এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পুষ্যি

    একক
    অন্যান্য | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ | ২০২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 127.194.104.40 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:০৩573662
  • অনেক ছোট বেলায় একবার মাছ পোষার শখ হয়েছিল। স্কুল থেকে ফেরার পথে কিনে আনতাম কেঁচো।

    ভারী সুন্দর নাম ছিল। রেড মলি,ব্ল্যাক মলি, সোর্ড টেল,ফাইটার,গোল্ড ফিশ, কিশিঙ্গারুমি ( ??)। তবে অচিরেই সেত শক ঘুচে যায় আর অবশিষ্ট মাছ গুলো স্থান পায় আমাদের কূয়োয়।

    পরের পর্ব বেড়াল ( আসিতেছে)
  • | 24.96.2.189 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:০৭573663
  • sch মনে হচ্ছে i এর লেখাটা ঠিক মন দিয়ে পড়েন নি। :-) ওগুলি জ্যান্ত পুষ্যি নয়।

    হুঁ আমার প্রথম নেড়ি পুষ্যিটার নাম ছিল রুদ্র। ক্লাস ফোরে পড়ার সময় ওকে পুষেছিলাম, দুপুরে এসে ভাত, তরকারি খেয়ে যেত। একটু বড় হয়ে জানলাম সে নাকি মেয়ে। সবাই রুদ্র নামটা নিয়ে খুব ক্ষ্যাপাত আমাকে :-( ওর ছানাগুলো গোল্লু, গুটকুরাও আমার পুষ্যি ছিল।
  • | 127.194.104.40 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:১২573664
  • আমার পুষ্যি র খুব শক। মামার বাড়ি তে দেখেছি টিয়া, সাদা,কালো,পাংশুটে নানা রঙের বেড়াল আর অসংখ্য কুকুর। বেড়াল গুলো মেন লি থাকতো কারন চাল, আলু র ফাঁকে ফাঁকে প্রচুর নেংটি ইঁদুর পেত। আর কুকুর গুলো চিল ভিসিটিং ফ্যাকাল্টি। সময় মতো খেতে আসতো।না এলে দিদিমা তাদের খাবর ঢাকা দিয়ে রাখতো।

    এছাড়া একটা সময় অবধি হাঁস ও ছিল প্রচুর।
  • | 127.194.104.40 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:১৩573665
  • /শখ
  • sch | 111.62.48.49 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:১৮573666
  • দ-দি আমার শেষ লাইনটাও মজা করে বলা। :)
  • kumu | 132.160.159.184 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১২:০২573667
  • কাঠবেড়ালী,আমার সেই রামু,ল্যাগবেগে,ভুষ্টিনাশ,প্রফেসর ইঃ রা-
  • pi | 132.163.1.63 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:৩৫573668
  • মামাবাড়িতে এক পেচক পরিবারকে দেখে এলুম। পুষ্যি নেবো ভাবছি। তারপর চোখ মারা শেখাতে হবে। ;)
    কিন্তু আমি নিজেই যে ঠিকঠাক মারতে পারিনা ঃ(
  • sch | 125.242.140.86 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:৪২573669
  • লক্ষী প্যাঁচা? না হুতোম প্যাঁচা। ওদের খাবার কিন্তু মেইনলি ইঁদুর
  • sch | 125.184.87.139 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:৫৯573672
  • এতো লক্ষী প্যাঁচা মনে হচ্ছে
  • Lama | 127.194.240.169 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৮:১১573673
  • দেশভাগের হতাশা ফলানো হত আমাদের বাড়ির কুকুরদের নামে- ভুট্টো, জিয়া ইত্যাদি। হয়তো পাকিস্তান দেশটার ওপর আমার ঠাকুর্দার জাতক্রোধ ছিল। আমাদের ছোটবেলায় ভুট্টো আমাদের অভিভাবকদের মধ্যে ছিল, রীতিমত ভুকভাক ধমক টমক দিত। নিতান্ত চার পায়ে হাঁটত বলে দাদা বা কাকা না ডেকে নাম ধরে ডাকতাম।

    একটু বড় হবার পর দুই ভাই নিজ দায়িত্বে কুকুর পুষলাম। নাম দিলাম বাঘা। একবার প্রতিবেশীর কাছে বাঘার দায়িত্ব দিয়ে অন্য শহরে যাওয়া হল। ফিরে এসে আর তাকে দেখা গেল না। তখন এল দ্বিতীয় বাঘা। বাবার বদলির কারণে তাকে ছেড়ে যেতে হল।

    তারপর এল গাবলু আর বাহাদুর। পারিবারিক জমায়েতে যখন খুব একচোট হাসি তামাশা হত তখন এরাও দাঁত বার করে হাসির মত ভঙ্গি করত। পোষ্যদের রসবোধ নিয়ে বেশ গর্বিত ছিলাম আমরা। যথারীতি বাবার বদলি এবং গাবলু বাহাদুরের সঙ্গে বিচ্ছেদ।

    আরো একটু বড় হয়ে এক বখাটে অ্যালসেশিয়ানকে (যথারীতি ইংরেজি নাম- জ্যাক) পোষার চেষ্টা হয়েছিল। তখন তার বয়েস চার বছর। পূর্বতন মালিক কিছুটা বীতশ্রদ্ধ হয়ে আমাদের কাছে গছিয়ে দিয়েছিলেন। জন্মাবধি আদবকায়দা কিছু শেখে নি, কিন্তু আমাদের সঙ্গে আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পাড়ার অনেক লোককে কামড়ানোর পর তাকে শাস্তি হিসেবে ছাদে বেঁধে রাখা হয়েছিল। শেকল ছিঁড়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে অসুস্থ হল যখন, আমরা ভারাক্রান্ত মনে জ্যাককে রেখে এলাম স্থানীয় সারমেয়প্রেমী নীলুকর্তার বাড়িতে। সেখানে মিনি নামে তার এক বান্ধবী জুটেছিল। প্রথম প্রথম আমরা জ্যাকের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। আস্তে আস্তে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গেল।

    আর ছিল বেড়াল। টুং আর টাং দুজনের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে যতই অন্য কোথাও পাঠানো হয় ততবার তারা ফিরে আসে। শেষে অর্জুনকাকু চটের থলিতে করে ছেড়ে এল অন্য পাড়ার জুতোর দোকানের সামনে। বছর কুড়ি পর একই দোকানের সামনে একটা বেড়ালকে দেখেছিলাম, হতেও পারে ওদেরই বংশধর।

    আরেকজন ছিল নিতান্তই শিশু- পুষু তার নাম। যৌথ পরিবারের সব সদস্যরা তাকে মেনে নিতে না পারায় প্রাণসংশয় দেখা দেয়। তখন তাকে কোথায় যেন ছেড়ে আসা হয়। বিদায়বেলায় কি ভেবে যেন আমরা একটা কাগজে নামঠিকানা লিখে তার গলায় বেঁধে দিয়েছিলাম। যে কুড়িয়ে পাবে তার উদ্দেশ্যে কিছু আর্জিও জানানো হয়েছিল সেই চিরকুটে- যেন একটু যত্ন করা হয় ইত্যাদি।

    পরে অবশ্য দু ভাই আশ মিটিয়ে বেড়াল পুষেছি। তাদের নামের কিছু উদাহরণঃ অনিমেষ, সুভাষ, চঞ্চল, হিমাংশু (এর প্রাক্তন মালিকের নাম ছিল হিমাংশু সেন) ইত্যাদি।

    টিয়া পাখি ছিল। তার ভাল নাম রূপচাঁদ পক্ষী, ডাকনাম এঁটোকাঁটা রায়। মারা যাবার আগে অন্ধ হয়ে গিয়েছিল বেচারা। ওর মৃতদেহ যেখানে পুঁতেছিলাম সেখানে ইট দিয়ে একটা মিনার গোছের কিছু তৈরি করার চেষ্টা করেছিলাম দুভাই মিলে।

    অনেক দিন আগের কথা এসব।
  • Blank | 69.93.204.84 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৯:৩৯573674
  • আপাতত অপিসের সামনে কর্তিক অর কর্তিকের দু গার্ল ফ্রেন্ড হলো পুষ্যি। সারাদিন ধরে গজা খায় আর দুপুরে মাছ/মাংস ভাত হলো এদের পাওনা। খুব আনন্দ পেলে কর্তিক প্যান্টুল এ মুখ ঘষে দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।
  • Blank | 69.93.204.84 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৯:৪৪573675
  • আর আমার বড় অ্যাকোয়ারিয়ামের শখ। টাওয়ার অ্যাকোয়ারিয়াম। কোলকেতার কোথায় পাবো। কেউ জানেন?
  • pi | 132.163.25.255 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২০:৩৩573676
  • দুটো গার্লফ্রেণ্ড ? ঝগড়াঝাঁটি না ক'রে একসাথে থাকে ?
  • nina | 78.34.167.250 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:০৫573677
  • পাই
    মানুষের মতন ঝগড়া পোষে না ওরা---

    ঝগড়াঝাঁটি ও করে ভাবসাবও করে--দিব্যি থাকে একসঙ্গেঃ-)
    আহা কুকুর বলে কি ওরা মানুষ নয়---বলাতে আমার ছেলে বলেছিল ( তার তখন সাত বছর বয়স)
    ওদের মানুষ বল্লে ওরা রাগ করে না, ওরা মানুষের চেয়ে অনেক ভাল --বিগ-হার্টেড ওরা।
    যেমন মানুষকে কুকুর বল্লে করে মানুষের প্রাউড হওয়া উচিৎ কিন্তু রেগে যায় তারা--হার্টটা ন্যারো!
  • পাই | 132.163.22.43 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:৩৪573678
  • ঃ)
  • i | 134.168.54.64 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১২:৪৩573679
  • এ কাহিনী অদ্যপি মরালবর্জিত। ব র মাতুলবাটিকাভিন্ন কেহ হাঁস পোষে নাই। সঙ্গীতশ্রবণে বোধ করি পাই মরালবাহিনী , কিন্তু দেখিলাম তিনি বায়স ও বৃক্ষপ্রেমী। দ সিংহবাহিনী হইবেন ভাবিলাম, তিনিও বায়্স ও নেড়িতে রহিলেন। ময়ূরবাহনও অধরা রহিয়া গেল। পেচক দর্শন দিয়া মিলাইলেন। এবং ইন্দুর কেহ পোষেন বলিয়া জানা গেল না।
    ডিডি বেগুণী উদবেড়াল ভুলিয়া কুকুরদা হইলেন। বৈড়াল গাথা কেহ লিখিলেন না।
    হস্তী, উষ্ট্র, জলহস্তী এমনকি অশ্ব অনাদৃত।
    বলিবার আর কি বা থাকিতে পারে!
    সারমেয়বিষয়ক দুইখান কথা বলিবার ছিল। বারান্তরে বলিব। আজি প্রাতে একটি সারমেয়শিশু পুষ্যি হইয়াছে -এইটুকুই বলি। বড় মায়া হে। বড় মায়া।
  • pi | 127.194.9.32 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৭:২৮573680
  • ছোটাইদি, ঃ)
    সারমেয় ও সঙ্গীত সম্বন্ধে দু চারখানি কথা আমারো কওনের ছিল। তবে তার উপযুক্ত স্থান ক্ষমা করিনি টই।
  • | 24.99.8.139 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৯:১৯573681
  • সিংহ। ছ্যঃ মহা অলস প্রাণী। পুরুষ সিংহগুলো তো একেবারেই হ্যাক থু টাইপ, মাদীগুলোও সুবিধের নয়। তবে হ্যাঁ আমার খুব রয়্যাল বেঙ্গলের ছানা পোষার শখ ছিল। আর একটা হাতী। পশুরাজ হল বাঘ আর মন্ত্রী হল গিয়ে হাতী।

    হ্যাঁ আমাদের একটা সাদাকালো ছিটকি পিটকি ছগল ছিল, নাম মোহন। আমাদের বাড়ীর নয়, কিন্তু রোজ এসে আমাদের কাছে মালতিপাতা খেয়ে যেত। রোজ বিকেলে আসত। এখন কতগুলো চড়াই আছে। ওদের জন্য খুরিতে জল না রাখলে জানলায় সমানে ঠোঁট দিয়ে ঠোকরাতে থাকে।

    আজকের সংবাদ প্রতিদিনের 'রোব্বার'এ নবনীতা দেবসেনের পুষ্যি নিয়ে লেখা আছে -- কালুর জন্য কেলোর কীর্তি'। মন খারাপ করানো লেখা।
  • | 60.82.180.165 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:২২573683
  • আমাদের একটা মাঝারি সাইজের খুব দুষ্টু পোষ্য আছে। তার কথা যত বলি, তবুও কম পড়ে। অসভ্যতার কথাই আগে বলি। দুষ্টুমিতে সে সবসময় এ প্লাস পায়। রেটিং টা অবশ্য ঘোতনই করে। কি রকম দুষ্টু কেউ ভাবতেই পারবে না। পড়তে বসে পড়া না পারলে হাসে।হাসতে হাসতে কুলকুচি করে জল ছিটিয়ে দেয়।কখনো বাবার সিগারেট চিবোয়,কখনো মার রান্নায় বেশি করে নুন দিয়ে দেয়।চুরি করে ফ্রিজ থেকে মাখন খেয়ে ফেলে।

    আর অসভ্যতার কথা কি বলবো। ধরো কোনো কারণে ঘোতন বকুনি খাচ্ছে, অমনি চেয়ারের হাতলের উপর বসে খিখি করে হাসে। এই মাত্র কদিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে ট্রেনে চড়ে নিউ ইয়র্কে বেড়াতে চলে গেছিলো- কত কান্ড্কারখানা করে তারপরে বাড়ি ফেরত এসেছে।-ফিরে এসে কানমলা খেয়েও হেসেছে।

    দিনের শেষে ঘোতন যখন শুতে যায়, রোজই তখন তার নানাবিধ অ্যাডভেঞ্চার গপ্পো আমাদের শোনাতে হয়।
    আলাপ করিয়ে দেই, ইনি আমাদের ম্যাওপাখি। বয়েস সাড়ে সাত। দেখতে পাখির মত, তবে ডানার পরের অংশটা বেড়ালের, একটা ইয়ামোটা ল্যাজ আছে। হাসিকান্নায়-আনন্দে-দুঃখে ঘোতনের( আমাদের) সবসময়ের সঙ্গীঃ)
  • Lama | 127.194.226.20 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:৩৬573684
  • ছোটাইদি, বৈড়ালগাথা লিখিলাম তো
  • Lama | 127.194.226.20 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:৩৮573685
  • পুরুষ সিংগিগুলো হ্যাকথু টাইপ? বোতীন আচো?
  • nina | 78.34.167.250 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৫:২৬573686
  • দেউলী জেলে আমার বাবাব্র এক পুষ্যি ছিল---কাঠবেড়ালী--নাম ছিল চার্লস টেগার্ট। সে নাকি বাবার ডানকাঁধের ওপর বসে থাকত।
    জেলের বাইরে রাজবন্দীরা যখন বাগানের কাজ করতে বেরোতেন--চার্লস টেগার্ট ছুটে বেড়াত আর বাবা ডাকলেই সে আবার কাঁধে চলে আসত।
    বাবার সব অদ্ভুত অদ্ভুত পূষ্যি ছিল--কোন এক আদিবাসী গ্রামে নাকি এক ঢোঁড়াসাপ ছিল পূষ্যি--সে নাকি শিশ দিলে এঁকে বেঁকে হাজির হত--
    এগুলো সবই বাবার বন্ধুদের কাছে শোনা--তবে বাবার সত্যি অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল পশুপাখীদের ট্রেন করার--পরে যখন বাবা পুরোপুরি সংসারী --তখন দেখেছি কুকুর বেড়ালদের পোষ মানানো--আর সবথেকে বড় পূষ্যি ছিল --এই আমি !!!!!!!
  • aranya | 78.38.243.161 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৯:২৪573687
  • বাবা টেগার্টকে বশ মানিয়েছিলেন :-) ।

    ম্যাওপাখি সুন্দর। সাম্পানেরও এরম বন্ধু ছিল বা আছে, গাড়ির বনেটের ওপর বসে থাকে - আকা লিখেছিল।

    বাচ্চাগুলোর কল্পনাশক্তি দেখে ভাল লাগে, পরে ক্রিয়েটিভ কাজকম্মে হেল্প করবে।
  • i | 147.157.8.253 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৮:৪৮573688
  • এ টই টা মায়াভরা। তো কেউ লেখে না কেন?

    লামা, সরি ভাই। অনিমেষ, হিমাংশুদের মিস করে গেছিলাম।
  • i | 147.157.8.253 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৮:৫৩573689
  • এস সি এইচ,
    স্থানীয় চিড়িয়াখানায় বিন্টুরং দেখে প্রেমে পড়ি আমরা তারপর পুষতে থাকি খাটের তলায়।
    তো, শৈশব ক্ষণস্থায়ী। ফলতঃ বিন্টুরংদের চিড়িয়াখানাতেই ফিরে যেতে হয়। খাটের তলা একদম পরিষ্কার এখন। পপকর্নের হাল্কা গন্ধ নাকে রয়ে গেছে শুধু।
  • শ্রাবণী | 127.239.15.104 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:০৬573690
  • আমার নিজের একদম নিজস্ব কোনো জ্যান্ত পুষ্যি ছিলনা কোনোদিন, সবই বারোয়ারী ছিল, বাড়ির। তবে ছিল অনেক, নানা সময়ে নানা প্রাণী। এখন মনে হয় বয়সে অনেকটা বড় দাদা দিদির কাছে আমিও পুষ্যিদেরই একজন ছিলাম বোধায়।

    প্রথম মনে পড়ে একটা ঘোর বর্ষার বিকেল, আমি দুয়ারে বসে আছি (হিসেব করলে বয়সটা নিয়ে ঘেঁটে যাই, মনে হয় চোখ ফোটার বেশী পরে নয়), পা ছড়িয়ে, মায়ের আশায়। তখন মাকে বেশীক্ষণ না দেখলে আমার ঠোঁট ফুলত, ফুলদির ভাষায় গুড়পিঠে উলটে যেত। একটা আকাশী জামা মনে হয় পরণে (কল্পনাও হতে পারে)। আমার চোখ উঠোন পেরিয়ে কলতলার দিকে যেখানে মা গেছে গা ধুতে।
    বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে মা আসছে ইঁট বিছানো পথ ধরে, হাতের অঞ্জলিতে কিছু নিয়ে একটু দ্রুতগতি, ফুলদি আর ছোড়দার নাম ধরে ডাকতে ডাকতে। মায়ের চোখেমুখে হাসি আনন্দ আরো কত ভাবের খেলা।
    দুয়ারে উঠে মা হাত খুলে দেয়, মাটিতে দুই ক্ষুদে ক্ষুদে লাল লাল পাখির বাচ্চা, আমার থেকেও ছোট, চোখ ফোটেনি ভালো করে। ঝড়ে ওদের বাসা ভেঙে পাঁচিলের ধারে বাঁশতলায় পড়েছিল।
    ওদের মা কোথায় গেল, আমি মহা চিন্তিত। আমার কাছে তখন কারুর মা না থাকা মানে একটা বিরাট ব্যাপার। ঘ্যানঘ্যান করতে থাকি ওদের মা কে খোঁজার জন্যে। শুনলাম ঝড় থামলেই নাকি ওদের মা ওদের নিতে আসবে।
    একটা খাঁচা রাখা দুয়ারের কোণে, আগে এক টিয়াপাখি থাকত তাতে, সে নেই হয়ে গেছে আমার জন্মেরও আগে। ছোড়দা খাঁচা নিয়ে আসে, মা হাসে। ঐটুকু বাচ্চারা খাঁচায় থাকবে কী!
    জামাকাপড় ছেড়ে মা ভাঁড়ার ঘর থেকে এক বাতিল ধুচুনি বার করে। দিদিদাদা পাখিদুটোকে ঘিরে আছে, আমি মায়ের আঁচল ধরে ঘুরছি নানা ব্যস্ততায়। সলতে দুধে ভিজিয়ে ওদের দুধ খাওয়ানো হয়, তারপর ঘুমোনোর জন্যে ধুচুনিতে ঢুকিয়ে ঘরের এককোণে রাখা হয়। কয়েকদিন এই নিয়েই আছে সবাই। মা হল দলের পান্ডা, মতলব দেয় নানা, ছোড়দা ফুলদি মায়ের বাধ্য সৈন্যদল, তা পালন করে,আমি দর্শক, দুধেভাতে। খেলাটেলা সব মাথায় উঠল, শুধু স্কুল আর হোমওয়ার্কের সময়টুকু বাদ দিয়ে বাকী সময় কাটে পাখি নিয়ে। এখন কী পাখি তাইতো কেউ জানেনা, তাই নিয়েও জল্পনাকল্পনা চলছে নিত্যদিন। বাবার কাছে বায়না হয় নতুন খাঁচার, পুরনো খাঁচাটা পুরনো হয়ে গেছে। একটু একটু করে একটু বড় হতে দেখা গেল পাখিদুটো আসলে চড়াই পাখি।
    বড় হওয়ার পর মা ছেড়ে দিল ওদের (এটা বোধহয় পরে আলোচনায় জেনেছি)।

    এইভাবে নানা আহত, বাসাভাঙা ডিমফোটা পাখিদের মা নিয়ে এসে শুশ্রুষা করেছে সময় সময়ে। কিভাবে এরা যেন মায়ের পথেই এসে পড়ত। একটা ধুচুনি পার্মানেন্ট রাখা ছিল মায়ের পক্ষীসেবাসদনের জন্যে।
    শেষ দুই পাখিকে ছোড়দা আমগাছের মগডালের বাসা থেকে নিয়ে এসেছিল, তাদের মাকে ভাম খেয়ে নিয়েছিল। তারা খুব ছোট ছিল বলে তখনো খায়নি বোধহয়, পরে খাবার জন্যে রেখে দিয়েছিল। মায়ের জন্যে ও ক্ষিদেয় মহা ক্যাঁচোরম্যাচোর জুড়েছিল, তাই শুনে ছোড়দা গাছে চড়ে অবস্থা দেখে নিয়ে এসেছিল। টিয়াপাখি ছিল দুটো, প্রথমে নাম রাখা হয় খোকাখুকি, পরে কী করে বোঝা গিয়েছিল জানিনা যে দুজনেই খোকা। ধুচুনি থেকে খাঁচায় ট্রান্সফার হল। পরে ছাড়তে গিয়ে দেখা গেল, দুটোই মহা আলসে, ওড়ার কোনো ইচ্ছেই নেই। অবস্থা দেখে তাদের আর ছাড়া হয়নি, রয়ে গিয়েছিল পুষ্যি হয়ে।

    প্রথম দিকে ছোড়দার দায়িত্বে ছিল খোকারা। চান করানো, খাঁচা পরিস্কার সব সেই করত। শুধু যে ওড়াতেই আলসেমি তা নয়, কথা বলতেও বড়ই অনিচ্ছা। যে যখন সময় পেত খাঁচার কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে "হরেকৃষ্ণ" টাইপের বুলি শেখাতে চেষ্টা করত (ওগুলৈ নাকি পাখিদের স্ট্যান্ডার্ড বুলি, রেকমেন্ডেড), কিন্তু ভবীদের ওসব ভবের চিন্তা ছিলনা, তারা নিজেদের মধ্যেই ক্যাঁচোরম্যাচোর করত। বড় হতে দুজনকে দুটো খাঁচায় রাখতে গেলে দুজনেই নাওয়াখাওয়া বন্ধ করে। অতএব অর্ডার দিয়ে বড় খাঁচা বানানো হয় তাদের জন্যে।
    ছোড়দা বাইরে পড়তে চলে গেল, অন্যদের জীবনে অন্য অনেক কিছু এসে গেল শুধু মায়ের জন্যে রয়ে গেল খোকারা। যখন কেউ আর বুলি শেখাতে যেত না, আগ্রহ শেষ, সেইরকম এক দিনে খোকারা নিজে নিজেই বলে উঠল, "খোকা খোকা", "হরেরাম, হরেরাম"।
    খাঁচার কাছে মুখটা নিয়ে গিয়ে ঠোঁট টা ফাক দিয়ে গলিয়ে দিতাম, খোকারা এসে ঠোঁট আমার ঠোঁটে ঠেকিয়ে আদর করত। কেউ বাড়িতে এলেই আমি এটা করে দেখাতাম। আমার দেখাদেখি অন্য বাইরের কেউ ঠোঁটের আদর করতে গেলে, কামড়ে দিত বদমাইশরা।
    ছোটবেলা কেন যে শেষ হয়ে যায়, এত তাড়াতাড়ি!
    ঘোরাঘুরি, এদিক ওদিক খুব হচ্ছিল সেসময় , পাখিদের নিয়ে সমস্যা হত। শেষে একদিন ওদের দিয়ে দেওয়া হল বরাবরের মত সেই পরিবারকে যারা আমাদের অনুপস্থিতিতে ওদের দেখাশোনা করত।
    প্রথম প্রথম খুব মনখারাপ, দেখতে যেতাম রোজ আমি, মা, পরে যাওয়া কমে গেল। একদিন শুনলাম অসাবধানে খাঁচা খোলা ছিল, একজন উড়ে গেছে। আমাদের বাড়িতে ওরা উড়তেই চাইতনা, খাঁচা খুলে দিলেও এসে আদুরের মত কাঁধে বসে থাকত। মন খারাপ হয়ে গেল, কেমন মনে হল, এতবছর বাদে অনভ্যাসে কতদূর আর যেতে পেরেছে! হয়ত তার আগেই ভাম বা বিড়ালের শিকার হয়ে গেছে।
    সঙ্গীর বিরহে অন্য খোকা প্রথমে খাওয়া ছেড়ে দিল, তারপরে দুনিয়া। আমরা অবশ্য এ পরিণতি দেখার জন্যে সেসময় সেখানে ছিলাম না, ভাগ্যিস!
  • sinfaut | 131.241.218.132 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:২৬573691
  • কিসিং গৌরামি।
  • মৌ | 233.223.140.81 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:২০573692
  • আগে খুব পুষতাম। বেশীর ভাগ কুকুর-বেড়াল, রাস্তার। খরগোশও ছিল। রাস্তায়ে যা পেতাম কুকুর ছানা, বেড়াল ছানা যারা হারিয়ে গেছে, বাড়ি নিয়ে আসতাম। বাবা খুব বকতেন, বিশেষ করে বিড়াল দেখলেই হাউ মাউ করতেন, ঘর দোর নোংরা করে। অনেক বিড়াল ছিল, বংশ পরম্পরায়ে। ছানা বিড়াল বড় হল, মা হল, ছানা দিলো,আবার ঐ বাচ্চা গুলো বড় হয়ে ছানা দিলো। প্রায়ে সাত-আঁটটা। আসতে আসতে সব মরে গেলো। খুব খারাপ লাগতো। পোষা প্রাণীর উপর একটা মায়া-দয়া পড়ে যায়। কিছু দিন আগে একটা বুলবুলি পেয়েছিলাম। বাচ্চা পাখী, ঠিক মতন উড়তে পারে না, বোধহয় ওড়া শিখছিল, পরে গেছে, ডানায় ব্যাথা। ছাদের কোনায়ে পড়েছিলো। আনলাম, যত্ন নিলাম, উড়তে পারত না, খোলাই রেখে দিতাম, ভাবছিলাম আসতে আসতে ওড়া শিখে যাবে। তার পর উড়ে চলে যাক। পুষবো না। দু-তিন সপ্তাহ ছিল। সেই না-না করেও আবার মায়া-দয়া পড়ে যায়। কিছু দিন পর ওটাও হঠাৎ মরে গেলো :"-(
    এখন কিছু পোষার কথা ভাবলেই ভয় লাগে।
  • বলরাম হাড়ি | 132.248.183.1 | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:৪৫573694
  • কিছুই পুষি নি কোনোদিন- একটা কচ্ছপ ছাড়া। তার নাম ছিল বিনোদিনী। আঙুলটা মুখের সামনে নিয়ে গেলে কুট করে কামড়াত। কিন্তু এ ছাড়া কমিউনিকেশন স্কিল খুবই খারাপ।

    পরে মেয়ে একটা গঙ্গাফড়িং পোষার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সে ফোটোর জন্য কয়েকদিন কোমরটোমর বাঁকিয়ে পোজ দিয়ে কোথায় ভাগলবা হয়ে গেল।

    তবে বাবা-মার সংসারে বেড়াল আসত। সে এক একজন এক এক চীজ। একজনকে ভালোভাবে অনুরোধ উপরোধ না করলে খাবার মুখেও তুলত না। আয় মা লক্ষ্মী খা এবার বলে খাওয়াতে হত। অন্য একটি কাঁটা ছাড়ানো মাছ খেত শুধু। আবদারের বলিহারি!

    এক আত্মীয়র বাড়ির পেটমোটা কুকুর নাকি লোক চেনে। খারাপ লোক দেখলেই উদ্দণ্ড চেঁচায়। ভালো লোক দেখলে চুপচাপ। খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম। আমাদের দেখে সেদিন চেঁচায় নি। কিন্তু চেষ্টা করি সেই বাড়িতে যত কম যাওয়া যায়। কোনদিন চেঁচিয়ে দেবে কে জানে বাবা! যতদিন ইমেজটুকু রক্ষা করা যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন