এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • ভালো নাটক

    r
    নাটক | ১৭ এপ্রিল ২০০৬ | ৩১০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 72.83.83.28 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৩৯563379
  • সব গল্পই দারুণ !
  • I | 14.99.46.242 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৪২563380
  • শুধু একটা গল্প ভুতের।
  • pi | 72.83.83.28 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২২:৪৩563381
  • :))
  • kd | 59.93.217.3 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১১ ০১:৪১563382
  • ভালো নাটকের টইতে এইটা ঠিক চলে না, তাও ....

    আমাদের বাড়ির বাইরের ঘরে (এখন যেটা কাগুজে গুরুর আপিস কাম গুদোম) তখন আমার মেজদা/রাঙাদাদের একটা ক্লাব ছিলো - প্রাইমারিলি নাটক করার আর সেকেন্ডারিলি ক্যারাম খেলার। ওদের সঙ্গে ছিলো ওদের বন্ধুরা মানে জোছনদা, মিন্টুদা, লাট্টুদা, বুড়োদা, অমলদা, চন্দরদা, সোমুদা এইসব। ক্লাবের নাম ""বৈশাখী''। প্রতি সন্ধেতে জোছনদার লেখা নাটক ""দুই মহল'' রিহার্সাল চলছে। রিহার্সাল দেখার দর্শক আমার বোনেরা - নয়, আট, ছয়। এদের পুরো নাটক কন্ঠস্থ। নাটকটি বস্তিবাসীদের নিয়ে - ডায়ালগ ভর্তি শয়ে আকার বয়ে আকার।

    আমার বাবার (বাড়ির কর্তা) আপিস থেকে বাড়ি ফিরতে দেরী হতো, কাকার সঙ্গে হেঁটে আসতো বাসভাড়া বাঁচাতে (বিরাট সংসার ওই দু'জনের ঘাড়ে)। সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে গিয়ে শোনে কালোদালানে (এ'বাড়ির কলিভাট সেন্টার) তিন বোনে ফাটিয়ে অ্যাক্টো করে যাচ্ছে ফুল ভল্যুমে। দু'ভাই হতভম্ব। বাবার প্রেসার তখন হাজার ছুঁইছুঁই। ফলোড বাই গর্জন - মনা! (আমার পিসিমা, বাল্যবিধবা, বাড়ির গিন্নি), এ'সব কী? কোথায় শিখলো এ'সব? আজকাল এরা বস্তিতে গিয়ে খেলছে নাকি? পিসিমা তো তো তো করে - না, মানে এরা মাঝে মধ্যে নীচে গিয়ে রিহার্সাল শোনে, তার থেকেই বোধহয়। নেক্‌স্‌ট গর্জন - মুরারী! (চাকর), একটা বড় তালা দিয়ে আয় তো নীচের ঘরে আর ওই ছোকরাগুলো যদি গলিতে পা দেয়, ঠ্যাং ভেঙে দিবি। বাই দ্য ওয়ে, তিন প্রবল সম্ভাবনাময় অভিনেত্রীরা স্টেজ থেকে হাওয়া - মা, জ্যেঠিমার সেফ হাভেনে।

    মেজদা, রাঙাদা রাতে বাড়ি ফিরে সব শুনে পালালো কোন বন্ধুর বাড়ি। পরের দিন রাতে বুড়োদা, জোছনদা, সোমুদা, মিন্টুদা আমার বাবার পায়ে পড়ে ক্ষমা-টমা চেয়ে একাকার - বড়মামা, (মেজদা, রাঙাদা আমার পিসতুতো দাদা) আমরা তো দরজা-টরজা সব বন্ধ করে রিহার্সাল দিচ্ছিলুম, গরম লাগে বলে জানলাটা খোলা ছিলো, ওরা যে ওইখেন দিয়ে দেখছে টের পাইনি। সামনের হপ্তায় প্র্রথম শো, এখন কোথায় যাবো etc. etc.
    বাবা নিজে নাটক করতো, তাই মনে হয় কেসটা কনসিডার করে জাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে ছেড়ে দিয়েছিলো।

    ক্লাবের পরের নাটক ""লবণাক্ত'' - পরিস্কার ভাষা।
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:২৭563383
  • জ্জিও কাব্লি।
  • কৃশানু | 226.113.128.239 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১৫:২৬563384
  • গৌতম হালদার এর মেঘনাদবধকাব্য কারোর কাছে অডিও বা ভিডিও ফর্মে থাকলে আমায় একটু মেলাবেন প্লিজ?
  • kumu | 132.160.159.184 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ১৬:০১563385
  • হাসির শ্রুতিনাটক-কবে থেকে চাইছি
  • ranjan roy | 24.96.73.217 | ২৬ অক্টোবর ২০১২ ২৩:৩৯563387
  • অ্যাই! কেউ অঞ্জন দত্তের "গ্যালিলিও" দেখেছেন নাকি? রিভিউ লিখুন না! আর এখন যে সীজার, হ্যামলেট, ম্যাকবেথ চলছে-- সেগুলোই বা কেমন?
    শুদ্ধসত্ত্ব কি কও?
    আর তোমার সঙ্গে জরুরী কথা আছে। আমার ফোন নম্বর ০৯৯৮১০৮৩৭৩৬ এ কথা বলবে কি?
  • pi | 127.194.10.102 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ০০:০৬563389
  • প্রস্থানের 'প্রলাপ' খুব ভাল লাগল।
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ ১০:২৮563390
  • ডিসেম্বরের শেষে নান্দীকারের নাট্যমেলা হয় যে সেটা কবে থেকে কবে?
  • dukhe | 212.54.74.119 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ ১০:৩৫563391
  • http://nandikar.net/
    শুধু ১৯শে বোধহয় শিডিউলে 'জগন্নাথ' ঢুকেছে।
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ ১০:৫৩563392
  • ১৯??? ধুর, এবারও হলোনা
  • .... | 69.160.210.2 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:৪৮563393
  • ১৬ থেকে ২৫ ডিসেম্বর ২০১২
  • কল্লোল | 125.184.9.41 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ ১৭:২৮563394
  • এবার গৌহাটিতে দারুন একটি অহমিয়া নাটক দেখলাম। ইতি মৃণালীনী। রবীন্দ্রনাথের স্ত্রীর পত্রকে নিজের মতো করে উপস্থাপন করেছেন রবিজিতা গগৈ। মৃণাল আর বিন্দুর মধ্যে সমকামী সম্পর্কের ঈঙ্গিত নাটকটিতে অন্য একটা মাত্রা নিয়ে আসে। স্ত্রীর পত্রের এই রকম ব্যাখ্যা বেশ চমকে দেওয়ার মতো।
  • Indra | 24.96.93.13 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ ২০:৪০563395
  • তৃতীয় অন্ক অতএব দেখ্লাম। সৌমিত্র এর অভিনয় ভলো। মোটামুটি ওর আত্মোজীবনী। কিন্তু জেভাবে দেখিয়েচে সেতা কখোনি বোর হোতে দেয় না।
  • aranya | 154.160.226.53 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ ২২:২০563396
  • ডিসে ২৯ থেকে জানু ১১ অব্দি কোথায় কি নাটক হচ্ছে, কেউ জানলে এট্টু লিখে দেবেন।

    কোথায় = কলকাতা, কল্যাণী
  • কৃশানু | 226.113.128.239 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১২ ১৯:০৭563397
  • ৭ টি নাটক দেখলাম গত চার দিনে। প্রত্যেকটা সম্বন্ধেই সুযোগ পেলে লিখব। আপাতত লিখে যাই 'নানা ফুলের মালা' নাটকটির কথা। এটিই আমার সবচেয়ে উল্লেখ্য মনে হয়েছে।
    দেবেশ রায়চৌধুরী নির্দেশক। লেখক অলখ মুখোপাধ্যায়।
    দ্বৈপায়ন হ্রদে দুর্যোধনের সাথে বন্ধুতা হলো এক শবরের। এর থেকেই এগিয়ে চলে ঘটনাক্রম। শেষ হয় রাজমাতা কুন্তি-র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
    নাটকটি যথেষ্ট মৌলিক। মহাভারতের পটভূমিকায় অবতারণা করা হয় সেই সকল প্রশ্নের, আমাদের 'মহান ভারত' আজ যাদের উত্তর খুঁজছে।রাষ্ট্রের দমনযন্ত্র কিভাবে সব একাকার করে দিতে চায়, মূলধারার সংস্কৃতির বাইরে যা কিছু তাকেই অস্বীকার করতে চায়, অন্ত্যেবাসী বনজ মানুষকে শিকল পরিয়ে পোষ মানাতে চায়, তারই আখ্যান এই নাটকে। এবং লেখনীর শক্তিতে এই প্রকাশ হয় খুবই সূক্ষ ও সংগত ভাবে, কোথাও যাকে আরোপিত লাগেনা।
    কিন্তু এই নাটক এসে ধাক্কা খায় শেষ কুড়ি মিনিটে। সুতো গুটোবার সময় সম্পূর্ণ প্রসঙ্গান্তরে চলে গিয়ে লেখক খেই হারিয়ে ফ্যালেন। রাজমাতা-র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর যা নাটকে কখনই উত্থিত হয় নি, আর অন্তর্নিহিত যে সকল প্রশ্ন গত নাটকে দর্শকের মন জুড়ে চলে তার উত্তর পাওয়া যায় না। লেখক কি তাকে সযত্নে এড়িয়ে যান?
    স্টেজ - লাইট - প্রপস আহামরি কিছু নয়, কিন্তু গিমিকের আতিশয্য নেই। নাটকের বিষয়বস্তুর পরিপূরক, তবে আরেকটু উন্নতি, আরেকটু চিন্তা ভাবনা আশা করা যেতেই পারে। লাইটের মাধ্যমে তৈরী দ্বৈপায়ন হ্রদ খারাপ লাগে না।
    দু একটি দুর্বল অভিনয় বাদে বাকিরা বেশ ভালো।
    আরেকটু ঘষা মজা করা ক্লাইম্যাক্স এবং আরেকটু ঝকঝকে প্রডাকশন এই নাটককে আরো অনেকদুর নিয়ে যেতে পারে।
  • কৃশানু | 226.113.128.239 | ০২ জানুয়ারি ২০১৩ ১৭:০০563398
  • ম্যাকবেথ।
    স্বপ্নসন্ধানী-র প্রযোজনা। টানটান, কোথাও রাশ আলগা হয় না।
    মঞ্চ ও আলো অসাধারণ। অভিনয়ও।
    তিন ডাইনির আবির্ভাবের এফেক্ট ছমছমে।
    নাটকটি ক্লাসিকের আঙ্গিকেই পরিবেশিত। দু-একটি জায়গায় ফলিডল খেয়ে আলু চাষীর আত্মহত্যা ইত্যাকার প্রসঙ্গ অনাকাঙ্খিত এবং আরোপিত। বিশেষ করে স্ক্রিপ্ট যখন সময়টাকে কামড়ে ধরে একদম শেষ দৃশ্যে। এবং সেইখানেই দর্শকমনে ছাপ রেখে চলে যায়।

    খুব মৌলিক কিছু নয়, শেষ দৃশ্য বাদে, সেটিই বোধ হয় দুর্বলতা। বড় দুর্বলতা।
  • | 214.130.244.200 | ০২ জানুয়ারি ২০১৩ ১৭:৪৩563400
  • সব কটা পলেটিশিয়ান দের ধরে ধরে অভিনয়ে নামানো উচিত। এটা ওনাদের জন্মগত!!
  • aranya | 127.194.5.91 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৩ ০৯:৪০563401
  • রবীন্দ্রসদনে আজ নাটক আছে - জুলিয়াস সিজার, সিদ্ধার্থ লিখেছিল। দেখতে যাব ভাবছি। আর কেউ যাচ্ছেন কি?
    সামনের কদিন কলকাতায় ভাল নাটক কোথায় কি হচ্ছে, কেউ জানলে এট্টু লিখে দেবেন।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৩ ১১:৫৬563402
  • অরন্য দা, এই একটা কারণের জন্য আনন্দবাজার নিতে পারেন। ওতে মোটামুটি থাকে।
  • গান্ধী | 213.110.247.221 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৩ ১২:০৯563403
  • শনিবারের আনন্দবাজারে পুরো সপ্তাহের নাটকের লিস্ট থাকে মোটামুটি। অ্যাডগুলো খুঁটিয়ে পড়লেই পাবেন
  • aranya | 24.99.58.56 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৩ ২২:৫৫563404
  • কৃশানু, গান্ধী ধন্যবাদ। কালকের কাগজ দেখব।

    আজ চন্দ্ন সেনের 'সিজার' দেখলাম, মোটামুটি।
  • অপা | 126.203.167.198 | ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:৪০563405
  • ছুটি ছাটার দিন টিন গুলোয় এট্টু আধটু শিল্প টিল্প না করলে টরলে নিজেকে বেশ ইয়ে ইয়ে মনে হয়না l বচ্ছরকার দুপুরে মেফিস্টো (সুমন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত) দেখব, ঠিক ছিল আগে থেকেই l সেটা তপন থিয়েটারে l সংক্রান্তির শেষবেলায় আরো একটা সুযোগ জুটে গেল থ্যাটার দেখার l কাল্লু মামা l মাস তিনেক যাবৎ দেখবার ইচ্ছেটা পরিকল্পনা স্তরেই ছিল l ওইদিনের শো বাড়ির কাছে, বেহালা পৌরসভা নির্মিত শরৎ সদনে, তাই মিস করা যৌক্তিক হবে বলে মনে হলো না l ঢুকেই বিভীষিকা ! ঝুলন্ত মাইক্রোফোন ! আসন প্রদর্শক হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু চ্যাংড়া ছোকরার অবিরাম হাহা হিহি, তার মধ্যেই দুম করে পর্দা উত্তোলন, প্রেক্ষাপটে গান- গোলি মার ভেজে মে/ ভেজা ক্যুঁ করতা হ্যায় শোর l আলো নিভল তারপর l একক অভিনেতা যেসময় সংলাপ বলতে শুরু করলেন তখন থেকেই মাইকে মৃদু ঘড়ঘড় l এমনকি অভিনেতার কণ্ঠেও l কাল্লু মামা বরিশালের বাসিন্দা l প্রথমদিকে মিনিট পাঁচেক সেই অ্যাকসেন্ট আয়ত্ত করার অভ্যাস চালালেন, ব্যর্থ হলেন, এবং ফিরে এলেন বিশুদ্ধ কলকাত্তাইয়া উচ্চারণে l
    এখানে রিভিউ লিখতে বসিনি l একটা অনুভূতি শেয়ার করার ছিল l প্রিয় পুরুষের দ্বারা স্বপ্নভঙ্গ হলে চোট এক্কেবারে হৃদয়ের মাঝখানটিতে গিয়ে লাগে l গত পাঁচ-সাত বছরের বিভিন্ন সময়ে ও দুঃসময়ে দেখা রুদ্ধসঙ্গীত, উইংক্ল টুইংক্ল, অন্ত আদি অন্ত, অয়দিপাউস, দহনান্ত, মাধবী, নিঃসঙ্গ সম্রাট, বা আরো একগুচ্ছ নাটক, যাদের নাম এক্ষুণি মনে পড়ছে না, সেসব তাঁর প্রতি ভালো লাগাকে ধাপে ধাপে বাড়িয়ে তুলেছে l মিসড কলের স্ক্রিপ্ট ও অভিনয় চমৎকৃত করেছে l ছোটদের জন্য লেখা শুদ্ধ মাটির সন্ধানের সংলাপ আবিষ্ট করে রেখেছে দিনভর l এমনকি অলীক সুখের মতো চূড়ান্ত হাসির ছবিও টানা আড়াই ঘন্টা বসে সহ্য করেছি কেবল এই ভদ্রলোকটির জন্য, যিনি সবুজ ঘরে ঢোকার আগে, এক ঝলক দেখব বলে সাত তাড়াতাড়ি অ্যাকাডেমি পৌঁছে গেছি একাধিকবার l বাসে, ট্রামে, মেট্রোয় তাঁর অদ্যপি অবাধ বিচরণ, কদাচিৎ মুখ দেখান টক শোয়ে, আরোপহীন পরিশীলিত বিশুদ্ধ বাংলায় নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেন l ভাবি, এমন বাংলা আমি কেন বলতে পারি না ! সযত্নে লালিত এই মুগ্ধতা ভঙ্গের জন্য একটা কাল্লু মামাই যথেষ্ট বোধ হয় l নাটকটির মঞ্চ, আলো, আবহ সঙ্গীত ও সর্বোপরি পরিচালনা নিয়ে বলতে গেলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হবে, তাই ক্ষান্ত দিলাম l
    একসাথে আঠেরোটা নাটকে অভিনয় করছেন এ মুহূর্তে l আপনি দেখাতে চান স্তানিসলভস্কিয় মায়াঘোর কাটিয়ে আপনি সেটা সাফল্যের সাথে পারেন l আমি, আমরা, এসব জেনে গিয়েছি এতদিনে l এমনকি আপনি পারেন আদ্যন্ত শরীরী অভিনয়ও, বুঝিয়ে দিয়েছেন অয়দিপাউসে l আর কী প্রামাণ্য অবশিষ্ট ছিল? ঠিক পরদিনেই মেফিস্টো দেখে এসে ক্ষণিকের জন্য হলেও কাল্লু মামার অপ্রয়োজনীয় লাফালাফিকে ক্লিশে রেষারেষি বলে মনে হওয়া কি খুব অস্বাভাবিক? নাট্যাভিনেতার প্রতিদিন জন্ম ও প্রত্যহ মৃত্যু ঘটে মঞ্চের ওপর l আমি আপনার জন্ম-প্রত্যাশী দেবশংকর, আপনার প্রতি স্বকীয় মুগ্ধবোধে, কেবল জন্মই...

    (গতকাল এফ বি গুরুতে পোস্ট করা এ লেখাটা টইয়ে তুলে আনলুম)
  • এমেম | 127.194.252.49 | ০৫ মে ২০১৪ ০২:২৭563406
  • টইটা তুললাঅনেকদিন পরে গৌতম হালদার ফিরেছেন একদম তাঁর চেনা গণ্ডি ভেঙে। তারই প্রকাশ ঘটছে পর পর ক্যালিগুলা, আলতাফ গোমস এবং ওথেলো নাটকে। সম্প্রতি গিরিশ মঞ্চে নয়ে নাটুয়া তাঁদের সাম্প্রতিক নাটক ‘ওথেলো’-র প্রথম মঞ্চায়ন ঘটালেন। সেই কবে উত্তম-সুচিত্রার 'সপ্তপদী'-তে এক সিন 'ওথেলো' দেখে আমাদের শেক্সপিয়র-প্রেম উথলে উঠেছিল। বাঙালির থিয়েটারে বহুকাল বাদে হুড়মুড়িয়ে শেক্সপিয়র ফিরেছেন। 'বহুকাল' বললাম কারণ এক উৎপল দত্ত বাদে ওই বাগানে ফুল তুলতে সাহস দেখানোর বাঙালি খুব কম।
    অথচ নাটকের শরীরে ভরে রয়েছে সমকালের ছায়া। এই যুগে যে কোনও উচ্চবর্ণীয় মেয়ের সঙ্গে নিম্নবর্ণীয় ছেলের বিজাতীয় বিবাহ অতঃপর মৃত্যু, মোমবাতি মিছিল বা নিঃশব্দে ‘অনার কিলিং’- সময়ের আধুনিকতায় ভরা, সমাজের বুকের গভীরে লুকিয়ে থাকা দগদগে ঘা-গুলো দিব্যি রয়েছে এই নাটকে, শুধু চিনে নেওয়ার অপেক্ষায়।
    গৌতমের পরিচালনায় এবং অভিনয়ে এই নাটক দেখতে গিয়ে আমাদের মুগ্ধতা গ্রাস করে। সেটি একান্তই নির্দেশক এবং অভিনেতার দ্বৈত সত্তার সূক্ষ্ম রসায়ন এবং মুন্সিয়ানার কারণে। শেক্সপিয়র বা রবীন্দ্রনাথ- ক্ল্যাসিক নাটক মঞ্চায়নের ক্ষেত্রে যে কাঠামো মেনে চলা উচিৎ, সেটির প্রতি পরিচালক প্রবল ভাবে দায়িত্ববান বলেও। তাই গোটা নাটক জুড়ে আধুনিক থিয়েটারের নিয়ম মেনে নির্দেশক হিসেবে তিনি আছেন, আবার নেই-ও। সবচেয়ে বড় আশার কথা যে, বহু দিন পর গৌতম আবার প্রমাণ করলেন- বাংলা থিয়েটারে শর্টকাট না নিয়ে, জোর করে রূপান্তর না করেও কালজয়ী ক্ল্যাসিক করা সম্ভব।
    তবে নাটকটিকে নিয়ে খারাপ লাগার জায়গায় কম নেই। সদ্য প্রথম অভিনয় ঘটেছে, তাই এখনও ভুল-ত্রুটিগুলো শুধরে নেওয়া যেতেই পারে। যেমন ভাল লাগেনি ইয়েগো চরিত্রে শান্তনু ঘোষ-এর ক্ষিপ্রতা। এখানে গৌতমের রাজকীয় অভিনয়ের পাশে তাঁর ছাপোষা অভিনয় দেখে হতাশ হতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডেসডিমোনা দ্যুতি হালদারের পোশাক ভাবনা খুব অভিনব। আবার বাজার চলতি জিন্স, বুট আর গ্ল্যাডিয়েটর জুতো পরে দাপাদাপি পীড়াদায়কও বটে। এ বিষয়ে আরও একটু যত্নবান হওয়া যেতে পারে।
    নাটকের ভাষান্তর ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক রতন কুমার দাস-এর। তাঁর স্বছন্দ অনুবাদ যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে। কাব্য- দর্শন- শূন্যতার অঙ্ক এবং অবশ্যই এই পটভূমিতে দাঁড়িয়ে নাটকের বঙ্গীকরণ করেছেন তিনি- ঠিক যতটা করলে মূল ভাব একই থাকে, অথচ মূল পাঠের প্রতি কোথাও আনুগত্য ক্ষুণ্ণ হয় না।
    এই নাটক মূলত সংলাপ প্রধান এবং গৌতমের ঝোঁক মূলত গল্প বলার ক্ষেত্রে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আশির দশকের বাজার-চলতি সিনেমা বা সিরিয়ালের মতো দু চারটে সংলাপ 'মূলভাব'-কে বিচলিত করে।
    এই নাটকে মঞ্চের প্রতিটা কোণ আলোয় ভরিয়ে তুলেছেন আলোক-পরিকল্পক জয় সেন। তাঁর প্রতিদিন নিজেকে ভাঙচুরের মাধ্যমে নিজেকেই প্রতিফলন করার মধ্যে নতুনতর সব বোধ তৈরি হয়।
    নাটকে আবহ তৈরি করেছেন গৌতম নিজেই। নানা ধরনের যন্ত্রানুষঙ্গে মেটালিকার ‘নাথিং এলস ম্যাটারস’ এবং নানা ক্ষেত্রে বেজেছে অ্যারাবিয়ান নাইটসের সুর। তা মূল ভাবের অনুসারী হয়ে প্রশংসাযোগ্য হয়েছে। সঞ্চয়ন ঘোষের মঞ্চ ভাবনা চোখের জন্য বেশ সুখকর। মঞ্চ জুড়ে বসেছে হরেক রঙের মেলা। যদিও তা ঠিক শেক্সপিয়রের নাটকের অনুগামী হয়ে ওঠেনি।

    নাটক : ওথেলো
    ভাষান্তর : রতন কুমার দাস
    আলো : জয় সেন
    মঞ্চ : সঞ্চয়ন ঘোষ
    সঙ্গীত, নির্দেশনা : গৌতম হালদার
    অভিনয় : গৌতম হালদার, দ্যুতি হালদার, শান্তনু ঘোষ, পার্থ, সৌম্যদেব প্রমুখম। নাট্য সমালোচনা আনন্দবাজার পত্রিকা -- ওথেলো, লিখেছেন সুশোভন প্রামাণিক।
  • এমেম | 127.194.252.49 | ০৫ মে ২০১৪ ০২:৩৬563407
  • ^ ^ পুরোটা আসে নি।

    নাট্য সমালোচনা, আনন্দবাজার পত্রিকা, 'ওথেলো। লিখেছেন সুশোভন প্রামাণিক।
    "অনেকদিন পরে গৌতম হালদার ফিরেছেন একদম তাঁর চেনা গণ্ডি ভেঙে। তারই প্রকাশ ঘটছে পর পর ক্যালিগুলা, আলতাফ গোমস এবং ওথেলো নাটকে। .."
  • এমেম | 127.194.252.49 | ০৫ মে ২০১৪ ০২:৫১563408
  • আনন্দ লাল কী লিখেছেন, মিলিয়ে নেওয়া যাক।

    TEPID CELEBRATIONS
    Ananda Lal

    Shakespeare’s 450th came and went but, strangely, Bengali theatre boasts of only one new production in his honour. This, in a city whose natives’ connection with him goes back to 1822 when, among others, a teen surnamed Derozio enacted Shylock at the Dhurrumtollah Academy. So we must praise Naya Natuya for staging Othello, especially translator Ratan Kumar Das’s fidelity to the text.

    Goutam Halder’s direction extracts uniformly good supporting performances, and contains moments of unusual space utilization: the first scene moving from the auditorium (Iago and Roderigo) to the forestage (Brabantio), the curtains then parting for Othello’s dramatic entry, with a deeper upstage alcove behind an arch. But his characterizations of Othello and Iago (picture) pose problems. Halder (left) displays very few markers of Othello’s heroism; no overbearing stature that commands respect, eyes normally averted from anyone he speaks to, and uncomfortably subhuman movements in his jealous rage. Santanu Ghosh makes “honest Iago” blatantly villainous, tongue snaking out of his mouth, instead of the icy malignity that imparts complexity. But Dyuti Ghosh Halder gives Desdemona her vulnerability and also designs tasteful costumes, and Swajan Srijan Mukherjee creates a perfect gull of a Roderigo.

    যারা দেখেছেন তাদের কী মত?
  • Ranjan Roy | ০৫ মে ২০১৪ ০৫:০৩563409
  • সুশোভনের সঙ্গে বেশি ও আনন্দ লাল এর সঙ্গে আংশিক সহমত। গৌতমের অভিনয় নিয়ে আনন্দ লাল এর সঙ্গে একেবারে অসহমত। কেন?
    আনন্দ দেখতে চেয়েছেন শেকসপিয়রের ওথেলোর বাঁধা গতের স্টেনসিল। সাড়ে চারশ' বছরে পরে গৌতমের ওই দায় রয়েছে বলে মনে করিনা। বরং এই নাটকে গৌতম তাঁর বহু প্রচলিত ম্যানারিজম থেকে অনেকটা মুক্ত হয়েছেন বলে মনে হয়।
    হ্যাঁ, আমার পাশে বসে আমার নাট্যপ্রেমী নিউ ইয়র্ক বাসী বন্ধু সারাক্ষণ বিড়বিড় করে খিস্তি করে গেলেন স্যার লরেন্স অলিভিয়ের এর সঙ্গে তুলনা করে আর আমাকে স্যরের প্রোডাকশনের সিডি দিতে চাইলেন।
    আমি কী দেখলাম?
    আমি দেখলাম গৌতমের অভিনয়ে অনেক পরিশ্রমে তৈরি একটি ব্যক্তি যিনি আজকের সমাজে নীচুতলা থেকে উঠে এসে এলিট পরিবারের মেয়েটিকে বিয়ে করেছেন ভালোবেসে। তাঁর মনে রয়েছে সংকোচ, একটু যেন এপোলোজেটিক আমাদের "ওথেলো, দ্য ব্ল্যাকমূর"। তাই উচ্চবর্ণের/বর্গের লোকজনের সঙ্গে ব্যবহারে উনি যেন একটু অসহজ, বিনীত। তাই বীররসের দাপাদাপি নেই। সচেতন ভাবেই গৌতমের ওথেলো ওদের চোখে চোখ রেখে কথা বলেন না।( আনন্দ দেখেছেন ঠিকই)।
    কিন্তু তবু গৌতমের ওথেলো বজ্রগর্ভ কালো মেঘ, তাতে কোন সন্দেহ নেই।
    গৌতম আমায় মনে পড়িয়ে দিলেন ছত্তিশগড়ের ভৈঁসা গ্রামের সেই জোয়ান সাহসী সতনামী ছেলেটিকে যে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল সেই গ্রামের সরপঞ্চ ঠাকুরের বোনকে। দু'বছর পর খুন হয়ে যায়। আজ ওর নামে সেই গাঁয়ে একটি স্কুল আছে, আর কোন চিহ্ন নেই।
    দেসদিমোনার সঙ্গে দৃশ্যগুলো বেশ ভালো।
    দ্যুতি হালদার বেশ ভালো ( আনন্দ ও সুশোভন সহমত)। ইয়াগোর বাঁধাগতের ভিলেন নিয়ে আনন্দের সাথে সহমত। জয় সেনের আলো , আর মঞ্চ পরিকল্পনা বেশ ভালো।সঙ্গীত নিয়ে কথা বলার অধিকারী আমি নই।
  • এমেম | 127.194.224.93 | ০৫ মে ২০১৪ ০৯:৪৩563411
  • 'uncomfortably subhuman movements in his jealous rage' -- এ বিষয়ে কী মত?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন