এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • লাদাখ যেতে হলে

    siki
    অন্যান্য | ৩০ জানুয়ারি ২০১৩ | ৬০৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ঐশিক | 132.181.132.130 | ২৫ মার্চ ২০১৩ ১৬:৪২584588
  • তারপরে ?

    শমীকদা টা জাতা, একে লুরু থেকে কোনো বরফ ঢাকা পাহাড় দেখায় যায় না, তাও এসব গপ্প লিখবে, ভগমান এর বিচার কি কোনদিন ই করবেন না !!!
  • siki | 132.177.16.205 | ২৫ মার্চ ২০১৩ ১৬:৫২584589
  • যদ্দূর জানি মানালি পৌঁছে বাইকের জন্য পারমিট করাতে হয়। সুতরাং এটা মাথায় রাখবেন, বাইক যেন নিজের নামে হয়, নইলে পারমিট পাওয়া চাপ হয়ে যাবে।

    তা হলে পৌঁছেই, পারমিট আর বাইক সার্ভিসিং। সব রেডি হলে পরদিন ভোরবেলা বেরিয়ে পড়ুন, রোহতাংয়ের জন্য গাড়ির লাইন শুরু হবার আগেই। সোলাং ভ্যালি পেরিয়ে রোহতাং পেরিয়ে বরফই বরফ। রোহতাংয়ের পরে মোবাইলের কোনও নেটওয়ার্ক পাবেন না, পাবেন একেবারে লেহ-তে পৌঁছে। রাতে স্টে করুন সারচুতে। মানে, সূর্যাস্তের মধ্যে সারচু পৌঁছবার চেষ্টা করুন। করুন মানে, করতেই হবে। সারচুতে প্রচুর টেন্ট অ্যাকোমোডেশন পাওয়া যায়। একটা ভাড়া নিয়ে ঢুকে পড়ুন। বাইক বাইরে পার্ক করা থাক। কোনও চিন্তা নেই। আপনি লাদাখ রিজিয়নে এসে পড়েছেন। ছ্যাঁচোড়দের এলাকা এটা নয়।

    সারচু যাবার রাস্তায়, রোহতাংয়ের একটু পরেই টান্ডি বলে একটা জায়গা পড়বে, এই রুটে ওখানেই লাস্ট পেট্রল পাম্প। এর পরে লেহ্‌ পর্যন্ত আর কোথাও পেট্রল মিলবে না।

    সারচুর উচ্চতা ১৪০০০ ফুট। এখানেই আপনার প্রথম পরীক্ষা, অলটিট্যুড মোশন সিকনেস থেকে আপনি বাঁচতে পারেন কিনা। রাতের দিকে অনেকেরই শরীর খারাপ হতে থাকে। স্থির থাকুন, স্টেবল থাকুন। খুব জল খান। ডায়ামক্স আশা করি খাচ্ছিলেন আগে থেকেই। সারচুতে নিজের এবং বাইকের ডিটেল রেজিস্টার করতে হয়, তারপরে আগে এগনো যায়।

    পরদিন সকালে জার্নি হবে আড়াইশো কিলোমিটারের। সকাল সকাল উঠে পড়ুন, জার্নি শুরু করে দিন। নাকী লা পাস পেরিয়ে পাং যেই আসবে, দেখবেন পাহাড়ি রাস্তা কোথায় হারিয়ে গেছে, দুদিকে দিগন্তবিস্তৃত সমতলভূমি, রুক্ষ, ধূসর। দূরে দূরে একটা দুটো পাহাড় দেখা যাচ্ছে। উচ্চতা তখন ১৫৪০০ ফুট, কিন্তু চারদিকে নিখুঁত সমতলভূমি, কোথাও এতটুকু উঁচুনিচু নেই। তার মাঝখান দিয়ে এগোতে হবে। এই প্লেন ল্যান্ডের নাম মুরে প্লেন (Mooreh Plain)।

    মুরে প্লেন শেষ হলে আবার পাহাড় শুরু, যাত্রাপথের থার্ড হাইয়েস্ট পাস, তাংলাং লা আসবে তার পরেই। এই পাসের রাস্তা শুরু হবার আগেই ডানদিকে কাট চলে যাচ্ছে সো মোরিরির জন্য, কিন্তু সেখানে এখন যেতে পারবেন না, আপনার পারমিট নেই, পারমিট করতে হবে লেহ্‌তে গিয়ে।

    তাংলাং লা, রুমশে উপশি পেরিয়ে কারুতে এসে আবার পাবেন পেট্রল পাম্প। কারু থেকে লেহ্‌ মাত্র ৩৬ কিলোমিটার। পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যে হয়ে যাবেই। সোজা গিয়ে হোটেল খোঁজ করে বডি ফেলে দিন।
  • siki | 132.177.16.205 | ২৫ মার্চ ২০১৩ ১৭:১৯584590
  • এইবারে চলুন, শ্রীনগর হয়ে যাই লেহ্‌তে।

    যাত্রা শুরু বা শেষ, ফুল সার্কিট করুন বা হাফ সার্কিট, একটাই পয়েন্ট থেকে হয়। সেটা হচ্ছে গিয়ে সাড্ডি দিল্লি। এইবারে গুগল ম্যাপে দেখুন। ফ্রম-এ বসান দিল্লি, আর টু তে বসান শ্রীনগর।

    জাহাঙ্গীরপুরী মেট্রো স্টেশনের পরেই বদলি বলে একটা জংশন পড়বে, এখান থেকে শুরু হচ্ছে, এন এইচ ওয়ান। সো-জা চলতে থাকুন এই ন্যাশনাল হাইওয়ে ওয়ান ধরে। সোজা চলতে চলতে পথে পড়বে পানিপত। পেরিয়ে যান, দরকার হলে একটু বিশ্রাম নিয়ে নিন কোনও ঢাবায়। তারপরে এগোন। পরের বড় শহর এলাকা পাবেন কারনাল-এ। কথিত আছে এখানেই রাজত্ব করতেন মহাভারতের কর্ণ। তাঁর নামেই কারনাল।

    রাস্তা যেমন যেমন বেঁকছে তেমন তেমন বেঁকে যান, কিন্তু এন এইচ ওয়ান ছাড়বেন না কোনওমতে। পরের শহর কুরুক্ষেত্র। তারপরে আসবে শাহাবাদ।

    বিকেল বিকেল গিয়ে পৌঁছবেন আম্বালা ক্যান্টনমেন্টে। ক্যান্টনমেন্ট ছাড়িয়ে আরেকটু এগোলে আম্বালা সিটি। খুব ক্লান্ত হয়ে গেলে এইখানে রাত্রিবাস করতে পারেন। নইলে চরৈবেতি, চরৈবেতি। সারাদিন ফুটন্ত সমতলভূমির ওপর দিয়ে এসেছেন, জুন জুলাই আগস্ট, মারকাটারি গরম উত্তর ভারত জুড়ে, ক্লান্ত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এইজন্য অনেকেই এই জার্নিটা রাতে করে। জার্নি স্টার্ট করার আগের দিন সারা সকাল ঘুমিয়ে নিয়ে সন্ধ্যে নাগাদ দিল্লি থেকে স্টার্ট করে। রাতের অন্ধকারে এইসব হাইওয়ে আরামসে পেরিয়ে যাওয়া যায়।

    আম্বালা থেকে একটু এগোলেই পড়বে শম্ভু ব্যারিয়ার। এখানে একটা ডানদিকে কাট আছে, বানুর রোড নামে, সেটা অনেকটা দূরত্ব বাঁচিয়ে দেবে পরের এন এইচে ওঠার আগে। ডানদিকে কাট নিয়ে বানুর রোডে পড়ুন এবং মাত্র সাড়ে আট কিলোমিটার এগোলেই পেয়ে যাবেন এন এইচ ৬৪।

    যদি কাট মিস করেন, কোনও ব্যাপার নয়, এন এইচ ওয়ান একটু এগিয়ে রাজপুরাতে মীট করছে এন এইচ ৬৪-র সঙ্গে। ডানদিকে গিয়ে ৬৪তে উঠে পড়ুন। এখানে একটা বাড়তি টোল দিতে হবে, রাস্তাও বাড়তি, ঐ বানুর রোড হল এস এইচ ফোর, পিথাগোরাস রোড, কোনও টোল নেই।

    যাই হোক, আপনি এলেন এন এইচ সিক্সটি ফোরে। কিন্তু এই এন এইচে আপনি যাবেন না। বানুর রোড, বা এস এইচ ফোর ওটাকে আড়াআড়ি কাট করে এগিয়ে যাচ্ছে সোজা। আপনি এই রাস্তা ধরেই যাবেন। রাস্তাটা যাচ্ছে মোহালি সিটির একদম আউটস্কার্ট ধরে। আপনি চাইলে মোহালি পর্যন্ত এসেও রাত্রিবাস করতে পারেন। মোহালি হল পাহাড়ের একদম গায়ে, এখান থেকে হিমালয়ের শিল্যুয়েট দেখা যায়। গরম অনেক কম পাবেন।
  • siki | 132.177.16.205 | ২৫ মার্চ ২০১৩ ১৭:৫২584591
  • যদি এখানেও বডি ফেলতে না চান, শরীরে এখনও অফুরান শক্তি মজুদ থাকে, বাইকও চাঙ্গা থাকে, তা হলে আবারও চরৈবেতি, চরৈবেতি। সময় বাঁচবে, টাকা বাঁচবে।

    ঐ এস এইচ ফোর "খারার"এ গিয়ে মিলছে এন এইচ একুশের সঙ্গে। চলুন এবার একুশ ধরে। বেশ একটু বাদে পড়বে কুরালি বলে একটা ছোট শহর। পেরিয়ে যান, একুশ ধরে। টোল প্লাজা পড়বে, টোল জমা করুন। এগিয়ে গেলে একটু পরেই পাবেন রূপনগর টাউন। আর সেই টাউনের শেষেই দেখা মিলবে শতদ্রু নদীর। সাটলুজ। নীল জল দিয়ে আপনাকে প্রথম অভ্যর্থনা জানাবে পাহাড়ের কোলে। এন এইচ একুশ ছেড়ে এইখানে চলে আসুন রূপনগর এক্সপ্রেসওয়েতে। ফাগুয়াড়া রূপনগর এক্সপ্রেসওয়ে, বা এস এইচ টোয়েন্টি ফোর। এই চব্বিশই আপনাকে পার করিয়ে দেবে সাটলুজ রিভার।

    এইবারে রাস্তা পাহাড়ের কোলে কোলে, কিন্তু পাহাড়ে নয়। চব্বিশ ধরে অনেকখানি এলে পাবেন গড়শঙ্কর। সোজা এগোতে থাকুন। আরও অনেকখানি এগোলে আপনি পৌঁছবেন হোশিয়ারপুরে। চব্বিশ ধরে আবার এগোন, পরের স্টপেজ দসুয়া। দসুয়াতে এসে এস এইচ চব্বিশ শেষ হচ্ছে। মিলে যাচ্ছে এন এইচ ওয়ান এ-র সঙ্গে।

    এই ওয়ান এ আপনাকে নিয়ে যাবে একদম লেহ্‌ পর্যন্ত। শ্রীনগর হয়ে লেহ্‌ পর্যন্ত রাস্তাটা এন এইচ ওয়ান এ, আর মানালি হয়ে লেহ্‌ হল ওয়ান ডি।

    যাই হোক, দসুয়া পেরিয়ে সোজা উঠে পড়ুন ওয়ান এ-তে, পাহাড়ি রাস্তা এইবারে। পৌঁছে যান পাঠানকোট। এইখানে আছেন আমাদের গুরুর এক নীপা, গেছোদাদা। আগে থেকে যোগাযোগ করে গেলে তাঁর আতিথ্য মিলতেও পারে।

    চাক্কি ব্যাঙ্ক রেলস্টেশনের ধারে মিলিটারি টাউনশিপ পাঠানকোট। এগোতে থাকুন এই ওয়ান এ ধরেই, আর কোনও রাস্তা চেঞ্জ নেই। পরের স্টপেজ জম্মু।

    এতক্ষণে আপনি রীতিমতো পাহাড়ের রাস্তায় বাইক চালাচ্ছেন। জম্মু থেকে আরও খানিককটা গেলে পাবেনুধমপুর, তারপর অনেকটা দূরে বনিহাল, আর তারপরেই ফেমাস জওহর টানেল।

    জওহর টানেল থেকে শ্রীনগর খুব একটা দূরে নয়।

    দিল্লি থেকে শ্রীনগরের দূরত্ব প্রায় নশো কিলোমিটার। অবশ্যই এই দূরত্ব একদিনে কভার করা যায় না। খুব ভালো বাইকার হলে দুদিন, নইলে তিনদিনে কভার করতে হয়।

    দিল্লি থেকে মোহালি আড়াইশো কিলোমিটার একদিনে টেনে দেওয়া যায়। মোহালিতে রাত্রিবাস। একান্তই না পারলে আম্বালা, মোহালির চল্লিশ কিলোমিটার মত আগে, মানে দিল্লি থেকে দুশো দশ কিমি মত।

    পরদিন মোহালি বা আম্বালা থেকে পাঠানকোট, আরও আড়াইশো কিলোমিটার। পাঠানকোটে রাত্রিবাস।

    পরদিন পাঠানকোট থেকে শ্রীনগর, সাড়ে তিনশো কিমি। পাহাড়ি রাস্তায় সাড়ে তিনশো কিমি পার হওয়া খুব মুখের কথা নয়, সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত বাইক চালিয়ে যেতে হবে। বেশি বিশ্রাম নেবার সময় পাওয়া যাবে না। সুতরাং, খুব ফিট শরীর না হলে এ রাস্তায় পা দেবেন না।

    এই রুটের প্লাস পয়েন্ট হল, ধীরে ধীরে উচ্চতা বাড়তে থাকে, ফলে অলটিট্যুড সিকনেসের খপ্পরে পড়ার চান্স কম, শরীর এমনিতেই দিনে দিনে মানিয়ে নেয় নিজেকে। আর মাইনাস পয়েন্ট হল, সময় বেশি লাগে। শুধু শ্রীনগর পৌঁছতেই তিন দিন। এর পর এখান থেকে লেহ্‌ আরও দুদিন লাগবে। মানে পাঁচদিন। তুলনায় দিল্লি থেকে মানালি হয়ে লেহ্‌ নেবে চারদিন। প্রথমদিন মানালি, সাড়ে পাঁচশো কিলোমিটার একসাথে। পরদিন মানালিতে স্টে, পারমিট বাইক সার্ভিস ইত্যাদি। তারপর দুদিনে সারচু হয়ে লেহ্‌।

    এবার পছন্দ আপনার।

    কাল লিখব শ্রীনগর থেকে লেহ্‌ যাবার কথা।
  • Rit | 213.110.246.230 | ২৫ মার্চ ২০১৩ ২৩:৪৮584592
  • সিকি দা,
    অসংখ্য ধন্যবাদ। ঃ)
  • siki | 132.177.226.102 | ০৫ এপ্রিল ২০১৩ ২২:০৪584594
  • তাইলে এইবারে এগোই শ্রীনগর থেকে? শ্রীনগরে থাকতে যখন হবেই একদিন, অবশ্যই হাউজবোটে রাত কাটান। আপনার হাতে অঢেল ছুটিছাটা থাকলে দিন দুত্তিন থেকেও যেতে পারেন। মনটাও প্রফুল্ল হবে, শরীরও চাঙ্গা হবে পরের জার্নির আগে। নইলে আবার পরে ফ্যামিলি নিয়ে শ্রীনগর বেড়িয়ে যাবেন। এই বেলা কাটান দিন।

    লাদাখ যাবার থাকলে শ্রীনগর থেকে গুলমার্গ যাবার চেষ্টা করবেন না, ওটা লাদাখের রাস্তার সম্পূর্ণ উল্টোদিকে।

    শ্রীনগর থেকে বেরিয়ে পড়ুন সক্কাল সক্কাল। ন্যাশনাল হাইওয়ে ওয়ান ডি। বেশ অনেকটা সমতলে চলবার পরে যেখানে পাহাড় শুরু হবে, সেই জায়গাটাই হচ্ছে সোনমার্গ, বা সোনামার্গ। মন্দাকিনী নদীর উৎস এইখানে। রাস্তা থেকে ন কিলোমিটার ঘোড়ায় চড়ে দেখতে যেতে হয়, তবে আপনি যাচ্ছেন আরও বেশি সুন্দর জায়গা দেখতে, তাই আপনি এই মন্দাকিনী ফলস আরামসে কাটিয়ে দিতে পারেন। দেখার বিশেষ কিছু নেই, কাদামাখা বরফ, বিরক্তিকর কাঠের স্লেজওয়ালাদের দল, আর ততোধিক বিরক্তিকর বাঙালি টুরিস্টে পিলপিল করছে জায়গাটা। নোংরা, নোংরা। দাঁড়াবারও দরকার নেই। এগিয়ে যান। ঝট করে শুরু হয়ে যাবে পাহাড়ী রাস্তা। দূরে দূরে দেখা যাবে বরফের চাঁই, এখানে সেখানে, দূরের পাহাড়ে, পাশের পাহাড়ে। আপনি উঠছেন, উঠছেন, পাশ দিয়ে কখনও বয়ে যাচ্ছে পাহাড়ী নদী, কখনও খাদ।

    এমনি সময়ে আপনি জানতে পারবেন আপনার খুব কাছেই আছে জোজি লা পাস। আপনার বেড়ানোর মেনুতে স্টার্টার। বেশি না, মাত্র সাড়ে এগারো হাজার ফুট ওপরে, হঠাৎ করে দেখবেন দু ধারে খাড়া বরফের দেওয়াল, আর সে একেবারে দুধসাদা বরফ। এই রকমঃ



    বেশি লম্বা নয়, এক দেড় কিলোমিটার এই রকম বরফের দেওয়াল দেখতে পাবেন। এইখানেই শুটিং হয়েছিল এই গানটার --



    একটু থামুন, ছবি টবি তুলুন, তারপরে এগিয়ে যান। শ্রীনগর থেকে আপনি এতক্ষণে এসেছেন একশো ছয় কিলোমিটার। যেতে হবে আরও পথ। শ্রীনগর থেকে লেহ্‌র দূরত্ব জানেন? চারশো কুড়ি কিলোমিটার। আপনাকে তাই আজ সন্ধ্যের মধ্যে পৌঁছতে হবে কারগিল, অর্ধেক রাস্তা। দুশো কিলোমিটারের মাথায়। এগিয়ে চলুন।

    জোজিলার পর থেকে আবার পাহাড়ের উচ্চতা কমতে শুরু করবে, চারপাশের বরফ হাওয়া হয়ে যাবে, আপনি বিকেলের একটু আগে এসে পৌঁছবেন একটা ছোট গঞ্জে।

    তার নাম দ্রাস।

    দ্রাসের গল্প আমি লাদাখের ট্র্যাভেলগে লিখেছি, তাই এখানে আর রিপিট করলাম না। শুধু বাইকারদের জন্য বলে দিই, শত্রুদের, মানে পাকিস্তানিদের নজরদারির আওতায় আছে এই রাস্তা। দ্রাসে থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই, দেড়খানা হোটেল ছাড়া। আপনাকে পৌঁছতেই হবে কারগিল। তাই দ্রাসে যদি সন্ধ্যে নেমে আসে, এগিয়ে যান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, কিন্তু বাইকের হেডলাইট জ্বালাবেন না। পাকিস্তান বর্ডার এখান থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার, অন্ধকারে হাইওয়েতে চলন্ত গাড়ি স্পট করে নেওয়া কোনও ব্যাপারই নয় যদি হেডলাইট জ্বালানো থাকে।

    হেডলাইট অফ করে চলুন, কারগিল পৌঁছবার আগে হেডলাইট ইউজ করবেন না। কারগিল দ্রাস থেকে মাত্র ষাট কিলোমিটার দূরে। থাকার জায়গা ওখানে পাবেন। প্রচুর হোটেল। দেড় ঘণ্টা নেবে পৌঁছতে।

    আর যদি দিনের আলো থাকে, দ্রাসে অবশ্যই থেমে কারগিল ওয়ার মেমোরিয়াল দেখে আসতে ভুলবেন না। (এটাও আর বিস্তারিত লিখলাম না, আগেই লিখে রেখেছি)।

    কারগিলে পৌঁছে হোটেল খুঁজে বডি ফেলে দিন। পরদিন আবার যাত্রা শুরু।
  • siki | 132.177.226.102 | ০৫ এপ্রিল ২০১৩ ২২:৪৭584595
  • আচ্ছা, একটা কথা। সান্দা যেন এই টইটা না পড়ে। সান্দার জন্যে এখানে আমি একলাইনও লিখি নি। ওকে আমি ডিভোর্স দিয়েছি।
  • সায়ন | 59.200.93.182 | ০৫ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:৫৯584596
  • দূর মড়া লেখ চুপচাপ। তোর টই পড়বো না। বিএমসিট্যুরিং কি তোর একার রে ফাগলা :-D
  • siki | 132.177.147.60 | ০৬ এপ্রিল ২০১৩ ০৮:১০584598
  • নামটাও জানে না উল্লুক। বিএমসি নয়, বিসিএমট্যুরিং।
  • কৃশানু | 126.193.139.111 | ০৬ এপ্রিল ২০১৩ ১০:২৯584599
  • ইয়ে, লাদাখের ট্রাভেলগ- এর লিং? মানে আমি নতুন কিনা।
  • সায়ন | 59.249.139.201 | ০৬ এপ্রিল ২০১৩ ১০:৫৬584600
  • হুম, এইটা মাথায় ছিল -> http://www.bmcindia.org/
  • de | 130.62.175.182 | ১১ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:২০584602
  • সিকি,

    বাকি লেখাটা পড়লাম -- একটা প্রশ্ন, ফেরার পথে আমরা মানালি হয়ে বাই রোড আসতে চাই, তাহলে কি সোমোরিরি থেকে ডাইরেক্ট চলে আসলে সুবিধা হবে। মাঝে দেখলাম, সারচু তে থাকতে হবে মনে হয়। আর পরে মানালি টু চন্ডিগড় বাই রোড, পরে চন্ডিগড় টু মুম্বই ফ্লাইট। এটা ঠিক আছে? সময় করে একটু লিখো।
  • siki | 132.177.34.253 | ১১ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:৩৮584603
  • দে, আপহিলে মানলি থেকে লেহ কুড়ি বাইশ ঘন্টার জার্নি, তাই ওটাকে দুভাগে ভেঙে নিতে হয়। একটানা কুড়ি বাইশ ঘন্টা ড্রাইভ করে যাওয়াকে ওখানকার ভাষায় বলা হয় "ক্যানন বল রান", (Cannon Ball run), যেটা অতীব হেকটিক, বলার অপেক্ষা রাখে না।

    নামার সময় যেহেতু ডাউনহিল, ওটা লাগে ষোল ঘণ্টা মত। সেটাও কম হেকটিক নয়, কেবল যেহেতু এটা নিচের দিকে নামা তাই AMS হবার চান্স নেই।

    ক্যালকুলেট করে দেখলাম সোমোরিরি থেকে মানালি সাড়ে তিনশো কিলোমিটার। একদিনে করা খুবই টাফ। সারচুতে থেকে যাওয়াটাই আমি সাজেস্ট করব।

    বাকিটা ঠিক আছে। মানালি থেকে চণ্ডীগড় / দিল্লি। সেখান থেকে ফ্লাইটে মুম্বই।
  • de | 130.62.175.182 | ১১ এপ্রিল ২০১৩ ১৯:১৬584604
  • অনেক থ্যাংকু, শমীক!
  • শঙ্খ | 169.53.110.141 | ১১ এপ্রিল ২০১৩ ২২:৫২584605
  • ঝক্ঝকে তকতকে লেখা। সিকির বাইকের পিলিয়নে চেপে ঘুরছি মনে হচ্ছে।
  • siki | 132.177.73.249 | ১৬ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:২৬584606
  • আরে! আরে! আপনারা যে কারগিলেই এক সপ্তাহের ওপর থেকে গেলেন! এগোনর আর ইচ্ছে নেই নাকি?

    কারগিলে টুকটাক গাড়ির মেকানিক ইত্যাদি পাওয়া যায়। যদি দরকার হয় তো এখানে একটু চেন টাইট, ক্লাচ গীয়ারের ক্যালিব্রেশন ইত্যাদি দেখে নিতে পারেন।

    আরেকটা কথা। এই কারগিল থেকে আরেকটা রাস্তা যাচ্ছে জান্সকার উপত্যকার দিকে। সেটা সম্পূর্ণ একটা আলাদা ট্রেক, এবং অলমোস্ট জনশূন্য এলাকায় তিনদিনের জার্নি। এই দিকটায় খুব কম লোকে যায়, এক্সট্রিমলি অ্যাডভেঞ্চারাস না হলে এগোবেন না, এগোলেও বেশ পড়াশোনা করে এগোবেন।

    সকাল সকাল উঠে বেরিয়ে পড়ুন। আজ সন্ধ্যের মধ্যে আপনাকে পৌঁছতে হবে লেহ্‌। সোজা রাস্তা, কোনওদিকে বাঁকাবাঁকি নেই। সুন্দর রাস্তা আর মাঝেমধ্যে একটু আধটু ভাঙাচোরা পাবেন, তবে সেটুকু ইগনোর করলেও চলে।

    কারগিলের পর থেকেই রাস্তা আরও ওপরের দিকে উঠতে শুরু করছে। এতক্ষণ তাও একটু গ্রিনারি দেখতে পাচ্ছিলেন, এর পর দেখবেন হঠাৎ করে সবুজ শেষ হয়ে ন্যাড়া রুক্ষ পাহাড় দেখা যাচ্ছে দুপাশে।

    রুক্ষ বটে, ন্যাড়া বটে, কিন্তু তার সৌন্দর্যের কমতি নেই। সে যে কত রকমের তার রঙ, কত রকমের ডিজ়াইন, শুধু লিখে তার সৌন্দর্য বর্ণনা করা যায় না। নরম পাথর বছরের পর বছর ধরে হাওয়ার ঘষা খেয়ে খেয়ে কোথাও পরপর খিলানগম্বুজ তৈরি করেছে, কোথাও সারিসারি মন্দিরের আদল, কোথাও অন্যধরণের অ্যাবস্ট্র্যাক্ট আর্ট। আর তেমনি তার রঙ, কোথাও উজ্জ্বল খয়েরি, কোথাও হালকা গোলাপি আভা, কোথাও নীলচে পাথর, তো কোথাও কাঁচা হলুদের রঙ।

    মুলবেক থেকে শুরু হচ্ছে এই রুক্ষ পাথুরে পথ, চলবে সোজা লেহ্‌ পর্যন্ত। মুলবেকে গিয়ে একটু চা নাশতা করে নিতে পারেন, একটা দুটো দোকান আছে এখানে। তারপরে চলুন আবার।

    এমন ক্রুজ খুব কম রাস্তায় মেলে। মাখনের মত রাস্তা, ট্রাফিক প্রায় নেই বললেই চলে। রাস্তায় চলতে পারাটাই আসল, কোথাও না পৌঁছলেই বা ক্ষতি কী? আরামসে চলুন, ব্রেক নিতে নিতে, ফটো তুলতে তুলতে। রাস্তার মাইলস্টোনে খেয়াল রাখবেন লেহ্‌ কতদূরে।

    লেহ্‌ থেকে প্রায় সত্তর কিলোমিটার আগে, একটু লোকাল লোকজনকে জিজ্ঞেস করে নেবেন, ডানদিকে একটা ছোট্ট রাস্তা নেমে যাচ্ছে। আলচি মনাস্ট্রির রাস্তা। বহু, বহু প্রাচীন এই মনাস্ট্রি একটা দেখবার মত জিনিস।

    http://promarktravels.com/blog/2012/03/alchi-monastery-ladakh/

    http://en.wikipedia.org/wiki/Alchi_Monastery

    এবং আবার মেন রোডে ফিরে এসে আরও কুড়ি কিলোমিটার মত এগোবার পরে বাঁদিকে একটা রাস্তা নেমে যাচ্ছে লিকির মনাস্ট্রির দিকে।

    লিকির কাটিয়ে দিলেও ক্ষতি নেই, মূলত আলচি মনাস্ট্রিটাই দেখবার মত, আর এখানে একটা বোধ হয় বিশাল বড় অবলোকিতেশ্বর বুদ্ধের মূর্তি আছে, যার ছবি তোলা বারণ, সেইটা গিয়ে দেখে আসতে পারেন।

    মূল যে রাস্তাটা ধরে আসছিলেন, সেটায় ফিরে আসুন। এন এইচ ওয়ান ডি। শ্রীনগর থেকে দ্রাস কারগিল হয়ে যে রাস্তা আপনাকে লেহ্‌ নিয়ে যাবে। এগোতে থাকুন।

    এই দেখুন, আসার পথে একটা জিনিস আপনাদের দেখাতে ভুলে গেছি। লামায়ুরু মনাস্ট্রি। লাদাখ অঞ্চলের সবচেয়ে প্রাচীন এবং সবচেয়ে বড় মনাস্ট্রি। পাহাড়ের পাথর কেটে বানানো। এটা পড়ে কারগিল আর লেহ্‌র ঠিক মাঝখানে। মানে, কারগিল ছেড়ে একশো কিলোমিটার মত এলে মেন রাস্তাতেই পড়বে লামায়ুরু।

    লামায়ুরু সম্বন্ধেও বিস্তারিত লিখছি না, ও আপনারা গুগল করলেই জেনে যাবেন। তা হলে সিকোয়েন্সটা হবে এই রকমঃ কারগিল ছাড়ার পরে, প্রথম ব্রেক মুলবেক, তারপরে লামায়ুরু, তারপরে আলচি।

    যাই হোক, আলচি ছেড়ে এগোতে থাকুন আবার। উচ্চতা আরও বাড়ছে, বাড়ছে, কিন্তু রুক্ষতার কোনও কমতি নেই, নেই বরফের দেখাও। ইতস্তত এদিক সেদিক দূরে দূরে কিছু বরফের চূড়া দেখা যাচ্ছে বটে, তবে আপনার রাস্তা সেখান দিয়ে যাবে না। চলতে চলতে যখন প্রায় বিকেল হয়ে এসেছে। আপনি পৌঁছবেন একটা ছোট শহরতলিতে।

    তার নাম নিমু।
  • siki | 132.177.73.249 | ১৬ এপ্রিল ২০১৩ ০৯:৩৭584607
  • নিমুতে চাট্টি খেয়ে পিত্তরক্ষা করে নিন। এখানেই রাস্তার ওপর থেকে দেখা যায় সেই বিখ্যাত সিন্ধু আর জান্সকার নদীর সঙ্গম। শীতকালে এখান থেকেই শুরু হয় চাদর ট্রেক। লেহ্‌ এখান থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে।

    পরের স্টপেজ, গুরুদ্বারা পাত্থর সাহিব। এটা নিয়েও ট্র্যাভেলগে লিখেছি। হাল্কা করে স্টপেজ দিন একটা এখানে। এদের প্রসাদটা অবশ্যই খাবেন। মুনাক্কা আর শুগার কিউব।

    এইবারে আপনি লাদাখ রিজিয়নে প্রবেশ করছেন। উঁচুনিচু ঢেউখেলানো রাস্তা শেষ হয়ে এবার আসছে আপাত সমতল রাস্তা, দুদিকে ধূ ধূ সমতল রুক্ষ জমি, দূরে দূরে বাউন্ডারি তৈরি করছে রুক্ষ পাহারের চূড়ারা।

    আপনি প্রবেশ করছেন পৃথিবীর ছাদে। পামীর মালভূমি।

    গুরুদ্বারা পাত্থর সাহিব থেকে একটু এগিয়ে এমনই এক সমতল রাস্তায় দেখবেন, সাইডে লেখা আছে ম্যাগনেটিক হিল। আর রাস্তার ওপর একটা বক্স আঁকা রয়েছে। প্রকৃতির খেলা। পুরো সমতল রাস্তায়, নিউট্রাল গিয়ারে গাড়ি রেখে দিলে চারপাশের পাহাড়ের ম্যাগনেটিক ফিল্ডের প্রভাবে গাড়ি আপনা থেকে পেছন দিকে চলতে শুরু করবে।

    বাইক নিয়ে এই খেলা সম্ভব নয়। এটা চারচাকাতেই বোঝা যাবে।

    আর দশ কিলোমিটার মত গেলেই পাঁচিল ঘেরা একটা এন্ট্রি গেট আপনাকে স্বাগত জানাবে লেহ্‌ শহরে। সামান্য কিছু এন্ট্রি ফী দিয়ে ঢুকতে হয় এখানে।

    এতক্ষণে হয় তো সন্ধ্যে হয়ে এসেছে। শহরে ঢুকে পড়ুন, হোটেল দেখুন, এবং বিছানায় চিৎপাত হয়ে পড়ুন। লেহ্‌তে স্বাগত।
  • সিকি | 132.177.195.193 | ০৩ মে ২০১৩ ১৭:১৩584610
  • লেহ্‌তে পৌঁছবেন সন্ধ্যেতে। প্রায় একটানা চার পাঁচদিন চালিয়ে এসেছেন বাইক (লোকে যে কেন বাইক ছ্ড়ে গাড়ি চালায়!), সামনে আরও ড্রাইভিং আছে। শরীরকে তাই রেস্ট দিতে হবে। দিতেই হবে। AMS থেকে বাঁচার জন্য।

    পরের দিনটা শুধু বিশ্রাম। শুধু বিশ্রাম। হোটেল বা কাছাকাছি কোনও ট্র্যাভেল এজেন্টকে টাকাপয়সা আর ডকুমেন্টস দিয়ে দিন, সে আপনার জন্য ইনার লাইন পারমিট বানিয়ে এনে দেবে। আপনি নড়বেন না বিছানা ছেড়ে। সে যতই ফ্রেশ লাগুক না কেন। চুপচাপ পড়ে থাকবেন বিছানায়।

    হ্যাঁ, একটু বেরোতে পারেন, বাইকটা একবার সার্ভিসিং করিয়ে নেবার এই শেষ সুযোগ। ভালো করে ক্লাচ গীয়ার অ্যাক্সিলারেটর টায়ার প্রেশার নাটবল্টু সমস্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চেক করিয়ে নিন। সকালে গিয়ে দিয়ে আসুন, আর বিকেলে গিয়ে নিয়ে আসুন।

    বলা খুব সহজ, কিন্তু দিয়ে-আসুন-নিয়ে-আসুন অত সহজ নয়। কারণ লেহ্‌ শহরে অটোরিক্সা চলে না, সিট বাসও চলে না। সমস্ত ট্যাক্সির কারবার। হোটেলকে বললে তারাই সার্ভিস সেন্টার থেকে সকালে পিকআপ করে নেবে আবার বিকেলে সার্ভিস সেন্টারে পৌঁছেও দেবে, সামান্য কিছু নেবে হয় তো।

    বিশ্রাম নিন, এখনও পর্যন্ত যা যা ফটো তুলেছেন সেগুলো ঝাড়াই বাছাই করুন, খান দান। সন্ধ্যের দিকে একটু লেহ্‌ মার্কেটে হেঁটে আসুন, রাতে ওখানেই খেয়ে নিন কোথাও। অজস্র, অজস্র খাবারের দোকান। শুধু ইন্ডিয়ান নয়, ফ্রেঞ্চ, লেবানিজ, বিভিন্ন ধরণের খাবারের দোকান। কুকিস খান, পেস্ট্রি খান, চিকেন খান, মোমো খান।

    কাল থেকে আবার লম্বা জার্নি। সুন্দর করে ঘুমিয়ে পড়ুন।
  • শঙ্খ | 169.53.78.143 | ০৩ মে ২০১৩ ২০:২১584611
  • চলুক।
  • siki | 132.177.157.119 | ২৮ জুন ২০১৩ ১৩:৫০584612
  • লাদাখপ্রেমীদের জন্যেঃ

    একটা ট্রাভেলগ শেয়ার করছি। সম্ভবত এ বছরের সেরা ট্র্যাভেলগ ইন দা মেকিং। লোকটা স্কুটার নিয়ে এই থার্ড টাইম লাদাখ গেল। দাবি করছে চুশূল বর্ডার হয়ে এসেছে, চীন সীমান্তের সামনে দিয়ে।

    চোখ রাখুন।

    http://www.bcmtouring.com/forum/travelogues-north-india-f61/restless-rider-attained-peace-my-scooter-ride-ladakh-2013-a-t53663/
  • siki | 135.19.34.86 | ১৫ জানুয়ারি ২০১৪ ১৬:২৪584613
  • এটা একটু তুলে রাখ্লাম। সময় করে লিখব।
  • Rit | 213.110.243.21 | ০৪ জুন ২০১৪ ০০:০৪584615
  • মনে করো একটা কালো পাহাড় | ৮০-৯০ ডিগ্রী খাড়াই উঠে গেছে স্বর্গের দিকে | পাহাড়ের গায়ে একটা ঘাসও নেই | সবুজের কোনও চিহ্ন নেই | চুড়োগুলো শুধু সাদা রঙে রাঙানো | এবার মনে করো একটা নীল নদী‚ যেটা পাহাড়ের নিচের উপত্যকা দিয়ে বয়ে চলেছে এক দেশ থেকে অন্য দেশে | সেই গাঢ় নীল রঙের চারপাশে আছে কিছু সবুজ : পপলার‚ আপেল‚ অ্যাপ্রিকট‚ ওয়ালনাট | সেই গাছ্গুলো ভর্তি রঙবেরঙের পাখিতে: ওয়ারব্লার‚ শ্রাইক‚ ফিঞ্চ‚ ব্যাক্ট্রিয়ান ম্যাগপাই‚ চকোর আর ঈগল | এবার ঐ সবুজের সামনের ধরা যাক একটা মরুভূমি | সাদা অর্ধচন্দ্রাকৃতি বালিয়াড়ি গুলো যেন কোন শিল্পী সাজিয়ে দিয়েছে | সেই বালিয়াড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্যাক্ট্রিয়ান উট | এই দুকুঁজো উটগুলো সেই কোন প্রাগৈতিহাসিক যুগে মঙ্গোলিয়ার গোবি থেকে এসেছিল মধ্য এশিয়াতে | রেশম পথের হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির সর্বশেষ রোমন্থন এই অদ্ভুত প্রানীর কুঁজে |
    এই স্বপ্নরাজ্যই নুব্রা উপত্যকা‚ লাদাখের শীতল মরুর মাঝে এক টুকরো ওয়েসিস | নুব্রা মধ্যপ্রাচ্য আর তিব্বতের এক আশ্চর্য সমন্বয় হয়েও প্রচন্ডভাবেই ভারতীয় | তন্ত্র‚ বৌদ্ধ আর ইসলামের ত্রিমুখী স্রোত এসে মিশেছে এই শিয়োক নদীর জলে | তিব্বতের চ্যাংথ্যাং অঞ্চলে জন্ম হওয়া এই নীল নদী শিয়োক নুব্রা উপত্যকা দিয়ে বয়ে চলেছে উত্তর পশ্চিমে | কারাকোরামের বুক চিরে এই নদী গিয়ে মিশেছে স্কার্দু উপত্যকায় সিন্ধুতে |
    মাহিন্দ্রা জাইলো গাড়িটা তখন লেহ শহর থেকে লাদাখ পর্বতের গায়ে উঠতে শুরু করেছে | গুলাম আব্বাস আমাদের নুব্রা-শিয়োকের গল্প শোনাচ্ছিল | খার্দুংলাতে পাকা রাস্তা হয়েছে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে | কিন্তু খার্দুংলা-জোজিলা দিয়ে ক্যারাভান চলছে তিন চার হাজার বছর ধরে | পারস্য থেকে তাশখন্দ সমরখন্দ হয়ে রেশম পথের একটি শাখা এসে ঢুকতো পামীর অঞ্চলে | সেখান থেকে স্কার্দু‚ নুব্রা হয়ে সিন্ধু অববাহিকা হয়ে এসে পৌঁছাতো কাশ্মীর উপত্যকায় | সেখান থেকে সিন্ধুর বদ্বীপের বন্দর (করাচী) অবধি গিয়ে শেষ হত রাস্তা |
    সেই খার্দুংলা আমরা পেরোবো ভেবেই গা ছমছম করছে | গাড়ী পাকদন্ডী বেয়ে উঠে চলেছে | পুরো রাস্তাটা সামনে দেখা যাচ্ছে | আমাদের চেনা জানা দার্জিলিং‚ সিকিম‚ হিমাচলের রাস্তার থেকে এ রাস্তা আলাদা | হিমালয়ে পাহাড়ের পাথর দেখা যায় না | পাইন-ফার-রোডোডেন্ড্রন-ম্যাগনোলিয়া ওখানে পাহাড়ের ভয়াল রূপ টা বুঝতে দেয় না | এই স্তোক-লাদাখ-কারাকোরামের জাত আলাদা | এখানে একদম নিচ থেকেই পুরো রাস্তা দেখা যাচ্ছে | আর উচ্চতা আর বরফ দেখে বুকটা ছ্যাঁত করে উঠছে | গাড়ী একটু ভুল করলেই ৩০০০ ফুট নিচে | তবে উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে স্তোক পর্বতশ্রেনীর আরো অনেক শৃঙ্গ দৃশ্যমান হচ্ছে | স্তোকের মধ্যমনি স্তোক কাংড়ি পর্বতমালার ঠিক মাঝখানে মুকুটের মতো ঝকঝক করছে | গাড়ির জানালা দিয়ে আমি পটাপট ছবি তুলতে লাগলাম |
    এক ঘন্টা পরেই রাস্তার দুদিকে বরফ শুরু হয়ে গেল | যদিও লাদাখ পর্বতমালায় তুষারপাত হিমালয়ের চেয়ে কমই হয়‚ তবু গাড়ি পিছলে যাবার জন্য এই বরফই যথেষ্ট | ভারতীয় সেনাবাহিনীর যন্ত্র এসে বরফ সাফ করে দিয়ে যায় প্রতিদিন | আস্তে আস্তে আমরা উঠে এলাম খার্দুংলা টপে | লেখা আছে ১৮৩৮০ ফুট উচ্চতার এই গিরিবর্ত্ম পৃথিবীর উচ্চতম মোটরপথ | যদিও এখন সেটা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে ও চীনের কারাকোরাম হাইওয়েতে উনিশ হাজারী রাস্তা আছে বলেও শোনা যাচ্ছে কিন্তু আপাতত আমরা উচ্চতম মোটরপথে আছি এটা ধরে নেওয়াই বেশী আনন্দদায়ক |
    খার্দুংলা টপে ১৫-২০ মিনিটের বেশী থাকা উচিত নয় | একে অত কম তাপমাত্রা‚ তার উপর ঝোড়ো হাওয়া বইছে‚ আর সর্বোপরি অক্সিজেন নেই বললেই চলে | এক পা হাঁটতে দম বেরিয়ে যায় | আর যায়্গাটা খুব নোংরা | সব ট্যুরিষ্টকেই প্রকৃতি এই খারদুংলা টপেই ডাক দেন আর সবাই এই টপেই সেই ডাকে সাড়াও দেন | ব্যাক্টিরিয়ার অভাবে সেই সাড়া এখানে চিরন্তন হয়ে রয়ে যায় | লাদাখের সবচেয়ে নোংরা জায়গা বোধ হয় খারদুংলা টপ |
    যাই হোক আমরা ঐ ৫ মিনিটও ছিলাম না | কিন্তু গাড়ি নামতে শুরু করতেই দেখি লম্বা জ্যাম‚ আর্মি ট্রাক আর বাস মুখোমুখি আর কোনও দিকে সরে দাড়ানোর কোনও জায়গা নেই | সুতরাং গাড়ি পেছোবে | ব্যাক গিয়ারে উঠবে খার্দুংলা টপে | ওরে বাবারে! যাই হোক কিভাবে কোনও গিরিপথে জ্যাম হয় আর সেই জ্যাম থেকে কিকরে নিস্কৃতি মেলে সেটা লেখা বাহুল্যমাত্র | দেশে বিদেশের খাইবার পাশের গল্প টা পড়ে নিও | আমাদের ড্রাইভার গুলাম সাহেব চোখ বন্ধ করছিল কিনা জানি না‚ তবে আমি মন ভরে দেখেছিলাম কারকোরাম কে | স্তোক পিছিনে ফেলে এসেছি | সামনের নরকের নামই কারাকোরাম |
    লাদাখ পাহাড়ের গায়ে মাটি আছে‚ ঘাস আছে‚ বালি আছে | তাই রাস্তাও আছে | কারাকোরামে ওসবের বালাই নেই | ওখানে আছে শুধু গ্রানাইট আর কংগ্লোমারেটের কলাম | হাজার হাজার ফুট সোজা উঠে গেছে উপরের দিকে | আর আছে ছোটো ছোটো অ্যালুভিয়াল ফ্যান যেগুলো আবার আড়াআড়িভাবে ফেটে গিয়ে অজস্র ক্রিভাস তৈরী করেছে |
    রাস্তা এঁকেবেঁকে নেমে চলল | পথে দুটো ছোট চটি পড়ল : খার্দুং আর উত্তর পুলু | উত্তর পুলু ছাড়িয়ে একটা ঘাসবিহীন আল্পাইন মেডো পড়ল আর সেটা শেষ হতেই চোখে পড়ল শিয়োক কে | একটা বাঁকানো ভি আকৃতির উপত্যকার মধ্য দিয়ে নীল রিবনের মত পড়ে আছে |
    আকাশের আর নদীর নীল‚ মেঘের আর বরফের সাদা আর পাহাড়ের লাল এর হাজার টা শেড মিলে একটা অদ্ভুতুড়ে জগৎ তৈরী হয়েছে | সবচেয়ে বিরক্তিকর লাগছে গাড়ির ভিতর থেকে ছবি তুলতে |
    সেটার অবশ্য অনেকগুলো কারন | যখন একটা ফ্রেম ভাল লাগছে‚ ক্যামেরা তাক করার আগেই গাড়ি ঘুরে যাচ্ছে | আলো এত দ্রুত বদলাচ্ছে যে প্রতিক্ষণে এক্সপোজার বদলাতে হচ্ছে | আমি সবুজ রঙের উপর মিটারিং টা করতে ভালোবাসি কিন্তু সবুজ কোথাও নেই | সুতরাং মিটারিং খুব বাজে হচ্ছে | ছবিগুলো দেখেলেই এখন বুঝতে পারছি লাদাখে ফটোগ্রাফির চ্যালেঞ্জ টা |
    নামতে নামতে গাড়িটা নেমে এলো শিয়োক উপত্যকায় | পাহাড়ি রাস্তা ফুরোনোয় হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম | শিয়োক উপত্যকা ঠিক ক্যানিয়ন নয় | একদিকের কারাকোরাম উঠে গেছে সোজা‚ কিন্তু অন্য দিকের লাদাখ পর্বত যথেষ্ট ফ্ল্যাট‚ উপত্যকাও এখানে বেশ চওড়া | যাই হোক আরো ঘন্টা ২ লাগবে হুন্ডার আসতে‚ আমাদের ২ দিনের গন্তব্যস্থল |
    অনেকক্ষন থেকেই আমার ইচ্ছে করছিল নদীর কাছে যেতে কিন্তু নীল জলের ধারাটা রাস্তা থেকে অনেকটা দূরে থাকায় গুলামভাই থামাচ্ছিল না গাড়ি | ডিস্কিটের কাছাকাছি একটা জায়গা পাওয়া গেল যেখানে নদীটা কাছে | গাড়ি থামিয়ে নেমে গেলাম নদীর দিকে |
    নদীর জলের নীল রঙের কারন বুঝতে পারলাম না | এ নীল কাছ থেকেও নীল | নদীবক্ষে পড়ে আছে হাজার হাজার রঙীন পাথর | নীল‚ সবুজ‚ খয়েরি‚ সাদা ইত্যাদি | দু একটা তুলেও নিলাম ছোটো দেখে | বাড়িতে আমার সংগ্রহশালার শোভাবর্ধন করবে | পাহাড়ি নদী আমি আগেও দেখেছি | কেদারের মন্দাকিনী‚ গুরুদংমারের তিস্তা‚ রকির কলোরাডো বা ভার্জিনিয়ার শেনানদোয়া | কিন্তু এই রঙ আগে কখনও দেখিনি | ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেওয়া যায় শুধু নদীর পাশে বসে | আর একটা জিনিস খুব ভালো লাগছে‚ তা হল আমরা দুজন ছাড়া আর কোনও ট্যুরিষ্ট নেই কোনওদিকে | এই শিয়োক‚ এই কারাকোরাম এখন শুধুই আমাদের |
    ডিস্কিটে থামা হল না | বালির ঝড় উঠেছে | কোনওদিকে আর কিছু দেখা যাচ্ছে না | এক ঘন্টার মধ্যে বরফ থেকে বালির ঝড়!
    হুন্ডার পৌঁছলাম তখন বিকেল ৫ টা | ক্যামেল ক্যাম্প অ্যান্ড রিসর্টের তাঁবুতে আমদের থাকার ব্যবস্থা | লোটাস দোরজি আমাদের অভ্যর্থনা করলেন | আমরা ওনার তাঁবুতে এবছরের প্রথম অতিথি | তাই সেরা তাঁবুটা আমাদের দেওয়া হল‚ যার একদিকের জানালা খুললে দেখা যায় কারাকোরামের বরফঢাকা শিখর |
    জিনিসপত্র রেখে গুলামভাই চলে গেল ওর আত্মীয়ের বাড়ি | গরম গরম আলু পকোড়া আর জাফরান দেওয়া চা খেয়ে আমরা বেরোলাম গ্রাম দেখতে | গাইড আমাদের দোরজি ভাই |
    হুন্ডার শিয়োক নদীর উপর একটা ছোট্ট গ্রাম | পপলার আর কাঁটাঝোপের প্রাচুর্য | কাঁটাঝোপ কারন হুন্ডার এর ভিতরেই আছে বালিয়াড়ি | আর আছে ব্যাক্ট্রিয়ান উট | আজ অবশ্য সাফারি হবে না বালিঝড়ের জন্য | পরের দিন বিকেলে চেষ্টা করা যাবে |
    আমাদের ক্যাম্প থেকে বেরিয়েই দেখি সামনে দিয়ে জল বয়ে যাচ্ছে | দোরজি ভাই বলল ওট হুন্ডার নালার জল | লাদাখ পাহাড়ের বরফগলা জলে গোটা গ্রামের চাষ হয় | শিয়োক অনেকটা নিচে | ওটা সেচের কাজে খুব একটা লাগে না | আমাদের কিছুটা এসে দোরজিভাই দেখিয়ে দিল শিয়োকের দিকের রাস্তাটা |
    হুন্ডারে বৌদ্ধ আর ইসলামের সহাবস্থান | এখানে ওখানে শোর্তেন (চৈত্য) আর মনি দেওয়ালের ছড়াছড়ি | ধর্মপ্রান বৌদ্ধরা শোর্তেন আর মনি দেওয়ালকে ক্লকওয়াইজ প্রদক্ষিন করে জপযন্ত্র ঘোরাতে ঘোরাতে | এতে পাপক্ষালন হয় আর পরের জন্মে নির্বানের দিকে কিছুটা এগোতে পারে |
    [ক্রমশঃ]
  • | ০৪ জুন ২০১৪ ০৮:৫০584616
  • আহাহা এমন বর্ননা বারবার পড়া যায়, ক্লান্তি লাগে না
  • সিকি | 135.19.34.86 | ০৪ জুন ২০১৪ ০৯:২২584617
  • Rit,

    আলাদা একটা টই খুলে লিখলে হত না? আর সঙ্গে ছবি কই? শুধু বর্ণনায় কি মন ভরে?

    আর ইয়ে, গল্পটা একেবারে খারদুংলা টপ থেকে শুরু হয়ে গেল? আগেপিছের গল্প কই?
  • Rit | 213.110.243.21 | ০৪ জুন ২০১৪ ০৯:৫৫584618
  • সিকি দা,
    পুরোটা লিখছি না। শুধু নুব্রা ভ্যালি নিয়েই উপন্যাস লেখা যায়। ছবি দিচ্ছি।
  • Rit | 213.110.243.21 | ০৪ জুন ২০১৪ ০৯:৫৯584620
  • কিন্তু ছবি আপলোড করব কি করে? টিপস?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন