এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রসারণশীল মহাবিশ্ব

    Tan
    অন্যান্য | ০৩ এপ্রিল ২০০৬ | ৪৭৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tan | 131.95.121.251 | ০৫ এপ্রিল ২০০৬ ০৪:২১563694
  • কর্ণেলের কোনটা? "কর্ণেলকে কেউ চিঠি লেখেনা?":-)))
    প্রসঙ্গহীনভাবে মেঘনাদ সাহার একটু লেখা নিয়ে বলছি।উনি লিখেছেন উনি যখন তরুন বয়সে নক্ষত্রের তাপমাত্রা থার্মাল আয়োনাইজেশন রেডিয়েশন প্রেশার ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করছেন তখন এক প্রৌঢ় বাঙালি খুব নীরিহভাবে তার কাছে জানতে চাইলেন তিনি কি করেন। মেঘনাদ তারুন্যের উৎসাহে বুঝিয়ে বলতে লাগলেন সব। খানিকটা শুনে তাকে থামিয়ে ভদ্রলোক নিরাসক্তমুখে বল্লেন,"এ আর নতুন কি? এসবই তো ব্যাদে আসে(বেদে আছে)।"
    শুনে বিস্মিত ও কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে মেঘনাদ বললেন,"মহাশয়,বেদে কোথায় আছে?আমিও তো বেদ পড়েছি খানিক।"
    ভদ্রলোক আরো নির্বিকারমুখে বললেন,"আমি ব্যাদ কোনোদিন পড়ি নাই,তবে আমার বিশ্বাস সকলই ব্যাদে আছে।"
    এরপরে কি হয়েছিলো তা নিয়ে আর বিশদে যান নি মেঘনাদ।
  • dri | 66.81.120.254 | ০৫ এপ্রিল ২০০৬ ১০:৪৭563695
  • এইরে। আলোচনা মেটাফিজিক্সের দিকে চলে যাচ্ছে। প্লাস বেদও আছে। ডিজাস্টারের আগের স্টেজ।

    আবার একটু ফিজিক্সে টেনে আনার চেষ্টা করি। এইবার একটু গুছিয়ে বলুন তো ট্যান, পয়েন্ট করে, কোনগুলো বিগ ব্যাং এর স্পেকুলেশন আর কোনগুলো সাপোর্টিং অবজার্ভেশন। এই যেমন মাইক্রো ওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন -- এইটা কে কি বিগ ব্যাং এর এভিডেন্স বলা যায়? কেন? কোয়াসার ব্যাপারটা কি? এটাই বা এভিডেন্স কেন? ডার্ক এনার্জি ও কি এভিডেন্স? এই এনার্জিটাই কি গ্র্যাভিটেশনের উল্টোদিকে কাজ করে ঠেলেঠুলে সবকিছুকে দুরে পাঠিয়ে দিচ্ছে?

    কোন কোন ইম্পর্ট্যান্ট ব্যাপারের কোন এভিডেন্স পাওয়া যায় নি? এমন কিছু পাওয়া গেছে যেটা এই থিওরি এক্সপ্লেন করে না?

    আর শুনেছি নাসার পাঠানো কোবে স্যাটেলাইট নাকি কি কি সব সাপোর্টিং এভিডেন্স পেয়েছে তার ডিটেল জানেন?

    এক পোস্টে তাড়াহুড়ো করে সব কাভার করে দুর্বোধ্য কিছু লেখার দরকার নেই। যখন যেমন সময় পাবেন ছোট ছোট করে লিখবেন, কিন্তু একটু এক্সপ্লেন করে।
  • vikram | 134.226.1.136 | ০৫ এপ্রিল ২০০৬ ১৬:৫৮563696
  • দ্রিঘাংচুর কথার সমর্থন করলাম। পয়েন্ট বাই পয়েন্ট। ধীরে সুস্থে। বুঝিয়ে।

    বিক্রম
  • tan | 131.95.121.251 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ০১:৩৫563697
  • প্রথমে কোয়াসার,তারপরে কোবি তারপরে উইলকিন্সন মাইক্রো-ওয়েভ অ্যানাইসোট্রোপি প্রোব, কেমন? এক এক করে এক এক সিটিং এ।
    তারপরে ডার্ক ম্যাটার আর ডার্ক এনার্জী,অ্যাকাসিলারেশানের এভিডেন্সের কথা।
    এইভাবে পর্বে পর্বে হলে বুঝতে সুবিধে হবে আমাদের।
  • Arijit | 82.39.109.192 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ০১:৪৪563698
  • এট্টু সোজা করে, কেমন? যাতে শুধু শুণ্য আর এক বোঝা লোকও বুঝতে পারে। এখানে ডেন্টিস্টের ক্রাইসিস আছে।
  • Milli | 131.95.121.251 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ০২:২৩563699
  • শূন্য আর একের বিরাট মালার মতন কি যেন বেরিয়ে আসছে ব্ল্যাক হোল থেকে,এইরকম মলাটের বহু বই দেখছি আজকাল বুকস্টোরে।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ০২:৪৫563700
  • আজকে একটু কোয়াসারের প্রথম দিকের কথা বলি,পরে কালকে বলবো যে সুপারম্যাসিভ ব্যাপারগুলো কি করে এর সঙ্গে জড়ানো হলো।
    গত শতকের ষাটের দশকে আবিষ্কার হয় কোয়াসার,QUASAR।এটা Quasi Stellar Radio Source এর থেকে।
    তখনি বড়ো বড়ো রেডিও টেলিস্কোপগুলো বসানো হচ্ছিলো। তো,তাতে ধরা পড়লো এমনি অপটিকাল টেলিস্কোপে খুব ক্ষীণ তারার মতন দেখতে একরকম সোর্স,অথচ খুব তীব্র রেডিও ওয়েভ আসছে ওসব থেকে।তাই থেকে নামটা দেয়া হলো।
    তারপরে সেই উৎসগুলোর আলো স্পেকট্রোস্কোপে ফেলে তো লোকে তাজ্জব! সবকটার রেড শিফট অনেক বেশী বেশী। এরা আমাদের গ্যালাক্সির কিছু নয়,তার চেয়ে অনেক দূরে!হাবল সূত্র লাগিয়ে এদের দূরত্ব মেপে দেখা গেলো গ্যালাক্সি তো বটেই গ্যালাক্সিপুঞ্জের সীমাটিমা ছড়িয়ে আরো বহু দূরে এরা।(হাবলের সুত্র হলো খুব সিম্পল,v=Hdvদূরে চলে যাবার গতি,d হলো দূরত্ব আর H হলো হাবল কন্সট্যান্ট।
    (বর্তমানে সবচেয়ে বেশী রেড শিফট ওয়ালা কোয়াসারের রেড শিফট ৬.৪,আলোর ৩৭% গতিবেগে দূরে চলে যাচ্ছে)
    এখন ঐ অত দূরত্ব মানেই হলো এরা বহু আগের জিনিস,অন্তত দশ বিলিয়ন বছর আগের।কাছেপিঠে কোনো কোয়াসার পাওয়া গেলো না,সবই দশ বা তার বেশী। এর থেকে বোঝা গেলো অতীতের মহাবিশ্বে ছিলো কোয়াসার,ওগুলো এমন ইভেন্ট যা কিনা বর্তমানে আর ঘটে না,অতীতের প্রচন্ড অ্যাকটিভ মহাবিশ্বে ঘটতো। এটা একটা পরোক্ষ প্রমাণ যে অতীতে মহাবিশ্ব আজকের মতন ছিলো না,অন্যরকম ছিলো।
    আর আরেকটা খুব ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো এই কোয়াসারেরা আকারে বড়ো না,সাইজে আমাদের সৌরজগতের সঙ্গে তুলনীয়।অথচ এরা যে শক্তি বিকিরণ করছে তা একখানা গোটা গ্যালাক্সির বিকিরিত শক্তির সঙ্গে তুলনীয়। ঘোর রহস্য!
    এখন অবশ্য এর একটা উত্তরের ধর্তাই পাওয়া আজকাল যাচ্ছে!
    কাল বাকীটা!
  • b | 86.137.153.156 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ০৩:০৯563701
  • good. জমিয়ে দিয়েছে। চালা।
  • bozo | 129.7.152.36 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ০৩:১৪563702
  • এরা কি বর্ন ওপেনহাইমার মেনে চলে? বিভিন্ন কোয়ান্টাম নাম্বার গুলোকে কি আলাদা করা যায় এই কোয়াসারের? না কি সেইগুলান কাপলড? রেড শিফট কোন নর্মাল মোড থেকে আইতাছে সেইডা বোঝে ক্যামনে?
  • tan | 131.95.121.251 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ০৫:১১563704
  • বোজো এই নামদুটো বলবে না প্লীজ,অন্তত দ্বিতীয়টা নয়।শুনলেই পৃথিবী ছেড়ে বৈকুন্ঠে পালাতে ইচ্ছে হয়।:-(((

  • tan | 131.95.121.251 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ০৫:২৩563705
  • অবিশ্যি কোয়াসারের নামে কোনো দোষ নাই।:-)))
    আর ভালো কথা, এদের কিন্তু শক্তি বিকিরণের কার্ভ গাউসিয়ান কার্ভ নয়।ঘন্টা মতন দেখতে না, কোনো বিশেষ ওয়েভলেংথে বেশী করে এনার্জী আসে না। সবরকম ওয়েভলেংথে প্রায় সমান হয়ে আসছে,তাই বেশ স্মুদ সরলরেখার মতন দেখতে।
    স্ট্রং অ্যাবসর্পশন লাইনগুলো দেখে বোঝা যায় কতটা সরেছে রেডের দিকে।
    আরে প্রথমে তো আবিষ্কারক লোকটার মাথা খারাপ হতে বসেছিলো,কি রে বাবা কোন এলিমেন্টের লাইন এটা এতদূরে, ভেবে ভেবে।শেষে লাফিয়ে উঠলেন বুঝতে পেরে,চেনা হাইড্রোজেনের লাইন সরে সরে চলে গেছে কত দূরে!
    তাতেই না শেষ অবধি এতবড়ো আবিষ্কার হলো!
  • dri | 66.81.121.10 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ১০:০৬563706
  • বোজোর প্রশ্ন আর ট্যানের উত্তর মনে হয় সর্বজনসাধারণের জন্য প্যারাফ্রেজিং এর দরকার আছে। অনেকগুলো নতুন টার্ম। আমি বুঝিনি। আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ছি, একটু কারেক্ট করে দিন তো।

    বোজো কি বলতে চাইলেন যে আসলে এলিমেন্টগুলো সিঙ্গল ফ্রিকোয়েন্সি ছাড়বে এমন কথা নাও থাকতে পারে? ইলেকট্রনগুলো কোন ধাপ থেকে কোন ধাপে লাফায় তার ওপর নির্ভর করে? এবং সেরকম হলে রেড শিফ্‌ট বোঝা ব্যাপারটা ঘেঁটে যেতে পারে ছোট্ট করে? এবং তার উত্তরে ট্যান কি বল্লেন চিন্তার কোন কারণ নেই? এই বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সিতে এনার্জি এত ওয়েল ডিফাইন্ড ভাবে আসে যে বুঝতে কোন অসুবিধে হয় না?

    এ ছাড়াও আমার দুটো নন-টেকনিকাল প্রশ্ন আছে।
    ১) বোজো কি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের লোক? আপনি প্রশ্নগুলো একটু পপুলার ফর্মে করুন না। হার্ডকোর টেকনিকাল টার্ম বর্জন করে, শুধু এসেন্সটুকু রেখে। রিগার হয়তো একটু মার খাবে, তাতে কিছু না।
    ২) মিলি এবং ট্যান আপনাদের তো একই আই পি দেখছি। আপনারা কি দুটো আলাদা টুপিতে একই মানুষ, নাকি দুই যমজ বোন?
  • vikram | 134.226.1.136 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ১৫:২৮563707
  • তনু হচ্ছে না।
    তুমি ধরেই নিলে সকলে রেড শিফট এমনকি ডপলার এফেক্ট জানে। একেবারে বেসিক করে বলো। বাঁ দিকে জাবে ডান দিকে জাবে, বেশি কম, দূরে কাছে এইভাবেব। গরম তারা ঠান্ডা তারা, রঙ এইভাবে।
    বড়ো করে লেখো। কিভাবে কিস্তিগুলো হবে ভালো। তারপরে প্যারা প্যারা লিখে রিভাইস দিয়ে মার্কেটে নাবাও।
    আমি ওয়েট করতে রাজি আছি।

    বিক্রম

  • b | 194.202.143.5 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ১৫:৪০563708
  • আই পি কেস টা, হাইজেনবার্গ আনসার্টেনিটি, প্রসঙ্গান্তরে না গিয়া লিখ্যা জান।
  • bozo | 129.7.152.89 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ১৯:৫১563709
  • তনু আর ওপেনহাইমারের কি ভাশুর আর ভাদ্দর বৌ এর সম্পক্কো? নাম অবধি শোনে না-:)

    দ্রিঘাংচু,
    আমি কোয়ান্টাম কেন কোনো ফিসিক্সের ছাত্রই নই। সব গুগল সার্চ মেরে লিখি। যা হোক আমার প্রশ্ন গুলো আমি সহজ করে বলার চেষ্টা করছি। মামুর কোড যদি পারমিট দেয়।
  • bozo | 129.7.152.89 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ২০:১৮563710
  • বর্ন-ওপেনহাইমার রুল:
    যে কোনো বস্তুর ক্ষেত্রে (starting from ideal Monoatomic gas) এক গাদা কোয়ান্টাম নাম্বার থাকে। যেমন Potential, translationa, electronic, nuclear, rotational, vibrational. এখন এতগুলো কোয়ান্টাম নাম্বার নিয়ে কাজ করা এক সাথে খুব মুশকিল। এরা যদি coupled হয় (পরষ্পরের সাথে যুক্ত) তবে মুশকিল। বর্ন-ওপেনহাইমার রুল হল যদি এই এই সকল কোয়ান্টাম নাম্বারের time scale, (which equivalent to energy scale with a factor Planc's const) যদি আলাদা হয়, তবে এই কোয়ান্টাম নাম্বার গুলো করে আলাদা করে treat করা যাবে। মানে তখন Hamiltonian গুলো sum হবে আর Partition function products হবে। এই খান থেকে spectroscopy শুরু। দেখেছেনদ্রিঘাংচু, আমি দু:খিত। প্রচন্ড জটিল করে Hamiltonian, Partition function সহ Born-openheimer principle লেখার চেষ্টা করলাম। মামুর কোড নিল না। ছোটো করে কিছুতেই লেখা যাচ্ছে না।
    এক কথায় লিখি যদি বিভিন্ন interactions, (as rotational, vibrational, translational etc) এর টাইম স্কেল বা এনার্জি স্কেল আলাদা হয় তবে এদের independently treat করা যায়। তখন Hamiltonian sum and partition function product হয়। এই খান থেকে spectroscopy শুরু হয়।

  • tan | 131.95.121.251 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ২১:১৬563711
  • আমরা বরং উল্টোদিক থেকে এগোই। বুনসেন আর কির্চফের হাতেকলমে কাজ থেকে। আগে চোখে দেখা, পরে অংক। এতে আমাদের বুঝতে সুবিধে হবে।(নইলে ও ব্যাটা বর্ণ আর ওপেন্‌হাইমারে মিলে এমন হাউমাউখাউ করবে যে বারোটা বেজে যাবে আমাদের। প্রথমে এদের কাছে না ঘেঁষাই বুদ্ধির কাজ হবে)
    তো এ গল্পের শুরু হলো সেই আগুনের রঙ ফলানো থেকে। দূরের আলো উৎসের আলো যেতে দেয়া হলো প্রিজমের(বা গ্রেটিং এর) মধ্য দিয়ে।আলোর স্পেকট্রাম পাওয়া গেলো, মানে নানারঙ। বাঁদিকে বেগুনী থেকে ডাইনে লাল পর্যন্ত।বেগুনী নীল আশমানী সবুজ হলুদ কমলা লাল।বাঁদিক মানে কম ওয়েভলেংথ আর ডানদিক বেশী ওয়েভলেংথ।আজকালের হ্যান্ড হেল্ড স্পেকট্রোস্কোপে দেখেছি একেবারে স্কেলকাটা থাকে, ন্যানোমিটার ইউনিটে। কঠিন উৎস হলে বা ঘন গ্যাস হলে পাওয়া যায় কন্টিনুয়াস, রঙের চওড়া চওড়া ব্যন্ডগুলো পাশাপাশি মিশেমিশে থাকে,রামধনুটি ঝলমলে,লাইনফাইন থাকে না।
    হলো কি এই মৌলিক গ্যাসকে খুব পাতলা করে অল্প চাপে টিউবে রেখে উপরে নীচে ইলেকট্রোড জুড়ে স্পার্ক মেরে জ্বালানো হলো। সেই আলোর স্পেক্ট্রাম ফলিয়ে তো লোকে তাজ্জব! সরু সরু লাইন দেখা যায়। বিশেষ বিশেষ ওয়েভ্লেংথে লাইন! লাল লাইন। বেগুনী লাইন!
    কি অদ্ভুত! মনে রাখতে হবে তখনো কিন্তু শক্তির কোয়ান্টাম চরিত্র সম্পর্কে লোকের কোনো ভালো ধারনা ছিলো না।শক্তি যদি অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে, কন্টিনুয়াস তাইলে এমন লাইন হওয়ার কথাই নয়!
    পরে প্লাংক বোর আইনস্টাইন সবাই মিলে লড়ে টড়ে খাড়া করলেন শক্তির বিচ্ছিন্নতার তত্ব।শক্তি বিকিরিত হয় কোয়ান্টামে।অ্যাটমের নানা নির্দিষ্ট এনার্জী স্টেট থাকে, একটা থেকে আরেকটায় যখন যায় তখন সেই পরিমাণ শক্তি বিকিরণ করে। কন্টি যায় না, সাডেন চেঞ্জ হয়।এটাকে এলেকট্রনের কক্ষ থেকে কক্ষে ঝাঁপমারার ছবি দিয়ে বোঝা যায় ভালো যদিও ও ছবিতে লুপহোল আছে।(মানে ঝাঁপ দেয় কোথা দিয়ে? দুইকক্ষের মাঝে তো থাকতে পারেনা এলেকট্রন! তাইলে এক কক্ষে অদৃশ্ত্য হয়ে কি অন্য কক্ষে ভুস করে ওঠে?)
    তবে মোটের উপর বোঝা গেলো শক্তির এই কোয়ান্টা আইডিয়া দিয়ে লাইনগুলো ব্যখা করা যাবে।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ২১:২০563712
  • আমার পক্ষ থেকে ভাটিয়ালী যাওয়া বন্ধ হয়ে গেলো বন্ধুরা।:-((((
    কিন্তু টইয়ে হয়তো আসবো।

  • vikram | 134.226.1.136 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ২১:২৬563713
  • এই লেখাটা ভালো হচ্চে ভালো হয়েচে।

    ভাটিয়ালি না গেলে ফয়সালা হবে কি করে? উই আর অল ওয়েটিং ফর দা মোমেন্ট অফ ট্রুথ। উই পারে গিয়ে বানী দিয়া আসো।

    বিক্রম
  • bozo | 129.7.152.89 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ০১:১৫563715
  • তনুর ভীষন সুন্দর লেখার সাথে আমার দুই আনা:
    আগের মেকানিক্স বা laws of motion ছিল Newtoniam/Classical। সেখানে প্রথম hypothesis (এর বাংলা কি?) হল continum state, নিরবিচ্ছিন্ন। লাইন স্পেক্ট্রা এসে সব গোল বাঁধালো।continuity নেই।
  • bozo | 129.7.152.89 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ০১:১৬563716
  • তখন প্ল্যাঙ্ক বললেন এনার্জি কন্টিনুয়াস না হয়ে ছোটো ছোটো প্যাকেটে আসছে। কিন্তু কোয়ান্টাম খালি এই একটা পাজল সলভ করার জন্য নয়। কোয়ান্টাম এসে যেগুলো বোঝাগেল সেগুলো হল: ডিসক্রিট স্পেক্ট্রাল লাইন, টানেলিং এফেক্ট, ওয়েভ-পার্টিকল ডুয়ালিটি, স্পিন এবং অনিশ্চয়তা। যদিও এখানে আলোচনা হবে মূলত: স্পেকট্রাল লাইন নিয়ে।
    যদি সত্যি সত্যি কেউ জানতে চান তাকে বলছি প্লীজ জর্জ গ্যামোর Thirty years that shook Physics পড়ুন। 10$ মাত্র দাম।

  • dri | 66.81.120.114 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ০৯:৩২563717
  • আজকের পড়াটা তাহলে একটু সামারাইজ করে ফেলি। এনার্জি চান? হয় এক প্যাকেট নিন, নয় বাড়ী যান। হাফ প্যাকেট? হবে না। ওসব নিউটনের জমানায় ছিল।এনার্জির এমন মডেল ধরলে আলোর স্পেক্ট্রামের বিভিন্ন রংএর স্পাইকগুলোকে বাগে আনা যাচ্ছে। বেশ।

    কিন্তু স্পেক্ট্রোস্কোপির এত প্যাঁচঘোঁচের মধ্যে যাব কেন? আমাদের মূল আলোচ্য বিষয়ে স্পেক্ট্রোস্কোপি একটা টুল মাত্র। যার কাজ হল বিশ্বস্তভাবে রেড শিফ্‌ট মাপা। বর্ন ওপেনহাইমার কি এই রেড শিফ্‌ট মাপার কাজে কোন ব্যাগড়া দেয়? না যদি দেয় তাহলে আসুন আমরা মূল আলোচনা (আপাতত কোয়াসার) এ ফিরে যাই। তা না করে এভাবে টপিক থেকে টপিকান্তরে চলতে থাকলে আলোচনায় একটা এপিকসুলভ ব্যাপ্তি এসে যাবে। মহাভারতের মতন। দুর্যোধন থেকে ভীষ্ম থেকে অম্বা অম্বিকা অম্বালিকা থেকে পরশুরাম করতে থাকলে আমরা আসল শো-টাই (কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ) মিস করে যাব।

    ট্যান, আপনার কোয়াসারের আলোচনায় কিছু বাকি ছিল। সেটা শেষ করুন। মনে রাখবেন কোয়াসার কেন বিগ ব্যাং এর এভিডেন্স এই ব্যাপারটা কিন্তু স্ট্রেস করবেন।
  • bozo | 129.7.154.6 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ১৯:৩৬563718
  • আবার নাক গলালাম দ্রি,
    নিউটনের জমানায়, হাফ কেন, এক প্যাকেট-ও হত না। এনার্জি প্যাকেজিং এ সমস্যা ছিল।
    স্পেক্ট্রোস্কোপির কাজ মোটেই রেড শিফট মাপা নয়। রেড শিফট একটা অব্‌সার্ভেশন, যেমন ব্লু শিফট। আমরা তো অ্যাটমের, মলিকুলের বা ক্লাস্টারের লেভেলে গিয়ে সব দেখতে পারি না। তবু সব কিছুর structure, তার পাশে কে কে বসে আছে, এই সব জানতে হবে। এদের জন্য-ই স্পেকট্রোস্কোপি আর স্ক্যাটারিং। এরা না থাকলে কোনো লেভেলে-ই interactions আমরা বুঝতে পারতাম না। আর সেটা না বুঝলে কি করে বুঝব এনার্জি কোথা থেকে এলো? এমনি এমনি পয়দা তো হবে না। মোটকথা এনার্জি বেজন্মা নয়, এর বাপ ও মা আছে।
  • tan | 131.95.121.251 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ১৯:৪৪563719
  • আস্তে আস্তে হতে থাক দ্রিঘান।তাড়া কিসের? খুশী হবে ঈশেন,যত এপিক তত টপিক!!!:-))

    শুধু এই স্পেকট্রাল লাইন না, আরেকটা জিনিসও খুব বিপদে ফেলে দিয়েছিলো লোকেদের। সেটা হলো ফোটো ইলেকট্রিক এফেক্ট।কোনো কোনো মৌলের পাতে আলো বা অন্য কোনো এলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ পড়লে ফটাশ ফটাশ করে ইলেকট্রন ছিটকে ছিটকে বেরোয়। দেখা গেলো একেবারে ইন্সট্যান্টলি বেরোয়,একটুও টাইম ল্যাগ থাকে না।কিন্তু ওয়েভলেংথ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক একটা নির্দিষ্ট ওয়েভলেংথের আলো পড়লেই শুধু ইলেকট্রন বেরোয়,নাহলে বেরোয় না,ঘন্টা ধরে আলো ফেল্লেও বেরোয় না। দেখেশুনে লোকে বিরক্ত।শক্তি কন্টিনিউয়াস হলে এরকম মোটেই হোতো না।
    তো, আইনস্টাইন কল্লেন কি, প্লাংকের কোয়ান্টাম আইডিয়াটাকে নিয়ে ফটাফট এখানে লাগিয়ে দিলেন।ছোটোখাটো কতগুলো ইকোয়েশন E=h*frequency,h হলো প্লাংক ধ্রুবক, এই ধরনের সহজ সহজ সমীকরণ দিয়ে দেখিয়ে দিলেন যে আলো বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন নির্দিষ্ট মানে এলে এইরকম হতে পারবে। এই কাজের জন্য তিনি বেশ কবছর পরে নোবেল পেলেন।

    উল্টোদিক থেকে আবার আরেক গেরো বাঁধিয়ে বসলেন এক এক্সপেরিমেন্টালিস্ট। তিনি ইলেকট্রনের এমন এক ডিফ্রাকশন প্যাটার্ণ পেলেন যে লোকে তাজ্জব! ইলেকট্রনকে এতকাল কণা বলেই বোঝা যাচ্ছিলো, অথচ কিনা শেষে তার এই চিত্র! ডিফ্রাকশন শুধু তরঙ্গের হতে পারে, কণার ক্ষেত্রে হয় না।কনা একই সময়ে একটিমাত্র বিন্দুতেই থাকতে পারে,তাই তার বিন্দুচিত্রই পাবার কথা, কিন্তু তরঙ্গ স্পেসে ছড়িয়ে থাকে, তার ডিফ্রাকশন পাওয়া যায়।যেমন আলোর বা এক্সরের ডিফ্রাকশন হয়। কিন্তু ইলেকট্রনের পাওয়া গেলো,পরে অন্য কোয়ান্টাম পার্টিকলেরও। তখন লুই দ্য ব্রগলী এক হাইপোথিসিস দিলেন, বললেন সমস্ত ভরবেগসম্পন্ন পার্টিকলের মধ্যেই আছে তরঙ্গধর্মীতা, নেহাত বড়ো বড়ো পার্টিকলের ক্ষেত্রে এটা বুঝতে পারা যায় না,কারণ তরঙ্গদৈর্ঘ্য খু-উ-উব কম। তিনি সমীকরনও দিলেন,ওয়েভলেংথ = প্লাংক ধ্রুবক/মোমেন্টাম।
    আস্তে আস্তে নানা পরীক্ষায় ব্যাপারটা দাঁড়িয়ে গেলো। বোঝা গেলো ক্ষুদ্র জগৎটা আমাদের দেখা জগতের মতন নয়, সেখানে কণা ও তরঙ্গ আলাদা করে সুসংজ্ঞিত করা যায় না। ডুয়ালিটি ধারনাটা তখনি এলো। সমস্ত ইলেক্ট্রোম্যাগ্নেটিক ওয়েভ যেমন তরঙ্গ তেমনি কণাও। তেমনি প্রতিটি কোয়ান্টাম পার্টিকল একাধারে কণা ও তরঙ্গ।
    পরে এই ব্যাপারটা হাইজেনবার্গ আর শ্রোডিংগার আরো ভালো করে গণিতের ফ্রেমে বসান।হাইজেনবার্গ আবিষ্কার করেন অনিশ্চয়তা তত্ব। কোনো একটি কোয়ান্টাম পার্টিকলের ভরবেগ যত নিখুঁত জানতে চেষ্টা করা হবে,তত তার অবস্থান সম্পর্কে ধারনা কমবে। যত নিখুঁত মাপতে চেষ্টা করা হবে একটি প্রপার্টি,তার কনজুগেটটি সম্পর্কে ততই কম নিখুঁত হবে মাপ। দুটোর গুনফল হবে একটি নির্দিষ্ট মানের বেশী,সেই মানটি প্লাংক ধ্রুবকের সঙ্গে তুলনীয়।
    আর এই মাপা বা পর্জবেক্ষণ কোয়ান্টামে খুব গুরুত্বপূর্ণ। যতক্ষণ না মাপা হচ্ছে বা কোনোরকম পর্যবক্ষণের দ্বারা বোঝা যাচ্ছে কি তার এনার্জী বা মোমেন্টাম বা পোজিশন, ততক্ষণ পর্যন্ত নাকি সেই সেই অবস্থাগুলো নির্দিষ্ট থাকে না,থাকে অনেকগুলো সম্ভাবনার সমষ্টি হয়ে যাকে কিনা এরা বলেন সুপারপোজিশন অব স্টেটস।
    তো,এই ধারনা জোরের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করা প্রচন্ড চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। আমাদের মাপার বা পর্যবেক্ষণের সীমাবদ্ধতাটাকেই একটা নীতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে ফেলে তার উপরে একটা হার্ডকোর জ্ঞানের ক্ষেত্র তৈরী,রীতিমতো প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু মজা হলো সব পরীক্ষায় সমর্থন পাওয়া যেতে লাগলো। আরো আরো সূক্ষ্ম যন্ত্র আরো আরো সূক্ষ্ম পরীক্ষা, আরো আরো সমর্থন। না মেনে
    কোথায় উপায়? কাজে লেগে যেতে লাগলো যে!
    আইনস্টাইন জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এই অদ্ভুৎ বিজ্ঞানকে মেনে নিতে পারেন নি। তিনি চিরকাল বলেছেন এ সম্পূর্ণ বিজ্ঞান নয়, একটা অসম্পূর্ণ তঙ্কÄ। এটা আরো গভীরতর সত্যের বাইরের ঢাক্‌না শুধু। কিন্তু পরীক্ষায় যদি ক্রমাগত সমর্থন পাওয়া যায় তাহলে কি করা যাবে?
  • vikram | 134.226.1.136 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ২১:১৩563720
  • তনুর এই লেখাটার জন্য একবার মাথার টুপি খুলে বাও কল্লাম। জিও হচ্ছে।

    বিক্রম

  • b | 194.202.143.5 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ২২:০৬563721
  • তনু,

    যাকে বলে এই লাইনেও তোমার হবে। great stuff

    আরো হোক।

  • tan | 131.95.121.251 | ০৮ এপ্রিল ২০০৬ ০০:১৪563722
  • আইনস্টাইন ফোটো ইলেকট্রিক এফেক্টের ব্যাখার জন্য নোবেল পান বটে,কিন্তু তিনি সবচেয়ে বেশী চমকে দিয়েছিলেন রিলেটিভিটি দিয়ে। এখন প্রায় শতখানেক বছর হয়ে গেলো তিনি আবিষ্কার করেন প্রথমে বিশেষ আপেক্ষিকতা পরে সাধারণ আপেক্ষিকতা। এই দুটো আমাদের জানার জগৎটাকে ধরে ঝাঁকিয়ে দিয়েছিলো প্রচন্ড।
    ম্যাক্সোয়েলের ইলেকট্রিসিটি আর ম্যাগনেটিজমকে মিলিয়ে দেয়া চারটে সূত্র জানা যাবার পর থেকেই জানা ছিলো ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভেরা সব কোনো মিডিয়া ছাড়াই ভেক্টর ফিল্ডের ওঠানামার তরঙ্গ হিসাবে স্পেসে ছড়িয়ে পড়ে। আর শূন্যে এদের গতিবেগ সবসময় সমান,সেকেন্ডে তিন লক্ষ কিলোমিটার,আলোর বেগ। সর্বদা এই গতি।
    আইনস্টাইন তরুণ বয়স থেকে এই নিয়ে ভাবতেন। তিনি ভাবতেন যদি তিনি একটা গাড়ীতে চড়ে অন্য গাড়ীর পাশাপাশি চলেন তাহলে নিজের সাপেক্ষে অন্য গাড়ীটার গতি কমতে বা বাড়তে দেখেন। আলোর ক্ষেত্রেও কি তাই দেখবেন? উনি যদি আলোর সঙ্গে তুলনীয় প্রচন্ড গতিতে ছুটতে থাকেন, তাহলে কি হবে? নিজের সাপেক্ষে আলোর বেগ কি অনেক অনেক কম দেখবেন?
    এটা আবার ম্যাক্স-ওয়েলের ধারনার বিরোধী,ই এম ওয়েভের গতিবেগ একই থাকবে বলছে ম্যাকসোয়েলের সূত্র।
    এই পাজল থেকে দুনিয়া উদ্ধার করতে বহুলোকে চেষ্টা করেছেন,তাত্বিকভাবে যারা চেষ্টা করেছেন তাদের মধ্যে লোরেঞ্জ আর ফিটজেরাল্ড প্রথম সারির। লোরেঞ্জ কতগুলো সঠিক ট্রান্সফর্মেশন দিয়েছিলেন, স্পেসের তিনখানা কো-অরডিনেট আর টাইমের একখানা -এই চারটের ট্রান্সফর্মেশন দিয়েছিলেন। সেগুলো পরে আইনস্টাইন ব্যবহার করেন সঠিক ধারনার ফ্রেমের উপরে।
    মাইকেলসন আর মর্লির পরীক্ষাতেও প্রমান হয় আলোর গতি সবরদা একই থাকে,আমরা তার দিকে ছুটে যেতে যেতেও তার বেগ ঐ সেকেন্ডে এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইলই দেখি।বেশী দেখি না।
    এই পাজলকে বিশেষ আপেক্ষিকতা দিয়ে সলভ করেন আইনস্টাইন। তিনি উলটোদিক থেকে আসতে শুরু করেন, ঐ থিওরি শুরুই করেন দুখানা স্বতসিদ্ধ নিয়ে, ১ হলো আলোর বেগ সবসময় সেকেন্ডে তিন লাখ কিমিই থাকবে, কোন রেফারেন্স ফ্রেম থেকে দেখা হচ্ছে তার উপরে কোনোভাবেই নির্ভর করবে না। ২ হলো সমস্ত ত্বরনহীন রেফারেন্স ফ্রেমে ফিজিক্সের সূত্রসমূহ একই থাকবে।
    মাত্র এই দুখানা সরলসহজ ধারনা দিয়ে শুরু হয়ে গড়ে উঠলো দারুণ স্পেশাল রিলেটিভিটিখানা।এই তত্বে ভর করে জানা গেলো সময়ের মাপ অন্যরকম হয়ে যাওয়া, যাকে বলে টাইম ডাইলেশন, গতির সমান্তরালে রাখা দন্ড বেঁটে হয়ে যাওয়া যাকে বলে লেংথ ক¾ট্রাকশন।তাই থেকে সেই জমজ ধাঁধার ব্যাপার এলো, আমার ঘড়ির এক সেকেন্ড যদি আমার মহাকাশযাত্রী যমজ ভায়ের ঘড়ির আধা সেকেন্ড মাত্র হয়,তাহলে আমার যখন চল্লিশ বছর কেটেছে,ওর মাত্র কুড়ি। সে ফিরে এলো আমার ষাট বছর বয়সে, নিজে মাত্র চল্লিশ!!!
    ওদিকে আবার ব্যাপারটা আপেক্ষিক! মানে সেই ভাইও মনে করেছে আমার ঘড়ি আস্তে চলেছে ওর তুলনায়।জবর ধাঁধা!
    পরে স্পেশালের বছর দশেক বাদে জেনারেল রিলেটিভিটি দিয়ে সমাধান করা হলো এর।
  • Arijit | 82.39.109.192 | ০৮ এপ্রিল ২০০৬ ০২:৫৮563723
  • হুঁ - থিওরেটিক্যাল টাইম মেশিনের গপ্পো। বইমেলাতে একটা বই পেয়েছিলুম, চটি বই - রিলেটিভিটির ওপর - ল্যান্ডাউয়ের লেখা - অসাধারণ। ছোট ছোট গপ্পো দিয়ে বোঝানো ছিলো - এই বয়সের গপ্পোটাও ছিলো। আশ্চর্য যে ওটা পড়তে গিয়ে ডেন্টিস্টের কাছে যেতে হয়নি।

    আর এগুলো মনে পড়লেই ওই শালাগুলোর কথা মনে পড়ে যে শালাগুলো আমার সব ভালো ভালো বইগুলো ঝেপে দিয়েছে - এটাও তার মধ্যে একটা:-((
  • tan | 131.95.121.251 | ০৮ এপ্রিল ২০০৬ ০৩:১৩563724
  • মহাবিশ্বের প্রসারন টসারণ নিয়ে বলতে গেলে আমাদের এই বুড়ো আইনস্টাইন আর তাঁর জেনেরাল রিলেটিভিটি লাগবেই।এটাই লার্জ স্কেলে মহাবিশ্ব বর্ণনার সবচেয়ে এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে ভালো থিওরি।যদিও এই থিওরিতে কতগুলো সিঙ্গুলারিটি আছে যেখানে তঙ্কÄটি আর চলে না,তবে সেখানে কোন্‌ সূত্র চলবে এখনো জানা নেই।প্রচন্ড ঘনত্বে বা অত্যন্ত ক্ষুদ্র সাইজে কোয়ান্টাম লাগাতে হবে, সেই তঙ্কেÄর এখনো ক্লাসিকালধর্মী জেনেরাল রিলেটিভিটির সঙ্গে আড়ি।কিভাবে এদের মধ্যে মিলমিশ ঘটানো হবে তা এখনো জানা নেই,তবে খুব লড়ছেন বিজ্ঞানীরা,দিনরাত লড়ছেন।
    আপাতত এইটি মানে এই জাঁদরেল জেনেরাল রেলিটিকে আঁকড়েই আমাদের এগোতে হবে।
    এখন দুকথা সেই কোয়াসার নিয়ে একটু হোক।তারপরে আবার আইন্‌স্‌টাইনে ফিরে আসা হবে।

    কোয়াসারের সবচেয়ে মারাত্মক রহস্য ছিলো এর বিকিরিত শক্তি। সামান্য সৌরজগতের মতন সাইজের জায়গা থেকে কিকরে গোটা গ্যালাক্সির বিকিরিত শক্তির প্রায় সমান শক্তি ছুটে আসছে?
    ভালো কথা,জানা গেলো ককরে ওরা অত ছোটো সাইজের? হয়তো আসলে অনেক বড়ো,দূরের জন্য ছোটো দেখায়? কিন্তু কোনো কোনো কোয়াসারের খুব নিয়ম মেনে ঔজ্জল্লের পরিবর্তন হয়,এরা টিপ্‌টিপ করে, ঔজ্জল্য একবার বাড়ে একবার কমে। তো,এই কমাবাড়ার সময় পর্থক্য হিসাব করে দেখা গেলো এটা ঘন্টার তফাৎ বা বড়ো জোর একদিন দেড়দিন। এই কোয়াসার খুব বড়ো হলে সীমিত গতির আলো এত তাড়াতাড়ি পরিবর্তনের খবর এনে দিতে পারতো না। তাই যুক্তি পাওয়া গেলো এদের সাইজ লাইট আওয়ার বা লাইট ডের চেয়ে বেশী নয়।
    (আমাদের সূর্য থেকে প্লুটোতে আলো পৌঁছতে সময় লাগে সাড়ে পাঁচ ঘন্টার মতন। তাই বলা যায় প্লুটো আছে সূর্য থেকে সাড়ে পাঁচ লাইট আওয়ার দূরে। সৌরজগতের সীমা অবশ্য প্লুটো ছাড়িয়ে আরো বহু দূরে। প্লুটো আছে ঠান্ডা বরফগোলার জগত কুইপার বেল্টে। সেখানে প্লুটোর মতন আরো অনেক বস্তু ভেসে বেড়াচ্ছে।সেই বেল্টাকৃতি জায়গা ছড়িয়ে আরো আরো দূরে চলে গেলে আছে ওর্ট ক্লাউড বলে ধুলো গ্যাসের ফেরিকাল অঞ্চল,সেখান থেকে ধুমকেতুরা আসে। তাও ছড়িয়ে একসময় হেলিওপজ।এখানে এসেই সূর্যের গ্রাভিটির প্রভাব শেষ হয়েছে। এটা লাইটডের বেশী না,মানে আলো একদিনেই এই সাইজ কভার করে যায়। কিন্তু সবচেয়ে কাছের পিতিবেশী তারাটির দূরত্ব সাড়ে চার আলোকবর্ষ। প্রক্সিমা সেনটরিতে সুর্যের আলো সুর্য থেকে রওনা হবার সাড়ে চার বছর পরে গিয়ে পৌঁছয়।)
    সৌরজগতের সাইজের কোনো আলোক উৎসে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কোনো পরিবর্তন হতে থাকলে সেটা যে আলোক দূতেরা নিয়ে যাবে তারা একদিনেই পার হবে এই সাইজ।পরের পরিবর্তিত সারিরা একদিন তফাতে থাকবে তার।এইভাবেই জানা গেলো ও নিশ্চিত হওয়া গেলো কোয়াসারের সাইজ সৌরজগতের সঙ্গে কম্পারেবল। কিন্তু শক্তি? সে মারাত্মক!!!।
    আমাদের গ্যালাক্সি হলো মিল্কি ওয়ে। এতে আছে কয়েক বিলিয়ন নক্ষত্র।সুর্য এর একটি মাঝারি আকারের তারা মাত্র। ছানাপোনা নিয়ে মানে গোটা সৌরজগতখানি আছে গ্যালাক্সির একটি ঘূর্নেবাহুর ভেতরের দিকে অপেক্ষাকৃত শান্ত অঞ্চলে। এই গোটা গ্যালাক্সি যত শক্তি বিকিরণ করে একটি কোয়াসার প্রায় তাই করে।
    কিকরে সম্ভব? অতটুকু জায়গায় কোন্‌ উপায়ে ঐ বিপুল শক্তি উৎপাদিত হচ্ছে? নক্ষত্রে শক্তি উৎপাদিত হয় নিউক্লিয়ার ফিউশনে। হাল্কা মৌলের নিউক্লিয়াস প্রচন্ড তাপে চাপে জুড়ে গিয়ে ভারী মৌলের নিউক্লিয়াস বানায় আর অল্প ভর মুক্ত হয় শক্তি হিসাবে, আইনস্টাইনের E=mc^2 সূত্র মেনে। কিন্তু কোয়াসারের বিপুল শক্তি ওভাবে আসতে পারবে না, ওখানে চলছে অন্য কোনো প্রক্রিয়া!
  • dri | 66.81.197.132 | ০৮ এপ্রিল ২০০৬ ১১:৫৩563726
  • প্রশ্ন।

    এই যে কোয়াসারের সাইজ মাপার ব্যাপারটা বললেন, সেটা একটু খচখচ করছে। ধরুন একটা কোয়াসারের মধ্যে শুধু একটা জিনিষই দপদপ করছে (ব্যাপারটাকে সোজা রাখার জন্য)। এখন সেই দপদপানির ফ্রিকোয়েন্সি যদি এক দিন হয়, তবে আমরা কোয়াসারের দপদপানি এক দিন অন্তর দেখতে পাব। নয়? এর সাথে কোয়াসারের সাইজের কি সম্পর্ক?

    আর একটা প্রশ্ন একটু জিজ্ঞাসা কাটিংএর। একটু আগের আলোচনা নিয়ে। আপনি যে হাবলের সুত্র লিখেছেন, এটা কি একটা ল নাকি ভেলসিটি মাপার ডেফিনিসান? মানে v আর d আলাদা করে মাপার কৌশল আছে এবং দেখা যায় যে এই দুটো এই নিয়ম মেনে চলে। নাকি v টা আলাদা করে মেপে তারপর যাস্ট ফরমুলায় ফেলে d টা বার করে নেয়া হয়? আমার মনে হচ্ছে প্রথমটা, তাও একটু ডাউট হল। আর এই সুত্রের ইমপ্লিকেশান তো খুব একটা ইনটিউটিভ নয়। তার মানে যে যত দূরে আছে সে তত তাড়াতাড়ি পালাচ্ছে? কেন? আর তাই যদি হয় তবে তো আর প্রসারন এর পর সঙ্কোচনের কোন সিন নেই। মানে বাইরের জিনিষগুলোর মধ্যে যদি স্লো ডাউন করার কোন প্রবণতাই না থাকে। মানে যত যত গ্যালাক্সি মাপা হয়েছে, সব এই সুত্র মেনেছে? আমার কিরম বিশ্বাসই হচ্ছে না।

    আর অরিজিৎ, তুমি এই থ্রেড্‌টা পড়ছ, তাই তোমার ঐ থ্রেডের উত্তর এখানে দিলাম। আমি ছিয়াশি-অষ্টাশি, তোমার সিনিয়ার, 'তুমি' বলছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন