এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মালালা - আফগান মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের খন্ডচিত্র

    কল্লোল
    অন্যান্য | ২৪ অক্টোবর ২০১২ | ২০১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | 111.62.101.99 | ২৪ অক্টোবর ২০১২ ০৮:২৩574700
  • এই টইটা আগেই খুলবো ভেবেছিলাম। কিন্তু মনে হলো একটু সময়ের দূরত্ব জরুরী। তাই এখন খুললাম, যখন য়শ চোপড়া ও সুনীল গাঙ্গুলীর শোক পালন চলছে। এটাই ঠিক সময়, এই টইটার জন্য।

    মালালা। সকলেই জানি - আমার নাম তোমার নাম মালালা ইয়ুসুফজাই।
    তালিবানেরা মেয়েদের ইস্কুল বন্ধ করতে ফতোয়া দিয়েছে। তাদের বিচারে মেয়েরা শুধুই তাদের মতো করে ইসলামে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা বাড়ানোর হাথিয়ার মাত্র। তাই ওদের লেখাপড়া, খেলাধুলো, গান-বাজনা, জীবন-জীবিকা এসব শয়তানি চিন্তা। তোদের আল্লাহ পয়দা করেছেন পয়দা করার জন্য, পয়দা করে যা, তাতেই মোক্ষ।
    এরকম আরও মালালা আছেন। অসংখ্য মালালা।
    মালালা সুস্থ হয়ে উঠুক। ফিরে আসুক দেশে। আফগানিস্তানে তালিবান শয়তানির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মুখ হয়ে।

    কিন্তু, একটা মস্তো বড়ো কিন্তু থেকে যায়।
    নিউ আমেরিকা ফাউন্ডেশন বলছে, ২০১২ পর্যন্ত পর্যন্ত ৩৩৪টি ড্রোন আক্রমন হয়েছে ও তাতে মাত্র ৩১৯১ জন মারা গেছেন।
    অন্য একটি সুত্র (ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিসম) বলছে সংখ্যাটির মধ্যে ১৭৬ জন শিশু/কিশোর ও ৪৭৪ থেকে ৮৮৪ জন সাধারণ মানুষ। এছাড়া অসংখ্য বসতবাড়ি, ইস্কুল, ক্ষেত খামার স্রেফ উড়ে গেছে।
    মালালা যদি এই ১৭৬জনের মধ্যে পড়ে যেতো, ওর নাম কি জানতে পারতাম আমরা?
    ভাগ্যিস তালিবান শয়তানেরা হামলা করলো!!!
  • Rivu | 78.232.113.69 | ২৪ অক্টোবর ২০১২ ০৮:৪৪574730
  • আমেরিকার আক্রমণে প্রচুর কিশোর কিশোরী মারা যাচ্ছে। এবং তাদের নাম ও জানা যাচ্ছেনা। এটা সত্যিই খুবই দুঃখের ব্যাপার। দ্রোণ আক্রমণ অদূর ভবিষ্যতে কমার কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছেনা। ইউ এন, এবং অন্যান্য পরাক্রমী জাতিরা, as usual ওর যাচ্ছে যাকনা, আমার তাতে কি, এই নীতি নিয়ে চোখ বুজে আছে।

    কিন্তু, আমেরিকা, একটি কিশোরীকে লক্ষ্য করে দ্রোণ মারছেনা, যে শুধু স্কুলে যেতে চেয়েছিল। তালিবানরা সেটাই করছে।

    মৃত্যু মৃত্যুই, ধর্ষণ ধর্ষণই, তবু তাপসী মালিকের ধর্ষণ নাগরিক চেতনাকে বিশেষ ভাবে নাড়া দেয়, যদিও পশ্চিমবঙ্গে সেই দিনেই হয়তো একাধিক মহিলা একই রকম পাশবিকতার শিকার হয়েছিলেন।
  • কল্লোল | 111.62.101.99 | ২৪ অক্টোবর ২০১২ ০৯:০০574741
  • প্রশ্নটা বিশ্বাসের।
    তালিবানেরা মনে করে মেয়েদের বাচ্চা পয়দা করা ছাড়া কোন কাজ নেই।
    যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করে চাট্টি তালিবান মরতে গিয়ে চৌষট্টি জন আফগান মারা গেলে কোন ব্যাপারই নয়। কারন সাদা চামড়া ছাড়া অন্যেরা তো মানুষই নয়।
    প্রমান চান? দিতে পারি। কিন্তু প্রমান তো আসলে সত্যিকে মিথ্যে বা মিথ্যেকে সত্যি করে তোলার একটা প্রক্রিয়া মাত্র। তবু যদি একান্তই প্রমান চান তো দেওয়া যাবে।
  • ribhu | 78.232.113.69 | ২৪ অক্টোবর ২০১২ ০৯:০৮574752
  • আমি আমেরিকার নষ্টামির কোনো প্রমাণ চাইছিনা কল্লোল বাবু। সেতো আমরা সকলেই দেখেছি।

    লেখাটা পড়ে আমার মনে হয়েছিল, কোথাও একটা দাবি আছে যে তালিবান একটি এবং মার্কিন চার হাজারটি। সেই প্রেক্ষিতেই তাপসী মালিকের কথা। আপনার কথা মিসইন্টারপ্রেট করে থাকলে দুঃখিত।
  • কল্লোল | 111.62.101.99 | ২৪ অক্টোবর ২০১২ ০৯:২৭574763
  • না। তালিবান ১ আমেরিকা ১৭৬ এরকম কোন তুলনায় যাওয়ার কোন ইচ্ছে নেই।
    আমার বলার ছিলো তালিবানেরা আফগান মেয়েদের ইস্কুলে যেতে দেয় না। আমেরিকারও আফগানিস্তানে ইস্কুল নিয়ে কোন মাথাব্যাথা নেই।
  • Moloy | 106.240.8.111 | ২৪ অক্টোবর ২০১২ ০৯:৪৯574774
  • কয়েকদিন আগে NPR ( WNYC ) রেডিও তে এই টপিক টা নিয়ে একটা অনুষ্ঠান হয়েছিল । করাচী তে কোনো এক বিখ্যাত কলেজ এ মালালা কে নিয়ে কথা বলছিলেন কলেজ এর ই এক অধ্যাপক । ওখানে ঠিক এই প্রশ্ন টাই করেছিল কিছু ছাত্র ।
    drone attack কেন হয় বা drone attack এর non targeted casualty আর কারো মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে পয়েন্ট ব্লাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করার তফাত বোঝা টা এত কঠিন আগে ভাবিনি । NPR প্রোগ্রাম টা শোনার সময় ভাবছিলাম , গড ব্লেস পাকিস্তান । এখন দেখছি :) !!!
  • aka | 178.26.203.155 | ২৪ অক্টোবর ২০১২ ১৯:১৭574785
  • এই টইয়ের বক্তব্য বুঝতে পারলাম না।
  • a x | 118.207.193.38 | ২৪ অক্টোবর ২০১২ ২১:১৩574796
  • আমি তো বেশ বুঝতে পারছি। ঐ ১৭৬ জনের কোনো নাম নেই, কোনো মুখ নেই, কোনো ছবি নেই, কোনো স্যানিটাইজড অ্যাজেন্ডা নেই, তাই আইডেন্টিটি নেই।
  • achintyarup | 69.93.246.142 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ০৩:৩২574807
  • গুরুতে পাকিস্তানের কেউ আছেন নাকি?
  • Ishan | 60.82.180.165 | ২৯ অক্টোবর ২০১২ ০৮:২৪574701
  • আম্মো পরিষ্কার বুঝতে পারছি। কিন্তু কোথায় যে যাই সেটা বুঝতে পারছি না। :(
  • কল্লোল | 111.63.205.153 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১১:৫৪574712
  • মলয়বাবুর Date:24 Oct 2012 -- 09:49 AM পোস্টটা, চোখ এড়িয়ে গেছিলো।
    "drone attack এর non targeted casualty আর কারো মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে পয়েন্ট ব্লাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করার তফাত বোঝা টা এত কঠিন আগে ভাবিনি।"
    সত্যিই তফাৎ বোঝাটা যে এত্তো কঠিন সেটা আমিও ভাবিনি। তো, এবার ভাবি।
    একটা স্কুল বাসে অনেক মেয়ে ইস্কুল যাচ্ছিলো। তালিবান শয়তানেরা মনে করে, মেয়েদের, কোরাণ হদিশ ছাড়া অন্য কোন পড়াশোনা করাটাই পাপ। সেই পাপ করছিলো ঐ বাস ভর্তি মেয়েরা। তারা ইসলামের শত্রু। মালালা নামে মেয়েটি সেই পাপের মুখ্য পাপী। গোটা বাসটা উড়িয়ে দিলেই ল্যাঠা চুকে যেতো। তা না করে মুখ্য পাপী (শত্রু)র মাথায় গুলি করলো।
    মার্কিন ও তার মিত্রর শয়তানেরা মনে করে, তালিবানেরা মানবতার শত্রু। একটা জনবসতির একটা অঞ্চলে একজন বা একাধিক তালিবান নেতা লুকিয়ে আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ড্রোন হামলা হলো সেই এলাকায়। চার বা চোদ্দজন মানবতার শত্রুকে মারতে চল্লিশজন সাধারণ মানুষ, যারা মানবতার শত্রু কিনা নিশ্চিত নয়, মারা গেলো, আহত-টাহত আর ধরছি না।
    দুটোর তফাৎ বোঝা এতো কঠিন সেটা সত্যি এখনো বুঝতে পারছি না।

    আসলে ব্যাপারটা এভাবেও দেখা যেতে পারে হয়তো।
    সাদা চামড়ার শাসকদের কাছে অশ্বেতকায় মানুষেরা আসলে না-মানুষ। তাদের একটা মরলো কি দশটা তাতে কি বা অসে যায়!!
    আজকের বিষয় নয় এটা। আনবিক বোমা সাদা শাসকেরা হলুদ না-মানুষদের মাথায় ফেলবে, দুবারই। একটি জাপান অন্যটি জার্মানীতে নয়। হাজার হোক হিটলার বা জার্মানেরা সাদা চামড়া তো বটে!! তাদের বছর ব্ছর বিকলাঙ্গ শিশু জন্মাবে, সে তো হতে দেওয়া যায় না!!!

    এর পরই কথা উঠবে আমি তালিবানদের নৃশংসতাকে সমর্থন করছি। আমি পার্ল হারবার ইচ্ছে করে ভুলে যাচ্ছি।
    দোষ যদি দিতেই হয় তবে, দয়া করে অন্য কিছু বলবেন কি?
  • lcm | 34.4.162.218 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১১:৫৯574722
  • এ আর নতুন কথা কি, সেই কবে থেকে শুনে আসছি। সাদা চামড়া বাজে, বাকীরা ভালো।
  • dd | 120.234.159.216 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১২:১২574723
  • কথাটা আণবিক নয়, পারমানবিক বোমা।
    আচ্ছা, ইংরাজীতে কেউ কখনো অ্যাটম বোম না লিখে মলিকিউলার বোম লিখেছে - এরকম শুনেছেন?
  • dd | 120.234.159.216 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১৪:১৭574724
  • আরেকটা কথা।
    ১৯৪২ থেকেই জার্মানীর শহরে শহরে বৃটীশ বোমারু হানা দিয়েছে কোনো রকম মিলিটারী অবজেকটিভ ছাড়াই। অক্টোবর থেকে আম্রিকানারাও যোগ দেয়।

    আম্রিকারা দিনের বেলায় রেইড চালাতো। তাদের ছিলো প্রিসিসন বম্বিং। কল কারখানা ধ্বংশ করা ইঃ। বৃটীশদের ঘোষিত নীতি প্রথম থেকেই ছিলো শহর পুড়িয়ে দেওয়া। হামবুর্গে এক রাতে চল্লিশ হাজার লোক মারা যায়। এরকম ফায়ার স্টর্ম চলে জারমানীর সব কটা শহরেই ।

    যদি পারি তো বম্বার হ্যারিস আর চার্চিলের উক্তিগুলো হুবহু তুলে দেবো। সন্ধ্যাবেলা।কি ভাবে তারা বিশ্বাস করতেন এই ভাবেই জার্মান জনতার মনোবল ভেঙে যাবে। জার্মানী এতেই যুদ্ধে হেরে যাবে। এরিয়া বম্বিং,টেরর বম্বিং। এরকম নাম ছিলো।

    সুতরাং ঐ যুদ্ধেই সাহেব বনাম সাহেব লড়াইটাও ঐ রকমই ছিলো। সাহেবরা শুধু বেছে বেছে কালো হলুদ খয়েরীদের উপর বোম মেরেছে এটা ঠিক কথা না।
  • dd | 120.234.159.216 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১৪:২০574725
  • এবং আরেকটা কথা।

    জাপানীরা সমগ্র এশিয়ায় যে বিভৎস অত্যাচার চালিয়েছে তার সাথে একমাত্র নাৎসি বিভৎসতারই তুলনা হয়। বা তাও ও হয় না।

    গনহত্যা,অত্যাচার - ওটা কোনো চামড়ার জন্যই নিদৃষ্ট নয়। সব মানুষেই করতে পারে।
  • Demba Ba | 131.241.218.132 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১৪:২৭574726
  • ডিডিদা - হামবুর্গ না ড্রেসডেন?
  • dd | 120.234.159.216 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১৪:৩১574727
  • ও আরো একটা কথা।
    ঐ "বছর বছর বিকলাংগ শিশু জন্মাবে " একটি হাইপ মাত্র। যুদ্ধের পরে নানান স্টাডী হয়। কয়েকটিতে উল্লেখ করেছে সে সময়ের গর্ভবতী মায়েদের সন্তানদের মধ্যে বিকলাংগ সন্তানের সংখ্যা স্বাভাবিকের থেকে বেশী।কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী কোনো লক্ষণ ধরা পরে নি।

    দুটি শহরই, বিশেষতঃ হিরোসিমা বেশ জমজমাট বড়ো শহর। প্রায় সম্পুর্ন বিদ্ধ্বস্ত দুটি শহরেই যুদ্ধের পরেই আবার করে রিহ্যাবিলেটেশন শুরু হয়েছিলো। স্বাস্থ্যের কারন শহর ছেড়ে পালানোর কোনো সীনই ছিলো না। এখনো ,স্পেসালি,হিরোশিমা খুব বড় শহর।

    কয়েক প্রজন্ম জুড়ে ঐ বিকলাংগ শিশুর ভয় থাকলে ওখানে অমন শহর দানা বাঁধতো না।
  • dd | 120.234.159.216 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১৪:৩৩574728
  • প্রথম ফায়ার্স্টর্ম হয় হামবুর্গে -১৯৪২।

    ড্রেসডেন ১৯৪৫'এ যুদ্ধ একেব্বারে শেষ হওয়ার সময়ে। ততোদিনে ঐ এরিয়া বম্বিং মুখস্ত হয়ে গেছে মিত্রপক্ষের।
  • dd | 120.234.159.216 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১৪:৩৮574729
  • আরো একটা কথা।

    জাপানে অ্যাটম বোম ফেলার জন্য একটা কনস্পিরেসি থিওরী আছে। শুনবেন?

    নাকি জাপানীরা ওকিনাওয়া দখল হয়ে যাওয়ার পরই আত্ম সমর্পন করার কথা ভাবছিলো। সেরকম কিছু খবর নাকি আম্রিকার কাছে পৌঁছায়।

    ট্রুম্যান সাহেব হাঁ হাঁ করে ওঠেন। "শিগগির শিগ্গিরর দুটো অ্যাটম বোম ফেলে আয়তো রে প্যালা, যুদ্ধ বোধয় শেষ হয়ে গ্যালো রে"।

    কেনো ? নাকি এতে করে রাশিয়া খুব বোমকে যাবে। প্লাস বিজ্ঞানীরাও খুব ঘ্যান ঘ্যান করছিলেন"আমরা একটু স্টাডী করবো"

    এই জন্য। দৃ পড়লে খুসী হবেন।
  • dd | 120.234.159.216 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১৪:৪৮574731
  • আরেকটা কথা।

    ৪৫'র মার্চ মাসে টোকিওতে বিকট বোম ফেলা হয়। এক রাতেই প্রায় ১৬ কিমি এরিয়া পুড়ে যায়। টোকিওর বাড়ীগুলি যে বেশীর ভাগই কাঠের সে তো জানেনই। তিন লক্ষ ইন্সেন্ডিয়ারী বোম ফেলা হয় এক রাতে।

    কতো সিভিলিয়ান মরলো? আম্রিকা বলে ৮৮ হাজার। জাপান বলে এক লক্ষ থেকে সোয়া লক্ষ।

    হিরোসিমা ও নাগাসাকির ইম্মিডিয়েট ডেথ টোল জোড়া করলেও এর থেকে কম।

    অথচ দেখুন,দেখুন যতো নাচানাচি হিরোসিমা নাগাসাকি নিয়েই। এই সব রেইডের কথা জানতেও চায় না।
  • কল্লোল | 111.63.178.128 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১৪:৫৪574732
  • লসাগু। একটু তাড়াহুড়ো হয়ে গেলো।
    আমি লিখেছিলাম সাদা চামড়ার শাসকেরা মনে করে অশ্বেতকায়রা না-মানুষ। সাদা চামড়া মাত্রই খারাপ এটা লিখিনি।

    ডিডি।
    পারমানবিক বোমার এক্ষপেরিমেন্টটা ইউরোপে করা হয় নি। দিনের শেষে এটাই সত্য।
  • dd | 120.234.159.216 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১৫:০০574734
  • কল্লোল , কোনো রকম ঐতিহাসিক পারস্পেকটিভ ছাড়াই ওরকম এক লাইনের "দিনের শেষের সত্য" দিয়ে পৃথিবীর যে কোনো থিওরী দাঁড় করিয়ে দেওয়া যায়।

    কটা চাই?
  • de | 190.149.51.67 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১৫:০০574733
  • ড্রেসডেনের প্রত্যেকটা মনুমেন্ট টাইপের জায়গা গুলোতে এখনো ১৯৪৫ এর ছবি টানানো আছে --কম্পেয়ার করার জন্য, মা জা ছিলেন, যা হইয়াছেন টাইপ --পুরো মাঠ হয়ে গেছিলো শহরটা

    তবে ডিডিদা, আমি ব্যক্তিগত ভাবে একটি জাপানী ফ্যামিলিকে চিনতাম -- তাদের দাদু হিরোশিমার সার্ভাইভার -- গত দুটো প্রজন্ম ধরে ব্লাড ক্যানসার ওদের সঙ্গী -- আমার এই বন্ধুটি, অত্সুশি ইয়ামাসাকি মারা যায় গত ২০০৭ এর এপ্রিলে -- লিউকিমিয়াতেই, সেই সময় ওদের ফ্যামিলির অনেকের সাথে আলাপ হয়েছিলো, ওনারা কিন্তু হিরোশিমা বম্বিংকে যথেষ্ট দায়ী মনে করেন --
  • dd | 120.234.159.216 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১৫:০৭574735
  • @দে। ওনারা কেনো। বহু লোকেই মনে করে। তো প্রায় ৬৭ বছর হয়ে গেলো। বলেন এই দুটি শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্যানসারের প্রবনতা বেশী। কিন্তু সেটা অ্যাবনরম্যালি বা স্ট্যাটিসটিক্যালি সিগনিফিকেন্টলি হাই ছিলো না।

    কতো স্টাডী ই তো হয়েছে। কখনো প্রতিক্রিয়া ইঃ এমন অস্বাভাবিক ছিলো না যাতে শহর অ্যাবানডন করবার কথা কখনো উঠেছিলো। জাপানের অন্য সব কটা শহরের মতনই এই দুটো শহরেও লোকে স্বাভাবিক ভাবেই বসবাস করেছিলো আর এখনো করে।
  • কল্লোল | 111.63.227.25 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১৬:৫১574737
  • আমার Date:31 Oct 2012 -- 11:54 AM পোস্টের শেষ দুই অনু্চ্ছেদ প্রত্যাহার করলাম।
    প্রথম অংশটিই আমার বক্তব্য।
  • achintyarup | 125.111.242.140 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১৭:২৪574738
  • মালালাকে নিয়েও কেউ দু-চার পয়্সা দিন না
  • aka | 178.26.203.155 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ১৭:৫১574739
  • আমারও সেই বক্তব্য মালালাকে নিয়ে দুচার পয়সা হলে হত। আম্রিগার সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাওয়া নিয়ে কিলোখানেক টই অলরেডি আছে মনে হয়।
  • a x | 138.249.1.202 | ৩১ অক্টোবর ২০১২ ২২:১৫574742
  • ইন্টেরেস্টিং হচ্ছে মালালা সংক্রান্ত এই সব আলোচনায় বারবার উঠে আসছে পড়াশোনা করতে চাওয়া একটি মেয়েকে তালিবানরা কীভাবে মাথায় গুলি করে ফেলল। খুব স্যানিটাইজড পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি ছবি। আপনার রাগ, অনুকম্পা ইত্যাদি তৈরি করার পক্ষে খাপে খাপ।

    কিন্তু মালালা কে? মালালা শুধুমাত্র একটি পড়াশোনা করতে চাওয়া ডিফাইন্ড ফ্রিডম কাঙ্খি কেউ না। মালালা একজন উঠতি লেফট কিশোরী অ্যাক্টিভিস্ট ছিল। এই পর্যন্ত শোনার পরেই এখানে অনেকেই হাঁ হাঁ করে উঠবে। শুনুন তবে, মালালাকে গুলির খবর যখন প্রথম বেরোয়, সার্চ করে উইকি পেজে গেলে আপনি এই ছবিটি দেখতে পেতেন -



    এই ছবিটা নেওয়া হয় সোয়াট ভ্যালিতে International Marxist Tendency আয়োজিত মার্ক্সিস্ট সামার স্কুলে যেখানে মালালা পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে কথা বলছে।

    এই ছবিটা উইদিন মিনিটস উধাও হয়ে যায় এবং ইমেজ সার্চ দিলে "নিরীহ" কিছু ছবি ছাড়া এরপর আপনি এটিকে বিশেষ দেখতে পাবেন না। বিশুদ্ধ একটি পলিটিক্স বিহীন, মানবিকতায় আবেদন রাখা কিছু ছবি শুধু দেখা যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন