এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাউন্ডুলে ইতিবৃত্ত

    DILIP RAY
    অন্যান্য | ০৩ এপ্রিল ২০১২ | ৫৫৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • siki | 155.136.80.36 | ১০ এপ্রিল ২০১২ ০৮:২৭538667
  • তাপ্পর?
  • DILIP RAY | 122.172.12.146 | ১০ এপ্রিল ২০১২ ১৬:২৫538668
  • ভালুক দেখেই আমার যা অবস্থা , সেকথা বলার নয় ।অকার্ত্তিক মগে করে লাল চা এনেছে,আরে দূর তখন লাল চা ।অআমি আর জঙ্গলের দিক থেকে মুখ ফেরচ্ছি না যদি অন্য কিছু মিস করি ।
  • siki | 122.177.24.139 | ১০ এপ্রিল ২০১২ ২২:০৮538669
  • কী মুশকিল! বলছি দাঁড়ির পরে একটা স্পেস দিন। নইলে একটা বাড়তি "অ' পড়ে যাবে বাক্যের শুরুতে।
  • I | 14.99.146.44 | ১০ এপ্রিল ২০১২ ২৩:৫০538670
  • ফাটাফাটি !
  • Lama | 117.194.228.196 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০২:১৭538671
  • দিলীপদা, তাড়াতাড়ি চা শেষ করুন। এদিকে টই থেকে মুখ ফেরাতে পারছি না, পাছে অন্য কিছু মিস করি
  • aka | 75.76.118.96 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৬:৩২538672
  • দুর্দান্ত। হাত চালিয়ে লিখুন।
  • Nina | 68.34.167.250 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ০৭:০০538673
  • আরে বাহ! তারপর?
  • indranil bakshi | 117.214.0.4 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ১৮:২২538674
  • \দারুন হচ্ছে দীলিপদা, আসলে বলা ভাল দারুন হয়েছে...।অতবে এভাবে পরতে চাইছিনা একদম। সংকলিত আকারে চাই ।
  • siki | 122.177.24.139 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২১:৩৬538675
  • দিলীপদা, আপনি দাঁড়ির আগে স্পেস দিয়েছেন। ভালো করে দেখুন, দাঁড়ি দেবার পরে স্পেস দিতে হয়। আপনার স্পেসগুলো দাঁড়ির আগে পড়ে গেছে।
  • pi | 72.83.76.34 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২১:৪৭538677
  • আর দিলীপদা, মেশিনে কোন ডক ফাইলে একটু একটু ক'রে লিখতে থাকুন। তাতে সময় নিয়ে স্পেস, বানান ইত্যাদিও দেখে নিতে পারবেন। নেট তো অল্পসময়ের জন্য পান, তখন একসাথে কপি পেস্ট ক'রে এখানে পোস্টালেই হয়ে যাবে।
  • aka | 168.26.215.13 | ১১ এপ্রিল ২০১২ ২২:৩৩538678
  • ওসব ডক ফক পড়ে হবে। আজকের কিস্তিটা নামান দিকি। সবে গাড়ি জঙ্গলে ঢুকেছে।

    ইসে হয়েছে। একটা কোশ্চেন করি। ইঞ্জিনে কি বাথরুম থাকে? আমার বহুদিন অবধি গার্ড হবার ইচ্ছে ছিল। সেইথেকে প্রশ্নটা। রাত বিরেতে বড় পেলে কি উপায়?

    না করে পারলাম না, ক্ষমা মার্জনীয়। লেখা এমনি চলুক। শুধু সময় করে একলাইনের উত্তর।
  • pi | 72.83.76.34 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০২:০৬538679
  • পরের কিস্তিগুলো যাতে নামাতে পারেন, সেজন্যই বলা। খুব কম সময়ের নেট পান বলে চাইলেও বেশি লিখতে পারছেন না, এই অসুবিধার কথা জানিয়েছেন বলেই বলা।
  • Nina | 68.34.167.250 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৫:১৪538680
  • @ আকা
    হা হা হা হা
    তাইজন্যে বোধহয় দেশে ট্রেনগুলো মাঝে মাঝে মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে যেত-----:-))))
  • DILIP RAY | 122.172.12.70 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১৩:০৭538681
  • চা ফা তখন আমার মাথায় । প্রফুল্লদা জিজ্ঞেশ করলেন কি দাখতাছেন ?আমি বলি ঐ যদি কিছু আবার দেখতে পাই । উনি বললেন এদিকে আসেন দেখি । আমি পড়ি কি মরি করে প্রফুল্লদার দিকে যাই ,কিছুই দেখি না। অনাকে বলি কি দেখাবেন ? উনি রাগত সুরে বল্লেন কানা নাকি ? গাছগুলার দিকে তাকান । ওরে বাবা এসব কি ?প্রত্যেকটা গাছে প্রায় লটকে প্রছুর সাপ । এত সাপ আমি চিড়িয়াখানাতেও দেখিনি । জিজ্ঞেশ করি অগুল কি সাপ ? উনি জবাব দেন , বেসির ভাগই অজগর , কিছু বিসাক্ত সাপ আছে । বলে কি লোকটা । কেমন নিরবিকার মুখ । যেন বুদ্ধদেব ।
  • S | 99.26.200.89 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১৬:১৮538682
  • আরো আরো চাই
  • DILIP RAY | 122.167.172.90 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ১৯:১৯538683
  • প্রফুল্লদার দিকে তাকালে মনে হচ্ছে এসব সাপ টাপ কোন ব্যাপারই না এ যেন আরশোলা কি পিঁপড়ে দেখছে । তবে পরে আমারও এ ভুল ভেঙেছিল পরে আমার একটা উনিশ ফিট পাইথন ছিল আমার পোষা । সে গল্প পরে। প্রফুল্লদা বল্ল ভালুক আর সাপ দ্যাখেই এই অবস্থা তাইলে বাঘ , হাতি , চিতা , গণ্ডার দ্যাখলে কি করবা শুনি ? আমি তখন কি আর কিছু শোনানর অবস্থায় আছি ?আমার হাতের পাঁচ হাতের মধ্যে অত সাপ দেখেই আমার চক্ষু চড়কগাছ,তার পর আবার বাঘ , গণ্ডার, জয় মা যা থাকে কপালে একবার দেখিয়ে দে মা তকে অনেক হামি দেবো ।অআমার যে হালায় আর কিছু দেওনের মতো নাই।
    প্রফুল্লদা হটাৎ বল্লেন শুনেন মশয় , বাঘ গণ্ডার চিড়িয়াখানায় গিয়া পয়সা দিয়া দেখতে পাইবেন। কিন্তু আজ আমি যা দেখামু তা আপনি সারা পৃথিবীতে দেখতে পাবেন কিনা সন্দেহ। সে আবার কি রে বাবা !!
    প্রফুল্লদার উত্তর সব হবে ধীরে বন্ধু ধীরে । ট্রেন তখন রঙ্গিয়ার ইয়ার্ডে ঢুকছে । জয় মা @@ এবার মানাসের জঙ্গল। ড্যাং ড্যাং করে নাছতে লাগলো হৃদয় ।অ।
  • Manish | 59.90.135.107 | ১৪ এপ্রিল ২০১২ ১৩:১২538684
  • ও দীলিপ দাদা একটু রন পায়ে হাটুন না। বড্ড অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
  • DILIP RAY | 122.172.17.8 | ১৪ এপ্রিল ২০১২ ১৯:৩১538685
  • এইবার এসে গেল রঙ্গিয়া স্টেশন । প্রফফুল্লদা বলল , খাবা না কিছু ? আমি বলি কি খাবো ? উনার জবাব আপ্নের মনে হয় খাওয়া দাওয়া লাগবই না। জন্তু জানওআর দেখেই আপনের পেট ভরবে । আমি বলি তা কেন ? আসলে এত সকালে কি খাব ? ক্যান সকালে টিফিন করেন না । আমি ঘাড় কাত করি । দূরে দেখতে পাচ্ছি ভুটানের পাহাড় অর পাশ দিয়েই যাব আমরা , পাশে পড়বে মানসের জঙ্গল , অরে মা রে একবার বর সর কিছু দেখিয়ে দে মা , আর কখনো কিছু চাইব না । এর মদ্ধেই পরতা আর ছা এসে গেছে , কারিক বাবু জিন্দাবাদ। প্রাত্যহিক কাজ সারা হোল । প্রফুল্লদা বলে দিলেন আর কিন্তু এই সব পাইবেন না অসব পাইলে বলবেন গারি থেকেই করতে হবে টেকনিক আমি দেখিয়ে দেবো । সে এক জিনিশ বতে মাল্গারি তে তো আর বাথরুম নেই , স্নান আর বাকি অন্য কাজ করার তেকনিক দেখলে ছখ কপালে উথে যাবে। আবার শুরু হল চলা ,ত্রেন যতো এগোচ্ছে তত রাস্তা আর জঙ্গল দুইই খারাপ হচ্ছে ।অএবার জয় মা মানসের জঙ্গল।অ।অচল গাড়ী চল জলদি জলদি ।অ।
  • Niladry Deb | 27.125.202.27 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৬:১১538686
  • দিলিপ দা, একটু বিস্তারিত বিবরন চাই, অসাধারন হচ্ছে থামালে চলবে না, পরবর্তী পোষ্ট এর জন্য অপেক্ষায় রইলাম
  • DILIP RAY | 122.172.36.240 | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ১৯:২৩538688
  • এবার ট্রেন আস্তে আস্তে অরুণাচলের মধ্যে ঢুকছে সবে লাইন বসছে তাই খুব সাবধানে চলছে গাড়ী , সে চলুক , আমি সুধু তাকিয়ে আছি পাশের ঘন মানসের জঙ্গলের দিকে । হঠাৎ প্রফুল্লদা চীৎকার এই কেটো শালা জলদি গারিতে লাগা ব্রেক , ক্যান দাদা , কারতিকের জিজ্ঞাসা ,সালা চোখের মাথাখাইছস নাকি? সামনে কি দ্যাখস ?আমিও সঙ্গে সঙ্গে উঁকি । ওয়াও এ কি দেখছিস রে মঙ্গু ,কথায় কেনিয়া সাফারি রে ? চোখের সামনে গোটা পনেরো হাতি সংসার পত্তর নিয়ে লাইনের অপর,সেখানেই তাঁদের ভোজন পর্ব । প্রফুল্লদা বল্ল ব্যাস , আজকের মত হয়ে গেলো । আমি বললাম কেন ? বোঝেন নাই এরা যতক্ষণ না যাচ্ছে ততক্ষণ গাড়ী নরতেই পারবে না। ওনাদের অখান থেকে সরানোর ক্ষমতা কারর নেই। এদের মরজির ওপর সব নির্ভর করছে। আসলে ঠিক সেই সময়ে অরুণাচলে নতুন রেল লাইন পাতা হচ্ছে । আর্মির লোকেরা একটা টেম্পোরারি ব্রিজ তইরী হচ্ছিল ,তারা হটাৎ তারা কোরতে গেলো হাতিগুলকে , তারা জীপে করে আসছিল কোথা থেকে কে জানে ? বাস যাবে কোথায় হটাৎ হাতি গুলো ক্ষেপে গিয়ে করল তাড়া । ব্যাস , আমাদের বীরপুরুষদের অবস্থা দেখার মত, সব জুত জামা ফেলে জীপের দিকে দৌড় । আর হাতি যে অতজরে দৌড়াতে পারে , তার কন ধারনাই আমার ছিল না।অকি ভাবে সেদিন যে আমাদের বীর সৈনিকেরা নিজেদের প্রান বাঁচিয়েছিল তা এখন ভাবলে আমার হাসি পায়।
  • DILIP RAY | 122.172.8.56 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ১২:২৮538689
  • কিন্তু এর ফলে একটা সুবিধা হোল , হাতিগুলো ওদের তাড়া করতে গিয়ে লাইনের ওপর থেকে ওরা বিদায় হোল নইলে কতক্ষণ যে বসে থাকতে হতো ঐ একজায়গায় তা ভগবানই জানে। এই সময় নর্থ ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রেলের কাজ চলছিল ,তাই ট্রেন খুব ধীরে ধীরে ছলছিল,তাতে আমি পাশের এবার প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া জঙ্গল ফেলে আস্তে হচ্ছিল , তাকিয়ে দেখছিলাম পাশের পাহাড়ের গায় ছোট গ্রাম আর ঝুম চাষ ।অবেলা প্রায় একটা বাজে কি খাবো বুঝতে পারছি না , তখন দেখি প্রফুল্লদা কার্তিককে কি ইশারা করলেন,আর কার্ত্তিক কোত্থেকে যেন একটা অ্যালুমিনিয়ামের হাড়ী বার করলো , সে হাঁড়িতে অন্তত দশ জনের ভাত রান্না করা যায় ।
    কার্ত্তিক হাঁড়িটা বয়লারের জলে ধুলো , তারপর প্রায় দু কিলো চাল দিল এবং অই বয়লারের জল দিয়ে একটা বিরাট সাঁড়াশির মত জিনিশ দিয়ে হাঁড়িটা ঐ আগুনের কুণ্ডে বসিয়ে দিল , জারা না দেখেছে তারা কোনদিনও বিশ্বাস করবে না যে ওরকম ভাবে ভাত রান্না হয় , তাও আবার পাঁচ মিনিটের মধ্যে ।অপরে আর মজার মজার রান্না ওদের কোরতে দেখেছি , প্রতি মুহূর্তেই বিস্মিত হতে হয়েছে ।অপ্রফুল্লদা বল্ল যে আজ সিদ্ধ ভাত খেয়ে কাটান রাতে মাংস খাওয়াব। ও হরি এ আমি কাদের পাল্লায় পড়েছি ! প্রফুল্লদা বল্লেন স্নান করবেন তো ? আমি চারিদিকে তাকাচ্ছি , এখানে কোথায় স্নান ? প্রফুল্লদা বল্লেন গায়ে তো মনে হয় সাতদিনের ময়লা। এই কার্ত্তিক গামছাতা দে তো ,না আপ্নের গামছা তোয়ালে কিছু আছে ? আমি বলি আছে । আমার ঐ সুটকেসে । বার করেন,কইরা পড়েন ,আজ আপনেরে ধোয়াবো ।অআমি ভাবলাম সে আবার কি ?আমি কি বাচ্চা ছেলে নাকি যে আমাকে স্নান করিয়ে দেবে। তখন কি জানি আমার কপালে কি স্নান নাচছে ? প্রফুল্লদা আমাকে তোয়ালে পরিয়ে নীচে নামিয়ে দিলেন ,এবং বললেন একটু চাকার সামনে বসেন, আমি একটু এগিয়ে যাই , উনি চিৎকার করে ওঠেন , অত কাছে না,অত কাছে না , পুড়ে মরবেন নাকি ? আমি ভাবছি কি রে বাবা অই বয়লারের ফুটন্ত জল আমার গায়ে ঢেলে দেবে নাকি ? আমি আর একটু দূরে সরে বসি, প্রফুল্লদা বলেন ঘাবড়াইবেন না,প্রথমে একটু গরম লাগলেও পরে দেখবেন কি আরাম ! আর সব ময়লা সাফ । আম,ই দূরে চাকার পাশে চুপ করে বসে আছি।অপ্রফুল্লদা বললেন , রেডি ...। আমি ঘাড় নারলাম।অপ্রফুল্লদা হটাৎ স্টিমের হাতলটা ধরে মারলেন এক টান , বাস হু হু করে গরম স্টিম আমার সারা গায়ে ছরিয়ে পরতে লাগলো । কথায় লাগে স্পা বা বিউটি পার্লারের সাওনা বাথ । আমার চেহারা তখন একটা ছাল ছাড়ানো মুর্গির মতো ।আনেকটা জন্মের পর শিশুরা যেমন হয় অনেকটা সেরকম । জীবনে এর পরে বহু জায়গায় গিয়েছি , কিন্তু এই মালগাড়ীতে আমার খাওয়া ও স্নান করা এক অদ্ভুত স্মৃতি হয়েই থাকবে ,।অ।
  • Jhiki | 182.253.0.99 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ১২:৫৫538690
  • অসাধারন!
  • b | 125.20.82.164 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৫৬538691
  • টিপ্পনি:
    সে রাম-ও নাই সে অযোধ্যাও নাই। গৌহাটি-রঙ্গিয়া লাইনের দুধারে এখন শুধু বাড়ি, কারখানা, হাইওয়ে, উন্নয়ন।
  • Niladry Deb | 27.125.201.197 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২০:১৪538692
  • দিলিপ দা যা একখান নামাইতাছেন, ১২ কেজি সাইজের আস্ত রসালো পাকা কাঠাল, যার কোয়ায়, কোয়ায় রসে টইটুম্বুর, থামলে চলব না মশাই, মাথাটা আপনেই খাইছেন। অফিসের পর এক্সট্রা টাইম ম্যানেজ কইরা পরতাছি, বাড়িতে খুব সমস্যা তবু লেখাটা শেষ না পইরা বাড়ি যাইতে পারতাছি না।
  • siki | 122.177.249.153 | ১৬ এপ্রিল ২০১২ ২০:৪৮538693
  • দিলীপদা,

    যেটা চেয়েছিলেন, ফেসবুকে আপনাকে পার্সোনাল মেসেজ করে দিয়েছি।
  • aranya | 144.160.226.53 | ১৭ এপ্রিল ২০১২ ০৬:০১538694
  • দিলীপ বাবু যে কি মারাত্মক ভাল লিখছেন। একটু হিংসেও হচ্ছে - এমন বাউন্ডুলে জীবন অধরা রয়ে গেল। মানস, অরুণাচলের জঙ্গল - স্বপ্নের জায়গা সব।
  • DILIP RAY | 122.172.23.125 | ১৭ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৫৬538695
  • স্নান ডিম সেদ্ধ আলুসেদ্ধ আর কাচালঙ্কা ও পেঁয়াজ দিয়ে ফাটিয়ে দুপুরের খাওয়া হোল ।অপ্রফুল্লদা বললেন ঘুমানো চলবে না । এক্ষুনি একটা গ্রাম আসবে ।অঐখানে যেতে হবে ,এখানে তখন সবে রেলের কাজ চলছে , প্রছুর মঙ্গলিয়ান ধাঁচের চেহারা নিয়ে শ্রমিক কাজ করছে। প্রফুল্লদা বললেন এরা হচ্ছে আবাতানি ট্রাইব , এরা অরুনাচলের সবচেয়ে সভ্য । বাকি জা আছে তা দেখলে আপনে অবাক হইয়া যাইবেন মশয় , তারা জানেও না এই দেশটার নাম ভারতবর্ষ , এবং ওদের ধারনা পাহাড়ের পিছনে যেখানে সূর্য ডুবে যায় , সেখানেই পৃথিবী শেষ । তাই তারা পাহাড়ের ওপারে যায় না ,আর এরোপ্লেন গেলে সাষ্টাঙ্গ প্রনাম করে কারণ ওদের ধারনা ওটা পাখীর দেবতা । আর সবচেয়ে মজার কথা এই ট্রাইবটার নাম "আদি" । অদ্ভুত না ? যাকগে ট্রেন খুব ধীরে ধীরে চলেছে । রেলের কাজের জন্য এই দুরবস্থা । শিলাপাত্থর অবধি এমনি চলবে , তারপর আবার ফিরে রঙ্গিয়া হয়ে অন্যদিকে। প্রফুল্লদা বললেন কারতিচক গাড়ী থামা , দাস শর্মা কে দেকেও বললেন সার , এইহানে এক্তু খাড়াই , এমনিতেও তো কসন আছে । এনারে একটু হাট টা দেখিয়ে আনি । আমি তখনো বুঝিনি প্রফুল্লদা এই হাট দেখানোর কথা বারবার বলেছেন । কেন তা বুঝতে পারছিলাম না , যতক্ষণ না আমি পৌঁছলাম , রাস্তায় জাবার সময় দেখলাম দলে দলে লোক চলেছে , কিন্তু অবাক কান্দ এই যে বেশির ভাগ লোককে দড়ি দিয়ে বাঁধা ।অদু কি তিনজন লোক তাদের নিয়ে যাচ্ছে অনেকটা গরু ছাগল নিয়ে যাওয়ার মতো , এই ১৯৯৫ সালেও ভারতবর্ষে এই অবস্থা । নারী পুরুষ নির্বিশেষে । ভাবতে পারেন কেউ ? আমি তারপর যা দেখেছি তা শুনলে আমরা যে এক উন্নতিশীল স্বাধীন দেশে বাস করি এতা ভাবলেই নিজের লজ্জা করবে।
  • aka | 168.26.215.13 | ১৭ এপ্রিল ২০১২ ১৯:০০538696
  • আপনি আস্তে ধীরেই লিখুন। তারপরে দিনকতক গেলে স্পিড বাড়লে হু হা করে লিখবেন। আমার তো এই ছোট ছোট প্যারা দিব্য লাগছে। বহুত ভালো হচ্ছে।
  • DILIP RAY | 122.172.20.240 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ১২:৩৯538697
  • ট্রেনটা একটু পরে প্রফুল্লদা দাঁড় করিয়ে দিলেন । অবশ্যই গার্ডের সাথে কথা বলার পর ।
    দেখতে পাচ্ছি দল বেঁধে লোক চলেছে এক দিকেই । প্রফুল্লদা বল্লেন আমরাও ওদিকেই যাব ,আমি জিজ্ঞেস করি কেন ওদিকে কি আছে ? প্রফুল্লদা বললেন ওদিকে একটা হাট আছে । তবে আপনে যে ধরণের হাট দেখেছেন , এ সে হাট নয় , আমার কৌতুহল বারতেই থাকে । কিন্তু যখন অই দড়ি দিয়ে বাঁধা মানুষদের নিয়ে যেতে দেখলাম তখনই মনে হোল আজ আমি এমন জিনিশ দেখতে চলেছি , যা আর জীবনে না দেখা যাবে না সনা যাবে । আধ ঘণ্টার মতো হাঁটার পর একটা উপত্যকার মত জায়গায় এশে গেলাম । প্রচুর মানুষ সবই আদিবাসী এক আমরাই বোধ হয় অন্য জাত ।
    শুধু পুরুষ নয় মেয়ে , ছেলে , বুড়ো , বুড়ি সবই আছে। তবে বেশ কিছু মানুষের পোশাক আশাক একটু অন্যরকম । তারা বেশ সমৃদ্ধ বলে মনে হল। সেই সময় একজন লোক এশে বিকত শব্দে এক্তি শিঙা বাজাল ,আর সঙ্গে সঙ্গে কিছু লোক গরু ছাগলের মতো কিছু লোককে দরি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় নিয়ে আসতে লাগলো । তার মদ্ধে পুরুষ , নারী , ছোট বাচ্চা সবই আছে, আমি প্রফুল্লদার দিকে তাকাতেই উনি ফিসফিস করে বললেন এদের বিক্রি করা হবে। আর অই যে লোকগুলোকে দেখছ ওরাই কিনবে । আমি জিজ্ঞেশ করি কিনে কি করবে ? উত্তর আসে কাজে লাগাবে,জারা এক্তু শক্তপোক্ত তারা পাথর ভাঙা বা খেতে বলদের বদলে হাল টানবে। আর মেয়েরা শয্যা সঙ্গিনী ছাড়াও ঘরের সব কাজ করবে । ক্রীতদাসের গল্প সুনেছ তো এই সেই ক্রীতদাস ।অদেখ ।
  • SUVRA BHATTACHARYA | 65.255.37.195 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ১৬:২৭538699
  • 1Þ01ß81Ú51Ý11á31Ü91à11Þ61à71ß01ß91Þ41á11Þ21Ý11ß91Ý41ß91Þ61à01Ý81Ý41ß81Þ41ß21ß81Ý31à71Ý81á31Þ41Ý31Þ21Ú21Þ61ß81Ý81Û11Ú31Ü41ß81Ý61à11ã11ß81Þ41à01Ý21à7!
    1Ý81á31Þ41Ý31Þ21Ý41ß91Ý61à71Þ41Ú21Þ61ß81Ý81à71Ú31Ý21ß81Ù71Þ4
    1Ü41à01Þ01Ý61à71Þ41Þ01ß91Ý81à11Þ61Ú11Þ11ß91Ü41á31Ü61Ý21ß81Þ4
    1Ü51á11Þ61ß81Ü51à71â81à71Ú21Ý21á31Þ21Ü41à81Þ01Ý61ß91Û71Ü21ß91Ý21á31Þ41Ý81Ü71à71ß21Þ21ß21ß81Þ21ã11ß91Û71Ý41à71ß01Û71ß81Þ61Ü41à01Þ01Ý61Û71à71Û71á31Þ31ß81Ý61Þ11ß81ß21à7
    1Ý51Þ41Ý21à71Ú11Ý61à11Þ41á11Ý51Û71Þ41à71Ü31ß91Þ61ß81Þ2!

    1ß21à71Ú31Ú11Ý61à11Þ41á11Ý51à71Þ41Ý81Þ41Û91Þ11à01Þ41Ý31à71Û71à71Û91Þ11à01Þ41Ý21Þ41ß01ß81Þ41à01Þ41à01Û71Û71á31Þ61à71ß01Ú11Ý21ß91Û71á31Þ41Þ21Û71Þ41à71Ý21ß91Ý61ß91Þ31à71Ú11Þ01ß01à71ß11à71Û71Þ61Þ21Û81à11Þ61à71Ü31à71Ý6,
    1Þ01ß81Ù81Þ61ß81ß21ß81ß31ß91Ý21á31Þ31à71Þ41Þ11ß81Û91á31Þ3!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন