এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 129.226.79.139 | ৩১ মে ২০১২ ১৯:৪৭550583
  • আমি এট্টা মশাকে জান্তাম। আমার অক্ত খেয়ে তার মধুমেহ হলো। তাতে ফ্রাস্টু খেয়ে সে এট্টা রাজভোগের ওপর বসে সুসাইড কল্লে।
  • কাদা | 69.93.206.129 | ৩১ মে ২০১২ ২২:২২550584
  • আমায় মশা কামড়ানোর পর কেমন টলতে টলতে ওড়ে। ভেরি ইন্টারেস্টিং।
  • পাই | 82.83.85.246 | ৩১ মে ২০১২ ২২:২৮550585
  • আমাকে কামড়ালে মশারা আরো বেশি ভনভন করে। সেটাও ভেরি ইন্টারেস্টিং।
  • অপু | 24.96.124.195 | ৩১ মে ২০১২ ২২:২৯550586
  • মশা গুলোর একটুও ইয়ে নেই। কেন রে বাবা। আমদের পাই কি ঘ্যানঘ্যানে?
  • Abhyu | 107.81.99.89 | ০২ জুন ২০১২ ০০:৩৩550587
  • অপুর মস্করায় চিন্টুবাবু বাক্যিহারা :(
  • Binary | 208.169.6.50 | ০২ জুন ২০১২ ০১:২১550588
  • আচিন্তি-র এই এক স্বভাব, একটু খানি সুতো ছেড়ে বাড়ী চলে যাবে, তাপ্পর জনতা সেই মাঠে এদিক-সেদিক গোল করবে।

    বিটিডব্লু, অচিন্তি-র মেক্সিকোর ছবি গুলো কিন্তু খাসা। একটায় দেখলুম একটা কেক-এর মত বস্তু, তার নাম নাকি পিনাকোলাডা
  • Achintyarup | 69.93.240.19 | ০২ জুন ২০১২ ০৪:৩৩550589
  • উফ্‌!

    রাবণ রাজা যব সীতা মাঈজীকো হরণ করকে লে যা রহা থা, তব জটায়ু পক্‌ষী আকে উনকো বহোৎ পরেশান কিয়া। বঢ়িয়া পক্‌ষী, জটায়ু...

    আমাদের কপালে কোনো জটায়ু জুটলো না, হায়! এই যে আমরা গোদা গোদা তিনখানা আধবুড়ো লোক একটা ছোট্টোখাট্টো সাইজের মেয়েকে কিডন্যাপ করে রেখে দিলুম মেক্সিকোর সেই মেসবাড়িতে, কেউ আমাদের কোনোরকম পরেশান করল? কোনো সহযোগিতা করল আমাদের সঙ্গে? না মেক্সিকো পুলিশ, না কোনো বাংলা নিউজ চ্যানেল, না অপহৃতা স্বয়ং। কপাল মন্দ থাকলে এ রকমই হয়, হরি হে!

    অপহৃতা মহাশ্বেতাকে দিয়ে আমরা বার বার তার বাড়িতে ফোন করানোর চেষ্টা করলাম মুক্তিপণের দাবি-টাবি সহ -- কিন্তু সে কোনো গা-ই করল না। যদি একটিবার সে ফোন করত তাহলে কি হত ভেবে দেখুন। চারদিকে হৈ হৈ পড়ে যেত, ভারতীয় পুলিশ যোগাযোগ করত মেক্সিকো পুলিশের সঙ্গে, বাংলা চ্যানেলের অ্যাঙ্কর বর্ণনা করতে পারত -- এই দেখুন কী ভাবে পার্ক সার্কাসের একটি দুধের শিশুকে তিনটি লোক নিয়ে গিয়ে আটকে রেখেছে মেক্সিকোর এক এঁদো মেসবাড়িতে, কী রকম নৃশংস ভাবে বন্দি করে রেখেছে তাকে, দেখুন সরাসরি আমাদের পর্দায়...

    কিন্তু সেনোরিটা মহাশ্বেতা আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন না। কিন্তু একটি বার, শুধু একটি বার যদি এই পরিকল্পনা মাফিক সব কিছু হত, তাহলেই কত সহজ হয়ে যেত সবকিছু, ভাবতে পারছেন? মেক্সিকো পুলিশ এসে খপাৎ করে ধরে ফেলত আমাদের, আর পত্রপাঠ ডিপোর্টেশন। ভিসা কি প্লেন ভাড়া -- কোনো কিছু নিয়েই মাথা ঘামাতে হত না আর। প্রায় ডিপ্লোমেটিক ক্রাইসিসের মুখে পড়ে মেক্সিকো দেশে আটকে গিয়ে তার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কত সহজ এই আইডিয়া ভেবে বার করা হয়েছিল, কিন্তু কোনো ভাবেই তার রূপায়ণ করা গেল না। উফ্‌!

    তার বদলে কি হলো? চিৎকার, চেঁচামেচি, সাহায্যের আবেদন -- কোনো কিছুই না করে সারা রাত্তির জেগে বসে শুকনো মুখে সেনোরিটা শুধু ইণ্টারনেট ঘেঁটে গেলেন। সমানে দেখে গেলেন কখন কিভাবে কোন উড়োজাহাজের টিকিট কাটলে মেক্সিকোর এই মায়াজাল থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়। আর আমরা তিনজন রীতিমত আইনসম্মত অপহরণকারী সারা রাত তাকে পাহারা দিতে গিয়ে গোটা একখানা ব্যালেণ্টাইন হুইস্কির বোতল প্রায় খালি করে ফেললাম। আর মহাশ্বেতার কাতর পিছুডাক উপেক্ষা করে এবং হোটেলের সিকিউরিটিকে দিয়ে তাকে আটকানোর সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ডেকয়েট এবং ড্রাগলর্ড-ইনফেস্টেড মেক্সিকোর রাস্তায় রাত দেড়টার সময় খাবার খুঁজতে বেরিয়ে পড়ল ডেঁপো বোস।
  • Achintyarup | 69.93.244.71 | ০৩ জুন ২০১২ ০৩:৩৫550590
  • উফ্‌!

    আমি বাড়ি যাব।

    বললেন এক সাংবাদিক।

    এর মধ্যে অবাক হওয়ার বা ভিরকুটি করার কিছু নেই, বাড়ি আমরা সবাই যেতে চাই, কে-ই বা চায় ঠাণ্ডায় কি গরমে বাইরে পড়ে থাকতে? কাজেই চল্লিশোর্ধ্ব সংবাদসংগ্রহকারী প্লেন থেকে নেমে মেক্সিকোর মাটিতে পা দেওয়া মাত্রই এ কথা বলতেই পারেন। আরও বিশেষ করে এই কারণে, যে দীর্ঘ বিমানযাত্রায় এক কণাও ভাত জোটেনি এবং অদূর ভবিষ্যতে কবে জুটবে তা নিয়েও তাঁর মনে যথেষ্ট সংশয় ছিল। আর একটানা অনেকটা সময় ভাত না মিললে অন্য কোনো খাদ্যই সহজে গলা দিয়ে নামতে চায় না, সে কথা নতুন করে বলার কিছু নেই।

    ফলে সংবাদ সামিট শেষ হতে হতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর সামিটের শেষ বিকেলে নিমন্ত্রণকারীরা যখন জানিয়ে দিলেন যে সেই রাত থেকে নিমন্ত্রিতদের খাওয়া-দাওয়ার ভার আর তাঁদের নয়, তখ্ন কাঁপুনি দিয়ে জ্বর না আসাটা অস্বাভাবিক নয় কি? উফ্‌! ডেকে নিয়ে এসে এমন অপমান! রাতে খাবার পাব কি না জিগ্যেস করাতে কাঁধ ঝাঁকিয়ে হাত উল্টে বলে কিনা, দ্য সামিট ইজ় ওভার! আমার আবার ডায়াবেটিস আছে, বেশীক্ষণ খালিপেটে থাকতে পারি না, আমায় একটু খাবার এনে দিবি রে? যা হয় কিছু? শুকনো পাঁউরুটি হলেও চলবে। একটু কপালে হাত দিয়ে দেখ তো, জ্বরটা বোধ হয় বাড়ছে। একটা ক্রোসিন দিবি ভাইটি?

    হোটেলের পাশের দোকান থেকে স্যাণ্ডুইচ এনে দেওয়ায় আপ্লুত হয়ে পড়েন সাংবাদিক। বলেন তুই আমার ভাই রে, তুই আমার ভাই। তুই আমাকে বাঁচালি রে, দে ক্রোসিনটা দে। উফ্‌! ডেকে নিয়ে এসে এমন অপমান! উফ্‌!

    কেন জানিনা, বাকি সফরে তাঁর সঙ্গীরা কারণে-অকারণে খুশীতে-দুঃখে শোকে-উল্লাসে বারে বারেই বলে উঠছিলেন, উফ্‌!

    দেখা গেল দেশে ফিরে আসার পরও কেউ কেউ সে বদভ্যাস থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছেন না।

    উফ্‌!
  • পাই | 82.83.85.246 | ০৩ জুন ২০১২ ০৩:৫২550591
  • উফ ! ব্যাপক হচ্ছে ! ঃ)
  • Nina | 78.34.167.250 | ০৩ জুন ২০১২ ০৫:১৫550593
  • উফ! চিন্টুবাবু --এক্কেবারে উফ!
    ( আর ইয়ে সেই সেদিন ডাচ এয়ারপোর্টে কি কি কিনলে?)
  • Achintyarup | 69.93.240.23 | ০৪ জুন ২০১২ ০৪:০৬550594
  • ডাচ অ্যারপোর্টে একটা গরু কিনলুম -- সাদা-নীল চিনেমাটির।
  • Abhyu | 107.81.99.89 | ০৪ জুন ২০১২ ০৪:১২550595
  • আর হাওয়াকল? হাওয়াকল কিনলেন নি?
  • Achintyarup | 125.111.248.134 | ০৪ জুন ২০১২ ১৭:০৯550597
  • ন্নাঃ। অ্যারপোর্টের ভেতর থেকে জ়ুম বাগিয়ে দূরের হাওয়াকলে ছবি তুল্লুম। ঝাপ্সামত এল
  • Achintyarup | 125.111.248.134 | ০৪ জুন ২০১২ ১৭:০৯550596
  • ন্নাঃ। অ্যারপোর্টের ভেতর থেকে জ়ুম বাগিয়ে দূরের হাওয়াকলে ছবি তুল্লুম। ঝাপ্সামত এল
  • Achintyarup | 69.93.242.180 | ০৫ জুন ২০১২ ০৫:১৮550598
  • এই হল প্লাজ়া দে লা ত্রেস কুলচুরাস (Square of Three Cultures)। সম্ভব হলে আসবেন না, দেখবেন না এই জায়গা। এড়িয়ে যাবেন, অন্যদিকে তাকিয়ে। ১৯৬৮ সালে মেক্সিকো অলিম্পিকের সময় শতশত ছাত্রকে গুলি করে মেরেছিল সরকার এখানে। লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করে অলিম্পিকের আয়োজন করা হয়েছিল, তার বিরোধিতা করেছিল ছাত্ররা। সরকার তখন আলোচনার জন্য তাদের ডেকে পাঠায় এখানে, তারপর মিলিটারি দিয়ে ঘিরে গুলি চালায় তাদের ওপর। আমার মা-বাবার কাছে শুনেছি সেদিনের গল্প।

    আনা বলছিল। আনা আমাদের সেদিনকার গাইড। আমাদের বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে টিয়াটিহুয়াকানে, সেখানকার পিরামিড দেখতে। যাওয়ার পথে মেক্সিকো সিটির দুয়েকটি দ্রষ্টব্য স্থানের পাশ দিয়ে বাস চলেছে, আর হাতে মাইক ধরে অবিশ্রাম কথা বলে চলেছে আনা।

    (Plaza de las Tres Culturas-এ ছাত্রদের গুলি করে মারা হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সে গল্প আনার কাহিনির মত অত সরল নয়। আর অন্য সব গণহত্যার মত মৃতের সংখ্যা নিয়েও অনেক মত -- কেউ বলেন তিরিশ, কেউ তিনশ, আবার কেউ বলেন তিন হাজার। এবং আলোচনা করার জন্য ডেকে এনে মারা হয়েছিল তাও বোধ হয় ঠিক নয়, ছাত্রদের এক বিক্ষোভ মিছিল ছিল সেদিন ওখানে। তার ওপর পরিকল্পিত ভাবেই গুলি চালানো হয়েছিল হয়ত। অলিম্পিক যাতে নির্বিঘ্নে হয় সে জন্য সে খবর যথা সম্ভব চাপাও দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে অন্য কোথাও পরে বিস্তারিত লেখা যাবে।)

    শহর পেরোতেই শহরতলী। পাহাড়তলী। পাহাড়ের গোড়া থেকে শুরু করে প্রায় মাথার কাছ পর্যন্ত গায়ে গায়ে লাগানো ঠাসবুনুনি ঘরবাড়ি। একটি বাড়িও রং-করা নয়। ম্যাটম্যাট করছে। দূর দূর গাঁ-গেরাম থেকে কাজের খোঁজে আসা মানুষরা নাকি এইসব জায়গায় বসতি গড়েছিল। সরকারকে তারা ট্যাক্স দিত না, তাই সরকারও তাদের বাড়ি রং করার অনুমতি দেয়নি। আনা তো এই রকমই বলল।

    শহরতলী পেরিয়ে বাস এগোয় টিওটিহুয়াকানের দিকে। সেখানে যাব বলেই তো হপ্তা দুই ধরে কত প্রস্তুতি। কনকলে মহাশ্বেতা, ঋত্বিক আর আমার নানা রকমের পরিকল্পনা। সংবাদ সামিটের যে রুটিন আমাদের হাতে পৌঁছেছিল, তাতে বেড়াতে যাওয়ার কোনো ফাঁক ছিল না। আমরা তিনজন তাই ঠিক করেছিলাম সামিট শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও দিন দুই থেকে যাব মেক্সিকোতে। আমাদের শখ ছিল মায়া সভ্যতার চিহ্ন দেখব। তার জন্যে ইন্টারনেট ঘেঁটেঘুঁটে এই জায়গার কথা খুঁজে বের করেছিল মহাশ্বেতা। নামটা T দিয়ে শুরু এবং কিছুতেই মনে রাখা যায় না। মেক্সিকোর দিকে রওয়ানা হওয়ার সময় পর্যন্ত অন্তত এইটুকুই জানতাম টিওটিহুয়াকান সম্পর্কে। (ফিরে আসার পরেও যে খুব একটা জ্ঞান বৃদ্ধি হয়েছে তা বলতে পারি না।) তারপর ২০ তারিখ সন্ধেবেলা প্লেন থেকে নেমে প্রেসিদেন্তে হোটেলে পৌঁছুলুম। সেখানে রাতের খাওয়ার শেষে বাইরে দাঁড়িয়ে বিড়ি টানার সময় কর্মকর্তারা বললেন কাল সকালটা খালি আছে, সে সময়টা তোমাদের টিওটিহুয়াকান নিয়ে যাব। খবরটা আমাদের দেওয়ার সময় সেনোরিটা মহাশ্বেতার মুখের চেহারাটা যদি একবার দেখতে! এক্কেবারে উফ্‌!
  • Achintyarup | 69.93.242.150 | ০৬ জুন ২০১২ ০৫:১৪550599
  • উফ্‌!

    উঠছি তো উঠছিই, সিঁড়ির আর শেষ নেই। দম নিকলে আসার অবস্থা। সূর্যদেবের পিরামিড বলে কথা। গাইড আগেই বলে দিয়েছিল, পিরামিড অব দ্য মুন-টায় ওঠা কঠিন। তুলনায় সূর্য পিরামিডের ওপর চড়া সহজ। সো, সেভ ইয়োর এনার্জি ফর দ্য পিরামিড অব দ্য সান। তাই করেছি। চাঁদের পিরামিডের খানিকটা পর্যন্ত উঠে ফটো-টটো তুলে আবার নেমে এসে হাঁটা লাগিয়েছি অ্যাভেন্যু অব দ্য ডেড ধরে সো-ও-জা। দু ধারে সারি সারি বাড়ির উঁচু উঁচু ভিত। গাইড বলেছিল এগুলো সব মন্দির। এরকম কটা মন্দির আছে আমিগো? মুখ থেকে প্রশ্ন খসতে না খসতে জবাব চলে আসে, একশোটা। হাজির-জবাব না হলে গাইড হওয়া যায় না।

    মন্দির-টন্দির কিছু না, টিয়াটিহুয়াকানের অ্যাভেন্যু অব দ্য ডেড-এর দুপাশের সার-দেওয়া বাঁধানো ভিতগুলো আসলে এক কালের জমজমাট শহরের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ির অবশেষ। হাজার দুয়েক বছর আগে দেড় থেকে দুলাখ লোকের নাকি বসত ছিল এখানে। ভেবে দেখো একবার। নিচু জোলো জায়গায় শহর, চারদিকে নলখাগড়ার বন, যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি সেখানে দিয়ে ক্যানো চেপে যাতায়াত করত মানুষজন -- কাজে যেত, ফলমূল ভেড়া শুয়োর বিক্রি করত, যুদ্ধ করতে যেত, ঝপাঝপ দাঁড় ফেলে শত্রুর হাত থেকে পালিয়ে বাঁচত।

    কিন্তু আমি কোথা দিয়ে পালিয়ে বাঁচি? চারদিক থেকে ছেঁকে ধরেছে ফিরিওয়ালার দল। কারও হাতে মাটির ছোট ছোট মূর্তি (সেগুলো আসলে বাঁশি, ফুঁ দিলে চমৎকার বাজে), কারও হাতে পাথরের মুখোশ, কেউ বিক্কিরি করছে রুপোর গয়্না, কারও কাছে পাথরের মালা। ছোট ছোট পাথরের মূর্তিও নিয়ে এসেছে কেউ কেউ। আনা এদিকে আগেই বলে দিয়েছে, পিরামিডের সামনে কারও কাছ থেকে কিছু কিনলে সাবধানে দেখে নেবে, যেন আসল না হয়। এখানে নাকি ফেরিওয়ালারা নকল বলে আসল পুরোনো জিনিস গছিয়ে দেয়। (বোঝো কাণ্ড!) তারপর তুমি যখন দেশ ছেড়ে বেরোবে তখন ক্যাঁক করে চেপে ধরে তোমাকে জেলে পুরে দেবে কাস্টমসের লোকেরা। তার বদলে তুমি বরং পিরামিডের কিলোমিটারখানেক দূরের ওই কো-অপারেটিভ থেকে জিনিসপত্র কেনাকাটি কর। (হয়ত আনার তাতে কিছু কমিশন থাকে। কারণ পরে দেখেছি কো-অপারেটিভের জিনিসের দাম বেশ খানিকটা বেশি। ততক্ষণে অবশ্য ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে।)
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ০৬ জুন ২০১২ ০৬:১২550600
  • মাটির মূর্তি-কাম-বাঁশি ? বাহ
  • SS | 109.120.125.223 | ০৬ জুন ২০১২ ০৭:২৫550601
  • হে-হে, গাইড ভালো টুপি পরিয়েছে। কিছু কিনলে পিরামিডের আশপাশ থেকেই কেনা উচিত। আমি দুটো অবসিডিয়ান পাথরের মূর্তি (সূর্য ও চন্দ্র) কিনেছিলাম। গাইডের নিয়ে যাওয়া দোকানে ওগুলোর ৩ গুণ দাম বলেছিল।
  • Achintyarup | 69.93.247.143 | ০৭ জুন ২০১২ ০৫:০৯550602
  • সূর্যদেবের মন্দিরের ওপর থেকে এইটুকু ছোট্ট ছোট্ট লিলিপুটিয়ানদের মত দেখা যাচ্ছিল নিচের মানুষগুলোকে। কিন্তু ফিরিওয়ালাদের হাতের বাঁশির আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল স্পষ্ট। নানা রকমের বাঁশির বিচিত্র আওয়াজ। লম্বাটে মূর্তির মত বাঁশিগুলোর এক রকম আওয়াজ, ছোট গোল কচ্ছপের মত বাঁশির আওয়াজ আর এক রকম, আর বাঘের মুখওয়ালা বাঁশি থেকে কী ভাবে যে জাগুয়ারের ডাকের মত শব্দ বের করছে কিছুতেই বুঝতে পারলাম না। আমি তো দু একবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শেষে ওই বাঁশি কিনলামই না। এখন একটু আপশোষ হচ্ছে। আপিস যাওয়ার সময় কলকাতার অটো কি মেট্রোয় জাগুয়ার বাঁশি বাজাতে বাজাতে যেতে পারলে বেশ হত।

    পিরামিডের কথা বলব কি, সে সব তো বইতেই পেয়ে যাবে, তাছাড়া প্রায় সবকিছুই দিব্যিসিমেণ্ট দিয়ে গাঁথা। ছবিতেই দেখতে পাবে। এ বিষয়ে আমাণ্ডা কি বলেছেন একটু লিখিঃ "The Teotihuacan pyramids are not Mayan and horribly cemented over -- the cheapest and nastiest kind of tourist exploitation." তাও, এ ধরণের জিনিস তো দেখিনি কখনো এবং মোটামুটি এই রকমই দেখতে মূল জিনিসগুলো এখানেই হাজার হাজার বছর আগেকার মানুষেরা বানিয়েছিল, ভেবে একটু রোমাঞ্চ হয়। তা ছাড়া কিছু ফ্রেস্কোও রয়ে গেছে। লাল, সবুজ, গেরুয়া টাইপের রং এখনও জ্বলজ্বল করছে। সে এক দারুণ ব্যাপার। কিন্তু মন্দিরের এক দিকের থামে পুরোনো নক্সা টিকে আছে বলে অন্য দিকের থামটায় সিমেণ্ট দিয়ে সেই রকম নক্সা বানিয়ে দেওয়াটা মোট্টে ভাল লাগল না।

    তবে টিয়াটিহুয়াকানের ফিরিওয়ালা আর তাদের বিক্কিরির জিনিসগুলো আমার বেশ লেগেছে। আসল জিনিস কিনে ফেলব ভয়ে কিছু ছোট্ট ছোট্ট পালিশহীন শিল্পদ্রব্য কিনিনি। কিনব না কিনব না করেও অনেক দরদামের পর একখানা পাথুরে মুখোশ কিনে ফেলেছি, তবে মালাকাইটের তৈরি মুখোশটা আমার বেশি পছন্দের ছিল। কিন্তু সেটা বিক্কিরি করছিল যে লোকটা, সে যে পরে কোথায় চলে গেল, আর খুঁজেই পেলুম না।

    এসব ছাড়াও বিক্রি হচ্ছিল তীরধনুক, ইণ্ডিয়ান মোটিফ-ঠাসা গোল গোল চাক্তি এবং বড় বড় টেবিলক্লথ টাইপের জিনিস আর রুপোর গয়না। দেখতে বেশ লাগছিল। তবে আনা বলল, ওসব গয়নার বেশির ভাগই ঝুটো রুপো দিয়ে তৈরি। দামও বেজায় বেশি।

    এই রকম সব টুরিস্ট-আকর্ষণকারী নানান পসরা নিয়ে বিক্কিরিওয়ালারা ঘুরে বেড়াচ্ছে চতুর্দিকে। কেউ বা বসে আছে মাটিতে। গোটা জায়গাটায় বেশ একটা মেলা মেলা ভাব। আনা মাঝে মাঝেই আমাদের বিভিন্ন জিনিস কিনতে উৎসাহ দিচ্ছে। উৎসাহের পরিমাণ বেশি হয়ে যাওয়ায় এক সময় মেক্সিকো সিটিতে তার বাড়ির ঠিকানা জানতে চাই। একটু অবাক হয়ে সে আমার মুখের দিকে তাকায়। বুঝিয়ে বলি, দেশে ফেরার টিকিট আমাদের কেনা আছে, কিন্তু মেক্সিকোতে দিন দু-তিন থাকার জন্য যেটুকু টাকা-পয়সা সঙ্গে এনেছিলুম সব যদি এখানেই খরচ করে ফেলি, তাহলে তার বাড়িতে গিয়ে ওঠা ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না। আনা হাসে, কিন্তু নিরস্ত হয় না।

    কিছু নক্সা-করা ইয়ারিং কেনা হল। রেড ইণ্ডিয়ান মুখের আদলে ভারী চমৎকার খোদাই-করা লকেটওয়ালা একখানা গলার হার বেশ পছন্দ হল। দাম বললে একশ ডলার। খানিক দরদাম করে ওই রকম দুখানা হার কিনে ফেললুম মোট বিশ ডলারে। আমার দরদামক্ষমতা দেখে হাঁ করে চেয়ে রইল আনা। বলল তোমার কাছে এ বিদ্যেটা শিখে নিতে হবে। জানে না তো, এ সব হল মেট্রো গলির শিক্ষা। হুঁহুঁ বাবা!
  • Achintyarup | 69.93.255.200 | ১২ জুন ২০১২ ০৫:২৩550604
  • উফ্‌!

    শেষমেশ এমন ইচ্ছাপূরণ! কীই বা এমন চাওয়া হয়েছিল? রাত্তিরবেলায় খেতে বসে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুটি একটু ডেজ়ার্ট খেতে চেয়েছিলেন,

    পরদিন ভোর ভোর প্লেনে উঠে ঘন্টা দুই যাত্রার পর মনক্লোভার ওপর যখন ভাসছি, নিচে তাকিয়ে ডেঁপো বোস আমাদের সেই বন্ধুকে বলল, ডেজ়ার্ট চাইছিলি না রাত্রে, দেখ ডেজ়ার্ট এসে গেছে।

    চেয়ে দেখি গাছপালাহীন ধু ধু প্রান্তর, কটকট করছে রোদ্দুর, এদিকে ওদিকে দুচারটে ন্যাড়া পাহাড়। প্রায় মরুভূমি। বাঙালীর উশ্চারণে দুই ডেজ়ার্টে কতটুকুই বা তফাৎ। কিন্তু তাই বলে এমনি বর দেবেন ইচ্ছেদেবী?

    আস্তে আস্তে গাচপালার সাইজ বাড়তে লাগল, খুদে খুদে ঘরবড়িগুলো বড় হতে থাকল, আর এক সময় ছোট্ট ঝাঁকুনি খেয়ে আমাদের উড়োজাহাজ মাটি ছুঁল। ককপিটের দরজা দিয়ে মুণ্ডু গলিয়ে ডেঁপো পরিষ্কার বাংলাভাষায় পাইলটকে বলল, দারুণ নামিয়েছ গুরু, কতা হবে না। গ্রাশিয়াস, গ্রাশিয়াস। আমি যেখানে বসে ছিলাম সেখান থেকে পাইলটের মুখ দেখা যাচ্ছিল না।

    কুট্টিমামার দেশের প্লেন মনে আছে? যাকে নিয়ে নোনো রসিকতা চলবে না? ঠিক অতটা ছোট্টখাট্ট চিনির বস্তা-বওয়া টাইপ না হলেও, আমাদের এটিআর প্লেনটা দেখে দিব্যি খেলনা খেলনা মনে হচ্ছিল। দুখানা অমন প্লেন বোঝাই করে আমরা গুচ্ছের সাংবাদিক গিয়ে নামলাম মরুশহরে।

    মনক্লোভা। ঠিক মনলোভা জায়গা নয়, কিন্তু পুচকি মত অ্যারপোর্টখানা দেখে মনটা ভাল হয়ে গেল। নাকি এয়ারফিল্ডই বলব? এইটুকু জায়গা, তার মধ্যে তিন চারটে পুঁটিমাছ টাইপের প্লেন এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে জিরেন নিচ্ছে, একটু দূরে দেখা যাচ্ছে ন্যাড়া পাহাড়।

    হাসি হাসি মুখ অ্যারহোস্টেসের হাত থেকে একখানা টফি ছিনিয়ে নিয়ে মুখে পুরে প্লেন থেকে প্রায় লাফ দিয়ে নামলাম মাটিতে। আর নেমেই বুঝলাম এ জায়গা ঝুণ্ডি না হয়ে যায় না। সকাল নটাতেই থার্মোমিটারের পারা চল্লিশ ডিগ্রি সেণ্টিগ্রেডের কাছাকাছি। রোদ থেকে বাঁচতে দৌড়ে গিয়ে ঢুকলাম টার্মিনালে। মনে হল যেন ঝুণ্ডির রাজার বাড়ি জামাইষষ্ঠীতে এসেছি। যত্ন করে প্রায় হাত ধরে নিয়ে গিয়ে আমাদের উঠিয়ে দেওয়া হল বাইরে অপেক্ষমান বাসে। কালচে কাচে ঢাকা বাসের ভেতরটা ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কুল কুল।
  • Tim | 138.173.39.38 | ১২ জুন ২০১২ ০৫:২৮550605
  • উফ! একঘর হচ্ছে।
  • Nina | 78.34.167.250 | ১৩ জুন ২০১২ ০৪:২৭550606
  • কুল ! কুল !
  • kiki | 69.93.202.246 | ২৩ জুন ২০১২ ১৭:৩০550607
  • ওরে......... তাপ্পর??????????????
  • Rit | 213.110.243.21 | ২৩ জুন ২০১২ ১৯:৩৯550608
  • থ্রিলিং। টিনটিনের থ্রিল পাওয়া যাচ্ছে।
  • কুমু | 132.160.159.184 | ২৯ জুন ২০১২ ১৯:৪২550609
  • তার্পর??লিখবে কে?
  • kiki | 69.93.242.141 | ৩০ জুন ২০১২ ১৪:২৩550610
  • তিনি তো রেতের বেলায় কলকাতার ফটোক তুলতে বেইরেছেন। ফিরলো কিনা দেখো!
  • kumu | 132.160.159.184 | ২০ জুলাই ২০১২ ১৩:৩৮550611
  • টই তুলে দিলাম,অ চিন্টুবাবু।
  • sinfaut | 131.241.218.132 | ২০ জুলাই ২০১২ ১৪:০৪550612
  • উফ্‌।

    চিন্টুদা লেখেননা কেন?
  • de | 213.197.30.4 | ২০ জুলাই ২০১২ ১৫:০০550613
  • উফ!

    আবার কখন?
  • | 24.99.196.212 | ২০ জুলাই ২০১২ ১৫:১৬550615
  • উফ!
    উফ!উফ!
    উফ!উফ!উফ!
    উফ!উফ!উফ!উফ!
    উফ!উফ!উফ!উফ!উফ!
    উফ!উফ!উফ!উফ!উফ!উফ!
    উফ!উফ!উফ!উফ!উফ!উফ!উফ!

    তারপর কই?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন