এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বঙ্গে কৃষি সমস্যাঃ অর্থনীতিবিদ প্রণব বর্ধনের সেমিনার

    ranjan roy
    অন্যান্য | ১১ জুলাই ২০১৩ | ৪৭৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.96.90.62 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১৭:২০618136
  • হনুর সঙ্গে অনেকটাই একমত।
    ১) তখন কল্লোলকে চিনতাম না। কিন্তু সুদূর ছত্তিশগড়ে বসে অপারেশন বর্গার পরে অবশ্যই বাম সরকারের কাছে সমবায়-কৃষি বা এই ধরণের কিছু (যাতে গরীবদের পক্ষে গ্রামে পাওয়ার ইক্যুয়েশন কিছুটা বদলায়) আশা করেছিলাম।
    তখন ৩৬ গড়ে বা অন্যত্র প্রবাসী বাঙালীরা কেউ বঙ্গে যা -তা হচ্ছে, কোলকাতায় ভদ্রলোকেরা থাকতে পারবে না বললে খুব রাগ হত, ওদের সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা মিনিময় করতাম, বলতাম মাইন্ড সেট বদলান, নিজের চোখে দেখে তবে বলুন!ঃ)))
    ২) না, উনি আম শ্রোতাদের জন্যে কোন পেপার দেন নি। অনুষ্টুপ ও কিছু করল না। পরে ওদের পত্রিকায় ছেপেছে কি না খোঁজ নেব।
    ৩) কো-অপারেটিভ ব্যাংক নিয়ে আমার নিজস্ব বক্তব্য আছে, ফার্স্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞ্তা থেকে। আমি নিজে ওদের পাশাপাশি গ্রামীণ ব্যাংকে এতবছর কাজ করেছি। এ নিয়ে পরে আলাদা করে লিখব।
    কিন্তু কোঅপারেটিভ ফার্মিং আলাদা জিনিস।

    ৪) ম্যামি,
    ঠিকই বলেছেন। ওঁর দেয়া সল্যুশন লিব্যারাল ক্যাপিটালিস্ট সল্যুশন।
    তবে আজকাল দেং এর মত ভাবি-- বেরালটা ইঁদুর ধরতে পারবে কি না!
  • maximin | 69.93.207.219 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১৭:৩৯618137
  • Frontier পত্রিকার রিপোর্ট খুঁজে পেয়েছি। http://www.frontierweekly.com/views/apr-13/27-4-13-Samar%20Sen.html

    The speaker did not see light at the end of the tunnel in the form of collectivisation and joint farming since these have been discarded in Russia and China and not found favour locally. Rather, the speaker emphasised on the co-operative ownership of agricultural inputs & equipments and also co-operative marketing of agricultural products. The former will ensure bargaining capacity to the cultivator while negotiating prices of inputs/implements as well as their optimum utilisation while the latter will ensure a fair price for the farmers’ toil. Storage and other infra-structure facilities could be built by co-operatives thus ensuring pooling of scarce resources as well as their equitable use of facilities by the members and such initiatives have been successful in most Southern states. Thus, it was apparent to the audience that no solution was in sight to the problem of fragmentation and subdivision of land holdings in West Bengal.
  • cm | 127.96.121.165 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১৮:২৫618138
  • ওনার হোমপেজেই কিছু পেপার রয়েছে।
  • h | 213.99.212.53 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২০:২৬618139
  • কিন্তু সেটা কি এই প্রেজেন্টেড পেপার টাই?
  • কল্লোল | 125.242.191.221 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২০:২৯618140
  • হনু।
    ওরে অবোধ, কি আর বলি। ১৯৭৭ এ রাসবিহারী কেন্দ্রে অশোক মিত্তিরের হয়ে আমরা বামফ্রন্ট নির্বাচনী সহায়ক কমিটি করে ক্যাম্পেন করেছি। আমাদের মূল বিষয় ছিলো দুটো। রাজনৈতিক বন্দীমুক্তি আর ভুমিসংষ্কার।
    ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত যে কটা বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন হয়েছে, তাতে আমাদের কালীঘাট-রাসবিহারীর সংগঠন প্রগতিশীল গণ ফোরাম (পিপিএফ) বামফ্রন্টের সমর্থনেই প্রচার করেছে। শেষদিকে আমাদের অবস্থান ছিলো বামফ্রন্ট মন্দের ভালো।
    সক্রিয়ভাবে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে ১৯৮৫ সালের বাম আমলের প্রথম কলকাতা কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেই। হেরে যাই, তবে দ্বিতীয় হয়েছিলাম। কংগ্রেস তৃতীয়।
    আশা তো অনেক কিছুই করেছিলাম সেই ৭২ থেকেই। তখন যখন প্রমোদবাবু হাঁক দিলেন - অত্যাচারের পরিণাম / বাংলা হবে ভিয়েৎনাম। আশা করেছিলাম কিছু তো হবে। হয় নাই। তবে আশা ছাড়ি নাই। সে তো ৭৭ থেকে ৮৪র গপ্পো বললামই।
    তাই ------ আsআ ছিলো ভালোবাsআ ছিলো। ভেবেছিলাম অপারেশন বর্গার পর দ্বিতীয় ধাপ কৃষিতে সমবায়।
    আsআ নেই ভালোবাsআ নেই।
  • h | 213.99.212.53 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২০:৪৪618141
  • তো সেই ভূমি সংস্কারের প্রোগ্রামের মধ্যে প্রণব বর্ধনের বের করা এই সমস্যা গুলো র কথা প্রেডিক্ট করতে পারেন নি, নাকি তখন প্রেডিক্ট করতে চান নি। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে, ভেবেছিলেন, তো তার পরের ধাপে, সমবায় যেটা ভেবেছিলেন, সেটা কি পারিবারিক সমবায় ভেবেছিলেন, নাকি ইউটেলেটেরিয়ান একটা সমবায় ভেবেছিলেন? আর মৎস্যজীবি দের সমবায় অভিজ্ঞতা ইত্যাদি নিয়ে আপনার অবস্থান কি?

    আসলে প্রশ্নগুলো করছি, অবোধ সুলভ, তার কারণটা হচ্ছে, আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে, প্রণব বর্ধনের এই অ্যানালিসিস, দীর্ঘদিন ধরেই আপনার মনের কথা। তো তাই যদি হবে, সিপিএম এর উপরে আশা রেখেছিলেন কেন? আর যদি রেখেই থাকেন, নানা কারণে, তাইলে অন্য নকু দের কাছে কতটা গাল আগে বা পরে খেয়েছিলেন, সেটাও জানতে চাইছি।

    প্রশ্ন গুলোর মূল কারণ তো বুঝতেই পারছেন, খুব স্পষ্ট। এই সব প্রংগে যে কোন নতুন বা পুরোনো প্রতিষ্ঠা পাওয়া বক্তব্যই খেয়াল করে দেখেছি, আপনি একটা, সে কথা আগেই, বহুদিন আগেই বুঝতে পেরেছিলেন, এই অবস্থান নিয়ে থাকেন। তো সেটা উইথ অ্যাডভান্টেজ অফ হাইন্ডসাইট গোছের কোন কোয়ালিফায়ার যোগ না করেই নিয়ে থাকেন, তো সেইটার বাস্তব ভিত্তি কতটা এই ক্ষেত্রে, সেটা জানতে চাইছি। পারসোনাল কনভিকশন এ এবং নিজস্ব প্রফেসি তে অতটা ভরসা আমার নেই, আপনার (রাজনইতিক অবস্থানের) সৌন্দর‌্য কি রাজ জানতে চাইছি, এই আর কি ;-)
  • h | 213.99.212.53 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২০:৪৭618142
  • জিগ্যাসা করার আরেকটা কারণ, সেটাও স্পষ্ট, অশোক রুদ্র রা প্রায় ৬৭-৬৮ সাল থেকেই সিপিআই এম এর, ভূমি সংস্কারের প্রোগ্রামের বিরোধিতা করছেন। আপনাদের সমর্থন এর অবস্থান টা আপনারা থিয়োরাইজ করেছিলেন কি করে, আর করতে গিয়ে সংগঠন এর মধ্যে, বা বন্ধু দের মধ্যে কি ধরণের বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন, সেটা জানতে চাইছি। বাস্তব ভিত্তি টা বলবেন, উইথ অ্যাডভান্টেজ অফ হাইন্ডসাইট বাদ্দিয়ে।
  • cm | 127.96.121.165 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২০:৫৯618143
  • দিলিপ মুখার্জি এবং অন্যান্য কোলাবোরেটরদের সাথে এ নিয়ে উনি গোটাকয় পেপার লিখেছেন। সবকটাই ওনার পেজে আছে।
  • h | 213.99.212.53 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২১:০০618144
  • ওক, দেখে নিচ্ছি, কিন্তু সেটাই প্রেজেন্টেড পেপার কিনা বুইবো কি করে?
  • cm | 127.96.121.165 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২১:০৯618146
  • টাইটেল দেখলেই বুঝতে পারবেন। ম্যামির কোটের শেষেতো দেখাই যাচ্ছে উনি কনক্লুসিভ কিছু বলছেননা।
  • কল্লোল | 125.242.191.221 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২১:১৮618147
  • খাইসে। হনু রেগে গিয়ে আমারে আপনি আজ্ঞে কচ্ছে। ক্ষিই ঝামেলি।

    হ্যাঁ, আমরা। আমরা কারা? ৭২ থেকে ৭৭ মূলতঃ আমি, দেবাশিস ভট্টাচার্য ও আরও জনা পাঁচেক ছেলে-মেয়ে (তাদের অনুমতি নেই নাই তাই নাম দিলাম না), এপিডিআর তৈরীর সাথে ছিলাম। এপিডিআরে আরও নানা কিসিমের নকশাল ছিলো। মাকুদেরও ডাকা হয়েছিলো। প্রথম কনভেনশনে জ্যোতিবাবুও ছিলেন। জ্যোতিবাবুদের ডাকা নিয়ে খুব বিরোধীতা ছিলো, সত্যনারায়ন সিনহার সিপিআইএমএল থেকে। চারু মজুমদারপন্থীরা গণ সংঠন করায় তখনও বিশ্বাস করতেন না। ওদের কাছে এপিডিআর ছিলো রিফরমিস্ট কাজ। ওরা মনে করতেন তখন হয় লাল ফৌজ এসে জেল ভাঙ্গবে, অথবা জেলের ভিতর থেকেই জেল ভাঙ্গা হবে। বন্দীমুক্তি আন্দোলন-টন সব বোগাস। অন্য যে বড় গোষ্ঠী সত্যনারায়ন সিনহার দল (যাতে অসীম চট্টো, সন্তোষ রাণা ইঃ ছিলো), তারা এপিডিআরে থাকছে, কিন্তু পরিচালন কমিটিতে নয়। করন অনেকেই তখনও আন্ডারগ্রাউন্ডে। কিন্তু এরা সিপিএমএর সাথে যৌথ আন্দোলনে রাজি নয়। এপিডিআরের উদ্যোগ যারা নিয়েছিলো, তারা বেশ পুরোনো আর এক নকশাল গোষ্ঠী - এনএলডিএফ। এরা মনে করতেন ভারতের বিপ্লবের প্রধান দ্বন্দ্ব সাম্রাজ্যবাদ। তাই ভারতে জনগনতান্ত্রিক বিপ্লব নয়, জাতীয় মুক্তির লড়াই। যেহেতু জাতীয় মুক্তির লড়াই, তাই জাতীয় বুর্জোয়া মিত্র শক্তি। সিপিএম এদের কাছে সমাজগণতন্ত্রী, তাই স্বাভাবিক মিত্র।
    আমরা এদের কোনটাতেই নেই।
  • h | 213.99.212.53 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২১:২৬618148
  • এই আলোচনায় সমবায় শব্দ টা কে পিপিপি দিয়ে গ্লোবাল রিপ্লেস করে দিলে সেটা তৃণমূলের নির্বাচনী ইশ্তেহার হয়ে যাবে, বিশেষতঃ রঞ্জনদার Date:15 Jul 2013 -- 09:49 AM এ র রিপোর্টিং এর পোস্ট টা।

    এটা নিছক রসিকতা করা র জন্য বলছি না। বলছি এই কারণে, যে রুরাল মারচেন্ডাইজ আর লজিস্টিক্স এর জন্য ইনফ্রাস্ট্রাকচার এর যে ফাইনান্সিং এবং অর্গানাইজেশন প্রয়োজন, সেটার সলিউশন আসছে নানা ভাবে,

    কংগ্রেস বলছেন, বিগ রিটেল, যারা নিজেদের সাপ্লাই চেন নিজেরাই বানিয়ে নেবে, কোল্ড স্টোরেজ ও নিজেরাই বানিয়ে নেবে, বড় স্টোর এলে তো গোটা বাজার টাই তাদের সাপ্লাই চেন/লজিস্টিক্স হয়ে যাবে।

    রঞ্জন্দা বলছেন(রিপোর্টিং করতে গিয়ে), জানি না এগজ্যাক্টলি, প্রণব বাবু কি বলছেন, এটা সমবায় থেকে আসবে, সমবায় এর ইনভেস্ট মেন্ট করার ক্ষমতা কোথা থেকে আসবে বলছেন না।

    তৃণমূল পিপিপি বলছেন, কিন্তু তার জন্য টোলিং রেভেনিউ কোথা থেকে আসবেন বলছেন না। এবং রুরাল রোড্স বা স্মল ইরিগেশন বা লজিস্টিক্স, বা কোলড স্টোরেজ সব কিছুর জন্যই পিপিপি বলছেন অথচ টোলিং এর পসিবিলিটি টা স্বীকার করছেন না, আর মাঝে মাঝে বাংলার আরো কেন্দ্রের টাকা চাই বলছেন, কিন্তু ডেট ফাইনান্সিং পসন্দ করছেন না বলে, পরিবহন তুলে দিচ্ছেন। ইত্যাদি। এই সব স্ববিরোধিতা রয়েছে।

    সিপিএম, পলিসি তে বলছেন, পাবলিক সেকটর পরটিসিপেশন, এবং সেটাই মূল নেটওয়ার্ক্ড ইন্ফ্রাস্ট্রাকচার। আর কাজে, সবাই কে সব কিছু করতে দিচ্ছেন।

    তো এতে দেখা যাচ্ছে, চারটে অপশন এই, প্রান্তিক চাশীর স্কিলের ট্রান্সফার এর প্রয়োজনের কথা, তার ইনকাম গ্যারান্টির কথা, স্টেকহোল্ডার হিসেবে তার ভূমিকার কথা স্পষ্ট করে কেউ বলছেন না, বাই প্র্যাকটিস আশা করছেন, সমবায় প্লাস সরকার হলে কিসু একটা হবে, কিন্তু তাকে ভায়াবেল করার যথেষ্ট কিসু পাচ্ছেন না।
    মুশকিল হল, এই রিপোর্টিং থেকে ছোটো জমি, প্রোডাকটিভিটির মূল বাধা এই সিদ্ধন্ত বেরিয়ে আসা ছাড়া , এবং সেই সিদ্ধান্তের অপব্যবহার সম্ভাবনার বিপদ দেখতে পাছি। রঞ্জনদা, কারেকট মি ইফ আই অ্যাম রং।
  • h | 213.99.212.53 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২১:২৭618149
  • কল্লোল দা, ফাইন, সেটা সেকটারিয়ান কিসু খবর পেলাম, এতে আমি আগ্রহী নই। ভূমিক সংস্কার প্রসংগে তখন কি দেখে ভরসা পেয়েছিলেন, প্রমোদ দাশগুপ্ত দের প্রোগ্রামে সেটা বলুন?
  • কল্লোল | 125.242.191.221 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২১:৩৯618150
  • আমরা ঘটনা চক্রে এপিডিআরেই একসাথে হই। আমাদের চিন্তা ছিলো -
    ১) সিপিআইএমএল তৈরী ভুল ছিলো। সারা ভারত বিপ্লবীদের কোঅর্ডিনেশন কমিটির ভিতর তাত্ত্বিক বিতর্ককে আরও সময় দেওয়া উচিৎ ছিলো। ভারতের শ্রেণী চরিত্র, বিপ্লবের স্তর, তার সাথে জড়িত নীতি ও কৌশল নিয়ে আরও অনেক বেশী ধৈর্য ধরে আলোচনার প্রয়োজন ছিলো। প্রয়োজন ছিলো বিভিন্ন রণনীতি ও রণকৌশলগুলোকে প্রয়োগের স্বাধীনতা দেবার, যাতে প্রয়োগের মধ্য দিয়ে সঠিক তত্ত্ব বেরিয়ে আসে। তা না করে পার্টি তৈরীর ঘোষনা করে কার্যত সারা ভারতের বিপ্লবীদের উপর মত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। ফলে অনেকেই আলাদা হয়ে গেছিলেন। অন্ধ্রে নাগী রেড্ডিরা, দক্ষিন বাংলায় এমসিসি, ধানবাদে এ কে রায় গোষ্ঠী, এনএলডিএফ এরকম আরও অনেকে। এটা ভারতীয় বিপ্লবের ক্ষতি করেছে।
    ২) নীতিগতভাবে নির্বাচন বয়কট ভুল সিদ্ধান্ত। নির্বাচনে অংশ নেওয়া কোনও নীতিগত বিষয় নয়। এটি নেহাৎই কৌশলগত বিষয়। ১৯০৫এ ডুমা বয়কট, পরে আবার ডুমা নির্বাচনে অংশ নেওয়া দ্রষ্টব্য।
    ৩) নীতিগতভাবে গণসংগঠন না করার সিদ্ধান্ত ভুল। সশস্ত্র বিপ্লবের চরম সময়েও গণসংগঠনই জনগনের সাথে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টির সেতু। সেটাকে অস্বীকার করা মানে আত্মহত্যা করা।
    ৪) সিপিএম ও অন্যান্য বামদলগুলোর সাথে বৈরীতামূলক সম্পর্ক ভুল। যুক্তফ্রন্টের প্রয়োজন ছিলো। ঐসব সমাজগণতন্ত্রী দলগুলোর ভিতরে থাকা বিপ্লবী অংশকে কাছে টানার বদলে দূরে সরিয়ে দেওয়া ভুল ছিলো।

    কি করিতে হইবে।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২২:০২618151
  • খুব ভালো লাগছে আলোচনা-টা। খুবই। রঞ্জনদা, কল্লোলদা, হানুদা। চালিয়ে যাওয়া হোক।
    নেহাত অর্বাচীন এর মতো বলি, কল্লোল-দা ওপরের পোস্টে (৯ঃ৩৯) যেটা বললেন সেটা আমার বহুদিন ধরেই মনে হয়। কল্লোলদা দীপ্তেন্দার বই পড়ে-ও মনে হয়। ছাত্র জীবনে যেটুকু নকশাল আন্দোলন নিয়ে পড়েছি, তাতেও মনে হয়েছে। ফ্যাকশন, এবং তাদের মধ্যে মতের যে সামান্য অমিল তা না মিটিয়ে, প্রয়োগমুলকভাবে এক হবার সিদ্ধান্তে না এসে তাত্বিক লড়াই গুলোকে জারি রেখে যাওয়া এবং তা থেকে নিজেদের মধ্যে বৈরিতা আসল শত্রু-র চেয়েও বেশী হয়ে যাওয়া বোধ হয় ভারতে বাম আন্দোলন এর রক্তাল্পতার অন্যতম কারণ।

    মাফ করবেন অনধিকার প্রবেশের জন্য। আলোচনা জারি থাক।
  • কল্লোল | 125.244.226.4 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২২:৩১618152
  • হনু। এট্টু ধৈর্য ধর বাপু। অতোদিন আগেকার কথা একটু সিকোয়েন্সিয়ালি ভাবতে দে। কেন সিপিএমের সাথে আsআ ও ভালোবাsআ ছিলো।

    হ্যাঁ, কি করিতে হইবে।
    ১) নির্বাচনে অংশগ্রহন অন্য বামদলগুলির সাথে জোট বেঁধে।
    সরকার গড়া গেলে - ভুমি সংষ্কার। মূলতঃ জমিতে যে শ্রম দেয়, জমি তার। জমির মালিক ভাড়া নিতে পারে মাত্র। সরকার না গড়তে পারলে এই দাবী নিয়ে আন্দোলন - তেভাগা ধাঁচে।
    ২) ভারতের বিপ্লব নিয়ে ক্রমাগত তাত্ত্বিক বিতর্ক চালিয়ে যাওয়া। আমাদের অবস্থান - ভারত একটি বহুজাতিক ধারনা মাত্র। ফলে জাতিস্বত্তার আত্মনিয়ন্ত্রনের লড়াইয়ে জোর। সেক্ষেত্রে ভারতীয় উপমহাদেশে কাশ্মীর, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, অসম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড সহ উত্তর পূর্বের সবকটি রাজ্যের ও বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের লড়াইকেও সাথ দেওয়া।
    ৩) আশু প্রোগ্রাম - রাজনৈতিক বন্দীমুক্তি আন্দোলনকে জোরদার করার মধ্য দিয়ে পশ্চিম বঙ্গের অন্য বামদলগুলির সাথে কার্যকরী ঐক্য গড়ে তোলা।

    এই চিন্তায় তখন কোন নকশাল গোষ্ঠীর সায় ছিলো না। ফলে প্রচুর গাল খেয়েছি। গালগুলি - বিলোপবাদী, সংষ্কারবাদী, সাম্রাজ্যবাদীদের পুতুল (ভারত ভাঙ্গার ইচ্ছার কারনে) ও পুলিশের দালাল।
    একমাত্র সমর্থন ছিলো কানু সান্যালের, কিন্তু সোজাসুজি নয়। কেন, তা আজও জানি না।
  • কল্লোল | 125.244.226.4 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২২:৩৮618153
  • তো, উপরের পোস্টের প্রথম পয়েনেই ছিলো ভূমি সংষ্কার। সেটা যখন ৭৭এ বামফ্রন্ট তাদের কর্মসূচী বলে ঘোষনা করে, তখন আsআ ছিলো ভালোবাsআও ছিলো।

    তখন কালীঘাট-রাসবিহারী অঞ্চলে পিপিএফ হৈহৈ করে কাজ করছে। সে সব লেখার ইচ্ছে আছে। আমাদের সংগঠন ভাবনা, আমাদের রাজনীতির প্রয়োগ। আমাদের ছেলেমানুষী, আমাদের হেরে যাওয়া।
  • ranjan roy | 24.99.248.189 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২২:৫৫618154
  • হনু,
    ১) এটা স্পষ্ট যে প্রণব পুঁজি বিনিয়োগের ব্যাপারে ব্যাংক লোনের ।কথা ভাবছেন।
    তাই উনি ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের জার্মান ডেভলপমেন্ট ইকনমিস্টের রেসিপি অনুযায়ী ভাগচাষীদের পাট্টাকে bankable document হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে কথা বলেছেন।। আর সমবায় কৃষির সাইজ অবশ্যই ছোট হবে। কর্পোরেট কালচারের হবে না।
    ২) ফ্রন্টিয়ার পত্রিকার বক্তব্যের চেয়ে টোনে আমার আপত্তি।
    সব ব্যাপারেই ডাক্তারের প্রেসক্রিপ্শন দেবার মত কনক্লুসিভ সলিউশন কেন দিতে হবে? সে তো বর্তমান শাসকদলের প্রধানও চটজলদি অনেক সল্যুশন দেন। সিগ্রেটের ট্যাক্স বাড়িয়ে সারদা কান্ডের ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি।
    আমার মনে হয় রেডিমেড সল্যুশন দেবার থেকে জরুরি ভ্যালিড কিছু প্রশ্ন তোলা, লোকজনকে বাঁধাগতের বাইরে ভাবতে বাধ্য করা। সেটুকু যদি করে থাকেন বর্ধন তাহলেই সেমিনার সার্থক। ওঁর কথিত সমাধান মানতে হবে এমন মাথার দিব্যি কে দিয়েছে?
    ৩) এই তো আজ সিপিএম এর বুজি প্রখ্যাত ইকনমিস্ট প্রভাত পট্ট্নায়েক টেলিগ্রাফে পশ্চিম ও উত্তর ভারতের তুলনায় ওড়িষ্যা ও বঙ্গে দলিতদের ক্ষমতায়নে প্রগতি না হওয়া ও তার কারক হিসেবে বামপন্থীদের ক্লাসিক্যাল মডেলমগ্নতা এবং নিজেদের সমাজের এই ইম্পর্ট্যান্ট ক্যাটেগরির সমস্যার দিকে আঙুল তুলেছেন।
    খুবই সংগত প্রশ্ন। এনিয়ে এম-এল গ্রুপগুওকেও ছাড় দেন নি। এ'বিষয়ে কুসুম্বা ও বিবির বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য।
  • Sibu | 84.125.59.177 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২২:৫৬618155
  • কৃশানুর পোস্তোর ওপরে একটা সাইড নোট।

    বামপন্থী দলগুলোর নিজেদের ভেতরে মারামারি আসলেই নেতাদের টার্ফ রক্ষার/জয়ের লড়াই। তার ওপর একটা তাত্ত্বিক আবরণ দেওয়া হয়। দুই তত্ত্ব থেকে যদি সিদ্ধান্ত হয় যে অমুক জায়গায় একটা ধর্মঘট করা দরকার, তাহলে সেটা একত্রে না করার অন্য কোন কারণ দেখি না।

    আর একটা ব্যাপার যেটা খুব চোখে লাগে সেটা হল ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি তৈরী করার জন্য মিডিয়ার তেল খাওয়া। আবাপর ব্র্যান্ড বুদ্ধ দেখে বুদ্ধ এমনই বার খেল যে তার আর প্রশাসনিক বোধ থাকল না।

    তো এই কোঅপারেটিভ নিয়ে আমার প্রশ্ন হল কি করিতে হইবে। মানে কোঅপারেটিভ তৈরী ও চালানো কার দায়িত্ব হওয়া উচিত? সরকার? কৃষক সভা? ব্যক্তিগত ও পাড়াগত উদ্যোগ?
  • ranjan roy | 24.99.248.189 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২৩:১৯618158
  • বিকেলে গেছলাম একজন আমার ঘনিষ্ঠ ৭৬ বর্ষীয় প্রাক্তন সিপিএম সংগঠক ও কিসান সভার জেলাস্তরীয় নেতার কাছে। উনি আজ মর্মাহত , পার্টির অফিস ভেঙে দেয়া হচ্ছে , আর আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি, সরকারের কাছে আদালতের কাছে আবেদন করছি!
    উনি আদৌ কম্প্যু স্যাভি নন, হওয়ার কোন ইচ্ছেও নেই। তাই এই লেখাটা নিয়ে কথা বলছিলাম।
    উনি এসব বাতেলা শুনে গেলেন চটে।
    আমি তখন মনে করিয়ে দিলাম যে ৬০ এর দশকে যখন নতুন সিপিএম হয়েছে তখন উনি বর্ধমানে একটি উপনির্বাচনে কৃষক নেতা কমরেড বিনয় চৌধুরির (কোঙার ন'ন, কিন্তু হরেকৃষ্ণ কোঙারের সাথী)হয়ে খুব খেটেছিলেন।
    উনি যা বললেন-- ১৯৫৩ সালে বিধান রায় মন্ত্রীসভা প্রথম ল্যান্ড রিফর্ম বিল পাশ করিয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে কায়েমী স্বার্থের চাপে ক্রিয়ান্বয়ন করায় নি। সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের আমলে ল্যান্ড রেকর্ড বিভাগের আমলারা খাস ও উদ্বৃত্ত জমির হিসেব পুরো করে চমৎকার রেকর্ড বানিয়েছিল। কিন্তু স্পষ্ট্তঃ রাজনৈতিক কারণে কংগ্রেসি মন্ত্রীসভা সেটা চেপে দেয়।
    তবে তারও আগে ৬৬-৬৭তে সিপিএম এর বঙ্গীয় কিসান সভার সম্মেলনে উনি ওঁর জেলা থেকে একমাত্র এলসিএস ডেলিগেট (লোক্যাল কমিটি সেক্রেটারি) ছিলেন। উনি সেই সম্মেলনে অসমাপ্ত ভূমি সংস্কার বিলটি নিয়ে দাবী রাখার কথা তোলেন। তাতে সেই বিনয় চৌধুরিই ওঁকে এখনো সময় হয় নি, বলে ধমকে চুপ করান।
    উনি আরও বল্লেন যে বর্ধমান কিসান সভায় ধনী ও মধ্য কৃষকদের clout দেখে তখনই এর ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত ছিলেন।

    আর কেশপুর কান্ডের সময় গরীব কিসান ও ক্ষেতমজুরদের লাল ও সবুজ পতাকার নীচে ভাতৃঘাতী মারামারি করার পেছনে শ্রেণীভিত্তিক সংগঠন না হওয়ার প্রশ্ন তোলেন।
  • PT | 213.110.246.230 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২৩:১৯618157
  • কল্লোলদার এইসব "কি করিতে হইবে" কি শুধু পবঙ্গের জন্য নাকি গোটা ভারতের জন্য?
  • ranjan roy | 24.99.248.189 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২৩:২২618159
  • শিবুর বক্তব্যে একটা বড় হাতের K দিলাম। সব পয়েন্টেই।
  • h | 127.194.226.40 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২৩:৩২618160
  • রঞ্জনদা, তিন নং একেবারেই অপ্রাসংগিক, কারণ প্রভাত পট্টনায়ক এর প্রবন্ধ টা অমিও ইন্সিডেন্টালি পড়েছি। ওঁর বক্তব্য একেবারেই অন্য প্রসংগে।

    খ ) অর্থনীতিবিদ রা তাঁদের প্রফেসন কে যে ভাবে ডিফেন্ড করেন, বাম এবং ডান এরা, সেটা আপনাকে আমাকে কেন করতে হবে বুঝলাম না। সেটা তাঁরা না হয় চাগরি বাঁচানোর জন্য করে থাকেন।

    এ. প্রেস্ক্রিপশন দিলে না মানলেও চলবে এটা ইন্স্টিটিউশন এর মধ্যে পলিসি মেকারের পোস্টে থেকে বলা কঠিন, এটা সম্ভবত কোনো পদাধিকারী ইকোনোমিস্ট বা পলিসি থিংকিং এর সংগে জড়িত ইকোনোমিস্ট রা বলেন না।

    বি. তাঁরা যেটা বলেন, যে যা বলেছিলুম মানল না বলে এই হাল।

    সি. অথবা বলেন এই এই ইন্ডিকেটর দেখে বোঝাই যাছিলো বিপদ আসবে, কিন্তু শুনলো না। বা মডেল ভালো নেই বলে তাত্বিক অ্যানালিসিস দুর্বল হয়ে গেল। বা অমুক ইকোনোমিক হিস্টরিকাল ফেনোমেনন এর এই হল গিয়ে ব্যাখ্যা, যে কথা আগে কখনো কেউ ভাবে নি ইত্যাদি।

    বি আর সি ক্ষেত্রে, কোনোটাতেই অর্থনীতিবিদ নিজেকে দায়ী করেন না। আবার মডেল ইত্যাদির প্রয়োজন নেই এই সব ও বলেন না।

    মডেল সর্বস্বতা ইত্যাদি নিয়ে আপনার যুক্তি হাস্যকর। আকাদেমিয়ায় বা কর্পোরেটে একটা সমস্যা কে তাত্বিক দিক থেকে বাগে আনার জন্য কিছু কন্ডিশন দিয়ে একটা মডেল নিয়ে তার আলোচনা করে থাকে। তাঁরা কেউ ই বামপন্থী বা সিপিএম নন।

    আর যদি তাত্ত্বিক বা ব্যবহারিক অসম্পূর্ণতা একটা মহৎ অর্থনইতিক নীতিবিষয়ক অবস্থান এর পূর্বশর্ত হয়, তাহলে, বলতে হয় , এই একটি শর্ত সিপিএম খুব ভালো ভাবে পূরণ করেছে। সে কিসুই বিশেষ করে উঠতে পারে নি, সব কিচুই রবিন সিং তথা বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্তের এর মত আজীবন 'সম্ভাবনাময়' করে রেখে দিয়েছে ;-) দুটো এক সংগে কি করে সমালোচোনা হয় বুঝলাম না।

    ফাইনালি, আপনার এক নং। ব্যা`কিং সেকটর কাকে, কোন ধরণের কাগজ জে লোন দেওয়ার সময়ে মানবে, সেটা সরকারী ব্যাংক বা সংশিল্ষ্ট ব্যাংক টির কিছুটা পলিসি কিছুটা প্রেজুডিস এর উপরে নির্ভর করে, সেন্ট্রাল ব্যাংক গুলোর নানা ফাইনান্সিয়াল টার্গেট, ইন্ক্লুডিং রিকভারি টার্গেট এর উপরে নির্ভর করে, ধরে নেওয়া যেতে পারে, সেটা প্ল্যানিং কমিশন বা কেন্দ্রের জেনেরাল পলিসির কিছুটা, সেন্ট্রাল ব্যাংকের নিজস্ব কিছুটা নীতির মিশ্র প্রতিফলন। সেটা কতদূর রাজ্য সকরারের উপরে নিরভরশীল? দল নিরপেক্ষে। এই যে মমতার পিপিপি স্বপ্ন, এতো বাংল ডেট ফাইনান্সিং দিল্লীতে আনপপুলার হয়েছে বলে। ওনার নিজের করার আসে টা কি? উনি ঢপ দিতে হয়তো বাধ্য হচ্ছেন এই করবো সেই করবো হ্যান ত্যান এইসব বলে, সেটা আলাদা।

    এসব আর আমি আপনাকে কি শেখাবো। আমার বক্তব্য ছিল সমবায় ব্যাংক ইত্যাদি ব্যাংকিং পরিষেবার কস্ট অফ ফান্ড্স ইত্যাদি কমলে, এবং সেটা কে সেন্ট্রাল ব্যাংক বা ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক গুলোর ক্রেডিট পলিসি তে পরিবর্তন আনা গেলে সেগুলো স্থানীয় ব্যবসায়িক উদ্যোগের ভায়েবল ক্রেডিট অপশন হতে পারে কিনা। যেটা দিয়ে, বড় ব্যাংক এর রিটেল নেট ওয়ার্ক এর সীমাবদ্ধতা কেও আটকানো যায়, আর মাইক্রো ফাইনান্স এর ধাষ্টামো বাড়তে দেওয়া হয় না, আর স্পুরিআস নন ব্যাংকিং ফাইনান্স কোম্পানির বাড় বাড়ন্ত রক্ষা করা যায় কিনা। এবং সবচেয়ে বড় কথা, রুরাল ইন্ফ্রাস্ট্রাকচারে তারা যোগদান করতে পারে কিনা। যেটা সকলেই হন্যে হয়ে খুঁজছে, এবং পিপিপি বা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব দিয়ে যে যোগান সম্ভব হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। আর মার্কেটিং সমবায় গুলো শস্তার ক্রেডিট পেতে পারে কি ভাবে, বা ইন্ফ্রাস্ট্রাকচারে সমবায় মডেল সম্ভব কিনা।

    এই প্রশ্ন আমি করেছিলাম কেন, কারণ আপনার রিপোর্টিং অনুযায়ী বর্ধন সমবায়ের কথা বলছিলেন।

    তো আমার আগ্রহ হছ্হিলো, কোন ধরণের সমবায়ের কথা বলছেন। চীনে এক ধরণের সমবায় চলে, যে গুলো আমাদের দেশের বিল্দিং সিন্ডিকেট এর মত। তারা শুধু নিজ শিল্প বা কৃষি ক্ষেত্র ই শুধু না, জনজীবন ও নিয়ন্ত্রন করে, পার্টির নামে। তো আমি আরো আগ্রহী ছিলাম, এই সব ব্যাপারে কি বলেছেন সেটা জানতে। তো আপনার এখনো পর্যন্ত লিখিত রিপোর্ট থেকে সেটা বেশি পাচ্ছি না, আহা উহু টা পেপার টা পড়া পর্যন্ত তুলে রাখতে হচ্ছে। আমি জেনে নিতে চাইছিলাম কতটা বলেছেন বা বলার সময় পেয়েছেন। এই সব লোকের কথা শুনতে পওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার।
  • h | 127.194.226.40 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২৩:৩৭618161
  • শ্রেণী ভিত্তিক সংগঠন শুধু ই হলে, অন্য কোন অর্থে ভ্রাতৃহত্যা হত। সেটা-ও সকলে মানতেন না, আপনাকে আমাকেই অন্য ভাষায় পোবোন্দো লিখতে হত ;-)
  • h | 127.194.226.40 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২৩:৪৮618162
  • কল্লোল দা, রাইট, হ্যাঁ এটাই আমিও আশা করেছিলাম। জমির মাপ নিয়ে তখন ভাবেন নি, প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে বিশেষ ভাবেন নি।

    সি পি এম ও ভাবে নি। এই টেই বলার ছিল। কন্টেম্পোরারিটি অফ আইডিয়াজ এমনি এমনি আসে না, কন্টেম্পোরারিটি অফ রিয়েলিটি থেকেই সেটা আসে।

    দ্য অ্যাডভান্টেজ অফ হাইন্ডসাইট আমাদের ব্যক্তিগত ভাবে আছে, আমরা কোন দলকে সেটা দিতে পসন্দ করি না, কারণ তারা নিজেরা সত্যদ্রষ্টা বলে নিজেদের দাবী করে। না দেওয়া টা সংগত হলেও, কাজটা যে কঠিন স্বীকার করি না।

    সীমিত উদ্দেশ্য ছিল ভূমি সংস্কারের। জমি ভিত্তিক সংস্কারের। তাতে মধ্য কৃষক এর হাতে ক্ষমতা বেশি আসবে, এটাও পার্টলি উদ্দেশ্য থেকে থাকতেই পারে, কেননা বড় ল্যান্ড হোল্ডিং এর থেকে হয়তো সেটাই প্রেফারেবল ছিল।

    এখন বড় সমস্যা হল, সেটা আপনার/রঞ্জনদার লেখায় আসবে আশা করি, হ্যা সমস্যা হয়েছিল তো হয়েছিল, বিদেয় হয়েছে সিপিএম, বিদেয় হয়েছে, বাঁচা গেছে। এইবার অকৃষি গ্রামীন ক্ষেত্রের শ্রমশক্তি কাজের সুযোগ, অর্থনইতিক উৎপাদনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ কি ভাবে আসবে, এবং সেটা পারিবারিক সমবায় এর মধ্যে দিয়ে আসবে কিনা, বা কোন সমবায়ের মধ্যে আসবে, তার অ্যাম্বিট কি হবে এগুলো আপনাদের প্রশ্নে/লেখায় আশা উচিত ছিল। শুধু স্মৃতিচারণ আর ব্যক্তিগত আলাপচারিতার রিপোর্টিং করলে হবে গুরু?

    আসবে আশা করি। এখনো তো গল্পের দিন ...
  • h | 127.194.226.40 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২৩:৫৮618163
  • কিছুই ইন্টারফিয়ারেন্স না কৃষনু, কিসু মহৎ আলোচনা হস্সে না। বামপন্থা শুধু না যে কোনো রাজনীতির এটা পার্ট, ইনফাইনাইট আর্গুমেন্ট্স এবং অপিনিয়ন এবং একটা জেনেরাল আনম্যানেজেবিলিটি। এইটেই কর্পোরেট ও এক্গ্যাক্ট সায়েন্সের লোকেরা অপসন্দ করে ;-) বিজ্ঞানীদের প্রেডিকটেইবিলিটির দাবী তাও কিসু টা মানা যায়, করপো-বাদী দের নিয়ন্ত্রনপ্রেম তো মানা অসম্ভব।

    তবে কয়েকটি ঘরের কথা বলে যাই। সমাজবাদের ইতিহাস, মূলতঃ ডিসগাস্টিং ফ্যাকশনালিজম এর ইতিহাস। তাতে লজ্জা পওয়ার কিছু নেই, এটা শুধুই ক্ষমতার ইসু নয়, ব্যাপারটার নেচার ই এই। মানে আর্গুমেন্টেটিভ ইন্ডিয়ান পড়ে আমরা এই শিকিচি, যত ঝগড়া তত গণতন্ত্র। ক্যালাকেলি সম্পর্কে বড় রা কিচু বলেন নি।

    মুজফ্ফর আহমেদ এর বই, আমার জীবন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি,ইত্যাদি , তো বই য়ের একটা বড় অংশ টেরিবলি বিরক্তি কর, তার মেন কারণ এই ফ্যাকশনালিজম।

    রঞ্জন দা, আমি আর কল্লোল দা সেই মহান ঐতিহ্য বহন করছি মাত্র ;-)
  • ranjan roy | 24.99.248.189 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ০০:১৩618164
  • হনু,
    ১৯ তারিখ রাতে কম্প্যু ছোঁব, তখন কিছু বলব।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ০১:৫৪618165
  • হানুদার ১১ঃ৩২ পিএম এর পোস্টে অজিত আগারকার এর নাম জুড়তে অনুরোধ রইল।
  • maximin | 69.93.207.219 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ০২:২৪618166
  • বোধি,
    ডেট ফাইনান্সিং দিল্লিতে আনপলুলার হয়নি। পশ্চিম বাংলা ডেট ট্র্যাপে পড়েছে। বর্তমান সরকার যেটা চাইছিল, ডেট সার্ভিসিং পিছিয়ে দেওয়া, এক তো সেটা সম্ভব নয়, দ্বিতীয়ত দিল্লি ওটা মেনে নিলে রাজ্যসরকারের ডেট পরিস্থিতির অবনতি হত।
  • maximin | 69.93.207.219 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ০৫:০৮618168
  • এইচ 11:58 ক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন