এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ভোটরঙ্গ চোদ্দো

    π লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ২২ মার্চ ২০১৪ | ১০২০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • π | ২২ মার্চ ২০১৪ ০০:৫৬636180
  • শুরু হয়ে যাক !
  • π | ২২ মার্চ ২০১৪ ০২:২৭636191
  • এবার ভোটে মেয়েদের ইস্যুগুলো কতটা আসে, তা নিয়ে আগ্রহ ছিল। আপাতত এইটা পেলাম। লিবারেশনের মহিলা শাখার বিবৃতি। ওদের ম্যানিফেস্টো বেরিয়ে গেছে কিনা বা গেলে এগুলো সেখানে কীভাবে কতটা কী স্থান পেয়েছে জানিনা, তবে এই দাবিদাওয়া গুলো অনেকটাই ঠিকঠাক লাগলো। জানিনা, মেয়েদের ইস্যু নিয়ে অন্য়্দলগুলো থেকে আলাদা করে কিছু বলা হচ্ছে কিনা।
    -------

    'জনতার অর্ধাংশ চায় সম্পূর্ণ নিরাপত্তা, মর্যাদা ও স্বাধীনতা

    ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে সারা দেশ জুড়ে মহিলাদের স্বাধীনতার দাবি জোরালো ভাবে উঠছে। অথচ দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল মুখরক্ষার খাতিরে মহিলাদের সুরক্ষা এবং সশক্তিকরণের কথা বললেও নারী আন্দোলনের মূল দাবি - স্বাধীনতা এবং স্বাধিকারের প্রশ্ন- কে এড়িয়ে যাচ্ছে। ধর্ষণ এবং যৌনহিংসার দায়ে অভিযুক্ত সাংসদদের জেলের বাইরে ঘুরে বেড়াতে দেখে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছি। আমরা সেই সব রাজনীতিকদের আর সংসদে দেখতে চাই না যারা বলেন 'ধর্ষণ থেকে বাঁচতে হলে পোশাক নিয়ে মহিলাদের সতর্ক হতে হবে' বা 'সর্বক্ষণ মহিলাদের পিছু ধাওয়া না করলে তাদের পটাবো কি করে'। যারা ধর্ষিতা মহিলাকে জ্যান্ত লাশ ('জিন্দা লাশ') বলেন সেই নেতাদের আর সংসদে চাই না। যে সাংসদ 'মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার' নাম করে মহিলাদের পিছু ধাওয়া করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে লেলিয়ে দেন তাদের আমরা চাই না। পরিবারের/জাতের সম্মানরক্ষার নাম করে অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত থাকা খাপ পঞ্চায়েতকে যে সাংসদ 'কার্যকরী সামাজিক প্রতিষ্ঠান' মনে করেন তাদের আমরা চাই না। আমরা খারিজ করি সেই সব সাংসদদের যারা নানাবিধ 'সেনা', 'দল' প্রভৃতি সামাজিক পাহারাদার বাহিনীর সাহায্যে ভোট জোগাড় করেন।

    তাহলে সংসদে জনতার প্রতিনিধি হিসেবে আমরা কাদের চাই? যারা সংসদের ভেতরে মহিলাদের স্বাধীনতার দাবি তুলবেন জোরালো কন্ঠে। যারা মহিলাদের প্রতি ন্যায়ের পক্ষে আইন আনবেন। আর যে আইনগুলো স্বাধীনতাকে হরণ করে এবং ধর্ষকদের রক্ষা করে সেই সব কানুনকে বাতিল করবেন। যে সাংসদরা নারী শ্রমিকদের শোষণকে শেষ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যারা নারীবিরোধী যাবতীয় ধারণার বিরুদ্ধে সোচ্চার। যারা যৌনহিংসায় আক্রান্ত মহিলাদের প্রতি সরকারের পূর্ণ দায়বদ্ধতাকে সুনিশ্চিত করবেন। প্রতি ঘরে এবং প্রত্যেক কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সাহায্যকারি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে লড়াই করবেন।

    আন্তর্জাতিক নারী দিবসের বার্ষিকীতে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশ্যে ভারতের মহিলাদের পক্ষ থেকে আমরা প্রকাশ করছি নারী আন্দোলনের দাবিপত্র ও চ্যালেঞ্জ। অবিলম্বে আমরা যে আবশ্যিক পরিবর্তনগুলি দেখতে চাই তার প্রতিনিধি এই দাবিসনদ।

    আমরা চাই-

    ন্যায়

    ১। প্রতি জেলায় ক্রাইসিস সেন্টার, যা ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে এবং যেখানে গেলে দ্রুত এফ আই আর (FIR) দাখিল করা যাবে। একই সঙ্গে চিকিংসা এবং আইন সংক্রান্ত সাহায্য পাওয়া যাবে।
    ২। প্রতি জেলায় মহিলাদের জন্য আইনি পরামর্শ সেল এবং নিরাপদ শেল্টার (আশ্রয়)।
    ৩। ধর্ষণ এবং অ্যাসিড আক্রমণে আক্রান্ত মহিলাদের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন। ক্ষতিপুরণ ও পুনর্বাসনের ধরণ এবং পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য জেলা স্তরে সেল গঠন করতে হবে।
    ৪। যাতে সমস্ত ধর্ষণ মামলার বিচার এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে সেই উদ্দেশ্যে উপযুক্ত সংখ্যায় কোর্ট এবং বিচারক নিয়োগ করতে হবে।
    ৫। যে সমস্ত জন-সংহার, গণ-ধর্ষণ, পুলিশি হেফাজতে ধর্ষণ এবং রাজনীতিকদের দ্বারা ধর্ষণ ও হত্যার মামলার এখনো বিচার হয়নি সেরকম সব ক'টি কেসে ন্যায় দিতে হবে। বাথানি টোলা ও লক্ষ্মণপুর-বাথের জনসংহার, কুনান পোশপোরায় গ্রামের নারীদের গণ-ধর্ষণ, সোনি সোরি সহ ছত্তিসগড়ের আদিবাসী মহিলারা, থাংজাম মনোরমা, রূপম পাঠক, ভানওয়ারি দেবী সহ রাষ্ট্রের হাতে আক্রান্ত সমস্ত মহিলাকে ন্যায়বিচার দিতে হবে।
    ৬। কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, আদিবাসী এলাকা সহ সংঘর্ষের এলাকাগুলিতে যৌনহিংসার অপরাধের নজরদারি এবং শাস্তির জন্য বিশেষ কমিশনার নিয়োগ করতে হবে।

    আইন সংশোধন ও প্রণয়ন

    ১। সম্মানরক্ষার নামে অপরাধ এবং সামাজিক পাহারাদারির (moral policing) বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করতে হবে। বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করতে হবে।
    ২। আফস্পা আইনকে (AFSPA) বাতিল করতে হবে।
    ৩। নৃশংসতা (atrocities) প্রতিরোধক (সংশোধনী) বিল এবং সাম্প্রদায়িক হিংসা সংক্রান্ত বিল পাশ করতে হবে।
    ৪। শিশুদের ওপর যৌন হিংসা প্রতিরোধ করতে সামগ্রিক প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। গ্রামে এবং শহরের বস্তিতে শিশুদের জন্য নিরাপদ ক্রেশ/চাইল্ডকেয়ার-এর সংস্থান করতে হবে। শিশু এবং অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে হবে।
    ৫। ধর্ষণ আইনে বিবাহ-সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের ক্ষেত্রে যে ছাড় দেওয়া আছে, সেই ছাড়কে বাতিল করতে হবে।
    ৬। ৩৭৭ ধারাকে খারিজ করতে হবে।

    নিরাপদ ও সমতাপূর্ণ কর্মস্থল

    ১। সমস্ত কর্মপ্রত্যাশী প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার জন্য মর্যাদাপূর্ণ এবং নিরাপদ কাজের সংস্থান করতে হবে।
    ২। প্রতি কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা প্রতিরোধকারী আইনকে কার্যকর করতে হবে।
    ৩। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য শৌচালয় এবং স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে হবে।
    ৪। প্রত্যেক কর্মস্থলে মহিলাদের জন্য ক্রেশের সংস্থান করতে হবে।
    ৫। সম কাজে সম মজুরি সুনিশ্চিত করতে হবে। যে সব 'স্বেচ্ছাসেবী' বা 'সেবামূলক' প্রকল্পে কর্মরত মহিলাদের পারিশ্রমিকের বদলে সম্মানদক্ষিণা দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া হয় তাদের সরকারি কর্মচারির মর্যাদা দিতে হবে।
    ৬। অসংগঠিত ক্ষেত্র সহ কর্মক্ষেত্রে সব রকম লিঙ্গবৈষম্যকে বন্ধ করতে শ্রম আইনের সংশোধন করতে হবে।
    ৭। সমস্ত মহিলা শ্রমিকদের জন্য বার্ধক্যকালীন পেনশন চালু করতে হবে।

    মহিলাদের প্রতি রাজনীতি এবং প্রশাসনের দায়বদ্ধতা

    ১। পুলিশকে সাংবিধানিক মূল্যবোধের প্রতি দায়বদ্ধ করতে পুলিশ ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে। লিঙ্গ-ন্যায়ের মানদণ্ডে পুলিশকর্মীদের আচরণ এবং কাজের মূল্যায়ণের ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ, পদোন্নতি, জরিমানা ও শাস্তি হওয়াকে সুনিশ্চিত করতে সার্ভিস রুলে প্রয়োজনীয় বদল আনতে হবে।
    ২। ধর্ষণের কেসে দায়িত্বে গাফিলতির ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন ধর্ষণ আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।
    ৩। রাষ্ট্রযন্ত্র বা অরাষ্ট্রীয় কোন সংগঠন দ্বারা কোনোরকম সামাজিক পাহারাদারি বরদাস্ত করা চলবে না (zero tolerance)।
    ৪। জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের নারী কমিশনগুলির স্বাধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। নারী আন্দোলনের অভিজ্ঞ কর্মীদের মধ্যে থেকে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নারী কমিশনগুলির আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে।
    ৫। একটি আচরণবিধি প্রণয়ন করতে হবে যাতে - ক) যৌনহিংসার অপরাধীদের নির্বাচনী প্রার্থীপদ বাতিল হয়, এবং খ) যাতে সংসদে নারীবিরোধী মন্তব্য এবং আচরণ করা বন্ধ হয়।

    রাজনীতিতে অংশিদারিত্ব

    ১। মহিলাদের জন্য ৩৩% সংরক্ষণ বিলকে কোনোরকমভাবে দুর্বল না করে অবিলম্বে পাশ করতে হবে।
    ২। সমস্ত কাউন্সিল, কমিটি এবং টাস্ক-ফোর্সে মহিলাদের প্রতিনিধিত্বকে সুনিশ্চিত করতে হবে।

    নারী-কল্যাণ

    ১। মহিলাদের মধ্যে অপুষ্টি এবং রক্তাল্পতাকে নিশ্চিহ্ন করতে সামগ্রিক প্রকল্পের প্রণয়ন করতে হবে।
    ২। সার্বজনীন খাদ্য সুরক্ষা আইনকে বলবৎ করতে হবে যাতে পরিবার পিছু প্রতি মাসে ৫০ কেজি খাদ্যশস্য সহ দুধ, ডাল এবং তেল সরবরাহ করা হয়।
    ৩। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলা চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রতি পঞ্চায়েতে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে।
    ৪। গ্রামসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মহিলাদের সম্মতি ছাড়া মদের লাইসেন্স দেওয়া যাবে না।
    ৫। উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির সমান ভাগ এবং বিবাহ সূত্রে সম্পত্তির সমতাপূর্ণ ভাগ যাতে মহিলারা পান, তা সুনিশ্চিত করতে প্রকল্পের প্রণয়ন করতে হবে।
    ৬। সরকারি বরাদ্দে প্রত্যেক ঘরে শৌচালয় এবং জনসাধারণের ব্যবহার্য পাবলিক স্পেসে, বিশেষ করে দরিদ্র বসতি এলাকাগুলিতে সর্বসাধারণের জন্য শৌচালয় নির্মাণ করার প্রকল্প আনতে হবে।
    ৭। দিনে-রাতের যে কোনো সময়ে মহিলাদের যাতায়াতের জন্য প্রতুল পরিমাণে নিরাপদ এবং নিয়মিত সরকারি পরিবহনের সংস্থান করতে হবে।
    ৮। আন্তঃ-জাতি, সমলিঙ্গ, এবং নিজের পছন্দের সঙ্গী বেছে নেওয়া যুগলদের সহযোগিতার জন্য সেন্টার খুলতে হবে।

    লিঙ্গ-সচেতনতা বৃদ্ধি
    লিঙ্গবৈষম্য এবং যৌনহিংসার সংস্কৃতিকে নিশ্চিহ্ন করতে যথোপযুক্ত অর্থ বরাদ্দ করে দীর্ঘমেয়াদী এবং ব্যাপক পরিসরে জন-শিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

    ____________________________________________________________________
    ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতি (AIPWA) কর্তৃক জারি।
  • s | 182.0.249.87 | ২২ মার্চ ২০১৪ ০৩:৪৪636213
  • ন্যায়
    ৪। যাতে সমস্ত ধর্ষণ মামলার বিচার এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে সেই উদ্দেশ্যে উপযুক্ত সংখ্যায় কোর্ট এবং বিচারক নিয়োগ করতে হবে।

    শুধু ধর্ষণ কেন, এই দাবি তো যতরকম ফৌজদারী মামলা আছে সবার জন্য করা উচিৎ।

    নিরাপদ ও সমতাপূর্ণ কর্মস্থল
    ৪। প্রত্যেক কর্মস্থলে মহিলাদের জন্য ক্রেশের সংস্থান করতে হবে।

    সম্ভব?

    ৭। সমস্ত মহিলা শ্রমিকদের জন্য বার্ধক্যকালীন পেনশন চালু করতে হবে।

    শুধু মহিলা কেন? পুরুষেরা কি দোষ করল?

    মহিলাদের প্রতি রাজনীতি এবং প্রশাসনের দায়বদ্ধতা
    ৩। রাষ্ট্রযন্ত্র বা অরাষ্ট্রীয় কোন সংগঠন দ্বারা কোনোরকম সামাজিক পাহারাদারি বরদাস্ত করা চলবে না (zero tolerance)।

    এটা বোঝা গেল না। সমাজ থাকলে পাহারাদারিও থাকবে।

    ৫। একটি আচরণবিধি প্রণয়ন করতে হবে যাতে - ক) যৌনহিংসার অপরাধীদের নির্বাচনী প্রার্থীপদ বাতিল হয়, এবং খ) যাতে সংসদে নারীবিরোধী মন্তব্য এবং আচরণ করা বন্ধ হয়।

    খ-এর ক্ষেত্রে পুরুষবিরোধী মন্তব্য ও আচরণও বন্ধ করা উচিৎ।

    নারী-কল্যাণ
    ৪। গ্রামসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মহিলাদের সম্মতি ছাড়া মদের লাইসেন্স দেওয়া যাবে না।

    এটা একটা কথা হল?

    ৬। সরকারি বরাদ্দে প্রত্যেক ঘরে শৌচালয় এবং জনসাধারণের ব্যবহার্য পাবলিক স্পেসে, বিশেষ করে দরিদ্র বসতি এলাকাগুলিতে সর্বসাধারণের জন্য শৌচালয় নির্মাণ করার প্রকল্প আনতে হবে।

    মানে সরকার আপনার বাড়ীর বাথরুম তৈরি করে দেবে। আমি তাহলে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি।

    ৭। দিনে-রাতের যে কোনো সময়ে মহিলাদের যাতায়াতের জন্য প্রতুল পরিমাণে নিরাপদ এবং নিয়মিত সরকারি পরিবহনের সংস্থান করতে হবে।

    লেডিস স্পেশাল বাস ট্রেনের কথা বলা হচ্ছে?

    ৮। আন্তঃ-জাতি, সমলিঙ্গ, এবং নিজের পছন্দের সঙ্গী বেছে নেওয়া যুগলদের সহযোগিতার জন্য সেন্টার খুলতে হবে।

    কি কাজ হবে এই সব সেন্টারের? ঘর ভাড়া দেওয়া? সুরক্ষা?
  • s | 182.0.249.87 | ২২ মার্চ ২০১৪ ০৫:৪২636224
  • ধর্ষনের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আবাপের রিপোর্ট।
    http://tinyurl.com/o2xakkg
    কামদুনিতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল ঠিক ২৮৮ দিন আগে। বারাসতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে মামলাটির শুনানি এখনও শেষ হয়নি। অথচ ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং কামদুনিতে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন, এক মাসের মধ্যে বিচার শেষ করে দোষীদের চরমতম সাজা দেওয়া হবে।

    শুধু কামদুনিই বা কেন? সাড়া জাগানো পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণের দু’বছর বাদে দেখা যাচ্ছে, শাস্তি দূরস্থান, মূল দুই অভিযুক্ত ধরাই পড়েনি। কাটোয়া গণধর্ষণ-মামলার হাল তথৈবচ। দু’বছর গড়িয়ে গেলেও তা আটকে আছে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে, এক জন অভিযুক্ত এখনও নাগালের বাইরে। আবার মধ্যমগ্রামের এক কিশোরীকে উপর্যুপরি গণধর্ষণের যে অভিযোগ ঘিরে রাজ্য তোলপাড় হয়েছে, পাঁচ মাস বাদে বারাসত কোর্টে সেই মামলার চার্জগঠন হয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ সবে শুরু হয়েছে।

    ইতিমধ্যে মধ্যমগ্রামের ধর্ষিতা মেয়েটির অপমৃত্যু ঘটেছে। আর পার্ক স্ট্রিট ও কাটোয়ার দুই নির্যাতিতা জানেন না, মুম্বইয়ের দুই তরুণীর মতো তাঁরা কবে সুবিচার পাবেন। “জানি না, বিচারে কেন দেরি হচ্ছে। বিচার তাড়াতাড়ি শেষ হবে, এই আশা ছাড়া কী-ই বা করতে পারি!” শুক্রবার বলেন পার্ক স্ট্রিটের নির্যাতিতা। কাটোয়ার মহিলা অবশ্য হতাশ। তাঁর আক্ষেপ, “সুবিচার না-পেলে সমাজে মাথা উঁচু করে চলতে পারছি না।” দু’বছর আগে তাঁকে ট্রেন থেকে নামিয়ে মেয়ের সামনেই গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। “আমার মেয়েকে কেউ কিছু বলবে না তো!” আশঙ্কা ঝরে পড়ে তাঁর গলায়।

    কিন্তু মহারাষ্ট্র তো সাড়ে সাত মাসের মধ্যে গণধর্ষণের অপরাধের বিচার সেরে ফেলতে পারল! পশ্চিমবঙ্গ পারছে না কেন?

    বস্তুত এ দিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে এক মামলার শুনানির সময়ে এর একটা কারণ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট থেকে বদলি হওয়া বিচারকেরা মামলাটি দায়ের করেছেন। অভিযোগ, অন্য কোর্টে বদলি হওয়ায় তাঁরা পেশাগত ভাবে পিছিয়ে পড়ছেন। আবেদনকারীদের কৌঁসুলি হিসেবে সওয়াল করতে গিয়ে অর্জুন রায় মুখোপাধ্যায়, প্রতীক ধরেরা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে তিন বছর আগে নতুন সরকার শাসনক্ষমতায় আসার সময়ে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের সংখ্যা ছিল ১৫৩। এখন কমে হয়েছে ৪৫। তারও প্রায় আটটিকে মহিলা আদালত, শিশু শ্রমিক আদালত ইত্যাদি নাম দিয়ে বদলে দেওয়া হয়েছে।

    পরিণামে গুরুত্বপূর্ণ বহু মামলার বিচার বিলম্বিত হচ্ছে বলে আইনজীবী মহলের একাংশের অভিযোগ। যদিও রাজ্যের আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই পরিসংখ্যান মানেন না। তাঁর দাবিঃ পশ্চিমবঙ্গে এখন ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু রয়েছে, যার ৪৬টিতে শুধুমাত্র নারী নির্যাতনের মামলা হয়। রাজ্য সরকার নারী নিগ্রহের বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এই দাবি করলেও চন্দ্রিমাদেবী অবশ্য বিচারের গতি ত্বরান্বিত করে তোলার ব্যাপারে নির্দিষ্ট আশ্বাস দিতে পারেননি। বরং আইনমন্ত্রীর মন্তব্য, “ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে সব ধর্ষণের মামলা দ্রুত শেষ হবে, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। অনেক কারণেই দেরি হতে পারে।”

    দেখে নেওয়া যাক, পার্ক স্ট্রিট-কামদুনি-কাটোয়ার মতো ধর্ষণ-মামলার শুনানি কী ভাবে চলছে।

    কাটোয়া ধর্ষণ-মামলার চার্জশিট ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে জমা দেওয়ার পরে চার্জ গঠন করতেই পেরিয়ে গিয়েছে এক বছর। আদালত-সূত্রের খবর, পুলিশ চার্জশিট পেশ করেছিল ২০১২-র ৩০ মে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয় ২০১৩-র ২৮ মে। তার পরেও প্রায় দশ মাস গড়াতে চলল, এখনও সাক্ষ্যগ্রহণের পালা চলছে। ট্রেনের যাত্রী, পুলিশ, চিকিৎসক ও ফরেন্সিক-বিশেষজ্ঞ মিলিয়ে কাটোয়া-মামলায় সাক্ষী ৪৮ জন। এ পর্যন্ত ৩০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এত দেরি কেন?

    পুলিশের ব্যাখ্যাঃ এমনিতেই চার্জ গঠনের দু’মাস বাদে শুনানি শুরু হয়। তা ছাড়া বিচারক বিভিন্ন সময়ে ছুটিতে ছিলেন। উপরন্তু ডিসেম্বরে বিচারকের বদলির নির্দেশ আসায় তিনি দু’মাস সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি। কাটোয়া মামলার সরকারি আইনজীবী কাঞ্চন মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রতিটি সাক্ষীকে আদালতে হাজির করাতে হচ্ছে। বারবার সমন দিয়ে ওঁদের ডেকে পাঠাচ্ছি।” আগামী ৩১ মার্চ মামলাটির পঞ্চম দফার শুনানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    অন্য দিকে পার্ক স্ট্রিট-মামলা চলছে কলকাতার বিচারভবনের প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। সেখানে এতটাই চাপ যে, মাসে মাত্র দু’বার মামলাটির শুনানি হচ্ছে। এই হারে এগোলে কবে শুনানি শেষ হবে, সরকারি আইনজীবী তা জানাতে পারেননি। আবার কামদুনি গণধর্ষণ মামলা রয়েছে কলকাতার অতিরিক্ত দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে। শুনানি হচ্ছে মাসে ছ’দিন। তুলনায় মধ্যমগ্রামের গণধর্ষণ ও ধর্ষিতার অপমৃত্যুর মামলা কিছুটা সচল। পাঁচ মাসের মধ্যে সেখানে চার্জ গঠন হয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্ব চালু হয়েছে।

    ধর্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার এ হেন শ্লথগতি সম্পর্কে আইনজীবী মহল কী বলছে?

    কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অরুণাভ ঘোষের মতে, এ রাজ্যে বিচারপতি ও বিচারকের সংখ্যা দ্রুত কমেছে, তার উপরে অনেক ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে। যে ক’টা রয়েছে, সেখানে মামলার পাহাড় জমছে। একই সঙ্গে প্রশাসনিক অসহযোগিতাকেও দায়ী করছেন তিনি। “সাক্ষী জোগাড় করাটা পুরোপুরি পুলিশের দায়িত্ব। অথচ অনেক সময়ে পুলিশ সে ব্যাপারে তৎপর হচ্ছে না।” অভিযোগ অরুণাভবাবুর।

    পাশাপাশি কর্মসংস্কৃতির ঢিলেমির দিকেও আঙুল উঠছে। আইনজীবীদেরই কারও কারও দাবিঃ এ রাজ্যে বিভিন্ন কারণে হুটহাট ছুটির যে রেওয়াজ, বিচার-প্রক্রিয়ায় তার কুপ্রভাব পড়ছে। আইনজীবীর মৃত্যুতে খাস হাইকোর্টেও এক দিন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এমন আচমকা ছুটির দরুণ এক-একটা মামলা ফের উঠতে উঠতে অনেক সময় বছর পেরিয়ে যায়। এক আইনজীবীর কথায়, “সুপ্রিম কোর্টে তো বটেই, অন্য কিছু রাজ্যেও এ ধরনের ছুটির প্রথা নেই। আইনজীবীদের প্রয়াণে শোক প্রকাশের জন্য সেখানে বছরে একটা দিন রাখা হয়। আদালতের কাজ বন্ধ হয় না।” এ জাতীয় ছুটির রেওয়াজে বিচার-প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার যুক্তি অরুণাভবাবু অবশ্য মানতে চাননি।

    এ তো গেল আইনজীবীদের মতামত। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের হাল নিয়ে রাজ্য সরকারের কী বক্তব্য?

    আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “এটা আমার দফতরের আওতায় পড়ে না। এগুলো স্বরাষ্ট্র দফতরের মামলা।” যদিও রাজ্যের স্বরাষ্ট্র-সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোনও মামলা কোর্টে গেলে তার দেখভালের দায়িত্ব ডিরেক্টর অব প্রসিকিউশনের হাতে চলে যায়, যা কি না আইন দফতরেরই অধীনে। স্বরাষ্ট্র-সচিবের দাবিঃ ধর্ষণের মামলাগুলোয় যখন যেমন তথ্য চাওয়া হয়েছে, সরকারের তরফে সব জোগানো হয়েছে। তাঁর যুক্তি, “দ্রুত নিষ্পত্তি আমরাও চাই। কিন্তু রায় তো দেন বিচারক! এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।” আর চন্দ্রিমাদেবীর মন্তব্য, “বিলম্বের জন্য সরকারের গাফিলতির অভিযোগ নেই। তবু কেন দেরি হচ্ছে, বিস্তারিত না-জেনে বলা যাবে না।” তবে কারণগুলো কী কী হতে পারে, আইনমন্ত্রী তাঁর ইঙ্গিতও দিয়েছেন। “হতে পারে, কেউ সাক্ষ্য দিতে দেরি করছেন। অথবা অন্য কোনও কারণে সময় লেগে যাচ্ছে!” জানাচ্ছেন চন্দ্রিমাদেবী। তিনি এ-ও বলছেন, “মুম্বই মুম্বই করে লাফিয়ে লাভ নেই। এ রাজ্যেও বালুরঘাট, মেদিনীপুর ও আর একটা ধর্ষণের মামলায় তিন থেকে ছ’মাসের মধ্যে সাজা ঘোষণা হয়েছে। তাই এখানে হয় না, এ অভিযোগ ঠিক নয়।”
  • s | 182.0.249.87 | ২২ মার্চ ২০১৪ ০৫:৫২636235
  • মোদ্দা কথা সরকার, পুলিশ এদের গাফিলতি তো আছেই, জুডিশিয়ারিরও প্রচুর গাফিলতি। এবার জুডিশিয়ারির মাথায় কে ডান্ডা মারবে এটা দেখতে হবে।
  • cm | 233.187.49.240 | ২২ মার্চ ২০১৪ ০৮:৪৭636246
  • কামদুনি কান্ডের পর একমাসও হয়নি আর বলে কিনা ২৮৮ দিন! এ হিসেব নির্ঘাত গত ৩৪ বছরে শেখা।
  • cb | 126.202.182.98 | ২২ মার্চ ২০১৪ ১১:৪৭636249
  • ৩৪
  • π | ২৩ মার্চ ২০১৪ ০১:৩৫636181
  • Name: s

    IP Address : 182.0.249.87 (*) Date:22 Mar 2014 -- 11:22 PM

    তিনোমূলের ইলেকশন ম্যানিফ্যাস্টোঃ
    13. To eradicate corruption we'll set up Lokpal and Lokayukta in every state.
    পঃবঃ-য়েই এখনো চালু হয়নি।
    15. We believe in massive comprehensive Electoral Reforms drawing on international best practices so that the corrupt and the criminals do not become people's representatives.
    We believe to reach this goal of corruption free politics, the time has come for the nation to adopt Government funding of elections which is already functioning in many nations of the world including UK, Germany, France...
    এইটা কি ব্যাপার কেউ জানেন? মানে প্রচারের খরচও সরকারের?

    16. We believe in major Judicial reforms
    এটা সত্যি করা দরকার।

    21. A Talent Bank will be created for the youth for exchange and sharing of ideas, cutting-edge research and employment opportunities in knowledge domain
    linked-in ধরনের কিছু ভাবা হচ্ছে?

    এছাড়া
    29. we'll give industry status to tourism sector

    45. The land acquisition act will be amended such that the legitimate interests of farmers will be fully protected

    46. We will not allow any forceful acquisition of land in the country

    Name: PT

    IP Address : 213.110.246.230 (*) Date:22 Mar 2014 -- 11:38 PM

    A Talent Bank will be created for the youth for exchange and sharing of ideas, cutting-edge research and employment opportunities in knowledge domain linked-in

    এটা এক্কেবারে কৃস্টালাইন্ড বুল্শিট।
    সেই ল্যান্ডব্যাঙ্ক দিয়ে শুরু হয়েছিল। তার কি হয়েছে কেউ জানেনা। এখন Talen-Bank!! টাকা আসে DST, DBT ইত্যাদি কেন্দ্রীয় সংস্থা থেকে-হিসেব যায় সেখানে, গবেষককেও জবাবদিহি করতে হয় সেখানে। এ ব্যাপারে গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল (যেকোন) রাজ্য সরকার কি করবে?cutting-edge research কথাটা কোথাও দেখে "কতিপয় পিতা"-র মত লাগিয়ে দিয়েছে।

    We will not allow any forceful acquisition of land in the country

    সবচে আগে রাজারহাটের জমি ফেরৎ দেওয়ার বন্দোবস্ত হোক। তাতে একতা মেসেজ যাবে। সে নিয়ে কমিশনটাই তো গঠন করা হলনা। http://www.hindustantimes.com/india-news/kolkata/quiet-burial-for-raja
    rhat-land-probe/article1-1111256.aspx

    Name: ranjan roy

    IP Address : 24.96.110.122 (*) Date:23 Mar 2014 -- 12:35 AM

    এই সবকটা ইলেকশন ম্যানিফেস্টো বুলশিট। কেউ কথা রাখে না শুধু নয়, দে ডোন্ট মিন ইট।
    বেশির ভাগই জেনেরিক ধোঁয়া ধোঁয়া কথা। কোন কংক্রিট প্রস্তাব নয়।
    ধরুন, তিনোর জুডিসিয়াল রিফর্ম? ঘুড়ায় হাসব। কেন?
    খেয়াল করুন এই তিন বছরে কতবার ওদের লিগ্যাল থিংক ট্যাংক হাইকোর্টের কাছে অপদস্থ হয়েছে! কয়জন অ্যাডভোকেট পাল্টেছে! ওদের আনা কতগুলো বিল হাইকোর্টে মুখ থুবড়ে পড়েছে!
    আর খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কেন্দ্র পয়সা দেয় নি, কিন্তু রাজ্য সরকার ৮০টা ফার্স্ট-ট্র্যাক কোর্ট খুলেছে!!!
    কিন্তু ডেটা বলছে এখন ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট হল ৮০ নয় ৮৮। কিন্তু বাম আমলে সংখ্যাটি ছিল ১২০ এর বেশি। আর অনেক কোর্টে জজ নেই।
    তাহইলে কি খাড়াইল?
    বাকি গুলো সব হয় সুভাষিতাবলী, নয় টেন কম্যান্ডমেন্ট এর মতন পবিত্র মন্ত্র!!! ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট প্র্যাকটিস মেনে ইলেক্শন বিধি রিফর্ম করে করাপশন দূর করা? কোলকাতা লন্ডন করার মত? আগে কমিশনের সঙ্গে সহযোগিতা করে বর্তমান বিধিগুলো ঠিকমত পালন করা হোক, তাহলেই অনেক।

    এবার সিপিএম এর ম্যানিফেস্টো দেখুন। ওনারা জোর করে শিল্পের জন্যে অনিচ্ছুক চাষীর কৃষিজমি নেওয়ার বিরুদ্ধে!!!!
    ভুল দেখছি না তো?
    SEZ এর per se বিরুদ্ধে নয় ( বাম সরকারের থেকেই গোটা দেশের সবচেয়ে বেশি SRZ এর জন্যে অনুমতি চেয়ে আবেদন জমা পড়েছিল)। কিন্তু শ্রমিকের অধিকার কম করলে চলবে না।
    মাইরি! তাহলে SEZ আর অন্য শিল্প জোন এর মধ্যে প্রস্থান বিন্দু কী রইল ?সোনার পাথরবাটি?

    Name: Sibu

    IP Address : 118.23.96.158 (*) Date:23 Mar 2014 -- 12:46 AM

    http://en.wikipedia.org/wiki/Special_economic_zone#India

    The major incentives and facilities available to SEZ developers include:-

    Exemption from customs/excise duties for development of SEZs for authorized operations approved by the BOA.
    Income Tax exemption on income derived from the business of development of the SEZ in a block of 10 years in 15 years under Section 80-IAB of the Income Tax Act.
    Exemption from minimum alternate tax under Section 115 JB of the Income Tax Act.
    Exemption from dividend distribution tax under Section 115O of the Income Tax Act.
    Exemption from Central Sales Tax (CST).
    Exemption from Service Tax (Section 7, 26 and Second Schedule of the SEZ Act).

    Name: ranjan roy

    IP Address : 24.96.110.122 (*) Date:23 Mar 2014 -- 12:53 AM

    শিবু,
    টেকেন। কিন্তু SEZ এরিয়াতে দেশের লেবার ল, এবং অন্য কিছু লায়াবিলিট ঢিলে করার ব্যাপারটা?

    Name: s

    IP Address : 182.0.249.87 (*) Date:23 Mar 2014 -- 12:55 AM

    রঞ্জনদা জুডিশিয়ারি রিফর্ম নিয়ে ডিটেল তিনো ম্যানিফেস্টোতে আছে।
    তবে এ ছাড়াও অনেক কিছু বদল করা উচিৎ। অন্তত ফৌজদারী কেসগুলো দ্রুত নিস্পত্তির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। উকিল, বিচারকদের সবার পারফর্মেন্স মাপার কোন ক্রাইটেরিয়া হওয়া উচিৎ। কতগুলো মামলার রায়দান করা হবে তার একটা মিনিমাম টার্গেট রাখা উচিৎ। মামালার সঙ্গে জড়িত তদন্তকারী অফিসারদের কাজের মাপকাঠি হওয়া উচিৎ কত দ্রুত ও নির্ভুল চার্জশীট দেওয়া হচ্ছে। আদালতের সেই প্রাচীন ধারার কাজকর্ম, পেপার বেসড ট্রান্সাকশণ অধিকাংশ কম্পুটার বেসড করা উচিৎ।
    এবং অবশ্যই ইনফ্রাস্ট্রাকচার বাড়ানোর কাজটা রাজ্যসরকারকে দেখতে হবে। কিন্তু শুধু ইন্ফ্রাস্ট্রাকচার বাড়ানোটাই যথেষ্ট নয়।

    Name: ঈশান

    IP Address : 60.82.180.165 (*) Date:23 Mar 2014 -- 12:56 AM

    পিটির আবার চাষের জমি নিয়ে সমস্যা হয়েছে। তা, ধরে নেওয়া গেল, আমি যেখানে চাকরি করি/থাকি, সেটা একদা চাষের জমি ছিল। এবং আমি শিল্পের জন্য অনিচ্ছুকদের জমি নেবার বিপক্ষে। তা দিয়ে হলটা কি? পোষ্কার করে বোঝান দিকি, অবশ্য যদি বোঝানোর মতো কিছু থাকে (আশা করি এর উত্তরে আবার বুজিপুরাণ শুরু হয়ে যাবেনা)।

    Name: ঈশান

    IP Address : 60.82.180.165 (*) Date:23 Mar 2014 -- 01:00 AM

    "এবার সিপিএম এর ম্যানিফেস্টো দেখুন। ওনারা জোর করে শিল্পের জন্যে অনিচ্ছুক চাষীর কৃষিজমি নেওয়ার বিরুদ্ধে!!!!"

    এইটা কিন্তু জোক অফ দা সেঞ্চুরি। সিপিএম সাপোর্টাররাও ব্যাপারটা বুঝেছেন এমন কোনো লক্ষণ দেখতে পাইনা। :-)

    (লক্ষ্য করে দেখবেন, আমি গত দুটি পোস্টেও তিনোর কোনো সমালোচনা করিনি, শুধুই সিপিয়েমকে নিয়ে টানাটানি করছি ঃ-) )

    Name: ranjan roy

    IP Address : 24.96.110.122 (*) Date:23 Mar 2014 -- 01:14 AM

    সিপিএম ম্যানিফেস্টোতে আরো দুটো মণিমুক্তো।
    ১। ওঁরা গে-রাইটের পক্ষে।!!!
    -- হায়! ভোটবাজারে অপসংস্কৃতি ঢুকলো? এঁরা না সুবোধ ঘোষের গল্প অবলম্বনে তৈরি " বারবধু" নাটকের বিরুদ্ধে পথে নামিয়ে ছিলেন?

    ২) ওঁরা মৃত্যুদন্ড তুলে দিতে চান?
    --- একি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে?
    তাহলে বিপ্লব কি করে হবে? আমরা তো শিখে ছিলাম যে হিংসা সমাজপরিবর্তনে দাঈয়ের কাজ করে?
    রোমানফ বংশের নারীদেরও নির্মমভাবে কোতল করে, ট্রটস্কিকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে যে বিপ্লবের শুরু হয়ে ছিল তা অসমাপ্ত থাকবে? জনগণের স্বার্থে সাঁইবাড়ির অত্যাচারী জোতদারদের প্রাণদন্ড দেওয়া ও ইদানীং কেরালায় রেনেগেড চন্দ্রশেখরন কে মৃত্যুদন্ড দেওয়া? ভুল , সবই ভুল?
    মার্ক্সবাদ বিজ্ঞান নয়?
  • cm | 127.247.113.85 | ২৩ মার্চ ২০১৪ ১০:৩৩636182
  • মৃত্যুদন্ডের সাথে বিপ্লবের সম্পোক্কো ঠিক বুঝলাম না। তাহলে কি ম্যালেরিয়ার সাথেও বিপ্লবের সম্পোক্কো আছে?
  • pi | 122.79.38.62 | ২৪ মার্চ ২০১৪ ০৮:৩৬636183
  • দৈববাণী শুনলেন আপনারা? ভোটের সাথে রেপের তুলনা?
  • Atanu Kumar | 24.139.193.174 | ২৫ মার্চ ২০১৪ ১৩:৩৩636184
  • একটা সময় প্রত্যেক ভোটের আগে বামফ্রন্টকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে একটা বিবৃতি বেরোত, যাতে সই থাকত বাংলার প্রায় সমস্ত প্রথম সারির শিল্পী-সাহিত্যিক-সঙ্গীতজ্ঞ-চলচিত্রকর্মীদের। বুদ্ধিজীবিরা তাঁদের স্বভাবজনিত সংবেদনশীলতার জন্য বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী বলে ধরে নেওয়া হত। কখনো সখনো মৃদুমন্দ সমালোচনা করলেও যেকোন বড় ইস্যুতে তাঁরা বামফ্রন্ট তথা সিপিএমের পাশেই দাঁড়াতেন। অবশ্য বিরোধী ও নিন্দুকরা বারবারই অভিযোগ করত বুদ্ধিজীবিরা সিপিএমের পাশে আছেন কোন আদর্শের তাড়নায় নয় স্রেফ ক্ষমতার মধু চাটার জন্য। সংস্কৃতিবান বুদ্ধদেববাবু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বুদ্ধিজীবিদের বাম-ঘনিষ্ঠতা আরো নিবিড় হয়। নিন্দুকরা তাঁদের নাম দেন "বুদ্ধজীবি"। দ্বিখণ্ডিত নিষিদ্ধকরণের মত চরম বাকস্বাধীনতা বিরোধী পদক্ষেপের সমর্থনেও যুক্তি দিতে তাঁদের বাধেনি। একবার জনযুদ্ধ গোষ্ঠী ও তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল সমাজকর্মীদের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব হলে "আমাদের সাহায্য নিয়ে ওদের মদত" করার জন্য বুদ্ধিজীবিদের কড়কে দিয়েছিলেন তৎকালীন সিপিএম সম্পাদক অনিল বিশ্বাস। বুদ্ধিজীবিদের বামপ্রেমে ধাক্কা লাগে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের সময় থেকে। পাবলিকের মারে সিপিএম যত বেসামাল হল, ততই দলে দলে বুদ্ধিজীবি শিবির ছাড়তে শুরু করলেন। তাঁদের মধ্যে স্পষ্ট দুটো ভাগ হল, "বুদ্ধজীবি" আর "পরিবর্তনপন্থী"। দ্বিতীয়গোষ্ঠীকে সুশীল সমাজ, নাগরিক সমাজ ইত্যাদি নামে ডাকা হত। চ্যানেলে চ্যানেলে দুপক্ষের তরজা আমজনতা গোগ্রাসে গিলল আর বাংলা সিরিয়ালগুলোর টিআরপি নেমে গেল। একদল তখনো শিল্পায়নের নামে সিঙ্গুরের বহুফসলী জমি জবরদখল, তাপসী মালিকের নৃশংস হত্যা, নন্দীগ্রামে পুলিস-ক্যাডার যৌথবাহিনীর অপারেশন সূর্যোদয়ের সমর্থনে সাফাই গাইছেন আর অন্যদল সরকারের পরিবর্তনের সওয়াল করছেন। ক্রমশ প্রথমদলের গলার আওয়াজ মিইয়ে এলো আর দ্বিতীয়দল "পরিবর্তনপন্থী" থেকে "মমতাপন্থী"তে উত্তীর্ণ হলেন। পরিবর্তনের পর দ্বিতীয়দল থেকে অনেকেই সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী বা বিভিন্ন সরকারি সংস্থা বা কমিটির পদাধিকারী হলেন। কবীর সুমন, সুনন্দ সান্যালের মত কয়েকটা অবাধ্য রাখাল অবশ্য সব জমানাতেই ছিল। তবে সুবোধ কবি, সুশীল অভিনেতা, সুবেশ গায়কদের মত গোপালের সংখ্যাই বেশী যারা চট করে বাপ বদলে ফেলতে পারে। এবারের লোকসভা ভোটে দেখা গেল সেইসব প্রাক্তন "বুদ্ধজীবি"রা কেউ সরাসরি তৃণমূলের টিকিট পেলেন, কেউ বা বন্ধুতার দোহাই পেড়ে প্রচারে নামলেন ভবিষ্যতের জমিটা তৈরী রাখার স্বার্থে। স্বনাম ও বাপের নামধন্য জাদুকর অবশ্য ছোট জায়গায় নাড়া বাঁধতে নারাজ। তিনি সাক্ষাৎ হনুমানের অবতার নরেন্দ্র মোদীর শরণাপন্ন হয়েছেন। এঁরা অনেকেই হয়ত পদ্মবিভূষণ বা বঙ্গবিভূষণে সন্মানিত হবেন। তবে সিপিএম তাঁদের বঙ্গবিভীষণ শিরোপা দেবে কি না জানা নেই।

    গোপাল আর রাখালের গল্পটা কেবল বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে খুঁজলে ভুল হবে। নন্দীগ্রাম যুদ্ধের আঁচ এসে পড়েছিল বামফ্রন্টের অন্দরেও। নীতিভ্রষ্টতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল ফরোয়ার্ড ব্লক, আরএসপির মত শরিকরা। তখন বাধ্য গোপালের মত ল্যাজ নেড়ে গেছিলেন কিরণময় নন্দ। পরিণামে ক্ষিতি গোস্বামীর মত নেতাদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল। ফব, আরএসপিকে বাদ দিয়ে কিরণময়ের সমাজবাদী পার্টিকে ফ্রন্টের মেজ শরিক বানানোর তত্ত্ব হাজির করেছিল সিপিএম। ক্ষিতিবাবুরা এখনো ফ্রন্টেই আছেন। কিন্তু কিরণময়বাবুরা এখন ফেডারেল ফ্রন্টের গল্প শুনিয়ে তৃণমূল নেত্রীর কাছে আশ্রয় চাইছেন। তাঁদের নেতা মুলায়মের যা মতিগতি তাতে ভোটের পর কংগ্রেস এমন কি বিজেপির হাত ধরাটাও তাঁর পক্ষে খুব কঠিন নয়।

    "দুঃখের দিনের বন্ধুই আসল বন্ধু", একথা সবাই জানি তবু কার্যক্ষেত্রে মনে রাখিনা। যেসব বামপন্থী রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, সমাজকর্মীরা বামফ্রন্ট সরকারের দক্ষিণপন্থীদের চেয়েও দক্ষিণপন্থী হওয়ার প্রচেষ্টার নিন্দা করেছিলেন তাঁরা আজ অনেকেই রাজ্য ও কেন্দ্রে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শক্তিকে আটকাতে সেই "পচাগলা" বামপন্থীদেরই আঁকড়ে ধরতে চাইছেন। কিন্তু তোষামোদ কে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিয়ে যুক্তিসঙ্গত সমালোচনাকে সাদরে গ্রহণ করার সাহস আর সিপিএমের নেই। নীতিগত বিষয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য প্রসেনজিৎ বসু, রেজ্জাক মোল্লার প্রতি, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতাদের প্রতি যে আচরণ করা হল তা বোঝায় কূয়োর ব্যাং হয়ে থাকাকেই সিপিএম ভবিতব্য বলে ধরে নিয়েছে। আদ্যন্ত দক্ষিণপন্থী আম আদমি পার্টি যেভাবে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের শক্তিকে রাজনীতির ময়দানে নিয়ে আশার চেষ্টা করছে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ছোট বামপন্থী দল ও সংগঠনকে একত্রিত করার বদলে সুবিধাবাদী আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে তৃতীয় ফ্রন্টের অলীক মরীচিকার পেছনে দৌড়ানো হচ্ছে। তবে কি না এখনো সময় আছে। সুবোধ সুশীল ও কিরণময়দের কাপড় উন্মোচন থেকে কি সিপিএম শিক্ষা নেবে? গোপালদের ত্যাজ্যপুত্তুর করে রাখালদের বুকে টেনে নিতে পারবে? কূয়ো থেকে বেরিয়ে সমুদ্রে যাওয়ার হিম্মত কি হবে? প্রশ্নগুলো সহজ, উত্তরটা …
  • সিদ্ধার্থ | 23.17.125.9 | ২৫ মার্চ ২০১৪ ১৪:৫৫636185
  • ওপরের লেখাটাইয় খোরাক নিতে নিতে হাঁফিয়ে গেলাম :(
  • sch | 132.160.114.140 | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ১২:২২636187
  • আবাপ কিরকম নেয় এই ধরণের লেখার জন্যে? এনি আইডিয়া? মানে ক্যাশ নেয় না পুরোটাই কাইন্ড
  • π | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ১২:২৮636188
  • আরে ! এই ম্যানিফেস্টোতে স্বাস্থ্যের অধিকার এসেছে ! কংগ্রেসের ম্যানিফেস্টো বা তাই নিয়ে কোন আলোচনাই পড়িনি, থ্যাংকু!

    তবে কিনা, ঐ, এই সরকারই শ্রীনাথ রেড্ডির 'সবার জন্য স্বাস্থ্য' এর প্রস্তাবকে নাকচ করে দিয়েছিল। দেখা যাক, এবার এলে কিছু করে কিনা। অবশ্য এনিয়ে সেরকম কোন আন্দোলন গড়ে না উঠলে হয়তো চাপও তৈরি হবেনা।
  • π | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:১৫636189
  • sch, এই লেখায় তো বেশ কিছু তথ্য দেওয়া আছে। সেগুলো আপত্তিকর মনে হলে তথ্য দিয়েই কাউণ্টার করা ভাল বা দরকার নয় কি ?
    এই যেমন দারিদ্র্য কমেছে মানেই মানুষ বেটর আছেন, এমনটা নয়। সেটা যেমন এই লেখায় তথ্য পরিসংখ্যান সহযোগে দেখানো হয়েছিলঃ http://www.guruchandali.com/default/2014/01/23/1390500936907.html

    আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, ইউপিএ সরকারের পলিসি নিয়ে সমালোচনার থেকেও ( 'কর্মসংস্থানের অধিকার থেকে শিক্ষা, খাদ্যের অধিকার, এবং অবশ্যই তথ্যের অধিকার' এর প্রাপ্য প্রশংসাও না দিলে নয় ) বেশি সমালোচনার জায়গা দুর্নীতি। যা যা পলিসি নেওয়া হয়েছে, তার ইম্প্লিমেন্টেশনগত সমস্যা ইঃ। কিন্তু এই লেখাটা তো পলিসি সংক্রান্ত, সেখানে সেই দিকগুলো না আসায় তেমন আশাহত হইনি।
  • সে | 188.83.87.102 | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:১৬636190
  • এসব তো ভোটের পরে হবে।
    ভোটের আগেই এখন কর্পোরেশন বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে প্রায়। বলছে - পরে হবে - আগে ভোটটা কাটুক।
  • sch | 132.160.114.140 | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ১৪:২৭636192
  • হ্যাঁ পাই দিদি লিখেই বুঝলাম বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে করেছি।

    "ইউপিএ-র আমলে এসে দারিদ্র হ্রাস পাওয়ার হার অনেকখানি বেড়েছে। ইউপিএ-র দশ বছরে ভারতে বছরে গড়ে ২.১৮% হারে দারিদ্র কমেছে। আগের দশ বছরে এই হার ছিল বছরে ০.৭৪%।"

    আমি অনেকদিন আগে এই লেখাটা পড়েছিলাম
    http://www.livemint.com/Politics/1QvbdGnGySHo7WRq1NBFNL/Poverty-rate-down-to-22-Plan-panel.html

    ইকনোমিক্সের জটিলতা না বুঝেও এটুকু বুঝতে পারি যে দারিদ্র্য কমা বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক অনেক - স্পেশালি কম্পেয়ার করার ব্যাপারে ।
    "Separately, former principal adviser at the Planning Commission and present chairman of the National Statistical Commission, Pronab Sen, said the Tendulkar committee recommendations applied to data collected with a mixed recall period, which was introduced only in 1999-2000. This makes 1993-94 data less comparable to later years, he said."

    আর তার ওপরে "এনডিএ-র শাসনকালে, গ্রামীণ শ্রমিকদের বছরে প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার ছিল ০.১ শতাংশ। মহিলা শ্রমিকদের ক্ষেত্রে তো প্রতি বছর মজুরি কমত। এই বছরগুলো কিন্তু এনডিএ-র ‘ভারত উদয়’-এর বছর! " -- এই লাইনটা খুব unbiased লাগল না - গ্রোথ কিন্তু অনেক গ্লোবাল ফ্যাকটরের ওপর নির্ভর করে বলে ধারণা।"

    পরে আরো লেখার চেষ্টা করব
  • π | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ১৫:১৯636193
  • এটা এখানে থাক।

  • π | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ১৫:২৩636194
  • এগুলোও ঃ


  • π | ০১ এপ্রিল ২০১৪ ১৫:৫৩636195
  • aha | 132.177.46.2 | ০২ এপ্রিল ২০১৪ ০৭:২৫636196
  • এগুলো তো সব সিরিয়াস খবর। মোদীর সিংহ বা গন্ডারসমৃদ্ধ বাণীগুলো ভোটরঙ্গে যাবে না?
  • π | ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ১১:০১636198
  • আআপ এর ম্যানিফেস্টোটা কেউ নামাতে পারছেন ? আমার এখানে লিং টা কাজ করছে না।

    http://www.aamaadmiparty.org/aap-manifesto-2014

    ওদিকে বিজেপি নাকি প্রথম ভোটের দিন ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করবে !! :P
  • s | 182.0.249.87 | ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:০৬636199
  • তৃনোমূল প্রার্থী নিয়ে ফেসবুকের সিপিএমের জনতা ব্যাপক ব্যাপক পোস্টার তৈরি করছে। এগুলো একজায়গায় রাখি। এই টইতে।
    দেখি ফেসবুকের ইমেজ গুরুতে আসে কিনা।
  • s | 182.0.249.87 | ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:১৭636200
  • অর্পিতা।
  • s | 182.0.249.87 | ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:১৯636201
  • দেব।
  • s | 182.0.249.87 | ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:২১636203
  • মুনমুন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন