এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পুষ্যি

    একক
    অন্যান্য | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ | ২০২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একক | 24.99.12.124 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:০১573638
  • ছোটবেলায় যখন বাবা কে বলতুম কোনো পশুপাখি পুষবো উত্তর ছিল একটাই ।
    "তোমাকে পুষতে গিয়েই হাল খারাপ । আবার পুষ্যি !!"

    ইঁদুর ছানা থেকে চিতাবাঘের ছানা যাই পুষতে চেয়েছি সেম উত্তর । ঝামেলা ঝঞ্ঝাট করে মাছ পোষা শুরু করেছিলুম । তারপর চাকরি তে ঢুকতেই উদ্দাম পোষাপুষি শুরু হলো । খানিকটা মামা বাড়ির ধাত পেয়েছি ।

    এখানে কোথাও পোষা পুষি নিয়ে কোনো আলোচনা দেখিনা বলে এই টই তা খুল্লুম ।
  • san | 24.99.166.201 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:০৫573649
  • এককালে আমাদের টিম এক আম্রিকান ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করত। আইবিএম এমপ্লয়ি, নাম হেলেন। তা তিনি প্রজেক্ট ছাড়াও নানান গপ্প করতেন। তাঁর বাড়ির এক পুষ্যির ছবি পাঠিয়েছিলেন। একটি মোটাসোটা পাইথন !
  • একক | 24.99.12.124 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:০৮573660
  • পাইথন আমার দারুন লাগে । বল পাইথন হাতে নিয়ে দেখেছেন ? অমন সুন্দর দেলিকেত জীব খুব কম হয় । একটু হাত ছোয়ালেই গুটিয়ে বল ।
  • | 24.96.86.49 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:১৬573671
  • যখন যে পাড়ায় থাকি সে পাড়ার নেড়িরা।

    পুণেতে মগরপাট্টায় ছিলাম সময় একটা কাক ছিল। দাঁড়কাক। নাম দিয়েছিলাম কমলেকামিনী। রোজ সকালে এসে এক স্লাইস পাঁউরুটি খেয়ে যেত।

    কোন্নগরের বাড়ীতে দুটো বনসাই। নিজেদের হাতে করা।

    ছোটবেলায় মামাবাড়ীতে টিয়া ছিল, নাম মকরধ্বজ। খুব চেঁচাত 'খেতেটেতে দিবি না? অ্যাঁ?' বলে।
  • 4z | 152.176.84.188 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:১৭573682
  • কুকুর, খরগোশ, মুরগি - কি না পুষেছি এক সময়। এখানে এসে সেটা আর হচ্ছে না। পাখি কোনদিন পুষিনি আর সাপ - ওরে বাবা - ইয়ে ওটাতে আমার আবার একটু ফোবিয়া আছে।
  • | 24.96.86.49 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:২০573693
  • এছাড়াও নারকেল গাছে বিভিন্ন কাকেরা ছিল ছোটবেলায়। মোটাকাক, আর তার বউ সরুকাক। সরু কাকের একটা প্রেমিক ছিল ল্যাজভাঙা কাক বা ল্যাজো। ল্যাজোর বউ কাক ছিল অ্যানিমিক বা সংক্ষেপে অ্যানি। এই অ্যানি মারা যায় দিনে ল্যাজো কত ডাকাডাকি করল মোটাদের বাড়ীর সামনে গিয়ে। সন্ধ্যে হয়ে গেছিল বলে মোটা সরু কেউ বেরোল না।
  • sch | 125.242.160.28 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:৪১573704
  • ভালো টই একক, ভালো লাগলো। টই পথভ্রষ্ট হবার আগেই আপনার "উদ্দাম পোশাপুশির" গপ্প শোনান একটু। বসে আছি অপেক্ষায়
  • | 60.82.180.165 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:৫৪573715
  • আমাদের বাড়ির মত পশুপ্রেমী/কুকুর প্রেমী বাড়ি আর দেখলাম না।ভুট্টো, টম ,সিজার এর মধ্যে শেষের জনকে যখন দেখি,তখন আমি সবে ধরাধামে এসেছি।কোলবালিশের বদলে সিজার নামে একটা মোটকা সোটকা জার্মানশেফার্ড নিয়েই বড় হলাম বলা যায়। খুব বেশি ওকে দিন পাই নি যদিও- আমার পাঁচ হবার আগেই সে পরপারে চলে গেলো।তাকে কি কি উপায়ে জ্বালাতন করতাম সে গপ্পো আমাদের বাড়িতে কান পাতলেই শোনা যায়। আমার ছোটবেলার সব বদামির গপ্পে সে এখনো উপস্থিত।

    তারপরে এলো ডেভিড- আরেকটি জার্মান শেফার্ড, তবে তখন আমার নিজেরও পোষ্য হয়েছে। টিয়াপাখি , মিনু- ঘরের মধ্যে থাকলে ফ্যান বন্ধ খাঁচা থেকে বের করে দিতাম। দিব্যি উড়ে বেড়াত। একটি দুর্ঘট্নায় সে মারা যায়- তার শোকে আহার নিদ্রা ত্যাগ করেছিলাম বলে বাড়িতে পাখি পোষা বন্ধ হয়ে যায়। এই সময় অ্যাকোয়ারিয়াম ভর্তি লাল,নীল মাছ ছিলো অনেক। সেগুলো ছোটপিসির।চেয়ারে পা রেখে হাত গলিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করতাম বলে,আমি পিসির ঘরে গেলেই কেউ না কেউ পাহারা দিত,ফলে ঐ মাছের সঙ্গে তেমন ভাব করে উঠতে পারি নি।
  • san | 24.99.166.201 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:২০573718
  • না পাইথনের গায়ে হাত দিই নি ঃ-( এমনিতেও সাপের গায়ে হাত দেবার সুযোগ শুধু স্নেক পার্কে ছিলো। একজন অনেক সাপ গলায় ঝুলিয়ে আমাদের বলেছিল ছুঁয়ে দেখুন, হাত বোলান ইত্যাদি। সেটুকুই এক্সপি ঃ-(
  • pi | 132.163.37.98 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:২৫573639
  • আমাদের পুষ্যি বোলে তো ইউক্যালিপটাসে বাসাবাঁধা বায়সপরিবার। তাদের কথা লিখেছিলুম বোধহয় ।
  • san | 24.99.166.201 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:২৯573640
  • কিন্তু সেসব সাপের মধ্যে পাইথন ছিলোনা ঃ-(
  • sch | 125.242.234.39 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:৩২573641
  • আরেক বার শুনি না হয় পাই দিদি। মা দুপুর বেলা খাওয়ার পরে আটার গুল্লি ছোটো ছোটো করে খাওয়াতেন কাকেদের - অদ্ভুত দক্ষতায় মাটিতে পড়ার আগেই তারা লুফে নিত। মা আবার আলাদা আলাদা করে চিনতেনও। আমার তো সবই এক লাগতো - চিনাদের মতো
  • pi | 132.163.37.98 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:৩৯573642
  • সেই গপ্পো। আমাদের পুষ্যির গপ্পো। যারা কিনা প্রথমে ছিলো আমার প্রথম প্রেমপর্বের ভিলেনের রোলে। আমার সাথে আমাদের বারান্দার সামনের ইউক্যালিপটাসের সেই প্রেম। আর ভিলেন টার্নড পুষ্যিরা হলেন ইউক্যালিপটাসের তিনতলার বাসিন্দা বায়স পরিবার। ঐ ফ্যামিলির ওভারপ্রোটেক্টিভ হবু মাতা পিতার সাথে আমাদের একটা পারিবারিক শত্রুতার বাতাবরণ তৈরি হয় একসময়। বারান্দায় আমাদের কারুর চরণচিহ্ন পড়তো কি পড়তো নি, ইউক্যালিপটাসের ডাল থেকে সো-ও-জা ডাইভ মেরে আমাদের বারান্দার গ্রীলের বাইরের তাকে এসে বসে শ্রীমান কাক্কেশ্বর চোখ পাকিয়ে বলতেন, ক্কঃ। আর দু'পা এগোতাম যদি, তো, গ্রীল থেকে ঝুলে ঝুলে ও আরো নানাবিধ সার্কাসীয় কসরৎ সহযোগে ভয় দেখাতে দেখাতে চোখগুলো আরেকটু বড় বড় করে আরেকটু জোরে জোরে বলতেন, ক্কঃ ক্কঃ। অথচ বাবু কিন্তু জাতে মোটে দাঁড়কাক নন। আরে, আর কিছুনা,একটু গম্ভীর হওয়ার চেষ্টা আর কি। তা,এই দ্রিঘাংচু ওয়ান্নাবিকে ভয় ফয় পেতাম না তা নয়। পাবো না? কাপড় মেলতে হোক কি আচার শুকাতে , গ্রীলের বাইরে হাত দিতে না দিতে কিছু বোঝার আগেই তো জুটতো ঠক করে এক ঠোক্কর।
    অবিশ্যি প্রতিবেশীর সাথে এহেন বৈরিতায় কেবলি ওদেরই দায়ী করলে অনৃতভাষণের খুচরো পাপ হয়ে যাবে। অলরেডি কিছু হয়ে গেছে, বাড়িয়ে আর কাজ নেই। ডিম কিম্বা ছানাপোনা নিয়ে পশু-পাখিরা একটুআধটু এরকম করে থাকে, সে সবারই জানা, কিন্তু এদের এই বিনা প্রোভোকেশনে সদাসর্বদা রণং দেহি আচরণে বাড়ির লোকজন বেশ বিস্মিতই হয়েছিল। তখন চেপে গেসলুম, কিন্তু আজ বড় খচখচাচ্ছে,নাঃ, কনফেশনটা করেই ফেলি। সে ছিল গ্রীষ্মাবকাশের কোনো এক বোরিং মধ্যাহ্নবেলা,তেতে ওঠা ধোঁয়াটে নীল আকাশে চিলের চক্কর কাটা দেখা ছাড়া যখন আর কোনো কাজ ই নেই, না পড়া কোনো গল্পের বই নেই,বসে বসে সাবাড় করার মত হজমিগুলি কি গাঠিয়ার কোনো স্টকও নেই, বাড়ির দেওয়ালে একটা সারি পিঁপড়ের লাইন অব্দি নেই, যে মাঝখানের কিছু পিঁপড়েকে এদিক ওদিকে সরিয়ে দিয়ে ঐ লাইন ভাঙ্গা নিয়ে ওদের সাথে আমার অধ্যবসায়ের টক্কর দেবো । কিম্বা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের কৌটোর বাইরে ওদের ভুখা মিছিল দেখে বায়োলজি বই দেখিয়ে দেখিয়ে ওদের বোঝাতে বসবো, ওরে তোদের তো হাড়গোড় ই নেই, কী হবে ক্যালসিয়াম খেয়ে! বেসিন দিয়ে উঠে আসেনি একটাও আরশোলা, যার সঙ্গে ফুলফোর্সে খোলা জলের তোড় দিয়ে যুদ্ধ করবো, যতক্ষণ না আরশোলটাকে উল্টে ফেলতে পারি কিম্বা এই বেসিনের ঝাঁঝরি দিয়েই ব্যাক টু পাতাল করাতে পারি। নাঃ কেউ কোত্থাও নেই। সেই কাকেরা ছাড়া। শুরু করলাম টিপ প্র্যাকটিশ। বারান্দার টব থেকে মাটির ঢেলা নিয়ে। লক্ষ্য, ঐ তা-রতা কাকের তেল চুকচুকে ডানা। নভিশের টিপ তো, কোনো মিসাইল ই প্রায় তাঁদের পালকগ্র স্পর্শ তক করতে পারতো না অথচ , কাণ্ড দ্যাখো ! এই নিয়ে চিল চিৎকার করে কাক পরিবার হাউসিং মাথায় করতেন! আর কী আর বলবো, কাকগুলো একেবারেই গাধা ছিল। সত্যিকারের ঢিল তো আর মারিনি রে বাবা, নেহাতই মাটির কুচোকাচা ঢেলা, তাতেই তাঁদের মুচ্ছো যাবার দশা। কে বোঝাবে এসব ! বোঝে না এবং কদিন ধরে আমার এই প্র্যাকটিশ চলার পরেই ওরা ঐরকম একটা অল আউট ফিয়ার্সলি অ্যাটাকিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে ফেলে। তারপর ঘৃতাহুতি দিয়েছিল, আমার ঐ অভ্যেস, হাওয়া দিলেই ইয়্‌ক্যালিপটাসকে বারান্দায় টেনে আনতাম, কানের সাথে সাথে ওদের বাসাও চলে আসতো আমার হাতের অনেক কাছে। তখন তো আরো ই চিল্লামিল্লি জুড়ে দিত !
    বলাই বাহুল্য এর ফলে আমার সাথে ইউক্যালিপটাসের অ্যাপো খুব ই ব্যাহত হচ্ছিল। ভয়ের চোটে বারান্দায় পা ই রাখতে পারি না, তারপর তো বাকি সব! ছটফটিয়ে মরছিলাম পুরো। উদ্ধার করল মা। অত্যন্ত ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের সাথে একটু একটু করে ভাত ( এবং নানাবিধ তরিতরকারী, মাছ মাংস ) ছড়িয়ে ছড়িয়ে একটু একটু ভাব জমানো। তবে জমে গেছিলো। একেবারে ক্ষীর স্টেজে চলে গেসলো। তখন অন্য জানলাতেও মাকে দেখতে পেলে সোহাগ করে সে কী মিঠে ডাকের চেষ্টা! তবে মাইরি বলছি, তেমন মধুর না হলেও বেশ সুরেলাই ছিল সে ডাক। অনেকটা , অনেকটা , ঐ ঊষা উত্থুপের গলার মত বলা যেতে পারে। আর সুরটা , অনেকটা, ঐ কু- উ-কু- উ র আন্দোলনের স্টাইলে ক-অ-ক-অ। তাদের আবার একটু পায়া ভারীও হয়েছিল। ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয়, সেই দেখেছিলুম। মাংস বা মাছ কি তরকারী মাখা ভাত না হলে তাঁদের মুখে রুচতো না। বলা বাহুল্য, মায়ের মেয়ে হিসেবে তারপর আমাকেও একদিন মাপ করে দিয়েছিল। আমাকে তখন আর পায় কে! ইউক্যালিপটাস , কাক মা বাবা, তাদের ডিম, আমার দাদা-মা-বাবা, সে আমাদের তখন ভরা সুখের সংসার।
    শুধু ডিম ই না, ওগুলো ফুটে ছানাগুলো বেরুলো যখন, তাদের প্রথম উড়তে শেখার টার্গেট সেট করা হয়েছিল, বাসা থেকে আমাদের বাসা। আমাদের বারান্দার সেই তাক।

    তবে, আসল কথাটাই তো এখনো বলিনি। ওতে আর আমাতে মিলে সেই যে ছকটা কষেছিলাম। পালাবার।
    হাওয়া যেদিন খুব বেশি দিতো, আর খুব এলোমেলো , খুব ঘন ঘন আসতো আমার কাছে, আর এদিকে এসেই আবার পালাই পালাই করতো। ও করতো, এমন না। কিন্তু হাওয়া অমনি করে টানাটানি করলে ও বেচারাই বা আর কি করে !
    তো, আমরা ফন্দি আঁটলাম, এরপর যেদিন খুব হাওয়া হবে, ও আমাকে নিয়ে পালিয়ে যাবে। আমি তো একপায়ে খাড়া! মানে, আমাকে এরপর খালি দ্বিতীয় পায়ের ভারটাও মাটি থেকে তুলে নিতে হবে। বাস। তারপর ই হাওয়া কি সাথ সাথ, হাওয়া কি সঙ্গ সঙ্গ , ও সাথী চল ,মুঝে লিকে সাথ চল তু , ইউহি দিন রাত চলতু! পুউ®রো ঐ সীব-হেমা আকা সীতা কেস। সে সেভাবে দেখতে গেলে আমিও তো সীতা ই। ঈপ্সিতা।
    আমরা কোথায় কোথায় যাবো , তারও প্ল্যান হয়েছিল। এক তো, আমার নেমন্তন্ন ছিলো কাকের বাসায়, ঐ পাঁচ খানা ছানা ঐ পুঁচকি বাসায় কিকরে যে ফিট করে , সে চাক্ষুষ করার শখ আমার অনেকদিনে। তার পরের গন্তব্য , ওপাশের কৃষ্ণচূড়া গাছ। ওর ঐ মধ্যিখানের শ্যাওলা শ্যাওলা অন্ধকারের রহস্য এক্সপ্লোরেশানটা আমার এজেণ্ডায় অনেকদিন।
    আর তার্পর, স্যাট করে আমি নেমে পড়বো , হাউসিং এর পাঁচি®লের লাগোয়া ঐ পাবীদের বাড়ির ছাদে। অনেকদিন ধরে ওদের বাড়ি যাবার শখ আমার। আমার খুব ধারণা, ওদের পাগড়ির নীচে টাক থাকে। সেইটি ভেরিফাই করা দরকার।
    তা, এক ঝড় বাদলের দিনে, যেরকম দিনে কবি বলে গেছেন , তারে বলা টলা যায়, আমি তার সাথে গৃহত্যাগ করবার মনস্থ করলাম। মোটামুটি রেডি। টেক অফ হবো হবো। রেডি, স্টেডি , অনিমা ( ওটা যে অন ইওর মার্ক, সে আমি জেনেছিলুম অনেক বাদে, তদ্দিনে ট্রেনের টিটি র ফুল ফর্ম ও জেনে গেছি আমি ) ।।।।গো ।।।বলার সাথে সাথে ই আমার শিংএ টান। । দাদা , বারান্দায় ।
    আমাকে ঐ রেডহ্যান্ডেড পাকড়ানোর পর, আর যা যা হবার হলো। মার মাথায় পড়লো বাজ,বারান্দার গ্রীলে পড়লো তালা, আর আমার পিঠে পড়লো আট দশ ঘা।
    তবে এহেন ভাঙা প্রেমের গপ্পের নটেগাছ সেখেনেই মুড়ায় নি। গাছটাকেই মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, কদিন বাদে। কি, না, ও ধাক্কা মারলে নাকি ফ্ল্যাটবাড়ি দুর্বল হতে পড়ে, ওর শিকড় ছড়ালেও। কোথায় কোন কাগজে বেরিয়েছে। ইউক্যালিপটাসের হাওয়াটাও নাকি ভাল নয় ! সে ও কোনো পণ্ডিতে কয়ে দিয়েছে। বোঝো! তবে, আসল ব্যাপার ছিলো অন্য, সে আমি ঠিক ই বুঝেছিলাম। সেই কাক। আমাদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে কি হবে, জগতে তো আর শত্রুর অভাব হয় না ! ইউক্যালিপটাসের কাকেদের নতুন শত্রু হলেন তিনতলার গুপ্তকাকু। ডাক্তার গুপ্ত না। ডক্টর গুপ্ত। এই শত্রুতার সঠিক কারণ ঠিক কেউ ই বলতে পারেনি, খোঁজার চেষ্টাও কেউ তেমন করেনি, কারণ ওনার সাথে প্রায় জগতময় জীবেরই শত্রুতা ছিল। সে ওনার পাশের বাড়ির ন্যাড়াকাকু হোক কি পাড়ার নেড়িরা। দিনেদুপুরে কুত্তাদের চিল্লামিলি কানে এলেই আমরা টের পেয়ে যেতুম, গেট খুলে ডঃগুপ্ত বেরুলেন।
    এবার হয়েছিল কি, উনি বাড়ির বাইরে গেলে ই কাক বাবা এসে টক করে ওনার টাকে একটা নক করে যেতো। ওদেরকে উদ্বাস্তু করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই গাছটাকে কাটার যত বাহানা। যত সব আলবাল রিসার্চের বালস্য বাল তথ্য যোগাড় করে এনে ডক্টর সাহেব বাকি সকলকে ঘাবড়ে দিলেন। এতটাই যে, এ প্রস্তাবে ফ্ল্যাটবাড়ির সকলেই সায় দিয়ে দিলো। আমি আর মা বাদে।
    একদিন স্কুল থেকে এসে দেখি ওকে কাটা হচ্ছে। তখন অলরেডি দোতলা অব্দি কাটা শেষ। হাত পা ছড়িয়ে বসে গেছিলাম ওখানে। কেঁদেওছিলাম খুব, অবভিয়াসলি! কিন্তু কী আর হল কেঁদে! কেউ থোড়াই কিছু শুনলো!
    ঐ নড়বড়ে ডানার আধো আধো ছানাগুলো ও আর বাঁচেনি।
    কাক মা বাবা অবশ্য তার পর ও আমাদের বাড়ি আসতো। ঐ বারান্দার তাকে। খেতে নয়। এমনি ই। চুপচাপ বসে থাকতো , আর ক্কচিৎ কদাচিৎ টেনে টেনে ধীরে ধীরে বলতো, ক। ক।
    খুব কল্পনাপ্রবণ হলে হয়তো ঐ ডাকে শুনে ফেলতাম, কই ? কই ?

    দু'বছর আগে বাড়ি গিয়ে আমার ডায়রিটা খুঁজে পেলুম। নাঃ এই ডায়রিটা সেই বয়সের আগেই শেষ হয়ে গেছিল, যে বয়সে ডায়রি লিখে লুকিয়ে রাখার দরকার পড়ে। যেখানে তখনো আমার কোনো গুপ্তকথা জমা হয়নি। 'এই সপ্তাহে দুদিন ইংলিশ ওয়ার্কবুক আনিনি বলে প্রীতিদি আজ আমাকে ক্লাসের বাইরে বের করে দিয়েছেন, বাড়িতে কাউকে বলিনি শাস্তির কথা, এই কথাটা আমি অনেক বড় হয়ে, কলেজে উঠে মা কে বলবো। ' কিম্বা, ' নতুন কেনা গন্ধ রবারটা আজ হারালো। পরশু দিন জলের বোতলের মুন্ডিটা হারিয়েছি বলে মা কী বকলো। রবারের কথাটা বলবো না। অনিন্দিতার একটা এক্সট্রা আছে, ওটা দেবে বলেছে।' নানারূপ দোষকম্ম নিয়ে এধরণের নির্দোষ,নিরিমিষ্যি কথাবার্তা ছাড়াও তাতে একটা কবিতা খুঁজে পেলাম। আমার সারাজীবনে লেখা হাতেগোনা ক'খানি কবিতার প্রথমটা। বেশ অশ্রুগদগদ এক কবিতা। ইউক্যালিপটাস আর কাকেদের নিয়ে।
  • sch | 125.242.234.39 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:৪৪573643
  • :( মনখারাপিয়া গল্প - তবে খুব সুলিখিত গদ্য
  • aranya | 154.160.226.53 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:৪৯573644
  • আমার এক পোষা নেড়ি ছিল। মানে সারা পাড়ারই নেড়ি, কিন্ত্তু খেত আমাদের বাড়ী, শুত আমাদের চাতালে, রাতে বাড়ী পাহারা দিত, বিকেলে ফুটবল ড্রপ দিতে দিতে বেরোলে সঙ্গে যেত, মাঠে গিয়ে দৌড়ত। সুন্দর দেখতে আর বুদ্ধিমান। বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে কেউ, তার পর বাড়ীতে চুরি হয়।

    চোরেরাই মেরে ফেলেছিল হয়ত, রাত পাহারাদারকে।
  • aranya | 154.160.226.53 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:৫৪573645
  • একটা অ্যালসেশিয়ানের শখ এখনো আছে, আমার আর মেয়ের, আর একটা বিরাট কালো ঘোড়া। প্রথম-টা বউয়ের আপত্তিতে হয়ে উঠছে না, দ্বিতীয়্টা টাকার অভাবে। ফার্মে ঘোড়া রাখা বেশ খরচসাপেক্ষ। তবে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড়লে (মানে ঘোড়াটাই দৌড়বে আর কি) ফিলিং-টা দারুণ।
  • rimi | 178.26.205.19 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:৪০573646
  • আর আমি আর আমার বোন দুজনে মিলে পুষেছিলাম এক চামচিকে। ছানা বাদুড়ও হতে পারে। কোথ্থেকে এসে আমাদের বাড়িতে মেঝের উপরে পড়েছিল জখম ডানা নিয়ে। তুলে হাতে নিয়ে দেখি দিব্বি মানুষের মতন চোখ মুখ, পিটপিট করে তাকাচ্ছে। তার নাম দেওয়া হল ছানু। ছানুর জন্যে একটা দেশলাই বাক্সে বিছানা করে দেওয়া হল। তাতে তাকে শোয়ানো হল। তারপরে শুরু হল তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা। গাছের পাতা থেকে শুরু করে মশা, ছোলা, দুধ, মাছ এমনকি রসোগোল্লা পর্যন্ত খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম। সে কিছুই খেল না। এক সপ্তাহ কিছু না খেয়ে বেঁচে রইলো। বেচারা উড়তেও পারছিল না। তারপরে মরে গেল।

    এরপরে বাথরুমে এল এক মাকড়সা। ঐরকম মাকড়সা জীবনে আর কখোনো দেখি নি। ছোট্টো বুড়ো আঙ্গুলের সাইজ, আর কুচকুচে কালো। কিন্তু ব্ল্যাক উইডো নয়। পেটের তলায় একটা ছোট্ট সাদা দাগ। তার নাম দিলাম কালিন্দী। কালিন্দী মাকড়সা বাথরুমে বহু বছর ছিল। আমরা মশা মাছি মেরে ওর জালে আটকে দিয়ে আসতাম।
  • i | 134.149.120.167 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৩:০০573647
  • পাইথন পুষতেন-জানতাম। দামী নাকি খুব।চুরি হওয়ার ভয়ে বাড়িতে সিকিউরিটি ক্যামেরা বসিয়েছিলেন।কাচবাক্সে থাকত। ইঁদুর খেতো।
    সে বাড়িতে এখন আমরা থাকি। শিফ্টিংএর পরে গ্যারাজ এ দুর্গন্ধের সোর্স খুঁজতে গিয়ে সাপের খোলস আর একটি মরা ইঁদুর পাই।
    সেদিন পাশের বাড়ির মহিলা তিন ছেলে কোলে কাঁখে নিয়ে গল্প করতে এলেন। বললেন আশা করি তোমার জন্য সাপ টাপ রেখে যায় নি; একবার তো একটা বাচ্চা সাপ আমাদের বাগানে চলে এসেছিল।
    আমি বললাম-একটা সাপ মানে? একটাই তো সাপ ছিল পোষা।
    মহিলা বললেন-একটা! হা কপাল। কম করে কুড়িটা পুষতো....
  • 4z | 209.119.232.210 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৩:১০573648
  • ইন্দ্রাণীদি,

    হিঁইইইইক
  • aranya | 154.160.226.53 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৩:১৫573650
  • নিউ জার্সীর জ্যাকসন শহরে বেশ কটা বাঘ পুষতেন এক মহিলা। একটা বেরিয়ে গিয়ে শহরে ঝামেলা বাধায়, পুলিশের গুলিতে মারা পড়ে বেচারা। অন্য গুলোকে চিড়িয়খানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
  • i | 134.149.120.167 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৩:১৯573651
  • দুটো রেনবো লরিকিট রোজ ব্যালকনিতে আসত গরমকালে; শীতে আসত না। হাত থেকে খেত, কাঁধে বসত। ওদের দেওয়া দানা খেতে পরে পায়রা আসত। নোংরা করত। প্রতিবেশীরা আপত্তি জানালে আপাতঃ বন্ধ রাখি, লুকিয়ে খাওয়াতাম। তাদের নাম দিয়েছিলাম পলি আর মলি।রাতে শোয়ার আগে মেয়ে কে পলি মলির ভ্রমণের গল্প বলে ভূগোল শেখানো হোতো। কতদিন বাঁচে জানি না। হয়তো পলি মলি নয়, পলি মলির ছেলেমেয়ে। তবে প্রতিবছর আসত; শীতে আসত না।
    জুনের শেষে বাড়ি বদল। পাখির বাসা বদলে সাপের বাড়ি। যেদিন চলে এলাম, রওনা হবার আগের মুহূর্তে-সব জিনিস, আসবাব উঠে গেছে ভ্যানে- আমি শেষবারের মত একবার দেখে নিতে এলাম কিছু ফেলে যাচ্ছি কি না। অবাক হয়ে দেখি বারান্দায় পলি মলি এসেছে। দরজা খুলে দিলাম। ভেতরে এলো। খেতে দেবার কিছু ছিল না। কি রকম মনে হোলো, খেতে আসে নি ওরা ...
  • | 60.82.180.165 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৫:০৯573652
  • আমাদের ভোলকু আর ঘোলপোষ ছিলো মা আর ছেলে- সারা পাড়া তাদের ভয়ে সন্ত্রস্ত হয়ে থাকতো।
    বারান্দার থাম বেয়ে ওঠার চেষ্টা করা কাকু, গেটের সামনে দাড়ানো বন্ধু-এরা কেউ ঘর পর্যন্ত পৌঁছোতে পারে নি। যারা পারতেন তাদের মধ্যেও বৈষম্য ছিলো।সাদাশাড়ির প্রতি বিদ্বেষজনিত কারণে বাড়িতে বেশি বয়েসি কেউ এলে আমাদের সতর্ক থাকতে হত। তবুও চান্স পেলেই গরগর করে,দাঁত দেখিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে তাদের পিলে চমকে দিতো। অন্যঘরে আটকে রাখলেও,বিছানায় কুকুর নিয়ে আদিখ্যেতার জন্যে দিদাসহ অনেক লোকজন আমাদের বাড়িকে সযত্নে এড়িয়ে চলতেনঃ)

    এরপরের ধাপে ছিলো আমার বন্ধুরা। কোনো ছেলে বাড়িতে এলেইগুড্ডু আমার চরিত্র রক্ষায় দুজনের মাঝখানে চিনের প্রাচীরের স্টাইলে বসে থাকতো। তাদের হাতের বিন্দুমাত্র নড়াচাড়া দেখলেই মন্দ্রসপ্তকে বারণ করে দিতো। কারুর কোনো বই বা কিছু দেবার হলে প্রণামীর স্টাইলে গুড্ডু উর্ফ ঘোল্পুষের পায়ের কাছে রাখতে হত। যখন বেশ প্রেমের বয়েস হলো দুটি মারকুটে তাগড়াই জার্মান শেফার্ড ডিঙিয়ে বহুলোক আর দ্বিতীয়বার বাড়ি আসতে রাজি হত না। এইকরে কত প্রেমের কুঁড়ি ঝরে গেলোঃ(এমনকি বিয়ের পরও বাড়ি গেলে শুচিতারক্ষায় গুড্ডু আমাদের দুজনের মাঝখানে শুতো!
    (এইটা ক্ষমা করিনি টইতে যাবে)
  • nina | 78.34.167.250 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৫:৪২573653
  • আমি পাই পুষতে চাই--আর ওর সব সব ডায়রির পাতার অক্ষরগুলো চেট্টে পুট্টে খেতে----
    চড়াই পাখির বাসা ছিল আমাদের শোবার ঘরের ঘুলঘুলিতে----সন্ধ্যেবেলা মোটা খয়েরি বরটা আর ছিপছিপে ধুলো রঙের বউটা কিচিরমিচির করে ফিরত--রান্নাবান্নার বালাই ছিলনা----শুধু বরটা বউটার ঘাড়ে বেশ টুকটুক করে চাপত ---বেশ মজা লাগত দেখতে---বড়দের চোখ বাঁচিয়ে---মানে তাতদিনে birds & bees সম্বন্ধে একটা আবছা ধারণা হয়েছে----আর ইয়ে এখন ভাবতে খারাপ লাগছে কিন্তু ঝুলঝাড়ার লাঠি দিয়ে খালি বিরক্ত করতাম যখন বেশ ওরা গলার রোঁয়া ফুলিয়ে একে অপরের ওম নিতে ব্যাস্ত---

    ওরা আমার অনেকদিন রুমমেট ছিল---

    একদিন বউটা পাখার ব্লেডে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেল---আর উঠলই না! খুব মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল--বরটার জন্য খুব খারাপ লাগছিল---আহারে ওর কত কষ্ট হচ্ছে----
    পরেরদিন দেখি একটা শুঁটকো মতন কুচ্ছিত মাটি রঙের মেয়ে চড়ুই নিয়ে এসেছে --আবার ঘাড়ে চাপার তাল করছে----
    আমি ভীষণ রেগে গিয়ে বাড়ীর কাজের লোককে দিয়ে বাসা ভাঙিয়ে দিয়ে ওদের ভাগিয়ে দিলাম।
  • i | 134.149.120.167 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৬:২৫573654
  • মনে পড়ে গেল-আমার পোষা টিকটিকির নাম ছিল মটখুরা। মটখুরা বড় নরম সরম ছিল।আর দুই গুন্ডা ছিল বিকট আর বিদঘুটে। বিকট আর বিদঘুটের তাড়ায় বেচারি মটখুরা দৌড়ে বেড়াতো। লেজ টেজ -ও খসে পড়ত এভাবেই সে আমার চোখে পড়ে একদিন।
    টেকনিকালি পোষা বলা যাবে না হয়তো কারণ মটখুরা নিজের খাওয়া নিজেই জুটিয়ে নিত। মটখুরার মা আমার দিদার পোষা ছিল। দিদা দেশ/ খবরের কাগজ নিয়ে টেবিল আলো জ্বালিয়ে বসলেই , দিদার পিছনে মটখুরার মা। একদিন দিদার পিঠের ওপর পড়েই সে দেহ রাখে।
    তারপর মটখুরা আর আমার মিতালি হয়। একটা পেপার ওয়েট ছিল-অনেকটা প্রিজম মত-সেটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গোল গোল আলো ফেলতাম মটখুরার সামনে পেছনে-মটখুরা এগোতো পিছোতো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে নট নড়ন চড়ন হত। এভাবে খেলাধুলা চলত আমার আর মটখুরার।
    পরবর্তীকালে আমার মেয়েকে মটখুরা বিকট বিদঘুটে দেখিয়ে আপেলসেদ্ধ ইত্যাদি খাওয়ানো হোতো। আদতে তারা ছিল মটখুরাদের ছেলে পিলে। প্রথমটায় ভয় পেলেও শেষ অবধি বিকটের সঙ্গেই সংসার পেতেছিল মটখুরা।
  • i | 134.149.120.167 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৬:৫১573655
  • কিছুকাল আগে অবধি সাটু নামে একটা সুমাত্রার বাঘ পুষতাম আমরা আর মালয়েশিয়ার তিনটে বিন্টুরং -ইন্ডা, পেপার আর কি যেন নাম ... জানলা দিয়ে ঘরে আসত। খাটের নিচে শুয়ে থাকত। সাটুর গায়ের গন্ধের জন্য রুম ফ্রেশনার দিতে হত। বিন্টুরংদের গায়ে পপকর্ণের গন্ধ ছিল। আমাদের মনখারাপ হলে ওরা আমাদের নাকে ন্যাজ বুলিয়ে দিত। আমরা ছাড়া আর কেউই দেখতে পেত না ওদের।ইদানিং আমরাও দেখতে পাচ্ছি না। আমরা মানে আমি আর কন্যা। বড় হয়ে গেছি।
  • sch | 111.62.48.49 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৭:৫৩573656
  • বিন্টুরং কি জিনিস
  • i | 134.149.120.167 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৭:৫৮573657
  • এস সি এইচ,
    এই যে দ্যাখেন-
    http://a-z-animals.com/animals/binturong/
    পুষতে ইচ্ছে হচ্ছে?
  • sch | 111.62.48.49 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৮:১৫573658
  • bah খুব অমায়িক দেখতে। কিন্তু এরা পোষ মানে? আমার তো মনে হচ্ছে পান্ডাটাইপের নেচার হবে। আপনি খুব রেয়ার জিনিস পোষেন তো
  • aranya | 78.38.243.161 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৮:৩৪573659
  • পাই-এর লেখাটা পরে পড়ব বলে জমিয়ে রেখেছিলাম। বড় মিঠে লেখা, সুলিখিত গদ্য, sch যেমন বলেছেন। ছোটাই-এর লেখা, বরাবরের মতই, টু গুড। অন্য যারা লিখেছেন - ম, রিমি, দ, নিনা - সবার লেখাই উপভোগ করলাম।

    ভাল টই হচ্ছে এটা। একক, তাড়াতাড়ি লেখ বস, ইঞ্জেকশন নেওয়া হয়ে গেছে, এখন তো আর কোন দুশ্চিন্তা নেই :-) ।
  • ডিডি | 132.167.45.2 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:৪৯573661
  • পাইদির লেখাটা নিতান্তো ও অ্যাকেবারে ভালো হয়েছে।

    আমার ছেলেবেলা জুড়ে ছিলো কুকুরের দল। এতো কুকুর আমার পায়ে পায়ে হাঁটতো যে কালেজ বেলায় পাড়ার দুগ্ধপোষ্য শিশুরা আমায় কুকুর্দা বলে ডাকতো। আমিও চরম আহ্লাদিত হতাম।

    আমার সব থেকে পেয়ারের কুকুরের নাম ছিলো বেগুন। বেগুন লাল দিশি। ডাকনাম ন্যাকা। তার গার্লফ্রেন্ডের নাম খেঁকি। বেগুনকে নিয়ে আমার একটি আত্মজীবনীমুলক গল্পো আছে। একদম পুর্ণ অবকাশ হলে এই টইতে লিখে দেবো। আপনাদের পিলে চমকে যাবে।

    ঠাকুর বলেছেন "এতেই লোকোশিক্ষে হয় রে পোদো। লোকে বুঝতেও পারে না কিন্তু অসাড়েই নরম মনের হয়ে যায়।"

    পোদো পাড়ার নেংটি কুকুরের ন্যাজে ফুলঝুড়ি বাঁধছিলো মন দিয়ে। সে কথার উত্তর দিলো না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন