এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • চিটফাঁদ

    SC
    অন্যান্য | ২১ এপ্রিল ২০১৩ | ৯৭৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • SC | 81.206.217.11 | ২১ এপ্রিল ২০১৩ ০১:২১601029
  • চিটফান্ড কি?
    আমার মোটামুটি একটা আইডিয়া আছে, আপনার আরো ভালো করে বোঝালে ভালো হয়।
    ওরা কি বেআইনি?
    সম্ভবত না। তাহলে সুদীপ্ত সেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন আমি বুঝতে পারিনি।
    উনি আমানতকারীদের পয়সা ফেরত দিতে পারছেন না। কিন্তু সেটা তো বেআইনি না?
    আমানতকারী রা তো নিজের বিচারবুদ্ধি খরচা করে একটা calculated রিস্ক নিয়েছিলেন।
    তাহলে সুদীপ্ত বাবু পালাচ্ছেন কেন? আমার কাছে পুরো ব্যাপারটা একেবারেই পরিষ্কার নয়।
    কেউ একটু ডিটেল এ লিখুন প্লিজ।
  • ন্যাড়া | 132.179.75.63 | ২১ এপ্রিল ২০১৩ ২০:৪২601251
  • চিটফাঁদ বেশ ভাল নাম হয়েছে। অন্যভাবে এও গাওয়া যায় -

    ফান্ডে পড়িয়া বগা কান্দে রে।
  • Arup Chakraborty. | 24.99.20.103 | ২১ এপ্রিল ২০১৩ ২২:১৫601287
  • সুদীপ্ত সেন - একেবারে সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে ১৯৯৭-৯৮ সাল থেকে স্বল্প পরিসরে টাকা তোলার কারবার (যা আসলে পনজি স্কিম) শুরু করেন তিনি। ১৯৯৯ সালের ২৯ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানায় খুন হন বিশ্বনাথ অধিকারী। সেই মামলায় তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেওয়া হয়েছিল। এই বিষ্ণুপুরেই জমির প্লট দেখিয়ে আমানতকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছে সারদা গোষ্ঠী। সিআইডি সে সময় মামলার তদন্তভার নিয়েছিল। কিন্তু তা এগোয়নি। - কেন এগোয়নি সেই মামলা ? তখন ক্ষমতায় ছিল সিপিএম , বুদ্ধদেব ছিলেন দঃ ২৪ পরগণা জেলার দায়িত্ত্বে দলের পক্ষে । সারদা গোষ্ঠীর বাড় - বাড়ন্ত তো ১৯৯৫ থেকে । ১৯৯৫ থেকে ২০১১ পর্যন্ত কারা মদত দিয়েছিল ।

    তার পর ২০০৫-০৬ সালে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে বিপুল পরিমাণ জমি কেনেন। তার পর সেই জমি দেখিয়ে আমানতকারীদের কাছ থেকে টাকা তোলার মূল কারবার শুরু হয়। বলা হয় কিস্তিতে টাকা রাখো, পাঁচ বছর পরে জমি মিলবে। সেই থেকেই রমরমা সারদা গোষ্ঠীর। উঠতে থাকে কোটি কোটি টাকা।

    আজ যারা তৃণমূল এই ঘটনার দায় এড়াতে পারেনা বলে যারা প্রচার করছে, ঘোলাজলে মাছ ধরতে চাওয়া সিপিএমের চরিত্র কি আমরা ভুলে গেছি ?

    সঞ্চয়নী থেকে পিয়ারলেস - সিপিএমের আমলে চিট-ফান্ডে সর্বসান্ত হওয়া পশ্চিম বাংলার মানুষের স্মৃতিশক্তি এতটাও দুর্বল নয় ।
  • chanel10 | 132.174.48.220 | ২১ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:১১601298
  • কিন্তু কুণাল ঘোষ কোথায়? কতদিনের শখ কুণাল ঘোষ আর অর্ণব গোস্বামীর যুগলবন্দী নামাবো আমাদের চ্যানেলে - সে শখ কি পূরণ হবে না আর কখনো?
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ০০:২২601320
  • সেই, সি পি এম এরই দোষ।
    মানে, তিনো রা ক্ষমতায় আসায় তো সিপিয়েমেরই দোষ। চক্রান্তও বলা যেতে পারে।
  • Abhyu | 107.89.21.191 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ০১:৫৬601331
  • না শুধু সিপিএম-এরই দোষ নয়। কিন্তু সিপিএম ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার আগেকার চিট ফাণ্ডের বাড়বাড়ন্তের দায় তো তৃণমূলের ঘাড়ে চাপানো যায় না।
  • Abhyu | 107.89.21.191 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ০১:৫৯601342
  • *ক্ষমতাচ্যুত
  • Ekak | 125.118.71.58 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ০২:০৭601030
  • সিপিএম তৃণমূলের তরজা ছেড়ে যদি সমস্যার গভীরে ঢুকতে চান ঢুকুন ।
    চিট ফান্ড বেয়াইনি কিছু নয় । চিট ফান্ড একট এর আওতায় পরে এগুলো । কোনভাবেই ইল্লিগাল বলা যায়না । এবার কেসটা হলো বেশি লাভ করে রাতারাতি বড়লোক হবার জন্যে এরা ভয়ঙ্কর অসাধু পথের আশ্রয় নেয় । সেটা কেন হয় । কতটা চিট ফান্ড এর দশ আর কতটা টাকা রাখে সেই সব মানুষের লোভ সেই নিয়ে পর্যালোচনা জরুরি । আজ বড় করে কাজজে বেরিয়েছে বলে জানতে পারছেন । এই দেশের গ্রামে গ্রামে শহরে শহরে বহু চিট ফান্ড কাজ করে চলেছে এবং তাদের বেশিরভাগ ই মানুষ কে ডোবাচ্ছে । এই নিয়ে মানুষের অজ্ঞানতার কোনো সীমা নেই । একদল চিট আর চীতিন্গ্বাজ এ গুলিয়ে হাত নেড়ে "ও আমি সব বুঝি " মনোভাব পোষণ করেন আলটিমেটলি বাল বোঝেন । আরেকদল মনে মনে ভয় পান কিন্তু "অমুক লোক " প্রচুর রোজগার করেছে এই ফাঁদে পা দেন ।
    এই তই তায় এটলিস্ট কাজিয়া ছেড়ে কাজের কথা হোক । যদি হতেই হয় ।
  • pi | 78.48.231.217 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ০২:১৭601041
  • দশ কারো নয় গো মা..
  • Sayon Ghosh | 127.194.80.192 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ০২:১৯601052
  • প্রসঙ্গ চিটফান্ড ও রাজনীতিঃ

    সারদা গোষ্ঠীর এই হাল হয়ত একদিন না একদিন হওয়ারই ছিল। আদতে এটি চিটফান্ড নয় সেক্ষেত্রে সামান্য হলেও কিছু আইনি সুরক্ষা ছিল, এটি পনজি স্কিম (Ponzi scheme) চার্লস পনজির নাম অনুসারে যিনি একই কায়দায় বিশ শতকের শুরুতে বহু আমেরিকানকে সর্বশান্ত করেছিলেন। এখানে প্রতারনার চক্রটা খুব সহজ ও সরল। খুব সরলীকরন করতে চাইলে বলা যায় লগ্নিকারীদের টাকা তাদের থেকেই সংগ্রহ করে তাদের কে ফেরত দেওয়া অবশ্যই কিছুটা বাড়িয়ে আর অতিরিক্ত বর্ধিত অংশটিও অন্য লগ্নিকারীদের টাকা আজ বাংলার মাটিতেই একই চিত্র ফিরে এসেছে। এবারের আকার অবশ্য আগের থেকেও বেশ ভয়াবহ, কারন এর আগেও সঞ্চয়িতা, ভেরিজোন ইত্যাদি ইত্যাদির মাধ্যমে অনেক লোক পথে বসেছেন, এবারেও বসবেন সে বিষয়ে কোন সন্দেহর অবকাশ নেই। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে 95% কোন লগ্নির পরিমানই ২-৩ লক্ষ্ টাকার বেশী না, অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি সমাজের একেবারে নিন্মস্তেরর মানুষ, যারা হচ্ছেন মেজরিটি এবং ডিফাইনিং ভোটার, যাদের ভোটই ৭৭ ও ১১ তে পরিবর্তনের সূচনা করেছিল।

    আজকে যে লাখ লাখ গরীব মানুষ অসহায়, বেশ কয়েক হাজার হোয়াইট কলার হঠাৎ চাকরি হারালেন, কিচ্ছু করার নেই। অয়ানুমানিক যে ১২০০+ কোটি টাকার ঘাপলা হয়েছে বড়জোর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে খুব সামান্যই মানুষ ফেরত পেতে পারে তাই একটা আইনি প্রশ্ন-চিনহ আছে। সাধারন মানুষ এতশত বোঝেন না, হ্যা সীমাহিন লোভ যেমন আছে কিন্তু সব্লপ-সঞ্চয় প্রকল্পগুলোতে কেন্দ্রীয় সরকারের সুদ কমিয়ে
    দেওয়া যে মানুষকে শেয়ার-মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্টে উৎসাহ করানো, তাও তারা বোঝেন না, বস্তুত তারা ভয় পান, আর এরি ফায়দা নেয় এই পনজি স্কিমগুলো।সাধারন মানুষ বিজনেস মডেল বোঝে না, লোকেও এই বাজারে চাকরি পেলে সেটা চাকরি করতে যাবার আগে কোম্পানীর ব্যাকগ্রাউন্দ নিয়ে খুব যে মাথা ঘামায় তাও নয়। তাই একটু ভেবে দেখলেই এই কোম্পানীর বা কোম্পানীগুলোর বিনিয়োগ নিয়ে ভাওতাবাজিটা যেখানে ধরা পরে যায়, পরে না স্রেফ স্রেফ সচেতনতার অভাব।

    বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটা উঠছে সেটা হল, এই গোষ্ঠীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার। চোখে পরার মতো এই ঘনিষ্ঠতা একেবারে উড়িয়ে তো দেওয়া যায় না। কিন্তু দু-কোটি টাকায় সুদীপ্ত সেনের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেনা, বা জঙ্গল-মহলে এম্বুলেন্স চালু করা, বা পরমা-কলম এর উব্ধোধনী অনুষ্ঠানে তার হাজির থাকা। এগুলো যদিও যুক্তি হিষাবে খুব তুচ্ছ, কারন যে ব্যাক্তি ভোটের আগে সিপিএম নেতা রবীন দেবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে ওঠাবসা করতেন তিনি ভোটের ফলাফল আগাম অনুমান করে যদি কোন খারাপ ছবি (!) রাজনৈতিক অনুগ্রহ লাভের আশায় কেনেন, সেক্ষত্রে কি করনীয়, ছবি না বেচা? এক্সশিবিশান থেকে কে ছবি কিনছে বা কত টাকায় নিলাম হচ্ছে সেটা তো সংস্লিস্ট নিয়ম মেনেই হয়। কেউ শুনেছেন কোন ছবিতে প্রাইস ট্যাগ ২ কোটি টাকা আটা থাকে শিল্পী যেই হোক বা যতই বিখ্যাত হোক না কেন? মুখ্যমন্ত্রী কি কোন অনুষ্ঠানে যাবেন না? আসলে সরকার ঠিক থাকলেও শর্ষের মধ্যে আসল ভূত হচ্ছে দলের একটি ক্ষুদ্র অংশ। যেমন রাজ্য-সভার সাংসদ কুনাল, তিনি নাকি মাসে মাত্র ১৬ লাখ টাকার বিনিময়ে ওই কোম্পানীর মিডিয়া গ্রুপ সিইও ছিলেন, নিঃসন্দেহে পদটি বেতনভুক, অবশ্যই জানি না ওটি লাভজনক পদের অন্ত্ররগত কিনা কিন্তু তিনি যে নিজের শ্বার্থের জন্য দলকে ব্যাবহার করেছেন ও দল ব্যাবহৃত হয়েছে এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আবার তাকে ও তাদের মতো স্থানীয় স্তরে দু-একজনকে দেখিয়েই যে কোম্পানীটি নিজের আখের গুছিয়েছে এটাও অস্বীকার করার কোন তো উপায় নেই।

    সিপিএম কেও ধোয়া তুলসীপাতা বলে কোন লাভ নেই, এটা না মানার কোন কারন নেই ২০০২ থেকে যাদের রমরমা তাদের সাথে তৎকালীন শাষক দল সিপিএমের কোন সম্পর্কই ছিল না। ১৯৯৯ সালের ২৯ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানায় খুন হন বিশ্বনাথ অধিকারী। সেই মামলায় তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেওয়া হয়েছিল। এই বিষ্ণুপুরেই জমির প্লট দেখিয়ে আমানতকারীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছে সারদা গোষ্ঠী। সিআইডি সে সময় মামলার তদন্তভার নিয়েছিল। কিন্তু তা এগোয়নি। - কেন এগোয়নি সেই মামলা ? তখন ক্ষমতায় ছিল সিপিএম , বুদ্ধদেব ছিলেন দঃ ২৪ পরগণা জেলার দায়িত্ত্বে দলের পক্ষে । সারদা গোষ্ঠীর বাড় - বাড়ন্ত তো ১৯৯৫ থেকে । ১৯৯৫ থেকে ২০১১ পর্যন্ত কারা মদত দিয়েছিল । আচ্ছা ২০১১ না হয় ছেড়েই দিলুম কিন্তু ২০০৯ অবধি? তার পর ২০০৫-০৬ সালে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে বিপুল পরিমাণ জমি কেনেন। তার পর সেই জমি দেখিয়ে আমানতকারীদের কাছ থেকে টাকা তোলার মূল কারবার শুরু হয়। বলা হয় কিস্তিতে টাকা রাখো, পাঁচ বছর পরে জমি মিলবে। সেই থেকেই রমরমা সারদা গোষ্ঠীর। উঠতে থাকে কোটি কোটি টাকা। এতএব আজকে আইন করেছি, কেন্দ্র পাশ করেনি এসব কোন অজুহাত নয়, বেশ কিছুদিন হল আইন করার চিন্তা-ভাবনা মমতাও শুরু করেছিলেন, তাবলে কি তিনি দায় এড়াতে পারবেন? তেমনি সিপিএম ও দায় এড়াতে পারে না।

    এই যে আইন করেছিলুম বলে কমরেডরা এত হাঙ্গামা করছেন, সারদা গ্রুপের "কিস্তিতে টাকা রাখো, পাঁচ বছর পরে জমি মিলবে।" এই জাতীয় স্কিম গুলো যখন রমরমিয়ে চলছিল কই কোথাও তো কোন
    সতর্কীকরন দেখা যায় নি, যেমনটা অশোক মিত্র করেছিলেন। এমন অভিযোগ উঠছে বর্তমান সরকার নাকি কো-অপারেটিভগুলোকে অকেজো করে দিয়েছে, বাম আমলে কি একের পর এক কো-অপারেটিভে তছরূপ হয়নি? একের পর এক কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লাল-বাতি জ্বালেনি? আর পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে ত কন্সপিরেসি থিয়োরীর অভাব নেই। এই বাজারে গুজব যা ঊঠছে, বাপরে কিন্তু ওই স্বাভাবিক, এই সময়ে এরম হয়, কিচ্ছু করার নেই।

    সিপিএম বিরোধী আসনে থেকে এটার ফায়দা তুলতে চাইবে যেমন এনক্যাশ করতে চেয়েছিল সুদীপ্তর মত হার্মাদ-শিশুর নেহাত দূর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এটাইত খুব স্বাভাবিক, আমরা থাকলে কি ছেড়ে দিতুম? কিন্তু ওরা ভুল করেছে বলেই আমাদের ভুলটাও ভুল নয় এটা যাস্টিফাই করা যায় না, তাহলে পরিবর্তন কথাটা অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে প্রত্যাশিত ফলাফল হয়ত নাও হতে পারে। সময় এসেছে একটু চিন্তা-ভাবনা করার, দিদি হয়ত এবার আপনাকে একটু চারপাশের স্তাবকদের নিয়ে ভাবতে হবে, কারন আমরা সরকারে, বিরোধী আসনে আর নেই। ১০০০ টা ভালো কাজ এক মূহুর্তে মানুষ ভুলে গিয়ে স্রেফ একটা ভুল কাজের দায়ভার দিয়ে দেন।

    তাই আপাতত লড়াই-পাল্টা লড়াই চলুক, বয়ান-পাল্টা বয়ান চলুক, খবরের কাগজে রোজ প্রকাশ হোক এক এক মর্মান্তিক কাহিনী, চোখের জলে ভাষা ছবি, আর আমরা আত্মগ্লানিতে ভুগে ভাবতে থাকি "ভাগ্যিস আমরা এসব যায়গায় ইনভেস্ট করিনা"।
  • ফাজিল | 127.194.194.125 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ০২:৫৪601063
  • তৃণমূলীরা এ প্রসঙ্গে সিপিএমের উপর আক্রমণ করছেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে পড়ছিলুম বটে, যে তৃণমূলের নয়া স্ট্র্যাটেজি এখন চিটফান্ডের দোষ সিপিএম আর কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপানো। সাথে কুনালকে বলির পাঁঠা বানিয়ে আউটকাস্ট করে দেওয়া।

    "বিক্ষোভকারীরা এও বলছেন, জেলায় জেলায় সারদা গোষ্ঠীর দফতরে তৃণমূল কংগ্রেসের তাবড় নেতাদের ছবিও থাকত। এমনকী একই বাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সারদা গোষ্ঠীর দফতর রয়েছে, এমন ছবিও দেখা গেছে ঘাটালে।"[1]

    ১৯৮২ সালের চিটফান্ড অ্যাক্টে [2] বলা হয়েছিলো যে-

    "Chit means a transaction whether called chit, chit fund, chitty, kuri or by any other name by or under which a person enters into an agreement with a specified number of persons that every one of them shall subscribe a certain sum of money (or a certain quantity of grain instead) by way of periodical installments over a definite period and that each such subscriber shall, in his turn, as determined by lot or by auction or by tender or in such other manner as may be specified in the chit agreement, be entitled to the prize amount.
    Explanation: - A transaction is not a chit within the meaning of this clause, if in such transaction,-
    (i)some alone, but not all, of the subscribers get the prize amount without any liability to pay future subscriptions; or
    (ii)all the subscribers get the chit amount by turns with a liability to pay future subscriptions."

    সুতরাং চিটফান্ড বেআইনী নয়। তবে কম সময়ে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখিয়ে ভুয়ো সংস্থার উত্থানের পথও কিন্তু এই আইনে আছে। তাই এর প্রতিরোধমূলক আইনও দরকার। বাম আমলেই ২০০৯-এর ডিসেম্বরে বিধানসভায় পাস হয়েছিল Protection of Interest of Depositors বিল । এর আগেও ২০০৮ সালেই একটা বিল তৈরি করা হয়েছিলো। সেটাই আরও সংশোধন করে পরবর্তীতে পাস করানো হয়।[3] কিন্তু যে অনুমোধন অর্ধেক বছরেই পাওয়ার কথা, তারপর সরকার পরিবর্তনের দুই বছরেও সেই বিলটিকে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অনুমোদিত করাতে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

    1. http://zeenews.india.com/bengali/kolkata/current-gov-was-beside-saradha_12882.html
    2. http://fiuindia.gov.in/relatedacts-chitfunds.htm
    3. http://www.business-standard.com/article/economy-policy/bengal-govt-to-bring-new-legislation-to-curb-chit-funds-113032300170_1.html
  • rivu | 78.232.118.246 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ০২:৫৬601074
  • "সুদীপ্তর মত হার্মাদ-শিশুর নেহাত দূর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে।।।" সুদীপ্ত কে "হার্মাদ শিশু" আর তার মারা যাওয়াকে "নিছক দুর্ঘটনা" বলার জন্য লেখককে ধিক্কার।
  • SC | 34.131.192.199 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৩১601085
  • আমার কিছু বেসিক প্রশ্ন আছে।
    সারদা যে chitfund সেটা সরদার বাইরে যারা আছেন, তাদের পক্ষে bojh সম্ভব নয়।
    নাকি সম্ভব?

    সরদার অনেক গুলো ব্যবসা ছিল। রিয়েল এস্টেট, মিডিয়া ইত্যাদি। সুদীপ্ত বলতে পারেন, যে উনি সেই ব্যবসা থেকে লাভ করে লোকেদের টাকা ফেরত দেবেন। কিন্তু এই দেবেন টা হচ্ছে অনিশ্চিত।

    এবারে ধরুন উনি বললেন, অনার ব্যবসা মার খেয়েছে, উনি আর টাকা ফেরত দিতে পারবেন না। এতে আইনের জায়গা থেকে ওনার কি সমস্যা? ওনার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে, সেই টাকা দিয়ে লোককে ফেরত দেওয়া হবে।

    উনি বা ওনার এজেন্ট রা কি ক্লেম করতেন যে ৮% বা কিছু % guaranteed রিটার্ন?
    এইটা আমার কাছে খুব একটা পরিষ্কার নয়।

    আর উপরের ইংরেজিটা পড়ে আরো ঘেঁটে গেলাম। ওখানে তো বলেছে লটারী করে, যে জিতবে, তাকে টাকা দেওয়া হবে।
    আর এরা তো বলছে সকলেই রিটার্ন পাবে। সারদা এর কোনটা?
  • pi | 78.48.231.217 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ০৬:০৫601096
  • 'হার্মাদ শিশু' খুব বাজে লাগলো।
  • bb | 127.195.165.37 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ০৮:৩৫601107
  • এই "সায়ন ঘোষ"টি কে ? ইনি তো তৃণমূলের মুখপত্র মনে হচ্ছে।
    সুদীপ্ত -হার্মাদ শিশু!! আমরা থাকলে কি ছেড়ে দিতুম মানে কি?
    দুইদলের ভুমিকা নিয়েই লিখুন, কিন্তু ঠিক লিখুন।
  • SC | 34.3.20.47 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ০৮:৩৯601118
  • সঞ্চয়িতা আর সঞ্চয়িনি কি আলাদা কেস?
    ভূদেব সেন কোন কেসের সাথে জড়িত ছিলেন? তার কি হলো তারপরে?

    আর এই 'হার্মাদ শিশু' কথাটা খুব কুরুচিকর লাগলো।
  • কৃশানু | 177.124.70.1 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ১০:৫৪601129
  • অভ্যুদা - ওঠাবসা-র কথা বলছি, যা এই চিট ফান্ড গুলোর তিনো উঁচু উঁচু নেতাদের সাথে। সিপিএম আমলে একশন না নেওয়া কোনমতেই সাপর্টিতব্য নয়, কিন্তু কিছু লোকাল এবং ছোট লেভেলের নেতার বাইরে এদের সাথে দহরম-মহরম ছিল না বললেই চলে।
    আর এমনিতে এই গুরুতর সময়ে পাসিং দা বাক টা আরো খারাপ, যেটা ঘটে চলেছে। এই সুতোতেই অন্তত দুটো পোস্ট।
    তরজা করতে চাই না, কিন্তু আমার আগের পোস্টটা রি একশন ছিল, ১০:১৫ এর পোস্ট এর প্রেক্ষিতে।

    আর দ্বিতীয় কথা, চিট ফান্ড বেআইনি নয়, বেআইনি হলো ম্যাল প্র্যাক্টিসেস। সোমেন মিত্র বছর খানেক আগে এই নিয়ে চিঠি দিয়ে দলের মধ্যে ব্রাত্য হয়ে যান।

    সিপিএম এর সাথে এদের মেশামেশি অনেকটা আর যে কোনো ইন্ডাস্ট্রির মতই ছোট খাটো পাইয়ে দেওয়া, তোলা আদায় এই সবের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল (এটা যে ঠিক নয় টা কি আর আমাকে আলাদা করে বলতে হবে? ) , কিন্তু তিনোনেতা দের মধ্যে এখনো প্রশ্নটাই উঠছে না, যে এই অতিরিক্ত দহরম মহরম করলো কারা, কারা দায়ী, সেগুলো কিভাবে ঠিক করা যায়? তা না করে কুমিরছানা দেখিয়ে যাওয়াটা অদ্ভূত।

    'হার্মাদ-শিশু' নিয়ে আমার আর কিছুই বলার নেই।
  • de | 69.185.236.51 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ১১:১৩601163
  • জঘন্য লাগলো সায়ন ঘোষের লেখা -- দলতন্ত্রের ঠুলি পড়ানো চোখে বাইরের আলো এসে পড়ুক --
  • de | 69.185.236.51 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ১১:১৩601152
  • জঘন্য লাগলো সায়ন ঘোষের লেখা -- দলতন্ত্রের ঠুলি পড়ানো চোখে বাইরের আলো এসে পড়ুক --
  • অজানা | 125.187.32.34 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ১২:১৩601174
  • "সুদীপ্তর মত হার্মাদ-শিশুর নেহাত দূর্ঘটনাকে কেন্দ্র "
    লেখক সায়ন ঘোষ কি করেন আমার জানা নেই, তবে তিনি যে বর্তমান শাসকদলের বুলিতে অভ্যস্ত, সেটা বোঝাই যাচ্ছে ।
    নিরপেক্ষ লেখক কি এই সব শব্দ ব্যবহার করেন ? নিরপেক্ষ বললাম এই কারণে, যে তিনি চেষ্টা করেছিলেন একটা আপাত নির্মোহ ভাব বজায় রাখতে, কিন্তু শেষটায় সেই ঘোষই তিনি থেকে গেলেন, কুণাল হয়ে

    লেখক কি নিজে- তৃণমূলি হার্মাদ-শিশু? না হিসু ?
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ১২:১৫601185
  • বেনামে কু ঘো হতে পারে। গুরুর টিআরপি হেব্বি হাই যাচ্ছে, স্বয়ং কুঘো লিখতে আসছে
  • কৃশানু | 177.124.70.1 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ১২:২৬601196
  • সিপিএম কে প্রসঙ্গত ধোয়া তুলসীপাতা কেউ বলছে না। তবে না ধোয়া তুলসীপাতা বোধ হয় আছোলা বাঁশের চেয়ে অনেক ভালো।

    কিন্তু দুজনের লেখার মধ্যে একটা কপি-পেস্ট দেখা যাচ্ছে। দুজনেই কি একই সুত্র থেকে কোনো লেখা কপি পেস্ট করে দিলেন? যে দুজনের কথা বলছি তাদের আগে কোনো লেখা দেখিনি, তাই সন্দেহ (নেহাতই সন্দেহ) যে কোনো মেশিনারি নেমে পড়েছে কিনা, প্রচারের জন্য।
  • j | 230.227.106.153 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ১২:৩১601207
  • কৃশানু

    21 Apr 2013 -- 10:15 PM এর পোষ্টটা এক্কেবারে মেশিনারি পোষ্ট , চাদ্দিকে দেখা যাচ্ছে
  • SC | 34.3.20.47 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ১২:৩৩601218
  • মেশিনারি তো অতি অবশ্যই নেমেছে। এনিয়ে তো কোনো সন্দেহ নেই।
    এই একই লেখা ফেবুতে দেখলাম কপি পেস্ট করা।
    টি এম সি এত বড় বিপদে দু বছরে পড়েনি।
  • j | 230.227.106.153 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ১২:৩৬601229
  • রোজভ্যালিটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা !

    ওটা পড়ে গেলে সারদার চেয়েও ভয়ংকর পরিস্থিতি হবে :-(
  • Melkor | 131.241.218.132 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ১২:৩৮601240
  • রোজভ্যালি, এমপিএস, রাইস, রাহুল - সবকটাই।
  • কৃশানু | 177.124.70.1 | ২২ এপ্রিল ২০১৩ ১২:৪০601252
  • রাইস ও কি একই গল্প? এরা তো অনেকদিন ধরে পড়াশুনো করাচ্ছিল। এরা কি একই রাইস?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন