এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইঁদুর-মানুষদের গল্প ও টিকাসমূহ

    sosen
    অন্যান্য | ০৭ ডিসেম্বর ২০১২ | ৫৩৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sosen | 126.203.189.43 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:০৮582992
  • এই যা। কিন্তু ছবি না দিয়ে বোঝানো মুশকিল তো। মানে গুচ্ছ লিখতে হবে।
  • sosen | 126.203.189.43 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:৩৯582993
  • এবার আসছে শর্ট-টার্ম স্মৃতি। বাংলায় বলি, স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি, যা কিনা মোটামুটি ২০-২৫ সেকেন্ড থাকতে পারে, কখনো একমিনিট অব্দিও থাকে।

    স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি ঝেড়ে বেছে তুলে নেয় অনুভুতিজনিত সেনসরি স্মৃতির কিছু কিছু । এটাকে বলতে পারো স্মৃতির "পোস্ট -ইট" বা "স্টিকি নোট"। একইসঙ্গে মনে রাখা এবং তথ্য প্রসেস করা এই স্মৃতির পূর্বশর্ত। যেমন, তুমি এই লেখাটা পড়ছো। এর একটা বাক্যের মানে শেষ অব্দি বুঝতে গেলে, বাক্যের প্রথমটা মনে রাখতে হবে, তবেই পড়া শেষ হওয়ার সাথে সাথে অর্থবোধ হবে। যদি পড়তে পড়তে বাক্যের প্রথমটা ভুলে যাই, তবে তো আর বুঝতে পারব না। তাহলে আর কখনই ওটা বুঝতে পারব না, এবং সেই জন্য পরবর্তী ধাপ, লং-টার্ম মেমরি, দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে ওটা আর কখনো যাবেনা। এইখানে শুরু হয় ভুলে যাওয়ার গপ্প। যা দেখেছি , যা শুঁকেছি , যা শুনেছি, হিপ্পক্যাম্পাস তাদের ফটাফট পোস্ট ইট বানিয়ে দেয়ালে সেঁটে দেয়। স্বল্পস্থায়ী স্মৃতিকে ওর মধ্যে থেকে দরকারী স্মৃতিগুলোকে বাছতে ও তুলে নিতে হবে ১/৫ থেকে ১/২ সেকেন্ডের মধ্যে। সেই বাছা বাছা পোস্ট ইট গুলোই রইলো এবার। কিন্তু ওদের আয়ু ২০ থেকে ৬০ সেকেন্ড। এর মধ্যে হিপ্পক্যাম্পাসকে যা করতে হবে, তাকে বলে reconsolidation । অর্থাৎ যে স্মৃতিগুলো প্রাইমারিলি যেভাবে দরকার, তাকে খোপে খোপে সাজিয়ে বাক্সে ভরে ফেলা, এবং তাকে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সএ পৌঁছে দেওয়া। ঐখানে স্বল্পস্থায়ী স্মৃতির স্টোরেজ। কিন্তু এই পুরো সময়টার দৈর্ঘ্য খুব কম। যত বেশি সম্ভব পোস্ট ইট বানাতে গেলে এই সময় টুকুকে অনেক বেশি এফিসিয়েন্টলি ব্যবহার করতে হবে। কি ভাবে তা করা যায়?
    ১। repetition বা রিহার্সাল - বার বার ওই পোস্ট ইট সাঁটা, বার বার একই স্মৃতিকে ঝালানো। মুখস্থ করা। এতে একই স্মৃতি অনেক বেশি পরিমাণে তৈরী হয়। তাই অন্যান্য স্মৃতিকে চাপা দিয়ে নিজে মনে থাকে।
    ২। কোনো পূর্ববর্তী স্মৃতির সাথে এসোসিয়েট করা- একটা মানে দেওয়া ব্যাপারটাকে। যাকে বুঝে পড়া বলে। এতে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতির দরকার।
    ৩। chunking - একটা সহজবোধ্য ধরনে তথ্যকে সাজানো- যেমন ফোন নং মনে রাখা, ৩-৩-৪ ফরম্যাটে , ইত্যাদি। এতেও দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতির দরকার।

    স্বল্পস্থায়ী স্মৃতির এই সাজানো -গোছানোর মধ্যে বাইরের , পরিবেশের অশান্তি ঝামেলা ডেকে আনে। হয়ত পারসেপশন এবং এই স্মৃতির উঠোন অনেকটা ওভারল্যাপিং বলেই।
  • sosen | 126.203.189.43 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:৪৪582994
  • এই সব কাজকম্ম সবই আসলে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরী করার জন্যই। দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি বা লং টার্ম মেমরি ই হলোগে যাকে আমরা রোজের কথায় স্মৃতি বলে থাকি। দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি ছড়িয়ে থাকে গোটা ব্রেন জুড়ে। যে কোনো লোবে।ছোট ছোট নিউরাল সার্কিটে, যেগুলো কিনা একটা গ্রুপ অফ নিউরোন। ব্রেনের দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি সঞ্চয় ক্ষমতা অসীম, স্বল্প, বা অতি স্বল্পের মত সীমিত নয়। ক্রমাগত তৈরী হতে পারে এই সার্কিট। কোনো একটা লোবে গোছানো সাজানো থাকেনা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি। তবে একটা প্রিভ্য়ালেনস থাকে, যেমন আবেগ , ভয় , ব্যথার স্মৃতির নিউরাল সার্কিট গুলো থাকে এমিগডালায়। দর্শন সংক্রান্ত স্মৃতিগুলো থাকে ভিস্যুয়াল কর্টেক্সে। এরকম। এই নিউরাল সার্কিট গুলোর মধ্যে এক একটা এক্স্পিরিয়েন্সের পুরো স্মৃতি লুকিয়ে থাকে। মনে করা মাত্রেই পুরো নিউরাল সার্কিট ফায়ার হয়, এবং স্মৃতি উঠে আসে, যাকে আমরা বলি রিকল, মনে করা। যে সব স্মৃতিগুলো একে অন্যের সাথে সম্পর্কিত, তাদের মধ্যে নিউরোনাল যোগাযোগ থাকে। এই সম্পর্ক খুব একান্ত হলে একটি স্মৃতি রিকল করলে অন্যটিও ভেসে ওঠে, যেভাবে মায়ের স্মৃতির সঙ্গে জবাকুসুম তেলের গন্ধ, কিংবা শীতের সকাল শুনলেই সাথে কুয়াশার রং ভেসে আসে। এর কারণ হল, একটি নিউরাল সার্কিটকে ফায়ার করলে অন্যটিও ফায়ারড হয়, যেহেতু স্ট্রাকচারালি তারা জোড়া। একে বলে এসোসিয়েশন। অনেক সময় এসোসিয়েটে ড অনেক স্মৃতি মনে করা যায়না, কারণ ওই যোগাযোগের নিউরোনগুলো এত অব্যবহৃত যে ওরা কিছুতেই ফায়ার করে না। কিন্তু সেই সময় প্রবল মনোযোগ দিয়ে রিট্রিভ করার চেষ্টা করলে অনেক সময়েই এই দূরবর্তী স্মৃতিগুলো ও মনে করা সম্ভব। হিপনোসিস দিয়ে সেটাই করা হয় । দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি কোথাও হারায় না। কোনো না কোনো ভাবে তার সাথে জড়িত স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি গুলো রিকল করা গেলে, বা পারসেপশন রিকল করা গেলেই ওই নিউরাল সার্কিট টিকে ফায়ার করা সম্ভব, এবং স্মৃতি ফিরে আসা সম্ভব।

    এই পুরো পদ্ধতিটা ঠিকঠাক চলবে যখন মাঝে কোনো ডিস অর্ডার নেই। সেগুলোর কথায় আসছি।
  • rivu | 78.232.113.69 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:৪৯582995
  • সোসেন, খুব ভালো লিখছেন, ধন্যবাদ।

    বায়োলজি পড়ি নাই বেশি, খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে। বিশেষত স্মৃতির ব্যাপারটা তো এক্কেবারে কম্পুর মেমরি মডেল।

    একটা প্রশ্ন ছিল, এই যে বলছেন " গন্ধের অনুভূতি সবচেয়ে দ্রুত স্মৃতিতে চলে যেতে পারে" (বা পরেও অনেকবার করেছেন) এই "চলে যাওয়া" ব্যাপারটা কি ভাবে হয়? মানে এখানে কি কোনো ইলেক্ট্রিকাল সিগনাল টাইপের জিনিস কাজ করে?

    আবার ধন্যবাদ।
  • siki | 24.97.166.150 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:৫৭582996
  • অলফ্যাক্টরি ট্র্যাক্টের মাধ্যমে। পড়েছিলাম বোধ হয় ক্লাস এইট না নাইনের ইংলিশ বইতে।
  • rivu | 78.232.113.69 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৪:০৩582997
  • আমার প্রশ্নটা বোধ হয় বোঝাতে পারিনি। ধরুন, একটা তারের মধ্যে দিয়ে সিগনাল যাচ্ছে। এক্ষেত্রে, ট্র্যাক্ট টা কি তারটা নয়? আমি জিগ্গেস করছি সিগনাল টা কি?
  • sosen | 126.203.189.43 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৪:৩৭582998
  • দীর্ঘস্থায়ী বা লং টার্ম মেমরি কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়,
    ১। Declarative (explicit) ও ২। Procedural (implicit )
    Declarative স্মৃতি হলো "knowing what " । অর্থাৎ, কি ঘটেছিল, সাল তারিখ, পড়াশুনো, নম্বর, গানের স্বরলিপি,ইত্যাদি মনে রাখা। একে মাইন্ড মেমরি ও বলা হয়।
    Procedural স্মৃতি হলো "knowing how " । একে বডি-মেমরি ও বলা হয়। কিভাবে বাইক চালানো হবে, গাড়ি চালানো হবে, পিয়ানো বাজানো হবে আরো অন্যান্য স্কিল যেগুলো প্র্যাকটিসের ফলে প্রায় প্রতিবর্তে পরিণত হয়, এগুলো Procedural স্মৃতি, যার সাথে মোটর একশন জড়িত।
    এখানে টুইস্ট হলো, এই দুধরনের দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতির সঞ্চয় স্থান ও তৈরী হওয়ার পদ্ধতি আলাদা।

    মাইন্ড মেমরি গ্রথিত হয় hippocampus, entorhinal cortex ও perirhinal cortex এ , তার পর সঞ্চিত হয় টেম্পোরাল কর্টেক্স ও আরো অন্যান্য জায়গায়। হিপ্পক্যাম্পাস/মিডিয়ান লোব না থাকলে মাইন্ড মেমরি গ্রথিত হবেনা এবং শর্ট থেকে লং টার্ম মেমরি তৈরী হবেনা । কিন্তু আগে শেখা টাস্ক গুলি তো অলরেডি সঞ্চিত হয়ে গেছে , তাই সেগুলি আপনাআপনি হবে, দাঁত মাজা, শেভ করা , ভাষা , এসব কিছুই ২৭ বছরে আর ভোলেন নি এইচ এম, এইজন্য।

    বডি -মেমরি গ্রথিত ও সজ্জিত হয় cerebellum, putamen, caudate nucleus ও motor cortex এ যেসব জায়গাগুলো মোটর নার্ভের সাথে যুক্ত। হিপ্পক্যাম্পাসের অবদান এখানে প্রায় নেই। স্কিল শিক্ষা সঞ্চিত হয় পুটামেনে, যেমন বাইক চালানোর শিক্ষা।Instinctive action যে চট করে একটা গাড়ি সামনে এলে ব্রেক কষতে হবে, তা নিয়ন্ত্রণ করে caudate nucleus; টাইমিং ও কো-অর্ডিনেশন নিয়ন্ত্রণ করে cerebellum . তাই , হিপ্পক্যাম্পাস ছাড়াও আগে শেখা Procedural স্মৃতি অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব, আরো উন্নত করাও সম্ভব। নতুন স্কিল শেখাও সম্ভব, কিন্তু যে শিখবে তার সকল বার ই মনে হবে এটা সে এই প্রথম শিখছে। এইচ এম এর ক্ষেত্রে এটাই দেখা যায়। প্রত্যেকবার শেখালে উনি একটা টাস্ক ঠিক ই করতেন। কিন্তু পরের বার আবার করাতে গেলে ওনার মনে থাকত না যে উনি এই টাস্ক আগেও করেছেন। আবার নতুন করে শিখতেন। কিন্তু দক্ষতা বাড়ত, কারণ রিপিটিটিভলি একই নিউরাল সার্কিট ফায়ার হয়ে ওই সার্কিট স্ট্রং হয়ে উঠত।

    তাহলে সিকির প্রশ্নের উত্তর হলো, মাইন্ড ও বডি স্কিলের জন্য মস্তিষ্কের আলাদা অংশ দায়ী। তাই দু ধরনের স্মৃতি দুই বিভিন্ন রকমে এক্সিকিউট হয়। একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্যটি সুস্থ থাকা বেশ সম্ভব।

    এইচ এম এর ক্ষেত্রে অপারেশনের ফলে শর্ট টার্ম ও লং টার্ম স্মৃতির মধ্যে যোগাযোগের রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যায়, Declarative স্মৃতির ক্ষেত্রে । ফলে নতুন শর্ট টার্ম স্মৃতি থেকে নতুন লং টার্ম স্মৃতি আর তৈরী করতে পারতেন না। তাই নতুন মুখ চিনতে পারতেন না, এখুনি কি করেছেন জানতেন না। পুরনো লংটার্ম স্মৃতি অক্ষুন্ন ছিল। আর Procedural স্মৃতিও ছিল কার্যকর। শুধু প্রতিবারই ভাবতেন এই কাজটি এই প্রথম করছেন।

    আশা করি মোটামুটি বোঝা গেল।
  • sosen | 126.203.189.43 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৫:০৬582999
  • রিভু, নিউরোন কেমিক্যাল ও ইলেকট্রিক সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে। ইলেকট্রিক তারের মতই নিউরোন গুলি একের পর এক জোড়া। এরা electrically excitable সেল, গায়ে প্রচুর ভোল্টেজ গেটেড ও কেমিক্যালি গেটেড আয়ন চ্যানেল থাকে। সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্লোরাইড এইসব আয়নের কন্সেন্ট্রেশন ডিফারেন্স থাকে সেলের ভিতরে ও বাইরে, ফলে একটা ভোল্টেজ গ্রেডিয়েন্ট তৈরী হয়। এই ভোল্টেজ গ্রেদিয়েন্ট অনেক বেড়ে গেলে একটা অল/নান ইলেক্ট্রো কেমিক্যাল পালস হয়, যাকে বলে একশন পটেনশিয়াল। নিউরোট্রান্সমিটার কেমিক্যাল চ্যানেল গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে একই রকম কাজ করে। ক্রস মেমব্রেন একশন পটেনশিয়াল তৈরী করে। এই একশন পটেনশিয়াল পরবর্তী নিউরনে ট্রান্সমিট হয়। এটাকেই ফায়ারিং বলা হচ্ছে। একের পর এক নিউরনকে ফায়ার করে করে এই একশন পটেনশিয়াল যেতে থাকে। এটা একমুখী গমন। এটাই নিউরোনাল সিগন্যালিং।
  • একক | 24.99.23.70 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৫:১৫583000
  • একটা ছোট্ট প্রশ্ন ।

    কমপ্লেক্স মেমরি প্যাটার্ন কে ইউনিট মেমরি মডিউল এ দিভাইদ করার প্রসেস কী ? হোয়াট আই মীন মানুষের মাথা কিভাবে এই ডিসিশন ত্রি টা মেইন্তেইন করে এবং নেটওয়ার্ক সামলায়।

    খুব সহজ কেস হিসেবে নিলুম বিরিয়ানি ! আপনি বিরিয়ানি খেলেন ।কমপ্লেক্স টেস্ট + কমপ্লেক্স স্মেল +কোম্প্লেক্ষ টেক্সচার এই ৩ রকম ডেটা টাইপ এর ৩ তে স্ট্যাক আপনার ৩ তে লোকেশন এ চলে গ্যালো ।

    ১) এইবার আবার যখন অন্য দোকানে বিরিয়ানি খান তখন কিভাবে এই মডিউল গুলো রিকম্পাইল হয় ?
    ২) ৩ তে মিলে যে স্ত্রাক্ট অর্থাত ( স্ত্রাক্ট বিরিয়ানি বিরিয়ানি ) এইটা কোথায় স্টোর থাকে ?

    ৩) যদি ঠান্ডা লেগে আপনার নাক বন্ধ হয়ে যায় তখন বিরিয়ানি খেলেও স্মেল পাবেন না । বাকিগুলো পাবেন । কাজেই নতুন স্ত্রাক্ট টা কিভাবে ওভাররায়য়িদ হয় ?
  • sosen | 126.203.189.43 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৫:৫২583002
  • প্রথম এক্সপিরিয়েন্স

    এবার
    ১। অন্য দোকানে খেতে গেলে A , B , C , D র সব সাবকম্পোনেন্ট আলাদা আলাদা ভাবে রিকল হবে। এটা আর একটা নতুন এক্সপিরিয়েন্স হিসেবে তৈরী হবে, কিন্তু বিরিয়ানির আন্ডারে থাকবে, যাতে বিরিয়ানি খাওয়া বললে এবার আগের এক্সপিরিয়েন্স আর এটা এক সাথে রিকল করে।

    ২। বিরিয়ানি একসাথে এপিসোড মেমরি হিসেবে স্টোর হবে। ফ্রন্টাল কর্টেক্স। কিন্তু তার শাখাপ্রশাখা বিভিন্ন লোবেই থাকবে। যে কোনো একটা দিক ধরে টানলেই পুরোটা চলে আসতে পারে। একটা ওপেন নেটয়ার্ক।

    ৩। এখানে ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়েছে সেটা যখন আপনি জানেন তখন দুটো দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি একে অন্যের সাথে জুড়ছে। এটা হলো হায়ার লেভেল অফ এসোসিয়েশন , বা লজিক। ঠান্ডা লাগলে গন্ধ পাওয়া যায়না। এটা জানা আছে। বাকি জিনিসগুলো বলে দিচ্ছে এটা বিরিয়ানি। আর একটা এপিসোড হিসেবেই এটা স্টোর হবে। আরো বড় নেটোয়ার্ক। কোনো কিছু ওভার রাইট হবেনা, ফোল্ডার , সাব ফোল্ডার একটা আবার আরেকটার সাথে হাইপার লিংক দিয়ে কানেক্ট করা। এইভাবে ভাবতে হবে। যে যতভালো গোছাবে, তার প্রসেসিং তত ভালো।
  • siki | 24.97.166.150 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৭:০১583003
  • বুঝে গেছি মোটামুটি। আবারো হাততলি সোসেনকে।

    জাস্ট অসা। এইভাবে বলবার ক্ষমতা সবার থাকে না।
  • sosen | 126.203.204.209 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৮:১২583004
  • 11:56 AM এর পোস্টে ছবিটা অত ছোট হয়ে গেল কি করে?????????????? আগে তো বড় ছিল।

    আর একবার দিলাম
    *
  • PM | 96.22.56.206 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৯:১০583005
  • অসাধারন সোসেনবাবু। আমার মতো আকাটো অনেকটা বুঝে গেলো।

    পড়ার পরে অ্যাকটা প্রশ্ন আবার ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা কি সেল্ফ প্রোপাগেটিং বায়োলজিকাল রোবোট? এরকম একটা প্রশ্ন অ্যাসিমভ কোনো একটি গল্পে তুলেছিলেন। আপনার লেখা পড়ে ঐ প্রশ্নটার সাথে রিলেট করতে পারছি।
  • i | 147.157.8.253 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ০৬:৪১583006
  • ইঁদুরদের গল্প আর হবে না? আর এট্টু দেরিতে 'টিকাসমূহে ' এলে ভালো হত না?
  • i | 147.157.8.253 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ০৬:৪৭583007
  • আরেট্টা কথা কই? ঈষৎ পাকামি। মনে কিছু কোরো না সোসেনবাবু।
    এই ধরণের লেখায় ঐ কবিতার অংশগুলি ছেঁটে ফেলা যায় না? সরাসরি গপ্প শুরু করে দিলে পাঠকের সঙ্গে-পাঠকের মনে উৎসাহ এল, সে এবারে জানতে চাইবে কেন কি... তখন এক্কেরে নিখুঁত টাইমিংএ 'টিকাসমূহে' আসা গেল ...
    এইরম ভাবছিলাম আর কি।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ০৮:০৫583008
  • আমি টিটিদিদির সঙ্গে ২০০% একমত। লেখাগুলি সেরেফ লেখা হিসেবেই তুখোড় হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক টীকা, কবিতা জাস্ট দরকার নেই।

    তার মানে সোসেন এসব দেবেনা দাবী করছি, তা নয়। টইতে লেখা কতরকম ভাবেই তো এগোয়। কিন্তু পাঠক হিসেবে একটা বক্তব্য থাকেই তো। সেইটা দিয়ে ফেল্লাম আরকি। :)
  • pi | 24.96.100.241 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ০৯:৩৮583009
  • অক্ষদা কিছুটা লিখেছে। নাম, পরিচয় গোপন রাখা হত, অ্যাননিমিটি বজায় রাখতে। সেটা পিছনে সদুদ্দেশ্য থাকতো না, এমন কথা বলা যায় কি ?
    হেনরিয়েট ল্যাক্সের নাম অ্যাকনলেজ না করার পিছনে রেসিজমের অ্যাঙ্গল ছিল, নাকি তখনকার মেডিক্যাল 'এথিক্স' বোধ , বা আজকের এথিক্সের বোধের প্র্যাকটিসের অভাব কাজ করেছিল ?
    এ নিয়ে তো পরে কোর্ট ও রায় দেয়, মানুষের
    বর্জিত টিস্যু, কোষ আর তার সম্পত্তি নয়, সেটা কমার্শিয়ালাইজও করা যাবে। (গে কিন্তু বিজ্ঞানের স্বার্থে এই কোষগুলো বিনামূল্যেই সবাইকে বিতরণ করতেন। )

    হেনরিয়েটা কে নিয়ে রেবেকা স্ক্লুট একটা বই লিখেছিলেন। এই বইটিঃ
    http://www.amazon.com/The-Immortal-Life-Henrietta-Lacks/dp/1400052181
    এক সাক্ষাতকারে রেবেকা বলেছিলেন, "The story of HeLa cells and what happened with Henrietta has often been held up as an example of a racist white scientist doing something malicious to a black woman. But that’s not accurate. The real story is much more subtle and complicated. What is very true about science is that there are human beings behind it and sometimes even with the best of intentions things go wrong."
  • koyla | 218.107.178.181 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ১১:৩৮583010
  • এই রেফারেন্স তা তো সোসেন দিয়েছে। লিংক দেয়নি বলে লোকের চোখে পড়ল না নাকি?

    আর তাছাড়া এখানে দুটো বিষয় গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। এক, ইন্ফর্মেদ কনসেন্ট এবং দুই, আইডেন্টিটি। এখানে যেটা আলোচ্য সেটা হলো যে যার কোষ সে জানেনা, তার পরিবার ও জানেনা। এটা কি avoid করা যেতনা? হেনরিয়েটা'র পরিবার জানত, হেনরিয়েটা জানতেন, গবেষক জানতেন, তাহলেই এই ব্যাপারটা নিয়ে আজ এই আলোচনাটা হত না। তাহলে তো যে এই কোষ কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি'র সেটাও কেউ জানত না, ছুতমার্গ এর প্রশ্ন ও আসতো না। সারা পৃথিবীর মানুষ নাই জানলো কার কোষ?! সেটাই আমার মনে হয় সোসেন এর মূল বক্তব্য, এইটা নয় যে সবাই কে জানতে হবে কোন সেল লাইন কার কাছ থেকে এসেছে।
  • pi | 24.99.39.51 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:৫৪583011
  • সেই জানানোটা কি তখন প্র্যাক্টিসের মধ্যে ছিল ? সেটা নিয়েই তো এই ইস্যু থেকে পরে হইচই হল। এথিক্সের ধারণা বদলাল। উনি কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন বলে এক্ষেত্রে আলাদা কিছু গোপনীয়তা, সবার থেকে, রাখা হয়েছিল কি ? রেবেকা ও আরো অনেকের বক্তব্য, সেই ফ্যাক্টরটা ছিলনা।
  • sosen | 24.139.199.1 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ১৫:০৯583013
  • পাই কি বইটা পড়েছ? আমি পড়েছি। রেবেকা স্ক্লুট, প্রথমত কালো/সাদা র ব্যাপার নিয়ে কোনো জাজমেন্ট দেন নি, এড়িয়েই গেছেন। উনি যেটা লিখেছেন সেটা দুদিক বাঁচানো একটা লেখা, তবে হেনরিয়েটার পরিবার সম্পর্কে উনি অনেক তথ্য বার করেছেন, তাদের সাথে কথা বলেছেন, তা ছাড়া কিন্তু রেবেকার জাজমেন্টকে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু মানে নেই। গে ও ডেভিড মারা যাওয়ার পর এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত কেউ বেঁচে ছিলেন না। কাজেই কি ভেবেছিলেন গে , সেটা কেউই জানেনা। আমার মনে হয় পেশেন্টকে ইনফর্ম না করা এখানে ইচ্ছাকৃত, প্রেস রিলিজের দিন ও সময় লক্ষ্য করলেই মনে হয় বুঝতে পারা যায়। হেনরিয়েটার মৃত্যু হয় রাতে, সকালে প্রেস কনফারেন্স কল করা হয়। এটা কাকতালীয় নয়। কালো/সাদা জড়িত কারণ, না টাকা পয়সার ব্যাপার, এইমুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। দুটোই হওয়া সম্ভব। কালো মানুষকে প্রাক সিভিল মুভমেন্ট যুগে প্রতারণা করা, মানুষ হিসেবে উপেক্ষা করা দুটোই প্র্যাকটিস ছিল। একই সঙ্গে, সাদা মানুষকে চিকিত্সার বিষয়ে জানানো প্র্যাকটিস ছিল। দুটো একসাথে করলে এটাই মনে হয় যে হেনরিয়েটার রাইট এক্সিকিউট করা হয়নি, যেহেতু কালো মানুষের রাইট বলে কিছু সেই সময় ছিলনা। হেলা সেলের কমার্শিয়ালাইজেসনে আর্থিক লাভ গে এবং তাঁর ল্যাবরেটরিরই হয়েছিল। বিনাপয়সায় বিভিন্ন ল্যাবকে স্যাম্পল দেওয়া আর কোম্পানিকে সেল বেচা যে এক নয় সেও তুমি নিশ্চয় জানো। হেনরিয়েটার বদলে হেলেন লারসন বা হেলেন লেন নামগুলো তৈরী করা হতনা এননিমিটি কনসার্ন হলে।

    আর কয়লা যা বলেছেন সেটাই অন্যভাবে আর একবার বলি-আমি এখানে এই মানুষগুলোর সম্পর্কে তথ্য দেব, কিন্তু মতামত আমারি। প্রাপ্ত তথ্যগুলো খতিয়ে দেখে আমার মনে হয়েছে, গে ইচ্ছাকৃত ভাবে হেনরিয়েটার পরিচয় গোপন করে অন্য নাম ব্যবহার করেছেন, ফাইল অন্যদের হাতে পৌঁছতে দেননি, এবং টাকা-পয়সা জনিত লাভ শেয়ার করতে চাননি। বিজ্ঞানের দিক দিয়ে হেলা সেলের কন্তামিনেশন জাতীয় তথ্য এখানে তুললাম না। আমি এখানে একেবারে মানবিক দিক থেকেই হেনরিয়েটার অবস্থান দেখছি। সেখানে আমার ও মনে হয়, যে পাঁচমাস মহিলা বেডে পড়ে ছিলেন তখন তাঁকে ইনফর্ম করা যেত। পরে তার পরিবারকে ইনফর্ম করা যেত। কোনটাই করা হয়নি, তাদের অজ্ঞানতার সুযোগ নিয়ে। এটাই বক্তব্য।
  • pi | 24.96.17.99 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ১৬:১৮583014
  • শরীরের বর্জিত অংশ ( যেমন কেটে ফেল টিউমার ইঃ), এনিয়ে ইনফর্মড কন্সেন্টের ব্যাপার তখন চালু ছিল ? সাদাদের ব্যাপারে এবিষয়ে কনসেন্ট নেওয়া হত, এমন জানা যায় ? তবে তো এব্যাপারে 'ডিস্ক্রিমিনেশন'টা বুঝতে পারবো । কৃষ্ণাঙ্গরা যে চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা ব্যাপারে ডিস্ক্রিমিনেটেড হতেন ( এবং আজো কিছুটা হন), সে নিয়ে তো কোন তর্ক নাই। হেনরিয়েটার চিকিৎসা পদ্ধতিতেও সেরকম কিছু হয়ে থাকতে পারে, নাও থাকতে পারে। জানা নেই। সেটা নিয়ে আমার প্রশ্নও নেই।

    এখানে একটা কথাই খেয়াল করতে বলব, যেকোন জিনিস সংক্রান্ত কনসেন্টের কথা বলছিনা, শরীরের 'বর্জিত' বা ডিসকার্ডেড জিনিস নিয়ে বলছি। যেটা শরীর থেকে এমনি ই বাদ দেওয়া হয়েচে, সেটার জন্য অনুমতি নেওয়া হবে , সেটা কি তখন এথিক্সের প্র্যক্টিসের মধ্যে আদৌ চালু ছিল ?
    এরপরে কোর্টের রায়ও বলেছে, সেটা আর রোগীর সম্পত্তি নয়। এনিয়ে তো আজো বিতর্ক আছে। সাদা কালো নির্বিশেষে।

    কালো রোগিনী বলে গে র দীর্ঘশ্বাস পড়েছিল, এটা কি ডকুমেন্টেড কোন তথ্য ? এ সংক্রান্ত গে র কোন মন্ত্ব্য বা মতামত পাওয়া যায়। পেলে একটু জানিও। পড়তে আগ্রহী।
  • a x | 118.204.210.38 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ১৬:৫২583015
  • না না, আমি সোসেনের সাথে একমত যে হেনরিয়েটার ব্যাকগ্রাউন্ড সেই সময় ইত্যাদি মিলিয়ে, এটা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত ঘটনা। হেলেন লেনের নাম ব্যবহারও জর্জ গাই'ই করে আসল পরিচয় আড়াল করার জন্য।

    আমি বেসিকালি বলতে চাইছিলাম -বায়োএথিক্স ইত্যাদি তো অনেক পরে এস্টাব্লিশড হয়েছে, এবং যার জন্য আমরা সেলগুলোকে শুধু একটা কোড হিসেবেই চিনি, তার পেছনের ব্যক্তি মানুষের পরিচয় কখনই জানিনা। হেনরিয়েটা সে হিসেবে ব্যতিক্রম নন। ব্যতিক্রম এই কারণে যে ক্যান্সারে রিসার্চের ইতিহাসে ওনার সেলের ভূমিকা অ্যাস আ ওয়াটারশেড ইভেন্ট। আর ইচ্ছাকৃত ভাবে এই আড়াল করে রাখা - এরমধ্যে রেস পলিটিক্স নিঃসন্দেহে জড়িত।

    সোসেন, পাই, এটা দেখেছ? বাকি উৎসাহী জনতাও চট করে দেখে ফেলুন -

    The Way of All Flesh

    http://www.bbc.co.uk/blogs/adamcurtis/2010/06/the_undead_henrietta_lacks_and.html
  • sosen | 24.139.199.1 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ১৭:৩১583016
  • ল্লে !
    গে'র নি:শ্বাস পড়েছিল কি না সেটা আমার পোয়েটিক লাইসেন্স। ওই নি:শ্বাস পড়া কোনো কিছুই ইমপ্লিমেন্ট করে না, আমার বক্তব্যে। সেটা যদি না লিখতে দাও তা হলে এরকম লেখা লেখবার কোনো মানে হয়না। তার কোনো উপযোগিতাও থাকেনা।
    সেল ডোনেশন বর্জ্য পদার্থের মধ্যে পড়ে বলে মনে হয়না। এখনো ই ইউ এবং ইউ এস রেগুলেটরি এলিমেন্টসে ক্যান্সারাস সেল রিসার্চ পারপাসে ডোনেট করার ফর্ম দেখতে পাচ্ছি। মে ২০১২ তে আপডেট করা। জানিনা তারপর আইন এক্কেবারে বদলে গেছে কিনা।
    বায়এথিক্স বলে ১৯৫০ এ কোনো আইন ছিলনা। মেডিক্যাল এথিক্স এর আইন ১৯৪৩ এ প্রথম ডিফাইন হয়েছে যেখানে যে কোনো সার্জিকাল পদ্ধতির জন্য লিখিত কনসেন্ট দরকার। সেকেন্ড টাইম রিসার্চের জন্য টিস্যু নেওয়ার কোনো কনসেন্ট ফর্ম পাওয়া যায়নি। ওই ডেটএ রেডিয়েশনের উল্লেখ ই শুধু ফাইলে আছে। যদিও সে তো আমিও হপকিন্সে গিয়ে ফাইল দেখতে পারব না।
    এনিওয়ে। তোমার পয়েন্ট কি? গে কোনো বেআইনি কাজ করেন নি, কোনো আনএথিক্যাল কাজ ও করেননি। সরল মনে এই পুরো ব্যাপারটি ২০ বছর ধরে টেনেছেন, যেহেতু আইনে এ সংক্রান্ত কোনো বক্তব্য ১৯৫০ এ ছিলনা । এর মধ্যে কোনো প্রশ্নই ওঁর মনে উদয় হয়নি এথিক্স নিয়ে, এই কি? হতে পারে। মৃত মানুষের মনে উঁকি দেওয়া সম্ভব নয়। আমার লেখা হেনরিয়েটার অবস্থান থেকে । সেখান থেকে আমার মনে হয় পুরো ব্যাপারটা জেনেবুঝে করা, আনএথিক্যাল। তোমার না-ও বা মনে হতে পারে। সবাইকে একমত হতে হবে এমন কোনো কথা তো নেই।
  • Ekak | 69.99.230.125 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ১৯:২৪583017
  • ব্যাপার তা কিরকম শের শা ছিলেন না বলে ঘোড়ায় ডাকত না হলো :|

    এনিওয়ে ,,,,,,,,,,,,,সোসেন এর আনসার পড়ে কিছুটা ধয়াংসা কেটেছে এবন্গ্নতুন প্রশ্ন জেগেছে । ডায়াগ্রাম করে বোঝানোর জন্যে ধন্যবাদ । ইন্দুর কাহিনী এগোক। বলব ।
  • pi | 127.194.8.131 | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ০২:৩৩583019
  • ধুর ! শ্বাস পড়লো, এই ফ্রেজিং নিয়ে বলবো কেন। সে তুমি তোমার মত ক'রে এক্সপ্রেস করবে, করেওছো। কৃষ্ণাঙ্গ রোগী বলেই ওনার মনে এই ধরণের ভাবনা এল, এটা তোমার ব্যক্তিগত ধারণা, ঠিক আছে। প্রথমে পড়তে গিয়ে মনে হয়েছিল, এরকমটাই কিছু সত্যি ঘটেছিল, তাই জিগালাম।

    নাঃ, আমার পয়েন্ট এটা নয় , উনি এসব কিছু করেনই নি। আমার পয়েন্ট এটাই যে, যেটুকু যা জানা যায়, তার ভিত্তিতে, ইন্টেনশনালি কিছু করেছেন, এটা জোর দিয়ে বল যায় না। সে রেসিজম হোক কি টাকা কামানোর ব্যাপার।
    এই প্রসঙ্গে ওঁকে রেসিস্ট বলা ও ওঁর কাজকর্মকে রেসিজম ভাবনা প্রসূত, এটা জোর দিয়ে বলাটা আমার কন্ভিন্সিং লাগেনি। লাগতো, যদি দেখতাম, এক ই ধরণের কেসে ( মানে এইরকম কেটে ফেলা টিউমার ইঃ নিয়ে গবেষণায় ) তখন সাদাদের সাথে অন্যরকম আচরণ করা হত বা ওঁর এরকম কোন মন্তব্য বা আচরণের কোন নমুনা পাওয়া যেত।
    ( আবারো বোল্ড আর আন্ডারলাইন দিয়ে বলবো, হেনরিয়েটা চিকিৎসা ক্ষেত্রে কোনোভাবে রেসিজমের স্বীকার হননি, একথা বলছিনা। )

    আর হেলা থেকে আজ পুরো ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠলেও, এই কাজ থেকে টাকা কামানোর উদ্দেশ্যে গে গোপন করেন, এই কনক্লুশনেও কেন জোরের সাথে পৌঁছতে পারছিনা, বলি। উনি এর থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েহ্চিলেন, এনিয়ে নিঃসঙ্শয় হতে পারছিনা বলে। নিউ ইয়র্ক টাইম্সে লেখা দেখলাম, Dr. Gey did not make money from the cells, but they were commercialized. আর দ্য গার্ডিয়ানে লেখা, Gey – who died in 1970 – did not make money from HeLa, however, and is credited with being interested mainly in using them as a research tool। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল, আরেকটি কেস, যেখানে সত্যিই অনেক টাকা কামানো হয়েছ্হিল, সুপ্রীম কোর্ট রায় দিয়েছিল, গবেষকদের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। জানিয়েছিল, শরীরের discarded জিনিস রোগীর সম্পত্তি নয়। হেনরিয়েটার কেসের কথাও সেখানে উঠে আসে। এনিয়ে প্রচুর বিজ্ঞানীও তাই মনে করেন।
    ...Which is as it should be, many scientists say, arguing that Mrs. Lacks’s immortal cells were an accident of biology, not something she created or invented, and were used to benefit countless others. Most of what is removed from people is of no value anyway, and researchers say it would be too complicated and would hinder progress if ownership of such things were assigned to patients and royalties had to be paid....
    আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে এটা নাই মনে করতে পারি ( হয়তো করি না), কিন্তু এনিয়ে যে একটা তর্কের অবকাশ আছে, সেটা কি অস্বীকার করতে পারি ?
    আমার বক্তব্য, রেসিজম কি টাকা কামানো, এই দুটো অ্যাস্পেক্টের বাইরে এই তর্কটাকেও একটু স্পেস দেওয়া হোক। কুড়ি বছর ধরে কী ভেবেছিলেন, সেই স্পেকুলেশনে এটাও একটা সম্ভাবনা তো বটে, সেটুকু খালি অ্যাকনলেজ করা হোক। বিশেষতঃ, হপকিন্সের সাইটে এইটি পড়ার পরে ( এটাকেই বোধহয় তুমি রেফার করেছিলে )সেকথা আরো মনে হয়েছে। এটি হেনরিয়েটার স্বামীর কথা।
    "They called me, said come up there because she died. They asked me to let them take samples, and I decided not to let them do it." But the researchers told Lacks they could use his wife's cells to study cancer. Something that might strike his family again someday. Their studies might someday help his children and his grandchildren. Lacks was skeptical. But, he thought, if they want to see how my wife's cancer might affect our children, and get ready to treat them if they get sick, I guess that might be okay. "My cousins said it wouldn't hurt, so eventually I let them do it. The [doctors said] it was the fastest growing cancer they'd ever known, and they were supposed to tell me about it, to let me know, but I never did hear."
    হতে তো পারে, উনি পুরো নাও বলে দিতে পারেন, আর সেক্ষেত্রে এই প্রচুর সম্ভাবনাময় গবেষণা ( যা সত্যি ই বিজ্ঞানের জন্য, প্রচুর প্রচুর মানুষের জন্য প্রচুর উপকার করেছে) বন্ধ হয়ে যেতে পারত, এই ফিয়ার ফ্যাক্টরটাও কাজ করেছে। আপত্তি থাকলেও নেওয়া উচিত, রোগীর বা তার বাড়ির জানার কোন অধিকার নেই, এটা আমি বলছিনা। কিন্তু এনিয়ে দ্বন্দ্ব, তর্ক আছে। আর গে বা আর গবেষকদের মধ্যে সেই দ্বন্দ্ব কাজ করেনি, তর্কে তাঁদের বিজ্ঞানের প্রতি অবস্থান নেওয়া কোনোভাবে কাজ করেনি, একথাও কি বলা যায় ?

    আর শেষ কথা হল, হেনরিয়েটা ও তাঁর পরিবারের দুর্ভাগ্য নিয়ে প্রচুর খারাপ লাগা আর সমবেদনা সত্ত্বেও, হেনরিয়েটাকে আমার সে অর্থে ইঁদুর মানুষ মনে হয়নি। তাঁর শরীর থেকে বাদ দেওয়া টিউমার নিয়ে ল্যাবে গবেষণা করা হয়েছে। এই গবেষণা করা হচ্ছে বলে তাঁর চিকিৎসা করা হয়নি বা শরীর উপর অন্য কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে, এমন তো নয়।
    হেনরী মোলাইসনকে মানুষ ইঁদুর মনে হয়েছে, হয়তো ইচ্ছাকৃত নয়, তাহলেও। টাস্কিগি কি গৌআতেমালায় অসংখ্য মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে ইঁদুর বানানো হয়েছে বলে মনে হয়েছে ( হ্যাঁ, এই সব ক্ষেত্রে রেসিজম নিয়েও নিঃসংশয় ), এখনো তৃতীয় বিশ্বের এখনো হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন ইঁদুর বানানো হয়ে চলেছে, সেটাও মনে হয়।

    এটুকুই।
  • lcm | 138.48.127.32 | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ০২:৫৮583020
  • ভারি সুন্দর, এক্কেবারে ফাসকেলাস লেখা।
    একটি কথা যখন মনে হচ্ছে বলেই ফেলি, হেনরি কে সত্যিই ইঁদুর মানুষ বলা যায়। ডঃ স্কেভিল অপারেশন করেছিলেন মৃগী সারাবার জন্যে - তিনি জানতেনও না যে এতে করে অন্য এক সাংঘাতিক উপসর্গ দেখা দেবে। ছোট/বড় স্কেলে এমন সাইড এফেক্ট তো মেডিক্যাল সায়েন্সে হয়েই চলেছে। এরকম উপসর্গ নিয়ে হেনরি-র পক্ষে স্বাভাবিক জীবনযাপন/জীবিকা সম্ভব ছিল না। তখন তাকে নিয়ে ডাক্তাররা পরীক্ষানীরিক্ষা করেন।
    অন্য উদাহারণেও, ক্যান্সারের সেলের স্যাম্পল যে মহিলার থেকে নেওয়া হয়েছিল, সেখানেও তাকে ইঁদুর মানুষ বলা যায় না।
    আসল ইঁদুর মানুষ হল -- কর্পোরেট ড্রাগ ম্যানুফ্যাচারেরা যখন ড্রাগ টেস্ট করার জন্যে আফ্রিকা/এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষের স্যাম্পেলের ওপর নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান। কিছুদিন আগে টিভিতে এ নিয়ে এক প্রোগ্রাম দেখি - রোমহর্ষক।
  • pi | 127.194.8.131 | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ০৩:০৮583021
  • *গুয়াতেমালা

    হ্যাঁ, তৃতীয় বিশ্বের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মানুষদের কথাই বল্লাম।
  • lcm | 138.48.127.32 | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ০৩:১৭583022
  • হ্যাঁ, তথাকথিত অনুন্নত দেশের মানুষেরা সামান্য টাকার বিনিময়ে (কখনও তাও পায় না) গিনিপিগ হয়।
  • Sandy | 161.141.84.239 | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ০৪:১১583024
  • এল্সিএম, ঐ রোমহর্ষক টিভি প্রোগ্রামগুলোতে কী কী দেখায়? ঐ প্রোগ্রাম বানায় কাদের টাকায়? রাইভাল কোং এর টাকায়? নাকি অন্য কোনো স্পনসর পায়?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন