এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ন্যাশানাল পুলিশ কমিশন এবং সিপিএমের ডিগবাজি

    bip
    অন্যান্য | ২৯ আগস্ট ২০১৫ | ৩৪৪০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bip | 79.250.61.167 | ২৯ আগস্ট ২০১৫ ০৭:০৮685142
  • মমতার পুলিশ কেন দলদাস-তাই নিয়ে সিপিএম যতই মিটিং মিছিল করুক না কেন, থুতু নিজের মুখেই পড়বে। আমি কাল এটা লিখেছিলাম, ভারতের পুলিশ দলদাস কারন সংবিধানে পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে রাখা হয়েছে। ভ্যামপ্যান্টি এবং ফেসবুকের পেছনপাকা বৃন্ধরা যৌথ ভাবে, আমেরিকার পুলিশের দিকে আঙুল তুললেন, যেখানে সবাই জানে আমেরিকান পুলিশের রেশিয়াল বায়াস থাকতে পারে কিন্ত পলিটিক্যাল পার্টির দলদাস হওয়ার কোন ইতিহাস নেই। যাইহোক লাভ হল এই যে ওখানে আলোচনসূত্রে জানতে পারলাম পুলিশের দলদাসত্ব ঘোচাতে ন্যাশানাল পুলিশ কমিশন গঠন করা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে-এবং সেই কমিশনের দ্বিতীয় রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছিল পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে সরাতে না পারলে, এই ধরনের দল দাসত্ব চলতেই থাকবে। ১৯৭৮ সালে এই পুলিশ কমিশন গঠন করা হয়েছিল, জনতা সরকারের আমলে। মূল লক্ষ্য ছিল, কংগ্রেস সরকার যেভাবে বিরোধি পেটাতে এমার্জেন্সির সময় পুলিশের অপব্যবহার করে, তা যেন বন্ধ হয় [১]। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮২ সালের মধ্যে এই কমিশন ৮ টি রিপোর্ট তৈরী করে। কিন্ত ১৯৮০ সালে ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় আসার পরে, অবধারিত ভাবেই এই কমিশন ভেঙে দেওয়া হয় যাতে কংগ্রেস পুলিশের সাহায্য নিয়ে স্বৈরতন্ত্র চালিয়ে যেতে পারে।

    এই কমিশনের দ্বিতীয় রিপোর্টে যা লিখেছিল, কালকে আমি ঠিক সেটাই লিখেছিলাম [১]
    "Political Interference in Police Work:
    In the existing set-up, the police function under the executive control of the state government. According to the Commission, the manner in which political control has been exercised over the police in this country has led to gross abuses, resulting in erosion of the rule of law and loss of police credibility as a professional organisation. The threat of transfer / suspension is the most potent weapon in the hands of the politician to bend the police down to his will. The Commission recommended that the superintendence of the state government over the police should be limited to ensure that police performance is in strict accordance with law. In the performance of its tasks, the police should be subject to overall guidance from the government which should lay down broad policies for adoption in different situations. There should however be no instructions in regard to actual operations in the field. In regard to investigation work, in any case, the police are beyond any intervention by the executive or politicians.
    To help the state government discharge their superintending responsibility in an open manner under the framework of law, a State Secretary Commission should be setup through law in each state. The State Security Commission should:
    lay down broad policy guidelines and directions for the performance of preventive tasks and service-oriented functions by the police;
    evaluate the performance of the State Police every year and present a report to the State Legislature;
    function as a forum of appeal to dispose of representations from officers regarding their being subjected to illegal orders and regarding their promotions; and
    generally keeping the functioning of the police in the state under review.

    মজার ব্যপারাটা হচ্ছে ১৯৯৬ সালে তৎকালীন হোম মিনিস্টার ইন্দ্রজিত গুপ্ত, পুলিশের অপব্যবহার ঠেকাতে ন্যাশানাল পুলিশ কমিশনের রিপোর্ট সব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠান। কোন মুখ্যমন্ত্রী পাত্তাই দেন নি। [২] তাদের মধ্যে জ্যোতিবোস ও ছিলেন। ইন্দ্রজিত গুপ্ত নাকি খুব দুঃখ পেয়েছিলেন জ্যোতিবাবু পুরো ব্যপারটাকে ইগনোর করায়। কেনই বা দেবেন ? লেঠেল বাহিনীর সাহায্য নিয়ে আরো দুদিন ক্ষমতাই থাকতে কে আর না চাইবে? আফটার অল পুলিশ সাথে থাকলে পাড়ার সব মস্তান আর বাহুবলীরা সাথে থাকে-যারা "ভোট ম্যানেজ" করে। কাল সিপিএম করত, আজকে তিনোরা করছে। পার্থক্যটা কি? বরং তিনোদের ক্ষেত্রে মমতা কিছু কিছু নিজের পার্টির লোককে গ্রেফতার করেছেন। সিপিএম পার্টি গণতান্ত্রিকতার কারনে সেটুকুও করতে পারত না। তপন শকুরকে মালা পড়িয়ে থানা থেকে নিয়ে আসা হত।

    শুধু হেরে গেলে বিরোধি পার্টি থাকার সময় পুলিশ কেন দলদাস বলে নবান্ন অভিযান করবে!!! আর নিজেদের বলবে জনগণতান্ত্রিক বিপ্লবী দল। আবার পুলিশ যাতে রাষ্ট্রের ঠ্যাঙারে বাহিনী থাকে, এই চক্রান্তেও সামিল হবে!!

    তবে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। সেই দিন জ্যোতিবাবুর সিপিএম ইন্দ্রজিত গুপ্তের সাথে দাঁড়ালে ভারতের সামনে সুবর্ণ সুযোগ ছিল, পুলিশ রিফর্মের যাতে পুলিশকে দলদাস না হতে হয়। জ্যোতি বসু জনগণকে ঠকাতে ওস্তাদ ছিলেন-এক্ষেত্রে আজ ভুগছে তার নিজের পার্টি। এখন সিপিম পুলিশের হাতে মার খেলেও এদের কিস্যুই করার নেই। যতবার স্বৈরতন্ত্র, পুলিশের দলদাসত্বের কথা মুখে আনবে, থুতু নিজেদের মুখেই পড়বে।
    [১]http://www.humanrightsinitiative.org/index.php?option=com_content&view=article&catid=91%3Ashiva&id=746%3Apolice-reforms-indiathe-national-police-commission-npc&Itemid=98
    [২]http://www.milligazette.com/Archives/15042002/1504200253.htm
  • Mmu | 102.90.16.140 | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ১৭:৩৩685153
  • ' bip' আপনার লেখা একদম সঠিক । সমর্থন করি।
  • ranjan roy | 132.162.248.208 | ৩০ আগস্ট ২০১৫ ২৩:০১685164
  • বিপের পুলিশ কমিশন নিয়ে বক্তব্যটি অকাট্য।
  • PT | 213.110.243.21 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ০৯:১০685175
  • কি অসাধারণ নিরপেক্ষ ও অকাট্য বক্তব্য!! এবং কোন তথ্য ছাড়াই গপ্প ফাঁদার কি প্রবল ক্ষমতা।

    প্রথম সূত্র শুধুমাত্র জানাচ্ছেঃ
    Indicative of the deeply entrenched resistance to police reform is the fact that a letter written on the subject in April 1997 by Shri Indrajit Gupta, the then Union Home Minister to the Chief Ministers of all States exhorting them to rise above narrow partisan or political considerations and introduce police reforms on the lines recommended by the NPC, failed to produce even a single response.

    দুটো সূত্রর কোনটাই কিন্তু জ্যোতি-ইন্দ্রজিৎ কোন আলোচনার ইঙ্গিতটুকুও দেয় না। শুধু ইন্দ্রজিৎ "নাকি খুব দুঃখ পেয়েছিলেন" এই হাওয়ায় ভাসানো তত্ব আঁকড়ে বিপ একটি গরুর গাছে ওঠা রচনা লিখে ফেললেন।

    আর কি আশচর্য তার জন্য বাহবাও পেলেন!!!!!
  • কল্লোল | 135.17.65.130 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ১৫:৩৯685186
  • "failed to produce even a single response"
    এর মানে হলো জ্যোতিবাবু ছাড়া আর কোনো মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয় নি। একমাত্র জ্যোতিবাবু এটিকে হুহাত তুলে সমর্থন করেছিলেন। তাইতে ইন্দ্রজিত গুপ্ত ভারী খুশী হয়েছিলেন।
    অথচ বিপ কি লিখলেন??????
    "মজার ব্যপারাটা হচ্ছে ১৯৯৬ সালে তৎকালীন হোম মিনিস্টার ইন্দ্রজিত গুপ্ত, পুলিশের অপব্যবহার ঠেকাতে ন্যাশানাল পুলিশ কমিশনের রিপোর্ট সব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠান। কোন মুখ্যমন্ত্রী পাত্তাই দেন নি। [২] তাদের মধ্যে জ্যোতিবোস ও ছিলেন।"

    কি ভয়ানক মিথ্যাচার!!!!

    সত্যি পিটি না থাকলে বিপ এরকম জঘইন্য মিথ্যা কথা বলে হাততালি পেয়ে যেতো।

    সাব্বাশ পিটি। লাগে রহো।
  • PT | 213.110.246.225 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ১৭:৩০685197
  • মিথ্যাচার কেন হবে? এ হচ্ছে গল্পের গরু-যা গাছে উঠেছে। সায়েন্স ফিকশনে যা হয়ে থাকে-৫% তথ্য, বাকিটা গরু ও গাছ!! এবং তার সঙ্গে একটা মারাত্মক ব্যাপার জুড়ে গিয়েছেঃ

    'জ্যোতি বসু জনগণকে ঠকাতে ওস্তাদ ছিলেন-এক্ষেত্রে আজ ভুগছে তার নিজের পার্টি। এখন সিপিম পুলিশের হাতে মার খেলেও এদের কিস্যুই করার নেই।"

    এই বাক্যদুটো ভাল করে পড়ুন। প্রথমটা লেখকের সম্পুর্ণ ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অবস্থান যার সঙ্গে জ্যোতি-ইন্দ্রজিৎ-পুলিশ কমিশন কিছুরই যোগাযোগ নেই। আর ঐ বাক্যটির প্রথম ভাগটা তিনোরা প্রায়শঃই বলে থাকে।
    ঐ বাক্যের দ্বিতীয় ভাগের ব্যাপারে প্রশ্ন করাই যায় যে সিপিআই বা সিপিআই (এম এল)-যেগুলোর সঙ্গে অন্ততঃ শেষের ৪০-৫০ বছরে জ্যোতি বাবুর কোন যোগাযোগ ছিল না সেগুলো কি করে সাইন বোর্ড হয়ে গেল?

    আর দ্বিতীয় বাক্যটি পড়ে মনে হচ্ছে গত সপ্তাহের কলকাতার বাম সমাবেশ দেখে তিনো-প্রধান আর বিপ একই রকমের ভয় পেয়েছেন। তাই এবার বিপ পুলিশ দিয়ে বাম মিছিলকারীদের ঠ্যাঙানোর এক অভিনব জাস্টিফিকেশন হাজির করেছেন।

    সব চাইতে বড় প্রশ্ন যে "জনগণ ঠকানো" জ্যোতি বসু ইন্দ্রজিৎকে এত "দুঃখ" দেওয়ার পরেও ইন্দ্রজিতের দলটি কেন সিপিএমের সঙ্গে ঝুলে রইল?
  • cm | 127.247.98.68 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ১৮:০৩685208
  • এই সাইটে এটাই দস্তুর।
  • কল্লোল | 125.242.140.173 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ২০:৫০685213
  • পিটি।
    আমি স্পষ্টতঃ মনে করি নবান্ন অভিযানে বামেরা যা করেছে - বেশ করেছে। এটাই বহু আগে করা উচিত ছিলো।
    তাতে করে ইন্দ্রজিতবাবুর ন্যাশানাল পুলিশ কমিশনের প্রস্তাবে জ্যোতিবাবুর চুপ করে থাকা বা চেপে যাওয়াটাও মান্যতা পায় না।
    সেদিনের চুপ করে থাকাটা আজ আছোলা বাঁশ হয়ে আসছে।
  • cm | 127.247.201.23 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ২১:২৫685214
  • সেদিন চুপ থেকে বা চেঁচিয়ে কিছুই হতনা। একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথায় কিছুই হয়না।
  • PT | 213.110.246.23 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ২১:৩২685143
  • ২০১৫-র পুলিশী অপদার্থতার দোষ ২০ বছর আগের একটি মাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টাটা বেশ নিম্নমানের সায়েন্স-ফিকশন। এইসব লিখে তিনো-সরকারকে খামোকা অক্সিজেনের যোগান দেওয়া চেষ্টা না করাই ভাল।
  • কল্লোল | 125.242.140.173 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ২১:৪১685144
  • কি হতো কি হতো না, সে তো এখন বলে লাভ নেই। কথাটা হলো নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে রাখা। জ্যোতিবাবু তথা সিপিএম পুলিশকে দলের আজ্ঞাবাহী হিসাবেই দেখতে চেয়েছিলেন, তাই ইন্দ্রজিতবাবুর প্রস্তাবে রা কাড়েন নি আর পাঁচটা কংগ্রেসী, বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের মতো।
    এটুকুই।
  • cm | 127.247.201.23 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ২১:৫২685145
  • উনি বোধহয় আপনার মত গীতা পড়েননি।
  • কল্লোল | 125.185.152.178 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ২২:৪২685146
  • পড়েছিলেন তো।
    ১৯৭৭ থেকে উনি একাই চ্যাঁচাতেন - রাজ্যের হাতে অধিক ক্ষমতা চাই।
    তখন বোধহয় গীতা পড়েছিলেন। ১৯৯৬তে ভুলে গেছেন। সে তো হতেই পারে।
  • PT | 213.110.246.23 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ২২:৫০685147
  • গোটা আলোচনাটাই চলছে একটি হাওয়ায় ভাসানো গপ্পের ওপরে ভিত্তি করে। ইন্দ্রজিৎ-জ্যোতির মধ্যে কি কথা হয়েছিল তা কেউই জানেনা।
  • কল্লোল | 125.185.152.178 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ২৩:০৯685148
  • পিটি। ইন্দ্রজিত-জ্যোতি কথা হোক বা না হোক। জ্যোতিবাবু, দশরথ দেব, নয়নার কেউই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন নি। অর্থাৎ পুলিশকে দাস বানিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন। করেওছেন।
    তাতে করে মমতা ভালো হয়ে গেলো না। সেও একই কাজ করে যাচ্ছে।
    বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলুশী জুলুমকে ধিক্কার।
  • h | 213.99.211.133 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ২৩:৩২685149
  • পুলিশ কমিশন যদি 'state legislature' কে রিপোর্ট করে, তাইলে সেটা কতটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
  • PT | 213.110.246.23 | ৩১ আগস্ট ২০১৫ ২৩:৫১685150
  • কেন করেননি তার ৩৪০ টা কারণ থাকতে পারে। তার এক আধটা জানালে ভাল হয়। তার কোনটাই আমি নাও জানতে পারি। কিন্তু যিনি এইজাতীয় আলোচনার সূত্রপাত করেন তাঁর কাছে তো অন্ততঃ 'লেঠেল বাহিনীর সাহায্য নিয়ে আরো দুদিন ক্ষমতাই থাকতে কে আর না চাইবে? " অথবা "জনগণকে ঠকাতে ওস্তাদ ছিলেন" জাতীয় চায়ের ঠেকের চাইতে উচ্চতর কোন তথ্য থাকা প্রয়োজন।
  • কল্লোল | 111.63.205.233 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১০:৫৮685151
  • 'state legislature' কে রিপোর্ট করবে না।
    পুলিশ কমিশনের প্রস্তাব ছিলো পুলিশ রিপোর্ট করবে State Security Commission কে। তারা বছরে একবার বিধানসভায় পুলিশের কাজের রিপোর্ট দেবে -evaluate the performance of the State Police every year and present a report to the State Legislature;
    function as a forum of appeal to dispose of representations from officers regarding their being subjected to illegal orders and regarding their promotions; and
    generally keeping the functioning of the police in the state under review.

    এহেন প্রস্তাব কোন মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই সুখকর নয়। কারন তাহলে পুলিশের উপর দলের নিয়ন্ত্রন উঠে যাবে।
    আমার তো মনে হয় পুলিশকে জুডিশিয়ারীর হাতে দেওয়া উচিত।
  • Jaqen H'ghar | 117.167.108.73 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১১:০৫685152
  • জুডিশিয়ারি? করাপশনে মনে হয় দেশের পয়লা নম্বর এনটিটি।

    তবে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বাইর পুলিশ, এইটা পছন্দের। রাদার, সরাসরি কোনো মন্ত্রকের হাতেই নয়। বিলেতে কতকটা এই ধরণের ব্যাপার আছে, এবং সেটা বেশ ফাংশনাল। তবে সেখানে জাজ-উকিল-মুহুরী-পুলিশ কোটেরি নাই।
  • PT | 213.110.243.22 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১১:১২685154
  • রিটায়ার করার পরে যত পুলিশের লোক রাজনীতিতে আসে তাদের প্রায় সকলেই (প্রায়?) দক্ষিনপন্থী দলে যোগ দেয়। এক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে পুলিশের মাথারা পুলিশের কাজে থাকাকালীনও বাম বিরোধী ও দক্ষিণপন্থী মানসিকতার নিয়েই কাজ করতে থাকে।

    সেক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনের প্রস্তাব লাগু হলে, কোন পুলিশের কর্তা (বা অনেক কর্তারা) যদি ক্ষমতাসীন বাম মুখ্যমন্ত্রীর আদেশ পালন না করে তাহলে সেই পুলিশের ক্ষেত্রে কি কি ব্যব্স্থা নিতে পারে ক্ষমতাসীন সরকার? এক বছরের শেষ রিপোর্ট দেওয়ার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে? নাকি সরকার মামলা করবে?
  • কল্লোল | 111.63.205.233 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১১:১৪685155
  • ক্ষমতা থাকলে দুর্নীতি থাকবে। কিন্তু যেহেতু বিচারবিভাগকে ভোটে দাঁড়াতে হয় না, তাই এলাকার গালকাটা, হাতকাটাদের হাতে রাখারও কোন দায় থাকবে না।
    অবশ্য পরে মনে হলো, পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া বেশ মুস্কিলের হয়ে যাবে।
    নাঃ, ঐ স্টেট সিকিওরিটি কমিশনই ভালো।
  • Jaqen H'ghar | 117.167.108.72 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১১:১৬685156
  • পুলিশকে কোনো ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে আদেশ দেওয়ার প্র্যাকটিসটা নিয়েই তো প্রশ্ন আছে।
  • PT | 213.110.243.22 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১১:৫৪685158
  • স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজটা কি হবে তাহলে? "বালুকাবেলায় আমি লিখেছিনু" গান গাওয়া?
  • Jaqen H'ghar | 125.112.74.130 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১১:৫৪685157
  • ক্ষমতা (আর সেখান থেকে আসা প্রিভিলেজ) নিয়েই তো জ্বালাতন। সুপ্রীম কোর্টের জজকে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে দেখতে পারলে এই জ্বালাতনগুলো কমতো।
  • PT | 213.110.243.22 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১২:৫১685160
  • এদেশে গয়লারা এখনো দুধে জল মেশায়, বাজারে তুঁতের জলে ডোবানো সব্জি আর ফর্মালিন ইন্জেকশন দেওয়া মাছ বিক্কিরি হয়। এইসব ঘর থেকেই তো পুলিশের নিচের তলার কর্মীরা আসবে। তাদের কাজ করার জন্য কতটা স্বাধীকার দেওয়া যেতে পারে?
  • Jaqen H'ghar | 117.167.108.72 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৩:০০685161
  • ছোটবেলায় পার্টি ক্লাসে শিখিয়েছিলো যে ডেভেলপমেন্ট একটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস।
  • ranjan roy | 132.162.248.208 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৯:০৭685162
  • "এদেশে গয়লারা এখনো দুধে জল মেশায়, বাজারে তুঁতের জলে ডোবানো সব্জি আর ফর্মালিন ইন্জেকশন দেওয়া মাছ বিক্কিরি হয়। এইসব ঘর থেকেই তো পুলিশের নিচের তলার কর্মীরা আসবে।"

    ---বাঃ! রাজনৈতিক উচ্চাকাংখা নিয়ে যাঁরা ক্ষমতায় আসেন তাঁরা কোন আলাদা সেক্লুডেড কালচার থেকে আসেন নাকি?
    কমরেড ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের ভাইপো প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রঞ্জিত গুপ্ত কোত্থেকে এসেছিলেন?
  • PT | 213.110.243.21 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ২০:৩২685163
  • পুলিশ কমিশনার কবে থেকে নিচের তলার কর্মী হলেন?
  • ranjan roy | 132.162.248.208 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ২২:৫৮685166
  • পুলিশ কমিশন কী রাজ্যসরকারের মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ পুলিশের নীচের তলার কর্মীদের হাতে ছেড়ে দিতে প্রস্তাব করেছিল?

    মোদ্দা কথা ডান-বাম কোন মুখ্যমন্ত্রীই ইন্দ্রজিত গুপ্তের রিফর্ম প্রপোজালে রা কাড়েন নি। এটাই ফ্যাক্ট, ও ডকুমেন্টেড। কোন আশকথা পাশকথা দিয়ে এই লজ্জাজনক ইতিবৃত্ত ঢাকা যাবে না।
    শুধু কেরালা, বঙ্গ ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুললে কি হত সে প্রশ্ন অবান্তর।
    ১)অন্ততঃ নীতিগত বিতর্ক জারী থাকত, হয়ত আজ পাশ হয়ে যেত। যেভাবে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু বা মৃত্যুদন্ড রদের ইস্যু বা আফস্পা রদের একসময়ের মাইনরিটি ডিমান্ড আজ পায়ের তলায় মাটি পেয়েছে।
    ২) নীতিগত প্রশ্নে কমিউনিস্টরা কবে হারজিতের সংখ্যাতত্ত্ব দেখে নিয়ে স্ট্যান্ড নেয়!
    ৩) কনসিস্টেন্সির প্রশ্ন।
    ৪) হ্যাঁ, আজ সংসদে তিনোদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে মোদীর শিল্পবন্ধু কৃষকবিরোধী ভূমিসংস্কার বিল আটকানো গেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন