এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • siki | 12.50.47.36 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ১১:২১570455
  • নাঃ, খুলেই ফেললাম একটা টই। মাত্র চার সপ্তাহ হয়েছে, লেখার মত বিশেষ কিছুই মেটেরিয়াল জমে নি, তবে শুরু করে দিতে ইচ্ছে হল, কারণ নেই নেই করেও যেটুকু গপ্পোগাছা তৈরি হয়েছে, বেশিদিন থাকলে সেসব ভুলে যেতে শুরু করব।

    তাই শুরু হোক। কেমন?
  • শ্রী সদা | 127.194.193.120 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ১১:৪১570466
  • হোক, হোক।
  • sosen | 126.203.199.111 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ১২:১১570477
  • হচ্ছে কই?
  • শিবাংশু | 127.201.161.228 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ১৩:০৫570488
  • স্বাধীনতা দিবসে শ্রী গণেশ করো...
  • Bhuto | 133.237.140.20 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ১৩:৪৬570499
  • নাহ পিছিয়ে পড়েছি, দুবাই চলে গেলে শেখ সিকি?
  • siki | 12.50.47.36 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ১৫:২২570510
  • তা, সিকি যখন লেখা শুরু করেছে, সে কি আর লিখবে, অতঃপর এক শুভদিনে অ্যারপোর্ট থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম?

    সিকি লেখে তারও আগে থেকে। ভনিতা, গৌরচন্দ্রিকা সব সেরে আসল গল্পে ঢোকে সিকি, ততক্ষণে শ্রোতারা একপ্রস্থ হাই তুলে নেয়।

    ফ্যামিলি ছেড়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য দুবাইয়ে আসার চিন্তাটা আমি ঠিক প্রো-অ্যাক্টিভলি নিই নি, বলা যায়, সুযোগ এসে গেল। এমনিতেও আমার দোকানের গুরগাঁও সেন্টারের অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। ভারতের অন্য কোনো শহরে রিলোকেট হয়ে যাবার জন্য চাপ বাড়ছিল। আর, আপনারা তো জানেনই অন্য কোথাও বদলি হয়ে যাওয়া আমার পক্ষে কতখানি চাপের। ফ্যামিলি ছেড়ে থাকতেই হত, এদিকে সংসার দুভাগ হয়ে গেলে খচ্চা বেড়ে যেত অনেকটাই, মুক্ত অর্থনীতির কল্যাণে ভারতের কোনও শহরই আর এখন তেমন শস্তার বাজার নেই। তাই, দুবাইয়ের অফারটা যখন এল, মন প্রায় সায় দিয়ে ফেললেও একটু কিন্তু কিন্তু করছিলামই। সায় কেন দিল? না, আলাদা যখন থাকতেই হবে কিছুকালের জন্য, আলাদা হয়ে এমন জায়গাতেই যাওয়া উচিত যেখানে গেলে একটু বাড়তি পয়সাকড়ি আসে। ইন্ডিয়ান স্যালারি ভাগ হয়ে গেলে যে চাপটা পড়ে, বিলেতে গিয়ে সবুজ নোটে ইনকাম করলে সেই ভাগের চাপটা আর থাকে না। কিন্তু, তবু, মানে ইয়ে, বে হয়ে ইস্তক কখনও এইভাবে বেশিদিনের জন্য আলাদা থাকি নি তো ... তাই, শেষমেশ কী ভেবে নতুন অফারকে "নেব না" বলে গটমট করে লাদাখ বেড়াতে চলে গেলাম।

    লাদাখে তো আমার মোবাইল কাজই করে নি দু সপ্তাহের জন্য।

    ফিরে এসে দেখি নতুং কম্পানির লোকে খুব হাঁউমাউ করে খুঁজেছে আমাকে এই কদিনে। তো, মাত্র একদিনের কথাবার্তায় ওরা আমার "নেব না"-টাকে "এক্ষুনি নেব"তে রূপান্তরিত করে দিল। পরদিন ছুটির শেষে অফিস জয়েন করেই আমি পাতা ফেলে দিলাম। রিলিজও পেয়ে গেলাম, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই।

    লং টার্মে যাবার জন্য যা যা মনে পড়ল, সব গুছিয়ে রেখে দেওয়া হল, হাতে সময় খুব কম। সিকিনী আর সাঁঝ তো আসবেই পরে, ছুটিছাটায়, তো ঘেঁটে দেখা গেল সাঁঝের পাসপোর্ট এই অক্টোবরে এক্সপায়ার করে যাচ্ছে। অতএব, পাসপোর্ট অফিস যাও রে, গিয়ে দুদিন ঠোক্কর খেয়ে ঘুরে আসো রে ... এচ্চেয়ে আগের ম্যানুয়াল সিস্টেমই অনেক অনেক ভালো ছিল। হাঁইমাই করে যখন গিয়ে পৌঁছলাম, তার থেকে পনেরো মিনিট আগে আমার অ্যাপয়েন্টমেন্টের টাইম পেরিয়ে গেছে। সিকিওরিটি তো ঢুকতে দেবে না, তারপরে আমার গলায় আইকার্ড দেখে, "ও আপনি এইখানে কাজ করেন" বলেই আমাদের ঢুকিয়ে দিল। আমার নতুং দোকানই এখন অনলাইন পাসপোর্ট পরী-সেবা দেখাশুনো করে কিনা!... এদিকে এই অনলাইন ফর্ম সাবমিশন করে কী গ্যাঁড়াকল যে করেছে রে ভাই। চারখানা লাইনে দাঁড়াতে হয়, সকাল এগারোটা থেকে শুরু করে সন্ধ্যে সাতটায় ছাড়া পেলাম যখন, তখন আরেক সিকিওরিটি মাসিমা আমাদের গেট আটকে দেঁতো হেসে আমাকে দিয়ে একটা ফীডব্যাক ফর্ম ভরতে কইল। নতুন পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন প্রসেস আমনার কতটা মধুময় লেগেছে, সেটা না জানিয়ে গেলে যেতে নাহি দিব। ইংরিজিতে খানিক গালিগালাজ লিখে দেবার পরে ছাড়া পেলাম।

    তো, প্রচুর হ্যাপাকেত্তন করে টরে আমার যাবার দিন এগিয়ে এল। সিকিনী আর সাঁঝ কেমন ফীল করছিল সেকথা এখানে আর লিখলাম না।

    শেষদিন পর্যন্ত যাবার আগে বউয়ের সাথে হাত ধরে চাট্টি সুখদুঃখের কথা কইতে পারি নি। যেদিন আমার ফ্লাইট বিকেল চাট্টেয়, সেদিন সকাল থেকে গ্রেটার কৈলাসে খালিপেটে মেডিক্যাল ফিটনেস সাট্টিফিটির জন্য হাঁ করে বসে রইলাম। দুবার রক্ত নিল, একবার আরও কী কী সব বাজে জিনিস নিল, এই করে টরে শেষে সোয়া এগারোটায় যখন ফাইনালি ছুটি পেলাম, বাড়ি গিয়ে স্রেফ চাট্টি ভাত খাবার সময় ছিল।

    আমার মোবাইলটা প্রচুর দিন ধরেই খুব ঝামেলা করছে। একটু ঠাণ্ডা পেলেই স্ক্রিনটা কেমন হ্যাং করে যায়। মানে কাজকর্ম সবই চলে, কিন্তু স্ক্রিনে কিছু দেখা যায় না, বদলে কিছু হিজিবিজি লাইন আসে। ডিসপ্লে আনতে গেলে তাকে বাইরে রোদে নিয়ে গিয়ে মিনিট পাঁচেক সেঁকে আনতে হয়, কিংবা হিটারের সামনে খানিকক্ষণ ধরতে হয়। নোকিয়ার সকানে দু দুবার দেখাতে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু কোনোবারেই দেখাতে পারি নি, কারণ পকেটে করে যখনই নিয়ে যেতাম, পকেটের গরমে ডিসপ্লে-টা ঠিক হয়ে যেত। নোকিয়া সেন্টারে এমন কিছু স্ট্রং এসি চলে না যে সেখানে গিয়ে আবার স্ক্রিনকে বিগড়ে দিতে পারব।

    তো, এই সেমি বিগড়নো মোবাইল নিয়েই চলে যাচ্ছিল। ভাবলাম, দুবাই গিয়ে পয়সা জমলে একটা ভালো মোবাইল না হয় কিনে নেব। আসলে নোকিয়ার জিপিএসটা বড় কাজের। তাই ফোনটা ফেলে দিতেও মন চায় না,। কত জায়গায় রাস্তা খুঁজে দিতে সাহায্য করেছে আমায়।

    যাই হোক, মোবাইলের গল্প থাক। দিল্লি অ্যারপোর্টে গিয়ে টিকিস কেটে বোর্ডিং পাস নিয়ে ইমিগ্রেশন পেরিয়ে সুন্দর প্লেনে চড়ে বসলাম। এমিরেটস।

    কিন্তু ইকী? চারপাশের সব্বার সীটের ভিডিও স্ক্রিন কাজ করছে, আমার কেন করছে না? সব চ্যানেল ঝিরিঝিরি কেন আসছে? সব্বাই কেমন মন দিয়ে ডার্টি পিকচার দেখছে, গান শুনছে, আমি না পারছি শুনতে না পারছি দেখতে।

    ঘন্টি বাজালাম। কেউ এল না, আনেকক্ষণ অপেক্ষা করে দেখলাম কেউ রিমোটলি আমার ঘন্টির আলোটাকে নিভিয়ে দিয়েছে। আবার টিপলাম। আবারও কেউ এল না।

    খাবার দিতে এল। তাদের বললাম, কেউ কি আমায় হেল্প করতে পারে? এক স্বর্ণকেশী তো উত্তরই দিলেন না (অথচ আমি সেদিন শেভ করে উঠেছিলাম), এক ছেলে বলল, আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি।

    ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেল, চারবার ছেড়ে ছবার ঘন্টি বাজানো হয়ে গেল, দুবার খাবার দেওয়া হয়ে গেল, কেউ এল না আমার ভিডিও সারাতে, ক্কেউ না।

    হেব্বি রাগ হল। কী আর করা, হাতে একটা বই ছিল, খুলে পড়তে বসলাম।

    সাড়ে তিনঘন্টার মধ্যে দুবাই এসে গেল। নামবার সময়ে দেঁতো হাসিসমেত থ্যাঙ্ক ইউ শোনা মাত্র ছ্যাড়ছেড়িয়ে দুটো কথা শুনিয়ে দিলাম এয়ার হোস্টেসকে। হস্টেস দিদিমণি মুখে খুব ব্যাদনা ফুটিয়ে বললেন, আই অ্যাপোলোজাইজ, এক্সট্রিমলি সরি ফর ইয়োর ডিসকম্ফোর্ট, আমি মনে মনে বললাম, তাতে আমার ঘন্টা, শালা। ... আসলে ওই সীটের ভিডিওটা বোধ হয় খারাপই ছিল, ওরাও জানত, তাই শুরু থেকেই ইগনোর করছিল আমার কল।

    নামলাম দুবাই এয়ারপোর্টে। যেমন হয় আর কী, ঝাঁচকচকে আর পাঁচটা এয়ারপোর্টের মতই। তেমন আহামরি কিছু না। প্লেন থেকেই প্রচুর বোরখা আর সাদা আলখাল্লা মাথায় গামছা আমার সঙ্গেএ হয়েছিল, এয়ারপোর্টে দেখলাম বেদুইনদের ছড়াছড়ি।

    আমি যে কাউন্টারে গেলাম ইমিগ্রেশনের জন্য, সেখানে পাথর মুখে বসে ছিলেন এক কৃষ্ণাঙ্গী আরবিনী। পাসপোর্ট দেখালাম, ভিসা দেখালাম। "হোয়্যার দু ইউ ওয়ান্ত তু গো?"

    বললাম, হোটেলে যাব, আমাকে পিক আপ করতে লোক আসবে।

    "হোয়াত ইজ দা কনত্যাক্ত নাম্বার?"

    "ইন্ডিয়ার নাম্বার? না দুবাইয়ের নাম্বার?"

    "নো, আই ওয়ান্ত দুবাই নাম্বার। গিভ মি আ নাম্বার অফ সামওয়ান হুম ইউ ওয়ান্ত তু মীত ইন দুবাই, অর গিভ মী দা হোতেল নাম্বার।"

    নাম্বার তো সেভ করা রয়েছে মোবাইলে। পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখি সর্বনাশ। স্ক্রিনে কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না আবার! প্লেনে চড়া এসি ছিল, এয়ারপোর্টেও চড়া এসি চলছে। এখান থেকে বাইরে রোদে যাবারও উপায় নেই, সন্ধ্যে ছটা বাজছে, এখন আমি মোবাইল কী করে ঠিক করি? শেষে তীরে এসে তরী ডুবল?

    আরবিনী খুব কুটিল চোখে আমাকে দেখে এলোপাথাড়ি ঝাড়ল, "হাউ কুদ ইউ কাম তু দুবাই উইদাউত হ্যাভিং এনি কনত্যাক্ত নাম্বার?" আমি অসহায়ভাবে আমার মোবাইলের স্ক্রিনটা দেখালাম, দেখুন, এই অবস্থা, গরম না পেলে স্ক্রিন অন করতে পারব না, সমস্ত ডিটেল আমার মোবাইলে, বিশ্বেস করুন, বাইরে লোক দাঁড়িয়ে আছে আমাকে নিয়ে যাবে বলে।

    বিশ্বাস করবার জন্যে কি আর কেউ ইমিগ্রেশন কাউন্টারে বসে থাকে রে ফাগোল? আরবিনী খর চোখে আমাকে দেখে বললেন, আনতিল এনি কনত্যাক্ত নাম্বার আই ক্যানত লেত ইউ গো। ইউ সিত দেয়ার, (দূরে বসার জায়গা দেখিয়ে), হোয়েন ইউ উইল গেত কনত্যাক্ত নাম্বার, কাম আগেইন ইন দা কাউন্তার।

    খাইসে রে! পুরো হাতে হারিকেন কেস। মোবাইলে সিম নেই, কাউকে কল করব তারও উপায় নেই। দুবার সুইচ অন অফ করলাম। স্ক্রিন সেই একই রকম। হিজিবিজি লাইনে ভরা। ডিসপ্লে নেই। এই এয়ারপোর্টে গরম হাওয়া কোথায় পাবো স্ক্রিনকে উজ্জীবিত করার জন্যে?

    মরিয়া হয়ে চেয়ারের ওপর মোবাইল রেখে তার ওপরে চেপে বসে পড়লাম। টানা দশ মিনিট পরে পশ্চাদ্দেশের নিচ থেকে মোবাইল বের করে যখন সুইচ অন করলাম, বিঙ্গো! ডিসপ্লে এসে গেছে। কী মুর্গি কী মুর্গি! ঝটপট কাগজ পেন বের করে দুবাইয়ের কনট্যাক্ট নাম্বারগুলো সব লিখে নিলাম। তারপরে বীরদর্পে আবার হাঁটা লাগালাম ইমিগ্রেশনের দিকে।

    এবার অন্য কাউন্টার। এক বেদুইন আরব বসে ছিল। সাদা গামছা, সাদা আলখাল্লা, কুটিল চোখ। হাতে শুধু একটা তলোয়ার বাবাজপাখি থাকলেই জমে যেত আর কি। ... কিন্তু এই শেখ সোজাসাপটা লোক। কোথায় থাকবেন দুবাইতে? প্রশ্নের উত্তরে হোটেলের নাম বলতেই ছেড়ে দিলেন স্ট্যাম্প মেরে। এত লেবার দিয়ে টোকা ফোন নাম্বার কোনো কাজেই এল না।

    বাইরে বেরোলাম। অ্যাজ এক্সপেক্টেড, একজন মাঝবয়েসী লোক দাঁড়িয়ে ছিলেন আমার নাম লেখা বোর্ড হাতে নিয়ে। ঝটপট গাড়িতে লাগেজ তুলতেই উনি গাড়ি স্টার্ট দিলেন। আমি বিস্ফারিত চোখে দেখলাম, এক ধাক্কায় স্পিডোমিটারের কাঁটা একশোতে টাচ করে গেল।

    গাঁগাঁ করে হাইস্পিডে গাড়ি বেরিয়ে এল মেন রাস্তায়। আমি ভেতরে কাঁটা হয়ে বসে রইলাম। ড্রাইভারবাবু এফ এম চালিয়ে দিলেন। হিন্দি গান শুরু হল, ক্যায়সি পহেলী হ্যায় ইয়ে, ক্যায়সি পহেলী জিন্দগানী ...

    দুবাই ল্যান্ড করলাম।
  • PM | 91.136.155.131 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ১৬:৪২570521
  • সিকি , দুবাই-এ কোথায় থাকেন? আমি থাকতাম বারদুবাইতে বুর্জুমান মলের পাশে এক্টা চমৎকার হোটেল অ্যাপ্ট-এ। একবছর ছিলাম। দুবাই দারুন লেগেছিলো আমার। হোটেল-এর পাশেই ছিলো সিরাজ-এর রেস্টুর‌্যন্ট। তার উল্টো দিকে ট্যংরার চাইনিজ রেস্টুর‌্যন্ট। বাড়ীতেও মধ্যে মাজে রান্না করতাম। ঘার পরিস্কার , বাসন মাজার ঝামেলা ছিলো না , হোটেল এর লোকেরাই করে দিত। আর কেনা আর কাটার তো স্বর্গ দুবাই।

    হায় ..... সে সব দিন আর নেই।
    এখন স্বর্গ হোতে নিউক্যাসেল-এর পাশে এক বিলিতি গন্ডগ্রামে পতন। রাঁধা, বাড়ি পরিস্কার ( ৮ টা ঘর), লন এর ঘাস কাটা, কাপাড় কাচা। জীবন ওস্ঠাগত। বেঁচে আর সুখ নেই।
  • Ishan | 202.43.65.245 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ১৬:৪৫570532
  • অ্যাঁ? দুবাইতেও ট্যাংরা?
  • siki | 96.98.43.85 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ১৬:৫০570543
  • হায় হায় পিএম, বলেন কী? আরে আমিও যে ঠিক সেইখনেই থাকি! তবে অ্যাপ্টে নয়, আপ্নি যে সিরাজ রেস্টুরেন্টের কথা বললেন, তার ঠিক উল্টোদিকে, সেই যে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, সেটা যে হোটেলের একতলায়, আমি সেই হোটেলেরই দোতলার রুমে আছি। হোটেলের নাম ইম্পিরিয়াল স্যুটস।

    বরদুবাই। বুর্জোমান মল তো অ্যাপ্ট ছাড়িয়ে ওদিকে, মেট্রো স্টেশনের পাশে।
  • PM | 91.136.155.131 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ১৬:৫৫570456
  • হ্যা , ইশান। নাম-ও Calcutta Dragon। আস পাশের রেস্তোরা গুলোর থেকে বেশ দামীও। সীরাজ-ও ওখানে বেশ পশ রেস্তোরা । সব কোলকাতার লোক সেখানেও। দিব্বি বাংলায় খাবার অর্ডার দিতে পারবেন
  • sosen | 126.203.197.120 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ১৭:৪৪570457
  • আমি দুক্কুরবেলা ঘুমলুম আর সিকি দর্দ-এ -দুবাই শুরু কল্লো।
    আশা কচ্চি সকাল বিকেল ঘুম থেকে উঠে এম্নি এক দফা করে পাব।
  • nina | 22.149.39.84 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ১৮:২১570458
  • হা হা হা হা সিকি--মনটা একেবারে ফুরফুরে হয়ে গেল-----মোবাইলের গপ্পতে---কি জিনিসস--সিকির মোবাইল না সিকির পশ্চাত্দ্দেশ---
    ;-))))))
  • siki | 96.98.43.85 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ২০:৫৩570459
  • siki likes this :-)
  • hu | 22.34.246.72 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ২১:০৯570460
  • কিন্তু সিকি আট ঘন্টা ধরে পাসপোর্ট অফিসে কিসের ফর্ম ভরলো? আমি তো এই কদিন আগে করালাম। আধঘন্টার মধ্যে সব কাজ শেষ। পাসপোর্ট হাতে এসে গেল চারদিনের মাথায়। হেবি ইমপ্রেসড।

    লেখাটা চমৎকার হচ্ছে।
  • de | 130.62.162.198 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ২১:১৩570461
  • শেখ সিকির দুবাই-দর্শন -- ক্যাবাত!!
  • siki | 96.98.43.85 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ২১:৩৩570462
  • ফর্ম তো ভরতে হয় না হু! সব তো অনলাইন ভরেই নিয়ে গেছিলাম! কেবল তৎকালের লাইন। উরেবাবা। এগারোটায় লাইনে দাঁড়ালাম প্রথম কাউন্টারে, সে দেখি প্রতিটা লোকের প্রতিটা ডকুমেন্ট খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চেক করছে, আর রিজেক্ট করে দিচ্ছে। আমার আগে তেরোটা লোক ছিল, পার পার্সন তেরো মিনিট করে সময় নিচ্ছিল। এইবার হিসেব করে নাও।

    তারপরে আরেকটা কাউন্টারে গিয়ে সাথে সাথে ফোটো তোলা টাকা দেওয়া তো হল, তরপরে আবার একটা ভেরিফিকেশন কাউন্টার, সেখানে হাঁ করে বসে আছি তো বসেই আছি। ঝাড়া দুঘন্টা পরে আমাদের টোকেন নম্বর এল। সেখানে আবার একপ্রস্থ সব ডকুমেন্ট দেখাতে হল। তিনি আবার সমস্ত সময় নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন। সেখান থেকে ছাড়া পাবার পর আবার আরেকটা কাউন্টার, কী নাকি অনুমোদন কক্ষ, মানে গ্র্যান্টিং কাউন্টার। সেইখানে আবার কিছুমিছু ডকুমেন্ট দেখাতে হল, তবে ফাইনাল স্ট্যাম্প পড়ল, আর তখন দেখি ঘড়িতে সাতটা বাজে।

    এর চেয়ে আগে ম্যানুয়ালে জাস্ট একটা কাউন্টারে গিয়ে সব জমা করতে হত, সেখানেই দেখে টেখে ওয়েট করতে বলত, খানিক পরেই পিআরও-র ঘর থেকে ডাক আসত, সেইখানে গিয়ে সইসাবুদ করে কাজ শেষ হয়ে যেত। আগে গাজিয়বাদের পাসপোর্ট আপিসে ছিলও উনিশ কুড়িখানা কাউন্টার। ভিR হত না। এখন তো সব পাসপোর্ট সেভা কেন্দ্র। বাড়ির সামনে এসে গেছে, কিন্তু সঙ্গে দিল্লি সার্কেলকেও জুড়ে নিয়েছে। মানে ওদিকে মীরাট নয়ডা বুলন্দশহর বেরিলি আর কোথায় কোথায় জেন, এদিকে দিল্লি, অন্ততপএ পূর্ব দিল্লি। পুরো চাপ একটা সেভা কেন্দ্রে, আর তৎকালের জন্য মাত্র দুট কাউন্টার। পাগলের মত ভিR।

    কলকাতাতেও তো শুনেছি ব্র্যাবোর্ন রোডের পাসপোর্ট আপিস বন্ধ করে দিয়েছে। এখন নাকি রুবি পার্কে যেতে হয়? আমি আবার রুবি পার্ক কোথায় তাইই জানি না। কেবল নাম শুনেছি।
  • siki | 96.98.43.85 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ২১:৩৪570463
  • ভিR == ভিড়।
  • hu | 22.34.246.72 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ২১:৩৮570464
  • এই জন্যই আমার পরামর্শ বিদেশে এসে সেখান থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করাও। আজ পর্যন্ত যতবার শিকাগোর এম্ব্যাসিতে গেছি প্রতিবার ইমপ্রেসড।
  • siki | 96.98.43.85 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ২১:৫৩570465
  • হে হে। আসলে পাসপোর্টটা মেয়ের। আর ওরা আসতে আসতে ফেব্রুয়ারির শেষ। তাই ...
  • a | 209.16.140.30 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ২২:০১570467
  • জিও গুরু। চালাও পান্সী। বাড়ি ঘর নেবে না? হোটেলেই থাকবে নাকি দেড় বছর?
  • siki | 96.98.43.85 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ২২:৪০570468
  • পুরো টেনিওর জুড়ে হোটেলেই থাকব।

    সান্নু কী? পয়সা তো দেবে কোংপানি।
  • nina | 22.149.39.84 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ২৩:০২570469
  • সান্নু??? মানে কি?
  • siki | 96.98.43.85 | ১৫ আগস্ট ২০১২ ২৩:৩৪570470
  • পঞ্জাবী ভাষায় হু কেয়ার্স, মানে "আমার তাতে কী?" একে বলে সান্নু কী। বাংলা আর পঞ্জাবী, দুই ভাষাতেই হোয়াট মানে কী, এটা জানো তো?
  • nina | 22.149.39.84 | ১৬ আগস্ট ২০১২ ০০:০১570471
  • অ! কি ফর্ক পয়ন্দ্যা হ্যায় টা খুব শুনি---কিন্নি সোণি কুR্হি--সান্নুটা খেয়াল করিনি তো---শেখার কি শেষ আছে
  • siki | 96.98.43.85 | ১৬ আগস্ট ২০১২ ০০:৩১570472
  • সান্নু মানে আমার, অস্‌সি মানে আমি / আমরা, সোণি মানে সুন্দরী।

    সান্নু বোধ হয় কোনও গানে ইউজ হয় নি। ওটা দিল্লিতে থেকে শিখেছি, পঞ্জাবীদের হু কেয়ার্স অ্যাটিট্যুডটাকে দিল্লিওয়ালারা টার্ম দিয়েছে, সান্নু কী অ্যাটিটিউড।
  • nina | 22.149.39.84 | ১৬ আগস্ট ২০১২ ০০:৪৭570473
  • ঠিক ঠিক---তেউনু মানে তোমার। আসলে ননদরা এবং তাদের ঘরওয়ালে ইনজিরিটাই বেশি বলে--তবু এখন বুহতে পারি ওদের ভাষাও--একজন বাটরা একজন মেহরা আর পরে জেনেরেশন সব ই ঐ সব কিন্তু তারা তো ইন্জিরি বলে
  • মিলা | 134.155.204.47 | ১৬ আগস্ট ২০১২ ০৮:১৩570474
  • আমি প্রতিবার এইরকম কন্টাক্ট নাম্বার চাইলে দোকানের number (যেটা স্পন্সর লেটার এ লেখা থাকে সাধারণত ) সেইটা দিয়ে দিই :P
  • ঐশিক | 213.200.33.67 | ১৬ আগস্ট ২০১২ ১১:২৮570475
  • শমীকদা দর্দ-এ-দুবাই জমে ক্ষীর, চলুক।
  • siki | 12.50.47.36 | ১৬ আগস্ট ২০১২ ১৩:৪৫570476
  • আবার আজ রাতে।

    ঈদের চাঁদ কাল দেখা গেলে একদিন ছুটি কমে যাবে। পরশু দেখা গেলে উইকেন্ডের সাথে আরো দুদিন ছুটি পাব।
  • PM | 91.136.155.131 | ১৬ আগস্ট ২০১২ ১৪:১৯570478
  • পুরো রমজান ( রমাদান) মাস টা ওখানে আমাদের ১২।৩০ -এ ছুটি হয়ে যেতো। আহা কি সুখের দিন ছিলো সেসব ঃ(
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন