এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • ভালো নাটক

    r
    নাটক | ১৭ এপ্রিল ২০০৬ | ৩১০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dukhe | 14.99.230.115 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৩৯563346
  • PT, লিয়র কেমন লাগল ?
    মাধবী আমারও সুবিধের লাগেনি । বিশেষ করে দেবশংকর বিশেষ ঝুলিয়েছেন মনে হয়েছিল ।
  • nyara | 203.83.248.37 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:১৫563347
  • কল্লোলদা যেরকম বলল তাতে মনে হচ্ছে ওটাই নান্দীকারের ট্র্যাডিশন। আশির দশকের শেষের দিকে পৃথুলা ও মধ্যবয়েসী আন্তিগোনে-বেশী স্বাতীলেখাকে উদ্দেশ করে ক্রেয়ন-বেশী রুদ্রপ্রসাদ এক হল লোকের মাঝখানে চেঁচিয়ে ডাকলেন, 'ছোট্ট, মিষ্টি আন্তিগোনে'।

    তবে এও ঠিক, অভিনয়ে এসব অনেক ত্রুটি ঢেকে যায়। কেয়া চক্রবর্তী করলে কেমন লাগত জানিনা, কিন্তু সেদিন ভাল লাগেনি। স্বতীলেখা হয়তো কখনই কেয়া চক্রবর্তী, তৃপ্তি মিত্র, মায়া ঘোষ, অনসূয়া মজুমদারের স্টেজ পারফরমেন্সের কাছে আসবেন না, কিন্ত গেল বছর নান্দীকারের 'অজ্ঞাতবাস' নামক ঢপের অভিনয়সমৃদ্ধ ততোধিক ঢপের নাটকে একমাত্র স্বাতীলেখার অভিনয়ই বসে দেখা গেছিল।
  • I | 14.96.223.242 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:২৩563348
  • উৎপল দত্ত বাদল সরকারের কোন নাটক নিয়ে যেন গালি দিয়েছিলেন- ঐসব গ্রীক লোকজন ! তাঁদের চরিত্র করছেন এঁরা , এই কালোকোলো বেঁটে মোটা বাঙালীরা-এই জাতীয় কথা বলেছিলেন না?
  • ranjan roy | 121.245.131.170 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:২৮563349
  • পিটি,
    এই " আওরঙ্গজেব' কি সেই মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের সেই স্ক্রিপ্ট, যা হিন্দি বলয়ের কোন মহিলা নাট্যকারের লেখা থেকে " ভাবানুবাদ' এবং শুরুতে ওঁরা ঋণস্বীকার না করায় মোহিতবাবুকে চিঠি ধরানো হয়েছিল? মূলের রাইটারের নাম ভুলে গেছি।
    আচ্ছা, পিটি! ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাসের দিন কোথায় ভালো নাটক হচ্ছে? দেবী সর্পমস্তা বা ফুরুৎ হচ্ছে কি? বা আপনার পছন্দ মত কোন নাটক আপনার সাথে বসে দেখা যাবে? আমি সেদিন কোলকাতায় আছি।
    সম্ভব হলে জানাবেন।
    আমার ফোন নম্বর ০৯৯৮১০৮৩৭৩৬।
  • sinfaut | 117.194.232.20 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৩৩563350
  • ফুড়ুৎ বিশাল ভালো।

    ডাক্তারের কথা শুনে ইচ্ছের অলিগলি দেখেছিলাম, ঠকিনি। খুবই ভালো লেগেছে।

    আগুনের বর্ণমালা দেখেছি, খুব ভালো।

    E=mc2 দেখেছি। অন্যত্র এত গালাগাল দিয়েচি এটা দেখে যে এই দলের লোকজন আমাকে এসে উল্টে দু'কথা শুনিয়ে দিয়েছে। আমিও আবার উল্টে দু'কথা ..

    প্রসঙ্গত, ফুড়ুৎ ও e=mc2 একই লোকের নির্দেশনা ও লেখা। :O !!!
  • nyara | 203.83.248.37 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৩৯563351
  • উৎপল দত্ত জেনেরালি বাদল সরকারের নাট্যচিন্তা ও দর্শন নিয়েই প্রচুর গালাগাল দিয়েছেন, ভাইড 'জপেনদা জপেন যা'।

    তামিল নাট্যকার পার্থসারথীর একটা 'ঔরঙ্গজেব' নাটক আছে। শমীক বন্দোর সম্পাদনায় একটা নাটকের অ্যান্থোলজিতে (অক্সফোর্ড?) পড়েছিলাম। ভাল লেগেছিল। বছর দশেক আগে অনুবাদ করেছিলাম। পার্থসারথীর পারমিশনও নিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত আর ছাপানো হয়নি। এটা সেই নাটক হলে পাবলিশড অথর আর হাওয়া হল্য না।
  • ranjan roy | 121.245.131.170 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:০৫563352
  • ইয়েস্‌, ন্যাড়াবাবু! নামটা মনে পড়ে গেল--ইন্দিরা পার্থসারথী। মোহিত কে বিনা অনুমতি অনুবাদ করায় চিঠি দিয়েছিলেন।
    মাত্র গতবছর আমার নিউইয়র্কবাসীবন্ধু ধ্রুব দত্তের অনুরোধে
    খুঁজে না পেয়ে শেষে চিন্টুবাবুর সংগ্রহ থেকে নিয়ে ওকে দিই।
    চুলোয় যাক সেটা। আপনি আপনার অনুবাদ গুরুতে দিন না! যদি আগামী ২০১৩'র বইমেলায় চটি করে বের করা যায়! মোহিতবাবুরটা অথরাইজড- না। কাজেই আপনরটা হয়ে যাবে। লড়ে যান।
  • kallol | 101.63.58.136 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:০৯563353
  • হ্যাঁ হ্যাঁ ন্যাড়া নাটকটা গুরুতে দিক।
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৩৩563354
  • আগের মাসে ২৪ তারিখে, ব্যাঙ্গালোরের কাব্বন পার্কের ভিতরে একটা হলে (বাল ভবন) বাচ্চাদের জন্য নাটক The Devil's Tree দেখতে গেছিলাম।
    গল্পটা গোন্দ জাতির উপকথা। ইংরাজী অনুবাদ করেছেন পদ্মাবতী রাও। নাটকের পরিচালকও তিনি।
    এক রাখাল বালক। নাম রাজু। রাখাল বালকেরা যেমন হয়, ঠিক তেমনই সে গরু চরায় আর গাছের তলায় বসে বাঁশি বাজায়। সেই গাছটায় ছিলো একটা বেম্মদত্তির বাসা (ইংরাজিতে সে ডেভিল)। রাখালের বাঁশির সুর সেই বেম্মদত্তির ভারি পছন্দ। রাখাল যখন বাঁশি বাজায়, সে ঐ বাঁশির সুরের ছন্দে নাচে। রাখাল তাকে দেখতে পায় না, ফলে সে জানেও না কি ঘটছে।
    এমনি করে কাটছিলো দিন দিব্য।
    রাখাল ইস্কুলেও যেতো। কিন্তু দুই দুষ্টু ছেলের ষড়যন্ত্রে, মিথ্যা দোষে তাকে ইস্কুল থে তাড়িয়ে দেয়।
    রাখালের এক মা আছে। বাবা নেই। রাখালের মা গরুর দুধের মিস্টি বানায়। রাখাল তা বাজারে বেচে যা পয়সা পায় তাতে তাদের কোনমতে দিন কাটে। সুখে স্বচ্ছন্দে নয়, তবে আনন্দে কাটে।
    একদিন রাখাল মিস্টি নিয়ে বাজার যাবার পথে সেই দুই দুষ্টু বন্ধুর সাথে দেখা। এরা এখন সে রাজ্যের রাজপুত্তুর যুবির বন্ধু। ওরা জোর করে মিস্টি কেড়ে নেয়, আর রাজুকে মিথ্যে মিথ্যে বলে এগুলো তারা যুবিকে দেবে। যুবির পছন্দ হলে রাজুর মা রাজ মিঠাইওয়ালা হয়ে যাবে। এইভাবে রাজুকে ঠকিয়ে ওরা সব মিস্টি খেয়ে ফেলে।
    রাজু ঘরে ফিরে মাকে সব বলে। মা আর কি করেন। স্বান্তনা দেন রাজুকে।
    পরের দিন রাজু ওদের খুঁজে বার করে। ওরা জানায় যুবির পছন্দ হয় নি। কারন যুবি বাদাম পছন্দ করে। মিস্টিতে বাদাম ছিলো না যে!
    রাজুর বড় মন খারাপ হয়। গাছের তলায় বসে থাকে বাঁশি বাজায় না।
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫০563356
  • ওদিকে বেম্মদত্তিরও ভারি মন খারাপ। রাজু বাঁশি না বাজালে তার নাচাও হয় না। শেষ মেশ সে রাজুকে দেখা দিলো। রাজুতো সব শুনে ভারী মজা পেয়েছে। এমন একজন বন্ধু পেয়ে রাজু আবার বাঁশি বাজায়, বেম্মদত্তি নাচে।
    এমনি করে কাটছিলো দিন দিব্য।
    এর মধ্যে একদিন যুবি বন্ধুদের নিয়ে শিকার খেলতে বের হয়। শিকার তাড়া করতে করতে তাদের সাথে দেখা হয় রাজুর। রাজু তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলো অর্‌র বেম্মদত্তি নাচছিলো। ওরা তো বেম্মদত্তিকে দেখতে পায় না, শুধু রাজুর বাঁশিই শোনে। যুবি রাজুর বাঁশি শুনে মুগ্‌ধ হয়ে তাকে রাজসভার বাঁশি বাদক করতে চায়, সে যখন রাজা হবে তখন। ওরা বন্ধু পাতায়।
    এর মধ্যে রাজার দেহান্ত হয়। যুবি রাজা হয়ে রজ্য পরিদর্শনে বের হয়। রাজু তার সাথে দেখা করতে চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়। রাজা বলে দেন তিনি অমন কাউকে চেনেন না।
    রাজু খুব কষ্ট পায় ও বাঁশি বাজানো ছেড়েই দেয়।
    বেম্মদত্তি সব দেখে সব শোনে। তারও খুব রাগ হয়। সে যাদুবলে রাজার মাথায় শিং আর মুলোর মতো দাঁত গজিয়ে দেয়।
    রাজা আয়নায় নিজেকে দেখে খুব ভেঙ্গে পড়ে। কত বদ্যি-হাকিম-ডাক্তার আসে, কতো ওঝা-যাদুকর-তান্ত্রিক আসে। কোন কিছুতেই কিছু হয় না। ওদিকে রাজু শুনেছে রাজার অসুখের কথা। সে কথা বম্মদত্তিকে জানাতে, বেম্মদত্তি খুব খুশী হয়। বেম্মদত্তির খুশী দেখে রাজু তাকে চেপে ধরতেই সে স্বীকার করে ওটা তারই কাজ। রাজু তাকে খুব বকে। বলে আর কোনদিনও সে বাঁশি বাজাবে না। বেম্মদত্তি তাকে গাছের একটা ডাল দিয়ে বলে এটা রাজার সামনে ঘুরিয়ে মনতর পড়লেই রাজা ভালো হয়ে যাবে।
    রাজু রাজাকে ভালো করে দেয়। রাজা নিজের বুল বুঝে ক্ষমা চায় ও রাজুকে সভাবাদক করতে চায়। রাজু তাকে মানা করে ফিরে আসে গাছতলায়। সেখানে রাজু আবার বাঁশি বাজায় আর বেম্মদত্তি নেচে চলে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:৪০563357
  • প্রথমেই যেটা বলার, সেটা হলো সেট আর কস্টিউম। গাছটি তার ফোঁকড় সমেত চমৎকার। সেটি মঞ্চের ডানদিকে আর বাঁদিকে ভিতরে যুবির শোবার ঘর, সামনের দিকে রাজুর মায়ের কুঁড়েঘর। যুবির শোবার ঘরে একটি খাট। তার মাথার ওপর থেকে মশারী নেমে আসে, আবার ঘুম ভাঙ্গলে উঠে যায়।
    রাজুর মায়ের কুঁড়েঘরটি বাঁশের দেওয়ালের ওপর খড়ের ছউনি। দরোজাটির বাইরে উঠোন। দরোজা দিয়ে ভিতরে গেলে উঠোনটিই ভিতরের ঘর হয়ে যায়।
    বেম্মদত্তি তার সবুজ পাগড়ী, হলুদ কুর্তা, খেটো ধুতি আর গালপাট্টায় জম্পেশ। হাতে আবার সাদা গ্লাভ। এই সব নিয়ে যখন সে কোমর দুলিয়ে বাঁশির সুরে আবছা আলোয় নাচে, তখন সেটা বেশ ভুতের দেশ বলেই মনে হয়। রাখাল বালক একটি পিরান ও ধুতিতে চমৎকার। দুষ্টু দুটোই হাপ প্যান্টুল আর হাতওয়ালা গেঞ্জিতে নচ্ছার টাইপ। একটা ভুঁড়োদাস, একটা চিমড়ে। যুবরাজ/রাজ ঝলমলে লম্বা কুর্তা চুড়িদার আর রাজা হবার পর বিইইশাল পাগড়ীতে বেশ রূপকথার রাজা। মা যেমন হয়, সেমিজ আর দেহাতি শাড়িতে।
    কিন্তু যেটা এই নাটকের সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার সেটা হলো শ্যাডো পাপেট।
    মঞ্চের শেষ যেখানে পর্দা মঞ্চের ওপর থেকে নেমে এসেছে, তার মাঝামাঝি একটা সাদা পর্দা। তাতে পিছন থেকে আলো পড়ছে। আর সেই আলোর সামনে কার্ডবোর্ডের কাটা সব গরু ঘোড়া, কুঁড়েঘর রাজপ্রাসাদ, জঙ্গল, মানুষ; এমনকি রাখাল ও তার দুষ্টু বন্ধুরাও দেখা দিচ্ছে।
    শ্যাডো পাপেটের ব্যবহারটি চমৎকার। একই সাথে দুটো সময় ও স্থানকে মঞ্চে উপস্থাপন করা যাচ্ছে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:০৬563358
  • মা অপেক্ষা করছেন রাজুর জন্য। রাজু বাঁশি বাজাতে বাজাতে ঘরে ফিরছে। সিনেমায় দেখায়, মা দাওয়ায় বসে আছেন, আর মাঝে মাঝে রাস্তা দেখছেন। কাট টু রাজু বনের পথে বাঁশি বাজিয়ে ফিরছে। কাট টু মা দাওয়ায়। এখানে কাট নেই। তার দরকারও নেই। রাজু বেম্মদত্তিকে বল্লো - আসি। এই বলে মঞ্চের ডান দিকের উইংস দিয়ে প্রস্থান। মঞ্চের ডানদিকে ব্ল্যাক আউট। বাঁদিকে আলো। মা দাওয়া বসে পথ দেখছেন। রাজুর শ্যাডো পাপেট বাঁশি বাজাতে বাজাতে শ্যাডো বনের পথে হাঁটছে। রাজুর পাপেট শ্যাডো স্ক্রিন থেকে বেরিয়ে যায় স্ক্রিনের বাঁদিকে। মঞ্চের বাঁ উইংস থেকে রাজু বাড়ির উঠোনে।
    রাজা জঙ্গলে শিকারে বেড়িয়েছেন রথে চড়ে। সাথে লোক লস্কর। হরিণেরা পালাচ্ছে, স্ক্রিনের বাঁদিক থেকে ডানদিকে। গোটাটাই শ্যাডো পাপেটে। মঞ্চের ডানদিকে বসে রাজু আর বেম্মদত্তি দেখছে। শিকারের হল্লা শোনা যাচ্ছে। রথ আর দেখা যাচ্ছে না। হরিণেরা পালাচ্ছে। রাজু আর বেম্মদত্তি তখনো দেখছে। ওদের পেছন থেকে বাঁদিকের উইংস দিয়ে রাজা আর দুষ্টু বন্ধুরা ঢোকে।
    অভিনয়ে বেম্মদত্তি, মা আর দুষ্টু ছেলেরা অসাধারন। রাজু আর যুবি/রাজা আরও ভালো হতে পারতো। যুবির একটি চাকর আছে, সেটি বেম্মদত্তিই সামান্য কস্টিউম পাল্টে ও গালপাট্টা খুলে করেন। তিনিও দারুণ। মিউজিকের ব্যবহার সংযত ও যাথাযথ।
    পরিচালককে যা প্রশংসা করা যায়, কম।
    আমি যে শো টি দেখলাম তাতে প্রায় দুশো স্কুলের বাচ্চা ছিলো। দেখে মনে হলো ক্লাশ ৫ থেকে ১০। ভীষণ উপভোগ করেছে ওরা। বেম্মদত্তির নাচে তালে তালে হাততালি দিয়েছে।
    নাটকের শেষে পরিচালক যখন জিজ্ঞাসা,
    - তোমরা কি এদের চেনো?
    সারা হল চঁচিয়ে উঠলো
    - ইয়েস, উই নো দেম
    ব্যাস, পয়সা উসুল।
    বাইরে এসে দেখি একদল ছেলে মেয়ে বেম্মদত্তির নাচ নাচছে।
    হঠৎ যেন চোখে ঝাপসা দেখি। সব কেমন মায়াবী লাগে।
  • ranjan roy | 14.97.117.8 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৮:৩১563359
  • আমি বরাবরের সেন্টিমেন্টাল ফুল। চোখ ও মন দুটোই ভিজে গেল।
  • maximin | 59.93.163.45 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:১৭563360
  • এ বাবা এখানেও সেন্টিমেন্ট। আমার একটা হাসির গল্প বলার ছিল।
  • maximin | 59.93.163.45 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:১৯563361
  • আগে পরিবেশ হালকা হোক, তারপর বলা যাবে।
  • Sarbendra Guha | 14.99.56.163 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:২০563362
  • হ্যামলেট।
  • kumu | 122.176.32.39 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:৩৭563363
  • বিসর্জন কোথায় হচ্ছে?অপর্ণা কে?
  • dukhe | 14.96.62.178 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:১১563364
  • প্রধানত: গঙ্গায় । চিদানন্দবাবুর মেয়ে ।
  • ranjan roy | 121.245.128.111 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২০:৩১563365
  • দুখে, আপনি ইনকরিজিবল্‌:))))
    ম্যাক্সিমিন, বলে ফেলুন। পরিবেশ ওকে।
  • maximin | 59.93.163.45 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৩৯563367
  • টিচার্স ইউনিয়নে যারা মেজরিটি পাল্টেছে। ঠিক হল দলবাজি না করে মিলেমিশে চলবে। অনেক কটা ছোট ছোট কমিটি বানানো হল, ক্যাম্পাসের মধ্যে অকারণে হেঁটে বেড়াতাম বলে আমার অনেক বন্ধু, কাজেই আমাকে সংস্কৃতি কমিটির সম্পাদক করে দেওয়া হল। এক সময়ে নাকি প্রচুর নাটক হত, তারপর নানা ঝামেলায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। নাটক-উৎসাহী টিচারদের মধ্যে সম্ভবত ফিজিক্স অগ্রনী ছিল সেইসব আগেকার দিনে। সেইসব নাটক স্পেশালিস্টরাই কমিটির মেম্বার হলেন।
    আবার কি নাটক করা যায়? সেই আগেকার দিনের মতন? তাহলে ইংরেজির দেবব্রত ব্যানার্জিও কমিটিতে আছেন, তিনি পরিচালনা করতে রাজি হলেন।

  • maximin | 59.93.163.45 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৩৫563368
  • প্রথম লাইনে 'যারা' বাদ। শেষ লাইনে 'তাহলে' বাদ।

    পুরোনোরা এখন আর অভিনয় করেন না। তারা দেখাশোনা করবেন। প্রফেশনালি অভিনয় করে থাকেন এমন অভিনেতা অভিনেত্রীর অভাব নেই। ঠিক হল, বাদল সরকারের কবিকাহিনী হবে। পুজোর ছুটির পর কলেজ খুলেছে। এক সপ্তার মধ্যে নামাতে হবে। ফিজিক্সের দীপক এক পা বাড়িয়েই আছেন, কম্প্যারেটিভ লিটারেচারের অরুন্ধতীকে সহজেই পাওয়া গেল, অরুন্ধতীর মায়ের রোলে বাংলার বাসবীর কথা উঠল, সেসময়ে তার কিছু অসুবিধা ছিল তবুও সে রাজি হল।

    রিহার্সাল শুরু হল। ফ্যাকাল্টি ক্লাবের ভেতরের ঘরে রিহার্সাল। বেশ বৃষ্টি হচ্ছে। নাটক আমার পড়া ছিল না। রিহার্সাল দেখছি উপভোগ করছি। বাসবীর অসুবিধেটা কাটছে না, সে রিহার্সালে আসতে পারছে না, তবে রোলে তাকে এতটাই মানাবে যে রিহার্সাল লাগবে না, নাটকও তার পড়া আছে, ম্যানেজ করে নেবে।

    দুতিন পর বাসবী দু:খের সঙ্গে জানালো যে সে এবারে পারবে না। সকলের মাথায় হাত। কী করা যায়? পরিচালক দেবব্রতবাবুর মাথায় আইডিয়া খেলে গেল আমি আছি রেডি জিনিস, নামিয়ে দেওয়াটুকুই বাকি। দাঁড় করিয়ে ডায়লগ বলিয়ে টেস্ট নেওয়া হল। দেবব্রতবাবু বললেন হাত ঠিক জায়গায় রাখছি আর অভিনয়ের সেটাই আসল। আমার প্রথম লাইন এবং নাটকেরও প্রথম লাইন 'চিঠি তো এলোনা এখোনো।' এতগুলো ওকার, আর আমার দ্বারা এ জীবনে ওকার হয়না। অক্লান্ত অধ্যবসায়ে নৃপেশবাবু বারে বারে বলে বলে শেখানোর চেষ্টা করছেন আমার মনে হচ্ছে বেশি বেশি।

    প্রচুর ডায়লগ অথচ তিনদিন রিহার্সালে আমি যা বুঝলাম দুটো জিনিস আমাকে করতে হবে এক, চিঠি তো এলোনা এখোনো, দুই মধ্যিখানে একটা জায়গায় সকলে মিলে চা খাচ্ছি সবাই মিলে হেসে উঠবে, সেই ক্রুশিয়াল সময়ে সবচেয়ে বেশি হাসতে হবে আমাকেই, অত্যধিক হাসতে হবে, হেসে গড়িয়ে পড়তে হবে। ব্যাস। খুব স্পন্টেনিয়াস হওয়া চাই। এটা না হলে খুব খারাপ হবে। কিছু কিছু জায়গা বাজে হলে লোকের মনে থাকে।

    স্টেজ রিহার্সাল। লিলিকে দেখে হন্তদন্ত হয়ে কাছে গিয়ে, আমার ডায়লগ শুরু হচ্ছে 'এই যে লিলি'। লিলি (অরুন্ধতী) কিন্তু স্টেজের অপর প্রান্তে। সে নিজেই দৌড়ে কাছে এলো। আমার মনে হচ্ছে, স্টেজে আমার মেয়ে থাকবে সে এভাবেই সব ম্যানেজ করে দেবে আমার কিসের চিন্তা।
  • maximin | 59.93.163.45 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৩৮563369
  • ওদিকে ততক্ষনে আমাকে নিয়ে অন্যদের সকলের দুর্ভাবনা চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
  • maximin | 59.93.163.45 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৩১563370
  • নাটকের দিন নতুন শাড়ি পরে হাজির হলাম। ধবধবে সাদার মধে বড় বড় লাল লাল ফুল ছাপা। লিলি বেশ বকল। এই শাড়িটা কেন পরেছ? আরো রোগা দেখাচ্ছে। তাতে খুশি বই অখুশি হওয়ার কারণ দেখলাম না। সাজানোর সময় গালের দুপাশে লাইন টেনে বয়েস বাড়ানোর চেষ্টা হল। কিছুতেই করতে দিইনি। স্টেজে ঢুকে খুব কনফিডেন্টলি বলে দিলাম চিঠি তো এলো না এখোনো। বাকি রইল হাসির দৃশ্য। সেটা হয়ে গেলে বাঁচি। হাসি যথাযথ হল। উইংস থেকে দেবব্রতবাবু আঙুল দিয়ে পার্ফেক্ট সাইন দেখালেন।

    পিন ড্রপ সাইলেন্স। ঘটনার ঘনঘটার মধ্যে অকস্মাত 'থামিল কালের চিরচঞ্চল গতি'। সামনে একটা টেবিলে চা, সবাই আয়েস করে চেয়ারে বসে আছি। বেশ খানিকক্ষন সময় এমনি গেল। লিলি এদিকে আমাকে কীসব এগিয়ে দিচ্ছে। কী যেন বোঝাতে চাইছে। একটা সময়ে মনে হল উইংস থেকে যেন চাপা একটু ফিসফাস আওয়াজ আসছে। হাসির পর প্রথম ডায়লগ আমারই ছিল। আমার মাথা ব্ল্যাঙ্ক ছিল। অন্যরা কিউ না পাওয়াতে ঝামেলায় পড়ে গিয়েছিল। এ সমস্যার কোনো সমাধান ছিল না। আমাকে বোঝানোর কাজটা একমাত্র লিলির দ্বারা হতে পারে।

    ডায়লগবহুল নাটক কিছুক্ষন নীরবতা পালন করেছিল। তারপর আবার সকল বাদ্য বাজিতে লাগিল।
  • maximin | 59.93.163.45 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৩৪563371
  • আমার গল্প শেষ।
  • ranjan roy | 14.97.143.45 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:০৫563372
  • বা, ম্যাক্সিমিন! ধরতাই দিয়ে জমিয়ে দিলেন। এই লাইনেই টইটা চলুক, খানিকক্ষণ। কল্লোলের কাছে এমনি এনতার গল্প আছে, ভবানীপুর পাড়ার, জোছন দস্তিদারের টিমের। দীপক
    চৌধুরির মিউজিক কম্পোজিশনের। মুক্তাঙ্গন পাড়ার। আরেকজন গুণীলোক ন্যাড়াবাবু। ইন্দোডাক্তার, সিকি ,পাই, সৈকত, দুখে -- সবার গল্প হোক।
    আমি একটা পরের মুখে ঝাল খাওয়া গল্প চালাই। গল্প বলেছিল শান্তিনিকেতনের চয়ন ওরফে দেবজ্যোতি দাস।
    কীর্তিটা আমার ভাই রজতের। ওর সামনেই চয়ন বলছিল আর ও বোকাবোকা মুখ করে হাসছিল। ফলে অথেন্টিক।
    রবীন্দ্রসদনে শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রীরা ""শাপমোচন'' করছে।
    সুরঙ্গমার ভূমিকায় ওদের তখনকার বেস্ট অ্যাক্ট্রেস অরুন্ধতী। পরে উনি ইতিহাসে মাস্টার্স করতে যদুপুরে যান। সেখানে ও বেশ কিছু ভাল পারফর্ম্যান্স।
    যাকগে, কমলিকার ভূমিকায় একটি ফার্স্ট ইয়ারের অল্পবয়সী মেয়ে।
    চয়ন বসে আছে অনেক উঁচুতে লোহার স্ট্রাকচারের ওপর, লাইটিং দেখছে। রজত ম্যানেজার। গ্রীনরুমে সবার মেক আপ , কস্টিউম দেখা এবং স্ক্রিপ্ট ধরে লাল লাইট জ্বললে সবাইকে ঠিক সময়ে স্টেজে তোলা, প্রপস্‌ সব ওর দায়িত্বে।
    একটি দৃশ্যে সুরঙ্গমা একা, ঘুরে ফিরে গান গাইছে। শেষ হওয়ার সময় কমলিকা/সুদর্শনা ঢুকবে।
    সময় হয়ে গেছে গান ফুরিয়ে গেছে, কিন্তু সুদর্শনার দেখা নেই। সুরঙ্গমা একই গান ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গাইছে, অন্তরা রিপিট হচ্ছে, গাইতে গাইতে উইংসের পাশে গিয়ে সমস্যাটা বোঝার চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই কিছু কাজে আসছে না।
    চয়নও অবাক। লাল লাইট জ্বলেছে ঠিকই। কিন্তু সুদর্শনার দেখা নেই কেন? একটা চাপা ঝগড়া গ্রীনরুমের দিক থেকে এগিয়ে আসছে। ব্যাপারকি বুঝতে চয়ন এক সহকারীকে লাইটের দায়িত্ব বুঝিয়ে নীচে নেমে গ্রীনরুমের দিকে চলল। গিয়ে দেখে কমলিকার মা মেয়েকে গোটা দশেক শাড়ি একটার পর একটা পরিয়ে ট্রায়াল দিচ্ছেন কিন্তু কিছুতেই ওনার মনোমত হচ্ছে না। রজত রেগে কাঁই।
    -- ম্যাডাম,আপনি এখানে কি করছেন? কে ঢুকতে দিয়েছে? যান, অডিটোরিয়ামে বসুন গে।
    -- আমার মেয়ে!
    -- ওর শাড়ি আপনাকে পরাতে হবে না। ঢের হয়েছে।
    -- তবে কি আপনি পরাবেন?
    -- হ্যাঁ, আমি পরাবো।
    --কি বল্লেন!
    ভদ্রমহিলা রাগে কাঁপছেন। আপনার এত সাহস?
    -- আমার সাহসের আপনি কিছুই দেখেন নি। পাঁচ মিনিট হল রেড সিগন্যাল জ্বলছে আর আপনি ন্যাকামি করছেন? আর দু'মিনিটের মধ্যে আপনি যদি আপনার মেয়েকে শাড়ি পরাতে না পারেন তাহলে আমি ওকে ন্যাংটো অবস্থাতেই স্টেজে তুলতে বাধ্য হব।
    স্টেজে মাইক খানিকটা ক্যাচ করল এবং লোহার স্ট্রাকচারে বসে থাকা সহকারিটির প্রায় পতন ও মূর্ছার জোগাড়!
  • I | 14.99.24.254 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫২563373
  • কোর্ট-কাছারি হয় নাই? নিদেন ডেটল-ব্যান্ডিস-গুমখুন?
  • kumu | 122.176.32.39 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৫৫563374
  • এই বিষয়ে আমারো বলার আছে,দাঁড়ান,সোসন শেষ হোক।ততক্ষণ বাকীরা বলুক,ও কল্লোলদা--
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:০২563375
  • বিজন ভট্টাচার্যের দল কলকাতা থিয়েটার পরে কবচকুন্ডলের মহলাঘর, গুলাম মহম্মদ রোডে (কালিঘাট ট্রামডিপোর পেছনে)। রিহার্সল শুরু হবে সন্ধ্যে ৬টায়। যাথারীতি রামকেষ্টো দেরী করে এসেছে। রামকেষ্টো তখন ঘোর আঁতেল। ও, রাজা মিত্র, অভিজিত চট্টো, শুভ ভট্ট, নবারুণ ভট্ট, পার্থপ্রতিম চৌ এরা সব তখন দক্ষিণ কলকাতার কাঠ আঁতেল। ওদের গপ্পো পরে হবে।
    তা, বিজনদা ক্যাঁক করে ধরেছেন রামকেষ্টোকে,
    - আইজো ল্যাট কি কারনে?
    - ভাবছিলাম
    - কি কি মহাচিন্তায় আছিলা হেইডা কইয়া কেতাত্থ করবা!
    - নাআআ, ঐ যে ত্রুফোর ডে ফর নাইট..... ভাবছিলাম এডিটিংটা আরও তীক্ষ্ণ হতে পারতো.....
    (ও:, লিখে আর ডিকশন বোঝানো যায় কৈ)
    কথা শেষ না হতে হতেই বিজনদার হুংকার
    - শুয়ারের বাচ্চা, তুমি আমারে ত্রুফো দেখাও.......
    শুয়ারের বাচ্চা শোনা মাত্র রামকেষ্টো নতজানু হয়ে মাথা ঝুঁকিয় ফেলল। আর কথা শেষ হতে না হতেই বল্লে
    - পিতা
    ব্যাস, তপ্পরের দিশ্য, রামকেষ্ট গুলাম মহম্মদ রোড দিয়ে দৌড়চ্ছে, বিজনদা ঈর্ষনীয় গালাগালের ভান্ডার থেকে বাছা বাছা বিশেষণের ফোয়ারা ছুটিয়ে ওর পিছনে দৌড়চ্ছেন চটি হাতে...... মহলাঘরের রক থেকে নবারুণদা চ্যাঁচাচ্ছে,
    আরে্‌রা জোর্‌রএ...........

  • kallol | 119.226.79.139 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:২৭563376
  • আঁতেল চূড়ামণিদের গপ্পো।
    রাজা(মিত্র) বাসে উঠেছে। একটু ভিড়। তো, রাজা তাড়াহুড়োয় একজনের পা মাড়িয়ে দেওয়ায় সে খুব ক্ষেপেছে,
    - দূর মশাই, দেখে যেতে পারেন না
    রাজা সবিনয়ে, শম্ভু মিত্রের মত বাগভঙ্গীতে,
    - দু:ঁক্ষিঁতঁ
    ভাদ্রলোক সরি শুনলে হয়তো অ্যাতো ক্ষেপতেন না,
    - এঁ: খুব বাংলা শোনাচ্ছে - দু:ক্ষিত। দু:ক্ষিত বললেই হয়ে গেলো! কি ভেবেছেন কি!!
    রাজা ভরা বাসে নতজানু হলো। তারপর হাতজোড় করে বল্লো,
    - আঁমি নঁতঁজাঁনু হঁয়েঁ আঁপনার কাঁছেঁ ক্ষমাপ্রাঁর্থঁনা কঁরঁছিঁ
    ভদ্রলোক নাকি ভয় পেয়ে বাস থেকে নেমে গেছিলেন।

  • maximin | 59.93.210.221 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৮:৫৭563378
  • :D
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন