এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কবিতা নিয়ে ডিস্কোর্সের অভাব ঃ কী ও কেন ?

    sayantan goswami
    অন্যান্য | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | ১৪৪৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sayantan goswami | 233.29.204.178 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:১৫648459
  • এই শতাব্দীতে (২০০০/১ - ২০১৪) আপনার প্রিয় বাঙালী কবিদের নাম লিখুন (যদি লিখতে পারেন) । পত্রিকায়, ফেসবুকে, ওয়াল ম্যাগাজিনে, এদিকে-ওদিকে, যাদের লেখা পড়েছেন, পড়েন তাদের সবাইকে ধরেই লিখুন । এবং যদি সম্ভব হয় এটাও লিখুন যে কবিতা সংক্রান্ত কোনো ডিস্কোর্স, বাদ-বিবাদ সম্পূর্ণ ভাবে কেন বন্ধ হয়ে গেছে বাংলায় (সিনেমা, সাহিত্য, আঁকা প্রভৃতি শিল্পের ক্ষেত্রেও এটা অনায়াসে বলা যায়, কিন্তু আলোচনা জটিল হয়ে যাবে বলে আপাতত কবিতাই থাক) ।

    বহুদিন'যাবৎ দেখছি যে রাশি-রাশি খারাপ কবিতা চতুর্দিকে বীজাণুর মতন ছড়িয়ে থাকে, এবং একটি কবিতা কাটলে সেই ক্ষত থেকে জন্ম নেয় বেসলেস, লজিকহীন কাউন্টার অ্যাটাক । একটা coterie তৈয়ার করা থাকে আগেভাগে, সেটার কলাকুশলীরা সদর্পে এগিয়ে আসে ডিফেন্ড করতে (সিনেমার ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি সত্যি, কিন্তু সেটা এই প্রসঙ্গ থেকে আপাতত দূরে থাক) । এই পুরো ক্রাইসিস্টা বুঝতে চাইছি ।

    আজকাল বড় প্ল্যাটফর্মে ডিসক্লেমার না দিয়ে কথা বলা দুষ্কর, তাই বলে রাখলাম, এখানে কবিতা লিখছে কেন সবাই, বা ভালো হোক মন্দ হো্ক নিজের ইচ্ছে মতন যে যা খুশী কেন লিখবে ইত্যাদি ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে আমার প্রশ্নটা নয়, আমার মূল ইন্টেরেস্ট যে এই পরস্পর পিঠ চুলকুনোর কালচারটা এমন মাথা চাড়া দিয়ে কেমন করে উঠলো । বর্তমানে কবিতা নিয়ে কাঁটাছেঁড়া বলতে গেলে একদমই হয়না, এমন কেন ?
  • mukhyu | 52.104.35.175 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:০৫648470
  • ডিসকোর্স মানেটা যদি একটু বলে দেন----
  • নীী_পা | 113.10.118.60 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:৪০648481
  • উত্তর আধুনিকতার মূল কথা যুক্তির (reason) বিরুদ্ধে প্রবল বিদ্রোহ, একে সম্পূর্ণ নির্বাসন দেয়া। যদি কথাটা এমন জোর দিয়ে নাও বলা যায়, তবুও অন্তত এইটুকু বলতেই হবে, উত্তর আধুনিকতা যুক্তিকেই একমাত্র সত্য বলে মনে করে না; বরং মনে করে, অনেক ন্যারেটিভের মধ্যে যুক্তি কেবল একটি মাত্র ন্যারেটিভ।

    ডিসকোর্স বলতে কী বোঝায়? এ বিষয়ে ফুকো তার ‘দ্য আর্কিওলজি অব নলেজ’ (এ. এম. সেরিড্যান অনূদিত) এ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তার উত্তর, প্রতিটি বিষয় যেমন: দর্শন, ইতিহাস, বিজ্ঞান বা সাহিত্য- এক একটি ডিসকোর্স; এবং যে কোনো বিষয়ে ডিসকোর্স এক বিশেষ জাতীয় উক্তি সমূহের বিধিবদ্ধ রূপায়ণ। এবার প্রশ্ন, উক্তি বা স্টেটমেন্ট কী? এ বিষয়েও ফুকো বিশদ আলোচনা করেছেন। কিন্তু তা বুঝে ওঠা বেশ কঠিন। এ ব্যাপারে আমাদের সুবিধা হয় যদি আমেরিকান দার্শনিক জে. আর. সার্লের সঙ্গে ফুকোর যে ভাব বিনিময় হয়েছিল সেটি চোখের সামনে রাখি (হার্বার্ট ড্রেফার্স ও পল র‍্যাবিনো, মিশেল ফুকো: বিয়ন্ড স্ট্রাকচারিলিজম অ্যান্ড হার্মিনিউটিকস দ্রষ্টব্য)। তখন জানতে পারি উক্তি বা স্টেটমেন্ট বলতে ফুকো যা বোঝেন ইংরেজি দার্শনিক জে. এল. অস্টিনের স্পিচ অ্যাক্ট বা ভাষা-ক্রিয়ার সঙ্গে তার বিশেষ মিল আছে। অস্টিনের এই মত অনুসারে কথাবলার অর্থ কোনো কিছু করা যেমন: বর্ণনা করা, আদেশ বা অনুরোধ করা ইত্যাদি। ভাষা-ক্রিয়ার তিনটি অংশ আছে: (ক) লোকিউশানারি অ্যাক্ট, যখন কোনো অভিপ্রেত অর্থ (meaning) পৌঁছে দেয়ার জন্য এবং কোনো বস্তুকে নির্দেশ (reference) করার জন্য বাক্য ব্যবহার করি; (খ) ইলোকিউশনারি অ্যাক্ট, যখন কিছু বলার জন্য, আদেশ বা সতর্ক করার জন্য বাক্য ব্যবহার করি; (গ) পারলোকিউশনারি অ্যাক্ট, যখন শ্রোতার ওপর প্রভাব বিস্তার করার জন্য, তার বিশ্বাস উৎপাদনের জন্য বাক্য ব্যবহার করি।

    অস্টিনের এই ভাষা-ক্রিয়ার সঙ্গে যদি ফুকোর স্টেটমেন্ট এর মিল থাকে, তবে ফুকোর ডিসকোর্স বলতে বোঝায় কোনো বিষয়ে এক শ্রেণীর উক্তি- যার উদ্দেশ্য প্রথমত কিছু বলা (ইলোকিউশনারি অ্যাক্ট) দ্বিতীয়ত, যে বলার একটি পারলোকিউশনারি ক্ষমতা আছে, অর্থাৎ যে বলা আমাদের বিশ্বাস উৎপাদনে সমর্থ। একটি উদাহরণ দিয়ে আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার করা যায়। ধরা যাক, ‘অসুস্থ রাম ক্রমশই সুস্থ হয়ে উঠছে’- এই উক্তিটি। এই উক্তি আমাদের কিছু বলছে যা অবহিত করছে। এই উক্তিটি অসুস্থ রামের সুস্থ হয়ে ওঠার কথা বলছে। আমরা এর অর্থ বুঝতে পারি এবং সত্য কি না তার নির্ধারণ করতে পারি। এই উক্তিটি যদি কোনো চিকিৎসক করেন তবে তা আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। যদি উপরের আলোচনা যথার্থ হয় তবে বলতে হবে স্পিচ অ্যাক্ট বা ভাষা ক্রিয়ার প্রেক্ষাপটেই ফুকোর স্টেটমেন্ট বা ডিসকোর্সের তাৎপর্য বেরিয়ে আসে। অবশ্য নিঃসন্দেহে একথা বলা যায় কি না তাও ভাবতে হবে। কারণ দি আর্কিওলজি অব নলেজ এ ফুকো এমন কথাও বলেছেন যে স্টেটমেন্ট বা উক্তি (ফুকোর ভাষায়, enonce) ভাষা-ক্রিয়া নয়। তবে কি ধরে নিতে হবে স্টেটমেন্ট বা উক্তি বলতে আমরা সাধারণত যা বুঝি তার ইঙ্গিত সেইদিকেই? স্টেটমেন্ট বলতে আমরা বুঝি বক্তব্যের বিষয় বা কনটেন্টকে- যাকে প্রোপজিশন বা বচন বলা হয় এবং যেখানে সত্য বা মিথ্যার প্রশ্নটি বড় হয়ে ওঠে। যদি তাই হয়, তা হলে ডিসকোর্স প্রসঙ্গে ভাষা-ক্রিয়া হিসেবে দেখা সংগত হবে না, বরং অস্টিন যাকে লোকিউশনারি অ্যাক্ট বলেছেন, যা প্রোপজিশন বা বচনেরি নামান্তর, সেই লজিক্যাল অংশটুকু সমর্থন করে বলে ধরে নিতে হবে। ফুকোর যে এখানে কনফিউশন নাই তা নয়। তবে এসব প্রশ্নের মধ্যে না গিয়ে আমরা গুরুত্ব দেব মৃত্যুর আগে সার্লের সঙ্গে আলোচনায় ফুকো স্টেটমেন্ট সম্পর্কে যে সিদ্ধান্তে এসেছিলেন তাকেই। তাই আমরা স্পিচ অ্যাক্ট বা ভাষা-ক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই স্টেটমেন্টকে দেখবো। এই সঙ্গে মনে রাখবো ফুকো ও অস্টিনের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য। স্টেটমেন্টকেন্দ্রিক ডিসকোর্স বা ভাষা-ক্রিয়ার যে একটি প্রাতিষ্ঠানিক পটভূমি আছে যে বিষয়ে ফুকো যতটা সোচ্চার অস্টিন ততটাই নীরব। এখানে বরং অস্টিনের চেয়ে সার্লের সঙ্গে তার মিল অনেক বেশি। ডিসকোর্স কী তা বলার পর ফুকো এবার ডিসকোর্সের বৈশিষ্ট্য, পৃথকীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে বিশদ বর্ণনা দিচ্ছেন।

    প্রথমত, আমরা তাকে এইভাবে সাজিয়ে দিচ্ছি। ডিসকোর্সের ক্ষেত্রে বক্তা ও স্থানের একটি ভূমিকা আছে। আমরা সবাই জানি বক্তব্য বা মতামত প্রকাশ করার জন্য একটি বিশেষ জায়গা বা মাধ্যমের অপরিহার্যতা যেমন: জার্নাল, বক্তৃতাগৃহ অথবা গবেষণাগার কিন্তু শুধু স্থান নয়, ব্যক্তির ভূমিকাও সমান উল্লেখযোগ্য। বক্তা যদি যোগ্য না হন, যদি তার অধিকার না থাকে তবে তার কোথায় বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে না। ‘অস্ত্রোপচারের পর রাম ক্রমশই সুস্থ হয়ে উঠছে’- একথা একজন চিকিৎসক বললে যেমন আস্থা অর্জন করবে, একজন সাধারণ মানুষ বললে তা হবে না। এর কারণ চিকিৎসাশাস্ত্রে চিকিৎসকের বিশেষ নৈপুণ্য বা পারদর্শিতা। চিকিৎসকের কথা বা ডিসকোর্সে অন্যদের এই বিশ্বাসের উৎস চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি, চিকিৎসক মহলে এক বিশেষ ঐকমত্য সমর্থন। প্রত্যেক ডিসকোর্সের পিছনেই এক একটি বিশিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো থাকে। এই ইনিস্টিটিউশনাল সেটিং বা কাঠামো একটি বিষয়ের ডিসকোর্সকে চিহ্নিত করে এবং অন্য বিষয়ের ডিসকোর্স থেকে তাকে পৃথক করে। অবশ্য এই বিষয়ে যেমন চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিসকোর্স পাল্টে যেতে পারে। সেখানেও প্রাতিষ্ঠানিক অবদান আছে। যদি কোনো কারণে চিকিৎসকদের ওপর, অথবা তাদের কথায় আমাদের আস্থা হারিয়ে যায়, তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের যে ঐকমত্যতার ধারক তাও নিরালম্ব হয়ে পড়বে। এর ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন একটি ডিসকোর্স তৈরি হবে।

    দ্বিতীয়ত, ফুকো বলেছেন, প্রতিটি ডিসকোর্স এক বিশেষ বস্তুর কথা বলে এবং ডিসকোর্স অনুযায়ী এই বস্তুও ভিন্ন হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় কথা, এই বস্তু কী হবে তা ডিসকোর্সই তৈরি করে। যেমন: মনঃসমীক্ষণে যে ধরনের কথা বলা হয়, যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হয় তার উদ্দিষ্ট বিষয় বা বস্তুর মানসিক রোগ। মনঃসমীক্ষণের ভাষা-নিরপেক্ষ মানসিক রোগ নামক বস্তুটির কোনো অস্তিত্ব নেই। তেমনি অন্যান্য ডিসকোর্স বা ভাষা, কোনো বস্তুর কথা বলে তা জানতে গেলে সেই ভাষার মধ্যেই তাকে খুঁজে নিতে হবে। তাহলে কি এই কথাই দাঁড়ায় যে ফুকো যা বলেছেন তা একধরনের ভাষাগত ভাববাদ? মনে হয় সাধারণত ফুকোর ইঙ্গিত সেইদিকেই। ভাষা বা ডিসকোর্সের বাইরে বস্তুর কোনো নিরপেক্ষ অস্তিত্ব নেই তিনি যেন সেই কথাই বলেছেন।

    তৃতীয়ত, প্রত্যেক ডিসকোর্সে যে উক্তি বা স্টেটমেন্টগুলি থাকে সেখানে বিশেষ প্রত্যয় (কনসেপ্ট) ব্যবহার করা হয়। এই প্রত্যয়গুলি ডিসকোর্স ভেদে ভিন্ন। অথবা, এক ডিসকোর্সে যে প্রত্যয় ব্যবহার করা হয় অন্য ডিসকোর্সে ব্যবহৃত প্রত্যয় থেকে তা একেবারেই আলাদা। এর কারণ ডিসকোর্সের ভিত্তি হচ্ছে স্টেটমেন্ট বা উক্তি এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যয়ের তাৎপর্য নির্ভর করে। যেহেতু প্রত্যেক ডিসকোর্সের উক্তিগুলো স্বতন্ত্র, সেজন্য প্রত্যয়গুলিও স্বতন্ত্র। এক ডিসকোর্সের প্রত্যয়ের সঙ্গে অন্য ডিসকোর্সের প্রত্যয়ের, দার্শনিক কুনোর ভাষায়- দুস্তর ব্যবধান।
    চতুর্থত, প্রতিটি ডিসকোর্সের পিছনে এক বিশিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি, যুক্তির একটি বিশিষ্ট ছক থাকে। যুক্তির এই ছক দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী বিভিন্নভাবে সাজানো হয়ে থাকে বিভিন্ন ডিসকোর্সে। উদাহরণ হিসেবে বিবর্তনের তত্ত্বটি ধরা যাক। ডারউইন যখন প্রথম জীব-বিবর্তনের কথা বলছিলেন তখন তিনি মনে করেছিলেন, প্রক্রিয়াটি অনেক সময় ধরে চলবে। কিন্তু গুল্ড ও এলডরিজ প্রমুখ বিজ্ঞানীরা অন্যরকম কথা বললেন। তাদের মতে, এই বিবর্তন পক্রিয়া খুব দ্রুত ঘটতে পারে। সুতরাং ডারউইনের ডিসকোর্স এবং এলডরিজের ডিসকোর্সের মধ্যে পার্থক্য রচনার ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র বক্তব্য, দৃষ্টিকোণ ও যুক্তি প্রয়োগের বিশেষ অবদান আছে।

    ঋণ : কল্যাণ সেনগুপ্ত
  • নীী_পা | 113.10.118.60 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৪৩648492
  • .

    এইটাও কেউ কেউ কইছে -------------

    late Middle English (denoting the process of reasoning): from Old French discours, from Latin discursus 'running to and fro' (in medieval Latin 'argument'), from the verb discurrere, from dis- 'away' + currere 'to run'; the verb influenced by French discourir.

    ....

    ন্যান এইবার বল আপনাগো কোর্টে গো বাবু-বিবি মশাইরা
    খ্যালেেন দিখি মন লাগাইয়া .............
  • ranjan roy | 24.98.197.204 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৬:১৮648503
  • nee_ paa,
    অনেক অনেক হাততালি, মুগ্ধতা, এনকোর ইত্যাদি। সদর্থে; নো খিল্লি!
    এত কম জায়গায় এত সুন্দর করে একটা প্রেক্ষিত তৈরি করে দেওয়া।
    এবার কবি ও কবিতার টীকাকাররা মাঠে নামুন।ঃ))
  • ranjan roy | 24.98.197.204 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৬:২৬648514
  • কমরেড লেনিন বহু আগেই বলে গেছেন যে ভাল গদ্য লেখার থেকে না-ভাল-না-মন্দ কোবতে লেখা সহজ। তারপর হাতে গরম প্রমাণ দিতে গিয়ে নিজেই একটি কবিতা লিখে বন্ধুকে দেখালেনঃ
    " সে এক ঝোড়ো বছর,
    ঝঞ্জা ছেয়ে ফেলল সারা দেশ-
    ---------
    মদের বোতল হাতে খিস্তি করতে করতে বরফের ওপর দৌড়ুচ্ছে
    মাতালের দল।
    -------
    ( অনুঃ অরুণ মিত্র)
    ন্যান, এতেও যদি কমরেডরা উত্তেজিত, প্রলুব্ধ না হন তো বাৎসায়ন বৃথা!
  • কল্লোল | 125.242.170.237 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১১:৩২648525
  • ফেসবুকের দৌলতে কবি ভয়ানক রকম বেড়ে গেছে। শুধু কবি নয় দার্শনিকও বেড়ে গেছে হুহু করে।
    তাই ও নিয়ে আর অলোচন/তর্ক হয় না।
  • Blank | 69.93.240.194 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:৪৮648536
  • মানুষ কবিতা লেখার জন্য লিপি আবিষ্কার করেনি। দয়া করে লিপি এবং ভাষার অপব্যাবহার বন্ধ করুন।
  • ranjan roy | 24.98.35.179 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৩:২১648547
  • ব্ল্যাংকি,
    ঃ)))))
  • Tim | 188.91.253.21 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৩:৩৪648460
  • খুবই সত্যি কথা। অনুরূপে, লেন্সের আবিষ্কার হয়েছিলো নানান ব্যবহারিক প্রয়োজনে অতএব ক্যামেরায় সেসব লাগিয়ে সৌখিন আদিখ্যেতা ও অপচয় বন্ধ করুন। ;-)
  • Blank | 69.93.240.194 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৪:৫৮648461
  • :-D
    কিন্তু ভেবে দেখুন, প্রথম লেন্স আবিষ্কার হয়েছিল আগুন ধরানোর জন্য। আপনারা তারপর দেশলাই আবিষ্কার করে ফেললেন বলেই আমাদের ক্যামেরা বানাতে হলো।
  • Tim | 188.91.253.21 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৫:২১648462
  • ঃ-)

    এইতো হয়ে এসেছে। বাংলাভাষার যা ব্যবহারিক প্রয়োগ এই মুহূর্তে তাতে ঐ শখের ছবিছাবা তোলাই সম্ভব, রোজকার দেশলাই হওয়া সম্ভব না। তা, এতো কুটির শিল্প, এর আর অপচয় কি, যত বেশি হয় ততই ভালো তো। বরং কবিতার খড়কুটো দিয়ে বাংলাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কবিদের মিছিলকে ধন্যবাদ দিন।
  • Blank | 69.93.240.194 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৫:৩২648463
  • হায় বাংলা ভাষা - আবপ আর কবিদের ছারা গতি নেই ঃ(
  • ranjan roy | 24.98.25.147 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৫:৩৬648464
  • একটি বিনীত প্রশ্নঃ
    সাহিত্যের আদিরূপ তো কবিতা?" গদ্য তো পরে এসেছে বলেই জানতাম। খেয়াল করুন, সাহিত্য বলেছি কথাবার্তা বলিনি।
    ভুল জানতাম কি? তাহলে ধরিয়ে দিন।
  • Blank | 69.93.240.194 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:১৫648465
  • সেই বাল্মীকির কবিতা
    मां निषाद प्रतिष्ठां त्वमगमः शाश्वतीः समाः।
    यत्क्रौंचमिथुनादेकम् अवधीः काममोहितम्॥'

    এই দুটো লাইন যদি কবিতা হয় তো, নীচের দুটো কি দোষ করলো !!



    কি সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা।
  • Blank | 69.93.240.194 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:১৭648466
  • এবং আদি লেখা এমন ই ছিল। নাম্বার - হিসেব রাখার জন্য
  • ranjan roy | 69.161.70.180 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৮:৪৮648467
  • কেন? আরও আগে বেদে " ঊর্বশী-পুরুরবা সংবাদ", ঃ
    " নিদয়া ঊর্বশী, দাঁড়াও একবার দুজনে কথা বলি,
    না হলে জ্বলে যাব, তুষ্ণী যাতনায় শেষের সন্ধ্যায়"।
    বা গ্রীক কবিতা অ্যান্টিকুইটির।
    বা ওল্ড টেস্টামেন্টের।

    দ্রঃ " হাজার বছরের প্রেমের কবিতা" সম্পাদনাঃ অবন্তী কুমার সান্যাল ও জয়ন্তী সান্যাল।
  • Kaju | 131.242.160.210 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৮:৫৬648468
  • না এসব ভালো পদ্য না। ব্ল্যাঙ্কুদার দেয়া অ্যালজেব্রার কবিতাটা দুর্দান্ত। লাইনগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে একটা সাদা কালো ডোরাকাটা জেব্রার ছবি ভেসে ওঠে। যেমন ভাস্কর চক্কোত্তি 'জিরাফের ভাষা', তেমনি 'জেব্রার ভাষা'। জেব্রারা অ্যালজেব্রায় কথা বলে।
  • ranjan roy | 69.161.70.180 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:০৫648469
  • অ্যালজেব্রার ডোরাকাটা যত ছবি,
    ক্যালকুলাসের কেলাসিত যত দন্ত,
    দেখলে তোমার পেট গুড় গুড় কবি,
    বক্ররেখায় ছুটে যেতে চায় মন তো!

    ইকুয়েশন আর আইডেন্টিটি যত,
    ওদের তফাৎ ? ঠিক যেন কুচো কৃমি,
    ম্যাট্রিক্স আর ভেক্টরে মোলাকাতে
    পেট চেপে যত কবিকুল করে বমি।
  • | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:২৫648471
  • এদিকে কাল এটাকে ফোনে পড়লাম 'কবিতা নিয়ে ডিভোর্সের অভাব'। পড়ে আবার খানিকক্ষণ ভাবলাম এতদ্বারা কবি কী বলিতে চাহিয়াছেন? আজ ঢুকে দেখি এই ব্যপার।
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২১:৫০648472
  • নী__পা মশাইয়ের Date:09 Sep 2014 -- 11:40 PM পড়ে খুব স্যাঁতস্যাঁতে ও কাতর হয়ে পড়েছি। কলেজবেলায় আঁতলামির স্বর্ণযুগের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। এধরণের লেখায় ছেয়ে থাকত চতুর্দিক। মাঝে মাঝে পত্রিকায় জায়গা না পেলে দেওয়ালেও লিখে রাখত। গড়িয়া যেতে, বাঁশদ্রোণী যেতে, কেষ্টপুর যেতে, সিঁথির মোড়ে, ঘুটিয়ারি শরিফের স্টেশনে এসব লেখা থাকত। সবাই বলত, "কত জানে"!
  • sch | 233.223.151.253 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:২৫648473
  • সায়ন্তনের বক্তব্যে দুটো জিনিস বুঝলাম না -

    ১) কবিতা নিয়ে কাটা ছেঁড়া জরুরী কেন ? মানে কাটা ছেঁড়া না করলে কি কবিতা চর্চা হয় না? কবিতার অর্থ যে যার মতো করে বুঝুন না - ক্ষতি তো নেই।কেউ একটা কবিতা পড়ে তিনটে অনুভূতি পেতে পারেন - ভালো লাগল, খারাপ লাগল, বা বুঝলাম না। এর বাইরে তো কিছু হওয়া সম্ভব বলে মনে হয় না
    একটা কবিতার অর্থ শুধুই কবি যে ভাবে বলতে চাইছেন তার থেকে অন্য ভাবে কেউ যদি বোঝেন তাতে ক্ষতি কি?

    ২) "রাশি-রাশি খারাপ কবিতা চতুর্দিকে বীজাণুর মতন ছড়িয়ে থাকে, " - সে তো আগেও থাকতো - লিটল ম্যাগের পাতায়, দেওয়াল পত্রিকায়। ফেসবুক বা সোস্যাল মিডিয়া একটা প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। এতে অনেক কবিতা যেগুলো ডায়েরি বন্দী হয়ে থাকতো সেগুলো লোক সমক্ষে আসছে। ক্ষতি কি - কারো ভালো না লাগলে সে পড়বে না। পারষ্পরিক পীঠ চাপডানির সাথে সাথে কিন্তু মানূষের কবিতা সম্বন্ধে আগ্রহ বাড়ছে। সহজ কবিতা পড়তে পড়তে একদিন কেউ যখন দেখবে নাহ কয়েকটা কবিতার মানে তো বুঝতে পারছি না - কিন্তু অনেকে এর স্বাদ পাচ্ছে - আমিই পাচ্ছি না, তখন সে হয়তো আরেকটু ভেতরে ঢোকার - আরো জানার চেষ্টা করবে - ক্ষতি তো নেই এতে

    আখেরে কবিতার ভালোই হচ্ছে
  • | 183.17.193.253 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২২:৫২648474
  • এই সায়ন্তন গোস্বামী কি যাদব্পুরের বাংলা বিভাগের সায়ন্তন?বহরমপুরের বাসিন্দা? উত্তর হ্যাঁ হলে সে কিছু কথা ছিলো, না হলে ইগনোরঃ)
  • harican | 172.136.192.1 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:০৬648475
  • কাটাছেঁড়াটা কবিতাপ্রয়াসীদের জন্যে বিশেষত দরকার আরকি।

    তবে সে যদি হয়ও আপনারা তো বড় কবিদের নিয়ে করবেন, পাড়াস্তরের লোকাল ছোট কবিদের তো আপনারা ধর্তব্যে আনেন না। তো আমার আর কি।

    অবশ্য, কাটাছেঁড়া করে দেখা গেল কেবলি নিন্দামন্দ বেরুচ্ছে, তারচেয়ে এই ভালো বাপু।
  • haricharan | 172.136.192.1 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:২৪648476
  • রাশি রাশি খারাপ কবিতার সমস্যা হলো, সেগুলি পড়তে পড়তে কবিতার প্রতি একটা বিজাতীয় রক্তপিপাসু আক্রোশ জন্মে যায়। কবিতাকে তো আর হাতের কাছে পাওয়া যায়না তাই খারটা লোকে কবিদের ওপরেই মেটাতে চায়। নাহলে ঠিকই আছে। এদিকে কবিরা তো কবিতা লিখবেনই আর নাহলে তাঁরা কবি হলেন কিসে। আর ছাপানোর জায়গা পেলে ছাপাবেন এও অতি সরল সত্য। আবার পাঠকদেরও পড়ার আগে কিছু বোঝার উপায় নেই। তো এইসব আলোচনাগুলি হলে কবি এবং পাঠক সবাই একটু নিরাপদে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে পারবে।
  • sch | 233.223.148.212 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৬:৪৮648477
  • বুঝলাম না - কি করে? আলোচনা হলেই খারাপ কবিরা ভালো হয়ে যাবেন? নাকি লেখা বন্ধ করে দেবেন।

    ধরুন আমার আর আপনার মমতার কবিতা জঘন্য লাগে। আমরা তো দুটো পড়ার পর আর পড়বই না । নাম দেখলেই স্কিপ করে যাব। কিন্তু কোনো মানুষের যদি মনে হয় আমি বেশ বুঝতে পারি এই কবিতাগুলো তাহলে কি তাদের মূর্খ বলব নাকি বলব ডিস্কোর্স করে বোঝাই কেন ওইগুলো খারাপ।

    ধরা যাক আমার ব্যক্তিগত ভাবে শ্রীজাতের কবিতা খুব ভালো লাগে। অনেক কবিতাই পড়লে বুঝতে পারি, প্রেক্ষিত বোঝার জন্যে বিশাল জ্ঞান,ভান্ডার লাগে না , অল্প জ্ঞানেও বুঝতে অসুবিধে হয় না। কিন্তু তথাকথিত কিছু "জ্ঞানী" কবির কথা আমি শুনেছি ফেসবুকের পাতায় যারা বলেন শ্রীজাত বাংলা কবিতার সর্বনাশ করে দিচ্ছেন। তার ছন্দ মেলানো লেখা পড়ে লোকের মনে হচ্ছে কবিতা লেখা ভীষণ সহজ আর লোকে ঝটপট লিখতে বসে যাচ্ছে।

    এখন কাটা ছেঁড়া করে কি হবে? "জ্ঞানী" মানুষ আমায় বোঝালেন উত্তর আধুনিক কবিতা, কবিতায় ভাষার ব্যবহার ইত্যাদি অনেক কিছু - এবং প্রমাণ করলেন শ্রীজাতের কবিতা যথেষ্ট উচ্চমানের নয় - তাতে আমার ভালো লাগা চলে যাবে?

    শতকারা ৯০% মানুষ কবিতা পড়েন বিনোদনের জন্য। কবিতা পড়ে যে

    কিছু কবি কবিতাকে মুষ্টিমেয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রেখে নিজেদের সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্স চরিতার্থ করতে না চাইলেই কবি ও পাঠক চমৎকার সহাবস্থা করতে পারবেন।
  • rivu | 108.235.164.224 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১০:৩৯648478
  • কোন কবিতা কেন ভালো লাগা উচিত তা নিয়ে বোধ হয় গুচ্ছ গুচ্ছ বই লেখা হয়েছে, কেন খারাপ লাগা উচিত সে নিয়ে কিছু লেখা হয়েছে কি?
  • sch | 192.71.182.106 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১০:৫৭648479
  • কোন কবিতা কি ভাবে পড়া উচিত নিয়ে বই আছে শুনেছি - কিন্তু কেন ভালো লাগা উচিত তাই নিয়েও আছে? দু একটা নাম বলুন না - পড়ে দেখব - যদি বুঝতে পারি।

    ধরুন আজ কোনো পদার্থবিদ বা ডাক্তার বললেন তাঁর রবীন্দ্রনাথের কবিতা ভালো লাগে না, প্যানপ্যানে মনে হয়। তো তিনি কি রবীন্দ্র কাব্য চর্চা পড়ে বই ভালো লাগানোর চেষ্টা করবেন? ভালো লাগা কি সে ভাবে আসে?
  • র না ঠা | 24.99.81.161 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:৩৪648480
  • "আমাদের জাহাজের যাত্রীদের মধ্যে কেহ কেহ সন্ধ্যার সময় গান-বাজনা করিয়া থাকেন। যখনি সেরূপ বৈঠক বসে আমিও সেই ঘরের এক কোণে গিয়া বসি। বিলাতি গান আমার স্বভাবত ভালো লাগে বলিয়াই যে আমাকে টানিয়া আনে তাহা নহে। কিন্তু, আমি নিশ্চয় জানি, ভালো জিনিস ভালো লাগার একটা সাধনা আছে। বিনা সাধনায় যাহা আমাদিগকে মুগ্ধ করে তাহা অনেক সময়েই মোহ এবং যাহা নিরস্ত করে তাহাই যথার্থ উপাদেয়। " (অন্তর - বাহির , র না ঠা)
  • কল্লোল | 111.59.23.179 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৫:০১648482
  • আমার খুব প্রিয় কবিতার একটা। কাঁটাছেঁড়া হোক এটা নিয়ে। অবশ্য যদি তার যোগ্য মনে হয়।

    পাখীরা মানুষেরা - সংহিতা বন্দ্যোপাধায়

    কোন এক গভীর অরণ্য থেকে
    পাখীগুলো আসে
    অথবা হয়তো কোন জলাশয়।
    ডানা ওঠে ডানা নামে ভারী বাতাসে।
    রাত থেকে রাত,
    নতুন ঘাসের খোঁজে নতুন জলে।
    পরাগ রেনুর মতো
    তার পাখনায় লেগে থাকে
    জন্মের নতুন রং।
    তারপর জল ছাড়িয়ে
    তারপর বন হারিয়ে
    শহর,
    কথার শহর।
    যেখানে আকাশে, বাতাসে,
    অধিকার নেই
    একসাথে পা ফেলার অধিকার।
    তখনই আপন হয় পাখীরা।
    ছেঁড়া ছেঁড়া ভাষা ওড়ে হাওয়ার সাথে,
    পাখী না মানুষ,
    কে জানে।
    কোন চরাচর থেকে শূন্যতা নেমে আসে।
    কোন পথঘাট থেকে পায়ে পায়ে ওড়ানো ধূলো।
    কোন শব্দ
    ফুরাতে ফুরাতে নিভে যায়
    কোন গান বেড়ে ওঠে লতার মতো।
    পাখীরা নিয়ে আসে
    এই সব কিছু।
    ডানা ওঠে ডানা নামে ডানা ঘামে পাহাড়ের গায়
    ওপাড়েই আছে যার গাঢ় নীল পথ।
    সেইখানে প্রাণ খুলে উড়ে বেড়নোর সাধ
    যন্ত্রনা হয়ে ভাসে
    ভেজা বাতাসে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন