এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বঙ্গে কৃষি সমস্যাঃ অর্থনীতিবিদ প্রণব বর্ধনের সেমিনার

    ranjan roy
    অন্যান্য | ১১ জুলাই ২০১৩ | ৪৭৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.96.70.252 | ১১ জুলাই ২০১৩ ০২:১১618112
  • কয়েক মাস আগে সল্ট লেকের একটি সভাগারে অনুষ্টুপ পত্রিকা আয়োজিত "সমর সেন স্মারক বক্তৃতা ২০১৩" শোনার সুযোগ হয়েছিল। বক্তা ছিলেন প্রখ্যাত বামঘেঁষা অর্থনীতিবিদ প্রণব বর্ধন, বিষয় " পশ্চিম্বঙ্গের ভূমি সমস্যা"। বিষয়টি বিতর্কিত, সেজন্যেই আমার আগ্রহ।
    প্রণব বর্ধনের পরিচয় নতুন করে দেবার অপেক্ষা রাখে না। ছাত্রাবস্থায় অর্থনীতি পড়েছেন প্রেসিডেন্সি ও কেম্ব্রিজে। অধ্যাপনা করেছেন এম আই টি, লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স, ট্রিনিটি কলে(কেম্ব্রিজ), সেন্ট ক্যাথারিন কলেজ (অক্সফোর্ড), সিয়েনা (ইতালি) ইত্যাদি,
    ওঁর বক্তব্যের বেসিস হল বঙ্গের ৯০টি গ্রামে মূলতঃ পিছিয়ে থাকা রাঢ় এলাকায় ১৫ বছর ধরে ফিল্ড ডেটা সংগ্রহ করে অনুসন্ধান করা। সোশিও-ইকনমিক রিসার্চের ক্ষেত্রে স্ট্যাটিসটিক্যাল ও ম্যাথমেটিক্যাল টুলস্‌ এর ব্যবহারে ওঁর দক্ষতা প্রশ্নাতীত।
    ইদানীং দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক "স্মৃতিকন্ডূয়ন" সবাই আগ্রহের সঙ্গে পড়ছেন।
    এই বক্তৃতা -সন্ধ্যার সঞ্চালন করছিলেন সাব-অল্টার্ন স্টাডিজ খ্যাত পার্থ চট্টো।
    ডঃ বর্ধনের কিছু ফাইন্ডিং বেশ কৌতূহলদ্দীপক। ডঃ চট্টোপাধ্যায়ের সাম আপ খুবই যুক্তিযুক্ত।
    কোশ্চেন আন্সার পর্ব ছিল বাজে।প্রশ্নকর্তারা টিভি চ্যানেলে টেলিফোনে যারা প্রশ্ন করেন এবং যে ধরনের প্রশ্ন করেন এগুলো তার থেকেও খারাপ ছিল। এঁরা নিজেদের পন্ডিত দেখাতে গিয়ে ওঁর বক্তব্যের বিষয় নিয়ে প্রশ্না করে আর কিছু ঝাড়ছিলেন। যাহোক, ওঁর বক্তব্য শুনে মনে কিছু প্রশ্ন এলো। । সেগুলোকে গুরুর বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাইছি।
  • ম্যামি | 69.93.241.165 | ১১ জুলাই ২০১৩ ০২:১৯618123
  • পরিচয়পত্রে Berkeley ই বাদ গেল? He is Professor of Economics at the University of California, Berkeley since 1977.
  • ranjan roy | 24.99.51.131 | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৭:২৭618134
  • সরি ম্যামি,
    ঠিকই বলেছেন,
  • কুসুম্বা | 116.198.200.110 | ১২ জুলাই ২০১৩ ০১:৩১618145
  • শেয়ার করবেন বললেন। কই! আর কিছু লিখবেননা? পড়ব ভাবছিলাম যে!
  • pi | 172.129.44.87 | ১২ জুলাই ২০১৩ ০২:১০618156
  • হ্যাঁ, রঞ্জনদা, অপেক্ষায়।
  • ranjan roy | 24.99.131.238 | ১৪ জুলাই ২০১৩ ০১:০৪618167
  • প্রণব বর্ধন যা বললেনঃ
    -------------------------
    ১ ।বাম সরকারের জমানার ভূমি সংস্কারঃ
    ক)বর্গাদারদের স্থায়ীকরণ--- এর ফলে জমিতে দীর্ঘকালীন বিনিয়োগের মোটিভ তৈরি হয়।
    ( যদি বর্গাদার জানেনা যে আগামী মরসুমে সে এই ক্ষেতটি চাষ করতে সুযোগ পাবে কি না, তাহলে ও জমিতে দীর্ঘকালীন লাভ হবে এমন বিনিয়োগ করবে কেন? ওর ফল হয়ত আগামী বছরে অন্য কেউ পাবে।)

    খ) ভূমিহীনদের পাট্টা দেয়া-- অল্প লোককেই দেয়া হয়েছে, কিন্তু দিয়েছে।
    গ) ভূস্বামীদের জমির ঊর্দ্ধসীমা নির্ধারণ।

    ২। অনুসন্ধানঃ ফিল্ড সার্ভেঃ ভারত সরকারের্প্রোজেক্ট
    ------------------------------------------------------------
    ক) কোলকাতা বাদ দিয়ে ১৭টি জেলার ৯০টি গ্রামে ১৫ বছরের ডেটা নিয়ে সার্ভে হয়েছে।
    খ) ২০০৪ এ ISI এর সহযোগে আর ২০১১তে মূলত ঃ কৃষি-ডেটা নিয়ে।
    গ)২৪০০ পরিবারের সার্ভে করা হয়। ল্যান্ড রেকর্ড, ব্লক অফিসের রেকর্ড ও কৃষকের ইন্টারভিউ -- সব পদ্ধতি নেয়া হয়।
    ঘ) অ্যাডভান্সড স্ট্যাটিসটিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করে মাল্টিপল কজ থেকে কোনটি একটি নির্দিষ্ট এফেক্টের জন্যে কারক তত্ত্ব তা বিশ্লেষণ করা হয়।
    ৩। অনুসন্ধানের ফলঃ
    ক)
    বামদের ভূমিসংস্কার অভূতপূর্ব কিছু নয়। অন্য অনেক দেশে হয়েছে। শুধু সমাজতান্ত্রিক নয়, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের মত পুঁজিবাদী দেশে এর চেয়ে অনেক ভাল ও সুদূরপ্রসারী ফলদায়ী ভূমি সংস্কার হয়েছে।
    খ)
    কিন্তু ভারতে অন্য যে কোন রাজ্যের তুলনায় ( কেরালাকে ছেড়ে) এটি অবশ্যই উত্তম।
    গ) এই ভূমি-সংস্কার ১৯৮০-৯০ অব্দি অন্য আরও কিছু কারক তত্ত্বের সঙ্গে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে ক্যাটালিস্টের কাজ করেছে।
    ঘ) ভূমিহীনকে পাট্টা দেয়ার কোন প্রত্যক্ষ ফল , যেমন উৎপাদন বৃদ্ধি, দেখা যায় নি। কিন্তু বর্গাদারদের ক্ষেত্রে এটি উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইন্সেন্টিভ এর কাজ করেছে।
    (ক্রমশঃ)
  • h | 127.194.234.39 | ১৪ জুলাই ২০১৩ ১৮:১৫618178
  • গ এর কোয়ালিফায়ার স্টেট মেন্ট টা কোথায়? রঞ্জন দা ভুলে গেছেন না প্রণব বাবু বলেন নি।
  • ranjan roy | 24.96.79.124 | ১৪ জুলাই ২০১৩ ২৩:০৬618189
  • হনু,
    আমারই দোষ। মাস তিনেক আগের ব্যাপার। তখন হলের মধ্যে একটি প্রেসনোটের মার্জিনে হড়বড়িয়ে শর্টকাটে পয়েন্ট টুকছিলাম। তখন সব লিংক মনে ছিল। লিখবো লিখবো করেও ল্যাদ খেয়ে লিখিনি।
    এখন নিজের হাতের লেখা ও লিংক পড়তে /বুঝতে নিজেরই অসুবিধে হচ্ছে।((ঃ
    তবু সংক্ষেপে যা পারি দেখছি।
  • ranjan roy | 24.96.103.250 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ০৬:২৭618196
  • হনু'র প্রশ্নের উত্তরে সংযোজনঃ
    সরি, আমি ১(গ) ভেবেছিলাম।
    ৩(গ) বর্ধনের বক্তব্য ছিল যে এই পর্য্যায়ে বঙ্গে কৃষি উৎপাদনে উল্লেখনীয় বৃদ্ধি হয়েছিল। তার অনেক্গুলো কারকতত্ত্বের মধ্যে বাম সরকারের উপরোক্ত ভূমি-সংস্কার অবশ্যই একটি কারণ, একমাত্র কারণ নয়।
    এর মধ্যে উল্লেখনীয় হল গ্রামসভার কর্তৃত্ব বাড়িয়ে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ।
    উনি আরও বলছেন যে কিছু স্ট্যাটিসটিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করে ওঁরা উৎপাদন বৃদ্ধিতে কোন ফ্যাক্টরের কি বা কতটুকু অবদান তা মোটামুটি বিশ্লেষণ করতে পেরেছেন।
    ঙ) পঞ্চায়েত দ্বারা চাষিদের "মিনিকিট" বিতরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ কারক। যাব সহজে চাষিদের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যে পুরনো প্রচলিত পদ্ধতি ছেড়ে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎসাহিত করেছে।
    [ এখানে আমার প্রশ্নঃ বর্গাদারদের পাট্টা দেয়ার ফলে ভূমিসম্পর্কের আংশিক পরিবর্তন ও মিনিকিট-সম্পর্কিত উন্নত প্রযুক্তির পরিবর্তন --- এই দুই ফ্যাকটরের উৎপাদনবৃদ্ধিতে প্রভাব নিয়ে একটু তুলনামূলক তথ্য বা অন্ততঃ র‌্যাঙ্কিং দিলে ভাল হত। নইলে কেবল সুভাষিতাবলী হয়ে যাচ্ছে।]
    চ) বাম সরকারের ভূমি সংস্কারের সুফলের মধ্যে উল্লেখনীয় ভাগচাষীদের পাট্টা পাওয়ার ফলে দীর্ঘকালীন বিনিয়োগের বৃদ্ধি।, যেমন সেচ-ব্যব্স্থার উপযোগ, শ্যালো নলকূপ খনন ইত্যাদির ফলে উন্নত বীজের ও সারের ব্যবহারের বৃদ্ধি।
  • ranjan roy | 24.96.103.250 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ০৬:৫৫618113
  • ৪। আরও কিছু বিশ্লেষণঃ রাজনৈতিক ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্ক
    --------------------------------------------------------------------
    ক) দেখা যাচ্ছে যে এই উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণ ও তার ফলে কৃষি উৎপাদনে উল্লেখনীয় বৃদ্ধি কিন্তু সেই সব গ্রামে বেশি দেখা যাচ্ছে যেখানে রাজনৈতিক ক্ষমতায় কোন একটি দলের একাধিপত্য নেই, বরং দুই বা তার বেশি দলের মধ্যে ক্ষমতা দখল নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা আছে।
    খ) আশ্চর্যজনক ভাবে, যে গ্রামগুলোতে ক্ষমতাসীন বামদলের একাধিপত্য সেখানে এই নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ ও তজ্জনিত উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপারটা লক্ষণীয় ভাবে কম।
    [ রাশিবিজ্ঞানের টাইপ-১ ধরণের ভুলের সম্ভাবনা কতটুকু?]
    গ) বর্তমানে কৃষি-পরিবারগুলোর মধ্যে disguised landless বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে পরিবারের মহিলাদের কৃষিতে শ্রমদান বাড়ছে, কিন্তু ভূমির অধিকারে তার প্রতিফলন হচ্ছে না। পাট্টায় মহিলা সদস্যের নাম থাকছে না।
    ঘ) কর্ণাটকে নীচের ডেটা গুলো পাওয়া যাচ্ছেঃ
    (অ) ৭১ % জমিতে শুধু পুরুষের মালিকানা;
    (আ) ১৪% জমিতে নারী-পুরুষের সংযুক্ত মালিকানা;
    (ই) ১৫% জমিতে শুধু নারীর মালিকানা।
    কিন্তু বঙ্গে এইজাতীয় কোন ডেটা পাওয়া যায় না।
    (ঙ) গাঁয়ে বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ভূমি-সম্পর্কিত জীবিকায় আদৌ উৎসাহিত নয়। ফলে জমির ও কৃষির দেখভাল ও তজ্জনিত নির্ণয় ক্রমশঃ পরিবারের মহিলাদের কাঁধে চাপছে।
    এই চিত্রটি সমসাময়িক আফ্রিকার সঙ্গে বেশ মিলছে।
  • ranjan roy | 24.96.103.250 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ০৭:৩৭618114
  • ৫। কিছু উদ্বেগজনক প্রশ্নঃ জমিবন্টনে অসাম্যের বৃদ্ধি
    --------------------------------------------------------------
    কেন ভূমিসংস্কারের পরেও গ্রামে জমির মালিকানায় অসাম্য বাড়ছে?
    বর্ধনের স্টাডি টিম স্যাম্পল গ্রামগুলোতে টার্গেট পরিবারে ১৯৬৭ থেকে ২০০৪ পর্য্যন্ত অধ্যয়ন করেছে।
    [ বিশাল স্টাডি, বেশ লার্জ স্যাম্পল নিয়ে কাজ]।
    তাতে পেয়েছেঃ
    ক) অধিকাংশ পরিবারে জমির পরিমাণ ক্রমহ্রাসমান।
    খ) ভূমিহীনদের সংখ্যা ক্রম-বর্দ্ধমান।
    যেমন স্যাম্পল গ্রামগুলোতে ভূমিহীন পরিবারের আনুপাতিক সংখ্যা ছিল ১/৩; বর্তমানে তা বেড়ে গিয়ে ১/২ হয়েছে।
    এর কারণ হিসেবে বলা যায় চারদশকে পরিবারের প্রজন্মের/সংখ্যার বৃদ্ধি, ফলে জমির বাঁটোয়ারা হতে হতে জোতের সাইজ ছোট হয়ে যাওয়া এবং গ্রামে তৃণমূল স্তরে বিকল্প রোজগারের সুযোগের আনুপাতিক বৃদ্ধি না হওয়া।
    গ) অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে আজ কোন চাষি ৫ ডেসিমেলের চেয়ে কম জোতকে কৃষির জন্যে লাভদায়ক মনে করেন না। আর ক্রমশঃ এই সাইজের চেয়ে কম জোতের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
    [ আলের সংখ্যা বেড়ে অনুৎপাদক জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।]
    ফলে অধিকাংশ চাষি পরিবারের কৃষিতে দিন গুজরান হয় না। বিকল্প রোজগারের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
    [ এই অবস্থার কথা প্রয়াত অর্থনীতিবিদ কল্যাণ সান্যালের লেখাতেও বিস্তারিত উঠে এসেছিল, বিশেষ করে " পাঁশকুড়া" কান্ডের সময় কেন সিপিএম ও তৃণমূল পতাকার নীচে গ্রামের ভূমিহীন ও ক্ষেতমজুররা ভ্রাতৃঘাতী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন তার ব্যাখ্যায়।]
  • ranjan roy | 24.96.103.250 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ০৮:৪২618115
  • ৬। সমাধান কোন পথে? কিছু ভাবনা-১, ঃ
    ---------------------------------------------
    (i), বর্ধন গ্রামের ক্ষমতায়নের প্রশ্নে পঞ্চায়েত স্তরে মহিলাদের সংরক্ষণ ও বাস্তবিক empowerment এর প্রশ্নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। এ ব্যাপারে উনি Female Sarpanch, Villages & Female Ownership of Land নিয়ে একটি রিসার্চ স্টাডির কথা উল্লেখ করেছেন।
    (ii) উনি বর্ষ ২০০৮-০৯ এ বিশ্বব্যাংক দ্বারা বঙ্গের কৃষি অর্থনীতি নিয়ে এক জার্মান স্কলারকে দিয়ে ২০০ গ্রাম নিয়ে একটি research study করানোর উল্লেখ করেছেন। বর্ধনের কথা --উনি সেই স্কলারকে ব্যক্তিগত ভাবে জানেন, তাঁর স্কলারশিপ প্রশ্নাতীত। তিনি এর আগে সাউথ আফ্রিকাতেও একটি অনুরূপ অধ্যয়ন করেছেন।
    তাঁর কিছু নিদান আছে যাতে কৃষি-উৎপাদনে ২৫% বৃদ্ধি সম্ভব বলে দাবীঃ
    অ) বর্গাদারদের কৃষিজমি ক্রয় করতে ব্যাংক লোন দেয়ার যোজনা;
    আ) জমির খাজনা ফসলের বদলে নগদে দেয়ার ব্যবস্থা;
    [ এতে কৃষক ফসল ধরে রেখে বাজারের অবস্থা বুঝে একটু উচ্চমূল্যে বিক্রয় করতে পারবে।]
    ই)বর্গাদারদের সাব-লীজ দিতে উৎসাহিত করা।
    ঈ) বর্গাদারদের অধিকারস্বরূপ দেয়া পাট্টাকে ব্যাংকিংয়ের যোগ্য দস্তাবেজ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া।
  • ranjan roy | 24.96.103.250 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ০৯:৪৯618116
  • ৭। সমাধান কোন পথে? কিছু ভাবনা-২ঃ
    -----------------------------------------------
    বর্ধন লক্ষ্য করেছেন যে বঙ্গে প্রান্তিক চাষিদের অবস্থা দুঃসহ, আর বাইরে থেকে কাজ খুঁজতে আসা অল্প-মজুরিতে সুলভ শ্রমের যোগান দেয়া ImmigranT Farmer (১৫%)(বাংলাদেশী নয়) বঙ্গের গ্রামগুলিতে ভূমিহীনের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলেছে। আর বংশানুক্রমিক পারিবারিক ভাগ-বাঁটোয়ারার ফলে বেড়েছে ৮৫%
    (I) একটি সম্ভাব্য বাম- রাজনীতির দর্শনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সমাধান হল সমাবায়-কৃষির পথে যেতে উৎসাহিত করা।
    কিন্তু বঙ্গে দুটো কারণে সম্ভব হচ্ছে না।
    এক
    ,পরিবারভিত্তিক জোতগুলো একজায়গায় নেই; ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
    [ বঙ্গের কথা জানিনে, কিন্তু ৩৬গড়ে "গিরদৌলী" বলে একটি প্রথা আছে। তার অন্তর্গত কয়েকবছরে একবার করে রীতিমত ঘোষণা করে গ্রামসভার বৈঠক ডেকে পাটোয়ারির সামনে একটি গাঁয়ের সমস্ত কৃষকরা সমবেত হয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা-বিবাদ ইত্যাদির মাধ্যমে একটি পরিবারের বিচ্ছিন্ন জোতগুলিকে সমান অসুবিধে ভোগা পরিবারের জোতের সঙ্গে বিনিময় করে নতুন ভাবে পুনর্বিন্যাস করে নেয়। যেমন ভাবে অনেক সময় ট্রেনের কামরায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রিজার্ভেশন পাওয়া গ্রুপ নিজেদের পুনর্বিন্যাস করে।]
    দুই,
    বামপন্থী রাজনৈতিকরা সমবায় -কৃষি বলতে সাধারণতঃ রাশিয়ান ফর্মে " স্টেট কোঅপারেটিভ ফার্ম" ভাবেন। অন্যদিকে দেশি কুলাকদের সমবায় ব্যাংকের উদাহরণ। দুটোর ঋণাত্মক অনুভব বামপন্থীদের মধ্যে সমবায়-কৃষি ধারণাটার প্রতি এক বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করেছে।
    বর্ধন চাইছেন রাষ্ট্রের দখলদারি-মুক্ত কৃষকদের নিজস্ব উদ্যোগে স্বেচ্চ্ছায় mutual contract এর ভিত্তিতে তৈরি সমবায়। যাতে বাজারের স্ট্রাকচারের পূর্ণ সদ্বব্যবহার করা হবে।
    তাই সমবায়গুলোর পরিচালনায় গড়ে উঠুক কোল্ড স্টোরেজ, কৃষি বিপণন ব্যবস্থা।
    [ ছত্তিশগড়ে দেখেছি- উত্তরপ্রদেশ-মহারাষ্ট্রের অনুসরণে তৈরি কৃষি উপজ মন্ডী ও কিসান রাইস মিল।]
    এছাড়া বর্ধনের প্যাকেজে আছে কৃষির সহযোগী উদ্যোগকে সমর্থন দেয়া।
    যেমন,স্বেচ্ছা- সমবায়ের ভিত্তিতে পরিচালিত ডেয়ারি/ফিশারি/পোল্ট্রি ইত্যাদি ও তার মার্কেটিং।
  • ranjan roy | 24.96.103.250 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ০৯:৫২618117
  • [ অন্তিম সমাধান সূত্র, কৃষি বনাম শিল্পের বিতর্ক নিয়ে বর্ধনের বক্তব্য শেষ কিস্তিতে লিখছি।]
  • কৃশানু | 177.124.70.1 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১০:২৯618118
  • ৬ এর (ii) এর আ পয়েন্টটা খুব ভালো লেগেছে। লেখাটা খুবই ভালো হচ্ছে।
  • maximin | 69.93.199.212 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ০০:৫৩618119
  • গ্রামের 'বর্তমান প্রজন্মের' ছেলেমেয়েরা ভূমি-সম্পর্কিত জীবিকায় আদৌ উৎসাহিত নয়। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।

    বর্ধন কি সমবায়-কৃষির কথা বলেছিলেন? কোল্ড স্টোরেজ, কৃষি বিপণন ব্যবস্থা, ডেয়ারি / ফিশারি / পোল্ট্রি ইত্যাদি ও তার মার্কেটিং -- এগুলো সমবায় কৃষি নয়।
  • ranjan roy | 24.99.210.254 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ০৫:০৭618120
  • ম্যামি,
    ১)
    হ্যাঁ, উনি সমবায় পদ্ধতিতে কৃষি অর্থাৎ, ফসল উৎপাদনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু ওঁর বামপন্থী পলিসি-মেকাররা রাশিয়ার এটা বললেই স্টেট কোঅপারেটিভ ফার্মিং এর মডেল বোঝেন এবং সেটার খোদ রাশিয়ায় অবলুপ্তি ও বঙ্গের ফ্র্যাগমেন্টেড ও স্ক্যাটারড্‌ পারিবারিক জোতের ফলে ওঁরা এটা বঙ্গে প্রয়োগ অসম্ভব মনে করেন।
    কিন্তু বর্ধন বলছেন যে ওই রিজিড মডেল ছেড়ে স্বেচ্ছায় চুক্তিভিত্তিক কোঅপারেটিভ ফার্মিং এর কথা। স্টেটের নাকগলানো বিহীন।

    ২) না, ওগুলো সমবায় কৃষি অবশ্যই না। কথা হচ্ছে সমবায় নীতিতে পরিচালিত কোল্ড স্টোরেজ, ডেয়ারি, পোল্ট্রির ।
  • Sibu | 84.125.59.177 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ০৫:১৬618121
  • স্টেটের নাক গলানো ছাড়া কোঅপারেটিভ ফার্মিং কেমন হবে? পার্টি/গন-সংগঠনগুলো কোঅপারেটিভ অর্গানাইজ করবে?
  • ranjan roy | 24.99.163.64 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ০৬:২১618122
  • শিবু,
    না; বর্ধন বলছেন একটি গ্রামের কাছাকাছি জোতের কৃষকরা স্বেচ্ছায় যাতে নিজেদের মধ্যে কন্ট্রাক্ট বেসিসে ছোট ছোট সমবায় কৃষি গড়বেন। জোতের মালিকানার অনুপাতে উদ্বৃত্ত ভাগ করে নেবেন।
    এতে ফ্র্যাগমেন্টেড জমিগুলোর বর্ডারের আলগুলো সমগ্র সমবায় ফার্মের কৃষিযোগ্য জমির আওতায় আসবে , ফলে কিছু উৎপাদন তো বাড়বেই। ইকনমি অফ স্কেল, বেটার ম্যানেজমেন্ট অফ ইনপুট, মার্কেটিং এগুলোর সুফল তো আছেই।
  • Sibu | 84.125.59.177 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ০৬:২৮618125
  • তো কৃষকেরা সেটা করেন নি কেন? স্টেট কি কোঅপারেটিভ ফর্মেশন ডিসকারেজ করেছে? যেহেতু স্টেটের নাকগলানোর কথা নয়, এনকারেজমেন্টের প্রশ্ন মনে হয় আসছে না।
  • ranjan roy | 24.99.163.64 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ০৬:২৮618124
  • শিবু,
    ভেবে দেখলাম যদি বাম সরকার আবার স্থাপিত হয় তবে বর্ধনের মডেলের বাস্তবে প্রায়োগিক রূপ আপনি যা বলেছেন তার কাছাকাছিই হবে। ধরুন, পঞ্চায়েত বা কৃষক সমিতি সংগঠিত করলো। কিন্তু এতেও অপ্রত্যক্ষ ভাবে সরকারের চাপ বা রাজনৈতিক এজেন্ডার চাপ ব্যুরোক্র্যাসির হতক্ষেপ থাকবে।
    তাই বর্ধন জোর দিচ্ছেন একেবারে পাশাপাশি জোতগুলোর মালিকদের স্বেচ্ছায় ছোট সমবায় কৃষির ওপর, যার পরিচালন ব্যয় ও পদ্ধতি অল্পই হবে।
  • ranjan roy | 24.99.163.64 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ০৭:২৫618126
  • শিবু,
    বামপন্থী কৃষকসভার কোন এজেন্ডাতেই কোন দিন কো-অপারেটিভ ফার্মিং ছিল না। কারণটা হল কমিউনিস্ট পার্টি বঙ্গে(ভারতে) কৃষিতে সামন্ততন্ত্রকে উৎখাত করা প্রধান কর্তব্য মনে করত। লাঙ্গল যার জমি তার-- প্রধান শ্লোগান। কংগ্রেস সরকারের অসমাপ্ত ভূমি-সংস্কার পূর্ণ করতে গিয়ে অপারেশন-বর্গাদার হল।
    অর্থাৎ , জমিতে সামন্তপ্রভূর অধিকার খর্ব করে কৃষকের ( যে কর্ষণ করে) ব্যক্তিমালিকানা কায়েম করাই কৃষকসভার কাজ।

    সেটা হলে তার পর আসে সমবায়-কৃষি, অর্থাৎ, স্বতন্ত্র ছোট ছোট জোতের মালিকদের স্বেচ্ছায় একজোট হয়ে আল সরিয়ে কোঅপারেটিভ ফার্মিং।

    কল্যাণ সান্যাল- প্রণব বর্ধনদের স্টাডিতে অপারেশন বর্গার পরে এতগুলো দশক কেটে গিয়ে জমির পারিবারিক বাঁটোয়ারা হয়ে অধিকাংশ ক্ষুদ্র জোত un-economic হয়ে গেছে( 0.5 acre এর কম)। কী করা যায়?
    সমাধান হিসেবে একটা বিকল্প উনি বলছেন সমবায় কৃষি।
    যেহেতু ওঁর বামপন্থীবন্ধুদের সঙ্গে আলোচনায় উনি এ'বিষয়ে সুস্পষ্ট অনীহা ( এটা উনি সেমিনারে স্পষ্ট ভাবে বলেছেন) দেখেছেন( অনীহার কারণগুলো আগেই বলা হয়েছে); তাই উনি বলছেন- সমবায় কৃষি নিয়ে প্রচলিত একমাত্রিক ধারণা বদলাতে হবে। এর মানে শুধু স্টেট কোঅপারেটিভ ফার্মিং নয়, ছোট ছোট জোতের মালিকদের সুবিধা অনুযায়ী স্বেচ্ছায় তৈরি সমবায় কৃষি গোষ্ঠী।
  • কল্লোল | 125.241.118.228 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১৩:৪৮618127
  • সেটাই তো আশা করা গেছিলো বাম সরকারের কাছে। অপারেশন বর্গার পর কৃষিতে সমবায়। সেটা তখন অবশ্য সরকারী বা পার্টির নেতৃত্বেই হতো। তাতেও খারাপ কিছু হতো না। তো, তখন পার্টি ব্যস্ত হয়ে গেলো পাট্টারাজ কায়েম করতে।
  • h | 213.132.214.155 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১৪:৩৯618128
  • ক - বন্ধু দের সংগে আলোচনায় অনীহা দেখা যাওয়া আর পলিসি ডকুমেন্ট দেখা এক না। মানে আকাডেমিক পেপারে এর থেকে আরেকটু রিগর প্রয়োজন। আমার মনে হয় ওনার ক্যালিবারের ইকোনোমিস্ট আরো কিসু এভিডেন্স সংগ্রহ করেছেন। পেপার টা শেয়ার করবেন?
    খ - মৎসজীবি রা এই কো-অপারেটিভ ই করেছেন। এবং সেইটাই সরকারী ঘোষিত পলিসি। তাতে ক্যাপিটাল অ্যাকুমুলেশন টা সকলের কাছে কতটা পৌঁচেছে আর তাতে আড়তদারের হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয়েছে কিনা সেটা র ব্যাপারে কিছু বলেছেন?
    গ - কো-অপারেটিভ আছে প্রচুর। কিন্তু কো-অপারেটিভ এর উদ্দেশ্য কি হবে সেটা নিয়েই বিতর্ক। আর আমার মনে হয় আরো ভ্যালিড বিতর্ক হল, স্বনির্ভর দল (সেল্ফ হেল্প গ্রুপ) কি করে কো-অপারেটিভে ট্রান্সফর্ম করতে পারে, এবং কি কি উদ্দেশ্যে তৈরী কো-অপারেটিভ কে সর্কারের পলিসি সাপোর্ট দেওয়া উচিত। কারণ কো-অপারেটিভ এর অভাব নেই। আর নতুন সরকার অন্তত আসার পরে কো-অপারেটিভ গুলো কে প্রচুর বন্ধ করেছে, বিভিন্ন রাজনইতিক কারণে বা আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে। কিন্তু সর্বত্র অভিযোগ যে ছিল তা না।

    এই বিতর্ক টা ভ্যালিড বেশ কয়েকটা কারণেঃ-
    ক- কো-অপারেটিভ ব্যাংকের কাছে কস্ট অফ ফান্ড কমানো র কোনো পলিসি নেই, কেন নেই, এবং সেটা কে ঠিক করবে?
    খ - মার্কেটিং কো-অপারেটিভ কে কর্পোরেটাইজ্ড রিটেলের শুধুমাত্র সাপ্লায়ার হওয়া থেকে রক্ষা করা যায় কিনা।
    গ - কাজের সুযোগের সমানাধিকার আর কো-অপারেটিভ মুভমেন্ট সর্বত্র সমার্থক নয়। সে সম্পর্কে নতুন কোন ভবনা কোন অর্থনীতিবিদ শোনাতে পারছেন কিনা। দরদী অদরদী মিলিয়ে ;-)
  • h | 213.132.214.156 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১৪:৪২618129
  • কিন্তু কল্লোলদা সিপিএম এর কাছ থেকে যে কিসু আশা করেছিলেন, এটাই আজকের হেডলাইন। সেটাকি আশা করে লাভ নেই, জানার পরে করেছিলেন , না অল্প আগে ? ;-)
  • maximin | 69.93.207.219 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১৫:০৪618130
  • পার্থ চ্যাটার্জি-প্রণব বর্ধন -- আবাপ বা এই সময়ে যেটা বেরিয়েছিল তাতে যা মনে হয়েছিল 'স্বেচ্ছায় চুক্তিভিত্তিক কোঅপারেটিভ ফার্মিং' বলতে বর্ধন একই পরিবারের জমিগুলো একসঙ্গে চাষ করার কথা বলেছেন। কৃষিকাজ ধরলে বর্ধন আইডিয়া অফ সমবায় হল পরিবারভিত্তিক সমবায়।
  • maximin | 69.93.207.219 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১৫:০৬618131
  • বর্ধনের কাছে ক্বৃষি বিষয়ে বামপন্থী মতবাদ আশা করছেন কেন রঞ্জন?
  • maximin | 69.93.207.219 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১৫:৩৯618132
  • পার্থ চ্যাটার্জি-প্রণব বর্ধন কথোপকথনের লিং চাই।
  • h | 213.99.212.53 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১৫:৫৮618133
  • ল্যান্ড সিলিং এর কেস টা , পারিবারিক কো-অপারেটিভ দ্বারা বিদেয় হবে, না কোনো ইউটেলিটেরিয়ান গোষ্ঠী দিয়ে হবে, না দুটো থেকেই হওয়ার সুযোগ থাকবে, সেটার কোনো সরকারী পলিসি বা পলিসি প্রস্তাব থাকা কি খুব জরুরী?
  • h | 213.99.212.53 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১৫:৫৯618135
  • সে তো রঞ্জন দা আমার আপনার কাছ থেকেও করছেন, কল্লোল দা তো আরেক কাঠি উপরে, সিপিএম এর কাছে ও করছেন ঃ-))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন