এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রসারণশীল মহাবিশ্ব

    Tan
    অন্যান্য | ০৩ এপ্রিল ২০০৬ | ৪৭৯৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tan | 131.95.121.251 | ০৩ এপ্রিল ২০০৬ ২১:১১563658
  • নতুন থ্রেড খুলতে বললে জনতা,তাই এখানে কাপি পেস্ট মারলুম।
    এই বিগ ব্যাঙ্গ থিওরি ও তার জনপ্রিয়তা অনেকটা সেই পপুলার কালচার বনাম সিরিয়াস ব্যাপারের বিবাদের মতন।:-)
    শুরুতে কিছুটা ঠাট্টাতামাশার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া বিগ ব্যাংগ থিওরি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এতটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে,যে কেউ এর বাইরে এতটুকু কিছু কইতে গেলেই তাকে হয় বদলি নয় চেপে দেয়া হয়।
    এর স্বপক্ষে সবচেয়ে বড়ো ব্যাপার হলো হাবলের রেড শিফট।গ্যালাক্সির দূরত্ব যত বেশী,তার দূরে সরে যাওয়ার গতি তত বেশী।এই থেকে কনক্লু টানা হয়েছে যে পূর্বে এই এরা সব কাছাকাছি ছিলো,অতীতের মহাবিশ্ব আজকের মতন ছিলো না।স্বপক্ষে পাওয়া গেলো কোয়াসারদের, পাওয়া গেলো কসমিক মাইক্রো-ওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন।
    স্টেডি স্টেট থিওরি পিছু হটলো।
    কিন্তু মজা হলো এই রেড শিফট তর্কের উর্ধে নয়,রেড শিফটের কারণ শুধু দূরের দিকে চলে যাওয়া গতি ছাড়াও অন্য হতে পারে,যেমন গ্রাভিটেশনাল রেড শিফট।মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র শক্তিশালী হলে সেখান থেকে বেরোবার সময়ও রেড শিফট হতে পারে।
    খুব দূরের না হলে অন্য উপায় আছে দূরত্ব মাপার,সেফিড তারা যা কিনা প্রসারিত সংকুচিত হয় খুব নিয়ম মেনে,সমসময় ব্যবধানে,তা কাজে লাগিয়ে গ্রাফে টাফে ফেলে অংক কষে দেখা যায় দূরত্ব কতটা।অথবা বিশেষ জাতের সুপারনোভার ঔজ্জল্য মেপেও দূরত্ব মাপা যায়।(এই ভাবেই সম্প্রতি কিছু বিজ্ঞানী দেখেছেন মহাবিশ্ব অ্যাক্সিলারেটেড হারে প্রসারিত হচ্ছে।এই এভিডেন্সটার কথাই কি বলতে চাইছিলেন দ্রিঘান? )
    কিন্তু খুব দূরের গ্যালাক্সিদের বেলায় সেফিড বা সুপারনোভা দেখা যাবে না,তাই দূরত্ব মাপতে হাবল রেড শিফট ভরসা।
    তো,এই নিয়ে হ্যালটন আর্প বলে এক বৈজ্ঞানিক বহুকাল ধরে নানা অবজার্ভেশন চালিয়ে প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছেন যে কোয়াসারদের রেড শিফট হাবলীয় নয়,ওরা যত দূরের বলা হচ্ছে ততদূরের নয়।মহাবিশ্ব বিগ ব্যাং থেকে আসেনি।
    কিন্তু লোকে তাড়াতাড়ি তাঁকে চাপা দিয়ে দেয়।শত শত পেপার বেরুচ্ছে প্রসারনশীল মহাবিশ্ব নিয়ে প্রতিদিন,তাদের ভাত মারা গেলে কি হবে? একজনমাত্র এতগুলো লোকের কেরিয়ার ডুম করতে চাইলে হএব কিকরে?
    তাই মিডিয়ায় তাকে সুকৌশলে ছেঁটে ফেলা হয়।
    আর উপরে মহাবিশ্ব প্রত্যেকদিন আরো আরো অদ্ভুত জিনিস দেখাতে থাকে।ব্যাখাহীন ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জীর খোঁজ পাওয়া যায়।
    প্রত্যেকদিন যাবতীয় তত্বকে চ্যালেঞ্জ করে যায় প্রকৃতি।
    আমাদের অবিশ্যি এফেক্টিভ থিওরিটুকু থাকলেই হয়ে যাবে।সে থেকে এট্টু এট্টু করে এক এক পা...
    সেই বিলিতি বৃদ্ধ যখন তরুণ ছিলেন,কইতেন আর মাত্র কুড়ি বছর।সব থিওরির সার থিওরি পাওয়া যাবে।গেল সেই কুড়ি কেটে,উনি কইলেন আর কুড়ি।সেই কুড়িও যায় দেখে আর সেই প্রমিসিং স্ট্রিং থিওরিরও খুব ভজঘট অবস্থা দেখে উনি সম্প্রতি কয়ে দিয়েছেন নাহে বোধহয় নেই হে সেই সার তত্ব।
    আরে,এ আর নতুন কথা কি? এতো আমাদের ভৃগু স্যর কোন্‌ কালে কয়ে গেছেন!:-)))

  • tan | 131.95.121.251 | ০৩ এপ্রিল ২০০৬ ২১:২১563681
  • এইমাত্র দ্রিঘান প্রশ্ন করেছে দেখলুম কিকরে জানা গেলো এরা বিলিয়ন বছর ধরে বাইরের দিকে দৌড়াচ্ছে?
    আসলে মহাবিশ্বের সব খবরই আমরা পাই ই এম ওয়েভ থেকে,দৃশ্য আলো যার একটি অংশমাত্র।ওয়েভলেংথ এই ৪০০ nm থেকে ৭০০nm
    এরা সবাই আসে সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিমি গতিতে।কিন্তু অত গতি হলে কি হবে,আসতে তো সময় লাগে রে বাবা! তাই এই মহাবিশ্বে দেখা বস্তুগুলোর মধ্যে যে জিনিস যত দূরের তত আগের।কোনোটা যদি বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের হয় তাহলে সে বিলিয়ন বছর আগের।
    এই থেকে খুব ভালো করে মেপেজুপে হাবল কনস্ট্যান্ট বার করে দেখা গেছে ১৩.৭ বিলিয়ন বছর আগে থেকে এরা ছড়াতে শুরু করেছিলো।
    তবে এইসব কথার মধ্যে আরো নানা কথা আছে। কেউ বলে এটা একটা প্রসারনশীল অবস্থামাত্র,একটা নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে এরা আবার সংকোচন্‌শীল অবস্থার মধ্যে পড়ে যাবে।তখন কাছে আসতে থাকবে গ্যালাক্সিরা।কেউ বলে নানা চিরকাল ক্রমধীর রেটে ছড়াতেই থাকবে,কেউ বলে ক্রমবৃদ্ধিশীল গতিতে চহ্‌ড়াবে।
    এখনো পর্যন্ত শুধু আইনস্টাইনের জেনেরাল রিলেটিভিটি দিয়েই মহাকর্ষের স্বভাবচরিত্র বোঝা যায়,তো সে তত্বের আবার কোয়ান্টামের সঙ্গে আড়ি। সে এক ভজঘট কেস।
    এদিকে জানা গেছে ডার্ক এনার্জী নাকি মোট এনার্জীর ৭০%!!!!

  • b | 194.202.143.5 | ০৩ এপ্রিল ২০০৬ ২২:৩০563692
  • তনু,
    কোয়ান্টাম তঙ্কÄ আর রিলেটিভিটি তঙ্কÄ 'মেলা' মানে কি? মেলা কি দরকার?

    আর 'ডার্ক' এনার্জি মানে কি?
  • b | 194.202.143.5 | ০৩ এপ্রিল ২০০৬ ২২:৪৩563703
  • তনু, আমার একটা ভাই আছে বুঝলে, সে ফিজিক্স আর সম্ভবত অংক টংক নিয়ে পড়াশুনো করেছিলো, সে খালি বলতো ঐ দুটো তঙ্কÄ 'মিলে যেতে পারে'। ঐ কথাটা মনে পড়লো।

    না মিল্লে কি বোঝা যাবে না যে প্রসারণ হচ্ছে না হচ্ছে না?

    আর সাধারণ ভাবে, তঙ্কÄ দুটো 'মেলার' কি দরকার? একটা বড় বড় জিনিষ নিয়ে আরেকটা ছোটো ছোটো জিনিষ নিয়ে। এই দুটোর সংগে এই আলোচোনার প্রসারণ এর কি সম্পর্ক?

    এই সব জিগেস কর্ছি কারণ এগুলো ওকে তখন কোনো দিন জিগেস করিনি, এখন বহুদিন দেখা হয় না, দেখা হলেও এই সব কথা হয় না।

    গুছিয়ে লিখে দে।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৩ এপ্রিল ২০০৬ ২২:৪৮563714
  • মেলা দরকার তো বটেই।খুব ক্ষুদ্রের জন্য একরকম তত্ব আর খুব বৃহতের জন্য আরেকরকম-এটা লজিকের পরিপন্থী।
    তাছড়া চাট্টে ফান্ডামেন্টাল ফোর্সের তিনটে মিলে গেছে ইউনিফায়েড ফিল্ড থিওরিতে,চতুর্থবল মানে গ্রাভিটেশনাল ফোর্স এখনো দুর অস্ত।কাছকাছি যাওয়া যাচ্ছে না।

    ডার্ক এনার্জী মানে হলো এখনো যে এনার্জী সম্বন্ধে তেমন কিছুই বোঝা যায় নি সেটা আছে ছাড়া।
    আছে যে বোঝা গেলো কিকরে? অব্জার্ভেশনে দেখা গেলো মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে ত্বরিতগতিতে,এই ত্বরন ব্যাখা করতে গিয়ে একমাত্র অজানা এনার্জী ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না। সে এনার্জী খুব অদ্ভুত,কিছুতেই নাকি তার ডেনসিটি কমে না,মহাবিশ্ব ছড়িয়ে হাল্কা হয়ে যায়,কিন্তু ডার্ক এনার্জীর ডেনসিটি একই থাকে!!!!!

  • | 128.240.229.66 | ০৩ এপ্রিল ২০০৬ ২২:৫৫563725
  • আরে এই নিয়েই তো গোলমাল লাগলো - এঞ্জেলস অ্যাণ্ড ডেমনস-এ :-)
  • r | 59.92.160.36 | ০৩ এপ্রিল ২০০৬ ২৩:৩১563736
  • পুরো "ট্যান"!
  • vikram | 134.226.1.194 | ০৩ এপ্রিল ২০০৬ ২৩:৪৪563747
  • ট্যান নয় বি।

    বি কট ট্যান।

    বিক্রম

  • Ishan | 192.128.166.68 | ০৩ এপ্রিল ২০০৬ ২৩:৫৭563758
  • ট্যান, এরা ফাজলামি করছে। তুমি রেগে গেলে মস্তি পাবে। প্ররোচনায় একদম পা দেবেনা। লিখে চল।
  • b | 194.202.143.5 | ০৩ এপ্রিল ২০০৬ ২৩:৫৯563659
  • আমি ফাজলামি করিনি, আগে থেকে বলে রাখলাম। ঠাকুর ঘর ইত্যাদি কোনোমতেই স্মর্তব্য নয়। আমার যে প্রশ্ন গুলো কুড়ি বছর ধরে জমে আছে স্ট্রেট সেগুলো করেছি।

    ট্যান লিখে যাও।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ০৩:১৭563670
  • বোধি,কেবল কুড়ি বছর আগের কথা----চোদ্দো বছর ধরে দেখা হয় না---তেত্রিশ বছর ধরে সে গান শুনিনা---এইরকম ঘোর বোধিসত্বের মতন কথা কেন তোমার?:-)))
    আমাদের বুড়ী মহাবিশ্বকে দেখো,কেমন চিরতরুণী!!!ঝলমল করছে!এখনো কত কি অজানা রহস্য ওঁর!

    জনতা,বোর করার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। হয়তো কিছুই বোঝা যাচ্ছে না আমার লেখার দোষে,কিন্তু এর বেশী শব্দের শক্তি নেই আমার।অংকের শক্তি আরো কম।:-(((
    কিন্তু বিশ্বাস করুন, এটা এতটাই weird যে এই সামান্য শক্তিতে বর্ণনা করবার কোনো ক্ষমতাই আমার নেই।হয়তো কেউ কেউ পারেন।
    ওয়েনবার্গের হকিং এর পেনরোজের আর সাসকাইন্ডের লেখা পড়ে দেখতে পারেন।এঁরা এই নিয়ে প্রচুর লিখেছেন এখনো লিখছেন।এঁরাই এইসবের প্রকৃত অধিকারী।
    আমার ধৃষ্টতা মাফ করুন।

  • b | 86.135.80.132 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ০৩:৫৯563673
  • ট্যান,

    আমি বুড়োটে স্বভাবের। আর কিচুটা দু:খ বিলাসি।

    যে দু:খটা বেরিয়ে গেছে, সেটা হল এই ভাই আমায় পাত্তা দেয় না। যদিয়ো ছোটো বেলায় আমায় ছাড়া তার চলতো না। সে সব ছড়া যাক।

    এর পরে আরো কয়েকটা কথা না বলে যাবে না।
    মানে যেতে পারো, তবে না যাওয়াই ভালো।

    আর আমার ঐ সব মুশকো দের বই পড়ে দেখতে ভারী বয়ে গেছে। তুমি বাংলায় বলো।

    ১। হাবল শিফ্‌ট কাকে বলে। রেড শিফ্‌ট কাকে বলে।
    ২। এনার্জী র ডেন্সিটি মানে কি?

    আর আমি জানি না, কি ভাবে বললে তুমি বিশ্বস করবে, আমি সত্যি জানতে আগ্রহী অন্তত এক্ষেত্রে। বেসিক কিছু জানা না থকলে বই পড়া যায় না।

    অতএব তুমি উত্তর দিলে খুশি হব।
  • Bozo | 129.7.203.134 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ০৪:০৫563674
  • কি আশ্চয্যি, যখন মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে ঠিক তখন-ই পৃথিবী টা আরো ছোট হচ্ছে। সাধে মহীন গেয়েছে -'পৃথিবীটা না কি ছোট হতে হতে...........'
  • b | 86.135.80.132 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ০৪:৩৬563675
  • হ্যা: এ বোজো মাল যা দিলো ফুল আলোচনা কনক্লু হয়ে এনড হয়ে গেলো।

    সংগীত শিল্প ও বিজ্ঞানের
    এ হেন মিলন গৌতম চট্টো আঁতকে উঠবেন। তবে ও মাল বল যায় না নিজেই হয়তো ফিজিক্স ও জান্তো। গৌ চ কে কোনো বিশ্বস নেই।

    যাক গে কোনো ব্যাপার নয়। পরে পোসালে খচ্চা করে অন্তত পপুলার বই গুলো পড়তে হবে। মুশকিল হল ফিজিক্স এর পপু বই গুলো ও হেবী কঠিন।

    switch off করে গেলাম।

    ট্যান কাটিয়ে দাও, আমার পোসালে নিজে পড়ে দেখবো।
  • dd | 59.93.64.244 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ০৮:৫১563676
  • চির তরুনী ধরনী ?
    আর উদিকে বিদুর কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শেষে কুন্তীরে কইলে " ধরনী গতযৌবনা" আমরাও বৃদ্ধ হইলাম, চলো বাণপ্রস্থে যাই।

    গতযৌবনা ধরনী - কথাটা খুব মনে ধরেছিলো।
  • Somnath | 210.212.137.6 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ০৯:৩১563677
  • "এই মহাবিশ্বে দেখা বস্তুগুলোর ..........বছর আগের।" এর থেকে একটা দারুণ মেটাফিজিক্স বেরোয়, সেটা আপাতত: দূরে রাখি। কিন্তু এটা একটা ফ্যালাসির ও জন্ম দেয়। বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের যে মালটাকে এখন দেখতে পাচ্ছি সে অন্তত: বিলিয়ন বছর আগে এক্সিস্ট করত (এখন থাকুক বা না থাকুক) নি:সংশয়। কিন্তু সেই মালটার জন্ম তিন আলোকমিনিট দূরের গেঁড়েটার আগে হয়েছিল কিনা সেটা অবশ্যই স্পষ্ট বলা যায় না। তাই না?
  • Somnath | 210.212.137.6 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ০৯:৩৯563678
  • মহাবিশ্বে সঙ্কোচন ও প্রসারণ পর্যায়ক্রমিকভাবে হচ্ছে - এটা এক্কেবারে বেদের কথা। ওয়েভ মোশনের অ্যানালজীতে। কিন্তু এনট্রপী - টাইমস অ্যারো - যে শুধু বেড়েই যায়, কোনোদিন ফিরে এসে কমতে থাকে না, এই ফাণ্ডাটা পুরো অপোসিং। থার্মোডায়নামিক্সটাকে পার্টিকুলেট ম্যাটার লেভেলে আর কসমিক বডি লেভেলে টানা হ্যাঁচড়া করলে কিছু ভালো প্রশ্ন আসবে। গ্র্যাভিটেশন থিওরীসমূহকে কেউ মাইক্রোকসমোলজীতে টেনে দেখলে ভালো হয়।
  • Somnath | 210.212.137.6 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ১০:০১563679
  • কসমোলজী নিয়ে লোকে প্রচুর অঙ্ক কষে কিন্তু ল্যাকটা - বেশিক্ষেত্রেই ইনোভেটিভ থিংকিং। গাইড যে স্কুল অফ থট এ অঙ্ক কষতে বলেন, স্কলাররা সেটাই প্রাণপণে করে যায়। জৈনদের কসমোলজী, মাইক্রোকসমোলজীর কয়েকটা বই হাতে পেয়েছিলাম লাইব্রেরীতে, খুব ভালো প্রেডিকশনে ভরা, যেগুলো ওরা কনক্লুশন বলে। উপনিষদেও মনস্তত্ব ছাড়া আছে শুধু কসমোলজীর ফাণ্ডা - জগৎসৃষ্টি। এসব পড়লে অনেক ভালো ভালো সম্ভাবনা মাথায় খেলবে।
  • dri | 66.81.120.16 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ১০:৫৭563680
  • ব,

    হাবলীয় রেড শিফ্‌ট ব্যাপারটা তুলনায় একটু পাতি ও পুরনো। আমি বলার চেষ্টা করছি। ট্যানকে দিয়ে বরং আরেকটু নন-পাতি আর রিসেন্ট জিনিষ বলান।

    ১৯৩০ নাগাদ এই ব্যাপারটা লক্ষ্য করা হয়। দুর গ্যালাক্সির আলো স্পেক্ট্রোস্কোপি করে তো বিভিন্ন এলিমেন্টের স্পেক্ট্রাম পাওয়া যায়। এইটা থেকে কোন তারার কম্পোজিসান কি, কত হাইড্রোজেন, কত হিলিয়াম এইসব আন্দাজ করা হয়। একটা অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করা হয়। এই সমস্ত স্পেক্ট্রামই রেড এন্ডের দিকে শিফে্‌টড। অর্থাৎ যা ফ্রিকোয়েন্সি হওয়া উচিৎ তার চেয়ে একটু কম কম। প্রথম দিকে ব্যাপারটা পাত্তা দেওয়া হয় নি। কারণ কম হলেও খুব সামান্যই কম। কিন্তু পরে খেয়াল হয়, ব্যাপারটা যদি র‌্যানডম এরারই হবে তবে সবসময় কম কেন। তাহলে তো কখনো কম, কখনো বেশী হবে। তারপর বলা হয় যে গ্যালাক্সিগুলো যদি একে অপরের থেকে দুরে সরে যায় তাহলে ডপলার এফেক্টের জন্য ব্যাপারটা হতে পারে। ডপলার এফেক্টের খুব কমন উদাহরণ হল যখন পুলিশের গাড়ী আপনার দিকে আসে তখন আওয়াজটা কেমন শ্রিল লাগে, কিন্তু আবার পাশ কাটিয়ে চলে গেলে আওয়াজটা ডাল হয়ে যায়। একই জিনিষ। একটা ফ্রিকোয়েন্সি যখন আপনার দিকে ধেয়ে আসবে আপনি যা ফ্রিকোয়েন্সি তার চেয়ে একটু বেশী দেখবেন। আবার যখন দুরে চলে যাবে আপনি একটু কম দেখবেন। তো যাই হোক, তারারা সব দুরে দুরে চলে যাচ্ছে। এরপর খেয়াল হল, সব তারাই দুরে দুরে চলে যাচ্ছে? কেন এমন তো হতে পারতো কিছু তারা দুরে চলে যাছে, আবার কিছু তারা কাছে চলে আসছে। সেটাই তো বেশী ন্যাচারাল ছিল। সবাই সবার থেকে দুরে চলে যাচ্ছে এটা কিভাবে হতে পারে? এইখানেই বিগ ব্যাং এর আইডিয়া এল। একটা বেলুন ফোলানোর আগে বেলুনের ওপর যেকোন দুটো পয়েন্ট নিন। এবার যত বেলুনটা ফোলাবেন, তত দেখবেন পয়েন্ট দুটো দুরে সরে যাচ্ছে। আপনি যে কোন দুটো পয়েন্ট নিয়ে শুরু করুন না কেন এই ব্যাপারটা কিন্তু আপনি পাবেন। ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং। তো তাই ভাবা হল যে মহাবিশ্বে হয়তো বেলুন ফোলার মত কিছু একটা হচ্ছে, তাই সব তারা সবার থেকে দুরে চলে যাচ্ছে। তো এই থেকে বিগ ব্যাং এর ধারণার জন্ম।

    ওভার টু ট্যান।
  • dri | 66.81.120.16 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ১১:০৩563682
  • ট্যান,

    আপনাকে আরো কিছু প্রশ্ন করার ইচ্ছে ছিল। এখন ট্যাক্স রিটার্ন ভরতে হবে। আপনি নিজে থেকেই আরো বলুন না।
  • | 128.240.229.7 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ১৪:২৭563683
  • এ: মাইরি শুণ্য আর একের চক্করে পড়ে সব গুলে খেইচি - কোথায় ডপলার এফেক্ট, কোথায় স্পেকট্রাম অ্যানালিসিস...আমার সব Tan 90 হচ্চে।

    হকিং-এর "ব্রিফ হিস্টরি" পড়তে চেষ্টা করেছিলুম, অর্ধেকের বেশি পড়েও ফেলেছিলুম - তাপ্পরে দাঁতগুলো আর খুঁজে পাচ্ছিলুম না। দাঁত বাঁধিয়ে এসে দেখি বইটাই কে ঝেপে দিয়েছে:-(
  • dd | 59.93.78.78 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ১৪:৫৬563684
  • অর্জিত
    fritzof capra'র tao of physics পড়ো। ওটা ডেনটিস্টদের অত পছন্দের নয়। বছর পঁচিশ আগে এই বেদ বেদান্ত ইত্যকার প্রাচ্যদেশীয় দর্শনের সাথে সাব এটোমিক ফিজিক্স ... এইসব পাঞ্চ করে চমৎকার লেখা হতো। আমরা গোগ্রাসে গিলতাম। মনে হয় তনু আর ওমনাথের ভালো লাগবে .... যদি অলরেডী না পড়ে থাকে।
  • Arijit | 128.240.229.7 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ১৫:১০563685
  • উরিব্বাস এই বইটা পুরো পিডিএফ ফরম্যাটে পাওয়া যায়। নামিয়ে ফেলেছি। আর কেউ চাইলে এখানে দেখো - http://www.indymedia.org.uk/en/2006/03/336275.html
  • vikram | 134.226.1.136 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ১৫:২৮563686
  • তনুকে খোরাক কত্তে কত্তে একটা কথা হঠাৎ মাথায় এলো।
    নিজে না লিখে কিছু গুচ্ছো ভালো আর্টিকল বা বই অনুবাদ নামাবে?
    জেনু হ্যাপি হয়ে জাবো।
    হকিং এর বইএর মতো না। ও পড়তে গেলে অন্তত: লেম্যান হতে হবে, মানে ফিজিক্স এর ছাত্র।
    ধরো এম্পারার্স নিউ মাইন্ড থেকে সার্ল এর চাইনিজ এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে কিছু লিখলে। গোডেল এর রেফারেন্স দিলে। এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ধুয়ো তুলে শেষ করা জায়গা অবধি লিখলে।

    পথিক গুহর লেখা ভালো পড়া যায় না বুজলে কিনা। লেখো দেকি।

    বিক্রম

  • bozo | 129.7.152.174 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ২২:২৪563687
  • Tao of Physics এর পাশাপাশি মি: টম্পকিন্স এর সাথে একটু ঘোরা দরকার।
    কেউ কি গ্যামো পড়ে?

  • Samik | 221.134.238.20 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ২২:৩২563689
  • ওয়ান টু থ্রি ইনফিনিটি?

    নাম শুনেছি, পড়ি নি।
  • dam | 61.246.152.208 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ২২:৩২563688
  • One Two Three.......Infinity। ব্যাস আর কিচ্ছু পড়ি নি।
  • bozo | 129.7.152.174 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ২২:৪৬563690
  • ফিসিক্সের আইডিয়া র জন্য গ্যামো উপকারী বন্ধু। যেমন আকাশের জন্য সাগান।
    তাপ্পরে তো আসবে সব কঠিন কঠিন থিওরি।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ২২:৪৯563691
  • এইসব বইগুলো গত শতকের কুড়ি তিরিশের দশকের বিজ্ঞানের ওপর বেস করা। তার পরে কিন্তু বেশ কিছু আইডিয়ার অনেক বদল হয়েছে।এখন তো এক্সপেরিমেন্টের সুবিধে বেশী,অবজার্ভেশনেরও।নইলে ভাবা যেতো কোয়ান্টাম টানেলিং এর মতন একটা আধা গল্প ব্যপার ব্যাবহারিক কাজে লাগানো হচ্ছে দস্তুরমতন!
    কোয়ান্টাম এন্ট্যাঙ্গলমেন্ট নিয়ে পর্যন্ত কাজ হচ্ছে!
    লেজার ট্র্যাপিং আর কুলিং, বোস আইনস্টাইন কনডেনসেট-এসবের বাস্তব পরীক্ষা দেখতে পারা কয়েকদশক আগেও সম্ভব ছিলো না।
    সেই সঙ্গে আইডিয়ার বদলও ঘটছে,যদিও বৈপ্লবিকভাবে প্রচন্ড গতিতে নয়,তাহলেও।
  • bozo | 129.7.152.174 | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ২২:৫৯563693
  • তাহলে গিয়ে এরিক কর্নেলের লেখা পড়।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন