এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • maximin | 69.93.210.120 | ২৯ মে ২০১২ ১৭:২৬545992
  • এই টইতে প্রথম পোস্ট ছিল 'কে কি জানেন'। আমার কাছে এটা বেশ সেন্সিটিভ ইস্যু, সেজন্যে প্রথমে কিছু লিখি নি।

    দ্বিধা কাটিয়ে যখন লিখলাম 'একটি মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের পরিবারেই ঘটেছে', তখন কেউ বলল না 'কী সেই ঘটনা'। এতে যে খুব বিস্মিত হয়েছি তাও নয়। তবে, পরে মনে হয়েছে ওইটুকুও না লিখলেই পারতাম।
  • ranjan roy | 24.96.83.227 | ২৯ মে ২০১২ ১৭:৪৫545993
  • না, ম্যাক্সিমিন,
    মনে হয়েছে আপনার পরিবারের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার, আপনি হিন্টস্‌ দিয়েছেন, এই ফোরামে হয়তো বিশদ করে বলতে চান না। আপনি যদি বলেন তো নিশ্চয়ই শুনবো।
  • maximin | 69.93.210.120 | ২৯ মে ২০১২ ১৭:৫৪545994
  • রঞ্জন বেশ, তাহলে বলব। অপ্রিয়ভাজন হতে হবে। কিন্তু বলতে তো ইচ্ছে করে।
  • maximin | 69.93.245.180 | ৩০ মে ২০১২ ০৪:১৭545995
  • ঘটনাটা সম্বন্ধে বিশদে বলছি।

    বাংলাদেশের একটি শহরের প্রাইম জায়গাতে বেশ বড়সড় একটা বাড়ি। কতটা জায়গা? একটা পুরো টিলা। নব্বইয়ের শেষদিক থেকে বেচে দেওয়ার জন্যে চাপ আসতে থাকে। বাড়ির যিনি সিনিয়রমোস্ট, তাঁকে হুমকি দেওয়া শুরু হল। খুনটা হল ২০০৩ এর উনিশে এপ্রিল। খুবই নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। ছেলেটি খুবই ব্রাইট, সদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছিল, ভালো রেজাল্ট করেছিল, ভালো চাকরি পেয়েছিল।

    প্রথমে লোয়ার কোর্টে মামলা দায়ের করা হল। তারপর 'দ্রুত বিচারে'র জন্যে একটি tribunal হল। ২০০৪ সালের ১০ ই জুন ৫ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ হল। এই এক বছরের মধ্যে চারমাস (ডিসেম্বর ২০০৩ থেকে মার্চ ২০০৪) শুনানি বন্ধ রাখতে হয়েছিল, হাইকোর্টের নির্দেশে।

    হাইকোর্টে অ্যাপিল হল। চার বছর পর আবার এপ্রিল মাস এল। ২০০৮ এর বিশে এপ্রিল হাইকোর্ট ৪ জনের মৃত্যুদন্ডাজ্ঞা বাতিল করে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে দিল। শুধু একজনের মৃত্যুদন্ড বহাল রইল।

    তিন সপ্তা পর (৬ই মে ২০০৮) হাইকোর্টের অ্যাপিলেট বিভাগ এই রায়ের ওপরে স্থগিতাদেশ জারি করল। হাইকোর্টের রায়ে যাদের মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়েছিল, সরকারপক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে আবার অ্যাপিল করা হল। ছেলের মায়ের পক্ষ থেকেও অ্যাপিল করা হল। ২০০৯ এর অগাস্ট মাসে অ্যাপিলেট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চ দ্বারা অ্যাপিল মঞ্জুর হল।

    আগে থেকে ভয় দেখানো হয়েছিল। আর ভয়টা দেখানো হয়েছিল সাম্প্রদায়িক angle-এ। সাম্প্রদায়িক নৃশংসতার উদাহরণের লিস্টে এই কেসটির উল্লেখ করা হয়।
  • maximin | 69.93.245.180 | ৩০ মে ২০১২ ০৪:৪৩545996
  • দ্রুত বিচারের tribunal বসার ফলে যাদের ফাঁসির হুকুম হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্তত একজন সক্রীয়ভাবে রাজনীতি করেন। এঁকে কোনওদিনই ধরা যায় নি, খুঁজে পাওয়া যায়নি।
  • কল্লোল | 129.226.79.139 | ৩০ মে ২০১২ ০৯:৫৭545997
  • ২০০৩ মানে বিএনপি আমল। আজকে খোঁজ নিন, আজও অবস্থা খুব বেশী পাল্টায় নি।
    আজও সেই সক্রিয় রাজনীতি করা শয়তানটি ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
  • maximin | 69.93.245.219 | ৩০ মে ২০১২ ১৫:১২545998
  • কল্লোল, কারেন্ট খবর হল সেই ব্যক্তিকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। সে আরও অনেক কটা ফৌজদারি মামলায় wanted. বলা হচ্ছে সে নাকি তার দলের আরও বড় নেতার অপ্রিয়ভাজন হয়েছিল।

    অপরাধীরা সকলেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, অন্তত সেসময়ে। ৫ জনের মধ্যে যে ১ জনকে হাইকোর্টের দ্বারাও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল, জেলেই আছে, তার বক্তব্য এ বছরেই পড়েছি -- 'আমি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলাম, সেটাও ঐ শয়তানেরই কাজ। এদিকে সে নিজে এখন কোথায় আছে কে জানে।'
  • maximin | 69.93.245.219 | ৩০ মে ২০১২ ১৫:১৯546003
  • যাঃ আবার সেই এক পোস্ট তিনবার।
  • r | 213.91.201.54 | ৩০ মে ২০১২ ১৫:৩১546004
  • তিনবার না চারবার
  • ঝিকি | 229.83.85.197 | ৩১ মে ২০১২ ০৭:৪০546005
  • ম্যাক্সিমিন দি, আপনি যে কথা লিখেছেন তা আমি জানি, এই ধরনের চাপের কথা আমি অনেক বাংলাদেশী হিন্দুর মুখে, ইন্দোনেশিয়ান হিন্দু/ক্রিশ্চানের মুখে শুনেছি, গতে কয়েকদিন ধরে একজন নির্বাসিত কাশ্মীরী পন্ডিতের মুখেও শুনছি। গতকাল তাকে আমার ফেসবুকে বন্ধুর আপডেট করা কাশ্মীরের ছবি দেখাচ্ছিলাম, কাথা বলতে বলতে তাঁর চোখে জল চলে এল.......... কেনই বা আসবেনা, পরিবারে কতজন খুন হয়েছে, কতজনের বাড়ী পুড়েছে তার হিসেব দিছিলেন যে তিনি! বললেন বছর কুড়ি আগে বিয়ে করার জন্য শেষবারের মত কাশ্মীর গেছিলেন!
    ভারতের অন্যান্য জায়গায় দাঙ্গার সময় মুসলিমদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়, প্রচুর হত্যা হয় এটা প্রমাণিত সত্য। কিন্তু অন্য সময়ে ভারতের মুল ভূখন্ডের মুসলিমরাও কি এইরকম চাপের মধ্যে থাকে? তাদের কাছে কি সবসময় ধর্মান্তরিত হওয়ার বা ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যাওয়ার চাপ থাকে? আমার ভারতীয় মুসলিম বন্ধুরা কোনদিন আমাকে এই নিয়ে কিছু বলে নি, হয়ত আমি হিন্দু বলেই। এখানে কেউ আছে যে জানেন এইরকম চাপের কথা?
  • পাই | 147.187.241.7 | ৩১ মে ২০১২ ০৭:৪৬546007
  • কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুরা সর্বত্র সর্বক্ষণ চাপে থাকেন, এনিয়ে তো প্রচুর দ্বিমত আছে দেখছি।
  • ঝিকি | 229.83.85.197 | ৩১ মে ২০১২ ০৭:৫৫546008
  • সেতো আমিও দেখছি!
    তবে আমার সব কথায় মুখে শোনা, অ্যানেকডোটাল।
    আবুধাবিতে অনেক বাংলাদেশী হিন্দুকে চিনতাম। তারা একটু সেটল করলেই কানাডার সিটিজেনশিপের আবেদন করত। কয়েকজন পেয়েও গেছিল। বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার কথা কেউ ভাবত না।

    আমাদের সবচেয়ে কাছের পরিবারের স্বামীটি পাটনার মুসলমান, স্ত্রী রাউরকেল্লার। তারা দিল্লী/নয়ডায় বেশ কয়েকটা প্রপার্টি কিনেছে, আমাদের মতন বছরে একমাসের ছুটীতে পাট্না-রাউরকেল্লার-দিল্লী করে।
  • মনোরমা বিশ্বাস | 183.2.99.228 | ৩১ মে ২০১২ ০৮:০৪546009
  • ধর্মের কারনে বাংলাদেশে প্রায়ই যে অত্যাচার হয়, সেটা বড়ই মর্মান্তিক । নিরীহ লোক গুলোই মূলতঃ এর বলীর স্বীকার হয়। এর জন্যে আমাদের রাষ্ট্র দায়ী। আমাদের সুধী সমাজও চুপ করে থাকে।
    দেশে ভালো লোকের সংখ্যাই বেশী।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ৩১ মে ২০১২ ১৮:৫৪546010
  • ["Name: কল্লোল

    IP Address : 129.226.79.139 (*) Date:29 May 2012 -- 02:08 PM

    আদিবাসী আর অন্তজ হিন্দু এক ব্যাপার নয়। নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের উপর তুলনায় অত্যাচার কম হয়েছে। কারন তারা নানা বিষয়ে বর্ণহিন্দুদের বিরোধীতাও করেছে নানা সময়ে।
    আদিবাসীদের বিষয়টা একদম আলাদা। বাংলাদেশ সরকার ওদের অস্তিত্বই স্বীকার করে না। বাংলাদেশে নাকি সবাই বাঙ্গালী। চাকমা, গারো, খাসি, সাঁওতাল, মগ এসব কিছু নেই। ফলে এদের উপর অত্যাচার প্রচন্ড।"]
    ........................................................
    গুরু-র ফেবুর পাতায় অতি দীর্ঘ এবং টই-এ চলতি আলোচনাটি অনেক আগেই দেখেছি। বিনয় করে বলি, বাংলাদেশে ধর্মীয়/ভাষাগত সংখ্যালঘু নির্যাতনচিত্র খুব অল্পই এই আলোচনা থেকে উঠে আসছে। ... ধর্মীয়/ভাষাগত সংখ্যালঘু আদিবাসী নির্যাতন প্রসঙ্গে কল্লোলের ওই একটি ছোট্ট মন্তব্য সিন্ধুতে বিন্দুও বোধহয় নয়! বরং চলতি আলোচনায় বিষয়টি প্রায় আসছেই না। বরং আলোচ্য বিষয়টি ''বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যতন" হলেই বোধহয় যৌক্তিক হতো।

    বাংলাদেশের আদিবাসীরা সকলেই নিম্নবর্গের হিন্দু নয়; তবে ভাষাগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু তো বটেই। আদিবাসীদের অধিকাংশই খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, প্রকৃত পূজারি ও অন্যান্য ধর্মালম্বী। তাদের ওপর ব্রিটিশ-পাকিস্তান-বাংলাদেশ আমলে যে মর্মান্তিক নৃশংসতা চলছে, তা জানলে যে কোনো সিনেমা-গল্প-উপন্যাসকে হার মানায়।...
    এপারে আদিবাসীরা তাই দারিদ্রতার শোষণ-নির্যাতন ছাড়াও তাই আরো দুই ধরণের শোষণ-নির্যাতনে পিষ্ট। [পড়ুন: একটি প্রায় বিস্মৃত গণহত্যার কাহিনী
    http://t.co/HnYBxrvw]

    অথচ ভেবে অবাক হই, স্বাধীন দেশে গত ৪০ বছরেও বিষয়টি সব ধরণের গণমাধ্যমে প্রায় উপেক্ষিতই থেকে গেছে। ...অথচ এপারে রথি-মহারথি সুশীল সমাজ, কলামিস্ট, টিভি টক শো-র বক্তা, লেখক, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, লিজেন্ট ব্লগার-- প্রভৃতি গং-এর ঘাটতি নেই।...তাহলে কেনো এই দীর্ঘ নিরবতা?

    বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন আগে আলাপ হচ্ছিল লেখক সুশান্ত করের সঙ্গে। তাকে যা বলেছি, সেটাই খুব সম্ভব এর মূল কারণ। বিষয়টি আর কিছুই নয়-- উগ্র জাত্যাভিমান; তাই দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার। বড় মাছ গিলে খাচ্ছে ছোট মাছকে।

    ["আদিবাসীদের বিষয়টা একদম আলাদা। বাংলাদেশ সরকার ওদের অস্তিত্বই স্বীকার করে না। বাংলাদেশে নাকি সবাই বাঙ্গালী। চাকমা, গারো, খাসি, সাঁওতাল, মগ এসব কিছু নেই। ফলে এদের উপর অত্যাচার প্রচন্ড।'']

    কল্লোল কথিত এ কথাটিও পুরোপুরি সত্যি নয়; কোনো আমলে কোনো সরকারই এ দেশের আদিবাসীদের রাষ্ট্রীয়/সাংবিধানিক স্বীকৃতি কখোনই দেয়নি। তবে ব্রিটিশ আমলে ''পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি-১৯০০" বলে পাহাড়ের আদিবাসীরা বিশেষ কিছু অধিকার (এরমধ্যে ভূমি অধিকার প্রধান) ভোগ করতেন। কিছুদিন আগে সংবিধান সংশোধনকালে এই দাবিটি আদিবাসী মহল থেকে জোরোশোরে উচ্চারিত হলেও আবারো তা উপেক্ষিত হয় এবং বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পায় মাত্র। ...

    আবারো বলি, এদেশের ধর্মীয়/ভাষাগত সংখ্যালঘু, তথা আদিবাসী নির্যাতনের মূলে রয়েছে উগ্র জাত্যাভিমান ও সাম্প্রায়িক চিন্তার সুড়সুড়ানি। তাই -- ‘এ দেশে কোনো আদিবাসী নেই, বাঙালিরাই আদিবাসী, উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠির মানুষেরা বহিরাগত’ — এমন বেসামাল সরকারি কথাবার্তায়–

    ০১। আদিবাসীদের বিদেশী বানিয়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জনে তাদের চরম আত্নত্যাগ অস্বীকার করা হয়েছে, যা খুবই ন্যাক্কারজনক। ০২। বাঙালিদের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে আদিবাসীদের দাঁড় করানো হয়েছে। এ কারণে এখন আদিবাসীদের কাছে যে সামান্য সম্পদ, যেমন জমি, জলা, বন বা পাহাড় আছে, সেটুকুও কেড়ে নেওয়া হবে। ০৩। এর প্রতিক্রিয়ায় সারাদেশের আদিবাসীদের মনে চরম ক্ষোভ ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। দেশের আনাচে কানাচে আদিবাসীরা এর প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন। প্রতিক্রিয়ায় সাইবার বিশ্বও তোলপাড়। ০৪। অভিধায় সরকারের আপত্তি যখন তখন তারা সংবিধানে বাঙালিদের পাশাপাশি ভাষাগত সংখালঘু জনজাতিগুলোকে নিজ নিজ জাতির নামেই, যেমন চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল, গারো, রাখাইন ইত্যাদি জাতিগোষ্ঠির নামেই স্বীকৃতি দেওয়া যেতো। আদিবাসীরা উপজাতি, ক্ষু নৃ গোষ্ঠি বা এমন হীন অভিধায় চিহ্নিত হতে যাবেন কেন? ০৫। আদিবাসীদের স্বায়ত্তশাসনের স্বীকৃতিটুকু দিতেই বা বাধা কোথায়? এই অধিকারটুকু তো আর বাঙালি অধিকার খর্ব করে দেওয়া হচ্ছে না। ০৬। আদিবাসীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিলে সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে, এটি একটি হাঁটু বুদ্ধির যুক্তি। বিশ্বের অন্যান্য দেশ, এমন কি ভারতে সাংবিধানিক স্বীকৃতি তো আছেই, ভারত ও পাকিস্তানে আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও আছে। ০৭। বাংলাদেশ বহু জাতি, বহু ভাষা, বহু ধর্মের দেশ। তাই আদিবাসীর স্বীকৃতি দেশকে আরো গণতান্ত্রিক ও মানবিক করে। ০৮। কোনো রাষ্ট্র, দেশ বা সরকারের অধিকার নেই নিজস্ব পছন্দের অভিধায় জনজাতিগুলোকে চিহ্নিত করার। একটি জাতির পরিচয় স্বত্তাটুকু চাপিয়ে দেওয়া হবে কেন?

    -- আদিবাসী বলে ধর্মীয় নির্যাতন? তাও আছে। [পড়ুন: বাবু তুমি এখানে খেতে পারবেতো? http://unmochon.net/node/736 এবং টেকনাফের প্রাচীন বৌদ্ধবিহার নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে http://t.co/JMQNo38F]

    এ পর্যায়ে ''বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন'' বিষয়ক আলোচনাটি আরো ব্যাপক প্রেক্ষাপটে আলোচনার দাবি রাখে বলেই মনে করি। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ৩১ মে ২০১২ ১৮:৫৯546011
  • ** ওপরের মন্তব্যে দুটি লিংক কাজ করছে না। তাই লিংক দুটি আবোরো দিচ্ছি।
    --একটি প্রায় বিস্মৃত গণহত্যার কাহিনী http://t.co/HnYBxrvw
    -- টেকনাফের প্রাচীন বৌদ্ধবিহার নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে http://t.co/JMQNo38F
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ৩১ মে ২০১২ ১৯:১৯546013
  • পুনশ্চ: আরেকটা কথা যোগ করা প্রয়োজন বোধকরি। পার্বত্য চট্ট্রগ্রামে সেনা-বাঙালি সেটেলাররা গত চার দশক ধরে যে পাকিপনা চালাচ্ছে, অর্থাৎ ১৯৭১ সালের মতোই পাহাড়ে যে গণহত্যা, গণধর্ষন, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদি জুলুম-নির্যাতন চলছে, বরাবরই এসব হত্যা-সন্ত্রাসে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেনা বাহিনী, প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছে সেটেলাররা। আবার কথনো সেটেলাররাই হত্যা-সন্ত্রাসে নেতৃত্ব দিচ্ছে, নেপথ্যে থাকছে সামরিক জান্তা। এখানেও ধর্মীয় উন্মাদনা বেশ জোরোশোরেই কাজ করছে। তাই পাহাড়ি গ্রামগুলোতে সশস্ত্র হামলার সময় মসজিদের মাইকে সাম্প্রদায়িক হামলার আহ্বান জানানো হয়। হিংস্র জানোয়াররা ধর্মীয় "নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর" শ্লোগান দিয়ে জেহাদী জোশে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাহাড়ি জনপদে। পড়ুন: পাহাড়ে এখনো সেনা শাসন? http://t.co/bwcTfmBp
  • maximin | 69.93.160.48 | ৩১ মে ২০১২ ১৯:৩২546014
  • The Parliament of Bangladesh, the Jatiyo Sangsad, passed the Constitution (15th Amendment) Bill, 2011 on 30 June 2011 to amend its constitution under which the caretaker government system for holding general elections was scrapped. The bill which contained 15 proposals was passed by division vote with a majority of 291-1.

    However, amendments moved by ruling alliance opposing Islam as the state religion and religion-based politics were rejected. Islam has been retained as the state religion along with Bismillahi-Ar-Rahman-Ar-Rahim.
  • কল্লোল | 129.226.79.139 | ৩১ মে ২০১২ ১৯:৩৫546015
  • বিপ্লবকে ধন্যবাদ। এই টইটার ঠিক নাম হওয়া উচিৎ ছিলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার।
    এখানে প্রচুর তথ্য আছে।
    http://pcjss-cht.org/PCJSS-Consti-IP-Bengali.php
  • maximin | 69.93.160.48 | ৩১ মে ২০১২ ১৯:৫০546016
  • এটারই বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল caamb। caamb এর পুরোটা হল Against Atrocities on Minorities in Bangladesh .
  • maximin | 69.93.160.48 | ৩১ মে ২০১২ ১৯:৫৩546017
  • *campaign against
  • maximin | 69.93.160.48 | ৩১ মে ২০১২ ২০:১৪546019
  • ওপরের লিং টা দেখলাম। তার মানে দেখা যাচ্ছে ধর্মীয় মৌলবাদের বিরোধিতা করলেই 'হিন্দু' ব্যাপারটা চলে আসে।
  • maximin | 69.93.160.48 | ৩১ মে ২০১২ ২০:১৫546020
  • বাংলার রেনেসাঁ অবধি চলে গেলাম। বর্তমানকালে ফিরতে সময় লাগবে।
  • কল্লোল | 129.226.79.139 | ৩১ মে ২০১২ ২০:৫৭546021
  • ডঃ ফিরোজ মহবুব কামালের লেখায় সত্য আছে। অবিভক্ত বাংলার সাধারন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত হিন্দু মুসলমানেদের ঘৃণার চোখেই দেখতো। আনন্দমঠ দ্রষ্টব্য।
    কোন মুসলমানের পক্ষে বাংলার স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেওয়া বেশ মুস্কিল ছিলো। কালী পূজো সেই আন্দোলনের অংশ ছিলো। দেশকে মাতৃরূপে দেবী ভাবাটা একজন সাধারন শিক্ষিত মুসলমানের কাছে বুৎপরস্তি, পৌত্তলিকতা, প্রায় হিন্দুর গোমাংসভ্ক্ষণতুল্য।
    উল্টো উদাহরণ হয়তো অনেক আছে, কিন্তু তা দিনের শেষে ব্যতিক্রম।
    সঠিক ভাবে বলতে গেলে বাংলার রেনেসাঁ আসলে হিন্দুদের রেনেসাঁ। স্রী শিক্ষা, সতীদাহ রদ, উপন্যাস, ব্রাহ্ম দর্শন, মেকলে শিক্ষা, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, বর্ণ পরিচয় সবই হিন্দু চিহ্ন বহন করে।
    মুসলমানেরা নিজেদেরও সরিয়ে রেখেছে। তারা ইংরাজি শিখতে চায় নি। ইংরাজের সাথে সম্পর্ক রাখতে চায় নি। মেকলে সিক্ষা থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে। কিন্তু তাদের টেনে আনার কাজও তো কেউ করেনি। শুধু করেনি নয়, তাতে অনীহাও ছিলো প্রবল।
  • maximin | 69.93.160.48 | ৩১ মে ২০১২ ২১:৪১546022
  • আমিও পড়লাম। পুরোটাই ভালো লাগল। রবীন্দ্রনাথ অংশটা বিশেষ করেই। শিবাজী উতসব, পথের দাবী, চার অধ্যায় সবই লিখেছেন। অরবিন্দ পোদ্দারের 'রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও উচ্চারণ' রেফার করেছেন বলে আরোই ভালো লাগল। অরবিন্দ পোদ্দারের লেখা কে আর পড়ে এখন। বইটা বাজারে অ্যাভেইলেবল কিনা, তাও জানিনা।
  • maximin | 69.93.160.48 | ৩১ মে ২০১২ ২১:৪৩546024
  • শুধু আনন্দমঠ বললে হবে না কল্লোল।
  • কল্লোল | 129.226.79.139 | ৩১ মে ২০১২ ২১:৫৭546025
  • আনন্দমঠ এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশী উল্লিখিত হয় বলে দিলাম।
    আমাদের সমস্ত রেনেসাঁ সাহিত্য হিন্দু চিহ্নের প্রদর্শনী। একমাত্র ব্যাতিক্রম মধুসূদনের মেঘনাদ বধ, তাও হিন্দু প্রেক্ষিতে।
  • একক | 24.96.154.211 | ৩১ মে ২০১২ ২২:১৭546027
  • তথাকথিত "বিপ্লবী" সমিতি তে মন্ত্রগুপ্তি হত গীতা-তে হাত রেখে . গীতা -কে যতই দর্শন বলা হোক তা সাধারণের কাছে ধর্মগ্রন্থের সামিল. এরপরে মুসলমানেরা পিছিয়ে থাকবেন এতে আর আশ্চর্য্য কী ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন