এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পরমাণু বিদ্যুৎ - বয়স হয়েছে তো টাকা পোড়ায়, ইউরেনিয়াম না

    ইন্দ্রনীল
    অন্যান্য | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ৪২২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ইন্দ্রনীল | 127.194.198.254 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৮619353
  • কেউ তো কথা রাখেনি
    ===================

    একদা একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন শিল্প ছিল। তার নাম ছিল পরমাণু বিদ্যুৎ। যখন সে ছোট ছিল, তখন সে জ্বলজ্বল করত উজ্বলতায়। সে তখন খালি ইউরেনিয়াম পোড়াতো আর বিদ্যুৎ উৎপন্ন করত। এখন তার বয়স হয়েছে। সে এখন টাকা পোড়ায়, ইউরেনিয়াম নয়।

    কেউতো কথা রাখেনি। কথা ছিল বিদ্যুৎ আসবে সস্তায় গরীবের বাড়িতে। এখন পেলাম খরচ এত বেশি যে আর হিসাব করতে পারছি না।

    ফুকুশিমার চুল্লির আগুন ঠান্ডা করতে জাপানি সরকারকে খরচা করতে হচ্ছে ২০৪০ কোটি টাকা। বানাতে হবে বরফের দেয়াল। শেষ চেষ্টা যাতে বিষাক্ত দুষিত জল সাগরের জলে আর মিশে না যায়, অন্তত কম যায়।

    রাবনের চিতা কি এত কম টাকায় নেভে? টেপকোকে বাঁচাতে জাপানের বেরিয়ে গেছে ৬৬,৩০,০০,০০ টাকা। শেষ পর্যন্ত লাগবে এরও প্রায় দ্বিগুন টাকা আর অপেক্ষা করতে হবে ৪০ বছর।

    তবুও বিজ্ঞানীরা বলে চলেছেন পরমাণু বিদ্যুৎ করবে মুশকিল আসান। করবে বিশ্ব উষ্ণায়নের সমাধান দেবে সস্তায় বিদ্যুৎ! ইংরেজ সরকার বাজেটের সব টাকা খরচ করে ফেলল শুধু পরমাণু ঘটিত গোলমালকে ঠিক করার অক্ষম চেষ্টায়, মানে থাকলনা অন্তিম সময়সীমা মানে deadline এর। সরকার আজও খুঁজে চলেছে সেই বুদ্ধিমান ব্যাবসায়ীকে যে বানাবে পরের পরমাণু চুল্লিটা।

    কেউ তো নেই কোথাও নেই। আছে কেউ কেউ আছে যারা ব্যবসা যুগিয়ে চলেছে ফ্রান্স (যেমন কুদানকুলাম), রাশিয়ান (যেমন রূপপুর, বাংলাদেশ) আর চাইনিজ কোম্পানিগুলিকে।

    একটা জীবন্ত পরমাণু বোমাকে আটকে রাখতে গেলে টাকার পরোয়া করা চলে না।

    নিশ্চিত করতে হবে নিরাপত্তা। নতুন গবেষনা নতুন বিপদ সামনে আসছে, বাড়ছে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার খরচের বহর। আধখানা শতাব্দী লেগে যাবে উদ্ধার পেতে আর নিরাপত্তার খরচ ... সে কথা আর কি বলার আছে।

    পরমাণু বিদ্যুতের সমর্থকদের কাছে এর উত্তর একটাই যেটা তারা দিয়ে আসছেন প্রতিনিয়ত - পরের বার আর এমনটা হবে না। কিন্তু ফুকুশিমা? সে তো আবার প্রমান করল এমনটাই হয়ে এসেছে, এমনটাই হবে। কেউতো কথা রাখেনি, অভিযোগ জানবো কাকে?

    ফুকুশিমার বিষাক্ত জল ২২০০ millisieverts দূষন ছড়াচ্ছে প্রতি ঘন্টায়। বর্ম দিয়ে ঢাকা না থাকলে এই জল মানুষকে মেরে ফেলবে এক ঘন্টাতে। বিপর্যয়ের পরও, কথা ছিল এর চেয়ে ২২ গুন কম দূষনের। কেউ তো কথা রাখেনি...

    কিন্তু এবার মনে হয় গল্পটা অন্যরকম হতে চলেছে। জাপানের ৫০টি চুল্লির মধ্যে চালু আছে এখন মাত্র ২টি। এরাও বন্ধ হতে চলেছে ১৫ই সেপ্টেম্বর, মেরামতির জন্য। ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথম জাপানে একটিও পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকবে না। ইংরেজ সরকারকের পরমাণু পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের স্বপ্নকেও মনে হচ্ছে হার মানতে হবে কঠিন বাস্তবের কাছে।

    পরমাণু বিদ্যুতের মিথ্যা স্বপ্নের ভোর ফিকে হয়ে আসছে কিন্তু অপেক্ষা করছে এক নতুন ভোর ২১ শতকের ভোর - পরিবেশ প্রকৃতির সাথে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে যাবে প্রযুক্তি, হাঁটবে না সে পিছন দিকে, ২০শতকের দুঃস্বপ্নের দিকে।

    - Damian Carrington is the head of environment at the Guardian
    অক্ষম অসম্পূর্ণ বাজে অনুবাদটা আমার

    http://www.theguardian.com/environment/damian-carrington-blog/2013/sep/04/fukushima-farce-nuclear-industry-flaw
  • anirban | 34.5.197.153 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:১৩619364
  • অনুবাদটা ভালো হয়েছে। একটা কথা - "তবুও বিজ্ঞানীরা বলে চলেছেন পরমাণু বিদ্যুৎ করবে মুশকিল আসান।"- অনেক বিজ্ঞানী কিন্তু উল্টো কথাও বলছেন।
  • MR | 81.252.196.173 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:০৯619375
  • আমার মনে পড়ছে সেমন্তী ঘোষ পরমাণু জ্বালানীর চুক্তি বুশেদের সাথে না করলে একেবারে ব্লান্ডার হয়ে যাবে খুব ঘটা করে আনন্দবাজারের প্রবন্ধে লিখেছিল।
  • anirban | 34.5.197.153 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:২৬619397
  • বুশ - ওবামার দেশেই তো গতো সপ্তাহে ভারমন্টের পরমানু বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেল। ওবামার এত উৎসাহ সত্ত্বেও তো নতুন ইনভেস্টমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না।
  • anirban | 34.5.197.153 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:২৬619386
  • বুশ - ওবামার দেশেই তো গতো সপ্তাহে ভারমন্টের পরমানু বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেল। ওবামার এত উৎসাহ সত্ত্বেও তো নতুন ইনভেস্টমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না।
  • anirban | 34.5.197.153 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:১২619419
  • বুশ ওবামার দেশে বিদ্যুতের চাহিদ অনেক বেশি। তাও ইন্ভেস্ট করার লোকে পাওয়া যাচ্ছে না। বিকাশ সিনহার ফুকুশিমার রেডিয়েশনের ডোজ নিয়ে ভবিষ্যদবানী তো আগে একটা টইতে দিয়েছি। আবার এখানে দিলাম।
    বিকাশ বাবু বলেছিলেন -
    Even though the radiation hazard in the aftermath of Japan’s Fukushima nuclear disaster was minimal, the accident helped anti-nuclear energy campaigners spread fear among people. That’s the opinion of Bikash Sinha, Homi Bhabha professor in the central government’s department of atomic energy.

    “The radiation hazard rate at Fukushima city (65km from the nuclear plant) was merely 0.38 units, Tokyo 0.13 units, Calcutta 0.104 units and Manavalakurichi (Kerala) 0.449,” said Sinha while interacting with members of American Chamber of Commerce (Amchams) at Bengal Club on Friday. “And the hazardous dose for a nuclear industry employee is 20 units,” he explained through a presentation.

    http://www.telegraphindia.com/1110919/jsp/calcutta/story_14525261.jsp

    আর গত মাসে ফুকুশিমাতে যা মেপে দেখা গেছে -
    Radiation levels 18 times higher than previously reported have been found near a water storage tank at the Fukushima Daiichi nuclear power plant, prompting fresh concern over safety at the wrecked facility.

    The plant's operator, Tokyo Electric Power (Tepco), said radiation near the bottom of the tank measured 1,800 millisieverts an hour – high enough to kill an exposed person in four hours.
    http://www.theguardian.com/environment/2013/sep/01/fukushima-radiation
    -levels-higher-japan
  • PT | 213.110.246.230 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:৩২619441
  • বুশ-ওবামার দেশে পারমাণবিক চুল্লী বন্ধ হওয়ার খবরটা যখন ফলাও করে এদেশে প্রচার করা হয় তখন কি পাশাপাশি এটাও বলা হয় যে আমেরিকানরা তেল পুড়িয়ে কত কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাতাসে মিশিয়ে দেয়?

    "Across the entire US economy, total carbon dioxide emissions per household totaled a staggering 59 tons or 118,000 pounds in 2003. When compared to the rest of the world, US households account for over six times as much carbon dioxide emissions than the remainder of the world per year, on average." http://www.thehcf.org/emaila5.html

    অর্থাৎ যত পারমাণবিক বিদ্যুতের ব্যবহার কমবে তত কার্বন-ডাই-অক্সাইড মিশবে বাতাসে? অন্ততঃ যতদিন না সাহেবরা জল ভেঙ্গে হাইড্রোজেন বা সুর্যের তেজ বোতলবন্দী করার একটা ব্যবস্থা করে। সেটা গ্রহণযোগ্য তো?

    আর যত তেল তত যুদ্ধ-এ আর কে না জানে!!

    Given an ever-increasing demand for oil, because of its “addiction”, and given its limited domestic sources of crude oil, the U.S. will remain dependent on imported oil well into the future. U.S. policymakers, by their past and present actions since the end of WWII in pursuing this addiction, have apparently concluded that the nation’s interest in oil and other ‘strategic’ resources outweighs the nation’s avowed values to support democracy.
    http://www.globalresearch.ca/america-s-dependency-on-middle-east-oil/30177
  • anirban | 34.5.197.153 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২০:৫২619354
  • "বুশ-ওবামার দেশে পারমাণবিক চুল্লী বন্ধ হওয়ার খবরটা যখন ফলাও করে এদেশে প্রচার করা হয় তখন কি পাশাপাশি এটাও বলা হয় যে আমেরিকানরা তেল পুড়িয়ে কত কার্বন-ডাই-অক্সাইড বাতাসে মিশিয়ে দেয়?"
    অবশ্যই বলা হয়। সারা পৃথিবীর পরিবেশ আন্দোলন মূলত আমেরিকা ও ওয়েস্টার্ণ ইউরোপের কার্বন এমিশনের বিরুদ্ধেই। এই নিয়ে আমেরিকার পরিবেশ আন্দোলন ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এবং এইটাই বেশি ফলাও করে প্রচার করা হয় যে আজকের ৪০০ পি পি এম কার্বন ডাই অক্সাইডের জন্য প্রধানত প্রথম বিশ্ব দায়ী। আর এটাও বলা হয় পরমানু চুল্লী যেমন পরিবেশ বান্ধব নয়, কয়লার বিদ্যুতও নয়। ফলে এইখানে কনফিউশনের কোনো জায়গা নেই।

    "অর্থাৎ যত পারমাণবিক বিদ্যুতের ব্যবহার কমবে তত কার্বন-ডাই-অক্সাইড মিশবে বাতাসে? "
    - এই ধারণাটাও ঠিক নয়। ২০০৩ এ MIT র ফিউচার অব নিউক্লীয়ার পাওয়ার শীর্ষক স্টাডি বলছে - To explore these issues, our study postulates a
    global growth scenario that by mid-century would see 1000 to 1500 reactors of 1000 megawatt-electric (MWe) capacity each deployed worldwide, compared to a capacity equivalent to 366 such reactors now in service. Nuclear power expansion on this scale
    requires U.S. leadership, continued commitment by Japan, Korea, and Taiwan, a renewal of European activity, and wider deployment of nuclear power around the world. An illustrative deployment of 1000 reactors, each 1000 MWe in size, under this scenario is given in following table.
    This scenario would displace a significant amount of carbon-emitting fossil fuel generation. In 2002, carbon equivalent emission from human activity was about 6,500 million
    tonnes per year; these emissions will probably more than double by 2050. The 1000 GWe of nuclear power postulated here would avoid annually about 800 million tonnes of car-
    bon equivalent if the electricity generation displaced was gas-fired and 1,800 million tonnes if the generation was coal-fired, assuming no capture and sequestration of carbon dioxide from combustion sources
    এই সিনারিওতে বেশ কিছু বদল এসেছে। Fracking এর ফলে ডিরেক্ট এবং ইন্ডিরেক্ট এমিশন আরো বেড়েছে। ফলে যদি ধরে নিই গ্যাসই এখন ও ভবিষ্যতে মুখ্য জ্বালানী হবে - তাহলে যদি রিঅ্যাক্টরের সংখ্যা ৩৬৬ থেকে বেরে ১০০০ হয়, অর্থাত বেড়ে তিনগুন হয়, তাহলে ১২% এমিশন কমবে। এই হিসেবে আরো ধরে নেওয়া হয়েছে নতুন রিঅ্যাক্টর-গুলি সবই ১০০০ মেগাওয়াটের বেশি হবে। এবার বলুন রিয়ালিটি কী? কটা রিঅ্যাক্টর বেড়েছে গত ১০ বছরে? আর বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমেরিকা, ওয়েস্টার্ন ইউরোপ, জাপানের মতো দেশে মার্কেট এই টেকনোলজিকে বাতিল করেছে। পরমানু বিদ্যুতের দাম ও চুল্লীর পে-ব্যাক পিরিয়ড অনেক বেশী। কোনো এই অবস্থায় চুল্লীর সংখ্যা শুধু তৃতীয় বিশ্বে তিনগুন বেড়ে যাবে - এটা আনরিয়ালিস্টিক।

    আরেকটা বিষয় হল - MITর ২০০৯ এর আপডেটের পরে আমেরিকায় কার্বন সিকোয়েস্ট্রেশন নিয়ে প্রচুর কাজ হয়েছে। পরীক্ষামূলক একটি সাইটও শুরু হতে চলেছে ইলিনয়তে। ন্যাশনাল ল্যাবগুলির মুখ্য ফোকাসও এই দিকে ঘুরে গেছে - ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জির ফান্ডিং সহ। ফলে assuming no capture and sequestration of carbon dioxide from combustion sources - এই assumptionটি আর ভ্যালিড নয়। কাজেই কোনোভাবেই বলা যাচ্ছে কি যে পরমানুবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানো-ই বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমান কমানোর একমাত্র উপায়? এবং এই সমাধান রিয়ালিস্টিক?
  • anirban | 34.5.197.153 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২০:৫৭619355
  • "যত তেল তত যুদ্ধ" - ঠিক। আরো ঠিক হল - যত রিসোর্স তত যুদ্ধ। এই যুদ্ধ কিন্তু ইউরেনিয়াম নিয়েও। দেখুন নিচের খবরটা -
    http://bpr.berkeley.edu/2013/02/mali-an-unpopular-perspective/
  • PT | 213.110.246.230 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২৩:১২619356
  • হয় এটা নয় সেটা-ব্যাপারটা মোটেই সেরকম নয়।

    আমেরিকার বাইরে উল্টো উদাহরণও আছে। চার্নোবিলের পরেও রাশিয়া পারমাণবিক বিদ্যুতের ব্যবহার মোটেই কমায়নি-The Russian energy strategy of 2003 set a policy priority for reduction in natural gas based power supply, aiming to achieve this through a doubling of nuclear power generation by 2020. In 2006 the Federal Atomic Energy Agency (Rosatom) announced targets for future nuclear power generation; providing 23% of electricity needs by 2020 and 25% by 2030. Russia has made plans to increase the number of reactors in operation from 31 to 59. http://en.wikipedia.org/wiki/Nuclear_power_in_Russia

    আর আমেরিকার সঙ্গে ভারতের তুলনাটা একেবারেই অর্থহীন। লস ভেগাসের ২০% আলো জ্বললেও বোধহয় লস ভেগাসের অধিবাসীদের অন্ধকার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য লম্ফ জ্বালাতে হবে না। সর্বোপরি বিদ্যুতের ঘাটতি হলে MIT-র ঐসব তাত্বিক আলোচনা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে আমেরিকা পারমাণবিক বিদ্যুতকেই আশ্রয় করবে।

    আমেরিকা পেশী শক্তির সাহায্যে বিশ্বের মতামতকে উপেক্ষা করে যে কোন দেশের তেলের বা ইউরেনিয়ামের খনির দখল নিতে পারে। ৫০ বছরের মাথায় ভারতের কয়লা ফুরোলে ভারত কি করবে সেটা নিয়ে আলোচনা হওয়াটা বোধহয় বেশী যুক্তিযুক্ত হবে।
  • anirban | 146.152.22.89 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২৩:২৪619357
  • আমেরিকা MIT-র তাত্ত্বিক আলোচনা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে কটি নতুন নিউক্লীয়ার রিঅ্যাক্টর বসিয়েছে গত ১০ বছরে? আর রাশিয়ার এনভায়রনমেন্টাল ও এনার্জি পলিসি আপনি মনে করেন অনুকরনযোগ্য? আর একটা কথা, আপনার কি মনে হয়, আগামী ৫০ বছরে কয়লা ফুরোবে আর ইউরেনিয়াম ফুরোবে না? ইউরেনিয়ানের অনন্ত রিজার্ভ আছে এবং এটি রিনিউয়েব্ল? আর আলোচনা হচ্ছে দাম/কস্ট নিয়ে। একটু বলুননা নিউক্লীয়ার কিভাবে কস্ট এফেক্টিভ? বিশেষ করে যখন এনভায়রনমেন্টাল কস্ট ধরা হবে অন্যান্যা কস্টের সঙ্গে?
  • anirban | 146.152.22.89 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ২৩:৩৫619358
  • আরেকটি প্রশ্ন - বিপুল পরিমান সরকারী ভর্তুকি দিয়ে একটি অলাভজনক ও ভয়ংকর বিপজ্জনক টেকনোলজির পক্ষে ভুল তথ্য দিয়ে প্রবল প্রচার (যেখানে সস্তা, কম ঝুঁকির ও রিনিউয়েবল অল্টারনেটিভ যা ক্রমশ বেশি এফিশিয়েন্ট হয়ে উঠছে) ঠিক কার স্বার্থে?
  • PT | 213.110.243.21 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০০:২৪619359
  • ভর্তুকি দিয়ে বাস চালানো কস্ট এফেক্টিভ নয়-তাও ইউরোপের পরিবহণ ব্যবস্থা ভর্তুকির সাহায্যেই চলে। আর (-)৩০ ডিগ্রিতে থাকতে হলে খুব একটা তাত্বিকতা চলেনা-কিছু না থাকলে গাছ কেটেই আগুন জ্বালাতে হয়।

    আমেরিকার এখন নিউক্লিয়ার রিয়াক্টার বসানোর দরকার নেই তাই বসায়নি-কেননা "the U.S. will remain dependent on imported oil well into the future"-সেই হিসেবে আমেরিকা কস্ট ক্যালকুলেশন অবশ্যই করেছে। এমন হতেও পারে যে তাদের ক্ষেত্রে পারমাণবিক চুল্লী চালানোর চাইতে পরোক্ষে ইরাক বা সৌদি দখলে রাখা বেশী কস্ট এফেক্টিভ।

    রাশিয়ার "এনভায়রনমেন্টাল ও এনার্জি পলিসি" খারাপ কেন? যথেষ্ট তেল পোড়াচ্ছে না বলে? আর আমেরিকারটা ভাল কেননা US households তেল পুড়িয়ে account for over six times as much carbon dioxide emissions than the remainder of the world per year, on average?

    এখনও UK relies on atomic energy for nearly 20% of its electricity.........No reactors have been built since the 1980s........ But with soaring oil and gas prices, dwindling fossil fuel reserves and pressure to tackle climate change, the government has renewed its support for nuclear power. http://news.bbc.co.uk/2/shared/spl/hi/guides/456900/456932/html/ গার্ডিয়ান পত্রিকার লেখাটিও হয়ত পারনমাণবিক বিদ্যুতের সাহায্যেই ছাপানো হয়েছে।

    আর সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৩-র খবর অনুযায়ী Russian state nuclear company Rosatom, Rolls-Royce and Finnish utility Fortum agreed on Thursday to consider building nuclear power plants in Britain. http://news.yahoo.com/russia-uk-agree-nuclear-power-reactors-deal-112623007.html

    আমার তেলেও আপত্তি নেই-পারমাণবিকেও না।
  • pi | 172.129.44.87 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০০:৪৫619360
  • নিউক্লিয়ার কীভাবে কস্ট এফেক্টিভ সেই উত্তরটা পেলাম না।
  • anirban | 146.152.22.89 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:১২619361
  • পশ্চিমে ইউরোপের ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলিতে, বা কানাডায় - যেখানে -৩০ তাপমাত্রা হয়, সেখানে কেউ গাছ কেটে আগুন জ্বালায় না। বরং "তাত্ত্বিকতার" ভিত্তিতেই বিল্ডিংকে আরো এনার্জি এফিসিয়েন্ট করার চেষ্টা করে। সাসটেইনেবল টেকনোলোজি ব্যবহার করেই আজকাল এটা করার চেষ্টা করা হয়।

    সাসটেইনেবল এনার্জি পলিসি তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই সারা পৃথিবীতে। পরিবহন ব্যবস্থায় ভর্তুকীর সঙ্গে এনার্জীতে ভর্তুকীর কোনো মিল নেই। পরমানুবিদ্যুত ছাড়া অন্য কিছুতেই এত ভর্তুকী লাগে না। কারন ইন্সিওর‌্যান্সের দায় কোনো প্রাইভেট পার্টি বহন করে না করে ট্যাক্স পেয়ার, ফলে সেই ভর্তুকী যখন ডিজাইন করা হয় বিশেষ বিশেষ প্রাইভেট কোম্পানির লাভের জন্য তখন তাত্ত্বিকতার নিশ্চিত প্রয়োজন আছে। থ্যাচার জমানায় যখন পাওয়ার প্ল্যান্টগুলি প্রাইভেটাইজ করা হয় তখন কিন্তু সব কিছুর ফিনান্সার পাওয়া গেলেও নিউক্লীয়ার এনার্জীর জন্যে পাওয়া যায় নি। "Mrs Thatcher promised a massive expansion of nuclear power. Originally she wanted to build 10 plants, one a year. By the time she published her nuclear White Paper in 1981, this had come down to five, at an indefinite rate. In the end only one saw the light of day a full 15 years later at Sizewell.
    http://www.independent.co.uk/voices/editorials/leading-article-nuclear-power-is-a-distraction-768509.html
    আর আপনার যদি মনে হয় থ্যাচারের নিউক্লীয়ার পলিসিই ভারতের নেওয়া উচিত তাহলে অবশ্য আলাদা কথা।

    রাশিয়া যথেষ্ট তেল পোড়াচ্ছে না এটা আপনি কোথায় পেলেন ? আর আগে দেখলাম উইকি থেকে রাশিয়ার পরমানু বিদ্যুতের ব্যবহার না কমার কথা বলেছেন। তার ফলাফলের কথাটাও বলুন? এই তো উইকিতেই পাচ্ছি - Nuclear energy is widely used in Russia, and there are currently 31 operating nuclear reactors.[10] However, several of these, such as the one at the Kola NPP, are past their lifespan and have a higher probability of nuclear accidents. Instead of being decommissioned, they are still being used. The disposal of nuclear waste is also an issue, due to a lack of funding. Unsafe dumping methods are sometimes used to get rid of nuclear waste, which was dumped into the Sea of Japan until 1993.[5] The Commission of Ecological Security, founded in 1994, helped bring the dumping of nuclear waste into ocean to the public's attention. It is estimated that bringing nuclear safety levels to official standards would cost $26 billion.[7]

    The testing and production of nuclear weapons also had an effect on the environment, such as at the Mayak nuclear weapons production plant near Chelyabinsk.[5]
    আর লাভের কড়ি গুনছে কয়েকটি অলিগার্ক।
    আর আমারতো মনে হয় তেল আর পারমানবিকের বাইরে বেরিয়েই ভাবার সময় এসেছে।
  • Ishan | 202.43.65.245 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:৫৬619362
  • বিকল্প শক্তি নিয়ে কী কাজ হচ্ছে, এইটা ডিটেলে আমার দীর্ঘদিনের জানার ইচ্ছা। তেল ফুরোবে, কয়লা ফুরোবে, ইউরেনিয়ামও ফুরোবে। তখন কি হবে? এই নিয়ে দুটো পরস্পরবিরোধী মতামত পড়েছিঃ

    ১। বিকল্প শক্তি আবিষ্কার করার প্রবল চেষ্টা চলছে। কিন্তু হাওয়াকল, সৌরবিদ্যুৎ, জৈবতেল, যাই বেরিয়েছে, কোনোটাই "কস্ট-এফেক্টিভ" নয়। অতএব এখন প্রচলিত শক্তির উৎসের উপরেই নির্ভর করুন। ক্যান্সারের ওষুধের মতো ভবিষ্যতে বিকল্প শক্তিও নিশ্চয়ই কিছু বেরোবে, তখন দেখা যাবে।

    ২। অনেক সম্ভাব্য বিকল্প এখনই হাতের কাছে মজুদ আছে। কিন্তু সেগুলোকে সামনে আসতে দেওয়া হচ্ছেনা বহুজাতিক কর্পোরেশনের লাভের কড়ি গোনার স্বার্থে। তেল, পরমানু এসব উঠে গেলে ডলার ভোগে যাবে, লাভের কড়ি বন্ধ হবে। যে কারণে গাড়ি কোম্পানির স্বার্থে আমেরিকায় পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সেভাবে চালানো হয়না, সেই একই কারণে সারা দুনিয়ায় বিকল্প শক্তিকে বাজারে আসতে দেওয়া হয়না।

    খুবই চরম দুটি দৃষ্টিভঙ্গী। রিয়েলিটিটা, আন্দাজ করতে পারি, মাঝামাঝি কোথাও। কিন্তু সেটা কোথায়?
  • Ishan | 202.43.65.245 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:৫৭619363
  • এটা অনির্বানের তেল আর পরমানুর বাইরে আসার ডাক পড়ে লিখলাম। এই সংক্রান্ত চিন্তাভাবনার ডিটেল আছে কিছু?
  • Ishan | 214.54.36.245 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:০৬619365
  • গুরুতেই একটা লেখা বেরিয়েছিল।
    http://www.guruchandali.com/default/2011/06/06/1307361480000.html
    আরও ডিটেল চাইছি আর কি। সব দিক সমেত।
  • debu | 180.213.132.253 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:১৮619366
  • LNG & Solar is the only possible solution right now
    US তে LNG কস্ট $৩ per mmbtu but Asian countries এর দাম $১২ তো $১৮ (জাপান ,কোরিআ এই দাম দিয়েই কিনছে এখন),US এ ট্রাক ,রেল LNG তেই চলবে।
    cost wise save is 66% , India should build more LNG terminals
  • anirban | 146.152.22.89 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:৪৮619367
  • এর কোনো উত্তর (কংক্রীট ডিটেল্স) আমার কাছে নেই। মনে হয় কারো কাছেই নেই। অনেকটা পুঁজিবাদী অর্থনীতির বিকল্পের মত ঃ-)। কিন্তু আমার মনে হয় তেল পরমানুর বাইরে কি ভাবে ভাবা যেতে পারে তার অ্যাপ্রোচটা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। বিকল্প শক্তি সরাসরি আমার গবেষণার বিষয় নয় - ফলে যাঁরা বিকল্প শক্তির রিসার্চের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা অনেক ভালো ভাবে বলতে পারবেন। আমি আমার কাজের জায়গা থেকে বলতে পারি যে ইউরেনিয়াম ফাইনাইট রিসোর্স - রিনিউয়েবল নয় এবং সবচেয়ে বড়ো কথা - পারমানবিক বিদ্যুত একই সঙ্গে সেফ ও সস্তা হতে পারে না।

    বিকল্প শক্তি তুমি যা যা বলেছ, হাওয়াকল, সৌরবিদ্যুত, জৈবতেল এই সবেরই ব্যবহার গত দুই দশকে অনেক বেড়েছে। আমেরিকার অনেক শহরে বাসগুলি চলে ফুয়েল সেল ব্যবহার করে। অনেক জায়গাতেই পাবলিক ট্রানস্পোর্ট /ট্রেন প্রায় ৭০ শতাংশ জলবিদ্যুত ব্যবহার করে। এটা একটা গুড স্টার্ট। এই জায়গায় পৌছনোর জন্য দরকার ১) একটা এনার্জি পলিসি যেটা কিছু বিশেষ কোম্পানির লাভ নয়, ব্যাপক সংখ্যক মানুষের স্বার্থ ও পরিবেশের কথা ভেবে তৈরী ২) বিকল্প শক্তির বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা ও সরকারী সাহায্য। এই দুটি থাকার জন্যেই সুইডেন আজ wind energy র ক্ষেত্রে undisputed leader। হয়তো আরো বেশ কিছু বছর লাগবে কোনো ভায়েবল বিকল্পে পৌছাতে - কিন্তু অলরেডি অনেক প্রমিসিং গবেষণা - নতুন নতুন আইডিয়া আসতে শুরু কোরেছে। আরও আসবে। উদাহরন হিসেবে নিচের লিংকগুলি দেখো।
    http://pubs.acs.org/doi/abs/10.1021/ez4000059
    http://newscenter.lbl.gov/feature-stories/2013/08/29/hydrogen-fuel-from-sunlight/

    দ্বিতীয় পয়েন্টটাও আমার মনে হয় খানিকটা সত্যি। তেল, গ্যাস, ইউরেনিয়াম তোলার নতুন নতুন পদ্ধতি আবিস্কার হচ্ছে। ফলে রিনিউয়েবল-এ ইনভেস্টমেন্ট কম। একটা ইনএস্কেপেবল ফ্যাক্ট হল আগামী বেশ কিছু বছর তেল কয়লা পুড়বে। ২০৩০ নাগাদ রিনিউয়েবল ব্যবহার ডবল হবে, কিন্তু তেল কয়লার ব্যবহারও ডবল হবে। এইখানে অনেকে বলছেন জিওলজিক্যাল কার্বন সিকোয়েস্ট্রেশন একটা সমাধান হতে পারে। যাতে করে সুপারক্রিটিক্যাল CO2 কে মাটির নিচে পাথরের মধ্যে জমিয়ে রাখা - অ্যাটমস্ফিয়ার থেকে আলাদা করে। এতে ১০০০ গিগাটন কার্বনকে আলাদা করা যাবে - যা অন্য সমস্ত উপায়ের থেকে বেশী।

    ফলে এখন একদিকে বিকল্প শক্তির ব্যবহার ও অন্যদিকে এমিশন কমানোর জন্যে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া - এইটাই অ্যাপ্রোচ হওয়া দরকার। কিন্তু তথ্য দিয়ে এটা দেখানো যায় না - যে পারমানবিক বিদ্যুত বা তেল দিয়েই ভবিষ্যতের সমাধান। যাঁরা সরাসরি বিকল্প শক্তির গবেষণার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের কাছে শোনার ইচ্ছে রইল।
  • aka | 81.91.99.231 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:০০619368
  • কিন্তু তেল আর কয়লা পুড়লে পরিবেশের ওপর যা বাজে প্রভাব সে তো পড়লই নাকি?
  • pi | 172.129.44.87 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:২৩619369
  • জিওথার্মাল এনার্জি আর ভারতে তার ভায়াবিলিটি নিয়ে একটু শুনতে চাই।
  • PT | 213.110.243.21 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:৪০619370
  • "...... স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলিতে.......তাত্ত্বিকতার" ভিত্তিতেই বিল্ডিংকে আরো এনার্জি এফিসিয়েন্ট করার চেষ্টা করে। সাসটেইনেবল টেকনোলোজি ব্যবহার করেই আজকাল এটা করার চেষ্টা করা হয়"

    সুইডেনের বিদ্যুত চিন্তাঃ

    Sweden has 10 operating nuclear power reactors providing about 40% of its electricity.

    In 1980, the government decided to phase out nuclear power. In June 2010, Parliament voted to repeal this policy.

    The country's 1997 energy policy allowed 10 reactors to operate longer than envisaged by the 1980 phase-out policy, but also resulted in the premature closure of a two-unit plant.

    Sweden has a tax discriminating against nuclear power – now about 0.67 Euro cents/kWh, which makes up about one-third of the operating cost of nuclear power.

    http://www.world-nuclear.org/info/Country-Profiles/Countries-O-S/Sweden/

    ডেনমার্কের বিদ্যুত চিন্তাঃ

    The power imported from Sweden (6.6 billion kWh in 2008, 5.0 billion kWh in 2007, 1.7 billion kWh in 2006, 7.6 billion kWh in 2005) is almost half nuclear and half hydro. The power imported from Germany (1.4 billion kWh in 2008, 1.5 billion kWh in 2007, 4.0 billion kWh in 2006, 0.6 billion kWh in 2005) is largely generated by brown coal and nuclear power. (Germany itself imports 11 to 17 billion kWh/yr from France, which is 75-80% nuclear.)
    http://world-nuclear.org/info/Country-Profiles/Countries-A-F/Denmark/

    ফিনল্যান্ডের বিদ্যুত চিন্তা

    Finland relies on many sources of energy. Nuclear power is the biggest source of electricity with around 25 per cent of Finnish consumption.

    In Finland, nuclear energy has been produced reliably and safely since the first reactor was taken into use in 1977. Today, there are four reactors in operation: two in Southern Finland, in Loviisa, and two on the west coast, in Olkiluoto. A fifth reactor is under construction in Olkiluoto.
    http://www.fennovoima.fi/en/nuclear-power

    এটাও জানা জরুরীঃ
    Finland, alongside with Sweden, is a pioneer in planning the final disposal of spent nuclear fuel. The Finnish nuclear waste company Posiva was given a Decision-in-Principle in 2001 for the final disposal of spent nuclear fuel in the Finnish bedrock, planned starting from 2020.

    নরওয়েতে আপাততঃ পারমাণবিক বিদ্যুত ব্যবহার করেনা কিন্তুঃ A small Norwegian company is testing thorium fuel as a replacement for uranium at a reactor in Norway, catching the attention of the conventional nuclear industry, which has acknowledged that thorium could provide a safer and less weapons-prone nuclear power future. http://www.smartplanet.com/blog/bulletin/as-thorium-tests-begin-in-norway-the-nuclear-industry-watches-closely/22885
  • Ishan | 60.82.180.165 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:১৬619371
  • পিটির লিংকগুলো সব পড়লাম।

    সুইডেনে দেখলাম সবকিছুর পরেও পারমানবিক বিদ্যুতের ব্যবহার ক্রমশঃ কমছে। ২০০৪ এ ৫০% থেকে ২০১৩তে ৪০% এ নেমে এসেছে।

    ডেনমার্ক কয়লা আর হাওয়া থেকে প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ পায়। মাত্র ১০% পায় নিউক্লিয়ার এনার্জি থেকে।

    কেবল ফিনল্যান্ড নতুন রিয়্যাক্টর বসাচ্ছে।

    ডিঃ আমি এ ব্যাপারে কিছু জানিনা। সব কটাই লিং পড়ে লিখলাম।
  • anirban | 34.5.197.153 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:৪০619372
  • তাহলে ওরা কাঠ পোড়াচ্ছে না। এবং যা বিদ্যুত ব্যবহার করছে তার বেশিরভাগটাই তো নিউক্লীয়ার নয় (অন্ততঃ আপনার দেওয়া হিসেবে)। তাহলে দেখি আপনি যেটা বলেন নি -

    সুইডেনে হাইড্রো থেকে আসে মোট বিদ্যুতের ৫৩%, যেখানে নিউক্লীয়ার থেকে আসে ৪০%। আপনার দেওয়া সোর্সেই দেখলাম ২০০৬ থেকে ২০০৮ হাইড্রোপাওয়ার বেড়েছে আর নিউক্লীয়ার কমেছে। অল্প হলেও। সেখানে ২০১০ অবধি পাব্লিক ওপিনিয়ন কী ছিল তা বলা আছে - In late June 2010, a survey (N=1008) commissioned by the Liberal Party was reported to show overall 72% support for the government decision to allow building of new reactors, with 28% opposed3. Even among Social Democrats, who have threatened to reverse the decision if elected later in 2010, 66% of supporters were in favour of new build.
    কিন্তু ফুকুশিমার পর এটা উলটে গিয়ে যা দাঁড়িয়েছে -
    Some 64 percent of the 750 interviewed replied no to the question of whether Sweden should build new nuclear reactors, reported the Göteborgs-Posten daily. Around 27 percent were positive to the idea.

    Women as a group were more inclined to be against the idea, with 74 percent expressing their opposition while 54 percent of the men were against.

    এবার আপনার সোর্স থেকেই ডেনমার্ক দেখি। আপনি যেখান থেকে কোট করেছেন তার ঠিক ওপরেই একটি প্যারাগ্রাফে আছে - Denmark was once at the forefront of nuclear research and had planned on building nuclear power plants. However, in 1985, the Danish parliament passed a resolution that nuclear power plants would not be built in the country and there is currently no move to reverse this situation. আরও যেটা বলেননি - ডেনমার্কের অ্যান্টি নিউক্লীয়ার মুভমেন্ট। ওদের ব্যবহার করা সূর্য আঁকা সেই সিম্বলই আর সারা ইউরোপের এই আন্দোলনের লোগো। (Atomic Power - No Thanks)

    ফিনল্যান্ড তো ২৮% নিউক্লীয়ার পাওয়ার ব্যবহার করে আপনি বলেছেন। বেশিরভাগটাই আসছে হাইড্রো, তেল, আর ইম্পোর্ট থেকে। ওদের এর বেশি আর কিছু করা মুশ্কিলও আছে। Finland is highly dependent on foreign energy supplies. Crude oil and oil products constitute a major part of imported energy. Other main fuels imported to Finland are coal and natural gas. The primary indigenous energy resources in Finland are hydro power, wood, wood waste, pulping liqueurs and peat. The peat resources are about 800–1000 Mtoe (34–42 EJ) and reserves are estimated at 280 Mtoe. These could be exploited with an annual rate of 4.0–4.7 Mtoe for about 60 years. The use of wood and wood based fuels in 2009 was 0.267 EJ (6.4 Mtoe) corresponding to about 20% of the total primary energy consumption. Unexploited hydropower reserves have been estimated to correspond to an annual production of the order of up to 9.5 TW·h. However, most of the unharnessed river areas are either nature reserves or frontier rivers or tiny waterfalls. Economically significant additional potential until 2020 could be about 0.6 TW·h.

    Indigenous fuels and hydropower covered about 31.3% of the primary energy demand in 2009. Finland imports all of its oil, natural gas, coal and uranium.

    আর আপনি বলেই দিয়েছেন নরওয়ে পরমানু বিদ্যুত ব্যবহার করে না।
    আর বেডরকে নিউক্লীয়ার ওয়েস্ট ডিস্পোজাল নিয়ে আরও জানতে চাই। ওটা ইন্টারেস্টিং। ফিনল্যান্ডের উদাহরনটা নিয়ে কি কোনো পাবলিশড স্টাডি আছে?
  • PT | 213.110.243.21 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:৫৭619374
  • আমি তেল, কয়লা, পরমাণু, বায়ু খামার সব কিছু থেকেই উৎপাদিত বিদ্যুতের পক্ষে। তেল, কয়লা না পুড়িয়ে আর ইউরেনিয়াম ব্যবহার না করে যদি বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো যায়-তো উত্তম প্রস্তাব।

    ডেনমার্কের "অ্যান্টি নিউক্লীয়ার মুভমেন্ট"-এর সঙ্গে মমতার হরিপুরা সংক্রান্ত অবস্থান মেলে অনেকটা। নিজেরা পারমাণবিক বিদ্যুত উৎপাদন না করে অন্যের পারমাণবিক বিদ্যুত কেনার মধ্যে বেশ চমৎকার দ্বিচারিতা আছে। ডেনমার্ক কি পরিমাণ পারমাণবিক বিদ্যুত কিনে ব্যবহার করে তার হিসেবটা দেওয়া আছে আমার আগের পোস্টিং-এ।

    নরওয়ে এখন করেনা মানে ভবিষ্যতেও করবে না এমন কোন শপথ নেয়নি তারাঃ the country has a legal framework for licensing the construction and operation of nuclear installations. Also, four research reactors have been built in Norway, the first was JEEP I which was operative from 1951 to 1966. Two research reactors are currently operative, the Halden Reactor and JEEP II at Kjeller. There has been discussions about the possible usage of nuclear energy, which is supported by some industry leaders. Statkraft together with Vattenfall, Fortum and the energy investment company Scatec announced plans to investigate building of a thorium-fueled power plant in 2007.
  • cm | 71.95.189.220 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:৪৯619376
  • আলোচনা শুনে একটি কথা মনে আসে, লিখেই দি,
    মোটে মায় রান্ধেনা তপ্ত আর পান্তা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন