এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নুনি পুরাণ

    Ishan
    অন্যান্য | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ | ৩৭৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 78.48.231.217 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২১:৫৭600838
  • শিগ্গিরি টইয়ের নাম বদলাও !
    N*** র নাম নিয়ে টই খুল্লে, গুরুর সার্ভারের কী হতে পারে ভেবে দেখেছো !!
  • Ishan | 202.43.65.245 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২১:৫৮600849
  • প্রথম সংস্করণের ভূমিকা
    -------------
    রাজনীতিকে বাদ দিয়ে নুনির প্রকৃত ইতিহাস লেখা অসম্ভব। কারণ, নুনি মূলতঃ একটি রাজনৈতিক ঘটনা। আবার শুধু রাজনৈতিক ধারাবিবরণী দিয়েও নুনিকে বোঝা অবাস্তব। কারণ, পুরাণ ও রাজনীতি, আখ্যান ও অলৌকিকতা, লোকগাথা আর বাস্তবতা, পৃথিবীর এই প্রান্তে একসাথে জড়িয়ে আছে। ম্যাজিক আর তান্ত্রিক তুকতাক বাদ দিয়ে পৃথিবীর এই প্রান্তের বাস্তবতাকে বোঝা যায়না। তাই, যারা ফিকশন পড়ছেন ভাবছেন, তাঁরা অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন, আসলে রাজনীতিই পড়ছেন। কারণ, পৃথিবীর এই ভূখন্ডে, ইতিহাসের অধ্যায় গুলি এমনই।
  • kk | 78.47.250.76 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:০১600860
  • 'এই প্রান্ত' মানে কোন প্রান্ত?
  • সিদ্ধার্থ | 233.239.145.99 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:০৪600871
  • চাম্পি! এই লাইনে আমিও খেলব ভাবছিলাম :)
  • Ishan | 214.54.36.245 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:০৪600882
  • প্রথম পর্ব
    ---------------

    এর অনেক অনেক দিন পরে, কমরেড আজুলো হকিয়ানো যখন নুনির ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড়াবেন, তখন সেই মুর্গিচুরির দিনটার কথা তাঁর মনে পড়বে। শহরে তখনও ছেষট্টির উন্মাদনা। ছেলেরা ট্রামবাস পোড়াচ্ছে আর উড়িয়ে দিচ্ছে বিপ্লবের লক্কা পায়রা। শান্তিপুর ডুবু-ডুবু নদে ভেসে যায়। উত্তর-বাংলায় নকশালবাড়ি ঘটে গেছে, আর প্রেসিডেন্সির ছেলে-মেয়েরা সদর-দপ্তরে কামান দাগার ব্লু-প্রিন্ট বানাচ্ছে। পিকিং রেডিও থেকে সর্বত্র ঝরে ঝরে পড়ছে বসন্তের বজ্রনির্ঘোষ। আর চব্বিশ-পরগণার এক অখ্যাত গ্রামের ঘোষপাড়ার মেঠোপথ দিয়ে হাঁটছেন কমরেড আজুলো।

    কেন চব্বিশ-পরগণা, কেন সুন্দরবন, এ কথা বলা কঠিন। হয়তো একেই ট্র্যাজেডি বলে। কেন তুমি, কেন তুমিই, এত লোক থাকতে কেন তোমাকেই বেছে নিল বন্দুকের নিশানা, একথা মৃত্যুর আগেও কেউকেউ জেনে যেতে পারেনা। তখন সে স্মৃতির বালিয়াড়ি হাতড়ায়, দুই হাতে অতীতের প্রত্নতত্ত্ব খোঁড়ে। এর বহুদিন পরে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড়িয়ে কমরেড আজুলোর তাই মনে পড়ে সেই প্রেসিডেন্সির দিনটার কথা যখন হিন্দু হস্টেলের দখল নেবার জন্য পাঁচিলের স্পাইডারম্যানের মতো খাড়া পাঁচিল বেয়ে উঠেছিল সুভাষ, আর দুই দিকে মুড়ি-মুড়কির মতো ছুঁড়ে দিচ্ছি লাল-পাউডার পেটো। কোনো পাইপগান তাকে থামতে পারেনি। আজুলো কি সেদিন ভয় পেয়েছিল? বলা কঠিন। হয়তো বিরাগ, অথবা বিরক্তি। কিংবা বিবেক দংশন। কিন্তু সেদিনই নিজের সঙ্গে গোপন মিটিঙে আজুলো ঠিক করে, এইসব ভিড়ভাট্টায় শহুরে চালবাজি আর না। মুক্তাঞ্চল চাই ফাঁকায়। যেখানে মানুষ কম, সেখানে শত্রুও কম। সুন্দরবনে বাঘ আছে, কিন্তু শ্রেণীশত্রু নেই। তাই চব্বিশ পরগণা।
    ঠেকে শিখতে হয়েছিল তাকে।
  • সিদ্ধার্থ | 233.239.145.99 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:০৭600893
  • আব্বে টুকছ ক্যান? মোউলিক লেখা লেখো
  • কৃশানু | 126.202.221.74 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:১৩600896
  • না না ঠিকাছে। রিভাইস হয়ে যাচ্ছে :-)
    কেসটা জমাটি হবে মনে হচ্ছে !!
  • শুনি | 192.68.183.16 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:১৪600898
  • বাঃ বেশ ভাল চরিত্তিরচর্চা চলছে তো

    চলুক চলুক এরপর পর কি আসবে?

    কাশীর বিধবাদের নিশিযাপন না নন্দনে বুদ্ধের হুইস্কিসেবন ?

    এই না হলে সুস্থ সাইট
  • kc | 188.61.96.29 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:১৪600897
  • লোকটাকে এবার ছাড়। আর কতদিন লোকটা গালি খেয়ে যাবে?
  • Ishan | 202.43.65.245 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:২০600839
  • মুর্গি নিয়ে তখনও ভাবেনি সে। সেসব আরও পরের কথা। বাঘ বুড়ো হলে মুর্গিও খায়, এ কথা অনেক ঠেকে শিখতে হয়েছিল তাকে। সে ছিল এক অদ্ভুত সময়, যখন জোতদাররদের বাড়িতে বসে রাম খায় ওসি, অকাতরে মরে কৃষক রমনী, স্বরাষ্ট্র্মন্ত্রী প্রকাশ্যে "পুলিশের বন্দুকে কি নিরোধ লাগানো আছে?" বলে হুঙ্কার ছাড়েন, কিন্তু এখানে সেসব কত দূরে মনে হয়। এখানে নদীতে নামলে কামঠ ধরে, বিদ্রোহীদের টেনে নিয়ে যায় কুমীর। রাতে দরজায় টোকা মারে আদিম রয়াল বেঙ্গল। গায়ে তার ডোরাকাটা। গোয়াল ভেঙে নিয়ে যায় একলা গোরুদের। এখানে মশারির ভিতরে চুপিসাড়ে ঢুকে আসে কাল-কেউটে। এ এক অন্য জগৎ। বাকি সব অলীক। তাই সি-এম এর চিঠির জবাবে আজুলো জানায়, এ আমাদের মুক্তাঞ্চল। প্রকৃতির অভয়ারণ্য। অরণ্যদেবের মায়ার দ্বীপ। বাঘের ভয়ে এখানে পুলিশ ঢোকেনা। জোঁকে শুষে নেয় সি-আর-পির শেষ রক্তবিন্দু। নতুন আর কি করার আছে এখানে?

    কিন্তু শহুরে পরশ্রীকাতরতা পিছু ছাড়েনা। হরেক রকম কুটিল প্রশ্ন পরপর আসতে থাকে। "কোনো লড়াই ছাড়াই মুক্তাঞ্চল?" একি আশ্চর্য। কিন্তু পৃথিবীর এই প্রান্তে ইতিহাস এরকমই। অদ্ভুত বে-আক্কেলে। এর অনেকদিন পরে ঘটবে মরীচঝাঁপি। বিদেশী ভাষায় সে নিয়ে বই লেখা হবে। তবে সেসব রহস্য কিছু কিছু বোঝা যাবে।
  • সিদ্ধার্থ | 233.239.145.99 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:২৬600840
  • কাছে দূরে কেবলি গ্রামপতনের শব্দ পাওয়া যায়। শহর ভেংগে পড়ে। এই সব ধ্বংস, অপচয় উন্মাদনার মধ্যে থেকে রক্তের গভীরে অন্তর্গত এক অসুখের মত খলখলিয়ে হেসে ওঠে নুনি। এ যে সব তার-ই চক্রান্ত ছিল এতদিন। এই তো সে চেয়েছিল! কবরখানায় রতিবাসনার থেকে আর বেশি অভীষ্ট তার কি-ই বা হতে পারে? তবু প্রশ্ন জাগে, কোথায় ছিল এতদিন এ কারুবাসনা? এতদিন কোথায় ছিলেন? এইভাবেও তো প্রশ্ন করাই যায়!

    সাল ১৯৭০। এ বড় সুখের সময় নয়, এ বড় আনন্দের সময় নয়। তবুও, চরমতম খারাপ হতে বাকি আরো কিছুদিন। কমরেড আজুলোর এক মাসে ৩৫০০০ গ্রামে হেঁটে হেঁটে ঘুরে বিপ্লবের গোপন মন্ত্র দানের তখনো কিছুটা বাকি। সংসদীয় রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতালাভের চিঁড়ে ভোটারদের ল্যা ল্যা পিত্তসঞ্চারী গুড়ে ভালই ভিজেছিল
    তখন, আর কমরেড আজুলো আর তাঁর নেতা ও জীবনসংগী (নিন্দুকের ভাষায় কমরেড আজুলোর সেক্স বস) কমরেড অসাম চ্যাটার তখন আলিপুর জেলের এক ক্ষুদ্র কুঠুরীতে বসে লিখে চলেছেন নিজের ডায়রি, 'মুরগী চুরির আঠেরো বছর'
  • Ishan | 202.43.65.245 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:২৮600841
  • সরেজমিনে দেখতে লোক আসে। উঁচুতলা থেকে। যাথাসাধ্য উত্তর দেয় সে।

    -- আপনাদের পেটো আছে?
    -- আছে।
    -- ছুঁড়ে দেখান।

    ছোঁড়ার পর পেটো ফাটেনা। তদন্তে দেখা যায়, দোষ প্রকৃতির। জোয়ারের জলে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে গেছে। ম্যানগ্রোভবনের ভিজে পেটোরা এরকমই। কিন্তু কমিটি বুঝলে তো?

    -- বন্দুক আছে?

    --হ্যাঁ।

    --কটা?

    -- তিনটে।

    -- তিনটে বন্দুক দিয়ে সি-আর-পি ঠেকাবেন?

    যেখানে বনের বাঘ আপনাকে স্বাভাবিক সুরক্ষা দেয়, আপনার সুরক্ষাবলয়ের অংশ হিসেবে হুল উঁচিয়ে সতত দাঁড়িয়ে আছে বুনো মৌমাছিরা, সেখানে এসব প্রশ্ন অবান্ত। কিন্তু নাগরিকতা আর কবেই বা বুঝেছে ইতিহাসের মর্ম।
  • Ishan | 202.43.65.245 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:৩৫600842
  • রাস্তায় বেরিয়ে বন্দুক ছোঁড়ার ট্রায়াল হয়। জনৈক জোতদারের বাড়ির পাশে। বন্দুক ছোঁড়া যায়না। কারণ গুলি খুঁজে পাওয়া যায়না। তাতে অবশ্য ক্ষতিবৃদ্ধি হবার কথা নয়। কারণ চট্টগ্রামেও এমনই হয়েছিল। তাতে বৃটিশ সৈন্যের তুলোধোনা হওয়া আটকায়নি। কিন্তু কমিটি ওসব বোঝেনা।

    -- ছুঁড়ে মারলে পেটো ফাটেনা। বন্দুক আছে, গুলি নেই। এ আপনাদের কেমন মুক্তাঞ্চল?

    -- খুব সোজা। কমরেড বলেন। আমরা এখানে মুক্ত ভাবে চলি। বাঘ ছাড়া আমাদের কামড়ানোর কেউ নেই। কুমীর ছাড়া আমাদের হারানোর কিছু নেই।

    -- আর জোতদাররা?

    -- তারা তাদের মতো চলে। আমরা আমাদের মতো। সামনাসামনি না হলেই হল।

    -- আর সামনাসামনি হলে?
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:৩৬600843
  • বোমা বোমা !!
  • Ishan | 202.43.65.245 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:৩৯600844
  • এ প্রশ্নের উত্তর দেবার প্রয়োজন হয়না। কারণ, জোতদারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন বাঘ স্বয়ং। সঙ্গে কয়েকটি মুশকো বডিগার্ড। দেখেই কমরেড বাঁশবাগানের দিকে সরে যান। যাতে মুখো-মুখি না হতে হয়। তাতে কোনো দোষ নেই। জলে মাছ ওইভাবেই থাকে। হাঙর দেখলে পালিয়ে যায়। অক্টোপাসের নাগাল এড়ায়। তাছাড়া সে বিলকুল মুক্ত। সে নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়।
  • সিদ্ধার্থ | 233.239.145.99 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:৪১600845
  • এবং, প্রকৃতির নিয়ম ও ডাকেই, ডায়রী লেখায় বাধা পড়ে। অসাম উঠে মুততে যান। আজুলো একটা বিড়ি ধরিয়ে ঝিমোতে থাকেন। হঠাত সামনে খচমচ শব্দ, এবং আজুলো চোখ খুলে দেখেন একটা ডাঁসা রাঘববোয়াল ঘাপটি মেরে ডায়রির পাতার ওপর বসে তাঁর দিকে চেয়ে আছে আর মাঝে মাঝে জিভ চাটছে।

    'এই হ্যাট হ্যাট! কমরেড অসাম! কি জ্বালা, এসব মাছ ফাছ আবার কোথা থেকে ঢুকল!'

    মাছ জুলজুল চোখে চেয়ে থেকে অবিকল মানুষের ভাষায় বলে ওঠে 'আসবে না। হাজার চেঁচালেও আসবে না। মুতছিল। ওপর থেকে লাফিয়ে পড়লাম। মালটা মুতের মধ্যেই ফেইন্ট করে গেল'।

    আজুলোর কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম দেখা দেয়। সিদ্ধার্থ রায়ের পুলিশ দেখেও এত ভয় লাগেনি। ভয়ের চোটে মনে মনে 'রাম রাম' জপতে থাকেন'।

    মাছ খচে ওঠে 'ওসব রাম ফাম আদবানীকে দেখিও বাঞ্চোদ! আমায় কি ভূত পেয়েছ না কি? আমি কে জানিস? ল্যাজ খানা দেখেছিস? দেব নাকি একটা ঝাপড়া? কাঁটা ফুটলেই কিন্তু গ্যাংগ্রীন!'

    'আজ্ঞে, আপনি কে?' আজুলো তোতলাতে থাকেন।

    'এবার লাইনে এসো। নামটা মনে রাখিস। নুনি। মতস্য অবতারের কথা শুনেছিস? না? জানি, শুনবি না! কিছুই তো করলি না জীবনে, মুরগি চুরি ছাড়া! তাও, সেটাও যদি ঠিকঠাক করতে পারতিস! একটা উত্তর দে দেখি-তোদের ওই চুতিয়াটা, চেয়ারম্যান মাও, ক্যান বলেছিল বিপ্লবীরা জলের মধ্যে মাছের মতন মিশে থাকে?'

    'আজ্ঞে উনি ক্যান বলেছিলেন, মানে, ইয়ে, রূপক-'

    'দৌড় বোঝা গেছে। তোরা করবি বিপ্লব! গাঁড়ে নেই ধান দুব্বো ছেলে বলে মেম চুদব! যাক। তোদের মত গন্ডমুর্র্খের সাথে টাইম নষ্ট করার কোন মানে হয়না। কয়েকটা পয়েন্ট বলছি, ঝটপট লিখে ফেল ডায়রীতে। ওই হারামী পোমোদ দাশগুপ্তের ইয়ে মারতে কাজে দেবে'।
  • Ishan | 202.43.65.245 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:৪৮600846
  • কিন্তু উচ্চতর কমিটি এসব বোঝেনা। দ্বান্দ্বিক ইতিহাস-চর্চার অভাব হলে যা হয়। রাত্রের মিটিঙে তুলোধোনা করা হয় কমরেডকে। আপনি কী ইয়ার্কি মারছেন? শত্রুর হাতে তুলে দিচ্ছেন মস্কোকে? কমরেডের কান লাল হয়। বুকে কাঁপন তৈরি হয়। কিন্তু তিনি কিছু বলেন না। শহুরে অ্যাংরি ইয়ং ম্যানদের হাতে তৈরি হয় যুদ্ধের ব্লু-প্রিন্ট। চুপচাপ বসে থাকা নয়, চাই অ্যাকশন। যত হামলা করো, সব সামলে নেব, চ্যালেঞ্জ তোমায় যদি মারতে পারো। হামলা করতে হবে জোতদারের ঘাঁটিতে। হয়ে যায় সিদ্ধান্ত।

    বোঝা যায়নি, নুনির বীজও আসলে সেদিনই বপন করা হয়ে গিয়েছিল। ইতিহাসের কুশীলবরা সবসময় নিজেরাও বোঝেনা তারা ঠিক কী কী করছে। ইতিহাসের প্রভু হতে গিয়ে তারা শেষ পর্যন্ত পরিণত হয় ক্রীড়নকে। পৃবীর এই প্রান্তে ইতিহাসের চাকা এমনই নির্মম।

    (প্রথম পর্ব সমাপ্ত)
  • প্রধান | 90.169.197.219 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:৪৮600847
  • বাহ।
    ২০১৪ এ নুনি দেখছি বেশ active হয়ে উঠেছে।
    হবেই না কেন!
    ঘরে ঘরে নেট কনেকশন লেগে গেছে।
    অফিসে বসে এসির ঠান্ডা হাওয়া মগজে লাগিয়ে জম্পেশ করে লেখালেখি চলছে।

    চলুক।
    তরুন দের গরম রক্ত আর শান দেওয়া কীবোর্ড থেকে কি কি লেখা পড়ে, মাঝে মাঝে দেখে যাব।
  • প্রধান | 90.169.197.219 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:৫৯600848
  • বুড়ো হাতে একটা টাইপো হয়ে গেছে। ক্ষমা করে দিও কচিরা।
  • দাদাঠাকুর | 132.177.146.255 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:০৫600850
  • কি কি গুলো কী কী হবে।
  • murgi | 160.212.8.239 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:০৯600851
  • অনেকদিন পরে জুলজুলিয়ে হাসলাম। তিস্তার দিব্যি। :)
  • aka | 78.125.46.3 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:১৬600852
  • আমি বোধহয় স্লো হয়ে গেছি। কিছু বুঝতেই পারলাম না। এর থেকে তো .NET কোড রিভিউ সোজা।
  • প্পন | 190.215.37.170 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:১৭600853
  • আপ্নি কমরেড ওই প্রান্তে আছেন। তাই এই প্রান্তের বাস্তবতাকে বুঝছেন না।
  • সিদ্ধার্থ | 233.239.145.99 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:২১600854
  • আজুলো পেন ফেন বাগিয়ে রেডি হয়ে বসেন। ভয়ের চোটে হাত কাঁপতে থাকে।

    'ঘাবড়াস না। তুই বেরিয়ার ভক্ত মানে আমারো ভক্ত'।

    'আপনি কমরেড বেরিয়াকে চিনতেন?'

    'সব বাঞ্চোদকে চিনতাম। নে এবার ঝটপট লিখে ফেল। হাতে টাইম নেই বেশি। আলবেরিয়াতে একটা মাস আপরাইজিং হচ্ছে। একটু নজর রাখতে যেতে হবে। পয়েন্ট ১, দুদিনের মাথায় তোদের পাশের সেলে শংকর সেন নামে একটা ছেলে আসবে। মালটা হাড় হারামী, কিন্তু কাজের। সবচেয়ে কাজের কথা হল, সাথে টাকা থাকবে। পুলিশকে ফিট করা আছে।
    টাকা নিয়ে সেলে আসবে। তোদের দেবে। তার পরের দিন তোরা রিলিজ হবি। টাকাটা নিয়ে হাওয়া হয়ে যাবি এখান থেকে। কোথায় যাবি, যাবার আগে জেনে যাবি'।

    'আর?'

    'পয়েন্ট দুই, শংকর কিছুদিন বাদে জেল থেকে বেরবে। ওকে প্লাস্টিক সার্জারি করার জন্য টাকার দরকার। তোর কাছে যে নোটগুলো থাকবে, তার থেকে দিবি। গদ্দারী করলে কিন্তু ল্যাজের কাঁটা সোজা পাছায় ধুকে যাবে! মনে রাখিস, আমার চোখ সর্বত্র'।

    'আমি তো কিছু বলি-ই নি!'

    'তিন-দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় ঘাঁটি গেড়ে সামনের পাঁচ বছর যা ছেঁড়ার ছিঁড়ে নে। সামনে তোদের একটু খারাপ সময় আসবে। জহরের মেয়েটা জীনা হারাম করবে। তবে কেটেও যাবে। ভাবিস না, আমার কথা মত চল। বালিগঞ্জের ফ্ল্যাট পাবি, উত্তর সম্পাদকীয়তে লেখা পাবি। আমাদেরো সময় আসবে। কিন্তু এখন-ই না। গোকুলে বাড়ছে সে।'

    'কে?' আকুল হয়ে জানতে চান আজুলো।

    'শংকর সেন, আর কে! সামনের পৃথিবীতে অনেক অনেক শংকর সেনেরা আসবে। শংকর যেমন আসবে, তেমন-ই আসবে লেনিন স্টালিন পল পট। কিন্তু তারা সব জালি। কেউ আসলি হবে না। তোদের মত কয়েকটা ভোঁদড় শুধু বেনামে জল ঘোলা করবে। আসি'।

    বিড়ির ধোয়ায় মাথাটা মনে হয় টাল খেয়ে গেছিল। কমরেড আজুলো অন্ধকার সেলের মধ্যে ধড়মড় করে উঠে দেখলেন, সারা ঘরে আঁশটে গন্ধ, আর সেলের বাইরে মুতের গন্ধ মাখা কমরেড অসামের বিশাল বপু হুমড়ি খেয়ে পড়ে আছে, মাঝে মাঝে গোংগাচ্ছে। বাইরে তখন শুক্লপক্ষের চাঁদ। এর বহু বহুদিন বাদে 'মুরগিচুরির আঠেরো বছরের দ্বিতীয় সংস্করণে কমরেড আজুলো লিখবেন
    'রাঘবের কোনও পোষা বোয়াল ছিল, নাকি অগাস্তো বোয়ালের ডাকনাম ছিল রাঘব? পুলিশের মাইনে একশ চোদ্দ হলে কি বিপ্লবের প্রতিবন্ধক হত? টিটো বোস কেন মাছের ব্যবসায় নামল? কেন-ই বা হুঁতকো ছেলেটা থাকতে কমরেড শংকরকে দত্তক নিল? জীবন কেটে গেল। এসব প্রশ্নের উত্তর পেলাম না'।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:৫৭600855
  • মত্স্যকে কিন্তু একটু দন্ডবায়স মতন লাগছে। সেটা আশা করি সচেতন।
  • u | 69.164.188.153 | ২৭ এপ্রিল ২০১৩ ০০:০২600856
  • বনবেড়াল ও।
  • kc | 188.61.96.29 | ২৭ এপ্রিল ২০১৩ ০০:৪৭600857
  • (প্রথম পর্বেরও আগে)

    এই কাল্ট সাধনা শুরু হয়েছিল অনেক আগে ১৯২০ এর আশেপাশে। কবে ঠিক ঠাহর হয়না। তবে এর ম্যানুয়াল ছাপার অক্ষরে আজও পাওয়া যায়্না। আমদের সংশোধনবাদি বন্ধুরা আবার তাদের পুরনো খেলায় মেতেছে-- আমাদের বিভ্রান্ত করার অপচেশ্টা। এই ম্যানুয়াল শুধু শুনে শুনেই শিখতে হয়।মুখস্ত করতে হয়।

    বরং গল্প শুনুন, ম্যানুয়ালের খসড়া লেখা যে রাতে শুরু হয়েছিল সেই রাতের,

    ক্রেমলিনে মহামতীর ঘরে জড়ো হয়েছেন শীর্ষস্থনীয় নেতারা। মলোটভ, জিনোভিয়েভ, স্তালিন, বেরিয়া, ৎকাচেভ....

    জিনোভিয়েভ - চ্লুন স্যার জিবি মিটিং করে আসি।
    লেনিন - (ঘুম জড়ানো চোখে) কে জিবি?
    স্তালিন - চিরঞ্জিবি।
    ট্রটস্কি - আমি তো জানতাম বুদ্ধি জীবি।

    লেনিন - তোমরা আমার হয়ে প্রক্সি দিয়ে দাও।
    জিনোভিয়েভ - স্যার প্লিজ জিবি মিটিং এ চলুন
    লেনিন - (বালিশে শুয়ে পড়ে) কে জিবি?

    এই কন্ভার্সেশন টা একট লুপ এ চলে সারা রাত। ভোরের আলো ফোটার সময় কেজিবি র নুনি-ম্যানুয়ালের একটা প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়।
  • Zb | 161.141.84.239 | ২৭ এপ্রিল ২০১৩ ০০:৫৫600858
  • ষোলো জিবি র‌্যাম।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ২৭ এপ্রিল ২০১৩ ০০:৫৮600859
  • পর্ব দুই -- মুর্গিরা রাত্রে গান গায় না
    --------

    এর অনেকদিন পরে, যখন নুনি ফ্র্যাঙ্কেস্টাইন হয়ে দাঁড়াবে আর তার স্রষ্টাকেই দাঁড় করাবে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে তখন আজুলোর মনে পড়বে সেই অ্যাকশনের দিনটির কথা। বাঁশঝাড়ের আড়ালে পোজিশন নিয়ে দাঁড়িয়ে আজুলো। হাতে একটা বড়ো কাটারি। উচ্চতর নেতৃত্ব এটাকে বন্দুকের অভাব-জনিত দুর্বলতা ভেবেছিলেন। কিন্তু আজুলো জানে, যে, রক্তপতাকায় যে কাস্তের ছবি, তা প্রতীকি নয়। বন্দুকের নল নয়, কাস্তেই প্রকৃত শক্তি। বন্দুক দূর থেকে ছুঁড়তে হয়, গুলি ভরতে হয়, কাজের সময় জ্যাম হয়ে যায়, সর্বোপরি তাকে লুকোনো কঠিন, ফেলে দেওয়া তো অসম্ভব। অন্যদিকে কাস্তে অজর-অমর ও অক্ষয়। মানুষের মুন্ডু থেকে ধানের শীষ -- সবই কাটে অনায়াস দক্ষতায়। আর কাজ ফুরোলেই ফেলে দিয়ে চম্পট। এ সুযোগ বন্দুকে কোথায়?

    এখানে অবশ্য কাস্তে পাওয়া যায়নি। হাতে তাই কাটারি। বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই। মাগো আমার কাটারিওআ আজুলোদাদা কই।
    অবশ্য শুধু কাস্তে নয়, কমরেডের বিশ্বস্ত সঙ্গীর হাতে আছে একটি ছুরিও। কোনো বিদগ্ধ শহুরে বুদ্ধিজীবির ডাইনিং টেবল থেকে তাকে ছিনিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু সে তখনও শত্রূর রক্তে হাত ভেজায়নি। আজ সেই শুভদিন।

    শুধু এই দুজনই নয়, বহুদূর থেকে নজর রাখছেন উচ্চতর নেতৃত্ব। তীব্র চোখে। অ্যাকশন না করে কেটে যাবার কোনো উপায়ই নেই। আজ রাতেই তাই রক্তপাত হবে। হয় এসপার নয় ওসপার।
  • Ishan | 202.43.65.245 | ২৭ এপ্রিল ২০১৩ ০১:১৮600862
  • সে এক মহতী পরিবেশ। আকাশে চাঁদ। নিঃস্তব্ধ বাঁশঝাড় দুলছে। দূরে আলোকখচিত জোতদার বাটি। সেখানে বন্দুকধারী দুই রক্ষীকে দেখা যাচ্ছে। অবস্থা অনুকূল। শুধু হা-রে-রে-রে করে ঝাঁপিয়ে পড়ার অপেক্ষা। এই সময়েই আজুলো ও তার সঙ্গীর মধ্যে নিম্নলিখিত কথোপকথনটি হয়, যা কোনো কমিটির মিনিটস অফ মিটিং এ লেখা নেইঃ

    আজুলোঃ মারব তো বটে, কিন্তু ব্যাটা জোদ্দার গেল কই? একটু প্ল্যানটা দেখ তো।

    সঙ্গীঃ বেরোয়ও তো না।

    আজুলোঃ আব্বে প্ল্যান টা কি?

    সঙ্গীঃ (টুকরো কাগজ খুলতে খুলতে) জোদ্দার ব্যাটা বেরোবে...

    আজুলোঃ আগে বাড়।

    সঙ্গীঃ তারপর কোনো সেপাই-সান্ত্রী ছাড়াই এই বাঁশবাগানের দিকে আসবে।

    আজুলোঃ কী গাম্বাট জোদ্দার মাইরি। তাপ্পর, তাপ্পর?

    সঙ্গীঃ ব্যাটা পিছন ফিরে গার্ডদের বলবে, অ্যাই তোদের ঘুম পেয়েছে বাড়ি যা।

    আজুলোঃ খ্যা খ্যা। মালগুলো চলে যাবে?

    সঙ্গীঃ যাবে না মানে? ওদের ধড়ে কটা মাথা? মালিকের কথা শুনতেই হবে। প্ল্যান তো সেই ভেবেই বানানো।

    আজুলোঃ এইটা ঠিক বলেছিস। একদম। তারপর?

    সঙ্গীঃ তারপর চুপি-চুপি বাঁশবাগানে ঢুকবে। দিয়ে এইখানটায় আসবে।

    আজুলোঃ কোন খানটায়?

    সঙ্গীঃ সেটা ঠিক পড়া যাচ্ছেনা। তবে এই ধরো তোমার ঠিক সামনে।

    আজুলোঃ আমার সামনে কেন আবার? তোর সামনে এলেই তো পারে।

    সঙ্গীঃ আমার সামনে? ঠিক আছে কমরেড। প্ল্যান রিভাইজ করে দিচ্ছি। (হাত থেকে ছুরি নামিয়ে প্যান্ট থেকে কলম বার করে কাগজে আঁকিবুকু কাটে)।

    আজুলোঃ হল?

    সঙ্গীঃ হ্যাঁ।

    আজুলোঃ কী দাঁড়ালো রিভাইজড প্ল্যানটা?

    সঙ্গীঃ এই তো আমার সামনে দাঁড়াবে। আর আমি খপ করে মুন্ডু চেপে ধরে ঘচ করে ছুরি দিয়ে পাইয়ে দেব।

    আজুলোঃ বাঃ বাঃ। চমৎকার। কিন্তু...

    সঙ্গীঃ কিন্তু কী? প্ল্যান ভালো না?

    আজুলোঃ না না সে খুবই ভালো। পারফেক্টো। কিন্তু এতে আমার আবার কি করার আছে। স্ক্রিপ্টে তো শুধু তোর আর জোদ্দারের রোল। জোদ্দার এদিকে আসবে আর তুই কপ করে ধরবি।

    সঙ্গীঃ (মাথা চুলকে) তাও বটে। কী কর যায় তালে?

    আজুলোঃ কী আবার। আমাকে যখন দরকারই নেই, আমি আর থেকে কি করব? তোদের ব্যাপার তোরাই বুঝে নেগে যা। তোর জোদ্দার তুই কাটবি সামনে দিয়ে কাট পিছন দিয়ে কাট নিজে বুঝে নে। আমাকে এর মধ্যে রাখিসনা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন