এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রসারণশীল মহাবিশ্ব

    Tan
    অন্যান্য | ০৩ এপ্রিল ২০০৬ | ৪৮০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tan | 131.95.121.251 | ০৯ এপ্রিল ২০০৬ ০১:৪৭563727
  • দ্রিঘান, কল্পনা করুন একটা এক লক্ষ আলোকবর্ষ ব্যাসের গ্যালাক্সি। সেইটার দিকে ফিরিয়েছেন আপনার টেলিস্কোপ। ঐ গ্যালাক্সির যে প্রান্তটা আপনার সবচেয়ে কাছে সেইখানকার আলো আপনার টেলিস্কোপে যখন পৌঁছবে তার এক লক্ষ বছর পরে পৌঁছবে সবচেয়ে দূরের প্রান্তের আলো। অথচ এই আলোরা একই সময়ে যাত্রা শুরু করেছিলো,এরা কন্টেম্পোরারি আলো।অথচ এসে যখন পৌঁছলো তখন কত তফাতে! এটা এড়ানোর পথ নেই, আলোর গতি সীমিত।
    এখন ধরুন এর ভেতরে আপনার কাছের প্রান্তটি থেকে পঞ্চাশ হাজার আলোকবর্ষ দূরে যেকোনো অংশে একটা পরিবর্তন ঘটলো, উঙ্কÄলতা বাড়লো কয়েক ম্যাগনিচুড(এটা একটা মাপ, একটা সংখ্যা,যা দিয়ে বোঝা যায় কোনো বস্তু কতটা উঙ্কÄল বা ফিকে )।এই পরিবর্তন যতক্ষণে আপনার প্রান্তে আসবে যদি আলোর গতিতেও আসে, তাহলেও কেটে যাবে পঞ্চাশ হাজার বছর। তাই যদি কোনো আলোক উৎসের মধ্যে খুব র‌্যাপিড ভেরিয়েবিলিটি লক্ষ্য করা যায়,তাহলে যুক্তি দেওয়া যায় যে জিনিসটির সাইজ বেশী না,কারণ তা নাহলে ঐ পরিবর্তন ছড়াতে অনেক সময় লেগে যেতো,র‌্যাপিড হতো না।

    আর হাবলের সূত্রটির ক্ষেত্রে আপনার ভাবনাই ঠিক।প্রথমটা। রেড শিফট দেখে গ্যালাক্সির দূরে সরে যাবার গতিবেগ বার করা হয় আর দূরত্ব বার করা হয় অন্যভাবে,কোনো স্ট্যান্ডার্ড ক্যান্ডেল যেমন সেফিড ভেরিয়েবল তারা, যা কিনা স্পন্দিত হয় নিয়ম মেনে,আর যার স্পন্দনকাল থেকে অল্প অংক কষে পাওয়া যায় ওর দূরত্ব। এইভাবে গ্যালাক্সির দূরত্ব বার করেন এরা। খুব দূরের গ্যালাক্সির ক্ষেত্রে সেফিড দেখতে পান না(মানে এত ভালো রেজোলুশন নেই যা দিয়ে অত দূরের সেফিড আলাদা করে বোঝা যায়।তখন অন্য উপায় দেখতে হয়। এক বিশেষ টাইপের সুপারনোভার অ্যাবসলুট ম্যাগনিচুড সবসময় এক, তো সেই খবর জানার পরে, সেইরকম সুপারনোভা পাওয়া গেলে সেই কাজে লাগিয়ে যে গ্যালাক্সিতে সে আছে তার দূরত্বের ধরতাই পাওয়া যায়।পরে হরাইজন্টাল অ্যাক্সিসে দূরত্ব আর ভার্টিকাল অ্যাক্সিসে রেসেশনাল ভেলোসিটি ফেলে প্লট করা হয়। অনেক অনেক গ্যালাক্সি নিয়ে করতে পারলেই ভালো,তাতে বহু ডেটা পয়েন্ট,ভুলের সম্ভাবনা কমে আসে। সেই প্লটের স্লোপ থেকে হাবল কনস্ট্যান্ট,H বার করা হয়। আগে যখন মহাশূন্যে ভাসমান হাব্ল টেলিস্কোপ ছিলো না,তখন অনেক কষ্ট হোতো এই প্লট পেতে,হাবল ধ্রুবকের মানও অনেক ডিফার করতো।খুব সম্প্রতি ভালো ডেটা পেয়ে অনেক নিখুঁত মান পাওয়া গেছে।তাই থেকেই তো জানা গেলো যে মহাবিশ্বের বয়স প্রায় ১৩.৭ বিলিয়ন বছর। আগে তো বলা হতো ১৫ থেকে ২০ বিলিয়ন বছর। ঠিক মাপা যেতো না কিনা!
    আপনার শেষের অবাক লাইনটি অদ্ভুত কিছু না,অবাক হবারই কথা।বহু লোকেই হয়। হ্যাঁ,কাছের লোকাল ক্লাস্টারের কিছু কিছু গ্যালাক্সি বাদ দিলে(যেমন অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি আমাদের দিকে আসছে,ওর ব্লু শিফট দেখা যায়) আর সমস্ত গ্যালাক্সিরা রেড শিফ্‌ট দেখায়, যত বেশী দূরে তত বেশী রেড শিফট!
    খুব সম্প্রতি জানা গেছে মহাবিশ্ব ঝলকে ঝলকে ছড়াচ্ছে,সমগতিতে প্রসারণ নয়,ত্বরিত হচ্ছে,ক্রমষ প্রাসরণের হার বাড়ছে!!!!
    কি সাংঘাতিক!!!
  • tan | 131.95.121.251 | ০৯ এপ্রিল ২০০৬ ০২:৪৯563728
  • জেনারেল রিলেটিভিটি হলো স্পেশালের জেনেরালাইজড ভার্সন,অনেক সম্প্রসারিত।এতে সমস্ত রেফারেন্স ফ্রেমেদেরই নেয়া হলো, ত্বরিত বা ত্বরণহীন। সমস্ত ফ্রেমেই পদার্থবিদ্যার সূত্র সমূহ একই থাকবে এই বলা হয়েছিলো এই থিওরিতে।
    এর গানিতিক ভিত্তি বেশ জটিল, কিন্তু ধারনাটা কথায় বলা সম্ভব। স্পেশাল ও জেনেরাল রিলেটিভিটি অনুসারে স্পেস আর টাইমের মধ্যে মিলমিশ ঘটিয়ে নির্মান করা হয়েছে স্পেসটাইম কন্টিনিউয়াম। এই মহাবিশ্বে যা কিছু ইভেন্ট সবই ঘটছে স্পেসটাইম কন্টিনিউয়ামের কোনো না কোনো বিন্দুতে। এদের মধ্যে যে পার্থক্য তা হলোds^2= -c^2dt^2+dr^2 পিথাগোরাসের সূত্র,কিন্তু এতে টাইম ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে,সময়ের সঙ্গে আলোর বেগ c দিয়ে গুণ করে নিয়ে ইউনিটের সামাল দেয়া হয়েছে।
    তো,আইনস্টাইনএর তঙ্কÄ কইলো সমস্ত বস্তু যার মাস বা ভর আছে,তা এই স্পেসটাইম কন্টিনুয়ামে তৈরী করে খোঁদল যারে এই এরা বলেন স্পেসটাইম কার্ভেচার। তারই ফলে আশেপাশের সরলরেখায় চলা বস্তুদের পথকে মনে হয় বক্রপথ, আসলে কিন্তু ওরা সোজাপথেই চলে। গ্রাভিটেশন বলে যাকে আমরা বলি তা হলো গিয়ে এই স্পেসটাইমের কার্ভেচারের ফলে বস্তুদের চলার পথ বেঁকে যায় বলে।অর্থাৎ এই গ্রাভিটেশন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বা স্ট্রং বা উইক ফোর্সের মতন কোনো ফোর্স নয়, এটা স্রেফ স্পেসটাইমের একটা প্রপার্টি।
    এত বৈপ্লবিক তঙ্কÄকে লোকে প্রথমে নিতে চায় নি। কিন্তু পরে আলোর বেঁকে যাওয়া দেখে তবে মেনেছে।এখন তো গ্রাভিটেশনাল লেন্সিং বলে একটা গবেষণার ক্ষেত্রই খুলে গেছে এই আলোর বেঁকে যাওয়া নিয়ে।
    ক্লাসিকাল নিউটনিয়ান গ্রাভিটেশনে বলা হয় গ্রাভিটেশন হলো গিয়ে ফোর্স যা কিনা ভরযুক্ত বস্তুদের উপরে প্রযোজ্য।এই মহাকর্ষবল এদের ভরের গুনফলের সমানুপাতী আর দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতী।কিন্তু আলো যার রেস্টমাস নেই,সে ফোটন বা ওয়েভ যেভাবেই দেখিনা কেন,সেটা কিছুতেই নিউটনীয় মহাকর্ষ অনুভব করবে না।
    কিন্তু আইনস্টাইনের জেনেরাল রিলেটিভিটি অনুযায়ী গ্রাভিটেশন তো বল নয়,স্পেসটাইমে তৈরী হওয়া কার্ভেচার!সেই কার্ভেচারে আলো পড়লে তার পথও যাবে বেঁকে!
    ব্রিটিশ বিজ্ঞানী আর্থার এডিংটন পুর্ণ সূর্যগ্রহণের সময়ের সূর্যের কাছের তারার ছবি নিয়ে দেখিয়ে দিলেন তারার আলোর পথ গিয়েছে বেঁকে।তাছাড়া বুধগ্রহের অপসূর মেপেও আইনস্টাইনেরই সমর্থন পাওয়া গেলো! এখন তো গ্রাভিটেশনাল লেন্সিং নিয়ে কত কাজই হচ্ছে প্রত্যেকদিন!
    গ্রাভিটেশনাল লেন্সিং থেকেই তো সমর্থন পাওয়া গেলো না দেখা ডার্ক ম্যাটারের! দেখা গেলো আইনস্টাইন রিং। খুউব দূরের গ্যালাক্সিদের একাধিক ইমেজ দেখা গেলো যা আগে যায় নি!
    আসলে এই গ্রাভিটেশনাল লেন্সিং জিনিসটা কি? ধরা যাক কোনো খুব দূরের,দশ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের আলোক-উৎস থেকে আলো আসছে আমাদের দিকে। এই উৎস আর আমাদের মাঝখানে রয়েছে একটা খুব ম্যাসিভ গ্যালাক্সিপুঞ্জ! দূরের আলো এর পাশ দিয়ে আসার সময় এই ম্যাসিভ গ্যালাক্সিপুঞ্জের দ্বারা তৈরী হওয়া স্পেসটাইমের কার্ভেচারে পড়বে আর বেঁকে যাবে।অনেকটা লেন্সের মধ্য দিয়ে আসার সময় যেমন আলো বেঁকে যায় আর সেই যাওয়া আলোকে অনুসরণ না করতে পেরে আমরা সোজা দেখি আর একাধিক ইমেজ দেখি। এপ্রায় ঠিক সেইরকম ব্যাপার,তবে এক্ষেত্রে লেন্সের কাজটা করছে স্পেসটাইমের কার্ভেচার! ফোরগ্রাউন্ডের গ্যালাক্সিপুঞ্জের ডানপাশ বাঁপাশ দিয়ে বেঁকে আসা দূরের উৎসের আলো যখন আমাদের টেলিস্কোপে পড়বে তখন টেলিস্কোপ একাধিক ইমেজ দেখাবে ঐ দূরতর বস্তুর। এখানে ডায়াগ্রাম দিয়ে দেখাতে পারলে সুবিধে হতো আমাদের বুঝতে।কোনো কোনো ক্ষেত্রে এত ভালোভাবে অ্যালাইন্ড থাকে যে পুরো একটা রিং দেখা যায় দূরের উৎসের ইমেজের,ঐ ফোরগ্রাউন্ড গ্যালাক্সির চারপাশ জুড়ে। একে বলে আইনস্টাইন রিং!
    কতটা বেঁকে গেলো আলো তা মেপে অংক কষে বার করা যায় ঐ ম্যাসিভ বস্তুটি, যে লেন্সের কাজ করলো তার ভর(mass)কত।এই দেখতে গিয়ে লোকে তাজ্জব! দেখা গেলো ঐ গ্যালাক্সিপুঞ্জে যত গ্যালাস্কি দেখা যাচ্ছে তাদের ভরটর সব যোগটোগ দিয়ে যা পাওয়া যাচ্ছে তা লেন্সিং থেকে ক্যালকুলেট করা ভরের চেয়ে অনেক অনেক কম। তখনি সন্দেহ হলো তাহলে কি যা দেখা যাচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশী ভর আছে অন্য কিছুতে? ব্রাইট অংশগুলোই সব নয়? অনেক ডার্ক ম্যাসিভ অংশ আছে যা কিনা কোনো ই এম ওয়েভ পাঠায় না? কিন্তু গ্র্যাভিটি তো লুকাতে পারবে না! ম্যাস থাকলেই স্পেসটাইমে কার্ভেচার তৈরী হবে!
    আগে সত্তরের দশকে গ্যালাক্সিদের রোটেশন কার্ভ থেকেও সন্দেহ হয়েছিলো যে হয়তো ডার্ক ম্যাটার আছে,এখন এই লেন্সিং থেকে ধারণাটা আরো জোরদার হলো।
  • dri | 192.26.254.203 | ০৯ এপ্রিল ২০০৬ ১০:৩৯563729
  • কিন্তু, কিন্তু, কিন্তু ...

    আপনার উদাহরণটাই নিলাম। শুধু একটা জিনিষ যোগ করছি। ধরা যাক ঐ গ্যালাক্সির যে প্রান্তটা সবচেয়ে কাছে সেটার দুরত্ব পৃথিবী থেকে ধরা যাক এক মিলিয়ান আলোকবর্ষ।

    এবার আপনি যখন ঐ গ্যালক্সির দিকে আপনার টেলিস্কোপ তাক করলেন, আপনার কাছে কি কি আলো আসবে? সবচেয়ে কাছের প্রান্তের সেই আলোগুলো যেগুলো এক মিলিয়ান বছর পুরোনো, প্লাস মাঝের অংশ থেকে সেই আলোগুলো যেগুলো এক মিলিয়ান পঞ্চাশ হাজার বছর পুরোনো, প্লাস সবচেয়ে দুরের প্রান্ত থেকে সেই আলোগুলো যেগুলো এক মিলিয়ান এক লাখ বছর পুরোনো। এটা কি ঠিক নয়? অতএব আপনি যে আলো দেখবেন সেটা এক রকমের টাইম এভারেজ?

    এবার মনে করুন এক মিলিয়ান পঞ্চাশ হাজার বছর মাইনাস এক ঘন্টা আগে মাঝের অংশটা দপ করে জ্বলে উঠেছিল। তাহলে আপনি এক ঘন্টা পরে কি দেখবেন? এক মিলিয়ান বছর মাইনাস এক ঘন্টা আগের কাছের প্রান্তের আলো, প্লাস এক মিলিয়ান পঞ্চাশ হাজার বছর মাইনাস এক ঘন্টা আগের মাঝের আলো, প্লাস এক মিলিয়ান এক লাখ বছর মাইনাস এক ঘন্টা আগের দুরের আলো। তাহলে তো এক ঘন্টার মধ্যেই আপনার 'দপ' টা বুঝতে পারা উচিত।

    এতে ভুল কোথায়?
  • mohan | 221.135.208.104 | ০৯ এপ্রিল ২০০৬ ১৯:১৬563730
  • ফাটাফাটি হচ্ছে থ্রেড টা।তনু ভালো লাগছে এই লেখা টা
  • tan | 131.95.121.251 | ০৯ এপ্রিল ২০০৬ ২০:১৪563731
  • দ্রিঘান, আপনার সন্দেহ একদিক দিয়ে ঠিকই। কিন্তু আপনি ভাবছেন পরিবর্তনটা হচ্ছে একটা পয়েন্টে, তাই যে ট্রেইন অব ওয়েভস সেটা নিয়ে আসবে তা ঐ পরিবর্তনের নিঁখুত সময়-ব্যবধানও নিয়ে আসবে।
    কিন্তু ম্যাগনিচুডের পরিবর্তন হচ্ছে গোটা শক্তি-উৎসে। পরিবর্তন যখন হয় তখন একদিক থেকে ম্যাগনিচুডের পরিবর্তন শুরু হয়ে গোটাটা কভার করে ফেলে কয়েক ঘন্টায় বা বড়োজোর একদিনে।এটা পরিবর্তনের পিরিয়ড না,এটা ক্রেস্ট থেকে পিকে ওঠা।এই পরিবর্তন দ্রুত।কয়েক ঘন্টা বা বড়োজোর একদিন।
    তাই যুক্তিনির্ভর অনুমাণ যে এই এনার্জি সোর্সের মাপ লাইট আওয়ারের সঙ্গে তুলনীয়।
    ছবি বা গ্রাফ দিয়ে দেখতে পারলে বুঝতে সুবিধে হোতো আমাদের।
    কিন্তু সে সুবিধে যখন নেই তখন কথাতেই চেষ্টা করতে হবে।ধরুন, একটা খড়ের বল,একদিকে আগুন দেয়া হয়েছে,পুরোটা ধরতে কিছুটা সময় তো লাগবে! খড়ের বলটা যত বড়ো হবে পুরোটা ধরতে ততই বেশী সময় লাগবে।
    যদিও অ্যানালজিটা তেমন শক্তপোক্ত নয়,তবু একটু একটু বোঝা যাচ্ছে কি?

  • tan | 131.95.121.251 | ০৯ এপ্রিল ২০০৬ ২০:১৮563732
  • ভিকি,বোধি,অরিজিৎ,মহান-থ্যাঙ্কস।
    ভুল হলে বা কোথাও বোঝা না গেলে ধরিয়ে দেবেন প্লীজ।

  • tan | 131.95.121.251 | ০৯ এপ্রিল ২০০৬ ২০:৪৩563733
  • দমদি,মিঠু,থ্যাংকস।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৯ এপ্রিল ২০০৬ ২০:৪৭563734
  • দ্রিঘান,একটা টাইপো হয়ে গেছে।:-((
    ওটা হবে ম্যাগনিচুড টাইম ডায়াগ্রামে ম্যাগনিচুডের Trough থেকে Crest এ ওঠা।

  • tan | 131.95.121.251 | ০৯ এপ্রিল ২০০৬ ২১:৫৬563735
  • এতকালের কোয়াসার শক্তি-উৎস রহস্যের ধরতাই পাওয়া যাচ্ছে আজকাল। কোয়াসার থেকে প্রায় সবরকম ওয়েভলেংথের ই এম ওয়েভ আসে।এক্স রে থেকে আরম্ভ করে রেডিও ওয়েভ পর্যন্ত বিশাল রেঞ্জে।
    জানা গেছিলো নিউক্লিয়ার ফিউশন থেকে এই শক্তি উৎপাদন হতে পারে না, কারণ ঐটুকু কম্প্যাক্ট জায়গা থেকে এত বিপুল শক্তি উৎসারিত হতে গেলে ফিউশনে কুলোবে না।বর্তমানে বলা হচ্ছে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল হলো এদের শক্তি-উৎস।সুপারম্যাসিভ মানে যে সে না,কয়েক বিলিয়ন সৌরভরের।
    এখন ব্ল্যাক হোল নিয়ে জানতে গেলে আমাদের একটু ডিটেলে যেতে হবে। এতে জেনেরাল রিলেটিও ভালোমতন লাগবে।
    ষাটের দশকে যখন প্রথম কোয়াসার আবিষ্কার হয় তখন এদের যা যা পর্যবেক্ষণ করা গেছিলো সেগুলো খুবই আশ্চর্জ লেগেছিলো লোকের কাছে।কারণ তখনো আইন্সটাইনের জেনেরাল রিলেটিভিটি নিয়ে খুব একটা বেশী সিরিয়াস কাজ হচ্ছিলো না যদিও এটার আবিষ্কার সেই ১৯১৫ সালে। কিছু কিছু কাজ যা হয়েছিলো ব্ল্যাক হোল নিয়ে তা খুব সিরিয়াস শক্তপোক্ত ফ্রেমের উপরে বসে নি।লোকে চল্লিশের দশকের পরে কোয়ান্টাম মেকানিক্স আর নিউক্লিয়ার পার্টিকল ফিজিক্স নিয়ে অতিরিক্ত ব্যস্ত ছিলো,কারণ শিয়রে শমন। এই বুঝি উড়ে গেলো সব বোমায়। হয় মারো নয় মরো। কি অবস্থা!!!!
    সত্তরের দশকের বৃটেনে কিছু তরুণ বিজ্ঞানী,তখনো তাঁরা গণিত ও তাঙ্কিÄক পদার্থবিদ্যার ছাত্র, খুঁজতে খুঁজতে এই জেনারেল রিলেটিভিটিতে গিয়ে পড়লেন। কিছু কিছু খুব ইন্টারেস্টিং সম্ভাব্‌না দেখতে পেয়ে ইতিহাসের ধুলা ঝেড়ে আগের কাজ বার করে আনলেন। তারপরে দিনরাত পরিশ্রমে নিজেরা তা অনেক ডেভেলাপ করলেন।
    প্রধানত এদের কাজের দ্বারাই ব্ল্যাক হোল নামক তখনো পর্যন্ত কিছুটা সন্দেহের চোখে দেখা গাণিতিক ধারনাটি জোরের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা পেলো।
  • dri | 66.81.198.141 | ০৯ এপ্রিল ২০০৬ ২২:৩২563737
  • ও। তারমানে দপদপানিটা তবে আগুন কতটা ছড়িয়েছে তার ওপর নির্ভর করে। আগুন যদি পুরো গ্যালাক্সি জুড়ে জ্বলে তবে সেটা হল দপ এর ক্রেস্ট। আর প্রায় নিবু নিবু হয়ে এলে সেটা দপ এর ট্রাফ। এখন আগুন ছড়ানোর রেট c। তাহলে বড় গ্যালাক্সি হলে ট্রাফ থেকে ক্রেস্টে পৌঁছতে সময়টা বেশী লাগবে। দপ টা হবে ধীরে।

    আচ্ছা। কিন্তু এমন যদি হয়, যে কোয়াসারের সাইজটা আসলে বড়। ধরুন হাজার লাইট ইয়ার। কিন্তু তার মধ্যে আগুন ধরা জায়গাটা মোটে এক লাইট ডে। মাত্র ঐটুকুতেই আগুন লাগছে আর নিভছে ঘন ঘন। আর তাতেই পাচ্ছেন যা দপদপানি। এমনটা হতে পারে না?
  • tan | 131.95.121.251 | ০৯ এপ্রিল ২০০৬ ২২:৩৭563738
  • ঐ আগুন ধরা জায়গাটাই তো শক্তি উৎস।নইলে এমনিতে তো সে কোয়াসার(আজকাল ভালো করে জানা গেছে স্পেস টেলিস্কোপ থেকে ছবি তুলে)বড়োই!
  • tan | 131.95.121.251 | ০৯ এপ্রিল ২০০৬ ২২:৪৬563739
  • এখন যা বোঝা যাচ্ছে তা হলো কোয়াসার হলো অতীতের মহাবিশ্বের প্রচন্ড অ্যাক্টিভ গ্যালাক্সিদের বিপুল অ্যাকটিভ কেন্দ্রস্থল।বহু দূরে বলে আগে হোস্ট গ্যালাক্সি দেখা যেতোনা,এখন HST এর সাহায্য নিয়ে ছবি তুলে দেখা গেছে সেই হোস্ট গ্যালাক্সিদের। তাদের রেড শিফটও মাপা হয়েছে বহুৎ ঝকমারি করে(এত উঙ্কÄল জিনিসের পাশে অনুঙ্কÄল অংশের স্পেকট্রাম নেয়া খুব কসরতের ব্যাপার)।সে রেড শিফট বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই কোয়াসারের সঙ্গে এগ্রি করেছে।
    তবে এখনো কিছু কিছু ডাউট যে নেই তা নয়।
  • tan | 131.95.121.251 | ১০ এপ্রিল ২০০৬ ০৩:৩৩563740
  • ব্ল্যাক হোল নিয়ে শুনতে গেলে আমাদের নক্ষত্রের জীবন সম্পর্কে জানতে হবে। নক্ষত্রে শক্তি উৎপাদিত হয় হাল্কা মৌলের নিউক্লিয়াস জুড়ে গিয়ে অপেক্ষাকৃত ভারী মৌলের নিউক্লিয়াস তৈরী হওয়ার আর সামান্য ভর শক্তি হিসাবে ছাড়া পাবার দ্বারা।
    প্রথমে শুরু হয় হাইড্রোজেন দিয়ে,সেটা সবচেয়ে হাল্কা মৌল।নক্ষত্রের বিপুল ভর কেন্দ্রে যে প্রচন্ড চাপ ও তাপের পরিবেশ তৈরী করে,তাতেই হাইড্রোজেনের নিউক্লিয়াস কুলম্বীয় বিকর্ষণ কাটিয়ে জুড়ে যায়।নইলে এমনিতে এদের কাছাকাছি আনা বড়ো শক্ত।কিন্তু যখন জুড়ে হিলিয়াম নিউক্লিয়াস তৈরী করে,তখন যে শক্তি মুক্ত হয় তা গামা রে হিসাবে বেরোয়। এই বিকিরিত রশ্মিসমূহ বাইরের দিকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে বলে একটা চাপ তৈরী হয় যাকে বলে রেডিয়েশন প্রেশার। আর নক্ষত্রের নিজের ভরের ফলে যে গ্র্যাভিটেশন তা সবকিছু কেন্দ্রের দিকে টেনে আনতে চায়। এই দুই বিপরীতমুখী চাপ যতক্ষণ সমান সমান থাকে,ততক্ষণ নক্ষত্র স্টেবল। অসুবিধে কিছু নেই,সমান হারে তাপ ছড়িয়ে যায় তারা। কিন্তু নক্ষত্রের কেন্দ্রীয় অংশে সব হাইড্রোজেন যখন হিলিয়াম বনে যায় তখন হয় মুশকিল। হঠাৎ কেন্দ্রীয় অংশের রেডিয়েশন প্রেশার যায় কমে,কিন্তু গ্র্যাভিটি একই থাকে! এদিকে বাইরের শেলে প্রচুর হাইড্রোজেন তখনো রয়ে গেছে, সেগুলো জ্বলে ওঠে মানে সেখানে তখন ফিউশন চলতে থাকে। তাই সেখানে রেডিয়েশন প্রেশার নক্ষত্রটিকে ফুলিয়ে তোলে, ভেতরের কেন্দ্রীয় অংশটি সংকুচিত হয়। সংকুচিত হলে তাপ বাড়ে তখন হিলিয়ামের ফিউশন শুরু হয়। এইভাবে ধাপে ধাপে মৌলের পেরিয়ডিক টেবিলে ভারী মৌল তৈরী হতে থাকে।নইলে বিগ ব্যাংগ স্ট্যান্ডার্ড মডেল অনুযায়ী আদি বিষ্ফোরণে শুধু হাইড্রোজেন আর হিলিয়াম তৈরী হয়েছিলো।
    এইভাবে অ্যাটমিক নাম্বার বাড়তে বাড়তে যখন কেন্দ্রে লোহার নিউক্লিয়াস তৈরী হয়ে ভরে যায় তখন সেটাকে জ্বালিয়ে তোলার মতন তাপ আর ওঠে না সেইখানে, ফিউশন বন্ধ হয়ে যায়।কেন্দ্রীয় অংশটি সংউচিত হয় গ্রাভিটির জন্য।
    এই পরে থাকা কেন্দ্রীয় অংশটির ভর যদি প্রায় দেড়(1.44 solar mass) সৌরভরের বেশী হয় তাহলে সেটাকে নিজের গ্রাভিটিতে নিজের কোলাপস করে যাওয়া থেকে কেউ ঠেকাতে পারেনা। কারণ কোনো রেডিয়েশন প্রেশার নেই, কোনো ডিজেনারেসিও এটাকে চুপসে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেনা যদি ভর এই লিমিটের বেশী হয়। এই লিমিট আমাদের চন্দ্রশেখন ভেঙ্কটরমন আবিষ্কার করেন,একে বলে চন্দ্রশেখর লিমিট।
    কিন্তু তখন তাহলে কি হয়? যদি থেকে যাওয়া ভর চন্দ্রশেখর লিমিটের বেশী হয়? তখন প্রচন্ড গ্রাভিটির প্রভাবে চুপসে যেতে যেতে এর ঘনত্ব এত বেশী হয়ে যায় যে এর সারফেস থেকে ছুটে বেরুতে পাবার বেগ যাকে মুক্তিবেগ বা এসকেপ ভেলোসিটি বলে তা আলোর বেগের চেয়ে বেশী হয়ে যায়।তাই আলো আর এর থেকে বেরুতে পারেনা,এটি পরিনত হয় ব্ল্যাক হোলে। মহাবিশ্বের এমন এক জায়গা যেটা থেকে কোনো কিছুই আসতে পারেনা। আলোর বেগই হলো কিনা এই মহাবিশ্বের গতির চরম, তাই আলোই যদি না আসতে পারে,তাহলে আর কি আসবে?
    আগে আমরা জেনেছি আইনস্টাইনের জেনেরাল রিলেটিভিটি অনুসারে গ্র্যাভিটি হলো গিয়ে স্পেসটাইমের প্রপার্টি। এইখানে এই চরম ঘনত্বের বস্তুর ক্ষেত্রে কি হলো? একটু অংক কষে দেখা গেলো এই বস্তু স্পেসটাইমে এমন এক কার্ভেচার তৈরী করলো যে সেই কার্ভেচারের মান হলো অসীম। মানে স্পেসটাইমের অবিচ্ছিন্ন কন্টিনুয়াম থেকে এটা কাট অফ হয়ে গেলো। এপাশ থেকে মানে এই স্পেসটাইম কন্টিনুয়াম থেকে যদি দেখার চেষ্টা করি তাহলে মনে হবে ওখানে সময় শেষ হয়ে গেছে। ঠিক যেন টানটান নিঁখুত তলের উপরে একটা গর্ত, যদিও এই কল্পনায় খামতি থাকে যুক্তির,কারণ আমাদের মহাবিশ্ব চারমাত্রার,তিনটে স্থান ব্যপ্তি আর একটা কালব্যপ্তি।
    যাই হোক এই ব্ল্যাকহোলের একটি পরিসীমা আছে যাকে এনারা নাম দিয়েছেন ইভেন্ট হরাইজ্‌ন-ঘটনাদিগন্ত। সংকোচনশীল নক্ষত্র ব্ল্যাকহোলে পরিণত হবার ঠিক আগের মুহূর্তে যে আলো বা অন্য তড়িচ্চুম্বকীয় তরঙ্গ ছুটে বেরোতে চেষ্টা করেছিলো কিন্তু পারেনি,বাঁধা পড়ে চিরকাল বৃত্তপথে ঘুরে চলেছে,সেই ধরা পড়া আলোদের দিয়ে তৈরী স্ফিয়ারকে বলে ব্ল্যাক হোলের ইভেন্ট হরাইজন।
    আগে সবাই নিশ্চিত ছিলো ব্ল্যাক হোল থেকে কিছুই রেডিয়েশন আসতে পারে না,ঐ সর্বগ্রাসী টানে সবকিছুই তলিয়ে যায় ঐ গ্রাভিটেশনাল ওয়েলে।কিন্তু বিজ্ঞানী হকিং কোয়ান্টাম আইডিয়া প্রয়োগ করে দেখান ক্ষীণ রেডিয়েশান আসতে পারে,ব্ল্যাক হোল এর ঘটনা দিগন্তের পাশ থেকে। একে বলে হকিং রেডিয়েশন।
    কোয়াসারের শক্তির উৎস আজকাল মনে করা হচ্ছে বিলিয়ন সৌরভরের সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল।(আমাদের গ্যালাক্সির কেন্দ্রেও নাকি একটি অত সুপারম্যাসিভ না হলেও কম্পারেবল মাসের বিশাল ব্ল্যাক হোল আছে।)
    সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের তীব্র গ্র্যাভিটি কার্ভেচারে পড়ে কাছাকাছি সমস্ত বস্তু ক্রমত্বরিত গতিতে সর্পিল পথে এগিয়ে যেতে থকে সেই ইভেন্ট হরাইজনের দিকে।যত কাছে যায় তত বেগ বাড়ে আর তত প্রচন্ড তপ্ত হয়ে ওঠে। এক্স রে থেকে শুরু করে অন্য সব ই এম ওয়েভ বিকিরণ করতে থাকে। ঐ বিপুল বিকিরণই দেখতে পাই কোয়াসার থেকে।
    অবশেষে বস্তু হোলে পড়ে যায়,আর তার কোনো হদিশ থাকে না।নতুন বস্তু আসতে থাকে।
  • dri | 129.46.240.42 | ১০ এপ্রিল ২০০৬ ০৬:৪০563741
  • জমছে একটু একটু করে।

    নক্ষত্রের জীবন আর ব্ল্যাক হোলের পার্টটায় কিছু কিছু কিউরিয়সিটি উঁকি মারছে। আপনি যেটা লিখেছেন সেটা একটা থিওরি, তাই তো? আমার জানার ইচ্ছে এর সাপোর্টিং এভিডেন্সগুলো কি। সোজা থেকে শুরু করি। ফিউশন ব্যাপারটা বোধহয় এক্সপেরিমেন্টালি করা হয়েছে, তাই না? রেডিয়েশন প্রেসার ব্যাপারটা কি কোন কনট্রোলড এক্সপেরিমেন্টে দেখা গেছে? তারপর হিলিয়ামের ফিউশন হয়ে ভারী মৌল, এটা কি এক্সপেরিমেন্টালি দেখান গেছে? এগুলো বোধহয় প্রচুর তাপের ব্যাপার স্যাপার। আর চন্দ্রশেখর লিমিটের বর্ননা শুনে মনে হল এটা অঙ্ক করে পাওয়া গেছে। আশা করছি এটার বেসিক কিছু এভিডেন্স পাওয়া গেছে। যেমন দেড় সৌরভরের সামান্য বেশী ভরের ব্ল্যাক হোল পাওয়া গেছে অথচ কম পাওয়া যায় নি? দেড় সৌরভরের কম ঠান্ডা মেরে যাওয়া তারা যেটা ব্যাক হোল হতে পারেনি এমন পাওয়া গেছে?

    এবং ফাইনালি ব্ল্যাক হোল থেকে তো কিছুই বেরোয় না, এটা ধরা পড়ল কি করে। নিশ্চয়ই একটা ইনটারেসটিং স্টোরি আছে। শুধু গ্র্যাভিটেশনাল লেনসিং নিশ্চয়ই নয়, কারণ তাহলে ডার্ক ম্যাটার আর ব্ল্যাক হোল আলাদা করবেন কিকরে? আর ব্ল্যাক হোল কি গর্তে পড়ে নি কিন্তু কাছাকাছি স্পেস-টাইমে আছে এমন জিনিষকে টান মেরে ঢুকিয়ে নেয়? সুপারম্যাসিভের বিবরণ শুনে তাই মনে হল। টেনে নিয়ে আসার প্রসেসটায় ধুম এনার্জি বেরোয় মনে হচ্ছে, মানে ফিউশনের চেয়েও বেশী। কিন্তু একবার আশপাশের সবকিছু গিলে নিলে আর কিছু বেরোবে না, তাই তো? আর এই পুরো গল্পটা তো মোস্টলি ম্যাথ বেসড, মানে এ কি আর ভেরিফাই করা সম্ভব? এই যে আলোরা সব পাক খেয়ে মরছে, বেরোতে আর পারছে না। তাহলে ব্ল্যাক হোলই কি সবকিছুর ফাইনাল ডেস্টিনেশন? মানে এইসব কিছুই স্পেস-টাইমে গড়াগড়ি খাচ্ছে যতক্ষণ না একটা ব্ল্যাক হোলে গিয়ে পড়ে? অনেক অনেক দিন পরে তাহলে কি শুধু কিছু ব্ল্যাক হোল ভেসে বেড়াবে মহাকাশে! উ:, একটা ব্ল্যাক হোলে কয়েকদিন কাটিয়ে আসলে হত! আর সব গ্যালাক্সির পেটের ভেতরেই একটা করে ব্ল্যাক হোল আছে?
  • vikram | 82.22.227.88 | ১০ এপ্রিল ২০০৬ ০৭:০১563742
  • তনুর একটা কথা বলা উচিত সোজা করে, যখন ই তিনটির বেশি কো অর্ডিনেট নিয়ে কাজ হয় তখন কিন্তু কনসেপ্ট অফ ডিস্টেনস অ্যান্ড অ্যাংগেল বদলে যায় সর্ট অফ। আমাদের চেনা দইর্ঘ্য চেনা ঘূর্ণনের যায়গা নিয়ে নেয় নর্ম, ও ইনার প্রোডাক্ট যথাক্রমে।
    বাংলায় যার মানে ভিসুয়ালাইজ করার সময় উপরের কতাটি খেয়াল রেকে করবেন।
    তনু, সহজ করে একটা স্পেস, তার স্প্যানিং বেসিস তার বিভিন্ন নর্ম এগুলি কি দেওয়া যাবে? মানে অনেকটা বিধিবধ্‌ধ সতর্কীকরনের ন্যায়, যে অবশ্যই কল্পনা করুন বা ভিসুয়ালাইজ করুন, কিন্তু ছবি ও সই দেখিয়া।
    আর হ্যাঁ, কো অর্ডিনেট সিস্টেম ও তাদের ট্র্যান্‌স্‌ফরমেশান।

    বিক্রম

  • tan | 131.95.121.251 | ১০ এপ্রিল ২০০৬ ২১:০৩563743
  • দ্রিঘান,
    অনেক ঝঞ্ঝাট ঝামেলা করে শুধু হাইড্রোজেনের ফিউশনই মাত্র পৃথিবীতে করা সম্ভব হয়েছে,তাও ক®¾ট্রালড নয়। থার্মোনিউক্লিয়ার বোমার মধ্যে,সেও বহুৎ ক্যাচাল করে আগে ফিশন বোমা লাগিয়ে ঐ তাপমাত্রা তুলে... সে এক বিতিগিশ্রী কান্ড!
    (আসলে এখানে ও জিনিস করতে গেলে কোনো প্রথাগত কন্টেনারে তো করা যাবে না,কন্টেনার উড়ে যাবে ঐ তাপে! তাই এখন টোকাম্যাক দিয়ে ট্রাই করা হচ্ছে। এটা ম্যাগনেটিক কনফাইনমেন্ট এর দ্বারা প্লাজমা(আয়নিত গ্যাস) স্টেটে রাখা হাইড্রোজেনের ফিউশন। তাও এখনো সাফল্য সুদূরে! সম্প্রতি লেজার এর দ্বারাও চেষ্টা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনো সফল হবার দেরি আছে।অথচ হলে কিন্তু অফুরন্ত শক্তিভান্ডার আমাদের হাতে এসে যাবে।সমুদ্রের জল থেকে হাইড্রোজেন সংগ্রহ করে বিদ্যুৎ তৈরী করা যাবে!অফুরাণ,প্রায় বিনাদামের ফুয়েলে!)

    হিলিয়াম বা কার্বন নিউক্লিয়াসকে সংযোজন করাতে যে তাপমাত্রা দরকার,তা সম্ভব নয় এখানে।কিন্তু নক্ষত্রকেন্দ্রে সম্ভব। এটা আমাদের এক্সপেরিমেন্টে না দেখলেও মেনে নিতে হবে,কারণ গাণিতিক যুক্তি রয়েছে আর রয়েছে এইসব মৌলগুলো! যা কিনা আমরা দেখছি আমাদের্চারপাশে(আমরা নিজেরাও তৈরী হয়েছি প্রভূত কার্বন আর হাইড্রোজেন অক্সিজেন নাইট্রোজেন এইসব দিয়ে)।এইসব চারপাশে দেখছি তো বটেই,নক্ষত্রের মধ্যেই দেখছি ওদের স্পেকট্রাম দেখছি যখন। তাই এদের অস্তিত্বই পরোক্ষ প্রমাণ ঐসব নিউক্লিয় সংযোজনের। কারণ বিগ ব্যাং মডেল অনুযায়ী আদি বিস্ফোরণের এলিমেন্টারি পার্টিকলেরা(লেপ্টন আর কোয়ার্কেরা) মোটামুটি ঠান্ডা হয়ে জুড়ে টুড়ে তৈরী করেছিলো হাইড্রোজেন আর হিলিয়াম।সেই অনুপাতই এখনো দেখা যায়।৭৬% H আর ২৩% He।বাকী ১% অন্যরা যারা কিনা পরে নক্ষত্রে জন্মেছে।
    পরে হোয়াইট ডোয়ার্ফ তারা নিয়ে হবে যা কিন চন্দ্রশেখর লিমিটের পরোক্ষ প্রমাণ।আছে নিউট্রন তারারা যারা আরেক প্রমাণ। আছে বাইনারি স্টার সিস্টেম যার একটা তারা ব্ল্যাক হোল হয়ে গেছে,অন্যটা দেখা যাচ্ছে বিরাট জায়েন্ট তারা,সেটা থেকে বিপুল গ্যাসের স্রোত চলেছে নাদেখা বিন্দুর দিকে।
    সত্যি সত্যি খুব খুব ইন্টারেস্টিং গল্প আছে,জিনিসটা সত্যিই এপিকসুলভ ব্যপ্তির।
  • tan | 131.95.121.251 | ১০ এপ্রিল ২০০৬ ২১:১১563744
  • ভিকি,তুমি দাও না কিছু এই চার মাত্রা নিয়ে! এই লাইট কোণ,পাস্ট লাইট কোণ,ফিউচার লাইট কোন এসব নিয়ে! স্পেসলাইক টাইমলাইক আর নাল জিওডেসিক নিয়ে!
    এগুলো এমনি কথায় বোঝাতে গেলে ছবি ছাড়া হবে কি? নাহলে অংক লাগবে সেগুলো এমনি এমনি দিলে কোনো মানেই তৈরী হবে না,যদি না আগে থেকে বিরাট বিরাট চ্যাপটারে বলে দেয়া হয় কোন্‌টা কি,কিসে লাগে,কেন এক সংখ্যা ওলা স্কেলার থেকে একাধিক সংখ্যাওলা ভেক্টরে যেতে হয়,তাতেও শানায় না,যেতে হয় সংখ্যার অনেক রো আর কলামওলা টেনসরে, তারপরে এদের যোগ করা গুণ করার আলাদা নিয়ম!
    তুমি এবারে এগিয়ে এসে কিছু আলো দাও ভিকি।

  • Arijit | 128.240.229.67 | ১০ এপ্রিল ২০০৬ ২১:১৯563745
  • আরে সেদিন ওয়াটারস্টোনসে "এমপেররস নিউ মাইন্ড" দেখলুম - থ্রী ফর টু ডীলে ছিলো। হাতে নিয়েও ফেলেছিলুম, ওটা আর "হোলি ব্লাড, হোলি গ্রেইল" - তৃতীয়টা আর কিছু পেলুম না, তার ওপর ওই এমপেরর খুলে দেখি ভিতরে বেশ কিছু অঙ্ক রয়েছে, তাই ভয়ে ভয়ে যেখানকার বই সেখানে রেখে দিলুম।

    ট্যান পড়েছ? কেনার মতন?
  • tan | 131.95.121.251 | ১০ এপ্রিল ২০০৬ ২১:২৭563746
  • আরে অরিজিৎ,তুমি কম্পুর লাইনের লোক,অংক আর লজিক তো তোমার যাকে বলে কাপ অব টী!
    (উ:,সেদিন এক ইন্‌ফাইনাইট হোয়াইল লুপে পড়ে কি বিতিগিশ্রী অবস্থা হয়েছিলো আমার!:-(((কিছুতেই হয় না,ক্র্যাশ করে যায় বারবার! শেষে কোনোরকমে দিদিমণি বাগটাকে ধরিয়ে দিলো!)
    পেনরোজের ও বইটা পড়ি নি।শুনেছি খুব নাকি পপুলার!
    ভিকিরে শুধোও।মনে হয় পড়েছে।
  • Arijit | 82.39.109.192 | ১১ এপ্রিল ২০০৬ ০১:০৫563748
  • না রে ভাই - কম্পিউটার সায়েন্স হল অঙ্ক শক্তপোক্ত হয়, আমরা তো ইঞ্জিনিয়ারিং। আমাদের অংক বেশ খারাপ। সেভাবে কলেজে জোর দেওয়াই হয় নি কখনো। আমাদের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা বেসিক্যালি ভালো প্রোগ্রামার হয়, এর বেশি কিছু নয়। আইআইটির কথা বলতে পারবো না অবশ্য।
  • tan | 131.95.121.251 | ১১ এপ্রিল ২০০৬ ০২:১৪563749
  • এমনিতে সাধারণ নক্ষত্রে কি থাকে? গরম জ্বলন্ত গ্যাসরাশি। এদের একটা থেকে আরেকটা পরমানুর মধ্যে বেশ অনেক দূরত্ব থাকে।কিন্তু যদি ঐ ভীষণ গ্র্যাভিটেশনাল কোলাপ্সে পড়ে তাহলে এরা কাছাকাছি চলে আসে,খুব কাছে কাছে।ঘনত্ব তখন বেড়ে যায় সাংঘাতিক।কিন্তু পাউলির এক্সক্লুশন প্রিন্সিপল এদের একেবারে চুপসে ব্ল্যাক হোল হওয়া থেকে আটকাতে পারে যদি এদের ভর ঐ চন্দ্রশেখর লিমিটের কম হয়। এইধরনের ফুয়েল ফুরানো ঘন নক্ষত্রকে বলে হোয়াইট ডোয়ার্ফ স্টার।
    আমাদের এখান থেকে দেখা রাত আকাশের সবচেয়ে উজল নক্ষত্র হলো লুব্ধক(sirius)। এই লুব্ধকের একটি সঙ্গী নক্ষত্র আছে, সঙ্গীটি একটি হোয়াইট ডোয়ার্ফ। অতটুকু সাইজের মধ্যে অত ভর আছে দেখে (বাইনারি স্টারের একটার ভর জানা থাকলে অন্যটির গতিপথ দেখে সামান্য অংক কষে সেটির ভর জানা যায়) ঘনত্ব বার করে দেখা এছে সেটি হোয়াইট ডোয়ার্ফের থিওরেটিকাল ভরের সঙ্গে মিলেছে। তাই এটি চন্দ্রশেখর লিমিটের পরোক্ষ প্রমাণ। এই ধরনের ঘন নক্ষত্রে কোনো ফিউশন চলে না, কিন্তু ইলেকট্রনের ডিজেনারেসি এদের নিজের গ্রাভিটিতে নিজের চিঁড়েচ্যাপ্টা হওয়া থেকে বাঁচায়।এরা আলো বিকিরণ করে ভেতরে থেকে যাওয়া তাপের প্রভাবে, এদের দেখায় উজ্জবল সাদা।তাপ বিকিরণ করতে করতে আস্তে আস্তে ঠান্ডা হতে হতে একসময় এরা ইয়েলো ডোয়ার্ফ হয়ে তারপরে একসম একদম নিভে যাবে। হয়ে যাবে ব্ল্যাক ডোয়ার্ফ। তাপহীন আলোহীন নক্ষত্রের মৃতদেহ।
    কিন্তু ভর যদি একটু বেশী হয়, যদি ইলেকট্রনের ডিজেনারেসি যথেষ্ট না হয় এদের গ্র্যাভিটির প্রবল টানের থেকে বাঁচানোর পক্ষে? চন্দ্রশেখর তো সেটাই থিওরেটিকাল ক্যালকুলেশানে দেখান যে এই এক্সক্লুশন প্রিন্সিপলের দ্বারা বস্তুকে বাঁচানোর একটা সীমা আছে, অবস্থান খুব কাছাকাছি হতে থাকলে গতিবেগের যে বিরাট পার্থক্য হবে তার একটা সীমা আছে,স্পেশাল রিলেটি অনুসারে আমরা জানি যে সেটা আলোর বেগ, c। ভর চন্দ্রশেখর লিমিটের বেশী হলে ঐ মারাত্মক গ্র্যাভিটির চাপে পড়ে ইলেকট্রনেরা সব ঢুকে পড়বে নিউক্লিয়াসে আর প্রোটনের সঙ্গে মিলে হয়ে যাবে নিউট্রন। তখন ঐ নিউট্রনেদের ডিজেনারেসি যদি যথেষ্ট হয়,তাহলে কোলাপ্স থেকে রক্ষা পাবে অতিঘন নক্ষত্রটি ও এর নাম হবে নিউট্রন স্টার। এক টেবিল চামচ নাক্ষত্র বস্তুর ভর তখন হবে কয়েক কোটি টন! সাইজ খুব ছোটো কিন্তু অত্যন্ত ঘন।
    এখন থিওরেটিকালি তো বলে দেয়া হলো,এভিডেন্স কোথা? পাওয়া গেলো পালসারে। পালসার হলো এমন তারা যেখান থেকে নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে এ এম ওয়েভের পালস আসতে থাকে। কেমন করে আসতে থাকে? কোনো ফুয়েল ফুরানো তারার থেকে যাওয়া ভর যদি এতটা হয় যে এটার ইলেকট্রঙ্গুলো সব নিউক্লিয়াসে ঢুকে প্রোটনে মিলে নিউট্রন হয়ে গেছে,ঘনত্ব হয়েছে অত বেশী আর এটা অত্যন্ত দ্রুত ঘুরছে(কনসার্ভেশন অব মোমেন্টাম)।এর ম্যাগনেটিক পোলের থেকে বিপুল রেডিয়েশন বেরিয়ে আসবে। এখন ভাগ্যক্রমে যদি এর রোটেশনাল অ্যাক্সিসটা এমনভাবে থাকে যে পোলটি ঘুরে ঘুরে আমাদের মুখোমুখি হচ্ছে,তাহলে আমরা নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে দেখবো ই এমে ওয়েভের ফ্ল্যাশ। এইরকম পর্যবেক্ষণ করা গেলো, প্রথম রেডিও ওয়েভে দেখা গেলো,পরে ওপটিকালে। এমন নিঁখুত নিয়ম মানা সময় ব্যবধানে আসছিলো ও রেডিও ওয়েভের ফ্ল্যাশ যে আবিষ্কারক দুজন প্রথমে ভেবেছিলেন কোনো অন্য গ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীরা বুঝি যোগাযোগের আশায় সংকেত পাঠায়! পরে ভালো করে সবকিছু দেখেশুনে অংক করে বলা হলো এ হলো গিয়ে নিউট্রন স্টার!

    তখন লোকে নড়েচড়ে বসলো,এতখানি ঘনত্বই যদি হতে পারে তাহলে আরো বেশী কেন নয়? কেন নয় সত্যিকার গ্র্যাভিটেশনাল কোলাপ্স? কেন নয় ব্ল্যাক হোল? কেউ কেউ যুক্তি দিতে আরম্ভ করলেন যদি দুখানা নিউট্রন স্টার কোলাইড করে তাহলে কি হবে? তাহলে তো ওদের মোট ভর ঐ এক্সক্লুশনে বাঁচানো ভরের থেকে যাবে বেড়ে,তখন? তখন কি সত্যি সত্যি ঘটবে গ্র্যাভিটেশনাল কোলাপ্স? তৈরী হবে ব্ল্যাক হোল যা থেকে আলো পর্যন্ত ছুটে বেরোতে পারে না?
    পদার্থবিদ্যার জানা সমস্ত তত্ব কাজে লাগিয়ে দেখা গেলো তা হবার কোনো থিওরেটিকাল বাধা নেই। কিন্তু তখনো লোকে একটুও মানতে চাইছিলো না।
    পরে সিগ্নাস এক্স ওয়ান বলে একটা বাইনারি সিস্টেমে দেখা গেলো একটি তারা বিপুল দৈত্যাকার আর তা থেকে উত্তপ্ত গ্যাসের স্রোত চলেছে একটি না দেখা বিন্দুর দিকে আর সেই দিকে যত যাচ্ছে তত বেশী গতিবেগ প্রাপ্ত হচ্ছে। মারাত্মক গরম হয়ে এক্স রশ্মি বিকিরণ করছে অন্যান্য রশ্মির সঙ্গে।
    তো,সবাই তখন বললেন হয়তো ঐ না দেখা বিন্দুটি আসলে ব্ল্যাক হোলে পরিণত হওয়া সঙ্গী তারাটি, যা কিনা আর কোনো আলোকেই আসতে দেয়ে না বলে কিছুই দেখা যায় না, কিন্তু সে স্পেসটাইমে যে মারাত্মক কার্ভেচার তৈরী করেছে সেই কার্ভেচারের রেঞ্জের মধ্যে পড়লেই বস্তুরা ছুটে যায় ওর দিকে।আর সেই মরণঝাঁপের সময় বিকিরণ করে এক্স রে!
    ওটিই ছিলো প্রথম অনুমিত ব্ল্যাক হোলের এভিডেন্স। ক্রমে জানা গেলো বড়ো বড়ো সব গ্যালাক্সিদের কেন্দ্রে রয়েছে সুপারম্যাসিভ সব ব্ল্যাক হোল।বিলিয়ন সোলার মাসের ব্ল্যাক হোল। এরাই মূল শক্তিকেন্দ্র,প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ তারা গ্রাস করে চলেছে আর সেই গ্রাস করার আগের সময়ে পতনশীল গ্যাসরাশি থেকে ছুটে আসছে বিপুল শক্তি, সমস্ত রকম ই এমে ওয়েভের ফর্মে।
  • vikram | 62.254.32.23 | ১১ এপ্রিল ২০০৬ ০৩:০৯563750
  • তনু,
    লাইট কোন আমি জানি না। আমি সিভিল ইনজিনিয়ার। আমি দইর্ঘ্য ও কোন নিয়ে না হয় একটু সময় পেলে দু পয়সা দেবো। আশা করি ভালো লাগবে।

    অরিজিত ও তনু,
    রজার পেনরোজের খুব ভালো বই এম্পারার্স নিউ মাইন্ড ও শ্যাডোস অফ মাইন্ড। আমি অনেককে উপহার ও দিয়েছি।
    ঐ যে মাঝে সার্লের চাইনিজ রুম, গোডেল, টুরিং মেশিন নিয়ে গ্যান দেছেলাম সব ঐ পোথোমটার ফাস্ট চ্যাপ্টার থেকে টোকা।

    বিক্রম

  • dri | 66.81.197.54 | ১১ এপ্রিল ২০০৬ ১১:৪০563751
  • মোটামুটি বোঝা গেছে, শুধু ইলেকট্রন ডিজেনারেসিটা বাদে। তবে ওটা না বুঝলেও ওভার অল স্পিরিটটা ধরা যাচ্ছে।

    সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের ঐ ব্যাপারটা একটু রিভাইজ দিই। আসপাসের কার্ভেচারে বিরাট খোঁদল। মাসেরা সব সেই চোরাস্রোতে পড়ে হাই স্পিডে তলিয়ে যাচ্ছে। তখন স্পিড বাড়ছে মাসেদের। কেমন সেই স্পিড? c র ভগনাংশ হবে? তখন তারা এনার্জি ছাড়ছে। সেই এনার্জিও তো স্পেস টাইম কার্ভেচারের খপ্পরে পড়ে। পড়ে না? এই কার্ভেচার তো মাস আর এনার্জিকে আলাদা চোখে দেখে না। তাও এনার্জিটা পালিয়ে বাঁচে, তাই আমরা দেখতে পাই। কিকরে পারে, সেটা কি ওর স্পিড c বলে?
  • tan | 131.95.121.251 | ১১ এপ্রিল ২০০৬ ২১:৫৮563752
  • দ্রিঘান,একদম ঠিক পথে চিন্তা।হ্যাঁ,ঐ মাস যা কিনা ছুটে যাচ্ছে ঐ সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের দিকে,তার গতিবেগ c এর ভগ্নাংশে ওঠে, কিন্তু যে শক্তি বিকিরিত হয় তার গতিবেগ তো সর্বদাই c! তাই ইভেন্ট হরাইজনের বাইরে থাকা পর্যন্ত এরা ঐ কার্ভেচার থেকে বেরিয়ে যেতে পারে,যেমন কিনা গরম কড়াইভরা ফুটন্ত ঝোল থেকে বাষ্পেরা বেরিয়ে যেতে পারে কিন্তু ঝোল একটু আধ্‌টু ছিটকে যা বেরোয় তার চেয়ে বেশী পারে না। তবে মনে রাখতে হবে এটা কিন্তু ইভেন্ট হরাইজনের বাইরের ব্যাপার। ইভেন্ট হরাইজনের মধ্যে পড়ে গেলে তখন বস্তু বা শক্তি সবই তলিয়ে যায়,কিছুই আর আসে না।কারণ সেখানে মুক্তিবেগ আলোর বেগের চেয়ে বেশী হয়ে গেছে।
    আপাতত অন্তত এইরকম গাণিতিক অনুমান।আস্তে আস্তে অবশ্য একটু অন্যদিকেও চিন্তাভাবনা হচ্ছে বটে!

  • tan | 131.95.121.251 | ১১ এপ্রিল ২০০৬ ২২:২৭563753
  • হকিং রেডিয়েশন বলে যে রেডিয়েশনের কথা আগে উঠেছিলো,সেটা কিন্তু পরোক্ষভাবে ব্ল্যাক হোল থেকে আসা রেডিয়েশন। ইভেন্ট হরাইজনের পাশ থেকে আসা বস্তুকণার(!!!)স্রোত।

  • dri | 129.46.240.42 | ১৩ এপ্রিল ২০০৬ ০৭:১২563754
  • ট্যান, আজ আপনার জন্মদিন, তাই আজ ছুটি। কাল কিন্তু লিখতে হবে। স্প্রিং ব্রেক এসে গেল। কিন্তু সিলেবাস এখনো অনেক বাকি। কোয়াসার জানতে গিয়ে আমরা হোল ফ্যামিলির কথা জানতে পেরেছি। এবার কোয়াসারের সাথে বিগ ব্যাংটা রিলেট করুন।
  • tan | 131.95.121.251 | ১৩ এপ্রিল ২০০৬ ২০:৩৭563755
  • দ্রিঘান,
    কোয়াসার নিয়ে অনেক ঝাড়পিট আছে।আছে বহুৎ ঝঞ্ঝাট।এটা দিয়ে প্রসারণশীল মহাবিশ্বের সমর্থনে ও বিরোধিতায় দুই পক্ষেই অনেক কথা দেখানো যায়।কোয়াসারেরা হলো মুচকি হাসা ডাবল এজেন্ট! সবসময়ই অনেক দূরে পাওয়া (মানে আনেক আগে এদের দেখা যেতো)কোয়াসার(সবচেয়ে বেশী রেড শিফট এখনো যা পাওয়া গেছে তা হলো ৬.৪,সেইখানে কোয়াসারের সংখা অল্প,তারপরে রেড শিফট এট্টু এট্টু কমতে থাকে আর কোয়াসারের সংখ্যা বাড়তে থাকে, একসময় এসে সবচেয়ে বেশী কোয়াসার পাওয়া যায়,তারপরে কমতে থাকে,অনেকটা ঘন্টার মতন কার্ভ হয়,রেড শিফট ভার্সাস কোয়াসার সংখ্যা প্লট করলে) যেমন খুব দেখায় যে অতীতের মহাবিশ্ব ছিলো অনেক বেশী অ্যাকটিভ,একটা বিশেষ সময়ে খুব বেশী কোয়াসার ছিলো,তারপরে সেই অবস্থা কেটে গেছে,সেইটা যেমন অতীতের বেশী সক্রিয় তরুণ মহাবিশ্বের প্রমাণ,তেমনি আবার খটকাও আছে। আজকালের স্পেসটেলিস্কোপে ভালো করে ছবিটবি তুলে আর হিসেবটিসেব কষে দেখা গেছে, সুপারম্যাসিভ যে ব্ল্যাকহোল দূরের কোয়াসারের কেন্দ্রসমূহে,তা এতই বেশী ভরের যে সেগুলো তৈরী হবার ফুরসৎ পেলো কিকরে মাত্র কয়েক মিলিয়ন বছরে,সে এক রহস্য।
    এদিকে আবার কেউ কেউ অন্যধরনের চিন্তার অ্যাস্ট্রোনোমার,তাঁরা বলেন যে কোয়াসারেরা আসলে অত দূরে নেই,তাই ওরা অত আগেরও না,ওদের হাই রেড শিফট আসলে হাবলীয় নয়,স্পেসটাইমের প্রসারণের জন্য নয়,এরা নিজেরা আসলে নাকি জেটের মতন ছুটে যাচ্ছে আর সেই জন্যই রেড শিফট দেখায়।
    কিন্তু এই বিতর্কের বোধহয় ফয়সালা হয়ে যাবে বা ইতিমধ্যে গেছে।হোস্ট গ্যালাক্সিগুলোর রেড শিফট মাপলেই মেলানো যাবে আর জেটগতির বিরিদ্ধে এও বলা যাবে তাহলে বাই চান্স ব্লু শিফটও নেই কেন? জেটের মত্ন ছুটে যাচ্ছে বটে কিন্তু সর্বদাই দূরের দিকে কেন?
    কিন্তু সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের তর্ক এত সহজে মিটবে বলে মনে হয় না।ঐ মাত্র কয়েক মিলিয়ন বছরে কিকরে বিলিয়ন সৌরভরের এত এত ব্ল্যাক হোল তৈরী হতে পারে?
    হয়তো মহাবিশ্বের বর্তমান যে মডেল এখন মোটামুটি গ্রাহ্য,তা ধীরে ধীরে বদলে যাবে নতুন পর্যবেক্ষণে আর নতুন তাত্বিক অগ্রগতিতে।

  • tan | 131.95.121.251 | ১৪ এপ্রিল ২০০৬ ১৯:৫৭563756
  • দুদিকের পাল্লা সমান করা দরকার,নয়? তাই নতুন নতুন লোকেরা কইছেন যে আসলে এই জেনারাল রিলেটিভিটিতে দেশকালের জ্যামিতিকে যতটা প্রাধান্য দেয়া হয়েছে ততটা ডানদিককে মানে শক্তিবস্তুকে দেয়া হয় নি। কিন্তু ভালো করে ভেবে দেখলে জ্যামিতি তো আসলে অ্যাবস্ট্রাক্‌শন, গাণিতিক গ্রাফিকস, শক্তিবস্তু তো তা নয়!
    তাই নতুন প্রস্তাব দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে, যুক্তিসিদ্ধভাবেই এনারা অনুমান করছেন যে আসলে স্পেসটাইম এর কার্ভেচার ইন্‌ফাইনাইট হতে পারে না।সিংগুলারিটি বলে যা বলা হয় সেখানে আসলে কোয়ান্টাম সূত্রেরা কার্যকর,কেবল জেনারেল রিলেটিভিটিতে কুলোবে না।
    স্ট্রিং থিওরি অনুসারে সমস্ত বস্তুকণা(কোয়ার্ক লেপ্টন ইত্যাদিরা) ও বলবাহী কণা(যেমন ফোটন, গ্লুয়ন,ডাব্লু ইত্যাদি) আসলে নাকি স্ট্রিং,স্থানকালের একটিমাত্র বিন্দুতে নয়,থাকে অনেক বিন্দু জুড়ে তৈরী ইন্‌ফাইনাইটলি থিন স্ট্রিং হিসাবে।
    কিন্তু এই তত্বের এখনো জায়মান অবস্থা চলছে। এই তাত্বিকেরা যা যা প্রেডিক্‌শন দিচ্চেন,তা কোনো পরীক্ষায় দেখার উপায় নেই,এতই ক্ষুদ্র স্কেলের ব্যাপার আর এতই উচ্চশক্তির।
    তার উপরে আবার এখন পাঁচ ছটা আলাদা আলাদা স্ট্রিং থিওরি তৈরী হয়েছে দুদিকখোলা স্ট্রিং বা গার্ডারের মতন দুদিক বন্ধ স্ট্রিং এইসব আলাদা আলাদা প্রস্তাবিত প্রপার্টি নিয়ে।এইসব আলাদা স্ট্রিং থিওরি আসলে একটা আরেকটার ইকুইভ্যালেন্ট,তা কিছুদিন আগে দেখানো হয়েছে।এখন বলা হচ্ছে একটি আন্ডারলাইং থিওরি আছে যারা নাম দেয়া হয়েছে এম থিওরি,সেটাই নাকি এইসব গুলোকে এক সুতোয় চমৎকার বুনে দিয়ে মূল তত্বটি আমাদের দেবে।
    কিন্তু এখনো তা দূর অস্ত।
    বর্তমানে ইয়াং মিলস প্রস্তাবিত ধারাটি নিয়ে খুব কাজ হচ্ছে।

  • dri | 129.46.240.42 | ১৫ এপ্রিল ২০০৬ ০৬:৫৩563757
  • আচ্ছা দেখুন, এই যে পুরোনো কোয়াসারে এক্টিভ মহাবিশ্ব, ডিসপিউটগুলো যদি বাদ ও দি, এটাতে কি বিগ ব্যাং প্রমানিত হয়? মানে কয়েক বিলিয়ান বছর আগে মহাবিশ্বের পেটে গ্যাস হয়েছিল, পেট ভুটভাট করছিল, এ তো হতেই পারে। মানে হওয়া কি কিছু অস্বাভাবিক? মডেলটা যদি বিগ ব্যাং না হয়ে সোনা ব্যাং বা কুনো ব্যাং ও হয় তাতেও তো এটা হতে পারে। নয়?

    আর পৃথিবীর বয়সটা ঠিক কি ভাবে বার করলেন বলুন তো? হাবলের সুত্র থেকে? আচ্ছা আপনার কি মনে হয়, এখন থেকে এক মিলিয়ান বছর পর যদি আমরা হাবল কনস্ট্যান্ট মাপি তবে কি একই ভ্যালু পাব? মানে মহাবিশ্বের পুরো লাইফটাইম জুড়ে যদি হাবল কনস্ট্যান্টের মান একই থাকে তবে তো মডেল এখানেই হয়ে গেল। তা নিশ্চয়ই নয়। তবে আবার একটাকিছু সুত্র মেনে নিশ্চয়ই গ্যালাক্সিগুলো ছড়াচ্ছে, যার অবসারভ্‌ড পিরিয়ডে একটা এপ্রক্সিমেশান হল হাবলের সুত্র?

    আরেকটা ব্যাপার এভিডেন্স হতে পারে সেটা হল হাইড্রোজেন আর হিলিয়ামের পারসেন্টেজ যেটা আপনি বলছিলেন। কিন্তু এখানে আমার দুটো প্রশ্ন আছে। এক হল ঐ কোয়ার্ক আর লেপ্টন না কিসবের যে ইনিশিয়াল কম্পোজিশান, সেটা কিভাবে পাওয়া যায়? অঙ্ক কষে? আর এখন মহাবিশ্বে হাইড্রোজেন হিলিয়ামের পার্সেন্টেজ পান কিকরে? স্পেক্ট্রাম দেখে? তাই যদি হয় তাহলে ডার্ক ম্যাটারগুলো তো বাদ? ডার্ক ম্যাটারের পার্সেন্টেজ কিরম?
  • tan | 131.95.121.251 | ১৫ এপ্রিল ২০০৬ ২১:০৩563759
  • দ্রিঘান,
    এক এক করে কইতে চেষ্টা করা যাক।
    কোয়াসারেরা প্রত্যক্ষভাবে বিগ ব্যাংগ মডেলের সমর্থন না করলেও অন্য একভাবে করে বটে। এরা অল্টারনেটিভ থিওরিটা মানে স্টেডি স্টেট থিওরিটা নস্যাৎ করে। লার্জ স্কেলে দেখলে এই মহাবিশ্বকে খুব আইসোট্রোপিক আর হোমোজিনিয়াস লাগতো বলে কজন বিজ্ঞানী স্টেডি স্টেট থিওরি দিয়েছিলেন। এই তত্বে বলা হতো যে কোনো মহাবিষ্ফোরণে মহাবিশ্ব জন্মায়নি, এটা চিরকাল ছিলো। হ্যাঁ,গ্যালাক্সিরা সরে যাচ্ছে বটে কিন্তু ওভার-অল চিত্রটা একই থাকছে। কিন্তু প্রসারণের জন্য যা ঘনত্ব কমছে তা ভরে যাচ্ছে নতুন তৈরী হওয়া পদার্থে। একটা স্কেলার ফিল্ডের কথা তাঁরা বল্লেন,সেটা নাকি প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। তার যেটুকু বাড়ে সেটুকু খরচ করেই নাকি নতুন বস্তু তৈরী হয়।তাই হরেদরে পাল্লা সমান থাকে।চিরকালই মহাবিশ্বের চেহারা একইরকম আইসোট্রোপিক আর হোমোজিনিয়াস থেকে যায়। গাণিতিক যুক্তি এদেরো ভালোই ছিলো, অনেকেই খুব ব্রিলিয়ান্ট পেপার বলেন ঐ সি ফিল্ডের কথাওলা পেপারটাকে,কিন্তু অবজার্ভেশনে অন্যরকম দেখা গেলো বলেই তত্বটা চললো না। এই কোয়াসারেরা এর বিরুদ্ধে একটা বিরাট কাঁটা হয়ে রইলো। স্টেডি স্টেটই যদি হবে তাইলে বাপু অতীতে ঐ অ্যাকটিভ কোয়াসারেরা ছিলো আর এখন তাদের কেন পাওয়া যায় না?

    আর পৃথিবীর বয়স হাবল দিয়ে বার করা যায় না। এটা বার করে রেডিও অ্যাকটিভ ডেটিং দিয়ে।ডিটেলের জন্য কোনো জিওলোজিস্টদের জিগানো দরকার।
    আর হাবলের কনস্টান্ট কেউ বলছেন একই থাকবে, কেউ বলছেন বাড়বে কেউ বলছেন কমবে। আসলে ইনফ্লেশন বলে যে তত্বটা সাম্প্রতিক কালে খুব আদরণীয় হয়েছিলো,সেটা অনুসারে খুব আদিকালে মহাবিশ্ব নাকি অতি দ্রুতহারে ছড়িয়েছিলো, তখন তো ঐ হাবল কনস্ট্যান্টের মান অনেক বেশী ছিলো!

    আর ঐ পার্সেন্টেজের ব্যাপার নিয়েই তো ঝামেলা লড়াই! ডার্ক ম্যাটার তো আলাদা জিনিস,হাইড্রোজেন হিলিয়াম তো না! এগুলো তো ব্যারিয়নিক ম্যাটার।
    যা এখন অবধি হিসেব কিতেব করে এরা বার করেছেন তা হলো, মাত্র ৪% ব্যারিয়নিক,বাকী ২৩% ডার্ক ম্যাটার আর বাকীটা ডার্ক এনার্জী।
    এই ৪% ব্যারিয়নিক ম্যাটারের মধ্যে ঐ ৭৬,২৩,১ এই ভাগটা পাওয়া গেছে ঐ বিগ ব্যাঙ্গে তাপমাত্রা কিরকম ছিলো এটা পেয়ে। এখন যে কসমিক ব্যাকগ্রাউন্ড মাইক্রো-ওয়েভ রেডিয়েশন দেখা যায় যেটা কিনা এরা বলেন মহাবিষ্ফোরন থেকে বেরোনো রেলিক রেডিয়েশান যার এত রেড শিফ্‌ট হয়েছে যে মাইক্রো-ওয়েভ হয়ে গেছে,সেটার এখনকার তাপমাত্রা ২.৭ ডিগ্রী কেলভিন। সেই থেকে ব্যাক ক্যালকুলেশন করে করে জন্মসময়ের তাপ এরা বার করেছেন বিলিয়ান ডিগ্রী।
    এখন ঐ তাপমাত্রায় কিরকম সব বস্তুকণা থাকতে পারে, কিভাবে তারা রেডিয়েশানের সঙ্গে ইন্টার‌্যাক্ট করে সেসব নিয়েই যুক্তিনির্ভর অনুমানেরা দ্বারা মডেলটি খাড়া করা হয়েছে।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন