এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কালীমাতা বনাম সানি লিওন!

    bip
    অন্যান্য | ২৫ অক্টোবর ২০১৪ | ৪৮৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:২৬654393
  • "আমি সেই অর্থে নাস্তিক, মন্দির/মসজিদ/গির্জা যাই না, ধর্মীয় রীতি কিস্যু মানি না। কিন্তু, যারা ধার্মিক তাদের নিয়ে আমার কোনো প্রবলেম নেই, যতক্ষণ না সেগুলি কোনো অসুবিধের সৃষ্টি করছে।"

    লসাগুদার লাইন আমারও। কিন্তু ক্রমশ দেখছি এই ধর্ম এবং ধর্মবিশ্বাস ক্রমাগতই আমার অসুবিধে করছে। ব্যক্তি আমার এবং মানবসমাজের অংশীদার আমার, আমাদের। সেইজন্যেই ধর্মের ধ দেখলেই আমি খিস্তি মারি।

    বাকি ডিডিদা বলেছে।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:২৮654394
  • হা হা - ধুস্‌, ধম্মো সরিয়ে রাখলে খুনখারাবি বন্ধ হবে কি করে। তার আরো উবায় আছে।
    ধম্মো মানুষকে ঘেন্না করার কল হবে কেন, ধম্মো তো প্রেমের কল, জীবে পেম করে ....
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:২৯654395
  • লসাগুদার লজিক এখন ক্লিশে লাগে। অমন এক্সাম্পল আরও দেওয়া যায়। আফ্রিকায় যেতে হবে কেন? শ্রীলঙ্কায়, ছত্তিশগড়ে, আসামে, মিজোরামে মানুষ মরছে, মরেছে, ধর্মের ট্যাগ ছাড়াই। তাই দিয়ে ধর্মের ক্ষতিকারক দিকটা ঢাকা যায় না। এটা ফ্যাক্ট এবং হার্ড ফ্যাক্ট যে ধর্ম, শুধুমাত্র ধর্মবিশ্বাসের কারণেই বহু বহু মানুষ দেশছাড়া হয়েছে, কচুকাটা হয়েছে, তছনছ হয়েছে - অন্যান্য স্যাম্পল রেট ছাড়াই।

    এন্ড অফ দা ডে মানুষই মানুষ মারে, ঠিক। তা ধর্মটা কী? মানুষকে বাদ দিয়ে কিছু? মানুষ না থাকলে ধর্ম কোথায় থাকে? "ধর্ম মারে নি, মানুষ মেরেছে" - এটা আমার কাছে লজিকাল কথা লাগল না।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৩৩654396
  • আচ্ছা, আরেকটু ঘুরিয়ে বলি। ধর্ম অ্যাজ সাচ ক্ষতিকারক নয়, কিন্তু ধর্মের মাস লেভেলে ক্ষতি করার পোটেনশিয়াল আছে। এক বা একাধিক ধর্মগ্রন্থে অপরকে নিচু নজরে দেখার, অপরের ক্ষতি করার গুচ্ছ গুচ্ছ ডিকটাট আছে। সেগুলোকে বাদ দিয়ে ধর্মের ভালো দিক নেওয়াই যায়।

    সেম ফর নিউক্লিয়ার এনার্জি। নিউক্লিয়ার শক্তিধর দেশ হওয়া তো খারাপ ব্যাপার নয়। নিউক্লিয়ার এনার্জি এমন কিছু খারাপ জিনিসও নয়, ঠিকভাবে হ্যান্ডল করতে পারলে। কিন্তু তাও একটা দেশ নিউক্লিয়ার শক্তিধর হলে, সেই শক্তি দিয়ে কারুর ক্ষতি করার আগেই অন্যান্য দেশ তার ওপর স্যাংশন চাপিয়ে দেয়।

    সাবধানটা আগেই হওয়া ভালো, ক্ষতি হবার পরে নয়।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৪২654397
  • বোরখা পরা মহিলা, শাখা সিঁদুর পরা মহিলা, গালে দাড়ি মাথায় টুপিওয়ালা ধার্মিক মুসলিম পুরুষ, কপালে তিলক /গলায় মালা/ হাতে আংটি /কব্জিতে কবজ ধর্মপ্রাণ হিন্দু পুরুষ, গলায় ক্রশ ঝোলানো ক্যাথোলিক, বগল কামানো হরেকৃষ্ণ -- এসবে দেখলে কুনো অসুবিধা হয় না। এদের অনেকে যখন বলে যে এসব জিনিস কত ভালো তা শুনলেও কোনো অসুবিধা হয় না, গা চিড়বিড় করে না। কত বিশ্বাসই তো কত লোকে রাখে।

    সোভিয়েত রাশা করেছিল, গত শতাব্দীর শুরুতে, সব গিজ্জা মসজিদ একদম কচুকাটা, পাদ্রিদের ধরে চার্চের পেছনের মাঠে গুলি করে মেরে ফেলেছিল। কিন্তু সেই সব ওহিরে এয়েচে। হু হু বাওয়া ফ্হম্মের কল, কদ্দিন রুখবে।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৪৩654398
  • *কিন্তু সেই সব ফিরে এয়েচে। হু হু বাওয়া ধম্মের কল, কদ্দিন রুখবে।
  • b | 135.20.82.164 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৪৫654400
  • লিওন কি সা নি? আমার তো মনে হয় কাঁ বা।
  • 42 | 208.7.62.204 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৪৫654399
  • ধম্মো যেমন অনেক মানুষ মেরেছে তেমনি বিগগানও তো অনেক মানুষ মেরেছে। অ্যাটম বোম, ডিনামাইট, একে সাতচল্লিশ, বোমারু বিমান, নাপাম বোমা, এজেন্ট অরেন্জ বিগগানের আবিষ্কার না? কয়্লা বিদ্যুত, তাপবিদ্যুত, মোটোর গাড়ি, বড়ো বড়ো ড্যাম, মাটির থেকে তেল তোলা, বিপির লিক, অ্যালাস্কায় আর অ্যামাজনে তেলের সন্ধান পুরো পৃথিবীটাকেই শেষ করে দিচ্ছে না? পাল্লা দুদিকেই সমান। ধম্মো আর বিগগান, দুটোই এসেছে প্রকৃতিকে জানার ইচ্ছে থেকে। খুনোখুনি মার্পিট করার স্বভাব মানুষের অন্তর্নিহিত। এই স্বভাব পাল্টাতে না পারলে ধম্মো বা বিগগানকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৪৮654401
  • ব্যস্‌, বিয়াল্লিশ কইসে
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৫০654403
  • আবারও ক্লিশে যুক্তি। ধর্মও মানুষ মেরেছে, বিজ্ঞানও মানুষ মেরেছে। অনেকটা সেই রামছাগলেরও দাড়ি আছে, রবীন্দ্রনাথেরও দাড়ি আছে।

    অনেকবার অনেক জায়গায় এ সব নিয়ে আলোচনা হয়ে গেছে। আর টাইপালাম না।

    ইয়ে, গুরুচন্ডালি লেআউটে বিজ্ঞান লেখে - bij`Naan, আর অভ্র লেআউটে লেখে biggan - এইভাবে।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৫১654404
  • সইত্যের খাতিরে কই, আমি লিওনের পানু সেই অর্থে দেখি নাই। একটা শুরু করেছিলাম, পোষায় নি। এক মিনিট দেখে কাটিয়ে দিয়েছি।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৫৩654405
  • ধম্মো টম্মো সব মেরে উড়িয়ে দাও, ধম্মো না থাগলে পিথিবি খুব শান্ত হইব - এতো চর্বিত চর্বন - এর থেকে ক্লিশে কিসু নাই।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৫৫654406
  • নাহ। ধম্মো না থাকলে পিথিমী শান্ত হইব, এমন আশা উন্মাদেও করে না। সিপিএম চলে গেলেই পচ্চিমবঙ্গ সুজলাং সুফলাং হবে এমন আশাও কেউ করে নি। কিন্তু অনেকগুলোর মধ্যে একটা একটা করে ইভিলকে আপরুট করা দরকার, সময়সুযোগমত।
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৫৯654407
  • হে হে, মানুষের মধ্যে থেকে এভিল তাড়াবে কেডা? ধম্মো, ধম্মো। অশোকা আসছেন - নেক্স্‌ট বিগ অভাটার।
  • hu | 188.91.253.22 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১০:১১654408
  • ধর্ম পৃথিবীতে থাকবে না এমন দূরাশা কেউ করে না। কিন্তু খুব দরকার স্কুলের কারিকুলামকে ধর্মমুক্ত করার। স্কুল-কলেজে কোনরকম রিলিজিয়াস অনুষ্ঠান একেবারে ব্যান করলে কিছুটা কাজ হয়। এই রকমটা আগে ছিল। আজকাল মনে হয় নেই। জন্মাষ্টমীর সময় স্কুলে স্কুলে কৃষ্ণ সাজার ধুম দেখে বেশ অস্বস্তি হয়।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১০:২২654409
  • আয়রনি এটাই, এ দেশের শিক্ষাবিস্তারে, স্কুল স্থাপনে অগ্রণী কিন্তু ধর্মপ্রতিষ্ঠানগুলোই। মাদ্রাসা, মিশন, ব্যাসিলিকা। স্কুল থেকে ধর্ম সরাবে, না ধর্ম থেকে স্কুল সরাবে?
  • lcm | 118.91.116.131 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১০:২৮654410
  • এই যে, এই যে - সিকি এইবার ধরসে/ হেইডাই হইল কথা। ভূতের মধ্যে সরষে, নাকি, সরষের মধ্যে ভূত?
  • :) | 127.194.194.26 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১০:৩৩654411
  • "ধর্ম বাদ্দিন" তো বিপ লাইন হইল। ডিডি তো বিপপন্থীই, ঘোষিত। কিন্তু সিকিও? ক্ষি দিনকাল।
  • Shibir | 113.16.71.21 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১১:১৯654412
  • এই linkta দেখতে পারেন । আমার তো মনে হয় ধর্ম মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার একটা কল । বিজ্ঞান আর ধর্মের মধ্যে প্রথমটা মানুষের অনেক সমস্যার সমাধান করেছে কিন্তু আধুনিক যুগে ধর্ম সমস্যা সৃষ্টি বাদে মানুষের ভালোটা কি করেছে যেটা ধর্ম বাদ দিয়ে হতনা

    http://yournewswire.com/religion-becoming-less-important-to-each-new-generation-video/
  • sm | 233.223.158.232 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১১:৩৬654414
  • গত দু তিন দশক ধরে আমি দেখেছি ধর্ম মানে শুধু মানুষ মারার কল। মানুষকে ঘেন্না করার টুলবক্স। এখনও কি সময় আসে নি, "ধর্ম মানুষের ভালোর জন্য" এই বালের মিথটাকে দূরে সরিয়ে ধর্ম জিনিসটাকে মানবসভ্যতার পক্ষে অপ্রয়োজনীয় হিসেবে ঘোষণা করা?

    -----
    সিকির কোথায় যুক্তি হ্যাজ । কিন্তু একটু বায়াস্ড। এই পৃথিবী ও মনুস্যকূল বড় বিচিত্র। নেচার মানুষ কে হিংস্রতা শিখিয়েছে।
    পাথর ছুড়ে জন্তু জানোবার কে না শিকার করলে মানুষ বাঁচতে পারতনা। সুতরাং এই গুনটি আদিকাল থেকে মানুষের সঙ্গে রয়েছে।
    ধর্ম বাদ দিন।
    দেখুন সাদা -কালো, ধনী- দরিদ্র,চিনা- জাপানি, এদের মধ্যে হিংসা, দ্বেষ, ঘৃনা, হিংস্রতা ধর্মীয় অনুশাসন ব্যতিরেকে কতটা প্রবল।
    এক ধর্মের লোক হলেও সময় বিশেষে কোনো ছাড় নেই।
    আজ পৃথিবী থেকে ধর্ম মুছে গেলেও অস্ত্র বিক্রি কমে যাবেনা বা হানা হানি , মারা মারি ও কমবে না। বরঞ্চ প্রত্যেক ধর্মের মধ্য যে গুড সামারিটান ব্যাপার টা আছে সেটা নষ্ট হয়ে যাবে।
  • সিকি | 131.241.127.1 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১২:৩৯654415
  • একমত হলাম না।

    অস্ত্র বিক্রি "মুছে যাবে না", হানাহানি মারামারি "মুছে যাবে না"। কিন্তু অস্ত্র বিক্রি "কমবে", হানাহানি মারামারি "কমবে"।
  • :) | 127.194.194.26 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১৩:১০654416
  • কিসুই কমবে না।

    (সামলাও। কমবে বনাম কমবে না দিয়ে কথা এগোবে?)

    যোগ্যতমের উদ্বর্তনের লড়াই আরো নেকেড আরো হিংস্র হয়ে উঠবে। মরালিটি, ঔচিত্যবোধ এর আড়ালটুকুও সরে যাবে। মানুষকে ভালো থাকার সৎ থাকার একমাত্র কারন সাপ্লাই করে ধর্ম। ওটা বাদ দিলে হানাহানি কমবে কিভাবে? কঠোর মিলিটারি শাসন ও নজরদারির এর দিন নামিয়ে আনতে হবে আইন মোতাবেক জীবন যাপনের জন্য।
  • sm | 233.223.159.253 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১৩:৫৯654417
  • অস্ত্র বিক্রি একটা ব্যবসা। যারা বিক্রি করে, তারা নানা ফন্দি ফিকির বার করে এটা করবেই। এল সি এম এর আগের পোস্টে যেমন উল্লেখ আছে, আফ্রিকা তে লক্ষ লক্ষ লোক মারা যাছে, অস্ত্রের সাপ্লাই আছে বলেই; ধর্ম টা এখানে গৌণ।
    প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালেও ধর্ম টা বড় ইস্সু ছিল না।সুতরাং হানা হানি, মারা মারি কমবে না এটা বলাই বাহুল্য।
    যতদিন ড্রাগের সাপ্লাই থাকবে, ততদিন ড্রাগের প্রবলেম থাকবে।
  • b | 135.20.82.164 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১৪:০৫654418
  • মানুষকে ভালো থাকার সৎ থাকার কারণ একমাত্র ধর্ম? নাস্তিক (অ্যাথেইস্ট অর্থে) হলে কেউ সৎ থাকতে/হতে পারে না?
  • Tim | 188.91.253.22 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১৪:০৯654419
  • ডিডির উপমাটা হেব্বি পছন্দ হলো
  • দেব | 133.63.241.33 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১৪:৩৫654420
  • প্রাচীনকালে হিন্দুদের অমুকে আপত্তি ছিল না তো এখন কেন, এই আবাং দাবীগুলো তোলার মানেটা কি বোঝা দায়। তিন হাজার আগের ভারত ছেড়ে দিলাম, তিনশো বছর আগের হিন্দু সমাজও এমন অনেক কিছুই করত যা এখন করে না, করবেও না। এই চেরী পিক করে কি লাভ হয়।

    সব ধর্মই, বিশেষ করে হিন্দু ধর্ম আধাখ্যাঁচড়া কতকগুলো বিশ্বাসের কালেকশন। মাথা থেকে পা আলাদা করা যাবে না। একটা বাউন্ডারীর ভেতরে থাকতে দিন না। বেকার এগুলোকে খুঁচিয়ে কি লাভ?
  • sm | 233.223.159.253 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১৫:১৪654421
  • মানুষকে ভালো থাকার সৎ থাকার কারণ একমাত্র ধর্ম? নাস্তিক (অ্যাথেইস্ট অর্থে) হলে কেউ সৎ থাকতে/হতে পারে না?

    ---
    b , এর প্রশ্ন তা খুব ই গুরুত্ব পূর্ণ। নাস্ত্ত্বিক দের মধ্যে ভালো লোক তো থাকতেই পারে। নাস্ত্বিকতা ও তো একটা বিশ্বাস বই কি নয়। কিন্তু নাস্ত্ত্বিক হওয়া মানে এই নয় যে ধর্ম জিনিস টা বাজে এই ট্যাগ দেওয়ার অধিকার চলে আছে।আমার নিজের ইশ্বর ভক্তি প্রবল নয়। ধর্ম তো পরের কথা। তাবলে ধর্ম জিনিসটার মর্ম না বুঝেই বাজে বলব কেন?
    এই ধর্ম কে বিশ্বাস করেই চৈতন্যদেব, ৫০০ বছর আগে বাংলার মুখ থুবড়ে পরা সমাজ কে রক্ষা করেছিলেন।
    রামকৃষ্ণ মিশন, বা কত খ্রিস্টান চ্যারিটি( মাদার তেরেসার সংস্থা) সংস্থা নিরলস মানুষের সেবা করে যাছে।
    গুর দ্বারে গরিব লোক গেলেই অন্তত দুটো রুটি দল খেতে পায়। এটাও কম বড় পাওনা নয়।
  • সিকি | 135.19.34.86 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১৫:৫০654422
  • আগে বানানটা শুধরে দিই, :)

    নাস্তিক।

    ১। নাস্তিকতা একটা বিশ্বাস নয়। বরং অবিশ্বাস, যাচাই করে তবেই মেনে নেবার মানসিকতা থেকেই নাস্তিকতা আসে।

    ২। নাস্তিক হলেই ধর্মকে বাজে ট্যাগ দেবার অধিকার আসে না। সেই অর্থে কেউ ধর্মকে বাজে বলে নি। আমার বক্তব্য ধর্ম একটি অপ্রয়োজনীয় জিনিস এই একুশ শতকে।

    ৩। ধর্মের মর্ম না বুঝে তাকে বাজে বলছে কেউ কেউ, এমনটা মনে হল কেন?

    ৪। চৈতন্যদেব ৫০০ বছর আগে কী করেছিলেন, সেটা অ্যাক্কেবারে ইরেলেভ্যান্ট আজকের দিনে। আজকের সমাজ আর পাঁচশো বছর আগেকার সমাজে আকাশ পাতাল তফাত। জাস্ট আকাশ পাতাল।

    ৫। রামকৃষ্ণ মিশন, মিশনারিজ অফ চ্যারিটি, ভারত সেবাশ্রম সংঘ। - এই উদাহরণগুলো আসবে আমি জানতাম। সমস্যাটা কী জানেন এসএম, আমি আমার দেশের ক্থা বলতে পারি। আমাদের দেশে রাষ্ট্র তার নাগরিকদের কাছে পৌঁছতে পারে নি আজও। প্রতিটা নাগরিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের অধিকার, প্রতিটা মানুষের দিনান্তে দুটো রুটি খেতে পাবার যে অধিকার রাষ্ট্রের এনশিওর করা উচিত, ভারত নামক দেশে সেই অধিকারের জায়গায় একটা বিশাআল হলোনেস দখল করে বসে আছে। এর জন্য আলাদা করে কারুর দিকে আঙুল তোলার দরকার নেই, আমরা সবাই দোষী এর জন্য। আমাদের দেশের জনসংখ্যা যেমনি আমাদের অ্যাসেট, তেমনি এইসব বেসিক অধিকার মেটাবার ক্ষেত্রে একটা বড় লায়াবিলিটিও বটে।

    এইখানে চলে আসে ধর্মীয় সংস্থাগুলো। এই হলোনেস পূরণ করে তারা। ধর্মের মোড়কে মুড়িয়ে তারা শিক্ষা দেয়, চিকিৎসা দেয়, অনাথকে আশ্রয় দেয়, ক্ষুধার্তকে রুটি দেয়, আর্তকে উদ্ধার করে। এগুলো সরকারের করার কথা, রাষ্ট্রের করার কথা, তা রাষ্ট্র করে না বা করতে পারে না, তাই অপরাধের ভার লাঘব করার জন্য এই সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স ইত্যাদি বিভিন্ন খাতে ছাড় দেয়, বিশাল ছাড়।

    ভারত সেবাশ্রম সংঘ বা মিশনারিজ অফ চ্যারিটি যা করে, তা কিন্তু বাইবেল বা গীতায় লেখা আছে, তার ইমপ্লিমেন্টেশন হিসেবে করে না। এগুলো তাদের মিশন। মাদার টেরেসার প্রাণ কেঁদেছিল দুঃস্থদের দুঃখে, তিনি তাদের সেবা করাই নিজের জীবনের মিশন হিসেবে তুলে নিয়েছিলেন। এইবারে স্বপ্নে যিশুর আদেশ পাওয়া টাওয়া সেসব গপ্পোকথা, আপনিও জানেন, আমিও জানি। কিন্তু একটা মিশন - ধর্মে লেখা আছে কি নেই তার রেয়াত করেন নি। ঈশ্বরের থেকেও বড় কথা, তাঁরা নিজেদের বিবেকের থেকে, অন্তরের থেকে ডাক পেয়েছিলেন।

    মানুষের সেবা করা, প্রয়োজনে মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া, এটা মানবধর্ম। মানুষ গোষ্ঠীবদ্ধ প্রাণী। সেটাকে কেউ কেউ প্রচলিত ধর্মের মোড়কে করে থাকেন, মনের বিশ্বাস থেকে - কিছু বলার নেই, কিন্তু তাই বলে সেই সেবাধর্ম প্রচলিত ধর্মের মাহাত্ম্য বলে ভাবতে যাবো কেন?

    আরও সোজা করে বলি - রাকৃমি, মিঅচ্যা, ভাসেস, এরা যা কাজ করে, সেগুলো ধর্ম না থাকলেও চালিয়ে যেতে অসুবিধে হয় না, কিন্তু ওল্ড টেস্টামেন্টে লেখা জমির মাপ অনুযায়ী হাজারে হাজারে নিরপরাধ মানুষকে মারা, ত্রিশূলের ডগায় ভ্রূণ বিঁধিয়ে উল্লাসনৃত্য কিংবা ঠাণ্ডা মাথায় আল্লার নামে একজন পাঁচজনের মাথা কেটে সেই ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করার মানসিকতা, এইগুলোর প্রত্যক্ষ কারণ ধর্ম। ধর্মবিশ্বাস ছাড়া এগুলো হত না।
  • sm | 233.223.159.253 | ২৭ অক্টোবর ২০১৪ ১৮:৩৪654423
  • নাস্তিকতা একটা বিশ্বাস নয়। বরং অবিশ্বাস, যাচাই করে তবেই মেনে নেবার মানসিকতা থেকেই নাস্তিকতা আসে।
    ---
    নাস্তিকতাও একটা বিশ্বাস তো বটেই। নাস্তিকতা গোদা অর্থে নন বিলিভার। তো, ইশ্বরের অন অস্তিত্ব এর স্বপক্ষে যখন বিজ্ঞান সম্মত কোনো প্রমান নেই; তাহলে বলা যাবে এটাও একটা বিশ্বাস থেকে আসে যে ইশ্বর বলে কিছু নেই।
    বিশ্বের ২-৩ শতাংশ নাস্তিক, আর ১৩ শতাংশ নন রিলিজিআস । তাহলে সংখ্যা গরিষ্ঠ ইশ্বর বিশ্বাসী লোকের বিশ্বাস কে ভ্রান্ত প্রমান করার দায়িত্ব ও তাদের উপরেই বর্তায়। নয়তো সেটিও একটি বিশ্বাস বলেই পরিগণিত হবে।
    ----
    ২। নাস্তিক হলেই ধর্মকে বাজে ট্যাগ দেবার অধিকার আসে না। সেই অর্থে কেউ ধর্মকে বাজে বলে নি। আমার বক্তব্য ধর্ম একটি অপ্রয়োজনীয় জিনিস এই একুশ শতকে।

    ৩। ধর্মের মর্ম না বুঝে তাকে বাজে বলছে কেউ কেউ, এমনটা মনে হল কেন?

    ---
    আপনার উপরের দুটি পয়েন্ট এর উত্তর আপনার লেখাতেই স্পষ্ট।
    "গত দু তিন দশক ধরে আমি দেখেছি ধর্ম মানে শুধু মানুষ মারার কল। মানুষকে ঘেন্না করার টুলবক্স। এখনও কি সময় আসে নি, "ধর্ম মানুষের ভালোর জন্য" এই বালের মিথটাকে দূরে সরিয়ে ধর্ম জিনিসটাকে মানবসভ্যতার পক্ষে অপ্রয়োজনীয় হিসেবে ঘোষণা করা?"
    এটাতে পরিষ্কার ভাবে ধর্ম কেই বাজে বলা হয়েছে। ধর্মের অপব্যবহার কারীদের নয়।
    ------
    চৈতন্যদেব ৫০০ বছর আগে কী করেছিলেন, সেটা অ্যাক্কেবারে ইরেলেভ্যান্ট আজকের দিনে। আজকের সমাজ আর পাঁচশো বছর আগেকার সমাজে আকাশ পাতাল তফাত। জাস্ট আকাশ পাতাল।
    -----
    চৈতন্য দেব যা করেছিলেন, তা আজকের দিনে ইরেলিভ্যান্ট কেন? মাদার টেরেসা তো হালের লোক। দেস্তিতুট লোকেদের উপর, ওনাদের সেবা কাছ থেকে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। কোনো সরকারের সাধ্য নেই এই রকম সেবা করা।
    তো, তিনি তো নিজেই ঘোষণা করেছিলেন ইশ্বরের ডাকে, এমন সেবায় ব্রতী হয়েছেন। বিবেকের ডাকে বলতে অসুবিধে কি ছিল? টি আর পি কমে যেত? উনি যে ধর্ম বিশ্বাসী ছিলেন তাতে তো সন্দেহ নেই। আর ধর্মই যে ভালো কাজ করার অনুঘটকের কাজ করেছে, অন্তত ওনার ক্ষেত্রে; এ বিষয়ে কি সন্দেহ আছে?
    সম্প্রতি দেবী শেঠি ও একটি সাক্ষাত কারে বললেন, মাদার ওনার জীবন সম্মন্ধে ধারণা বদলে দিয়েছে।
    সুতরাং ধর্মীয় মোড়কে আর একটি লোক কেও যে ভালো পথে চালনা করা যায়, তার উদাহরণ তো পাওয়া গেল।
    -----
    আফ্রিকার দেশ গুলিতে এত অস্ত্র বিক্রি করার বিশ্লেষণ ও পাওয়া গেল না।খালি ব্যবসার জন্যেও তো মানুষ এই কুকর্ম করে চলেছে।বৌদ্ধ ধর্ম ও জৈন ধর্মের তো মূল কথা হলো অহিংসা। তাবলে সেই সব ধর্মের লোকেরা হিংসা ত্যাগ করে দিয়েছে?
  • - | 109.133.152.163 | ২৮ অক্টোবর ২০১৪ ০১:২১654425
  • সিকির 27 Oct 2014 -- 03:50 PM খুবই মজার! বিশেষ করে ৫ নং-এ ভালো কাজ করে তার সমর্থনে যীশুর স্বপ্ন-টপ্ন বললে সেসব "গপ্প কথা" আর খারাপ কাজ করে ধর্মের জন্য করেছি বললে সেটি বাস্তব এবং ধর্ম খারাপ!!
    ভালটা যেমন মানুষের অন্তর থেকে আসে খারাপটাও তেমনই। যে মায়ের দু'হাতে বরাভয়, সেই মায়েরই অন্য দু'হাতে খড়্গ আর মুণ্ড! দুই কোথায়? এক এবং অদ্বিতীয় এই ধাত্রী ছাড়া আর আছেটা কি?
    একজন ভগবান আছেন তিনি সব ভালো করছেন আর আছে শয়তান একজন -- সেটা কেরেস্তানীয় ধারণা। নাস্তিক বলে দাবী করলেও আপনি খৃস্টান অলরেডি ফিলসফিতে সাবস্ক্রাইব করে বসে আছেন।
    তাই বলছিলুম ...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন