এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পুজোর আমি , আমার পুজো

    Parolin
    অন্যান্য | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | ৫০৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৫:১৩672018
  • সত্যি তো , পুজো এসেই গেল। কাশ নেই , পেঁজা তুলোর মত মেঘ নেই , শিউলি ফুলও নেই। তবু পুজো আসছে।মনের ভিতর কান পাতলেই শুনছি ডুডুম ডুডুম বাদ্যি।
    জনতা , এসো বুনে দিই সেই অম্লান দিনগুলির কাঁথাকাজ। আগের বা এই সময়ের।
    আমি লিখবো আমার সোনামুখীর পুজোর কথা। একেবারে মরমের ভেতর থেকে তুলে আনবো টাটকা তাজা পুজোর দিনগুলো।
    তোমরাও শোনাও পুজোর গপ্প , তা সে হাবড়ার হোক কি হিউস্টনের।
  • m_s | 59.93.240.103 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৭:২৪672029
  • পারোদি'কে অসংখ্য ধন্যবাদ... এই বিষয়-নির্বাচনের জন্য।

    যেহেতু জন্মাবধি কোলকাতার মানুষ, এবং যেহেতু.... " এই শহর জানে আমার প্রথম সব কিছু '... তাইজন্যই বোধহয়, পুজোর দিনগুলি'তে ..." আমার শহর ' ছেড়ে যেতে , মন চায়না।

    পরিবারের সবার সাথে ( মামণি,বাবা আর ভাই ... এবং মাঝে মাঝে, অন্যান্য আত্মীয় স্বজন ... এখন অবশ্য , কলেজের ও পাড়ার বন্ধুদের সাথে'ও ) রাত জেগে , নতুনপোষাক প'রে, সমস্ত কোলকাতা ঘুরে বেড়িয়ে, ঠাকুর দেখা, অষ্টমী-নবমীর খিচুড়ীভোগ খাওয়া....এই সব কিছুই ... আমার খুবই প্রিয়।

    ছোটবেলার মতনই এখনও , দশমীর দিন ( বিশেষ ক'রে ভাসানের সময়টিতে..... যখন মা-দুর্গা , কৈলাসে ফিরবেন ব'লে, লরী/ম্যাটাডোরে উঠে পড়েছেন )... কিছুতেই চোখের জল সামলাতে পারিনা। মনে হয়, যখন আরও বড় হ'য়ে যাব.... তখনও পারব না।

    আজ এইটুকুই লিখি। আবার পরে লিখব।
  • s | 141.80.168.31 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৮:০১672040
  • m_s - মটরশুঁটি??
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৮:৪১672051
  • ষষ্ঠীর সন্ধ্যে -
    মোহন কুমোর মায়ের মুখ আঁকতে ব্যাস্ত। কুচো-কাঁচাদের জন্যে কড়া আদেশ , খবরদার বাঁশের এদিকে কেউ আসবে না।আমাদের আসতে বয়েই গেছে। পুতুল দুগ্গা আর কে ভালোবাসে। দাদু তো বলেই দিয়েছেন মা দুগ্গার প্রাণ প্রতিষ্টা হয় সপ্তমীর সকালে।
    আমরা প্যান্ডেলের এদিক ওদিক লুকোচুরি খেলি। ত্রিপল -বাঁশের জঙ্গলে হুড়মুড়িয়ে পড়ি আর হিহি হাসি। তারমধ্যে ঢেকোরাও এসে গেছে। ডাড্ডা ডুডূম ডাড্ডা ডূডূম।এবার লুকোচুরি ছেড়ে আমরা ঢাকের তালে তালে দু হাত তুলে নাচি।এই রে জেঠু। হয়ে গেল সমস্ত আনন্দ মাটি। এর পর আবার বাড়িতে গিয়ে বাবার রামবকুনি "তুমি দুগ্গামেলায় ঢাকীদের সাথে নাচছিলে , লজ্জা করে না বাঁদর মেয়ে"। চুপ চুপ বাড়িতে ঢুকে দেখি বাবা মহা ব্যস্ত। ষষ্ঠী পুজোর কি যেন উপাচার পুরুতদাদু ফেলে এসেছে। এদিকে সময় বয়ে যায়।কাজেই নো বকুনি নাথিং।
    ছোট ছোট।আমাদের তুলসিতলায় ষষ্টীপুজো। পাড়ার সময় মেয়ে-বৌ-বাচ্চারা উঠোনে গল্পে মশগুল। মা চায়ের ট্রে নিয়ে হাসি হাসি মুখে।এই সন্ধ্যেটা আমার খুব প্রিয়। পুজো হচ্চে সার্বজনীন, ষষ্ঠীপুজো কিন্তু শুধু আমাদের বাড়িতে। রুনু-মনিমালা-চুমি-সীমা কারোর বাড়িতে নয়। আমার এই নিয়ে খুব অহংকার। আমি সবাইকে ডেকে ডেকে বোঝাই "জানিস অনেক আগে মনোহরতলাতে কোনো পুজো ই ছিল না ,পাড়ার সবাই পুজো দেখতে যেত নীলবাড়িতে তাই আমার দাদু নিজে খরচা করে পাড়ায় পুজো শুরু করেছিলেন , সেই জন্যেই তো ষষ্ঠীপুজো আমাদের বাড়িতে হয়"। রুনুদের দেখি গপ্প শোনার মন ই নেই , হাত ধরে টানে "চল চল , চোখ আঁকা দেখবি না"। সব যে হয়ে গেল।
    দুগ্গামেলায় সব গালে হাত রেখে হাঁ করে তুলির টান দেখচি , এমন সময় বাবা পেছনে।"বাড়ি চল, পুজো বলে কি সাড়ে সাতটা পর্যন্ত রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে"।
    ছলছল চোখে বাড়ি।
    অবশ্য বাড়িতেও কি কম আনন্দ। সোনাপিসিরা এসে গেছে। ফুলপিসি এল বলে।বাড়ি জমজমট।এবরে তো দিদিও আসছে ভাগলপুর থেকে। মানে আরো তিনখানি জামা।হে ভগবান কেউ যেন একটা গোলাপী জামা আনে। মাকে এতবার বোললাম গোলাপী জমা কিনে দিতে মায়ের সেই এক কথা গোলাপী তো আছেই। আরো না হয় একটা হল। মা কিছুতেই বোঝেনা।
    কাল আবার সপ্তমীর দোলা আনতে যাবো। সক্কাল বেলায়।এবারে আর পল্টুদাদার বাইকে চেপে নয়। রুনু-সীমাদের সাথে গল্প করতে করতে হাঁটবো সেই শালীনদী পর্যন্ত। ফেরার সময় শ্মশানকালীর মন্দির। উফ্‌ফ পুজো যে কেন প্রতি বছর দু-তিনবার হয় না।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৯:৪৪672062
  • সপ্তমীর সকাল -
    ঘুম ভেঙ্গে গেছে কাকভোরে। পাশে দিদা অঘোর ঘুমে। দিদার গায়ে কি সুন্দর মিষ্টি পানের গন্ধ।দিদাকে আমি খুব ভালোবাসি।বাবা-মার চেয়েও বেশি।না না বোধহয় একই রকম। কে জানে। এক এক সময় এক এক কথা মনে হয়।
    দিদাকে ওঠাই ঠেলে ঠেলে , দোলা আনতে সবাই চলে গেল যে। দিদার ঘুমন্ত ধমক "সাড়ে আটটায় দোলার সময় , এখন ছটাও বাজে নি , ঘুমো আরো একটু"। আহা ঘুমো বললেই যেন ঘুম আসে। বাবা বাজার করে ফিরে আসার আগেই তো আমাকে বেরিয়ে যেতে হবে। বাবা দেখলেই যেতে দেবে না নদী পর্যন্ত।উফ্‌ফ আজই সবাই ঘুম থেকে উঠতে দেরী করছে।
    বাবা চা খেয়ে বাজার বেরিয়ে যেতেই আমি সাদা ফ্রকটা গলিয়ে রুনুদের বাড়ি।রাস্তায় দেখা রানুদি-গোপাদি-বুড়িদি র সাথে। সব কেমন সুন্দর লাল পাড় সাদা শাড়ি পরেছে।সবার হাতে শাঁখ।আমি যে কবে শাড়ি পরাঅর মত বড় হব।
    সাড়ে আটাটা কবেই বেজে গেছে। এখনো দোলা পাড়া থেকেই বেরয় নি।ওহ এই বেরল।কি সুন্দর যে লাগছে।সব দিদিরা লাল-সাদা শাড়িতে আর সব দাদারা সাদা পাঞ্জাবী আর ধুতি।মেয়েদের হাতে সব শাঁখ আর ফুলের টুকরি। তবে সব গল্পেই ব্যাস্ত , ফুল ছড়ানো ও নেই আর শাঁখ বাজানো ও নেই। জয়দা আর চুমিদি সবার পেছনে।মিটকি মিটকি হেসে এ ওর গায়ে ফুল ছুঁড়ে দিচ্ছে। ওদিকে তাকাতেই রুনুর কনুই দিয়ে ঠেলে বল "জানিস ওদের না ভাব আছে"।
    ওমা ভাব যে আছে তাতো দেখাই যাচ্ছে। আড়ি থাকলে কেউ আমন হেসে হেসে একসাথে হাঁটে নাকি। রুনুটও যেমন বোকা। শুধুই কি অংকে কেবল ফেল করে।
    শালী নদী পোঁউছেই গেলাম। একটা বেঁটে পুলের তলা দিয়ে কুলকুল জল।প্রুতঠাকুর আর কজন দোলা নিয়ে সোজা জলের মধ্যে নেমে গিয়ে মন্ত্র পড়েই যাচ্চে।তলায় ধপধপে বালি।জ্জুতো-মোজা খুলে জলে সে দুপা নেমেছি ওমনি পিঠে পল্টুদাদার থাবা । উফ্‌ফ কেন যে আমার এত দাদা-দিদি।
    জল থেকে উঠে গিয়ে উঁচু বালির চরে। পাড়ার দাদারা সব পটকা ফোটাচ্চে।সাগরদার খুব সাহস। চকলেট বোম হাতে জ্বালিয়ে ধানক্ষেতের মধ্যে ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিছে।ফাঁকা মাঠে সে কি আওয়াজ।আরো কত পাড়া থেকে এসেছে দোলা নিয়ে। কিন্তু মনোহরতলা সবার সেরা। সবাই একরকম জামাকাপড়। সবাই শুধু আমাদেরকেই দেখছে।এর মধ্যে দেখি থানাগোড়ার পার্টির সাথে সাথীশ্রী এসেছে। দৌড়ে গিয়ে হাত ধরলাম।সাথী আসবে মনহর্তলার ঠাকুর দেখতে নবমীর সন্ধ্যেতে। ওর সবচেয়ে ভালো জামাটা পরে। আমিও সেদিন সিল্কের ফ্রকটা পরবো।ওমা এর মধ্যেই দেখি দোলা নিয়ে ঢেকোরা উঠে যাচ্চে রাস্তার দিকে। দৌড় দৌড়।গিয়ে রুনুর গায়ে এক ঠ্যালা। চলে যাচ্ছিলি যে।
    পাড়ায় ঢোকার মুখেই দেখি বাবা দাঁড়িয়ে।দেখেই থমকে গেছি।দেখছি বাবার থমথমে মুখ। ও মা কাছে গিয়ে দেখি থম্‌থমে কোথায় বাবা বেশ হেসে হেসে রামজ্যঠাকে কি বলছে। আমি দৌড়ে গিয়ে হাত ধরতেই প্রশন" কি রে অদ্দুর হাঁটতে পারলি ? পায়ে ব্যাথা করে নি?" বাবাটা না আমাকে এখোনো ছোটো মেয়ে ভাবে।বাবার হাত ধরে একবার মন্ডপে গিয়ে মা দুগ্গাকে প্রণাম করে নিয়েই বাড়ি।
    যা: পুজোর সবচেয়ে আনন্দের সময়টা শেষই হয়ে গেলা। এবার তো সেই আরতি আর ভোগ খাওয়া।অবশ্য আরো একটা মজার জিনিষ বাকি আছে। অষ্টমীর খ্যান।
  • m_s | 59.93.245.36 | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৭:২৯672073
  • আহা, কি যে সুন্দর হচ্ছে লেখাটা !!
    পড়তে পড়তে মনে হচ্ছে , আজন্ম কোলকাতা শহরে থাকার ফলে ... গ্রামের পুজো , আর সেই পুজোকে ঘিরে মানুষের সবুজ আনন্দ... এই সব কিছুই ভালো করে দেখা বা অনুভব করা হয়নি।
    মুশকিল হ'ল যে, আমাদের কোন চেনাশুনো আত্মীয়স্বজন নেই, যারা গ্রামে থাকেন।
    অবশ্য, শৈশবচেতনা নিয়ে লেখা, পারো'দি'র বর্ণনা, এ'ত প্রাণছোঁয়া সজীবতায় ভরা যে... সেই অভাব, অতৃপ্তি অনেকটাই ভরে যাচ্ছে।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৭:০৩672084
  • অষ্টমীর দুপুর-

    মন্ডপে দাঁড়িয়ে ঘনঘন রাস্তার দিকে তাকাই। মা তো এখনো এলই না। সবার মা রা মন্ডপে। আবার ডাকতে যেতে হবে। কতদিকে যে আমি সামলাই। ছুটে আবার বাড়ি। "সন্ধি পুজো যে শুরু হয়ে গেল। দাদু কি সুন্দর ধপ্‌ধপে সিল্কের ধুতি পরে আরতি করছে , দেখবে না। চল চল , সব তো শেষ হয়ে গেল। খ্যান ও চলে আসবে এখুনি"।মা তখোনো রান্নাঘর গোছাচ্চে। আমি যখন আনন্দ করি তখন মা কাজ করে একা একা। মায়ের নিশ্চয় খুব দু:খ।আমি ডাক্তার হয়ে মাকে কিছুতেই কাজ করতে দোবো না। মা ক মিনিটের মধ্যে একটা শাড়ি কোনোমতে গায়ে জড়িয়ে নিল। আরে দামের স্টিকার তো খোলো।মাটা এক্‌দম পাগল। আমি আর মা দ্রুতপায়ে মন্ডপের দিকে। মায়ের নতুন শাড়িতে খসখ্‌স আওয়াজ, মায়ের ছোট্টো ফরসা কপালে লাল টুকটুকে টিপ , মায়ের বাঁশির মত নাকে ঘামের পুঁটকি , মায়ের গোল ফর্সা হাতে শাঁখা-পলা-বাউটির ঝুমঝুমি।আমার মা একদম দুগ্গা ঠাকুরের মত দেখতে।
    মায়ের হাত ধরে মন্ডপে এসে দাঁড়াই। সব বৌরা মাকে দেখে কাছে এসে দাঁড়ায়।শুধু এই সনি্‌দ্‌ধপুজোর সময়েই সবার মা রা মন্ডপে থাকে। নইলে শুধু দাদা-দিদিরা আর আমরা ছোটো রা। মন্ডপ ধোঁয়ায় ধোঁয়া , ধুপ-ধুনোর মিষ্টি গন্ধ , ঢাকের আওয়াজ এত জোরে হচ্চে যে মনে হয় যেন নিজের বুকের ভিতরেই ঢাক বাজছে।
    সন্ধিপুজো শেষ।মা প্রদীপের ওপরে হাত নিয়ে আমার মাথায় বুলিয়ে দেয়। দু চোখ বন্ধ। ঠোঁটে বিড়বিড়।
    আমি টান দি মায়ের হাতে। চল জায়্‌গা দেখি, খ্যন আসবে এখুনি। পেছনে দাঁড়ালে দেখবো কি করে।
    কাল রাতে খেতে খেতে বড়জেঠু আমাদের সব ভাইবোনকে ক্যানের গপ্প শুনিয়েছেন।সবাই বোকার মত নাকি খ্যান বলে। আসল কথা নাকি ক্ষণ মানে মুহুর্ত। অপভ্রংশ হয়ে নাকি খ্যান হয়ে গেছে। অপভ্রংশ। কি সুন্দর কথাটা , কি জোরালো। জেঠ্যু তার মানেও বুঝিয়েছে। ভালো কথা নাকি বলে বলে মুখে মুখে খারাপ হয়ে অপভ্রংশ হয়।সে শুনে আমি ভাইকে বলি " তোকে আমি অপভ্রংশ করে দেবো"।ভাই বোনেরা সব শুনে হেসে এ ওর গায়ে লুটিয়ে পড়ে আর জেঠু আমাকে মিছি মিছি গাঁট্টা মারে।তবে আসল গল্পটা খুব মজার। অনেক আগে যখন সোনামুখী বিষ্‌নুপুরের মল্লরাজার ছিল তখন এক মল্লরাজা পুজোতে বলি দেওয়া মানা করে দিয়েছিল।তাই বলির সময় শুরু হবার আগে নাকি সব পাড়ার কত্তারা সব বলির অস্ত্রশস্ত্র রাজার কাছে গিয়ে জমা করে দিত।সেইটাই মনে রাখার জন্যে এখন সব পাড়ার লোকেরা অস্ত্র নিয়ে থানায় জমা দিয়ে আসে।তাতে প্রচুর মজা হয়।
    মায়ের কাছ ঘেঁষে দাঁড়ালাম বুড়ুকাকীমাদের বারান্দার ওপরে। ঐ একটা খ্যান আসছে। রৈ রৈ করে ছুটে ছুটে।হাতে কারুর খাঁড়া , মরচে ধরা তরোয়াল। বেশিরভাগেরই গাছের ডাল। সব দলের সাথে একদল ঢাকী। কি নাচ কি নাচ। কটা মাতালও আছে দলে।ধুপধাপ পড়েই যাচ্চে কেবল।আমি হেসে আর কুল পাই না।
    সবচেয়ে বড় দল আসে চৌধুরীপাড়ার। পোচুর লোক আর একশো আটটা ঢাক। দু হাত কানে চেপে আমি লাফাই।
    সব পাড়া পেরিয়ে গেলে তবে আমাদের পাড়ার খ্যান। দাদা দেখি সবার আগে। কপালে সিন্দুর। চুপচাপ হাঁটচে।নাচানাচি নাই। সবাই বলে দাদা নকি খুব ভদ্র ছেলে। দাদার পেছনেই মস্ত তরোয়াল হাতে সাগরদা।ওমা সবাই দেখি ছক্কাদাকে নিয়েই পড়ে আছে। ছক্কাদার মাথায় লাল ফেটি আর হাতে একটা মস্ত ঝামা পাথর। আর গায়ে চেটানো একটা কাগজে বড় বড় করে লেখা "স্টোনম্যান"। "মা স্টোনম্যান কি মা"। মা বলে জানিস না কোলকাতার রাস্তায় একটা লোক পাথর দিয়ে সব লোকদের মেরে ফেলছে। পুলিশ ধরতেও পারছে না।ছক্কা তাই সেজেছে। " মা বাবাকে সাইট থেকে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে বলবে মা "। "ধুর বোকা মেয়ে , সোনামুখীতে ওসব হয় না"।
    এক এক করে সব খ্যান চলে গেল। বাবা ওদিক থেকে ইশারা করে মাকে বলে খিদে পেয়েছে। আমরা গুটি গুটি বাড়ি ফিরি। বাবা অনেকটা আগে ভাই আর কপিলের হাত ধরে। মাঝে আমি লাফাতে লাফাতে। আর মা সবার পেছনে। এর ওর দরজায় দাঁড়িয়ে একটু করে গপ্প করে নিচ্ছে।হয়েই গেল পুজোর দুদিন।আর মাত্র একটা দিন। দশমীর সকালেই তো আবার দাদুভাই আর দিদুকে বিজয়ার প্রণাম করতে।
    মামাবড়ি বেড়াতে চলে যাবো।
  • kabli | 59.93.245.228 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০১:৪৫672089
  • পারোলিন, তুই না একটা যা-তা। তুই যে এত সুন্দর ছবি আঁকতে পারিস এতদিন ভাবতে পারিনি। তোর লেখা পড়ছি আর চোখে জল এসে যাচ্ছে। চালিয়ে যা চালিয়ে যা।

    Sorry, তুই লিখে ফেল্লুম, কিছু মনে কোরো না ভাই - একটু emotional হয়ে পড়েছিলুম তোমার লেখাগুলো পড়ে। তবে একটা excuse, আমি হয়তো তোমার বাবার থেকেও বয়সে বড়ো।
  • Tirthankar | 69.180.31.100 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০২:৪২672090
  • না:, এই মেয়েটা তো ভারী সুন্দর লেখে! দারুণ লাগছে পারোলিন, ঘোর গ্রীষ্মে মালাইকুলপি খাওয়ার মত আরাম হচ্ছে, চালিয়ে যাও।
  • indo | 59.93.254.14 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৮:৫৮672019
  • পাল্লিনকে এট্টা কোনো পুরুস্কার দিতেই হবে।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৩:৫৪672020
  • উফ্‌ফ সক্কাল সক্কাল প্যাঁচামুখে আপিস এসেই পেলুম কাবলিদাভায়ের চোখের জল , তীর্থদার কুলপির আরাম আর ডাক্তারের পুরুস্কার।
    জ্জয় মা দুগ্গা :-)
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৫:৩৪672021
  • নবমীর সন্ধ্যা -
    নবমীর সারা দিনটা এমনিতে কেমন যেন বোরিং বোরিং। বাবা আবার বোরিং বললেই খুব রেগে যায় "বাচ্চাদের আবার বোরিং কি , তোদের তো সবেতেই আনন্দ পাওয়ার কথা"। হুঁ।যাগ্গে বাবা বল্লে তো আর তক্ক করা যায় না।মা হলে তবুও চলে।তবে নবমীর দুপুরটা কাটলো ভালো।এবারে সকাল থেকে মিছিমিছি কান্না কান্না ভাব করে ঘুরেছি , শেষে বাবা মেনেই নিল " যাও দেখো ঐ কাঁকড় দেওয়া খিচুড়ি খেয়ে কত মজা।ওসব ছোটো লোকেরা খায়, ভদ্র বাড়ির লোকজন ওভাবে রাস্তায় বসে খায় না , এই বার ই শেষ"। আহা কি কথা। রুনু-মনিমালারা সব যেন ছোটোলোক। " তাই তো , মনিমালার দাদা একটা চোর , সাইকেল চুরি করে ধরা পড়েছিল"।এইবার আমার এইসান রাগ হয়ে যায় বাবার ওপর।চুপচা রান্নাঘরে মায়ের কাছে।তাও শুনি বাবা লম্বাপিঁড়ে তে বসে গজগজাচ্চে" পাড়ার বেরিয়েই মেয়েটা নষ্ট হয়ে যাবে। পড়াশোনার কোনো পরিবেশ আছে নাকি এখানে।রথতলাতে একটা বাড়ি করতেই হবে"।ওমা রথতলাতে আমরা কি করে বাড়ি করব।দাদু যে বলেন এইটাই আমাদের ভিটে।আর রথতালাতে আছেই বাকি। বাড়ি থেকে বেরোলেই শুধু রাস্তা আর অনেক দুরে দুরে একটা করে ছোট্টো বাড়ি।আমি তো কাউকেই চিনি না। খেলবো কার সাথে। আর লাইব্রেরী ই বা যাবো কি করে। গলার কাছে কেমন একটা কষ্টা হয় আমার।দুবার কেশেও ঠিক হয় না।রথতলায় গেলে বাবা একাই যাবে। আমি থাকবো দাদু-দিদা-জেঠু-বড়মার কাছে। এমনিতেও আমি দাদু-দিদা আর বাবা-মাকে সমান সমান ভালোবাসি।

    নবমীর ভোগে আমার কি আনন্দটাই না হল। মনি-আমি-রুনু আর গোরা পাশাপাশি।গোরাটা একটা গুন্ডা।আমার খিচুড়ির সব বাদামগুলো তুলে নিল।খেয়েছেও দুম দুম করে পিঠে কিল। বাবা কি বাজে কথা বলে। কোথায় কাঁকড় , কিচ্ছু নেই। শুধু একটু পোড়া গন্ধ। সেটা এমন কি খারাপ।আবার খেতে বসে অনুজদা কি মজা করল , পাতে বাদাম দেখে চিৎকার করে বলে "করেছিস কি রে এ এ , খিচুড়িতে বাদাম যে রে এ এ"।হি হি হি হি।ভেবেছিলুম খেয়ে পরে মনোহর্তলার মন্দিরের ভেতর ছোঁয়াছুঁয়ি খেলবো চারজন। হোলো না দুটো কারণে, দুটো ই ফালতু কারণ। এক- রুনু-মনি বললো ওদের বাড়ির জন্য কিছু খিচুড়ি নিয়ে যেতে হবে রাতে খাওয়ার জন্যে। সাথে বাটিও এনেছে দেখালো।
    দুই-বাবা ঠিক ডাকতে চলে এসেছে দুপুরে ঘুমোনোর জন্যে।পুজোর সময়েও। ওফ্‌ফ ভগবান।

    সন্ধ্যেবেলাতে বেরিয়েছি খুব সেজে। সাজ মানে ঐ আর কি। মানাপিসির দেওয়া সিল্কের ফ্রক আর ম্যাচিং রিবন চুলে।সাথে বেগুনীরঙ্গের পাম্প শু।মা কি বোকা। বলে মোজা পর। স্টাইল করতে হলে শুধু জুতো পরতে হয়।সোহিনী আমেরিকা থেকে যখন আসে তখন কি মোজা পরে নাকি।তারপর একটু সেন্ট মাখলাম আর হাল্কা করে মায়ের লিপস্টিক।বাবা ঠিক দেখতে পেয়েছে। "লিপস্টিক মুছে যেখানে যাবে যাও"।

    আজ মনোহরতলায় কি ভীড় কি ভীড়। শেষ দিন না। কাল তো সবাই নিজেদের বাড়িতেই থাকে বিজয়া বলে। এবারে সব পিসিরা বলে মামাবাড়ি যাওয়াও পিছিয়ে দিয়েছে।পোশ্‌শু দিন মামাবাড়ি। ভালো ই হল। মামাবাড়িটা বড্ড গ্রাম।অনেক পুকুর আছে , সেটই যা মজার।কোলকাতা থেকে নুপুররা এলে আবার সোনামুখীকেও গ্রাম বলে। আমার প্রচন্ড রাগ হয় তাতে। তক্কে হেরে বাবাকে বলতেই বাবা শিখিয়েছিল " সোনামুখীর মিউনিসিপাল্টি আছে , কাজেই সোনামুখী শহরই। তবে মফস্‌সল বললেই ঠিক।" দৌড়ে গিয়ে বললুম নুপুরকে। হেরো হেরো। আর মুখে কথা নেই। হুঁ কোলকাতাই যেন একমাত্র শহর পৃথিবীতে।

    আজ কত্ত বন্ধু এল মনোহরতলার ঠাকুর দেখতে।সব্বাই লিপস্টিক পরে আছে। কারুর বাবাই মুছতে বলে নি।মাঝখানে আবার দাদাকে বলে এক প্লেট ঘুগনি আর একটা কাঠি আইস্ক্রীম খেলাম।আটটা বাজলেই বাবা বলেছে ঠাকুর দেখাতে নিয়ে যাবে।

    তেলট্যাংকের ওপর ভাই আর বাবার কোমর জড়িয়ে আমি পেছনে।একটা একটা ঠাকুর দেখছি, প্রণাম করছি আর একটা জিনিষই চাইছি" হে মা যেন এবার পরীক্ষায় সরলটা না ভুল করি।" প্রায় প্রতিবার আমি সরলটা ভুল করে আসি। যোগ কর্তে গিয়ে বিয়োগ না কি একটা করে দিই।বাবা ঠিক গোপালস্যারের বাড়িতে গিয়ে খাতা দেখে আসে আর ফিরে রামবকুনি। মাঝে মাঝে কানও মলে দেয় আচ্ছাসে। "অংকতে পঁচাশী?? এটা একটা নাম্বার হল। এখন যদি এই পাও তাহলে মাধ্যমিকে গোল্লা পাবে।থার্ড ডিভিশনও পাবে না। ডাক্তার হবে। ডাক্তার হতে গেলে অংকতে একশো পেতে হয়"।" হে মা এবার যেন আমি একশো পাই"।

    বাবুপাড়ার ঠাকুর এবারে কি ভালো কি ভালো। কোলকাতার থেকে নাকি লোক এসে গড়েছে।সোনালী রঙ্গের দুগ্গা। আর মুখটাও কি মিষ্টি।মেলাও বসেছে। আমি একটা পুতুল, বাঁশী আর বেলুন কিনলাম। ভাই কিনলো দুটো গাড়ি , একটা পুলিশের জীপ আর একটা লাল টুকটুক মারুতি গাড়ি। ঠিক ছোটোমামার গাড়িটার মত।আমাদের অ্যাম্বাসাডরটা বাজে। বাবাকে বলতেই " ডাক্তার হলে কিনে দিবি"।"ও মা তুমিই যে বল আমি ডাক্তার হবই না"। বাবা এখন হাসে" সে তো রাগ করে বলি, তুই ভালো একটা কিছু হবিই হবি। আমি ঠিক জানি"।আমি বাবাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরি। বড় হয়ে বাবাকে আমি মারুতি গাড়ি কিনে দোবো ই দোবো।

    ঠাকুর দেখে সোজা বাড়িতে খাওয়া। নবমীর দিন স্পেশাল মেনু। লুচি , ছোলার ডাল , মাংস, ছানার পায়েস।"রোজ এমনি রাঁদ্দতে পারো না।কোথাও পলং শাগ আর কোথায় এই"।
    পিসিরা হাসে।"কুচুমনা আমার দাদার অত পয়্‌সা নাই বাবা"। আমিও হাসি। "তোমরা কচু জানো। বাবার অনেক পয়্‌সা।সব ব্যাংকে আছে।"খাওয়া হতেই ছুটে আবার মনোহরতলায়। ফাংশান আছে। আমি একটা কবিতা বলব। এই রে মোড়া আনতে ভুলে গেছি। ভালো জামা পরে কি আর ধুলোতে বসে দেখা যায়। এক ছুটে বাড়ি থেকে একটা মোড়া এনে রুনুদের সাথে বোসলাম।প্রথমেই ছোটোদের গান , নাচ আর কবিতা। পাপু বলতে উঠে ভুলেই গেল। রামবোকা। আমি টক টক করে উঠে বেশ বলে এলুম সোনাপিসী যা শিখিয়ে দিয়েছিল "নমস্কার, আমার নাম পারমিতা চ্যাটার্জ্জী। আমি বলবো সুকান্ত ভট্টাচার্জের ভেজাল।
    ভেজাল ভেজাল ভেজাল রে ভাই ..........."
    সব্বই কি হাততালি দিল।রুনু ও বলল আমারটাই নাকি সবার বেস্ট হয়েছে।আমার কিন্তু বেস্ট লাগলো বিলুদাদার কবিতা। কি সুন্দর করে বলল "কামাল তুনে কামাল কিয়া ভাই"। আমি ওটা বিলুদাদার কাছ থেকে ঠিক শিখে নেবো।এবার নাচ-গান-কবিতা শেষ। আসল জিনিষ এই শুরু হবে। নাটক। মাকেও দেখছি ভীড়ের মধ্যে , পিসীদের সাথে এসে বসেছে। এবারের নাটক শ্যামা। স্টেজের একপাশে ছোটোপিসী আর ছক্কাদা হারমোনিয়াম নিয়ে।প্রথমেই তাপসদা আর পরেশদা ঝকমকে পোশাকে।আর একদল কালো কোলো লোক।
    তারপরেই শিখাদিরা এল স্টেজে। কি সুন্দর সেজেছে। আর ছোটোপিসী এবার একটা চেনা গান গাইছে
    " থাক থাক নিজ মনে দুরেতে
    আমি শুধু বাঁশরীরও সুরেতে
    পরশ করিব ওর প্রাণমন
    অকারণ.................."
    রাত বেড়েই চলেছে। বাবা আমাদের ডাকতে এসেও দাঁড়িয়ে গেছে। আমরা সবাই দেখছি তাপসদা কখন তাপসদা থেকে বজ্রসেন হয়ে গেছে আর শিখাদি শ্যামা।

    নবমীর রাতও শেষ হয়ে এল।

  • vikram | 134.226.1.136 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৬:২২672022
  • পার্লিন এর লেখাটাকে কঠিন বাংলায় বলাঅ হয় সৎ সাহিত্য।

    বিক্রম

  • J | 160.62.4.10 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৮:১১672023
  • বহুৎ ভালো লিখেছে। বহুৎ ভালো।
  • bozo | 129.7.154.170 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২১:২৭672024
  • জাস্ট ফাটাফাটি। ছোটোবেলার পূজার কথা মনে পড়িয়ে দেয়।
  • Tina | 64.12.116.5 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০১:০৮672025
  • শোনো পারোলীন,
    আজকাল গুরুচন্ডালী তে আসার বড় আকর্ষন হয়ে দাঁড়িয়েছে তোমার এই লেখা। কত ভুলে যাওয়া কথা মনে পড়িয়ে দিলে তুমি। সেই যে ছোটোবেলায় পুজো য় গোলাপী জামা চাইতাম খালি, সে তো ভুলেই গিয়েছিলাম। আর ষষ্ঠী র দিন পাড়ার পুজোমন্ডপে ঠাকুর আসার সময় যে সব দল বেঁধে ঢাকের সাথে নাচতাম, মনে পড়ে নিজের-ই হাসি পেয়ে গেলো। তাই এই নাও তোমার পুজোর খাওয়া, ঘি-ভাত এর সাথে সোনামুগের ডাল আর ফালি করে কাটা বেগুনভাজা, আর আলু-পোস্তো আর ডিমের ডালনা। হ্যাঁ আমি জানি তুমি দুটো ডিম খাও আর ব্রণ র কথা ভেবে একদম কম তেল এ সব রান্না করেছি :-) শেষ পাতে আমের চাটনি আর তার পরে একটা মিষ্টি পান। পান চিবাতে চিবাতে বাকিটা লিখে ফেলো কিন্তু :-)))
  • dri | 199.106.103.254 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০১:২৩672026
  • ঈশ, নবমীও হয়ে গেল। তার মানে তো লেখাও প্রায় শেষ হয়ে এল! যা:।
  • Rana | 83.77.134.160 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৪:৪৭672027
  • একদম ফাটাফাটি .. আজ কতো বছর পুজো দেখিনি ... পারো র লেখা পড়ে সেই ছোটোবেলা-ই যেনো ফিরে গেছি ...

    এখন রাত ১:৩০। সব্বাই ঘুমুচ্ছে।। শুধু আমি এক নিস্‌শাসে পড়ে চলেছি। ছেলেবেলা সব কথা মনে পড়ে্‌ছ... সেই আমার গ্রামের পুজো। মা এর লাল সাড়ি পরা মুখ .... চারিদিক-এ ক্যামোন খুসি আর আনন্দ। সে-ই ঢাকের সব্দে ঘুম ভাঙ্গা

    নিজের অজান্তে দেখি চোখ ভেসে যাচ্ছে........

    জিও পারো ..... তুই সত্তি খুউব ভাল লিখছিস ... তোর সাথে মিতালি করলাম :))
  • Samik | 59.145.136.1 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৫:১০672028
  • নতুন চাগ্রিতে জয়েন করেই দুকুরবেলায় লুকিয়ে লুকিয়ে চোখের জল ফেলার জন্য যদি আমার চাগ্রি যায়, তাইলে তার জন্য পারোলিন দায়ি থাকবে।
  • Sayantan | 59.160.140.1 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৬:১২672030
  • জ্জিও পাগলা ঘ্যাম

    সিম্পলি অসা !!!
  • Rana | 212.158.75.196 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৬:৫৫672031
  • পারো, আমার মামাবাড়ি তোমাদের সোনামুখি র কাছে। জগন্নাথপুর (বানধ্‌খানা) .... মানে এখানে বসে মনে হচ্ছে কাছে-ই।

    ছোটোবেলা ই আমরা প্রায় পুজোতে-ই ওখানে যেতাম। কি অপুর্ব ছিলো সেই দিন গুলো....

    বাঁকুড়া র লাল মাটি র রাস্তা... সারি সারি মাটি-র ঘর, সেখানে কাঠের আগুনে রান্না হতো। সেই কাঠের জালানো-র গন্ধ... আহ্‌হ্‌হ... ভোর বেলায় খেজুর রস এর হাড়ি নিয়ে হাজির হতো মামাবাড়ি-র এক চাসি, আমরা ডাকতাম গড়ু মামা বলে... ঘুম ভাঙ্গা চোখে মিস্টি খেজুর রস খেতাম সব মাসতুতো ভাই-বোনেরা.. গন্ধ টাও কি মিস্টি ছিলো। আবার শাল পাতা-ই মোড়া চাঁছি পাওয়া যেতো, তার স্বাদ কি অপুর্ব...

    আরো মনে পড়ছে সে-ই ছোট্টো পুকুর টা, একটা বাঁশ বন পেরিয়ে যেতে হতো, পায়ের নিচে শুকে্‌না বাঁশ পাতা মড়্‌মড় করে ভা'ঙ্গতো.... তার সাথে বাঁশ গাছের রিমঝিম রিমঝিম, শন শন একটা সব্দ...

    নির্জন দুপুর-এ একা চলে যেতাম সেই পুকুর পাড়ে, মনে হতো যেনো সারা জগত যেনো চুপ হয়ে গেছে.. মাঝে মাঝে কি সব অজানা পাখির ডাক, কুব কুব, কুউউউউ কুউউউউ... সেই ছোট্টো পুকুর আজ মনে হয় Geveva Lake কে-উ হার মানিয়েছে।

    কখন-ও সাইকেল-এ চেপে শলি নদি পেরিয়ে চলে যেতাম... যতোদুর মন চলে... শাল বন-এর মধ্যে, একটার পর একটা সাউতাল গ্রাম পেরিয়ে যেতো... কখন-ও কোনো গ্রাম-এ ডাব-এর জল খেতাম, কোথাও বা খড়-এর ছাউনি দেয়া দোকান-এ মাটির ভাঁড়ে চা...

    আজ এসব কথা মনে করালো পারো-র এই থ্রেড... সুধ্‌হু নিজের মন-এর অতল গভীর-এ ডুবে গিয়ে লিখে-ই চলেছি, লিখে-ই চলেছি,.... কিছুতেই থামতে মন্‌চাইছে ন... চোখ ভিজে যাচ্ছে নিজের মনে-ই.... মনে হয় টাকা তো অনেক রোজ্‌গার কর্লাম, এবারে কি ফিরে যেতে পারি??? তখন-ই ফিরে আসি বাস্তব-এ.... আমাদের যে আর-ও টাকা চাই?? কতো? তা তো জানি না!!!

    thank you paro.... আর-ও শোনা-ও গল্পো টা।।।।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৮:২১672032
  • হগ্গলকে ধন্যযোগ।

    রাণা রাণা , আমার মামাবড়ি গোপবাঁধী।ওখানকার লোকেরা অবিশ্যি বলে গয়লাবাঁধী।বাঁধকানা থেকে রিক্‌শায় আধঘন্টা , হেঁটে চল্লিশমিনিট , বাইকে দশ মিনিট আর চারচাকায় মিনিট কুড়ি। ভাটিয়াল৯তে এস। গপ্প জমাই।

    ** অ বলতে ভুলে গেছি কেউ তুই থেকে তুমিতে ডিমোশান দিলে আমার বহুত গা জ্বলে যায়। এই যেমন কাবলিদাভাই আর রাণা।

  • saa | 217.23.225.121 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৯:৫৩672033
  • পারোলিন,
    তোমার দুগ্গাপুজো পড়ে সত্যি চোখের জল রাখা যায়না। ঐ যে লিপস্টিক এর কথাটা। সত্যি কি ভালো লিখেছো তুমি! ইশ দুগ্গাপুজো শেষ হয়ে এলো বলে পারোলিন, প্লীস আরো লেখো।
  • Parolin | 213.94.228.210 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২১:০৫672034
  • দশমীর সন্ধ্যে-
    ঠিক যা ভেবেছি তাই।বাবাকিছুতেই যেতে দিল দোলা ভাসাতে।বলে "বোকা, দোলা আনতেই আনন্দ , ভাসাতে শুধু কষ্ট। দোলা ভাসানো মানেই তো পুজো শেষ"।তা ঠিকই বলেছে বাবা।দেখলাম ক-জন মিলে কলাবৌ ভাসাতে গেল সেই শালীনদী আবার। বেশি লোক নেই।সবায়ের বোধহয় পুজো শেষ বলে মনখারাপ।
    দুপুরে আজ পিসিমনির বাড়িতে সবার নেমন্তন্ন।পিসিমনির বাড়িতে শিবদুর্গার পুজো।তাই সকাল থেকেই বাড়িতে খুব গল্প। মা-বড়মার আজ রান্না নেই। সকালের টিফিন করেই ছুটি। আয়েশ করে বড়ঘরের পিঁড়েতে বসে পিসীদের সাথে খোশ্‌গল্প হচ্ছে তাই। বাবাও যোগ দিয়েছে আজ। এমনিতে বাবা ইজিচেয়ারে বসে বসে সারাদিন শুধু কাগজই পড়ে।
    দুপুরবেলা খেয়ে এসে আবার গল্প। এখন ওপরের হলঘরে। মাদুর পেতে সারি সারি দিয়ে সবাই শুয়ে। সবার মাথার চুপ বালিশের ওপর দিয়ে পেছন দিকে ছড়ানো।আমি সবার চুল নিয়ে খেলা করি।মায়ের চুল সবথেকে নরম ,রাঙ্গাপিসীর চুল সবচেয়ে লম্বা। আর সোনাপিসীর সবচেয়ে ভালো , কালো কোঁকড়ানো থোপা থোপা।
    তিনটে বাজতে না বাজতেই সব দুপদাপ করে নীচে ছোটে। আজ বিজয়া না, বাড়িতে কত্ত লোক আসবে। রাঙ্গাপিসী হাঁক্‌ডাক করে "মিষ্টিগুলো এখোনো আনাও নি , চার রকম মিষ্টির অর্ডার দেওয়া আছে , যা রাজু ছুটে যা"।
    জেঠু নিয়ে এল এক ঝুড়ি সিঁড়ির নাড়ু। আগে বড়মাই বানাতো। এইবার বাইরে থেকে আনানো হচ্চে।
    মা সোনাপিসী নিমকি ভাজছে আর ঘুগনি সেদ্ধ হল কিনা মাঝে মাঝে দেখে নিচ্ছে।ছোটোপিসীর ইচ্ছে ছিল মাংসর ঘুগনি হোক , আমাদের সব ছোটোদেরও।দাদু শুনেই এমন চিৎকার করল "এসব পয়্‌সা খরচ করে মেয়েকে শান্তিনিকেতনে গান শেখাতে পাঠাবার ফল। এখনো এম-মিউজ পাশ হল না এদিকে মুখে ডিম মাখা , ঘুগনিতে মাংস দেওয়া এসব শেখা হচ্ছে"।ছোটোপিসী দালানকুঠুরীর ভেতরে মুখে আঁচল চাপা দিয়ে হাসে। আমিও।

    লোকজন আসতে শুরু করে দিয়েছে এক এক করে। দাদু বসে আছে ইজি চেয়ারে আর দিদা পাশের বেতের মোড়াতে।আমি প্রণাম করতে এসে দাদুকে দেখি। দাদুকে প্রণাম করি।দাদু দু হাত দিয়ে আমার মুখ ধরে কপালে চুমু খায়।জড়িয়ে ধরি দাদুকে। দাদুর গায়ের গন্ধ নিই।বুক ভরে নিই, মন ভরে নিই।
    তারপর বাড়ি ঘুরে ঘুরে সব্বইকে প্রণাম করি আমি, ভাই , কপিল , টুটুদিদি।সবাইকে।

    এর মধ্যেই আসতে থাকে পিলপিল করে একগাদা ছোটো ছোটো ছেলে। বাউরীপাড়া , ডমপাড়া থেকে। হাতে তাদের প্লাস্টিকের প্যাকেট। প্যাকেট ভরে মিষ্টি নেয় সবার বাড়ি থেকে। ওরা আবার প্লাস্টিক বলে না, বলে "ঝিঝির"।আমি পিসীদের কাছে গিয়ে ওদের নকল করি " ও গো বিজোয়ার দুটো মিষ্টি দাও গো , আরো দুটো দাও গো , ঝিঝিরটা যে আদ্দেকটাও ভরে নাই" ।সবাই হেসে খুন। বড়মা শুধু এসে বলে "অমন বলতে নেই মা আমার , ওদের বড় কষ্ট"। আমার মা ওদের ঝিঝির ভর্তি করে মিষ্টি দেয়।

    এদিকে বাড়িতে লোক আসা বেড়েই চেলেছে।সব্বইকে দিদা মিষ্টি খাওয়াতে চায়। "থাক মাসীমা কত মিষ্টি আর খাবো , আপনাদের আশীর্ব্বদ পেলেই হচ্ছে।দিদা ছাড়ে না "বছরকার দিনে কি আর শুকনো মুখে যেতে হয় বাব ঠিক আছে মিষ্টি খেতে হবে না , নোনতা খাও , এক প্লেট ঘুগনি বা নিমকি"।
    এর মধ্যেই দেখি পাঁচু গুন্ডা ঢোকে আমাদের বাড়িতে। সবসময়ের গেন্‌জী আর জীন্স নয়। বেশ গুছিয়ে ধুতি আর পান্‌জাবী পরে।আমি ছুটি বাবার কাছে , এক নি:শ্বাসে খবরটা দিই "বাড়িতে গুন্ডা এসেছে বাবা, তাড়াতাড়ি চলো , ঠ্যাং ভেঙ্গে দাও মেরে"। বাবা মাথায় হাত দেয় আমার "চুপ চুপ , বিজয়ার প্রণাম করতে এসেছে বোধহয়।জানো না বিজয়ার দিনে শত্রু-মিত্র সব এক হয়ে যায়,সব রাগ-ঝগ্‌ড়া-দ্বেষ ভুলে যেতে হয়।" "দ্বেষ মানে কি বাবা"। বাবার আর উত্তর দেওয়ার সময় হয় না। পাঁচু এসে প্রনাম করে বাবাকে।বাবাও দেখি বেশ হেসে হেসে কথা বলে। কেমন আছে , বাচ্চাটার শরীর কেমন। আমি একধারে দাঁড়িয়ে শিখে নিই , বিজয়ার দিনে সবাইকে ভালোবাসতে হয়, সব রাগ-ঝগড়া ভুলে যেতে হয়।

    রাত দশটা পর্যন্ত লোক আসতেই থাকে। মাঝখানে মা আমাকে আর দিদিদের প্রণাম করতে পাঠায় সবার বাড়িতে।আমরা হিসেব করি কাদের বাড়িতে ঘুগনি হয়েছে , বেছে বেছে সেই বাড়িতে প্রণাম করে বাড়ি ফিরে আসি। শুধু-মিষ্টি বাড়িগুলো সব কাল হবে। মা বলে লক্ষীপুজো পর্যন্ত বিজয়া থাকে। একটু দেরী হলে দোষ নেই।
    ঢাকের আওয়াজ শুনে বাড়ির সবাই সবাইকে ডাকে। মা দুগ্গাকে বিসর্জনের জন্য মন্ডপ থেকে বের করা হচ্ছে। চল সবাই , তাড়াতাড়ি।আমরা সবাই মিলে ছুটি। এক এক করে বের করা হচ্ছে সবাইকে ।প্রথমেই কার্তিক , গনেশ।হুড়োহুড়ি করে সব পা ছুঁয়ে ছুঁয়ে প্রণাম করে। মন্ডপে তো কেউ আর ঠাকুর ছুঁতে পায় না। আমিও করি। মা দুগ্গা আর সরস্বতীকে একটু বেশি করে প্রণাম করি আমি। মনে করিয়ে দিই অংকে একশো দেবার কথা , নিদেন্‌পক্ষে সরলটা যেন ঠিক হয়।
    মা দেখি সিঁদুর খেলছে। সব বৌরা এক অপরকে সিঁদুর মাখায়। আমার মা হাসে। সারা মুখে সিঁদুর।মাকে আরো সুন্দর লাগে আমার। এর মধ্যেই রুনু এসে আমার কপালে সিঁদুর লাগিয়ে দেয়।আমি মুছতে গিয়েও থেমে যাই , মা বলে সিঁদুর নাকি মুছতে নেই।অমঙ্গল।

    এবারে লোক বেড়ে যায়।আমি মদের গন্ধ পাই। দিদি আমাকে মদের গন্ধ চিনিয়ে দিয়েছে। আমি ঠিক এখন বুঝতে পারি।
    সবার আগে এক দল ঢেকো , তারপর মা দুগ্গাকে তোলা হয় , পরে লক্ষী আর কার্তিক। সবার শেষে গনেশ আর সরস্বতী।শেষে ব্যন্ডপার্টি আর পাড়ার সব লোকেরা। একটা ভ্যানে চাপানো হয়েছে একটা ভুটভুটে জেনারেটর।চারদিক আলোয় আলো। মা রা গলায় আঁচল দিয়ে জোড়হাতে মা দুগ্গার মুখের দিকে তাকিয়েই আছে। আমরা ব্যান্ডের বাজনার তালে তালে লাফাই।তুবড়ি জ্বলে ওঠে এধার ওধার। মা ইশারায় বলে সরে যেতে।বাজি ফাটতেই থাকে। হঠাৎ চোখ পড়ে যায় আটচালার মন্ডপে , ঝুপসি অন্ধকার। শুধু একটি প্রদীপ জ্বলছে একা একা।কাল ওখানে ছাগল-কুকুর ঘুরে বেড়াবে , যদ্দিন না পাঠশালা খোলে। আমার হঠাৎ কেমন কান্না পেয়ে যায়।পুজো শেষ , পুজো শেষ। মা এসে পেছন থেকে ঠ্যালা মারে আমায় " প্রণাম কর , প্রণাম কর , উল্টোদিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছো কেন , মা দুগ্গা যে চলে যাচ্ছেন"। আমার এবার বাড়ি যেতে ইচ্ছে করে।আমি হাতজোড় করে দেখি সব আলো , সব ভীড় দুরে চলে যাচ্ছে। আমরা কজন দাঁড়িয়ে থাকি ল্যাম্পপোস্টের টিমটিমে আলোর তলায়। ভীড়ের আওয়াজ পাতলা হতে থাকে। তাও আমরা শুনতে পাই -

    আআসছে বছ অ অর
    আআবাআআর হবে এ এ।
  • vikram | 134.226.1.136 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২১:২৪672035
  • হ্যাটস অফ! কি পারফর্মেন্স!

    বিক্রম
  • s | 141.80.168.31 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২১:২৫672036
  • খুব ভাল লেখা। ছবির মত।
  • ® | 124.7.97.190 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২১:২৯672037
  • ছোটবেলা কে যে ফিরিয়ে আনলে পাল্লিন দি। সেলাম তোমার কলম কে
  • Rana | 212.158.75.196 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২১:৪১672038
  • এসে গেছে, এসে গেছে, দশমী-র part...... এসে গেছে,

    সকাল থেকে ৪৫ বার reresh মেরেছি....

    কাল Geneva fest এর জন্য সব দোকান বন্ধ। তাই এখোন-ই বেরোতে হবে জিনিস কেনার জন্য.... বাড়ি গিয়ে রাতে জমিয়ে পড়বো বলে 'জমিয়ে' রাখ্‌লাম।।।

    টা টা, সই পারো, এখোন 'তুই'-ই থেকে সই ....
  • Arjit | 128.240.229.67 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২১:৪৮672039
  • না:, টুপি খুল্লুম।
  • rimi | 168.26.218.168 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২২:০০672041
  • দারুণ লাগল। কেলাসে বাচ্চাদের কঠিন অংক দিয়ে বসিয়ে রেখে টুক করে পড়ে নিলুম।:-))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন