এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • de | 130.62.171.241 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ১৮:৩৭570512
  • ক্ষী সাংঘাতিক!! সভ্য দুনিয়ার একটা দেশে এরকম অসভ্য নিয়ম-কানুন -- জাস্ট ভাবা যায় না!

    সিকি, এই পুরো ডেস্ক্রিপশনটা ইউ এন এ লিখে পাঠানো যায় না?
  • cm | 127.202.90.209 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ১৮:৫৩570513
  • প্রথমবার হিথরো গেছিলাম ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে জামা খুলে এক্স-রে হয়েছিল। তারপর থেকে গেছি বাংলাদেশ বিমানে নো ঝামেলা।
  • Bhagidaar | 218.107.178.181 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ২০:৪৩570514
  • সেটা কদ্দিন আগের কথা cm ? কারণ আমি গেছি স্টার্টিং ২০০৪, সেরকম কিছু হয়নি।
  • cm | 116.200.167.48 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ২০:৫৬570515
  • সে প্রাগৈতিহাসিক যুগের কথা। গত শতাব্দীর কাহিনী।
  • sosen | 218.107.178.181 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ২১:০০570516
  • সিকিকে যে চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তার আভাস একদা ওর কাছে পেয়েছিলাম, আর খুব খারাপ লেগেছিল। শুধু তাই নয়, জীবন যে কতটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে তার কথা ভেবে অবাক হয়েছিলাম। আজ ওকে লিখে হালকা হতে দেখে ভালো লাগছে।
  • siki | 127.192.23.226 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ২১:১২570517
  • :) ইউ এনকে লিখে কী হবে? এটা দেশের আভ্যন্তরীন নিয়ম। ইউ এ ই, সৌদি আরব সমেত মধ্য প্রাচ্যের সমস্ত মুসলিম দেশগুলোতেই এই নিয়ম। অবৈজ্ঞানিক, কিন্তু শরিয়ত তো ঠিক বিজ্ঞান মেনে হয় না। যে দেশে টাকা রোজগার করলে এক পয়সা ট্যাক্স দিতে হয় না, সে সব দেশের এই রকমের কিছু প্যাংরা থাকে, ও নিয়ে কেউ কিছু বলে না, কেবল যারা ধাক্কা খায়, তারা ইসলাম বা শরিয়তের মা বাপ তুলে খিস্তি মারে।

    তা আমি খিস্তি টিস্তি কিছু মারি নি, অন্তত দুবাই শহরের ভেতরে যে লিবারাল মনোভাব আমি দেখেছি, সেটা আমাদের এই ডানদিকের বাংলাদেশে দেখা যায় না। দুবাইয়ে সমস্ত জব পারমিটের অ্যাপ্লিকেশনে রিলিজিয়ন লেখা মাস্ট এবং আমি সেখানে সর্বত্র অ্যাথেইস্ট লিখেছি। বাংলাদেশ হলে হয় তো জেল হত বা খুন হয়ে যেতাম, কিন্তু দুবাইয়ে ওসব কেউ পড়েও দ্যাখে না।

    অ্যাথেইস্ট হবার কারণে আমাকে কেউ সিঙ্গল আউট করে নি, কারণ চোখের সামনেই অনেক রিলিজিয়াস মুসলিম হিন্দু এবং ক্রিশ্চানকেও একই রকম বা অন্য রকম কারণে পারমিট ডিনায়েড হতে দেখেছি। ওটা কোনও কারণ ছিল না সে বিষয়ে আমি ২০০ পার্সেন্ট নিশ্চিত।
  • সায়ন | 59.249.138.58 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ২১:২১570518
  • সিকি এগুলো মন খুলে লিখে ভালো করলি।

    দুবই'এর হাজার গ্লোরিফিকেশন (রিয়্যাল অর আদারওয়াইজ) সত্ত্বেও যতটা ড্র-ব্যাক রয়ে গেছে সেগুলোর কারণ খুব অবভিয়াস। এর এগেইনস্টে কোনও ওয়ার্ল্ড বডি কিস্যু করতে পারবে না। তোর এই লেখাটা পড়ে এখুনি গুগল করতে বসেছিলাম। খুব অল্প দেখে মনে হল ইউকে'র ওয়ার্ক পারমিটেও টিবি জাতীয় কিছু ক্লজ রয়েছে।

    আর, এটা রিসেন্ট খবর -
    http://gulfnews.com/news/gulf/uae/visa/long-term-dubai-resident-facing-deportation-for-tuberculosis-scars-1.1211427
  • Bhagidaar | 218.107.178.181 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ২১:৩৭570519
  • সমস্যার কথা এই যে টিবি না হলেও নিমোনিয়া, ব্রন্কায়টিস এই জাতীয় কিছু হলেও যে স্কার টিসু হয় লাংসে তাতেও একই নিয়ম।
  • siki | 127.192.23.226 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ২১:৪৭570520
  • হ্যাঁ, একই নিয়ম। সেক্টরওয়াইজ আলাদা নিয়মও হয়। আলাদা মানে বাড়তি নিয়ম।

    একটি ছেলে, এমিরেটসের খাবার বানানোর প্ল্যান্টে কাজ করতে এসেছিল। ফুড প্রসেসিং। তাকে রিজেক্ট করল কারণ তার এক কালে জন্ডিস হয়েছিল। এটা ফুড প্রসেসিংয়ের জন্য বাড়তি ক্লজ, আইটি-র জন্য নেই।
  • cm | 233.236.25.203 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ২১:৫৮570522
  • আমার গপ্পের ক্যাচটা খুলে বলি সেকালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ নামত টার্মিনাল ওয়ান বাকি প্রথম বিশ্বের লোকজনের সাথে তাই বাবুরা দেখত ব্যাটা কালা আদমির টিবি আছে নাকি। আর বিমান টার্মিনাল থ্রী সব কালাদের আড্ডা। সেখানে মনে হয় হতাশ হয়ে সাহেবরা এক্সরে করত না। আর এ জিনিস জানার পরে আর কে ফুটো কেতের জন্য ব্রিটিশএয়ার ওয়েজে চাপে।
  • siki | 127.192.23.226 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ২২:৪০570523
  • সমস্যাটা হচ্ছে টিবি ব্যাপারটা কালা আদমির কোনও একচেটিয়া ব্যাপার না। উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থার মাধ্যমে টিবি মর্টালিটি রেট যেখানে কমতে কমতে প্রায় শূন্যের কাছাকাছি এসে ঠেকেছে, সেখানে টিবি পেশেন্টের সংখ্যা কিন্তু সারা ইউরোপ জুড়েই বড়ছে, বছরের পর বছর।

    ভারতীয় উপমহাদেশে টিবি মর্টালিটি রেট খুব বেশি, কারণ দেশের সর্বত্র উপযুক্ত চিকিৎসাব্যবস্থার অভাব। এর বেশি কিছু না। বাকি টিবি সংক্রান্ত থ্রেটটা সারা বিশ্বেই এক রকমের। ঐ চেকটা সবাই করে, অ্যাকটিভ ইনফেকশন আছে কি নেই।

    ইউ এস ল অনুযায়ী, তোমার টিবি-র হিস্ট্রি থাকলে তুমি গ্রীন কার্ড না-ও পেতে পারো, মানে না পাবার চান্সই বেশি। শুধু ইসলাম বা শরিয়তের ওপর দোষ দিয়ে তো লাভ নেই।
  • sch | 126.203.177.60 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ২২:৪৯570524
  • খুব কম মানুষই নিজের সমস্যার বা দুঃসময়ের কথা খোলাখুলি জানাতে পারে। যেভাবে হঠাৎ করে শমীককে চলে আসতে হয়েছে - এটা নিঃসন্দেহে একজনের পক্ষে বিগ ব্লো - কিন্তু যেভাবে শমীক গোটা লেখাটা লিখেছে তাতে শমীকের ওপর শ্রদ্ধা বেড়ে গেল অনেক গুণ - টুপি ওড়ালাম
  • cm | 233.234.186.58 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ২২:৫৬570525
  • সেই, দুনিয়ায় কি আর নিরেটের অভাব।
  • siki | 127.192.23.226 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ২২:৫৮570526
  • দিল্লি ফিরে প্রথম গেলাম আমার ডাক্তারের কাছে। অন্য সুতোয় এক সময়ে লিখেছিলাম তাঁর কথা। খুব মাইডিয়ার লোক, দোস্ত-দোস্ত করে কথা বলেন। সব খুলে বললাম। উনি আবার চেক করলেন আমাকে এবং জানালেন, চিন্তার কোনও কারণই নেই, আমিও জানি, মিডল ইস্টে এই রকমেরই নিয়ম, তুমি কমপ্লিটলি সুস্থ।

    কিছুই দেখা হল না দুবাইয়ের, অসমাপ্ত রেখেই এক সপ্তাহের মাথায় চললাম নরেন্দ্র মোদীর দেশে। বেসিকালি, ভেজ ইত্যাদির থেকেও আমার অনিচ্ছের কারণ ছিল এইটা। আমেদাবাদ, যেখানে ধর্মের নামে মানুষ মানুষকে নৃশংসভাবে মেরেছে এই মাত্র এক দশক আগে, সেখানে যাবার কথা ভাবতেই আমার কেমন গা গুলিয়ে উঠছিল। প্রাণপণে নিজেকে বোঝাচ্ছিলাম, মুখ বন্ধ করে থাকো, কাজের বাইরে কোনো তর্কে নাক না গলালেই তো হল।

    আমেদাবাদ নয়, গুজরাতের নতুন রাজধানী হল এখন গান্ধীনগর। আমেদাবাদ এয়ারপোর্ট থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে, মূলত জঙ্গলে ছাওয়া একটা এলাকা, ভালো করে লোকবসতি শুরু হয় নি, ভালো ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম নেই, সন্ধ্যের পরে সব রাস্তায় আলো জ্বলে না, ভালো কোনও শপিং মল নেই, এই রকম একটা এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে একটা হাউজিং এলাকা, তার মধ্যে আমাদের কোম্পানির গেস্টহাউস, আর রাস্তার অন্যপ্রান্তে কোম্পানির নতুন ঝাঁ চকচকে গান্ধীনগর অফিস। এখনও কাজ চলছে। শুনলাম অক্টোবরে দশেরার শেষেই নাকি নরেন্দ্র মোদী আসবেন উদ্বোধন করতে।

    হাউসিং এলাকার মধ্যেই একটা মার্কেট এলাকা, লাইন দিয়ে অনেক অনেক খাবার জায়গা। খুব ফিটফাট গ্ল্যামারাস যে রেস্টুরেন্টগুলো, সেগুলো সব ভেজ। দুটি বা তিনটি নন ভেজ রেস্টুরেন্ট ছিল, সেগুলো একটু শ্যাবি লুকিং। আশেপাশে জনবসতির চিহ্নমাত্র নেই, জঙ্গল আর জঙ্গল, সুতরাং বাইরেও যে কোথাও খেতে যাবো, তার কোনও উপায় নেই। গেস্টহাউসে শনিবারে চিকেন করে, আর যেদিন কিছুই খাবার থাকে না, মানে ধরুন মেনুতে আছে বাঁধাকপি আর রাজমা, সঙ্গে রুটি আর ভাত, সেদিন আমার কাঁদোকাঁদো মুখ দেখে অসমীয়া ছেলেদুটো আমাকে একটা ওমলেট করে দেয়। ওমলেট দিয়ে রুটি খাই, আর একটু মাখন চেয়ে নিয়ে মাখন দিয়ে ভাত খাই।

    হাউসিং ক্যাম্পাসের মধ্যেও ছড়ানো জঙ্গল, খুব হনুমানের উৎপাত। প্রায়ই একগুচ্ছ হনুমান পরিবারের মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অফিস যেতে হয়। একদিন যেতে গিয়ে দেখি, গাধার মতন কী যেন প্রাণী দাঁড়িয়ে আছে রাস্তা জুড়ে। কাছে গিয়ে দেখি, গাধা তো নয়, এ যে নীলগাই? একটা দুটো তিনটে ... সাত সাতখানা বিভিন্ন সাইজের নীলগাই ঘুরে বেড়াচ্ছে চোখের সামনে।

    বেশ লাগল দেখতে। নীলগাই ফ্যামিলির সাথে ঐ ক মাসে মাঝেমধ্যেই দেখা হয়েছিল।
  • siki | 127.192.23.226 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ২৩:৩৩570527
  • অফশোর টিমকে এই প্রথম দেখলাম। গত দুমাস কেবল ফোনেই এদের সাথে কথা হত। নীরিহ শান্তশিষ্ট একগুচ্ছ বাচ্চা ছেলেমেয়ের দল। ম্যানেজারবাবুটি খুব মুখেমিষ্টি, পরে বুঝেছিলাম সেটা গুজরাতি ট্র্যাডিশন। যেমনটি হয়ে থাকে, আমাকে বহুদিন গান্ধীনগরে আটকে রাখার প্ল্যান হয়েছিল, যাতে আমি ঘুণাক্ষরেও সন্দেহ না করি এই সব ব্যাপারে, তাই অত্যন্ত ভালো ব্যবহার করা হচ্ছিল আমার সাথে।

    জয়েন করার ঠিক দশদিনের মাথায় খবর এল, নীলাঞ্জনও আমার পথের পথিক হয়ে আসছে গান্ধীনগরে। তারও পারমিট রিজেক্ট হয়েছে, কারণ্ন একই।

    দশদিন বাদে নীলু এল, হ্যা হ্যা করে হাসতে হাসতে, সিকিদা, আমরা তা হলে প্যাকেজ ডিল হয়ে গেলাম তো, যাওয়া প্রায় একসাথে, ফেরাও একসাথে, একই কেস, চলো এখান থেকে বেরিয়ে একই প্রজেক্টে জুড়ে যাই আবার।

    আমার আর নীলুর প্রায় একই স্কিলসেট, আমার এক্ষপি বেশি বলে আমি আর্কিটেক্ট, আর ও টেক লিড। ডিসেম্বরেই নীলুর বিয়ে, তাই নীলু নভেম্বরের শেষেই চলে যাবে, আমি যাবো ডিসেম্বরের মাঝে।

    এদিকে অনসাইট থেকে খবর পাচ্ছিলাম, আমরা দু দুটো কী রিসোর্স চলে আসার ফলে ক্লায়েন্ট বড়ই হতাশ এবং বীতশ্রদ্ধ আমাদের কোম্পানির ওপর, তাই এই প্রজেক্টের ডেলিভারির শেষে তিনি আর আমাদের কোম্পানিকে দিয়ে প্রজেক্ট করাতে চান না। তাঁর শর্ত একটাই, যেভাবে হোক সিকি আর নীলাঞ্জনকে ফিরিয়ে আনো, খরচা তোমাদের, বদলে তোমরা দু আড়াই বছরের জন্য পরের প্রজেক্টেও কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।

    আমার কোম্পানি আর যাই হোক, অসৎ পথে কাউকে কোয়ালিফাই করায় না। কিন্তু কোম্পানির ভেতরেই কিছু ম্যানেজার টাইপের লোকজন থাকে, যারা অসৎ পথ নিতে পিছপা হয় না। আর হতের কাছে যখন রয়েছে দু দুটো মুরগি, চিন্তা কী?

    অসৎ পথটা কী? ইন্ডিয়াতে কিছু এজেন্সি আছে, যারা এই সব মিডল ইস্ট কান্ট্রিগুলোর হয়ে ঐ মেডিকাল টেস্ট চালায় এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়। সেখানে যদি ঘাপলাবাজি করে পয়সা খাইয়ে একবার ফিটনেস জোগাড় করা যায়, তা হলে আমাদের নাকি আবার দুবাই নিয়ে যাওয়া যাবে।

    আমি তো শুনেই সঙ্গে সঙ্গে না করে দিলাম। পাগল নাকি? চাকরি নিয়ে ছেলেখেলা? একটা কিছু হয়ে গেলে আমাকে যখন চাবুক মারবে, তখন কি আমার কোম্পানি আমাকে বাঁচাবে? কোম্পানি কোনও দায়িত্ব নেবে না, মরতে হবে আমাকেই। কোনও গল্প নেই ওসবের, ভুলে যাও।

    আমি ভুললেও ম্যানেজারবাবু তো ভোলে না। বললেন, একবার গিয়ে টেস্টটা তো দিয়ে এসো, খরচা যা হবে, কোনও না কোনও হেডে আমি রিইমবার্স করে দেব, তোমাকে কাউকে ধরাকরা করতে হবে না, ও আমিই লোক লাগাব, চিন্তার কিছু নেই, তুমি শুধু টেস্টটা দিয়ে এসো।

    অনসাইট এবং অফশোর, দু তরফ থেকেই টানা চারদিন ধরে টানাহ্যাঁচড়ার পরে আমি নিমরাজি হলাম এই শর্তে যে, খরচা যা হবে তা কোম্পানি আমাকে ফিরিয়ে দেবে, আর আমি জ্ঞানত কোনও বেআইনী অনুরোধ করব না কাউকে। টেস্ট যা হবার তা হবে, আমি রিপোর্ট নিয়ে তোমাদের পাঠাবো।

    এক শুভদিনে ম্যানেজারবাবু আমাকে নিজের গাড়িতে নিয়ে গেলেন আমেদাবাদে সেই রকমের এক জিসিসি (গাল্ফ কোঅপারেশন কাউন্সিল) অ্যাপ্রুভড মেডিকেল সেন্টারে। পৌঁছে দিয়েই বললেন, আমার কিছু কাজ আছে, শেষ হতে পাঁচটা বাজবে। তোমরা কাজ শেষ হলে যদি আমি না আসতে পারি, এইভাবে এইভাবে অমুক জায়গায় চলে যাবে। সেখান থেকে গান্ধীনগরে ফেরার ট্রেকার পেয়ে যাবে।

    যা যা হবার সবই হল। বলল, সাড়ে তিনটেয় রিপোর্ট নিতে আসবে। বেরোলাম আমেদাবাদ শহর দেখতে।

    একটা দী-র্ঘ পাঁচিল শেষ হবার পরে দেখলাম তার মেন গেটের পাশে লাগনো নামঃ আই আই এম আহমেদাবাদ। সেখান থেকে আরও একটু এগোবার পরে দেখলাম নভরংপুরা মল (সম্ভবত কাই পো চে সিনেমায় এই মলটাই দেখিয়েছিল)।

    মজা লাগল ফুড কোর্টে গিয়ে। বিশাল বড় ফুডকোর্ট, তার মাঝখানটা বেবাক ফাঁকা, একদিকে গিজগিজে ভিড়, অনেক কাউন্টার, চাইনিজ, মুঘলাই, পাঞ্জাবি, হ্যান ত্যান, প্রচুর লোক খাচ্ছে সেখানে, কারণ, সবকটা কাউন্টারই ভেজ।

    বিশাল ফাঁকা এলাকার ওপ্রান্তটা নন ভেজ। সেখানে আছে একটি কেএফসি এবং একটি তন্দুরি জাংশন। খুব শান্তিতে কেএফসিতে বসে পেট ভরে খেলাম।

    তিনটে নাগাদ অটো ধরে ফেরত এলাম। চিফ মেডিকাল অফিসার আমাকে নাম জেনে বললেন, তোমার তো এই হিস্ট্রি আছে, তোমার তো রিপোর্ট করা যাবে না। যাও।

    কী মুশকিল, সে তো আমিও জানি, হিস্ট্রি আছে, তো রিপোর্ট দেওয়া যাবে না কেন? রিপোর্টটা তো দাও।

    না, রিজেকশনের কেসে রিপোর্ট দেওয়া হয় না, এটা সোজা ইউএই এমব্যাসিতে পাঠানো হবে।

    বেশ ভালো কথা। তো, রসিদটা অন্তত দাও, ছাব্বিশশো টাকা নিয়েছো সকালে, ওটা তো আমাকে ক্লেম করতে হবে অফিস থেকে।

    রসিদ? রসিদ এখানে দেওয়া হয় না। কিছুই পাবে না, যাও।

    তার মানে? মামারবাড়ি নাকি? আমিও তেরিয়া হয়ে বললাম, দেবেন না আবার কী? দিতে আপনি বাধ্য। রসিদ না দিলে আমি যাবো না।

    মহিলা রেগেমেগে এক ছোকরাকে ডাকলেন। সে আমাকে বাইরে নিয়ে এল। এক লাল জামা পরা নোংরা মত লোকের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিল।

    লোকটা দালাল। এখানে তাদেরই ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয় যারা দালালের মাধ্যমে আসে। আর দালালের মাধ্যমে এখানে সবাইই আসে, অজস্র রংমিস্তিরি, গ্রিলের মিস্তিরি, কার্পেন্টার ইত্যাদিতে গিজগিজ করছে সেন্টার। তাদের সব্বার পাস হয়ে যাবে, তুমি একা এসেছো বলে তোমাকে পাসও করাবে না, তুমি পড়ছি-ও পাবে না। তুমি যদি পাস হতে চাও, এই নাও আমার কার্ড, তোমার পাসপোর্টটা আমায় দাও, আমি যেদিন ডাকবো, সেদিন এসো, হাতে হাতে ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে যেও।

    রাগে ঘেন্নায় আমার তখন গা গোলাচ্ছে। বুঝলাম ভুল জায়গায় এসে ফেঁসেছি। কোনও রকমে কার্ডটা নিয়ে নিচে নেমে সোজা টোপা সার্কল। ম্যানেজারবাবু বলেছিলেন, এইখান থেকে ফেরার বাস পাওয়া যাবে।

    টোপা সার্কলে বাসে উঠলাম। সামনে একটা নোংরা মত দেওয়াল, পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ। গুজরাতি অক্ষর অনেকটা হিন্দির মতই, খুব একটা পড়তে অসুবিধে হয় না। আমি অলসভাবে দেখছিলাম পোস্টারগুলোকে। বাসটা একটা ঝাঁকুনি দিয়ে ছাড়ল, আর তখনই আমার চোখ আটকে গেল একটা পোস্টারে, আগাপাশতলা পড়তে পারলাম না, কেবল নিচে বড় বড় করে লেখা একটা জায়গার নাম।

    নারোদা-পাটিয়া।

    আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম। গা গোলানো ভাবটা যেন আরও বেড়ে যাচ্ছে।
  • siki | 127.192.23.226 | ১৮ আগস্ট ২০১৩ ২৩:৩৪570528
  • অ্যাঃ প্রথম লাইনেই বানান ভুল। নিরীহ। নীরিহ নয়।
  • anandaB | 154.160.130.16 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ০২:২১570529
  • ইউ এস ল অনুযায়ী, তোমার টিবি-র হিস্ট্রি থাকলে তুমি গ্রীন কার্ড না-ও পেতে পারো, মানে না পাবার চান্সই বেশি। শুধু ইসলাম বা শরিয়তের ওপর দোষ দিয়ে তো লাভ নেই।

    যতদুর জানি এই কথাটা ঠিক নয়, গ্রীন কার্ড-রিলেটেড যে মেডিকেল টেস্ট গুলি হয়, তার মধ্যে TB টেস্ট-ও পরে, কিন্তু একমাত্র 'active' ইনফেকশন না থাকলে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়, অর্থাৎ আগে TB হয়ে থাকলে এবং এখন সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলে বিন্দুমাত্র সমস্যা হবার কথা নয়

    ইন ফ্যাক্ট 'Active' কেসে-ও উপযুক্ত ট্রিটমেন্ট-এর পরে আবার-ও apply করা যায়, মানে আমি যেটুকু জানি
  • ঐশিক | 213.200.33.67 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ১০:৩৮570530
  • শমীক দা সাথে আছি
  • siki | 131.243.33.212 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ১০:৪১570531
  • ইউ এসে আমার এক বান্ধবীর গ্রীন কার্ড ঝুলে আছে, কারণ তার ছোটবেলায় টিবি হয়েছিল, সেই প্যাচ এখনও রয়ে গেছে। সেই গ্রাউন্ডে তার গ্রীন কার্ড এখনও হচ্ছে না।
  • a | 132.172.182.131 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ১৮:০২570533
  • তাগাদা দিলুম
  • anandaB | 154.160.130.16 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ২২:০৭570534
  • ইন্টারেষ্টিং, আমার নিজের যখন মেডিকেল চেক আপ ইত্যাদি হয়েছিল আমি exactly এই প্রশ্ন টাই করেছিলাম সিভিল সার্জন কে - যে এই যে TB র টেস্ট করছেন, যদি আমার আগে হয়ে থাকে তাহলে কি সমস্যা হবে

    তো তাতে ওই জবাব পেয়েছিলাম, সুতরাং দেখা যাচ্ছে এই ব্যাপারটা পুরোটাই কেস to কেস ভ্যারি করে, বা হতে পারে আমার টেস্ট result -এ ওই রকম কোনো প্যাচ না পাওয়াতে সমস্যা হয় নি

    আপডেট তার জন্য ধন্যবাদ
  • PM | 233.223.152.47 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ২২:১০570535
  • সিকি কোন অ্যাকউন্ট-এ ছিলে? আলফুতেম?
  • siki | 127.192.17.81 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ২২:১৩570536
  • হুঁ।
  • PM | 233.223.152.47 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ২২:৫৪570537
  • বোঝো!!! আমি ওখানে দুটো SAP প্রজেক্টের ডেলিভারি দেখতুম। তুমি যাবার কদিন আগে হাত ধুয়ে ফিরে আসি। পার্ল রেসিডেন্সে থাকতাম। আর কদিন বেশী থাকলেই মোলাকাত হতো।

    আমি কখনো কাউকে এই সমস্যার মধ্যে পড়তে দেখি নি দুবাইতে। তোমার কপাল খারাপ।

    গত এক বছর UK তেও টিবি টেস্ট ম্যন্ডেটারি। NHS এ বলল যে ব্রিটেন থেকে আগে টিবি নির্মুল হয়ে গেছিলো। কিন্তু অ্যাখন আবার পাওয়া যাচ্ছে তাই এত কড়াকড়ি। তবে হিথ্রো বা অন্য এয়ার্পোর্ট কোথাও-ই দেখতে চায় নি মেডিকাল রিপোর্ট। তবু UK যেতে গেলে সাবধানে যেও
  • siki | 127.192.17.81 | ২০ আগস্ট ২০১৩ ২৩:০১570538
  • পিএম নিশ্চয়ই তা হলে ওখানে অনেককে চিনবেন। SAP প্রজেক্ট তখন দেখছিল জোসেফ ডলফিন, সে ছেড়ে দিয়েছে, সেখানে আমাদেরই দোকানের আরেকজন রয়েছে এখন।

    হ্যাঁ, আমাদের কোম্পানিতে এই ঘটনা আমিই প্রথম, তবে দুবাইতে এটা প্রথম ঘটনা নয়।

    আর ইউকে বলে নয়, সারা পৃথিবীর সমস্ত দেশেই এখন এই টেস্ট ম্যান্ডেটরি। ভারতেও, বাংলাদেশেও।
  • Debashis | 12.90.112.194 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ০০:০২570539
  • শুধু টিবিই নয়, আরও অনেক সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রেও গাল্ফ দেশগুলোয় একই নিয়ম। সৌদিতে ২০০৬ এ যখন প্রথম এসেছিলাম, তখনকার ঘটনা। একইসঙ্গে ছ'জন এসেছিলাম। তারমধ্যে একজন, সঞ্জয় মিস্ত্রি বলে একটি গুজরাতি ছেলের তৃতীয় দিনের মাথায় জ্বর আসে। বেশ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। হাসপাতালে নিয়ে গেলে, ব্লাড টেস্টে ম্যালেরিয়া পজিটিভ আসে। পাঁচদিন পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরের দিনই ওকে এক্সিট দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যদিও হাসপাতালের ডাক্তার রিপোর্টে খুব খারাপ কিছু লেখেনি। কিন্তু শুধুমাত্র "মাইল্ড ম্যালেরিয়া" কথাটি রিপোর্টে থাকায় সঞ্জয়ের এক্সিট হয়ে যায়।

    আর দুবাই তো লিবার‌্যাল অবশ্যই। ধর্মাচরণেরও কোনো বাধা নেই। নাস্তিক বা আস্তিক, সকলেরই সমান স্বাগত। মন্দির বা চার্চেরও কোন অভাব নেই। আমরা যারা সৌদিতে থাকি, তাদের তো ধর্ম নির্বিশেষে বাড়ির মেয়েদের বোরখা পরাতে হয়। না চাইলেও শরিয়তি আইনই মানতে হয়। তাই দুবাইবাসীদের আমরা প্রাণভরা হিংসেই দিতে পারি শুধু ঃ-)।

    তবে যখন শুনি, দুবাইবাসী বন্ধুর তিনমাসে দশ হাজার দিরহাম ট্রাফিক ফাইন হয়েছে, তখন সৌদি হঠাৎই বেশ ভালো লাগতে শুরু করে ;-)।
  • PM | 233.223.153.87 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ১৫:২৭570540
  • ডলফিন , রজিত আর আমি একঘরে বসতাম। তখন পুরোনো বিল্ডিং-এ অফিস ছিলো। অরিজিত কি আপনার প্রজেক্টে ছিলো? ও সরাসরি AF এ জয়েন করছে।

    সন্দীপ ভেঙ্সরকারের সাথে আমার এখনো কথা হয়।
  • siki | 131.243.33.212 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ১৬:৪৪570541
  • জানি। অরিজিতের সাথে অনেক দিনই ডিল চলছিল ধাগাইবাবুর। কাজটা সহজ করে দিয়েছেন আমাদের দোকানের জনৈক ম্যানেজার। আছোলা বাঁশ দিয়েছিলেন অ্যাপ্রেইজালে, ফলে অরিজিতকে আর দ্বিতীয়বার ভাবতে হয় নি।

    অরিজিত আমার টিমেই ছিল।
  • সে | 203.108.233.65 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ১৭:২৪570542
  • দুবাই পর্ব শেষ নাকি আরো আছে অবশিষ্ট?
  • de | 69.185.236.52 | ২১ আগস্ট ২০১৩ ১৭:৩২570544
  • আর এগোবে না?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন