এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তানিম মাহবুব রাজু | 15.152.200.204 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:৪৭651723
  • কলকাতার তথাকথিত শ্রেষ্ঠ বাংলা সাহিত্যিক, আর বাঙালী মুসলিম বিরোধী সাহিত্যিক যে একই কথা তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কলকাতার জনজীবনটিই আবর্তিত হচ্ছে হিন্দুয়ানিকে ঘিরে। উল্লেখ্য, হিন্দুয়ানিতে হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস আবশ্যিক নয়, আবশ্যিক নয় আস্তিক হওয়াও। বরং মুসলিম বিদ্বেষ থাকাই হল হিন্দূয়ানি পালনের প্রধান শর্ত(১)

    ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

    কলকাতার হিন্দুয়ানির এবং কলকাতার মুসলিম বিরোধী সাহিত্যের আলোচনায় অবধারিতভাবেই উঠে আসবে বাঙালী মুসলিমের সাথে কলকাতার বাঙালীর দ্বিচারিতার প্রসঙ্গ। যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নিজে "মহেশ" নামের ছোটগল্পে নিতান্ত ইতিহাস বিকৃতি এড়াতেই হিন্দূ জমিদারের দ্বারা মুসলমান প্রজার উপর অত্যাচার বর্ণনা করেছে, সেই শরৎচন্দ্রের প্রচণ্ড মুসলিম বিদ্বেষ প্রকাশিত হয় যখন সে লেখে (২)

    "মুসলমান যদি কখনও বলে—হিন্দুর সহিত মিলন করিতে চাই, সে যে ছলনা ছাড়া আর কি হইতে পারে, ভাবিয়া পাওয়া কঠিন ............ হিন্দুনারীহরণ ব্যাপারে সংবাদপত্রওয়ালারা প্রায়ই দেখি প্রশ্ন করেন, মুসলমান নেতারা নীরব কেন? তাঁহাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা যে পুনঃ পুনঃ এতবড় অপরাধ করিতেছে, তথাপি প্রতিবাদ করিতেছেন না কিসের জন্য? মুখ বুজিয়া নিঃশব্দে থাকার অর্থ কি? কিন্তু আমার ত মনে হয় অর্থ অতিশয় প্রাঞ্জল। তাঁহারা শুধু অতি বিনয়বশতঃই মুখ ফুটিয়া বলিতে পারেন না, বাপু, আপত্তি করব কি, সময় এবং সুযোগ পেলে ও-কাজে আমরাও লেগে যেতে পারি"

    ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

    কলকাতার সমাজের ক্ষেত্রে আমরা যদি দ্বিচারিতাকেই সৌজন্য হিসাবে গণ্য করি, তবে বলতে হয় বঙ্কিমচন্দ্রের সে সৌজন্যও ছিলো না। বঙ্কিম তার "আনন্দমঠ" অপন্যাসে ব্রিটিশদের সাথে হিন্দূদের "সন্তান দল" এর মানিয়ে চলার উপদেশ দিয়েছে এবং মুসলিমদের "নেড়ে" সম্বোধন করে লিখেছে (৩)-

    "সেই এক রাত্রের মধ্যে গ্রামে গ্রামে নগরে নগরে মহাকোলাহল পড়িয়া গেল। সকলে বলিল, “মুসলমান পরাভূত হইয়াছে, দেশ আবার হিন্দুর হইয়াছে। সকলে একবার মুক্তকণ্ঠে হরি হরি বল |” গ্রাম্য লোকেরা মুসলমান দেখিলেই তাড়াইয়া মারিতে যায়। কেহ কেহ সেই রাত্রে দলবদ্ধ হইয়া মুসলমানদিগের পাড়ায় গিয়া তাহাদের ঘরে আগুন দিয়া সর্বস্ব লুঠিয়া লইতে লাগিল। অনেক যবন নিহত হইল, অনেক মুসলমান দাড়ি ফেলিয়া গায়ে মৃত্তিকা মাখিয়া হরিনাম করিতে আরম্ভ করিল, জিজ্ঞাসা করিলে বলিতে লাগিল, “মুই হেঁদু |”

    দলে দলে ত্রস্ত মুসলমানেরা নগরাভিমুখে ধাবিত হইল। চারি দিকে রাজপুরুষেরা ছুটিল, অবশিষ্ট সিপাহী সুসজ্জিত হইয়া নগররক্ষার্থে শ্রেণীবদ্ধ হইল। নগরের গড়ের ঘাটে ঘাটে প্রকোষ্ঠসকলে রক্ষকবর্গ সশস্ত্রে অতি সাবধানে দ্বাররক্ষায় নিযুক্ত হইল। সমস্ত লোক সমস্ত রাত্রি জাগরণ করিয়া কি হয় কি হয় চিন্তা করিতে লাগিল। হিন্দুরা বলিতে বলিতে লাগিল, “আসুক, সন্ন্যাসীরা আসুক, মা দুর্গা করুন, হিন্দুর অদৃষ্টে সেই দিন হউক।” মুসলমানেরা বলিতে লাগিল, “আল্লা আকবর! এত‍না রোজের পর কোরাণসরিফ বেবাক কি ঝুঁটো হলো ; মোরা যে পাঁচু ওয়াক্ত নমাজ করি, তা এই তেলককাটা হেঁদুর দল ফতে করতে নারলাম। দুনিয়া সব ফাঁকি।” এইরূপে কেহ ক্রন্দন, কেহ হাস্য করিয়া সকলেই ঘোরতর আগ্রহের সহিত রাত্রি কাটাইতে লাগিল।"

    পশ্চিমবঙ্গের গবেষক ড. অরবিন্দ পোদ্দারের মতে,

    "… বঙ্কিমচন্দ্র জাতীয়তাবাদকে একটা ধর্মীয় আধ্যাত্মিক আলোকে মন্ডিত করে। ভারতবর্ষ নামক যে একটি ভৌগোলিক সত্তা, তাকে সে মাতৃরূপে উপলব্ধি করতে চেয়েছে, এই মাতৃভাবনা স্বর্গীয় দেবী ভাবনার সমতুল্য। ‘বন্দে মাতরম’ সঙ্গীতে সে দেশ জননীকে দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর সঙ্গে একাত্ম বলে বর্ণনা করেছে।… অন্য কথায়, হিন্দু রাজত্ব স্থাপন এবং তারই অনুপ্রেরণায় ভবিষ্যৎ ভারতকে নির্মাণ করার আদর্শ সে প্রচার করেছিল"

    -------------------------------------------------------------------------------------------------------------

    বঙ্কিম এবং শরৎ এর প্রসঙ্গেই আমরা থেমে যেতে পারি না। বঙ্কিম অন্তত নিজের বিদ্বেষী মনোভাব সম্পর্কে সৎ ছিলেন, শরৎচন্দ্র কিছুটা। কিন্তু যে অন্যায়ের খবর খুব গভীরে লুকানো সেই অন্যায়ের কথাও আমাদের আলোচনা করতে হবে। আমরা বলবো রবীন্দ্রনাথের কথা। তবে সরাসরি রবীন্দ্রনাথের মুসলিম বিরোধীতার স্বরূপ আবিষ্কারের আগে তার চৌর্যবৃত্তির কিছু তথ্য আমাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের বিখ্যাত মরমী সাধক লালনের গানের খাতা চুরি করেছিলেন। বিষয়টি কতদূর সত্য তা আমাদের জানতে হবে। আমরা দুই পক্ষেরই মতামত জানবো ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবো। পক্ষপাত ছাড়াই বিষয়টি আমাদের যাচাই করতে হবে।

    রবীন্দ্রনাথ নিজেই বলেছেন "বাউলের গান শিলাইদহে খাঁটি বাউলের মুখে শুনেছি ও তাদের পুরাতন খাতা দেখেছি" (নন্দগোপাল সেনগুপ্ত, "কাছের মানুষ রবীন্দ্রনাথ", কলকাতা, ওরিয়েন্ট সংস্করণ, ১৯৫৮), এছাড়া কথিত আছে তিনি ছেঁউড়িয়ার আখড়া থেকে লালনের গানের খাতা আনিয়ে ঠাকুর এস্টেটের কর্মচারী বামাচরণ ভট্টাচার্যকে দিয়ে ২৯৮ টি গান নকল করিয়ে নেন। শচীন্দ্রনাথ অধিকারী তাঁর চিঠিতে ড. আবুল আহসান চৌধুরীকে জানিয়েছিলেন

    "লালন ফকিরের খেরোবাঁধা গানের খাতা চেয়ে নিয়ে কবি কতকগুলো গান নির্বাচিত করে পৃথক একখানা খাতায় ঐ রসিক বামাচরণবাবুকেই নকল করতে দেন। ঐ খাতাখানি শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত আছে। আমি সেটা দেখেছি এবং বাউলসঙ্গীত ও ধর্মের গবেষক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে দেখিয়েছি।"

    এই হল রবীন্দ্রনাথের পক্ষের জনশ্রুতি বা গুজব। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের বিপক্ষে যে তথ্য আছে তা অকাট্য। এই রবীন্দ্র ভবনের কপি করা গানের খাতা সম্পর্কে সনৎকুমার মিত্র অনুমান করেছেন এ দুটি কপি করা খাতা নয়, বরং মূল আশ্রমের খাতা!!!

    "রবীন্দ্র ভবনের খাতা দুইটিই ছেঁউড়িয়া আশ্রমের আসল খাতা এবং যে ভাবেই হোক তা 'রবিবাবু মশায়' এর হাতে পৌঁছনোর পর আখড়ায় আর ফিরে আসে নি।"

    (সনৎকুমার মিত্র, "লালন ফকির: কবি ও কাব্য" পৃষ্ঠা ২৬৬)

    ড. আবুল আহসান চৌধুরীর মতে এই অনুমান সঠিক। তাঁর সংগৃহীত লালনগীতির সূচিপত্রের হস্তাক্ষর, অন্নদাশঙ্কর রায়ের গ্রন্থ "লালন ও তার গান" থেকে পাওয়া হস্তাক্ষর, এবং রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত খাতার হস্তাক্ষর অভিন্ন!!!

    লালনগীতির সংগ্রাহক মতিলাল দাশ কে লালন শিষ্য ভোলাই শাহ বলেছিলেন-

    "দেখুন, রবিঠাকুর আমার গুরুর গান খুব ভালবাসিতেন, আমাদের খাতা তিনি লইয়া গিয়াছেন, সে খাতা আর পাই নাই, কলিকাতা ও বোলপুরে চিঠি দিয়াও কোনও উত্তর পাই নাই।"

    উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন-

    "আশ্রমের কর্তৃপক্ষরা বলে যে সাঁইজীর আসল খাতা শিলাইদহের 'রবিবাবু মশায়' লইয়া গিয়াছেন"

    অন্নদাশঙ্কর রায় যখন কুষ্টিয়ার মহকুমা প্রশাসক ছিলেন তখন তাঁকেও লালনের গানের "আসল পুঁথিখানি" "কবিগুরুর কাছ থেকে উদ্ধার করতে সাহায্য" করার জন্য কাঙাল হরিনাথের ভাতিজা ও লালন অনুরাগী ভোলানাথ মজুমদার অনুরোধ করেন।

    ড. চৌধুরী তাঁর বইতে এই সকল বিস্তারিত তথ্য বিশ্লেষণে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- লালন শিষ্যদের মতে, উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মতে, এমনকি কাঙাল হরিনাথের ভাতিজার মতে রবীন্দ্রনাথ লালনের গানের খাতা চুরি করেছিলেন-

    "অতএব, এই সিদ্ধান্তই সমীচীন ও সঙ্গত যে রবীন্দ্রনাথ ছেঁউড়িয়ার আখড়া থেকে লালনের মূল খাতা-ই সংগ্রহ করেছিলেন, যা এখন 'রবীন্দ্র ভবনে' সংরক্ষিত আছে। বামাচরণ ভট্টাচার্যকে দিয়ে রবীন্দ্রনাথ যদি লালনের গান নকল করিয়েও থাকেন, সেই খাতার সন্ধান এখনও মেলেনি"

    (আবুল আহসান চৌধুরী, "লালন সাঁই", পৃঃ ৭৭-৭৮)

    ---------------------------------------------------------------------------------------------------------------

    আশা করা যায় এর পর কারোরই রবীন্দ্রনাথের চৌর্যবৃত্তি সম্পর্কে সংশয় থাকবে না। এ বিষয়টিতে নিঃসংশয় হয়ে আমরা অগ্রসর হবো রবীন্দ্রনাথের মুসলিম বিরোধিতার বিষয়টিতে। রবীন্দ্রনাথের বিরূদ্ধে এ প্রসঙ্গে দুটি ধারায় আলোচনা চলতে পারে, প্রথমতঃ জমিদার হিসাবে অন্যায়, দ্বিতীয়তঃ সাহিত্যিক হিসাবে অন্যায়।

    জমিদার হিসাবে রবীন্দ্রনাথের অন্যায়ের প্রথমেই উল্লেখ্য তিনি তার বাঙালী মুসলমান রায়তদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ে নিপীড়নের জন্য বাংলায় প্রথম ‘বিহারীদের’ আনেন।

    সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায় এ প্রসঙ্গে লিখেছিলেন-

    “সমগ্র ঠাকুর পরিবার প্রজার কোনও উপকার করে নাই। স্কুল করা, দীঘি কাটানো এসব কখনো করে নাই। মুসলমান প্রজাদের ঢিট করার জন্য নমঃশূদ্র প্রজা(বিহারী) এনে বসতি স্থাপনের সাম্প্রদায়িক বুদ্ধি রবীন্দ্রনাথের মাথা থেকেই বের হয়েছিল। কাঙাল হরিনাথ মজুমদার তার ‘গ্রাম্যবার্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকায় ঠাকুর পরিবারের প্রজাপীড়নের কথা লিখে ঠাকুর পরিবারের বিরাগভাজন হয়েছিলেন"

    ("এ এক অন্য ইতিহাস", গোলাম আহমদ মোর্তজা, পৃষ্ঠা ১৬৮)

    এছাড়া তাঁর মুসলমান প্রজারা যাতে শিক্ষার আলোক থেকে বঞ্চিত হয় সে জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চরম বিরোধীতা করেন। রবীন্দ্রনাথ যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিল, সে বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুস্তক পর্ষদ কর্তৃক প্রকাশিত “কলকাতার ইতিহাসের দিনলিপি” গ্রন্থেই উল্লেখ করা হয়েছে। ইতিহাসবিদ গোলাম আহমদ মোর্তজা উক্ত গ্রন্থের বরাতে ‘এ এক অন্য ইতিহাস’ গ্রন্থের ১৫৯ পৃষ্ঠাতে উল্লেখ করেছেন:

    “১৯১২ সালে ২৮শে মার্চ কলকাতার গড়ের মাঠে এক বিরাট সমাবেশ করা হয়। ঠিক তার দুদিন পূর্বে ২৬শে মার্চ আর একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং হয়েছিল। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে, ঢাকায় ভার্সিটি হতে দেয়া যাবেনা। ঐ গুরুত্বপূর্ণ সভায় বাঘা বাঘা দেশীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন- “নতুন রাজ্য পুনর্গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন কিনা বা শিক্ষা বিষয়ে করণীয় কী?” তা আলোচনার জন্য এক জনপ্রতিনিধিপূর্ণ সভা হয় টাউন হলে।”

    (“কলকাতার ইতিহাসের দিনলিপি”, ড. নীরদ বরণ হাজরা, ২য় খ-, ৪র্থ পর্ব)

    আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্কে প্রচলিত কথা আছে তিনি নাকি ‘গ্রামীণ ব্যাংকে’র দ্বারা কৃষকদের সুবিধার ব্যবস্থা করেছিলেন। এই অন্তঃসারশূন্য দাবির জবাবে ড. অরবিন্দ পোদ্দারের এই বক্তব্যই যথেষ্ট যে - “কলকাতার কিছু বন্ধুবান্ধব যোগাড় করে তাদের সঙ্গে কবি নিজেকে যুক্ত করে একটি সুদের কারবার শুরু করেছিল। তার নাম দিয়েছিল ‘কৃষিব্যাঙ্ক’। তারা শতকরা সাত টাকা সুদ দিয়ে মূলধন যোগাড় করেছিল, আর কবি তার জমিদারীর গরীব কৃষকদের নিকট থেকে সুদ নিত শতকরা ১২ টাকা!” (গোলাম আহমদ মোর্তজা, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১৯৫)

    -------------------------------------------------------------------------------------------

    রবীন্দ্রনাথকে সুদখোর মহাজনের রূপে, বাঙালী মুসলিমের শিক্ষাবিরোধী ও বাঙালী রায়তের দুসমন হিসাবে দেখতে আমাদের ভালো লাগে না। কিন্তু ইতিহাসের স্বার্থে এ সত্য আমাদের জানতেই হয়। আমরা এবার সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথের বাঙালী মুসলিম বিরোধিতার দিকটি দেখব। সাথে উঠে আসবে ঠাকুর পরিবারের জ্যোতিরিন্দ্রনাথের মুসলিম বিরোধীতার কিছু দিকও।

    প্রথমতঃ

    আমরা দেখি, গোরা অপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ লেখে -”ভালো মানুষী ধর্ম নয়; তাতে দুষ্ট মানুষকে বাড়িয়ে তোলে। তোমাদের ‘মুহম্মদ’ সে কথা বুঝতেন, তাই তিনি ভালো মানুষ সেজে ধর্মপ্রচার করেননি।”

    দ্বিতীয়তঃ

    "জ্বল, জ্বল চিতা! দ্বিগুণ, দ্বিগুণ
    ‘পরাণ সঁপিবে বিধবা-বালা।
    জ্বলুক জ্বলুক চিতার আগুন,
    জুড়াবে এখনি প্রাণের জ্বালা ॥
    শোন্ রে যবন ! শোন্ রে তোরা
    যে জ্বালা হৃদয়ে জ্বালালি সবে,
    সাক্ষী রলেন দেবতা তার
    এর প্রতিফল ভুগিতে হবে।"

    উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অভিনীত, তার দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সরোজিনী’ নাটকের অন্তর্ভুক্ত। এতে দেখানো হয়েছে, বঙ্গদেশ বিজয়ী বীর আলাউদ্দিন খলজীর হাত থেকে রাজপুত নারী, তার কথিত সতীত্বরক্ষার জন্য চিতার আগুনে ঝাঁপ দেয় এবং আলাউদ্দিনকে শাপশাপান্ত করে। মূল নাটকে আলাউদ্দিনকে আল্লাহ বলায় যা পরিণত হয় ইসলাম বিরোধিতায়। বলাবাহুল্য, এ রকম কোনো বর্ণনাই ইতিহাসে নেই।

    তৃতীয়তঃ

    "পৃথিবীর দু’টি সম্প্রদায় আছে অন্য সমস্ত ধর্মমতের সঙ্গে যাদের বিরুদ্ধতা অত্যুগ্র–সে হচ্ছে খৃস্টান আর মুসলমান ধর্ম। তারা নিজের ধর্মকে পালন করেই সন্তুষ্ট নয়, অন্য ধর্মকে সংহার করতে উদ্যত। এইজন্যে তাদের ধর্ম গ্রহণ করা ছাড়া তাদের সঙ্গে মেলবার অন্য কোনো উপায় নেই"

    (হিন্দুমুসলমান, কালান্তর, রবীন্দ্র রচনাবলী, দ্বাদশ খণ্ড, বিশ্বভারতী, কলিকাতা ১৪০২, পৃষ্ঠা ৬২০)

    চতুর্থতঃ

    একদিকে হিন্দুমেলা অন্যদিকে বিখ্যাত জ্যোতিদাদার হিন্দু বীর বিক্রমের স্তব, যবন নিধনের পালা বালক রবীন্দ্রনাথের মনে প্রভাব ফেলতে পারে। জীবনস্মৃতিতে রবীন্দ্রনাথ হিন্দুমেলায় সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা লিখেছেন। যোগেশচন্দ্র বাগল জানিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ ‘হিন্দুমেলার উপহার’ নামক কবিতা এই মেলায় পড়েছেন। হিন্দুমেলার প্রত্যক্ষ প্রভাবে যবনবিদ্বেষী পৃথ্বীরাজ পরাজয় গ্রন্থটি লেখেন। এই গ্রন্থটি পরে হারিয়ে গেলে একই বিষয় নিয়ে লেখেন রুদ্রচণ্ড। রুদ্রচণ্ড প্রথম প্রকাশ হয় জুন ১৮৮১-এ। এই গ্রন্থটি উৎসর্গ করেন ‘ভাই জ্যোতিদাদা’কে, যথার্থ উৎসর্গই। পৃথ্বীরাজ কর্তৃক অরণ্যে বিতাড়িত জাতহীন রুদ্রচণ্ড দূতের মুখে মহম্মদ ঘোরীর আক্রমণের সংবাদ শুনে বলে,

    "কি বলিলি দূত! তোর ম্লেচ্ছ মহম্মদ ঘোরী পৃথ্বীরাজে আক্রমিতে আসিতেছে হেথা!"

    (রুদ্রচণ্ড, রবীন্দ্ররচনাবলী চতুর্দশ খণ্ড, বিশ্বভারতী, কলিকাতা, ১৪০২, পৃষ্ঠা ৬৪৪।)

    পঞ্চমতঃ

    রুদ্রচণ্ড প্রকাশের দুইবছর আগে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৭৯তে প্রকাশিত অশ্রুমতী নাটক উৎসর্গ করেন অনুজ রবীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রনাথ তখন প্রথমবারের মতো বিলাতপ্রবাসী। অশ্রুমতী নাটকের বিষয় প্রেম হলেও চরিত্র এসেছে রুদ্রচণ্ড গীতিনাটকের পটভূমির ইতিহাস থেকে–পৃথ্বীরাজ, প্রতাপসিংহ, আকবর, মানসিংহ, সেলিম, অশ্রুমতী প্রমুখ। এবং যবনবিদ্বেষ যথারীতি বর্তমান। রবীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করা এই নাটকের সৈন্যগণ বলছে

    "আজ আমরা যুদ্ধে প্রাণ দেব–চিতোরের গৌরব রক্ষা করব–মুসলমান রক্তে আমাদের অসির জ্বলন্ত পিপাসা শান্ত করব…"

    (অশ্রুমতী : জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নাটকসমগ্র, সাহিত্য সংসদ, কলিকাতা, ২০০২, পৃষ্ঠা ১১৩।)



    ষষ্ঠতঃ

    মুসলিম বিদ্বেষে রবীন্দ্রনাথ অভিনীত "সরোজিনী" নাটকে আলাউদ্দিন‌ খিলজিকে "আল্লাউদ্দিন" নামে অভিহিত করে সংলাপে সংলাপে আল্লাউদ্দিন-এর প্রথমাংশ শুধু ‘আল্লা’ করে ফেলেছেন। নাটক পড়তে হবে, সরোজিনী ‘আল্লা’কে বলছে, ‘নরাধম! ঐখানে দাঁড়া, আর এক পা’ও অগ্রসর হোস নে।

    (নাটকসমগ্র : পটকথা, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নাটকসমগ্র, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলিকাতা, ২০০২, পৃষ্ঠা ১০১।)

    বস্তুতঃ এমন অজস্র উদাহরণ পাওয়া যাবে।

    ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

    সব শেষে আমরা এটুকুই বলতে পারি, বাঙালী মুসলমানের সময় এসেছে প্রকৃত ইতিহাস জানার। প্রকৃত ইতিহাসে বাঙালী মুসলমানের অধিকার, সে অধিকার আমাদের অর্জন করে নিতে হবে। নিজেদের লেখালিখি করে তুলে ধরতে হবে প্রকৃত ইতিহাস। আপনারা আরও পড়ুন, আরও লিখুন, সত্য তুলে ধরুন।

    ধন্যবাদ।

    ------------------------------------------------------------------------------------------------

    পাদটীকা:

    ১) সিলেটের বিখ্যাত বাউল হাসন রাজার বড় ছেলে গণিউর রাজা পতিতালয়ে যেতো। সে গণিকাদের যে বিষয়টি তুলে ধরেছিল তার লেখায়, তাহলো গণিকারা অধিকাংশই হিন্দু এবং হিন্দু গণিকারা মুসলমান খদ্দেরদের গ্রহণ করেনা। তার আত্মকথায় রয়েছে এক গণিকার উক্তি “আমরা হিন্দু রমণী মোসলমানকে জায়গা দেই না, সমাজে দূষিত হইতে হয়। গণিউর রাজা বলেন, "তোমাদের আবার সমাজ আছে নাকি?" গণিকার প্রত্যুত্তর ছিলো, "থাকিবে বই কি। যদিও আমার নাম লিখাইয়াছি (বেশ্যাবৃত্তিতে নামা) তথাপি আমাদের হিন্দুয়ানী সবই বজায় আছে।” (অবিদ্যার অন্তঃপুরে, ড. আবুল আহসান চৌধুরী, পৃষ্ঠা ১৫)

    ২) লেখাটি শরৎচন্দ্র তার "বর্তমান হিন্দু-মুসলমান সমস্যা" নামক প্রবন্ধে লেখে। এই প্রবন্ধটিকে বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক তাঁর পড়া সবচেয়ে "প্রোভোকেটিভ লেখা" বলেছিলেন। বাঙালী সাহিত্যিক ও সমাজদার্শনিক আহমদ ছফা বলেছেন "এইরকম সাম্প্রদায়িক রচনা শরৎবাবুও লিখতে পারেন আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছে" (যদ্যপি আমার গুরু, আহমদ ছফা, পৃষ্ঠা ৫৬)

    ৩) বঙ্কিমের এই খোলাখুলি মুসলিমবিদ্বেষ প্রসঙ্গে জাতীয় অধ্যাপক ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন "বঙ্কিমের একটা ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্স আছিল। তার পড়াশুনা অইছিল‌ো মুসলমানের টাকায়। মুহসিন ফান্ডের টাকায় তিনি লেখাপড়া করছিলেন। মুসলমানের বিরূদ্ধে কলম ধইরা সেই ঋণ শোধ করছিলেন"; ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এ কথাটি সত্য। বঙ্কিমচন্দ্র হাজী মুহম্মদ মুহসিন কলেজ হতে লেখাপড়া করেন। হাজী মুহম্মদ মুহসিন ছিলেন একজন বিখ্যাত মানবদরদী মুসলিম। তিনি তাঁর অগাধ সম্পত্তি অকাতরে সাধারণ মানুষের হিতার্থে দান করেছেন।

    -----------------------------------------------------------------------------------------------------------------

    প্রবন্ধ উৎসর্গ: দস্তার রাজদরবার

    দস্তার ভাইয়ের দেওয়া বহু তথ্য-প্রমাণ ও তাঁর লেখালিখি থেকে উদ্বুদ্ধ না হলে এ প্রবন্ধটি তৈরি হত না। যিনি বাঙালী মুসলিম বিরোধিতার ধারাটির বিরূদ্ধে কলম ধরতে আমায় উৎসাহ দিয়েছেন সেই দস্তার ভাইয়ের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতেই হবে।
    ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
  • de | 69.185.236.52 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১৭:২৪651738
  • অন্ধের হস্তিদর্শন! এরকমই আশা করেছিলাম - টাইটেল পড়েই!
  • 4z | 80.49.163.138 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১৭:৪১651760
  • *তা
  • 4z | 80.49.163.138 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১৭:৪১651749
  • শেষ হয়ে গেল? তার দাদা আর দু-চারটে স্যাম্পেল থাকলে ছাড়ুন না।
  • adhuli | 59.197.8.109 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১৭:৪৫651771
  • অন্ধ-রা তাও হয়ত কিছু অনুভাব করে। এ সব মাল-দের সেই অনুভুতি টাও নেই। অবশ্য বিচিত্র কিছু নয়। যেকোনো কিছু তে ইসলাম-এর অপমান খুঁজে বার করা এবং জিহাদ-এর ডাক দেওয়া তো আজকাল ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে।
  • সিকি | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১৭:৫২651782
  • চাপ নেবার কিছু নেই - ইনি একটি পারফেক্ট ইসলামিক চাড্ডি। এঁয়ার খুব শখ ফেবু গুরুচন্ডালি গ্রুপের অ্যাডমিন হবার এবং সেখানে থেকে মুসলমান ভাইদের "ছহি ছালামত" রাখা। এই রত্নটি উনি আগেই ফেসবুকে প্রসব করেছেন এবং যথাযথভাবে খিল্লিত হয়েছেন।
  • Unknown | 104.201.239.28 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:১০651793
  • এই সব মালেদের জন্যেই মুসলমান ধর্মের বদ্নাম। এদের দেশ ছেড়ে সিরিয়া বা তালিবানদের সঙ্গে থাকা উচিত।
  • রাজু | 15.152.221.74 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:০৫651804
  • এখানে কি সবাই বিযেপি-আরএসএস নাকি? আমাকে এ সাইটটি রেফার করা হলো, আমি ভাবলাম গ্রুপটির মতোই কিছু মননশীল মানুষরা আসে। এ দেখি সব ইসলামোফোবিক সাম্প্রদায়িক!
  • সিকি | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:১৪651815
  • বম্‌ বোঁদে।
  • 4z | 209.7.157.96 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:১৮651724
  • এঃ ফেবু ছেড়ে এইসব মণিমুক্তো মিস করছি
  • Ranjan Roy | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৫২651729
  • আমার অনুরোধ, রাজুভাইকে ব্র্যান্ডিং না করে ওনার তোলা প্রশ্নগুলোর তথ্যভিত্তিক আলোচনা করা উচিত।
    নইলে প্রশ্নগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া হবে।) এই সুতোর উদ্দেশ্য কোলকাতার তিনজন বাঙালী লেখকের মুসলমান বিদ্বেষ প্রমাণ করা।
    উৎসাহ নিয়ে পড়তে গিয়ে ঘেঁটে গেলাম।
    আমার মূল বক্তব্য --প্রেক্ষিত বাদ দিয়ে কোন কিছু কোট করলে তার ভুল বা বিকৃত অর্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
    আমি স্বল্প পরিসরে প্রথমে দু-তিনটি তুলে ধরছি।
    ১)পাদটীকায় দেখছি (১নং) -- হিন্দু গণিকা মুসলমান ক্লায়েন্ট নেয় না।
    এই বক্তব্য( ঠিক বা ভুল) থেকে কি করে তিন ঘোষিত লেখকের মুসলিম-বিদ্বেষ প্রমাণিত হয়?
    ২) গোরা উপন্যাসে বৃটিশ কোচোয়ান মুসলিম বৃদ্ধ ফলওয়ালাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে চাবুক মেরে চলে গেলে নায়ক গোরা (মুসলমান) নিপীড়িত ফলওয়ালার পক্ষে দাঁড়িয়ে ঘোড়ার গাড়িকে তাড়া করে যায়। তারপর এসে ফলওয়ালার ফল তুলে দেয়। তখন মুসলমান ফলওয়ালা বলে যে আল্লা অপরাধীর বিচার করবেন। ( ঠিক যেভাবে একজন সাধারন মানুষ , হিন্দু-মুসলমান-ক্রিশ্চান নির্বিশেষে, অন্যায়ের মোকাবিলা না করে সব ঈশ্বর-আল্লাহ্‌-গডের ওপর ছেড়ে দেয়)।
    তাতে গোরা ভালমানুষীর নিন্দে করতে গিয়ে বোঝায় যে এড়িয়ে গিয়ে ভালমানুষী ভাল নয়। পুরো গোরা উপন্যাসে এ ব্যাপারে গোরা কনসিস্টেন্ট। তাই ইংরেজ ঠেঙিয়ে জেলেও যায়।)
    এখানে "অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
    তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে" নীতির প্রতিফলন।
    গোরার বক্তব্যে বীর্য্যহীন ক্লীবত্বকে ধিক্কার দেওয়া হয়েছে। ওই বক্তব্যে মুহম্মদের সম্মান করা হয়েছে, অপমান নয়। রাজু কিছুই বোঝেন নি। একবার গোরা পুরো পড়ুন। তার পরে লিখুন।
    ৩)কিন্তু বংকিমের লেখায় মুসলিম বিদ্বেষ স্পষ্ট। আনন্দমঠে ও সীতারামে। এ নিয়ে পরে বলছি।
  • Ranjan Roy | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৫৭651730
  • ৪) যদি তর্কের খাতিরে মেনে নেই যে রবীন্দ্রনাথ লালনের গানের খাতা চুরি করেছিলেন তার থেকে রবীন্দ্রনাথের মুসলিম বিদ্বেষ কি করে প্রমাণিত হয়?
    ক) কোন চোর (হিন্দু) যদি কারো বাড়িতে (মুসলিম) চুরি করে তার মানে সে মুসলিম বিদ্বেষী? )))
    খ) লালন কি মুসলিম?
    রাজুভাই বলুন!!
  • হিঁদু | 59.207.201.13 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৪৪651731
  • লেখাটি কিন্তু খারাপ নয়। যে সমস্ত প্রমাণ দেওয়া হয়েছে সেগুলির কিছু কিছু কষ্টকল্পিত মনে হলে অনেক জায়গায় যুক্তি আছে।
    তবে বঙ্কিমচন্দ্রের মুসলমান বিরোধী হওয়া কিছু আশ্চর্যের কিছু না, অত বছরের মুঘল সাম্রাজ্যের শাসনে মুসলমানদের একচেটিয়া প্রাধান্য ছিল আর তার প্রতিঘাত হিসাবে এই বিদ্বেষ হতে পারে।
  • সিকি | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৪৬651732
  • বংকিম সেই যুগের স্ট্রং চাড্ডি ছিলেন। সে তো জানি। আনন্দমঠের ছত্রে ছত্রে তার প্রমাণ রয়েছে। তাই দিয়ে কি তানিমের সবুজ চাড্ডি হওয়া আটকায়? রঞ্জনদা এর বাকি মণিমুক্তো দ্যাখে নি তাই কাউন্টার করছে। বেস্ট অফ লাক :)
  • Unknow | 96.98.86.115 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ২২:৩৮651733
  • সত্যি কথা টা বললেই সাম্প্রদায়িক বিরোধী হয়ে যায় তাই না !!!! দেখি আই এস আই এস নিয়ে কিছু বলার ধক আছে কি , নাকি সেই বেলা ফেজ টুপি সব ভাই ভাই ?????
  • Unknown | 96.98.86.115 | ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ২৩:০১651734
  • পড়তে হবে "সত্যি কথাটা বললেই সাম্প্রদয়িক হয়ে যায় তাই না !!!!"
  • Ranjan Roy | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ০০:২৩651735
  • @ হিন্দু,
    ঠিক যেমন ৩৪ বছরের বাম শাসনের পর মমতারাজ ডেকে আনা?ঃ))))
  • Ranjan Roy | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৩৬651736
  • তানিম রাজু যেভাবে সাহিত্য এবং সাহিত্যিকদের মূল্যায়ন করছেন সেভাবে দেখলে তো শেক্সপীয়রকে ' ওথেলো,দ্য ব্ল্যাক মুর" ও শাইলক চরিতের জন্যে নিগ্রো ইহুদীবিদ্বেষী ধরতে হবে। আর "টেমিং অফ দ্য শ্রু এর জন্যে মেল শভিনিস্ট পিগ!!!
    আর রবীন্দ্রনাথকে চার অধ্যায় লেখার জন্যে ইংরেজের দালাল!!!!
    ১) শরত্চন্দ্রের মহেশে যে দরদের সঙ্গে যে মানবিক চরিত্র করে গফুর ও আমিনাকে আঁকা হয়েছে( এবং হিন্দু জমিদার ও পুরুতের অত্যাচার) তাকে খারিজ করতে হবে একটি সাময়িক ঘটনার প্রতিক্রিয়া নিয়ে??
    দয়া নি করিবা আল্লা রে!!
    ২)তবু জানতে চাইব রবীন্দ্রনাথ কি গ্রাউন্ডে ঢাকায় ইউনিভার্সিটি খোলার বিরোধিতা করেছিলেন?
    ৩) কেউ কি কনফার্ম করবেন যে
    "জ্বল জ্বল চিতা দ্বিগুণ দ্বিগুণ" গানটিতে রাজু কথিত " শোন রে যবন" বাক্যবন্ধটি আদৌ আছে কি না!
  • adhuli | 190.148.69.210 | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:৫৫651737
  • রঞ্জন-দা, যদি কেও সুস্থ, যুক্তি দিয়ে আলোচনা চায়, সে নিশ্চয় স্বাগত। বঙ্কিম-এর লেখা নিয়ে অবশ্য-ই বিতর্কের অবকাশ আছে। বাকিদের নিয়েও হলে কারোর কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এটার প্রথম তিন-টে লাইন পরেই গা-জ্বলে গেল। এতো আগে একটা আন্টি-হিন্দু, আন্টি-নাস্তিক, প্রো-মুসলিম অবস্থান নিয়ে সিধ্হান্ত নিয়ে তারপর সেটা-কে প্রমান করার চেষ্টা আর প্রানপনে বোঝানো তাদের ধর্ম কত ভালো আর বাকি-রা কত খারাপ। আর নাস্তিক-দের ওপর এতো রাগ কেন-? আমরা তো মনে করি, অন্ধ, মুর্খ আস্তিক হবার থেকে যুক্তিবাদী নাস্তিক হলে হাজারগুন ভালো। এ ধরন-এর মাউলোবাদী লোকজন দের চিনে রাখাটা জরুরি। দিদি-র রাজত্বে তো এরা মাথায় উঠে বসেছে।
  • Du | 230.225.0.38 | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ১০:২৩651739
  • মহম্মদ ঘোরী যে বাঙালী মুসলমান ছিলেন তা এতদিন জানতামই না। গজনী শব্দটা বেশ রজনী রজনী শোনায় অবশ্য।
  • সিকি | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ১০:৪৬651740
  • আর এক ফারাবি কাল রাত থেকে আমাকে ফেসবুকের চ্যটে পিং করে যাঅচ্ছেন। লোকমুখে শুনতে পেলাম ইনি নাকি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ছাগু লিডার। নাকি অনেক হিন্দুদের বাড়ি টাড়ি পোড়ানোয় এক্সপার্ট। কাল রাত এগারোটার পরে পিং করে জানিয়েছেন সতীদাহর উৎপত্তিদের পেছনে মুসলমানদের কোনও হাত ছিল না। বরং সতীদাহ বন্ধ করেছিল মুসলমানেরা - স্বয়ং হুমায়ুন বাদশা।

    আরও জানলাম, এই ফারাবি শফিউর রহমানই নাকি ব্লগার থাবা বাবার খুনের পরিকল্পনাতে যুক্ত, এখন জামিনে আছে।

    দলে দলে জামাতি এবং জামাতি সাপোর্টার ভিড় করছে সোসাল নেটওয়ার্কিং গ্রুপগুলোতে, গুরুচন্ডালিও বাদ নেই। এই তানিম তাদের মধ্যে একটি স্যাম্পল।
  • d | 24.97.240.100 | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ১১:১৮651742
  • এই মরেছে!! ফারাবি'কে এড়িয়ে চল সিকি।
  • d | 24.97.240.100 | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ১১:১৯651743
  • ফারাবি, মারদিয়া-মুমতাজ এদের একেবারে কয়েকলক্ষ মাইল দূরে থাকা ভাল।
  • সিকি | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ১১:২১651744
  • হুঁ। সেই জন্যেই খারাপ লাগছে। একটা ধর্মান্ধ খুনীর সাথে চ্যাট করেছি, ভাবতেই খারাপ লাগছে।
  • দেব | 133.63.241.33 | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ১১:৪৭651745
  • উনবিংশ শতাব্দী ও বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে শিক্ষিত হিন্দুদের মুসলিমদের প্রতি প্রবল বিদ্বেষ ছিল এবং সেটা বাইরে প্রকাশও পেত। এই নিয়ে গবেষণা করে জয়া চ্যাটার্জী পিএইচডিও পেয়ে গেলেন। আসলে বাংলা তথা ভারতে হিন্দু মুসলিম সম্পর্কের ওপরে হিন্দুদের যাবতীয় ডিসকোর্স এতটাই ন্যাকামো, ঢ্যামনামো আর কুযুক্তিতে ভর্তি যে সোজা কথাটা বলতে গেলেও কেমব্রিজ ছুটতে হয়। একসাথে জল খেতেও আপত্তি আবার অন্যদিকে হার্মোনিয়ম বাজছে হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই। জিন্না কি সাধে পালাতে চেয়েছিলেন।

    আজকে শিক্ষিত হিন্দুদের মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ প্রায় একই আছে কিন্তু কেউ মুখে বলে না। মুসলিমদের ক্ষেত্রেও এটা সত্যি তবে এই মাত্রায় নয়। আম বাঙ্গালী হিন্দু বেশী খাপ্পা বাঙ্গালী মুসলিমের ওপর। আম বাঙ্গালী মুসলিম বেশী খাপ্পা পাকিস্তানি মুসলিমের ওপর। একবিংশ শতাব্দীতে হিন্দুদের ন্যাকামো হচ্ছে মুসলিমদের এলাকায় স্কুল, কলেজ, পরিকাঠামোয় এক পয়সাও ইনভেস্ট না করে তারপর এদের গালাগাল দেওয়া।

    তানিমের লেখাটা পড়ে আমার সেই ক্রিশ্চিয়ান মিশনারীদের কার্টুনওয়ালা চটিবইগুলোর কথা মনে পড়ল। অনেকটা 'ডাক' দেওয়ার মতন। "মুসলিম বিদ্বেষ থাকাই হল হিন্দূয়ানি পালনের প্রধান শর্ত"। এটাকে ঢ্যামনামোর গোত্রে ফেলব ভাবছি। তবে মোটের ওপর অভিযোগগুলো ঠিক।

    বঙ্কিমের লেখায় মুসলিম বিদ্বেষ খুবই প্রকট। তবে ওনার সাম্য প্রবন্ধ থেকে একটা মোটামুটি কোট করি - "এই প্রবল দুপুরে যখন জমিদারবাবু সাতমহলা বাড়িতে বসে আয়েস করছেন তখন রামা কৈবর্ত আর হাসিম শেখ একহাঁটু কাদা ঠেলে মাঠ চষছে"। হিন্দু নিম্নবর্ণ এবং মুসলিম দুইই এখানে উপস্থিত এবং লেখকের সহানুভূতির পাত্র। তবে মোটের ওপর বঙ্কিম ছাড় পাবেন না।

    মুসলিম বিরোধী সাহিত্যিক কারে কয়? শরৎচন্দ্র বেশীরভাগ লেখায় হিন্দুধর্মকে প্রায় জুতোপেটা করেছেন। তা এনাকে কি তবে হিন্দুবিরোধী ধরবো। শরৎচন্দ্র রাজনৈতিক ভাবে শেষজীবনে কনসার্ভেটিভ হয়ে যান। কিন্তু সেটার পেছনে সেযুগের রাজনৈতিক আবহাওয়া দায়ী।

    রবীন্দ্রনাথের জমিদারীকে ডিফেন্ড করার কোন উপায় নেই। আর ওনার উদারমনস্কতাকে ডিফেন্ড করার কোন প্রয়োজনও নেই।

    আসলে বাংলা সাহিত্যের এই তিনজন মাথাকে এতটাই মাথায় তোলা হয়েছে যে এদের লেখা বা ব্যক্তিজীবনের খারাপ দিকগুলো আলোচনাতেই আসে না বা এলেও ভক্তের দল এমন জুতোপেটা করতে ছোটেন যে কেউ ঘাঁটাতে সাহস পায় না। খুশবন্ত সিং সেটা ভালই টের পেয়েছিলেন। আলোচনার একটা স্বাভাবিক স্পেস থাকলে তবেই লেভেল হেডেড লেখা বেরোয়। সেটা নেই বলেই টাইম টু টাইম এরকম পোলেমিক নামে মার্কেটে।
  • Du | 230.225.0.38 | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ১২:২৬651746
  • হুমায়ুন বাদশার সতীদাহ রদ করাটা মোস্ট প্রোব্যাবলি সত্যি। তিনি না হলেও আকবর বাদশা ।
  • - | 109.133.152.163 | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ১২:৩৪651747
  • তিনি না হলেও রামমোহন বাদশা। নামরূপে কি যায় আসে। কেউ না কেউ করেছিলেন!
  • Du | 230.225.0.38 | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ১২:৩৭651748
  • Attitudes of Muslim rulers[edit]
    Under the Delhi Sultanate, permission had to be sought from the widow prior to any practice of sati as a check against compulsion. However, this later became more of a formality.[82] Mughals interfered little with local customs, but they seemed intent on stopping sati.[83] Mughal emperor Humayun (1508-1556) was the first to try a royal fiat against sati.[82] Akbar (1542–1605) was next to issue official general orders prohibiting sati and insisted that no woman could commit sati without the specific permission of his chief police officers.[82][83] The chief police officers were instructed by him to delay the woman's decision for as long as possible.[82] Pensions, gifts, and rehabilitative help were offered to the potential sati to persuade her from committing the act.[82] Tavernier, writing in the reign of Shah Jahan, observed that widows with children were not allowed in any circumstances to burn and that in other cases, governors did not readily give permission, but could be bribed to do so.[83][84]
  • Ranjan Roy | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:৫২651750
  • du,
    অনেক ধন্যবাদ! কিছুই জানতেম না।( অবশ্য কতটুকুই বা জানিঃ))))
    কিন্তু আপনি সোর্স কোট করলেন না?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন