এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রামকৃষ্ণ-ঠাকুর না রুগী?

    Biplab Pal
    অন্যান্য | ০৮ এপ্রিল ২০১২ | ৬২৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Biplab Pal | 68.33.140.55 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ১০:৪৭536564
  • লেখাটি লিখেছেন সুমিত দেবনাথ। মুক্তমনাতে। হুবহু তুলে দিলাম। এখানে আলোচনা হোক।
    আমি এই আলোচনাতে অংশগ্রহণ করব না। প্রথমত সময় নেই। দ্বিতীয়ত ভক্তদের "লেভেলে" নামার ইচ্ছা নেই।
    *********************************
    আমরা যারা বিবর্তনবাদ, যুক্তিবাদ নির্ভর চিন্তাধারা রাখি, আমাদের জানা যে এই জীবকুল,মানব সমাজ ভগবানের দ্বারা তৈরি নয়। হুট করে মানুষকে ঈশ্বর তৈরি করে নি। মানুষ এসেছে একটা বিবর্তনীয় ধারায় সেই দিক থেকে চিন্তা করলে সব মানুষই সমান, কেউ ঈশ্বর পেরিত সন্তান হতে পারে না। কিন্তু যুগে যুগে বিভিন্ন ধর্মে লক্ষ্য করেছি কিছু ধূর্ত, অতিচালাক, মানব সমাজে প্রভাব সৃষ্টিকারী ব্যক্তি নিজেকে ঈশ্বরের পেরিত সন্তান হিসাবে দাবী করে নানা অলৌকিক কাহিনী সৃষ্টি করে মানব সমাজে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে গেছে।

    সেই অলৌকিক কাহিনীগুলি যীশু, হজরত মহম্মদ থেকে শুরু করে অনেক ধর্ম পুরুষদের সাথে জড়িয়ে আছে।

    তবে আজ আমি যাকে নিয়ে আলোচনা করব তিনি বাংলার হিন্দুদের মধ্যে প্রভাব সৃষ্টিকারী তথাকথিত অলৌকিক শক্তিধর পুরুষ রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব।

    উনাদের নিয়ে আমি তেমন আলোচনা করার মতো তেমন প্রয়োজনবোধ করি না। কারণ আমি যখন উনাদের জীবনী পড়তে যাই তখন অলৌকিক ঘটনাগুলি বিন্দুমাত্র বিশ্বাস হওয়া তো দূরে থাক রীতিমত হাস্যকর পাগলামি বলে মনে হয়।
    অথচ সাধারণ মানুষ তো বটেই অনেক উচ্চ শিক্ষিত ডক্টরেট ডিগ্রিধারী মানুষও যখন এদের অলৌকিক ক্রিয়াকলাপগুলি বিশ্বাস করে তখন দু:খই হয়।

    রামকৃষ্ণ যখন তার ধর্মীয় ভাবধারা প্রচার করতে শুরু করেন, তখন বাংলা তথা ভারতে ধর্ম বিপ্লব চলছে। ধর্মীয় গুড়ামী, কুসংস্কার, অমানবিকতার বিরুদ্ধে এবং যুক্তিবাদী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে বাংলা তথা ভারতবর্ষে ব্রাক্ষ সমাজ সহ অনেক সংগঠন সক্রিয় ছিল। রামকৃষ্ণ কিভাবে এই সংগঠনগুলিকে ধ্বংসের পরিকল্পনা করেন তা পরবর্তীতে আলোচনা করব।

    যাইহোক, যার কর্মময় জীবনটাই অলৌকিকতায় ভরা তার জন্মকে অলৌকিকতায় ভরে দেওয়া হবে তা তো স্বাভাবিকই।

    যেমন যিশুর বেলায় দেখি কুমারী মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র বলে চালানোর চেষ্টা, সেইরকম রামকৃষ্ণের বেলায় ও ব্যতিক্রম নয়
    যাইহোক প্রথম জন্ম দিয়ে শুরু করি তারপর না হয় কর্মে যাব।

    ১৮৩৫ খ্রী: রামকৃষ্ণের বাবা ক্ষুদিরাম তীর্থ ভ্রমণে যান। স্বামীর অবর্তমানে রামকৃষ্ণের মা চন্দ্রাদেবী স্বপ্ন দেখলেন একটি জ্যোতির্ময় মূর্তি তার শয্যায় রয়েছেন! তার ঘুম ভেঙ্গে গেল। কিন্তু তখনও তিনি যেন ঐ জ্যোতির্ময় মূর্তি দেখতে পেলেন। মনে হল কে যেন দরজা ভেঙ্গে তার শয়ন কক্ষে ঢুকছে। তিনি তাড়াতাড়ি উঠে আলো জ্বালেন। কিন্তু দেখলেন, দরজায় খিল দেওয়া আছে, ঘরে কেউ নেই।

    এরপর একদিন তিনি প্রতিবেশী ধ্বনি কামরানী সঙ্গে শিব মন্দিরে শিব বিগ্রহের সম্মুখে দাঁড়িয়েছিলেন। শিব বিগ্রহ থেকে একটি জ্যোতির্ময় শিখা বিচ্ছুরিত হয়ে তীর-বেগে তার দিকে ছুটে আসলো। এ সম্পর্কে ধ্বনীকে তিনি কিছু বলার আগেই তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। ধ্বনি তার চোখে মুখে জল দিয়ে তার মূর্ছা ভাঙ্গিয়ে তাকে ঘরে আনলো। সে তার কাছে আনুপূর্বক ঘটনা শুনে ভাবলো চন্দ্রার মাথায় অসুখ হয়েছে। কিন্তু চন্দ্রাদেবী ভাবলেন তিনি সন্তান সম্ভব্য হয়েছেন।
    এইভাবে অলৌকিকতার মধ্য দিয়ে ১৮৩৬ খ্রী: ১৮ই ফেব্রুয়ারি তারিখে জন্ম হয় গদাধরের (রামকৃষ্ণের) (ঠাকুর রামকৃষ্ণের জীবন ও বাণী – স্বরূপানন্দ – পৃ: ৮)

    এইবার বুঝুন ঠেলা, গর্ভসঞ্চারের কি সুন্দর ব্যাখ্যা! এইভাবে যদি ভগবানের গর্ভসঞ্চারের ক্ষমতা থাকতো তাহলে পৃথিবীতে পুরুষ প্রাণীর কোন প্রয়োজন থাকত না। সব পুরুষ প্রাণীগুলি প্রাকৃতিক নির্বাচনে বিলুপ্তির পথে ধাবিত হত।
    আমার মনে হয় এইসব ধর্ম-পুরুষদের পাশে এইসব কাহিনী জুড়ে তাদের অপমানিত করেছে তাদের শিষ্যরা।
    উপরিউক্ত ঘটনা হাস্যকর তো বটেই। আর যদি তা বিন্দুমাত্র সত্যি হয় তা হলে নারীর কোকিলা-চরণের একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
    যীশু বা রামকৃষ্ণের জন্মের অলৌকিকতা দান করতে গিয়ে রীতিমত তাদের অবৈধ সন্তানের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন তাদের শিষ্যরা।

    রামকৃষ্ণকে যেভাবে দলু সবধর্মে বিশ্বাসী বলে সর্বস্তরে প্রচার করা হয়। আসলে তিনি কতটুকু দলু ছিলেন যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রাখে।
    উনার জীবনী পড়তে গিয়ে আমার মনে হয়েছে তিনি ছিলেন চরম বর্ণ বিদ্বেষী, ব্রাহ্মণ্যবাদী। দু একটা ঘটনা দিয়ে উদাহরণ দেই –

    রামকৃষ্ণ ছিলেন দারিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারের ছেলে। চরম দারিদে্‌র্‌যর কারণে তার ভাই রামকুমার দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের পৌরহিত্য গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন। অথচ সেই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি ছিলেন তথাকথিত শূদ্র বংশের। ভাইয়ের শূদ্রের মন্দিরের পৌরহিত্য গ্রহণ করার তীব্র বিরুধী ছিলেন রামকৃষ্ণ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি রামকুমারকে বলেছিলেন –“আমার পিতা ও পূর্বপুরুষরা কেউ শূদ্রের অন্ন গ্রহণ করেনি, এই মন্দিরে পৌরহিত্য গ্রহণ করে তিনি সর্বপ্রথম একাজ করবেন এবং তাতে চাটুজ্জে পরিবারের কলঙ্ক হবে।“

    তারপরও রামকুমার ঐ মন্দিরের পুরোহিত হয়েছিলেন এবং রামকৃষ্ণকে সেখানে নিয়ে যান। অনিচ্ছা সঙ্কেÄও রামকৃষ্ণ ভাইয়ের মনযোগাতে সেখানে যান ঠিকই কিন্তু রীতিমত বেঁকে বসেন। তিনি মন্দিরের প্রসাদ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন এবং স্বহস্তে রান্না করে খেতেন। শেষে অনেকটা বাধ্য হয়ে মন্দিরের পৌরহিত্য গ্রহণ করেন এবং কালী সাধক হয়ে উঠেন।

    আরেকটা ঘটনাবলি – একদিন তিনি সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় একগাছের তলায় বসে সাধনা করতে বসেছেন। সেই সময় উনার ভাগ্নে এই অবস্থায় দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করল –“মামা তুমি পৈতে খুলে রেখেছে? অথচ ব্রাহ্মণদের পৈতে খুলে রাখা অনুচিত। “

    এর উত্তরে রামকৃষ্ণ ভাগ্নেকে বললেন –“আমি ব্রাহ্মণ, সকলের চেয়ে বড়’– এই অভিমানের চিহ্ন এবং একটা পাশ, মাকে ডাকতে হলে ঐ সব ফেলে রেখে একমনে ডাকতে হয়। তাই পৈতে খুলে রেখেছি। ধ্যান করা শেষ হলে ফিরবার পথে আবার পরব।“
    এখানে প্রশ্ন থাকে ব্রাহ্মণ, সকলের চেয়ে বড় এটা যদি অভিমানের চিহ্ন এবং পাশ হয় তবে ধ্যান শেষে পৈতে পরবার প্রয়োজন কি? না কি অদৃশ্য ভগবানের কল্পনা করার সময় আমি ব্রাহ্মণ নই সাধারণ মানুষ আর মানব সমাজে ফিরে আসলে “আমি ব্রাহ্মণ, সকলের চেয়ে বড়” ? তাই মনে হয় আসল কথা।

    ছোটবেলা থেকেই রামকৃষ্ণ ছিলেন হিষ্টিরিয়ার রোগী। হঠাৎ হঠাৎ তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়তেন। আর এই রোগকে পল্লবিত করতে গিয়ে তার শিষ্যরা বলেন তিনি নাকি মাঝে মধ্যে ভাব সমাধিতে চলে যেতেন।

    তাছাড়া ছিল উনার হরমোনের সমস্যা যার জন্য উনার মধ্যে পুরুষালি ভাবগুলি কম ছিল।
    এই কারণই হয়তো উনাকে বিবাহিত জীবন থেকে ব্যর করেছিল।
    এই প্রসঙ্গে স্বরূপানন্দ তার ঠাকুর রামকৃষ্ণের জীবন ও বাণী বইতে বলেছেন –
    “সাধন-কালে রামকৃষ্ণ মাঝে মাঝে মথুরবাবুর(রাণী রাসমণির জামাতা) বাড়ীতে মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। মেয়েরা রামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে কোনরূপ সংকোচ করত না। রামকৃষ্ণ তাদেরই একজন এই বোধ তাদের মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছিল। বাল্যকাল থেকে যখন কলসি কাঁধে জল নিয়ে বাড়ী ফিরতেন তখন কেউ তাকে পুরুষ বলে বুঝতেই পারতো না।“
    এখানেও অন্ধবিশ্বাসী শিষ্যরা উনার মহত্ব বাড়াতে এই হরমোনের সমস্যাকে কালীর ভর বলে এখনও চালায়।

    যাইহোক রামকৃষ্ণের লোক দেখানো গরীব দরদ সম্পর্কে একটু দৃষ্টিপাত করি –
    তিনি একবার দেওঘরের বৈদ্যনাথ মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন। রামকৃষ্ণ একদিন পার্শ্ববর্তী একটি গ্রাম দিয়ে যাওয়ার সময় এখানকার গ্রামবাসীদের দারিদ্র করুন অবস্থা দেখে কাতর হলেন এবং জমিদার মথুর বাবুকে এই সব দারিদ্র লোকদের অন্ন বস্ত্র দিতে বললেন। মথুর বাবু ইতস্তত করে বললেন।
    “এই তীর্থ যাত্রায় অনেক টাকা লাগবে। তাই এদের সাহায্যে করা আমার দ্বারা সম্ভব নয়।“
    কিন্তু রামকৃষ্ণ এদের শোচনীয় দু:খ দারিদ্র দেখে কাঁদতে লাগলেন “ছি: ছি:! তুমি কি বলছো? আমি এদের ছেড়ে বারানসিও যেতে চাই না।“ তিনি অবশেষে মথুরবাবুর সঙ্গ ছেড়ে দরিদ্র গ্রামবাসীর সঙ্গে বসলেন। মথুরবাবু শেষে বাধ্য হয়ে কলকাতা থেকে কয়েক গাঁট কাপড় এনে এদের মধ্যে বিতরণ করেন এবং এদের সকলকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন।

    ভেবে দেখুন মায়া কান্না আর কাকে বলে? একবেলা খাওয়ালে আর একবার বস্ত্র বিতরণ করলে যে দরিদ্রের দারিদ্র দূর হয় তাই আশ্চর্যের। বরং তিনি পুরো ভারতের প্রয়োজন নেই এই এলাকার স্থায়ী দারিদ্র দূরীকরণে একটা ব্যবস্থা নিতেন তাহলে উনাকে প্রকৃত গরীব দরদী বলতাম।
    আর কাপড় ও খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য মথুরবাবুর দ্বারস্থ হওয়ার প্রয়োজন কি? মা কালী যেহেতু উনার সব কথা শুনেন। সেহেতু মা কালীর কাছে দরিদ্র গ্রামবাসীর সমস্যা কথা বললেই তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।
    অবশ্য মা-কালির প্রতি তিনি কতটুকু আস্থাশীল ছিলেন তাও সন্দেহ হয়। কারণ তিনি নিজেই বলেছেন- “সত্যি কি তুই আছিস মা? না, এসবই মনের কল্পনা? তুই আছিস তবে আমি তোকে দেখতে পাই না কেন? তবে এসব কি আকাশ কুসুম? (ঠাকুর রামকৃষ্ণের জীবন ও বাণী – স্বরূপানন্দ- পৃ: ৮)

    এইবার একবার ভাবুন তো পৃথিবীর সব মানুষ যদি তার কাজ কর্ম ছেড়ে ঈশ্বর সাধনায়
    মগ্ন হয়ে যায় তবে সমস্ত পৃথিবীর কি অবস্থা হবে? না থাকবে মানব সমাজ, না থাকবে ঈশ্বর কল্পনা করার কেউ।
    কিন্তু রামকৃষ্ণ তো এই আদর্শই প্রচার করতে চেয়েছিলেন। শুধু সংসার ত্যাগ নয় মানুষের সেবামূলক পেশার উপর আঘাত করতে দ্বিধা-বোধ করেন নি।
    একটা উদাহরণ দেই – একদিন ঠাকুর তাঁর ভক্তদের কাছে বলছিলেন,”ডাক্তার উকিল ও দালাল এদের ঈশ্বর লাভের পথে এগোন কঠিন।“
    বিশেষ করে ডাক্তারদের প্রতি বললেন, “মনটা যদি ঔষধের ফোটায় পড়ে থাকে, তবে কি করে সে অসীম অনন্তকে চিন্তা করবে?“
    এটা শুনে রামকৃষ্ণের শিষ্য জনৈক নাগ মহাশয় ডাক্তারি ছাড়তে দৃঢ় সংকল্প হলেন এবং ঔষধের বাক্স বই গঙ্গায় ফেলে দিয়েছিলেন।
    বাহ! আদর্শের প্রশংসা না করে পারা যায় না। ডাক্তারির মতো একটা বাস্তব মহত সমাজ সেবামূলক কাজ ছেড়ে যার অস্তিত্ব নেই তাকে খোজার মধ্যেই মহত্ব বেশী তাই না?

    আমি প্রথমই বলেছিলাম রামকৃষ্ণ যখন ধর্মীয় ভাবধারা প্রচার শুরু করেন তখন ধর্মবিপ্লব চলছে।
    তিনি ব্রাহ্মসমাজের তীব্র বিরুদ্ধি ছিলেন। অথচ ব্রাহ্ম সমাজকে তিনি অতি কৌশলে ঝোপ বুঝে কোপ মারতে দ্বিধা-বোধ করেন নি।
    ১৮৭৮ খ্রীষ্টাব্দে ব্রাহ্মসমাজের নেতা কেশবচন্দ্র সেন কোচবিহারের মহারাজার সঙ্গে তার শিশু কন্যার বিয়ে দিলে বাল্যবিবাহ বিরুধী ব্রাহ্মসমাজ দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়ে। কেশব চন্দ্রের অনুরাগী তাকে ত্যাগ করে সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠা করে। এইভাবে ব্রাহ্মসমাজে বিভেদ সৃষ্টি হয়।
    ব্রাহ্মসমাজ বিরোধী রামকৃষ্ণ সুযোগ বোঝে কেশবচন্দ্রের কার্যের সমর্থনে বললেন –
    “জন্ম,মৃত্যু,বিবাহ ভগবানের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে তাই এতে দোষ কি আছে? কেশব গৃহী, সে মেয়ের বিয়ে দিয়ে পিতার কর্তব্য পালন করেছে, এতে ধর্মের কোন হানি হয় নি।“
    বাহ! কি সুন্দর কথা। বিবাহ, জন্ম, মৃত্যু সব ভগবানের ইচ্ছা। অথচ উন্নত বিশ্বে আজ বাল্য বিবাহ নাই বলেই চলে, আর জন্ম যদি ভগবানের হাতেই থাকতো তবে আমরা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কিভাবে গ্রহণ করছি? নাকি উন্নত বিশ্বের দেশ থেকে ভগবান সব নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেজ গুটিয়ে পালাচ্ছেন? যাদের ধর্ম-পুরুষ ভেবে জনসাধারণ পূজা করে এরাই প্রগতি বিরুধী সমাজের বড় শত্রু।
    ব্রাহ্ম সমাজের বিরুধীতা করতে গিয়ে নারীকে গরু ছাগলের সাথে তুলনা করতে কার্পণ্য করেননি রামকৃষ্ণ।
    শিবনাথ শাস্ত্রী রামকৃষ্ণের কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগের আদর্শ সম্পর্কে তিনি রামকৃষ্ণকে বলেছিলেন, “
    স্ত্রী লোকেরা ব্রাহ্মসমাজের সদস্যা ব্রাহ্মধর্ম হল একটি সামাজিক ও গাহস্থ্য ধর্ম, ব্রাহ্মসমাজ নারীজাতিকে শিক্ষা ও স্বাধীনতা দিতে চায়। সুতরাং কামিনী ত্যাগের কঠোর আদর্শ আমরা বিশ্বাস করি না।“
    এর পরিপ্রেক্ষিতে রামকৃষ্ণ বলেছিলেন –“চারাগাছ নিয়ে মালী কি করে? ছাগল গরু থেকে বাঁচাবার জন্য বেড়া দেই। পরে চারাগাছ যখন বেড়ে ওঠে তখন আর বেড়া দেওয়ার দরকার হয় না। আমাদের আধ্যাত্মিক জীবনেও আমরা তাই করি।“
    শিবনাথ তাতে বলেছিলেন –“আমি আপনার মতো নারী জাতির কাজকে গরু ছাগলের মতো ধ্বংসাত্মক মনে করি না। আমাদের সংগ্রাম ও সামাজিক অগ্রগতিতে তারা সহায় হতে পারে।
    রামকৃষ্ণের এক শিষ্য গিরিশচন্দ্র ঘোষ শ্রী রামকৃষ্ণ, শ্রী শ্রী মা ও বিবেকানন্দ বইতে তখনকার ধর্ম বিপ্লবের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন –
    “পরমহংসদেব যখন জগ্‌ৎ সমক্ষে উদয় হন, তখন ঘোরতর ধর্মবিপ্লব।“
    জড়বাদী মুক্তকণ্ঠে বলিতেছেন –“জড় হইতেই সমস্ত,জড়ের সংযোগেই আত্মা, জড় ব্যতীত আর কিছু নাই।“ ব্রাহ্ম সমাজ বলেন –“বেদ, বাইবেল, কোরান প্রভৃতি কিছুই মানিবার আবশ্যক নাই, কোনটিই অভ্রান্ত নয়, কোনটিই ঈশ্বর বাক্য নয়। এমন সময় পরমহংসদেব প্রচার করলেন “কোন ধর্ম কোন ধর্মের বিরোধী নয়। বাহ্য দৃষ্টিতেই বিরোধ কিন্তু সকল।
    ধর্মে ধর্মে বিরোধ আছে কি নেই? তা অন্তর্দৃষ্টি বাহ্য দৃষ্টি দুভাবে দেখলেই বোঝা যায়।
    যাক এখন প্রশ্ন উঠতে পারে প্রাচীন ভারত থেকে দেখে আসছি নানা সময় নানা যুক্তিবাদী মতবাদ আন্দোলনের আকার নিলেও তা পুরো সফল হতে পারে না। কোন না কোন ঈশ্বর সন্তান নামধারী ব্যক্তি এসে একে প্রতিহত করে দেয়। যেমন প্রাচীন ভারতে শঙ্কর বেদান্তের ভাব জোয়ারে বস্তুবাদ ধ্বংস হয় আর উনবিংশ শতকে ধর্ম-বিদ্রোহ প্রতিহত করে রামকৃষ্ণের ভাব জোয়ারে।
    কিন্তু এর কারণ কি? প্রথমত আমার মনে হয় বিভিন্ন সময়ের যুক্তিবাদী আন্দোলনগুলি একটি নির্দিষ্ট বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর কাছে রয়ে গিয়েছিল সাধারণ মানুষের কাছে এর সারমর্ম সঠিকভাবে পৌঁছায়নি।
    দ্বিতীয়ত আদিযুগ থেকে চলে আসা অলৌকিক চিন্তাধারাগুলি বংশ পরম্পরায় আমাদের মস্তিষ্কের কোষে কোষে রয়ে গেছে তাই একটু অলৌকিকতার সুড়সুড়ি পেলেই যুক্তির ধার না ধরেই জনশ্রুত সেই অলৌকিকতার নামধারী ব্যক্তিদের দিকেই ছুটতে থাকে। তবে আজ সময় এসেছে এটা ভেবে দেখার আমরা একটা সুন্দর সমাজ গঠনের লক্ষ্যে নিয়ে নিজের যুক্তি বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে নিয়ে যাব নাকি অলৌকিকতার ধ্বজাধারীদের আদর্শ মেনে অন্ধ থেকে যাব।

    (কিছুদিন আগে রামকৃষ্ণ মিশনের পৃষ্ঠপোষক এক ডক্টরেট-ধারী ব্যাক্তির সঙ্গে রামকৃষ্ণের অলৌকিকতার ঘটনাগুলি নিয়ে তর্কে জড়িয়ে যাই। তর্কাতর্কির এক মুহূর্তে তিনি যখন দেখলেন তিনি আর বেশী যুক্তি দেখাতে পারছেন না। তখন তিনি আমাকে গণ্ডমূর্খ, নির্বোধ ইত্যাদি পদবিতে ভূষিত করে আমার উপর ঝাপিয়ে পড়েন। এরপর থেকেই একটা লেখা লেখব বলে ভাবছিলাম কিন্তু সময় সুযোগ হয়ে উঠছিল না। অনেক ব্যস্ততার মধ্যে লেখাটি তৈরি করেছি। কোন ভুল থাকলে ক্ষমা প্রার্থী সঙ্গে সমালোচনাও কাম্য
  • lcm | 69.236.167.153 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ১২:০০536575
  • বোঝো! আবার একই এপিসোড হতে চলেছে নাকি, রিপিট টেলিকাস্ট মনে হচ্ছে! কদ্দিন আর এক লেবু কচলাবে জনতা....
  • ranjan roy | 122.168.25.119 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ১২:৫৩536586
  • এল সি এম এর সঙ্গে সহমত।
    বিপ্লববাবু কি চাইছেন?
    সবাইকে অন্ধকার থেকে আলোকে আনা?
    কিন্তু ডায়লগের জন্যে একটু পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অ্যাকসেপ্টিবিলিটি দরকার। কিন্তু উনি তো শুরু থেকেই নিজেকে অনেক উর্দ্ধে বসিয়ে রেখেছেন।
    যেমন, উনি নাকি ভক্তদের স্তরে নামতে পারবেন না। তবে এই লেখা কেন?
    আর আমাদের মত যারা ঈশ্বরবিশ্বাসী ন'ন, তাদের কাছে বিবাবু ও ওনার বন্ধুর লেখার মধ্যে নতুন কিছু নেই। তারচেয়ে বড় কথা এতে কোন বিশ্লেষণ নেই।এগুলো ও এক ধরণের প্যামফ্লেটিয়ারিং, খালি টেবিলের ওপাশ থেকে।
    এই ধরণের ভক্ত ও নাস্তিক আসলে একই মুদ্রার দু'পিঠ।
    এই ধরণের ইন্টেলেক্‌চুয়াল অ্যারোগ্যান্স অসহনীয়।

    "" আজকে তোকে সেই কথাটা বোঝাবই বোঝাব,
    না বুঝবি তোর মগজেতে গজাল মেরে গোঁজাব''।।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ১২:৫৯536597
  • তার থেকেও বড় কথা রামকৃষ্ণের নাম করে যে কোটগুলো করা হয়েছে একটার-ও সোর্স দেওয়া হয়নি।

    এরকম লেখার সাথে কি তর্ক করা যায়? এ তো ছায়াযুদ্ধ!
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ১৩:০২536608
  • ইন ফ্যাক্ট সেই সমাজে রামকৃষ্ণের ভুমিকা ইতিবাচক নেতিবাচক দুই দিকেই খুব ইম্পরটান্ট।

    শুধু রামকৃষ্ণ কেন, বাবা লোকনাথ বা বাবা তারকনাথের ভুমিকা নিয়েও মার্ক্সবাদীদের ভাবার সময় এসেছে। সাব-অন্টার্ন মানসে এ ধরনের গন-জাগরণের ব্যাখ্যা কি?
  • pi | 72.83.76.34 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ১৩:০৮536619
  • আগেরবার অত পাতার পর পাতা তর্ক করে তাইলে আর লাভটা কী হইলো ? :(
    ইপদা আর ওনার দেওয়া লেখা নিয়ে মূলত: যে অভিযোগ ছিল, তথ্যসূত্র ঠিক করে না দেওয়া, কনটেক্‌স্‌টবিহীন ভাবে কোট করা , আবার তো সেই !আর, যা বলা হয়েছে, সেগুলো নিয়েই ক'দিন আগে কথা হল না ?
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ১৩:১২536630
  • ওহ এটা নিয়ে আগেও একপ্রস্থ হয়ে গেছে?
  • Bratin | 117.194.100.110 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ১৩:১৩536633
  • শুধু বিপ পাল কে নিয়ে টই চাই। এই শীর্ষকে ' এই শতাব্দী র শ্রেষ্ঠ মনিষী : বিপ্লব পাল'
  • sda | 117.194.193.0 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ১৩:৩৪536565
  • বিপ পাল - একটি বৈপ্লবিক ব। :)
  • PM | 86.96.163.11 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ১৫:০২536566
  • বিপ বাবুর সম্পর্কে ওনার নরেন্দ্রপুরের কেলাস মেট একট চমৎকার বক্তব্য রেখেছিলেন পুরোনো টই তে। তার পর থেকে ওনাকে আমি টোটাল দিস্কাউন্ট দি। আপনারাও রাগ কইরেন্না।

    বিপবাবু টই এর সম্পদ। এরকাম অনাবিল আনন্দা ওনার অ্যাটিচ্যুড দেখে পাওয়া যায় বলার নয়। আর পুরোটাই ফিরিতে। এই বাজারে ফ্রী এন্টার্টেনমেন্ট মন্দ কি?
  • raamakrishna paramahansa 2.0 | 117.194.238.133 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৫১536567
  • ঝাঁপিয়ে পড়ার পর ঠিক কিভাবে সেই ভদ্রলোক এইটাকে ক্যালালেন? জানলে মজা পাই।
  • tatin | 122.252.251.244 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ১৯:০২536568
  • পুরো সপ্তরথীর মতন সবাই তেড়ে আসছে দেখছি
  • Biplab Pal | 68.33.140.55 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ২০:৫৭536569
  • প্রথমত লেখাটা আমার না।

    দ্বিতীয়ত ইপ্সিতার উদ্দেশ্যে জানাচ্ছি, যারা শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনী নিয়ে নুন্যতম জ্ঞান ও রাখে, তারাও এই ঘটনাগুলি জানে। ইপ্সিতা আর কদিন বাদে হয়ত বলবে, আইনস্টাইন যে জি টি আর সমীকরন লিখেছিলেন, তার রেফারেন্স কোথায়!! তবে লেখকের লেখায় কন্টেক্সচুয়াল ভুল অবশ্যই আছে।
  • Bratin | 14.96.67.41 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ২২:০৪536570
  • হ্যাঁ PM দা সেই পোস্ট টা মনে আছে :-))

    তা শেষ অবধি কবে আসছো?
  • PM | 2.50.43.169 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ২২:২৭536571
  • স্যর, আপনার ট্র্যাক রেকর্ড তো খুব-ই ভালো--মানে ভুলভাল কোটেসন আগে তো কম দেন্নি। এখানকার "নিম্ন মানের" লোকজন লোকজন বহুবার ধরেও দিয়েছে। তাই আপনে লিকলেই লোকে রেফারেন্স চায়।

    আর সবাই যখন সব কথা জানেন, নতুন কথা/তথ্য কিছুই নেই (আপনার কথামোতো), তার ওপোর "কনটেক্সচুয়াল" গন্ডোগোল-ও আছে (এটাও অপনার কথামোতো), তো খামোখা এত উচ্চ মানের লেখাটি এখানে দিয়ে লাভ?

    ব্রতীন, ওয়র্ক পার্মিট বাতিল করার প্রসেস চলছে। ২-৩ দিনের মধ্যে ফিরবো আশা করি।
  • Bratin | 14.96.67.41 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ২২:৫৪536572
  • ও গ্রেট। :))
  • anirban | 192.17.112.163 | ১০ এপ্রিল ২০১২ ০১:২৯536573
  • এই জন্যেই ঠাকুর বলেছিলেন - জটিলা কুটিলা না থাকলে লীলা পোস্টাই হয় না। :-)
  • ranjan roy | 14.97.118.212 | ১০ এপ্রিল ২০১২ ১০:৩৩536574
  • পি এম কে সাপোর্টালাম।
    যদি বিপ্লব নিজেই মনে করেন "অন্যের' লেখাটিতে
    কন্টেক্সচুয়াল ভুল আছে তবে--?
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১০ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৩৩536576
  • সবাই এরকম করলে খেলা হবে কী করে? না না, আমি বিপের দলে। কিসের সোর্স চাই বলুন। রাকৃর হিস্টিরিয়া বা হরমোনের সমস্যা তো জায়গায় জায়গায় পরিষ্কার লেখা আছে। মানে কোন হরমোন, তার নর্মাল রেঞ্জ কত আর ওনার কত ছিল - এ ব্যাপারে তিনখানা সোর্স এখুনি দিতে পারি। তার একটা ভুলে গেছি, আরেকটা মনে পড়ছে না আর অন্যটা ক্রসচেক করতে হবে। হুঁ হুঁ বাওয়া, ই কি আর অন্ধবিশ্বাস, দস্তুরমত ডাক্তারি প্রমাণ। এবার?
  • anirban | 192.17.136.137 | ১০ এপ্রিল ২০১২ ২০:২৬536577
  • সমস্যাটা তাহলে মনের নয়, হরমোনের।
  • nk | 151.141.84.239 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০১:০৬536578
  • আচ্ছা, এই অ্যাতো হর্মোনের কথা কি রা কৃ এর আমলে জানা ছিলো???? ধরা যাক কষ্টেসৃষ্টে জানা ছিলো, কিন্তু তা মাপার কোনো বন্দোবস্ত ছিলো????
  • nk | 151.141.84.221 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৬:৫৯536579
  • তখন তো দূরের কথা, হর্মোন মাপা এখনো সোজা না।
  • Biplab Pal | 68.33.140.55 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৪৬536580
  • যারা আমাকে গালাগাল দিচ্ছেন, তাদের কাছে সবিনয়ে অনুরোধ, আপনারা শ্রীরামকৃষ্ণের এই বাণীগুলির নিয়ে নিজেদের মতামত যদি ব্যক্ত করেন। নিজের মতামত এব্যাপারে দিলাম না।
    *****************
    মেয়ে মানুষের কাছে খুব সাবধান হ’তে হয়। মেয়ে ত্রিভুবন দিলে খেয়ে।

    আমি মেয়ে বড় ভয় করি। দেখি যেন বাঘিনী খেতে আসছে। আর অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ, ছিদ্র সব খুব বড় বড় দেখি! সব রাক্ষসীর মত দেখি।

    মেয়ে মানুষের শরীরে কি আছে – রক্ত, মাংস, চর্বি, নাড়ীভুঁড়ি, কৃমি, মূত্র, বিষ্ঠা এই সব। সেই শরীরের উপর ভালবাসা কেন?

    দেখ না, মেয়ে মানুষের কি মোহিনী শক্তি, অবিদ্যারূপিনী মেয়েদের! পুরুষগুলোকে যেন বোকা অপদার্থ করে রেখে দেয়। যখনই দেখি স্ত্রী-পুরুষ এক সঙ্গে ব’সে আছে, তখন বলি, আহা! এরা গেছে।

    হাজার ভক্ত হলেও মেয়েমানুষকে বেশীক্ষণ কাছে বসতে দেই না। একটু পরে হয় বলি –‘ঠাকুর দেখো গে যাও’; তাতেও যদি না উঠে, তামাক খাবার নাম করে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ি।

    যদি স্ত্রীলোক ভক্তিতে গড়াগড়ি যায়, তবুও তার কাছে যাতায়াত করবে না।

    মেয়ে মানুষের সঙ্গে থাকলেই তাঁদের বশ হয়ে যেতে হয়।

    মেয়ে ভক্তদের গোপাল ভাব- ‘বাৎসল্য ভাব’ বেশি ভাল নয়। ঐ ‘বাৎসল্য’ থেকেই আবার একদিন ‘তাচ্ছল্য’ হয়।

    মেয়ে মানুষের গায়ের হাওয়া লাগাবে না; মোটা কাপড় গায়ে দিয়ে থাকবে, পাছে তাঁদের হাওয়া গায় লাগে।
  • Biplab Pal | 68.33.140.55 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৫৩536581
  • বাই দ্যা ওয়ে, ঠাকুর খুব ভুল কিছু বলেন নি। পলিটিক্যালি কারেক্ট হওয়ার দায় না থাকলে, অধিকাংশ পুরুষ নারী নিয়ে এসবই লিখত। আর ঠাকুরের মন ত বালকসুল্‌ব্‌হ সরল।

    এব ঠিকই চলছিল। কিন্ত এখন প্রশ্ন হল, মানবের জন্ম হাওয়া থেকে না নারীর গর্ভে থেকে?

    আরো প্রশ্ন হল, নারীর নারীত্বে যে মুগ্‌ধ না, তাকে পুরুষ বলা যায় কি না?

    আরো গভীর প্রশ্ন হচ্ছে -মননে বা শরীরে যৌনতার অস্তিত্ব না থাকলে বেঁচে থেকে কি লাভ?
  • Sudipta | 71.68.123.243 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১০:৫৭536582
  • বিপ্লব পাল কে,
    ১) মানবের জন্ম হাওয়া থেকে না নারীর গর্ভ থেকে এ নিয়ে ঠাকুরের কোনো মন্তব্যের কথা জানা নেই, আপনার কাছে কোনো সোর্স থাকলে খোঁজ দিন।
    ২) নারীর নারীত্বে মুগ্‌ধ না হলে তাকে পুরুষ বলা চলে না একথা কে বলল? সমকামিতা কারে কয় তবে? এটা তো একুশ শতক মহায়!
    ৩) মননে বা শরীরে যৌনতা না থাকলে বেঁচে থেকে লাভ নেই বলছেন? কিন্তু সে বেঁচে থাকার অধিকার হরণ করার দায় আপনি কোত্থেকে পেলেন!

    আপনাকে প্রশ্ন:
    ১) রামকৃষ্ণ আপনার মতে ঠাকুর হলে আপনি এ টই খুলতেন না; সুতরাং তিনি আপনার মতে রুগী। বেশ, তো তাতে কি এসে গেল, মানে রামকৃষ্ণের যদি সমকামিতা বা মৃগীরোগের প্রকোপ থেকে-ও থাকে, তো তা দিয়ে রামকৃষ্ণের কোন অবদানটিকে আপনি ছোটো করতে চাইছেন সেটা তো খুলে বলতে হবে! শুধু খেউর করলে হবে? আপনি আর-ও বলছেন এসব নিয়ে ভক্তের লেভেলে নেমে আলোচনা করতে চান না, তবে এই টই খোলার সার্থকতা কি, টই খুলে নিজেই লিখবেন কেউ বিরোধিতা করবে না, সোর্স জানতে চাইলে জানাবেন না, নিজের মতের বাইরে কিছু অ্যাক্সেপ্ট করবেন না (সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে : কে সি পাল টাইপ), তাহলে ? একটা-ই পয়েন্ট আপনার পক্ষে যায়, টই খোলা আপনার ব্যক্তিগত অধিকার (তা-ও এক-ই বিষয় নিয়ে নতুন টই), তো সে নিয়ে কিছু বলার নেই।

    ২) আপনার কোট করা লেখার কন্টেক্সট নিয়ে আপনার কি বক্তব্য?
  • dukhe | 202.54.74.119 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১২:২৩536583
  • অ বিপ, এগুলো তো সদ্য সদ্য একবার হয়ে গেল। ঝাঁ করে হর্মোন আর হিস্টিরিয়ার ডাক্তারি প্রুফগুলো দিয়ে ফেলুন দিকি, ভক্তদের থোঁতা মুখ ভোঁতা করে দিই।
  • Bratin | 122.248.183.11 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১২:২৬536584
  • এ কেবল দিনে রাত্রে , জল ঢেলে ফুটা পাত্রে
    বিথা চেষ্টা তৃষ্ণা মিটিবারে,
    এক দিন দেখিতে হবে, কত খানি দিলে তবে
    ভিক্ষা ঝুলি ভরে একেবারে?

    মেকস সেন্স?
  • Ben Arfa | 121.241.218.132 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১২:৩০536585
  • কোটেশনে ভুল।

    "কহিলা দেখিতে হবে
    কতখানি দিলে 'পরে
    ভিক্ষাঝুলি ভরে একেবারে।'
  • Bratin | 122.248.183.1 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১২:৩১536587
  • আচ্ছা ।
    ধন্যবাদ অরি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন