ০৪:২০536227
  • পলাকে আমি চিনি না। নেহাৎ-ই ইণ্টারনেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে তার ব্লগ চোখে পড়েছে। আমার অভিজ্ঞতার সঙ্গে তার অভিজ্ঞতার বেশ মিল। লিঙ্ক আগে দিয়েছি, কিন্তু আমার মত যাদের লিঙ্ক খুলে পড়তে আলিস্যি, তাদের জন্য তার ব্লগ নিচে পেস্ট করে দিলাম। অন্য পাঠকদের কমেণ্ট শুদ্ধু।

    Adams Road

    By PAULA on 12 September 2006

    Number Nine Adams Road. Already, I want to write a book about it. It’s early in the morning but my heart is beating too fast to let me sleep.

    This is a magical place. Pure magic. I’m sure there are bewitched squirrels in the garden that I will have to watch out for.

    Last night, Rosemary Summers welcomed me in quite a peculiar way. The only connection we have is a school acquaintance’s father who stayed in this house when he was a young traveller. His ex-wife is an architect just as my mum and they both hang out in Berlin’s architecture scene. Which is why I’m here now.

    ‘Here’, that is a huge Victorian villa at the end of a small road. When I arrived, two white sash windows were sending a warm yellow light on the trees in the entrance way. I knocked hesitantly on the door, waited a few moments, nothing. I couldn’t hear a thing. There was no bell, so I knocked again, a bit louder this time. This time, my knocking was followed by a rustling and rumbling from inside. A second later, the door flew open. A dwarf looked at me rather angrily.
    ‘What do you want?’
    ‘I’m looking for Rosemary Summers’, I said timidly.
    ‘Well, too bad for you then. Rosemary is dead.’
    I didn’t even have time to be shocked, because just then, a second man appeared from behind the door and said to the dwarf: ‘Rubbish, Roger.’ Then he turned to me with a polite smile: ‘Please ignore this little man. All he does all day is talk rubbish. You must be Paula, is that right? Rosemary is waiting for you in the kitchen. Chapter Seven is sitting on her lap, that’s why she couldn’t get up and welcome you at the door. But she is most eager to make your acquaintance. If you want to leave your luggage in the foyer, Roger will take care of it - will you, Roger? You must apologise to this young lady for your rudeness!’ While this young man was giving orders to the dwarf, Roger was mumbling, swearing and spitting on the ground. I know you shouldn’t say ‘dwarf’ because it’s insulting, but he looked and acted so stereotypically like a circus dwarf that I just can’t help it…

    ‘Would you please follow me, Paula? - Oh, how rude of me not to have introduced myself! My name is James Brown and I’m an architecture graduate at Peterhouse.’
    When he had finished his last sentence we were already in the kitchen. Sauce pans and fry pans are hanging from the ceiling above the oven just in the middle of the room. The whole interior looks like from a century ago. On one side of the room is a giant dining table. In a corner, I saw a rocking chair with a big lady and an orange cat on her lap. Rosemary Summers, as you will have guessed by now, squinted through her tiny glasses and took a puff from her pipe.

    ‘There you are at last.’ She has a deep, smokey and extremely sexy voice. Very thick, very grey and very short hair. And she wears a white blouse, brown linen vest and linen trousers. I was blown away by her strong presence. She seems to glow. Everything around her gets warm. But she was too tactful so she didn’t mention my scarlett face. I’m thankful.

    ‘You must be starving, Paula. Make yourself at home. Take a plate from the shelf over there. The lasagne must still be warm.’
    ‘Wow, I didn’t expect you to cook for me. Thank you’, I stammered.
    ‘Me? Oh, I couldn’t cook to save my life!’ Rosemary sniggered into her pipe. ‘All the cooking in this house is done by Roger. He’s grumpy on the outside but he has a heart as tender as raw chicken filet.’

    I kept a nasty comment to myself and did as Rosemary had told me. I’m still too shy to ask too many questions… so much for ‘changing my identity’… So I don’t really know much about the house or anything. From what I’m guessing there must be several people living here permanently, like Rubbish-Roger and James. The remaining empty rooms are open for travellers throughout the year.

    Now this is going to be my doss for the next three weeks until Newnham College will open its doors for the undergraduates to move in. The last time I’ve been there was in early december when it was cold and rainy. My plan for the day is to stroll around the college gardens and prepare my mind for the adventure of my life.

    ....

    6 Comments:

    1. Dear Paula,

    in 1982 I spent a year in N° 9, last time I was there, was around 1996, for a memorial service for Dr. Alice Roughton and I always imagined the place to have been sold to some college. It is amazing to hear it seems to have preserved its magic. And Rosemary moved down (I swear I never saw her in the kitchen…).
    Anyhow, there are so many stories and people connected to N° 9, one never knows where to start.

    Regards
    Eva

    2. I also lived there. And I will remember dr Alice Roughton and this magic place forever..

    Comment by Jerzy Afanasjew

    3. I spent three months in Adams Rd in 1981. What a wonderful woman Alice was. She was the kind of person who gives one hope.

    Comment by Jeremy

    4. I lived for many years at 9 adams road with my parents, dr roughton received us as refugees after the military coup in chile i have the most wonerfull memories of every member of her family and of the people (hundreds) i met there it truelly is a magical house

    Comment by julieta quezada novoa

    5. I have been staying in 9 Adams rd dusing summers 1981 - 1982 -1983 -1984. I lived with Dr.Alice Roughton, her niece Cathy, Rosemary, FRances, Gabor Cossa and … the recurrent bunch of people who understood -while there- waht life is about. That has been the turning point of my life and the best period ever lived.

    Comment by valerio tamburini

    6. I lived at 9 Adams Road for around a year c 1978. I have very happy memories of it and of the Doctor, whom I greatly admired and liked.
    I remember going to a carol service with her at Kings: one of the rare times I ever saw her not wearing overalls. My stay there while I was a student was my happiest time in my 3 years at Cambridge. I loved the house and the garden and the very sociable dinners at the big table in the kitchen (apart from the squirrel casserole……)

    Comment by Ian
  • achintyarup | 59.93.241.68 | ১৪ মার্চ ২০১২ ০৪:৩৪536228
  • ভালদেক এর মধ্যে ওর কাজ শুরু করে দিয়েছিল। কিছু কাঠের কাজ শেষও করে ফেলেছিল। ওকে রোজমেরি বলল, দুপুরে খেয়ে যেও কিন্তু। বেরোতে যাচ্ছি, তখন গোশো এল। ইউনিভার্সিটি যাচ্ছে। জিগ্যেস করলাম, রেস্তোরাঁর ডিউটি নেই? বলল, সে তো সন্ধ্যেবেলা। আর বলেছে রবিবার লাঞ্চ ডিউটি করতে হবে।

    বেরিয়ে গেলাম আমি। ঘুরে-টুরে, সেণ্টার অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ-এর কাজ সেরে, ফিটসউইলিয়াম মিউজিয়াম দেখে যখন ফিরলাম, তখন প্রায় একটা বাজে। এবার রান্নাঘরের দরজা দিয়েই ঢুকলাম। দেখি রোজমেরি টেবিল গোছাচ্ছে। বললাম, সরি, দেরি করে ফেলেছি। ও বলল, না না, আমারই আজকে দেরি হয়ে গেছে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে রবিন এল। একটা ক্র্যাকারের প্যাকেট হাতে দিয়ে বলল, হ্যাভ দিস। [ যা বুঝলাম, রবিন এখন বেকার। রোজমেরিকে জিগ্যেস করেছিলাম, ও কী করে। বলল, হি হ্যাড বিন আ সলিসিটর। এখন চিন্তাভাবনা করছে আর কী করা যায়। রবিনের ছবি তোলা হয়নি। ও আমাদের চেয়ে বয়সে একটু বড়ই হবে। ]

    তারপর ভালদেক এল। একটু পরে এল গোশো। তারপর এল রোরি। ফ্রান্সেস বাইরে কোথাও গিয়েছিল। হাঁপাতে হাঁপাতে এল। নেভি ব্লু জ্যাকেটের ওপর একটা ব্যাজ আটকানো, তাতে লেখা, প্লিজ স্পিক ক্লিয়ারলি। রোজমেরি বলল, প্লিজ হেল্প ইয়োরসেল্ফ। উনোনে সুপ আছে, টেবিলে বান আছে, মাখন আছে, চিজ আছে। বাটিতে সুপ নিলাম। টেবিলের এক মাথায় রবিন, এক মাথায় ফ্রান্সেস। এক দিকে রোরি, ভালদেক আর আমি; আরেক দিকে রোজমেরি আর গোশো। ভালদেক বলল, আজকে খাবার লোক কম? রোজমেরি বলল, আজকে প্রচুর লোক। সাধারণত লাঞ্চে এত লোক থাকেই না।
  • achintyarup | 59.93.241.68 | ১৪ মার্চ ২০১২ ০৫:০০536229
  • খেতে খেতে রবিন আমাকে জিগ্যেস করল, ঠিক কী কাজ করছি আমি, কতটা কাজ হয়েছে। জার্নালিস্ট হিসেবে কী করি, কখনো নিজে কিছু রিপোর্টিং করেছি কিনা, কী ধরণের রিপোর্টিং করেছি। দেশে কটা বৌ আছে (বললাম, সো ফার ওনলি ওয়ান। রোজমেরি খেয়াল করেছিল, বলল, মাইণ্ড ইট, হি সেইড সো ফার), কটা ছেলেমেয়ে আছে (ফিফটি? সিক্সটি? মোর দ্যান দ্যাট?), ইত্যাদি।

    খুব মজা করে খাওয়া হল। তারপর ফ্রান্সেসকে জিগ্যেস করলাম, সকালে ওর ছবি তোলা হয়নি, যদি একটা ছবি তুলি আপত্তি আছে? ফ্রান্সেস বলল, কোনো আপত্তি নেই। রোজমেরি বলল, ফ্রান্সেস ইজ ভেরি ফোটোজেনিক। অনেক ছবি তুললাম। রবিন চলে গিয়েছিল এর মধ্যে, ডেভিডও লাঞ্চে আসেনি (রোরি বলল, হি গট ড্রাঙ্ক লাস্ট নাইট), কিন্তু বাকি সবাই ছিল। উত্তেজিত হয়ে রোরি নিজের ক্যামেরা নিয়ে চলে এল। ক্যাননের ডিজিটাল এস এল আর। পরে বুঝলাম ও বেশ ভাল ছবি তোলে। পটাপট ছবি তোলা হতে লাগল। রোরিকে আমার ই-মেল আই ডি দেওয়া আছে, বলল আমাকে পাঠিয়ে দেবে ওর তোলা ছবিগুলো।

    রান্নাঘর থেকে বাইরে বেরোনোর দরজার ওপরে একটা ছবি টাঙানো আছে। ব্রিটেনের রাজা বা রানির কোট অব আর্মস যে রকম হয়, সে রকম ছবি। শুধু দুধারে সিংহের বদলে দুটো শুয়োর আঁকা। রোজমেরি বলল ওর মা অর্ডার দিয়ে ওই ছবি আঁকিয়েছিল। ওটা ওদের ফ্যামিলি কোট ব আর্মস। এক সময় ওদের একটা রোলস রয়েস ছিল। খুবই অভিজাত গাড়ি। কিন্তু ওর মা ওটা চালিয়ে বাড়ির পোষা শুয়োরদের জন্য খাবার আনতে যেত। আর যে পাত্রটা নিয়ে যেত সেটা আসলে একটা ডাস্টবিন। এক সময় তার মনে হল, রোলস রয়েসে করে যখন শুয়োরদের খাবার আনতে যাওয়াই হয়, তা হলে সে গাড়ির সামনে একটা কোট অব আর্মস লাগানো থাকা উচিত। তখন একটা ছবি ভাবা হল, আর আর্টিস্ট দিয়ে আঁকিয়েও ফেলা হল। দু কপি ছবি আঁকানো হল। একটা গাড়ির সামনে লাগানোর জন্য, আর একটা রান্নাঘরের দরজার ওপর লাগানোর জন্য (ছবি তুলেছি)। দু পাশে দুটো শুয়োর দুই পা তুলে দাঁড়িয়ে আছে, মাঝখানের তিনকোনা ঢালের মত দেখতে জিনিসটার বাঁ দিকটা সাদা, ডান দিকটা লাল। লাল দিকটার মধ্যে দিয়ে কোনাকুনি একটা কালো দাগ চলে গেছে। রোজমেরি বলল, ওদের পরিবারটা শুরু হয়েছিল আউট অব ওয়েডলক। মানে, প্রথম যে দুজন ভদ্রলোক ভদ্রমহিলা , তাদের প্রথাগত ভাবে বিয়ে হয়নি। সেইটা বোঝানোর জন্য ওই কালো দাগ। সেই দুজনের একজন এসেছিল ইয়র্কশায়ার থেকে, আরেকজন ল্যাঙ্কাশায়ার থেকে। এই দুই জায়গার মধ্যে আবার প্রচণ্ড রেষারেষি আর মারামারি। এক জায়গার প্রতীক হল সাদা গোলাপ, আর অন্য জায়গার প্রতীক লাল গোলাপ। সেই জন্য ওই ফ্যামিলি কোট অব আর্মসের এক দিকটা সাদা আর এক দিকটা লাল। এই ভাবে পরিবারের সব কথাই নাকি বিভিন্ন প্রতীকের মাধ্যমে ওতে বলা আছে।
  • achintyarup | 59.93.241.205 | ১৫ মার্চ ২০১২ ০৪:২২536231
  • এই সব নানা আড্ডা হতে হতে খাওয়া শেষ হল। আগের দিন আমার থালা বাসন গোশো ধুয়ে দিয়েছিল। লাঞ্চের পর আমিও কিছু কিছু বাসন মেজে দিলাম। তারপর সাবাইয়ের কাছ থেকে বিদায়-টিদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম স্টেশনের উদ্দেশ্যে।

    রোজমেরির ভিজিটার্স বুকে যা লিখেছিলাম, যদ্দুর মনে আছে সেটা নিচে লিখে দিচ্ছি। একটা কথাও বানানো নয়।

    'The heating system is not working,' I was told soon after I had stepped into the house. But during my few hours' stay here, never did I feel that the house was lacking in warmth.

    The great Indian poet, Rabindranath Tagore, after his visit to the Soviet Russia in the 1930s, had written; 'Had I not been to Russia, my pilgrimage to life would have remained incomplete.' I would also like to say that had I not been to this place, my pilgrimage to England would have remained incomplete. I wouldn't have known that people like the Summers still existed in this selfish little village called 'the world'.


    (সেস)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন