এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • লাদাখ যেতে হলে

    siki
    অন্যান্য | ৩০ জানুয়ারি ২০১৩ | ৬০৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | 135.19.34.86 | ০৪ জুন ২০১৪ ১০:১৮584621
  • যে কোনও জায়গায় ছবি আপলোড করো। পিকাসা, ফেসবুক, গুগল প্লাস, ড্রপবক্স ... এইবারে সেই ছবির ডিরেক্ট লিংকটা এখানে অ্যাঙ্গুলার ব্র্যাকেট দিয়ে লিখে দাও, লিংক যেন শেষ হয় ছবির এক্সটেনশন দিয়ে - .jpg, .png, .gif ইত্যাদি নামে। তবেই ছবি আপনাআপনি লোড হয়ে যাবে।
  • | ০৪ জুন ২০১৪ ১০:২০584622
  • খারদুংলা থেকে শুরু হওয়াটা আমার তো বেশ লাগল। সবসময়ই সেই ক থেকে চন্নোবিন্নু অবধি লিখতেই হবে তার কী মানে?
  • সিকি | 135.19.34.86 | ০৪ জুন ২০১৪ ১০:২৫584623
  • না সে বেশ লাগছে আমারও, জাস্ট কনফার্ম করে নিলাম, পেছনের গল্পও আসবে তো?

    নেটে এক বাংলা ট্র্যাভেলগ পেলাম, লাদাখ যাত্রার। এটা শেয়ার করেছি কি?

    http://bhetobangali.wordpress.com/2014/01/29/জুলে-১/
  • Rit | 213.110.243.21 | ০৪ জুন ২০১৪ ১০:২৭584624
  • <
  • Rit | 213.110.243.21 | ০৪ জুন ২০১৪ ১০:২৮584625
  • <
  • সিকি | 131.241.127.1 | ০৪ জুন ২০১৪ ১০:৩৮584626
  • রিত কি নিজস্ব সফটওয়্যার অপশন দিয়ে লিখছো? তা হলে ঐ অ্যাঙ্গুলার ব্র্যাকেট দিতে হবে না। সরাসরি লিংক পেস্ট করে দাও।

    এইভাবে।

  • বকেশ্বর | 118.85.90.90 | ০৪ জুন ২০১৪ ১০:৪০584627
  • হয়নি হয়নি ফেল !
  • Rit | 213.110.246.22 | ০৪ জুন ২০১৪ ১০:৫২584628
  • Rit | 213.110.246.22 | ০৪ জুন ২০১৪ ১৩:৩০584629
  • সিকি | ০৪ জুন ২০১৪ ২২:৩০584631
  • কনটেন্ট নট অ্যাভেইলেবল বলছে তো সমস্ত ছবিতে।
  • Rit | 213.110.243.21 | ০৪ জুন ২০১৪ ২২:৫১584632
  • পিকাসা থেকে দেখবো।
  • | ০৪ জুন ২০১৪ ২২:৫২584633
  • ফেবুতে ছবির অ্যাকসেসে কিছু সমস্যা আছে কী?
  • তথাগত | 121.93.191.66 | ০৬ জুন ২০১৪ ০৮:৩২584634
  • সিকি,

    লাদাখ যাত্রার গল্পটা শেষ অবধি হয়েছে। ৬-৭ পর্ব পড়েছো কী?
  • সিকি | ০৬ জুন ২০১৪ ০৮:৪৬584635
  • আরে হ্যাঁ। শেষ অবধিই পড়েছি, কমেন্ট করা হয় নাই। জাস্ট দুর্দান্ত, ফাটাফাটি। :)
  • সিকি | ০৬ জুন ২০১৪ ০৮:৪৮584636
  • বাকিদের জন্য - ইনিই হচ্ছেন তথাগত ওরফে ভেতো বাঙালি, যার বাংলা লাদাখ ভ্রমণের লিংক দিয়েছি ওপরে, চৌঠা জুন তারিখে।
  • Rit | 213.110.243.21 | ০৬ জুন ২০১৪ ২১:১১584637
  • বালিঝড় টা ছিলই | নদীর কাছে যাওয়া গেল না | ক্যাম্পে ফিরে এলাম | পশ্চিম আকাশে লাদাখ পাহাড়ের উপরে তখন কালো মেঘ জমতে শুরু করেছে | দোরজিভাই বলল যে নুব্রা-শিয়োকে বৃষ্টি খুব একটা হয় না | কিন্তু আমাদের চওড়া কপাল বলেও একটা জিনিস আছে | আমি পাহাড় যাব আর বৃষ্টি হবে না সেটা ইতিহাসে কখনও হয়নি | আগের বছর কেদারনাথ গিয়ে কেদারনাথ টা ধ্বংসই হয়ে গেল |
    বৃষ্টি নামল অঝোরধারায় | পাহাড়ে বৃষ্টি দেখার মধ্যে একটা অন্যরকম রোম্যান্টিকতা আছে | পপলার-অ্যাপ্রিকট এর পাতায় বৃষ্টি পড়া দেখতে লাগলাম বাইরের ত্রিপল ঢাকা ডাইনিং অ্যারেনাতে বসে | লাদাখের মাটির সোঁদা গন্ধ‚ এটাও কিন্তু সবার অভিজ্ঞতা হয় না |
    দোরজিভাই এর অন্য কোনও অতিথিও নেই‚ আর অন্য কোনও কাজও নেই | আমাদের গল্প শোনাতে লাগল | দোরজিভাই কিন্তু যে সে পাত্র না | একে নুব্রার রাজপরিবারের বংশধর‚ তার উপরে আবার এক্স আর্মিম্যান | সুতরাং গল্পের কোয়ালিটি নিয়ে কোনও সংশয়ের অবকাশ নেই | শুধু একটাই মুশকিল হচ্ছিল | দোরজিভাই এর হিন্দী টা বড়ই লাদাখি | অনেক শব্দের অর্থই বোঝা যাচ্ছিল না | ইংরাজী বা হিন্দী প্রতিশব্দ না জানায় ঠিক বুঝে ওঠা যাচ্ছিল না | আমি তার কিছু শব্দ লিখে নিয়ে পরের দিন গুলামভাই কে দিয়ে মর্মোদ্ধার করিয়েছিলাম |
    তো যাই হোক | এবার গল্পটা বলা যাক | ক্লাস ৭ পাস দোরজিভাই এর সাল তারিখ মনে নেই | এমনকি নিজের ঠাকুরদার নাম ও মনে নেই | অবশ্য দোষ দেওয়া যায় না | আমাকে আমার ঠাকুরদার ঠাকুরদার নাম জিজ্ঞেস করলে আমিও বলতে পারব না | যাই হোক আমার শুধু মনে হচ্ছিল দোরজি লোটাসের ঠাকুর্দার নাম হওয়া উচিত দোবরু পান্না | তিব্বতি লাদাখি পরিবারে দোবরু পান্না নাম যদিও হতে পারে না | কিন্তু লেখকের কিছু স্বাধীনতা থাকা উচিত | সুতরাং আমি ওনাকে দোবরুই বলব |
    সময়টাও ধরা যাক বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক | দোবরুর বাবা ছিলেন ডাকসাইটে রাজা | অবশ্য আমার মানে হল লাদাখের রাজার অধীনে করদ রাজা | যাই হোক ওসব জিজ্ঞেস করলে দোরজিভাই এর অবস্থা আমাদের ভাইভার ছেলেগুলোর মত হবে | সবকিছুতেই বলবে ইয়েস স্যর | তখন হুন্ডারের সব জমি দোবরুদের | আপার হুন্ডারে তৈরী হয়েছে বিরাট রাজপ্রাসাদ | নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে কালী আর অবলোকিতেশ্বরের মন্দির | উটশালে শয়ে শয়ে উট | রাজার খ্যাতি তখন দিস্কেট‚ লেহ‚ তুর্তুক থেকে শুরু করে বাল্টিস্তান অবধি ছড়ানো | লাসা থেকে স্বয়ং ত্রয়োদশ দলাই লামা আশীর্বাদ পাঠান | তিব্বত থেকে প্রজ্ঞাপারমিতার অনুলিখন করে নিয়ে আসা হয় | সোনার রঙে লেখা সেই পুঁথির পাতাগুলো এখনও প্রাসাদে রাখা আছে |
    গল্প টা এখনও অবধি ঠিক রূপকথার মত | এর পরের গল্পটাও তাই | সেই হুন্ডারের স্বর্ণযুগে তিব্বত থেকে এলেন এক লামা | রাজা তাঁকে সমাদরে বরণ করলেন | তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হল নতুন গোম্পা নির্মানের | দিস্কেট বা থিকসের চেয়েও ভাল গোম্পা হবে হুন্ডারে |
    কিন্তু লামার মাথায় অন্য মতলব ছিল | অবলোকিতেশ্বরের নামে তিনি রাজার কাছের লোকজনদের সরিয়ে ফেললেন | কেও গেল নির্বাসনে‚ কেও বা কারাকোরামের রেশমপথে পড়ে থাকা নরকংকালের সংখ্যাবৃদ্ধি করল | বেচারা দোবরুর আর রাজা হওয়া হল না | পিতার মৃত্যুর পর পথে বসল দোবরু | বৌ‚ ছেলে অর ছেলের বৌ কে নিয়ে শিয়োক নদীর ধারে এক মাটির ঘরে জায়গা হল তার | দোবরু রাজ্যোদ্ধারের চেষ্টা করেছিল কিন্তু লামার ঐশ্বরিক শক্তির সাথে মোকাবিলা করার সামর্থ্য ছিল না তার | দোবরুর ছেলে সামান্য চাষবাদ করে জীবন কাটিয়ে দিয়েছিল | তার ছোটছেলে আমাদের দোরজি ভাই | আর্মি তে গিয়ে জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে পায় দোরজি | অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ায় | পাথরের বাড়ি বানায় | এখন রিটায়ারমেন্টের পর ট্যুরিজম করছে | একমাত্র মেয়েকে লেহ তে পড়াচ্ছে |
    মনার্কি আর থিওক্র্যাসির লড়াই এর প্যাটার্নটা তিব্বতের দলাই লামা থেকে পারস্যের আয়াতোল্লা খোমেইনি সর্বত্র এক | ধর্মভীরু মানুষ রাজাকে ততদিনই ভয়ভক্তি করে যতদিন তিনি ঠিকঠাক পূজো দিয়ে যাচ্ছেন | লামা-পুরুত-মোল্লাদের সাথে জিতে যাওয়া ততটাও সহজ নয় | তাইত এতো কিছুর পরও দোরজি বলে‚ লামারা যাই করুক‚ হাজার হলেও বুদ্ধের অবতার | দোরজি বেঁচে থাকার জন্যই লামাদের উপর কৃতজ্ঞ | সম্পত্তি রাজপ্রাসাদ প্রতিপত্তি নাই বা রইল |
    বৃষ্টি থেমে গেছে কখন খেয়ালই করি নি | মেঘ্টা হালকা সরে উল্টোদিকের কারাকোরামের মাথায় তখন সোনালী রং ঢেলে দিয়েছে | দোরজি উঠে পড়ল | আমাদের ডিনারের রান্নার তদারক করতে হবে ওকে | আর বলে গেল আমাদের শেষ দিন নিয়ে যাবে মন্দির আর প্রাসাদ দেখাতে |
  • সিকি | ০৬ জুন ২০১৪ ২১:১৯584638
  • হুল্লাট হচ্ছে। আরও হোক!
  • শঙ্খ | 169.53.78.143 | ০৬ জুন ২০১৪ ২১:২৯584639
  • এই যে, এই স্টাইলটা, এক নিশ্বাসে দোরজির গল্পটা পড়া হয়ে যেতেই এই একটা লাইন 'মেঘ্টা হালকা সরে উল্টোদিকের কারাকোরামের মাথায় তখন সোনালী রং ঢেলে দিয়েছে', একটা উত্তরণের গল্পের পাশে পাশে আরেকটা ভালো হয়ে যাওয়া গল্পের রেশ, এইটাই দরকার ছিল।

    পড়ছি। সুখপাঠ্য।
  • nina | 22.149.39.84 | ০৬ জুন ২০১৪ ২২:০৮584640
  • ডিলা গ্র্যান্ডি মেফিস্টোফিলিস !!!!!
  • Rit | 213.110.243.21 | ১২ জুন ২০১৪ ০১:৩০584642
  • হুন্ডারে সকাল হল পাখির কলকাকলিতে | তাঁবুর বাইরে এসে দেখি ঝকঝকে রোদ উঠেছে | আগের রাতে প্রচুর বরফ পড়ায় কারাকোরামের গায়ে সাদা চাদর | ঠান্ডাটাও যেন বেড়েছে একটু |
    গুলামভাই হাসিমুখে হাজির জাইলো নিয়ে | লাদাখের যে জিনিসটা সবচেয়ে ভালো লাগছে সেটা হল সব্বার সময়জ্ঞান | দশ মিনিটও কেও দেরী করে না | আর গাড়ির ড্রাইভার মদ্যপান না করায় অনেক বেশী নিশ্চিন্তে থাকা যায় | গতবার সিকিমের লাচেনে ভোরবেলা উঠে গুরুদংমারের জন্য ড্রাইভারের খোঁজ করতে গিয়ে দেখেছিলাম তিনি আগের রাতে প্রচুর বিয়ার টেনে ঘুম দিচ্ছেন | লাদাখে ঐ ঝামেলাটা নেই |
    সকাল সকাল পরোটা আর আলুর দম খেয়ে গাড়িতে উঠে পড়লাম | আজ আমরা যাবো তুর্তুক | লাইন অফ কন্ট্রোলের ৪-৫ কিমি দূরের গ্রাম | শিয়োক পাশ দিয়েই রাস্তা | তুর্তুক‚ ত্যাক্সি হয়ে শিয়োক ঢুকে পড়েছে বাল্টিস্তানে |
    রাস্তা আজ সহজ | অনেকটা অংশই নদীর উপত্যকার মধ্যে দিয়ে | কোনও খাদ নেই | দুদিকের দুই পাহাড়ের বৈপরীত্য চোখ এড়ায় না | লাদাখ পাহাড়ে রং কম‚ খাড়াই কম‚ উচ্চতাও কম‚ শীর্ষে বরফও নেই | কারাকোরাম ভয়ংকর | একটার পর একটা শৃঙ্গের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছি | এই পর্বতমালার অন্যদিকেই সিয়াচেন হিমবাহ‚ বিশ্বের দুর্গমতম যুদ্ধক্ষেত্র | লাইন অফ কন্ট্রোল ও সিয়াচেনের আগেই ফুরিয়ে গেছে | সিয়াচেন এখনও বিতর্কিত | সিয়াচেন থেকে বেরিয়ে আসা নুব্রা নদীর নামেই এই এলাকাটা নুব্রা উপত্যকা | উত্তর পশ্চিম দিক থেকে নুব্রা এসে শিয়োকে মিশেছে একটা অশ্বক্ষুরাকৃতি বাঁক নিয়ে | আমরা অবশ্য নুব্রা শিয়োকের সঙ্গম ছাড়িয়ে এসেছি আগের দিনই |
    সিয়াচেন জন্ম নিয়েছে বাল্টোরো কারাকোরামের গায়ে | আর একটু এগিয়ে গেলেই পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কে-২ বা কোগির (ভারতের শিশুপাঠ্য ভুগোল বইতে এই শৃঙ্গ এখনও গডউইন অস্টিন‚ কিন্তু স্বাধীনতার ৬৫ বছর পর পাকিস্তানে ঐ নাম আর কেও বলে না)‚ গাসেরব্রুম‚ ব্রড পিক ইত্যাদি আট হাজারি মনসবদারেরা | ১৪ টার মধ্যে ৪ টে এই বাল্টোরো কারাকোরামে | তবে ভারতের ভাগে একটাও পড়েনি | শুধু এই চারটেই বা কেনো? ঐ ১৪ আট হাজারির মত্র একটি ই আমাদের দেশে‚ আমাদের চেনা কাঞ্চেনজঙ্ঘা |
    লাইন অফ কন্ট্রোলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি বলে রাস্তায় সিকিউরিটি বেড়ে গেছে | ইনারলাইন পারমিটের গল্পটা এবছর বন্ধ হয়েছে কিন্তু গাড়ি থামিয়ে আইডি দেখানো‚ নাম লেখানো গুলো আছে | তবে একটা জিনিস ভাল | রাস্তায় আর কোনও ট্যুরিস্ট না থাকাতে লাইন দিয়ে হচ্ছে না |
    তবে আর্মিকেও কুর্নিশ | কেও কোত্থাও নেই ধারেকাছে | দুটো লোক বন্দুক নিয়ে বসে নদীর সেতু পাহারা দিচ্ছে | আমি গিয়ে একজনের সাথে কথা বললাম | বললাম আপনাদের দেশ খুব সুন্দর | লোকটা হেসে বলল এ জায়গা টা জঘন্য | শুধু ন্যাড়া পাহাড় | তুর্তুক যান | ওখানে হরিয়ালি আছে | কত ফুল‚ ফল‚ পাখি |
    ওহো বলা হয়নি | আজ শিয়োক নীল নয় | আগের রাতে প্যাংগং ও নুব্রাতে বৃষ্টি হয়েছে | সেই জল নদীতে পড়ে নদী আজ ঘোলা | আজ জলও অনেক বেশী | একটু বিরক্ত লাগছে সেই জন্য | চওড়া উপত্যকা শেষ হয়ে একটা ক্যানিয়ন শুরু হল | আর তারপরই আমরা নড়বড়ে কাঠের সেতু দিয়ে নদী পেরিয়ে গেলাম কারাকোরামের গায়ে | এই প্রথমবার |
    পাহাড়ি রাস্তাতে ভয়ের কারন মূলতঃ একদিকের খাদ | গাড়িটা সামলাতে না পারলেই খাদ দিয়ে সোজা গিয়ে পড়বে নিচে আর পপাত চ মমার চ | পাহাড়ের দিকটা সেদিক থেকে নিরাপদ | বৃষ্টিতে ধস না নামলে ভয়ের কোনও কারন নেই |
    দেখি সামনে কয়েকটা লোক দাঁড়িয়ে | গুলামভাই কাচ নামিয়ে গলা বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে | একটা লোক আঙ্গুল দেখিয়ে বলল শ্যুটিং রক | এ জিনিসের নাম শুনেছি | কলোরাডোর রকিতে সাইনবোর্ড দেখেছি | চোখে দেখিনি | এবার দেখলাম | জটায়ুর ঠিকই বলেছেন | নরকের নামই কারাকোরাম |
    পাহাড়ের গায়ের খাড়াইটা প্রায় ৭০-৭৫ ডিগ্রী | আর পাহাড়ের গায়ে সুন্দর করে কেও যেন সাজিয়ে রেখেছে বিভিন্ন মাপের পাথর | গোল গোল পাথর | আরো উঁচুতে কোনও অ্যালুভিয়াল ফ্যানের সিমেন্টিং কাদা টা কড়া রোদে ফেটে গেছে | আর এই লুজ পাথরগুলো নেমে এসেছে এই পাহাড়ের গায়ে | পুরো তো নেমে আসেনি এখোনো | কিন্তু যখন খুশী আসতে পারে | ভাবতে ভাবতেই দেখি ঝড়ের বেগে একটা মাঝারি সাইজের পাথর নেমে এসে রাস্তায় গোঁত্তা খেয়ে শিয়োকের বুকে গিয়ে ঝপাং | দেখলাম গুলামভাই ও ভয় পেয়েছে | এতো পুরো মাইনফিল্ড |
    মিনিট পনের দাঁড়ানো হল | তারপর আস্তে আস্তে গাড়ি শুরু করল | আমাকে বলল জানালার কাচ তুলে দিয়ে ও পাহাড়ের দিকে কড়া নজর রাখতে | কোনও পাথর গড়িয়ে আসছে দেখলেই গাড়ির স্পিড ম্যানিপুলেট করবে | আর এভাবে চলবে প্রায় ২-৩ কিমি | গুলামভাই গাড়ি চালাচ্ছে ডান দিকের পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে | আর বাঁ দিয়ে ৫০০ ফুটের খাদ | গাড়ি চলতে চলতে পাহাড়ের উপরে পাথরের গড়ানো শুরু হওয়া দেখলাম গোটা দশেক | যাইহোক আমাদের ঘাড়ের উপর এসে পড়েনি সেটার জন্য গুলামভাই এর স্যালুট প্রাপ্য |
    রাস্তায় ছোট ছোট কিছু গ্রাম পড়ল | থয়েস‚ চ্যাংমার‚ চালুংকা হয়ে বগড্যাং | থয়েস নুব্রা উপত্যকার একমাত্র আর্মি এয়ারস্ট্রিপ | শীতকালে আড়াই হাজার টাকায় এখান থেকে লেহ সার্ভিস পাওয়া যায় নুব্রাবাসীদের জন্য | বগড্যাং একটা বর্ধিষ্ঞু গ্রাম | বগড্যাং এর লোকজনের মধ্যে লাদাখি-তিব্বতি মঙ্গোলয়েড ছাপ নেই বললেই চলে | লম্বা‚ চোখা নাকমুখ‚ গোলাপি ফর্সা গায়ের রঙ | মধ্য-পশ্চিম এশিয়ার স্পষ্ট ছাপ | আর বৌদ্ধ স্তুপও কমে এসেছে চারদিকে | বরং মসজিদ দেখা যাচ্ছে | বগড্যাং এর পরই আবার নদী পেরিয়ে বাঁ দিকে চলে এলাম | তুর্তুকের কাছে চলে এসেছি | সবুজের আভা পাওয়া যাচ্ছে |
  • সিকি | 131.241.127.1 | ১২ জুন ২০১৪ ০৯:৪৫584643
  • সুন্দর হচ্ছে। তবে এত দেরি করে করে কেন?

    ও হ্যাঁ, এটা সব্বাইকার জন্যে আরেকবার হাইলাইট করে দিই - এ বছর থেকে, ভারতীয়দের জন্য ইনার লাইন পারমিট উঠে গেছে। লে শহরে গিয়ে আর এই পারমিট নিতে হবে না, শুধু পকেটে একটি ভারতীয় সরকারি পরিচয়পত্র থাকা চাই। ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, আধার কার্ড ইত্যাদি। যাতে নাম আর ঠিকানা, দুইই আছে।
  • Rit | 213.110.246.22 | ১২ জুন ২০১৪ ১০:১৩584644
  • দেরির কারন সারাদিন ধরে ভাইভা, ইন্টারভিউ নেওয়া আর সেমিনার অ্যাটেন্ড করা। :(
    তার উপর আবার পেপার রিজেক্ট হয়েছে। উফ্ফ।
  • সিকি | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:১৫584645
  • Satyen Das, a dream personified. A rickshaw puller embarked on a journey of his lifetime to ferry his dreams through surmountable impediments to conquer the impossible. This man was on a mission to scale the highest motorable road at Khardung La on his humble rickshaw.

    He started his journey from Kolkata on the 11th of June, 2014 and pedaled his way through 2500 km to reach Leh. You can see here that clad in an oversized purple jacket, with the tri-color fluttering over his rickshaw, here was a man defying all odds, smiling and spreading the message of World Peace. To get a sense of his achievement, the last 40 km from Leh to Khardung La takes you from an altitude of 11, 500 ft to 18, 380 ft and to do so in a mountain bike is considered a tough ask even for experienced cyclists/bikers. Now imagine a gearless rickshaw, with all his belongings stacked in the boot being pedaled through freezing temperatures across rugged mountainous terrain. You need nerves of steel and sheer grit and determination to accomplish such feat. No wonder, this should find its way in the record books. If you too feel the same, spread the word and let the world know of the Modest Rickshaw Puller...

  • সিকি | 135.19.34.86 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৫ ১০:৩৫584646
  • গত অক্টোবরের ছবি - যোগেশ সরকারের তোলা -







    আর এইটা হল স্টারট্রেইল -



    সবকটা ছবিই ক্লিক করে দেখতে হবে।
  • বু গু | 166.107.82.66 | ৩১ মার্চ ২০১৫ ১৪:১৩584647
  • তুলে দিলাম।
  • সিকি | ১৫ মে ২০১৫ ২৩:১৯584648
  • বুঝলি সান্দা, কিছু কেনাকাটা করলাম আজ।

    এইটা নামালাম।



    আর একটা বালাক্লাভা, একজোড়া গেইটার, একজোড়া করে এলবো আর নী গার্ড।

    আরো কিছু কেনাকাটি পরের সপ্তাহে।
  • Div0 | 132.167.100.79 | ১৬ মে ২০১৫ ০০:১৪584649
  • তোর যাওয়া ক্যানসেল হয়নি এখনও? মিছিমিছি কিনছিস, পড়ে থাকবে। সামনের বছরই কিনতিস না হয়, একসাথেই হত। এনিওয়ে। :->

    এগুলো কেটিএম-স্পেসিফিক স্যাড্‌ল লাগছে। মাউন্টগুলো দেখে নিস। এনএস'এর পাছুটা একটু অডলি বেঁকে উঁচু হয়ে থাকে। প্লাস ফ্যুয়েল জেরিক্যানের জন্যও গ্রিল চাই। আমার এই বছর কোনওভাবেই হত না। গাড়ি আজ ফার্স্ট সার্ভিসিং'এ গেল। কী বিকট ডিফল্ট ম্যাপিং করে রাখে হতভাগারা। আইড্‌ল'এ দু'হাজার আরপিএম রেভ করে। একবার ইসিইউ রিম্যাপ করে তবে শান্তি পাবো। :-ক্ষ :-ক্ষ

    আর আমি অ্যামাজন থেকে 'প্রোবাইকার' গ্লাভস নিলাম। নাক্‌ল গার্ড আছে। মন্দ নয়। তবে হাত খুব ঘেমে যায়। মিনিমাম ২০০০ কিমি না হলে ৫০০০ আরপিএম'এর উপরে ওঠা বারন। ইঞ্জিন রান-ইন টাইম :-/ ... বর্ষা শেষের মুখে একটা কোঙ্কন ট্রীপ করবো। নিজে অনেকবার গেছি। গাড়িটাকে ঘুরিয়ে আনি। আর ইঞ্জিন/গীয়ার বেশ স্মুদ না হওয়া পর্যন্ত এর বেশী লম্বা রুট পারতপক্ষে করবো না।

    ইন এনি কেস, ডিটেইল্‌ড আইটিনারারিটা দিস হতভাগা।

    ...২০১৬ মে বি।
  • সিকি | ১৬ মে ২০১৫ ০৬:১৩584650
  • সান্দা, আজ মেল করব।
  • | ১৭ মে ২০১৫ ২৩:১৮584651
  • আচ্ছা এইসব খরুচে যাত্রা ভীড়ী এইটে টুকে রাখি



    তারপর



    তাপ্পর



    তাপ্পর



    ব্যাসস শেষ

  • একক | 24.96.72.247 | ১৮ মে ২০১৫ ০০:১১584653
  • উফ দুর্দান্ত বেড়ানোর গপ্প ! মন খুশ হয়ে গ্যালো পড়ে :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন