এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শুধু ডকুমেন্টেশনের জন্যে

    Abhyu
    অন্যান্য | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ | ৫০৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • keuna | 11.39.27.168 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ১৫:১৮654185
  • আমি যা বুঝেছি
    কুরুচিপূর্ণ হেনস্থা করেছেন কিছু পদাধিকারী আবার সাহয্যও করেছেন কয়েকজন।স্বাভাবিকভাবেই অপমানকর অভিজ্ঞতাই বেশী মনে থাকে।
    তবে কোন দেশকেই জঘন্য বলতে আমি রাজি নই।
  • Tim | 12.133.60.144 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ১৫:৩২654186
  • মানুষের নানারকম "মূল্যবোধ"ও, আসলে এক "জটিলাবস্থা" এইটা এইসব স্টেটমেন্ট থেকে উপলব্ধি করি।

    কল্লোলদা কি ফোন থেকে টাইপ করছে? "এত টাইপো কেন?" (এত রক্ত কেন ইশটাইলে)। যাই হোক, ক দিলাম।
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ১৭:৪৬654187
  • একটা জিনিস যেটা আমার বারবার মনে হয়েছে সেটা হচ্ছে যে আমাদের দেশে একটি শিশু আসলে তার পিতার। মা হচ্ছে সন্তান জন্ম দেবার একটা আধার; সেই আধারে পিতার বীজ থেকে বাচ্চাটা তৈরী হবে। অর্থাৎ শিশুর প্রতি অধিকার সর্বাগ্রে বাবার। বাবার অবর্তমানে তখন মা হতে পারে। সেই কারণেই ফাদার হচ্ছে লিগ্যাল গার্ডিয়ান, মাদার কিন্তু কোনোভাবেই লিগ্যাল গার্ডিয়ান নয়- মাদার হচ্ছে ন্যাচারাল গার্ডিয়ান।
    লিগ্যাল ও ন্যাচারালের মধ্যে ফারাক ক্ষমতার। বড়োসড়ো ফারাক।
    আমাদের টাইমে, সত্তর টু আশির দশক - যখন ইস্কুলে পড়্তাম, রেজাল্টবুকে বাবার সই আনতে হতো। বাবা মৃত হলে বা বাবা তখন কর্মসূত্রে বা অন্যকোনো কারণে তখন অ্যাভেইলেবল না হলে তখন মা কে দিয়ে সই করিয়ে আনা যেত। আমার যেহেতু শৈশবেই বাবা মৃত, তাই এই জিনিসটা জানি। মা সই করে দিত। ক্লাসের অন্য মেয়েরা বাবার সই আনত; কারোর বাবা কাজের ব্যাপারে বাইরে থাকলে তার মা সই করে দিতেন। অভিজ্ঞতা।
    পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই শিশু বাবার পদবী পায়, কয়েকটা এক্সেপশান ব্যতিরেকে।
    ঝিকি প্রশ্ন করেছিলো s/o, d/o, w/o এই সমস্ত লেখা নিয়ে।
    কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে সর্বত্র এই জিনিসগুলো লিখতে হয় কেনো? লেখার দরকার কেন হচ্ছে? অনেক দেশেই তো এই ফ্যাকড়াটা লাগে না। এটাতো সেই ব্রিটিশ কবে শিখিয়ে দিয়ে গেছে (নিজেরা যদিও এসব আর ব্যবহার করে না)।
    মূল উদ্দেশ্য যেটা বুঝেছি সেটা হচ্ছে কোনো মেয়ে যেন বিয়ে না করে বাচ্চা পয়দা করবার সাহস না পায়। বাচ্চা তার পিতার সম্পত্তি অতয়েব সবার আগে বিয়ে হবে, তারপরে সন্তান জন্মাবে ও বাপের পদবী পাবে। এরপরেও বাচ্চা জন্মাতে পারে। সেটা বেশ্যাদের সন্তান। তাদের ঘরানা অন্য। আর থাকবে বিবাহভির্ভূত ধর্ষনের ফলে জন্মানো সন্তান। এরা নিম্ন শ্রেণীর মানুষ। এদের কোনো অধিকার থাকবে না সমাজে- শেষোক্ত দুই শ্রেণীর যেহেতু বাবার নাম থাকবে না (জন্মপত্রিকায়), তাই এদের শিক্ষালাভের পথ মোটামুটি বন্ধ। ব্যস্‌, কেল্লা ফতে। এই সব দেখেই বাকি কোনো মেয়ে আর ট্যাঁফোঁ করতে সাহস করবে না। কারণ শাস্তি ভোগ করবে শিশুটি এক্কেবারে জন্মের টাইম থেকে যাদ্দিন অবধি সহ্য করবার ক্ষমতা রয়েছে।
    এক্কেবারে কর্পোরেশন ইস্কুল ছাড়া বাকি কোনো ইস্কুলে অ্যাডমিশন মিলবে না।
    এই ভাবেই মেয়েদের টাইট দেবার ব্যবস্থা করা হয়ে গেছে। সিস্টেমটাই এরকম। এর মধ্যে অনেক সময় পেরিয়ে গেছে কিন্তু আইন বদলায় নি। মেয়েদের পবিত্রতা ভার্জিনিটি টার্জিনিটি ওসব ফালতু বাহানা। মূল লক্ষ্য আইনের শাসনে রেখে কড়া করে টাইট দেওয়া।
    আমার মেয়ের স্কুলে ভর্তি নিয়েও সেরকম অনেক অভিজ্ঞতা আছে। এমনকি ভর্তি করবার পরেও ইস্কুল থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো।
    জিনিসটা যত সহজ মনে হচ্ছে আপাতভাবে, ততটা সহজ নয়।
    দুটো দিক আছে। এক আইনের ব্যাপার। দুই হচ্ছে সমাজের ব্যাপার (আত্মীয় স্বজন, চারপাশের লোকজন)। এই দুই নম্বরটা তবুও যা ম্যানেজ করা যায়, এক নম্বরটাতেই আসল ঘাপলা। ঐ এক নম্বরটার জোরে ( বা ভয়ে) ই দু নম্বরটার এফেক্ট প্রকাশ পায়।
    আমার মেয়েকে ডাক্তারে পর্যন্ত দেখতে রিফিউজ করেছিলো একটা এমার্জেন্সী কেসে।
    এটা ১৯৯৭ এর ডিসেম্বর আঠাশে নভেম্বর (তখনো বিদেশযাত্রার কথা মনেও আনিনি, সেই স্পর্ধাই হয় নি)। সেটা ছিলো সম্ভবত শুক্রবার, সেই মাসেরই সেকেন্ড হাফে প্রথম চাকরি পেয়েছি যেখানে মাইনেটা আগের চেয়ে ভালো এবং ভাঙ্গা মাসের মাইনে মাসের শেষেই দিয়ে দিয়েছে। অফিস থেকে ফিরে জানলাম বাচ্চা মেয়ে দুষ্টুমি করে টেবিলের ওপরে উঠতে গিয়ে সেখান থেকে পড়ে মাথায় চোট পেয়েছে, জ্ঞান আসছে আবার হারাচ্ছে, এই রকম চলছে, এবং শুধু জল বমি করে চলেছে। বিকেল তখন। সদ্য পরিচিতা এক বান্ধবীকে ফোন করলাম এসব জানিয়ে, ডাক্তার চাই। সে বলল কোনো চিন্তা নেই, তুমি রিক্সা/অটো ইত্যাদি নিয়ে গোলপার্কের মৌচাকের পাশের গলিতে ওমুক ডাক্তারের চেম্বারে চলে যাও, আমাদের চেনা লোক, ফ্যামিলি ফ্রেন্ড। মেয়েকে পাঁচতলা থেকে কোলে করে নামিয়ে যথারীতি পথনির্দেশ মেনে ডাক্তারের চেম্বারে পৌঁছেছি। এঁরা স্বামীস্ত্রী দুজনেই ডাক্তার। স্ত্রী সম্ভবতঃ প্যাথোলজিস্ট ওখানেই লেবরেটরি। সন্ধ্যের গোড়া তাই পেশেন্ট বিশেষ নই। আমার মেয়েই প্রথম পেশেন্ট। তাকে চেম্বারের বাইরে একটা বেঞ্চিতে শোয়ানো হলো, তখনো বমি করছে, এক্স্‌টার্নাল ইনজুরি কিচ্ছু নেই। ডাক্তারবাবু মেয়েকে ওখানেই রেখে আমাকে নিয়ে চেম্বারে গেলেন, মেয়ের নাম বললাম, উনি লিখছেন।
    - আপ্নি ওর কে?
    আমি মা, শুনলেন তো আমার মেয়ে।
    ওর বাবা কোথায়?এখানে নেই?
    না
    কেন?
    বাবা এখানে থাকে না।
    (ডাক্তার আমার কপাল, সিঁথি, হাত , ইত্যাদি দেখছেন, চোখ ওঠা নামা করছে।) বাবা না থাকলে তো মুশকিল ।
    মুশকিল কেন?
    না মানে আমি তো ঠিক বুঝতে পারছি না ব্যাপারটা। আচ্ছা আপনি কি ম্যারেড?
    আজ্ঞে না, কিন্তু ডাক্তারবাবু সেসব পরে হবে আগে আপনি একটা কিছু ব্যবস্থা করুন। কোনো ওষুধ দিন।
    আপনি অন্য কোথাও নিয়ে যান।
    অন্য কোথায় নিয়ে যাব? আমি তো আর সেরকম কিছু চিনি না। আমি নতুন এখানে।
    না, এখানে হবে না। কে আপনাকে আমার এখানে আসতে বলেছে?
    বান্ধবীর নাম বললাম।
    ডাক্তার রেগে বিড়বিড় করতে লাগলেন।
    আচ্চা, আমি কি একটা ফোন করতে পারি?
    ফোন? কাকে?
    একটা ফোন করব আমার বন্ধুকে, এখন আর কোনো ডাক্তার তো চিনি না।
    তিনি ফোনের তালা খুলিয়ে দিলেন। বান্ধবীকে ফোন করলাম, এই দ্যাখো তোমার ডাক্তার তো দেখতে চাইছে না।
    সেকী! কেন? ফোনটা ওঁকে দাও।
    কিন্তু ডাক্তার ফোনে এলেন না, তিনি অন্য পেশেন্ট দেখছেন। বান্ধবী বললেন, তুমি ওখানেই ওয়েট করো আমি আসছি। আধঘন্টার মধ্যে বান্ধবীর আগমন। এর মধ্যে ডাক্তারের প্যাথলজিস্ট স্ত্রী সেখানে উপস্থিত।
    কী করো তুমি?
    চাকরি করি।
    কোথায়?
    কোম্পানীর নাম বললাম।
    ও! ওটাতো অতনুদার কোম্পানী। কী কাজ করো? রিসেপশানিস্ট?
    না রিসেপাশানিস্ট না।
    তাহলে?
    অন্য কাজ।
    এরমধ্যে বান্ধবী এসে ওঁদের সঙ্গে আড়ালে কথা বললো, তারপরে রেগেমেগে বেরিয়ে এসে বললো, চলো অন্য কোথাও যাই।
    দুজনে মিলে মেয়েকে ধরাধরি করে ট্যাক্সিতে শুইয়ে সারা দক্ষিণ কোলকতার বেশকিছু হাসপাতালে ঘুরেছি। সীট ছিলো না, ইত্যাদি নানান কারণ।
    শেষে রাত সাড়ে দশটা পার্ক নার্সিং হোম (ভিক্টোরিয়া টেরাসে) ভর্তি করলাম। ভর্তি করতে ভাঙা মাসের সমস্ত মাইনেটা দিতে হোলো। রাত এগারোতা নাগাদ বাএ করে দুই বান্ধবী ফিরছি, তখন সে বলল, তোমার ওড়নাটা কোথাও হারিয়েছো মনে হয়।
    সত্যিই এতক্ষণ খেয়াল করিনি।
    এর কিছুদিন পরে ঐ বান্ধবী জানিয়েছিলো যে তাদের ফ্যামিলি ফ্রেন্ড ডাক্তার দম্পতি ওকে বলেছে - কেন মেশো এইসব বাজে মেয়েদের সঙ্গে? হয়ত সেক্স ওয়ার্কার। দেখোনি ওড়না ছাড়াই ঘুরছিলো। বুক ফুক সব দেখিয়ে বেড়াচ্ছে। কোত্থেকে বাচ্চা করেছে কে জানে! ওর সঙ্গে মেশা তোমায় মানায় না। অতনুদা হয়ত না জেনে এইসব মেয়েদের চাকরি দিয়েছেন। খুব সরল আর ভালোমানুষ তো।

    বান্ধবী অবশ্য এসব অ্যাভাইস শোনেনি আমার সঙ্গে মন খুলে মিশত এবং বান্ধবীর ছেলের জন্মদিনে আমি কন্যাসহ আমন্ত্রিত, সেখানে ঐ ডাক্তার দম্পতিও এলেন তাঁদের পালিত পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে। আমাদের চিনতে পারেন নি। আমি চিনলেও কথা বলিনি।
  • Abhyu | 85.137.11.211 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:০৩654188
  • ন্যাড়াদার 31 Oct 2014 -- 09:26 PM ও অন্যদের আরো অনেক পোস্টে ক। মানুষের সমাজ হতে আমাদের অনেক পথ চলা বাকি।
  • . | 59.207.253.113 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:৩২654189
  • সে- আপনার মতো এত ঝঞ্ঝার সামনে হতে হয়নি বলেই এই ক্থাটা হয়ত বলছি, আপনাকে যেমন অনেকে অপমান করেছ, আপনি কিন্তু অনেকের থেকেও বন্ধুত্বপুর্ণ ব্যবহার পেয়েছেন, যথাবিহিত সম্মানও পেয়েছেন। তারাও কিন্তু একই দেশের লোক।
  • hu | 12.133.60.144 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:০৫654190
  • এক্জন মানুষ অন্যের সাথে সম্মানজনক ব্যবহার করবে এটাই তো স্বাভাবিক। দুর্ভাগ্য সেই দেশের যেখানে এই স্বাভাবিক ঘটনাকেও গ্লোরিফাই করার দরকার পড়ে।
  • π | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:১৭654191
  • এইধরণের ব্যবহারের কথা শুনলে সত্যি প্রচণ্ড রাগ হয়, কিন্তু অবাক হইনা। পাসপোর্ট অফিসে অতি সামান্য, এর থেকে অনেক সাধারণ ইস্যুতেই যা অভিজ্ঞতা হয়েছিল !
    সামান্য পদবী পরিবর্তনের জন্য গেছিলাম। আমি কেন বিয়ের আগের পদবী রাখবো, তাই নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল। একজন নয়, একাধিক জন করেছিলেন। এও শুনতে হয়েছিল, এইসব আজকালকার ফ্যাশন হয়েছে, তার সাথে এসেছিল শাঁখা সিঁদুর নেই সেই নিয়ে তির্যক মন্তব্যও। শুধু তাই নয়, পদবী পরিবর্তন, যেটার জন্য অ্যাপ্লাই করলে ওরা করতে বাধ্য, সেটার জন্যেও ঘোরাতে শুরু করে। মন্তব্যগুলো ফাউ। ঠিক ফাউও বলা যায়না, হয়তো সেজন্যেই ঘোরাচ্ছিল। এনিয়ে পাল্টা চেঁচামেচি করতে ও সিনিয়র অফিসরকে গিয়ে অভিযোগ করতে ব্যাপারটার সুরাহা হয়। এসব বছর বারো তেরো আগে। এখনো কি খুব বদলেছে ?
  • hu | 12.133.60.144 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৩৩654192
  • একটুও বদলায় নি পাই। পদবী পরিবর্তন না করার জন্য আমি এখনও তীর্যক মন্তব্য শুনি। কিছু কিছু শুভানুধ্যয়ী থাকেন সরকারী অফিসে। তাঁরা না চাইতেই মানুষের উপকার করতে ভালোবাসেন। তাঁদের একজন সম্প্রতি আমার নতুন র‌্যাশন কার্ডে টিমের পদবীটি আমার নামে জুড়ে দিয়েছেন। সে-দির মত মানুষ হলে হয়ত মেনে নিত না। আমি সময়ের অভাবে ছেড়ে দিলাম। কিছুই করলাম না। আর লড়াই তো শুধু সরকারী অফিসে নয়, এইসব ক্ষেত্রে লড়াইটা পরিবারের মধ্যেও চলে আসে। বছরে যেখানে পনেরো-কুড়ি দিনের জন্য দেখা হয় সেখানে ঝামেলা বাধাতেও আর ভালো লাগে না। সে-দির পোস্টগুলো সেজন্যই রিমার্কেবল লাগে। সহজ রাস্তায় হাঁটেনি। র‌্যাশন কার্ড হয়ত কোনদিনই ব্যবহার করব না। তাই ছেড়ে দিলাম। কিন্তু ছেড়ে দেওয়াটা কি উচিত হল?
  • π | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৪২654193
  • মুম্বইতে তো আরো এক উৎপাত হয়েছিল। এফিডেভিট করারে গিয়ে এক উকিলের পালায় পড়েছিলাম। তিনি তো আবার আমার বরের নাম অব্দি জুড়ে দেবার মহৎ কার্যে ব্রতী হয়েছিলেন। তার আগে একটু নাতিদীর্ঘ লেকচর ফ্রি পেয়েছিলাম। মেয়েদের নামের সাথে হয় বাবার নাম নয় বরের নাম থাকা কেন অতীব প্রয়োজনীয়, শোভন ইঃ।
  • Abhyu | 85.137.11.211 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৪৩654195
  • হুচি তুই অ্যাকাডেমিক্সের লোক - তুই বলতেই পারিস বিয়ের আগের পেপার আর পরের পেপারে নাম এক থাকতে হয়। কিন্তু ব্যাপারটা সেটা নয়। সমস্যা অন্যত্র।
    আর এই লড়াইটার ডকুমেন্টেশনের জন্যেই এই টই।
  • hu | 12.133.60.144 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৫৭654196
  • অভ্যু, এই র‌্যাশন কার্ডটা বাদে আর কোন ডকুমেন্টেই আমার অন্য কোন পদবী নেই। এমনকি এটার ফর্মেও আমি নিজের নাম-পদবী যেমনটি চাই তেমনই দিয়েছিলাম। কিন্তু এটা ছিল আমার পুরোনো পাড়া থেকে টিমের পাড়ায় আমার র‌্যাশন কার্ডের ট্রান্সফার। তাই আমাদের ম্যারেজ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়েছিল। ম্যারেজ সার্টিফিকেটে যদিও আমি পদবী পরিবর্তন করি নি। কিন্তু র‌্যাশনের অফিসাররা ভাবলেন এ আবার কেমন কথা! তাঁরা নিজের ইচ্ছা মত নাম দিয়ে দিলেন আমার। আর আশ্চর্যের কথা হল, এতে আমার অনুমতিরও প্রয়োজন পড়ে না। বাড়ির লোকজনও অবাক হয় আমরা এটা নিয়ে ইস্যু করছি বলে। যদি এটা ভুলই হবে তাহলে র‌্যাশন অফিসার এমন কাজ করবেন কেন? - এই হল যুক্তি ঃ-)
  • - | 109.133.152.163 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২০:১৮654197
  • কল্লোল Date:02 Nov 2014 -- 02:52 PM-এর প্রশ্নের উত্তরে অন্য প্রসঙ্গ দিয়ে এড়িয়ে যাওয়া তো পিটির কপিরাইট বলে জানতাম। আপনারও ওতে ... ঃ-))
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৪০654198
  • ২০০২ এর গোড়ায় আমার মেয়েকে ইস্কুল থেকে তাড়িয়ে দেয়।
    ভালো ইস্কুল। নামকরা। ইংলিশ মিডিয়াম। ২০০০ সালের মে মাসে ভর্তি করেছিলাম। দেড়বছরের মাথায়, ইস্কুল জেনে গেল "আসল" ব্যাপারটা। ব্যাস্‌, আর যাবে কোথায়? মেয়েকে বলে দেয়া হলো আর যেন ইস্কুলে না আসে। সেসময়ে আমি বিদেশে ছিলাম, ফোন করে জানলাম আন্টি না আসতে বলেছে। কাগজ দিয়েছে কি তাড়িয়ে দেবার? না, তা দেয় নি। শুধু বলেছে যেন আর না আসে। মেয়েকে ইস্কুলে যদি ফের যেতে হয়, তবে মায়ের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে হবে।
    ইয়োরোপ থেকে গিয়ে দেখা করে আসতে হবে।
    আগে ফোন করলাম।
    ফোন করলেই, প্রথমে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে, "একটু ধরুন" বলে ওয়েট করায়, দশ মিনিট, পনেরো মিনিট, কেউ আসে না সেই কল ধরতে।
    মোটা মাশুল দিয়ে লাইন কেটে দিই। আবার ফোন করি, তখনও একই অবস্থা, নয়ত রিং হয়ে হয়ে কেটে যায়। ইস্কুল খুব কন্‌ফিউজ্‌ড্‌, ফাঁকতালে কোন বাচ্চাকে ভর্তি করে ফেলেছে।
    এত বড়ো একটা ইস্কুল, কতো ভদ্রলোকের বাচ্চারা সেখানে পড়তে আসে। সেখানে কিনা এমন একটা বাচ্চাকে, যার কিনা... ছ্যা ছ্যা ছ্যা।
    ছুটি নিয়ে যেতে হোলো ইস্কুলে দেখা করতে। তারপরে ডেট নিয়ে দেখা করা মালকিন কাম প্রিন্সিপালের সঙ্গে। প্রচণ্ড ঐতিহ্যময় ব্যাকগ্রাউণ্ড এঁর। প্রচন্ড রাবীন্দ্রিক ব্যাপার স্যাপার। কিন্তু এইসব বাচ্চার ব্যাপারে খুব কড়া হাতে সামলান তিনি পরিস্থিতি।
    ইস্কুল থেকে তাড়িয়ে দিলে কোথায় নিয়ে যাবো মিড্‌ল্‌ অফ্‌ দ্য সেশন? ঘাবড়ে গেছলাম খুব। সমঝোতা করতে হোলো। খুব দামী সমঝোতা। সেটা না করলেই হয়ত ভালো হোতো।
    তা সে যাগ্গে। মেয়েকে নিয়ে সেই মালকিনের ঘরে গিয়েছি। খুব গম্ভীর মানুষ। প্রথমেই মেয়েকে বললেন - তুমি বাইরে যাও।
    - কেন? ও থাকুক।
    (মেয়ে ঘাবড়েছে, মায়ের কথা শুনবে না আন্টির কথা? কে বড়ো? মা না মাসী? তুমুল ডিলেমা)
    -না। এখানে বড়োদের কথা হবে, ওর না থাকাই ঠিক।
    -ও সব জানে। ও থাকুক। আমি ওর কাছে কিছুই কখনো লুকোইনা।
    আন্টি এইটে শুনে রেগে উঠতে থাকেন।
    ক্ষমতা ওঁর অসীম, তাই মেয়েকে আমিই বাইরে যেতে বলি।

    আসলে এঁদের মধ্যে একটা ধারণা/কনসেপ্ট কাজ করে যে, কাজটা খুব গর্হিত। অপরাধ। লজ্জাজনক কিংবা হাপুস হুপুস দুঃখের পটভূমিকা। কোনো মা ই কি তার সন্তানকে এরকম একটা গর্হিত/লজ্জাজনক/দুঃখের ব্যাপার জানিয়ে দেবে, এস্পেশালি এতটা শিশু বয়সে? নেভারই নয়।
    আন্টি মহিলাটি আশা করেছিলেন, আমি খুব দুঃখ শোক, বঞ্চনা ইত্যাদির গল্প ফাঁদব, তারপরে কেঁদেকেটে চোখের জলে একশা হয়ে রুমাল দিয়ে সর্দি মুছতে মুছতে করজোড়ে ওঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করব। কিন্তু তা হয় নি। আমি রেডি হয়েই এসেছিলাম এবং পরবর্তী প্ল্যানও মোটামুটি ঠিক ছিলো।

    সেই বছরেরই শেষে ক্রীস্টমাসের আগে, ইস্কুলে গিয়ে জানাই যে ছাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছি। কী করণীয় আছে?
    তাতে ইস্কুল কর্তৃপক্ষ জানায় - ইউ হ্যাভ টু পে অল্‌ দ্য ডিউজ।
    কীরকম ডিউজ ভাইটি?
    টিউশন ফীজ টিল মার্চ।
    সেকি! এখন তো ডিসেম্বর। ডিসেম্বরের মাইনে তো দেওয়া আছে।
    আদারওয়াইজ উই ক্যানট ইশ্যু দ্য টিসি।
    ও, এই কথা? তাহলে টিসি লাগবেনা।

    আন্টির সঙ্গে আগে যে মোলাকাৎ হয়েছিলো সেখানে আন্টি খুব চিন্তায় ছিলেন এই জেনে যে শিশুটি সব জানে। এইটেই মারাত্মক চিন্তার বিষয়। শিশুটি সব জেনে যদি এইটে স্বাভাবিক হিসেবে নেয়, তার যদি কোনো হীনবোধ, লজ্জা, আত্মকরুণা ইত্যাদি না জন্মায়, তাহলে তো খুব চিন্তার বিষয়। বেসিক্যালি তার মায়ের এই জঘন্য অ্যাক্টটিকে সে ঠিক কীভাবে দেখছে?
    যদি দুঃখময় হয়, তবে ভালো কথা। পরিতাপ করবে।
    যদি সাধারন একটা ঘটনা হিসেবে দেখে, আর পাঁচটা ফামিলির মতো? তবে খুব ভয়ের। এবং এই জিনিসটা সে সাধারন ভাবে নিয়ে যদি এই মনোভাব তার পাশের সঙ্গীসাথীর মধ্যে বিলিয়ে দেয়? সেতো ভয়ঙ্কর ব্যাপার হবে!
    এইখানেই ভয় পেয়েছিলেন সেই মাসী, থুড়ি আন্টি।
    বিদ্যালয় পবিত্র স্থান, সেখানে ভালো ভালো জিনিস শিখতে আসে বাচ্চারা। একটা খারাপ বাচ্চা পাশে রাখলে পাঁচটা ভালো বাচ্চা খারাপ হয়ে যেতে কতক্ষণই বা লাগবে।
  • - | 109.133.152.163 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৪২654199
  • আর, এই লাস্ট নেম প্রসঙ্গে বহু দিন আগে সুচিত্রা ভটচায্যি বলেছিলেন, স্মৃতি থেকে লিখছি তাই কোট-জ্যাকেট দিলাম না, বক্তব্য হল, হয় বাপের, নয় স্বামীর, কোনও না কোনও পুরুষেরই তো পদবী ব্যবহার করব। মায়ের বা দিদিমার তো আর না! তাইলে এত চাপ কিসের? কথাটায় অবশ্যই যুক্তি আছে!

    এই সব ঢের হয় মহায়, নতুন কিসু না। অনির্বান ধরিত্রী পুত্র বলে একজন কবিতা-টবিতা লিখতেন। কিছু কিছু লোক আহা আহা করত, দ্যাখো ক্যামোন মায়ের নাম বেবহার কর্চে! কিন্তু, কিন্তু তাঁর বউ নাম লিখত ইন্দ্রানী অনির্বান। অর্থাৎ ব্যাক টু স্কোয়্যার ওয়ান ঃ-)

    যাগ্গে "জঘন্য" দেশ নিয়ে আলোচনা করে কি হবে? "পচন" যেখানে "সাংঘাতিক" হয়ে গেছে, অ্যাতো বীভৎস সে পচন যে, যে র‌্যাশান কার্ডে বাড়ির বৌএর নামের পর, যে ফ্যামিলির মেম্বার বৌ, সেই ফ্যামিলিরই লাস্ট নেম লিখে দিচ্ছে! যাস্ট ভাবা যায় না!!
    লস্ট কেস। ও নিয়ে আলোচনায় আর লাভ কি?
    বরং, ভালো ভালো দেশের কথা বলেন। শুনি। মন ভালো লাগবে। নাগরিকত্বও নিতে পারি। সুযোগ পেলে ঃ-)
  • jhiki | 149.194.228.39 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৫১654200
  • এনারাই দের র‌্যাশন কার্ড রাখার প্রয়োজন হয় কেন? আমার তো কবেই সারেন্ডার করা হয়ে গেছে, শ্বশুরবাড়ীতে কোনদিন ট্রান্সফার করার প্রশ্নও ওঠেনি!
  • Tim | 12.133.60.144 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৫৫654202
  • অ্যাড্রেস প্রুফ হিসেবে লাগে, টেম্পোরারিলি। যদ্দিন না নতুন বাড়ির ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি আসছে। নইলে কোন দরকার নেই। অ্যাড্রেস প্রুফ নইলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা যায়না।
  • hu | 12.133.60.144 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৫৫654201
  • সত্যিই শুনবেন - ? আপনার আইপি যে দেশের সেই দেশেই আমি বিয়ে করেছি। কেউ পদবী পরিবর্তন করতে চাইলে সেই দেশে আলাদা ফর্ম ভরতে হয়। অপশনাল। ভারতেও পদবী পরিবর্তন যে বিয়ে করছে তার ইচ্ছাধীন। ভারত সরকার কোন মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামীর পদবী নিতে বাধ্য করে না। কিন্তু ঠিকই ধরেছেন, জঘন্য দেশে পচন এতই সাঙ্ঘাতিক যে পাশকরা আইনজীবিরাও সে কথা মানতে চান না। একাধিক আইনজীবির কাছ থেকে এই রেজিস্ট্যান্স পেয়েছি আমি। হ্যাঁ, এই পদবী আমার বাবার; মায়ের নয়। সম্ভব হলে পদবীটা সম্পূর্ণ ঝেড়ে ফেলে হাল্কা হতাম। কিন্তু তার জন্য যে কাঠখড় পোড়াতে হবে সেটা করার সময় নেই। কোনদিন করতে পারলে খুব ভালো লাগবে।
  • hu | 12.133.60.144 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৫৬654203
  • ঝিকি, ঐ কার্ডে কোন র‌্যাশন ওঠে না (আগেই ক্লিয়ার করে রাখা ভালো)। আমার কলকাতার কোন অ্যাড্রেস প্রুফ নেই বলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বানাতে অসুবিধা হয়। সেই জন্য।
  • | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৫৯654206
  • এই সেই দোলনা স্কুল?
  • π | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৫৯654204
  • কোন পদবী ছেড়ে ফেলতে দেয়না তো। মানে সারনেম যদ্দুর জানি ব্ল্যাঙ্ক রাখতে দেয়না। আমার এক সিনিয়র কাটিয়ে দিয়েছিল। তখন ওর নাম হয়ে গেছিল সুমেধা সুমেধা । এমত সায়েন্টিফিক নাম সবার পোষাতে নাই পারেঃ)
    এটাও বেশ কিছু বছর আগেকার কথা, এখন জানিনা।
  • - | 109.133.152.163 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২১:০০654207
  • বুঝলাম, হু, ৮টা৫৫, তা দুই দেশেই আইনত পদবী অপশনাল। কোনওটাই বেশী জঘন্য মনে হল না। ল'এর দিক থেকে।
    এখন পচন। সেটি কি নতুন শুরু হয়েছে? কবে থেকে হল? কোনও আলোকপাত?
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২১:০১654208
  • একদম।
  • Abhyu | 85.137.11.211 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২১:০২654212
  • আরে আমি যদ্দুর জানি তোদের মতো আমারো র‌্যাশন কার্ড আছে, সম্ভবতঃ কম্পিউটারাইজড। বাবা নাকি লিখিত দিয়েছিল যে আমরা দেশে থাকি না, তাই বাবার সইতেই আমাদের নতুন কার্ড ইস্যু করেছে। রেশন কার্ড, ভোটার আইডি এসব থাকা তো জরুরি। তোদের পাড়ায় রেশন কার্ড কম্পিউটারাইজড না হলে সেটা করার সময় ডিক্লারেশন দিলেই হবে, নিজেদের থাকার দরকার হবে না।
  • | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২১:০২654211
  • ওহ! আমার টীমে ছিল 'পল্লবী পল্লবী' মানে ওর সার্টিফিকেট ইত্যাদিতে শুধু 'পল্লবী'ই ছিল দেখিয়েছিল আমাদের। কিন্তু অফিসের আউটলুকে আইডি বানাতে গিয়ে কিছুতেই সারনেম ফাঁকা রাখার অপশান নাই। অগত্যা।
    এখনও আছে আমাদের কোঙেই।
  • π | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২১:০২654210
  • মৈত্রেয়ী দেবীর স্কুলটা ?
  • - | 109.133.152.163 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২১:০২654209
  • ও, আগের পোস্টে সামান্য টাইপো হয়েছে। "আইনত পদবী *চেঞ্জ* অপশনাল" পড়তে হবে।
  • - | 109.133.152.163 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২১:০৩654213
  • জঘন্য পচনে আমার প্রশ্নটাই হারিয়ে যাচ্ছে। এই দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগে কি এমন মহত্ব আছে, আমায় বুঝিয়ে দিন, প্লিজ!
  • সে | 188.83.87.102 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২১:০৫654214
  • হ্যাঁ।
  • hu | 12.133.60.144 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২১:০৫654215
  • হ্যাঁ, আমারটাও কম্পিউটারাইজড। সেটা বাবাই করিয়ে রেখেছিল। এবার ট্রান্সফারের সময় সম্ভবত আমার সই লাগল।
  • Tim | 12.133.60.144 | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২১:০৭654217
  • হ্যাঁ দুই দেশেই আইনত পদবী নিয়ে কোন বাধ্যবাধকতা নেই, অথচ একটি দেশে সেসব নিয়ে এগোতে গেলে হ্যারাসমেন্ট ও অপমানিত হতে হয় এতে কোন দেশ (দেশের তো আলাদা করে হাত পা নেই, দেশ মানে দেশের অ্যাডমিন) সম্পর্কেই জাজমেন্টাল হওয়ার কথা না। বিশেষতঃ অচ্ছে দিন এসে গেলে তো আরোই অন্যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন