এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জল/পানি

    tatin
    অন্যান্য | ২৪ মার্চ ২০১২ | ৪৩০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kaju | 121.242.160.180 | ২৭ মার্চ ২০১২ ১৯:৫৭541494
  • কবি বলেছেন,

    জলপানি পেলে হেই
    তবেই না ভালো ছেলে

    ইত্যাদি।

    আবার প্রাচীন কবি গেয়েছেন -

    জলের ওপর পানি না
    পানির ওপর জল

    ইত্যাদি।

    সুতরাং জল পানি দুটোই চাই। কারন জল আছে পানি নাই, এ হেন অবোস্তায় উহা পানিফল হইয়া যায়।
  • kelo | 117.254.255.70 | ২৭ মার্চ ২০১২ ১৯:৫৮541495
  • এ:, এই টইয়ে জদির অভাব বড় বেশী অনুভব করছি।
    পাইদিদি মলয়বাবুকে ফিল্ডে নামাতে পারলেন আর জদিকে পারলেন না ??
  • kelo | 117.254.255.70 | ২৭ মার্চ ২০১২ ২০:০০541496
  • একি!
    অন্তস্থ অ পড়ছে না কেন?

    জদির য়া কই?
  • pi | 72.83.76.34 | ২৭ মার্চ ২০১২ ২০:০৪541497
  • জয়াদি এখন ক্রমে ফেসবুক শিখছে, সেই আলোচনাগুলো দেখহে্‌চ। বাংলা হরফে পড়তে লিখতে এখনো অসুবিধা হচ্ছে বলছিলো। একদিন গিয়ে হাতে ধরে দেখিয়ে দেবেন ? এবারে গিয়ে এনিয়ে জাস্ট বসার সময় হলনা :(
  • kelo | 117.254.255.70 | ২৭ মার্চ ২০১২ ২০:১০541498
  • আপনার অন্তস্থ অ পড়ছে কি করে?

    আপনার পড়ছে কিন্তু আমার পড়ছে না, গুরুতে এত শ্রেনীবৈষম্য বলেই লোকে গুরু না শিখে ফেসবুক শেখে।
  • Kaju | 121.242.160.180 | ২৭ মার্চ ২০১২ ২০:১৪541499
  • য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় য় য়

    দেখুন আমারও পড়ছে।আমি এখানে শ্রেণীবৈষম্যের চিরকালীন শিকার এবং আপনার আদ্যনামের অধিকারী। তথাপি ...
  • kelo | 117.254.255.70 | ২৭ মার্চ ২০১২ ২০:২২541500
  • কাজুদা,
    একবারটি জ লিখুন তো। জ-য়-আ, জয়-আ।
    তবে কি আমারই এন্ডে গন্ডগোল? নাকি চোখে ভুল দেখছি- আন্ডা বেশী খেয়ে পেট গরম হল আমারই।
  • pi | 72.83.76.34 | ২৭ মার্চ ২০১২ ২০:২৪541501
  • বাংলাদেশের অনেকেই এনিয়ে ওখানে লিখছেন। চাকমারাও লিখছেন, তাঁদের ব্যবহৃত 'বাংলা' নিয়ে।

    যাই হোক, জলধি রায় আর আরিফ জেবতিক বাণী বসুর লেখা আর তাকে কাউণ্টার করে ফরহাদ মজহারের লেখাটি নিয়ে কিছু কথা বলেছিলেন। সেগুলো দিলাম।

    JaladhiRay''কারণ শেষাবধি এই অসুখ সাইকোলজিকাল নয় – এমনকি তার প্রকাশ অনেক সময় সাম্প্রদায়িক মনে হলেও আসলে তা পশ্চিম বাংলার হিন্দু বা বাংলাদেশের মুসলমানের মামলাও নয়, বরং বর্ণ ও শ্রেণির মামলা। সমাজের নীচের তলার মানুষগুলোর ভাষা যখন শক্তিশালী লেখকদের হাত দিয়ে হিন্দু/মুসলমান বা প্রমিত/মৌখিক/আঞ্চলিক ইত্যাদি ভেদ বিচারে ফালতু সময় নষ্ট না করে বাংলা সাহিত্যে জায়গা করে নিতে চাইছে যার কিছু হয়তো থাকবে কিছু টিকবে না তখনি এই অসুখ ধরা পড়তে শুরু করেছে।''

    ফরহাদ মজহারের এই বক্তব্যের দুইটা দিক আছে । একটা দিক হলো বাংলাদেশের সাহিত্যে যেসব আরবি ফারসি শব্দ প্রয়োগ হয় সেসব নিচের তলার মানুষের ভাষা, উপরতলার নয় । এখানে তিনি শ্রেণীকাঠামোর ব্যাপার টেনে এনেছেন । কিন্তু তাই কি? এই শব্দগুলো উপরতলার মানুষরা কি ব্যবহার করেন না?

    ''সোনার দিনার নেই, দেনমোহর চেয়না হরিণী
    যদি নাও দিতে পারি কাবিনবিহীন হাত দুটি,
    আত্মবিক্রয়ের স্বর্ন কোনোকালে সঞ্চয় করিনি
    আহত বিক্ষত করে চারদিকে চতুর ভ্রুকুটি;''

    ''কোনো এক ভোরবেলা, রাত্রিশেষে শুভ শুক্রবারে
    মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাকিদ;
    অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে
    ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ।''

    ''জামার ভিতর থিকা যাদুমন্ত্রে বারায় ডাহুক,
    চুলের ভিতর থিকা আকবর বাদশার মোহর,
    মানুষ বেকুব চুপ,হাটবারে সকলে দেখুক
    কেমন মোচর আদিয়া টাকা নিয়া যায় বাজিকর ।
    চক্ষের ভিতর থিকা সোহাগের পাখিরে উড়াও,
    বুকের ভিতর থিকা পিরীতের পূর্ণিমার চান,
    নিজেই তাজ্জব তুমি - একদিকে যাইবার চাও
    অথচ আরেক দিকে খুব জোরে দেয় কেউ টান।
    সে তোমার পাওনার এতটুকু পরোয়া করে না,
    খেলা যে দেখায় তার দ্যাখানের ইচ্ছায় দেখায়,
    ডাহুক উড়ায়া দিয়া তারপর আবার ধরে না,
    সোনার মোহর তার পড়া থাকে পথের ধূলায় ।
    এ বড় দারুন বাজি,তারে কই বড় বাজিকর
    যে তার রুমাল নাড়ে পরানের গহীন ভিতর । ''

    আরেকটা দিক হলো এমন আরবি ফারসি শব্দের ব্যবহারও আছে যা সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে না ।

    ''রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
    শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে,
    দরিয়া- অথই ভ্রান্তি- নিয়াছি ভুলে,
    আমাদেরি ভুলে পানির কিনারে মুসাফির দল বসি
    দেখেছে সভয়ে অস্ত গিয়াছে তাদের সেতারা, শশী।
    মোদের খেলায় ধুলায় লুটায়ে পড়ি।
    কেটেছে তাদের দুর্ভাগ্যের বিস্বাদ শর্বরী।''

    ''তুমি দেখছ না, এরা চলে কোন আলেয়ার পিছে পিছে ?
    চলে ক্রমাগত পথ ছেড়ে আরও নিচে !
    হে মাঝি ! তোমার সেতারা নেভেনি একথা জানো তো তুমি,
    তোমার চাঁদনি রাতের স্বপ্ন দেখেছে এ মরুভূমি,
    দেখো জমা হল লালা রায়হান তোমার দিগন্তরে;
    তবু কেন তুমি ভয় পাও, কেন কাঁপো অজ্ঞাত ডরে !
    তোমার জাহাজ হয়েছে কি বানচাল,
    মেঘ কি তোমার সেতারা করে আড়াল ?''

    ''উচ্ছৃঙ্খল রাত্রির আজো মেটেনি কি সব দেনা ?
    সকাল হয়েছে । তবু জাগলে না ? তবু তুমি জাগলে না ?
    তুমি কি ভুলেছ লবঙ্গ ফুল, এলাচের মৌসুমী,
    যেখানে ধূলিতে কাঁকরে দিনের জাফরান খোলে কলি,
    যেখানে মুগ্‌ধ ইয়াসমিনের শুভ্র ললাট চুমি
    পরীর দেশের স্বপ্ন সেহেলি জাগে গুলে বকাওলি ?''

    SushantaKar‎JaladhiRayআপনি ফারহাদ মাজহারের, কথাটাকে পরিপ্রেক্ষিত থেকে ভিন্ন করে পড়েছেন। পুরোটা এবারে পড়ুন, "কিন্তু ইসলাম সংস্কৃতি হিশাবে ওপরতলার শিক্ষিত শ্রেণীর মধ্যে সজ্ঞানে কখনও গৃহীত হয়েছে বলে প্রমাণ পাই না। সেই ক্ষেত্রে ইসলামের ইতিহাস, পুরান, গল্প, কেচ্ছা এবং সর্বোপরি ইসলামি ধর্মতঙ্কেÄর বিচারের ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ হয়েছে বাংলাদেশের সাধক, ফকির, বতি, বাউল এদের সংস্কৃতি চর্চায়। তারা ইসলামকে সাম্প্রদায়িক মওলানা-মৌলবিদের হাতে ছেড়ে দেয় নি। তাদের শ্রেণীর জায়গা থেকে ধর্মতঙ্কেÄর সঙ্গে মোকাবিলা করেছে অনবরত। এখনও করছে। নিরক্ষরের জগতে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ভাবচর্চার যে বিকাশ ঘটেছে তার কোন তুলনা নাই। শ্রীচৈতন্য যখন উচ্চকোটির ভাষা ছেড়ে সাধারণের ভাষায় তাঁর ধর্ম প্রচার শুরু করলেন তখন বাংলা ভাষা সংস্কৃতির যে বিকাশ শুরু হয়েছিল তাকে বিকশিত করে চলেছে নিরক্ষরের ভাষা ও ভাবের আন্দোলন।" এটি তিনি ঠিকই বলেছেন। একটাতো আমি উপরে ফৈজুল্লাহর নিদর্শন দিলাম। এবারে আপনি রাজসভার কবি দৌলত কাজী পড়ুন:http://ishanerpunjomegh.blogspot.in/search?updated-max=2012-03-14T12%3A10%3A00-07%3A00&max-results=7

    ----------------------------------------------------------------------

    ArifJebtik এ নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। ফরহাদ মজহারের নোট পড়ে যা বুঝলাম, বানী বসু বলেছেন যে উনি বাংলাদেশের সাহিত্যের পরিবর্তন উনার পছন্দ হয়নি। না হওয়ার কারণ হিসেবে বলেছেন যে এখানে যত্রতত্র আরবি ঢুকে গেছে, এজন্য উনার পছন্দ হয়নি। এটা উনার নিজের সমস্যা। ফরহাদ মজহার আবার একে সাইকোলজিকাল সমস্যা না দেখে শ্রেনীগত সমস্যা হিসেবে দেখছেন। এই ব্যাখাটাও উনার দেখার ব্যাপার।

    ভাষার উপর চৌকিদারিটা আমার বরাবরই বিরক্তিকর লাগে। ভাষার মূল কাজ হচ্ছে ভাব প্রকাশ করা, ওটা নিশ্চিত হওয়া জরুরি, বাকি সব অজরুরি বিষয়। একথা সত্যি যে বাংলাদেশের মানুষ যেহেতু বেশিরভাগই মুসলমান, আরবি শব্দের সঙ্গে আমাদের পরিচয় অনেক বেশি। সুতরাং সাহিত্যে এসব শব্দের আনাগোনা খুবই স্বাভাবিক বিষয়, আমাদের কাছে সেটা সমস্যা লাগবে না। কিন্তু বাংলাদেশের সাহিত্যে আরবি ভাষা ঢুকে গেছে বলে বানী বসুর যে মতামত, সেটি দেখে মনে হলো উনি আসলে বাংলাদেশের সাহিত্য খুব একটা পড়েন না। জলকে পানি বলা হয়, এই দু:খে যদি কেউ বাংলাদেশের সাহিত্য পড়তে না পারেন, তাহলে সেটা উনার সীমাবদ্ধতা, এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। আমি পানিও পড়তে পারি, জলও পড়তে পারি; কোনোটাতেই এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি।
    ইংরেজরা যদি ওয়াটার না লিখে পানি লিখত, তাহলে আমি তাদের সাহিত্য পড়তাম; একথা বললে কারই বা কী করার আছে?
    নদীর এপারের আর ওপারের লোকের আচার ব্যবহারে, রীতি নীতিতে অনেক তফাৎ থাকে। সে তুলনায় আমরা তো রাষ্ট্রসীমার দুইপাশের বাঙালিদের নিয়ে কথা বলছি। একথা আমাদেরকে মেনে নিতেই হবে যে রাষ্ট্রসীমার কারণে আমাদের দুই দেশের একই ভাষা দুইটি আলাদা ধারা নিয়ে এগুবে, সুতরাং এই দুটোর সাহিত্যও আলাদা হবে।
    এপাশের লোকজন ওপাশের লোকজনের লেখা পড়তেই পারবেন বা পড়তেই হবে, এমন মাথার দিব্যি দেয়া ঠিক হবে না।
  • Kaju | 121.242.160.180 | ২৭ মার্চ ২০১২ ২০:২৫541502
  • আরে রামো, আমাকেও কেউ দাদা বলে? কেলোদা, দিস ইজ আ ভেরি বাজে ওব্যেস, সকলকে দাদা বলে দেয়া। একদিকে বাগ ফিক্স দিতে গিয়ে অন্য জায়গায় ঘেঁটে যাবে।

    জয়া জয়া জয়া জয়া জয়া জয়া জয়া জয়া
  • pi | 72.83.76.34 | ২৭ মার্চ ২০১২ ২০:২৮541504
  • আগের পোস্টটা অন্য টইয়ের :(

    কেলোদা, আমি বাংলাপ্লেনে লিখছি বলে সমস্যা হয় নাই :)

    নতুন গুরু শ্রেণীহীন হইবে :)
  • b | 125.20.82.165 | ২৭ মার্চ ২০১২ ২০:৫০541505
  • শ্রাবণী-র ৪:৩৬ এর পোস্ট উপলক্ষে:

    পোস্টস্ক্রিপ্ট: উর্দু সাহিত্যে প্রথম জ্ঞানপীঠ প্রাপক একজন হিন্দু। ইউ পি-র-ই অবিশ্যি।

  • shrabani | 59.94.103.43 | ২৭ মার্চ ২০১২ ২০:৫৪541506
  • পাই, বস আমার সাথে মৈথিলি তে কথা বলতেন না, অবশ্যই!:)
    তবে বাড়িতে ওনাদের নিজেদের মধ্যে বলতে শুনেছি এবং ওদের হিন্দিতেও মৈথিলি মেশানো, উচ্চারণ, যেমত অনেক বাঙালীরা বাংলা মিশিয়ে হিন্দি বলে আর কী!
    আমার শুনে ওসব মিষ্টি ইত্যাদি লাগেনি, তবে হ্যাঁ ভালো করে খেয়াল করলে বাংলার সাথে কিছুটা মিল লাগে,নেপালীর সাথেও.... অবশ্য সেরকম আমার একেবারে দক্ষিণী ভাষাগুলি ছাড়া অনেক ভাষার সঙ্গেই লাগে.... যেমন আমার শ্বশুরবাড়িতে কোঙ্কনী বলে, "দাত ঘসিবা"(দাঁত মাজা না বলে ঘসা কিন্তু মানেটা বোঝা যায়), "সিত বাড়ি বা"(সিত অর্থ ভাত, ভাত বাড়া আমরা বলি), ও হ্যাঁ কোঙ্কনীতে জল কে বলে উদ্দা!:)
    হিন্দিতে লেখার যা ভাষা অর্থাৎ শুদ্ধ হিন্দিতে অনেক টার্ম, তার মানে, বাংলা সাধু ভাষার সাথে মিলে যায়, তাই জন্য লেখার সময় আমার বাংলা জ্ঞান হিন্দিতেও কাজ দিত(অবশ্য হুবহু মিল হয়না, সেটা খেয়াল করে)।

    আর এই বাংলার জেলায় জেলায় যেসব ডায়লেক্ট তাই বোধহয় আমি সব বুঝিনা, মুর্শিদাবাদে যতদিন ছিলাম, স্থানীয়রা যখন ওদের ভাষায় বলত, কিচ্ছু বুঝতাম না, মেদিনীপুরে অনেক কিছুকে এমনভাবে বলা হয় (উড়ে প্রভাব)একেবারে ছোটবেলায় বুঝতাম না, এখন বুঝি!:)
  • pi | 72.83.76.34 | ২৭ মার্চ ২০১২ ২০:৫৮541507
  • হুঁ :)

    এই আলোচনায় ওখানে কিছুজন রাজবংশী আর পুরুলিয়ার ভাশায় লিখেছেন। প্রচুর শব্দের মানে বলে না দিলে আন্দাজ করাও কঠিন

    কুলদাদার একটা ভাল লেখা ছিল না, এনিয়েই ? এখানেই তো লিখেহি্‌চলেন মনে হচ্ছে।
  • ranjan roy | 122.168.46.36 | ২৭ মার্চ ২০১২ ২২:৫৫541508
  • দেবাশীষ ও সিকি,
    সংবিধানে তোমরা যেমন বলেছ তেমনটিই লেখা আছে বটে। কিন্তু ব্যবহারে? সমস্ত হিন্দিবলয়ে এবং বঙ্গেও ম্যাঙ্গো পাবলিক, কাঁঠাল পাবলিক মানেন যে ইংরেজি লিংক ল্যাঙ্গোয়েজ এবং হিন্দি রাষ্ট্রভাষা! এই ভাবের ঘরে চুরি হয়ে আসছে বহুদিন থেকে । প্রত্যেক পাবলিক সেক্টর অর্গানাইজেশনে আছেন একজন রাজভাষা অধিকারী, ওয়ান ম্যান সেল এবং প্রত্যেক ১৪ সেপ্টেম্বর রাজভাষা দিবস পালন করে রিপোর্ট পাঠাতে হয় হায়ার ক®¾ট্রালিং অফিসে।
    আমি যখন এমনি কোন অনুষ্ঠানে অফিসিয়াল/ রাজভাষা ডিকোটমি নিয়ে প্রশ্ন তুলি তখন ভীষণ আওয়াজ খাই!-- এই শালা বলে কি! রাষ্ট্রধ্বজ আছে, রাষ্ট্রীয় পক্ষি, পশু সব আছে আর রাষ্ট্রভাষা নেই? এসব বাঙালীদের কথার প্যাঁচ।
    এবার বাংলাভাষা থেকে-
    দেবসাহিত্য কুটিরের একটি ষাটের দশকের কিশোর সংকলনের গল্প নাম "মাসীমার রাষ্ট্রভাষা', যাতে আছে হিন্দি বলা নিয়ে ইয়ার্কি।
    ২) ১৯৬৯ এ দেশ পূজোসংখ্যায় বরেন গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস "নিশীথফেরী' তে চায়ের দোকানে আড্ডার ডায়লগ:
    সেধে- বাঁশ- পোঁদে- ঢোকানো হিন্দিতে কী হবে? রাষ্ট্রভাষা মে ক্যা হোগা?'
    ড: রঘুবীরের কমিটির নাম রাজভাষা কমিটি হতেও পারে, কিন্তু ভোটিং ছিল হিন্দির অফিসিয়াল রূপ কি হবে তা নিয়ে। খড়িবোলী না হিন্দুস্তানি?
    পূববাংলার ভাষা নিয়ে কথায় মনে হল একসময় ঢাকা বঙ্গের রাজধানী ছিল, শেষবার সেন বংশের আমলে। তারপর
    মুসলিম শাসন এল। রাজধানী মুর্শিদাবাদে সরে এল। কিন্তু ঢাকার নবাব রয়ে গেলেন।
    বাঙালদের কথাবার্তায় ফার্সি-উর্দুর প্রভাব তুলনামূলক ভাবে বেশি দেখা যেত। সরকারি কাজকম্মে, আইনি দস্তাবেজে আজও উর্দূর প্রাধান্য।
    বাঙালরা কোলকাতার ঘটি ভাষাকে ব্যঙ্গার্থে বলে ফার্সি।
    ( তুমার জামাই দেখি ফার্সি কয়!)
    ঘটিরা বলে-অমুক-তুসুক, বাঙালরা-- ফলনাডা তস্কাডা,
    হিন্দিতে --ফলানা ঢেকানা।
    তাই পূর্ব পাকিস্তান হওয়ার সময় নব্য ইসলামি ঝোঁকে উর্দূ/ফার্সি শব্দের প্রভাব বেড়ে যাওয়া খুব সহজ হয়েছিল।

    শ্রাবণীর কথাটা খুব ঠিক। আমার বন্ধুর মা কে দেখেছি সরযুপারি ব্রাহ্মণ হয়েও উনি স্কুলে ভাল করে উর্দূ শিখে লিখতে পড়তে সমর্থ ছিলেন। এমনকি পাঞ্জাবিরাও অনেকেই ভাল উর্দু জানেন এবং বলেন।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৮ মার্চ ২০১২ ০৯:৪৭541509
  • শ্রাবণীকে হিংসে হয়, কতো ভাষার সাথে ওর পরিচয়। কোঙ্কনীতে জলকে উদ্দা বলে যেনে খুব আনন্দ হলো। আমি উদক-এর উৎস খুঁজছিলাম।
    সংষ্কৃত কোঙ্কনী থেকে উদ্দা নিয়ে উদক করেছে। তামিল কন্নড থেকে তান্নির, নীরু নিয়ে নীর করেছে।
    জল কি হিন্দি? জল বিন মছলী নৃত্য বিন বীজলী বলে একটা সিনেমা হয়েছিলো না? সুধা চন্দ্রন নায়িকা। যাঁর একটা পা কৃত্রিম। তারপর - তাল মিলে নদীকে জল মে / নদী মিলে সাগর মে / সাগর মিলে কৌনসি জলমে / কোই জানে না সেই যে মুকেশের গাওয়া সঞ্জীবকুমারের লিপে রোশনের সুর - সিনেমাটার নামই মনে পড়ছে না। তাহলে পানি কি বাংলা? নাকি বাংলা আর হিন্দিতে জল, পানি দুটোই চলতো?
    বারি কি ? চাতক বারি, কারন বারি তো বাংলাতে বলে।

  • kd | 59.93.197.200 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১১:৫২541510
  • আমেরিকায় কারুর (স্পেশালি মেয়েদের) মুখ ফস্কে কোন অশ্লীল শব্দ বেরিয়ে গেলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে ""পার্ডন মাই ফ্রেন্‌চ'' বলতে শুনেছি।

    রঞ্জনের লেখায় ""বাঙালদের ঘটি ভাষাকে ফার্সি বলে'' পড়ে মনে পড়লো।

    সরি ফর ইন্টারাপ্‌টিং।
  • pi | 72.83.76.34 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১১:৫৭541511
  • কল্লোল্‌দা, তাতিনের Date:25 Mar 2012 -- 11:09 AM
    এ এই প্রশ্নের কিছু উত্তর আছে মনে হয়।
  • Debashis | 89.147.0.175 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১৪:০২541512
  • কল্লোল দা

    জল তো সংস্কৃত। মনে করুন দশাবতার স্তোত্রমের প্রথম সূত্র :

    "প্রলয়পয়োধি জলে ধৃতবানসি বেদম।
    বিহিতবহিত্র.......... ইত্যাদি।

    তারপর আত্মাকে জলদানের মন্ত্রে পাই, পানীয় জলং, স্নানার্থ জলং ইত্যাদি। বাংলা, হিন্দী বা মৈথিলীতে জল সংস্কৃত থেকেই সরাসরি এসেছে অবিকৃত ভাবে। তৎসম শব্দ।
  • Kaju | 121.242.160.180 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১৪:০৬541513
  • বাপরে তেষ্টা পেয়ে গেল। একটু জল খাই।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১৪:৪০541515
  • দেবাসিশ।
    সংষ্কৃত বলে কি কিছু হয়?
    আর্য্যরা এদেশে শাসনের সুবিধার জন্য একটা সাধারণ ভাষা গড়ে তোলার চেষ্টা করে। ভারতীয় উপমহাদেশের নানান ভাষার থেকে নানান শব্দ নিয়ে, সেগুলোকে সংষ্কার করে গড়ে ওঠে সংষ্কৃত। এটাই বোধ হয় একমাত্র ভাষা যার ব্যাকরণ ভাষার সাথে সাথেই গড়ে ওঠে।
    তাই অবিমিশ্র সংষ্কৃত শব্দ বলে কিছু হয় না। আমি জল, বারি এদের মূলের কথা বলছিলাম। যেমন তামিল তান্নির, কন্নড নীরু থেকে নীর। আবার কেউ কেউ বলছেন, তামিল তান্নির পারস্যে গিয়ে পানি হয়েছে। বা, কোঙ্কনী উদ্দা থেকে উদক। ভারতীয় ভাষাগুলির জননী সংষ্কৃত এটি একটি অতিকথা।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১৪:৪৬541516
  • বাংলায় নীর বা উদক এসেছে সংষ্কৃতের হাত ধরে। অনেকটা এরকম :
    আঞ্চলিক ভাষা - সংষ্কৃত - অন্য আঞ্চলিক ভাষা। এভাবেই সম্ভবত: এক আঞ্চলিক ভাষার শব্দ অন্য আঞ্চলিক ভাষায় সংষ্কৃএর ছাকনি হয়ে এসেছে এভাবেই এসেছে।
  • Debashis | 89.147.0.175 | ২৮ মার্চ ২০১২ ১৮:৩২541517
  • কল্লোল দা

    ধৃষ্টতা মার্জনা করবেন। সহমত হতে পারছি না। সংস্কৃত অবশ্যই স্বতন্ত্র ভাষা। পরে অন্য ভাষার বিভিন্ন শব্দ দ্বারা পুষ্ট হয়েছে।

    ভারতীয় ভাষাগুলির মধ্যে সংস্কৃতই বোধহয় সবথেকে পুরাতন। এর সবথেকে পুরাতন এভিডেন্স ঋগ্বেদের সময়কাল ১৭০০ থেকে ১৫০০ খ্রী: পূ:। তারও আগে শুধু শুনে মনে রাখতে হত বেদগুলি। আর দক্ষিণ ভারতীয় ভাষার সঙ্গে তখন এর কোনও সংস্রবই ছিল না। তাই এ শুধু শাসন সুবিধার জন্য গড়ে তোলা ভাষা বলে মনে করতে পারছি না।

    অন্যদিকে দ্রাবিড় ভাষার প্রাথমিক নমুনা ১০০০ খ্রী: পূ: এর আগে পাওয়া যায় নি বলেই জানি। দু:খের কথা প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে প্রধানত: উত্তর ভারতের কথাই বেশী পাওয়া যায়। দক্ষিণ সেখানে উপেক্ষিত। তাই এই দক্ষিণের ভাষার বিবর্তনের ওপর খুব বেশী কিছু জানি না। কিছু তথ্য পেলে ভালো লাগবে।

    আজ আর সময় নেই। Adios Amigos

    এ নিয়ে গুরু-চণ্ডালরা বিস্তারিত আলোচনা করলে ভালো লাগবে।
  • b | 125.20.82.165 | ২৮ মার্চ ২০১২ ২০:০৬541518
  • নিটপিকিং করি একটু? সংস্কৃতর থেকেও পুরোনো বৈদিক: বেদের ভাষা।তার গ্রামার-ও আলাদা, পাণিনীর নয়।পরিমার্জনা করে, সংস্কার করে নতুন ভাষাটি তৈরি হল সংস্কৃত।

    লেখার সময় ক্লাসিকাল সংস্কৃত আর বৈদিক ভাষা মেলানো যায় না। গুরুচন্ডালী।
  • ranjan roy | 122.168.46.36 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০৬:২৭541519
  • ঠিক বলেছেন b
    পাণিনি সম্ভবত: ৪র্থ বি সি। বৈদিক সংস্কৃত বহু পুরনো। নিরুক্ত তার লেক্সিকন।
    তার গ্রামারিয়ানের নাম আমাদের পরিচিত, কিন্তু এক্ষুনি মনে পড়ছে না। ডিডি বা শিবাংশু যদি ধরিয়ে দেন।
    আমার শ্রদ্ধেয় প্রয়াত স্বামী ত্র্যক্ষরানন্দ বলেছিলেন যে
    উত্তরকাশীতে তাঁদের "তিন প্রস্থান' পড়ানো হত। তাতে
    "গীতা-ব্রহ্মসূত্র-উপনিষদের' সঙ্গে বৈদিক গ্রামারও পড়তে হত।

    একই ভাবে উর্দূ কোন মৌলিক ভাষা নয়। যতদূর জানি ফার্সি(পারস্যের ভাষা) এবং হিন্দির প্রথম ডিগ্রি মিশ্রণে হয়েছে উর্দূ। তার সঙ্গে দ্বিতীয় ডিগ্রির মিশ্রণে উৎপন্ন হিন্দুস্তানি।
    যেমন,
    উর্দূ= আসমাঁ,নুরজাহাঁ,মুল্ক,জওয়াঁ ইত্যাদি হিন্দুস্তানি বা আম জনতার কথ্য হিন্দিতে হয়েছে আসমান, নুরজাহান,
    মুল্লুক, জওয়ান ইত্যাদি।
    তেমনি দেখছি বাংলাদেশের ভাষায় মূল উর্দূশব্দের রূপান্তর ।
    যখন তারেকভাই কয়েকবছর আগে এই গুরুচন্ডালীর পাতায় অনেক সংকোচ ও বিনয়ের সঙ্গে অনুযোগ করেছিলেন যে কেন তাঁদের নামগুলো আমরা এ পার বাংলায় শুদ্ধ ভাবে উচ্চারণ করিনে! একটু সতর্ক হলেই তো করা যায়।
    (এই দু:খ মাঝে মাঝে প্রখ্যাত লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ ও করে থাকেন। উনি পন্ডিত মানুষ। আরবি-ফার্সি-উর্দূ-সংস্কৃতে সমান দখল। বহু পূর্বে প্রকাশিত ওনার "গোঘ্ন' নামক ছোটগল্পের আলোচনায় উনি ঋগবেদ কোট করে দেখিয়েছিলেন যে সেই যুগে অতিথির একটি প্রতিশব্দ ছিল গোঘ্ন বা গো-হত্যাকারী। কারণ তখন অতিথি আসলে তাঁকে বাড়ির পোষা গরুকে বধ করে রান্না করে আপ্যায়ন করা হত।)
    কিন্তু তারেকভাইকে আমার বিনীত প্রশ্ন: কোনটা সঠিক উচ্চারণ?
    ওনার নাম তারেকটাই তো আসলে উর্দূ "তারিক' = তিমির। যেমন পাকিস্তানের তারিক আলি, উত্তর ভারতের নেতা তারিক আনওয়ার! তারেকটাই বদলে যাওয়া
    বঙ্গীকরণ।
    ওপরের পাইয়ের উল্লিখিত কবিতার উদাহরণে "সেতারা' আসলে উর্দূ "সিতার'= তারা এর বঙ্গীয়রূপ।
    উর্দূ "মুহম্মদ' হয়েছে বঙ্গীয় "মোহাম্মদ'। একই ভাবে উর্দূ "উর্স' হয়েছে বঙ্গীয় 'ওরস'। "উর্ফ' হয়েছে "ওরফ'।
    "মুসলমান' হয়েছে মোসলমান। এমন বাংলায় এসে ডায়লুট হওয়ার উদাহরণ অসংখ্য। তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
    আমি চল্লিশ বছর আগে ছত্তিশগড়ে এসে দেখলাম বাংলা নামগুলো হিন্দি জিভে কি দাঁড়াচ্ছে। "মুখার্জি' বলা এবং লেখা হয় "মুকর্জি', পরিতোষ হয়ে যায় "পারিতোষ'। আমার নামের উচ্চারণ "রনজোন' হয়ে যায় " রন্‌জন্‌'।
    প্রথম প্রথম আমারও তারেকভাইদের মত অস্বস্তি লাগত, এখন লাগে না। কারণ সিক্কার এপিঠ-ওপিঠ দুটৈ দেখছি যে! আমরা সেতার বাজাই, খেয়াল গাই।
    আসলে হিন্দিভাষীরা "সিতার' বাজান, "খয়াল' গান।কাজেই এনিয়ে বেশী স্পর্শকাতর হয়ে লাভ নেই।
    কেডিদার কোট হেব্বি লেগেছে।:)))

  • ranjan roy | 122.168.46.36 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০৬:৪৭541520
  • আর বাণী বসু-মজহার বিতর্কে আমি জলধি রায়-আরিফ জেবতিকের ভাষ্য ও টীকা পড়ে সোজাসুজি আরিফ জেবতিকের সঙ্গে একমত।
    বাংলাদেশের বাংলা সাহিত্য একটি সমান্তরাল ভাষার বা বাগধারার জন্ম দিয়েছে তা মেনে নিতে ক্ষতি কি? ইন্ডো-অ্যাংগ্লিকান সাহিত্য বা আফ্রো-অ্যাংগ্লিকান সাহিত্য নিয়ে কেউ কি আজ আর নাক কোঁচকায়? বা তারও আগে আমেরিকান লিটরেচর?
    কার কোনটা পছন্দ-নাপসন্দ্‌ এ নিয়ে বিতর্ক হয় না। আমি ছোটবেলায় হাকলবেরি ফিন পড়তে গিয়ে হোঁচট খেয়েছিলাম মনে আছে। বড় হয়েও আম্রিকান গল্পের বইয়ে gotta-gonna শুরুতে একটু অসুবিধায় ফেলত। তো?
    প্রথমবার ভারত ওয়ার্ল্ড কাপ জেতায় কবি অরুণকুমার চট্টো: দেশ পত্রিকায় কোবতে লিখলেন "'প্রুডেনশিয়াল কাপের গল্প'। রাঢ় বাংলার আঞ্চলিক ভাষায়।

    "বাজি ফুটলো ইধার-উধার, মেঘে মেঘে বাইজলো কাঁড়া,
    রাত বারোটার কঠিন আঁধার, চাঁদ কইরলেক ডিংলা ফাড়া।
    এ বইলছে জিতে এলম, উ বইলছে জিতে লীলম,
    রাত বারোটার রাজা এখন, দেশের বেবাক ছেইল্যাগুলান।
    ----------
    --------
    তবে আমরা কেনে চোদুর পারা, গাল পাড়ছি খালভরা ই উয়াকে? ইত্যাদি।
    আমার খুব ভাল লেগেছিল। কারো ব্রাত্যশব্দগুলোর পদক্ষেপে অস্বস্তি হতে পারে, তাতে ভাষার বহমান স্রোতকে কি আটকানো যায়। ভাষার বিশুদ্ধতা? পবিত্রতা? ভাষা যে বহুগামিনী, অপ্সরা।
  • kallol | 115.184.33.162 | ২৯ মার্চ ২০১২ ০৬:৫৫541521
  • দেবাশিস।
    না। একমত হওয়া গেলো না। আর্যরা আসার আগেও ভারতে ভাষা ছিলো। মহেঞ্জোদরো, হরপ্পা, লোথালের লিপি দ্রষ্টব্য। বরং আর্যদেরই লিপি ছিলো না। বেদ-রামায়ন-মহাভারত-উপনিষদ সবই শ্রুতিতে ছিলো। গুপ্তযুগে লিপিবদ্ধ হয়। আর্যরা আসার আগে এখানকার আদিবাসীরা, দ্রাবিরেরা মূক ছিলেন এমনটা নয়।
    মহাভারতে যখন দ্রোন শিষ্যদের (মূলত: কৌরব ও পান্ডবদের) অস্ত্র শিক্ষা প্রদর্শনীতে কর্ণ অর্জুনকে যুদ্ধে আহ্বান করেন, তখন প্রত্যাখ্যাত হন রাজবংশীয় না হবার কারনে। দুর্যোধন সে সময় কর্ণকে অঙ্গ রাজ্যের রাজা বলে ঘোষনা করেন। তাতে ভীম বিদ্রুপ করছে - অঙ্গ রাজ্যের আবার রাজা! যে রাজ্যে লোক পাখীর ভাষায় কথা বলে। অর্থাৎ সংষ্কৃত নয় অন্য ভাষা।
    সংষ্কৃত ভারতের সবচেয়ে পুরোনো ভাষার দাবী মানা গেলো না। বরং অন্য ভারতীয় ভাষাসমূহের সংষ্কার করা সিন্থিসিসই সংষ্কৃত। সংষ্কার করে তৈরী বলেই সংষ্কৃত। বরং এটা বলা যায়, মানুষের প্রথম সচেতনভাবে তৈরী ভাষা - সংষ্কৃত।

  • Debashis Chakrabarty | 37.104.44.173 | ৩০ মার্চ ২০১২ ০৩:৩৮541522
  • কল্লোল দা

    আমার জ্ঞাত তথ্য অনুসারে গুপ্ত সভ্যতার বহু আগে ৫০০ খ্রীষ্টপুর্বাব্দে পানিণি প্রথম সংস্কৃত ভাষায় ব্যাকরণ তৈরি করেন। অশোকের রাজত্বেও সংস্কৃতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্রাহ্মী লিপির হদিশ পাওয়া যায়।

    এ ছাড়াও মহাভারতের সর্ব পুরাতন স্বীকৃত টেক্সট পানিণির সময়কালেই পাওয়া যায়। গুপ্ত যুগে বেদ, রামায়ণ বা মহাভারত সবই পূনর্লিখিত হয়েছিল। প্রথম লেখন অনেক আগেকার।

    বরং আমি b আর রঞ্জনদার সঙ্গে একমত, বৈদিক সংস্কৃত আর ক্লাসিক্যাল সংস্কৃত এক নয়। যেমন এক নয় চর্যাপদের বাংলা ও আজকের বাংলা ভাষা। সংস্কৃতেরও পরিমার্জিত রূপ আমরা গুপ্ত রাজকালে দেখতে পাই, যেমন বাংলার ক্ষেত্রে দেখি উনবিংশ শতকের প্রারম্ভ থেকে। তারও আগে পানিণিই এই শুদ্ধিকরণ চালু করেন। হয়ত এই সংস্কার থেকেই সংস্কৃত নামটি নেওয়া। কিন্তু তা ও ভারতীয় অন্য ভাষার লিখিত রূপের আগে (হরপ্পা লিপি ছাড়া) সংস্কৃতের লিখিত রূপের প্রমান পাই।

    সংস্কৃত আসার আগে অবশ্যই ভারতীয় আদি বাসিন্দাদের ভাষা ছিল। হো, মুণ্ডা ইত্যাদি উপজাতির ভাষা বহু পুরাতন ভাষা। এই সব ভাষার উৎপত্তিগত ভাষাই ছিল ভারতীয় অনার্যদের ভাষা। কিন্তু দু:খের বিষয় সে সবই ছিল অলিখিত কথ্য ভাষা। সেই সব ভাষার কোনও লিপি পাওয়া যায় না। যদি কোনওদিন হরপ্পা সভ্যতার ভাষার পাঠোদ্ধার সম্ভব হয় তাহলে হয়ত ভারতীয় ভাষাজগতে একটা বিপ্লব ঘটে যাবে। হয়ত জানা যাবে ভারতীয় অনার্য ভাষাগুলির উৎপত্তি ও আরও অনেক অজানা তথ্য।

    কিন্তু যতদিন না সেই ভাষার পাঠোদ্ধার হয় ততদিন এভিডেন্স গত দিক থেকে সংস্কৃতকে প্রাচীনতমর স্বীকৃতি দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

    দেবাশিস (জুবেল)

  • kallol | 115.242.180.126 | ৩০ মার্চ ২০১২ ০৭:২৫541523
  • দেবাসিশ।
    লিপি না থাকলে ভাষার স্বীকৃতি মিলবে না এমন নয়। আজও বহু ভাষার লিপি নেই। যেমন কর্ণাটকের টুলু (বচপন সায়েবের পুত্রবধূর মাতৃভাষা), উত্তর পূর্বাঞ্চলে নাগা-মিজো-খাসিয়ারা রোমান হরফ ব্যবহার করে। সাঁওতালী (অলচিকি) ছাড়া অন্য আদিবাসী ভাষার লিপি নাই।
    এগুলি, ও মহেঞ্জোদরো-হরপ্পার ভাষা ভারতীয় উপমহাদেশের আদি ভাষা। কাজেই সংষ্কৃতের (যদি বেদের সংষ্কৃতও ধরি) প্রাচীনতম ভাষার দাবীর সাথে একমত নই।

  • debaprasad | 127.226.244.216 | ২৯ আগস্ট ২০১২ ২৩:৪৮541524
  • আপুনারা একি করিতেছেন? রোম পুড়িতেছে আর আপুনারা বসিয়া ব্যায়লা বাজাইতেছেন!? Comparative Philology লিজার ক্লাসের পানপাত্তর (http://papers.ssrn.com/sol3/papers.cfm?abstract_id=2029974 )! সামনে অবস্যম্ভাবি জলযুদ্ধ --পৃথিবীর ৩% পানীয় জল-এ আক্রা-- মাটির ভেতর যে জল থাকে মাটি পায় না তাকে, কেননা কনক্রিট আর পিচ বিটুমেনের রাস্তা প্লাস বরোয়েল পানীয় জল-এর সব্বোনাস করে দিচ্ছে.। ইন্ডাস্ট্রির ক্লেদ এসেইন্ডাস্ট্রির ক্লেদইন্ডাস্ট্রির ক্লেদ এসে জমছে এসে শিল্পের ক্লেদ এসে জমছে পানীয় জল-এ--হায়! ! এ (অ-) সময়ে ব্যুত্পত্তি বা উত্স-বিষয়ক আলোচনায় নিতান্ত বিমর্ষ হইলুম.

    বি: দ্র: এবার "পানীয় জল" শব্দটি খেয়াল করুন তো! মেলাবেন 'তিনি' (কে বে?), মেলাবেন.
  • Debaprasad | 127.227.6.14 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:৩৬541526
  • এবার অবসর সময়ে একটু তৌলন শব্দবিদ্যার বিলাসী আলোচনা করি!'উদক" শব্দটা ভারী মজার! এর রাশিয়ান cognate হলো গিয়ে ভদকা। ইং water -- জার্মান wed - vodka -- উদক সব মিলেমিশে একাকার!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন