এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বর্ণ হিন্দু বিশেষ সুবিধা বলে আসলে কিছু নেই। পুরো ব্যাপারটাই ভারতবাসীকে হীনমন্য করতে মেকলের সন্তানদের সৃষ্ট একটা মিথ।

    Su
    অন্যান্য | ১০ জুন ২০১৪ | ৪৭৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sm | 122.79.39.174 | ২৩ জুন ২০১৪ ২১:২০642572
  • রঞ্জনবাবু আপনি যে কটি উধাহরণ দিলেন; সব কটি ই হলো ঘৃণার বহি প্রকাশ বা দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার। এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে, পৃথিবীর প্রায় সব দেশে, বিভিন্ন ফর্মে।
    আপনি, হিন্দু বর্ণভেদ কে ভুলে, অন্য ভাবে দেখুন। একজন মুসলমান ব্যক্তিকেও হিন্দু পাড়ায় বাড়ি ভাড়া পেতে অসুবিধে হয় বা ছুঁয়ে দিলে পুজোর আচার আচরণ লঙ্ঘিত হয়। আবার বিদেশে দেখুন রেসিসিম একটা তুলনামূলক বড় সমস্যা।
    আপনি কিমুসল্মান, বুদ্ধ জৈন সবাকার জন্য কতার বন্দোবস্ত করবেন?
    আর দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার তো আবহমান কাল ধরে চলে আসছে। আগে জমিদার রা গরিব প্রজাদের চাবুক মারত, ঘর জ্বালিয়ে দিত,রেপ করত বা তার আগে মোগল আমলে শূলে চড়াত।তখন কি ব্রাম্হন, কায়স্থ ইত্যাদি বলে ছেড়ে দিত?
    প্রশ্ন হচ্ছে, এই অবিচারের হাত থেকে বাঁচার উপায় কি? এক মাত্র উপায় হলো কড়া আইনি সুরক্ষা ও গণ সচেতনতা । না হলে হনার কিলিং জাতীয় ঘটনা চলতেই থাকবে।
    অর্থনৈতিক উন্নতি ও অনেক ফাঁক ফোকর বুজিয়ে দিতে সাহায্য করে।
    কিন্তু তাবলে যুগ যুগ ধরে কোটা সিস্টেম চালু থাকবে কেন? যেটা খালি মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ কে বংশানুক্রমে কিছু পাইয়ে দিচ্ছে।
    পিছড়ে বর্গের আপামর মানুষ সেই পিছনেই পড়ে থাকছে, উপরন্তু তাদের মধ্যে একটি সুবিধাভোগী শ্রেনীর সৃষ্টি হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে।
  • সিকি | ২৩ জুন ২০১৪ ২১:২২642573
  • কমা নিশ্চয় শহুরে বা মফসসলী বাংলার বাইরে বেরোয় নি।
  • কমা | 125.187.37.63 | ২৩ জুন ২০১৪ ২১:৪০642574
  • না আমি কলকাতার বাইরে থকিনি কলকাতার কথা বললাম।
  • সিকি | ২৩ জুন ২০১৪ ২২:৩৬642575
  • কলকাতাটা সারা ভারত নয়। ভারত নামক ভাতের হাঁড়ির একটা স্যাম্পল চালও নয়।
  • | ২৩ জুন ২০১৪ ২২:৫৩642576
  • 'সা-গিন্নি' ছুঁয়ে দিয়েছে বলে পুজোর বাসন আর ঘরে ওঠানো গেল না শশীভুষণ-প্রভাপদ দে'র দোকানে গিয়ে বিক্রী করে অন্য বাসন নিয়ে আসা হল --- এ তো কলকাতা শহরেই দেখা আমার। আর সা-গিন্নি কিছু গরীব মানুষও নন, রীতিমত পয়সাওয়ালা ব্যবসায়ী ঘরণী। তাঁর অপরাধ তাঁর ও তাঁর শ্বশুরবাড়ীর পদবী 'সাহা'

    sm, যিনি ব্যাঙ্কের কর্মী তিনি কিন্তু খুব দুর্বল গরীব নন, তাঁর পদবীই মূলতঃ তাঁর লাঞ্ছনার কারণ।
  • সিকি | ২৩ জুন ২০১৪ ২৩:১৭642577
  • স্কুল থেকে ফেরার পথে "হরিজন"দের ছেলেরা কেউ ছুঁয়ে দিলে ঘরে এসে চান করার রেওয়াজ আমার বাড়িতেই ছিল। কলকাতা থেকে সামান্য দূরত্বে।
  • sm | 122.79.37.166 | ২৩ জুন ২০১৪ ২৩:৫৫642578
  • দ, আমি তো সেই কথা টাই বলছি, এটা তো ঘৃণার বহি প্রকাশ । এখানে সা গিন্নি, হরিজন বা মুসলমান ব্যক্তি প্লেস হোল্ডার মাত্র।আপনি যদি মুম্বাই যান, সেখানে বাঙালি লোকের উপর অকারণে ঘৃনা দেখেননি। বা চেন্নাই তে হিন্দি ভাষার লোকজনদের। অথবা দিল্লিতে উত্তরপূর্ব ভারতের লোকজনের উপর। মানুষের মন থেকে ঘৃনা কি অত সহজে দূর করা যায়। স্বয়ং বিবেকানন্দ পারেন নি, মুচি,মেথর আমার ভাই বলেও।এই অশিক্ষা থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই তো চাই সমাজ সচেতনতা। এটা ব্যাধি, এর চিকিত্সা দীর্ঘমেয়াদী, কোনো কোটা নামক ঔষধ নয়।
  • ranjan roy | 24.96.101.254 | ২৪ জুন ২০১৪ ০০:৪৫642579
  • SM
    টইটার নাম দেখুন।
    অপ্রিয় উদাহরণ গুলো দিলাম এই জন্যে যে কেউ কেউ বলছেন -- দলিত বলে কিছু নেই, এসব নাকি মেকলের সৃষ্ট ও আম্বেদকরের ঢপ ( দুটো গালাগাল সমেত)।

    এখন ক্ষমতার অত্যাচার যখন শুধু পয়সার জোর নয়, কোন বিশেষ পরিবারে জন্মানোর সূত্রে হয় তখন তা ইউনিক।
    আর ভারতবর্ষে এগুলো তো আদিকাল থেকে চলে আসছে।
    শূদ্রের নেই বেদে অধিকার। ওর কানে গরম সীসা ঢেলে দেওয়ার বিধান। সেদিনও পারিয়াদের চেন্নাইয়ে গলায় ঘন্টা বেঁধে ঘুরে বেড়াতে হত। ডিএমকে আন্দোলন যার থেকে হল।

    এখন এর থেকে উত্তরণের উপায় কি এ নিয়ে বিতর্ক অর্ধশতাব্দী ধরে চলে আসছে, এখনো চলবে। সংরক্ষণ অবশ্যই be all and end all হতে পারে না।
    কিন্তু এখানে তো কেউ কেউ সমস্যাটির অস্তিত্বই স্বীকার করতে চাইছেন না। আগে তো সমস্যাটা আছে বলে মানবেন, তারপরে তো চিকিৎসা! তাই এত কথা।
  • এমেম | 127.194.242.29 | ২৪ জুন ২০১৪ ০০:৫৯642580
  • গলায় ঘন্টা বেঁধে ঘুরে বেড়াতে হত। এটা জানি। এরপর কী হয়েছিল, উচ্চবর্ণদের স্রেফ তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
  • এমেম | 127.194.242.29 | ২৪ জুন ২০১৪ ০১:১৪642582
  • ঘন্টা কেন বাঁধা হত? যাতে দূর দিয়ে হাঁটা যায়, যাতে হাওয়া না লাগে। হাওয়াও অপবিত্র।
  • robu | 122.79.37.59 | ২৪ জুন ২০১৪ ০৩:৪৩642583
  • বেশ করেছিল তাড়িয়ে দিয়েছিল।
  • Abhyu | 109.172.118.125 | ২৪ জুন ২০১৪ ০৫:২২642584
  • sm | 122.79.37.137 | ২৪ জুন ২০১৪ ০৯:৫৪642585
  • সমস্যা নেই কেন, হাজারবার আছে। ভালো রকম আছে, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছে। সমস্যার অস্ত্বিত্ব স্বীকার না করা তো, চরম অপরিনামদর্শিতা।
    আমার কাছে দলিত দের সমস্যা হলো চরম মানসিক নির্যাতন (উচ্চবর্ণ কতৃক) তার সঙ্গে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা।
    এটা কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষদের সঙ্গেও হয়ে এসেছে আবার ভিন্ন ফর্মে অন্যান্য দেশেও চলছে বা চলবে।
    উদাহরণ দেই, অভ্যু লিঙ্কে, যে ঘটনা টা দেখানো হয়েছে, সেটা হিন্দু অধ্যুসিত অঞ্চলে একটি মুসলমান ছাত্রের সঙ্গেও হতে পারত।
    আবার আজকে কাগজে দেখলাম বুধ ও সিন্হলি সংখাগরিষ্ঠ জনতা তামিল হিন্দু ও মুসলমান সংখ্যা লঘুদের উপর অত্যাচার করছে। দেখুন অতীতে হিন্দু কতৃক বৌধ্হ্দ দের অত্যাচারের মিরর ইমেজ ।
    এরকম প্রচুর উদাহরণ দেওয়া যাই। চৈতন্যদেব চেষ্টা করেছিলেন, যবন হরিদাস কে আলিঙ্গন করে, কিন্তু আগামী দিনের ইতিহাস তাকে নদিয়ার ব্রাম্হন সন্তান বানিয়ে দিল। উনি উচ্চ বর্ণের স্টিগমা ছেড়ে বেরোতে পারলেন না। রামকৃষ্ণদেব ও পারেন নি।
    কিন্তু দেখুন সময়ের বিবর্তনে কেমন মতুয়া সমাজ গড়ে উঠেছে । এখানে উচ্চ বর্ণের ব্যাপার টা বোধ হয় নেই।
    রোগের প্রতিকার কিন্তু, সমাজ সচেতনতা, আইনি সুরক্ষার মাধ্যমেই আসবে।
    সেখানে হীনমন্যতার কোনো জায়গা থাকবে না।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২৪ জুন ২০১৪ ১০:০৫642586
  • এসেম, ব্যাপারটা হয় তো অত সহজও নয়। আর পাঁচটা সংখ্যালঘু নির্যাতনের সঙ্গে ব্যাপারটা মেলানোও যায় না।

    ভারতে দলিতরা সংখ্যালঘু কিনা জানি না, স্ট্যাটিসটিক্স নেই, তবে "দলিত" ট্যাগটা একটা ইরিভার্সিবল জিনিস। বাঙালি চাইলে মহারাষ্ট্রে গিয়ে মারাঠি শিখে নিতে পারে, হিন্দিভাষী চাইলে চেন্নাই গিয়ে তামিল শিখে নিতে পারে (শিখে নেয় না সচরাচর, সেটা অন্য কথা, কারণ না শিখলে সারভাইভাল সংকটাপন্ন হয় না), কিন্তু একজন দলিত চাইলে উচ্চবর্ণ হতে পারে না। দলিতকে যে অপমান সইতে হয় দলিত হবার কারণে, সেটা মানবিকতার অপমান। অন্য তুলনাগুলো আঞ্চলিকতার অপমান, ধর্মের অপমান বলা যেতে পারে, কোনওটারই ইমপ্যাক্ট তেমন জোরালো নয়, যতটা ইমপ্যাক্ট হয় মানবিকতার অপমানে। তুই মানুষই নোস, তোর ছায়া গায়ে লাগলেও আমি অপবিত্র হয়ে যাই, আমাদের কুয়োর জলে তোর অধিকার নেই, আমাদের চলার রাস্তায় তোদের অধিকার নেই, তুই অচ্ছুৎ, তোকে ছুঁলে আমাদের জাত যায়, এ যে কত বড় অপমান, যে সয়, সে জানে।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২৪ জুন ২০১৪ ১০:০৭642587
  • সংখ্যালঘুর ওপর আক্রমণটা সারা পৃথিবীতে চলে। ধর্মের বেসিসে সংখ্যালঘু, ভাষার বেসিসে সংখ্যালঘু, ঈশ্বরবিশ্বাসের বেসিসে সংখ্যালঘু। ভারত চীন বার্মা পাকিস্তান ইরাক আমেরিকা - কোথায় চলে না?
  • sm | 122.79.37.26 | ২৪ জুন ২০১৪ ১১:১০642588
  • ব্যাপার টা অন্য ফর্মে আছে তো। সাউথ আফ্রিকা ই কালো মানুষদের ওপর অত্যাচার দেখুন। তাদের পশুর মত আচরণ করা হত অপেক্ষাকৃত সংখ্যা লঘু সাদা মানুষ কতৃক। দলিত লোকেদের চেয়ে কম কিছু নয়। অত্যাচার ও অপমান হত স্রেফ গায়ের রং কালো বলে।
    অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা তে নেটীব জনতা কে একই রকম অত্যাচার করা হয়েছে, স্রেফ নেটীব বলে।এদের ইমপ্যাক্ট গুলো জোরালই ছিল।
    আবার একটা মজার জিনিস দেখুন, আমাদের বাবা, মায়ের বয়সী লোকজন, সাদা চামড়ার লোকজন কে অধিক শ্রদ্ধা করে, আমাদের জেনেরাশন এর চাইতে। তারা মনে করে, বিদ্যায় বুদ্ধি তে, শাসক হিসেবে যোগ্যতায় ব্রিটিশ সাদা চামড়ার লোক জন এগিয়ে। কিন্তু ঠাকুমার ঠাকুর ঘরে মেমসাহেব ঢুকে পড়লে, সেই ঠাকুর ঘর অপবিত্র হয়ে যাবে, আর মেমসাহেব কে ম্লেচ্ছ বলা হবে। এত এক প্রকার মানসিক দীনতা।
    একই ব্যক্তি কে যোগ্যতর ভাবা হচ্ছে আবার ধর্মীয় ভাবে ম্লেচ্ছ বা অপবিত্র ও মনে করা হচ্ছে।
    দলিত লোকেদের দরকার পর্যাপ্ত আইনি সুরক্ষা, ও অর্থ নৈতিক উন্নয়ন।
    কিন্তু আমূল পরিবর্তন বোধ হয় করতে পারে চৈতন্যদেব এর মত কোনো সমাজ সংস্কারক। যিনি উঠে আসবেন, দলিত সমাজ থেকে, আর উচ্চ বর্ণের লোকেরা তাকে স্বীকার করে নেবে।
    কোনো সরকারের বাপের সাধ্য নেই কোটা প্রথা দিয়ে এই ব্যাধি দূর করবে।
  • সে | 188.83.87.102 | ২৪ জুন ২০১৪ ১১:২১642590
  • sm এর Date:24 Jun 2014 -- 11:10 AM পোস্টকে ক্ক।
  • সে | 188.83.87.102 | ২৪ জুন ২০১৪ ১১:২১642589
  • ভারতে তথাকথিত নিম্নবর্ণরা সংখ্যালঘু নয়।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২৪ জুন ২০১৪ ১১:২৪642591
  • উল্টোদিক আছে বই কি, অবশ্যই। মাত্র কয়েকটা গুণ্ডা টাইপের ছেলে মিলে তিনশো সাড়ে তিনশো ফ্রেশারের কাছে র‌্যাগিং টেরর বনে যায়। মাত্র কয়েকটা ক্ষমতালোভী দুর্বৃত্ত ভোটে জিতে দেশের সোয়াশো কোটি মানুষের ওপর ছড়ি ঘোরায়। মাত্র চার পাঁচটা লোক স্রেফ হাতে বন্দুক পাইপগান থাকার কারণে কয়েকশো ট্রেনযাত্রীর সর্বস্ব লুটে নেয়।

    দলিত কনসেপ্ট নির্মূল করার জন্য সমাজ সংস্কার হওয়াটা জরুরি ছিল। হয় নি। কোটা সিস্টেম চালু করা হয় একটা নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমের জন্য, কথা হয়েছিল তার মধ্যে দলিতদের এগিয়ে আনা হবে এবং সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলে এই জাতপাতের বেরিয়ার ভেঙে ফেলা হবে ওভার দা টাইম।

    হয় নি। রাজনীতি, তার নিজের স্বার্থেই জিইয়ে রেখেছে এখনও এই উঁচু নিচু জাতের কনসেপ্ট। এতে তাদের ভোট পেতে, ভোট ভাঙাতে সুবিধে হয়। আজও উত্তর প্রদেশে, বিহারে এই দলিত রাজনীতির বেসিসেই নেতা নির্ধারিত হয়।

    কোনও সরকারের বাপের সাধ্যি নেই এই কোটা প্রথা দিয়ে এই ব্যাধি দূর করবে - একমত। সুবিধাভোগী এখন দুদিকেই গড়ে উঠেছে, দলিত সমাজেও, উচ্চবর্ণের সমাজেও, তাই আশু সামাজিক আন্দোলনের সম্ভাবনা নেই। সময়ের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু রাস্তা দেখছি না আপাতত।

    একমত নই শুধু টইয়ের হেডিংয়ের সঙ্গে - একমত নই ১৯শে জুন k-র পোস্ট করা গালাগালের সঙ্গে। একটা জ্বলন্ত সমস্যাকে জাস্ট "নেই" বলে ইগনোর করে আম্বেদকরকে বরাহনন্দন বলা, এটার সঙ্গে একমত নই।
  • b | 135.20.82.164 | ২৪ জুন ২০১৪ ১১:৫১642593
  • সম্প্রতি পেশার কাজে ওবিসি নন-ক্রিমি লেয়ার সংক্রান্ত সার্টিফিকেটটি দেখছিলাম। দুটো পার্টঃ একটি ওবিসি ক্যাটেগরি, অন্য একটি অর্থনৈতিক স্ট্যাটাস। দ্বিতীয়টি বছর বছর রিনিউ করতে হয় (অর্থাৎ এই ২০১৪-তে কেউ যদি ২০০৮ এর আয়ের শংসাপত্র নিয়ে আসে, তবে তা না জায়েজ)। মনে হচ্ছিলো, এখানে কিন্তু আয় মাপার একটা বন্দোবস্ত রয়েছে, সেটা-র মধ্যে অনেক ছ্যাঁদা থাকতে পারে, তবে এই ধারণাটারো স্বীকৃতি রয়েছে যে, একটি নির্দিষ্ট আয়ের উপরে চলে গেলে তোমার জন্যে সংরক্ষণ দেওয়া হবে না।
    এটি অন্যান্য বর্গের লোকজনের জন্যে প্রয়োগ করাই যায়।
  • এমেম | 127.194.237.198 | ২৪ জুন ২০১৪ ১২:৩১642594
  • ভারতে কি বেশি? হীনম্মন্যতা আমাদের সকলেরই আছে, ভারতে সবচে বেশি এমন ধারণা থেকে।

    উইকিপিডিয়া এইটা বলছে --

    William Darity and Jessica Nembhard have compared the economic disparities between Dalits and other castes in India, to economic disparities between ethnic/race/caste groups observed in other nations such as Australia, Belize, Brazil, Canada, Malaysia and South Africa. They claim their comparative inquiry across diverse countries refute several conventional wisdoms about intergroup disparity. They note that India has lower level of inter-group inequality than many other nations;
  • এমেম | 127.194.237.198 | ২৪ জুন ২০১৪ ১২:৫৯642595
  • আরেকটা কথা। কিছু উচ্চবর্ণের মানুষ যারা এই বিষয়ে কাজ করেন, প্রায়শ তারা অন্য উচ্চবর্ণের মানুষকে ব্যক্তিস্তরে হ্যারাস করেন। এই প্রবণতা আগে দেখি নি, নেট জগতে এসে দেখেছি। এটাও ঠিক ভালো লাগে নি।

    বলে রাখি যে, আমিও মনে করি ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধিতা একটি ন্যায্য অবস্থান। প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি আইন যে ব্যবহার হচ্ছে না সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্যে চেষ্টা করা খুবই জরুরি। এই যে এটা বলতে হল, এটাই তো ভালো নয়।
  • এমেম | 127.194.237.198 | ২৪ জুন ২০১৪ ১৩:০২642596
  • অর্ত্থাত এই যে এটা বলতে হল, এটাই হীনম্মন্যতা।
  • সে | 203.108.233.65 | ২৪ জুন ২০১৪ ১৩:২৪642597
  • কাস্ট সিস্টেম জিইয়ে রেখেই বা কী লাভ হচ্ছে?
    সর্বাগ্রে সেটাই তো উঠিয়ে দেওয়া দরকার।
  • b | 135.20.82.164 | ২৪ জুন ২০১৪ ১৩:২৭642598
  • কি করে ওঠাবেন?
    আপনি যখন-ই আপনার পুরো নাম বলছেন, তখন ধর্ম, কাস্ট সবই তো সাঁটে বলে দিচ্ছেন।
  • এমেম | 127.194.237.198 | ২৪ জুন ২০১৪ ১৩:৫০642599
  • Ambedkar was much more farsighted on these issues, rejecting the ``Aryan-non-Aryan theory'' as a historical explanation and asserting that caste was vastly different from race. He carefully characterised the enemy not as ``Brahmans'' but as ``Brahmanism,'' which he harshly attacked but defined not in terms of a specific group and simply as "the negation of the values of liberty, equality and fraternity.'' But Ambedkar is not heeded by many of his followers on this issue today. By falling victim to racist / chauvinist attitudes towards ``north Indians'' as a group and ``Brahmans'' as a whole, the Dravidian movement in Tamil Nadu condemned itself to remaining a sectoral force, powerful in its homeland but warped even there and severely handicapped in contributing to an all-India liberatory movement. (From Gail Omvedt, The Dravidian movement.)
  • সে | 203.108.233.65 | ২৪ জুন ২০১৪ ১৪:৫১642600
  • পুরো নাম বলছি কেন? পুরো নাম বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। ইদানীং এক দম্পতি তাদের বাচ্চার নামকরণের সময়ে পদবীটুকু বাদ দিয়ে সেকেন্ড নেম হিসেবে অরেকটা নাম রাখতে চাইছিলো। বাধ সেধেছে সরকার। বাচ্চাটি বিদেশে জন্মেছে কিন্তু সেদেশের সরকার বলল "কেন এমন নাম রাখতে চাইছেন"?
    না পদবী জাতিগত অসাম্যের প্রতীক।
    সেদেশের সরকার বলল - তাইলে ভারত সরকার থেকে সেটা লিখিয়ে আনুন।
    দেখা গেল সে জিনিস লিখিয়ে আনতে গেলে যে পরিমান ঝামেলা, আদৌ হবে কিনা ত্যামন গ্যারান্টি তো নেই ই নেই, উল্টে হেনস্থার চুড়ান্ত হতে হবে।
    তারা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি করে সিদ্ধান্ত নিলো আপাতোক বাচ্চাকে একটা পদবী দেয়া হোক, বাপ বা মায়ের। পরে সে সাবালক হলে নিজেই সেটা ডিলিট করে নেবেখন।
    এই তো অবস্থা।
  • ranjan roy | 24.99.131.21 | ২৪ জুন ২০১৪ ২০:০৮642601
  • সে, সিকি, ও bর বক্তব্যের সঙ্গে একমত।
    সম্প্রতি কেউ কেউ চেষ্টা করছেন জাতিগত পরিচয় সূচক সারনেম না লিখে "জাতি উৎপাটন আন্দোলন" করতে। জানি না কতদূর সফল হবেন। আমার আন্তরিক ইচ্ছা!
  • সিকি | ২৪ জুন ২০১৪ ২০:১৬642602
  • বিহারে অনেকেই নিজের পদবি না লিখে কুমার, কুমারী, রজনীগন্ধা, সুভদ্রা, ইত্যাদি লেখে। এটা অনেকদিন ধরেই চালু কালচার বিহারে।
  • b | 24.139.196.6 | ২৪ জুন ২০১৪ ২২:৪৫642604
  • কুমার যাঁরা লেখেন, তাঁরা সম্ভবতঃ তথাকথিত "নিচু" জাতের।
    আমি একটু আলাদা ইউটোপিয়া পোষণ করি। জাতি থাকুক, কারণ এর মধ্যে একটা সোশ্যাল হিস্ট্রি লুকিয়ে আছে, তবে জাতিগত বিদ্বেষ উবে যাক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন