এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইজরায়েলের কি ও কেনো

    deepten
    অন্যান্য | ২৫ আগস্ট ২০০৬ | ৬৮৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ® | 203.197.96.50 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১০:০৬672145
  • দী দা ১৯৪৮ যুদ্ধে ইসরায়েল কিভাবে জিতল প্লিজ লিখুন।
  • dd | 59.144.57.174 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১০:১০672146
  • এক্ষুনি এক শালা আঅবে মিটিন কত্তে।
    তার আগেই দু লাইন লিখে দি।

    ঈশেন

    ধর্ম ভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে আমি অবশ্যি অবশ্যি অবশ্যি সেকুলার জাতীয়তাবাদের থেকে অপকৃষ্ট মনে করি। মনে করি এটা সভ্যতার পরিপন্থী।

    রঙ্গন

    "ঠিক এখন যেমন মুসলমানদের উপর হতে যাচ্ছে"- তুমি লিখলে। বারো জন ভারতীয় মুসলমানকে চুড়ান্ত অপমান করে প্লেন থেকে নামিয়ে দেওয়া যতই খারাপ হোক - ইহুদী নিধন যজ্ঞের মতন সিস্টেমেটিক হত্যালীলার সাথে তাকে এক আসনে বসালে। কোন আবেগে?

    অস্তিত্বের সংকট মুসলিম দুনিয়ায়? যেমন ইহুদীর ছিলো ? না। কখনো নয়।

    আর্মেনিয়ানদের উপর জেনোসাইড - এটা ঠিক উদাহরন। বাকীগুলো মানা গেলো না।

    দ্রি

    আগে পড়া লিওন উরিসের বইটি আমার তথ্যের আকর। নেটেও দু এক যায়গায় পেলাম আমেরিকার নিস্পৃহতা ১৯৪৮'এর যুদ্ধে। যেমন ছিলো WW2'র প্রথম দিকে।

    আর কোনো বই নেই আমার কাছে। আপনি একটু দেখবেন? কোনো লাইব্রেরীতেই পাবেন -আমেরিকায়। টাইম ম্যাগাজিনের ক্যাপসুল দেখুন ৪৮ ও ৪৯'এ।
  • dd | 59.144.57.174 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১০:৪৫672147
  • আবার ঈশেনকে।

    ঐ যে বল্লে "আমার এলাকায় ঢুকলে" সেটা ঠিক যুক্তি। কিন্তু আগে দেখো আমার এলাকার ডেফিনেশন ঠিক আছে কিনা।

    আসলে প্যালেস্টাইন ছিলো নেহাত ই বৃটিশের ব্যাক ইয়ার্ড। ১৯১৭ সালে ইহুদী রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় - বৃটীশ রাজ দেয় ইহুদী কমিউনিটিকে। যদি বলো বৃটীশ রা দেবার কে ? ইহুদী কমিউনিটি টা আবার কি ? তখন (১৯১৭) সালে ও রকম ই ছিলো দুনিয়া। পরে ৪৭ সালে ইউ এন রেজোলিউশন ও ইজরায়েলের দাবী মেনে নেয়।

    উচিৎ ছিলো ছোট্ট ইজরায়েলকে মেনে নেওয়া। পরে সব আরব রাষ্ট্রই তা মেনেছে। ভ্যাটিকানের মতন দিব্যি থাকতে পারতো।

    কখনো ই সমর্থন করি না প্যালেস্টাইন ইজরায়েলের লড়াইকে ধর্মীয় যুদ্ধ করে ছয় দেশের যোগদান।
  • dd | 59.144.57.174 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১০:৫১672148
  • হতেও পারে একপেশে

    Emir Faisal, son of Sherif Hussein, the leader of the Arab revolt against the Turks, signed an agreement with Chaim Weizmann and other Zionist leaders during the 1919 Paris Peace Conference. ?Mindful of the racial kinship and ancient bonds existing between the Arabs and the Jewish people,? it said, ?and realizing that the surest means of working out the consummation of their national aspirations s through the closest possible collaboration in the development of the Arab states and Palestine.? Furthermore, the agreement looked to the fulfillment of the Balfour Declaration and called for all necessary measures ?...to encourage and stimulate immigration of Jews into Palestine on a large scale, and as quickly as possible to settle Jewish immigrants upon the land through closer settlement and intensive cultivation of the soil.?

    Faisal had conditioned his acceptance of the Balfour Declaration on the fulfillment of British wartime promises of independence to the Arabs. These were not kept.

    Critics dismiss the Weizmann-Faisal agreement because it was never enacted; however, the fact that the leader of the Arab nationalist movement and the Zionist movement could reach an understanding is significant because it demonstrated that Jewish and Arab aspirations were not necessarily mutually exclusive.


    এটা জিইউইশ ভার্চুআল লাইব্রেরী থেকে টোকা। কতটা সত্যি কে জানে ?
  • r | 61.95.167.91 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১১:৪০672149
  • এইবারে ইজরায়েল নিয়ে আমার দুই পয়সা:

    তিন হাজার বছর ধরে ইহুদী ধর্মের ইতিহাসে promised land ছিল একটি মিথ। একটি ধর্মীয় মিথ। লুরিয়ানিক কাবালা থেকে পরবর্তীকালে টোরার যাবতীয় ব্যাখ্যায় এই promised land আমাদের স্বর্গরাজ্যের মতই একটি মিথ। কখনই রাজনৈতিক জাতিরাষ্ট্র নয়। এই রাজনৈতিক জাতিরাষ্ট্রের দাবী শুরু হল zionist আন্দোলন শুরুর দিন থেকে। তবে এই আন্দোলনের শুরুতেও এই দাবী নিয়ে নেতাদের মধ্যে বিভিন্ন মতামত দেখা যায়। বেন গুরিয়ন চেয়েছিলেন প্যালেস্টাইনে একটি সমাজতান্ত্রিক জাতিরাষ্ট্র। থিওডোর হের্জল চাইলেন মধ্যপ্রাচ্যে একটি ইউরোপীয়ান কলোনি। অনেকে চেয়েছিলেন ইজরায়েল হোক ইহুদীদের একটি সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় মিলনক্ষেত্র, রাজনৈতিক জাতিরাষ্ট্র নয়। এমন কি ব্যাসেলে দ্বিতীয় zionist সম্মেলনে থিওডোর হের্জল বলেছিলেন নতুন ইজরায়েল উগান্ডায় স্থাপিত হোক। তার জন্য যদিও তাকে বিশাল ঝামেলা পোহাতে হয়। আর এক উল্লেখ্য বিষয়, এই পুরো zionist আন্দোলন ছিল সম্পূর্ণ সেকুলার আন্দোলন। ১৮৯৮ সালে ব্যাসেলে ঘোষণা করা হয়: "Zionism has nothing to do with religion." অথচ রাজনৈতিক স্বার্থে ইহুদী ধর্মীয় মিথগুলোকে খুব চতুরভাবে ব্যবহার করা হয়। আলিয়া, অর্থাৎ অভিবাসন- এই শব্দের মূল অর্থ ছিল অস্তিত্বের উচ্চতর পর্যায়ে আরোহণ। ইমিগ্র্যান্টদের ওলিম বলা হয়, যার মূল অর্থ তীর্থযাত্রী।

    কাজেই রাজনৈতিক জাতিরাষ্ট্রের দাবীদাওয়া তিন হাজার বছরের পুরোনো- মানছি না।

    এর পরে দু পয়সা হবে জেরুজালেম দখল নিয়ে।
  • Arjit | 141.30.16.137 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১২:০৯672150
  • আমারও দু পয়সা -

    (১) প্রমিসড ল্যাণ্ড ধর্মীয় মিথ বটেই।
    (২) জেরুজালেমে মুসলিম শাসনের সময় ইহুদীরা মোটেও অত্যাচারিত ছিলো না। ইওরোপীয় খ্রীষ্টানরা দখল নেবার পরে সমস্ত অত্যাচার শুরু হয়।
    (৩) যদি মিথ মেনে প্রমিসড ল্যাণ্ড ধরেও নিই, তবে কে কোন যুগে প্রমিস করেছিলো বলে আজকের লোকেদের ঝঞ্ঝাট পোয়াতে হবে কেন?
    (৪) বিশ্বযুদ্ধের পর যখন সিরিয়া/লেবানন ইত্যাদি তৈরী করে ইংল্যাণ্ড এবং ফ্রান্স, তখন উপজাতি-জনজাতি কিস্যু না মেনে আরবিট বর্ডার তৈরী করে - প্রমিসড ল্যাণ্ডকে জায়গা দেবার জন্যে। তার ফলে যে উদ্বাস্তু তৈরী হল, তার দায় কেউ নেয়নি। আজকের গণ্ডগোলের শুরু এইখান থেকে।
    (৫) ছয়দিনের যুদ্ধে ইজরায়েল নিজেকে বাঁচালো, এই অবধি ঠিক - কিন্তু ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক আর গাজা - এগুলো দখল করে রাখাও কি তার জন্যে?

    এখনও মিউনিখ-পরবর্তী খুনখারাপি আর আজকের সিচুয়েশনে আসিনি।
  • r | 61.95.167.91 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১২:৩১672151
  • এই নয়া রাষ্ট্র স্থাপনের দাবী যে খুব পুরোনো দাবী নয়, তার স্বপক্ষে বি বি সির মধ্যপ্রাচ্য বিশারদ Tim Llewellyn বলছেন:

    "The Messianic idea of returning the Jews to their "promised land" had been a Puritan religious belief since the 16th Century. In the mid-19th Century, British politicians saw another value: that of having in place in the Middle East a Jewish entity sympathetic to the British Empire.

    Two phenomena made realthese andthe Jews'own previouslyvague aspirationsof "return":the burgeoningEuropean nationalismof thetime, fromwhich theJews feltexcluded; andthe massacres,or pogroms,carried outby TsaristRussia againstits sixmillion Jews,the largestsingle Jewishpopulation inEurope, whichspread intothe Ukraineand Poland.

    By the 1880s, groups of desperateRussian andother EasternEuropean Jewswere settlingin Palestine,which wasunder thesomewhat tenuousauthority ofthe TurkishOttoman Empire."

    এর আগে প্যালেস্টাইনে ইহুদী সংখ্যা ছিল যৎসামান্য। যে zionist-রা প্যালেস্টাইন দখলের লড়াই করবেন ঠিক করলেন, তাঁদের প্যালেস্টাইন সম্পর্কে জ্ঞান ছিল অত্যন্ত কম। যদিও তখন প্যালেস্টাইনে এক বিশাল সংখ্যক আরব বাস করেন, তা সঙ্কেÄও zionistরা ঘোষণা করলেন- A land without a people for a people without a land। ১৮৮০ থেকে ১৯১৭ অবধি ধনী ইহুদী ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি ডলার খরচ করে আরব এবং তুর্কী জমিদারদের থেকে বিপুল পরিমাণে জমি কেনেন। ১৮৮১ সাল থেকে প্রথম বিশাল সংখ্যক ইহুদী প্যালেস্টাইনে বসতি স্থাপন করলেন। তারপর থেকে একের পর এক অভিবাসনের ঢেউ তুলে প্যালেস্টাইনে ইহুদী সংখ্যাগরিষ্টতা স্থাপিত হয়।
  • dam | 202.54.214.198 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১২:৩২672152
  • এই আমার ঠাউর্দা প্রমিস করেছিল বলে আমি ও পাড়ার রামবাবুর জমি মদনবাবুকে দিয়ে দেব ---- এটা গেলা যায় না।

    আর আমাকে বাচ্চা পেয়ে পাড়ার দাদারা কান মলে দিতে চেয়েছিল বলে আমিও যখন তখন লোক ধরে ধরে বস্তায় পুরে পেটাব --- সরি এটাও গেলা গেল না।

    তথ্যফথ্য জানি নে, ও অজ্জিত, রঙ্গন , দ্রি , ব এরা সব দিয়ে দেবে/দেবেন। তবে আমার স্বাভাবিক মানবিক বুদ্ধি যা বলে তা মোদ্দা ঐ ওপরের দুটো পয়েন্ট।
  • dd | 202.122.18.241 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১৩:২০672153
  • দমু

    WW2'র পর সারা দুনিয়া জুড়ে ও ভাবেই দেশের সংজ্ঞা নির্ধারিত হয়েছিলো। আমাদের দেশেও। যেমন ধরো কাশ্মীরে।

    হ্যাঁ,অবশ্যি বলতে পারো কাশ্মীরের যুক্তিও মানি না ,ইজরাইল ও নয়। কিন্তু সারা দুনিয়া - ইনক্লুডিং ইওরোপের সীমারেখা নতুন ভাবে হয়েছে। ঐ ভাবেই হয়েছে। মদন বাবুর নির্দেশে। নতুন দেশ,নতুন সীমারেখা অথবা ভাগাভাগি। এটা গ্রাউন্ড রিয়ালিটি।

    একে একে আরব দেশেরা সবাই ইজ্রায়েলের সার্বভৌমত্ব ও স্বীকার করেছে। ইউ এনের লেজিটিমেসি তো ছিলই। সে ক্ষেত্রে, উচিৎ ছিলো আরব দেশেদের ইজ্রায়েলের পাঁচটি গ্রাম মেনে নেওয়া। কিন্তু তারা ভাবলো খুব সহজেই মুছে দেওয়া যাবে ইজরায়েলকে তাই ধর্মীয় জিহাদ তুলে আক্রমন করলো।

    আরব ইজরায়েলকে অমন সাদা কালো রংএ চিহ্নিত করাটা - তাই আমার পছন্দ নয়।

    রঙ্গন

    এই ত্তো। ফাসক্লাস লিখছো zionism নিয়ে। আরো লেখো তো।
  • r | 61.95.167.91 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১৪:২৭672155
  • এইবার দেখি সেই সময় প্যালেস্টাইনের মুসলিমদের। ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে জেরুজালেম ছিল মুসলিম শহর। শুধু ক্রুসেদের সময় ১০৯৯ থেকে ১১৮৭ ছাড়া। মক্কা এবং মদিনার পরে জেরুজালেম ছিল মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্রতম শহর। মুসলিমরা একে বলত al-Quds বা পবিত্র। এইখানেই Dome of the Rock- যা প্রথম উল্লেখযোগ্য মুসলিম মনুমেন্ট যা ৬৯১ খ্রিষ্টাব্দে তৈরি হয়। বিশ্বাস করা হয় এইখানেই আব্রাহাম তার সন্তানকে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন। ইহুদীদের কাছেও এই স্থান অতি পবিত্র কারণ এইখানেই রাজা সলোমনে মন্দির ছিল বলে মনে করা হয়।

    ১৯২০ সাল থেকে আরব-ইজরায়েলি সংঘাত ভীষনভাবে শুরু হল। কারণ zionist-দের ধর্মনিরপেক্ষতা সঙ্কেÄও ঘোষিত লক্ষ্য ছিল ইহুদীরাষ্ট্রের স্থাপন। কাজেই আরব মুসলিমরা এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভীত হয়ে ওঠে। তখন আরবেরা ছিল মূলত: কৃষিজীবী, প্রায় অশিক্ষিত, গোষ্ঠীবদ্ধ কিছু মানুষ। অন্যদিকে ইহুদীরা দীর্ঘদিন ইউরোপ এবং আমেরিকার সংস্পর্শে থাকার ফলে সুসংবদ্ধ, এবং আধুনিক রাজনীতি এবং যুদ্ধাস্ত্রে সুপটু। ইহুদীদের আন্ডারগ্রাউন্ড মিলিটারি হাগানা ব্রিটিশদের সাথে হাত মিলিয়ে লড়েছিল যার ফলে সামরিক শিক্ষায় তারা আরও পটু হয়ে ওঠে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ইজরায়েলি সংস্থা, যেমন Irgun ZweiLeumi বা Lehi ক্রমাগত গুপ্তহত্যা, বম্বিং, কিডন্যাপিং চালাতে থাকে। আমেরিকার থেকে zionist-রা বিপুল সামরিক এবং নৈতিক সমর্থন পায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে প্রায় নখদন্তহীন ব্রিটিশদেরও এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। যদিও আদিতে Balfour Declaration দিয়ে এই অবস্থার সূচনা তারা নিজেরাই করেছিল।

    এর পরের যুদ্ধবিগ্রহের পরে পরিস্থিতি যা দাঁড়ায় তা হল: ১৯৪৯ সালের মধ্যে ৯০০,০০০ প্যালেস্টাইন আরবদের মধ্যে ৭০০,০০০ প্যালেস্টাইন আরব প্যালেস্টাইন ছেড়ে পালায়। ১৯১৭ নাগাদ ৫০,০০০-এর মতো ইহুদী প্যালেস্টাইনে থাকতেন। ১৯৪৮ সাল নাগাদ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫০,০০০। এই যে বিপুল সংখ্যক প্যালেস্টাইন রিফিউজি দেশ ছড়তে বাধ্য হন, ইজরায়েল কোনোদিন তাদের দেশে ফেরার অনুমতি দেয় নি। ১৯৪৮ সালে ইজরায়েল রাষ্ট্র তৈরি হয় Galilee, Negev এবং উপকূলবর্তী সমতল নিয়ে। পরবর্তীকালে গাজা স্ট্রিপ, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এবং গোলান হাইট্‌স্‌- সব যুদ্ধ করে বেআইনীভাবে কেড়ে নেওয়া। আর সব থেকে বেআইনীভাবে কেড়ে নেওয়া হয় জেরুজালেম।
  • r | 61.95.167.91 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১৪:৪২672156
  • কাজেই, দীপ্তেনদার বক্তব্য- ঐটুকু জমি শান্তিতে ছেড়ে দিলে zionistরা লক্ষ্মীছানার মতো চুপচাপ বসে থাকত- ধোপে টেঁকে না। যদিও আমার মতে এই ধরনের counter-factual analysis-এর খুব একটা মানে হয় না। এই বক্তব্য ঠিক না হওয়ার কারন দুটো। প্রথম, zionist দর্শন ধর্মীয় মিথকে যে রকম cynically ব্যবহার করেছে, তার একমাত্র যুক্তিগ্রাহ্য ফল ছিল সেই মিথিক ইহুদীরাষ্ট্র অক্ষরে অক্ষরে প্রতিষ্ঠা করা। তার জন্য যার জমি নিতে হয় নেবো। ইজরায়েলের পরবর্তী ইতিহাস এই আগ্রাসন নীতি অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ করেছে। দ্বিতীয়, যেভাবে ইজরায়েল স্থাপিত হয়েছে তার মূল উপকরণই ছিল ছলে-বলে-কৌশলে আদি অধিবাসীদের উচ্ছেদ করে জমি দখল করা। হঠাৎ এইটুকু জায়গায় তাঁরা সন্তুষ্ট হয়ে বসে থাকবে তার কোনো কারণই ছিল না।

    এই ঐতিহাসিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে ইতিহাসের কাঁটা ঘুরিয়ে দেওয়ার দাবী অনেকটাই মিলে যায় বি জে পির কাশী-মথুরা-অযোধ্যা-সোমনাথ আন্দোলনের সাথে। বস্তুত:, সমস্ত ঐতিহাসিক অন্যায়ের মোকাবিলা যদি এইভাবে করতে হয়, তাহলে আজ পৃথিবীর মানচিত্র শুধু পালটে যাবে তাই নয়, কিভাবে পালটাতে পারে তারও কোনো হদিশ পাব না।

    খুব ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল, এই নবরাষ্ট্র সব থেকে তোল্লা পায় আমেরিকার খ্রিষ্টান মৌলবাদীদের থেকে। ১৯১৭ সালে Balfour Declaration এদের ভীষণ উল্লসিত করে। এই মৌলবাদীদের আদি পিতা জেরি ফ্যালওয়েল ইজরায়েল গঠিত হবার পর বলেন: "the greatest....single sign indicating the imminent return of Jesus Christ." তাঁর মতে ১৪ই মে, ১৯৪৮ যীশুর স্বর্গারোহণের পরে মানব ইতিহাসের সব থেকে উল্লেখযোগ্য দিন। এবং খ্রিষ্টানদের পক্ষে ইজরায়েলকে সমর্থন বাধ্যতামূলক, কারণ ইহা ঈশ্বরের ইচ্ছা।
  • r | 61.95.167.91 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১৫:২১672157
  • আর একটা কথা- লিওন ইউরির গপ্পো জমজমাট আধা-থ্রিলার, আধা ইতিহাস, কিন্তু কোনো ভাবেই প্রামাণ্য ইতিহাস নয়। লিওন ইউরি মারা যাবার পরে গার্ডিয়ানের obituary-র কিছু অংশ:

    He was,in truth,an educatorof theAmerican publicin theZionist interpretationof modernJewish history.The deeptradition ofnon-violencein Jewishtradition wasswept asidein hismuscular reinterpretationsof themodern Jewishidentity. Manyother culturalstereotypes - thelearned Jew,the piousJew, andthe streetwiseJew asentrepreneur -were similarlydismissed.

    Americansresponded toPaul Newmanin the1960 filmof Exodus,playing therole ofthe sensitive,suntanned, Uzi-totingJew asfighter. Uris'saim wasspelled outat theend ofArmageddon: "Justkeep thearms comingto Israel."

    American charactersappear inhis novelslargely throughtheir devotionto thecause ofJewish statehood - as, forexample, thejournalist MarkParker inExodus. InThe Haj(1984),"good" Arabsfondly lookafter theresidents ofa nearby kibbutz,while "bad"Arabs spreadrumours ofJewish atrocities,and forceout theremaining Arabsto agrim lifein refugeecamps.Arabs, asthe NewYork Timesreview noted,appear inUris's novelsas murderers,thieves andrapists. Theyare lazy,cowardly, boastful,deceitful, untrustworthy,backbiting, and lustful.The Hajpresents theZionist interpretationof thePalestinian people.As aninstance ofbias andbigotry, itis hardto beat.

    তো এই ভদ্রলোকের লেখা গপ্পো দিয়ে ইতিহাসের ধূসর অধ্যায়গুলো বোঝা কি সম্ভব?

  • dd | 202.122.18.241 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১৮:২০672158
  • দ্যাখো,রঙ্গনের ক্যামন সুন্দর হাত খুলে গ্যাছে। এবার গুছিয়ে একটা রমরমা পোবোন্ধো লেখো তো অধ্যাপক বৈ.চ'এর স্টাইলে। zionism নিয়ে।

    দ্রি

    ১৯৪৮'এর যুদ্ধ খুব একটা শস্ত্র নির্ভর হয় নি। আমি সে রকম ই পড়েছিলাম। মোটামুটি ভাবে স্মল আর্‌ম্‌স নির্ভর ছিলো।

    একটা সারনী পেলাম : সুত্র Not on a silver platter : Yenda Wallch। সিঅটের নাম : infoslurp.com/information/1948-Arab_israeli_war

    ইজ্রায়েল /আরব জোট
    ট্যাংক : ১ : ৪০
    আরমার্ড পার্সোনেল কেরিয়ার : ২:২০০
    APC with cannon : ১২০ : ৩০০
    আর্টিলেরী : ৫ : ১৪০
    AA & AT : ২৪ : ২২০
    যুদ্ধ বিমান : ০ : ৭৪
    স্কাউট প্লেন : ২৮ : ৫৭

  • dd | 202.122.18.241 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১৮:২৭672159
  • আর এই টই ও অ্যাক আরব ইজরায়েলী যুদ্ধু হয়ে যাচ্ছে ।

    আমি একা আর উদিকে র,ব,দ্রি,ঈশেন,অর্জিত,দমু। উচিত ?
  • tan | 131.95.121.127 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১৯:১১672160
  • মোটে ছজন হলো,আরেকজন এলে সাতজন হবে,সপ্তরথী।

  • dd | 202.122.18.241 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ১৯:৪৭672161
  • s..
    বাদ গেছিলো। একুনে সাত।
  • indo | 59.93.193.148 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ২০:৩৪672162
  • সে তো আম্মো আরব গেরিলাদের সমর্থন করি। কিছু জেনেবুঝে অবিশ্যি না। সন্দীপন করেছেলো, তাই....
  • Ishan | 130.36.62.140 | ২৯ আগস্ট ২০০৬ ২১:১৯672163
  • অ্যাকচুয়ালি লাইন খানা মৃদুল দাশগুপ্তর কবিতার।

    "গরলে আমি ডরাই নাহে
    বিষে আমি ভয় পাইনা
    আমি মৃদুল দাশগুপ্ত
    আমি আরব গেরিলাদের সমর্থন করি।'

    সব্বাই জানে, তবু ফান্ডা দেবার চান্স পেলে ছাড়ি কেন :-) । আর স্মৃতিবিভ্রাটে লাইনগুলো ও একটু আধটু ভুল লিখতে পারি। ভুল হয়ে সংশোধন প্রার্থনীয়।
  • dri | 199.106.103.254 | ৩০ আগস্ট ২০০৬ ০০:৪৫672166
  • আলোচনা অনেক দুর এগিয়েছে। আমিও কিছু অ্যাড করি।

    আপাতত আলোচনা ঐ ১৯৪৮-৪৯ অব্দিই সীমাবদ্ধ রাখা যাক। দেখা যাক ঐখানে জুইশ নেশান বানানোটা কতটা যুক্তিযুক্ত। তার পরের জুইশ অ্যাট্রোসিটি পরের প্রশ্ন।

    বালফুর ডিক্লারেশনে কোন আরব গোষ্ঠীর কিছু সই করার কথা কোথাও পাই নি। ঐখানে ব্রিটিশরা ইহুদীদের একটা ন্যাশানাল হোম দেবার প্রতিশ্রুতি দেয়। নেশান, বা স্টেটের বদলে ন্যাশানাল হোম, এই ফ্রেজটা ব্যবহার করা হয়। ক্রুশিয়াল ডকুমেন্টে কিছু ভেগ কথা রেখে দেওয়া একটা কায়দা। তিনশ বছর কলোনি চালানো ইংরেজরা এটা ভালো জানত। এর ফলে যা হবার তাই হয়েছে। ন্যাশানাল হোম কি তাই নিয়ে অনেক ডিবেট হয়েছে, কোন রিজলিউশান হয় নি। কিন্তু আসল কথা এইসব কুটকচা৯ নয়। আসল কথা হল ইংরেজরা প্যালেস্টাইনের জমি ইহুদীদের দিয়ে দেবার কে? যারা ঐখানে থাকে তারা ব্রিটিশ রুলও যেমন লেজিটিমেট মনে করত না, ঐ বালের (বালফুরের) ডিক্লারেশনকেও লেজিটিমেট মনে করত না। এবং সেটা না মনে করাটা লেজিটিমেট।

    ইওরোপে অ্যান্টিসেমিটিজ্‌ম ছিল আমাদের গুরুতে ঝগড়ার মত, মাঝে মাঝে খুব বাড়ত আবার মাঝে মাঝে শান্ত। ইহুদীদের মাথারা তাই অনেক দিন থেকেই একটা নিজেদের দেশ কিকরে বানানো যায় সেই ফন্দি আঁটছিলেন। ইওরোপ তাদের লং টার্ম থাকার পক্ষে খুব একটা সিকিওর্ড মনে হয় নি। তো অনেক লোকেশনই কনসিডারেশনে ছিল, তার মধ্যে প্যালেস্টাইন একটা। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আমেরিকা, এমনকি আফ্রিকাও ছিল। যাই হোক, পৃথিবীর অন্যান্য মাইনরিটির থেকে ইহুদীদের তফাত হল তাদের পয়সা ছিল। তাই তারা যেসব যায়গায় ফিউচার হোমের স্বপ্ন দেখত, সেখানে জমি কিনে রাখত। প্যালেস্টাইনেও কিনেছিল। এর মধ্যে কিছু ছিল দখলদারী, মানে জাস্ট গিয়ে বসে যাওয়া। আর কিছু দাম দিয়ে কেনা। দাম দিয়ে কেনার মধ্যেও টুকটাক গুপি ছিল। এমন লোকের থেকে দাম দিয়ে কেনা হত যারা হয়ত ওখানে থাকেন না, কিন্তু ল্যান্ডলর্ড। তাদের থেকে জমি কিনে আরব ক্ষেতমজুরদের বার করে দিত। এইসব করে কিছু কিছু রেসিয়াল কনফ্লিক্ট ও হয়েছিল। কিন্তু ইহুদীরা নিজেদের লক্ষ্যে স্থির ছিল। নিয়ম করে দিয়েছিল প্যালেস্টাইনে কেনা জমি হবে জুইশ ন্যাশানাল ফান্ডের অংশ, এবং এই জমি কক্ষনো আরবদের বেচা যাবেনা বা ভাড়া দেওয়া যাবেনা। এত কারুকার্য্য করেও ১৯৪৭ নাগাদ ইহুদীদের হাতে প্যালেস্টাইনের মোটে ৬% জমি আসে। আর জনসংখ্যা বড়জোর এক তৃতীয়াংশ। সেটা হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সিস্টেম্যাটিক ইমিগ্রেশম করে।

    এই পার্সেন্টেজ নিয়ে ন্যায্যভাবে স্বাধীন দেশ পাওয়া মুস্কিল। ন্যাচারালি আরবরা ইহুদীদের ঐ বায়না মানতে অস্বীকার করে। ইহুদীরা খুব নাকে কেঁদেছিল, দেখ আমরা কিরম পারিকিউটেড। আরবরা বলেছিল ঠিকই, কিন্তু তার জন্য তো আমরা দায়ী নই, আমরা কেন পস্তাব। যাও না জার্মানীতে পাঁচটা গ্রাম নিয়ে থাকো। সেকেন্ড ওয়ার্ড ওয়ারের পর জার্মানী ছিল আপ ফর গ্র্যাব। আমেরিকা বা রাশিয়া চাইলেই জার্মানীর কোথাও ইহুদীদের জন্য ছোট্ট একটা দেশ বানিয়ে দিতে পারত। আরো বেশী মহানুভব হলে নিজেদের দেশেও দিতে পারত। কিন্তু না। বরং ঐ সময় আরবরা বলেছিল ঠিক আছে তোমরা আমাদের দেশে ঢুকে পরেছো তাড়া খেয়ে বুঝি। আমরা দেশ বানাবো, তাতে তোমরাও থাকবে মানরিটি হয়ে। কিন্তু এর পর ইমিগ্রেশন ক®¾ট্রাল করব। মানে পালে পালে ইহুদী ঢুকে পড়ছে এটা অ্যালাও করব না। ইহুদীরা এই প্রপোজাল মেনে নেয়নি। ওদের আসল উদ্দেশ্য ছিল আরো আরো ইমিগ্রেশন করিয়ে ওখানকার ডেমোগ্রাফি বদলে দিতে চেয়েছিল। এবং ১৯৪৮ এর পর সেটা করেও দেখিয়েছে।

    ১৯৪৭ এর কথাই যদি হয়, ঐ ৬% জমি আর ৩৩% লোক নিয়ে ভাগ বাঁটোয়ারার পর আমেরিকার সাথে ছকবাজী ওরা পেয়েছিল প্যালেস্টাইনের ৫৫% জমি! তার মধ্যে ছিল উত্তরের উর্বর অংশও ছিল। তো এটাকে এক ধরণের চুরিই বলা যায়। একদম ঠিক করেছে ঐ সময় ছটা দেশ আক্রমণ করে। জর্ডন বেইমানি না করলে হয়ত ঐ যুদ্ধটা আরবরা হারত না।
  • dd | 202.122.18.241 | ৩০ আগস্ট ২০০৬ ২০:০৭672167
  • দ্রি

    "এই প্যালেস্টাইনের ৫৫% জমি" - কথাটা ভুল। আসলে প্যালেস্টাইন বলে কোনো দেশ ছিলো না।

    বৃটীশরা তুর্কীদের হাত থেকে যে আরব ভুখন্ডটি উদ্ধার করেন সেটিকে খুব loosely প্যালেস্টাইন ও ট্রান্স জর্ডান
    বলা হতো। তার একটা অংশ ঐ ব্রিটীশেরা দেয় সৌদি আরবকে, বেশীর ভাগটাই গেলো ট্রান্স জর্ডানে দেশে। সেটা তখনো এক বেদুইন এমিরেট। ৪৬ সালে সেটি জর্ডান নামে একটা রাজত্ব হয়।

    তুর্কীদের আমলে যা প্যালেস্টাইন তার আদ্ধেকের বেশী জর্ডান দেশেই গেছিলো।

    লীগ ওব নেশনস ও পরে ইউ এন ও যে পার্টিশন অনুমোদন করে তাতে ইজরায়েলের জন্য মাত্র ৫৫০ স্কোয়ার মাইল বরাদ্দ ছিলো।

    দ্রি - এ তথ্যগুলো সব ই নেট ঘেঁটে পেলাম। কিন্তু কখন কোন সাইটে গেছি সেটা মনে থাকে না , লিখি ও না। তাই রেফারেন্স চাইলে দিতে পারবো আ।

    ও, আরেকটা তথ্য .... ১৯২২ সালেই জেরুজালেম,তেল আবিব - এই সব শহরে ইহুদীরা সংখ্যা গরিষ্ঠ ছিলো।

    একটা খোঁজ নিন তো, ৪৮'এর আগে প্যালেস্টাইনে খ্রীষ্টান,দ্রুজ এরা কত ছিলো।

  • dd | 202.122.18.241 | ৩০ আগস্ট ২০০৬ ২০:৫০672168
  • পেইচি।

    pehttp://en.wikipedia.org/wiki/Palestinian: ওপরে ছবি দিয়ে ল্যাখা আছে neutrality disputed

    গোল্ডা মেয়ের চিরকাল ই বলতেন প্যালেস্টাইন বলে কোনো দেশ বা প্যালেস্টানীয় বলে কোনো জাতি ছিলো না। জিওনিজমের মতন ওটাও খুব নতুন,না কি ১৯১১ সাল থেকে শুরু।

    সে বিষয়ে কিছু তথ্য ও তঙ্কÄ।

    এ সবের বিরোধী মত এখনো খুঁজে পাই নি।
  • Ishan | 130.36.62.139 | ৩০ আগস্ট ২০০৬ ২১:০৫672169
  • তাহলে তক্কোটা এই দাঁড়াল, যে, সংখ্যালঘু হিসাবে আরবে ইহুদিদের কিছুটা জমি প্রাপ্য কিনা। এর পরেও অনেক কূট তর্ক আসতে পারে, কিন্তু আপাতত: এইটায় ফোকাস।

    এবং এই নিয়ে আমার কোনো পয়সা দেবার নেই। মধ্যপ্রাচ্য বিশারদরা লিখুন।
  • dd | 202.122.18.241 | ৩০ আগস্ট ২০০৬ ২২:২৫672170
  • প্যালেস্টাইন রিফিউজী নিয়ে শয়তানের যুক্তি একটা দেবো বলেছিলাম। এখন দিচ্ছি।

    প্রায় সাত থেকে নয় লক্ষ ইহুদী রিফিউজী আরব দেশ ছেড়ে ইজরায়েলে আসে - ১৯৪৮ থেকে। ইজীপ্ট সরাসরি আইন করে তাড়িয়ে দেয়। অন্য দেশে নিপীড়ন চলে ।
  • dri | 199.106.103.254 | ৩০ আগস্ট ২০০৬ ২২:৪১672171
  • ডিডি,

    এখন খুব লম্বা করে কিছু লেখার সময় নেই।

    কথাটা মোটামুটি এইরকম। প্যালেস্টাইন বলে কোন দেশ আগে ছিল কি ছিল না তাতে কিছু যায় আসে না। ঐ অঞ্চলে দেশের সীমাগুলো যে খুব আর্টিফিশিয়ালি টানা হয়েছে সে তো সবারই জানা। কথাটা হল যে ভাবেই টানা হোক অধিকাংশ ক্ষেত্রে (মোটামুটিভাবে) ক্ষমতা গেছে তাদেরই হাতে যারা ঐ অঞ্চলের আদি বাসিন্দা, তা সে যে ধর্মেরই হোক। (আমেরিকায় বসে প্যালেস্টাইনের পক্ষে যিনি খুব ভোকাল ছিলেন, সেই এডওয়ার্ড সইদ, তিনি তো প্যালেস্টিনিয়ান ক্রিশ্চান)। ইসরায়েলের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সেরকম নয়। র এর একটা পোস্টেই পরিসংখ্যান আছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝে কি বিপুল পরিমান ইহুদী সম্পুর্ন অন্য যায়গা থেকে এসে ঐখানে ঢুকেছিল। তাদেরকে এত পরিমান জায়গা দিয়ে দেওয়া ঐখানকার আদি বাসিন্দাদের পক্ষে একেবারেই অ্যাক্সেপ্টেব্‌ল নয়।

    আবার বলি আগে প্যালেস্টাইন ছিল কি ছিল না সেটা ইম্মেটিরিয়াল। ইউ এন নির্দিষ্ট ভাগাভাগিতে ইহুদীদের অংশ : প্যালেস্টিনিয়ানদের অংশ = ৫৫:৪৫। (জমির পরিমাণ)।
  • r | 61.95.167.91 | ৩১ আগস্ট ২০০৬ ১৬:৩২672172
  • দীপ্তেন্দা, এই বয়সে শত চেষ্টা করেও "প্রতিক্রিয়াশীল" হতে পারবেন না। সে যতই বই আর নেট ঘাঁটুন না কেন! এই তর্ক করত একজন সাচ্চা ডানপন্থী, তার যুক্তির জোর দেখতেন! আব্বুলিশ! :-)
  • Arjit | 141.30.16.137 | ৩১ আগস্ট ২০০৬ ১৬:৫১672173
  • যেটাকে তুমি সমর্থন করো না, সেটার সমর্থনে যদি লড়ে যেতে পারো - তবে না তুমি বড় তার্কিক। আমি কোনটাই পারি না - সমর্থন করি যেটাকে সেটা নিয়েও বেশিদূর লড়তে পারি না, আর যেটাকে সমর্থন করি না সেটার কথা বাদই দিলুম। তাই আমি বড়, মেজ, সেজ, ছোট - কোন তার্কিকই নই:-))
  • dd | 202.122.18.241 | ৩১ আগস্ট ২০০৬ ২২:৫৩672174
  • ঝ্যা:

    রঙ্গনটা দিলে লেবড়ে।

    যাগ্গে। আনন্দ বাজার যে বাঙালীর সুষ্ঠু সংস্কৃতির অগ্রদুত সে বিষয়ে তো কারো কোনো সন্দেহ নেই (তনু ছাড়া)।

    সে নিয়ে তো লিখবই।
  • m_s | 59.93.247.19 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৮:১৬672175
  • ইহুদী'দের ধর্ম্মগ্রন্থ "তুরা' সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানিনে। "কোরান' সম্পর্কেও অতি-সামান্য'ই জানি। কেউ যদি, সংক্ষেপে একটু লেখেন, খুব খুশি হব।

    একটি বইতে পড়েছিলুম যে, হজরত মহম্মদ যখন মক্কা ছেড়ে মদিনায় এলেন, তখন মদিনাবাসী ৩'টি ইহুদী-গোষ্ঠী, তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছিল; এবং বেশ কিছুদিন উভয় সম্প্রদায় একসাথে মিলেমিশেই থাকে।

    দুটি ধর্মের মানুষেরাই ...একমেবাদ্বিতীয়ম পরমেশ্বর'কে পূজা করেন; মাথায় ফেজ-টুপি পড়েন; দিনের নির্দ্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট আচারানুসারে, পবিত্র-শহরমুখী হ'য়ে, দাঁড়িয়ে ও হাঁটু মুড়ে বসে প্রার্থনা করেন।

    সেই সব আচার-পদ্ধতিগুলি'র মধ্যে প্রচুর মিলও আছে.... যেমন আকাশের দিকে দুহাত তুলে প্রার্থনা করার পর , সেই হাতদুটিকে চোখের উপর বুলিয়ে " আমীন ' বলা ; ধর্ম্মগ্রন্থকে দুহাতে তুলে দুচোখ দিয়ে স্পর্শ করা , ইত্যাদি।

    প্রথম কয়েকদিন ইহুদীদের সাথেই নব্য-মুসলমানেরাও "জেরুজালেম' শহরের দিকে মুখ ক'রে, একই স্থানে প্রার্থনা করতেন। পরবর্তীকালে, হজরত মহম্মদ একটি ঐশ্বরিক নির্দেশ পেয়েছিলেন ; সেই নির্দেশে... মুসলমানেদের "মক্কা' শহরস্থিত পবিত্র "কাবা'র দিকে মুখ ক'রে প্রার্থনা করতে, আদেশ করা হয়।

    এই ঘটনার পর থেকেই , নব্য-মুসলমান ও ইহুদী-গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। হজরত মহম্মদের সামরিক নেতৃত্বে , নব্য-মুসলমানেরা...কয়েকটি যুদ্ধে ইহুদী-গোষ্ঠীগুলিকে নিশ্চিহ্ন করেন মদিনা থেকে। সম্ভবত: এই ঘটনাই.... ইহুদী-মুসলমান সংঘর্ষের মূলগত ধর্ম্মীয় কারণ।

    এর বেশী আমি আর কিছুই জানিনে। কেউ যদি আরও বিস্তৃত ক'রে লেখেন, তবে ভালো হয়।

  • tan | 131.95.121.127 | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ০৫:৪৪672177
  • মটরশুটি m_s, এই নিন তুরার লিংক।
    http://en.wikipedia.org/wiki/Torah
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন